Tag: bjp

bjp

  • BJP: অভিষেকের হুঁশিয়ারির পর খড়গ্রামে বিজেপি প্রার্থীর বাড়ি ঘেরাও করে ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: অভিষেকের হুঁশিয়ারির পর খড়গ্রামে বিজেপি প্রার্থীর বাড়ি ঘেরাও করে ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট মিটতেই ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম। বিজেপি (BJP) প্রার্থী সঞ্জয় দাসের বাড়ি ঘেরাও করে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীর বিরুদ্ধে। বিজেপি প্রার্থী ও তাঁর পরিবারের লোকজনদের বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের হামলা পাল্টা বিজেপির প্রতিরোধে দুপক্ষের মোট ৭ জন জখম হন। তাদের কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    ২১ জুলাই সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি (BJP) নেতাদের ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। অভিষেকের সভার পর পরই খড়গ্রামে বিজেপি প্রার্থীর সঞ্জয় দাসের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীর নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন কর্মী সমর্থক এসে সঞ্জয় দাসের বাড়ি ঘেরাও করে। জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পুরানো গণ্ডগোল তুলে সঞ্জয়বাবুদের বচসা শুরু হয়। এরপরই তৃণমূলের নেতৃত্বে ব্যাপক হামলা চালানো হয়। প্রতিবাদ করলে বিজেপি প্রার্থীর বাবাকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটায়। চোখের সামনে বাবাকে মারতে দেখে বিজেপি নেতা সঞ্জয়বাবু বাঁচাতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়।

    কী বললেন আক্রান্ত প্রার্থীর পরিবারের লোকজন?

    বিজেপি (BJP) প্রার্থী সঞ্জয় দাসের পরিবারের লোকজন বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি হারতেই ওরা দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। শুক্রবার রাতে পুরানো একটি গণ্ডগোলের বিষয় নিয়ে কথা তুলে বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। আমাদের মারধর করে। পুলিশ আমাদের কোনও মামলা নেয়নি। উল্টে আমাদের কর্মীদের পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) মুর্শিদাবাদের উত্তরের সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষ বলেন, অভিষেকের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের জন্যই এই হামলার ঘটনা ঘটল। বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পুলিশের ভুমিকা ঠিক নয়। আমরা এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের খড়গ্রাম ব্লকের সভাপতি শামসের আলি মমিন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখে এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Rally: ‘‘২১ জুলাই বিডিও অফিস ঘেরাও’’! মহা মিছিলের মঞ্চ থেকেই ঘোষণা সুকান্তর

    BJP Rally: ‘‘২১ জুলাই বিডিও অফিস ঘেরাও’’! মহা মিছিলের মঞ্চ থেকেই ঘোষণা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলেজ স্কোয়ার থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত বিজেপির মহা মিছিল শুরু হল। বিজেপির দাবি, পঞ্চায়েত ভোটে ১১জন দলীয় কর্মী খুন হয়েছেন। আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে ৩ হাজার কর্মী। তাঁদের মধ্যে ৬৫০ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। পঞ্চায়েত ভোটে ১২ হাজার ৪৯২টি বুথ দখল হয়েছে এবং ২১ হাজার বুথে ভোটই না হওয়ার অভিযোগ তুলছে বিজেপি। মিছিল শুরুর আগে মঞ্চে উঠে বক্তব্য রাখেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রথমে বক্তব্য রাখেন দিলীপ ঘোষ, তারপর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ প্রমুখ।

    দিলীপ ঘোষের কথায়

    বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটের নামে রাজ্যজুড়ে প্রহসন হয়েছে। আমাদের কর্মীদের মনোনয়ন ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। বহু কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। গোটা বিষয়টি কোর্টে জানিয়েছি। বিচার চলছে। জনগণ আমাদের পাশে রয়েছে। জনগণকে পাশে নিয়ে আমরা পথে নেমেছি। ভোটকেন্দ্রে সরকারি ক্ষমতাকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার লুঠ করা হয়েছে। আমাদের কর্মীদের গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে। বিডিও-র নেতৃত্বে ভোট লুঠ হয়েছে। ওসি পর্যন্ত ভোট লুঠে সাহায্য করেছে। এই সমস্ত ওসি, বিডিও-দের চাকরি খেয়ে আমরা ভিখারি করে ছাড়ব, যারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। তাই আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পথে নেমেছি। এর জন্য যতদূর যেতে হয় যাব।” তিনি আরও বলেন, “দু-দিন পরে এখানে একটা নাটক হবে শহিদ দিবসের নামে। সারা বছর রাজ্যজুড়ে লোককে মারা হয়, আর ২১ জুলাই শহিদ দিবসের নামে নাটক করা হয়। এখানে লোক আসবে না। তাই পুলিশ আর সিভিক পুলিশ ফোন করে জানছে, কত বাস লাগবে, কত লোক আসবে। মেদিনীপুরের কাউন্সিলারকেও ফোন করে কত বাস লাগবে জানছে পুলিশ।”

    শুভেন্দু অধিকারীর মত

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মঞ্চে উঠেই ‘ভারত মাতা কি জয় স্লোগান দিয়ে এবং তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে বক্তব্য শুরু করেন। তিনি বলেন—“মাত্র ২৪ ঘণ্টার নোটিশে হাজার-হাজার বিজেপি কর্মী রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই মেগা মিছিলে হাজির হয়েছেন। যদি বুকের পাটা থাকে তো এই মিছিল আটকে দেখাও। গত লোকসভা ভোটের আগেও ১৯ জানুয়ারি কলকাতায় এরকমই একটা সার্কাস হয়েছিল। সেই সময় নাম দিয়েছিলেন ইউনাইটেড ইন্ডিয়া। তার পরিণতি গোটা দেশের মানুষ দেখেছে। বাংলাতে তৃণমূল ৩৪ থেকে ২২-এ নেমেছে। আর বিজেপি ২ থেকে বেড়ে ১৮-এ পৌঁছেছে। এই পরিবারবাদী লোকেরা, দুর্নীতিগ্রস্ত পার্টিরা ইডি, সিবিআই থেকে বাঁচতে বেঙ্গালুরুতে ফাইভ স্টার মিটিং করেছে।” বিরোধী-জোটকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, “একদিকে মোদিজি আর অন্যদিকে, দুর্নীতিগ্রস্তরা। আগলিবার মোদিজি ৪০০ পার। আর ইন্ডিয়া নাম দিলেই স্বদেশপ্রেমী হওয়া যায় না। তাহলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিও ভারতে থাকত। তাই ইন্ডিয়া নাম দিয়ে বিভ্রান্ত করা যাবে না। মানুষ মোদিজির হাতেই দেশ আগামী কয়েক দশক রাখবে।”

    আরও পড়ুন: পার্থর বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমোদন রাজ্যপালের! বাধাহীন বিচারপ্রক্রিয়া

    সুকান্ত মজুমদারের দাবি

    শুভেন্দুর মতো সুকান্ত মজুমদারও ‘ভারত মাতা কি জয় স্লোগান দিয়ে বক্তব্য শুরু করেন এবং ভোটে সন্ত্রাসের পরেও বিজেপি যে ভোট পেয়েছে তার জন্য দলীয় কর্মীদের ধন্যবাদ জানান। সিপিএম-কংগ্রেস সেটিং নিয়েও কটাক্ষ করে সুকান্ত বলেন, “ওখানে গিয়ে শুধু মিটিং-সেটিং-ইটিং করলেই হবে না। একবার গিয়ে খোঁজ নিন বাংলা থেকে কত মানুষ ওখানে কাজের জন্য যাচ্ছেন। যদি গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হয় তাহলে এই সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে হবে। আমাদের লড়াই এখান থেকেই শুরু হচ্ছে। যে সরকার নিজেদের পুলিশকে সুরক্ষা দিতে পারে না, সেই সরকার রাজ্যবাসীকে কি সুরক্ষা দেবে!” মেগা মিছিলের মঞ্চ থেকে তৃণমূলের শহিদ দিবসেই অর্থাৎ ২১ জুলাই বিডিও অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দিলেন সুকান্ত মজুমদার। সকলকে এই লড়াইয়ে নামার আহ্বান জানান সুকান্ত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: অনুমতি নেই পুলিশের! বুধবার কলকাতার পথে মিছিলে অনড় বিজেপি 

    BJP: অনুমতি নেই পুলিশের! বুধবার কলকাতার পথে মিছিলে অনড় বিজেপি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা ও অশান্তির প্রতিবাদে আজ, বুধবার পথে নামবে বিজেপি। তবে এদিন  মিছিলের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। পুলিশের অনুমতি না মিললেও মিছিল হবেই, বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের এই মিছিলে উপস্থিত থাকার কথা। পাশাপাশি দলের সাংসদ, বিধায়কদেরও মিছিলে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    কেন অনুমতি নেই

    পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার প্রতিবাদে বুধবার কলেজ স্কয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করার কথা ঘোষণা করে বিজেপি। কিন্তু সেই মিছিলে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। শুক্রবার, ২১ জুলাই ধর্মতলায় তৃণমূলের সমাবেশ। শহর জুড়ে তার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ বাঁধার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে জোর কদমে। এর মধ্যেই সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে আজ কলেজ স্ট্রিট থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছে বিজেপি। অর্থাৎ, তৃণমূলের নির্মীয়মাণ মঞ্চের অদূরেই শেষ হওয়ার কথা বিজেপির মিছিলের। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতেই পুলিশ মিছিলের অনুমতি দেয়নি বলে জানা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: পাচার হওয়া ১০৫টি প্রাচীন মূর্তি ভারতের হাতে তুলে দিল মার্কিন প্রশাসন

    বিরোধী-কণ্ঠ রোধের চেষ্টা

    রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘পুলিশ মিছিলের অনুমতি দেবে, এমন আশাও আমাদের ছিল না। কারণ, আমরা জানি, তৃণমূল প্রতিহিংসাপরায়ণ দল। ভোট লুট, গণনায় কারচুপির পরে ওরা বিরোধীদের কণ্ঠস্বর বন্ধ করতে চাইছে। তবে আমাদের মিছিল হবেই।’ পঞ্চায়েত ভোটে বেনজির হিংসার সাক্ষী থেকেছে বাংলা। মহিলাদের উপরও অত্যাচার করা হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন মহিলারা। এই অভিযোগ ইতিমধ্যেই রাজ্যে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে বিজেপি। আজ হাওড়ার পাঁচলায় বিজেপির ‘তথ্যানুসন্ধানী মহিলা প্রতিনিধি দল’-এর যাওয়ার কথা। একইসঙ্গে হিংসার প্রতিবাদে আজ পথেও নামছে বিজেপি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Opposition Alliance: ’২৪-এর লোকসভা ভোটে লড়াই মোদির এনডিএ বনাম বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোটের!

    Opposition Alliance: ’২৪-এর লোকসভা ভোটে লড়াই মোদির এনডিএ বনাম বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোটের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে চলে গেল ইউপিএ (UPA)! বিজেপি বিরোধী দলগুলির মহাজোটের (Opposition Alliance) নয়া নাম হল দেশের নামে, ইন্ডিয়া (ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স)। মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুর হোটেলে বৈঠক শেষে নয়া নাম ঘোষণা করেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। ইউপিএতে ইতি টেনে যে মহাজোটের নয়া নাম হতে চলেছে, তার ইঙ্গিত মিলেছিল তৃণমূল নেতা ডেরেক ও ব্রায়েনের একটি ট্যুইটে। সেখানে লেখা ছিল, চক দে! ইন্ডিয়া।

    জোটের হাল কার হাতে? 

    তবে নাম বদল হলেও, জোট-নাওয়ের হাল কে ধরবেন, তা এখনও ঠিক হয়নি। তাই জোটের চেয়ারপার্সন বা আহ্বায়কের নাম এখনও ঘোষণা হয়নি। ইউপিএর চেয়ারপার্সন ছিলেন সোনিয়া। এখন কাকে ওই দায়িত্ব দেওয়া হয়, তা-ই দেখার। তবে ১১ সদস্যের একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান খাড়্গে। জোটের পরবর্তী বৈঠক হবে মুম্বইয়ে। এদিকে, এদিনই সন্ধ্যায় দিল্লির অশোকা হোটেলে বৈঠকে বসেছে এনডিএ। বিজেপির নেতৃত্বাধীন এই জোটে রয়েছে শিবসেনা (শিন্ডে), ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (অজিত), আপনা দল, রিপাবলিকান পার্টি অফ ইন্ডিয়া, জনসেনা পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা, ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি, লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস)।

    এনডিএতে কারা?

    রয়েছে জননায়ক জনতা পার্টি, এআইএডিএমকে, পাত্তালি মাক্কাল কাটচি, সিকিম ক্রান্তিকারী মোর্চা, অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, রাষ্ট্রীয় লোক জনশক্তি পার্টি, তামিল ম্যানিলা কংগ্রেস, মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট, অসম গণ পরিষদ, শিরোমণি অকালি দল, ইউনাইটেড পিপলস লিবেরাল, অল ইন্ডিয়া এনআর কংগ্রেস, সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টি, নির্বাল ইন্ডিয়ান শোষিত হামারা আম দল, ইন্ডিজেনাস পিপলস ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা, মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি, নাগা পিপলস ফ্রন্ট, প্রহার জনশক্তি পার্টি, রাষ্ট্রীয় সমাজ পক্ষ, জন সুরাজ্য শক্তি, কুকি পিপলস অ্যালায়েন্স এবং ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক পার্টি। এদিনের বৈঠকে যোগ দিয়েছে হিল স্টেট পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি, হরিয়ানা লোকহিত পার্টি, ভারত ধর্ম জন সেনা, কেরল কামরাজ কংগ্রেস, পুথিয়া তামিলগম ও গোর্খা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট।

    আরও পড়ুুন: “নিজেদের কর্মীদেরও মরার জন্য ছেড়ে দিয়েছেন বাম-কংগ্রেস নেতারা”, বিস্ফোরক মোদি

    এদিকে, কংগ্রেস ছাড়াও ইন্ডিয়া জোটে (Opposition Alliance) রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, ডিএমকে, আম আদমি পার্টি, জনতা দল (ইউনাইটেড), রাষ্ট্রীয় জনতা দল, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (শরদ পাওয়ার), শিবসেনা (ইউবিটি), সমাজবাদী পার্টি, রাষ্ট্রীয় লোক দল, আপনা দল (কামেরাওয়াড়ি), জম্মু-কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিপল ডেমোক্রেটিক পার্টি, সিপিআই, সিপিএম-এল লিবারেশন, আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক, এমডিএমকে, ভিসিকে, কেএমডিকে, এমএমকে, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ, কেরল কংগ্রেস (এম) এবং কেরল কংগ্রেস (জোসেফ)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia Repoll: ‘স্বচ্ছ নির্বাচন হয়নি’, গোটা জেলায় ফের ভোট চেয়ে আদালতে বিজেপি সাংসদ

    Purulia Repoll: ‘স্বচ্ছ নির্বাচন হয়নি’, গোটা জেলায় ফের ভোট চেয়ে আদালতে বিজেপি সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘স্বচ্ছ নির্বাচন হয়নি পুরুলিয়ায়।’ এই মর্মে অভিযোগ জানিয়ে তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন পুরুলিয়ার (Purulia Repoll) বিজেপি (BJP) সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। নিরপেক্ষ তদন্তকারী কোনও সংস্থাকে তদন্তভার দেওয়ার আবেদনও জানানো হয়েছে। ২০ জুলাই ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে পারে। আইনজীবী ব্রজেশ ঝা জানান, আদালতের কাছে পুরো জেলায় নতুন করে পঞ্চায়েত নির্বাচন করার আবেদন জানানো হয়েছে। একাধিক ব্লকে আনসিলড ব্যালট বাক্স গণনা হয়েছে। কাউন্টিং হলে কারচুপি হয়েছে। তাই নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে মামলা করা হয়েছে।

    ২০ বুথে ফের ভোট

    এদিকে, হাওড়ার সাঁকরাইলের ১৫টি, উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার ৪টি এবং হুগলির সিঙ্গুরের একটি বুথে ফের নির্বাচন হবে। এই মর্মে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে জারি করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তি। কমিশন জানিয়েছে, সাঁকরাইলের মাণিকপুর ও সারেঙ্গার ১৫টি বুথে ভোট দেওয়া ব্যালট পেপার ছিনতাই করা হয়। তাই ওই বুথগুলিতে ভোট গণনার কাজ সম্পূর্ণ করা যায়নি। প্রসঙ্গত, সাঁকরাইলে বিধায়ক তৃণমূলের প্রিয়া পালের বিরুদ্ধে ব্যালট পেপার লুঠের অভিযোগ উঠেছিল।

    পুনর্নির্বাচনের দাবি

    রাজ্যের বিভিন্ন জেলার একাধিক বুথে ব্যালট বাক্স লুট, অবাধে ছাপ্পা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই বুথগুলিতে পুনর্নির্বাচনের দাবিও জানানো হয়েছে। তবে গোটা জেলায় (Purulia Repoll) পুনর্নির্বাচনের দাবি এই প্রথম। নির্বাচনের দিনই নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন জ্যোতির্ময়। পুরুলিয়ার বুথগুলিতে দেখা মেলেনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর। তিনি নিজে ভোট দেন ঝালদা থানার পুস্তি হাইস্কুলের ১০৩ নম্বর বুথে। তার পরেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায়। জোতির্ময় বলেন, “নির্বাচনের দিন থেকে ভোট গণনা, সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটাই হয়েছে লোক ঠকানো। ফলে মানুষের প্রকৃত রায় সামনে আসেনি। তাই পুনর্নির্বাচনের আবেদন।”

    আরও পড়ুুন: রামনবমীর শোভাযাত্রায় হিংসার মামলা, প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা

    কমিশন সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনে পুরুলিয়ার (Purulia Repoll) ২০টি পঞ্চায়েত সমিতির সবকটি দখল করেছে তৃণমূল। জেলা পরিষদও তাদের দখলে। ৪৫টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ৪২টি, বিজেপি ২টি। একটিতে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থী। ১৭০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ১২৩টি, বিজেপি জিতেছে ১১টিতে। এদিকে, মালদহের গাজোল গণনা কেন্দ্র থেকে উদ্ধার হল সিল করা ৩টি ব্যালট বাক্স। এই বাক্সগুলির খোঁজ না মেলায় সালাইডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের জীবনপুর গ্রামের ৮৩ নম্বর বুথে পুনর্নির্বাচন হয়েছিল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JP Nadda: এনডিএ-র বৈঠকে ৩৮টি দল! শরিকদের সঙ্গে বসার আগে হুঙ্কার নাড্ডার

    JP Nadda: এনডিএ-র বৈঠকে ৩৮টি দল! শরিকদের সঙ্গে বসার আগে হুঙ্কার নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এনডিএ (NDA meeting) শরিকদের নিয়ে  আজ, মঙ্গলবার বৈঠকে বসছে বিজেপি। শাসক না বিরোধী, কার জোর বেশি? এই পরীক্ষার সহজ হিসেব বুঝিয়ে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। ২৬টি বিরোধী দল যখন বেঙ্গালুরুতে বৈঠকে বসেছে, তখন তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, এনডিএ জোটে রয়েছে ৩৮টি দল। উন্নয়নের নিরিখে মানুষ সেই জোটকেই আরও একবার বেছে নেবেন বলে মন্তব্য করেছেন নাড্ডা (JP Nadda)।

    শরিকদের সঙ্গে বৈঠকে বিজেপি

    মঙ্গলবার শরিক দলগুলিকে নিয়ে দিল্লিতে বৈঠকে বসবে বিজেপি। আজ, এনডিএ জোট শরিকদের এই বৈঠক হবে নয়াদিল্লির অশোকা হোটেলে। তার আগে মুখোমুখি হয়ে জে পি নাড্ডা (JP Nadda) বলেন, গত ৯ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সুশাসন চলেছে দেশে। আগামী দিনেও সেটাই জারি থাকবে। তিনি উল্লেখ করেন, বিজেপির একটা অ্যাজেন্ডা আছে। যাঁরা সেই অ্যাজেন্ডা মানতে চাইবে, তারা যোগ দিতে পারে। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশ আবারও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারকেই নির্বাচিত করবে।’

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতে নারী নির্যাতন! সত্য সন্ধানে ৫ মহিলা সাংসদকে রাজ্যে পাঠাচ্ছে বিজেপি

    বিরোধীদের কটাক্ষ নাড্ডার

    বিরোধী দলগুলির বৈঠককে (NDA meeting) কটাক্ষ করে নাড্ডার দাবি, ওই বৈঠক নেহাতই ছবি তোলার জন্য করা হচ্ছে। তাঁর মতে, ওই দলগুলির না আছে কোনও নেতা, না আছে কোনও পলিসি, না তো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা। এদিন নাড্ডা বলেন, “দেশের আমজনতা বুঝে গিয়েছে, বিরোধীদের এই জোট আসলে ২০ লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি ঢাকার চেষ্টার জোট৷ এদের না আছে নীতি, না আছে আদর্শ৷ আমাদের নীতি স্পষ্ট–সব কা সাথ, সব কা বিকাশ।” সেই লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে জোট শরিকরা বিরোধীদের টেক্কা দেওয়ার পথ তৈরি করবেন। লোক জনশক্তি পার্টির রামবিলাস পাসোয়ানের ছেলে চিরাগ পাসোয়ান ইতিমধ্যেই অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে এনডিএ-তে যাগদানের কথা নিশ্চিত করেছেন।  এদিন শাহের সঙ্গে দেখা করার পরে চিরাগের এনডিএ-তে যোগদানের কথা জানিয়েছেন নাড্ডা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েতে নারী নির্যাতন! সত্য সন্ধানে ৫ মহিলা সাংসদকে রাজ্যে পাঠাচ্ছে বিজেপি

    Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েতে নারী নির্যাতন! সত্য সন্ধানে ৫ মহিলা সাংসদকে রাজ্যে পাঠাচ্ছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের পঞ্চায়েত (Panchayat Election 2023) ভোট পর্বে মহিলাদের উপরেও অত্যাচার (Violence on Women) হয়েছে। এ ব্যাপারে পাওয়া বেশ কিছু অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বাংলায় আরও একটি ‘তথ্যানুসন্ধান দল’ পাঠাতে চলেছে বিজেপি। পাঁচ মহিলা সাংসদের ওই দল রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে শুধু মহিলাদের সঙ্গেই কথা বলবেন। পঞ্চায়েত পর্বে হওয়া নানারকম হিংসার ঘটনা এবং তার জেরে হওয়া সমস্যার কথা জানতে চাইবেন তাঁরা। তার পর তাঁরা রিপোর্ট দেবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে। 

    হিংসার চিত্র পরিদর্শন করার নির্দেশ

    বিজেপি কেন্দ্রীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এই পাঁচ মহিলা সাংসদকে বাংলায় মহিলাদের (Violence on Women) উপর হওয়া হিংসার চিত্র পরিদর্শন করার নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্য পরিদর্শন করে যাওয়ার পর জেপি নাড্ডাকে রিপোর্ট জমা দেবেন তাঁরা। রাজ্যে আসছেন সাংসদ সরোজ পাণ্ডে, রমা দেবী, ওড়িশার সাংসদ অপরাজিতা সারঙি, কবিতা পাতিদার, সাংসদ সন্ধ্যারাজ।এর আগে দিল্লিতে রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয় বলেই খবর। এরপর পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিনেই চার সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠায় বিজেপি। 

    আরও পড়ুন: বিশ্বের প্রথম হোমিওপ্যাথিক মিউজিয়াম হবে কলকাতায়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সামনে ঘোষণা

    কী করবে ওই দল

    রাজ্যে যে মহিলা দল আসছে, তার মাথায় রয়েছেন সরোজ পাণ্ডে। রাজ্যসভার সাংসদ সরোজ এর আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023)  হিংসার ঘটনায় বাদ যায়নি মহিলারাও বলে দাবি বিজেপির। অনেক জায়গায় মহিলা প্রার্থীদের অশান্তির ঘটনার শিকার হতে হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন মহিলা প্রার্থীদের জন্য আসন সংরক্ষিত থাকায় অনেক জায়গাতেই মহিলা প্রার্থীদের সরাসরি শাসক দলের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে বলে দাবি বিজেপির। সেই কারণে পরিস্থিতি চাক্ষুষ করতেই মহিলা সাংসদদের রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে বলে মত রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের। সোমবার বিজেপির তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এ কথা বলা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে ওই দলটির আসার দিন ক্ষণ না জানালেও মনে করা হচ্ছে, মঙ্গলবার না হলে বুধবার ওই দল রাজ্যে আসবে। উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখবে ওই দল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh : ‘পাটনায় পিকনিকের পর, বেঙ্গালুরুতে ব্যাঙ্কয়েট হবে’, কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh : ‘পাটনায় পিকনিকের পর, বেঙ্গালুরুতে ব্যাঙ্কয়েট হবে’, কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে ফের বসছে বিরোধী জোটের বৈঠক (Opposition Party Meet)। থাকবে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিরোধী জোটের বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠক নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শ্লেষাত্মক বাক্যে তিনি বলেন, ‘ক’দিন আগে বিরোধী জোটের বৈঠক ঘিরে পাটনায় পিকনিক হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে হবে ব্যাঙ্কয়েট।’ একই সঙ্গে দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ‘ইউপিএ চাইছে পরিধি আরও বড় হোক। এনডিএ’ও তাই চাইছে। কিন্তু ইউপিএ’র বৈঠকে কারা যোগ দিচেছ? কী শক্তি আছে তাদের? পাটনায় পিকনিক হয়েছিল। এবার বেঙ্গালুরুতে ব্যাঙ্কয়েট হবে। সব দেখে মনে হচ্ছ, কংগ্রেস হয়তো এই এবারের বৈঠকে বিজয়োৎসব পালন করতে চাইছে। এটাই ওদের কাছে সান্ত্বনা।’

    লোকসভা নিয়ে আশাবাদী

    আর পাঁচটা দিনের মতোই সোমবারও নিউটাউনে ইকোপার্কে মর্নিংওয়াকে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সেখানেই তিনি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য বিজেপির সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির কথায়, ‘আগের চেয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সংগঠন অনেক মজবুত হয়েছে। তার বড় প্রমাণ এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা ৪৭ হাজার প্রার্থী দিতে পেরেছি। আগেরবার মাত্র ২১ হাজার দিতে পেরেছিলাম। এতে স্পষ্ট, রাজ্যে সংগঠন মজবুত হচেছ। বিজেপির উপর মানুষের আস্থা বাড়ছে। তাই আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনে আমরা খুব ভালো লড়াই দিতে পারব শাসক দলকে। আমার বিশ্বাস, গতবারের তুলনায় আরও এক ডজন সিট ছিনিয়ে নিতে পারব।’

    আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা, বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা আশ্রয় নিলেন অসমে

    লোকসভা নির্বাচনের আগে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে রাজ্য বিজেপি বিশেষ জোর দিচ্ছ। যাদবপুরকে আলাদা সাংগঠনিক জেলার স্বীকৃতি দিতে চলেছে গেরুয়া শিবির। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানান, ‘আগেই ঠিক হয়েছিল লোকসভা আসন ভিত্তিক সাংগঠনিক জেলা হবে। এতে সবচেয়ে বড় সুবিধা ভোটে লড়াই করার ক্ষেত্রে। তাই যাদবপুরের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদাকেও আলাদা সাংগঠনিক জেলার স্বীকৃতি দেওয়া হচেছ।’

    পুননির্বাচনে বিরোধীদের জয়

    সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে নজিরবিহীন সন্ত্রাস নিয়েও তৃণমূল সরকারকে তুলোধনা করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘আমরা যত প্রার্থী দিয়েছিলাম সেই মতো ফল হয়নি। তার বড় কারণ ভোট লুঠ। তা শুধু ভোটের দিন হয়নি, গণনাতেও হয়েছে। ইতিমধ্যেই ছ’হাজার বুথে ভোটে কারচুপির অভিযোগে মামলা করা হয়েছে হাইকোর্টে। আশা করছি, সুবিচার পাবে বিরোধীরা। কারণ, ১০ জুলাই যে ৬৯৬টি বুথে পুননির্বাচন হয়েছে, সেখানে বিরোধীরা জিতেছে ৬৫০ আসন। যা থেকে স্পষ্ট, নিয়ম মেনে ভোট পরিচালনা হলে তৃণমূল অর্ধেক আসনও জিততে পারত না।’ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nawsad Siddique: ভাঙড়ে গেলেই আটকাচ্ছে পুলিশ! হাইকোর্টের দ্বারস্থ নওশাদ সিদ্দিকি

    Nawsad Siddique: ভাঙড়ে গেলেই আটকাচ্ছে পুলিশ! হাইকোর্টের দ্বারস্থ নওশাদ সিদ্দিকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র ভাঙড়ে যেতে দেওয়া হচ্ছে না আইএসএফ (ISF MLA) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে। বিধায়কের দাবি, ১৪৪ ধারা না থাকা সত্ত্বেও তাঁকে ভাঙড়ে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এই অভিযোগ জানিয়ে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের ( Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন নওশাদ (Nawsad Siddique)। কেন পুলিশ যেতে বাধা দিচ্ছেন তাঁর মক্কেলকে এই প্রশ্নের উত্তর চেয়েছেন নওশাদের আইনজীবী। পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগও তুলেছেন তাঁরা। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। চলতি সপ্তাহেই শুনানির সম্ভাবনা।

    নওশাদকে বাধা পুলিশের

    ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল শুক্রবার। নিজেরই বিধানসভা কেন্দ্রে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে (Nawsad Siddique) বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার ভাঙড়ে (BHangar) যাওয়ার পথে নিউটাউনে আটকে দেওয়া হয় নওশাদকে। দীর্ঘ ক্ষণ গাড়িতেই বসেছিলেন তিনি। রবিবারও নওশাদকে পড়তে হয় পুলিশি বাধার মুখে। আটকানো হয় তাঁর গাড়ি। যুক্তি দেওয়া হয়, ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। ডিএসপি ক্রাইমকে (বারুইপুর)ভাঙড়ের বিধায়ক প্রশ্ন করেন, ‘‘কেন বার বার পুলিশ বাধা দিচ্ছে? ১৪৪ ধারা জারি থাকার কথা বলা হচ্ছে শুধু। আমি কি ১৪৪ ধারা বলবত রয়েছে এমন এলাকায় দাঁড়িয়ে আছি?এত গাড়ি কী করে যাচ্ছে তাহলে?’’ এরপরই আদালতে যাওয়ার কথা জানান নওশাদ।

    আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা, বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা আশ্রয় নিলেন অসমে

    রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত

    পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে বার বার সংঘর্ষ, বোমাবাজিতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ভাঙড়ে। গত মঙ্গলবার গণনার দিনও প্রাণহানি হয়েছে সেখানে। কাঁঠালিয়ায় গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছিল তিন জনের। তাঁদের মধ্যে দু’জন ছিলেন আইএসএফ কর্মী। এক জন গ্রামবাসী বলে দাবি। আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্ত চেয়েছেন। নওশাদ (Nawsad Siddique) বারবার অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে আটকানো হচ্ছে তাঁকে। তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন, “নবান্ন, হাইকোর্ট চত্বর, লালবাজার, সবজায়গাতেই ১৪৪ ধারা থাকে। সাধারণ মানুষ যেতে পারে। অথচ আমাকে আমার এলাকাতেই ঢুকতে দিচ্ছে না।” এ দিকে, আইএসএফ-এর অভিযোগ, পুলিশ নওশাদকে বাধা দিলেও ভাঙড়ে ১৪৪ ধারার মধ্যেই সভা করছে তৃণমূল। প্রায় শতাধিক কর্মী-সমর্থকদের সমাবেশ করেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bengal BJP: পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাস! ১৯ জুলাই কলকাতায় বিজেপির মহামিছিল

    Bengal BJP: পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাস! ১৯ জুলাই কলকাতায় বিজেপির মহামিছিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট পরবর্তী বাংলায় ফের মিছিলের ডাক রাজ্য বিজেপির (Bengal BJP)। রাজ্যে সন্ত্রাসের প্রতিবাদে আগামী ১৯ জুলাই কলকাতায় মহা মিছিলের ডাক দিয়েছে গেরুয়া শিবির।  চূড়ান্ত পরিকল্পনা না হলেও ঠিক হয়েছে কলেজ স্ট্রিট থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত হবে মিছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাস ও গণনায় কারচুপির অভিযোগ এই মিছিলের সামনে থাকবেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক

    পঞ্চায়েত ভোটের পর রবিবার বিজেপির (Bengal BJP) পর্যালোচনা বৈঠক ছিল। আলোচনায় বারবার ভোটের সন্ত্রাস যেমন উঠে এসেছে, উঠে এসেছে বিজেপির সামগ্রিক ফল নিয়েও কাটাছেঁড়া। এদিন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “সাংগঠনিক বৈঠক নিয়ে বাইরে আমি বলতে পারব না। এটুকু বলতে পারি এতদিন কী কাজ হয়েছে তার পর্যালোচনা, পঞ্চায়েত ভোটের পর্যালোচনা এবং তাকে পাথেয় করে আগামী লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরুকে সামনে রেখে এই বৈঠক হয়েছে।” সুকান্ত জানান, পঞ্চায়েত ভোটের জন্য বহু কর্মসূচি বিজেপি পালন করে উঠতে পারেনি। এবার তা শুরু হবে। নরেন্দ্র মোদির সরকারের ৯ বছর পূর্ণ হওয়ার নানা কর্মসূচি রয়েছে তালিকায়। এদিনের বৈঠকে বিজেপির সাংগঠনিক জেলা ৪২ থেকে ৪৫ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একইসঙ্গে মোদি সরকারের ৯ বছরের উদযাপনে ১৬ অগাস্ট ১ হাজার সভা করার সিদ্ধান্তও হয়েছে। একইসঙ্গে পঞ্চায়েতে লড়াই দিয়েছেন এমন জয়ী বিজিত সমস্ত প্রার্থীকেই দলের তরফে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। জেলায় জেলায় সেখানকার প্রার্থীদের নিয়ে সংবর্ধনা সভা আয়োজন করার নির্দেশও দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।

    আরও পড়ুন: বিপর্যস্ত যাত্রী পরিবহণ! উত্তর হাওড়া থেকে কলকাতা গামী বহু বাসরুট বন্ধ

    মিছিল নিয়ে নানা পরিকল্পনা

    আগামী শুক্রবার, ২১ জুলাই তৃণমূলের ‘শহিদ দিবস’ রয়েছে। তার আগেই শহরের রাজপথে মিছিলের ডাক দিল বিজেপি (Bengal BJP)। রবিবার বিজেপির  বৈঠকে ছিলেন সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষও। রবিবারের বৈঠকে ডাকা হয়েছিল দলের বিভিন্ন মোর্চার নেতাদেরও। সেখানেই আগামী বুধবারের কর্মসূচি ঠিক হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে হাওড়া ও শিয়ালদহে জড়ো হবেন কলকাতার আশপাশের জেলা থেকে আসা কর্মী, সমর্থকরা। সেখান থেকে মিছিল আসবে কলেজ স্ট্রিটে। কলকাতা উত্তর ও দক্ষিণের কর্মীরা সরাসরি কলেজ স্ট্রিটে চলে আসবেন। সেখান থেকেই মূল মিছিল শুরু হয়ে ধর্মতলার দিকে যাবে। সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আগামী ১৯ তারিখ আমরা কলকাতায় একটা মিছিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সন্ত্রাসের প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই এই বিরোধিতা হবে। পরে সবটাই জানিয়ে দেওয়া হবে।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share