Tag: bjp

bjp

  • Nabanna Abhijan: বিজেপির লালবাজার অভিযানে কাঁদানে গ্যাস পুলিশের, অসুস্থ হয়ে পড়লেন সুকান্ত

    Nabanna Abhijan: বিজেপির লালবাজার অভিযানে কাঁদানে গ্যাস পুলিশের, অসুস্থ হয়ে পড়লেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির বিক্ষোভে ধুন্ধুমার লালবাজার চত্বরে। একদিকে যেমন ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) করা হয়, ঠিক একই ভাবে বিজেপির লালবাজার অভিযান করা হয়। জানা গিয়েছে, অভিযানে গ্রেফতার হওয়া ছাত্র সহ সাধারণ মানুষকে ছাড়াতে এই অভিযান করে বিজেপি। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘হায় হায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’ ইত্যাদি স্লোগানও ওঠে ঘটনাস্থলে। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের তর্কাতর্কি ও ধস্তাধস্তি হয়। বিজেপিকে ঠেকাতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ল পুলিশ। যার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়লেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। 

    পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি (Nabanna Abhijan)

    মঙ্গলবার দুপর ১টায় সাঁতরাগাছি ও কলেজ স্ট্রিট থেকে মিছিলের (Nabanna Abhijan) ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র সমাজ। মিছিল শুরু হতেই পুলিশ লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস এবং জল কামান দিয়ে নির্মম ভাবে অত্যাচার করে। একই ভাবে নির্বিচারে বহু ছাত্র-ছাত্রী এবং সাধারণ নাগরিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে ধৃতদের বিরুদ্ধে। এর আগে, গতকাল মধ্যরাতে আন্দোলনকারী ৪ ছাত্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের মুক্ত করতে বিজেপির তরফ থেকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে লালবাজারে অভিযান করা হয়।

    পুলিশের কাঁদানে গ্যাস অসুস্থ সুকান্ত

    বিকেল চারটের সময় মিছিল করে লালবাজারের দিকে এগোলে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়। এদিন রাজ্য সভাপতির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন— লকেট চট্টোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন সিং, সমীক ভট্টাচার্য সহ আরও অনেকে। আটকে দিলে বিজেপির নেতা-কর্মীরা অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন। রাস্তায় বসে বিজেপি নেতারা স্লোগান দেন— ছাত্রদের জোর করে পুলিশ আটক করেছে। তাঁদের মুক্তির জন্য পুলিশকে আধ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়া হয়। এর পরই সুকান্তদের অবস্থান হঠানোর চেষ্টা করে পুলিশ। এতে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের তর্কাতর্কি ও ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এরপর বিজেপিকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে পুলিশ। তাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। বিজেপির বিক্ষোভে কার্যত অবরূদ্ধ হয়ে যায় লালবাজার। লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশ বিনা কারণে লাঠিচার্জ করেছে। কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে।” 

    আরও পড়ুনঃ পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে নির্বাচনের দাবি শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Halisahar: ক্ষমতার দম্ভ! জন্মাষ্টমীতে প্রকাশ্যে পর পর গুলি চালালেন তৃণমূল কাউন্সিলর

    Halisahar: ক্ষমতার দম্ভ! জন্মাষ্টমীতে প্রকাশ্যে পর পর গুলি চালালেন তৃণমূল কাউন্সিলর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মাষ্টমীর রাতে প্রকাশ্যে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কাউন্সিলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হালিশহর (Halisahar) পুরসভা এলাকায়। অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলরের নাম অশোক যাদব। তিনি পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। প্রকাশ্যে এভাবে গুলি চালানোর ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Halisahar)

    সোমবার ছিল জন্মাষ্টমী উৎসব। হালিশহর (Halisahar) পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে স্থানীয়দের উদ্যোগে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে স্থানীয় তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক সুবোধ অধিকারী, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর অশোক যাদব থেকে শুরু করে দলের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও এলাকার কয়েকশো সাধারণ মানুষও সেখানে হাজির ছিলেন। জন্মাষ্টমী উৎসবে মেতে ওঠেন এলাকার মানুষ। অনুষ্ঠান চলাকালীন আচমকা তৃণমূল কাউন্সিলর শূন্যে দু রাউন্ড গুলি চালান বলে অভিযোগ। প্রকাশ্যে এভাবে গুলি চালানোর ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়।

    ‘‘আবদার রাখতেই গুলি চালিয়েছি’’

    বিরোধীদের অভিযোগ, এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতেই পরিকল্পিতভাবে তৃণমূল কাউন্সিলর এভাবে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়েছেন। যদিও তৃণমূল কাউন্সিলর অশোক যাদবের সাফাই, তিনি আবদার রাখতেই নাকি গুলি চালিয়েছেন! অশোক যাদব বলেন,  ‘‘এ বছর আমি রিভলভরের লাইসেন্স পেয়েছি। এটা কোনও বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র নয়। আমার ওয়ার্ডের দলের ছেলেরা আমাকে অনুরোধ করেন, জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ফায়ার করার জন্য। ওরা বাজি ফাটাচ্ছিল, সঙ্গে ফায়ার করার জন্য অনুরোধ করে। তার জন্য আমাকে টাকাও দিতে চেয়েছিল। আমি তাদের কাছে কোনও টাকা পয়সা নিইনি। শুধু ওয়ার্ডের ছেলেদের আবদার রাখতেই আমি পর পর দু’রাউন্ড শূন্যে ফায়ার করেছি। কোনও সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করার জন্য এ কাজ আমি করিনি। আর আমি ১২.০৫ মিনিট নাগাদ ফায়ারিং করি। তখন সেখানে খুব বেশি লোকজনও ছিল না। ফলে, ভয় দেখানোর কোনও প্রশ্নই নেই।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমন নয়’’, মমতাকে সুপ্রিম-নির্দেশ মনে করালেন রাজ্যপাল

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি নেতা সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আসলে ওই তৃণমূল নেতার কাছে রিভলভর রয়েছে তা সকলকে জানাতে হবে। তাই, এভাবে তিনি প্রকাশ্যে গুলি চালালেন। এই ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।’’ অন্যদিকে, হালিশহর (Halisahar) পুরসভার চেয়ারম্যান শুভঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘আমি প্রকাশ্যে গুলি চালানোর ভিডিও দেখেছি। কেন তিনি এভাবে গুলি চালালেন তা জানি না। বিষয়টি নিয়ে আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলব। তাছাড়া প্রশাসন বিষয়টি দেখছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangla Bandh: নবান্ন অভিযানে ‘পুলিশি সন্ত্রাস’, বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বন‍্‍ধ ডাকল বিজেপি

    Bangla Bandh: নবান্ন অভিযানে ‘পুলিশি সন্ত্রাস’, বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বন‍্‍ধ ডাকল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্রসমাজের পাশে দাঁড়িয়ে আগামিকাল, বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বন‍্ধের  (Bangla Bandh) ডাক দিল বিজেপি (BJP)৷ মঙ্গলবার ছাত্রদের নবান্ন অভিযানে লাঠি চালায় পুলিশ। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস, জলকামান। এরপরই বন‍্ধের ঘোষণা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত এই বন‍্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে৷ ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের দমনপীড়নের প্রতিবাদেই এই কর্মসূচি বলে জানান সুকান্ত।

    বন‍্‍ধ সফল করার আহ্বান

    মঙ্গলবার দুপুরের সাংবাদিক বৈঠকে সুকান্ত বলেন, ‘‘আগামী পরশু থেকে আমরা ধর্না শুরু করব। এছাড়াও ছাত্র সমাজকে সব রকম আইনি ও মেডিক্যাল সাহায্য দেওয়ার জন্য আজ থেকে পুনরায় হেল্পলাইন নম্বর চালু করছি আমরা। এখানে ফোন করে আপনারা যে কোনও রকম আইনি সহায়তা কিংবা পরামর্শ চালাতে পারেন। আসুন, আগামী ৩০ অগাস্ট আমাদের মহিলা মোর্চার ডাকে সকল মহিলা, সকল মানুষ পথে নামুন। এই আন্দোলন বিজেপির নয়, এটা সমাজের আন্দোলন।’’

    বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘এই বন‍্‍ধকে (Bangla Bandh) সর্বাত্মক করুন৷ স্বেচ্ছাচারী সরকারের হাত থেকে বাংলাকে মুক্ত করুন৷ মানুষ স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করতে পারছেন না৷ এর প্রতিবাদ করতে, বাংলায় গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে, আগামিকালের বন‍্‍ধকে সবাই সফল করুন৷ শুধু বিজেপি কর্মীরা নন, সাধারণ মানুষের কাছে আমার আবেদন। ভেবে দেখুন, আজ আপনার পাশের বাড়ির ছেলের ওপর লাঠিচার্জ হয়েছে, কাল আপনার ছেলের ওপর হতে পারে। আজ পাশের বাড়ির ছেলের চাকরি বিক্রি করে দিয়েছে তৃণমূল নেতারা, কাল আপনার ছেলে চাকরি বিক্রি হবে। আজ আরজি করের বোনটি যেমন অত্যাচারিত হয়েছে কাল আপনার বাড়ির মেয়ের সঙ্গে একই ঘটনা ঘটতে পারে। তাই এই বন‍্‍ধকে সর্বাত্মক করুন। এটা স্বৈরাচারী স্বেচ্ছাচারী সরকারের হাত থেকে পশ্চিমবঙ্গকে রক্ষা করার বন‍্‍ধ।’’ 

    বাংলার গণতন্ত্র বিপন্ন

    এদিন সুকান্ত বলেন, ‘‘শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপরে কেন পুলিশ লাঠি চালাল? কেন কাঁদানে গ্যাস ছুড়ল? এমনকী, মহিলা, বয়স্করাও ছাড় পায়নি। কোথাও পুলিশ লাঠি চালানোর আগে কেউ পাথর ছোড়েনি। কেমিক্যাল মেশানো জল স্প্রে করা হয়েছে এরকম অভিযোগও আমরা ছাত্রদের কাছ থেকে পাচ্ছি। এটা কী ধরণের আচরণ? বেকার যুবক – যুবতীরা কি বাংলায় জন্ম নিয়ে কোনও ভুল করেছেন? যে মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমতায় থাকতে এত দমন পীড়ন করতে হয় তার আর ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই। বাংলার মানুষকে জবাব দেওয়ার সময় এসেছে।’’ বাংলার গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সুরক্ষা সমস্ত কিছু বিপন্ন। তা রক্ষা করতে বাংলার মানুষকে একজোট হওয়ার কথা বলে বিজেপি নেতৃত্ব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Champai Soren: পদ্ম শিবিরে চললেন চম্পাই সোরেন, ভোটের আগে বিপাকে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী

    Champai Soren: পদ্ম শিবিরে চললেন চম্পাই সোরেন, ভোটের আগে বিপাকে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপিতে (BJP) যোগ দিচ্ছেন ‘ঝাড়খণ্ডের বাঘ’ চম্পাই সোরেন (Champai Soren)। সোমবার রাতে এ খবর জানান অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sharma)। এ বছরই ঝাড়খণ্ড বিধানসভার নির্বাচন। তার আগে চম্পাই গেরুয়া খাতায় নাম লেখালে ঝাড়খণ্ডে যে শাসক দল ঝড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (JMM) বিপাকে পড়বে, তা বলাই বাহুল্য। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে তিনি জানান, বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

    চম্পাইকে সরতে হয় (Champai Soren)

    ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রবীণ নেতা চম্পাই। ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার হেমন্ত সোরেন। তখনই হেমন্তর স্ত্রীকে ওই পদে না বসিয়ে বসানো হয় চম্পাইকে। হেমন্ত জামিন পাওয়ার পর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য করা হয় চম্পাইকে। তখন থেকেই জেএমএম-এর সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে চম্পাইয়ের (Champai Soren)। তাঁর অভিযোগ, দলের নেতারা তাঁকে অসম্মান করেছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই থেকে দলীয় নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হচ্ছিল চম্পাইয়ের। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, চম্পাইয়ের সেই ক্ষোভকেই কাজে লাগাল গেরুয়া শিবির।

    কবে যোগ চম্পাইয়ের?

    দিন কয়েক আগে ক্ষুব্ধ চম্পাই জানিয়েছিলেন, নতুন দল গঠন করছেন তিনি। বছর সাতষট্টির চম্পাই কবে নয়া দল গড়বেন, তা নিয়ে জল্পনার আবহেই সোমবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sharma) বলেন, “আমি চাই চম্পাই সোরেন বিজেপিতে (BJP) যোগ দিন। আমাদের দলকে আরও শক্তিশালী করুন।” সোমবার রাতে দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন চম্পাই। তার পরেই তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার ৩০ অগাস্ট রাঁচিতে পদ্ম শিবিরে যোগ দেবেন তিনি। শাহের সঙ্গে বৈঠকের ছবি পোস্ট করে হিমন্ত লেখেন, ‘‘কিছুক্ষণ আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আদিবাসী নেতা চম্পাই সোরেন। ৩০ অগাস্ট রাঁচিতে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেবেন বিজেপিতে (BJP)।” এ ব্যাপারে অবশ্য চম্পইয়ের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

    আরও পড়ুন: ‘‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমন নয়’’, মমতাকে সুপ্রিম-নির্দেশ মনে করালেন রাজ্যপাল

    প্রসঙ্গত, ঝড়খণ্ডের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হেমন্তের বাবা শিবু সোরেনকে রাজনৈতিক ‘গুরু’ বলে মনে (Himanta Biswa Sharma) করেন চম্পাই। সেই ‘গুরু-পুত্র’র সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরেই চম্পাই (Champai Soren) নাম লেখাতে চলেছেন গেরুয়া (BJP) খাতায়। তাও আবার এমন একটা সময়, যখন শিবু-হেমন্তের রাজ্যে দুয়ারে বিধানসভা নির্বাচন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Nabanna Abhijan: ‘ছাত্র সমাজের’ নবান্ন অভিযানকে সমর্থন বিজেপির, জানিয়ে দিলেন সুকান্ত

    Nabanna Abhijan: ‘ছাত্র সমাজের’ নবান্ন অভিযানকে সমর্থন বিজেপির, জানিয়ে দিলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছে রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি বিভিন্ন অরাজনৈতিক সংগঠন। আন্দোলনে সামিল হয়েছে স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা। এই আবহের মধ্যে এবার নির্যাতিতার সুবিচারের দাবিতে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) ডাক দিয়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’। নিজেদের অরাজনৈতিক বলেই দাবি করেছে তারা। তবে, কোনও রাজনৈতিক দল চাইলেই সমর্থন করতে পারে তাদের কর্মসূচিকে। ছাত্র সমাজের ডাকে সাড়া দিয়ে বিজেপি এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে। এরমধ্যে আবার ২৭ অগাস্ট যে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে, তাতে রাজনীতির রং লাগছে বলে এদিনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পুলিশের কর্তারা। যা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী বললেন সুকান্ত? (Nabanna Abhijan)

    এমনিতেই সিপিএম প্রথম থেকেই জানিয়ে দিয়েছে, তারা এই কর্মসূচিতে নেই। তবে, অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, ছাত্রদের অধিকার আছে যে পথেই হোক প্রতিবাদ করার। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই আন্দোলনকে (Nabanna Abhijan) দেখে ভয় পেয়েছেন। তাই মেঘের আড়ালে লুকিয়ে তির চালাচ্ছেন। সামনে এসে লড়ার সৎ সাহস নেই, পুলিশকে সামনে রেখে এসব অভিযোগ করছে। নবান্ন অভিযান কর্মসূচির আমরা উদ্যোক্তা না হলেও আন্দোলনে আমাদের সমর্থন আছে।” এদিন সুকান্ত দাবি করেন, “ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হলে সীমান্তে যত না ব্যারিকেড করা হবে, তার থেকে বেশি ব্যারিকেড রাজ্য পুলিশ দিচ্ছে। ভয়ের বাতাবরণ তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। পুলিশ, তৃণমূল একইসুরে কথা বলছে। উভয়ই বলছে, অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হবে। তাতে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হতে পারে। আইজি আইনশৃঙ্খলা তো আইজি বেআইন ও উচ্ছৃঙ্খলায় পরিণত হয়েছে। পুলিশ রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছে।”

    আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ক্রমশ ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ, জন্মাষ্টমীতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে

    ‘নবান্ন অভিযানকে ঘিরে কাঁপছে সরকার’

    এদিন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “এই নবান্ন অভিযানকে (Nabanna Abhijan) ঘিরে সরকার কাঁপছে। বলেন, আসলে পুলিশ ভয় পাচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কোনও বাধা দেওয়া চলবে না। যেভাবে রাত দখলে রাত দখলে লাখ লাখ মানুষ নেমে পড়েছিল, ঠিক সেই ভাবেই এখানেও মানুষ নামবে। আর তাই সিপিএমের একটা অংশ, পুলিশ এবং তৃণমূল মিলে বোঝাতে চাইছে, এটা এবিভিপি, এটা বিজেপি। আরে বিজেপি হোক, এবিভিপি হোক সমস্ত সাধারণ মানুষ, যাই রাজনৈতিক পরিচয় হোক না কেন, তাঁরা একসঙ্গে নামবে। মাথায় রাখবেন বাঙাল-ঘটি মিশে গেছে।” তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের অভিযোগ, সোশাল মিডিয়ায় লোক খেপিয়ে অরাজকতা তৈরির চেষ্টা চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘অভয়া’র সৎকারের পর সরকারি রেজিস্টারে পরিবারের সই নেই কেন? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘অভয়া’র সৎকারের পর সরকারি রেজিস্টারে পরিবারের সই নেই কেন? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Rape-Murder) নির্যাতিতার দাহ খরচ সংক্রান্ত রেজিস্টারে স্বাক্ষর পরিবারের কারোর নয়। ঠিক এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সাধারণত শ্মশানে মৃতদেহ সৎকার করার পর পরিবারকেই স্বাক্ষর করে টাকা জমা দিতে হয়। কিন্তু অভয়ার ক্ষেত্রে তা ঘটেনি। এই দাহ কাজে তৃণমূলের স্থানীয় কাউন্সিলর এবং পুলিশের ভূমিকা অতি সক্রিয় বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু। তাঁর মতে, সবটাই সন্দেহের বাইরে নয়। একই ভাবে তিনি আক্রমণ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও।

    ঠিক কী বললেন শুভন্দু (Suvendu Adhikari)?

    হাওড়ায় দলীয় কর্মসূচীতে যোগদান করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেছেন, “ঘটনার দিন নির্যাতিতার (RG Kar Rape-Murder) দেহকে তড়িঘড়ি করে শ্মশানে সৎকার করা হয়েছে। এই কাজে যারা উপস্থিত ছিল তারা কেউ এলাকার লোক নয়। শেষকৃত্যের খরচ মৃত চিকিৎসকের পরিবার দেয়নি। তাহলে দিল কে? দাহের কাজ শেষ করার পর যেসব সরকারি খাতায় স্বাক্ষর করা হয়েছে, সেখানেও কোনও বাড়ির লোকের স্বাক্ষর ছিল না। তাহলে সরকারি রেজিস্টারে সই কে করল?”

    আরও পড়ুনঃ ‘মর্গে পানশালা, দেহ ঘিরে দালাল চক্র’! বিস্ফোরক আরজি করের প্রাক্তন কর্মী

    প্রথম থেকেই পুলিশের ভূমিকা সন্দেহজনক!

    উল্লেখ্য, শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) মৃতদেহের সৎকার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে বলেন, “সেই রাতে শ্মশানে আগে থেকে উপস্থিত ছিলেন পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ। চিকিৎসকের (RG Kar Rape-Murder) দেহ দাহ হয় বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায়। কিন্তু গোটা প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দিয়েছেন ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্ত। সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুলিশের আরও দুইজন আইসিও। সম্পূর্ণ ঘটনায় নজর রেখেছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি।” ফলে রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত সক্রিয় ভাবে দাহকাজে পুলিশকে ব্যবহার করেছেন বলে ইঙ্গিত করেছেন। ঘটনার দিন থেকেই ধর্ষণ করে হত্যাকাণ্ডের বিষয়কে ধামাচাপা দিতে চাইছে পুলিশ, এমন অভিযোগে বিজেপি সরব হয়েছে বার বার। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মামলা পুলিশের কাছে থেকে সিবিআইকে দেওয়া হয়।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচন, ১৫ আসনে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির

    Jammu Kashmir: জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচন, ১৫ আসনে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের জন্য  ১৫ প্রার্থীর সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি। ১৫ জন প্রার্থীর এই সংশোধিত তালিকায় ১০ জন মুসলিম। রয়েছেন একজন মহিলাও। এর আগে, সোমবার সকালে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচনে (J&K Assembly polls) ৪৪ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল বিজেপি। তবে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা প্রত্যাহার করে ১৫ আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিজেপি সূত্রের খবর, তালিকায় কিছু ভুলভ্রান্তি থাকায় পুরনো তালিকা প্রত্যাহার করে নয়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

    কেন প্রার্থী তালিকা প্রত্যাহার 

    প্রথম প্রার্থী তালিকায় ৯০ সদস্যবিশিষ্ট বিধানসভা (Jammu Kashmir) ভোটে মোট ৪৪ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। প্রথম দফার ভোটের ১৫ জন, দ্বিতীয় দফার ১০ এবং তৃতীয় দফার ১৯ জনের নাম ছিল এই তালিকায়। কয়েক ঘণ্টা পর ফের নতুন করে একটি তালিকা প্রকাশ করে দল। তাতে প্রথম দফার ভোটের জন্য মাত্র ১৫ জনের নাম রয়েছে। তালিকায় নাম রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিংয়ের ভাই দেবেন্দ্র রানা। রানা সম্প্রতি আবদুল্লা পরিবারের ন্যাশনাল কনফারেন্স থেকে বিজেপিতে যোগ দেন। কেন প্রার্থী তালিকা প্রত্যাহার করা হল? বিজেপি সূত্র জানিয়েছে, প্রথম তালিকায় প্রথম দফার ভোটের নাম ঘোষণার কথা ছিল। ভুল করে তিনটি তালিকায় একসঙ্গে প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। তাই তা প্রত্যাহার করা হয়।

    রাজ্যের মর্যাদা দাবি

    প্রায় এক দশক পর জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) বিধানসভা ভোট। ১৯ সেপ্টেম্বর, ২৫ সেপ্টেম্বর ও ১ অক্টোবর-মোট তিন ধাপে ভোট গ্রহণ হবে। নির্বাচনের ফল প্রকাশ হবে ৪ অক্টোবর। কাশ্মীরে শেষ বিধানসভা (J&K Assembly polls) ভোট হয়েছিল ২০১৪ সালে। তখন পিডিপি এবং বিজেপি জোট বেঁধে ভোটে জিতে সরকার গঠন করেছিল। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট আগেই জানিয়ে দিয়েছে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক নয়। একই সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে হবে, সে নির্দেশও দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। এ বছরের লোকসভা ভোটের প্রচারে জম্মুতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আশ্বস্ত করেছিলেন, বিধানসভা ভোটের পর রাজ্যের মর্যাদাও ফেরানো হবে। উল্লেখ্য, ৯০ আসনের জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় কাশ্মীরে রয়েছে ৪৭টি আসন বাকি ৪৩টি আসন রয়েছে জম্মুতে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “দ্রুততার সঙ্গে দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়, তত্ত্বাবধানে ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “দ্রুততার সঙ্গে দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়, তত্ত্বাবধানে ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অতি দ্রুততার সঙ্গে দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়। সম্পূর্ণ তত্ত্ববাধানে ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক।” ঠিক এই অভিযোগ করে আরজি কর হত্যাকাণ্ডের ধামাচাপা দেওয়ার প্রসঙ্গে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনায় গোটা দেশ এখন ক্ষোভে ফুঁসছে। পুলিশের কাছ থেকে তদন্তভার গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে। মৃতার বাবা-মাও পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধী রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে ছাত্রসমাজ, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন মাঠে ময়দানে, রাস্তায় নেমে ন্যায় বিচারের জন্য আন্দোলন করছেন।

    ঠিক কী বলেলন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সামজিক মাধ্যমে মমতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, “শ্মশানে গোটা অপারেশন হয়েছে পুলিশের নির্দেশনায়। অতি দ্রুততার সঙ্গে দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। মমতার নির্দেশে ঘটনাস্থলে ছিলেন পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ। মহিলা চিকিৎসকের দেহ দাহ করা হয় ব্যরাকপুর কমিশনারেট এলাকায় অথচ আশ্চর্য জনক ভাবে দেখা যায় বিষয়টির পরিচালনা করেন ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্ত। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুলিশের দুই আইসি। সম্পূর্ণ ঘটনায় নজর রেখেছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হোক। আর তাহলেই ধামাচাপা দেওয়ার বিষয় প্রকাশ্যে সামনে আসবে।” ঠিক এই ভাবেই তৃণমূল সরকার এবং পুলিশকে নিশানা করে সিবিআইকে দ্রুত তদন্তের জন্য আবেদন করেছেন তিনি।

    পুলিশ একটা চাপ তৈরি করেছিল!

    একইভাবে তড়িঘড়ি দাহ করা নিয়ে মুখ খুলেছেন নির্যাতিতা মহিলার বাবা-মা। মৃত ডাক্তারের বাবা-মা বলেন, মেয়ের সৎকারের সময় পুলিশ একটা চাপ তৈরি করেছিল। রাস্তায় জ্যাম ছিল, ধীরে ধীরে গাড়ি চলছিল। কিন্তু পুলিশ গাড়ির চালককে তাড়া দিচ্ছিলেন। প্রায় ৫০ কিমি বেগে শববাহী গাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল পুলিশ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “কীভাবে শ্মাশানঘাটে আগে থেকে লাইন দেওয়া দুটি মৃতদেহ পেরিয়ে দাহ করে দেওয়া হল নির্যাতিতার দেহ, কেন এতো তাড়াহুড়ো?” উল্লেখ্য একইভাবে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ঘোলা থানা পর্যন্ত বিশাল পদযাত্রা করে প্রতিবাদ করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অর্জুন সিং, কৌস্তভ বাগচি। এই পদযাত্রা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি আরও জারালো করেন। এরপর ধর্নামঞ্চে যান তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: আরজি কর ইস্যুতে রাজ্যজুড়ে বিজেপির থানা ঘেরাও, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, উত্তেজনা

    BJP: আরজি কর ইস্যুতে রাজ্যজুড়ে বিজেপির থানা ঘেরাও, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) ইস্যুতে বিজেপির (BJP) ডাকে শুক্রবার রাজ্যজুড়ে থানা ঘেরাওয়ের ডাক দেওয়া হয়েছিল। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের পর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। এদিন রাজ্যের সর্বত্র বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। অনেক জায়গায় পুলিশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়।

    নন্দীগ্রামে উত্তেজনা (BJP)

    থানা ঘেরাওয়ের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দেয় নন্দীগ্রামে। জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম থানায় ডেপুটেশন দিতে যান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশের তরফে বলা হয়েছিল, তারা একটি নির্দিষ্ট প্রতিনিধি দলকে থানায় প্রবেশের অনুমতি দেবে। কিন্তু বিজেপি কর্মীদের দাবি ছিল, তাঁরা সকলেই থানার ভিতরে ঢুকবেন। এরপর নন্দীগ্রাম থানার গেটের কাছে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের পুলিশ আটকে দেয়। তারপরই শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের তুমুল বচসা। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীদের একাংশ। পরে বিজেপি (BJP) কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে নন্দীগ্রাম থানার সামনে বিক্ষোভও দেখান। পরে অবশ্য বিজেপির একটি প্রতিনিধিদল থানায় ডেপুটেশন জমা দেয়।

    আরও পড়ুন: সন্দীপ, চার চিকিৎসক-পড়ুয়া কি সত্যি বলছেন? আজ হবে পলিগ্রাফ টেস্ট

    ঘোলায় ব্যারিকেড ভাঙল বিজেপি

    এদিন ঘোলা থানায় বিজেপির কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যোগ দেন। বিজেপি (BJP) কর্মীদের আটকাতে থানার অনেকটা আগে পুলিশ ব্যারিকেড তৈরি করে। কিন্তু, বিজেপি কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে থানার দিকে এগিয়ে যান। আরজি কর কাণ্ড নিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দাগেন বিরোধী দলনেতা।

    মেদিনীপুরে বিক্ষোভ মিছিলে দিলীপ ঘোষ

    মেদিনীপুরে বিজেপির (BJP) থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যদিও শেষ পর্যন্ত থানা ঘেরাও না করে বিক্ষোভ মিছিল করে বিজেপি। সন্দীপ ঘোষের বয়ানে অসঙ্গতি নিয়ে প্রশ্ন করলে দিলীপ ঘোষ বলেন, “ওঁকে কেউ বাঁচাতে পারবে না। ডাক্তার, প্রিন্সিপালও বাঁচাতে পারবেন না। এই নিয়ে অনেকবার রাস্তায় হেঁটেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার আর তাঁকে কেউ বাঁচাতে পারবে না। একাধিক কারণে গ্রাম ও শহরের মানুষের জমে থাকা ক্ষোভ চোখে পড়ছে। তাই উকিল, ডাক্তার, সাধারণ মানুষ সকলেই প্রতিবাদে নেমেছেন। এর জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পতনের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।”

    টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ

    নন্দীগ্রাম, ঘোলা, মেদিনীপুরের পাশাপাশি কাঁকসা থানা ঘেরাও করে বিজেপি। কাঁকসার হাটতলা থেকে মিছিল করে আসে বিজেপি কর্মীরা, থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। থানায় ঢুকে ডেপুটেশন জমা দেয়। মাথাভাঙ্গা থানা ঘেরাও নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। পুলিশ-বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। মাটিগাড়ায় বিজেপি থানা ঘেরাও করে। থানার সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানার সামনে বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান।

    পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি

    চুঁচুড়া ঘড়ির মোড় থেকে মিছিল করে চুঁচুড়া থানার সামনে বিজেপি কর্মীরা যেতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি বেধে যায়। পশ্চিম বর্ধমানের বারাবানি থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মীরা। নিউ জলপাইগুড়ি থানা করেন অবরোধ বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে পড়লেন বিজেপি সমর্থকরা। এই ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। অন্য দিকে, আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে বীরভূমের সিউড়ির চৈতালি মোড়ে এদিন থেকে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করল বিজেপি। নেতৃত্বে বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা। দ্রুত তদন্ত ও দোষীদের কড়া শাস্তি চেয়ে এদিন মিছিল করেন সিউড়ির বিদ্যাসাগর কলেজের ছাত্রছাত্রী এবং অধ্যাপকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে পুলিশি বাধা, আজ রাজ্য জুড়ে থানা ঘেরাও করবে বিজেপি

    BJP: স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে পুলিশি বাধা, আজ রাজ্য জুড়ে থানা ঘেরাও করবে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারই স্বাস্থ্য ভবন অভিযান ছিল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিজেপি (BJP) কর্মী-সমর্থকদের পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয়। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করা হয় তাদের নেতা-কর্মীদের। এরই প্রতিবাদে আজ শুক্রবার দুপুর ৩টে থেকে রাজ্য জুড়ে সমস্ত থানার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে বিজেপি। গতকালই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছিলেন, রাজ্য জুড়ে সমস্ত থানার সামনে আন্দোলনের কর্মসূচির কথা। এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ‘‘পুলিশের মনে হয়েছিল পরিস্থিতি অশান্ত হবে। আমাদের কর্মীরা ভ‍্যান ভাঙবে, জ্বালাবে। সেই জন‍্য ৩০ মিনিট বসিয়ে রেখেছিল। ওদের পরিকল্পনা সফল হয়নি।’’ প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য ভবন অভিযান শুরু হতেই আটক করা হয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। সন্ধ্যার আগে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। বিরোধী দলনেতার সঙ্গে ছিলেন ৪৫ জন কর্মী। বৃহস্পতিবার থানা থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন, পুলিশ বর্বরোচিত আক্রমণ করেছে। তারই প্রতিবাদে শুক্রবার রাজ্যজুড়ে থানায় বিক্ষোভ দেখাবে বিজেপি (BJP)।

    নবান্ন অভিযান রুখতে আদালতে রাজ্য, মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন দাবি শুভেন্দুর (BJP) 

    অন্যদিকে, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের তরফ থেকে ২৭ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্য় সরকার এই অভিযান রুখতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্য সরকারের আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্তই বুঝিয়ে দিচ্ছে আরজি কর ইস্যুতে (RG kar Incident) ঠিক কতটা চাপে রয়েছে তারা। এ প্রসঙ্গে মমতা সরকারকে চরম কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বৃহস্পতিবারই  শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন তাই আদালতে দ্বারস্থ হয়েছেন। আমাদের ক্লিয়ার স্ট্যান্ড, পতাকা ছাড়া যারা এই ইস্যুতে (RG kar Incident) যে কোনও আন্দোলনে নামবেন তাদের পাশে বিজেপি আছে।’’

    ‘নন্দীগ্রামে হারিয়েছিলাম, আবার হারাব

    বিগত বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে হারিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আগামী বিধানসভা নির্বাচনেও তিনি (BJP) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আমি দলের কাছে আবেদন করব আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কেন্দ্র থেকে দাঁড়াবেন আমাকে যেন সেই কেন্দ্রেই তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দেওয়া হয়। নন্দীগ্রামে হারিয়েছিলাম। আবার হারাব।’’
     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share