Tag: bjp

bjp

  • Dhupguri: মামলায় অহেতুক নাম জড়িয়ে টাকা চেয়ে পুলিশের লাগামছাড়া চাপ! মৃত্যু বিজেপি নেতার

    Dhupguri: মামলায় অহেতুক নাম জড়িয়ে টাকা চেয়ে পুলিশের লাগামছাড়া চাপ! মৃত্যু বিজেপি নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের লাগামছাড়া চাপ সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল এক বিজেপি (BJP) নেতার। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি (Dhupguri) এলাকায়। মৃত বিজেপি নেতার নাম দীপু রায়। তিনি ধূপগুড়ি ব্লকের গাদং-২ গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য ও গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের প্রার্থী ছিলেন। বাড়ি জুড়াপানি এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Dhupguri)

    কিছুদিন আগে হিন্দু মন্দির ভাঙা নিয়ে ধূপগুড়িতে (Dhupguri) একটি গন্ডগোল হয়েছিল। অভিযোগ, সেই গন্ডগোলে না থাকলেও পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে সুয়োমোটো মামলা দায়ের করে। তাঁর নাম চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরপর ওই মামলার আইও চার্জশিট থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হবে বলে দফায় দফায় তাঁর কাছে টাকা দাবি করতে থাকেন বলে অভিযোগ। লাগাতার চাপ সৃষ্টি করায় সহ্য করতে না পেরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে জলপাইগুড়িতে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত সোমবার রাতে জলপাইগুড়ির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে তাঁর মৃত্যু হয়। শববাহী গাড়িতে মৃতদেহ নিয়ে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান মৃতের পরিবারের সদস্য সহ বিজেপি নেতা-কর্মীরা।

    আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে আজ পথে বুদ্ধিজীবীরা, বিচারের দাবিতে নাগরিক মিছিল রুখল পুলিশ

    বিজেপি কর্মীরা কী বললেন?

    বিজেপি (BJP) নেতা-কর্মীরা বলেন, “প্রায় তিন মাস আগের ধূপগুড়ির একটি ঘটনায় দীপু রায় যুক্ত না থাকলেও জোর করে তাঁর নাম চার্জশিটে ঢোকানো হয়। আর চার্জশিট থেকে নাম কাটানোর জন্য ধূপগুড়ি থানার এক পুলিশ অফিসার টাকার দাবি করেন। অনবরত দীপু রায়কে ফোন করে থানায় দেখা করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল। মৃতের দাদা অপু রায় থানায় এসে পুলিশের সঙ্গে দেখাও করেন। আর গোটা বিষয়য়টি সোমবার দীপু রায়কে জানান তাঁর দাদা। ঘটনা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত ছিলেন দীপু। এর পরেই অসুস্থ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। এরজন্য পুলিশই দায়ী।”

    পুলিশের সঙ্গে বচসা বিজেপি কর্মীদের

    ধূপগুড়ির থানা রোডে বিরাট পুলিশ বাহিনী মৃতদেহ সহ বিজেপি নেতা-কর্মীদের আটকে দেয়। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। দাবি তোলা হয় অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে দ্রুত এই থানা থেকে বদলি করতে হবে। যদি তাঁকে সরানো না হয় তবে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে। ধূপগুড়ি (Dhupguri) থানার আইসি-র আশ্বাস পেয়ে বিক্ষোভ ওঠে। পরে, রাতেই বিজেপি নেতার দেহ সৎকার করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu and Kashmir: স্বাধীনতা দিবসের আগে জম্মু ও কাশ্মীর জুড়ে পালিত বিজেপির তেরঙ্গা যাত্রা

    Jammu and Kashmir: স্বাধীনতা দিবসের আগে জম্মু ও কাশ্মীর জুড়ে পালিত বিজেপির তেরঙ্গা যাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির পক্ষ থেকে দেশব্যাপী ১১ থেকে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত, হর ঘর তিরঙ্গার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। তারই অঙ্গ হিসেবে সোমবার কাশ্মীরেও দেখা গেল এই চিত্র। দেশপ্রেমের চেতনা এবং স্বাধীনতা দিবসর উদ্দীপনা উদযাপন করতে এদিন জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) বিজেপির যুব মোর্চার নেতৃত্বে বিরাট তেরঙ্গা যাত্রার আয়োজন করে। এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিজেপির (BJP) সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অশোক কৌল তেরঙ্গা র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় দেশের স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব এবং ঐক্য-অখণ্ডতা রক্ষার জন্য প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্যের ওপর জোর দেন তিনি। একইসঙ্গে উপত্যকার উন্নয়ন ও শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ে বিজেপির প্রতিশ্রুতির কথাও তুলে ধরেন কৌল।

    ঠিক কী বললেন কাশ্মীরের বিজেপি সংগঠন সম্পাদক (Jammu and Kashmir)?

    বিজেপি নেতা অশোক কৌল বলেন, “একজন ব্যক্তির প্রথম দায়িত্ব তাঁর দেশের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা। সেইসঙ্গে, রাষ্ট্রকে সর্বোপরি সম্মান প্রদান করে মাতৃভূমির জন্য সেবা করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব। তাই এই রাজ্যের (Jammu and Kashmir) প্রত্যেক মানুষকে তেরঙ্গা যাত্রার সমাবেশে অংশগ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করব।” এই সমাবেশে জম্মু পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের সাংসদ যুগল কিশোর শর্মা, বিজেপি সহ-সভাপতি যুধবীর শেঠি, যুবমোর্চার সভাপতি অরুণ প্রভাত এবং অন্যান্যরা সমাবেশে যোগদান করেন।

    আরও পড়ুনঃ ভারতের জন্য গ্রেট নিকোবর দ্বীপে আন্তর্জাতিক ট্রান্সশিপমেন্ট পোর্ট কতটা গুরুত্বপূর্ণ জানেন?

    রাজৌরি, কাঠুয়াতে পালিত হল তেরঙ্গা র‍্যালি

    এদিনই রাজৌরিতে (Jammu and Kashmir) রাজ্য বিজেপি (BJP) সাধারণ সম্পাদক বিবোধ গুপ্তা একটি তেরাঙ্গা সমাবেশে অংশ নেন। কাশ্মীরের বাস্তুচ্যুত জেলাগুলিতে এদিন বিজেপি জেলা সভাপতি রোহিত গাঞ্জু, যুব মোর্চার সহ-সভাপতি ডা. হিমজা মেঙ্গি সহ আরও অনেক নেতা এদিন তেরঙ্গা র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। আবার সানাসারে রামবান বিধানসভা কেন্দ্রে জাতীয় মিডিয়া ইনচার্জ এস আমনদীপ সিং তেরঙ্গা সমাবেশে যোগদান করেন। অপর দিকে, কাঠুয়া বিধানসভা কেন্দ্রে প্রবীণ বিজেপি নেতা মুনীশ শর্মা একটি জাতীয় পতাকা নিয়ে পদ যাত্রা করেন। একইভাবে, যুব মোর্চার পক্ষ থেকে নাগরোটা বিধানসভা কেন্দ্রে একটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রে যুব শাখার রাজ্য সম্পাদক ডাঃ সুনীল ভরদ্বাজের নেতৃত্বে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অনুষ্ঠান পালন হয়। ভাদেরওয়াহ বিধানসভা কেন্দ্রে প্রাক্তন বিধায়ক দিলীপ সিং উপস্থিত থেকে জাতীয় পতাকা নিয়ে মিছিল করেন। জম্মু উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র ও খাজুরিয়াতেও তেরঙ্গা সমাবেশে লক্ষ্য করা গিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • R G Kar Medical: নিহত তরুণী চিকিৎসকের শরীরে ১১টির বেশি ক্ষতচিহ্ন, বারংবার ধর্ষণের প্রমাণ!

    R G Kar Medical: নিহত তরুণী চিকিৎসকের শরীরে ১১টির বেশি ক্ষতচিহ্ন, বারংবার ধর্ষণের প্রমাণ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (R G Kar Medical) মৃত তরুণী চিকিৎসকের শরীরে রয়েছে ১১টির বেশি আঘাতের চিহ্ন। সেই সঙ্গে হয়েছে একাধিকবার ধর্ষণও (Rape), মিলেছে এমনই প্রমাণ। ফলে কোনও একজনের পক্ষে কি এই কাজ করা সম্ভব? নাকি ঘটনায় আরও অনেকে যুক্ত? এরকমই প্রশ্ন তুলছেন মেডিক্যাল পড়ুয়া এবং চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ। আন্দোলনরত পড়ুয়াদের দাবি, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দ্রুত সামনে আনতে হবে। একই ভাবে তৃণমূল মূল অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করছে বলে দাবি করেছে বিজেপি।

    একাধিক অপরাধী এখানে উপস্থিত ছিল?

    প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মৃতার (R G Kar Medical) শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। চোখ এবং মুখ থেকে রক্তপাতের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। শরীরের বাঁ পা, পেট, হাত, ঘাড়-সহ একাধিক জায়গায় মিলেছে আঘাতের চিহ্ন। চলেছে লাগাতার ধর্ষণ (Rape)। একজন ফরেন্সিক মেডিসিনের চিকিৎসক বলেছেন, অপরাধ এবং আঘাতের চিহ্ন দেখে স্পষ্ট বলা যায়, এই ডাক্তারি পড়ুয়ার তরুণীর উপর অনেক সময় ধরে নির্মম অত্যাচার করা হয়েছে। তবে একজন এই হত্যাকাণ্ডে যুক্ত থাকলে হয়তো ওই পড়ুয়া স্বাভাবিক চিৎকার বা বাধা দেওয়ার কাজে সক্ষম হতে পারতেন। কিন্তু নির্যাতনের মাত্রা দেখে অনুমেয় যে একাধিক অপরাধী এখানে উপস্থিত ছিল। আরও এক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেন্সিক মেডিসিনের চিকিৎসক জানিয়েছেন, মৃতার শরীরে পাওয়া ক্ষতগুলিকে ভালো করে পরীক্ষা করলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে। গলা এবং বুক, দুই জায়গায় গায়ের জোরে চেপে ধরার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তবে অপরাধের ধরন দেখে মনে হচ্ছে একাধিক ব্যক্তি এখানে জড়িত। কারণ শ্বাসরোধ করে মারতে গেলে দুই হাত গলায় থাকবে। আবার এক ব্যক্তির পক্ষে শ্বাসরোধ করলে, বুকে চাপ দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে সবটা একজনের পক্ষে করা কঠিন। তবে অনেকক্ষুণ ধরে অত্যাচার না করলে এমনটা সম্ভব নয়। এতগুলি আঘাতের চিহ্ন কীভাবে সম্ভব। তাই নিয়ে উঠছে বিস্তর প্রশ্ন। অবশ্য পুলিশ গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিই একমাত্র অভিযুক্ত বলে জানিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ মমতার সরকারকে ৪৮ ঘণ্টা সময়সীমা, দেশব্যাপী আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি আইএমএ’র

    দোষীদের শাস্তির দাবিতে উত্তাল

    শনিবার আরজিকরের (R G Kar Medical) সমানে দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিরাট সংখ্যায় পড়ুয়ারা আন্দোলনে নামে। উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা। এই আন্দোলনে ডাক্তার এবং সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণ ছিল। বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য সচিব ডিএমই-র সঙ্গে মিটিং হয়েছে। ফাস্ট ট্রায়াল কন্ডাক্ট হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। দোষীদের কঠিন শাস্তির আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। রাতের বেলায় পুলিশ নিরাপত্তা দেবে বলে জানিয়েছে। আরও বেশি পরিমাণে সিসিটিভি লাগানো হবে। হস্টেলের সমস্যা দ্রুত মেটানো হবে। বাইরে থেকে আসা ব্যক্তিদের জন্য রেজিস্টার খাতা চালু করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: “রাহুল গান্ধী আর প্রতারণার রাজনীতি, মিথ্যাচারের রাজনীতি সমার্থক”, তোপ বিজেপির

    BJP: “রাহুল গান্ধী আর প্রতারণার রাজনীতি, মিথ্যাচারের রাজনীতি সমার্থক”, তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কর্নাটক ও হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করেননি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)।” অন্তত এমনই অভিযোগ করল বিজেপি (BJP)। শনিবার কংগ্রেসের ‘যুবরাজ’কে আক্রমণ শানিয়ে গেরুয়া শিবিরের তরফে বলা হয়, রাহুল গান্ধী প্রতারণার রাজনীতিরই সমার্থক।

    ‘কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধীর ডিএনএ’ (BJP)

    দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে পদ্ম শিবিরের জাতীয় মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস কর্নাটকে ৫৯টি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। যদিও পূরণ করেছে মাত্র দুটো। শিক্ষা নিয়ে তারা যে সাতটা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে, তার ছ’টাই পূরণ হয়নি। কর্মসংস্থান নিয়ে ১৫টা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। পূরণ হয়নি তার ১৪টাই।” প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করাটাই ‘কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধীর ডিএনএ’ বলেও আক্রমণ শানান এই বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, “কর্নাটকে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির মাত্র তিন শতাংশ পূরণ হয়েছে, ৯৭ শতাংশই পূরণ করতে কংগ্রেস ব্যর্থ।” গৌরবের তোপ, “কর্নাটকবাসী প্রতারিত হয়েছেন। যেখানেই কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছে, সেই রাজ্যের বাসিন্দারাই প্রতারিত হয়েছেন। হিমাচল প্রদেশের মানুষও প্রতারিত হয়েছেন।” তিনি বলেন, “রাহুল গান্ধী আর প্রতারণার রাজনীতি, মিথ্যাচারের রাজনীতি, প্রোপাগান্ডার রাজনীতি সমার্থক।”

    ‘ভনিতার রাজনীতি’

    কর্নাটকে কৃষকের আত্মহত্যা ইস্যুতে মুখ খুলেছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল । এদিন সে প্রসঙ্গেও গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির নেতা রাহুলকে নিশানা করেছেন গৈরিক সৈনিক গৌরব (BJP)। তাঁর মতে, ভোট কুড়োতে ‘ভনিতার রাজনীতি’ করছেন রাহুল। বলেন, “উনি তো দিল্লিতে কৃষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করতে পারতেন।” তিনি বলেন, “মিডিয়া রিপোর্ট বলছে কর্নাটকে ১ হাজার ২০০ কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। তার পরেও কেন রাহুল গান্ধী তাঁদের জন্য একটা মিনিটও খরচ করতে পারলেন না? কেন তিনি কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বললেন না?”

    আরও পড়ুন: “মায়ের প্রাণ বাঁচানোয় মোদির কাছে কৃতজ্ঞ”, বললেন হাসিনা পুত্র

    গৌরব বলেন, “এর কারণ গান্ধীর অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র আলাদা। সেই কারণেই তিনি কর্নাটককে এমন একজন মুখ্যমন্ত্রী উপহার দিয়েছেন যিনি নিজেই দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন।” বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র বলেন, “কংগ্রেস কৃষক বিরোধী, এসসি-এসটি মায় ওবিসি বিরোধীও। তারা মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেয় (Rahul Gandhi)। ভোটের পর সেগুলো আর কার্যকর করে না (BJP)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Pradesh BJP: যোগী রাজ্যের ৪০৩টি বিধানসভা কেন্দ্রে জাতীয় পতাকা নিয়ে পদযাত্রা করবে বিজেপি

    Uttar Pradesh BJP: যোগী রাজ্যের ৪০৩টি বিধানসভা কেন্দ্রে জাতীয় পতাকা নিয়ে পদযাত্রা করবে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh BJP) বিজেপি সরকার ৩দিন ধরে জাতীয় পতাকা নিয়ে পদযাত্রা করবে। রাজ্যের পক্ষ থেকে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ প্রচারের জন্য মোট ৪০৩টি বিধানসভা কেন্দ্র জুড়ে জাতীয় পতাকা নিয়ে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। একই ভাবে বাড়িতে বাড়িতে ‘হর ঘর তেরঙ্গা’ পালনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এই বিরাট আয়োজনকে কেন্দ্র করে যোগী (Yogi state) রাজ্যে এখন প্রস্তুতি তুঙ্গে।

    ১১ থেকে ১৩ অগাস্ট পর্যন্ত হবে তিরঙ্গা যাত্রা (Uttar Pradesh BJP)

    শনিবার কর্মসমিতির বৈঠকের পর দলের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh BJP) বিজেপি ১১ অগাস্ট থেকে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রে ‘তিরঙা পদযাত্রা’ পালন করবে। এই পদযাত্রা ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ প্রচারের একটি অংশ। সকল মানুষকে এই কর্মযজ্ঞে যোগদান কারানোই প্রধান লক্ষ্য। এই কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে দেশপ্রেমের বার্তা সারা রাজ্য জুড়ে শহর, গ্রাম, রাস্তা এবং পাড়ার মধ্যে পৌঁছে দিতে হবে। এই পদযাত্রায় রাজ্য বিজেপির সভাপতি ভূপেন্দ্র সিং চৌধুরী, রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) ধরমপাল সিং, রাজ্যের মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক এবং জেলা, বিভাগ ও বুথ স্তরের দলীয় নেতা-কর্মী-সমর্থকরা অংশগ্রহণ করবেন। সকলকে ত্রিবর্ণ জাতীয় পতাকা বহন করতে হবে। এদিনের দলীয় বৈঠকে বিশেষ ভাবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। 

    আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুনিধন নিয়ে নীরব কংগ্রেস, তোপ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

    দেশভক্তি এবং জাতীয়তাবোধের বার্তা

    রাজ্যের (Uttar Pradesh BJP) ‘হর ঘর তেরঙ্গা’ কর্মসূচির সহ-সমন্বয়কারী এবং বিজেপির মুখপাত্র সমীর সিং বলেন, “রবিবার সাহারানপুরে তেরঙ্গা মিছিলে দলের নেতা ও কর্মীদের সঙ্গে আমরা যোগদান করব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আহ্বানে সাড়া দিয়েছে গোটা দেশ। বিজেপি প্রতি বছর এই ‘হর ঘর তিরাঙ্গা’ প্রচারের মাধ্যমে দেশভক্তি এবং জাতীয়তাবোধের গভীর বার্তা প্রচার করছে। প্রত্যকের বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং তেরঙ্গা যাত্রায় যোগদানের জন্য আহ্বান জানাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Medical College: ঘরে-বাইরে চাপ! তাই কি আরজি করে ধর্ষণ-খুনকাণ্ডে সিবিআই-তে রাজি মমতা?

    RG Kar Medical College: ঘরে-বাইরে চাপ! তাই কি আরজি করে ধর্ষণ-খুনকাণ্ডে সিবিআই-তে রাজি মমতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজিকরে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় কাঠগড়ায় রাজ্য প্রশাসন। সরকারি হাসপাতালে নাইট ডিউটির সময় কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসকের এ হেন পরিণতিতে বিস্মিত দেশ। এই ঘটনাকে দিল্লির নির্ভয়াকাণ্ডের থেকেও নৃশংস বলে দাবি করেছেন অনেকে। মহিলা চিকিৎসকদের জন্য নিরাপদ পরিবেশের দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। দিল্লির এইমস সহ দেশের বিভিন্ন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী সংগঠনের চাপে অবশেষে গাফিলতি মেনে নিয়েছে প্রশাসন। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তেও রাজ্যের আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    বিজেপির চাপ

    যেভাবে হাসপাতালের মধ্যে অর্থাৎ নিজের কর্মস্থলে এক ডাক্তারি পড়ুয়ার নৃশংস মৃত্যু হয়েছে তাতে নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে এবং অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিতে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মবিরতিতে নেমেছেন একাংশ ডাক্তারি পড়ুয়া ও জুনিয়র চিকৎসকরা। নির্ভয়া কাণ্ডের চেয়েও ভয়াবহ বলে নিন্দায় সরব হয়েছে চিকিৎসকদের একাধিক সংগঠন। এই ঘটনায় সরব হয়েছে বিজেপি। রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা কোথায়, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আরএসএস-পন্থী চিকিৎসক সংগঠন ন্যাশনাল মেডিক্যাল অর্গানাইজেশন, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এই বিষয়ে চিঠি লিখেছে। তারা চিকিৎসকদের জন্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা আইনের দাবি জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডাকে চিঠি দিয়েছে বিজেপি যুব মোর্চাও।

    সিবিআই তদন্তে রাজি মমতা

    রাজ্যজুড়ে চিকিৎসকদের বিক্ষোভ-প্রতিবাদ, ঘরে-বাইরে প্রবল চাপে পড়ে বাধ্য হয়েই সব দাবি মানছে রাজ্য। আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় যে কোনও এজেন্সি তদন্ত করলে রাজ্য সরকারের কোনও আপত্তি নেই, বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর  কথায়, ‘‘আমাদের (রাজ্য সরকারের) উপর আস্থা না থাকলে আন্দোলনরত পড়ুয়ারা যে কোনও এজেন্সির কাছে যেতে পারেন। আমাদের কোনও আপত্তি নেই।’’

    পড়ুয়াদের ক্ষোভ সঙ্গত

    পড়ুয়াদের ক্ষোভকেও সঙ্গত বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। আশপাশে সিসি ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে ঘটনা ঘটল, সেই প্রশ্নও তুলেছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী এ-ও বলেছেন, হাসপাতালের ভিতরের বিষয় দেখভালের জন্য সুপার, প্রিন্সিপালদেরও দায়িত্ব রয়েছে। সে ক্ষেত্রে কোনও ফাঁকফোকর ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “ফাঁসির পক্ষে আমি নই। তবে কোনও কোনও ঘটনায় শিক্ষা দেওয়ার জন্য এরকম শাস্তি দরকার, যাতে আর কেউ করার সাহস না পায়। আমি নির্দেশ দিয়েছি, ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে মামলা নিয়ে গিয়ে, দরকার হলে ফাঁসির আবেদন জানানো হোক। যে কালপ্রিট এটা করেছে, তার কোনও ক্ষমা নেই।”

    কী বললেন পুলিশ কমিশনার

    আরজিকরে ডাক্তারি পড়ুয়াকে খুনের ঘটনায় অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা্ করা হবে বলে আশ্বাস দিলেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলও। আরজি কর-কাণ্ডে ইতিমধ্যেই এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল আরও বলেন, ‘‘সারা রাত তদন্ত চালানো হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ-সহ বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে একজনে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে, পরিবার অন্য কোনও এজেন্সিকে দিয়ে তদন্ত করতে চাইলে আপত্তি নেই। আমরা সহযোগিতা করব।’’

    চিকিৎসকদের বিক্ষোভ

    আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে জরুরি পরিষেবা ব্যতীত চিকিৎসকরা একের পর এক হাসপাতালে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে। কর্মবিরতি সিএন‌এমসি, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এন‌আর‌এস, এস‌এসকেএম‌ও। কর্মবিরতি জেলার হাসাপাতালেও। আরজি করের ঘটনার প্রকৃত তদন্তের দাবিতে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে এমার্জেন্সি পরিষেবা সচল রেখে বাকি পরিষেবার ক্ষেত্রে কর্মবিরতি ও অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন জুনিয়ার চিকিৎসকরা। অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররাও। হাসপাতালের সুপার অফিসের সামনেই অবস্থান বিক্ষোভে বসেন তাঁরা। 

    আরও পড়ুন: তদন্ত কমিটিতে ইন্টার্ন! আরজি করে ছাত্রী খুনের ঘটনায় সিবিআই দাবি শুভেন্দুর

    জল গড়িয়েছে দিল্লিতেও

    দেশের সব ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশনকে এই ঘটনার প্রতিবাদে নামার আবেদন জানিয়েছে এইমস আরডিএ। ইতিমধ্যেই তাদের তরফে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও এই ঘটনা খতিয়ে দেখার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালের ডাক্তাররা। পিজিআই চণ্ডীগড়ের রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনও উদ্বেগপ্রকাশ করে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে। তাদের দাবি, এই ঘটনাকে যারা ধামাচাপা দিতে চেয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত এবং মহিলা চিকিৎসকদের শুধুমাত্র দিনের বেলায় ডিউটি দিতে হবে। পেডিয়াট্রিক সার্জারি অ্যাসোসিয়েশন এই ঘটনাকে নির্ভয়াকাণ্ডের থেকেও নৃশংস বলে দাবি করে মহিলা চিকিৎসকদের জন্য নিরাপদ পরিবেশের দাবি জানিয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে হাসপাতালে বিক্ষোভ বাড়ছে, সার্বিক ভাবে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবাকে তা প্রভাবিত করতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • South 24 Parganas: মন্দির তৈরিতে বিজেপি কর্মীদের বাধা দিল তৃণমূল! বাড়ি ভাঙচুর, হামলা

    South 24 Parganas: মন্দির তৈরিতে বিজেপি কর্মীদের বাধা দিল তৃণমূল! বাড়ি ভাঙচুর, হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন মিটে গেলেও রাজনৈতিক অশান্তি অব্যাহত। এর আগেও একাধিকবার বিরোধীদের ওপর আক্রমণের খবর সামনে এসেছে। এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মথুরাপুরের লক্ষ্মীনারায়ণপুর দক্ষিণ গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষ্ণরামপুরে সকাল থেকেই বিজেপি কর্মী-‌সমর্থকদের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    শুক্রবার সকালে বিজেপির (BJP) কর্মী-সমর্থকরা কৃষ্ণরামপুরে (South 24 Parganas) একটি মন্দির তৈরি করছিলেন। মন্দির করতে তৃণমূলের নেতাদের অনুমতি নিতে হবে। বিজেপি কর্মীরা সেটা করেননি। এটাই অপরাধ! আর অনুমতি ছাড়া মন্দির তৈরি করার জন্য তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাঁশের লাঠি, রড নিয়ে বিজেপি কর্মী-‌সমর্থকদের ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তাঁদের মারধর করা হয়। ভয়ে বিজেপি কর্মী-‌সমর্থকরা বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে এই এলাকার প্রায় ৪০টি বিজেপি সমর্থিত বাড়িতে একাধিকবার হামলা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের কর্মী-‌সমর্থকদের বিরুদ্ধে। পুলিশকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে  যখন মন্দির ভাঙার ঘটনা ঘটছে, তখন এই বাংলায় মন্দির তৈরিকে কেন্দ্র করে এইভাবে বিজেপি কর্মীদের ওপর আক্রমণ কীসের ইঙ্গিত দিচ্ছে, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন? জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় মথুরাপুর থানার পুলিশ উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে গোটা বিষয়ের তদন্তের শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: আজ দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে নাগ পঞ্চমী, জানুন পৌরাণিক কাহিনী

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    মথুরাপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মানবেন্দ্র হালদার বলেন, বিষয়টি জমি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ। এরসঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপি রাজনীতির রং দেওয়ার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে, মথুরাপুর ১ নম্বর ব্লকের বিরোধী দলনেতা প্রবীর বৈদ্য বলেন, এই ছবিটা শুধুমাত্র মথুরাপুরের নয়, গোটা রাজ্য জুড়েই তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনীরা বিজেপির (BJP) ওপরে হামলা চালাচ্ছে। এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। মন্দির তৈরিতেও তৃণমূল বাধা দিচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। তৃণমূলের লোকজন হামলা চালানোর পর উল্টে আমাদের কর্মীদের মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। হামলাকারীদের সকলকে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • R.G. Kar Medical College: আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ‘ধর্ষণ করে খুন’! মমতাকে আক্রমণ বিজেপির

    R.G. Kar Medical College: আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ‘ধর্ষণ করে খুন’! মমতাকে আক্রমণ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (R. G. Kar Medical College) কর্তব্যরত মহিলার চিকিৎসকের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। বিজেপির নেতা অমিত মালব্যর দাবি, “ধর্ষণ করে মহিলা ডাক্তারকে খুন করা হয়েছে। মমতার সরকার ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চাইছে।” ইতিমধ্যে জুনিয়র ডাক্তারেরা প্রতিবাদ জানিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি তুলে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে। জানা গিয়েছে, কেবলমাত্র জরুরি বিভাগেই পরিষেবা চলছে। ঘটনায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর এবং হাসপাতালের প্রশাসন কাঠগড়ায়।

    পুলিশকে ধামাচাপা দিতে বলা হয়েছে! (R. G. Kar Medical College)

    বিজেপি নেতা অমিত মালব্য তাঁর এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে বলেন, “কলকাতার শীর্ষস্থানীয় সরকারি হাসপাতালে এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। ডিউটি ​​রুম থেকে মহিলার নগ্নদেহ উদ্ধার হয়েছে। মমতার সরকার অপরাধ আড়াল করার চেষ্টা করছে। কলকাতা পুলিশকে ধামাচাপা দিতে বলা হয়েছে। খুনের ঘটনাকে আত্মহত্যা হিসেবে দেখাতে বলা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমেকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।” আবার বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল বলেন, “রাজ্যের কোনও মহিলা সুরক্ষিত নয়। রাজ্যের কাছে অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। কলেজের (R. G. Kar Medical College) সেমিনার হলে মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণ করে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে।” এদিকে ঘটনার কথা জানাজানি হতে হাসপাতালের বাইরে বিজেপি নেতা সজল ঘোষের নেতৃত্বে বিরাট বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়।

    মৃত চিকিৎসকের পরিবারের দাবি খুন

    চিকিৎসকের মায়ের দাবি, তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে। ‘অর্ধনগ্ন’ অবস্থায় তাঁর মেয়ের দেহ পড়েছিল বলেও দাবি করেছেন তিনি। মহিলা বলেন, ‘‘আমার মেয়েটাকে খুন করে ফেলেছে এরা। অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়ে ছিল দেহ। গায়ে কাপড় ছিল না। চশমাটা ভেঙে গিয়েছিল। মুখে আঘাতের চিহ্ন ছিল। রাতে ও একাই ছিল সেমিনার হলে। ভিতরে কোনও সিসি ক্যামেরা নেই।’’

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

    হাসপাতালের (R. G. Kar Medical College) সুপার সঞ্জয় বশিষ্ট জানিয়েছেন, মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেটকে দিয়ে তদন্ত করানো হবে। তবে ইতিমধ্যে ১১ জনের সদস্য নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ময়না তদন্তের সময় ভিডিওগ্রাফি করা হবে। তবে তিনি ধর্ষণ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। অপর দিকে গোটা ঘটনার তদন্তে কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা উপস্থিত হয়েছেন। ঘটনার খবর পেয়ে কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল, স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম পৌঁছে গিয়েছেন। ঘটনা কীভাবে ঘটল সেই বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kavach 4.0: দিল্লি-হাওড়া রুটে বসছে ‘কবচ ৪.০’, টেন্ডার এবছরই, ঘোষণা রেলমন্ত্রীর

    Kavach 4.0: দিল্লি-হাওড়া রুটে বসছে ‘কবচ ৪.০’, টেন্ডার এবছরই, ঘোষণা রেলমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে কোনও মূল্যে দুর্ঘটনা রুখতে সক্রিয় ভারতীয় রেল। প্রায় ২০ হাজার ট্রেনে অত্যাধুনিক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ব্যবস্থা তথা “কবচ” বসানোর পরিকল্পনা করছে ভারতীয় রেল। আনা হচ্ছে ‘কবচ ৪.০’। ইতিমধ্যেই ১০ হাজার ট্রেনে ‘কবচ ৪.০’ বসানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণও করেছে রেলমন্ত্রক। বুধবার এই বিষয় নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। কবচ ৪.০-তে রয়েছে ‘টেম্পোরারি স্পিড রেস্ট্রিকশন’, উন্নত ব্রেকিং কার্ভ এবং লোকেশন প্রিসিশনের মতো অতিরিক্ত ফিচার। 

    রেলমন্ত্রীর ঘোষণা

    ভারতীয় রেলের তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত মধ্য রেলের ১ হাজার ৪৬৫টি রুটের ১৪৪টি রেকে এই ‘কবচ’ চালু করা হয়েছে। দিল্লি-চেন্নাই এবং মুম্বই-চেন্নাই সেকশনে অটোমেটিক সিগন্যাল সেকশনের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, আপাতত দু’টি ব্যস্ততম রুটে এই ‘কবচ’ বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। একটি- দিল্লি-মুম্বই এবং অন্যটি দিল্লি-হাওড়া। এই প্রক্রিয়া এই অর্থবর্ষের মধ্যেই শেষ করা হবে বলেও জানান তিনি।নতুন এই কবচের নাম রাখা হয়েছে ‘কবচ ৪.০’। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, ধীরে ধীরে প্রতিটি সেকশনেই কবচ ৪.০ আনা হবে। ভারতের প্রাণ রেলওয়ে তাই মরুভূমি থেকে জঙ্গল প্রতিটি রেললাইনেই এই অত্যাধুনিক দুর্ঘটনা প্রতিরোধী ব্যবস্থা আনতে চলেছে ভারতীয় রেল।

    কী ভাবনা রেলের

    দিল্লি-কলকাতা এবং দিল্লি-মুম্বই রেলপথে কবচ বসানোর কাজ ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে শেষ হবে, বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। অ্যান্টি-কলিশন প্রযুক্তি স্থাপনের মাধ্যমে যাত্রীদের ভ্রমণ নিরাপদ করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ। দিল্লি-মুম্বই এবং দিল্লি-হাওড়া রুটে প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার কবচের কাজ চলতি অর্থবর্ষের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। উল্লেখ্য, গোল্ডেন কোয়াড্রিল্যাটেরাল বা সোনালী চতুর্ভুজে চলাচলকারী ট্রেনগুলোতে সবচেয়ে বেশি যাত্রী পরিবহণ হয়। ১০ হাজার ইঞ্জিনে কবচ বসানো ছাড়াও সারা দেশে ৮,০০০ রেল স্টেশন লিডার (লাইট ডিটেকশন অ্যান্ড রেঞ্জিং, একটি রিমোট সেন্সিং পদ্ধতি যা পৃথিবীতে রেঞ্জ পরিমাপ করতে স্পন্দিত লেজারের আকারে আলো ব্যবহার করে) এবং ড্রোনের মাধ্যমে জরিপ করা হবে। এর পরে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে একযোগে সমস্ত স্টেশনে কবচ ডেটা সেন্টার স্থাপনের কাজ শুরু হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘‘এটা তূণমূলেরও ভবিষ্যৎ’’,  বাংলাদেশ প্রসঙ্গে মমতাকে নিশানা দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘‘এটা তূণমূলেরও ভবিষ্যৎ’’, বাংলাদেশ প্রসঙ্গে মমতাকে নিশানা দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ ইস্যুতে কথা বলেতে গিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করলেন প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বিজেপির প্রবীণ এই নেতার দাবি, বাংলাদেশে এখন যারা অরাজকতা করছে, হিংসা চালাচ্ছে, তাদেরই মতো একদল ভারতে ঢুকে সিএএ পাস হওয়ার পর দিকে দিকে আগুন জ্বালিয়েছিল। লুট করেছিল। বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) যারা তাণ্ডব চালাচ্ছে তারাই পশ্চিমবঙ্গের একাংশ দখল করে রেখেছে। বুধবার সকালে দুর্গাপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই দাবি করলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঘের পিঠে চড়েছেন। যেদিন নামবেন সেদিন সবার আগে ওনার ঘাড় মটকাবে। 

    তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি

    দিলীপ (Dilip Ghosh) বলেন,  ‘বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) যারা নৈরাজ্য চালাচ্ছে, তারাই ভোটের পরে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকেছিল।’ তাঁর দাবি, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরনোর পরে ভোট পরবর্তী হিংসা চালিয়েছিল এরাই। বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা করেছিল, খুন করেছিল। এদের মতোই লোকজন বিজেপির নেতা-কর্মীদের উপর তৃণমূলের হয়ে হামলা চালিয়েছিল বলে দাবি দিলীপের। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বললেন, ‘এরাই এখানে তৃণমূলকে দখল করে নিয়েছে। মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ভাবছেন, এরা তাঁর পক্ষেই আছে, তাই মুখ বন্ধ রেখেছেন।’ দিলীপের সাবধানবাণী, ‘এক দিদি গিয়েছেন, আরেক দিদি হয়ত সেই রাস্তায় হাঁটতে চলেছেন। তৃণমূল ভবিষ্যৎ দেখে রাখুক, এই আগুন থেকে তারাও বাঁচবে না।’  

    আরও পড়ুন: কোনও দেশেই আশ্রয় চাননি হাসিনা, দাবি পুত্র জয়ের! ভারতেই থাকবেন?

    প্রসঙ্গ বাংলাদেশ

    বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) প্রসঙ্গে এদিন দিলীপ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘কোনও ইসলামিক দেশে গণতন্ত্র সফল হয় না, এটা তার প্রমাণ। কিছু গণ্ডগোল হলেই ওখানে হিন্দুদের ওপরে অত্যাচার হয়। তারা পালিয়ে আসেন। আবার সেটা হচ্ছে। কিন্তু তাদের হয়ে কেউ কথা বলছে না। কেউ জামাতিদের কথা বলছে, কেউ স্বৈরতন্ত্রের কথা বলছে।’ বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দিলীপ ঘোষের মত, ‘যারা সমাজ বিরোধী তারা কোনও দলের নয়। না হলে, তারা কী করে সংসদ ভবন লুট করতে পারে? প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি লুট করতে পারে? সেগুলো তো সব দেশেরই জিনিস।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share