Tag: bjp

bjp

  • Suvendu Adhikari: ‘‘১২, ১৪, ২১… খেয়াল রাখুন, দেখুন কী হয়’’, নিশানায় রাজ্য! কীসের ইঙ্গিত শুভেন্দুর?

    Suvendu Adhikari: ‘‘১২, ১৪, ২১… খেয়াল রাখুন, দেখুন কী হয়’’, নিশানায় রাজ্য! কীসের ইঙ্গিত শুভেন্দুর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহুদিন ধরেই ডিসেম্বর ডেড লাইনের কথা শোনা যাচ্ছে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের মধ্যে।  এরই মাঝে এবার ডিসেম্বরের তিনটি তারিখের উল্লেখ করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বার্তা, ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’। বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজাম প্যালেসে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “১২, ১৪, ২১… খেয়াল রাখুন। দেখুন কী হয়। এই তিনটে দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওয়েট এন্ড ওয়াচ।” যদিও এর থেকে বেশি কিছুই আর বলতে চাননি তিনি। তবে শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্য ঘিরে নতুন করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা। 

    কী হতে পারে এই তিন দিন

    ১২ ডিসেম্বর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডি দিল্লিতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে করা আবেদনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার শুনানির কথা। ওই দিনই আবার হাজরায় সভা করবেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। ১৪ ডিসেম্বর দিল্লি হাইকোর্টে অনুব্রত (মণ্ডল) মামলার শুনানি আছে। ২১ ডিসেম্বর আবার কাথিঁতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা করে যাওয়ার মাঠে সভা করার কথা শুভেন্দুর। ওই তিন দিন রাজ্য রাজনীতিতে কী ঘটনা ঘটে সেই দিকে তাকিয়ে রাজ্যবাসী।

    আরও পড়ুন: হাজরা ও কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীকে সভা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহেই নয়াদিল্লি যেতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসার সম্ভাবনা তাঁর। সব ঠিক থাকলে ১৩ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে অমিত শাহের মুখোমুখি বৈঠকে বসতে পারেন শুভেন্দু। এই সফরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত, এদিনই কলকাতা হাইকোর্টে বড়সড় স্বস্তি পেয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে করা সব FIR-এর উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশে আপাতত হাইকোর্টে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশ। তবে CBI তদন্ত করবে কি না পরে সিদ্ধান্ত জানাবে হাইকোর্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Calcutta High Court: ফের মুখ পুড়ল রাজ্যের! এবার কলকাতা হাইকোর্টে খারিজ এমবিবিএসের মেধা তালিকা

    Calcutta High Court: ফের মুখ পুড়ল রাজ্যের! এবার কলকাতা হাইকোর্টে খারিজ এমবিবিএসের মেধা তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মুখ পুড়ল রাজ্যের! এবার এমবিবিএসের (MBBS) মেধা তালিকা (Merit List) খারিজের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। চলতি বছর যে মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, সেই তালিকাই বাতিল করে ফের নয়া তালিকা প্রকাশের নির্দেশ আদালতের। দুঃস্থ শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের নির্দেশ ছিল। সেই নির্দেশ কার্যকর হয়নি। সেই কারণেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় সোমবার এই  মেধা তালিকা খারিজের নির্দেশ দেন। এক সপ্তাহের মধ্যে নয়া তালিকা প্রকাশের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

    মামলার কারণ…

    মামলাকারী তিস্তা দাস নিট পাশ করেছিলেন। মেধাতালিকায় তাঁর নামও ছিল। তিস্তার তরফে তাঁর আইনজীবী দাবি করেন, মেধা তালিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে সংরক্ষণের নিয়ম মানা হয়নি। তাই তাঁর মক্কেল যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও অনেক দূরের মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন। তাঁর দাবি, সংরক্ষণের নিয়ম মানা হয়নি বলেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ৩ হাজার ৪১৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ১০ শতাংশ দুঃস্থদের জন্য সংরক্ষিত হওয়ার কথা। কিন্তু করা হয়েছে মাত্র ২৩৪ জনকে। শতাংশের হিসেবে মাত্র ৬। তিস্তার আইনজীবী আদালতে (Calcutta High Court) জানান, সংরক্ষণের এই নিয়ম না মানায় তাঁর মক্কেল যোগ্য হয়েও অনেক দূরের কলেজে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে সওয়াল জবাব শেষ এদিন বিচারপতি ওই তালিকাই খারিজ করে দেন।

    আরও পড়ুন: ফের ধাক্কা রাজ্যের, ঝালদায় প্রশাসক বসানোর নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

    রাজ্যসভার সাংসদ তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেন বলেন, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে বিতর্কিত কিছু বলব না। তবে একথা বলতে পারি, যখন আমরা পড়াশোনা করেছি, তখন হাতেগোণা কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজ, কয়েকটি মাত্র এমবিবিএসের আসন ছিল। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত ১১ বছরে যে পরিমাণ মেডিক্যাল কলেজ তৈরি করেছেন, তা দৃষ্টান্ত। প্রায় সাড়ে চার হাজার এমবিবিএস ডাক্তারি আসনও তৈরি করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের ছাত্রছাত্রীরা চিকিৎসার জগতে যাওয়া বা মেডিক্যাল নিয়ে পড়াশোনা করার অনেক সুযোগ পেয়েছেন। সুতরাং আদালতের (Calcutta High Court) সেই বিষয়টি দেখা উচিত। তিনি বলেন, কারণ একটা নির্দেশের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। কিছুদিন আগেই বালুরঘাটের সাংসদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ট্যুইটারে নিটের ফল নিয়ে সরব হয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, শান্তনু সেনের মেয়ে সৌমিলি নিট পাশ না করেই মেডিক্যাল পড়ছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Nisith Pramanik: “তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়বে তৃণমূল সরকার”, বললেন নিশীথ প্রামাণিক

    Nisith Pramanik: “তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়বে তৃণমূল সরকার”, বললেন নিশীথ প্রামাণিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়বে তৃণমূল কংগ্রেস। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিস্ফোরক দাবি করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)। তিনি দাবি করেছেন ৪০-৪৫ জন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক যোগাযোগ রাখছেন বিজেপির সঙ্গে। রবিবার নাটাবাড়িতে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছেন তিনি (Nisith Pramanik)।

    বিগত কয়েকমাস থেকেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ আরও অনেকেই তৃণমূল সরকারের পতনের কথা উল্লেখ করেছেন। বারবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, ডিসেম্বরেই ধামাকা হতে চলেছে। আর এবারে নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) বক্তব্যেও একই কথা শোনা গেল।

    আরও পড়ুন: মিথ্যা মামলা! হাইকোর্টে স্বস্তি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের

    নাটাবাড়িতে দলীয় সভায় আর কী বললেন নিশীথ?

    রবিবার নাটাবাড়িতে দলীয় সভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করেন তিনি (Nisith Pramanik)। তিনি বলেন, “আমি দায়িত্ব নিয়ে বলে যাচ্ছি, সারা রাজ্যের যা অবস্থা, এবং তৃণমূল কংগ্রেসের যা অবস্থা, তৃণমূল কংগ্রেসের বহু বিধায়ক, নেতা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তাসের ঘরের মত তৃণমূল কংগ্রেস দাঁড়িয়ে রয়েছে। যে কোনও সময় ওই তাসের ঘরটা ভেঙে যাবে।”

    তিনি (Nisith Pramanik) আরও বলেছেন, “তৃণমূলের ৪০-৪৫ জন বিধায়ক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তৃণমূলের জেলা সভাপতি পদ এখন মিউজিকাল চেয়ার হয়ে গিয়েছে। কার কাছে থাকবে সেটা নিয়ে দলের কর্মীরাই চিন্তায় রয়েছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচন আসতেই তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল চরমে উঠেছে। এই অবস্থায় যারা তৃণমূলের হয়ে টিকিট পাবেন না বলে বিজেপিতে চলে আসবে ভাবছেন, তারা পঞ্চায়েতে টিকিট পাবেন ভেবে থাকলে ভুল করছেন।”  ফলে নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) এই বিস্ফোরক দাবি ফের শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

    আরও পড়ুন: এসএসসি-তে ২১ হাজার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯ হাজার ওএমআর শিটে বিকৃতি! আদালতে দাবি সিটের

    গতকালের সভায় নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik) ছাড়াও এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি রথীন্দ্রনাথ বোস, মাথাভাঙ্গার বিধায়ক সুশীল বর্মন, রাজ্য বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চা সভাপতি আলি হোসেন, তুফানগঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক মালতি রাভা-রায় সহ বিজেপি নেতৃত্ব। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • Sukanta Majumdar: “যখন খেলা হবে, তা ভয়ঙ্কর হবে’, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “যখন খেলা হবে, তা ভয়ঙ্কর হবে’, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খেলা হলে এক পক্ষের হবে না। আর যখন খেলা হবে, তা ভয়ঙ্কর হবে। শুক্রবার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে (TMC) এই ভাষায়ই হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন ব্যারাকপুরের চিড়িয়া মোড়ে দলীয় সভার আয়োজন করে বিজেপি। এই সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন সুকান্তই। শাসক দলের পাশাপাশি এদিন পুলিশকেও হুঁশিয়ারি দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকেও।

    খেলা হবে…

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘খেলা হবে’ শব্দবন্ধের ব্যাপক প্রয়োগ করে তৃণমূল। দলের তরফে এনিয়ে গানও শোনানো হয় বিভিন্ন জনসভায়। তারস্বরে বাজানো সেই গানের চোটে ঘুম উড়ে যায় রাজ্যবাসীর। তৃণমূলের সেই অস্ত্রকেই এবার হাতিয়ার করলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। এদিনের সভায় তৃণমূলকে নিশানা করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, আপনারা এক পক্ষকে মারছেন। ভাবছেন বিজেপি কর্মীদের হাত-পা নেই। ঝান্ডার গায়ে ডান্ডা নেই। এটা ভাবলে ভুল করছেন। এর পরেই তিনি বলেন, খেলা হলে এক পক্ষের হবে না। দু পক্ষেরই হবে। আর যখন খেলা হবে, তা ভয়ঙ্কর হবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, আমরা তো ডাকছি, আপনারা দিল্লিতে আসুন। হাডুডু খেলি! কিন্তু কেউ যেতে চাইছে না। ভাইপো বলছে যাব না। পিসিও বলছে যাব না। সুকান্ত বলেন, কিন্তু কেন যাবে না, সেটাই তো বুঝতে পারছি না।

    আরও পড়ুন: বিজেপি ক্ষমতায় এলে শিল্পের জোয়ার আসবে রাজ্যে! আশ্বাস মহাগুরুর

    এদিনের সভায় অনুব্রত অনুষঙ্গও টানেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, এক সময় চড়াম চড়াম, গুড় বাতাসা খাওয়ানোর কথা বলত, সেই কেষ্টও দিল্লি যেতে চাইছে না। দিল্লিতে গেলে ভাল গুড় বাতাসা, লাড্ডু খাওয়াব। তা সত্ত্বেও দিল্লির লাড্ডু খেতে চাইছে না। এর পরেই সুকান্ত বলেন, তাই সাবধান করছি!গণতন্ত্রকে গণতন্ত্রের মতো চলতে দিন। বিজেপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তার মানে এই নয় যে বিজেপি দুর্বল। সুকান্ত বলেন, তৃণমূল নেতাদের ঠান্ডা করতে জানে বিজেপি কর্মীরা। তার ওষুধও রয়েছে বিজেপির কাছে।

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ডিসেম্বর মাস পড়ে গেছে। সরকার কাঁপছে। যত বড়ই চোর হোক, পার পাবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রয়েছেন, ততক্ষণ কোনও চোর চুরি করে পার পাবে না। সে যত বড় পদেই থাকুক না কেন। পুলিশের উদ্দেশে সুকান্ত বলেন, শাসক দলের তাঁবেদারি করা ছাড়ুন। আগামিদিনে লোকসভায় বিল আসবে। পুলিশের সংবিধান বিরোধী কাজ করা বন্ধ হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sukanta Majumdar: প্রথম সাক্ষাৎ রাজ্যপাল-বিজেপির রাজ্য সভাপতির, শাসকদলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: প্রথম সাক্ষাৎ রাজ্যপাল-বিজেপির রাজ্য সভাপতির, শাসকদলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বরেই হবে তৃণমূল সরকারের পতন, এমন হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল রাজ্য বিজেপির তরফে। প্রথমে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং পরে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) গলাতেও সেই সুর শোনা গিয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবারই শুরু হচ্ছে সেই ডিসেম্বর। আর এদিকে আজই রাজভবনে নতুন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ করতে গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) । আর সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে, প্রথমদিনেই তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ নালিশ নিয়ে হাজির হন। এমনকি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগে ভরা মোট ৬৩ পাতার নথিও রাজ্যপালের কাছে জমা দিলেন সুকান্ত মজুমদার।

    রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ৬৩ পাতার নথি পেশ রাজ্যপালের কাছে

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, এদিন রাজ্যের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, কৃষি, শিল্পের অবস্থা থেকে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, এককথায় রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক অভিযোগ রাজ্যপালের কাছে তুলে ধরেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) । তিনি এদিন রাজভবন থেকে বেরিয়ে এসে সংবাদমাধ্যমে বলেন, “রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি রাজ্যপালকে জানানো দরকার। রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা ধীরে ধীরে আইসিইউতে চলে যাচ্ছে। সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতে পারছে না, রাজ্যে যে সমস্ত সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল রয়েছে সেগুলিতে যা যা সুবিধা পাওয়া উচিত সেগুলি মিলছে না। কৃষি, শিল্প বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কৃষি পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কিষাণ যোজনা সহজে চালু করতে দেয়নি। শিল্পকেও ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এই সমস্ত কিছু জানিয়ে আমরা ৬৩ পাতার নথি রাজ্যপালের কাছে জমা দিয়েছি।”

    আরও পড়ুন: ‘‘রামে বিশ্বাস নেই, কিন্তু আমাকে গালি দিতে রাবণকে টানে’’, কংগ্রেসকে নিশানা মোদির

    তিনি আরও জানিয়েছেন, আগের রাজ্যপাল থাকাকালীন মমতার সরকার কী কী করেছে, সে বিষয়েও জানানো হয়েছে রাজ্যপালকে। আবার সি ভি আনন্দ বোসের মন্তব্যকে উল্লেখ করে এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, “রাজ্যপাল বলেছেন, বাংলা সিংহের মত গর্জন করবে। আমি রাজ্যপালের সঙ্গে সহমত। কিন্তু এই সরকার যেভাবে চলছে এটা চলতে থাকলে সেটা হবে না।”

    ফলে প্রথমদিন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেই একাধিক অভিযোগ করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাই এরপর রাজ্যপালের কী পদক্ষেপ হতে চলেছে, সেদিকে তাকিয়েই রাজ্যবাসী। তবে এর ফলে শাসকদলের অস্বস্তি বাড়ল বলেই মনে করেছে রাজনৈতিক মহল।

  • PM Modi: ‘ভূপেন্দ্র যাতে রেকর্ড ভাঙতে পারে, তাই কঠোর পরিশ্রম করেছিল নরেন্দ্র’, বললেন মোদি

    PM Modi: ‘ভূপেন্দ্র যাতে রেকর্ড ভাঙতে পারে, তাই কঠোর পরিশ্রম করেছিল নরেন্দ্র’, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমি বলেছিলাম ভূপেন্দ্রই নরেন্দ্রর রেকর্ড ভাঙবেন। আর তার জন্য নরেন্দ্র মন-প্রাণ দিয়ে নিরন্তর পরিশ্রম করবে। আজ বলতে পারি, ভূপেন্দ্র নরেন্দ্রর রেকর্ড ভাঙতে পেরেছে। কথাগুলি যিনি বললেন তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বৃহস্পতিবার দিল্লির দলীয় কার্যালয়ে গুজরাট নির্বাচনে (Gujarat Assembly Elections) বিজেপির (BJP) বিপুল জয় সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

    রেকর্ড জয়…

    অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে এবার ফের গুজরাটের ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি। গেরুয়া ঝড়ে খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছেন বিরোধীরা। মোদি-অমিত শাহের রাজ্যে পঞ্চাশ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়েছে পদ্ম শিবির। এ রাজ্যের বিধানসভার আসন সংখ্যা ১৮২। তার মধ্যে ১৫৬টিতেই জয়ী হয়েছেন পদ্ম প্রার্থীরা। যা রেকর্ড। গুজরাটে দলের এই ফলের কৃতিত্ব যাঁকে দিয়েছে বিজেপি, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্বরাজ্যে টানা প্রচার করে গিয়েছেন তিনি। যার ফলও ফলেছে হাতেনাতে। মোদিময় হয়ে উঠেছে গুজরাট। গুজরাটে দলের জয়ে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। তাই স্বীকার করে নিলেন নিজের পরিশ্রমের কথাও।

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, গুজরাটে নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময়ই আমি বলেছিলাম নরেন্দ্র মোদির ২০০২ সালের রেকর্ড ভাঙতে হবে। আমি বলেছিলাম, ভূপেন্দ্রই নরেন্দ্রর রেকর্ড ভাঙবে। আর তার জন্য নরেন্দ্র মন-প্রাণ দিয়ে নিরন্তর পরিশ্রম করবে। আজ বলতে পারি, ভূপেন্দ্র নরেন্দ্রর রেকর্ড ভাঙতে পেরেছে। গুজরাটে বিজেপির এই বিপুল সাফল্যের জন্য জনগণকেও ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আপনারা আমাদের (বিজেপি) ওপরে যে বিশ্বাস ও ভরসা রেখেছেন, তাতে আমি আপ্লুত।

    আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক জয়ের পর গুজরাটের ‘জনশক্তি’-কে প্রণাম প্রধানমন্ত্রীর, ট্যুইটে কী লিখলেন মোদি?

    গুজরাটের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন মোদি। বলেন, আজ, ভূপেন্দ্র ভাই প্যাটেল নিজের আসনে দু লক্ষেরও বেশি ভোটে জয়ী হয়েছে। চমৎকার ফল এটা। একটি বিধানসভা আসনে দু লক্ষের বেশি ভোটে জয়ী হওয়া অনেক বড় বিষয়। তিনি (PM Modi) বলেন, অনেক লোকসভা কেন্দ্রেও এত ব্যবধানে জয় পান না প্রার্থীরা। এদিন বিরোধীদেরও একহাত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আপ এবং কংগ্রেসকে নিশানা করে তিনি বলেন, আজকের রাজনৈতিক দলগুলি মানুষের মধ্যে বিভাজন করে। কিন্তু একটা বিষয় হল, আমাদের মাতৃভূমিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, একমাত্র বিজেপিই মাতৃভূমির স্বার্থে কাজ করে। তাই আজ ভারতের সিংহভাগ মানুষের প্রথম পছন্দ বিজেপিই।

     

     

     

  • Gujarat Election: ‘যারা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, গুজরাটবাসী তাদের প্রত্যাখ্যান করেছেন’, শাহি নিশানায় কে?  

    Gujarat Election: ‘যারা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, গুজরাটবাসী তাদের প্রত্যাখ্যান করেছেন’, শাহি নিশানায় কে?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যারা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তাদের প্রত্যাখ্যান করেছেন গুজরাটের মানুষ। বৃহস্পতিবারের বারবেলায় এই ভাষায়ই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টিকে (AAP) আক্রমণ শানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি (BJP) নেতা অমিত শাহ (Amit Shah)। গুজরাট বিধানসভার (Gujarat Election) মোট আসন সংখ্যা ১৮২টি। তার মধ্যে সে রাজ্যের শাসক দল বিজেপি পেয়েছে ১৫০টিরও বেশি আসন। গেরুয়া ঝড়ে খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছে আপ, কংগ্রেস (Congress)। 

    গুজরাট জয় যে…

    বিজেপির গুজরাট জয় যে স্রেফ সময়ের অপেক্ষা এদিন বেলা গড়াতেই বুঝে যান পদ্ম নেতারা। পরে এনিয়ে ট্যুইট করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গুজরাটবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে পরপর ট্যুইট করেন তিনি। ট্যুইটারে শাহ লিখেছেন, নরেন্দ্র মোদিজির বিজেপি গুজরাট অভূতপূর্ব জনাদেশ পেয়েছে। যা উন্নয়ন ও জনকল্যাণের মাধ্যমেই পেয়েছে। আর যারা তুষ্টির রাজনীতি করে তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। অন্য একটি ট্যুইটে শাহ লিখেছেন, এই বিপুল জয় থেকে স্পষ্ট যে, মহিলা, যুব, কৃষক সহ সকলের মনে রয়েছে বিজেপি। গুজরাট সব সময় ইতিহাস তৈরি করে। গত দু দশক ধরে মোদিজির নেতৃত্বে বিজেপি গুজরাটে উন্নয়নের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। গুজরাটের মানুষ বিজেপিকে আশীর্বাদ করেছে এবং জয়ের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এটা নরেন্দ্র মোদির উন্নয়ন মডেলের উপর বিশ্বাসের জয়।

    আরও পড়ুন: আজ শাহের দরবারে সুকান্ত! জানেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা রাজ্য বিজেপি সভাপতির?

    প্রসঙ্গত, গুজরাট বিধানসভার নির্বাচন (Gujarat Election) হয় ডিসেম্বরে, দু দফায়। ফল প্রকাশ হয় বৃহস্পতিবার। এদিন সকালে গণনার শুরু থেকেই এগিয়ে যেতে থাকে বিজেপি। দ্বিতীয় রাউন্ড ভোট গণনার শুরুতেই ১৫০রও বেশি আসন চলে যায় গেরুয়া ঝুলিতে। এদিন বিকেল পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা যায়, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কংগ্রেস। আর মাত্র ৫টি আসন পেয়ছে কেজরিওয়ালের দল।

    বিজেপির জয়ের খবরে খুশির হাওয়া পদ্ম শিবিরে। গুজরাটে প্রতিষ্ঠান বিরোধী নয়, প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক ভোট হয়েছে বলে মনে করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেন, গুজরাটে প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক ভোট হয়েছে। আমরা গুজরাটে নয়া রেকর্ড সৃষ্টি করেছি। রাজ্যবাসীর প্রচুর বিশ্বাস রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর। তাই এই ফল।  

    প্রসঙ্গত, এবার ত্রিমুখী লড়াই হয়েছে গুজরাটে (Gujarat Election)। বিজেপি এবং কংগ্রেস ছাড়াও লড়াইয়ের ময়দানে হাজির ছিল আপ। বুধেই দিল্লি পুরভোটে জয় পেয়েছে আপ। বৃহস্পতিবার তারাই গুজরাটে উড়ে গিয়েছে গেরুয়া ঝড়ে। তাই আপকেই নিশানা করেন শাহ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Election Results 2022: কার দখলে গুজরাট, হিমাচল? আজ দুই রাজ্যে ভোট গণনা

    Election Results 2022: কার দখলে গুজরাট, হিমাচল? আজ দুই রাজ্যে ভোট গণনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাট এবং হিমাচল প্রদেশের ভোটের ফল প্রকাশিত হচ্ছে আজ। নিয়ম মেনে সকাল ৮টাতেই শুরু হয়ে গিয়েছে গণনা প্রক্রিয়া। মোদি-শাহের রাজ্যের পাশাপাশি হিমাচলে কার দখলে থাকে সেটা স্পষ্ট হয়ে যাবে আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই। প্রায় সব বুথ ফেরত সমীক্ষার পূর্বাভাস, ফের গুজরাটে ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে বিজেপি। রেকর্ড সংখ্যক আসনও পেতে পারে তারা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্যে ঝড়ের গতিতেই এগোচ্ছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই ১১৮টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। অনেক পিছনে কংগ্রেস (৪২)। জিতলে টানা সপ্তম বার গুজরাটে সরকার গঠন করবে পদ্ম ব্রিগেড ৷ গুজরাটের বিরামগাম কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হার্দিক প্যাটেল পিছিয়ে। গান্ধীনগর দক্ষিণ কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী অল্পেশ ঠাকুর এগিয়ে রয়েছেন। ঘাটলোদিয়া কেন্দ্রে এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। বদগামে পিছিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী তথা দলিত নেতা জিগনেশ মেবানি। এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী। 

    দুই রাজ্যের পাশাপাশি, পাঁচ রাজ্যে ৬টি আসনে বিধানসভা উপনির্বাচন ও হাইপ্রোফাইল মৈনপুরী লোকসভা আসনের গণনাও হচ্ছে আজ। মৈনপুরী আসনে লড়াই হতে চলেছে সমাজবাদী পার্টি ও বিজেপির মধ্যে৷ উত্তরপ্রদেশের মৈনপুরী লোকসভা কেন্দ্রে ভাগ্য নির্ধারিত হবে সমাজবাদী পার্টির প্রধান তথা সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের স্ত্রী ডিম্পলের। উত্তরপ্রদেশের রামপুর ও খতোলি, ওড়িশার পদমপুর, রাজস্থানের সরদারশহর, বিহারের কুরনি ও ছত্তীসগড়ের ভানুপ্রতাপপুর বিধানসভা আসনের ফলাফল ঘোষণা হবে আজই।

    গুজরাটে বিজেপি কি করতে পারবে সাতে সাত?

    গুজরাটের দু’দফায় বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণা হচ্ছে বৃহস্পতিবার। ১৮২ আসনের গুজরাট বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে দরকার ৯২টি আসন। এ বারের গুজরাট বিধানসভা ভোটে বিজেপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টি। অর্থাৎ, এ বার প্রধানমন্ত্রী মোদির রাজ্যে বিধানসভা ভোটের লড়াই ত্রিমুখী হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই ৯২-এর থেকে অনেক বেশি আসনে এগিয়ে বিজেপি। ধরেই নেওয়া যায় সাতে সাত বাঁধা।

    ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে গুজরাটে  ৯৯টি আসন নিয়ে টানা পঞ্চম বারের জন্য ক্ষমতায় আসে গেরুয়া শিবির। তবে গত চার বারের সঙ্গে তুলনা করলে ওটাই ছিল বিজেপির সবচেয়ে কম আসন। এবার বিধানসভা ভোটে জিতলে এ নিয়ে টানা সাত বার গুজরাট শাসনের দায়িত্ব পাবে মোদি-শাহের বিজেপি। 

    বিভিন্ন বুথফেরত সমীক্ষায় ভবিষ্যদ্‌বাণী করা হয়েছে এবার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করবে বিজেপি। এবিপি-সি ভোটার সমীক্ষায় বলা হয়েছে বিজেপি ১২৮-১৪০টি আসন পেতে পারে। ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়ার সমীক্ষা অনুযায়ী বিজেপি পেতে পারে ১৩১-১৫১টি আসন। টুডে’জ চাণক্যর বুথফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, এ বার বিজেপির আসন সংখ্যা হতে পারে ১৫০টি। উল্লেখ্য, বুথফেরত সমীক্ষার ফল সব সময় যে মেলে, তা নয়। কিন্তু এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি থাকায়, এই ধরনের সমীক্ষাকে অস্বীকার করাও যায় না।

    আরও পড়ুন: আজ শাহের দরবারে সুকান্ত! জানেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা রাজ্য বিজেপি সভাপতির?

    হিমাচলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত

    এবার যে হিমাচল প্রদেশে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে, তা ইঙ্গিত মিলেছে বুথফেরত সমীক্ষায়। ওই সব সমীক্ষা থেকে আভাস মিলেছে, সামান্য ভোট সুইংয়েই নির্ধারিত হতে পারে হিমাচলের ভাগ্য। 

    টাইমস নাও-ইটিজি বুথফেরত সমীক্ষা: হিমাচল প্রদেশে ৩৪ থেকে ৪২ টি আসনে জিততে পারবে বিজেপি। কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ২৪ থেকে ৩২ টি আসন। আপের ঝুলিতে কোনও আসন যাবে না। 

    রিপাবলিক-পি মার্কের বুথফেরত সমীক্ষা: হিমাচল প্রদেশে বিজেপি ৩৪-৩৯ টি আসনে জিততে পারে। কংগ্রেস জিততে পারে ২৮-৩৩ আসন। আম আদমি পার্টির (আপ) ঝুলিতে যেতে পারে সর্বাধিক একটি আসন। নির্দলরা একটি থেকে চারটি আসনে জিততে পারে।

    এবিপি নিউজ-সি ভোটারের বুথফেরত সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, বিজেপি পেতে পারে ৩৩-৪১টি আসন, কংগ্রেস পেতে পারে ২৪-৩২টি আসন, অন্যান্যরা পেতে পারে ০-৪টি আসন। এখানেও আপকে একটি আসনও দেওয়া হয়নি।

    ইন্ডিয়া টু’ডে-অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়া বুথফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, হিমাচল প্রদেশে ৩০ থেকে ৪০ টি আসন কংগ্রেস ঝুলিতে যেতে পারে। ২৪ থেকে ৩৪ টি আসনে জিততে পারে বিজেপি। আম আদমি পার্টি (আপ) খাতা খুলতেই পারবে না। চার থেকে আটটি আসনে জিতবে নির্দল।

    নিউজ২৪-টুডে’জ চাণক্যের বুথফেরত সমীক্ষা: কোনও দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। ৩৩ টি আসনে জিততে পারে বিজেপি। ৩৩ টি আসনে জিততে পারে কংগ্রেস। নির্দলদের ঝুলিতে যেতে দুটি আসন। অর্থাৎ কিং মেকার হতে পারে নির্দলরা।

  • Delhi Civic Polls: চলছে দিল্লি পুরসভার ভোট, বিজেপি-কংগ্রেস-আপ, শেষ হাসি হাসবে কে?

    Delhi Civic Polls: চলছে দিল্লি পুরসভার ভোট, বিজেপি-কংগ্রেস-আপ, শেষ হাসি হাসবে কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে (Delhi) পুরসভাগুলির সংযুক্তিকরণের পর প্রথম বড় নির্বাচন (Delhi Civic Polls)। আজ, রবিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ পর্ব। মোট আসন ২৫০টি। লড়াই হচ্ছে ত্রিমুখী। বিজেপি (BJP), কংগ্রেস (Congress) এবং আপের (AAP)। ভোট গণনা হবে ৭ ডিসেম্বর। ২৫০টি ওয়ার্ডের প্রায় দেড় কোটি মানুষ অংশ নিচ্ছেন ভোটদানে। ভোট গ্রহণ পর্ব শুরু হয়েছে সকাল আটটায়। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বন্ধ করে দেওয়া হবে বুথের গেট। জনতা যাতে আরও বেশি করে ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে, সেজন্য এদিন অন্যান্য রবিবারের তুলনায় দু ঘণ্টা আগেই চালু হয়ে গিয়েছে মেট্রো পরিষেবা। ২৫০টি আসনে লড়াই করছেন ১৩০০-র বেশি প্রার্থী। প্রসঙ্গত, দিল্লিতে রাজ্য সরকার আম আদমি পার্টির। আর কেন্দ্রে রয়েছে বিজেপি। স্বাভাবিকভাবেই এ ভোটের দিকে নজর রয়েছে আম দিল্লিবাসীর।

    বিজেপি…

    গত আট বছরেরও বেশি সময় কেন্দ্রে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। তবে গত ২৪ বছরে তারা সরকার গড়তে পারেনি। ২০১৫ সালের নির্বাচনে ৭০টি আসনের মধ্যে ৬৭টি আসন পায় আম আদমি পার্টি। তার দু বছর পরে পুরসভা নির্বাচনে (Delhi Civic Polls) ২৭২টি আসনের মধ্যে বিজেপির হাতে যায় ১৮১টি আসনের রশি। দ্বিতীয় হয় আপ। তাদের দখলে যায় ৪৮টি আসন। আর মাত্র ৩০টি আসন নিয়েই সন্তুষ্ট হতে হয় কংগ্রেসকে।

    প্রচারে এক ইঞ্চিও জমি কেউ কাউকে ছাড়েনি আপ কিংবা বিজেপি। বস্তি এলাকায় পুনর্বাসনে ফ্ল্যাটের চাবি হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রচার নামেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। কোমর কষে প্রচার করে আপও। মোদির ডাবল ইঞ্জিন সরকারের মোকাবিলায় আপ কেজরিওয়ালের সরকারকে হাতিয়ার করেছে। প্রচারে বিজেপি আবাসনের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি মণীশ সিসোদিয়া সহ আপের মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করে প্রচার চালিয়ে গিয়েছে। প্রচারে বেরিয়ে আপকে নিশানা করেছে কংগ্রেসও।

    আরও পড়ুন: গুজরাটে ভোটদানের হার কম, ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি?

    এদিকে, এদিন ভোট (Delhi Civic Polls) দিতে গিয়ে দিল্লি কংগ্রেস সভাপতি অনিল চৌধুরী দেখেন, ভোটার তালিকায় নাম নেই তাঁর। তাই ভোট না দিয়েই ফিরতে হয় তাঁকে। যদিও ভোট দিয়েছেন তাঁর স্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Abhishek Banerjee: ‘শান্তিকুঞ্জে’র অদূরে অভিষেকের সভা, কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনী

    Abhishek Banerjee: ‘শান্তিকুঞ্জে’র অদূরে অভিষেকের সভা, কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনীতির রণাঙ্গনে হাইভোল্টেজ শনিবার! এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে সভা করবেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এই কাঁথি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) খাসতালুক। আবার এদিনই অভিষেকের সাংসদ এলাকা ডায়মন্ড হারবারে জনসভা করবেন শুভেন্দু। এদিন কাঁথিতে অভিষেক যে সভা করবেন, সেই সভাস্থল থেকে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি ‘শান্তিকুঞ্জ’ একশো মিটার দূরে।

    কলকাতা হাইকোর্ট…

    অভিষেকের সভা ঘিরে শান্তিকুঞ্জে যাতে অশান্তির আঁচ না লাগে সে ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার কে. অমরনাথ জানান, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই শনিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা চলাকালীন কাঁথির শান্তিকুঞ্জে জোরদার নিরাপত্তা বজায় থাকবে। অভিষেকের সভা হবে কাঁথির প্রভাত কুমার কলেজ মাঠে। সভার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে শুক্রবার ওই মাঠে আসেন পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, হাইকোর্টের গাইডলাইন অনুযায়ী সুরক্ষার পাশাপাশি শান্তিকুঞ্জের শব্দবিধির বিষয়টিও নজরে রাখা হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যুব নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে অভিষেক কী বার্তা দেন, তা জানতেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।

    আরও পড়ুন: অভিষেকের সভার আগে কাঁথিতে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণ, হত ৩

    শান্তিকুঞ্জের অদূরে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) সভা নিয়ে দিন দুই আগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। তাঁর বক্তব্য ছিল, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে শান্তিকুঞ্জ থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে সভা করছে তৃণমূল। এই শান্তিকুঞ্জেই বাস করেন শুভেন্দুর অশীতিপর বাবা-মা। সভাস্থল থেকে মহিলারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে শান্তিকুঞ্জে ঢুকে পড়তে পারেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এর পরেই আদালত নির্দেশ দেয়, শনিবার সভা চলাকালীন কেউ যেন শান্তিকুঞ্জে ঢুকে পড়তে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে। শিশির অধিকারীর অনুমতি ছাড়া বাইরের কেউ যেন বাড়িতে ঢুকে না পড়ে, তাও দেখতে বলা হয়েছে পুলিশকে। শব্দবিধি মেনে যাতে সভা হয়, সেই দিকটিও নজরে রাখতে বলা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সভামঞ্চে প্রবেশের ক্ষেত্রে থাকছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার বেষ্টনী। প্রথম স্তরে থাকবে রাজ্য পুলিশ। তার পর থাকবে ডিআইবি। শেষ স্তরে থাকবেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। এছাড়াও থাকছেন সাদা পোশাকের পুলিশ কর্মীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share