Tag: bjp

bjp

  • Nandigram: নন্দীগ্রামে ফের গেরুয়া ঝড়, সমবায় ভোটে খাতাই খুলল না তৃণমূলের

    Nandigram: নন্দীগ্রামে ফের গেরুয়া ঝড়, সমবায় ভোটে খাতাই খুলল না তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুক নন্দীগ্রামে ফের গেরুয়া ঝড়। সমবায় ভোটে বিপুল জয়ে উড়ল গেরুয়া আবির। সমবায় সমিতি নির্বাচনে দিশেহারা কার্যত শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। শুভেন্দুর নির্বাচনী ক্ষেত্র নন্দীগ্রামে (Nandigram) খাতাই খুলতে পারল না তৃণমূল কংগ্রেস। সমবায় সমিতি নির্বাচনে প্রতীক না থাকলেও বিজেপি (BJP) সমর্থিত প্রার্থীদের কাছে হারলেন তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধানসহ প্রার্থীরা।

    ৯টি আসনেই জয়ী বিজেপি (Nandigram)

    পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম-১ (Nandigram) ব্লকের মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহম্মদপুর সমবায় সমিতি। নন্দীগ্রাম সমবায় সমিতি নির্বাচনে ৯টি আসনের মধ্যে ৯টিতেই জয়লাভ করেন বিজেপি (BJP) সমর্থিত প্রার্থীরা। বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা জয়লাভের পর উল্লাসে ফেটে পড়েন কর্মী-সমর্থকরা। ভোটের ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই গেরুয়া আবিরে জয় উদযাপন করতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহম্মদপুর সমবায় সমিতি নির্বাচন ছিল রবিবার। সমবায় সমিতি নির্বাচনে উত্তেজনা ঘিরে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। সমবায় সমিতিতে ন’টি আসনে বিজেপি প্রার্থী দেয়। পালটা শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ন’টি আসনে প্রার্থী দেয়। নির্বাচনে কোনও প্রতীক না থাকলেও বিজেপি (BJP) ও তৃণমূলের মধ্যে সমবায় সমিতি নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত টানটান উত্তেজনার মধ্যে ভোট প্রক্রিয়া শেষ হয়। বিকেলে ফলাফল বেরোনোর পর বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা ৯টি আসনের মধ্যে ৯টি আসনে জয়লাভ করেন। গ্রাম পঞ্চায়েতের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান সুপর্ণা পণ্ডা পরাজিত হন। তার পরে উল্লাসে মেতে ওঠেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম-শুনানির আগের রাতে কলকাতায় মশাল হাতে মহামিছিল জুনিয়র ডাক্তারদের

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপির (BJP) জেলা কমিটির সদস্য সুপর্ণা পড়্যা বলেন, “৯টি আসনের (Nandigram) ৯টিই বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা পেয়েছেন। আমরা মনোনয়নের দিন প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যে এখানে বিরোধী শূন্য করব। কারণ, এই মাটি আমাদের বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। এখানে দুর্নীতিবাজদের কোনও জায়গা নেই।” তৃণমূলের নন্দীগ্রাম-১ ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, “এটা তো অরাজনৈতিক নির্বাচন। এখানে তো রাজনৈতিক কোনও প্রতীক থাকে না। আর এই সমবায়ের মধ্যে যে বুথগুলি পড়ে ২০২১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত গ্রামপঞ্চায়েত সদস্যও বিজেপি (BJP)। সুতরাং এখানে বিজেপি রাজনৈতিক ভাবে কিছুটা হলেও এগিয়ে আছে তৃণমূলের থেকে। তবে এই নির্বাচনের রায় আমরা মাথা পেতে নিচ্ছি। মহম্মদপুর সমবায় সমিতি একটা ঐতিহ্যপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, তা রক্ষার দায়িত্ব মানুষ ওদের দিয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: ‘সিসিটিভি ফুটেজ নষ্ট করা হয়েছে, বদলে দেওয়া হয়েছে রক্তের নমুনা, ঘর’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    RG Kar Case: ‘সিসিটিভি ফুটেজ নষ্ট করা হয়েছে, বদলে দেওয়া হয়েছে রক্তের নমুনা, ঘর’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Case) মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় প্রথম থেকেই প্রতিবাদী হয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। তথ্য-প্রমাণ লোপাট করে তদন্তকে ভুল পথে পরিচালিত করেছে পুলিশ— এই দাবিতে পুলিশমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করে লালবাজার ও স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করেছিল বিজেপি। এবার বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বললেন, “তিলোত্তমাকে ধর্ষণ করা হয়েছে এক জায়গায়, আর তারপর দেহ সরিয়ে ফেলা হয়েছে অন্য স্থানে।” শুধু তাই নয়, রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আরও দাবি, বদলে দেওয়া হয় রক্তের নমুনা, পোশাক। নষ্ট করা হয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ।

    ‘বদলাপুরে রামনাম সত্য করে দিয়েছে পুলিশ’ (RG Kar Case)

    সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে সিবিআই-এর পেশ করা রিপোর্টে প্রধান বিচারপতি অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে তদন্তকারী সংস্থা জানায় এই হত্যাকাণ্ডে (RG Kar Case) বৃহৎ ষড়যন্ত্র রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, চিকিৎসক তরুণীর নির্মম হত্যার বিচারের দাবিতে রবিবার বিজেপির পক্ষ থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে বিরাট মিছিলের আয়োজন করা হয়। এই মিছিলে নেতৃত্ব দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বক্তব্য রাখার সময় বলেন, “উত্তরপ্রদেশে একটা ঘটনা এলে যোগীজি কী করেন দেখতে পাচ্ছেন। অসমেও এমন ঘটনার যোগ্য দৃষ্টান্ত পেয়েছি। পুকুরে চুবিয়ে চুবিয়ে জল খাইয়েছে পুলিশ। মহারাষ্ট্রে আমাদের সরকার, বদলাপুরে রামনাম সত্য করে দিয়েছে পুলিশ। আর একটা অদ্ভুত রাজ্যে আমরা বাস করি যেখানে সরকারি হাসপাতালে ডাক্তারদের সুরক্ষা নেই। টানা ৩৬ ঘণ্টা ডিউটি করার পর ডাক্তার বোনকে ধর্ষণের শিকার হতে হয়।”

    আরও পড়ুনঃ সুপ্রিম-শুনানির আগের রাতে কলকাতায় মশাল হাতে মহামিছিল জুনিয়র ডাক্তারদের

    ‘ভাবতে পারেন কোন রাজ্যে আমরা রয়েছি

    একই ভাবে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অত্যন্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “কী অদ্ভুত, ঘটনায় (RG Kar Case) অভিযুক্ত হিসেবে গ্রফতার একজন রাজ্য সরকারের নিরাপত্তারক্ষী সিভিক ভলান্টিয়ার। তার সঙ্গে জেলে রয়েছেন টালা থানার ওসি এবং প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। রক্ষকের হাতেই শিকার হচ্ছেন এই রাজ্যের মহিলারা। ভাবতে পারেন আপনারা আক্রান্ত হলে কোথায় যাবেন? থানায় নিশ্চই, অথচ থানার ওসি নিজেই মামলায় অভিযুক্ত। আরজি করের ঘটনা নজিরবিহীন, বিরল থেকে বিরলতম। সিবিআইয়ের রিপোর্ট পড়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেছেন, ‘আমরা অত্যন্ত ডিস্টার্ব’। ভাবুন রিপোর্টে কী আছে। আমি বলছি, একটা ঘরে অত্যাচার হয়েছে আর অন্যঘরে নিয়ে গিয়ে দেহ রাখা হয়েছে। জামা কাপড় বদলে দেওয়া হয়েছে। রক্তের নমুনা বদলে দেওয়া হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ভাবতে পারেন কোন রাজ্যে আমরা রয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: জুনিয়র ডাক্তারদের হুমকির ‘শাস্তি’, হুমায়ুনকে উল্টো করে ঝুলিয়ে সোজা করার নিদান শুভেন্দুর

    RG Kar Case: জুনিয়র ডাক্তারদের হুমকির ‘শাস্তি’, হুমায়ুনকে উল্টো করে ঝুলিয়ে সোজা করার নিদান শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Case) জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে বার বার হুঁশিয়ারি স্বরূপ হুমকি দিচ্ছেন ভরতপুরে তৃণমূল বিধায়ক। প্রতিবাদে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বললেন, “রাজ্যে বিজেপির সরকার গঠন হলে এই প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ককে উল্টো করে ঝুলিয়ে সোজা করা হবে।” আবার এই তৃণমূল বিধায়কের (Humayun Kabir) বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে চিঠি দিয়েছে চিকিৎসক সংগঠন আইএমএ। মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের এই তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কের বিরুদ্ধে, ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন আইএমএ-এর যুগ্ম সম্পাদক রঞ্জন ভট্টাচার্য। সোমবার অভয়া হত্যা মামলা ফের দেশের শীর্ষ আদালতে উঠতে পারে, যাতে নজর রয়েছে গোটা দেশের।

    কেবলমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই হচ্ছে

    রাজ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু, হুমায়ুনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, “এই তৃণমূল নেতা সব সময় এমন বিতর্কিত কথা বলে থাকেন। ইউসুফ পাঠানকে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের প্রার্থী করেছিলেন, তখনও বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। আসলে উনি এমনটা করেন বাজার গরম করে রাখার জন্য। প্রচারে থাকতে চান সব সময়। তাই ওঁদের নিয়ে কোনও কথা বলাই উচিত নয়। আরজি কর (RG Kar Case), সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা ঘটছে কেবলমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই। যতদিন তিনি থাকবেন পরিস্থিতির বদল হবে না।”

    মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল ঘেরাও করব (RG Kar Case)

    কর্তব্যরত মহিলা ডাক্তারকে (RG Kar Case) ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় গত ৫০ দিনের বেশি সময় ধরে, জুনিয়র ডাক্তার থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামজিক সংগঠন, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক, গবেষক, অভিনেতা-অভিনেত্রী সহ সমাজের সকল স্তরের মানুষ প্রতিবাদে রাজপথে নেমেছেন। মেয়েরা রাত দখলে নেমেছেন। সুবিচারের দাবিতে এই আন্দোলন ছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতার পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে। এই গণআন্দোলনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেছেন, “আমরা আইন তৈরি করি। কোনটা আইনসঙ্গত এবং কোনটা বেআইনি, সবটাই ভালো করে জানি। কারও জন্য যদি জেলে যেতে হয়, তাহলে জামিন পেয়ে ৫০ হাজার লোক নিয়ে জমায়েত করব। অপরাধ না করে যদি শাস্তি পাই, তবে ফিরে এসে অপরাধ করতে কুণ্ঠাবোধ করব না। সংখ্যায় যদি বিচার করেন, তা হলে দেখতে পাবেন, ওঁরা সারা রাজ্যে মাত্র সাড়ে সাত হাজার। সব চিকিৎসক মিলিয়ে সর্ব মোট মাত্র চুরানব্বই হাজার। আমরা তিন কোটি তৃণমূল কর্মী। মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল ঘেরাও করব। তাতে আমার যা হওয়ার হোক।”

    আরও পড়ুনঃ মগের মুলুক! ঘাটাল সেচ দফতরের এসডিও-র অফিস রাতারাতি দখল করে নিল পুলিশ!

    আইন নিজেদের হাতে নিতে উস্কানি দিচ্ছেন

    এরপর তৃণমূল বিধায়কের (Humayun Kabir) এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে চিকিৎসক সংগঠনের পক্ষ থেকে রঞ্জন বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, আরজি কর (RG Kar Case) মামলায় ১৬, ১৭ এবং ১৮ নম্বর অনুচ্ছেদে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার এবং ভয়মুক্ত পরিবেশের কথা বলেছেন। কিন্তু শাসক দলের নেতা-মন্ত্রী-বিধায়করা বার বার হুমকি দিচ্ছেন। আইন নিজেদের হাতে নিতে উস্কানি দিচ্ছেন। ডাক্তারদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আদালতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ghatal: মগের মুলুক! ঘাটাল সেচ দফতরের এসডিও-র অফিস রাতারাতি দখল করে নিল পুলিশ!

    Ghatal: মগের মুলুক! ঘাটাল সেচ দফতরের এসডিও-র অফিস রাতারাতি দখল করে নিল পুলিশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বানভাসি পশ্চিম মেদিনীপুরে (Ghatal) অবাক কাণ্ড। ঘাটাল সেচ দফতরের এসডিও-র অফিস জোর করে দখল নিয়েছে পুলিশ। এসডিও’র নেমপ্লেট খুলে রাতারাতি লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ঘাটাল থানার ওসি-র নাম। বন্যার সময় উদ্বাস্তু হয়ে গেলেন খোদ সেচ দফতরের অফিসার-কর্মীরাই। বন্যা কবলিত মানুষের পাশে না থেকে তৃণমূল প্রশাসনের এই আচরণকে সামজিক মাধ্যমে তুলে ধরে বিস্ফোরক রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু পুলিশ কেন এমন করল? কোনও ষড়যন্ত্র নেই তো? এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জুড়ে।

    কী বললেন বিজেপি নেতা (Ghatal)?

    তৃণমূল প্রশাসনের বিরুদ্ধে কটাক্ষ হেনে বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় সামজিক মাধ্যমে  বলেন, “রাজ্যে মগের মুলুক চলছে। ঘাটাল (Ghatal) মাস্টার প্ল্যানের যাবতীয় নথিপত্রও পুলিশ দখল নিয়ে নিয়েছে। বোঝো কাণ্ড। বেচারা সেচ দফতরের কর্তারা এখন নিরুপায় হয়ে দফতরের উচ্চ আধিকারিকদের কাছে অভিযোগ করে বিহিত চেয়েছেন। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কোনও নথি যে আর সেচ দফতরের কাছে নেই, তাও জানিয়ে দিয়েছেন সেচ দফতরের কর্তারা। একেই বলে শাসকের আইন। পুলিশ মানে রাজ্য আর রাজ্য মানে পুলিশ। দেখুন আপনারা সেচ দফতরের ঠোঁট ফুলিয়ে কাঁদার চিঠিটি নীচে দিলাম।”

    আরও পড়ুনঃ মমতা ব্যস্ত উৎসবে, পুজোর মুখে সবজির আগুন বাজারে পুড়ছে আমজনতা!

    তৃণমূল কি বাস্তবে মাস্টার প্ল্যান চায়?

    রাজ্যে নিম্নচাপের কারণে অতিবর্ষণ এবং ডিভিসির জল ছাড়ার কারণে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বার বার ডিভিসিকে কাঠগড়ায় তুললেও রাজ্যকে না জানিয়ে যে জল ছাড়া হয়নি, সেকথা কেন্দ্রীয় সেচ দফতর থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। এদিকে ভোটের আগে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ঘাটাল মহকুমাকে বন্যামুক্ত করতে মাস্টার প্ল্যানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও বাস্তবে তা করতে দেখা যায়নি। পরপর তিন বারের তৃণমূল সাংসদ দেব এবারের বন্যা কবলিত এলাকায় গিয়ে ফের একবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, “আমাকে আরও ৫ বছর সময় দিলে মাস্টার প্ল্যান হবে।” এখানেই সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, রাজ্যে মমতার শাসন প্রায় ১৩ বছর ধরে চলছে, তারপরও কেন বন্যা নিয়ন্ত্রণের কোনও পদক্ষেপ নেয়নি সরকার? বিরোধী দল বিজেপির দাবি, তৃণমূল বার বার পশ্চিম মেদিনীপুরের মানুষের সঙ্গে প্রবঞ্চনা করছে। তৃণমূল সরকারের কোনও ইচ্ছে নেই। এদিকে শাসকের উদাসীন মনোভাবের সামালোচনা করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মমতা সরকার দুর্গতদের পাশে নেই, কেবল ছবি তোলাতে ব্যস্ত। আমারা ঘটাল (Ghatal) মাস্টার প্ল্যান নিয়ে কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানাবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siddaramaiah: সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের সিবিআই-এর! মুখ পুড়ল কংগ্রেসের 

    Siddaramaiah: সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের সিবিআই-এর! মুখ পুড়ল কংগ্রেসের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটকে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি (Muda project) মামলায় এফআইআর দায়ের করল সিবিআই। রাজ্যের হাইকোর্ট, মামলার তদন্তভার মাত্র একদিন আগে দিয়েছিল সিবিআই-কে। আর তার দায়িত্ব হাতে নিয়েই সিদ্দারামাইয়ার (Siddaramaiah) বিরুদ্ধে অ্যাকশন মুডে নেমে পড়ল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চরম বিপাকে ওই রাজ্যের শাসক দল কংগ্রেস। যদিও পদত্যগ করবেন না বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।  

    ১৪টি প্রকল্পের সুবিধা অবৈধ ভাবে পাইয়ে দিয়েছেন(Siddaramaiah)

    মহিশূর আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা মুডা ((Muda project)) প্রকল্পের বরাদ্দ মামলায় কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে একাধিক বার আগেই আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। মামলার তদন্ত আটকাতে এই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু বিচারপতি মামলায় তদন্ত একান্ত প্রয়োজন বলে মন্তব্য করে আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah) স্ত্রী পার্বতীকে মোট ৫৬ কোটি টাকা মূল্যের ১৪টি প্রকল্পের সুবিধা অবৈধ ভাবে পাইয়ে দিয়েছেন। সমাজকর্মী স্নেহাময়ী কৃষ্ণ একটি আরটিআই করে প্রথমে দুর্নীতির বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। এরপর কোর্ট নির্বাচিত সাংসদ এবং বিধায়কদের আর্থিক দুর্নীতি বিষয়ে কড়া অবস্থান নেয়। গত ২৪ সেপ্টেম্বর কর্নাটক হাইকোর্ট সিদ্দারামাইয়া সম্পর্কে তদন্তের অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে রাজ্যপাল থাওয়ারচাঁদ গেহলটের সিদ্ধান্তকেই বহাল রেখেছিল। এরপর রাজনৈতিক ক্ষেত্রে শোরগোল পড়ে যায়।

    আমি পদত্যাগ করব না!

    রাজ্যের হাইকোর্টের বিচারপতি এম নাগপ্রসন্ন ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, “রাজ্যপাল সাধারণত সংবিধানের ১৬৩ অনুচ্ছেদের অধীনে মন্ত্রিপরিষদের পরামর্শে কাজ করেন। তবে রাজ্যপাল ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন।” অপর দিকে এফআইআর দায়ের হওয়া সত্ত্বেও, মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah) বলেছেন, “আমি পদত্যাগ করব না। আমি নির্দোষ। মামলাটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি কোনও অন্যায় করিনি। এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।”

    বিজেপির আক্রমণ কংগ্রেসকে

    রাজ্যের কংগ্রেস সরকারকে তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি। দলের জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “কংগ্রেস মুডা মামলায় (Muda project) তদন্ত এড়াতে চেষ্টা করছে। শাসনের নামে স্বজন পোষণ করেছেন। দুর্নীতিগ্রস্ত কংগ্রেস সরকারের এটাই হল আসল চরিত্র। অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীর (Siddaramaiah) পদত্যাগ করা উচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Tram: তুলে দেওয়া হচ্ছে কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ট্রাম! ডিপোর জমিতে প্রোমোটিংয়ে নজর তৃণমূলের?

    Kolkata Tram: তুলে দেওয়া হচ্ছে কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ট্রাম! ডিপোর জমিতে প্রোমোটিংয়ে নজর তৃণমূলের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৮৭৩ সালে শহর কলকাতার (Kolkata) বুকে ঘোড়ার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল ট্রামের (Kolkata Tram) পথ চলা। দেড়শো বছর পরে তা বন্ধ হচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী ট্রাম চলাচকে ধরে রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ বর্তমান মমতা-সরকার। আগামীদিনে ইতিহাসের পাতায় একমাত্র দেখা মিলবে শহর কলকাতার (Kolkata) এই ঐতিহ্যবাহী ট্রামের। বিশ্বের যে বড় বড় শহরে এখনও রমমরিয়ে চলে ট্রাম সেগুলি হল— লিয়ঁ- ফ্রান্স, ভিয়েনা- অস্ট্রিয়া, জুরিখ- সুইৎজারল্যান্ড, লিসবন- পর্তুগাল, বুদাপেস্ট- হাঙ্গেরি, প্রাগ- চেকিয়া, মেলবোর্ন- অস্ট্রেলিয়া। এরসঙ্গে ছিল কলকাতা। তবে তৃণমূল জমানায় তা উঠে যাচ্ছে। তবে কেন এই ট্রাম (Kolkata Tram) বন্ধ করা হচ্ছে, তার কোনও স্পষ্ট জবাব অবশ্য রাজ্য সরকার দিতে পারেনি। সবই ভাসাভাসা বিবৃতি দিচ্ছেন শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা। 

    আদালতে চলছে জোড়া মামলা

    সম্প্রতি ট্রাম নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলায় রাজ্য পরিবহণ দফতরের মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, গতির সঙ্গে তাল রাখতে গিয়ে শহরে একটি মাত্র রুট ছাড়া আর কোথাও ট্রাম চালানো হবে না। তাঁর যুক্তি, সবার ট্রামের প্রতি আবেগ থাকলেও রাস্তাকে যানজট মুক্ত করতেই শহরের বুকে আর ট্রাম চালানো যাবে না। ট্রাম গবেষক ও ট্রাম-প্রেমী ডক্টর দেবাশীষ ভট্টাচার্য জানান, বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টে ট্রাম নিয়ে দুটি মামলা চলছে। একটিতে, আদালতের তরফে বলা হয়েছিল যে, যতদিন পর্যন্ত এই মামলার শুনানি চলবে, ততদিন ট্রামের কোনও লাইনের উপরে পিচ ঢালা যাবে না ৷ কিন্তু, সম্প্রতি দেখা গিয়েছে কালিঘাট থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত পিচ ঢেলে ট্রাম লাইন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যা আদালত অবমাননার সামিল। 

    বিজেপি নেতার ট্যুইট

    ট্রাম (Kolkata Tram) বন্ধ হওয়ার পরে ডিপোর কাঠা-কাঠা জমির ভবিষ্যৎ কী হবে? এনিয়েও কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন।  বিরোধীদের কটাক্ষ, শহরের ইতিহাসকে নষ্ট করতে উঠেপড়ে লেগেছে মমতা-সরকার। ট্রাম তুলে দিয়ে ফাঁকা ডিপোর জমিতে জমিয়ে প্রোমোটিংই লক্ষ্য এখন শাসক দলের। কারণ, এর আগেও ট্রামের জমিতে রসগোল্লা হাব এবং জামাকাপড়ের হাব হওয়ার কথা শোনা গিয়েছিল। গেরুয়া শিবিরের নেতা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তেওয়ারি এ নিয়েই এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেছেন এবং সেখানে লিখছেন, ‘‘ট্রাম ডিপোর জমিগুলি কাকে দেওয়া হবে সেটা ঠিক করে নিয়েছে তো তৃণমূল? একটা অজুহাত দেওয়া হবে জানি যে জনগণের স্বার্থে ডিপোর জায়গাগুলি কোনও না কোনও সংস্থাকে দেওয়া হবে। ঠিক যেমন সিইএসসি-কে দেওয়া হয়েছিল কোয়েস্ট মলের জায়গায়। গোয়েঙ্কাদের ব্যবসায়ী স্বার্থ চরিতার্থ হয় কিন্তু জনগণের কোন স্বার্থে লেগেছে সেটা আজও বুঝতে পারলাম না।’’

    রাজ্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ক্যালকাটা ট্রাম ইউজার্স অ্যাসোসিয়েশনের

    ট্রামকে তুলে দেওয়ার এই গুপ্ত সরকারি প্রয়াসের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন অনেকে। তাঁদের অভিযোগ, একের পর এক ট্রাম কোম্পানির জমি নয় বিক্রি হচ্ছে, না হলে বিভিন্ন হাব তৈরি করতে অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। কোথায় ব্রিজের ক্ষতি হওয়ার দোহাই দিয়ে উপড়ে ফেলা হচ্ছে ট্রামের ট্র্যাক। কখনও আবার অজুহাত দেওয়া হচ্ছে এই বলে যে, ট্রাম যানজটের সৃষ্টি করে বলে বন্ধ করা হয়েছে এর পরিষেবা। ক্ষোভ দেখা গিয়েছে ট্রাম ইউজার্স অ্যাসোসিয়েশনের থেকেও। ক্যালকাটা ট্রাম ইউজার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সাগ্নিক গুপ্ত বলেন, ‘‘ট্রাম বন্ধ হয়ে যেতে পারে খবরটা ছড়িয়ে পড়ার পরেই সাধারণ মানুষ এমনকি যাঁরা কলকাতায় (Kolkata) থাকেন না, তাঁরাও অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং তাঁরা তাঁদের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। সবাই কলকাতা পুলিশ এবং কলকাতা কর্পোরেশনকেই দায়ী করছেন। যেমন, দুর্গাপুজো বা হাওড়া ব্রিজ- শহর কলকাতার একটা সিগনেচার, তেমনই ট্রামও (Kolkata Tram) কলকাতার সিগনেচার। আজ বিশ্বের সাড়ে চারশোটা শহরে রমরম করে ট্রাম চলছে। তারা তো অনেক উন্নত দেশ৷ তাহলে নিশ্চই পরিবহণ মাধ্যম হিসেবে ট্রামের উপকারিতা রয়েছে বলেই তারা চালাচ্ছে। অথচ কলকাতায় ট্রাম (Kolkata Tram) যা একটি পরিবেশ বান্ধব যান এবং এত কম খরচে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাত্রীদের পৌঁছে (Kolkata) দিচ্ছে, এর উপকারিতাগুলি কেন চোখে পড়ছে না রাজ্য পরিবহণ দফতরের?’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • JP Nadda: ‘‘ছদ্ম-মাওবাদীদের মুখপাত্র হয়ে উঠেছে কংগ্রেস, ফেরাতে চায় ৩৭০ ধারা’’, তোপ নাড্ডার

    JP Nadda: ‘‘ছদ্ম-মাওবাদীদের মুখপাত্র হয়ে উঠেছে কংগ্রেস, ফেরাতে চায় ৩৭০ ধারা’’, তোপ নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছদ্ম-মাওবাদীদের মুখপাত্রের মতো কাজ করছে কংগ্রেস (Congress)। গতকাল বৃহস্পতিবার ঠিক এই ভাষাতেই শতাব্দী-প্রাচীন দলটিকে আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। প্রসঙ্গত, গতকালই জেপি নাড্ডা হাজির ছিলেন ওড়িশায় এবং সেখানেই তিনি কংগ্রেস এবং ন্যাশনাল কনফারেন্সকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানান। তিনি বলেন, ‘‘তারা (কংগ্রেস) আবার ৩৭০ ধারাকে নতুন করে ফিরিয়ে আনার দাবি তুলছে। তার মানে তারা বলতে চাইছে, দেশে দুটি সংবিধান থাকা উচিত।’’

    ৩৭০ ধারা বিলোপের দাবিতে আন্দোলন শুরু ১৯৫২-৫৩ সালে, সফল হয়েছে  ২০১৯ সালে

    প্রসঙ্গত, জেপি নাড্ডা (JP Nadda) তাঁর ভাষণে বলেন, ‘‘কংগ্রেস (Congress) ছদ্ম-মাওবাদীদের মুখপাত্র হয়ে গিয়েছে। তাদের মধ্যে জাতীয়তাবাদের বিন্দুমাত্র অস্তিত্ব নেই। তারা সেই সমস্ত দলের সঙ্গে জোট করছে, যারা জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারাকে ফিরিয়ে আনতে চায়। কিন্তু আপনারা বিজেপির দিকে তাকিয়ে দেখুন। বিজেপিই হল একমাত্র জাতীয়তাবাদী দল। ১৯৫২ সালে নির্বাচনে ভারতীয় জনসঙ্ঘ বলেছিল যে দেশে দুটি সংবিধান থাকা উচিত নয় এবং ঠিক এই কারণে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় নিজের জীবন পর্যন্ত উৎসর্গ করেছিলেন। ৩৭০ ধারা বিলোপের দাবিতে আমরা আন্দোলন শুরু করেছিলাম ১৯৫২-৫৩ সালে,  তা সফল হয়েছে  ২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদির সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণেই।’’ 

    বিজেপি হল একমাত্র দল যারা গণতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদের কথা বলে

    তিনি (JP Nadda) আরও বলেন, ‘‘শুধুমাত্র ৩৭০ ধারার কারণেই ভারতের অজস্র আইন জম্মু-কাশ্মীরে প্রযোজ্য হত না। সেখানকার তপশিলি জাতি এবং বাল্মিকী সম্প্রদায় সংরক্ষণও পেত না। পাকিস্তান থেকে আসা উদ্বাস্তু মনমোহন সিং দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পেরেছেন। পাকিস্তানের করাচি থেকে আসা উদ্বাস্তু লালকৃষ্ণ আডবাণী দেশের উপ-প্রধানমন্ত্রী হতে পেরেছেন। কিন্তু পাকিস্তান থেকে আসা কোনও উদ্বাস্তু জম্মু-কাশ্মীরে এতদিন ভোট পর্যন্ত দিতে পারতেন না। এই প্রথমবার, তাঁরা জীবনে প্রথম ভোটদান করছেন।’’ তিনি (JP Nadda) আরও বলেন, ‘‘দেশে সর্বমোট ৫ হাজারেরও বেশি রাজনৈতিক দল রয়েছে, যার মধ্যে ৫০টি সক্রিয় রাজনৈতিক দল। কিন্তু বিজেপি হল একমাত্র দল যারা গণতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদের কথা বলে এবং আদর্শবাদী দল।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “বিজেপিকে ভয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস”, হাজরায় বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “বিজেপিকে ভয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস”, হাজরায় বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিজেপিকে (BJP) ভয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।” বুধবার বিকেলে এমনই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন বিজেপির তরফে ‘কালীঘাট চলো’ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেই উপলক্ষেই হাজরায় ছিল সভা। সেই সভায়ই তৃণমূলকে আক্রমণ শানান শুভেন্দু। বলেন, “আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় বিজেপি যেভাবে আন্দোলন সংগঠিত করেছে, তা দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল নেতৃত্ব আতঙ্কিত”।

    বিজেপির দাবি (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দু বলেন, “দফা এক, দাবি এক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ। এই দাবিকে সামনে রেখেই আমাদের আন্দোলন। এই আন্দোলনকেই ভয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।” তিনি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস ভয় পেয়েছে বলেই তারা জানে বিজেপিকে আটকাতে হবে। কারণ ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর ভোট পরবর্তী হিংসায় ক্ষতবিক্ষত হয়েছে বিজেপি। মগরাহাটের প্রার্থী মানস শ-সহ আমাদের ৫৭ জন কর্মী আত্মবলিদান দিয়েছেন। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমাদের ৩৭ জন কর্মী আত্মবলিদান দিয়েছেন।”

    দিকে দিকে কর্মীদের আত্মবলিদান

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক (Suvendu Adhikari) বলেন, “লোকসভা নির্বাচনের পর আমাদের পাঁচজন কর্মী আত্মবলিদান দিয়েছেন। ভারতীয় জনতা পার্টির হাজার হাজার কর্মী ঘরছাড়া হয়েছেন। রাজ্যের বাইরে গিয়ে তাঁদের আশ্রয় নিতে হয়েছে। তার পরেও আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জুনিয়র চিকিসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে যেভাবে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি ও সাংসদ জগন্নাথ সরকার, রাজ্য সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য সম্পাদিকা লকেট চট্টোপাধ্যায় ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী সামনে থেকে দাঁড়িয়ে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তা দেখে চমকে গিয়েছে তৃণমূল।” তিনি বলেন, “বিজেপিকে ওরা ভয় পেয়েছে বলেই লাগাতার আক্রমণ করে চলেছে। কিন্তু আমরা সমস্ত আক্রমণের মোকাবিলা করে লড়াই চালিয়ে যাব।”

    আরও পড়ুন: জল ছাড়া নিয়ে ‘অসত্য’ বলছেন মুখ্যমন্ত্রী, ফাঁস করে দিল কেন্দ্র

    প্রসঙ্গত, পুলিশের কাছে আগেই এই সভার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় অনুমতির আবেদন জানানো হলেও, কলকাতা পুলিশ সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি। শেষমেশ আদালতের দ্বারস্থ হয় পদ্মশিবির। শর্ত সাপেক্ষে হাজরা মোড়ে সভা করার অনুমতি দেয় আদালত (Suvendu Adhikari)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NRC: “বিজেপি ক্ষমতায় এলেই ঝাড়খণ্ডে এনআরসি হবে”, বললেন শিবরাজ সিং চৌহান

    NRC: “বিজেপি ক্ষমতায় এলেই ঝাড়খণ্ডে এনআরসি হবে”, বললেন শিবরাজ সিং চৌহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিজেপি ক্ষমতায় এলেই ঝাড়খণ্ডে এনআরসি (NRC) চালু হবে।” ভোটমুখী ঝাড়খণ্ডে বিজেপি আয়োজিত এক নির্বাচনী জনসভায় এ কথাই বললেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj singh Chouhan)। বিজেপি ক্ষমতায় এলে ঝাড়খণ্ডে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশও বন্ধ করা হবে। শিবরাজ বলেন, “বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা এ দেশে এসে আধার কার্ড ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নানা নথি তৈরি করে ফেলছেন। ভোটারকার্ডও তৈরি হচ্ছে। সেসব রুখতেই রাজ্যে এনআরসি চালু করবে বিজেপি।”

    বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস (NRC)

    বিজেপির অভিযোগ, ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা, পাকুড়, দেওঘর, জামতাড়া, সাহেবগঞ্জের মতো জেলায় বাড়ছে অনুপ্রবেশ। যার ফলে বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস। ঝাড়খণ্ড যখন বিহার থেকে আলাদা হল তখন এর জনসংখ্যার ৩৬ শতাংশ ছিল আদিবাসী। এখন সেটা কমে গিয়ে হয়েছে ২৪ শতাংশ। সেই কারণেই অনুপ্রবেশ রোখা দরকার। আর তা করতে গিয়েই এনআরসি চালু করতে চায় বিজেপি।

    এনআরসি চালুর দাবি

    ব্যাপক অনুপ্রবেশের কারণেই বাংলা, বিহার ও ঝাড়খণ্ডের জনবিন্যাস বদলে যাচ্ছে দ্রুত। তাই এই তিন রাজ্যেই এনআরসি চালু করতে চায় বিজেপি। বছরখানেক আগে সেই দাবি তুলেছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবেও। এই তিন রাজ্যের সরকারই এনআরসির ঘোরতর বিরোধী। তবে ঝাড়খণ্ডে বিজেপি এনআরসিকে হাতিয়ার করেই নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চাইছে বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

    জানা গিয়েছে, সীমান্ত পেরিয়ে (NRC) পশ্চিমবঙ্গে ঢুকছে বাংলাদেশিরা। পরে জাল নথিপত্র বানিয়ে ঢুকে পড়ছে পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডে। স্থানীয় মহিলাদের বিয়ে করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগও উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। বিয়ে করে কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে আদিবাসীদের জমি। যা বস্তুত অবৈধ। অনুপ্রবেশকারীদের এহেন বাড়বাড়ন্তে শঙ্কিত বিজেপি। আদিবাসীদের জমি যাতে কোনওভাবেই বেহাত হয়ে না যায়, তাই অনুপ্রবেশ বন্ধে জোর দিয়েছে বিজেপি। নির্বাচনী প্রচারে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ এবং এনআরসিকেই হাতিয়ার করেছে পদ্মশিবির। ১২ সেপ্টেম্বর ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে দাখিল করা একটি হলফনামায়ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বলেছে, কেন্দ্র ঝাড়খণ্ডের নানা অংশে অবৈধ অভিবাসন নিয়ে উদ্বিগ্ন।

    আরও পড়ুন: মার্কিন মুলুকেই বৈঠকে জয়শঙ্কর-তৌহিদ, হাসিনাকে নিয়ে কী আলোচনা হল?

    এদিকে, সোমবার নির্বাচন কমিশনের প্রধান রাজীব কুমারের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা রাঁচি ঘুরে গিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে বৈঠকও করেছে রাজ্য বিজেপি। সাফ জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যের নির্বাচনে যেন (Shivraj singh Chouhan) অনুপ্রবেশকারীরা কোনওভাবেই অংশ নিতে না পারে (NRC)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP Kalighat Chalo: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আজ ‘কালীঘাট চলো’ অভিযান বিজেপির

    BJP Kalighat Chalo: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আজ ‘কালীঘাট চলো’ অভিযান বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বিজেপিকে কর্মসূচি করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High court)। আজ বুধবার বিজেপির ‘কালীঘাট চলো’ অভিযান রয়েছে। সভায় পুলিশের অনুমতি না মেলায় গেরুয়া শিবির দ্বারস্থ হয়েছিল উচ্চ আদালতের। হাইকোর্ট বিজেপিকে হাজরা মোড়ে সভা করার অনুমতি দিয়েছে। বিচারপতি ভরদ্বাজ নির্দেশ দিয়েছেন, বুধবার দুপুর থেকে ওই কর্মসূচি করতে পারবে রাজ্য বিজেপি। হাইকোর্টের নির্দেশ মতো, দুপুর ২টো থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কর্মসূচি করতে পারবে রাজ্য বিজেপি। তবে ২০০-৩০০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না বলে জানিয়েছে উচ্চ আদালত (Calcutta High court)। আদালতের আরও নির্দেশ, পর্যাপ্ত নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে হবে পুলিশকে।

    আরজি কর কাণ্ডে লাগাতার আন্দোলনে বিজেপি (BJP)

    গত ৯ অগাস্ট মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্য বিজেপি (BJP) লাগাতার স্বাস্থ্য ভবন অভিযান, লালবাজার অভিযান, জেলা শাসকের দফতর অভিযান, ব্লক অফিস ঘেরাও, থানা ঘেরাও-সহ একাধিক বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানে পুলিশের দমন-পীড়নের প্রতিবাদে ঠিক পরের দিনই ২৮ অগাস্ট রাজ্য়জুড়ে বনধের ডাক দেয় বিজেপি। সারা রাজ্যে বনধের ব্যাপক প্রভাবও পড়ে। আরজি কর কাণ্ডের দেড় মাস পরেও এতটুকু আন্দোলনের ঝাঁঝ কমেনি গেরুয়া শিবিরের। ঠিক এই আবহে ফের একবার আজ বুধবার কালীঘাট চলো অভিযান হতে চলেছে।

    ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত একাধিক কর্মসূচি 

    প্রসঙ্গত, গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকেই ফের একবার লাগাতার কর্মসূচি শুরু করেছে বিজেপি। ১৮ সেপ্টেম্বর পথসভা শুরু হয়েছে বিজেপির। চলবে ১ অক্টোবর পর্যন্ত। প্রতিটি ওয়ার্ডে পথসভা করবেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। পঞ্চায়েত এলাকায় দু’ থেকে তিনটি করে পথসভা করবে বিজেপি (BJP)। এক কোটি সই সংগ্রহ করে তা বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে সাংসদ ও বিধায়করা তুলে দেবেন রাজ্যপালের হাতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share