Tag: bjp

bjp

  • Suvendu Adhikari: চোপড়াকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: চোপড়াকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোপড়া কাণ্ডের তদন্তভার এবার সিবিআইকে তুলে দেওয়ার দাবি জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জ বিধানসভা উপ-নির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী মানস কুমার ঘোষের সমর্থনে জনসভায় যোগ দিয়ে ফেরার পথে আচমকাই চোপড়া থানার আইসি-র সঙ্গে কথা বলার পর এমনটাই জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    চোপড়ার ঘটনায় লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে (Suvendu Adhikari)

    বৃহস্পতিবার জনসভা শেষ করে সোজা চোপড়া থানায় গিয়ে পৌঁছান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন শিলিগুড়ি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, দীপক বর্মন, চিন্ময় দেব বর্মনসহ অন্যান্য বিধায়কেরা। চোপড়া থানা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, চোপড়া এখন ন্যাশনাল নয়, ইন্টারন্যাশনাল হয়ে গিয়েছে। এখানে খাপ পঞ্চায়েত হয়েছে। চোপড়ায় যে ঘটনা ঘটেছে বাঙালি এবং ভারতীয় হিসেবে লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে। আচমকা আমি আসায় আইসির সঙ্গে দেখা হল, না হলে আগের থেকে জানা থাকলে আইসি পালিয়ে যেতেন। তিনি আরও বলেন, “আমি যা বলেছি আইসি শুধু শুনেই গেলেন, কিছু বলতে পারলেন না। চোপড়ায় বিধায়ক হামিদুল রহমান এক প্রকার প্রশাসক। চোপড়াতে রাজ্যপালের যেদিন আসার কথা ছিল, তার আগের দিন আমার কাছে প্রমাণ আছে, চোপড়ার বিডিও ও চোপড়া থানার আইসি হামিদুলের সঙ্গে দেখা করেন। তার আগে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ডিএসপি ও এসডিপিও হামিদুলের বাড়িতে গিয়েছিলেন। হামিদুল রহমান এখানে পঞ্চায়েতে ভোট করতে দেন না, গুন্ডাগিরি চালায়, কোনও মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নেই। কোনও দলের অস্তিত্ব রাখতে চান না চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান।

    আরও পড়ুন: দেশবাসীকে বিশ্বকাপ উৎসর্গ, মুম্বইয়ে জনসমুদ্রে ভাসলেন রোহিত-বিরাটরা

    হামিদুলকে তুলোধনা

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, এবারের শিলিগুড়ি লোকসভায় চোপড়া এলাকায় ১৫০ টি বুথে লুট করে এক লক্ষ বেশি লিড নিয়েছে তৃণমূল। তারপরও শিলিগুড়ি লোকসভায় বিজেপি জিতেছে। গত ১০ বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রীত্বে পুলিশের সরাসরি প্রশ্রয়ে একটা জঙ্গলের রাজ করা হয়েছে,আমাদের মনে হচ্ছে চোপড়াটা (Chopra Incident) ভারতের বাইরে। হামিদুল রহমান কীভাবে বলেন, ইসলামিক দেশে মহিলাদের ওপর এভাবে অত্যাচার করা হয়। এটাই ইসলামিক দেশ নয়, এটি হল স্বামী বিবেকানন্দের দেশ, যেটা নিজের ধর্মের প্রতি আস্থাশীল, অপর ধর্মের ওপর শ্রদ্ধাশীল। এটাই স্বামীজি শিখিয়েছেন। আজকে আমি চিফ সেক্রেটার মিস্টার গোপালিকা কে লিখেছি ,কোচবিহার ও চোপড়ার (Chopra Incident) ঘটনার তদন্তের জন্য রাজ্য সরকার যেন তুলে দেয় সিবিআইয়ের হাতে। এই কাণ্ডে যেসব পুলিশ যুক্ত আছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।  যদি সিবিআই হাতে তুলে না দেয় রাজ্য সরকার তাহলে আমরা আইনি পথে যাব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “তৃণমূল প্রার্থীকে জেতালে দেখা করতে যেতে হবে তিহাড় জেলে”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “তৃণমূল প্রার্থীকে জেতালে দেখা করতে যেতে হবে তিহাড় জেলে”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলকে ভোট দিলে কৃষ্ণ কল্যানীর সঙ্গে দেখা করতে তিহাড় জেলে যেতে হবে। তাই আপনারা সাবধান হন, সতর্ক হন। লড়াইটা হবে সরাসরি। যারা চোরেদের পক্ষে তাঁরা কৃষ্ণ কল্যানী পক্ষে। কৃষ্ণবাবু আপনাকে হারতেই হবে, কারণ এরপর আপনি কয়েক বছর পরে জেলেই থাকবেন। বৃহস্পতিবার বিকালে রায়গঞ্জ বিধানসভা উপ নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী মানস ঘোষের সমর্থনে প্রচারে এসে এমনই মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এই সভাতে বিরোধী দলনেতা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রায়গঞ্জ লোকসভার সাংসদ কার্তিক পাল, বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার, শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ সহ আরও অন্যান্য নেতা-কর্মীরা।

    কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে ভোট নষ্ট করবেন না (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, এবারের রায়গঞ্জ লোকসভায় হেমতাবাদ, কালিয়াগঞ্জ, করণদিঘি ও রায়গঞ্জে আমাদের লিড হয়েছে। আপনাদের জেলায় ৪ টি বিধানসভায় আমরা লিড করতে পেরেছি। মালদা ৬ টি বিধানসভা কেন্দ্রে আমরা লিড করেছি। আপনারা আশ্বস্ত থাকুন আমাদের লড়াই চলছে, আগামীতেও চলবে। ২০২১ সালের পর থেকে আমরা রাজ্যে বিরোধী দল হিসাবে লড়ছি। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে একমাত্র ভারতীয় জনতা পার্টি। রায়গঞ্জ বিধানসভা উপ-নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী মোহিত সেনগুপ্ত দাঁড়ানোর প্রসঙ্গে শুভেন্দু বাবু বলেন, আমি মোহিতবাবুকে সম্মান করি, শ্রদ্ধা করি। তিনি ভোট কাটার জন্য এই বিধানসভা উপ-নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। আমি মোহিত বাবুকে চ্যালেঞ্জ করে বলছি, দিল্লি থেকে কোনও নেতাকে নিয়ে এসে সভা করিয়ে দেখান। তৃণমূলের বিরুদ্ধে একটা শব্দ বলাতে পারবেন না আপনি। আপনাদের প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী, সোনিয়া গান্ধিকে ডেকেছিলেন, সোনিয়া গান্ধি আসেননি। রাহুল গান্ধিকে ডেকেছিলেন তিনিও আসেননি। কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেগে যাবেন, ইন্ডি জোটের পিন্ডি চটকে যাবে। তাই, কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে ভোট নষ্ট করবেন না।

    আরও পড়ুন: “এত সহজে সরানো যাবে না”, নামফলক সরাতেই শওকতকে বার্তা আরাবুলের

    কৃষ্ণ কল্যাণীকে জেতালে দেখা করতে যেতে হবে তিহার জেলে!

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, কৃষ্ণ কল্যাণী রায়গঞ্জ বিধানসভায় ৪৭০০০ ভোটে হেরেছিলেন আপনি। যারা বিধানসভায় আপনাকে জিতিয়ে ছিলেন, তাঁরা আপনাকে জয়ী করেননি, পদ্মফুলকে জিতিয়েছিলেন। উত্তরবঙ্গের বঞ্চনার জন্য জিতিয়েছিলেন, আর রায়গঞ্জে এইমস এর জন্য জিতিয়েছিলেন। কৃষ্ণবাবু দশ বছর ধরে ইনকাম ট্যাক্স দেয়নি। ৫০ কোটি টাকা ইনকাম ট্যাক্স ফাঁকি দিয়েছেন তিনি। ভোট দিলে কৃষ্ণ কল্যানীর সঙ্গে দেখা করতে হলে তিহাড় জেলে যেতে হবে। কৃষ্ণ কল্যাণী ৩৩ লক্ষ টাকার গাছ সাপ্লাই করেছেন। ২২ টাকার আম গাছের চারা কল্যাণী বাবু ৮৫ টাকায় সাপ্লাই দিয়েছেন। ৪০ টাকা নারিকেল গাছের চারা ২৫০ টাকায় দিয়েছেন।

    রাজ্যে লোকসভায় বেশি ভোট পেয়েছে বিজেপি

    পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গে লোকসভায় ২২ টি আসন পেলে খুশি হতাম। ১২ তে আটকে গিয়েছি। পশ্চিমবঙ্গের লোকসভা ভোট গণতান্ত্রিকভাবে হয়নি। পশ্চিমবঙ্গে এবার লোকসভায় আমরা (BJP) বেশি ভোট পেয়েছি। ২০১৯ এ ২ কোটি ৩০ লক্ষ ছিল। এবারে লোকসভায় ২ কোটি ৩৩ লক্ষ ২৭ হাজার ভোট ভারতীয় জনতা পার্টি পেয়েছে (BJP)। ২ কোটি ৩৩ লক্ষ ২৭ হাজার ভোটে একটুকু জল মেশানো নেই। এবারের লোকসভায় পঞ্চম ষষ্ঠ ও সপ্তম দফায় কি হয়েছে আপনারা জানেন না। লুটের ভোট হয়েছে এবারে লোকসভায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: সরকারি দফতরে বিডিও-কে আইবুড়ো ভাত খাওয়ালেন তৃণমূল নেত্রী! শোরগোল

    Purba Bardhaman: সরকারি দফতরে বিডিও-কে আইবুড়ো ভাত খাওয়ালেন তৃণমূল নেত্রী! শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিডিও সাহেবকে আইবুড়ো ভাত খাওয়ালেন তৃণমূল কংগ্রেসের জাঁদরেল নেত্রী। গদগদ হয়ে বিডিও আশীর্বাদ নিলেন তৃণমূল নেত্রীর। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আর এক বিতর্কিত তৃণমূলের যুবনেতা। এরপর শোনা গেল শাঁখ-উলুধ্বনি। এই ঘটনা কতদূর নীতিসম্মত এবং কতটা রুচিসম্মত, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন। একে ঘিরে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে পূর্ব বর্ধমানে (Purba Bardhaman)।

    পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম বিডিও-র (Purba Bardhaman)

    পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) বর্ধমান ১ নম্বর ব্লকের বিডিও হলেন রজনীশকুমার যাদব। তরুণ এই আধিকারিক শিগগিরই বাঁধা পড়বেন সাতপাকের বন্ধনে। তাই তড়িঘড়ি অফিস শেষে তাঁর জন্য আয়োজন করা হয় এলাহি ভোজের। ফুল, মালা, চন্দনে তাঁকে বরণ করা হয়, ছিল শঙ্খধ্বনিও। তবে সেই ধ্বনি বেশ দুর্বল ছিল। গোটা অনুষ্ঠান হয়েছে ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের (বিডিএ) চেয়ারম্যান কাকলী তা গুপ্তের নেতৃত্বে। উপস্থিত ছিলেন এলাকার দাপুটে নেতা যুব সভাপতি মানস ভট্টাচার্য। এতে বিডিও সাহেবের কোনও সংকোচ ছিল না, জড়তাও ছিল না। কাকলী তা, বিডিও রজনীশ কুমার যাদবকে চন্দনের ফোঁটা দিয়ে ও ধান-দূর্বা মাথায় ছুঁয়ে আর্শীবাদ করতেই তরুণ বিডিও সাহেবকে রীতিমতো তৃণমূল নেত্রীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতেও দেখা গিয়েছে।

    কী বললেন বিডিও?

    সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক (Purba Bardhaman) রজনীশকুমার যাদব পুরো বিষয়টি নিয়ে আদৌ অনুতপ্ত নন। তাঁর হাবভাব হল, ডোন্ট কেয়ার, কুছ পরোয়া নেহি। তিনি মেনুর বিবরণও দিয়েছেন। ভাত, ডাল, মাছের মাথা দিয়ে বাঙালি থালিতে নানা ব্যঞ্জন ছিল। তিনি বলেন, “আমার অফিসে নয়, সমিতির পাশের ঘরে এই অনুষ্ঠান হয়েছে। আর কাকলীদেবী মায়ের বয়সী। তাই পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছি।” উল্লেখ্য বছর তিনেক আগে ২০২১ সালের ১৭ জুন পূর্ব বর্ধমানের গুসকরায় করোনা কালে কৃষি মাণ্ডিতে একটি অনুষ্ঠানে আউশগ্রামের তৎকালীন বিডিও অরিন্দম মুখোপাধ্যায়কে দেখা গিয়েছিল দোর্দণ্ডপ্রতাপ বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে। সেই নিয়ে তখন কম জলঘোলা হয়নি।

    তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্য

    স্থানীয় (Purba Bardhaman) তৃণমূল নেত্রী (TMC) কাকলী তা গুপ্ত অবশ্য বলেন, “আমরা সমিতির পক্ষ থেকে বিডিও-কে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। এটা রাজনীতির কোনও ব্যাপার নয়। একসঙ্গে কাজ করার জন্য আমাদের সৌজন্য ছিল, আমাদের ভালোবাসা ছিল। তাই এই ভাবে আমরা অনুষ্ঠান করেছি। তবে এতে খারাপ কিছু নেই। বিরোধীদের কাছে কোনও ইস্যু নেই। তাই অপপ্রচার করা হয়েছে। আমি ওঁর মায়ের বয়সী, তাই প্রণাম করেছেন।”

    আরও পড়ুনঃ বিজেপি করার অপরাধে ‘মিড ডে মিলে’র রান্নার কাজ থেকে বাদ মহিলাকে! অভিযুক্ত তৃণমূল

    শুভেন্দুর পোস্ট

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ভিডিয়োটি পোস্ট করে এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, “এটা অবাক করার মতো বিষয় নয় যে, রাজ্যের শাসকদল এবং প্রশাসনের (Purba Bardhaman) মধ্যে থাকা সীমারেখাটা বরাবরই অস্পষ্ট। এবার তা পুরোপুরি মুছে গিয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: বিজেপি করার অপরাধে ‘মিড ডে মিলে’র রান্নার কাজ থেকে বাদ মহিলাকে! অভিযুক্ত তৃণমূল

    Murshidabad: বিজেপি করার অপরাধে ‘মিড ডে মিলে’র রান্নার কাজ থেকে বাদ মহিলাকে! অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি করার অপরাধে মুর্শিদবাদের (Murshidabad) বেলডাঙা হরিমতি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের মিড ডে মিলের রান্নার কাজে বাদ দেওয়া হয়েছে মহিলা কর্মীকে। প্রতিবাদে স্কুলের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে নেমেছেন এই রান্নার কর্মী। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, সবটাই পুরসভা দেখে, আমাদের এখানে কোনও ভূমিকা নেই। ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তাপে শোরগোল পড়েছে এলাকায়।

    রান্নাকর্মীর বক্তব্য (Murshidabad)

    বিরোধী রাজনীতি করায় রাজনৈতিক হিংসার শিকার হন সাইফুন বিবি। তিনি বলেছেন, “প্রতিদিনের মতো আমি স্কুলের কাজে গেলে, স্কুলের শিক্ষিকা বলেন তোমাকে আর কাজে আসতে হবে না, তুমি পুরসভায় দেখা করে কথা বলো। আমি এলাকায় বিজেপি (BJP) করেছি, তাই আমাকে স্কুলে মিড ডে মিলের কাজ থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি চাই, যে অন্যায় আচরণ হয়েছে, তা সকলের কাছে পৌঁছে যাক। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি আমি। তৃণমূল নেতারা ষড়যন্ত্র করেছে আমার বিরুদ্ধে। আমি এখানে ১৫ বছরের ধরে কাজ করছি। এখন বর্তমানে এখানে ৮ জন কাজ করছেন। আমাকে সরিয়ে অন্য লোককে আনা হয়েছে। আমি ন্যায় বিচার চাই।”

    স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

    স্কুলের (Murshidabad) দায়িত্বে থাকা শিক্ষিকা সাংবাদিকদের এই বিষয়ে বলেছেন, “পুরসভা থেকে আমাদের স্পষ্ট করে লোক পাঠিয়ে জানানো হয়েছে, এখানে মিড ডে মিলে রান্নার কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের মধ্যে সাইফুন বিবিকে তুলে নেওয়া হল। তাঁর পরিবর্তে অন্য আরেক জন সাগরী হাজরাকে কাজে দেওয়া হল। একই ভাবে পুরসভার চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি সৌরভ ঘোষ জানিয়েছেন, সাইফুন বিবি যেন পুরসভার অফিসে এসে দেখা করেন। এরপর আমরা সাইফুন বিবিকে পুরসভায় গিয়ে দেখা করতে বলেছি। স্কুলের মিড ডে মিলের কোনও রান্নার কাজের লোককে আমরা নিয়োগ করিনা এবং বেতনও দিই না। তাই স্কুলের কোনও বিষয় এখানে নেই।”

    আরও পড়ুনঃ রাজ্যপালের মানহানি মামলা, শুনানির দিন ঠিক করল হাইকোর্ট

    তৃণমূল চেয়ারম্যানের বক্তব্য (Murshidabad)

    বেলডাঙ্গা (Murshidabad) পুরসভার চেয়ারম্যান অনুরাধা হাজরা ব্যানার্জি বলেছেন, “এই ধরনের কর্মীরা কেউ স্থায়ী কর্মী নন। পুরসভা চাইলে পরিবর্তন করতে পারে। এসএইচগ্রুপের মধ্যে থাকা অনেকে কাজ করে থাকেন। তাঁদেরকে সময়ে সময়ে অদলবদল করে কাজ করানো হয়। কেউ ১৫ বছর ধরে কাজ করছেন! এটা বড় প্রশ্ন নয়। রাজনীতির (BJP) কোনও ব্যাপার নেই। আগামীদিনে আরও কিছু কর্মীকে পরিবর্তন করা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “এক মিনিটের নির্দেশ পেলেও সেটা বড় পাওনা”, কোর্টের রায় নিয়ে বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “এক মিনিটের নির্দেশ পেলেও সেটা বড় পাওনা”, কোর্টের রায় নিয়ে বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের কাছে আমার নীতিগত লড়াই ছিল, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনের সামনে পাঁচ দিন বসে নাটক করলেও ১৪৪ ধারা থাকে না। রাজভবনে ধর্নায় এক মিনিটের অনুমতি দিলেও সেটা আমার কাছে বড় পাওনা ছিল। আদালত আমাকে চার ঘণ্টার নির্দেশ দিয়েছে, এটা বড় পাওনা। ১৪ তারিখে রাজভবনে প্রতিবাদে বসা নিয়ে তৃণমূল এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    বুধবার বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) নদিয়ার রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভার উপ-নির্বাচনের প্রার্থী মনোজ কুমার বিশ্বাসের সমর্থনে প্রচারে আসেন। প্রচার শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন আগামী ১৪ তারিখে প্রায় ২০০ জন শহিদ পরিবার এবং ৩০০ জন অত্যাচারী পরিবারকে নিয়ে রাজভবনের সামনে প্রতিবাদে বসব। তাঁর রাজভবনে বসা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তরজা চলছিল। রাজ্য প্রশাসনের অনুমতি না পেয়ে অবশেষে আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারী। এরপরেই আদালত শুভেন্দু অধিকারীকে চার ঘণ্টার প্রতিবাদে বসার অনুমতি দেয়। সেই প্রসঙ্গে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন তিনি। তিনি বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনের সামনে পাঁচ ঘণ্টা অনশনে নাটক করলেও তখন ১৪৪ ধারা জারি থাকে না।

    আরও পড়ুন: গণপিটুনির নায়ক তৃণমূল নেতা জয়ন্ত সিং, জুয়া-সাট্টা, মধুচক্র কোনটায় নেই তিনি!

    চোপড়া নিয়ে মুখ খুললেন শুভেন্দু

    চোপড়াকাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, চোপড়ায় যা হয়েছে তা দেশবাসীর কাছে লজ্জার। তৃণমূলের মদতেই এসব হয়েছে। ভোটের পর থেকেই বিজেপি  (BJP) কর্মীদের ওপর হামলা হচ্ছে। বহু কর্মী ঘরছাড়া। হিংসার রাজনীতি করছে তৃণমূল। অন্যদিকে, জগন্নাথ সরকার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, পার্লামেন্টে বিশেষ কাজে তিনি ব্যস্ত রয়েছেন। এখানে বিতর্কের কোনও জায়গা নেই। প্রচার তিনি শুরু করেছেন প্রচার তিনিই শেষ করবেন। আর এই বিধানসভার মানুষ বিজেপির (BJP) সঙ্গে রয়েছেন। এবার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shyamnagar: শ্যামনগরে বিজেপির মহিলা কর্মীকে বিবস্ত্র করে মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Shyamnagar: শ্যামনগরে বিজেপির মহিলা কর্মীকে বিবস্ত্র করে মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাথাভাঙার পর এবার শ্যামনগর (Shyamnagar)। বিজেপি মহিলা কর্মীকে বিবস্ত্র করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বুধবার এই ঘটনায় রীতিমতো উত্তেজনা ছড়ায় শ্যামনগরের কাউগাছি এলাকায়। আক্রান্ত মহিলা বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে বারাকপুর বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Shyamnagar)

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত মহিলা বিজেপি কর্মীর বাড়ি শ্যামনগরের (Shyamnagar) কাউগাছি এলাকায়। তিনি সক্রিয় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। গত ভোটেও দলের হয়ে তিনি প্রচুর খেটেছিলেন। ভোটের আগে তৃণমূলের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তিনি সেসব তোয়াক্কা না করেই বিজেপির হয়ে কাজ করে গিয়েছেন। ৪ জুন ভোটের ফল বের হওয়ার পরই এলাকার তৃণমূল কর্মীরা রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন। ওই বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা চালানো হয়েছিল। পরে, এলাকায় তাঁকে একঘরে করে দেওয়া হয়। বাড়িতে পরিবার নিয়ে তিনি একাই থাকতেন। তিনি আয়ার কাজ করেন। কিন্তু, এই ঘটনার পর তাঁর কাজ করতে গিয়ে সমস্যা হত। আর তাঁর স্কুল পড়ুয়া মেয়ে রয়েছে। সে আতঙ্কে স্কুল পর্যন্ত যেতে পারত না। ফলে, চরম আতঙ্কের মধ্যে তাঁরা ছিলেন। বুধবার পাড়ার ট্যাপ থেকে তিনি জল আনতে যান। সেই সময় পাড়ার অন্যরা সেখানে দাঁড়িয়েছিলেন। সকলেই তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক। ট্যাপে জল নিতে বাধা দেওয়া হয়। এরপর এই জল নেওয়াকে কেন্দ্র করে বচসার শুরু। এরপরই মহিলা বিজেপি কর্মীকে প্রকাশ্যে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করা হয়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। গল গল করে তাঁর মাথা দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে, তাঁর বাড়ির লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। প্রসঙ্গত, কোচবিহারের মাথাভাঙাতেও বিজেপির (BJP) সংখ্যালঘু নেত্রীকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছিলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য উত্তাল হয়ে ওঠে। এই ঘটনার রেশ মিটতে না মিটতেই এবার শ্যামনগরের তৃণমূলের নির্মম অত্যাচারের ঘটনা ফের প্রকাশ্যে এল।

    আরও পড়ুন: গণপিটুনির নায়ক তৃণমূল নেতা জয়ন্ত সিং, জুয়া-সাট্টা, মধুচক্র কোনটায় নেই তিনি!

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, এটা পারিবারিক কোনও গন্ডগোলের কারণে ঘটেছে। পরে, রাজনীতির রং লাগানো হয়েছে। এসব করে বিজেপি (BJP) তৃণমূলকে বদনাম করতে চাইছে। অন্যদিকে, বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্যনেত্রী ফাল্গুনী পাত্র বলেন, দলীয় ওই কর্মীকে ভোটের পর থেকে তৃণমূল একঘরে করে রেখেছিল। বিজেপি করার অপরাধেই এই হামলা। আমরা দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: রাজভবনের সামনে ৪ ঘণ্টা ধর্নায় বসতে পারবেন শুভেন্দুরা, মিলল হাইকোর্টের অনুমতি

    Suvendu Adhikari: রাজভবনের সামনে ৪ ঘণ্টা ধর্নায় বসতে পারবেন শুভেন্দুরা, মিলল হাইকোর্টের অনুমতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে বিজেপির ধর্নায় সায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনায় আক্রান্তদের নিয়ে রাজভবনের সামনে ধর্না করতে চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। প্রথমে বিজেপিকে সেই অনুমতি না দিলেও অবশেষে বিজেপির ধর্নায় অনুমতি দিল হাইকোর্ট। তবে আদালতের তরফে জানানো হয়েছে নির্দিষ্ট শর্ত মেনেই বিজেপিকে এই ধর্নায় বসতে হবে। 

    কী জানিয়েছে হাইকোর্ট? (BJP Dharna) 

    বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে শুভেন্দুর মামলার শুনানি ছিল। আদালতে রাজ্যের আইনজীবী জানান, ১৪ জুলাই, রবিবার সকাল ১০টা থেকে রাজভবনের সামনে শুভেন্দুরা যদি ধর্নায় বসেন, তাতে তাঁদের আপত্তি নেই। এরপর রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ধর্নায় অনুমতি দিয়ে  বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ, ১৪ জুলাই সকাল ১০টা থেকে রাজভবনের নর্থ গেট থেকে দশ মিটার দূরে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করতে হবে শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। তবে সেখান থেকে করা যাবে না কোনও উস্কানিমূলক মন্তব্য। কোনও ব্যক্তি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন না। শান্তিপূর্ণ ভাবে কর্মসূচি করতে হবে। কোনও প্রকার অশান্তি সেখানে বরদাস্ত করা হবে না। দূষণবিধি মানতে হবে শুভেন্দু এবং তাঁর সঙ্গীদের। সকাল দশটা থেকে চার ঘণ্টা ধর্নায় বসতে পারবেন শুভেন্দু। আদালতের শর্ত অনুযায়ী ৩০০ লোক নিয়ে ধর্নায় বসতে পারবেন বিরোধী দলনেতা।   

    আরও পড়ুন: ভেঙেছে গত ১৪ বছরের রেকর্ড! চলতি বছর দেশে তাপপ্রবাহে মৃত্যু শতাধিক

    আগে কী ঘটেছিল? 

    তবে এর আগে প্রথমে আপত্তি জানিয়েছিল রাজ্য। বলা হয়, রাজভবনের সামনে ওই জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি থাকে। তাই নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণে বিজেপির কর্মসূচিতে অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। সে প্রসঙ্গে শুভেন্দুদের (Suvendu Adhikari) তরফে গত বছর একই জায়গায় শাসকদলের কর্মসূচির দৃষ্টান্ত দেওয়া হয়। যেখানে ১০০ দিনের কাজের টাকার দাবিতে রাজভবনের সামনেই টানা পাঁচ দিন ধর্নায় বসেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করেই সেই দৃষ্টান্ত আদালতে জানান শুভেন্দু। সে সময় আদালত জানিয়েছিল, শাসকদলের নেতা ধর্নায় বসেছিলেন বলে তাঁদেরও ওই জায়গাতেই কর্মসূচি করতে হবে, তার কোনও যুক্তি নেই। শুভেন্দুদের কর্মসূচির জন্য বিকল্প জায়গাও খুঁজতে বলেছিল আদালত। এরপর আদালতে বিজেপির তরফে জানানো হয়, রাজভবনের সামনে কর্মসূচির অনুমতি না পেলে তাঁরা রাজ্য পুলিশের ডিজির দফতরের সামনে ধর্নায় (BJP Dharna) বসতে চান। যদিও পরে রাজভবনের সামনে বিরোধী দলনেতার কর্মসূচিতে সায় দেয় আদালত।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Saumitra Khan: “রাষ্ট্রপতি-রাজ্যপালকে অমান্য করা বাংলার ট্র্যাডিশন হয়ে দাঁড়িয়েছে”, তোপ সৌমিত্রর

    Saumitra Khan: “রাষ্ট্রপতি-রাজ্যপালকে অমান্য করা বাংলার ট্র্যাডিশন হয়ে দাঁড়িয়েছে”, তোপ সৌমিত্রর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপাল এবং আদালতকে অমান্য করা বাংলার ট্র্যাডিশন হয়ে দাঁড়িয়েছে।” মঙ্গলবার লোকসভায় এই ভাষায়ই তৃণমূল শাসিত পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে আক্রমণ শানালেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে পরপর তিনবার জয়ী হয়েছেন সৌমিত্র। বিজেপির এই সাংসদকেই এবার সংসদে দেখা গেল ফুল ফর্মে। তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে নিশানা করে সৌমিত্র বলেন, “বাংলায় বিরোধীদের স্বাধীনতা নেই, বিজেপির ২০০ জন কার্যকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে।”

    কী লিখেছেন সৌমিত্র? (Saumitra Khan)

    এদিন ফেসবুক পেজেও ভিডিও পোস্ট করেছেন সৌমিত্র। পোস্টে লিখেছেন, ‘তৃতীয়বারের জন্য সাংসদ নির্বাচিত হয়ে অষ্টাদশ লোকসভায় মহামহিম রাষ্ট্রপতি মহোদয়ার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ধন্যবাদ জ্ঞাপন সূত্রে বলার সুযোগ পেলাম।’ এখানেও রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল এবং লোকসভার বিরোধী জোটকেও চাঁদমারি করেছেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ। এদিন বক্তব্যের শুরুতেই বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাধারণ মানুষকে প্রণাম জানান সৌমিত্র। তৃতীয়বার তাঁকে সাংসদ নির্বাচিত করায় তাঁদের ধন্যবাদও জানান তিনি। সরব হন রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও।

    ‘বিরোধীদের স্বাধীনতা নেই’

    বিষ্ণুপুরের সাংসদ (Saumitra Khan) বলেন, “নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকলে পশ্চিমবঙ্গে কখনও নির্বাচন হবে না। লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন ছাড়া এ রাজ্যে পঞ্চায়েত ও মিউনিসিপ্যাল ভোট হয় না।” পদ্ম-সাংসদ বলেন, “আমাদের ২০০ জন কার্যকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে। ওখানে বিরোধীদের কোনও স্বাধীনতা নেই। বিরোধীদের কিছু বলার অধিকার নেই। বিরোধীপক্ষের সাংসদ-বিধায়কদের বৈঠকে ডাকেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।”

    আর পড়ুন: “মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবেন না”, রাহুলের ‘হিন্দু’-মন্তব্য প্রসঙ্গে বললেন মোদি

    কোচবিহারকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে সৌমিত্র বলেন, “কোচবিহারে কেবল বিজেপি করায় এক মহিলাকে রাস্তায় নগ্ন করে ঘোরানো হয়েছিল। এটা কি তৃণমূল কংগ্রেসের সংস্কৃতি?” বক্তব্য শেয়ার করে সৌমিত্র লিখেছেন, “কয়েকদিন পরে পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু জাতি শেষ হয়ে যাবে।” বিষ্ণুপুরের সাংসদ বলেন, “তৃণমূল মহিলাদের সম্মানের কথা বলছে। ওদের মুখে এ কথা মানায় না। চোপড়ায় এক মহিলাকে রাস্তায় ফেলে পিটিয়েছে তৃণমূলের নেতা। এরা আবার বড় বড় কথা বলছে (Saumitra Khan)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Municipal Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে বিপাকে তৃণমূল নেতা, নাম জড়াল সিবিআইয়ের চার্জশিটে

    Municipal Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে বিপাকে তৃণমূল নেতা, নাম জড়াল সিবিআইয়ের চার্জশিটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের প্রথম চার্জশিটেই বিপাকে পড়লেন দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন পাঁচু রায় (Pachu Ray) । তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, করোনাকালে একই দিনে দক্ষিণ দমদম পৌরসভায় ২৯ জনকে বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। সেই সময় পুরপ্রধান ছিলেন পাঁচু রায়। তবে ওই নিয়োগের (Municipal Recruitment Scam) ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি এখনও তদন্তের আওতাধীন রয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তির দিনেই ২৯ জনকে চাকরি ও নিয়োগ  (Pachu Ray)

    জানা গিয়েছে, একই দিনে ২৯ জনকে বেআইনিভাবে চাকরি দেওয়া হয়। একই দিনে চাকরির বিজ্ঞপ্তি বের হয়, সেদিনই দেওয়া হয় নিয়োগপত্র। আবার সেদিনই চাকরিতে যোগদান করেন সকলে। গোটা প্রক্রিয়াটাই বেআইনি বলে দাবি করেছে ইডি। ইডির প্রশ্ন, তাহলে চাকরিতে নিয়োগের আগে নিয়ম মেনে মূল্যায়ন হল কী করে। ওই চার্জশিটে পাঁচুর রায়ের পাশাপাশি অয়ন শীলের নামের উল্লেখ রয়েছে। তবে এই দুর্নীতিতে অয়ন শীলের অর্থনৈতিক যোগাযোগ নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে।

    নথির আড়ালে কোডওয়ার্ড (Municipal Recruitment Scam)

    প্রসঙ্গত পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে পুর নিয়োগ দুর্নীতির খোঁজ পায় ইডি। জানা যায়, করোনা কালে রাজ্যে অন্তত ৮০টি পুরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম হয়। কোনও নিয়ম না মেনে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ হয়। নিয়োগের ক্ষেত্রে টাকার পাশাপাশি স্বজন-পোষণের বিষয়টিও উঠে আসে। এবার সেই পুর নিয়োগ (Municipal Recruitment Scam) দুর্নীতিতে প্রথম নাম শাসক দলের এক তৎকালীন পুরপ্রধানের। প্রসঙ্গত ২০২৩ সালের মার্চ মাসের ১৯ তারিখ সল্টলেকে অয়ন শীলের অফিস ও হুগলির বাড়ি থেকে তল্লাশি চালিয়ে দিস্তা-দিস্তা ওএমআর শিট উদ্ধার হয় এবং একটি ২৮ পাতার নথির খোঁজ পান তদন্তকারীরা। আপাতদৃষ্টিতে প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত নথি মনে করা হলেও পরে দেখা যায় তাতে রয়েছে একাধিক পুরসভার নিয়োগপ্রার্থীদের তালিকা এবং সেই সংক্রান্ত সুপারিশ। নথির মধ্যে ছিল একাধিক কোডওয়ার্ড।

    ৮০ পুরসভার নিয়োগে দুর্নীতি

    উত্তর দমদম, নিউ ব্যারাকপুর, দক্ষিণ দমদম, কামারহাটি, বরানগর সহ বেশ কয়েকটি পুরসভার প্যানেলের তথ্য ছিল ওই নথিতে। এছাড়াও পুরসভাগুলিতে মেডিক্যাল অফিসার, ওয়ার্ড মাস্টার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্যাশিয়ার, মজদুর, ক্লার্ক, হেল্পার, ড্রাইভার সহ বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশের তালিকাও ছিল ওই নথিতে।

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে ৪৭টি এফআইআরে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    ঐ নথির ভিত্তিতেই দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান পাঁচু রায়ের (Pachu Ray) নাম উঠে আসে। সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখিও হয়েছিলেন তিনি। এবার সেই পুর নিয়োগ (Municipal Recruitment Scam) দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের চার্জশিটে উঠে এল তাঁর নাম।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Saket Gokhale: আমলা দম্পতির বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য, তৃণমূল সাংসদের জরিমানা ৫০ লাখ

    Saket Gokhale: আমলা দম্পতির বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য, তৃণমূল সাংসদের জরিমানা ৫০ লাখ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫০ লাখ টাকা জরিমানা তৃণমূল সাংসদের। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী ও তাঁর স্ত্রী তথা প্রাক্তন কূটনীতিক লক্ষ্মী পুরীর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের সাকেত গোখেলের (Saket Gokhale) বিরুদ্ধে। সেই কারণেই তাঁকে জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)।

    সাকেতকে আদালতের নির্দেশ (Saket Gokhale)

    সোমবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি অনুপ জয়রাম ব্রহ্মাণীর বেঞ্চের নির্দেশ, লক্ষ্মীর কাছে ক্ষমা চেয়ে সাকেতকে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করতে হবে। আদালতের নির্দেশ, অন্তত ছমাস সাকেতের (Saket Gokhale) ওই পোস্ট থাকতে হবে এক্স হ্যান্ডেলে। এর পাশাপাশি একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকে লক্ষ্মীর কাছে ক্ষমা চেয়ে বার্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ব্রহ্মাণীর বেঞ্চ। ঘটনার সূত্রপাত ২০২১ সালের জুন মাসে। লক্ষ্মী ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ তুলে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছিলেন সাকেত। পোস্টে তৃণমূলের এই সাংসদ লিখেছিলেন, লক্ষ্মী পুরী সুইৎজারল্যান্ডে সম্পত্তি কিনেছেন। লক্ষ্মী ও তাঁর মন্ত্রী স্বামীর আয়ের উৎস নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিকবার পোস্ট করেছিলেন তৃণমূলের এই সাংসদ।

    মানহানির মামলা দায়ের

    এর পরেই সাকেতের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন লক্ষ্মী। দাবি করেন পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণও। তাঁর ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে এমন মিথ্যে, অসত্য ট্যুইট ডিলিট করার নির্দেশ সাকেতকে দিতে আদালতে আবেদন জানান লক্ষ্মী। ওই বছরেরই ১৩ জুলাই লক্ষ্মীর বিরুদ্ধে করা সমস্ত পোস্ট চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ডিলিট করার নির্দেশ সাকেতকে দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। লক্ষ্মীর বিরুদ্ধে আর কোনও মানহানিকর পোস্ট করা থেকেও সাকেতকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।

    আর পড়ুন: ইভিএম নিয়ে ভুয়ো খবর, মিড ডে-র রিপোর্টার সহ একাধিক ব্যক্তির নামে এফআইআর

    লক্ষ্মীর মতো প্রাক্তন আমলা তাঁর স্বামী হরদীপও। তিনি ১৯৭৪ ব্যাচের আইএফএস। ব্রাজিল, জাপান, ব্রিটেন-সহ বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন। চাকরিজীবন শেষে ২০১৩ সালে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। বর্তমানে হরদীপের কাঁধে রয়েছে পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের দায়িত্ব। এহেন এক আমলা দম্পতির বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করার খেসারত দিতে হবে (Delhi High Court) তৃণমূলের সাংসদকে (Saket Gokhale)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share