Tag: bjp

bjp

  • Pravati Parida: ওড়িশার প্রথম মহিলা উপ-মুখ্যমন্ত্রী! ইতিহাস গড়লেন প্রভাতী পারিদা

    Pravati Parida: ওড়িশার প্রথম মহিলা উপ-মুখ্যমন্ত্রী! ইতিহাস গড়লেন প্রভাতী পারিদা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভা নির্বাচন শেষ হতেই মঙ্গলবার ওড়িশায় নতুন মুখ্যমন্ত্রী ও উপ মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। ওড়িশার নতুন মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন মোহনচরণ মাঝি। আর নবনির্বাচিত বিজেপি সরকারে একইসঙ্গে উপ মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন কনকবর্ধন সিংদেও এবং প্রভাতী পারিদা (Pravati Parida)। আর এখানেই আছে চমক। কারন বিজেপি বিধায়ক প্রভাতী পারিদাই প্রথম মহিলা যিনি ওড়িশার উপ-মুখ্যমন্ত্রী (Odisha’s First Female Deputy CM) পদে নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়লেন। এদিন উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হওয়ার পর দলের সহকর্মী এবং ছয় বারের বিধায়ক কনকবর্ধন সিংদেওর সঙ্গে তাঁর পদটি ভাগ করে নিয়েছেন।    

    কে এই প্রভাতী পারিদা? (Pravati Parida)

    প্রভাতী পেশায় একজন আইনজীবী। তিনি ভুবনেশ্বরের উৎকল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করে পরবর্তীতে ওড়িশা হাইকোর্টে একজন আইনজীবী হিসেবে যুক্ত হন। সাম্প্রতিক রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে নিমাপাড়া আসনে বিজেডির দিলীপকুমার নায়ককে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ভোটে হারিয়ে বিজয়ী হন তিনি। জানা গিয়েছে, বুধবারই উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহন করার কথা তাঁর। 

    আরও পড়ুন: চাকরি ‘বিক্রি’ করে ব্যাঙ্কে ৭২ কোটি! এসএসসিকাণ্ডে ধৃত প্রসন্নর বিরুদ্ধে নয়া তথ্য ফাঁস ইডির

    ওড়িশার নতুন মুখ্যমন্ত্রী হলেন মোহনচরণ মাঝি 

    ৫৩ বছর বয়সি মোহন মাঝি আদিবাসী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। ২০০০ সালে প্রথম তিনি বিধায়ক নির্বাচিত হন। চারবারের বিধায়ক মোহন মাঝি (Mohan Majhi) জনসেবা এবং সাংগঠনিক দক্ষতার জন্য জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। এবারের নির্বাচনে কেওনঝড় বিধানসভা থেকে মোহন মাঝি বিজেডির মীনা মাঝিকে হারিয়ে ৮৭ হাজার ৮১৫ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন। এদিনের বৈঠক শেষে রাজনাথ বলেন, “মোহন মাঝি হলেন একজন নবীন এবং দক্ষ কার্যকর্তা। তিনি ওড়িশাকে আগামিদিনে প্রগতি ও উন্নতির  পথে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।” উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের সঙ্গেই ওড়িশায় (Odisha) বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল। সেই ভোটে ২৪ বছরের বিজু জনতা দলের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক জমানার শেষ হয়। অন্যদিকে ২০০০ এবং ২০০৪ সালে নবীনের সঙ্গে জোট সরকারে থাকলেও ওড়িশায় এককভাবে বিজেপি (BJP) এই প্রথম সরকার গঠন করতে চলেছে। 
     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dev: দেবের গ্রামে কুপোকাত তৃণমূল, বিজেপির ওপর আস্থা মহিষদাবাসীর

    Dev: দেবের গ্রামে কুপোকাত তৃণমূল, বিজেপির ওপর আস্থা মহিষদাবাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘাটাল লোকসভায় ফের জয় হাসিল করেছে তৃণমূল। বিশেষ করে কেশপুর বিধানসভায় বিপুল পরিমাণে লিড পেয়েছে শাসক দল। কিন্তু, তৃণমূল সাংসদ দেবের (Dev) আদি বাড়ি কেশপুরের মহিষদায় ধরাশায়ী হয়েছে তৃণমূল। নিজের গ্রামের বুথে বিজেপি এগিয়ে থাকায় রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    দেবের গ্রামে কুপোকাত তৃণমূল, বিজেপির ওপর আস্থা মহিষদাবাসীর (Dev)

    দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ এবং ২০১৯, এই দু’বারই কেশপুরে ভোটের প্রচার শুরুর আগে গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন দেব (Dev)। এ বারে অবশ্য তিনি এখানে এসেছিলেন, তবে প্রচারের শেষ পর্বে। বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ও মহিষদায় প্রচারে গিয়েছিলেন। মহিষদার মানুষ হিরণের ওপর আস্থা রেখেছেন। জানা গিয়েছে, কেশপুর বিধানসভায় ২৮২টি বুথের মধ্যে ৩০টিরও বেশি বুথে বিজেপি প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা এক থেকে ন’টি। একটি বুথে তো বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা শূন্য! অভিষেকের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে কেশপুর থেকে এক লক্ষ তিন হাজার ভোটের লিড পেয়েছিলেন ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দেব। আর সেখানেই সাংসদের নিজের গ্রাম মহিষদায় অন্য ছবি ধরা পড়েছে। মহিষদার ১৮৩ নম্বর বুথটি দেবের গ্রামের বুথ। সেখানে ভোট পড়েছে ৬০৮টি। বিজেপি পেয়েছে ৩৩৯টি (৫৫.৭৫ শতাংশ), তৃণমূল ২০৮টি (৩৪.২১ শতাংশ)। বামে গিয়েছে ৩৬টি ভোট, নোটায় ন’টি। এই বিষয়ে কেশপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী শিউলি সাহা বলেন, “ঘরের ছেলেকেও মান্যতা দেয়নি ওরা। উন্নয়ন কিছু কম হয়নি ওখানে। যে সরকার মানুষের কাজ করবে, মানুষেরও উচিত সেই সরকারের পাশে থাকা। আসলে দেবের গ্রাম মহিষদায় বামের ভোট রামে গিয়েছে। তাই সেখানে তৃণমূল পিছিয়ে পড়েছে।”

    আরও পড়ুন: সুকান্তর গড়ে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে গ্রামীণ ভোটেও থাবা বিজেপির

    বিজেপি নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক তন্ময় ঘোষ অবশ্য বলছেন, “মানুষ বিজেপিকে চেয়েছে। তাই মহিষদার বুথে আমরা এগিয়ে আছি। ঠিকমতো ভোট হলে কেশপুরের সব বুথেই তৃণমূল পিছিয়ে থাকত। মহিষদাতে ভোট লুট করতে পারেনি বলেই সেখানে বিজেপি প্রার্থী জয়ী হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: সুকান্তর গড়ে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে গ্রামীণ ভোটেও থাবা বিজেপির

    Balurghat: সুকান্তর গড়ে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে গ্রামীণ ভোটেও থাবা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারের লোকসভা নির্বাচনে সুকান্তর গড় বালুরঘাটে (Balurghat) গ্রামীণ ভোটে থাবা বসালো বিজেপি। জানা গিয়েছে, বালুরঘাট ও হিলির অধিকাংশ পঞ্চায়েতে লিড পেয়েছে বিজেপি। ফলে, বালুরঘাটে শুধু পুরসভা এলাকা নয়, পঞ্চায়েত এলাকাতেও বিজেপি আস্থা ফিরে পেল।

    ১৩টি পঞ্চায়েতে বিজেপির লিড (Balurghat)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের দখলে ছিল বালুরঘাট (Balurghat), হিলি ব্লকের ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও দুটি পঞ্চায়েত সমিতি। তার মধ্যে ১৩ টিতে লিড পেয়েছে বিজেপি। খোদ বালুরঘাট ব্লক তৃণমূল সভাপতির অঞ্চলে প্রায় ৭ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। এমন ফলাফলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা বলছে শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের একাংশের অভিযোগ, বিপ্লব বিরুদ্ধ গোষ্ঠী বিজেপির সঙ্গে আঁতাত করার জন্যই এমন ফল হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বালুরঘাট মহকুমায় বিশেষ করে বালুরঘাট ও হিলি ব্লকে ভোটের দায়িত্বভার যায় প্রাক্তন জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষের কাঁধে। তখন অঞ্চল ও ব্লক সভাপতিদের পরিবর্তন করা হয়। নিজের অনুগামীদের পদে বসান অর্পিতা। প্রত্যেক অঞ্চলে নিজের মতো সংগঠন সাজিয়ে পঞ্চায়েত ভোট পার করেছিলেন অর্পিতা। সেবার দুই ব্লক মিলিয়ে শুধুমাত্র চিঙ্গিসপুর ও ভাটপাড়া হাতছাড়া হয়। লোকসভা নির্বাচনে বিপ্লব মিত্র প্রার্থী হতেই পুরানো সংগঠনে বদল না করা হলেও যাতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব না হয়, সেজন্য অঞ্চল সভাপতিদের পাশাপাশি বিপ্লব অনুগামীদের কনভেনর করে জুড়ে দেওয়া হয়। নির্বাচনী প্রচারের সময় বিপ্লব অনুগামী কনভেনররা বার বার করে অভিযোগ করেছিলেন, প্রধানরা কোনও কাজ করছেন না। অভিযোগ ওঠে বিপ্লব বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা-কর্মীরা দলের বিরুদ্ধে প্রচার করছেন। সেসব কারণেই দুই ব্লকের পাঞ্জুল বাদ দিয়ে প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েতে পিছিয়ে পড়তে হয়েছে বলে মনে করছে দলের একাংশ।

    আরও পড়ুন: লোকসভার ভোটও দিয়েছে! জাল নথি সহ গ্রেফতার চার বাংলাদেশি, কোথায় লুকিয়ে ছিল?

    দলের গদ্দারদের জন্য এই ফল!

    এই বিষয়ে বিপ্লবমিত্র বলেন, বালুরঘাট ও হিলিতে ফল খারাপ হবে ধরে নিয়েছিলাম। কিন্তু, এত খারাপ ফল হতে পারে ভাবতে পারিনি। রিপোর্ট তৈরি করছি। দ্রুত রাজ্য নেতৃত্বের কাছে জমা দেওয়া হবে। দুই ব্লক মিলিয়ে শুধু পাঞ্জুল গ্রাম পঞ্চায়েতে আমরা লিড পেয়েছি। দলের কিছু গদ্দার বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমার বিরুদ্ধে কাজ করেছে। দলে গদ্দারদের জন্য এই ফল। তাদের সবার বিরুদ্ধে রাজ্য নেতৃত্ব ব্যবস্থা নেবে।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    এই বিষয়ে বিজেপির জেলার (Balurghat) সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, পঞ্চায়েতগুলো তৃণমূল চুরি করে দখল করে নিয়েছিল। সেই চুরি করার জবাব মানুষ এই লোকসভা ভোটে দিয়ে দিয়েছে। ১৪টি গ্রামপঞ্চায়েতের মধ্যে একটা পঞ্চায়েত বাদে বাকি সব গুলো পঞ্চায়েতে আমরা লিড পেয়েছি। আর ওদের তো কাজ করার মতো লোক নেই, সব চুরি করার জন্য লোক আছে। নিজেদের মধ্যে গন্ডগোল করার লোক আছে। মানুষ এবার সঠিক জবাব দিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC Clash: নিজেদেরই প্রধান, দলের যুব সভাপতির বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি

    TMC Clash: নিজেদেরই প্রধান, দলের যুব সভাপতির বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের প্রধানের বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল দলেরই অঞ্চল সভাপতি রাজা সরকার ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির পান্ডুয়া থানার হরাল দাসপুর পঞ্চায়েত এলাকায়। একইসঙ্গে তৃণমূলের যুব সভাপতির বাড়িতেও ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল (TMC Clash) প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    প্রধানের বাড়ি ভাঙচুর, যুব নেতার বাড়িতে হামলা (TMC Clash)

    সোমবার রাতে পাণ্ডুয়া থানার হরাল দাসপুর পঞ্চায়েত প্রধান করুণ ক্ষেত্রপালের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের (TMC Clash) অভিযোগ উঠেছে রাজা সরকার ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি প্রধানকে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান করুনা ক্ষেত্রপাল। অন্যদিকে, হরাল দাসপুর অঞ্চল তৃণমূল যুব সভাপতি আসিফ মল্লিকের বাড়িতেও হামলা চালায় স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি রাজা সরকার সহ তাঁর অনুগামীরা। ভাঙচুরের পাশাপাশি তাঁকে  মারধর করা হয়। পরিবারের সদস্যরা বাধা দিতে গেলে তাঁরাও আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আসিফ মল্লিকের বাবা আব্দুল আজিম মল্লিক ও এক প্রতিবেশী। হামলার পরিপ্রেক্ষিতে দলের একাধিক কর্মীর নামে পাণ্ডুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূল যুব সভাপতি আসিফ মল্লিক। হামলার পরিপ্রেক্ষিতে একজনকে গ্রেফতার করেছে পান্ডুয়া থানার পুলিশ। যদিও এই বিষয়ে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা রাজা সরকারের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    আরও পড়ুন: মন্ত্রক বদলাল না শান্তনুর, মোদি মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েই জোড়া দায়িত্ব সুকান্তর

    হামলা নিয়ে কী বললেন প্রধান?

    হরাল দাসপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল (TMC Clash) প্রধান করুণা ক্ষেত্রপাল বলেন, আমি তৃণমূলের প্রধান। আমি ভাবিনি যে এই দল করলে আমার এই পরিণতি হবে। বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি দলের লোকেরাই এসে মারার হুমকি দেবে! হরাল দাসপুর অঞ্চল তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি আশিফ মল্লিক বলেন, সোমবার  রাতে বাড়িতে বসেছিলাম। হঠাৎ করে বাড়িতে চড়াও হয়ে বাড়িতে ভাঙচুর করে। পরিবারের লোকজন বাধা দিলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। কারণ, আমরা পঞ্চায়েতটা স্বচ্ছভাবে চালাচ্ছি। এখন কাজের ওপেন টেন্ডার হয়। কোন দুর্নীতি হয় না। তাই এই হামলা হয়েছে।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার বলেন, এটা এলাকা দখলের লড়াই। ভোটে জিতে কে কোন এলাকা দখল করবে, কী ভাবে তোলাবাজি করবে তার লড়াই চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kiren Rijiju: সংখ্যালঘু মন্ত্রকের দায়িত্বে বৌদ্ধ রিজিজুকে বসিয়ে মাস্টারস্ট্রোক মোদির

    Kiren Rijiju: সংখ্যালঘু মন্ত্রকের দায়িত্বে বৌদ্ধ রিজিজুকে বসিয়ে মাস্টারস্ট্রোক মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংখ্যালঘু মানে যে কেবল মুসলমান নন, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, পার্সি, খ্রিস্টানরাও, তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে বসেই দেশবাসীকে সেই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর মন্ত্রিসভায় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী করা হয়েছে কিরেন রিজিজুকে (Kiren Rijiju)। ধর্মে বৌদ্ধ রিজিজুকে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী করে এক ঢিলে একাধিক পাখি মারলেন প্রধানমন্ত্রী। একদিকে যেমন মুসলমানদের বার্তা দিলেন, তেমনি অন্যদিকে বৌদ্ধ-সহ বাকি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কেও বার্তা দিলেন তিনি।

    সংখ্যালঘু বিষয়ক দফতরে রিজিজু (Kiren Rijiju)

    ফেরা যাক খবরে। স্বাধীনতার পর থেকে এই জাতীয় কোনও দফতর ছিল না। ২০০৬ সালে প্রথম তৈরি হয় সংখ্যালঘু বিষয়ক দফতর। তার পর থেকে এ যাবৎকাল পর্যন্ত সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী হতেন মুসলমান সম্প্রদায়ের কেউ (Kiren Rijiju)। মোদি সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে এই মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলাতেন মুখতার আব্বাস নাকভি। ব্যতিক্রম হল তৃতীয় টার্মে। এবার এই মন্ত্রকের দায়িত্বে বসানো হল রিজিজুকে। স্বাধীনতার পর থেকে দীর্ঘদিন কেন্দ্রের ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস।

    তুষ্টিকরণের রাজনীতি!

    ২০০৬ সালে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের আমলে এই মন্ত্রক তৈরি করা হয়। এই জমানায়ও সংখ্যলঘু বিষয়ক মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন মুসলমান সম্প্রদায়ের কেউ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে গিয়েই এই প্রথা চালু করেছিল কংগ্রেস। যার জেরে সংখ্যালঘু বলতে যে এদেশে মুসলমান ছাড়াও বৌদ্ধ, শিখ, পার্সি, জৈন, খ্রিস্টানদেরও বোঝায়, তা ভুলতে বসেছিলেন দেশবাসী। এহেন আবহে রিজিজুকে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী করে মাস্টারস্ট্রোক দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    আর পড়ুন: “রটনায় নাম জড়ানো হচ্ছে আরএসএসের, এটা ঠিক নয়”, বললেন মোহন ভাগবত

    সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের ভার যে মুসলমান ছাড়াও অন্যদের দেওয়া যেতে পারে, সেই সলতে পাকানোর কাজটি শুরু হয়েছিল ২০২২ সালেই। যখন স্মৃতি ইরানিকে এই দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়। রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তাঁকে সাহায্য করেছিলেন খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জন বার্লা। এর আগে রিজিজু ছিলেন আইনমন্ত্রী। এবার রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তাঁকে সাহায্য করবেন খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের রাজনীতিবিদ কেরলের জর্জ কুরিয়েন।প্রসঙ্গত, ভারতে যে ক’টি সংখ্যলঘু সম্প্রদায় রয়েছে, তার মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানরাই। কাশ্মীরে অবশ্য তারাই সংখ্যাগুরু।

    ৯ জুন, রবিবার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন নরেন্দ্র মোদি। এদিনই শপথ নেন বাকি মন্ত্রীরাও। শপথ নেন বিজেপির অরুণাচলের সাংসদ রিজিজুও। ২০০৬ সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক তৈরি হওয়া ইস্তক এই প্রথম বসেছেন মুসলমান ছাড়া অন্য কোনও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কেউ (Kiren Rijiju)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Garulia: গারুলিয়ায় বিজেপি নেতার বাড়িতে ভাঙচুর, প্রাণনাশের হুমকি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Garulia: গারুলিয়ায় বিজেপি নেতার বাড়িতে ভাঙচুর, প্রাণনাশের হুমকি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি নেতার বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে গারুলিয়া (Garulia) পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের দেশবন্ধু নগরে। আক্রান্ত বিজেপি নেতার নাম ধনঞ্জয় মালো। ইতিমধ্যেই তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Garulia)

    দলীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ধনঞ্জয় মালো বিজেপির নোয়াপাড়া (Garulia) মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, “আমার ছেলে অসুস্থ। ফলে, সোমবার সকাল সকাল শুয়ে পড়়েছিলাম। রাতে আচমকা তৃণমূলের লোকজন আমার বাড়িতে চড়াও হয়। বাড়ির মেন গেট ভাঙচুর করতে থাকে। আওয়াজ শুনে আমি বা়ড়ির বাইরে বেরিয়ে আসি। সেই সময় বাইরের আলো জ্বালতেই দেখি, তৃণমূলের লোকজন বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমি ঘর থেকে বের হতেই, ওরা চলে যায়। মঙ্গলবার সকালে দেখি, আমার বাড়ির গেট ভাঙচুর করে একটি গেট নিয়ে চলে গিয়েছে। এদিন সকালে দলের এক কর্মী আমাদের বাড়িতে আসেন। এরপরই ওই কর্মীর দোকানে এদিন সকালে ভাঙচুর করা হয়। ফলে, তৃণমূল এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। পুলিশে অভিযোগ জানালে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন সকালে কয়েকজন ফের আমার কাছে এসে থানা থেকে কেস তুলে নেওয়ার জন্য বলে। নাহলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পরিবারের লোকজন।”

    আরও পড়ুন: মন্ত্রক বদলাল না শান্তনুর, মোদি মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েই জোড়া দায়িত্ব সুকান্তর

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা

    বিজেপির বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এটা তৃণমূলের কালচার। দলীয় নেতার বাড়িতে হামলা চালানোর পাশাপাশি খুনের হুমকি দিচ্ছে তৃণমূলের লোকজন। আমরা আক্রান্ত নেতার পরিবারের পাশে রয়েছি। গারুলিয়া (Garulia) পুরসভার চেয়ারম্যান রমেন দাস বলেন, আমি বিষয়টা শুনেছি, যারা তৃণমূল কংগ্রেসের নাম ভাঙিয়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করছে দল তাদের পাশে থাকবে না। দল এই ধরনের কাজ বরদাস্ত করে না। তবে, যতদূর জানি, এটা একটা পারিবারিক ঘটনা। তৃণমূল এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। দলের নামে মিথ্যা অভিযোগ এনে বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: বাগদায় উপনির্বাচন ঘোষণা হতেই দেওয়াল লিখন শুরু বিজেপির, জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী

    North 24 Parganas: বাগদায় উপনির্বাচন ঘোষণা হতেই দেওয়াল লিখন শুরু বিজেপির, জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি দেশের অষ্টাদশ লোকসভার নির্বাচন শেষ হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বারের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে গতকাল সোমবার উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আর তাই ২৪ ঘন্টা পেরোতে না পেরোতেই দেওয়াল লিখনের কাজ শুরু করল বিজেপি। মঙ্গলবার সকালে উত্তর ২৪ পরগণার (North 24 Parganas) বাগদার বানেশ্বরপুর বাজার সংলগ্ন মনোহরপুর এলাকায় দেওয়াল লিখেন শুরু করে দেয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। তবে প্রার্থী নামের জায়গা ফাঁকা রাখা হয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য (North 24 Parganas)

    বিধানসভার উপনির্বাচনকে ঘিরে বিজেপির কর্মীদের মধ্যে এখন ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এই বিধানসভায় ২০২১ সালে বিজেপির প্রার্থী হয়ে জয়ী হয়েছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। কিন্তু পরবর্তী সময়ে, তিনি দল বদল করে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন। তিনিই আবার বনগাঁ লোকসভা (North 24 Parganas) কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। যদিও বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের কাছে পরাজিত হন তিনি। এইবার এই উপনির্বাচনকে ঘিরে স্থানীয় বিজেপির কর্মীদের বক্তব্য, “যেই প্রার্থী হোক আমরা তাঁকে সমর্থন করব। আমরা জয় লাভ করব, তাই সময় নষ্ট না করে দেওয়াল লিখন শুরু করলাম।” আবার বিজেপির বাগদা মন্ডল ১-এর যুব মোর্চার সভাপতি অর্ঘ্য হালদার বলেন, “সকাল ৫টা থেকে আমরা দেওয়াল লেখন শুরু করেছি। বাগদায় সকল বিজেপি কর্মীরা একযোগে কাজ শুরু করে দিয়েছে। প্রার্থী যেই হোক না কেন আমাদের মূল লক্ষ্য হল বিজেপিকে জয়ী করা। প্রত্যেক বুথে বুথে আমরা প্রচার করব।”

    আরও পড়ুন: “মিছিল থেকেই বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর করল তৃণমূল”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী

    তৃণমূলের বক্তব্য

    বাগদা (North 24 Parganas) পশ্চিম ব্লকের তৃণমূল সভাপতি অঘোর চন্দ্র হালদার বলেন, “গতকাল নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে এখনও প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। তবে দুই এক দিনের মধ্যেই হয়ে যাবে। এই নির্বাচন, লোকসভার নির্বাচন নয় এটা বিধানসভার নির্বাচন, তাই এই এলাকার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর বিশ্বাস রাখবেন। বিজেপি যত চেষ্টা করুক জয় তৃণমূলেরই হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: “মিছিল থেকেই বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর করল তৃণমূল”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী

    Post Poll Violence: “মিছিল থেকেই বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর করল তৃণমূল”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই একের পর এক হিংসার (Post Poll Violence) ছবি উঠে এসেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বহু বিজেপি কর্মী ঘরছাড়া রয়েছেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সোমবারই জেলায় এসে আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করে যান। তারপরই ফের আরও এক বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ এলাকায়। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Post Poll Violence)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাকদ্বীপের শ্রীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের  মধুসূদনপুর গ্রামে তৃণমূলের পক্ষ থেকে মিছিল বের করা হয়। সেই মিছিল থেকে বিজেপি কর্মী রাজারাম প্রধানের বাড়িতে হামলা (Post Poll Violence) চালানো হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি কর্মী রাজারাম প্রধান বলেন, “আমি বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সেই সময় তৃণমূলের মিছিল আমার বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। মিছিল থেকে কয়েকজন আমার দিকে তেড়ে যাই। আমি ছুটে বাড়ির মধ্যে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিই। এরপরই বাঁশ, লাঠি দিয়ে আমার বাড়ি ভাঙচুর করে ওরা। এমনকী বাড়ির সামনে থাকা সিসি ক্যামেরা ওরা ভেঙে দিয়েছে। আমরা খুবই আতঙ্কিত। মূলত স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মনোরমা মিদ্দা পন্ডিত ও তাঁর স্বামী পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে।” তবে, বিজেপি কর্মীর বাড়ির আশপাশে থাকা সিসিটিভি ফুটেছে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে, একদল দুষ্কৃতী ওই বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে। ওই বিজেপি কর্মী পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও তুলেছেন। এই বিষয়ে ওই বিজেপি কর্মী স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: মন্ত্রক বদলাল না শান্তনুর, মোদি মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েই জোড়া দায়িত্ব সুকান্তর

    অভিযুক্ত তৃণমূলের প্রধান কী সাফাই দিলেন?

    অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মনোরমা মিদ্দা পন্ডিত। তিনি বলেন, “এটা ওদের পারিবারিক বিষয়। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবেই জড়িত নই। দুই ভাইয়ের গন্ডগোল। এরসঙ্গে তৃণমূলের নাম জড়িতে রাজনৈতিক ফয়দা তোলার চেষ্টা করছে। তৃণমূল এই ধরনের নোংরা রাজনীতি করে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: শহরাঞ্চলের ভোট বিজেপির পক্ষে, রাজ্যের কতগুলি পুরসভায় এগিয়ে পদ্মশিবির?

    Lok Sabha Election 2024: শহরাঞ্চলের ভোট বিজেপির পক্ষে, রাজ্যের কতগুলি পুরসভায় এগিয়ে পদ্মশিবির?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার ভোটের নিরিখে (Lok Sabha Election 2024) কলকাতা পুরসভার অনেকগুলি ওয়ার্ডে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি (BJP)। শুধু কলকতা নয় লোকসভা ভোটের ফলাফল পুরসভাওয়াড়ি বিশ্লেষণ করলে বিজেপি এবং তৃণমূলের ব্যবধান চোখে পড়ার মতো। বাংলার ১২১টি পুরসভার মধ্যে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৬৯টি পুরসভা এলাকায়। ধুলিয়ান এবং বহরমপুর পুরসভায় এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। বাকি ৫১টিতে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। কলকাতা পুরসভাতেও ওয়ার্ডভিত্তিক ভাবে বাড়ল বিজেপির ভোট।

    নানা ওয়ার্ডে এগিয়ে বিজেপি

    গ্রামীণ ভোটে তৃণমূলের ‘আধিপত্য’ থাকলেও দেখা যাচ্ছে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ— পুর এলাকায় বিজেপির (BJP) পক্ষে সমর্থন বেশি। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩৭টিতে জয় পেয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু লোকসভা ভোটে সেই দাপট কিছুটা স্তিমিত। ৪৭ টি আসনে এগিয়ে গিয়েছে বিরোধী বিজেপি ও সিপিএম। কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ, যাদবপুর ও ডায়মন্ড হারবার লোকসভায় (Lok Sabha Election 2024) ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে কলকাতা পুরসভার ওয়ার্ডগুলি। ২০২২-এ কলকাতা পুরসভায় ১৩৪টি ওয়ার্ডে জিতেছিল তৃণমূল এবার তাদের লিডের সংখ্যা কমে হয়েছে ৯৮। 

    উত্তর কলকাতার ছবি

    উত্তর কলকাতার ২৪টি ওয়ার্ডে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি (BJP)। ৩৬টি ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূল। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ২০টি ওয়ার্ড এগিয়েছিল বিজেপি। এ বার আরও বাড়তি চারটি ওয়ার্ডে এগিয়েছে তারা। উত্তর কলকাতার কাশীপুর বেলগাছিয়া বিধানসভার ২ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। শ্যামপুকুর বিধানসভা ৮,২১, ২৪ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছে বিজেপি। জোড়াসাঁকো বিধানসভার ২২, ২৩, ২৫, ২৭,৩৮,৪০, ৪১, ৪২ ও ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। চৌরঙ্গী বিধানসভার ৪৫, ৪৭,৪৮,৪৯, ৫০, ৫১ ও ৫২ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়েছিল বিজেপি।

    দক্ষিণ কলকাতার ছবি

    কলকাতা দক্ষিণ লোকসভার অন্তর্গত মুখ্যমন্ত্রীর ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের পাঁচটি ওয়ার্ড থেকে এগিয়েছে বিজেপি (BJP)। ভবানীপুর বিধানসভার ৬৩, ৭০, ৭১, ৭২ ও ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভাল ব্যবধান এগিয়ে গিয়েছিল বিজেপি। কসবা বিধানসভার  ৬৭, ৯২, ১০৭ ও ১০৮ ওয়ার্ডে বিজেপি এগিয়ে গিয়েছে। কলকাতা বন্দর বিধানসভার ৭৯ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়েছে বিজেপি।  বেহালা পূর্ব বিধানসভার ১১৬ ও ১১৮ নম্বর ওয়ার্ড এবং বেহালা পশ্চিমের ১১৯ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়েছে বিজেপি। 

    পিছিয়ে তৃণমূলের হেভিওয়েটরা 

    একাধিক হেভিওয়েট কাউন্সিলরদের ওয়ার্ডে পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল। তৃণমূল বিধায়ক, দক্ষিণ কলকাতার জেলা সভাপতি ও মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার-তাঁর ওয়ার্ড ৮৫। সেখানে পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল। রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর আস্থাভাজন শশী পাঁজার নিজের ওয়ার্ড এবং তাঁর মেয়ে পূজা পাঁজার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডেও পিছিয়ে তৃণমূল। ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ও মেয়র পরিষদ অসীম কুমার বসুর ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। একই ছবি ৭২ নম্বরের তৃণমূল কাউন্সিলর ও মেয়র পরিষদ সন্দীপরঞ্জন বক্সীর ওয়ার্ডেও। এছাড়াও তৃণমূলের হেভিওয়েট কাউন্সিলর ও বরো চেয়ারপার্সন জুঁই বিশ্বাস, সুশান্ত ঘোষ, সুদীপ পোল্লে,  সাধনা বসু, সুস্মিতা ভট্টাচার্যের ওয়ার্ডে তৃণমূলের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। তৃণমূল কাউন্সিলর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়ের ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডেও ফুটেছে পদ্ম। তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে-র ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডেও এগিয়ে রয়েছে বিজেপি (BJP)। 

    আরও পড়ুন: “একযোগে কাজ করবে ভারত-বাংলাদেশ”, মোদিতে আস্থা রেখে বার্তা হাসিনার

    রাজ্যের নানা পুরসভায় এক ছবি

    গ্রামীণ ভোটে (Lok Sabha Election 2024) তৃণমূলের ‘আধিপত্য’ থাকলেও দেখা যাচ্ছে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ— পুর এলাকায় বিজেপির (BJP) পক্ষে সমর্থন বেশি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্যের ১২১টি পুরসভায় ভোট হয়েছিল। ভোটের ফলাফলে দেখা গিয়েছিল, নদিয়ার তাহেরপুর বাদ দিয়ে বাকি ১২০টি পুরসভাই জিতেছে তৃণমূল। তাহেরপুর ছিল সিপিএমের দখলে। কিন্তু এই লোকসভা ভোটে দেখা যাচ্ছে, সেই হিসেব উল্টে গিয়েছে। বালুরঘাট থেকে ঘাটাল, খড়্গপুর থেকে বাঁশবেড়িয়া— পুর এলাকায় পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। অধিকাংশ ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “তৃণমূলের অত্যাচারে বহু কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর, দোকানে তালা”, অভিষেককে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “তৃণমূলের অত্যাচারে বহু কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর, দোকানে তালা”, অভিষেককে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসার জেরে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা এলাকায় বহু বিজেপি কর্মী ঘরছাড়া। সোমবার ঘরছাড়া কর্মীদের সঙ্গে দেখা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের আমতলায় বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাসের বাড়িতে রয়েছেন ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীরা। সেখানে গিয়ে তাঁদের অভাব অভিযোগের কথা শুনলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    ঘরছাড়াদের সঙ্গে দেখা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)

    আক্রান্ত ঘরছাড়া কর্মীদের নামের তালিকা, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর নেতৃত্বের কাছ থেকে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) নিয়ে নেন। ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীরা যাতে সম্পূর্ণ নিরাপত্তায় বাড়ি গিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেন, তার জন্য অতি শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী স্বাধীনভাবে যাতে কাজ করতে পারে এবং আগামী দুর্গাপুজো পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে রাখা হয়, সেই আবেদনও হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে রাখা হয়েছে বলে বিরোধী দলনেতা জানান। শুভেন্দু বলেন, “এই লুটের ভোটের শেষ দেখে ছাড়ব। তবে, এই বিষয়টি আজকে বলছি না, আগামী বুধবার কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলন করে জানাবো। চারটি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীদের নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করব।” তারমধ্যে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অভিজিৎ দাস থাকবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: “চায়ের পয়সাটুকু কর্মীদের দেননি”, দলের চেয়ারম্যানকে তোপ হুমায়ুনের

    এক হাজার কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর, ছশো কর্মীর দোকানে তালা

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “ডায়মন্ড হারবারে মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। সাংবাদিকরা পর্যন্ত নিজেদের ভোট দিতে পারেননি। এর আগেও এই কেন্দ্রে সৌমেন মিত্র, শমীক লাহিড়ীর মতো নেতারা ভোটে দাঁড়িয়ে জয়ী হয়েছিলেন। তাঁরা তো অত ভোট পাননি। আর তিনি (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) এত বড় নেতা যে তিনি ৭ লক্ষ ভোটে জয়ী হয়ে গেলেন। এটা মেনে নেওয়া যায় না।” আর তৃণমূলের সন্ত্রাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ১০০০ বাড়ি ভাঙচুর করেছে তৃণমূল। ৬০০ কর্মীর দোকানে তালা ঝোলানো হয়েছে। বহু কর্মী ঘরছাড়া। আক্রান্ত সকল কর্মীর পাশে রয়েছে বিজেপি। এদিন সকলের অভাব-অভিযোগ শুনতে এসেছি। “

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share