Tag: bjp

bjp

  • Presidential Election: সন্ধ্যায় বৈঠকে বিজেপি, মঙ্গলেই চূড়ান্ত রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর নাম?  

    Presidential Election: সন্ধ্যায় বৈঠকে বিজেপি, মঙ্গলেই চূড়ান্ত রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর নাম?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আজ, মঙ্গলবারই রাষ্ট্রপতি (President) পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করবে বিজেপি (BJP)। সূত্রের খবর, এদিন সন্ধ্যায় বৈঠকে বসবেন বিজেপি নেতৃত্ব। তার পরেই চূড়ান্ত হবে প্রার্থীর নাম। ইতিমধ্যেই এনিয়ে ১৪ জনের একটি কমিটি তৈরি করেছে পদ্ম শিবির।এদিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সহ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।

    জুলাই মাসের ১৮ তারিখে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হওয়ার কথা। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৯ জুন। নির্বাচন হলে ভোট গণনা হবে ২১ জুলাই। বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের মেয়াদ শেষ হবে জুলাই মাসের ২৪ তারিখে। তার মধ্যেই সেরে ফেলতে হবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রয়োজনীয় ভোট এনডিএ-র নেই। তাই বিজু জনতা দল ও ওয়াইএসআরসিপির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি পদের লড়াইয়ে মুখ ফেরালেন মমতার তিন প্রার্থীই

    এদিকে, একটি সূত্রের খবর, বিজেপির রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হতে চলেছেন বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। সংঘ পরিবারের ইচ্ছেতেই তাঁকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করতে চলেছে পদ্ম নেতৃত্ব। উপরাষ্ট্রপতিকে আপাতত কয়েক দিনের জন্য সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করে দিল্লিতেই থাকতে বলা হয়েছে। নাইডু রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হলে তাঁকে সমর্থন করবে কেসিআরের দল তেলঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি। কারণ নাইডু অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের ভূমিপুত্র। তাছাড়া নাইডুর সঙ্গে কেসিআরের ব্যক্তিগত সম্পর্কও ভাল। বিজেপির এক দিল্লির নেতা বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আমাদের ভোটের যে খামতি রয়েছে, তা তো পূরণ হবেই, প্রয়োজনের থেকে অনেক বেশি সংখ্যক ভোট আমাদের ঝুলিতে আসবে। তিনি বলেন, এনডিএর বাইরে বিজেপি, ওয়াইএসআর কংগ্রেসের পাশাপাশি টিআরএসও আমাদের প্রার্থীকেই সমর্থন করবে। অন্য বিরোধী কয়েকটি দলের থেকেও সমর্থন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি পদে সর্বসম্মত প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব নাড্ডা, রাজনাথকে

    এদিকে, নাইডুর নাম এক প্রকার ঠিক হতেই তাঁর  পক্ষে সমর্থন জোগাড়ে নেমে পড়েছে বিজেপি। ঠিক হয়েছে, বিভিন্ন ধর্ম সম্প্রদায়ের ধর্মগুরুদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী। দেশের আইআইটি, আইআইএমের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আধিকারিক, ন্যাটো, রাষ্ট্রসংঘের মতো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া মহিলাদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও করবেন ভার্চুয়াল বৈঠক।

    এদিকে, এদিনই সন্ধ্যায় বৈঠকে বসতে চলেছেন বিজেপি বিরোধী ১৭টি রাজনৈতিক দল। বিরোধীদের তরফে রাষ্ট্রপতি পদে শোনা যাচ্ছে এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা, মাহাত্মা গান্ধীর প্রপৌত্র গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর নাম। তবে পাওয়ার এবং ফারুক দুজনেই জানিয়ে দিয়েছে, রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হতে রাজি নন তাঁরা।

     

  • Presidential Polls: জয়ী দ্রৌপদী, মমতা ব্যর্থ, তৃণমূলনেত্রীকে কটাক্ষ বিজেপির

    Presidential Polls: জয়ী দ্রৌপদী, মমতা ব্যর্থ, তৃণমূলনেত্রীকে কটাক্ষ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিহাস রচনা করেছেন দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi murmu)। রাষ্ট্রপতি (President) পদে জয়ী হয়েছেন তিনি। তাঁর জয়ে উল্লসিত আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন। এই প্রথম জনজাতি সম্প্রদায়ের কোনও মহিলা পা রাখতে চলেছেন রাইসিনা হিলসে (Raisina Hills)। দ্রৌপদীর ঐতিহাসিক জয়ের পর তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata)। তার পরেই তাঁকে নিশানা করেছেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব।

    রাষ্ট্রপতি পদে এনডিএর প্রার্থী হয়েছিলেন দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি বিরোধী ১৭টি দলের প্রার্থী হয়েছিলেন যশবন্ত সিনহা (Yashwant Sinha)। যশবন্ত তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি ছিলেন। পরে দল ছেড়ে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হন। বৃহস্পতিবার ফল বেরিয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের। বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। এর পরেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানান মমতা। শুভেচ্ছাবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত দ্রৌপদী মুর্মু অভিনন্দন জানাতে চাই। সংবিধানের আদর্শ রক্ষা করার জন্য ও গণতন্ত্রের রক্ষক হওয়ার জন্য দেশ আন্তরিকভাবে আপনাকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দেখবে। দেশের গণতন্ত্র যখন একটা সমস্যার মধ্যে দিয়ে চলেছে তখন আপনার ওপরে মানুষের আশা অনেক।

    আরও পড়ুন : মমতা আদিবাসী বিরোধী? পোস্টার সাঁটিয়ে প্রমাণ বঙ্গ বিজেপি-র

    এদিন মমতাকে কটাক্ষ করেন বিজেপির অমিত মালব্য (Amit Malviya)। ট্যুইট বার্তায় তিনি বলেন, দুই টিএমসি সাংসদ ও একজন বিধায়ক ক্রস ভোট দিয়েছেন। দুই টিএমসি সাংসদ ও ৪ জন বিধায়কের ভোট অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিরোধী ঐক্যের স্ব-নিযুক্ত সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর নিজের বিধায়কদের ওপরই রাশ টানতে ব্যর্থ হয়েছেন। অন্যদিকে, ভয় দেখানো সত্ত্বেও সমস্ত বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ বিধায়ক শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করেছেন।

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন : দ্রৌপদীকে ভোট দিতে পারব না, মোদির দূতকে বললেন মমতা

    এদিকে, দ্রৌপদীর জয়ে উল্লসিত জনজাতি সম্প্রদায়ের লোকজন। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, এদিকে ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ধামসা-মাদল নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। রাষ্ট্রপতি পদে যশবন্তকে প্রার্থী করার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল তৃণমূল সুপ্রিমোর। শরদ পাওয়ার, ফারুখ আবদুল্লা এবং গোপালকৃষ্ণ গান্ধী রাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে রাজি না হওয়ায় শেষমেশ যশবন্তকে প্রার্থী করা হয়। ভোটের ফলে দেখা যায় মুখ থুবড়ে পড়েছেন যশবন্ত। শেষ হাসি হেসেছেন বিজেপির দ্রৌপদী।

  • Howrah Violence: বিজেপিকে রুখতে অতিসক্রিয় পুলিশ! হাওড়া যাওয়ার আগেই ‘গৃহবন্দি’ সুকান্ত 

    Howrah Violence: বিজেপিকে রুখতে অতিসক্রিয় পুলিশ! হাওড়া যাওয়ার আগেই ‘গৃহবন্দি’ সুকান্ত 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্তি হল টানা দু’দিন। সড়ক অবরোধ, টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়াছুড়ি, বিজেপির পার্টি অফিস ভাঙচুর। তার পরেও ঢাল-তরোয়াল নিয়ে পুলিশ রইল দাঁড়িয়ে। এহেন ‘নিধিরাম সর্দার’ পুলিশই অতিসক্রিয় হয়ে উঠল শনিবার। ভাঙচুর হওয়া পার্টি অফিসের হাল দেখতে যখন পথে নামলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), বাহাদুরি কুড়নোর আশায় তখন তাঁর পথ আগলাল সেই পুলিশই। পুলিশের বিরুদ্ধে গৃহবন্দি করে রাখার অভিযোগ সুকান্তর।

    আরও পড়ুন :”ফের বাংলার মানুষকে বোকা বানালেন মুখ্যমন্ত্রী!” কী প্রসঙ্গে বললেন সুকান্ত?

    অগ্নিগর্ভ হাওড়া। বিক্ষোভকারীদের রোষের আগুনে পুড়েছে দোকান, পুলিশের কিয়স্ক। ভাঙচুর করা হয়েছে বিজেপির পার্টি অফিস। দু’দিন ধরে প্রতিবাদীদের তাণ্ডব চললেও, প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। হাওড়ার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শনিবার সকালে বাড়ি থেকে রওনা দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি যখন নিউটাউনের বাড়ি থেকে বের হচ্ছিলেন, তখনই তাঁকে আটকে দেয় পুলিশ। তড়িঘড়ি তাঁর বাড়ির সামনে বসিয়ে দেওয়া হয় গার্ড রেল। মোতায়েন করা হয় পুলিশ। পুলিশের এই অতিসক্রিয়তায় ক্ষোভ উগরে দেন সুকান্ত। বলেন, “পদাধিকারী হিসেবে হাওড়ায় ভাঙচুর হওয়া পার্টি অফিসে যাওয়া আমার কর্তব্য। কিন্তু কোনও কাগজপত্র ছাড়াই আমাকে আটকে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, পুলিশ কোনও কারণ দেখাতে পারেনি। বলেছে, হাওড়ায় ১৪৪ ধারা জারি। কিন্তু হাওড়া আমার বাড়ি থেকে অনেক দূর। ১১টা নাগাদ যখন আমি বাড়ি থেকে বেরতে গিয়েছিলাম, তখনই আমাকে আটকে দেওয়া হয়। কেন আমাকে বাড়ির মধ্যে বন্দি করে রাখা হল, বুঝতে পারছি না।”

    [tw]


    [/tw]

    হাওড়ার ঘটনায় রাজ্য সরকারকে আক্রমণ শানান সুকান্ত। বলেন, “মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায় তিন দিন ধরে বসে আছেন। কোনও পদক্ষেপ করেনি। তিনি তাঁর প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি কোনও পদক্ষেপ করলে আজ এই পরিস্থিতি তৈরি হত না। ঝাড়খণ্ডে প্রতিবাদ হয়েছে। কিন্তু পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের উচিত ছিল লাঠিচার্জ করা।

    সুকান্তকে আটকানো হলেও, এদিন পাঁচলা গিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। ভাঙচুর হওয়া পার্টি অফিস ঘুরে দেখেন তিনি। হাওড়ার (Howrah) অশান্তির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনিও। দিলীপের অভিযোগ, হাওড়া থেকে মালদহ-মুর্শিদাবাদ পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় যে অশান্তি হচ্ছে, সরকার তা থামানোর চেষ্টা করছে না। এ রাজ্যের বিরাট এলাকার মানুষ অ-সুরক্ষিত। তাঁর অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে হিংসা চালানো হচ্ছে হাওড়ায়। তার পরেও পুলিশ তা আটকায়নি।

    সুকান্তের মতোই এদিন পাঁচলা যাওয়ার পথে আটকে দেওয়া হয়েছে বিজেপি নেত্রী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের (Priyanka Tibrewal) গাড়ি। কিছুক্ষণ পরেই অবশ্য ছেড়ে দেওয়া হয়। ১৪৪ ধারা জারির কথা বলে পাঁচলায় তাঁকে ফের আটকায় পুলিশ। এলাকার একটি ক্লাবঘরে বসে পড়েন প্রিয়ঙ্কা। প্রসঙ্গত, এই প্রিয়ঙ্কাই ভবানীপুর উপনির্বাচনে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বাজি ছিলেন বিজেপির। এদিকে, রবিবার ভাঙচুর হওয়া পার্টি অফিস পরিদর্শনে যাবেন শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারী। এদিন নিজেই ট্যুইট করে এ কথা জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। 

    [tw]


    [/tw]

     

  • Presidential Election: আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ-র প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু

    Presidential Election: আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ-র প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জল্পনার অবসান। আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে (Presidential Election 2022) কাকে প্রার্থী করবে বিজেপি (BJP), সেই নিয়ে তুমুল কৌতুহল ছিল জাতীয় রাজনীতি মহলে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেই জল্পনার যবনিকা পতন হল। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করল বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ (NDA)। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ প্রার্থী (NDA candidate) হিসেবে এদিন দ্রৌপদী মুর্মুর (Draupadi Murmu) নাম ঘোষণা করেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (Nadda)। তিনি বলেন, এই প্রথমবার একজন আদিবাসী মহিলাকে প্রার্থী করা হল। 

    নাম ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্যুইট করে পদপ্রার্থীকে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। তিনি লেখেন, সমাজসেবা এবং দরিদ্র, পিছিয়ে পড়া ও প্রান্তিক মানুষদের ক্ষমতায়নের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁর বিশাল প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা রয়েছে। একইসঙ্গে রাজ্যপাল হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। আমি নিশ্চিত তিনি আমাদের দেশের একজন মহান রাষ্ট্রপতি হবেন।

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী জোটের প্রার্থী যশবন্ত সিনহা

    কোনও অঘটন না ঘটলে, ৬৪ বছর বয়সি দ্রৌপদী মুর্মুই হতে চলেছেন দেশের ১৫তম রাষ্ট্রপতি। নির্বাচিত হলে তিনিই হবেন দেশের দ্বিতীয় মহিলা রাষ্ট্রপতি। দ্রৌপদীই হবেন দেশের প্রথম সাঁওতালি মহিলা যিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন।

    কে এই দ্রৌপদী মুর্মু?

    ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার বাইদাপোসি গ্রাম থেকে উঠে আসা দ্রৌপদী প্রথম জীবনে শিক্ষকতা করতেন। স্বামী শ্যামচরণ মুর্মু মারা যাওয়ার পর কিছুদিন কাজ করেছিলেন সেচ দফতরের ছোট কেরানি হিসেবে। ১৯৯৭ সালে যোগ দেন ওড়িশার রাজনীতিতে। রাইরঙপুরে পুরসভার কাউন্সিলর হন। এরপর তাঁকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। দীর্ঘ সময় তিনি ছিলেন বিজেপির তফশিলি উপজাতি মোর্চার সহ সভানেত্রী।

    ২০০০ সালে প্রথমবার বিধায়ক নির্বাচিত হন রাইরঙপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। জিতেই বিজেপি-বিজেডি জোট সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন দ্রৌপদী মুর্মু। বাণিজ্য ও পরিবহণ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মৎস্য ও পশুপালন দফতরও তাঁকে সামলাতে হয়েছে। ২০০০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ওড়িশা বিধানসভার মন্ত্রী ছিলেন দ্রৌপদী মুর্মু। 

    এরপর আরও একবার ২০০৯ সালে তিনি ওড়িশা বিধানসভার বিধায়ক নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালে তাঁকে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল হিসেবে নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। এর আগে ঝাড়খণ্ড রাজ্য তৈরি হওয়ার পর কোনও রাজ্যপালই পূর্ণ মেয়াদ কাজ করতে পারেননি। সেই দিক দিয়ে দ্রৌপদী মুর্মুই প্রথম রাজ্যপাল যিনি পূর্ণ মেয়াদ ছিলেন ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল ভবনে। গতবছর ২০২১ সালেই পূর্ণ করেছেন তাঁর রাজ্যপালের মেয়াদ। 

    ২০১৭ সালেও উঠেছিল তাঁর নাম

    ২০১৭ সালেই দিল্লি রাজনীতির অন্দরে দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোরাফেরা করছিল দ্রৌপদী মুর্মুর নাম। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের উত্তরসুরী হিসেবে। কিন্তু সেবার বিজেপি রাষ্ট্রপতি পদের জন্য রামনাথ কোভিন্দের নাম সুপারিশ করে। বিহারের রাজ্যপাল থেকে প্রথমবার দেশের দলিত রাষ্ট্রপতি হন কোভিন্দ। ঠিক পাঁচ বছর পর ঐ একই পদের জন্য ফের উঠে এল দ্রৌপদী মুর্মুর নাম। এবার, তাঁকেই রাষ্ট্রপতি হিসেবে এনডিএ-র পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করল বিজেপি।

    গতকাল ২০শে জুন নিজের ৬৪তম জন্মদিন পালন করেছেন দ্রৌপদী মুর্মু। ২১ জুনের সন্ধ্যায় বিজেপির ঘোষণা, দেশের ১৫তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে এনডিএ প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এই তফশীলি উপজাতি নেত্রী।

  • Rahul Gandhi: কেউ রানি ভিক্টোরিয়া বা যুবরাজ নয়! সোমবার রাহুলের জেরা প্রসঙ্গে বিজেপি

    Rahul Gandhi: কেউ রানি ভিক্টোরিয়া বা যুবরাজ নয়! সোমবার রাহুলের জেরা প্রসঙ্গে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald) মামলায় সোমবার আবারও ইডির (ED) জেরার মুখে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এদিন সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসে পৌঁছন রাহুল। 

    গত সপ্তাহে টানা তিনদিন ৩০ ঘণ্টা রাহুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। গত শুক্রবারই চতুর্থবার জেরার জন্য কংগ্রেস সাংসদকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু মা সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখার করার জন্য তা পিছনোর আর্জি জানিয়ে ইডিকে চিঠি লিখেছিলেন রাহুল। তা মেনে নিয়ে ২০ জুন হাজিরার নির্দেশ দেয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেইমতোই এদিন ইডির দফতরে পৌঁছন রাহুল। চলে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব।

    এদিকে, রাহুল গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু করেছে কংগ্রেস। দিল্লির যন্তর মন্তরে সত্যাগ্রহ শুরু করেছেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, সলমন খুরশিদ, ভি নারায়ণ স্বামীরা। কংগ্রেসের বিক্ষোভ আটকাতে দিল্লিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ইডি দফতরের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। 

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় রাহুলকে ইডির (Enforcement Directorate) জেরা নিয়ে কড়া ভাষায় কংগ্রেসের সমালোচনা করে বিজেপি। দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেন, “এ দেশে না কেউ রানি ভিক্টোরিয়া (Queen Victoria ), না কেউ যুবরাজ চার্লস (Prince Charles)। যে তাঁকে জেরা করা যাবে না। এদেশে আইনের চোখে সবাই সমান। কারও বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে বা উঠলে তদন্তকারী সংস্থা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পারে।” তাঁর দাবি, জনগণ জানে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় গান্ধী পরিবার এবং রাহুল গান্ধীর ভূমিকার কথা। সুতরাং,এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট মনে করলে গান্ধী পরিবারের যে কোনও সদস্যকে ডেকে জেরা করতেই পারে। এই জেরার অধিকার তাদের রয়েছে। সম্বিত আরও বলেন, “ইডি কথার অর্থ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, এন্টাইটেলমেন্ট ডিরেক্টরেট নয়। এটা যেন কংগ্রেস বা রাহুল গান্ধী ভুলে না যান।”

    আরও পড়ুন: কেন রাহুল গান্ধীকে জেরা, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা কী?

    এর আগে রাহুলকে তলব নিয়ে কংগ্রেস মুখপাত্র অজয় মাকেন বলেন, “আমার জানা নেই যে কংগ্রেসকে (Congress) যেভাবে দিনের পর দিন হেনস্থা করা হচ্ছে, সেভাবে অন্য কোনও দলকে হেনস্থা করা হয়েছে কি না। আর এই হেনস্থার একমাত্র উদ্দেশ্য হল রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেসের মুখ বন্ধ করা। এভাবে কোনও একটি রাজনৈতিক দলের মুখ বন্ধ করা যায় না।”

    প্রসঙ্গত, এই মামলায় শুধু রাহুল নয় সনিয়া গান্ধীকেও ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি৷ কিন্তু করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর নির্ধারিত দিনে ইডি অফিসে হাজিরা দিতে পারেননি কংগ্রেস সভানেত্রী৷ এই মুহূর্তে তিনি ভর্তি গঙ্গারাম হাসপাতালে৷ পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠলে ইডি দফতরে তিনি যাবেন বলে জানিয়েছে কংগ্রেস৷

  • Presidential Polls: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী জোটের প্রার্থী যশবন্ত সিনহা

    Presidential Polls: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী জোটের প্রার্থী যশবন্ত সিনহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব জল্পনার অবসান। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে (Presidential Polls) বিরোধী জোটের (opposition) সর্বসম্মত প্রার্থী হচ্ছেন যশবন্ত সিনহা। মঙ্গলবার দুপুরে দিল্লিতে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের বাড়িতে ১৮টি জোটের বৈঠকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকের পর পাওয়ার, কংগ্রেস  (Congress) নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে-সহ বিরোধী নেতারা সাংবাদিক সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। পাওয়ার বলেন, ‘‘বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে ধর্মনিরপেক্ষ শিবিরের সর্বসম্মত প্রার্থী হবেন যশবন্ত।” 

    এদিন ১৮টি বিরোধী দলের বৈঠকে যোগ দেয় ওয়েইসির ‘মিম’, কংগ্রেস, তৃণমূল, এনসিপি, সিপিএম, সিপিআই, আরজেডি, এসপি, ডিএমকে, আরএসপি। শরদ পাওয়ার জানান, যশবন্ত সিন্হাকে সমর্থন করেছে আম আদমি পার্টি (AAP) ও TRS। এর আগেই তৃণমূল থেকে পদত্যাগ করেছেন যশবন্ত।  তারপরই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর প্রার্থীপদে সিলমোহর দেয় বিরোধীরা। ২৭ জুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মনোনয়ন পেশ করবেন যশবন্ত। ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। যদিও এই নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী কে, তা এখনও দলের তরফে ঘোষণা করা হয়নি।

    [tw]


    [/tw]

    প্রাক্তন আমলা যশবন্ত ১৯৮৪ সালে জনতা দলের হাত ধরে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেন। এর পর তাঁর সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। তিনি বিজেপি-র মুখপাত্রও ছিলেন এক সময়। অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে অর্থ এবং বিদেশমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও সামলেছেন। কিন্তু ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের হাতে দলের রাশ ওঠার পর থেকেই বিজেপি-র সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে।  ২০১৮ সালে বিজেপি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। 

    আরও পড়ুন: সন্ধ্যায় বৈঠকে বিজেপি, মঙ্গলেই চূড়ান্ত রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর নাম?

    এদিন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ ট্যুইট করেন,“আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আমরা একজন সাধারণ প্রার্থী নির্বাচন করার এবং মোদি সরকারকে আরও ক্ষতি করা থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজ অনুষ্ঠিত বৈঠকে আমরা যশবন্ত সিনহাকে সাধারণ প্রার্থী হিসাবে বেছে নিয়েছি। আমরা সমস্ত রাজনৈতিক দলকে যশবন্ত সিনহাকে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন করছি।”  

  • Rajya Sabha Polls Update: রাজ্যসভা নির্বাচনে ১৬-র মধ্যে ৮ আসনে জয়ী বিজেপি

    Rajya Sabha Polls Update: রাজ্যসভা নির্বাচনে ১৬-র মধ্যে ৮ আসনে জয়ী বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যসভার (Rajya Sabha) ১৬টি আসনের মধ্যে বিজেপির (BJP) দখলে এল ৮। বাকি ৭টি আসনের রাশ গিয়েছে কংগ্রেস (Congress)-এনসিপি (NCP)-শিবসেনা (Shivsena) জোটের দখলে। বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী জয়ী হয়েছেন একটি আসনে।

    ১৫টি রাজ্য মিলিয়ে রাজ্যসভার মোট ৫৭টি আসনে ভোট হওয়ার কথা ছিল ১০ জুন। ৪১ জন প্রার্থী আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়ে যাওয়ায় এদিন ভোট হয়েছে ১৬টি আসনে। নির্বাচনে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, কর্নাটক ও রাজস্থান চার রাজ্যে নিয়োগ করা হয়েছে বিশেষ পর্যবেক্ষক। পুরো ভোটপর্ব ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। চার রাজ্যের ১৬টি আসনে ভোট হলেও, জোর লড়াই হয়েছে মূলত রাজস্থান ও মহারাষ্ট্রে।

    আরও পড়ুন : টানটান উত্তেজনায় শেষ রাজ্যসভা নির্বাচন, হল ক্রস ভোটিংও

    এদিন ক্রসভোটিংয়ের সম্ভাবনা ছিল। হয়েছেও তাই। কর্নাটকে জনতা দল সেকুলারের (JDS) দুই বিধায়ক ভোট দিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থীকে। ভোটপর্ব শুরু হয়েছিল সকাল ৯টায়। শেষ বিকেল ৪টায়। বিকেল পাঁচটায় শুরু হয় গণনা। ফল প্রকাশ হতেই দেখা যায়, ১৬টি আসনের মধ্যে বিজেপি প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন ৮টি আসনে। বাকি ৭টিতে কংগ্রেস। বিজেপি সমর্থিত এক নির্দল প্রার্থীও জয়ী হয়েছেন।

    যে ১৬টি আসনে ভোট হয়েছে, তার মধ্যে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) আসন সংখ্যা ৬। রাজস্থান ও কর্নাটকে ৪টি করে আসন। আর দুটি আসন হরিয়ানায় (Haryana)। গণনা শেষ হয় মধ্য রাতে। তখনই জানা যায়, মহারাষ্ট্রের তিনটি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস-এনসিপি-শিবসেনা জোট জয়ী হয়েছে একটি আসনে। হরিয়ানায় বিজেপি জিতেছে একটি আসন। আর বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী জয়ী হয়েছেন একটি আসনে।

    আরও পড়ুন : রাজ্যসভা নির্বাচনে প্রথম ১৬ জনের তালিকা প্রকাশ বিজেপির, কারা পেলেন জায়গা?

    রাজস্থানের (Rajasthan) কুর্সিতে রয়েছে কংগ্রেস। সেখানে তিনটি আসনে জয়ী হয়েছে সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) দল। একটি আসনে জয়ী হয়েছেন পদ্ম-প্রার্থী। কর্নাটকে (Karnataka) রাজ্যসভার তিনটি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। আর কংগ্রেস পেয়েছে একটি আসন।

    আগামী মাসেই রয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Presidential Polls)। তাই রাজ্যসভার এই নির্বাচন শাসক এবং বিরোধী দু পক্ষের কাছেই ছিল গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে রাজ্যসভায় স্বভাবতই শক্তি বাড়ল বিজেপির। শক্তি খোয়াল কংগ্রেস। প্রত্যাশিতভাবেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অ্যাডভান্টেজ বিজেপি!

     

  • Howrah Violence: অগ্নিগর্ভ হাওড়া, রাজ্যপালকে চিঠি শুভেন্দুর, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি রাজ্য বিজেপির

    Howrah Violence: অগ্নিগর্ভ হাওড়া, রাজ্যপালকে চিঠি শুভেন্দুর, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি রাজ্য বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নূপুর শর্মা (Nupur Sharma) বিতর্কে অগ্নিগর্ভ হাওড়া (Howrah)। সেনা নামিয়ে মানুষের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার আবেদন জানিয়ে রাজ্যপালকে মেল করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu)। শুভেন্দুর সেই চিঠি ট্যুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। এদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের অনুরোধ জানিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির সহ সভাপতি সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)।

    হজরত (Prophet) মহম্মদকে নিয়ে দিনকয়েক আগে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বিজেপির (BJP) প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মা। ঘটনার পরে পরেই তাঁকে সাসপেন্ড করে দল। কেড়ে নেওয়া হয় প্রাথমিক সদস্যপদও। তার পরেও শান্ত হয়নি বাংলার হাওড়া (Howrah)। জেলার উলুবেড়িয়া, ধুলোগড়, ডোমজুড়, শলপ সহ বিভিন্ন এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের গাড়ি, কিয়স্কে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা অবরোধ করে রাখা হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। পাঁচলায় বিজেপির পার্টি অফিসে হামলা চালানো হয়। হাওড়ার অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। শলপে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। রেল লাইনে অবরোধের জেরে হাওড়া দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল।

    আরও পড়ুন : অফিসে পুলিশি হানা কেন? বিহিত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির প্রতিবাদে সরব হন শুভেন্দু। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে উলুবেড়িয়ার নিমদিঘি থেকে পাঁচলা পর্যন্ত কয়েকশো গাড়ি ভাঙা হচ্ছে, পোড়ানো হচ্ছে। তাতে নিরপরাধ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ আছেন। গোটা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে সকাল থেকে রাজ্যপালকে একাধিক ভিডিও, ট্যুইট করেছি। মেলেও সেনা নামিয়ে মানুষের জীবন সম্পত্তি রক্ষার আবেদন জানিয়েছি রাজ্যপালকে।

    [tw]


    [/tw]

    তাঁকে লেখা চিঠির কপি ট্যুইট করেছেন রাজ্যপাল। সেই সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে (Chief Secretary) তিনি লেখেন, পূর্ব নির্ধারিত আলোচনার সময় সশস্ত্র বাহিনী বা আধা সেনা মোতায়েনের বিষয়ে যেন রাজ্য সরকারের অবস্থান তাঁর কাছে স্পষ্ট করা হয়। রাজ্য প্রশাসনের বক্তব্য, পুলিশ ওই এলাকায় আগে থেকেই সক্রিয়। প্রচুর পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে। শুক্রবার রাত থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা (Internet cut off)।

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন : বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড নূপুর শর্মা, নবীন জিন্দালকে বহিষ্কার বিজেপি-র

    এদিকে, রাজ্যের অশান্তির এই খণ্ডচিত্রের ছবি তুলে ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিলেন বিজেপি সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। রাজ্যের পরিস্থিতি আয়ত্ত্বে আনতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

  • Suvendu Adhikari: উঠল সাসপেনশন, বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন শুভেন্দুরা

    Suvendu Adhikari: উঠল সাসপেনশন, বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন শুভেন্দুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সহ সাত বিজেপি (BJP) বিধায়কের (MLA)। সাসপেনশন (Suspension) প্রত্যাহারের প্রতিবাদে ধর্নায় বসেছিল বিজেপি। এদিন সাসপেনশন তুলে নেওয়া হতেই উঠে যায় ধর্নাও। সাসপেনশন উঠে যাওয়ায় এবার বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন ওই সাত বিধায়ক।  

    বিধানসভায় বিশৃঙ্খলার অভিযোগে গত বাজেট অধিবেশনে সাসপেন্ড হয়েছিলেন শুভেন্দু সহ বিজেপির সাত বিধায়ক। সাসপেনশন জারি ছিল এই অধিবেশনেও। সাসেপনশন প্রত্যাহারের আর্জি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন বিজেপির সাসপেন্ডেড বিধায়করা। সাসেপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে ধর্নায়ও বসেছিলেন তাঁরা। তার পরেও প্রত্যাহার করা হয়নি সাসপেনশন।

    আরও পড়ুন : সুকান্তর পর শুভেন্দু! এবার হাওড়া যাওয়ার পথে বিরোধী দলনেতাকে আটকাল পুলিশ!

    এর আগে একবার সাসেপনশন তোলার প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পিকার জানিয়েছিলেন, বিজেপির আনা প্রস্তাবে ভুল ছিল। যদিও রাজ্যের বিরোধী দলনেতার পাল্টা দাবি, প্রস্তাবে কোনও ভুল ছিল না।

    এদিন শুভেন্দুদের নয়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয় অধিবেশনে। শুভেন্দুদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের প্রস্তাবে সায় দেয় তৃণমূলও। তার পরেই আনুষ্ঠানিকভাবে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু সহ সাত বিজেপি বিধায়কের সাসপেনশন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন। শুভেন্দু ছাড়াও যাঁদের সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হয়েছে তাঁরা হলেন, শঙ্কর ঘোষ, দীপক বর্মণ, মনোজ টিগ্গা, নরহরি মহাতো, সুদীপ মুখোপাধ্যায় এবং মিহির গোস্বামী।

    আরও পড়ুন : অফিসে পুলিশি হানা কেন? বিহিত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, এদিন বিএ কমিটির বৈঠকে হাজির ছিলেন না বিজেপির কোনও প্রতিনিধিই। তবে শাসকদলের বাকি সদস্যরা সম্মতি দিয়েছিলেন সাসপেনশন প্রত্যাহারের পক্ষে। তার পরেই সাসপেনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন স্পিকার।

    গত বাজেট অধিবেশনে সাসপেন্ড হয়েছিলেন শুভেন্দু সহ বিজেপির সাত বিধায়ক। এর মধ্যে আবার অসংসদীয় আচরণের জন্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছিলেন স্পিকার। বিধানসভায় তাঁর অফিসে বসার ক্ষেত্রেও জারি করা হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। এনিয়ে আদালতে যান শুভেন্দু। আদালত বিষয়টি মীমাংসার পরামর্শ দেয়। তার পর সোমবার পদ্ধতিগত ত্রুটির কথা বলে বিজেপি বিধায়কদের প্রথম আবেদনপত্রটি খারিজ করে দেন স্পিকার। আদালতের নির্দেশে এদিন ফের একবার আবেদন করেন শুভেন্দুরা।

     

  • JP Nadda: “শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গেও গণতান্ত্রিক উপায়ে সরকার গঠন”, রাজ্যে এসে বার্তা নাড্ডার

    JP Nadda: “শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গেও গণতান্ত্রিক উপায়ে সরকার গঠন”, রাজ্যে এসে বার্তা নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাজনীতিতে কোনও কিছুই স্থির থাকে না, আজ যা আছে তা আগামীকাল থাকবে না, যা আগামীকাল হবে তা পরশু থাকবে না।” রাজ্যে এসে তৃণমূলকে এভাবেই কটাক্ষ করলেন জগৎ প্রকাশ নাড্ডা।

    আগামী বছর রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে, দলের মনোবল বাড়াতে মঙ্গলবার, ২ দিনের বঙ্গ সফরে এসেছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি। একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। দলের কর্মসমিতির বৈঠকে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি, বিভিন্ন জনসংযোগ কর্মকাণ্ডে তিনি এদিন যোগ দেন।

    এদিন বিহার-উত্তরপ্রদেশের তুলনা টেনে এনে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি মনে করিয়ে দেন, কোনও রাজ্যে কোনও দলই চিরস্থায়ী থাকতে পারে না। তিনি বলেন, “২০ বছর আগেও কেউ ভাবেনি বিহার থেকে লালুপ্রসাদ যাদবের রাজত্ব শেষ হবে। কিন্তু বিজেপি সেখানেও পূর্ণ শক্তি নিয়ে এসেছে। উত্তরপ্রদেশে কেউ ভাবেনি যে মুলায়ম সিংয়ের শাসন শেষ হবে। আজ সেখানে বিজেপি সবাইকে সাফ করে দিয়েছে। সর্বত্র বিজেপি সরকার গঠিত হচ্ছে।” 

    আরও পড়ুন: বাংলার হারানো গৌরব ফেরাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, রাজ্য সফরে এসে নাড্ডা

    নাড্ডা বলেন, “আমাদের সবসময় সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোন শক্তিকে রাজনৈতিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। সেই জন্য নিজেদের শক্তি সম্পর্কেও ধারণা থাকা উচিত।” নাড্ডার বিশ্বাস, আগামীদিনে পশ্চিমবঙ্গ সহ অন্যান্য রাজ্যগুলিতেও বিজেপি সরকার গঠনে সক্ষম হবে। তিনি বলেন, “আমরা অন্ধ্রপ্রদেশে, তেলেঙ্গানায় এবং খুব শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গেও গণতান্ত্রিক উপায়ে সরকার গঠন করব।”

    রাজ্যের বর্তমান শাসক দলকে আক্রমণ করে নাড্ডা বলেন, “বাংলা সম্পর্কে একসময় বলা হতো যে Which Bengal thinks today, India thinks tomorrow. বাংলাকে এক সময় অর্থনৈতিক রাজধানী বলা হলেও আজ এখানে শোচনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।” 

    পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি যোগ করেন, ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো (NCRB)-এর মতে, আজ পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি অপহরণের ঘটনা ঘটছে। পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি নারী পাচার হচ্ছে। তাঁর প্রশ্ন, একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজত্বে রাজ্যের এই হাল?”

    আরও পড়ুন: কাশী-মথুরা নিয়ে কী ভাবছে বিজেপি? স্পষ্ট করলেন নাড্ডা

    এই প্রেক্ষিতে নাড্ডা জানান, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কী কী করেছে, তার খতিয়ান তুলে ধরেন নাড্ডা। বলেন, “স্বচ্ছ ভারত মিশনের অধীনে, ৭৪ লক্ষ পশ্চিমবঙ্গে নির্মিত হয়েছে। পাশাপাশি, জনধন যোজনার অধীনে পশ্চিমবঙ্গে ২.৮২ কোটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ লক্ষ বাড়ির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।”

LinkedIn
Share