Tag: bjp

bjp

  • BJP: ‘‘বিনাশকারী’’, আরজি কর ইস্যুতে মমতাকে তুলোধনা করে পদত্যাগ দাবি বিজেপির

    BJP: ‘‘বিনাশকারী’’, আরজি কর ইস্যুতে মমতাকে তুলোধনা করে পদত্যাগ দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “তৃণমূলের শাসনে মহিলারা নিরাপদে (Women Security) নেই।” এমনই অভিযোগ করলেন বিজেপির (BJP) জাতীয় মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া। সোমবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন ভাটিয়া। সেখানেই নিশানা করেন তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল উল্লেখ করেছেন এ রাজ্যে মহিলারা নিরাপদ নন। যদিও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং মহিলা। জাতীয় মহিলা কমিশনও তৃণমূল সরকারকে এ ব্যাপারে নোটিশ পাঠিয়েছে। তার পরেও পদত্যাগ করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।”

    আরজি করকাণ্ডে ক্ষোভ (BJP)

    কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে যে জঘন্যতম ঘটনা ঘটেছে, সে ব্যাপারেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভাটিয়া। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী। তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রীও। তিনিই আবার রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার পরেও ঘটে গেল আরজি করকাণ্ড।” বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ইস্তফা দেওয়া উচিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মমতা বিনাশকারী হয়ে উঠেছেন। অপকর্মের দ্বারা মহিলাদের মর্যাদা নষ্ট করছেন তিনি। একজন চিকিৎসক, যিনি সমাজের সেবা করেছেন, তাঁকেও রেয়াত করা হয়নি।” বিজেপির এই মুখপাত্র বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আইনের শাসন ধ্বংস করে দিচ্ছেন।” মুখ্যমন্ত্রীকে নৈরাজ্যবাদী আখ্যাও দেন তিনি। বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নৈরাজ্যবাদী। তিনি এই নারকীয় অপরাধের প্রমাণ ধ্বংসকারী। তিনি আমাদের দেশের সংবিধান ধ্বংস করেছেন। তিনি মমতা নন, নি-র্মমতা!”

    আরও পড়ুন: আরজি করের প্রতিবাদ, পুজোর অনুদান প্রত্যাখ্যান করে ‘অভয়া’কে স্মরণ

    আত্মসম্মান ধ্বংস

    মুখ্যমন্ত্রী আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে রক্ষা করছেন বলেও অভিযোগ বিজেপির (BJP) এই জাতীয় মুখপাত্রের। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে রক্ষা করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও রকম তদন্ত না করেই তাঁকে ছেড়ে দিয়েছেন। অধ্যক্ষের দায়িত্ব ছিল ছাত্রীর নিরাপত্তার। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হওয়ার পরেও, তাঁকে পুরস্কৃত করেছেন। তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন মমতা।” তিনি বলেন, “মমতার (Mamata Banerjee) এই পদক্ষেপ একজন নারীর সম্মান ও আত্মসম্মান ধ্বংস করে দিয়েছে। মমতা যে সাংবিধানিক মূল্যবোধরক্ষার শপথ নিয়েছিলেন, তাও ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।” বিজেপির (BJP) জাতীয় মুখপাত্রের আগে মমতা সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি বলেছিলেন, “এই রাজ্য নারীদের জন্য নিরাপদ নয়। বাংলা তার নারীদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হচ্ছে। রাজ্য সরকার যে নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারেনি, তাও নিশ্চিত করেছে রাজ্য সরকার। আরজি করের ঘটনায়ই এটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।”

    পুলিশকে নিশানা ভাটিয়ার

    কলকাতা পুলিশকেও একহাত নিয়েছেন ভাটিয়া (BJP)। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশ মেনে নির্যাতিতার পরিবারকে বিপথে চালিত করছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেও এটা স্পষ্ট। এই একই অভিযোগ করেছেন মৃত ট্রেনি চিকিৎসকের মা-ও। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রথমে মৃতের পরিবারকে বলেছিল, তাঁদের মেয়ে অসুস্থ। কিছুক্ষণ পরেই আবার জানানো হয়, তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। খবর পেয়ে যখন নির্যাতিতার পরিবার হাসপাতালে পৌঁছালেন, তখন তাঁদের অপেক্ষা করতে হয়েছে তিন-চার ঘণ্টা। তাঁদের মেয়ের বডিও দেখতে দেওয়া হয়নি।”

    “কালপ্রিটের পাশে দাঁড়িয়েছেন মমতা”

    বিজেপির (BJP) জাতীয় মুখপাত্রের প্রশ্ন, “এই তিন-চার ঘণ্টায় কোন কোন প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে?” তিনি বলেন, “নির্যাতিতা নন, কালপ্রিটের পাশে দাঁড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।” মুখ্যমন্ত্রীকে কেন প্রমাণ লোপাটকারী বলা হচ্ছে তাঁর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “প্রত্যকেই জানেন, অপরাধ ঘটার প্রথম ৪৮ ঘণ্টাই হচ্ছে তদন্তকারীদের জন্য গোল্ডেন পিরিয়ড। এই সময়ের মধ্যেই পুলিশ সমস্ত এভিডেন্স সংগ্রহ করে। ধর্ষণ কিংবা খুনের ঘটনার ক্ষেত্রে এই প্রমাণের মধ্যে থাকে ছেঁড়া চুল-সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-প্রমাণ। এই সময়টা পেরিয়ে গেলে অপরাধীর অপরাধ প্রমাণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। মুখ্যমন্ত্রী যিনি নিজে পুলিশ মন্ত্রীও, তিনি কিনা কেসটাকে দুর্বল করে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।”

    লজ্জাহীনতার চূড়ান্ত নিদর্শন!

    আরজি করকাণ্ডে দোষীর শাস্তির দাবিতে আয়োজিত মিছিলে অংশ নিয়েছেন মমতা। বিজেপির (BJP) জাতীয় মুখপাত্র বলেন, “ওঁর মিছিলে হাঁটাটা লজ্জাহীনতার চূড়ান্ত নিদর্শন। উনি মিছিলে হাঁটছেন দেখে গোটা দেশ হতভম্ব হয়ে গিয়েছে।” ভাটিয়ার প্রশ্ন, “কার বিরুদ্ধে মিছিল করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) প্রশাসনে কমপ্লিট ডিসঅর্ডার রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায় তাঁর। তার পরেও তিনি নির্যাতিতার পরিবারকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ক্রিমিনালদের ধরার বদলে উল্টে নির্লজ্জের মতো তিনি আবার মিছিল করছেন।” ভাটিয়া বলেন, “এই মিছিলই প্রমাণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যর্থতা। তাই তাঁর উচিত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পদত্যাগ করা। কারণ তাঁর কাজই প্রমাণ করে দিচ্ছে, তিনি নিষ্ক্রিয়।”

    প্রসঙ্গত, ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে হত্যা করা হয় বছর একত্রিশের এক ট্রেনি মহিলা চিকিৎসককে (Women Security)। তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ (BJP)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ‘‘মমতাকে রাজ্য ছেড়ে পালাতে হবে’’, কোথায়? তাও জানালেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ

    Nadia: ‘‘মমতাকে রাজ্য ছেড়ে পালাতে হবে’’, কোথায়? তাও জানালেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে দেশজুড়ে আন্দোলন চলছে। রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে নিয়ে সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলছেন। আদালতের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ একাধিকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই আবহের মধ্যে এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আহ্বান জানালেন নদিয়ার (Nadia) রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। আরজি করের ঘটনা নিয়ে বাংলার মানুষ যেভাবে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে শুরু করেছেন, তাতে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত বলে মনে করছেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ।

    ঠিক কী বলেছেন বিজেপি সাংসদ? (Nadia)

    শান্তিপুর (Nadia) ডাকঘর মোড়ে আয়োজিত এক প্রতিবাদী সভায় বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘‘এতদিন বিরোধীরা বিরোধিতা করলেও বর্তমানে সমাজের সকল অংশের সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিবাদ করছেন। আরজি করকাণ্ড সহ বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শাসকদলের দুই-একজন ভালো মানুষ, যারা মুখ খুলেছেন তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তড়িঘড়ি নিহত তরুণী চিকিৎসকের ময়নাতদন্ত করিয়ে প্রমাণ লোপাটের জন্য ভাঙা হয়েছে মেডিক্যাল কলেজের একটি অংশ। আন্দোলনকারীদের মধ্যে দলীয় কর্মীদের হাতে বিরোধীদের পতাকা ধরিয়ে আক্রমণ করানো হয়েছে। আর এ সমস্ত নাটক বুঝে গিয়েছে সাধারণ মানুষ। তাই তো সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলেছেন সাধারণ মানুষ।’’

    ‘‘মমতার যাওয়ার একটাই জায়গা, সেটা হল…’’

    এর সঙ্গেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করে জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘‘আগামীদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্য ছেড়ে পালাতে হবে। সেক্ষেত্রে ওনার যাওয়ার একটাই জায়গা, সেটা হল বাংলাদেশ। তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে চেয়েছিলেন, এবার হয়তো সেই শখ পূরণ হতে চলেছে। তবে এ বাংলায় নয়, বর্তমানে অরাজকতার বাংলাদেশ। বাংলাদেশে গিয়ে জামাত, মৌলবীদের সঙ্গে মিলে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন তিনি। তবে, আমরাও কথা দিচ্ছি ভারতবর্ষ তথা বাংলা থেকে বিতাড়িত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্য না হয় স্লোগান দেব ‘জয় বাংলা’। সঙ্গে গান করব এক্কেবারে মানাইছে না রে।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘আমাদের আগে ৩টি বডি ছিল’’! দাবি নির্যাতিতার বাবার, সৎকারে কেন তৎপর পুলিশ?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Asansol: নারী সুরক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ বিজেপির, আসানসোলে চালু হল ‘প্রহরী’ অ্যাপ

    Asansol: নারী সুরক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ বিজেপির, আসানসোলে চালু হল ‘প্রহরী’ অ্যাপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের পর রাজ্যে নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন সর্বস্তরের মানুষ। হাসপাতালের একেবারে ভিতরে চিকিৎসকদের বিশ্রাম করার জায়গায় ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা ঘটেছে। তারপরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কর্মক্ষেত্রে নারী সুরক্ষা নিয়ে। পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে। এই অবস্থায় নারী সুরক্ষায় এগিয়ে এল বিজেপি। শুধু কোনও প্রতিশ্রুতি নয়, নারী সুরক্ষায় আসানসোল (Asansol) শহরের জন্য ‘প্রহরী’ নামে অ্যাপ চালু করল বিজেপি। আর এই প্রকল্পে কাজ করার জন্য স্বেচ্ছাসেবকও রয়েছে।

    কীভাবে কাজ করবে ‘প্রহরী’ অ্যাপ? (Asansol)

    সোমবারই কাটোয়ায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ পুরুষদের উদ্দেশে বলেছিলেন, হাতে রাখি পরিয়ে মা-বোনেদের সুরক্ষিত রাখার শপথ নিন। মূলত, রাজ্য প্রশাসনের ওপর ভরসা করে লাভ নেই বলেই এবার নারী সুরক্ষায় স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করে অ্যাপ চালু করতে উদ্যোগী হল গেরুয়া শিবির। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    এই প্রহরী অ্যাপে দুটি হেল্পলাইন নম্বর রয়েছে। নম্বর দুটি হল-৯১৪৪৪৯৯৯০৮ এবং ৯১৪৪৪৯৯৯০৯। আনুষ্ঠানিকভাবে এই অ্যাপের সূচনা করেছেন বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষেন্দু মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘আরজি করের ঘটনা প্রমাণ করে দিয়েছে, রাজ্যে নারী সুরক্ষা বলে কিছু নেই। রাস্তাঘাটে তো বটেই কর্মক্ষেত্রেও কেউ সুরক্ষিত নয়। তাই, আমরা এবার নারীদের সুরক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছি। এখন আসানসোল (Asansol) শহরের জন্য এই অ্যাপ চালু করা হল।

    জানা গিয়েছে, ২৫ জন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন এই প্রহরীতে। যদি কোনও মহিলা বিপদে পড়েন আমাদের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করলে প্রহরীর সদস্যরা সেখানে গিয়ে মহিলাদের সুরক্ষিত স্থানে পৌঁছে দেবে। ২৪ ঘণ্টা এই হেল্পলাইন নম্বর চালু থাকবে। স্বেচ্ছাসেবকরা সব সময় নজরদারি চালাবে। বিশেষ নম্বরে যোগাযোগ করলেই সাহায্য মিলবে। এখন আমরা আসানসোল দিয়ে এই প্রকল্প শুরু করলাম। আগামী দিনে জেলার বিভিন্ন এলাকায় এই প্রহরী অ্যাপ চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘আমাদের আগে ৩টি বডি ছিল’’! দাবি নির্যাতিতার বাবার, সৎকারে কেন তৎপর পুলিশ?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘‘হাতে রাখি বেঁধে মা-বোনেদের সুরক্ষার শপথ নিন’’, পুরুষদের বার্তা দিলীপ ঘোষের

    Dilip Ghosh: ‘‘হাতে রাখি বেঁধে মা-বোনেদের সুরক্ষার শপথ নিন’’, পুরুষদের বার্তা দিলীপ ঘোষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাখি বন্ধন উৎসবের দিন মহিলাদের হাতে রাখি পরিয়ে তাঁদের সুরক্ষা দেওয়ার বার্তা দিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সোমবার সকালে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী কাটোয়া শহরের স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় চায়ের দোকানের সামনে ‘চায়ে পে চর্চা’ কর্মসূচিতে যোগদান করেন তিনি। এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন কাটোয়ার বিজেপির নেতা, কর্মী-সমর্থকরা।

     হাতে রাখি বেঁধে মা-বোনেদের সুরক্ষার শপথ নিন (Dilip Ghosh)

    এদিন সাংবাদিকদের সম্মুখীন হয়ে বিজেপি (BJP) নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘মা-বোনেদের হাতে রাখি বেঁধে তাঁদের সুরক্ষার শপথ নিন। পশ্চিমবঙ্গের একটি মহিলার গায়ে হাত পড়বে না, কোনও অসম্মান হবে না। পশ্চিমবঙ্গের মহিলারা সুরক্ষিত না। আরজি করে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে তার জন্য সরাসরি দায়ী রাজ্য সরকার। আর রাজ্যে মহিলারা সুরক্ষিত নন বলেই রাখি বন্ধন উৎসবের দিন সকল মহিলাদের রাখি পরিয়ে তাঁদের সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব নিতে হবে পুরুষদের।’’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে ছাত্র-যুব সকলে এক হয়ে গিয়েছেন। একটা গণ-আন্দোলনের সৃষ্টি হয়েছে, যা বাংলাদেশের চিত্র সামনে এনে দিচ্ছে।’’

    আরও পড়ুন: ২২ অগাস্ট স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও, আরজি কর কাণ্ডে লাগাতার ধর্না বিজেপির

     আরজি করে হামলাকারীরা তৃণমূলের লোক

    এদিন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘১৪ অগাস্ট রাতে আরজি করের ভিতরে যে সকল দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছিল, তারা তৃণমূল কংগ্রেসের লোক।’’ এছাড়াও এদিন তিনি তাঁর ধারালো বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে রাজ্য সরকারকে বারবার তুলোধনা করেন। তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দমন-পীড়ন নীতি নিয়ে কাজ করছেন। তাই, তাঁর বিরুদ্ধে যখন কেউ কথা বলছেন, তখন তাঁদেরকে পুলিশ দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে না তাঁদের দলের নেতা-সাংসদরাও।’’ এদিন তিনি এও বলেন, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেসের বেশ কিছু নেতা বর্তমানে মুখ খুলছেন। কারণ, তাঁরা বুঝতে পেরেছেন বাংলাদেশের মতো অবস্থা এখানে হতে চলেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বৈরাচারী মানসিকতা এবং তাঁদের দলের নেতাদের ধমক-চমক দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখা, এগুলি আর চলবে না। তাঁরাও এবার মুখ খুলতে শুরু করছেন।’’ এদিন তিনি ‘চায়ে পে চর্চা’-য় এসে সাংবাদিকদের সম্মুখীন হওয়ার পর কাটোয়া স্টেশনে গিয়ে স্টেশনের সাধারণ মহিলা যাত্রীদের হাতে রাখি পরিয়ে দেন দিলীপ ঘোষ। মহিলাদের থেকে তিনিও রাখি পরেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: আরজি কর ইস্যুতে নোটিশ পুলিশের, নেটাগরিকদের বিনামূল্যে আইনি সাহায্য শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: আরজি কর ইস্যুতে নোটিশ পুলিশের, নেটাগরিকদের বিনামূল্যে আইনি সাহায্য শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Issue) সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব নেটিজেনরা। বিচার চেয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা। পুলিশ ও আরজি কর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন নেটাগরিকদের একাংশ। এনিয়েই আপত্তি তুলছে পুলিশ। কোথাও সমাজমাধ্যমর মাধ্যমেই লালবাজার থেকে দেওয়া হচ্ছে ‘হুমকি’। তো কোথাও ব্যবহারকারীদের বাড়িতেই পাঠানো হচ্ছে নোটিশ। এই আবহে নেটিজেনদের পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তার আশ্বাসও দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি জানান, সোশ্যাল পোস্টের জন্য পুলিশের নোটিস পেলে, আইনি সহায়তা দেবেন তিনি। এনিয়ে নিজের ই-মেল আইডিও পোস্ট করেছেন তিনি। adhikarisuvenduwb1@gmail.com-এ তিনি যোগাযোগ করতে বলেছেন।

    কী লিখলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) লিখছেন, ‘‘বিভিন্ন সূত্র থেকে আমি খবর পাচ্ছি যে, আরজি কর হাসপাতালের ডাক্তার বোনটির ওপর পাশবিক অত্যাচার এবং তাঁকে নৃশংস ভাবে খুনের প্রতিবাদে রাজ্য সরকার এবং পুলিশ প্রশাসনের সমালোচনা মূলক পোস্ট করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের পক্ষ থেকে রাজ্যে এবং রাজ্যের বাইরের বেশ কিছু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী বন্ধুদের ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ২০২৪-এর ১৬৮ নম্বর ধারায় নোটিস দেওয়া হচ্ছে, পোস্ট মুছে দিতে জোর করার পাশাপাশি তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।’’

    নিখরচায় আইনি সাহায্য দেওয়ার আশ্বাস

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কথায়, ‘‘গণতন্ত্রের মেরুদণ্ডই হল স্বাধীন মতামত পেশ করা। যা গণতন্ত্রের পক্ষে স্বাস্থ্যকর। আমি বিশ্বাস করি গণতন্ত্রে যে কোনও অন্যায়ের প্রতিবাদ করার অধিকার সকলেরই আছে, আমাদের দেশের সংবিধান আমাদের সেই অধিকার দিয়েছে। কিন্তু প্রতিবাদের ভাষা যদি অশ্লীল না হয় শুধু মাত্র প্রতিবাদ ও সমালোচনা করার উদ্দেশ্যে আপনাদের মতামত সমাজমাধ্যমে পোস্ট করার জন্য আপনাদের যদি পুলিশের হয়রানির শিকার হতে হয় তাহলে নিখরচায় আমার আইনজীবীদের মারফত আইনি সাহায্য  (RG Kar Issue) দেওয়ার ক্ষেত্রে আমি আপনাদের পাশে আছি। আপনাদের আইনি সহায়তার জন্য আমার আইনজীবী আপনাদের সঙ্গে শীঘ্রই যোগাযোগ করে নেবেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘সুখেন্দুর বক্তব্য মমতার সরকারের অধঃপতনের প্রমাণ’, প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    BJP: ‘সুখেন্দুর বক্তব্য মমতার সরকারের অধঃপতনের প্রমাণ’, প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজিকর কাণ্ডে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের বক্তব্যকে হাতিয়ার করে মমতা সরকারকে তুলোধোনা করল বিজেপি (BJP)। সুখেন্দুর বক্তব্য মমতার সরকারের অধঃপতনের প্রমাণ, এমনই প্রতিক্রিয়া বঙ্গ বিজেপির। প্রসঙ্গত রবিবার তৃণমূলের সাংসদ, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে দাবি জানিয়েছিলেন সিবিআই-এর কাছে। এ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে সুখেন্দু প্রশ্ন তোলেন, আরজি করে চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনাকে প্রথমে কেন এবং কারা আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করেছিলেন তা জানা দরকার। এই কারণেই দুজনকে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন বলে তিনি দাবি জানিয়েছিলেন।

    কী বলছে বিজেপি (BJP)

    খোদ শাসক দলের সাংসদের সরকার বিরোধী বিস্ফোরক মন্তব্য নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেছেন, ‘‘তৃণমূল, আরজি করে চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুন ছাড়াও যে অন্য ঘটনার সঙ্গে সন্দীপ এবং সিপি জড়িত, তা তোমাদের দলের সদস্যও জানেন। এই সরকার এত নীচে নেমে গিয়েছে যে, দলের সদস্যরাও তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।’’ 

    অন্যদিকে বিজেপি (BJP) নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘সিপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। প্রথমে তাঁকে সাসপেন্ড করা দরকার, তার পর সিবিআই ব্যবস্থা নেবে।’’

    শনিবার রাতে কী লিখেছিলেন সুখেন্দু?

    শনিবার রাতে এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক ট্যুইটার) সুখেন্দু লিখেছেন, ‘‘সিবিআইকে স্বচ্ছ ভাবে তদন্ত করতে হবে। কে বা কারা, কেন আত্মহত্যার তত্ত্ব খাড়া করার চেষ্টা করেছিল, তা জানার জন্য আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। কেন সেমিনার হলের কাছে ঘরের দেওয়াল ভেঙে ফেলা হল? কার প্রশ্রয়ে ‘রায়’ এত ক্ষমতা পেল? কেন ঘটনার তিন দিন পর স্নিফার ডগ ব্যবহার করা হল? এমন বহু প্রশ্ন উঠে এসেছে। এর উত্তর দিতে হবে ওঁদের।’’

    সরব হয়েছেন যুবভারতীর সামনে ফুটবল ,সমর্থকদেরও ওপর লাঠিচার্জ নিয়েও

    প্রসঙ্গত, রবিবার প্রবল প্রতিবাদ-বিক্ষোভের ভয়ে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ বাতিল করে মমতার প্রশাসন। এরপরেই ক্রীড়াঙ্গনের সামনে ফুটবল সমর্থকরা জমায়েত করে আরজি কর কাণ্ডের বিচার চাইতে থাকেন। সে সময় দুই দলের সমর্থকদের ওপর ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। এর প্রতিবাদে মমতার পুলিশের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। রবিবার রাতে এই সমাজ মাধ্যমে তিনি ফের একবার দুই দলের সমর্থকদের প্রতিবাদে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

    পুলিশের এই দমননীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে করেন সুখেন্দুশেখর রায়। তিনি রবিবার রাতে এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘আমি সমস্ত ফুটবল এবং ক্রীড়া সমর্থকের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, যুবভারতীর সামনে শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক জমায়েতে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান সমর্থকদের পুলিশের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ জানাতে হবে। জয় মোহনবাগান, জয় ইস্টবেঙ্গল।’’

    দলের বিরুদ্ধে বয়ান অথচ পদে বহাল সাংসদ,  আরজি কর কাণ্ডে চাপে তৃণমূল

    প্রসঙ্গত, আরজি করের ঘটনার শুরু থেকেই তৃণমূল সরকারের বিপক্ষে কথা বলতে শোনা গিয়েছে দলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখরকে। ১৪ অগাস্ট ‘মেয়েদের রাত দখল’-এর দিনই নিজের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সামিল হন তিনি। দক্ষিণ কলকাতার যোধপুর পার্কে নেতাজি মূর্তির সামনে বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ধর্নায় বসেছিলেন সুখেন্দু। নিজের মতো করে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, তিনি মেয়ের বাবা, নাতনির দাদু।

    প্রতিবাদীদের হয়ে প্রশ্ন তোলায় দলের সাংসদের বিরুদ্ধেই আদাজল খেয়ে নেমে পড়ে মমতার পুলিশ। তাঁকে নোটিশ পাঠায় লালবাজার। এর পর, কখনও পুলিশের বিরুদ্ধে, কখনও আরজি করে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তৃণমূলের এই রাজ্যসভার সাংসদ। বারবার প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে। প্রসঙ্গত, সুখেন্দুশেখর রায় শুধুমাত্র তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ নন, এর পাশাপাশি তিনি দলের মুখপত্র জাগো বাংলার সম্পাদকও বটেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছেন, দলের মুখপত্রের সম্পাদকের এমন মন্তব্যের পরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এতেই প্রমাণিত হচ্ছে শাসক দল আরজি কর কাণ্ডে বেশ চাপে রয়েছে। সুখেন্দু শেখর রায় ছাড়াও দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে প্রায় একই ধরনের দাবি তুলেছেন শান্তনু সেন ও সাবিনা ইয়াসমিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Hospital: ২২ অগাস্ট স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও, আরজি কর কাণ্ডে লাগাতার ধর্না বিজেপির

    RG Kar Hospital: ২২ অগাস্ট স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও, আরজি কর কাণ্ডে লাগাতার ধর্না বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Hospital) কাণ্ডের প্রতিবাদে লাগাতার আন্দোলনে নামতে চলেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রবিবারই এক সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার দলীয় কর্মসূচির কথা বলেন। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল, চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ‘তিলোত্তমা’ বা ‘অভয়া’-র খুন-ধর্ষণের বিচার চেয়ে স্বাস্থ্যভবন ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে বিজেপি (BJP)। একই দাবিতে এ সপ্তাহে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে ধর্না কর্মসূচিরও আয়োজন করতে চলেছে গেরুয়া শিবির। সুকান্ত বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য ভবন ঘুঘুর বাসা। আমরাও বিচার চাই। অবিলম্বে আসল অপরাধীদের গ্রেফতার করা হোক। সিবিআইকে বলব, পুলিশ এবং আরজিকর প্রশাসনের কর্তাদের মধ্যে টেলিফোনিক কথাবার্তায় নজর দিতে।’’

    সিএম-এর পদত্যাগ চাই

    রবিবার বাংলা বিজেপির সভাপতি বলেন, ‘‘সিএম-এর পদত্যাগ চাই। সোমবার আদালতে যাব। ২০ অগাস্ট থেকে ২৩ অগাস্ট লাগাতার ধর্নায় বসবে দলের বিভিন্ন সেল। স্বাস্থ্য ভবনেও অভিযান চালানো হবে।’’ সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, ‘‘লকেট-সহ আমাদের যাঁদের নোটিশ পাঠানো হচ্ছে, তাঁরা লালবাজারে যাবেন না। অন্য কেউ যদি আমাদের তরফে আইনি সহায়তা চান আমরা দিতে প্রস্তুত। আরজিকর (RG Kar Hospital) ইস্যুতে লড়াই চালিয়ে যান।’’

    মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত লাগাতার ধর্না চলবে

    সুকান্ত মজুমদার এ ব্যাপারে সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, আগামী মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত লাগাতার ধর্না চলবে। মঙ্গলবার ধর্না কর্মসূচির (RG Kar Hospital) প্রথম দিন উপস্থিত থাকবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার রাজ্য বিজেপির নেতাদের সঙ্গে ধর্নায় যোগ দেবেন দলের সাংসদেরা। বৃহস্পতিবার ধর্নামঞ্চে থাকবেন দলের সমস্ত শাখা সংগঠনের প্রতিনিধি এবং সদস্যেরা। শুক্রবার দলের মহিলা মোর্চার নেতৃত্বে ধর্না কর্মসূচি চলবে। সুকান্ত জানিয়েছেন, ধর্না কর্মসূচির বিষয়ে পুলিশের তরফে অনুমতি না মিললে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন।

    সোমবার রাখি বন্ধন কর্মসূচি (RG Kar Hospital)

    সোমবার রাখি পূর্ণিমার দিনও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক কর্মসূচি রয়েছে গেরুয়া শিবিরের। কলকাতার ১৫টি জায়গায় এবং প্রতিটি জেলার বিভিন্ন এলাকায় ‘রাখিবন্ধন উৎসব’ পালন করবেন মহিলা মোর্চার সদস্যারা। প্রসঙ্গত, মহিলাদের সুরক্ষার কথা ভেবেই কর্মসূচি বলে জানিয়েছে গেরুয়া শিবির (BJP)।

    কী বললেন শুভেন্দু

    রবিবারই পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, ‘‘যাঁরা ভোট দিয়ে এই সরকারকে এনেছিলেন, তাঁরা এবার বুঝুন। সময় এসেছে শিকড় থেকে উপড়ে ফেলার। যে কেউ নবান্ন চলোর ডাক দিন, আমি আছি। এই রাজ্যের সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারছে না। অন্যদিকে একটা খেলা যেখানে রাজনীতির সম্পর্ক নেই সেটাও আয়োজনে ব্যর্থ।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • JP Nadda: “তৃণমূল মহিলা-বিরোধী, যুব-বিরোধী, গণতন্ত্র-বিরোধী”,  রাজ্যকে তোপ নাড্ডার

    JP Nadda: “তৃণমূল মহিলা-বিরোধী, যুব-বিরোধী, গণতন্ত্র-বিরোধী”,  রাজ্যকে তোপ নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “তৃণমূল কংগ্রেস মহিলা-বিরোধী, যুব-বিরোধী এবং গণতন্ত্র-বিরোধী।” রবিবার এই ভাষায়ই তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে আক্রমণ শানালেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা (JP Nadd)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে নাড্ডা বলেন, “তিনি এমন একটি প্রশাসনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যারা লুটতরাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সেই লুটতরাজ রুখতে তিনি ব্যর্থ।”

    নাড্ডার নিশানায় টিএমসি

    এক্স হ্যান্ডেলেও তৃণমূলকে একহাত নেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। লেখেন, “পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূলের অধীনে রয়েছে। যে তৃণমূল মহিলা- বিরোধী, যুব-বিরোধী এবং গণতন্ত্র-বিরোধী। তাঁর লৌহ মুষ্ঠিতে মরচে পড়েছে, ভয়ঙ্করভাবে মরচে পড়েছে।” প্রসঙ্গত, গত ৯ অগাস্ট কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে খুন হন বছর একত্রিশের এক মহিলা ট্রেনি চিকিৎসক। ধর্ষণ করে খুন করা হয় তাঁকে। এই ঘটনায় ছিছিক্কার পড়ে যায় রাজ্যে। ঘটনার প্রতিবাদে তোলপাড় হয় দেশ। তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে নিশানা করে বিজেপি। রবিবার সেই সরকারকেই নিশানা করলেন নাড্ডা।

    মুখে কুলুপ বুদ্ধিজীবীদের

    এদিকে, আরজি করকাণ্ডে দেশ তোলপাড় হলেও (JP Nadd), রা কাড়েননি বাংলার বুদ্ধিজীবীরা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজ্য সরকারের কাছে নানা অছিলায় বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন তাঁরা (বাম আমলেও এঁদের একটা বড় অংশ নিয়েছেন নানা সুযোগ)। সেই কারণেই ‘মৌনীবাবা’ হয়ে রয়েছেন তাঁরা। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললে পাছে প্রাপ্তির ভাঁড়ার অপূর্ণ থেকে যায়, তাই মুখে কুলুপ এঁটেছেন তাঁরা।

    যুবভারতীতে তিন ক্লাবের প্রতিবাদ

    এদিকে, এদিন বিকেলে (JP Nadda) যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সামনে জড়ো হন মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকরা। তাঁরাও ঘন ঘন স্লোগান দেন ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। পরে যোগ দেয় মহমেডান স্পোর্টিংও। দুই প্রধান ক্লাবের সমর্থকদের এই বিক্ষোভকে সমর্থন করেছে তারাও। প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থক ঊষসী চক্রবর্তী ও মোহন-সমর্থক সৌরভ পালোধি।

    আরও পড়ুন: ভূস্বর্গে একলা লড়ার সিদ্ধান্ত বিজেপির, প্রচারে মোদি, শাহ, নাড্ডা, সিংহ

    প্রতিবাদীদের ছত্রখান করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। নির্বিচারে লাঠিচার্জ করা হয়েছে মহিলাদের ওপরও। প্রতিবাদীদের দাবি, পুলিশের লাঠির ঘায়ে জখম হয়েছেন বেশ (JP Nadda) কয়েকজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার সভাপতি কল্যাণ চৌবে। তিনি পুলিশ ও প্রতিবাদীদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রতিবাদীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মোহন-অধিনায়ক শুভাশিস বসুও। স্ত্রীকে নিয়ে যুবভারতীর সামনে গিয়েছেন তিনি। কথা বলেছেন প্রতিবাদীদের সঙ্গেও।

    প্রসঙ্গত, এদিন ছিল ডার্বি ম্যাচ। আরজি করকাণ্ডের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দিতে যত পুলিশ কর্মীর দরকার, তা না থাকার ‘অজুহাতে’ আচমকাই বন্ধ করে দেওয়া হয় ডার্বি ম্যাচ। তার জেরেই প্রতিবাদ (JP Nadda)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siddaramaiah: জমি কেলেঙ্কারি মামলায় বিচার শুরুর সম্মতি রাজ্যপালের, বিপাকে সিদ্দারামাইয়া

    Siddaramaiah: জমি কেলেঙ্কারি মামলায় বিচার শুরুর সম্মতি রাজ্যপালের, বিপাকে সিদ্দারামাইয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাঠগড়ায় উঠতে চলেছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তথা কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah)। জমি কেলেঙ্কারি (Land Scam Case) মামলায় বিচার শুরু হবে তাঁর। বিচার প্রক্রিয়া শুরুর অনুমোদন দিয়েছেন কর্নাটকের রাজ্যপাল থাওয়ার চাঁদ গহলৌত। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন তিন সমাজকর্মী প্রদীপ কুমার, টিজে আব্রাহাম এবং স্নেহময়ী কৃষ্ণা।

    কেলেঙ্কারির জেরে কাঠগড়ায় কারা? (Siddaramaiah)

    জমি বণ্টন কেলেঙ্কারির অভিযোগে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রী পার্বতী এবং শ্যালক মল্লিকার্জুনকেও। এঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে পুলিশে। অভিযোগে বলা হয়েছে, মাইসুরু নগরোন্নয়ন বিভাগের জমি বেআইনিভাবে বিলি করা হয়েছে। জেলাশাসক, ভূমি দফতরের আধিকারিকদের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী এবং শ্যালকও সেই কেলেঙ্কারিতে জড়িত।

    জাল নথিপত্র পেশ!

    স্নেহময়ীর দাবি, মল্লিকার্জুন জমির জন্য জাল নথিপত্র পেশ করেছেন মুডার দফতরে। প্রাইম লোকেশনে বহুমূল্য জমির মালিকানা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে পার্বতীকেও। ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে কর্নাটকের রাজ্যপাল, মুখ্যসচিব এবং রাজস্ব বিভাগের প্রিন্সিপাল সচিবকে চিঠিও লেখেন ওই সমাজকর্মী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই বিচার প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিলেন কর্নাটকের রাজ্যপাল। রাজভবনের তরফে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, “রাজ্যপালের নির্দেশ অনুযায়ী, আমি এখানে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৮৮-এর ধারা ১৭ এবং ২১৮-এর ধারার অধীনে মুখ্যমন্ত্রী শ্রী সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে বিচারের অনুমোদনের অনুরোধের বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের অনুলিপি সংযুক্ত করছি (Siddaramaiah)।”

    আরও পড়ুন: মমতার ফোন বাজেয়াপ্ত হলেই আরও তথ্য সামনে আসবে, আরজি কর নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    রাজ্যপাল বিচার প্রক্রিয়া শুরুর অনুমোদন দেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে বিজেপি। পদ্ম-সাংসদ তেজস্বী সূর্য বলেন, “নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে সরে দাঁড়ানো উচিত মুখ্যমন্ত্রীর।” তিনি বলেন, “কর্নাটকের মাননীয় রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরুর অনুমোদন দিয়েছেন। জমি কেলেঙ্কারিতে বিচার প্রক্রিয়া শুরুর অনুমোদন দিয়েছেন তিনি। এটা একটা সিগনিফিকেন্ট ডেভেলপমেন্ট। অভিযোগটাও খুব সিরিয়াস।” তিনি বলেন, “নৈতিক কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত সিদ্দারামাইয়ার।” রাজ্যপালের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন (Land Scam Case) বিজেপির রাজ্য সভাপতি বিওয়াই বিজয়েন্দ্রও (Siddaramaiah)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Doctors Transfer: ‘‘হিটলারকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন মমতা’’, ডাক্তার-বদলি ইস্যুতে তুলোধনা বিজেপির

    Doctors Transfer: ‘‘হিটলারকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন মমতা’’, ডাক্তার-বদলি ইস্যুতে তুলোধনা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে তোলপাড় দেশ। সাধারণ মানুষ পথে নেমে প্রতিবাদ করছেন। চিকিৎসকরাও এই ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেছেন। এবার প্রতিবাদী চিকিৎসকদের মুখ বন্ধ করতে তড়িঘড়়ি বদলির (Doctors Transfer)  সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার। আচমকাই ৪২ জন চিকিৎসককে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল সরকারের এহেন স্বৈরাচারী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবার সরব হল বিজেপি। পদ্ম-পার্টির (BJP) অভিযোগ, প্রতিবাদে শামিল হওয়ার মাশুল গুণতে হল ওই চিকিৎসকদের।

    কী বললেন অমিত মালব্য (Doctors Transfer)  

    আরজি করকাণ্ডের জেরে গত ৯ দিন ধরে রাজ্যের একাধিক হাসপাতালে চলছে কর্মবিরতি। এহেন আবহে, শুক্রবার দুপুরে আরজি করের নার্সদের নার্সিং সুপারের দফতর থেকে বলা হয়, স্বাস্থ্যভবন জানিয়েছে যাঁরা আন্দোলনে যাচ্ছেন, তাঁদের ভিডিও করে রাখা হবে। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরপরই বিকেলের দিকে দেখা যায় একটি নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে, তাতে ৪২ জনের বদলির কথা বলা হয়েছে। বিজেপির মুখপাত্র অমিত মালব্য শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন। লেখেন, ১৬ অগাস্ট ওয়েস্ট বেঙ্গল গভর্নমেন্ট হেল্থ মিনিস্ট্রি ৮ পাতার একটি ট্রান্সফার (Doctors Transfer) অর্ডার বের করেছে। সিনিয়র ডাক্তারদের বশ্যতা স্বীকারে ভয় দেখানোর একটি মরিয়া চেষ্টা। কী আড়াল করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?  

    তৃণমূলকে তুলোধনা বিজেপির জাতীয় মুখপাত্রের

    শুধু অমিত মালব্যের পোস্টই নয়, বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালাও বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনও করেন। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই তালিবানি ফতোয়া মিডিয়া থেকেই পেয়েছি আমি। কীভাবে ন্যায়ের পক্ষে কণ্ঠ ছাড়ায় ৪২ জন ডাক্তারকে বদলি (Doctors Transfer) করে দিল। কারও কারও তো দূর দূরান্তেও বদলি হয়েছে। বাংলার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসকের সঙ্গে ঘটা মর্মান্তিক ঘটনায় সারাদেশ রাগে ফুটছে। সবাই পথে নেমেছেন এবং সবার একটাই দাবি বিচার চাই।”

    তিনি বলেন, “কিন্তু বিচার দেওয়ার বদলে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের অ্যাজেন্ডা হল সুবিচার করো না, মহিলাদের বাঁচতে দিও না, শুধুমাত্র ধর্ষণকারীদের বাঁচাও। তৃণমূল কংগ্রেস এখন ‘তালিবানি মুঝে চাহিয়ে’ ও ‘তানাশাহি মুঝে চাহিয়ে’ সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী। দোষীদের শাস্তি দেওয়ার পরিবর্তে, বিচার দেওয়ার পরিবর্তে, যারা এই জঘন্য অপরাধ নিয়ে আন্দোলন করছেন, তাঁদের বিভিন্নভাবে সমস্যায় ফেলা হচ্ছে। আজ যদি ইন্দিরা গান্ধী, স্ট্যালিন, কিম জং ইল এবং হিটলারের মতো স্বৈরাচারীরাও থাকতেন, তাঁরাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাহবা দিতেন । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এঁদেরও ছাপিয়ে গিয়েছেন।”

    আরও পড়ুন: ‘‘দুর্নীতির আতুঁড়ঘর আরজি কর, হিমশৈলের চূড়া সবে দেখা যাচ্ছে’’, তোপ বোসের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share