Tag: bjp

bjp

  • Santosh Mitra Square: সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে বাতিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, প্রদীপ জ্বালিয়ে মাকে আবাহন

    Santosh Mitra Square: সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে বাতিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, প্রদীপ জ্বালিয়ে মাকে আবাহন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar) নিয়ে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন হয়েছে। এখনও আন্দোলন জারি রেখেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সাধারণ মানুষও রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। এই আবহের মধ্যে এবছরের পুজোয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিল করার কথা ঘোষণা করল সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার (Santosh Mitra Square) পুজো কমিটি। ইতিমধ্যেই পুজো কমিটির কর্মকর্তারা এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। তবে, পুজোতে আর কী কাটছাঁট করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।

    প্রদীপ জ্বালিয়ে মাকে আবাহন (Santosh Mitra Square)

    এলাকার কয়েক হাজার মা-বোনেদের হাতের জ্বলন্ত প্রদীপ শিখায় মাকে আবাহন করা হবে বলে জানিয়েছে তারা। পুজো কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার, সন্ধ্যে ৭টা থেকে ৯টা এই প্রদীপ জ্বালানোর অনুষ্ঠান হবে। মায়ের কাছে প্রার্থনা করা হবে, যাতে পশ্চিমবঙ্গে অভয়া-নির্ভয়াদের পুনরাবৃত্তি না হয়। উল্লেখ্য, বিজেপি নেতা সজল ঘোষের পুজো বলে খ্যাত সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের (Santosh Mitra Square) আয়োজন নিয়ে প্রতি বছরই আগাম কৌতূহল থাকে। গত বছর এখানেই করা হয়েছিল রামমন্দির। পুজো উদ্বোধনে এসেছিলেন খোদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। এবারেও জাঁকজমকের প্রস্তুতি ভালোই ছিল। জানা গিয়েছিল, আমেরিকার লাস ভেগাস শহরের বিখ্যাত স্ফিয়ারের অনুকরণে আলোর গোলক থিমে সাজবে মণ্ডপ। কিন্তু, এবছর পুজোর আগে বদলে যায় শহরের পরিস্থিতি।

    আরও পড়ুন: আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি, গ্রেফতার ১

    ঢাকের বাদ্যির সঙ্গেই বেজে ওঠে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ দাবি

    আরজি কর কাণ্ডে নৃশংস ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদে রব ওঠে বিচার চেয়ে। বিতর্ক তৈরি হয় ‘উৎসব’ নিয়েও। এমনিতেই রাজ্যের একাধিক ক্লাব পুজোয় সরকারি অনুদান ফিরিয়ে দিয়ে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কলকাতার পুজোয় সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার (Santosh Mitra Square) বাড়তি আকর্যণ। প্রশ্ন ওঠে, এই আরজি করের ঘটনার মাঝে এবার পুজোয় সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার কি তাহলে উৎসবে মাতবে? ৩০ সেপ্টেম্বর পুজোর উদ্বোধনের দিন দেখা যায়, মায়ের আগমনে প্রতিবাদের ছবি। চিকিৎসক ধর্ষণ- খুনের বিচার চেয়ে সন্ধ্যা দখল করেন এলাকার মহিলারা। ঢাকের বাদ্যির সঙ্গেই বেজে ওঠে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ দাবি। তবে পুজোর আগেই পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে, তাই প্রথমেই বাদ পড়েছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। পুজোর ক’টা দিন কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয় বিরোধী শিবিরের এই পুজোয়, সেদিকেই এখন নজর সকলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bansdroni: বাঁশদ্রোণীতে ছাত্র মৃত্যু, স্থানীয়দের প্রবল বিক্ষোভের মুখে শাসক দল, থানায় রাতভর ধর্না রূপার

    Bansdroni: বাঁশদ্রোণীতে ছাত্র মৃত্যু, স্থানীয়দের প্রবল বিক্ষোভের মুখে শাসক দল, থানায় রাতভর ধর্না রূপার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পে লোডারের ধাক্কায় নবম শ্রেণির পড়ুয়ার মৃত্যু, আর তাতেই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাঁশদ্রোণী (Bansdroni Agitation)। স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ উগরে দেন কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ছাত্রের মৃত্যুর পর থেকে এলাকায় দেখা মেলেনি স্থানীয় কাউন্সিলর অনিতা কর মজুমদারের। অবশ্য বিরোধীদের দাবি, ঘটনাস্থলে না এলেও তিনি নাকি থানায় ‘পুলিশি নিরাপত্তায়’ রয়েছেন। রাস্তার বেহাল দশা নিয়েও সরব স্থানীয়রা। পাটুলি থানার ওসিকে আটকে রেখে বিক্ষোভ চলে দফায় দফায়। পরে কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার প্রদীপ ঘোষালকেও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। প্রায় ৭ ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখা হয় পুলিশকে। পুলিশের সঙ্গে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। এই সময় তৃণমূল কর্মীরা স্থানীয়দের ধাক্কা দিয়ে পুলিশকে সরায় বলে অভিযোগ। এরপর বিকালে কলকাতা পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ শহরতলি) বিদিশা কলিতা দাশগুপ্ত ঘটনাস্থলে গেলে শুরু হয় ধরপাকড়। জানা গিয়েছে, বিক্ষোভ প্রদর্শনের ঘটনায় পাটুলি থানায় চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিজেপি (BJP) নেত্রী রুবি মণ্ডল-সহ মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

    কী বলছেন  বিজেপি (BJP) নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়? (Bansdroni Agitation)

    বুধবার রাতে বাঁশদ্রোণী থানায় (Bansdroni Agitation) পৌঁছান বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। নেতৃত্বে ছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। থানার ভিতরে প্রবেশ করেন রূপা। বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। গেরুয়া শিবিরের দাবি, ‘‘কোনও অভিযোগ ছাড়াই বিজেপি নেত্রী রুবি মণ্ডলকে আটক করে বাঁশদ্রোণী থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের কাউকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি।’’ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘(বুধবার) সকাল থেকে ওঁরা ধরতে পারেননি অভিযুক্তদের। তবে আমি আশা করছি ওঁরা ধরে ফেলবেন। যতদিন না অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হচ্ছে ততক্ষণ আমি বসে থাকব এখানে।’’ তিনি জানান, রাতে এক বার থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান তিনি। কিন্তু, অভিযুক্তদের ধরার বিষয়ে কোনও আশ্বাস দিতে পারেনি পুলিশ।

    মৃত পড়ুয়া ১১৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা

    জানা গিয়েছে, মৃত ওই পড়ুয়া কলকাতা পুরসভার ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ওই এলাকার রাস্তায় (Bansdroni Agitation) খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলছিল। অভিযোগ, কোচিং সেন্টারে যাওয়ার সময়ই ছাত্রকে ধাক্কা মারে জেসিবি। গাছের সঙ্গে তাকে পিষে দেয়। মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে ছাত্রকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: মমতা জমানায় নারী নির্যাতনের বধ্যভূমি বাংলা! ‘ব্ল্যাক পেপার’ বই প্রকাশ রাজ্য বিজেপির

    BJP: মমতা জমানায় নারী নির্যাতনের বধ্যভূমি বাংলা! ‘ব্ল্যাক পেপার’ বই প্রকাশ রাজ্য বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডে উত্তাল বাংলা। এই আবহে মমতা জমানায় নারী নির্যাতনের ঘটনাগুলিকে তুলে ধরে বই প্রকাশ করল গেরুয়া শিবির। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ব্ল্যাক পেপার’। মঙ্গলবারই এই বই প্রকাশ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় বিজেপির (BJP) রাজ্য সদর দফতরে। গেরুয়া শিবির (BJP) সূত্রে খবর, আরজি করের ঘটনার পাশাপাশি গত তেরো বছরের নারী নির্যাতনের ঘটনাগুলির জেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে। বইটি তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল, অধ্যাপক বিমলশঙ্কর নন্দ, অধ্যাপক অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক জয়ন্ত গুহ ও ডাক্তার মধুছন্দা কর। যে ঘটনাগুলির ক্ষেত্রে রাজ্য এফআইআর নেয়নি, সেরকম কিছু ঘটনাও ‘ব্ল্যাক পেপার’-এ উঠে এসেছে।

    কী বলছেন শমীক ভট্টাচার্য?

    জানা গিয়েছে, বিজেপি (BJP) পুজোয় যে স্টল দিচ্ছে, সেখানে এই ‘ব্ল্যাক পেপার’ থাকবে। মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে মমতার আমলে নারী নির্যাতনের পরিসংখ্যান। এ প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘২০১১ সালের আগে পশ্চিমবঙ্গে যে রাজনৈতিক অবস্থানে ছিলাম, সেখানে সকলেরই এক যুক্তি ছিল, ‘ধানতলা-বানতলা সরকার আর নেই দরকার’। ২০১১ সালের পর মানুষ গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠার স্বার্থে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্বাচিত করেন। ২০১১ সালের পর আমরা কী পেয়েছি আর পাইনি? তা নিয়েই আজ ব্ল্যাক পেপার বইটি প্রকাশ করা হচ্ছে।

    নারী নির্যাতনে রাজ্যকে দেশের মধ্যে শীর্ষে নিয়ে যায় মমতা সরকার

    প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরের বছরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার বাংলাকে (West Bengal) নারী নির্যাতনে দেশের মধ্যে শীর্ষস্থানে নিয়ে যায়। ২০১১-তে এ রাজ্যে নারী নির্যাতন সংক্রান্ত ২৯,১৩৩টি মামলা দায়ের হয়েছিল। ২০১২ সালে সেটা বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল ৩০,৯৪২। পর পর দু’বার নারী নির্যাতনে দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করায় ক্ষুব্ধ হয়ে এনসিআরবি-কে তথ্য পাঠাতেই নিষেধ করেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। অনেকেই বলছেন, ‘‘মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে নারী নির্যাতনের বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে বাংলা (West Bengal)। এতে কোনও সন্দেহ নেই।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: আরজি কর ইস্যুতে উত্তাল বাংলা, বিজেপিকে আন্দোলনের রূপরেখা করে দিলেন শাহ-নাড্ডা

    BJP: আরজি কর ইস্যুতে উত্তাল বাংলা, বিজেপিকে আন্দোলনের রূপরেখা করে দিলেন শাহ-নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর ইস্যুতে উত্তাল হয়েছে বাংলা। জন-আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে গ্রাম থেকে শহরে। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রকেই অংশগ্রহণ করতে দেখা গিয়েছে এই আন্দোলনে। এই আবহে লাগাতার কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি (BJP)। আরজি কর ইস্যুতে নবান্ন অভিযানে ছাত্র সমাজের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করলে, তার পরের দিনই বনধ ডাকে গেরুয়া শিবির। ব্যাপক সাড়া পড়ে যায় বিজেপির ডাকা বনধে। এই অবস্থায় সংগঠনের পরবর্তী কর্মসূচির রূপরেখা ঠিক করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    পুজো মিটলেই ফের বাড়বে আন্দোলনের ঝাঁঝ (BJP) 

    সূত্রের খবর, আরজি কর ইস্যুতে বিজেপির (BJP) আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়তে চলেছে। পুজো মিটলেই আরও বড় কর্মসূচি নিতে চলেছে রাজ্যের গেরুয়া শিবির। কারণ আরজি কর ইস্যুতে মানুষের মধ্যে সরকার বিরোধী ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ও বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি জেপি নাড্ডার সামনে আরজি করের পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিস্তারিত রিপোর্ট তুলে ধরেন সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারী।

    রাজ্যে পুজো উদ্বোধনে অমিত শাহ?

    এর পাশাপাশি চলতি বছরে দুর্গাপুজোয় (BJP) অমিত শাহের কর্মসূচি চূড়ান্ত করতেও একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সোমবার রাতের এই বৈঠকে একাধিক রাজ্যের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বসেছিলেন অমিত শাহ। জেপি নাড্ডার বাসভবনেই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, আরজিকর কাণ্ডে পুরোপুরি ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সন্ত্রাস থেকে দুর্নীতি ইস্যু তো রয়েছেই, তার সঙ্গে নতুন করে মমতা সরকারের গলার কাঁটা হয়েছে আরজি কর। এরপর ২৬ সালে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। তাই তার আগে এখন থেকেই সেই ভোটকে পাখির চোখ করতে শুরু করে দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।
     

  • BJP: ডাক্তারদের মিছিলে ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ স্লোগান, মমতাকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    BJP: ডাক্তারদের মিছিলে ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ স্লোগান, মমতাকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে হচ্ছিল মশাল মিছিল। রবিবার মিছিল করছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। যাদবপুরে একটি মিছিল থেকে হঠাৎই কেউ বা কারা স্লোগান দেয় ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ (Kashmir Mange Azadi Slogan)। ঘটনায় বাম-তৃণমূলকে আক্রমণ শানালেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

    কী বললেন সুকান্ত? (BJP)

    তিনি বলেন, “অতি বামেরা মূল আন্দোলনকে (আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলন) হাইজ্যাক করার চেষ্টা করছে। সেটা করা হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অঙ্গুলিহেলনেই। কারণ তারা জানে, এই স্লোগানগুলো উঠলে সাধারণ মানুষ আন্দোলন থেকে পিছিয়ে আসবে।” তিনি বলেন, “কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ আজাদি চায় না। তারা ভারতবর্ষকে নিয়ে খুশি আছে। এরাই নির্বাচনের সময় ‘নো ভোট টু বিজেপি’ স্লোগান তুলেছিল। এরা সামনে বামপন্থী, পেছনে তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী-সমর্থক।”

    তোপ শুভেন্দুরও

    ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ স্লোগান প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি বলেন, “পুলিশ তো এ নিয়ে কিছুই করবে না। এরাই নির্বাচনের সময় ‘নো ভোট টু মোদি’ স্লোগান তোলে। এরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাষ করা। মুখ্যমন্ত্রী এ রাজ্যে দেশবিরোধী-রাষ্ট্রদ্রোহীদের লালন-পালন করছেন। এই কাজের সঙ্গে তাঁর দলেরও একটা অংশ যুক্ত রয়েছে। এটা আসলে দেশের মধ্যে আর (Kashmir Mange Azadi Slogan) একটা দেশ তৈরির অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে (BJP)।”

    ডাক্তাররা চুপ কেন? প্রশ্ন বিজেপির

    বিজেপি (BJP) নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি প্রশ্ন তুলেছেন এই ইস্যুতে ডাক্তাররা চুপ কেন, তা নিয়ে। তিনি বলেন, ‘‘ঘটনার প্রতিবাদের মিছিল থেকে আজাদি স্লোগান উঠলেও ডাক্তারবাবুরা কথা বলেন না কেন? তাঁরা বিভিন্ন সময় প্রেস কনফারেন্স করেন, মানুষের কাছে সাহায্যের জন্য ব্যাংক একাউন্ট ওপেন করে তার ডিটেইল্স সবাইকে দেন। তাঁদের অরাজনৈতিক মিছিলে বামপন্থী এবং অতি বাম ছাড়া সবাই ব্রাত্য সেটাও তারা বুঝিয়ে দেন। ভালো কথা, কিন্তু দেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকি দিয়ে যে স্লোগান (Kashmir Mange Azadi Slogan) ওঠে সেই স্লোগানের বিপক্ষে একটা কথাও জুনিয়র ডাক্তারদের বলতে শোনা গেল না কেন?’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘সাংসদকে খুঁজেই পাচ্ছেন না মানুষ’’, বন্যা-কবলিত ঘাটালে গিয়ে দেবকে কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘সাংসদকে খুঁজেই পাচ্ছেন না মানুষ’’, বন্যা-কবলিত ঘাটালে গিয়ে দেবকে কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টি আর জলাধারের ছাড়া জলে বন্যা বিধ্বস্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ঘাটাল সাব ডিভিশন। বন্যা দুর্গতদের মানুষের কাছে পৌঁচ্ছে ত্রাণ বিলি করলেন বিজেপির বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পাশাপাশি, তৃণমূল সাংসদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে দেবের এলাকায় গিয়ে কটাক্ষও করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি।

    তৃণমূল সাংসদকে কটাক্ষ (Sukanta Majumdar)

    বন্যা (Flood) বিধ্বস্ত মানুষদের মধ্যে ত্রিপল, শুকনো খাবার বিলি করলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। ঘুরে দেখলেন এলাকাও। পরে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘ঘাটালের সাংসদকে এলাকার মানুষ খুঁজেই পাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে আমরা এখানে চাল, ডাল, শুকনো খাবার এবং ত্রিপল পলিথিন দিতে এসেছি।’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘যেখানে খোদ আইএএস অফিসারের স্ত্রী সুরক্ষিত নন, সেখানে রাজ্যের সাধারণ মহিলারা কীভাবে রয়েছেন তা আপনারা বুঝতেই পারছেন।’’ ঘাটালের পাশাপাশি হুগলির আরামবাগের খানাকুল ২ ব্লকের ১১টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ধান্যগোড়ি ও মাড়োখানা পঞ্চায়েত এলাকা থেকে এখনও বন্যার জল পুরোপুরি নামেনি। বাকি পঞ্চায়েতগুলির মধ্যে জগৎপুর, রাজহাটি ১, পলাশপাই ১ ও চিংড়া পঞ্চায়েত এলাকার দু’তিনটি মৌজাতেও জল রয়েছে।

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে ফের গেরুয়া ঝড়, সমবায় ভোটে খাতাই খুলল না তৃণমূলের

    রাজ্যকে তোপ সুকান্তর

    দুর্গতদের ত্রাণ দিতে এসে বন্যা পরিস্থিতির জন্য রাজ্যকেই দুষলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘গত এক বছরে রাজ্যের কোথাও বাঁধ মেরামতি হয়নি। এক বছর আগেও বন্যাকে মুখ্যমন্ত্রী ‘ম্যান মেড’ বলেছেন, এ বারও বলছেন। কিন্তু সেই ‘ম্যান মেড’ বন্যা আটকাতে কী কাজ করেছেন, তার ব্যাখ্যা দিতে পারছেন না।’’ রাজ্যের নিজস্ব জলাধারগুলি থেকেও গত ১০ বছরে কোথাও পলি তোলা হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ।

    তৃণমূলকে আক্রমণ

    আরামবাগের মায়াপুর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় দলীয় মঞ্চ থেকে কয়েকশো মানুষকে ত্রিপল ও শুকনো খাবার বিলি করেন সুকান্ত। সেখান থেকে খানাকুলের বন্যাবিধ্বস্ত তালিত গ্রামে যান (Sukanta Majumdar)। সুকান্ত বলেন, ‘‘টাকা-পয়সার বিনিময়ে তৃণমূল নেতা মন্ত্রীদের মদতেই এ সব হয়েছে। আমপানের ক্ষতিপূরণের জন্য পাঠানো হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের সঙ্গে কী রকম সম্পর্ক রাখবেন, আগে সেটা ঠিক করুন।”  তৃণমূলের আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা যুব সভাপতি পলাশ রায়ের দাবি, “রাজ্য নদী সংস্কার করেছে, পলি তুলেছে, বাঁধেরও সংস্কার করেছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Police Mass Transfer: ভোটপর্বে বদলিদের ফেরানো হয়নি এখনও! ‘পুলিশি আন্দোলন’-এর উত্তাপ ভবানী ভবনে

    Police Mass Transfer: ভোটপর্বে বদলিদের ফেরানো হয়নি এখনও! ‘পুলিশি আন্দোলন’-এর উত্তাপ ভবানী ভবনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে মাস পাঁচেক আগে (Police Mass Transfer)। ভোটের আগে বদলি করা হয়েছিল প্রায় ৯০০ সাব ইনস্পেক্টরকে (এসআই)। ভোটপর্ব চুকে গেলেও, এখনও তাঁদের ফেরানো হয়নি। তা নিয়ে দিন দশেক আগে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন (Mamata Government) বদলি হওয়া পুলিশ কর্মীদের পরিবার-পরিজনরা। ওয়েলফেয়ারের নামে তৃণমূলের দাদাগিরি নিয়েও সরব হয়েছিলেন তাঁরা। পুলিশ কর্মীদের পরিবারের ক্ষোভের আগুনে জল ঢালতে উদ্যোগী হল ভবানী ভবন। জানা গিয়েছে, বদলি হওয়া সাব ইনস্পেক্টরদের বোঝাতে সোমবার বিকেল ৪টায় ভবানী ভবনের কর্তারা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলবেন ওই সাব ইনস্পেক্টরদের সঙ্গে। পুলিশে নির্দেশ বা আলোচনা হয় ইউনিট হেডের মাধ্যমে। পুলিশি আন্দোলনের ঝাঁঝ যাতে আরও না বাড়ে, তাই তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন পুলিশের বড়কর্তারা।

    পাশে থাকার আশ্বাস বিজেপির (Police Mass Transfer)

    আন্দোলনকারী পুলিশ কর্মীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শৃঙ্খলা বজায় রেখে ওয়েলফেয়ারের থ্রেট কালচার ও চটিচাটা পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে সরব থাকতেই হবে। প্রয়োজনে বিজেপির তরফে আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।” বদলি হওয়া সাব ইনস্পেক্টরদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “মানুষ জেগেছে। আপনাদের বাড়ির মেয়েটিও জেগেছে। এবার আপনাদের জাগতে হবে। স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে নিচুতলার পুলিশ কর্মীদের দিয়ে অনৈতিক কিছু করানো যাবে না।”

    ল্যাজেগোবরে দশা মমতার

    আরজি করের ঘটনায় চিকিৎসক ও নাগরিক সমাজের (Police Mass Transfer) আন্দোলনের জেরে ল্যাজেগোবরে দশা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের। এহেন আবহে পুলিশ কর্মীদের নিজের জেলায় ফেরানোর দাবিতে তাঁদের পরিবার-পরিজনদের বিক্ষোভে সিঁদুরে মেঘ দেখছে রাজ্য সরকার। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই ভবানী ভবনের কর্তাদের দিয়ে বদলি হওয়া পুলিশ কর্মীদের বুঝিয়ে-সুঝিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চাইছে তৃণমূল সরকার। তবে এভাবে সমস্যার সমাধান হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের অন্দরেই।

    আরও পড়ুন: “সুসম্পর্ক রাখলে আইএমএফের চেয়েও বেশি সাহায্য পেত পাকিস্তান”, বললেন রাজনাথ

    প্রসঙ্গত, নির্বাচনের আগে যাঁদের বদলি করা হয়েছিল, তাঁদের নিজের জেলায় ফেরানোর দাবিতে দিন দশেক আগে ডিজির দেখা করার দাবি জানান তাঁদের পরিবারের লোকজন (Mamata Government)। ঘটনার জেরে ব্যাপক হইচই হয় (Police Mass Transfer)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: নন্দীগ্রামে ফের গেরুয়া ঝড়, সমবায় ভোটে খাতাই খুলল না তৃণমূলের

    Nandigram: নন্দীগ্রামে ফের গেরুয়া ঝড়, সমবায় ভোটে খাতাই খুলল না তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুক নন্দীগ্রামে ফের গেরুয়া ঝড়। সমবায় ভোটে বিপুল জয়ে উড়ল গেরুয়া আবির। সমবায় সমিতি নির্বাচনে দিশেহারা কার্যত শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। শুভেন্দুর নির্বাচনী ক্ষেত্র নন্দীগ্রামে (Nandigram) খাতাই খুলতে পারল না তৃণমূল কংগ্রেস। সমবায় সমিতি নির্বাচনে প্রতীক না থাকলেও বিজেপি (BJP) সমর্থিত প্রার্থীদের কাছে হারলেন তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধানসহ প্রার্থীরা।

    ৯টি আসনেই জয়ী বিজেপি (Nandigram)

    পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম-১ (Nandigram) ব্লকের মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহম্মদপুর সমবায় সমিতি। নন্দীগ্রাম সমবায় সমিতি নির্বাচনে ৯টি আসনের মধ্যে ৯টিতেই জয়লাভ করেন বিজেপি (BJP) সমর্থিত প্রার্থীরা। বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা জয়লাভের পর উল্লাসে ফেটে পড়েন কর্মী-সমর্থকরা। ভোটের ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই গেরুয়া আবিরে জয় উদযাপন করতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহম্মদপুর সমবায় সমিতি নির্বাচন ছিল রবিবার। সমবায় সমিতি নির্বাচনে উত্তেজনা ঘিরে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। সমবায় সমিতিতে ন’টি আসনে বিজেপি প্রার্থী দেয়। পালটা শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ন’টি আসনে প্রার্থী দেয়। নির্বাচনে কোনও প্রতীক না থাকলেও বিজেপি (BJP) ও তৃণমূলের মধ্যে সমবায় সমিতি নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত টানটান উত্তেজনার মধ্যে ভোট প্রক্রিয়া শেষ হয়। বিকেলে ফলাফল বেরোনোর পর বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা ৯টি আসনের মধ্যে ৯টি আসনে জয়লাভ করেন। গ্রাম পঞ্চায়েতের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান সুপর্ণা পণ্ডা পরাজিত হন। তার পরে উল্লাসে মেতে ওঠেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম-শুনানির আগের রাতে কলকাতায় মশাল হাতে মহামিছিল জুনিয়র ডাক্তারদের

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপির (BJP) জেলা কমিটির সদস্য সুপর্ণা পড়্যা বলেন, “৯টি আসনের (Nandigram) ৯টিই বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা পেয়েছেন। আমরা মনোনয়নের দিন প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যে এখানে বিরোধী শূন্য করব। কারণ, এই মাটি আমাদের বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। এখানে দুর্নীতিবাজদের কোনও জায়গা নেই।” তৃণমূলের নন্দীগ্রাম-১ ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, “এটা তো অরাজনৈতিক নির্বাচন। এখানে তো রাজনৈতিক কোনও প্রতীক থাকে না। আর এই সমবায়ের মধ্যে যে বুথগুলি পড়ে ২০২১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত গ্রামপঞ্চায়েত সদস্যও বিজেপি (BJP)। সুতরাং এখানে বিজেপি রাজনৈতিক ভাবে কিছুটা হলেও এগিয়ে আছে তৃণমূলের থেকে। তবে এই নির্বাচনের রায় আমরা মাথা পেতে নিচ্ছি। মহম্মদপুর সমবায় সমিতি একটা ঐতিহ্যপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, তা রক্ষার দায়িত্ব মানুষ ওদের দিয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: ‘সিসিটিভি ফুটেজ নষ্ট করা হয়েছে, বদলে দেওয়া হয়েছে রক্তের নমুনা, ঘর’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    RG Kar Case: ‘সিসিটিভি ফুটেজ নষ্ট করা হয়েছে, বদলে দেওয়া হয়েছে রক্তের নমুনা, ঘর’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Case) মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় প্রথম থেকেই প্রতিবাদী হয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। তথ্য-প্রমাণ লোপাট করে তদন্তকে ভুল পথে পরিচালিত করেছে পুলিশ— এই দাবিতে পুলিশমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করে লালবাজার ও স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করেছিল বিজেপি। এবার বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বললেন, “তিলোত্তমাকে ধর্ষণ করা হয়েছে এক জায়গায়, আর তারপর দেহ সরিয়ে ফেলা হয়েছে অন্য স্থানে।” শুধু তাই নয়, রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আরও দাবি, বদলে দেওয়া হয় রক্তের নমুনা, পোশাক। নষ্ট করা হয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ।

    ‘বদলাপুরে রামনাম সত্য করে দিয়েছে পুলিশ’ (RG Kar Case)

    সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে সিবিআই-এর পেশ করা রিপোর্টে প্রধান বিচারপতি অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে তদন্তকারী সংস্থা জানায় এই হত্যাকাণ্ডে (RG Kar Case) বৃহৎ ষড়যন্ত্র রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, চিকিৎসক তরুণীর নির্মম হত্যার বিচারের দাবিতে রবিবার বিজেপির পক্ষ থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে বিরাট মিছিলের আয়োজন করা হয়। এই মিছিলে নেতৃত্ব দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বক্তব্য রাখার সময় বলেন, “উত্তরপ্রদেশে একটা ঘটনা এলে যোগীজি কী করেন দেখতে পাচ্ছেন। অসমেও এমন ঘটনার যোগ্য দৃষ্টান্ত পেয়েছি। পুকুরে চুবিয়ে চুবিয়ে জল খাইয়েছে পুলিশ। মহারাষ্ট্রে আমাদের সরকার, বদলাপুরে রামনাম সত্য করে দিয়েছে পুলিশ। আর একটা অদ্ভুত রাজ্যে আমরা বাস করি যেখানে সরকারি হাসপাতালে ডাক্তারদের সুরক্ষা নেই। টানা ৩৬ ঘণ্টা ডিউটি করার পর ডাক্তার বোনকে ধর্ষণের শিকার হতে হয়।”

    আরও পড়ুনঃ সুপ্রিম-শুনানির আগের রাতে কলকাতায় মশাল হাতে মহামিছিল জুনিয়র ডাক্তারদের

    ‘ভাবতে পারেন কোন রাজ্যে আমরা রয়েছি

    একই ভাবে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অত্যন্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “কী অদ্ভুত, ঘটনায় (RG Kar Case) অভিযুক্ত হিসেবে গ্রফতার একজন রাজ্য সরকারের নিরাপত্তারক্ষী সিভিক ভলান্টিয়ার। তার সঙ্গে জেলে রয়েছেন টালা থানার ওসি এবং প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। রক্ষকের হাতেই শিকার হচ্ছেন এই রাজ্যের মহিলারা। ভাবতে পারেন আপনারা আক্রান্ত হলে কোথায় যাবেন? থানায় নিশ্চই, অথচ থানার ওসি নিজেই মামলায় অভিযুক্ত। আরজি করের ঘটনা নজিরবিহীন, বিরল থেকে বিরলতম। সিবিআইয়ের রিপোর্ট পড়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেছেন, ‘আমরা অত্যন্ত ডিস্টার্ব’। ভাবুন রিপোর্টে কী আছে। আমি বলছি, একটা ঘরে অত্যাচার হয়েছে আর অন্যঘরে নিয়ে গিয়ে দেহ রাখা হয়েছে। জামা কাপড় বদলে দেওয়া হয়েছে। রক্তের নমুনা বদলে দেওয়া হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ভাবতে পারেন কোন রাজ্যে আমরা রয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: জুনিয়র ডাক্তারদের হুমকির ‘শাস্তি’, হুমায়ুনকে উল্টো করে ঝুলিয়ে সোজা করার নিদান শুভেন্দুর

    RG Kar Case: জুনিয়র ডাক্তারদের হুমকির ‘শাস্তি’, হুমায়ুনকে উল্টো করে ঝুলিয়ে সোজা করার নিদান শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Case) জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে বার বার হুঁশিয়ারি স্বরূপ হুমকি দিচ্ছেন ভরতপুরে তৃণমূল বিধায়ক। প্রতিবাদে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বললেন, “রাজ্যে বিজেপির সরকার গঠন হলে এই প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ককে উল্টো করে ঝুলিয়ে সোজা করা হবে।” আবার এই তৃণমূল বিধায়কের (Humayun Kabir) বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে চিঠি দিয়েছে চিকিৎসক সংগঠন আইএমএ। মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের এই তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কের বিরুদ্ধে, ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন আইএমএ-এর যুগ্ম সম্পাদক রঞ্জন ভট্টাচার্য। সোমবার অভয়া হত্যা মামলা ফের দেশের শীর্ষ আদালতে উঠতে পারে, যাতে নজর রয়েছে গোটা দেশের।

    কেবলমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই হচ্ছে

    রাজ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু, হুমায়ুনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, “এই তৃণমূল নেতা সব সময় এমন বিতর্কিত কথা বলে থাকেন। ইউসুফ পাঠানকে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের প্রার্থী করেছিলেন, তখনও বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। আসলে উনি এমনটা করেন বাজার গরম করে রাখার জন্য। প্রচারে থাকতে চান সব সময়। তাই ওঁদের নিয়ে কোনও কথা বলাই উচিত নয়। আরজি কর (RG Kar Case), সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা ঘটছে কেবলমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই। যতদিন তিনি থাকবেন পরিস্থিতির বদল হবে না।”

    মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল ঘেরাও করব (RG Kar Case)

    কর্তব্যরত মহিলা ডাক্তারকে (RG Kar Case) ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় গত ৫০ দিনের বেশি সময় ধরে, জুনিয়র ডাক্তার থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামজিক সংগঠন, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক, গবেষক, অভিনেতা-অভিনেত্রী সহ সমাজের সকল স্তরের মানুষ প্রতিবাদে রাজপথে নেমেছেন। মেয়েরা রাত দখলে নেমেছেন। সুবিচারের দাবিতে এই আন্দোলন ছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতার পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে। এই গণআন্দোলনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেছেন, “আমরা আইন তৈরি করি। কোনটা আইনসঙ্গত এবং কোনটা বেআইনি, সবটাই ভালো করে জানি। কারও জন্য যদি জেলে যেতে হয়, তাহলে জামিন পেয়ে ৫০ হাজার লোক নিয়ে জমায়েত করব। অপরাধ না করে যদি শাস্তি পাই, তবে ফিরে এসে অপরাধ করতে কুণ্ঠাবোধ করব না। সংখ্যায় যদি বিচার করেন, তা হলে দেখতে পাবেন, ওঁরা সারা রাজ্যে মাত্র সাড়ে সাত হাজার। সব চিকিৎসক মিলিয়ে সর্ব মোট মাত্র চুরানব্বই হাজার। আমরা তিন কোটি তৃণমূল কর্মী। মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল ঘেরাও করব। তাতে আমার যা হওয়ার হোক।”

    আরও পড়ুনঃ মগের মুলুক! ঘাটাল সেচ দফতরের এসডিও-র অফিস রাতারাতি দখল করে নিল পুলিশ!

    আইন নিজেদের হাতে নিতে উস্কানি দিচ্ছেন

    এরপর তৃণমূল বিধায়কের (Humayun Kabir) এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে চিকিৎসক সংগঠনের পক্ষ থেকে রঞ্জন বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, আরজি কর (RG Kar Case) মামলায় ১৬, ১৭ এবং ১৮ নম্বর অনুচ্ছেদে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার এবং ভয়মুক্ত পরিবেশের কথা বলেছেন। কিন্তু শাসক দলের নেতা-মন্ত্রী-বিধায়করা বার বার হুমকি দিচ্ছেন। আইন নিজেদের হাতে নিতে উস্কানি দিচ্ছেন। ডাক্তারদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আদালতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share