Tag: bjp

bjp

  • Maharashtra: বিজেপি কেন একনাথ শিন্ডের হাতে মহারাষ্ট্রের রাশ ছাড়ল?  

    Maharashtra: বিজেপি কেন একনাথ শিন্ডের হাতে মহারাষ্ট্রের রাশ ছাড়ল?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মহাসংকট কেটেছে। উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার পর মহারাষ্ট্রর রাশ গিয়েছে শিবসেনার (Shiv Sena) বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডের (Eknatn Shinde) হাতে। উপমুখ্যমন্ত্রী হলেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। প্রশ্ন হল, কেন বিজেপি একনাথকে ছেড়ে দিল মুখ্যমন্ত্রীর পদ? কেনই বা ফড়নবিশকে বসানো হল উপমুখ্যমন্ত্রী পদে?

    আরও পড়ুন: “সেদিন থেকেই পতন শুরু…”, উদ্ধবকে ট্যুইট-বাণ রাজ ঠাকরের

    মহাবিকাশ আঘাড়ি জোট থেকে বেরিয়ে বিজেপি সঙ্গ ধরতে চেয়েছিলেন শিবসেনা বিধায়ক একনাথ শিন্ডে। তা নিয়ে সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বিরোধ বাঁধে শিন্ডের। তার পরেই শুরু হয় একপ্রস্ত নাটক। অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে প্রথমে গুজরাট ও পরে আসামে উড়ে যান শিন্ডে। চেষ্টা করেও সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারবেন না বুঝে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন উদ্ধব। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন শিন্ডে। ‘কিং মেকার’ বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সরে দাঁড়ান। ফড়নবিশের এই উদারতার ব্যাপক প্রশংসা করেন খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, ফড়নবিশের হৃদয় বড়। প্রথমে উপমুখ্যমন্ত্রী হতেও রাজি ছিলেন না ফড়নবিশ। পরে বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার অনুরোধে তিনি উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন বলে সূত্রের খরব। মহারাষ্ট্র বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৮৮। তার মধ্যেই বিজেপির রয়েছে ১০৬ জন বিধায়ক। সেখানে শিন্ডে শিবিরের সংখ্যা ৩৯। তার পরেও কেন মুখ্যমন্ত্রী পদে বসলেন না বিজেপির কেউ?

    আরও পড়ুন: শপথ নিয়েই ‘বিদ্রোহী’দের ফেরাতে গোয়া উড়ে গেলেন মহারাষ্ট্রের নয়া মুখ্যমন্ত্রী

    রাজনৈতিক মহলের মতে, এর নেপথ্যে রয়েছে অনেকগুলি কারণ। প্রথমত, বিজেপি ক্ষমতায় বসলে সঙ্গে সঙ্গে বিরোধীরা গেরুয়া শিবিরের গায়ে ক্ষমতা লোভীর তকমা সেঁটে দিত। যা মোটেই কাম্য নয়। দ্বিতীয়ত, বিদ্রোহীদের সিংহভাগ যদি উদ্ধব শিবিরে ফেরেন, তাহলে সরকার পড়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সরকার পড়ে যাওয়ার কলঙ্ক লাগবে না মোদি-শাহের দলের গায়ে। তৃতীয়ত, সরকারের বিরুদ্ধে কোনও কেলেঙ্কারি কিংবা অপদার্থতার অভিযোগ উঠলেও তার আঁচ কোনওভাবেই লাগবে না পদ্ম শিবিরে। সর্বোপরি, শিন্ডে মরাঠি সম্প্রদায়ের। তিনি শিব সৈনিকও। তাই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়ে পুরো মারাঠি আবাগের হাওয়া নিজেদের পালে টেনে নিল বিজেপি। পদ্ম শিবিরের এই ‘উদারতা’য় প্রত্যাশিতভাবেই খুশি হবেন মারাঠিরা। রাজনৈতিক মহলের মতে, যার সুফল বিজেপি ঘরে তুলবে চব্বিশের লোকসভা ভোটে।  

     

  • Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর কনভয়ে লরির ধাক্কা, কী হল জানেন?

    Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর কনভয়ে লরির ধাক্কা, কী হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড় বিপদ থেকে বাঁচলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu)। বিরোধী দলনেতার কনভয়ে (Convoy) আচমকা ধাক্কা মারল লরি (Truck)। কাঁথির বাড়ি থেকে তমলুকে আসার পথে শুভেন্দুর কনভয়ে ধাক্কা মেরেছে লরিটি। শুক্রবার দুপুর ২টো নাগাদ ১১৬বি জাতীয় সড়কে মারিশদার কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। তবে শুভেন্দু অধিকারীর কোনও আঘাত লাগেনি। সুস্থ আছেন তিনি। দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি তমলুকের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যান। লরিচালক পলাতক। ঘটনাস্থলে যায় মারিশদা থানার পুলিশ। আপাতত চালকের খোঁজ চলছে।

    আরও পড়ুন: শুভেন্দুকে নেতাই যেতে বাধা কেন? ডিজি, এসপির বিরুদ্ধে রুল জারি হাইকোর্টের    

    দুর্ঘটনার জেরে শুভেন্দুর কনভয়ে থাকা ওই গাড়ির সামনের অংশটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। মারিশদায় একটি পেট্রোল পাম্পের কাছে শুভেন্দুর কনভয়ের গাড়িতে ধাক্কা দেয় লরিটি। কনভয়ের গাড়ির সঙ্গে ট্রাকের ধাক্কা লাগলেও শুভেন্দু অন্য গাড়িতে থাকায় সম্পূর্ণ নিরাপদে রয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। এদিন দুর্ঘটনার পর জাতীয় সড়কে সাময়িক যানজটও তৈরি হয়। পরে শুভেন্দু নিজের গন্তব্যে রওনা দেন। নিছকই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই দুর্ঘটনা, নাকি এর পিছনে রয়েছে কোনও ষড়যন্ত্র? তা খতিয়ে দেখছে মারিশদা থানার পুলিশ।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের চাপে ‘বাংলা’ সরে ফের বসছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম? ট্যুইট শুভেন্দুর 

    দুর্ঘটনার জেরে বিরোধী দলনেতার কনভয়ের ওই গাড়ির চালকসহ আরও একজন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার পরেই গাড়ি ফেলে চম্পট দেয় চালক। পরে গাড়িটি আটক করে মারিশদা থানার পুলিশ। চালকের খোঁজ শুরু হয়েছে।  

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, রথযাত্রা উপলক্ষে আজ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে। তমলুকের ইসকন মন্দিরে যাওয়ার জন্য এদিন দুপুরে বাড়ি থেকে রওনা দেন শুভেন্দু অধিকারী। ১১৬বি জাতীয় সড়ক দিয়ে শুভেন্দুর কনভয় যাচ্ছিল। সেই সময় আচমকা কনভয়ের একটি গাড়িকে ধাক্কা মারে লরিটি। তার পরই গাড়িটিকে ধাওয়া করতে শুরু করে পুলিশ। যদিও লরি সমেত চালক পালিয়ে যান।   

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান। তা সত্ত্বেও কীভাবে কনভয়ে লরিটি ঢুকল, সে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।  

     

  • Maharashtra Crisis: “শিন্ডের তরফে প্রস্তাব এলে…”, মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে কী বলল বিজেপি?

    Maharashtra Crisis: “শিন্ডের তরফে প্রস্তাব এলে…”, মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে কী বলল বিজেপি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবসেনার (Shiv Sena) বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde) কাছ থেকে সরকার গড়ার বিষয়ে প্রস্তাব পেলে তা বিবেচনা করে দেখা হবে। অন্তত এমনই জানিয়ে দিলেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। শিন্ডেকে বিদ্রোহী বলতে রাজি নয় পদ্ম শিবির। বিজেপি নেতা সুধীর মুঙ্গাতিয়ার বলেন, আমরা কাউকে বিদ্রোহী বলে মনে করি না। তাঁর প্রশ্ন, শিন্ডের সঙ্গে যদি মোট বিধায়কের দুই তৃতীয়াংশের সমর্থন থাকে, তাঁকে বিদ্রোহী বলি কী করে?

    আরও পড়ুন : ‘যাঁরা যেতে চাইছেন যান, নতুন শিবসেনা গড়ব’, হুঁশিয়ারি উদ্ধবের

    মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক অস্থিরতা বর্তমানে পৌঁছেছে সুপ্রিম কোর্টে। বিতর্কের সূত্রপাত হয় যখন একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে শিবসেনা বিধায়কদের একটা বড় ঝাঁক শাসক জোট মহারাষ্ট্র বিকাশ আঘাড়ি (MVA) ছেড়ে বেরিয়ে যান। এনসিপি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে নয়, বিজেপির সঙ্গে জোট গড়েই সরকার চালাতে হবে শিবসেনাকে। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে শিন্ডের বিরোধ বাঁধে। এর পরেই জোট ছেড়ে অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে বিজেপি শাসিত গুজরাটের সুরাটে চলে যান শিন্ডে। সেখান থেকে মধ্যরাতের বিমান ধরে ওই বিধায়কদের নিয়ে তিনি উড়ে যান বিজেপি শাসিত আর এক রাজ্য আসামে। সেখানকারই একটি বিলাসবহুল হোটেলে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন : গুজরাট ছেড়ে একনাথ শিন্ডেরা রয়েছেন আসামে, কেন জানেন?

    দিন দুয়েক আগে ফের বিশেষ বিমানে গুজরাতের ভদোদরায় উড়ে আসেন শিন্ডে। সাক্ষাৎ করেন মহারাষ্ট্রেরই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে। সেখানেই দুই নেতার মধ্যে সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর। আসামের হোটেল থেকেই শিন্ডে জানিয়েছিলেন, তাদের পিছনে একটি জাতীয় দলের সমর্থন রয়েছে। যদিও, পরে একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে শিন্ডে বলেন, আমাদের পিছনে বালাসাহেব ঠাকরের শক্তি রয়েছে।

    বিজেপি অবশ্য শিবসেনার এই সংকটকে প্রথম থেকেই তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা বলে উল্লেখ করে এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার গঠনের যে কোনও প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখা হবে বলে ফড়নবিশের বাড়িতে বৈঠকের পরে জানান সুধীর। তিনি বলেন, প্রতিদিনের ঘটনার ওপর কড়া নজর রাখছে বিজেপি। 

    প্রসঙ্গত, সোমবারই একনাথ শিবিরকে স্বস্তি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দলবিরোধী আইনের আওতায় বিদ্রোহী ১৬ জন বিদ্রোহী বিধায়ককে ‘ডিসকোয়ালিফাই’ করতে উদ্যত হয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি মতো, বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়ককে নোটিস পাঠিয়ে মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ সম্পর্কে আত্মপক্ষ সাফাইয়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্র বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার নরহরি সীতারাম জিরওয়াল। পাল্টা বিদ্রোহী পক্ষের তরফে ডেপুটি স্পিকারের বিরুদ্ধে একটি অনাস্থা প্রস্তাব বিধানসভাতেই পেশ করা হয়। ডেপুটি স্পিকার তা খারিজ করেন। 

    দলবিরোধী নোটিশ প্রাপ্তি এবং অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ— এই দুই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় একনাথ শিবির। গতকাল শুনানিতে ১৬ জন শিবসেনা বিধায়কের বিরুদ্ধে কেন দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে নোটিস পাঠানো হয়েছিল, সে বিষয়ে ডেপুটি স্পিকার (ভারপ্রাপ্ত স্পিকার) জিরওয়ালের জবাবও চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি, শিন্ডে-সহ বিধায়কের বিরুদ্ধে ১১ জুলাই পর্যন্ত দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।

    এদিকে, মহারাষ্ট্রের মহাসংকটের মধ্যেই এবার শিন্ডে শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করল রাজ ঠাকরে শিবির। সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা সুপ্রিমো রাজ ঠাকরের সঙ্গে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন শিন্ডে। গত দু দিনে অন্ততঃ দুবার দুই নেতার মধ্যে টেলিফোনে কথা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।

    অন্যদিকে, বালাসাহেব ঠাকরে ছবি দিয়ে তার সঙ্গে শিন্ডের কাজে প্রশংসা করে গুয়াহাটির একাধিক জায়গায় পোস্টার পড়েছে। পোস্টারে উল্লেখ করা হয়েছে, হিন্দুত্ব ফর এভার। গর্ব করেন বলুন, আপনি হিন্দু। আপনাকে আমরা সব ধরনের সমর্থন জানাব। পোস্টারটি কারা সাঁটিয়েছে, তা জানা যায়নি।

    মৃত্যুর এক দশক পর মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে ফের একবার প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছেন প্রয়াত বালাসাহেব!

     

  • Droupadi Murmu: দ্রৌপদী মুর্মুকে কেন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করল এনডিএ, জানেন কি?

    Droupadi Murmu: দ্রৌপদী মুর্মুকে কেন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করল এনডিএ, জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাইসিনা হিলসের দৌড়ে এনডিএ (NDA) প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu)। বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (Nadda) নিজেই স্বীকার করেছেন ২০ জনের মধ্যে থেকে সর্বসম্মতভাবে বেছে নেওয়া হয়েছে দ্রৌপদীকে। প্রশ্ন হল, কেন দ্রৌপদী নামেই শিলমোহর দিল বিজেপি?

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দ্রৌপদী আদিবাসী সম্প্রদায়ের। তবে শুধু এই কারণেই তাঁকে বেছে নেয়নি পদ্ম শিবির। নেপথ্যে রয়েছে মোদি সরকারের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা। ২০২৩ সালে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও তার পরের বছর হবে ওড়িশা, মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন। এই পাঁচ রাজ্যের একটা বিরাট সংখ্যক ভোটার আদিবাসী। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। ৫৪৩ আসনের লোকসভায় তফশিলি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত ৪৭টি। আরও অন্তত ৬২টি আসনের ফল নির্ভর করে আদিবাসী ভোটের ওপর। সেই আদিবাসী ভোটের সিংহভাগ যাতে গেরুয়া ঝুলিতে পড়ে, তাই বেছে নেওয়া হল দ্রৌপদীকে।

    আরও পড়ুন : কাউন্সিলর থেকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী, কে এই দ্রৌপদী মুর্মু?

    গত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও এই পরীক্ষা করে দেখেছে পদ্ম শিবির। ২০১৭ সালে বেছে নেওয়া হয় দলিত নেতা রামনাথ কোবিন্দকে। কে আর নারায়ণণের পর ভারতের দ্বিতীয় দলিত রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন কোবিন্দ। যার সুফল ঘরে তুলেছিল বিজেপি, ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে। সেবার বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিল বিজেপি।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী জোটের প্রার্থী যশবন্ত সিনহা

    নাড্ডা ২০টি নামের কথা বললেও, গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ছিল মূলত তিনটি নাম। এই তিনজনই আদিবাসী সম্প্রদায়ের। এঁরা হলেন, উপজাতি বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা, ছত্তিশগড়ের রাজ্যপাল অনসূয়া উইকে এবং ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মু। এই চারজনের মধ্যে আবার এগিয়েছিলেন অনসূয়া এবং দ্রৌপদী। এঁরা দুজনেই আদিবাসী সম্প্রদায়ের। আবার দুজনেই মহিলা। অনসূয়া বর্তমানে ছত্তিশগড়ের রাজ্যপাল পদে আসীন। সম্ভবত সেই কারণেই বেছে নেওয়া হয়েছে দ্রৌপদীকে। তিনি জিতলে আরও একবার তৈরি হবে ইতিহাস। দেশের প্রথম নাগরিকের মর্যাদা পাবেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের কোনও মহিলা।

     

  • Mithun Chakraborty: রাজ্যে ৩ থেকে ৭৭ হয়েছে বিজেপি। বাংলায় আগামী দিনে বাজিমাত করবে পদ্ম-ই। বললেন মিঠুন

    Mithun Chakraborty: রাজ্যে ৩ থেকে ৭৭ হয়েছে বিজেপি। বাংলায় আগামী দিনে বাজিমাত করবে পদ্ম-ই। বললেন মিঠুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপিতে যোগদানের পর এই প্রথম বিজেপির রাজ্য দফতর মুরলিধর সেন লেনের অফিসে পা রাখলেন ‘মহাগুরু’ মিঠুন চক্রবর্তী। জানালেন, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বিজেপির সঙ্গেই থাকবেন। এক সাধারণ কর্মীর মতোই দলের সব নির্দেশ পালন করবেন। কাজ করবেন বাংলার মানুষের জন্য। গত বিধানসভা নির্বাচনে তিনি ছিলেন রাজ্য বিজেপির তারকা-প্রচারক। কিন্তু ভোটে দলের বিপর্যয়ের পর বঙ্গ-রাজনীতির ময়দানে তাঁকে আর সে ভাবে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি। সোমবার ফের বঙ্গ রাজনীতিতে যোগ দিলেন ‘ডিস্কো-কিং’। এদিন রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পর মিঠুন চক্রবর্তী  বলেন, ‘‘দল আমাকে যে কাজ দিয়েছে, তা করে যাব আমি। আমি রাজনীতি করি না, আমি মানুষ-নীতি করি। বাংলার মানুষের জন্য কাজ করতে চাই এবং সেটা করবও।’’

    সোমবার সকালেই কলকাতায় পৌঁছন মিঠুন। যদিও কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বেরোনোর সময় সাংবাদিকদের সব প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি। পরে সন্ধ্যা নাগাদ মিঠুন পৌঁছে যান বিজেপির দফতরে। সেখানে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। কিন্তু কী নিয়ে নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি মিঠুন। তিনি বলেন, “সব ঠিক সময় মতো জানতে পারবেন।” শুধু জানান, রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তাঁকে কিছু কাজ দিয়েছেন। সেই কাজ তিনি করবেন। প্রসঙ্গত, সোমবার বৈঠকে সুকান্ত ছাড়াও হাজির ছিলেন রাহুল সিন্‌হা, রুদ্রনীল ঘোষ এবং বিজেপির মহিলা মোর্চার সভাপতি তনুজা চক্রবর্তী-সহ অন্য নেতারা। “কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে আমি কলকাতায় এসেছি। তবে বাংলায়  আমার ‘বস’ (BOSS) সুকান্ত মজুমদার। ওঁর নির্দেশে বাংলার মানুষের স্বার্থে আন্দোলনে সামিল হব।” কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিনহা ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের পাশে বসিয়ে একথা বলেন মিঠুন চক্রবর্তী।

    আরও পড়ুন: “বাংলার হারানো গৌরব ফেরাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ”, রাজ্য সফরে এসে নাড্ডা

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে টানা ৫৫ দিন বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রচার কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন মিঠুন। কিন্তু ফলাফলে বঙ্গ জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে যায় বিজেপির। যদিও এতে মোটেই তিনি হতাশ নন তা জানিয়ে মিঠুনের যুক্তি, পরাজয় হলেও বাংলায় বিজেপির উত্থানে তিনি খুশি। পরিসংখ্যান দিয়ে বিজেপির এই তারকা প্রচারক বলেন, “তিন থেকে আমরা সাতাত্তর হয়েছি। ৫৫ লক্ষ থেকে বেড়ে দু কোটি আঠাশ লক্ষ  মানুষ গত বিধানসভায় আমাদের সমর্থন জানিয়েছেন। তাই নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। আমি গতবারের থেকেও এবার বেশি সময় দেব। বাংলায় আগামী দিনে বাজিমাত করবে বিজেপি।”

    গত বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে ব্রিগেডের মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন মিঠুন। তার পর থেকে ভোটের সময় রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে রোড শো থেকে শুরু করে বহু প্রচার কর্মসূচিতে দেখা যায় তাঁকে। বিজেপি সূত্রে খবর, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে নজরে রেখেই আবার বাংলায় পাঠানো হয়েছে অভিনেতাকে। লোকসভা কেন্দ্র ধরে ধরে প্রচার চালানোর যে কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব, সেই সব কর্মসূচিতে কাজে লাগানো হতে পারে মিঠুনকে। যদিও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছুই জানানো হয়নি গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে।

    রাজ্য বিজেপি-তে মিঠুন কী ভূমিকা পালন করতে চলেছেন জানতে চাইলে রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “মিঠুনদা হেভিওয়েট প্রচারক, ইংরেজিতে যাকে স্টার ক্যাম্পেইনার বলি আমরা। স্বাভাবিক ভাবেই সেই অস্ত্রকে নির্দিষ্ট জায়গায় ব্যবহার করা হবে। যুদ্ধে সবসময় তো পরমাণু বোমা ব্যবহার করা হয় না! আগে ছোটখাটো হ্যান্ড গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়। যখন পরমাণু বোমার প্রয়োজন হবে, আমরা চার্জ করব।”

  • Udaipur Tailor Killing: প্রকাশ্যে শিরশ্ছেদ হিন্দু দর্জির, উত্তাল রাজস্থান, বন্ধ ইন্টারনেট  

    Udaipur Tailor Killing: প্রকাশ্যে শিরশ্ছেদ হিন্দু দর্জির, উত্তাল রাজস্থান, বন্ধ ইন্টারনেট  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক হিন্দু দর্জি (Tailor) খুনের জেরে উত্তাল রাজস্থানের উদয়পুর (Udaipur)। বিজেপির (BJP) সাসপেন্ডেড মুখপাত্র নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন ওই দর্জি। অভিযোগ, তার জেরেই দোকানে ঢুকে কুপিয়ে খুন করা হয় তাঁকে। গোটা খুনের পর্বটি ভিডিও করা হয়েছে। সেখানে হুমকিও দিতে শোনা গিয়েছে। অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করেছে রাজস্থান পুলিশ। অভিযুক্তদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উদয়পুরের পুলিশ সুপার মনোজ কুমার। ঘটনার জেরে কংগ্রেস শাসিত এই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে প্রবল বিক্ষোভ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বর্বরোচিত এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র হাতে। 

    আরও পড়ুন : বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড নূপুর শর্মা, নবীন জিন্দালকে বহিষ্কার বিজেপি-র

    জানা গিয়েছে, উদয়পুরের ধানমান্ডি এলাকায় কানাইয়ালাল নামের এক ব্যক্তি নূপুর শর্মার সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন। তার জেরে খুন করা হয় তাঁকে। প্রথমে একটি খুনের ভিডিও করা হয়। পরে করা হয় আরও একটি ভিডিও। দুটোই ছড়িয়ে দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।  দ্বিতীয় ভিডিওয় বলা হয় সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের জন্য শিরশ্ছেদ করা হয়েছে লালের। ওই ভিডিওয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। গাউস মহম্মদ ও রিয়াজ আহমেদ নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টের জেরে গ্রেফতার করা হয়েছিল লালকে। পরে জামিনে ছাড়াও পান। তার পর থেকে তাঁকে লাগাতার ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলেও পুলিশকে জানিয়েছিলেন ওই হিন্দু দর্জি।

    আরও পড়ুন : নূপুর শর্মা বিতর্কে অশান্তি, ঝাড়খণ্ডে মৃত ২, তপ্ত বাংলা, ভূস্বর্গে জারি কার্ফু

    ঘটনার জেরে দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য। বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয় উদয়পুরেও। সেখানকার হাতিপোল এালাকায় দুটি বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ধানমান্ডি এলাকায় একটি মসজিদ লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট-পাটকেল। 

    নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের কড়া নিন্দা করেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot)। দোষীদের কড়া শাস্তির আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন শান্তি বজায় রাখার আবেদনও।বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে ২৪ ঘণ্টার জন্য গোটা রাজস্থানে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। আগামী একমাসের জন্য জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।

    গোটা ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছে বিজেপি। রাজস্থানের বিজেপি নেতা গুলাব চাঁদ কাটারিয়া লেন, দোষীদের কড়া শাস্তি দিতে হবে। মৃতের পরিবারকে সাহায্য করতে হবে। হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীও।

    এদিকে, খুনের ঘটনার তদন্তে চারজনের সিট গঠন করেছে রাজ্য সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে এনআইএর হাতেও। ঘটনার নেপথ্যে কোনও জিহাদি গোষ্ঠীর হাত রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এক ট্যুইট বার্তায় বলা হয়েছে, উদয় পুরের খুনের ঘটনার সঙ্গে কোনও সংস্থা কিংবা আন্তর্জাতিক কোনও গোষ্ঠীর যোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা। 

    [tw]


    [/tw]

     

     

  • Uniform Civil Code: সব রাজ্যেরই উচিত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করা, জানালেন ধামি

    Uniform Civil Code: সব রাজ্যেরই উচিত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করা, জানালেন ধামি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের সব রাজ্যেরই উচিত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) চালু করা। যেমনটা করতে চলেছে উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand)। উধম সিং নগর জেলার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে একথা বলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি (Pushkar Singh Dhami)। ওই অনুষ্ঠানেই তিনি জানান, উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করতে অবসর প্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জন প্রকাশ দেশাইয়ের নেতৃত্বে একটি কমিটি গড়া হয়েছে। এই কমিটিই সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সব মহলের সঙ্গে কথা বলবে।

    বস্তুত, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েই দ্বিতীয়বারের জন্য উত্তরাখণ্ডের তখতে ফিরেছেন পুষ্কর সিং ধামি। তার পরেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি কার্যকর করতে কোমর বেঁধে নামেন তিনি। কুর্সিতে বসেই ঘোষণা করেন, উত্তরাখণ্ডে কার্যকর করা হবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। তখনই ধামি জানিয়েছিলেন, রাজ্য মন্ত্রিসভা সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেছে যে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে শীঘ্রই একটি কমিটি গঠন করা হবে। এবং এই আইন রাজ্যে কার্যকর করা হবে। এটিই প্রথম রাজ্য যেখানে এই আইন কার্যকর করা হবে। উধম সিং নগর জেলার এদিনের অনুষ্ঠানেও মুখ্যমন্ত্রী জানান, এ রাজ্যে খুব শীঘ্রই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হবে। তিনি বলেন, দেশের প্রত্যেকটি রাজ্যেই এই আইন কার্যকর করা উচিত। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগুর ব্যাপারে উত্তরাখণ্ডবাসীর সমর্থন পেয়েছেন বলেও জানান ধামি। 

    আরও পড়ুন : অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরে বদ্ধপরিকর ধামি! রূপরেখা তৈরিতে গঠিত বিশেষ কমিটি

    গত কয়েক দশক ধরে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি-ই বিজেপির নির্বাচনী প্রচারের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। প্রশ্ন হল, কী এই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি? ভারতীয় সংবিধানের ৪৪ নম্বর অনুচ্ছেদে এ ব্যাপারে উল্লেখ রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি হল দেশের সকল নাগরিকের জন্য এক আইন। দেশের সব ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ব্যক্তিগত ক্ষেত্রেও একই আইন কার্যকর হবে। অর্থাৎ, উত্তরাধিকার, বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ এবং দত্তকের ক্ষেত্রে দেশের সকল নাগরিককে একই আইন মেনে চলতে হবে।

    আরও পড়ুন : ‘সংবিধান-বিরোধী!’ অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ জমিয়ত উলেমা-এ-হিন্দের

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু নিয়ে উত্তরাখণ্ডের পথে যে উত্তরপ্রদেশ সরকারও হাঁটতে চলেছে, কিছুদিন আগে তার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যোগী রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্যও। তিনি বলেছিলেন, প্রত্যেকের উচিত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চাওয়া ও অভিন্ন দেওয়ানি বিধির উদ্যোগ সমর্থন করা। উত্তরপ্রদেশ সরকারও সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছে।

     

  • Maharashtra Crisis: মহারাষ্ট্রে ফড়নবিশের নেতৃত্বে সরকার গড়ছে বিজেপি? মন্ত্রিসভায় কারা?  

    Maharashtra Crisis: মহারাষ্ট্রে ফড়নবিশের নেতৃত্বে সরকার গড়ছে বিজেপি? মন্ত্রিসভায় কারা?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। আর প্রয়োজন নেই আস্থা ভোটের। তাই এবার সরকার গড়তে কোমর কষে নেমে পড়েছে বিজেপি (BJP)। সূত্রের খবর, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে চলেছেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশ (Devendra Fadnavis)। এদিকে আজ, বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের পাঁচতারা হোটেলে জরুরি বৈঠকে বসেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

    বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গঠন নিয়ে বিতর্কের কারণে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিন্ডের।তার পরেই অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে বিজেপি শাসিত গুজরাটে উড়ে যান শিন্ডে। সেখান থেকে মধ্যরাতের বিমান ধরে তাঁরা চলে যান আসামের গুয়াহাটির হোটেলে। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন উদ্ধব। সরকার ধরে রাখা যে যাবে না, তা আগেভাগেই আঁচ করতে পেরেই সরকারি বাংলো বর্ষা ছেলে পৈত্রিক ভিটে মাতোশ্রীতে গিয়ে আশ্রয় নেন উদ্ধব। পরে রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়ে দেন ইস্তফাপত্র। তার পরেই সরকার গড়তে জোর কদমে উদ্যোগী হন বিজেপি নেতৃত্ব।

    আরও পড়ুন : আস্থাভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়লেন উদ্ধব, গোয়ায় পৌঁছল একনাথ শিবির

    সূত্রের খবর, বিজেপি নেতৃত্ব এবার দেবেন্দ্র ফড়নবিশের নেতৃত্বে মহারাষ্ট্রে নতুন সরকার গঠনের দাবি করতে চলেছেন। শিবসেনার একনাথ শিন্ডের গোষ্ঠীর ৩৯ জন বিধায়কই দেবেন্দ্র ফড়নবিশের নেতৃত্বে সরকার তৈরি হলে তাঁকে সমর্থন করবে। জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রে  ফড়নবিশের নেতৃত্বে নয়া সরকার গঠিত হলে উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদ পেতে পারেন শিন্ডে।

    আরও পড়ুন : দু’বার মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন উদ্ধব! আটকান এই প্রবীণ নেতা

    মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিধায়ক সংখ্যা ২৮৮। এর মধ্যে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ১০৬। শিবসেনার বিধায়ক সংখ্যা ৫৫ জন। এর মধ্যে শিন্ডের সঙ্গে রয়েছেন ৩৯ জন। স্বাভাবিকভাবেই সরকার হবে বিজেপির নেতৃত্বে। আনুপাতিক হারে মন্ত্রিত্ব পাবেন শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়করা। সূত্রের খবর, ঠাকরে মন্ত্রিসভায় যাঁরা মন্ত্রী ছিলেন, তাঁরা ফের মন্ত্রী হতে পারেন। বিজেপি সূত্রের খবর, তাঁদের সঙ্গে ১৭০ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যেই সরকার গঠনের দাবি জানাবেন তাঁরা।

     

  • Udaipur killing: উদয়পুরে হিন্দু দর্জি খুনের ঘটনার নিন্দায় সরব কংগ্রেস, বিজেপি

    Udaipur killing: উদয়পুরে হিন্দু দর্জি খুনের ঘটনার নিন্দায় সরব কংগ্রেস, বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানের উদয়পুরে (Udaipur) হিন্দু দর্জি (Tailor) খুনের ঘটনায় এক সুর কংগ্রেস (Congress) এবং বিজেপির (BJP)। পরিস্থিতি সামাল দিতে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot)। সেখানেই একযোগে নিন্দা করা হয় নৃশংস ওই ঘটনার। রাজ্যবাসীর কাছে শান্তি বজায় রাখার আবেদনও জানিয়েছে এই দুই প্রধান জাতীয় দল।

    আরও পড়ুন : উদয়পুর-হত্যাকাণ্ডে জঙ্গি যোগ! তদন্ত শুরু করল এনআইএ

    উদয়পুরের ধানমান্ডি এলাকায় কানাইয়ালাল নামের এক দর্জি বিজেপির সাসপেন্ডেড মুখপাত্র নূপুর শর্মার সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন কিছুদিন আগে। তার জেরে খুন করা হয় তাঁকে। প্রথমে একটি খুনের ভিডিও করা হয়। পরে করা হয় আরও একটি ভিডিও। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওয় বলা হয়, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের জন্য শিরশ্ছেদ করা হয়েছে লালের। ওই ভিডিওয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় গাউস মহম্মদ ও রিয়াজ আহমেদ নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টের জেরে গ্রেফতার করা হয়েছিল কানাইয়ালালকে। পরে জামিনে ছাড়াও পান। তার পর থেকে তাঁকে লাগাতার ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলেও পুলিশকে জানিয়েছিলেন তিনি। তার পরেও বাঁচানো যায়নি কানাইয়ালালকে।

    হিন্দু দর্জি খুনের ঘটনার জেরে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয় রাজস্থানজুড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ডাকা হয় সর্বদলীয় বৈঠক। জয়পুরে আয়োজিত ওই বৈঠকে নেতৃত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। সেখানেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিরা। আবেদন জানান শান্তি বজায় রাখারও। মৃতের পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন : “দায়ী রাজ্যের তোষণের রাজনীতি”, উদয়পুর হত্যাকাণ্ডের নিন্দায় বসুন্ধরা রাজে

    কানাইয়ালাল খুনের ঘটনাকে সর্বদলীয় বৈঠকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের তকমা দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, অভিযুক্তদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক কোনও গোষ্ঠীর হাত রয়েছে। ওই বৈঠকে কংগ্রেস সহ অন্যান্য দলের পাশাপাশি দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছে বিজেপিও। সব দলের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়েছে শান্তি বজায় রাখার। এই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, এনআইএ-র পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড এবং স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ। তদন্তে রাজস্থান পুলিশ তাদের সবরকম ভাবে সাহায্য করছে। সাইবার ক্রাইম রুখতে সোশ্যাল মিডিয়ার কনটেন্টের ওপর নজরদারি চালাতে একটি শক্তপোক্ত সাইবার ইনটেলিজেন্স সিস্টেম তৈরি করার প্রস্তাবও ওই বৈঠকে দেন রাজস্থান বিধানসভার স্পিকার সিপি জোশী।

     

  • Amit Shah: আগামী ৩০-৪০ বছর ভারতে বিজেপি-রাজ, শীঘ্রই দখলে বাংলাও, প্রত্যয়ী শাহ   

    Amit Shah: আগামী ৩০-৪০ বছর ভারতে বিজেপি-রাজ, শীঘ্রই দখলে বাংলাও, প্রত্যয়ী শাহ   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৩০-৪০ বছর ভারতে (India) রাজ করবে বিজেপি (BJP)। দেশ হবে বিশ্বগুরু। তেলঙ্গানার হায়দরাবাদে (Hyderabad) বিজেপির দুদিনের জাতীয় কর্মসমিতির (National Executive Meeting) বৈঠকে এই আশা ব্যক্ত করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ (Amit Shah)। শীঘ্রই বাংলা এবং তেলঙ্গানাও পরিবারতন্ত্রের হাত থেকে মুক্তি পাবে বলে আশাবাদী অমিত।

    ১৮ বছর পর এবার ফের হায়দরাবাদে হচ্ছে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। দুদিন ব্যাপী ওই বৈঠক শুরু হয়েছে শনিবার। বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। রবিবার বৈঠকে প্রস্তাব পেশ করছিলেন শাহ। সেই সময়ই পরিবারতন্ত্রকে নিশানা করেন তিনি। বলেন, খুব শীঘ্রই বাংলা এবং তেলঙ্গানা পরিবারতন্ত্র থেকে মুক্তি পাবে। সেখানে বিজেপি জয়ী হবে।

    আরও পড়ুন : সব রাজ্যেরই উচিত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করা, জানালেন ধামি

    এদিনের ভাষণে কংগ্রেস ও তার সহযোগী দলগুলিকে নিশানা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, কংগ্রেস সহ বেশিরভাগ বিরোধী দল পরিবারতান্ত্রিক, নীতিহীন, দুর্নীতিগ্রস্ত, সুবিধাবাদী রাজনীতির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। আগে পরিবারতন্ত্র ও তুষ্টিকরণের ভিত্তিতে ভোট হত। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সেই অবস্থা থেকে মুক্তি মিলেছে। বর্তমানে নির্বাচন পলিটিক্স অফ পারফরম্যান্স এবং উন্নয়নের ওপর ভিত্তি করে হয়।

    এদিন রাজনৈতিক প্রস্তাবে শাহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে চলা পরিবারতন্ত্রের কথার উল্লেখ করেন। কংগ্রেসের দিকে নিশানা তাক করে তিনি বলেন, কংগ্রেস পারিবারিক দল হয়ে গিয়েছে। পরিবারের হাত থেকে ক্ষমতা চলে যাওয়ার ভয়ে সভাপতি নির্বাচনই করছে না। অচিরেই বাংলা, কেরালা, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওডিশায়ও বিজেপির সরকার হবে বলে প্রত্যয়ী শাহ। এর পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী ৩০-৪০ বছর ভারতে রাজ করবে বিজেপি। দেশ হবে বিশ্বগুরু।   দেশের বিভিন্ন জায়গায় আঞ্চলিকতাবাদ, পরিবারতন্ত্র এবং তোষণবাদ চলছে বলে এদিন পেশ করা বিজেপির রাজনৈতিক প্রস্তাবে অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই পরিস্থিতির বদল এনে বিজেপি চায় উন্নয়নের রাজনীতি, কাজ করার রাজনীতি।

    আরও পড়ুন : হায়দরাবাদে শুরু বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক, কেন বাছা হল নিজামের শহর?

     

LinkedIn
Share