Tag: bjp

bjp

  • Palanquin ritual: পালকি-প্রথায় ইতি, ক্ষোভের আঁচ তামিলনাড়ুতে

    Palanquin ritual: পালকি-প্রথায় ইতি, ক্ষোভের আঁচ তামিলনাড়ুতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ধর্মীয় আচারে লাগল রাজনীতির রং!

    মঠাধীশকে পালকিতে বসিয়ে এলাকা পরিভ্রমণ করেন ভক্তরা। যুগ যুগ ধরে চলে আসা এই প্রথায় ইতি টানল একটি সরকারি নির্দেশিকা। যার জেরে তপ্ত হয়েছে তামিলনাডুর রাজনৈতিক আবহ। শাসক দলের সঙ্গে তুমুল অশান্তি বিরোধী দলগুলির।

    ফি বছর মঠাধ্যক্ষকে পালকিতে বসিয়ে এলাকা পরিভ্রমণ করেন ভক্তরা। তামিলনাড়ুতে এই প্রথা পত্তিনম প্রবেশম নামে খ্যাত। প্রতি বছর মাইলাদুথুরাই জেলায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ধর্মপূরম অধিনাম নামের একটি মঠ কর্তৃপক্ষ। শৈবদের অন্যতম প্রধান তীর্থক্ষেত্র এটি। চলতি বছরে এই ধর্মীয় আচার পালনেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। অশান্তির সূত্রপাত তা নিয়েই।

    ২২ মে এই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। প্রথা অনুযায়ী, মঠাধ্যক্ষকে রূপোর সিংহাসনে বসিয়ে নগর পরিভ্রমণ করা হয়। প্রশাসনের যুক্ত, ধর্মপূরম মঠের এই প্রথা মানবিক মূল্যবোধের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তাই শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলে আসা এই প্রথা চলতে দেওয়া যায় না। প্রথা পালন করতে গিয়ে হতে পারে আইন-শৃঙ্খলার অবনতিও। সেটাও প্রথা রদের একটা কারণ বলে দাবি স্থানীয় প্রশাসনের।

    প্রশাসনের এই নিষেধাজ্ঞায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এম কে স্ট্যালিন সরকারের বিরুদ্ধে বিধানসভায়ই সরব হয়েছে বিরোধীরা। যার জেরে রাজ্যের মন্ত্রী পি কে সেকর বাবু বলেন, মঠাধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন মুখ্যমন্ত্রী। এতেও অবশ্য প্রশমিত হয়নি বিরোধীদের ক্ষোভ।

    ডিএমকে সরকারের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে আন্নামালাই। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা না হলে তিনি নিজেই মঠাধ্যক্ষের পালকি বহন করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

    প্রশাসনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ধর্মপূরম মঠের পাশে দাঁড়িয়েছে মাদুরাই অধিনাম নামের একটি মঠ কর্তৃপক্ষও। এই মঠের মঠাধীশ বলেন, প্রাচীন এই মঠের ধর্মীয় প্রথাকে সম্মান জানানো উচিত। এর বিরোধিতা করা ঠিক হবে না। চলতি বছরেও যাতে অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে পালিত হয়, সেজন্য মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি।  

     

  • Congress: সোনিয়া, রাহুলকে সমন ইডি-র! ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

    Congress: সোনিয়া, রাহুলকে সমন ইডি-র! ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার কংগ্রেসের অন্তর্বতীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) এবং রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) নোটিস পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। বেআইনিভাবে অর্থ লেনদেনে (money laundering case) জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁদের নোটিস পাঠানো হয়েছে। বুধবার কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী সংস্থার তরফেই এ খবর জানানো হয়েছে।

    ইডি-র (ED) তরফে জানানো হয়েছে, ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald) মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাহুলকে ২ জুন আর সোনিয়াকে ৮ জুন ইডি-র দফতরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দলের দুই হেভিওয়েট নেতাকে যে ডেকে পাঠানো হয়েছে, তা স্বীকারও করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি বলেন, সোনিয়া গান্ধীকে ৮ জুন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে ইডি। তবে তাঁরা যে এতে ভয় পাচ্ছেন না, তা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন হাত শিবিরের নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা। তিনি বলেন, আমরা এই নোটিসে ভয় পাই না। মাথা নতও করব না।

    আরও পড়ুন : রাজনৈতিক ছাড়পত্র ছাড়াই লন্ডন গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী?

    আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি বলেন, এটি বেআইনি অর্থ লেনদেন মামলার এক অদ্ভুত নোটিস, যার সঙ্গে কোনও আর্থিক লেনদেন জড়িত নেই। এটি পুরোপুরি প্রতিহিংসার রাজনীতি। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এর মোকাবিলা করব। সিংভি বলেন, সোনিয়া, রাহুল তদন্তে সহযোগিতা করবেন। রাহুল আপাতত বিদেশে রয়েছেন। ফিরে এলে তিনি তদন্তকারীদের মুখোমুখি হবেন। অন্যথায় ইডির কাছে আরও সময় চাওয়া হবে।

    তদন্তে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি এদিন প্রধানমন্ত্রীকে একহাত নেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। রণদীপ বলেন, পুরো ষড়যন্ত্রের পিছনে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পোষা সংস্থা ইডি। মোদি (Modi) সরকার প্রতিশোধের জন্য অন্ধ হয়ে গিয়েছে। ইডির নোটিসকে নয়া কাপুরুষোচিত কাজ বলে তোপ দাগেন তিনি। রণদীপ জানান, ন্যাশনাল হেরাল্ড ১৯৪২ সালের একটি সংবাদপত্র। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার তা দমনের কাজ করেছিল। এখন মোদি সরকার ইডিকে হাতিয়ার করে এসব করছে।

    আরও পড়ুন : “আলবিদা কংগ্রেস”, ফেসবুক লাইভ করে সোনিয়া-সঙ্গ ছাড়লেন সুনীল জাখর

    জওহরলাল নেহরু প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ বিজেপি (BJP) তুলেছিল মনমোহন সিং (Manmohan Singh)-এর জমানায়ই। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিষয়টি নিয়ে নতুন করে জলঘোলা শুরু হয়। যার মূল হোতা ছিলেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।

    তাঁর অভিযোগ, অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড নামে যে সংস্থার হাতে সংবাদপত্রটির মালিকানা ছিল, বাজারে ৯০ কোটি টাকা দেনা ছিল তাদের। সংবাদপত্রটির সম্পত্তি বিক্রি করে কেন কংগ্রেস নেতৃত্ব ঋণের টাকা মেটালেন না, সেই প্রশ্ন তুলে আদালতে অভিযোগ করেন ঘুরপথে আয়কর মুক্ত পুরো টাকা নিজেদের পকেটে ভরেছেন সোনিয়া, রাহুল সহ কংগ্রেস নেতৃত্ব।

     

  • Modi:  “এখনই বিশ্রাম নয়, আমার স্বপ্ন অনেক বড়…”, প্রবীণ সাংসদের কৌতুহল মেটালেন মোদি

    Modi: “এখনই বিশ্রাম নয়, আমার স্বপ্ন অনেক বড়…”, প্রবীণ সাংসদের কৌতুহল মেটালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী লোকসভা নির্বাচনেও (2024 Loksabha Elections) কী নিজেকে দেশের মসনদে দেখতে চান? এই প্রশ্নের উত্তরে একটি গোপন কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। তিনি বলেন, ”সম্প্রতি এক বিরোধী নেতার সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়েছিল। তিনি রাজনৈতিকভাবে আমাদের বিরোধিতা করলেও আমি তাঁকে অত্যন্ত সম্মান করি। উনি আমায় বলেন, মোদিজি, এই দেশের মানুষ আপনাকে দু’বার প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসিয়েছে। আর কী চান আপনি। এই সাফল্যই যথেষ্ট।”

    গুজরাত সরকার প্রবীণ ও দরিদ্র বিধবাদের জন্য যে প্রকল্প চালু করেছে সেই প্রকল্প গ্রহণকারীদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে গল্পের ছলে বৃহস্পতিবার একথা জানান নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ”ওই সাংসদের মতে কেউ যদি দু’বার দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে যান, তবে তাঁর সমস্ত সাফল্য অর্জন করা হয়ে যায়। কিন্তু, তিনি জানেন না মোদি অন্য ধাতু দিয়ে তৈরি। এই গুজরাতের মাটি আমায় তৈরি করেছে। আমি কোনও কিছুকেই হালকাভাবে নিই না। এখন আমার বিশ্রাম নেওয়ার সময় নয়। আমার স্বপ্ন হল উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলিকে ১০০ শতাংশ সফল করে তোলা।”

    “বাবার জন্য চিকিৎসক হতে চাই”, কিশোরীর কথা শুনে বাকরুদ্ধ আবেগতাড়িত মোদি

    যদিও সেই বিরোধী নেতার নাম প্রকাশ্যে আনেননি প্রধানমন্ত্রী। তবে অনেকেরই ধারণা ওই নেতা আর কেউ নন, শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar)। আসলে এপ্রিল মাসেই এনসিপি (NCP) প্রধান দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। শিবসেনা (Shivsena) নেতাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অতি সক্রিয়তা নিয়ে অভিযোগও জানান তিনি। ফলে তাঁদের মধ্যে হওয়া বৈঠকে শরদ পাওয়ারই প্রধানমন্ত্রীকে একথা বলেছিলেন কি না, তা নিয়ে চর্চা চলছে।

    প্রধানমন্ত্রী তথা গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, কেন্দ্রে বিজেপি (BJP) সরকার টানা আট বছর রয়েছে। এই আট বছর ধরে সেবা, গরিবদের কল্যাণ এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হয়েছে। এটা একটা বহমান প্রক্রিয়া। উন্নয়নের কাজ ১০০ শতাংশ করাই তাঁর লক্ষ্য বলে জানান মোদি।

  • Anubrata mandal: টানা চার ঘণ্টা জেরা, ধকল সইতে না পেরে হাসপাতালে অনুব্রত!

    Anubrata mandal: টানা চার ঘণ্টা জেরা, ধকল সইতে না পেরে হাসপাতালে অনুব্রত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা চার ঘণ্টার জেরা। তাই বোধহয় ধকল সইতে পারলেন না তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল(Anubrata mandal)। বৃহস্পতিবার সকাল সকাল তিনি চলে যান নিজাম প্যালেসে, সিবিআই(cbi) দফতরে। সেখানেই গরু পাচারকাণ্ডে(cow smuggling scam) জেরা করা হয় তাঁকে। নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে অনুব্রত সটান চলে যান এসএসকেএমে(sskm)।

    সিবিআই সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। গরু পাচারকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামূল জেরার সময় বেশ কয়েকবার অনুব্রতর নাম করেছে। সেই কারণেই তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে জেরা করা জরুরি। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সেই জেরাই হল বৃহস্পতিবার।

    আরও পড়ুন : গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই দফতরে অনুব্রত মণ্ডল, কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    এদিন সকালে ১০টা বাজার ঢের আগেই অনুব্রত হাজির হয়ে যান নিজাম প্যালেসে। তাঁকে হাজির হতে বলা হয়েছিলে সাড়ে ১০টায়। আগাম চলে যাওয়ায় তাঁকে বসিয়ে রাখা হয় গেস্ট রুমে। সাড়ে ১০টা বাজাতেই ডেকে পাঠানো হয় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, তিন দফায় ৩৬টি প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। জেরা চলে ঘণ্টা চারেক ধরে। দুপুর ১টা ৫৫ মিনিট নাগাদ সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে আসেন অনুব্রত। যদিও বুকে ব্যথা অনুভব করায় নিজাম প্যালেস থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএমে। সেখানে ফের উডবার্ন ওয়ার্ডে অনুব্রতকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর।

    গত ৬ এপ্রিল নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেবেন বলে চিনার পার্কের বাড়ি থেকে বের হন অনুব্রত। সেদিনও বুকে ব্যথা অনুভব করায় তিন সোজা চলে যান এসএসকেএমে। পরে ভর্তি হন উডবার্ন ওয়ার্ডে। চিকিৎসায় সুস্থ হওয়ার পর সিবিআইকে চিঠি দিয়ে অনুব্রত জানান ২১ মে-র পর তিনি সিবিআই দফতরে যেতে পারেন। তার দু দিন আগেই সিবিআই জেরার মুখোমুখি হলেন তৃণমূলের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা।  

    আরও পড়ুন : “বাঁচার চেষ্টা করবেন…বেশিদিন বাঁচতে পারবেন না”, কার সম্পর্কে একথা বললেন সুকান্ত?

    অসুস্থ হলেও, অনুব্রত যে সিবিআইয়ের হাত থেকে রেহাই পাবেন না, তা আগেই জানিয়ে ছিলেন বিজেপির(bjp) কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ(dilip ghosh)। তিনি বলেছিলেন, জেলে থাকলে ঠিক আছে, হাসপাতালে থাকলে তাঁর(অনুব্রতর) বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কম। তিনি বলেন, আমার মনে হচ্ছে, তথ্যপ্রমাণ লোপাটের জন্য এনি হাউ তাঁকে মেরে ফেলা হতে পারে।একই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক বিজেপির স্বপন মজুমদারও।

     

  • Pattina Pravesam: পিছু হঠল ডিএমকে সরকার, তামিলনাড়ুতে ছাড়পত্র মিলল ‘পত্তিনম প্রবেশম’-এ

    Pattina Pravesam: পিছু হঠল ডিএমকে সরকার, তামিলনাড়ুতে ছাড়পত্র মিলল ‘পত্তিনম প্রবেশম’-এ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: : বিরোধীদের দাবির জেরে পিছু হঠল সরকার! তামিলনাড়ুতে (tamilnadu) অনুমতি দেওয়া হল পত্তিনা প্রবেশম (Pattina Pravesam) প্রথা পালনে। সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় খুশি তামিলনাড়ুবাসী।  

    বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় মঠাধীশকে রূপোর সিংহাসনে বসিয়ে এলাকা পরিভ্রমণ করেন ভক্তরা। বিভিন্ন মঠ কর্তৃপক্ষ আলাদা আলাদা দিনে এই প্রথা (Palanquin Ritual) পালন করে। কয়েক যুগ ধরে চলে আসা এই প্রথায় এবার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ডিএমকে-র নেতৃত্বাধীন তামিলনাডু় সরকার।

    ঘটনার সূত্রপাত দিন কয়েক আগে। মাইলাদুথুরাই জেলায় এই উৎসবের আয়োজন করতে উদ্যোগী হয় ধর্মপূরণ অধিনাম (Dharmapuram Adheenam) নামের একটি মঠের ভক্তরা। ২২ মে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। অনুষ্ঠানের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিতে গেলেই বিপত্তি বাঁধে। যুগ যুগ ধরে চলে আসায় এই প্রথায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রশাসন। তারা সাফ জানিয়ে দেয়, মানবিক মূল্যবোধের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এই প্রথা। তাই চলতে দেওয়া যায় না। শৈবদের অন্যতম প্রধান উৎসবের আয়োজনে প্রশাসন জল ঢেলে দেওয়ায় খেপে যান ভক্তরা। এম কে স্ট্যালিন (M K stalin) সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয় বিজেপি সহ বিরোধীরা। যার জেরে রাজ্যের মন্ত্রী পি কে সেকর বাবু বলেন, মঠাধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতেও অবশ্য শান্ত করা যায়নি বিরোধীদের।

    মঠাধ্যক্ষদের তীব্র আপত্তি ও বিরোধীদের প্রবল চাপ এই জোড়াফলায় জেরবার স্ট্যালিন সরকার। শেষমেশ রবিবার রাতে সরকার ঘোষণা করে প্রথা পালনে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল স্থানীয় সরকার, তা তুলে নেওয়া হল। সরকারি এই নির্দেশে খুশির হাওয়া বিরোধী মহলে।

    আরও পড়ুন : পালকি-প্রথায় ইতি, ক্ষোভের আঁচ তামিলনাড়ুতে

    সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, যুগ যুগ ধরে চলে আসা এই প্রথা এবারও পালন করা যাবে। যেহেতু ভক্তরা স্বেচ্ছায় পালকি বহন করেন, তাই এখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনও বিষয় নেই। তাই প্রথা পালনে কোনও অসুবিধাও নেই।

    প্রসঙ্গত, বিরোধী দল বিজেপিও এই যুক্তিই দেখিয়েছিল। তার পরেও সরকার ওই অনুষ্ঠানে নিষাধাজ্ঞা তোলেনি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, শেষমেশ বিরোধীদের সম্মিলিত চাপের কাছেই নতিস্বীকার করল সরকার। সরকারি সিদ্ধান্তে দৃশ্যতই খুশি তামিলনাড়ুর তাবৎ ভক্তকুল।

     

  • Taj Mahal: তাজমহলের বন্ধ ঘরে আছে বহু হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি? আদালতে তালা খোলার আবেদন

    Taj Mahal: তাজমহলের বন্ধ ঘরে আছে বহু হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি? আদালতে তালা খোলার আবেদন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাজমহল (Taj Mahal) নাকি হিন্দুদের মন্দির, এমনই দাবি নিয়ে তদন্তের জন্যে আদালতের দ্বারস্থ হলেন এক বিজেপি (BJP) নেতা। তাজমহলের অন্দরে থাকা ২০টি ঘর খুলে পরীক্ষার দাবি করলেন তিনি। কী ছিল আগ্রায় (Agra)? ফের মাথাচারা দিল সেই বিতর্ক। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) ওই বিজেপি নেতার দাবি, তাজমহলের অন্দরে হিন্দু দেবদেবীর (Hindu idols) বহু মূর্তি এবং সনাতন ধর্মের একাধিক নির্দশন (Hindu inscriptions) রয়েছে। সেই তথ্য প্রকাশ্যে আনতেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।

    এলাহাবাদ হাইকোর্টের (Allahabad HC) লখনউ বেঞ্চে পিটিশন দায়ের করেছেন বিজেপির অযোধ্যা (Ayodhya) জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রজনীশ সিং (Rajneesh Singh)। তাঁর দাবি, তাজমহলের অন্দরে ২০টি তালাবন্ধ ঘর রয়েছে। সেখানে প্রচুর হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি এবং সনাতন ধর্মের নিদর্শন লুকিয়ে রাখা আছে। তাই তাঁর আর্জি, প্রত্নতত্ব বিভাগকে (ASI) ওই ঘরগুলি খোলার নির্দেশ দিক আদালত। তাহলেই সত্যিটা সামনে আসবে বলেও দাবি করেছেন ওই বিজেপি নেতা।

    আবেদনকারী রজনীশ সিং জানিয়েছেন, তাজমহল নিয়ে বহুদিন ধরেই বিতর্ক রয়েছে। এই ঐতিহাসিক নিদর্শনের ভিতরে ২০টি ঘর তালাবন্ধ। কাউকে সেখানে ঢুকতেও দেওয়া হয় না। মনে করা হয়, সেই ঘরগুলিতে হিন্দু দেবদেবীদের মূর্তি রয়েছে। লুকিয়ে রয়েছে সনাতন ধর্মের বহু নির্দশন। তিনি বলেন, “আমি আদালতের কাছে আবেদন করেছি যাতে তারা আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে ঘরগুলি খোলার নির্দেশ দেয়। ওই ঘরগুলি খোলা হলে কোনও সমস্যা নেই। যদি সেখানে কিছু না থাকে, তাহলে সমস্ত বিতর্কের অবসান হবে।”

    পাশাপাশি তাঁর আরও দাবি, রাজ্য সরকারকে কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিক আদালত, যারা ওই ঘরগুলি পরীক্ষা করে দেখবে যে সেখানে কোনও হিন্দু ধর্মের নিদর্শন রয়েছে কিনা। বিজেপি সাংসদ বিনয় কাটিহার বলেন, তাজমহল নয়, আগ্রায় যমুনার তীরে একমাত্র তেজোমহলের অস্তিত্ব থাকা উচিত। প্রসঙ্গত, বিজেপির এই সাংসদ একসময়ে দাবি করেছিলেন, আগ্রায় যেখানে আজ তাজমহল দাঁড়িয়ে আছে, সেখানে তেজোমহল বলে একটি হিন্দু মন্দির ছিল।

     

  • Cossipore BJPY Worker Death: নজরে রহস্যময় গাড়ি, কাশীপুরে বিজেপি কর্মীর মৃত্যু-তদন্তে গঠিত ৪ সদস্যের সিট

    Cossipore BJPY Worker Death: নজরে রহস্যময় গাড়ি, কাশীপুরে বিজেপি কর্মীর মৃত্যু-তদন্তে গঠিত ৪ সদস্যের সিট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক : কাশীপুরের (Cossipore) বিজেপি (BJP) কর্মী অর্জুন চৌরাশিয়ার (Arjun Chaurasia) মৃত্যুর ঘটনায় চার সদস্যের ‘সিট’  (SIT probe) তৈরি করল রাজ্য সরকার (Bengal government)। চিৎপুর থানা ও হোমিসাইড বিভাগের চার সদস্যকে নিয়ে গঠন করা হল বিশেষ তদন্তকারী দল। রবিবারই অর্জুনের ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করে বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। সংগ্রহ করা হয় অর্জুনের ইমেল পাসওয়ার্ড ও মোবাইল নম্বরও। গত শুক্রবার কাশীপুরের এক পরিত্যক্ত আবাসন থেকে মেলে অর্জুনের ঝুলন্ত মৃতদেহ। পরিবারের সদস্যদের দাবি, বিজেপি যুব মোর্চার (BJPY) সংগঠক অর্জুনকে গত পুরসভা নির্বাচনের সময় থেকেই টার্গেট করেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের গুণ্ডারা। আজ সোমবারই শেষকৃত্য হওয়ার কথা অর্জুনের।
    অর্জুনের মা লছমিনা চৌরাশিয়ার ও তাঁর ভাইয়ের দাবি, অর্জুনের মৃত্যুর আগের দিন, বৃহষ্পতিবার অনেক রাত পর্যন্ত কাশীপুর রেলওয়ে কলোনীতে তাঁদের বাড়ির কাছে, একটা গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। তখনই ঘরে ফিরেই আবার বেরিয়ে যায় অর্জুন। যদিও তখন বাইরে কাউকেই দেখেননি তিনি। অর্জুনের মায়ের দাবি, পরে একটা কথা কাটাকাটি কানে আসে। কেউ যেন বলছে, “মেরে গুম করে দেব। কেউ খুঁজে পাবে না।” লছমিনার অভিযোগ তাঁর ছেলেকেই কেউ হুমকি দিয়েছিল।
    তদন্তকারী সিটের সামনে এখন চ্যালেঞ্জ, কোন সে রহস্যময় গাড়ি, যা গভীর রাত পর্যন্ত দাঁড়িয়ে ছিল বিজেপি যুব মোর্চার কর্মী অর্জুন চৌরাশিয়ার বাড়ির সামনে? কে বা কারা ছিল সেই গাড়ির আরোহী? তারাই কি হুমকি দিয়েছিল অর্জুনকে? তদন্তকারীরা এখন কিছুই বলতে রাজি নন। পোস্টমর্টেমের চূড়ান্ত রিপোর্ট মিলবে  এসপ্তাহেই। তখনই অনেক রহস্যের জট খোলার সম্ভাবনা।  

     

     

  • Cossipore BJPY Leader Death: ভোট-পরবর্তী হিংসার বলি বিজেপি কর্মী অর্জুনও?

    Cossipore BJPY Leader Death: ভোট-পরবর্তী হিংসার বলি বিজেপি কর্মী অর্জুনও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তাহ পার হয়নি বিজেপির সংকল্প যাত্রার। ৫ মে ঘটা করে বর্ষপূর্তি পালন করেছে তৃণমূলও। এই আবহেই আরেক বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যুতে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ আরও একবার সামনে চলে এল।

    শুক্রবার কাশীপুর রেল কোয়ার্টারের পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় অর্জুন চৌরাসিয়া নামের এক যুবকের। তিনি বিজেপি যুব মোর্চার কর্মী ছিলেন। পরিবারেরও দাবি, অর্জুন বিজেপির কর্মী ছিলেন। তাদের অভিযোগ, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে প্রায়ই খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল অর্জুনকে।

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর এরাজ্যে খুন হন বেশ কয়েকজন বিরোধী নেতা ও কর্মী। এর সিংহভাগই পদ্ম শিবিরের বলে দাবি বিজেপির।  ঘটনার প্রতিবাদে সপ্তাহখানেক আগে সংকল্পযাত্রা কর্মসূচি পালন করে রাজ্য বিজেপি। রানি রাসমণি অ্যাভেনিউয়ের মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, বাংলায় বর্তমানে বর্বরোচিত অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরে। ২০২১ সালের ২ মে-র পরে ভোট পরবর্তী যে সন্ত্রাস দেখা গিয়েছিল, তা আর কোনও নির্বাচনের পরে দেখা যায়নি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর ভোট পরবর্তী হিংসার বর্ষপূর্তিতে পথে নেমেছিল বিজেপি। ভোটের পরে বিজেপি কর্মীদের ওপর যে অত্যাচার করা হয়েছিল এবং গণতন্ত্র লুঠ করা হয়েছিল, তার প্রতিবাদেই বুধবার রাজ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন সংকল্পযাত্রা কর্মসূচি পালন করে বিজেপি। 

    আরও পড়ুন: বিজেপি যুব নেতার রহস্যমৃত্যু, রণক্ষেত্র কাশীপুর, সিবিআই চাইলেন অমিত শাহ

    সেই যাত্রার কর্মসূচি পালনের পরে পরেই ৫ মে বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান করে তৃণমূল। এই অনুষ্ঠানে ভাষণও দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই জোড়া কর্মসূচির রেশ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়ার আগেই রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে অর্জুনের। মৃতের পরিবারের পাশাপাশি বিজেপিরও দাবি, অর্জুন বিজেপির যুব মোর্চার কর্মী ছিলেন। বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। যে গামছায় অর্জুনের দেহ ঝুলছিল, সেটি চৌরাসিয়া পরিবারের কারওর নয় বলেই দাবি সদস্যদের। যদিও স্থানীয় বিধায়ক তথা কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের দাবি, অর্জুন তৃণমূলের কর্মী ছিলেন। তিনি আত্মহত্যা করেছেন। 

  • Suvendu at BJP Rally: “তৃণমূল জমানায় বাংলায় বর্বরোচিত অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে”, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu at BJP Rally: “তৃণমূল জমানায় বাংলায় বর্বরোচিত অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে”, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: ২০২১ সালের ২ মে-র পর বাংলায় যে ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাস (Post poll violence) দেখা গিয়েছিল, তা অন্য কোনও ভোটে হয়নি। এমনটাই জানালেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Opposition leader) বললেন, তৃণমূল (TMC) জমানায় বাংলায় (West Bengal) বর্বরোচিত অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। 

    ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের (2021 Assembly elections) পর রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসার বর্ষপূর্তিতে পথে নেমেছিল বিজেপি। ভোটের পরে বিজেপি কর্মীদের ওপর যে অত্যাচার চালানো হয়েছিল এবং গণতন্ত্র লুঠ করা হয়েছিল তার প্রতিবাদে আজ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংকল্প মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত মিছিল। মিছিলে সামিল সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী। 

    এরপর রানী রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের মঞ্চ থেকে নিজের বক্তব্য রাখলেন শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, বাংলায় বর্তমানে বর্বরোচিত অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরে। ২০২১ সালের ২ মে-র পরে ভোট পরবর্তী যে সন্ত্রাস দেখা গিয়েছিল তা আর কোনও নির্বাচনের পরে দেখা যায়নি।

    শুভেন্দুর মতে, ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনায় একাধিক বিজেপি কর্মীদের আক্রান্ত হতে হয়েছে। সেই সময় বিজেপি নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রায় ১২ হাজার এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল । তাঁর প্রশ্ন, শিখ দাঙ্গার ১৫ বছর পর অভিযুক্ত কংগ্রেস নেতার যদি জেল হতে পারে তাহলে ভোট সন্ত্রাসের অভিযোগে অভিযুক্তদের জেল কেন হবে না?

    আসন্ন অমিত শাহর রাজ্য সফর প্রসঙ্গেও বলেছেন শুভেন্দু। বললেন, বাংলায় আসছেন অমিত শাহ, বাংলাকে ভয়মুক্ত করবেন। ২১৩ আসনে জিতেও শান্তিতে নেই তৃণমূল কংগ্রেস। পাশে থাকতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ‍বাধ্য করাবে বঙ্গ বিজেপি।

    পাশাপাশি, আগামী ৮ মে নন্দীগ্রামে (Nandigram) বিশেষ কর্মসূচি পালন করা হবে বলেও ঘোষণা করলেন বিজেপি বিধায়ক। বললেন, ৮ মে নন্দীগ্রামে স্বৈরাচারী শাসকের পরাজয়ের বর্ষপূর্তি পালন করা হবে। ১১ মে দেউচা পাঁচামি (Deucha Pachami) যাব, সঙ্গে থাকবেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)।

     

  • Saugata Roy: এত টাকা এল কোথা থেকে? কেকে এর কনসার্ট নিয়ে প্রশ্ন সৌগতর

    Saugata Roy: এত টাকা এল কোথা থেকে? কেকে এর কনসার্ট নিয়ে প্রশ্ন সৌগতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় সঙ্গীতশিল্পী কেকে’র (KK) মৃত্যুর পর নজরুল মঞ্চে (NaZruk Mancha) তৃণমূল ছাত্র সংসদ আয়োজিত অনুষ্ঠানের খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধীরা৷ সেই প্রশ্ন এবার শোনা গেল তৃণমূলের (TMC) বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়ের (Saugata roy) মুখে৷ দলীয় একটি অনুষ্ঠানে নোয়াপাড়া এলাকায় গিয়ে দমদমের সাংসদ প্রশ্ন তোলেন, কেকে-এর কনসার্টের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। ওই বিপুল অঙ্কের টাকা এল কোথা থেকে?

    সৌগতর কথায়, কলেজে পড়াশোনার সময় তাঁরাও শিল্পীদের আনতেন৷ কিন্তু লাখ লাখ টাকা দিয়ে মুম্বই থেকে সঙ্গীত শিল্পীদের নিয়ে আসার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সাংসদ৷ সৌগত বলেন, ‘এই যে কৃষ্ণকুমার গান গাইতে এসে মারা গেল, আমি শুধু ভাবি এত টাকা কোথা থেকে এল৷ ৩০ লাখ না ৫০ লাখ কত যেন নিয়েছে৷ কে দিয়েছে? টাকা তো হাওয়ায় ভেসে আসে না৷ এত খরচ করে মুম্বই থেকে শিল্পী আনার কি খুব দরকার ছিল? অনেক ছেলে হাল্লা করল, নাচল৷ তাতে কী লাভ হল?’

    আরও পড়ুন: ১৯৪৭ সালে আজকের দিনে পাশ হয় পশ্চিমবঙ্গ গঠনের প্রস্তাব, কী ঘটেছিল সেদিন?

    গত মে মাসে গুরুদাস কলেজের ফেস্টে গান গাইতে এসে মৃত্যু হয় কেকে’র৷ কলকাতার নজরুল মঞ্চে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানের দায়িত্বে ছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ৷ নজরুল মঞ্চে গান গাওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন কেকে৷ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে হোটেলে তাঁর মৃত্যু হয়৷ সঙ্গীতশিল্পীর মৃত্যুর পরই বিরোধীরা ওই অনুষ্ঠানে খরচ হওয়া টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল৷ জানিয়েছিল, কলেজের ছাত্র সংসদের কাছে এত টাকা আসে কোথা থেকে৷ এবার সেই প্রশ্ন তুলে দলের ছাত্র সংগঠনের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন সৌগত৷

     তাঁর অভিযাগ, এত টাকা খরচ করে অনুষ্ঠান করতে হলে প্রোমোটার বা স্থানীয় মস্তানদের কাছে মাথা নত করতে হয়। প্রশ্ন তুলেছেন কলেজ ছাত্র সংগঠনের নৈতিকতা নিয়েও। স্বাভাবিকভাবেই শাসকদলের সাংসদের মন্তব্যকে হাতিয়ার করে সরব হয়েছে বিরোধীরা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “এটা বাংলায় ওপেন সিক্রেট। সবাই জানে এরা কীভাবে কাজ করে। একজন প্রবীণ নেতা এবং অধ্যাপক হওয়ার কারণে তিনি অন্তত সত্যটা স্বীকার করেছেন।” রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষের খোঁচা, “শিক্ষিত মানুষ তো। সবটা বুঝতে পারছেন। এমন মন্তব্য করে বিপদে পড়ছেন নিজের দলেই। এই তো চলছে রাজ্যে। শুধু নাচ-গান-ফুর্তি। শিক্ষা নেই, চাকরি নেই।” সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলছেন, “সৌগতবাবু যা বলেছেন একদম ঠিক কথা।” উল্লেখ্য,কেকের অনুষ্ঠানের খরচ পুরোটাই কলেজ কর্তৃপক্ষ দিয়েছিল বলে দাবি করেছিল টিএমসিপি।

LinkedIn
Share