Tag: bjp

bjp

  • Balurghat: মোদির কুশপুত্তলিকায় জুতোপেটা তৃণমূলের, আন্দোলনে বিজেপি, অভিযোগ থানায়

    Balurghat: মোদির কুশপুত্তলিকায় জুতোপেটা তৃণমূলের, আন্দোলনে বিজেপি, অভিযোগ থানায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্দোলনের নামে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকায় জুতোপেটা ও লাথি মারায় অভিযোগ উঠল তৃণমূলের শিক্ষা সেলের সদস্যদের বিরুদ্ধে। বাদ যাননি কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে অপমান করার প্রতিবাদে এবারে বালুরঘাট (Balurghat) থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপির দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কমিটি। প্রত্যেককে গ্রেফতারের দাবিতে জেলাজুড়ে আন্দোলনে নেমেছে বিজেপি।

    রাস্তায় নেমে আন্দোলনে বিজেপি (Balurghat)

    বৃহস্পতিবার বালুরঘাট জেলাশাসকের অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখান বিজেপির নেতা-কর্মীরা। এদিকে এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়াতেও নিন্দার ঝড় উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী ও বালুরঘাটের সাংসদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নামে যা করেছে তৃণমূল তা নিম্ন রুচির পরিচয়। এমনই মনে করছেন নেটিজেনরা। জানা গিয়েছে, দেশজুড়ে হওয়া নিট কেলেঙ্কারির প্রতিবাদে বুধবার বালুরঘাটের (Balurghat) রাস্তায় বিক্ষোভ প্রদর্শন ও বিক্ষোভ সভা করে তৃণমূলের রাজ্য শিক্ষা সেল। আন্দোলনে সামিল হয়েছিল, ওয়েবকুপা, পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি ও পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। সংগঠনের পক্ষ থেকে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ মিছিল করা হয়। মিছিল চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের কুশপুত্তলিকা দাহ করার পাশাপাশি সেগুলিতে জুতোপেটা, লাথি মারা হয়। এমনকী থুথু ছেটান বিক্ষোভকারীরা। এই ঘটনার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই নিন্দার ঝড় বইতে শুরু করে।

    আরও পড়ুন: বীরভূমের পর বর্ধমান! রেললাইনের ধারে বিজেপি নেতার দেহ, শোরগোল

    বিজেপির জেলা সভাপতি কী বললেন?

    বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, ‘আন্দোলনের নামে অসভ্যতা করেছে তৃণমূল। আমরা অপেক্ষায় ছিলাম, প্রশাসন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু, নেয়নি। তাই আমরা বালুরঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করতে চলেছি। যাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে জুতোপেটা করেছিলেন তাঁরা শিক্ষক নন। শিক্ষক সমাজের কলঙ্ক, অসভ্য বর্বর, নিম্ন প্রজাতির কীট। তাই তাঁদের গ্রেফতারের দাবিতে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন চলবে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hawker Eviction: হকার উচ্ছেদে এবার সরব গেরুয়া শিবির, সিউড়িতে বিক্ষোভ বিজেপির!

    Hawker Eviction: হকার উচ্ছেদে এবার সরব গেরুয়া শিবির, সিউড়িতে বিক্ষোভ বিজেপির!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই কলকাতা থেকে কোচবিহার— সারা বাংলায় ফুটপাথ দখলমুক্ত করার অভিযানে নেমেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সেই অভিযানের তৃতীয় দিন। তাই সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় সরকারি জমি দখল করে তৈরি বেআইনি অস্থায়ী নির্মাণ সরাতে তৎপর হয়েছে প্রশাসন। এই নিয়ে বীরভূমের (Birbhum) কয়েক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা। রামপুরহাট ও সিউরিতেও শুরু হয় তুলকালাম। আর এর পরেই হকার উচ্ছেদের (Hawker Eviction) প্রতিবাদে পুরসভার সামনে বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি। 

    রামপুরহাট-সিউরিতে তুলকালাম (Hawker Eviction) 

    বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ রামপুরহাটে ফুড পার্কে বুলডোজার নিয়ে জবরদখল উচ্ছেদে নামে স্থানীয় প্রশাসন। রামপুরহাট পুরসভার ১৭ এবং তিন নম্বর ওয়ার্ডে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রশাসনের তরফে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে উচ্ছেদ অভিযানে যাওয়ার সময়ই ওই ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর এবং কয়েক জন ব্যবসায়ীর সঙ্গে বচসা বাধে পুলিশের। ধাক্কাধাক্কিও হয়। বিক্ষুব্ধদের দাবি, কোনও আগাম নোটিশ না দিয়েই পুলিশ উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে। যদিও পুলিশি তৎপরতায় পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।  
    রামপুরহাটের পাশাপাশি বিক্ষোভের ছবি উঠে আসে সিউরিতেও। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পরেই গতকাল থেকে সিউড়ি শহর জুড়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে পুরসভা৷ কেবল সিউড়ি নয় বৃহস্পতিবার জেলার একাধিক পুরসভায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। 

    আরও পড়ুন: বিজেপির লিড ৭২ হাজার! শিলিগুড়িতে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি গ্রেফতার

    হকার উচ্ছেদ নিয়ে সরব বিজেপি (BJP) 

    সিউরিতে অশান্তি শুরু হতেই হকার উচ্ছেদ নিয়ে সরব হয় বিজেপি। উচ্ছেদ অভিযানের (Hawker Eviction) প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে জেলা শাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয় বিজেপি। তারপরেই পুরসভার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা সহ অন্যান্যরা। বিজেপির (BJP) দাবি, সরকারি জমি জবর দখল হওয়া উচিৎ নয় এবং সরকারি জমি দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নিলে আমাদের সমর্থন থাকবে। কিন্তু জাতীয় হকার নীতি অনুযায়ী সরকার এভাবে হঠাৎ করে উচ্ছেদ করতে পারেনা। জমি ডিমারকেশন করতে হয়। সাতদিন নুন্যতম সময় দেওয়া উচিৎ। প্রশাসন এভাবে হঠাৎ করে বুলডোজার চালাতে পারেনা। হকারদের পুনর্বাসন করতে হবে সরকারকে। একপেশে পদক্ষেপ নিয়ে হকার উচ্ছেদ করা যাবেনা। সিউড়ির মীনভবন পর্যন্ত রাস্তা আগে করা উচিৎ। পুনর্বাসন না দিলে বিজেপির আন্দোলন চলবে। একইসঙ্গে এ প্রসঙ্গে জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ তোলেন যে, টাকার বিনিময়ে হকারদের বসানো হয়। 
    এ প্রসঙ্গে রামপুরহাটের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘আমাদের কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি। আমাকে দোকান থেকে জিনিসপত্রও বার করতে দেয়নি। তার আগেই ভেঙে দিল। ছোট দোকানগুলো ভাঙছে (Hawker Eviction)। কিন্তু বড় দোকানগুলোতে কিছু করা হচ্ছে না। আমরা গরিব মানুষ। আমি কোথায় গিয়ে ব্যবসা করব? ছেলেমেয়েদের মুখে কী ভাবে খাবার তুলে দেব? কালকে রাতে শুনেছিলাম ভাঙবে। একটু তো সময় দিতে হবে।’’  
     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: বীরভূমের পর বর্ধমান! রেললাইনের ধারে বিজেপি নেতার দেহ, শোরগোল

    BJP: বীরভূমের পর বর্ধমান! রেললাইনের ধারে বিজেপি নেতার দেহ, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের নলহাটির পর এবার পূর্ব বর্ধমানের হীরাগাছি। ফের রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হল এক বিজেপি (BJP) নেতার রক্তাক্ত দেহ। মৃত বিজেপি নেতার নাম সুভাষকুমার দত্ত (৪৪)। বুধবার রেললাইনের ধার থেকে রক্তাক্ত দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। সুভাষ আত্মহত্যা করেছেন, নাকি এটি খুনের ঘটনা, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, গত রবিবার বীরভূমের নলহাটি ও চাতরা স্টেশনের মাঝে পাইকপাড়া গ্রামের কাছে রেললাইনের ধারে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হয় প্রদীপ মাল নামে এক বিজেপি কর্মীর দেহ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (BJP)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত বারোটা নাগাদ ব্যক্তিগত কাজে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন সুভাষ (BJP)। এরপর রাত দুটো নাগাদ পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, হীরাগাছি ৪৭-সি রেলগেটের কাছে সুভাষের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। অত রাতে রেললাইনের ধারে কেন গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা, তা বুঝে উঠতে পারছেন না পরিবারের লোকজন। বিষয়টি ভাবাচ্ছে পুলিশকেও। উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরই রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের টার্গেট হচ্ছেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা, এমনটাই অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করছে তৃণমূল। তবে পূর্ব বর্ধমান-সহ বেশ কয়েকটি জেলায় বহু বিজেপি কর্মী হিংসার কারণে ঘরছাড়া বলে অভিযোগ। তাঁদের বড় অংশ আশ্রয় নিয়েছেন বিজেপির জেলা কার্যালয়গুলিতে। জানা গিয়েছে, আগে মণ্ডল সভাপতি পদে থাকা সুভাষ বর্তমানে পূর্ব বর্ধমান জেলার এগজিকিউটিভ কমিটির সদস্য ছিলেন।

    তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব

    এ-বিষয়ে রাজ্য বিজেপির (BJP) প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘বর্ধমান-দুর্গাপুর সাংগঠনিক জেলার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সুভাষ দত্তর ক্ষতবিক্ষত দেহ পাওয়া গেল শক্তিগড়ের আমড়া রেলগেট সংলগ্ন এলাকায়। নির্বাচনের সময় খুব সক্রিয় ভাবে কাজ করেছিলেন সুভাষ। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। এই কঠিন সময়ে আমরা পরিবারের পাশে আছি। কীভাবে এই মৃত্যু হল, তার তদন্ত হওয়া দরকার।’ পূর্ব বর্ধমান জেলা বিজেপি সভাপতি অভিজিৎ তা বলেন, ‘সুভাষ আমাদের জেলা কমিটির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। এই মৃত্যুর পিছনে রহস্য থাকতে পারে বলে আমাদের অনুমান। পুলিশ সঠিক তদন্ত করে রহস্য উদ্ঘাটন করুক।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lal Krishna Advani: হাসপাতালে ভর্তি লালকৃষ্ণ আডবানি, কেমন আছেন প্রাক্তন উপ প্রধানমন্ত্রী?

    Lal Krishna Advani: হাসপাতালে ভর্তি লালকৃষ্ণ আডবানি, কেমন আছেন প্রাক্তন উপ প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসপাতালে ভর্তি ভারতের প্রাক্তন উপ প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবানি (Lal Krishna Advani)। বুধবার রাতে তাঁকে দিল্লির এইমস-এ ভর্তি করানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা নিয়েই তাঁকে এইমসে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা রাতেই তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করেন। তাঁকে এখন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তাঁর অবস্থা এখন স্থিতিশীল। 

    কেমন আছেন আডবানি

    নয়াদিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসের (এইমস) তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আপাতত নয়াদিল্লির এইমসে ভর্তি আছেন লালকৃষ্ণ আডবানি। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’ তবে ঠিক কী কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, তা নিয়ে এইমস কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। সূত্রের খবর, হাসপাতালের জেরিয়াট্রিক বিভাগে (বয়স্ক মানুষকের চিকিৎসা সংক্রান্ত) ৯৬ বছরের আডবানির চিকিৎসা চলছে। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছেন আডবানি।

    আরও পড়ুন: গায়ের রং-এর জন্য অপমানিত! বলিউডে এক সময় মিঠুন ছিলেন গরিবের অমিতাভ

    একাধিক নেতার সঙ্গে সাক্ষাত

    সম্প্রতি একাধিক শীর্ষনেতার সঙ্গে দেখা করেছেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা। তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে গত ৭ জুন নয়াদিল্লিতে আডবানির (Lal Krishna Advani) বাসভবনে গিয়ে প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন নরেন্দ্র মোদি। দু’দিন পরেই আডবানির বাসভবনে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার ফাঁকেই ভারতের প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন হাসিনা। শনিবার (২২ জুন) কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীর সঙ্গে দেখা করেন আডবানি। লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁকে ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত করার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাঁর কথায়, এই প্রজন্মের রাষ্ট্রনায়ক লালকৃষ্ণ আডবানি। দেশের জন্য তিনি নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি যে দায়িত্ব পালন করেছেন তা প্রত্যেক ভারতবাসীর কাছে স্মরণীয়। রাম মন্দির আন্দোলনের পুরোধা ছিলেন আডবানি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: “হকার উচ্ছেদ রুখতে প্রয়োজনে আমি বুলডোজারের সামনে দাঁড়াব”, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “হকার উচ্ছেদ রুখতে প্রয়োজনে আমি বুলডোজারের সামনে দাঁড়াব”, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হকার উচ্ছেদ রুখতে প্রয়োজনে আমি নিজে গিয়ে বুলডোজারের সামনে দাঁড়াব।” বুধবার কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। দখলদার উচ্ছেদ করতে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে নির্দেশ দিয়েছেন, তাকে ‘অমানবিক’ আখ্যাও দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। শুভেন্দুর সাফ কথা, তিনি বা তাঁর দল বেআইনিভাবে সরকারি জমি অধিগ্রহণের বিপক্ষে। তাঁর দাবি, রাজ্যের সর্বত্র নির্দিষ্ট একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই কাজ করতে হবে। এজন্য আগে রাজ্য সরকারকে স্ট্যান্ডার্ড ওপারেটিং প্রসিডিওয়র তৈরি করতে হবে।

    কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    এদিন বিকেলে কলকাতায় বিজেপির সদর দফতরে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “বিভিন্ন পুরসভা এলাকায় মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তদের সামান্য রোজগারের ওপর ভয়াবহ অর্থনৈতিক অবরোধ নামিয়ে আনা হয়েছে। বিজেপির তরফে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা। সরকারি জমি দখলের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার যে উদ্যোগী হয়েছে, আমরা প্রথমে তা মহৎ বলে মনে করেছিলাম। কিন্তু পরে দেখলাম, সরকারি জমি আদৌ উদ্ধার হচ্ছে না। বিশেষ কয়েকটি এলাকায় সাধারণ গরিব মানুষের ক্ষতি করা হচ্ছে। সবটাই হচ্ছে ক্যামেরার সামনে। অর্থাৎ কাজের চেয়ে প্রচারের তাগিদ বেশি।”

    ‘এসওপি তৈরি করুন’

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “জেলা থেকে যে গরিব মানুষেরা প্রতিদিন কলকাতায় এসে সামান্য হকারি করে পেট চালান, এটা কি শুধু তাঁদের জন্য? না গোটা রাজ্যে এ নিয়ে কোনও নীতি তৈরি হয়েছে? আমার দাবি, প্রথমে একটি এসওপি তৈরি করুন। সরকারি জমি চিহ্নিত করুন। তারপর মানুষকে নোটিশ দিয়ে জমি ছাড়তে বলুন।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “হকার উচ্ছেদ করার পর প্রান্তিক গরিব মানুষকে বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী তো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় বলেছেন, তিনি অনেককে চাকরি দিয়েছেন। এবার কয়েক লক্ষ হকারকেও চাকরি দিন।”

    আর পড়ুন: প্রসঙ্গ মারুতি তৈরি, কংগ্রেসের আরও একটি কেলেঙ্কারির পর্দা ফাঁস

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “এভাবে অন্যায় অত্যাচার চললে আমরা হকারদের পাশে থাকব। প্রয়োজনে আমি নিজে বুলডোজারের সামনে গিয়ে দাঁড়াব। লালবাজারের পুলিশ অন্যায়ভাবে গরিব মানুষদের ব্যবসার জিনিসপত্র তুলে নিয়ে যাচ্ছে। এটা মানবতাবিরোধী কাজ।” তিনি বলেন, “কলকাতা-সহ বিভিন্ন পুরসভা এলাকায় তৃণমূলের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে বিজেপি। এটা ওদের সেই হারের জ্বালার বহিঃপ্রকাশ (Suvendu Adhikari)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Basirhat: কমিশনে ভুল তথ্য দিয়েছে তৃণমূল! বসিরহাটে নির্বাচন বাতিলের দাবিতে হাইকোর্টে রেখা

    Basirhat: কমিশনে ভুল তথ্য দিয়েছে তৃণমূল! বসিরহাটে নির্বাচন বাতিলের দাবিতে হাইকোর্টে রেখা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসিরহাট (Basirhat) কেন্দ্রে নির্বাচন বাতিলের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি নেত্রী রেখা পাত্র। গত লোকসভা ভোটে বসিরহাট কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এই লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হওয়া প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কমিশনে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির প্রার্থী। একই সঙ্গে ঘাসফুল শিবির জালিয়াতি করে নির্বাচনে জিতেছে বলেও দাবি তাঁর। আদালত তাঁর মামলা গ্রহণ করেছে। আগামী সপ্তাহে শুনানি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

    কী বললেন সন্দেশখালির লড়াকু নেত্রী? (Basirhat)

    রেখা পাত্র বলেন, “নিয়ম মেনে মনোনয়নপত্রের হলফনামার সঙ্গে নো ডিউজ সার্টিফিকেট নির্বাচন কমিশনে জমা দেননি তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে লোকসভায় জয়ী হওয়া হাজি নুরুল ইসলাম। এই বিষয়ে বিজেপির তরফে অভিযোগ জানানো হলেও কমিশন কোনও গুরুত্ব দেয়নি। তারা পক্ষপাতিত্ব করেছে। আর সেই সুযোগে নির্বাচনেও জালিয়াতি করে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আসলে হাজি নুরুল ইসলাম যে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন, সেখানে ভুল রয়েছে। যে হলফনামা জমা দিয়েছেন তাতেও ভুল আছে। লোকসভা নির্বাচনেও তিনি অন্যায়ভাবে জিতেছেন। এটা কোনওভাবেই আমরা মেনে নিচ্ছি না। কারণ, উনি অন্যায় করেছেন। আমরা এর বিচার চাই। সত্যি কী তা মানুষের সামনে আসুক। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী যদি বিজেপির বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন। তবে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে কেন মামলা হবে না? বিচার সবার প্রতি সমান হওয়া চাই। নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছে। মানুষ সবটা এমনিতেই জানতে পেরেছে। আরও একটু পরিষ্কার করে বিষয়টি জানতে পারে যাতে তারজন্য মামলা দায়ের করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: ২০ টাকায় রাজি হয়নি! পুলিশের তোলাবাজি থেকে বাঁচতে দুর্ঘটনার কবলে পিকআপ ভ্যান

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পয়লা জুন লোকসভা নির্বাচন হয়েছিল বসিরহাটে। ৪ জুন ফল প্রকাশ পেতে দেখা যায় বিজেপির রেখা পাত্রকে প্রচুর ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের হাজি নুরুল ইসলাম। তারপর থেকেই জালিয়াতি করে ঘাসফুল শিবির ভোটে জিতেছে বলে দাবি করা হচ্ছে বিজেপির তরফে। এবার বিচার চাইতে আদালতের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি প্রার্থী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: সত্যি হল জল্পনা! লোকসভায় বিরোধী দলনেতা হলেন রাহুল গান্ধী

    Rahul Gandhi: সত্যি হল জল্পনা! লোকসভায় বিরোধী দলনেতা হলেন রাহুল গান্ধী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে জল্পনা সত্যি করে এবারের লোকসভায় বিরোধী দলনেতা নিযুক্ত হলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। মঙ্গলবার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে একথা জানালেন সি বেণুগোপাল। এদিন নয়াদিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাড়িতে ইন্ডিয়া ব্লকের নেতাদের নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানেই রাহুল গান্ধীকে বিরোধী দলনেতা (Leader of Opposition) করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে ২০১৪ ও ২০১৯ সালে পরপর দুবার লোকসভা ভোটে ন্যূনতম ১০ শতাংশ আসনও কংগ্রেসের অধরা ছিল। ফলে লোকসভার বিরোধী দলের মর্যাদা পায়নি কংগ্রেস। তবে এবারের ছবিটা উল্টো। 

    লোকসভায় একাই ৯৯টি আসনে জয়লাভ কংগ্রেসের 

    ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে কংগ্রেস একাই ৯৯টি আসনে জয়লাভ করেছে। ইন্ডি জোটে যে সব দল রয়েছে তাদের মধ্যে কংগ্রেসই সর্বাধিক আসনে জিতেছে। স্বাভাবিকভাবেই বিরোধী শিবিরে এবার তাদের জোরও বেশি হওয়ার কথা, এমনই বলছে রাজনৈতিক মহল। তাছাড়া লোকসভা বিরোধী দলনেতার পদ পাওয়ার জন্য একটি রাজনৈতিক দলের ৫৫টির বেশি আসনে জয়লাভের প্রয়োজন। এই পরিস্থিতিতে রাহুলের (Rahul Gandhi) লোকসভা বিরোধী দলনেতা (Leader of Opposition) পদে নিয়োগ খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে কারণ হচ্ছে। কারণ, বুধবার লোকসভার স্পিকার পদে নির্বাচন। ইতিমধ্যেই স্পিকার পদ নিতে বিস্তর প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়ে গেছে শাসক ও বিরোধী শিবিরের।  

    আরও পড়ুন: স্পিকার পদে ভোটাভুটি আজ, জয় নিশ্চিত বিড়লার, অতীতে তিনবার এই পদে নির্বাচন হয়েছে

    ইন্ডি জোটের সর্বসম্মতিতেই বিরোধী দলনেতা নির্বাচন

    উল্লেখ্য, ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকে রাহুল গান্ধীকেই (Rahul Gandhi) বিরোধী দলনেতার করার দাবি তুলেছিলেন কংগ্রেস সাংসদরা। এমনকী, এই মর্মে প্রস্তাবও পাস করা হয় দলের বর্ধিত কর্মসমিতির বৈঠকে। এ প্রসঙ্গে বেনুগোপাল বলেছেন, “সিপিপি চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী প্রোটেম স্পিকার ভর্তৃহরি মাহতাবকে একটি চিঠি লিখে লোকসভার বিরোধী দলনেতা (Leader of Opposition) হিসাবে রাহুল গান্ধীকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। অন্যান্য পদাধিকারীদের বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” এরপরে এদিন অধিবেশনের শেষদিকে রাহুলের নাম বিরোধী দলনেতা হিসেবে ঘোষণা করেন প্রোটেম স্পিকার ভর্তৃহরি মহতাব। জানা গিয়েছে ইন্ডি জোটের সর্বসম্মতিতেই রাহুলকে বিরোধী দলনেতা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  
    প্রসঙ্গত, এবছর কেরলের ওয়ানাড থেকে ফের সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন রাহুল (Rahul Gandhi)। আবার সোনিয়া গান্ধীর ছেড়ে যাওয়া রায়বরেলিতেও রেকর্ড  ৪ লাখ ৪২ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশ যোগী আদিত্যনাথের মন্ত্রিসভার সদস্য দীনেশ প্রতাপ সিংকেও। পরে অবশ্য নিয়মাফিক ওয়ানাড কেন্দ্রটি ছেড়ে দিতে হয় তাঁকে। ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচনী কংগ্রেস প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Speaker: ইন্ডি জোটে ফাটল, স্পিকার নির্বাচনে একতরফা প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস, ক্ষুব্ধ তৃণমূল

    Lok Sabha Speaker: ইন্ডি জোটে ফাটল, স্পিকার নির্বাচনে একতরফা প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস, ক্ষুব্ধ তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্পিকার নির্বাচনে (Lok Sabha Speaker) একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস, ঠিক এমনটাই অভিযোগ জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার লোকসভার স্পিকারের মনোনয়ন নিয়ে ইন্ডিজোটের মধ্যে ফের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। স্পিকার নির্বাচন নিয়ে এনডিএ বিরোধীদের সমর্থন চাইলে, কংগ্রেস শর্ত দেয় ডেপুটি স্পিকার পদ দিতে হবে তাদের। কিন্তু শাসক শিবিরের উত্তর না মেলায় কংগ্রেস একক ভাবে স্পিকারের পদে নির্বাচনের জন্য প্রার্থী দেয়। আর এই নিয়ে তৃণমূলের হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ফলে বিরোধী শিবির ইন্ডি জোটে ফাটল স্পষ্ট।

    কী বললেন অভিষেক (Lok Sabha Speaker)?

    মঙ্গলবার লোকসভার স্পিকার (Lok Sabha Speaker) পদে মনোনয়ন নিয়ে, ইন্ডিজোটের শরীকদের মধ্যে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সাংসদ কে. সুরেশকে স্পিকার পদের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়নি। অত্যন্ত দুর্ভাগ্য জনক। বলতে বাধ্য হয়েছি এই সিদ্ধান্ত এক তরফা ভাবে নেওয়া হয়েছে।” এই কথা বলার পর অভিষেককে, রাহুল গান্ধীর সঙ্গে একান্তে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু রাহুল কোনও পাল্টা উত্তর দেননি। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষয় নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সঞ্চার হয়েছে। তৃণমূল বৈঠকে বসেছে এবং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কথা হবে।

    কংগ্রেসের প্রার্থী পদের আপত্তি

    লোকসভার ডেপুটি স্পিকার (Lok Sabha Speaker) চেয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু এনডিএ মানতে নারাজ ছিল। আর এই জন্য এনডিএ-র মনোনীত স্পিকারকে স্বীকার করেনি ইন্ডিজোট। তখনও পর্যন্ত কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের মতান্তর হয়নি। কিন্তু আচমকা কংগ্রেস স্পিকারে পদের জন্য আলাদা করে প্রার্থী দেওয়ায় বিরোধ বাধে। এরপর শুরু হয় তৃণমূলের ক্ষোভ প্রকাশ।

    আরও পড়ুনঃ উত্তরপাড়ায় দীর্ঘ দিন দেখা নেই তৃণমূল বিধায়কের, চর্চায় কাঞ্চন মল্লিক

    স্পিকার নিয়ে রাহুলের বক্তব্য

    কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, “আমাদের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকাজির সঙ্গে রাজনাথ সিং কথা বলতে এসেছিলেন। বিরোধীদের শর্ত শোনার পর এই বিষয়ে কোনও সমাধানে পৌঁছানো যায়নি। এই বিষয়ে আর কোনও ফোন বিজেপির পক্ষ থেকে আসেনি।” পাল্টা রাজনাথ সিং অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এনডিএ-র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্পিকার (Lok Sabha Speaker) নির্বাচনের পর ডেপুটি স্পিকার নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু কংগ্রেস তাতে রাজি হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Raju Bista: অম্রুত প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি! তদন্তের দাবিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি দিলেন রাজু বিস্তা

    Raju Bista: অম্রুত প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি! তদন্তের দাবিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি দিলেন রাজু বিস্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় আর্থিক সহায়তায় অম্রুত প্রকল্পে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন পুরসভায় ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা (Raju Bista)। দুর্নীতির তদন্ত করার জন্য কেন্দ্রীয় গৃহ ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের কাছে এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চাইলেন তিনি। ইতিমধ্যেই তিনি সমস্ত তথ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন।

     কীভাবে দুর্নীতি হচ্ছে? (Raju Bista)

    কেন্দ্রের আর্থিক সহায়তায় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন পুরসভায় পানীয় জল প্রকল্পের কাজ চলছে। সাধারণ মানুষকে পানীয় জলের নিশ্চয়তা দিতেই কেন্দ্র সরকার এই অম্রুত প্রকল্প হাতে নিয়েছে। রাজু বিস্তা কেন্দ্রীয় গৃহ ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে সম্প্রতি সাক্ষাৎ করে লিখিতভাবে পুঙ্খানুপুঙ্খ অনিয়মের কথা জানিয়েছেন। দার্জিলিংয়ের সাংসদ (Raju Bista) বলেন, উত্তরবঙ্গের প্রতিটি পুরসভাতে অম্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিটি ধাপে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। বিশেষ করে দার্জিলিং, কালিম্পং, শিলিগুড়ি, মিরিক পুরসভায় এই প্রকল্পে দুর্নীতি বেশি। পাহাড়ে এই কাজের ক্ষেত্রে ডিটেইলস প্রজেক্ট রিপোর্ট  (ডিপিআর)  তৈরির শুরু থেকে তার বাস্তবায়নে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। ই-টেন্ডার খোলার ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম মানা হয়নি। বেশি দরে ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে। দার্জিলিং পুরসভায় যে ২৩ টি জলের ট্যাঙ্ক তৈরি হয়েছে, সে ক্ষেত্রে হাইড্রোডায়ানামিক এবং জিও-টেকনিক্যাল পর্যবেক্ষণ করা হয়নি। সরকারি নিয়মেও প্রকল্পের শর্তে এই পর্যবেক্ষণ বাধ্যতামূলক। এছাড়া দার্জিলিং পুরসভা এলাকায় ২৩ টি স্টিলের জলের ট্যাঙ্কের কাজ চলছে। সেখানেও ব্যাপক অনিয়ম রয়েছে। এতে ভবিষ্যতে বড়সড় বিপর্যয়ের মুখে পড়তে চলেছে দার্জিলিং। 

    আরও পড়ুন: সীমান্তে গরু পাচারে বাধা, বিএসএফের ওপর পাচারকারীদের হামলা, চলল গুলি

    এজেন্সির কাজের যোগ্যতা নেই!

    সাংসদ রাজু বিস্তা (Raju Bista) কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করে জানান, দার্জিলিং জেলা ভূকম্পন প্রবণ অঞ্চল। পাঁচ নম্বর সিসমিক জোনে রয়েছে। কাজেই বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে এই ট্যাঙ্কগুলি ব্লাস্ট করবে। ব্যাপক সম্পত্তির ক্ষতি ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটবে। সাংসদের প্রশ্ন, রাজ্য সরকারের মিউনিসিপাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টর কীভাবে এই নিয়ম বিরুদ্ধ কাজের অনুমোদন দিয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করার কাজ চালাচ্ছে? তিনি বলেন, যে এজেন্সিকে দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে তাদের এ ধরনের কাজের কোনও যোগ্যতা বা অভিজ্ঞতা নেই।

    কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিদল পাঠানোর দাবি

    রাজু বিস্তা বলেন, কেন্দ্রীয় অর্থে এই প্রকল্প তৈরি হচ্ছে, সাধারণ মানুষকে পানীয় জলের নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য অম্রুত প্রকল্প নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এজন্য বিপুল পরিমাণে টাকাও দেওয়া হয়েছে। সেই প্রকল্পের  দুর্নীতি ও কাটমানির ঘটনা কোনওমতেই মেনে নেওয়া যায় না। এতে সাধারণ নিরীহ মানুষ ভয়ঙ্কর ক্ষতির মুখে পড়ুক সেটা আমরা চাই না। একারণে আমি কেন্দ্রীয় গৃহ ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রীকে আবেদন জানিয়েছি, কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে এখানকার পুরসভাগুলির অম্রুত প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Britannia Factory Closed: তৃণমূলের ‘তোলাবাজি’-তেই বন্ধ হল তারাতলার ব্রিটানিয়া! অভিযোগ বিজেপির

    Britannia Factory Closed: তৃণমূলের ‘তোলাবাজি’-তেই বন্ধ হল তারাতলার ব্রিটানিয়া! অভিযোগ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার স্বাদে ও আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে ব্রিটানিয়া বিস্কুট। আর সেই আবেগে আঘাত পড়ল সোমবার। তারাতলায় প্রোডাকশন বন্ধ হয়ে গেল ব্রিটানিয়া কোম্পানির (Britannia Factory Closed)। সূত্রের খবর, কোম্পানিতে স্থায়ী কর্মী ছিলেন ১২২ জন এবং অস্থায়ী কর্মী ছিলেন ২৫০ জন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে ২০১১ সালের পরে এই নিয়ে মোট ১৫টি কারখানা বন্ধ হল তারাতলা শিল্পাঞ্চলে। 

    বিজেপির অভিযোগ (BJP blames on TMC) 

    কারখানা বন্ধের এই ঘটনায় তৃণমূলের তোলাবাজিকেই সরাসরি দায়ী করছে বিজেপি। এ প্রসঙ্গে বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মলব্য তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, “আজকের ব্রিটানিয়া ইন্ডাস্ট্রিজের কারখানার বন্ধ (Britannia Factory Closed) হয়ে যাওয়া বাংলার একসময়ের গভীর বিশৃঙ্খলার প্রতিফলন।” একইসঙ্গে কারখানা বন্ধের জন্য বাম শাসন আমলে সিপিআই(এম) এর ‘ইউনিয়নবাজি’ এবং টিএমসির ‘তোলাবাজি’ (চাঁদাবাজি) এর সম্মিলিত প্রভাবকে দায়ী করেছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত, বাংলার ভাগ্য এখন ‘ইউনিয়নবাজি’ এবং ‘তোলাবাজি’র জোড়া অভিশাপে আটকে পড়েছে। এখন একটাই প্রশ্ন, এই অভিশাপ থেকে কবে মুক্তি পাবে বাংলা?” 

    অন্যদিকে অমিত মালব্যর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (BJP blames on TMC) বলছেন, ”এমন একটি দল, যারা সারাক্ষণ তোলাবাজি করে, তাদের উপস্থিতিতে সেখানে শিল্প আসবে না।  মুখ্যমন্ত্রীরও শিল্প-বিরোধী ভাবমূর্তি রয়েছে।”
    যদিও বিজেপির এই আক্রমণের পাল্টা আঘাত হেনে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলছেন, ”সংশ্লিষ্ট সংস্থার ম্যানেজমেন্টের নিজস্ব সমস্যা রয়েছে। যারা এটিকে রাজ্যের সামগ্রিক শিল্প পরিস্থিতির সঙ্গে মেশাচ্ছেন, তাঁরা ভুল করছেন।” 

    আরও পড়ুন: ধর্মের ভিত্তিতে ভোটদান! লোকসভা ভোটে বিরাট ভূমিকায় মুসলিম ভোটারেরা

    কর্মীদের অভিযোগ 

    অস্থায়ী কর্মীদের অভিযোগ, ২০০৪ সাল থেকে যে আড়াইশো জন অস্থায়ী কর্মী কাজ করছিলেন তাঁদেরকে কোম্পানি কোনও টাকাপয়সা না দিয়ে এই কোম্পানি বন্ধ (Britannia Factory Closed) করে দিয়েছে। তবে জানা গিয়েছে, স্থায়ী কর্মী যাঁরা ১০ বছরের উপরে চাকরি করছেন, তাঁদের এক এক জনকে ২২ লাখ ২৫ হাজার টাকা দিয়েছে কোম্পানি। ছয় থেকে দশ বছরের নিচে যাঁরা চাকরি করেছেন তাঁদেরকে ১৮ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা দিয়েছে কোম্পানি। এর নিচে যাঁরা চাকরি করেছেন তাঁদেরকে ১৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা করে দিয়েছে কোম্পানি। কিন্তু অস্থায়ী কর্মীদের কোনও টাকা পয়সা এখনও পর্যন্ত দেয়নি কোম্পানি বলেই অভিযোগ। 
    কিন্তু কী কারণে কলকাতার (Kolkata) একমাত্র ব্রিটানিয়া কারখানা বন্ধ হয়ে গেল? ব্যবসায় মন্দা? নাকি শ্রমিক সমস্যা? এনিয়ে কর্তৃপক্ষের তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবে ব্যবসায়িক দিক থেকে কোনও সমস্যা হয়নি বলেই মত শ্রমিকদের একাংশের। এখনও বঙ্গে ব্রিটানিয়ার খাদ্যসামগ্রী বিক্রিতে অন্য যে কোনও সংস্থার চেয়ে যথেষ্ট এগিয়ে। তবে কেন বন্ধ হল কারখানা (Britannia Factory Closed) সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share