Tag: bjp

bjp

  • Mamata Banerjee: প্রধানমন্ত্রীর ডাক পেয়েও ২২ অগাস্টের অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না মমতা, ভোট ব্যাঙ্কে থাবা পড়ার ভয়ে?

    Mamata Banerjee: প্রধানমন্ত্রীর ডাক পেয়েও ২২ অগাস্টের অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না মমতা, ভোট ব্যাঙ্কে থাবা পড়ার ভয়ে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমন্ত্রণপত্র পেয়েছেন। সৌজন্য দেখিয়েছে কেন্দ্রও। তবে ‘পাছে লোকে কিছু বলে’! তার ওপর আবার প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করার খেসারত দিতে হতে পারে ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে। তাই ডাক পেয়েও ২২ অগাস্ট কলকাতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অন্তত সূত্রের খবর এমনই। এদিন দমদমে মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। সেজন্য মুখ্যমন্ত্রীকে আগেই চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ১৪ অগাস্ট মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা আমন্ত্রণপত্রে রেলমন্ত্রী লিখেছেন, “যশোর রোড মেট্রো স্টেশনে আয়োজিত কর্মসূচিতে আপনাকে উপস্থিত থাকার জন্য আমরা বিনীতভাবে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।”

    যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)

    তৃণমূল সূত্রে খবর, বেশ কিছু রাজনৈতিক ও প্রাসঙ্গিক কারণেই এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, শুক্রবার গ্রিন লাইনের শিয়ালদা-এসপ্ল্যানেড অংশ, অরেঞ্জ লাইনের হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি ক্রসিং)- বেলেঘাটা অংশ এবং ইয়োলো লাইনের নোয়াপাড়া-জয়হিন্দ বিমানবন্দর (বিমানবন্দর) অংশে মেট্রো রুটের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানেই উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। একই সঙ্গে তিন মেট্রো লাইনের উদ্বোধন এবং তার সময় নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল। তাদের দাবি, আগামী বছরের গোড়ার দিকে বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা প্রকল্পগুলি উদ্বোধন করা হচ্ছে। যদিও রাজ্য বিজেপির তরফে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে এই অভিযোগ। তারা মেট্রো প্রকল্পগুলির কাজ শেষ করতে দেরি হওয়ার জন্য দায়ী করেছে রাজ্য সরকারকে।

    শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “ভূমি অধিগ্রহণ সমস্যা এবং রাজ্য সরকারের সহযোগিতার অভাবের কারণেই ইস্ট-ওয়েস্ট (গ্রিন লাইন)-সহ বাংলায় ৪৩টি রেল প্রকল্প বিলম্বিত হয়েছে। এই কারণে চিংড়িঘাটায় অরেঞ্জ লাইনের নির্মাণকাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। তা না হলে এটিও এতদিনে সল্টলেক সেক্টর-৫ এর সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে যেত।” উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি বাঞ্ছনীয় বলেও মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তার পরেও কেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করতে চাইছেন না মমতা? এর নেপথ্যে রয়েছে একাধিক কারণ। আসুন, একে একে জেনে নিই সেগুলি (Mamata Banerjee)।

    ‘ইন্ডি’ জোটেই রয়েছে মমতার দল

    প্রথমত, গত লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করে বিপাকে পড়েছিলেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ তথা এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার। বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’র সদস্য তাঁর দল (PM Modi)। এই ‘ইন্ডি’ জোটেই রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসও। তাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করে ফের ‘ইন্ডি’ জোটের সদস্য দলগুলির সমালোচনার মুখে পড়তে চাননি মমতা। দ্বিতীয়ত, প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চে উপস্থিত থাকার পরে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বেরিয়ে তিনি আর বিভিন্ন রেলপ্রকল্প নিয়ে ‘গালগপ্পো’ করতে পারবেন না। বরং প্রধানমন্ত্রীর সভায় অনুপস্থিত থাকলে ভোট প্রচারে বেরিয়ে বুক বাজিয়ে তিনি বলতে পারবেন, এসব প্রকল্পই আমার করা। এতদিনে রূপায়ণ করা হচ্ছে। প্রচারে ফের একবার নিজের ঢাক নিজেই পেটাতে পারবেন মমতা।

    নজরুল মঞ্চে অসন্তোষ

    তৃতীয়ত, এর আগে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে নজরুল মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর পাশে দেখা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু সেখানে উপস্থিত বিজেপি কর্মীদের আচরণ সন্তোষজনক বলে মনে হয়নি মুখ্যমন্ত্রীর। রাগ সামলাতে না পেরে মঞ্চেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে ফের যাতে সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করবেন না তিনি। চতুর্থত, মমতার প্রশাসনিক সভায় আজ পর্যন্ত ঠাঁই হয়নি কোনও বিরোধী জনপ্রতিনিধির। পাছে কোনও অপ্রিয় প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়, তাই আমন্ত্রণ জানানো হয় না তাঁদের (PM Modi)। ওয়াকিবহালের মতে, প্রধানমন্ত্রীর সভায় মমতার অনুপস্থিত থাকার এটাও একটা কারণ (Mamata Banerjee)।

    ভোটব্যাঙ্কে থাবা পড়ার ভয়

    সর্বোপরি, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করলে ছাব্বিশের নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের বিরাগভাজন হতে হতে পারে মমতাকে। ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থে তিল তিল করে মুসলিম-প্রীতির যে মুখোশ তিনি তৈরি করেছেন এবং পরেও রয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করলে পাছে তা খসে যায়, তাই আমন্ত্রণ পেয়েও (PM Modi) রেলের ওই অনুষ্ঠানে হাজির না হওয়ারই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা (Mamata Banerjee)।

    ‘সত্য সেলুকাস, কী বিচিত্র এই দেশ’!

  • CP Radhakrishnan: সংঘ পরিবারের সাধারণ কর্মী থেকে এনডিএ-র উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হলেন সিপি রাধাকৃষ্ণণ

    CP Radhakrishnan: সংঘ পরিবারের সাধারণ কর্মী থেকে এনডিএ-র উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হলেন সিপি রাধাকৃষ্ণণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের বর্তমান রাজ্যপাল শ্রী সিপি রাধাকৃষ্ণণকে (CP Radhakrishnan) উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ)। রবিবার, ১৭ অগাস্ট এই ঘোষণা সামনে এসেছে এবং বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এই ঘোষণা করেন একটি সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে। এনডিএ-র সংসদীয় দলের সংসদীয় বোর্ডের মিটিং সম্পন্ন হওয়ার পরেই তিনি এই ঘোষণা করেন তিনি।

    শ্রী সিপি রাধাকৃষ্ণণ জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫৭ সালের ৪ মে

    সিপি রাধাকৃষ্ণণের পুরো নাম হল চন্দ্রপুরম পন্নুস্বামী রাধাকৃষ্ণণ (CP Radhakrishnan)। তাঁকে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল করা হয় ২০২৪ সালের ৩১ জুলাই। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল হওয়ার আগে তিনি ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড ও তেলঙ্গানার রাজ্যপাল হিসেবে এবং পুদুচেরির লেফটেন্যান্ট গভর্নর হিসেবেও দায়িত্ব সামলেছেন। শ্রী সিপি রাধাকৃষ্ণণ জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫৭ সালের ৪ মে, তামিলনাড়ুর তিরুপ্পুরে। এর পরে তিনি পড়াশোনা করেন তুতিকোরিনের ভিও চিদাম্বরম কলেজে এবং সেখান থেকে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে স্নাতক হন।

    তিনি দুবার কোয়েম্বাটুর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন

    তিনি একজন ভূমিস্তরের কর্মকর্তা হিসেবে সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হন। তারপরে ধীরে ধীরে নিজের দক্ষতা ও প্রতিভার জোরেই তিনি উপরে উঠতে থাকেন। তিনি দুবার কোয়েম্বাটুর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জানা যায়, ভারতীয় জনসংঘের সঙ্গেই তার প্রথম রাজনৈতিক যোগাযোগ শুরু হয় এবং জনসংঘের রাজ্য কমিটির একজন সদস্য হন, যা ছিল বর্তমান বিজেপির পূর্বসূরি। ১৯৭৪ সালে তিনি জনসংঘের রাজ্য কমিটির সদস্য হন। জনসংঘে যোগদানের আগে তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) স্বয়ংসেবক ছিলেন বলেও জানা যায়।

    ১৯৯৬ সালে সিপি রাধাকৃষ্ণণ তামিলনাড়ু বিজেপির সম্পাদক হন

    ১৯৯৬ সালে সিপি রাধাকৃষ্ণণ তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) বিজেপির সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। এরপরেই তিনি লোকসভার সাংসদ হন (CP Radhakrishnan) কোয়েম্বাটুর থেকে ১৯৯৮ সালে। পরে, ১৯৯৯ সালেও তিনি পুনরায় সাংসদ পদে নির্বাচিত হন। সংসদে থাকাকালীন তিনি পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলান এবং একই সঙ্গে পার্লামেন্টারি কমিটি ফর পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিংস ও স্পেশাল কমিটি অন ইনভেস্টমেন্ট ইন দ্য স্টক এক্সচেঞ্জ-এর সদস্যও ছিলেন।

    ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল তামিলনাড়ু বিজেপির সভাপতি

    ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত রাধাকৃষ্ণণকে (CP Radhakrishnan) দায়িত্ব দেওয়া হয় তামিলনাড়ুর রাজ্য বিজেপি সভাপতি হিসেবে। এই সময়ে তিনি ৯৩ দিনব্যাপী একটি রথযাত্রা কর্মসূচি গ্রহণ করেন, যা প্রায় ১৯,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ছিল। এই রথযাত্রার মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারতের সমস্ত নদীগুলোর সংযোগ সাধন, সন্ত্রাসবাদ দমন, ‘এক দেশ এক আইন’ বাস্তবায়ন, অস্পৃশ্যতা নির্মূল এবং মাদকবিরোধী সচেতনতা গড়ে তোলা।

    কোচির নারকেল বোর্ডের চেয়ারম্যান

    সিপি রাধাকৃষ্ণণকে চেয়ারম্যান করা হয় কোচির  নারকেল বোর্ডের, যা কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র, মাঝারি ও ছোট শিল্প উদ্যোগ মন্ত্রকের অধীনস্থ। ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তিনি ওই বোর্ডের দায়িত্ব পালন করেন। এই সময়কালে নারকেলের ছোবড়ার রফতানি সর্বোচ্চ হয় এবং ভারত ২৫৩২ কোটি টাকার নারকেলের ছোবড়া রফতানি করতে সক্ষম হয়। একই সঙ্গে, তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয় কেরালার বিজেপি পর্যবেক্ষক হিসেবে এবং ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিনি সেই দায়িত্ব পালন করেন। রাজনীতির বাইরে রাধাকৃষ্ণণ টেবিল টেনিস খুব ভালো খেলতেন। জানা যায়, নিজের কলেজ জীবনে তিনি টেবিল টেনিসের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। এছাড়াও, তাঁর ক্রিকেট ও ভলিবলের প্রতিও বিশেষ আগ্রহ রয়েছে।

    একাধিকবার বিদেশ সফর করেছেন

    তিনি একাধিকবার বিদেশ সফর করেছেন। সফর করা দেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য: আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, স্পেন, পর্তুগাল, নরওয়ে, ডেনমার্ক, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, তুরস্ক, চিন, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, তাইল্যান্ড, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, জাপান প্রভৃতি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন যে, “তিনি দীর্ঘদিন জনসেবায় যুক্ত ছিলেন। রাধাকৃষ্ণণজির মধ্যে কর্তব্যবোধ, মানবিকতা এবং বুদ্ধিমত্তা রয়েছে। তিনি এর আগেও একাধিক দায়িত্ব সামলেছেন এবং সর্বদা লক্ষ্য রেখেছেন জনগণের সেবা এবং দরিদ্রদের সশক্তিকরণে। তামিলনাড়ুতে তিনি ভূমিস্তরে কাজ করেছেন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে এনডিএ পরিবার তাঁকে উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছে।”

    সিপি রাধাকৃষ্ণণের মা কী বলছেন?

    সিপি রাধাকৃষ্ণণের মা জানিয়েছেন, তিনি খুবই খুশি তাঁর ছেলের এই সাফল্যে। তিনি বলেন, “যখন আমার ছেলে জন্মগ্রহণ করে, আমরা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিলাম যেন সে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের মতো হয়। সেই অনুযায়ী তার নাম রাখা হয়। আজ সেই প্রার্থনা সফল হয়েছে।” উল্লেখ্য, সিপি রাধাকৃষ্ণণ ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত এবং তিনি হতে চলেছেন দ্বিতীয় কোনও ওবিসি নেতা যিনি দক্ষিণ ভারত থেকে উপরাষ্ট্রপতির পদে অধিষ্ঠিত হবেন। তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) থেকে তিনিই তৃতীয় নেতা যিনি উপরাষ্ট্রপতির চেয়ারে বসছেন। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণের নাম ঘোষণায় তামিলনাড়ুর বিজেপির সহ-সভাপতি নারায়ণ ত্রিপাঠী বলেন, “আমরা গর্বিত।”

  • PM Modi: ২২ অগাস্ট রাজ্যে আসছেন মোদি, তিন নতুন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করবেন, বক্তব্য রাখবেন দলীয় জনসভায়

    PM Modi: ২২ অগাস্ট রাজ্যে আসছেন মোদি, তিন নতুন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করবেন, বক্তব্য রাখবেন দলীয় জনসভায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর আগে রাজ্যবাসীকে এক ‘ঐতিহাসিক উপহার’ দিচ্ছে মোদি সরকার (PM Modi)। এমাসেই রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ২২ অগাস্ট দমদমে প্রশাসনিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার পাশাপাশি, তিনটি নতুন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করবেন তিনি। সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন ওই দিনই তিনি পরিবর্তন সংকল্প সভাতেও বক্তব্য রাখবেন।

    কোন কোন পথে ছুটবে নতুন মেট্রো?

    রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তিনটি নতুন পাতালরেল রুট হল:

    শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেড (West Bengal)

    বেলেঘাটা থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি)

    নোয়াপাড়া থেকে জয় হিন্দ (বিমানবন্দর)

    এই তিনটি রুট চালু হলে শহরের উত্তর, মধ্য ও পূর্বাঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগ আরও সহজ ও দ্রুত হবে।

    হাওড়া মেট্রো স্টেশনের সাবওয়েরও উদ্বোধন (West Bengal)

    ২২ অগাস্টের একই অনুষ্ঠানে হাওড়া মেট্রো স্টেশনের সাবওয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনও করবেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। হাওড়া স্টেশন থেকে মেট্রো পরিষেবা নিতে যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে তৈরি এই সাবওয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সমাজমাধ্যমে এই খবর ভাগ করে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণপত্র পাওয়ার পর তিনি এই খবর প্রকাশ্যে আনেন। এই উদ্যোগকে তিনি পশ্চিমবঙ্গের জন্য এক ‘ঐতিহাসিক উপহার’ বলে বর্ণনা করেছেন (PM Modi)। রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবছরের বাজেটেই পশ্চিমবঙ্গ পেয়েছে ১৩,৯৫৫ কোটি টাকা। বর্তমানে রাজ্যে রেল পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য প্রায় ৮৩,৭৬৫ কোটি টাকার কাজ চলছে।

    ১০১টি স্টেশনকে বিশ্বমানের রূপে পুনর্নির্মাণ

    ৯টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ও ২টি অমৃত ভারত ট্রেন চালু

    পরিকাঠামোগত উন্নয়নের একাধিক প্রকল্প

    আরও বিস্তৃত হচ্ছে কলকাতার মেট্রো নেটওয়ার্ক

    এই নতুন তিনটি রুট চালুর মাধ্যমে কলকাতা মেট্রোর পরিষেবা আরও বিস্তৃত হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে দ্রুত, আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রেলের এই উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • Sonia Gandhi: নাগরিকত্ব পাওয়ার আগেই ভোটার তালিকায় নাম তুলেছিলেন সোনিয়া, বিস্ফোরক দাবি অমিত মালব্যর

    Sonia Gandhi: নাগরিকত্ব পাওয়ার আগেই ভোটার তালিকায় নাম তুলেছিলেন সোনিয়া, বিস্ফোরক দাবি অমিত মালব্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা নিয়ে মিথ্যাচার করছেন রাহুল গান্ধীরা। এই প্রেক্ষাপটে বিস্ফোরক দাবি করেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (Amit Malviya)। তিনি সরাসরি কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন—সোনিয়া গান্ধী নাগরিকত্ব না পাওয়ার আগেই কারচুপি করে নিজের নাম দু’বার ভারতের ভোটার তালিকায় নিবন্ধন করেছিলেন। নিজের এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি আরও দাবি করেন, এ ধরনের কাজ জনগণ ও গণতন্ত্রের সঙ্গে প্রতারণা।

    নাগরিক না হয়েও ভারতের ভোটার হন সোনিয়া (Sonia Gandhi)

    বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ায় ১৯৮০ সালের ভোটার তালিকার একটি প্রতিলিপি পোস্ট করেন, যা তিনি গান্ধী পরিবারের সদস্যদের নাম-সহ পুরনো ভোটার তালিকা বলে দাবি করেন। ওই তালিকায় সোনিয়া গান্ধীর নামও দেখা যায়। অমিত মালব্য লেখেন, “ভারতের ভোটার তালিকায় সোনিয়া গাঁধীর নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়া ছিল সম্পূর্ণ বেআইনি ও নির্বাচনী বিধির পরিপন্থী। আজ রাহুল গাঁধী যে ভাবে ভোটার তালিকা সংশোধনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন, তার পেছনে হয়তো সেই পুরনো ঘটনা জড়িত।”

    ১৯৮০ সালে নাম তোলা হয় সোনিয়ার, তখনও তিনি নাগরিক নন

    অমিতের অভিযোগ, ১৯৮০ সালে প্রথমবার ভারতের ভোটার তালিকায় সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) নাম তোলা হয়, অথচ তিনি তখনও ভারতের নাগরিক ছিলেন না। তিন বছর পরে, ১৯৮৩ সালের ৩০ এপ্রিল তিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। মালব্যর বক্তব্য, ওই সময় সোনিয়া গান্ধী ইতালির নাগরিক ছিলেন এবং নাগরিকত্ব না থাকা সত্ত্বেও তাঁর নাম ভোটার তালিকায় তোলা আইন লঙ্ঘনের শামিল। এমনকি ১৯৮৩ সালের ১ জানুয়ারি প্রকাশিত সংশোধিত ভোটার তালিকাতেও তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল বলে দাবি করেন তিনি।

    একই দাবি করেছেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরও

    রাজীব গান্ধীর সঙ্গে বিয়ের ১৫ বছর পর সোনিয়া গান্ধী কেন ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন, সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অমিত মালব্য। এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। একইসঙ্গে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর দাবি করেছেন যে সোনিয়া গান্ধী ১৯৪৬ সালে ইতালিতে জন্মগ্রহণকারী সোনিয়া মাইনো, ১৯৮০ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত, ভারতীয় নাগরিক হওয়ার এক বছর আগেই তালিকায় তাঁর নাম যুক্ত করা হয়েছিল।

    ১৯৪৬ সালে সোনিয়া গান্ধীর জন্ম হয় ইটালিতে

    মালব্যর পোস্টে সফদরজং রোডের ১৪৫ নম্বর বুথের তালিকার ছবি দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকায় ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, সঞ্জয় গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী এবং মানেকা গান্ধীর নাম রয়েছে। প্রসঙ্গত, ১৯৪৬ সালে সোনিয়া গান্ধীর জন্ম হয় ইটালিতে। ১৯৬৮ সালে রাজীব গান্ধীকে বিয়ে করে ভারতে আসেন। ভারতের রিপ্রেজেন্টেশন অফ পিপলস অ্যাক্ট ১৯৫০ অনুযায়ী ভারতের নাগরিক নন এমন কারোর নাম ভোটার তালিকায় থাকতে পারবে না। সেই আইন ভাঙা হয়েছে।

    ১৯৮২ সালে নাম তালিকা থেকে মুছে ফেলা হয়

    বিজেপির দাবি, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর শাসনকালে, যখন গোটা গান্ধী পরিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে বসবাস করছিল, সেই সময়েই সোনিয়া গান্ধীর নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে ১৯৮২ সালে সেই নাম তালিকা থেকে মুছে ফেলা হয়। পরে, ১৯৮৩ সালে ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার পর ফের তাঁর নাম ভোটার তালিকায় যুক্ত করা হয়।

    বেআইনিভাবেই নাম তোলা হয় সোনিয়ার (Sonia Gandhi)

    তবে অমিত মালব্যর অভিযোগ, তখনও জালিয়াতি হয়েছিল। তাঁর দাবি অনুযায়ী, ১৯৮৩ সালের সংশোধিত ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির শেষ তারিখ ছিল ১ জানুয়ারি, অথচ সোনিয়া গান্ধী নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন ওই বছরের ৩০ এপ্রিল। ফলে, নাগরিক না হয়েও তাঁর নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, যা সম্পূর্ণ বেআইনি বলে দাবি বিজেপি নেতার।

    রাহুলদের মিথ্যাচারের মধ্যেই বিস্ফোরক দাবি বিজেপির

    নির্বাচন কমিশনের “বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা” (Special Intense Revision) দেশজুড়ে চালু করার ঘোষণা করেছে। ইতিমধ্যেই তা বাস্তবায়িত হয়েছে বিহারেও। এই প্রেক্ষাপটে, বিরোধী দলগুলিকে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে দেখা যাচ্ছে। তারা একাধিক অভিযোগ তুলছেন। যার বেশিরভাগই ভিত্তিহীন। ইন্ডি জোটের রাহুলরা একদিকে যেমন ভোট চুরির অভিযোগ করছেন, আবার অন্যদিকে এই এসআইআর-এর (SIR) বিরোধিতাও করছেন। প্রশ্ন উঠছে—যদি সত্যিই ভোট চুরি হয়ে থাকে, তবে তার প্রতিকার তো এসআইআরই, সেটারই বিরোধিতা করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন তারা। একই সঙ্গে, যদি তারা ভোট কারচুপির প্রকৃত অভিযোগ করেন, তাহলে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন না কেন? এই আবহে সোনিয়ার ভোটার তালিকায় নাম তোলায় কারচুপি সামনে আসায় বেশ অস্বস্তিতে কংগ্রেস।

    বড় ধাক্কা ইন্ডি জোটের

    প্রসঙ্গত, সোনিয়া গান্ধী দীর্ঘদিন ধরে ইউপিএ সরকারের চেয়ারপার্সন ছিলেন। তাঁকে কংগ্রেসের ‘অন্তরাত্মা’ কিংবা ‘সর্বেসর্বা’ বলেও অভিহিত করা হতো। সেই প্রেক্ষাপটে, যখন তাঁর বিরুদ্ধে ভোটার তালিকায় নাম কারচুপি করে অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ উঠেছে, তখন ওয়াকিবহাল মহলে প্রশ্ন উঠেছে—তাঁদের আন্দোলনের নৈতিকতা আদৌ কি বজায় থাকল?সোনিয়া গান্ধীর নাম নাগরিকত্ব পাওয়ার আগেই ভোটার তালিকায় তোলা হয়েছে—এই অভিযোগ সামনে আসায় ‘ইন্ডিয়া’ জোটের জন্য এটি বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

  • NYT: রাহুলের ভুয়ো ভোট চুরির খবর রসিয়ে প্রকাশ বিদেশি সংবাদ মাধ্যমের

    NYT: রাহুলের ভুয়ো ভোট চুরির খবর রসিয়ে প্রকাশ বিদেশি সংবাদ মাধ্যমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে ভোট চুরির অভিযোগে সরব হয়েছিলেন (NYT) কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এর পর বিজেপি-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত ‘ইন্ডি’জোটকে সঙ্গে নিয়ে তিনি সরাসরি আক্রমণ করে বসেন ভারতের নির্বাচন কমিশনকে। তাঁর আক্রমণের জেরে হাতে তাস পেয়ে যায় বিভিন্ন বিদেশি সংবাদ মাধ্যম। এর মধ্যে রয়েছে, ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’, ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’ এবং ‘আল জাজিরা’ও। তারা প্রকাশ করছে বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন। রাহুল গান্ধীর ভিত্তিহীন অভিযোগগুলিকে প্রকাশ করা হয়েছে বেশ রসিয়ে। রাহুলের এই আলটপকা মন্তব্যের জেরে যে দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বের দরবারে কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, সে বোধ বোধহয় ছিল না কংগ্রেসের এই ‘পাপ্পু’র।

    সংসদ ভবনের বাইরে হট্টগোল (NYT)

    জানা গিয়েছে, সোমবার ইন্ডিজোটের নেতারা সংসদ ভবনের বাইরে হট্টগোল করতে শুরু করেন। পরে সংসদ ভবন থেকে নির্বাচন কমিশনের সদর দফতর পর্যন্ত পদযাত্রাও করেন। এই মিছিল থেকে কিছুক্ষণের জন্য দিল্লি পুলিশ আটক করে রাহুল ও তাঁর বোন প্রিয়ঙ্কাকে। এর জেরে বিরোধী নেতা ও পুলিশ কর্মীদের মধ্যে শুরু হয় ধস্তাধ্বস্তি। তাঁরা পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েও পড়েন। সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্র ও সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের মতো কয়েকজন নেতা আবার পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড টপকেও এগিয়ে যান।

    রসিয়ে খবর বিদেশি সংবাদ মাধ্যমের

    ইন্ডিজোটের এই পদযাত্রা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ (NYT) করেছে ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’। হেডলাইনে তারা লিখেছে, ‘ইন্ডিয়ান ল-মেকার্স ডিটেইনড ফর প্রোটেস্টিং ইলেকশন ইরেগুলারিটিজ’, যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, “নির্বাচনী অনিয়মের প্রতিবাদ করায় ভারতীয় আইনপ্রণেতারা আটক”। বস্তুত নিউ ইয়র্ক টাইমসের এই শিরোনাম আসলে বিরোধীদের কারচুপির অভিযোগকে বিশ্বাসযোগ্যতা দেওয়ার চেষ্টা।

    রসিয়ে খবরটি পরিবেশন করেছে ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’ও। তারা আবার কৌশলে বিহারে ভারতের নির্বাচন কমিশন (Rahul Gandhi) কর্তৃক পরিচালিত নিয়মিত বিশেষ নিবিড় পুনর্বিবেচনা মহড়াকে অভিহিত করেছে ‘বিতর্কিত ভোটার তালিকা পুনর্বিবেচনা’ বলে (NYT)।

  • Lord Ram: “মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল রামের”, বিতর্কিত মন্তব্য তামিল কবির, কঠোর পদক্ষেপের দাবি বিজেপির

    Lord Ram: “মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল রামের”, বিতর্কিত মন্তব্য তামিল কবির, কঠোর পদক্ষেপের দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিল কবি বৈরামুথুর রামচন্দ্রকে (Lord Ram) নিয়ে করা মন্তব্যকে কেন্দ্র করে প্রবল বিতর্ক শুরু হয়েছে। রামের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল, এমন মন্তব্য করেন এই তামিল কবি। এরপরেই ভগবান রামকে অপমান করা হয়েছে—এই অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, কবি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। তামিলনাড়ুর প্রখ্যাত কবি ও গীতিকার বৈরামুথু (Vairamuthu) ‘কাম্বারামায়ণ’ রচয়িতা চক্রবর্তী কাম্বানের নামে আয়োজিত এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে ‘রামায়ণ’ (Lord Ram) বিষয়ে আলোচনার সময় রামচন্দ্রকে নিয়ে তাঁর কিছু মন্তব্য ঘিরেই বিতর্কের সূত্রপাত হয়। অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত ছিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম. কে. স্ট্যালিন এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এস. জগৎরক্ষকন।

    কী বলেন বৈরামুথু (Vairamuthu)?

    সেখানে বৈরামুথুকে বলতে শোনা যায়, “সীতার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর রামের মাথা খারাপ হয়ে যায়। কী করছেন, কেন করছেন, বোঝার শক্তি ছিল না তাঁর। এমন অপরাধ ঘটানো হয়েছিল, যাকে ভারতীয় দণ্ডবিধির অনুচ্ছেদের ৮৪ আওতায় (অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় ঘটানো অপরাধ) অপরাধ বলা হয় না, কাম্বান হয়ত আইন জানতেন না। রামকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হল, ক্ষমা করে দেওয়া হল-রামকে (Lord Ram) মানুষে পরিণত করা হল, কাম্বান হলেন ভগবান।”

    তামিল কবির এই মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপি

    বৈরামুথুর ওই মন্তব্য সামনে আসতেই তাঁকে তীব্র আক্রমণ করে বিজেপি। তামিলনাড়ু রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি এন নাগেন্দ্রন বলেন, “এই ধরনের মন্তব্য একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী কি বৈরামুথুর মন্তব্য সমর্থন করেন?” একইসঙ্গে বিজেপি-র মুখপাত্র নারায়ণন তিরুপতি বৈরামুথুকে (Vairamuthu) ‘মূর্খ’ বলেও কটাক্ষ করেছেন। রামচন্দ্র (Lord Ram) নন, আসলে বৈরামুথুর ‘মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে’ বলে কটাক্ষ করেন বিজেপির মুখপাত্র। বিজেপির আরও এমন কাণ্ড বৈরামুথু আগেও ঘটিয়েছেন। আগেও হিন্দু দেবতাদের অপমান করেছেন তিনি, ধর্মীয় আবেগে আঘাত হেনেছেন। এমনটাই অভিযোগ বিজেপি-র। এনিয়ে বৈরামুথুর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি তুলেছে বিজেপি।

  • Nabanna Aabhiyan: নবান্ন অভিযানকে ঘিরে ধুন্ধুমার, অবস্থান বিক্ষোভ শুভেন্দুর, সাঁতরাগাছিতে জ্বলল আগুন

    Nabanna Aabhiyan: নবান্ন অভিযানকে ঘিরে ধুন্ধুমার, অবস্থান বিক্ষোভ শুভেন্দুর, সাঁতরাগাছিতে জ্বলল আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার নবান্ন অভিযানকে (Nabanna Aabhiyan) ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি কলকাতার পার্কস্ট্রিটে। পুলিশের মারে জখম শতাধিক আন্দোলনকারী। শাঁখা ভাঙল আরজিকরকাণ্ডে নিহত তরুণী চিকিৎসকের মায়ের। নবান্ন অভিযানে বাধা পেয়ে পার্কস্ট্রিটেই অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ক্ষোভ উগরে দেন পুলিশের বিরুদ্ধে। বলেন, “অনুব্রত ঠিকই বলেছিল।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “যখন জনগণের ন্যায়বিচারের দাবি দমন করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে (Nabanna Aabhiyan), তখন বোঝা যায় অনুব্রত মণ্ডলের কথার মধ্যে কিছু সত্যি ছিল।”

    আরজিকর কাণ্ডের বর্ষপূর্তি (Nabanna Aabhiyan)

    আরজিকর কাণ্ডের বর্ষপূর্তি ৯ অগাস্ট। এখনও বিচার পাননি নির্যাতিতার পরিবার। এরই প্রতিবাদে এদিন ডাক দেওয়া হয়েছিল নবান্ন অভিযানের। এই অভিযানে ছিলেন নির্যাতিতা প্রয়াত চিকিৎসকের মা-বাবা এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা। ছিলেন প্রচুর সাধারণ মানুষ। ছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরাও। এদিনের অভিযানে দলীয় ঝান্ডা ছাড়াই যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক জায়েন্ট কিলার (বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে মমতাকে হারানোয় রাজ্যে এই নামেই পরিচিত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা) শুভেন্দু অধিকারীও।

    ব্যারিকেড ভেঙে নবান্নের দিকে যাত্রার চেষ্টা

    নবান্ন চত্বরে জারি করা হয়েছে ১৬৩ ধারা (আগে এটাই ছিল ১৪৪ ধারা)। তাই সেখানে কোনও আন্দোলন করা যাবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল পুলিশ। আন্দোলনকারীরা যাতে নবান্নের কাছ অবধি পৌঁছতে না পারে, তাই ত্রিস্ত্ররীয় নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেছিল পুলিশ। তবে পুলিশের কথায় কান না দিয়ে ব্যারিকেড ভেঙে নবান্নের দিকে যাত্রার চেষ্টা করেছে একের পর এক মিছিল। হাওড়া ময়দান, সাঁতরাগাছি, পার্কস্ট্রিট, ডোরিনা ক্রসিং সর্বত্রই পুলিশ আটকে দিয়েছে মিছিলের গতি। পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙেও কোথাও কোথাও এগিয়েছে মিছিল। সাঁতরাগাছিতে লোহার ব্যারিকেডগুলি বাঁধা ছিল শেকল দিয়ে। সেই ব্যারিকেডের ওপরই উঠে পড়েন আন্দোলনকারীদের অনেকে। পুলিশের তরফে বিভিন্ন জায়গায় ‘শান্তি বজায় রাখুন’, ‘ডোন্ট ক্রস লাইন’ লেখা ব্যানার থাকলেও, সে-সবের তোয়াক্কা না করেই চলতে থাকে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা।

    লাঠিচার্জ পুলিশের

    এদিন নবান্ন অভিযানের শুরুতেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে বাধা দেয় পুলিশ। বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ বিধানসভা থেকে তিনি সরাসরি চলে যান ডোরিনা ক্রসিংয়ে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল, সাংসদ অর্জুন সিং-সহ অন্য (Nabanna Aabhiyan) নেতারা। মিছিল রানি রাসমণি অ্যাভেনিউতে পৌঁছতেই শুভেন্দুর পথ আটকায় পুলিশ। এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু। খানিকক্ষণ বচসার পরে মিছিলের রুট বদল করে জওহরলাল নেহরু রোড ধরে নবান্ন অভিমুখে যাত্রা করে শুভেন্দুর নেতৃত্বে মিছিল। মিছিল যখন পার্কস্ট্রিটে পৌঁছয়, তখনই এলোপাথাড়ি লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পুলিশের লাঠির ঘায়ে জখম হন শতাধিক বিক্ষোভকারী। এঁদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। পুলিশের লাঠির আঘাতেই ভেঙে যায় নিহত তরুণী চিকিৎসকের মায়ের হাতের শাঁখা। এরই প্রতিবাদে পার্কস্ট্রিটেই অবস্থানে বসে পড়েন শুভেন্দু, অগ্নিমিত্রা এবং বিক্ষোভকারীদের একটা বড় অংশ।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় তাঁর সঙ্গীদের মারধর করা হয়েছে। জখম হয়েছেন বিধায়করা। নির্যাতিতার মা-বাবাকেও মারা হয়েছে। জানা গিয়েছে, পার্কস্ট্রিট মোড়ে এক পুলিশের লাঠির ঘায়ে গুরুতর চোট পেয়েছেন নিহত তরুণী চিকিৎসকের মা। ভেঙে গিয়েছে তাঁর হাতের শাঁখাও। বস্তুত, এদিন নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন (Suvendu Adhikari) নির্যাতিতার মা ও বাবা। তাঁরা ছিলেন পার্কস্ট্রিটের মিছিলে। সেখানে বাধা পেয়ে জনা তিরিশেক সমর্থক নিয়ে তাঁরা রেসকোর্সের পাশ দিয়ে এগোতে থাকেন দ্বিতীয় হুগলি সেতুর দিকে। সেখানে ফের আটকানো হয় তাঁদের। মাথায় চোট লাগায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে।

    সাঁতরাগাছিতে জ্বলল আগুন

    এদিকে (Nabanna Aabhiyan), ডোরিনা ক্রসিংয়ে বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গেই শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। হাওড়ার সাঁতরাগাছিতেও ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। বিক্ষোভকারীদের গতিরোধ করতে ব্যারিকেডের ওপারে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস নিয়ে তৈরিই ছিল পুলিশ। ‘দফা এক, দাবি এক – মমতার পদত্যাগ’ এই স্লোগান দিতে দিতে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। যদিও হাজার চেষ্টা করেও সেই ব্যারিকেড ভাঙতে পারেননি তাঁরা। জানা গিয়েছে, এদিনের নবান্ন অভিযান রুখতে সাঁতরাগাছি-সহ যেসব জায়গায় ব্যারিকেড করা হয়েছিল, সেগুলি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছিল বিপুল পরিমাণ সিমেন্ট, লোহার বিম এবং মোটা লোহার রড। তাই আটকানো গিয়েছে বিক্ষোভকারীদের (Suvendu Adhikari)। প্রসঙ্গত, এর আগে একবার বিজেপির ডাকা নবান্ন অভিযানের সময় গলিপথ ধরে নবান্নের প্রায় দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতেই এবার আঁটোসাঁটো করা হয়েছিল নিরাপত্তার ঘেরাটোপ। সেই ঘেরাটোপ ভাঙতে না পেরে সাঁতরাগাছিতে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা।

    কী বললেন শুভেন্দু

    পার্কস্ট্রিটে শুভেন্দুর নেতৃত্বে মিছিল আটকাতেই পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, “অনুব্রত ঠিকই বলেছিল।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “যখন জনগণের ন্যায়বিচারের দাবি দমন করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে (Nabanna Aabhiyan), তখন বোঝা যায় অনুব্রত মণ্ডলের কথার মধ্যে কিছু সত্যি ছিল।” তিনি বলেন, “নির্যাতিতার মা-বাবাকেও রেহাই দেয়নি পুলিশ।” তাঁর দাবি, আজ ৫০ হাজার লোক হয়েছে। পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করেছে, ১০০ জনেরও বেশি জখম হয়েছেন। তিনি বলেন, “আজকের লড়াই বাংলা বনাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই। তাই নির্যাতিতার বাবা-মা যতক্ষণ চাইবেন, এই অবস্থান চলবে।” শুভেন্দু বলেন, “একটাও বিজেপির ঝান্ডা নেই। অথচ ১৮ জনকে ভর্তি করা হয়েছে রেলের হাসপাতালে (Suvendu Adhikari)।” বিজেপি নেতা কৌস্তুভ বাগচি বলেন, “কাকিমার (নির্যাতিতার মায়ের) শাঁখা ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। আগে মেয়েকে মেরেছে। এবার শাঁখা ভেঙে দিয়েছে। এটাই পুলিশের চরিত্র (Nabanna Aabhiyan)।”

  • Suvendu Adhikari: “বুলেটপ্রুফ গাড়িতে না থাকলে, আমি মর্গে থাকতাম,” কোচবিহারে কনভয়ে হামলায় বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “বুলেটপ্রুফ গাড়িতে না থাকলে, আমি মর্গে থাকতাম,” কোচবিহারে কনভয়ে হামলায় বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমি যদি বুলেটপ্রুফ গাড়িতে না থাকতাম, তাহলে মর্গে থাকতাম।” মর্মস্পর্শী কথাগুলি যিনি বললেন, তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান। কোচবিহারে কনভয়ে হামলার ঘটনায় গর্জে উঠলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “এর শেষ দেখে ছাড়ব।” ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে আসা উদয়ন গুহকে (Udayan Guha) আক্রমণ শানিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমি মমতাকে হারানো লোক। সত্যিকারের সনাতনী হয়ে থাকলে, এর হিসেব আমি নেব। বদলও হবে, বদলাও হবে। উদয়ন গুহ, তোমার সঙ্গে আমার হিসেব হবে।” তিনি বলেন, “গতকাল গভীর রাতে রাজ্যপাল, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিজিপিকে মেল করে বিচারপতি মান্থার ২টি অর্ডার জানিয়ে সমস্ত তথ্য দিয়ে এসেছি। বাগডোগরা থেকে সকাল ১০টায় কোচবিহারের উদ্দেশ যাত্রা করি। শ্রাবণ মাস, বাবা মহাদেবের আশীর্বাদ, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে এসেছি।”

    মমতাকে হারিয়েছি, তাই এত রাগ (Suvendu Adhikari)

    এর পরেই তিনি বলেন, “মমতাকে হারিয়েছি। তাই ওদের এত রাগ। বুলেটপ্রুফ গাড়িতে এসেছি। বাংলাদেশ থেকে হু হু করে লোক ঢোকাচ্ছে।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “যেই খাগড়াবাড়ি ঢুকেছি, অমনি উন্মত্ত হায়নার দল, উদয়ন গুহের নেতৃত্বে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আমি যদি বুলেটপ্রুফ গাড়িতে না থাকতাম, তাহলে আমার মৃতদেহের সামনে দাঁড়িয়ে ফুল দিতে হত আপনাদের। প্রত্যক্ষ খুনি যদি উদয়ন গুহ হন, তাহলে পরোক্ষ রাজীব কুমার। এর শেষ দেখে ছাড়ব।” এর পরেই তিনি বলেন, “আমি মমতাকে হারানো লোক। সত্যিকারের সনাতনী হয়ে থাকলে, এর হিসেব আমি নেব। বদলও হবে, বদলাও হবে। উদয়ন গুহ, তোমার সঙ্গে আমার হিসেব হবে।” এসআইআর প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “কোনও হিন্দুর সমস্যা হবে না, কোনও রাজবংশীরও সমস্যা হবে না। একটাও বাংলাদেশি মুসলমান, রোহিঙ্গা ভোটার তালিকায় থাকবে না।”

    শুভেন্দুর কনভয়ে হামলা

    প্রসঙ্গত, বিজেপি বিধায়কদের ওপর হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার কোচবিহারের পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ছিল বিজেপির। সেই কর্মসূচিতে যোগ দিতে কলকাতা থেকে বিমানে বাগডোগরায় পৌঁছন তিনি। পরে রওনা দেন কোচবিহারের উদ্দেশে। শুভেন্দুর কনভয় খাগড়াবাড়িতে পৌঁছতেই উত্তেজনা চরমে ওঠে। তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে জুতো ছোঁড়া হয়, গো ব্যাক স্লোগানও দেওয়া হয়। শুভেন্দুর গাড়ির কাচও ভাঙা হয় বলে অভিযোগ। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “গাড়ির সামনের কাচ ভাঙতে পারেনি। পাথর দিয়ে পিছনের কাচ ভেঙেছে। এটা তো সাধারণ গাড়ি নয়। কনভয়ে হামলা নয়, মেরে ফেলার জন্যই পাথর ছুড়েছিল। বুলেটপ্রুফ গাড়ি না থাকলে, কিছু থাকত নাকি (Udayan Guha)!”

    জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান শুভেন্দু

    জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান শুভেন্দু। তা সত্ত্বেও কীভাবে রাজ্যের বিরোধী দলের নেতার কনভয়ে হামলা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের দাবি, পুলিশি নিরাপত্তা ঢিলেঢালা ছিল। কোচবিহারে হামলার মুখে পড়ার পর শুভেন্দু অধিকারী, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং ডিজিপিকে চিঠি দিচ্ছেন। নিরাপত্তা নিয়ে আদালতের নির্দেশ মনে করিয়েই চিঠি দেওয়া হচ্ছে। সোমবারই শুভেন্দুর আইনজীবী অনীশ মুখোপাধ্যায় রাজ্য পুলিশের ডিজিপি, রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে আদালতের নির্দেশ কার্যকর করতে চিঠি দিয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশ মেনেই কর্মসূচি করেছেন শুভেন্দু। কিন্তু সেই নির্দেশ ঠিকঠাক কার্যকর হয়নি বলেই অভিযোগ। জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তার অধিকারী একজন রাস্তা গিয়ে গেলে কীভাবে চারপাশে তৃণমূল কর্মীরা জমায়েত করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিজেপি।

    ভাইপোর নির্দেশে মেরে ফেলার জন্য হামলা

    এদিন শুভেন্দু বলেন, “ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মেরে ফেলার জন্য হামলা চালানো হয়েছিল। ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এসপি দ্যুতিমান ভট্টাচার্য, উদয়ন গুহ আক্রমণ করেছেন।” রাজ্যের (Udayan Guha) বিরোধী দলনেতার দাবি, এই হামলার পেছনে রয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের এনে কাঠের ডান্ডা ও পাথর দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতিতেই তাঁর কনভয়ে ইট-পাথর ছোড়া হয়েছে।

    কী বললেন নিশীথ প্রামাণিক

    বিজেপি নেতা নিশীথ প্রামাণিক বলেন, “যখন কোচবিহারে আমাদের (Suvendu Adhikari) গাড়ি ঢোকে, তখন খুব ভালো করেই জানতাম, উদয়নবাবুর এই ধরণের পরিকল্পনা আছে। উনি স্থানীয় একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পাশে বসে রয়েছেন।  সেখানেই আমাদের কনভয় থামানো হয়।” তিনি বলেন, “আমরা বারংবার আমাদের দেহরক্ষীদের বলে দিয়েছিলাম, ওরা যা করে করুক, গাড়ি ভেঙে ফেলে, ফেলুক। আপনারা গাড়ি থেকে নামবেন না। বা কোনও ধরণের প্ররোচনায় পদক্ষেপ করবেন না। তা-ই হয়েছে। একেবারে গাড়ির ভিতর থেকে ভিডিও আছে (Suvendu Adhikari)।”

  • Amit Shah: টপকালেন আডবাণীকে, ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন অমিত শাহ

    Amit Shah: টপকালেন আডবাণীকে, ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ইতিহাসে দীর্ঘ সময় ধরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Home Minister) পদে থেকে রেকর্ড গড়লেন অমিত শাহ (Amit Shah)। বিজেপিরই লালকৃষ্ণ আডবাণী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে ছিলেন ২ হাজার ২৫৬ দিন। সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছেন শাহ। এ পর্যন্ত তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন ২ হাজার ২৫৮ দিন। প্রসঙ্গত, স্বাধীন ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই পটেল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে ছিলেন ১ হাজার ২১৮ দিন।

    রাজনৈতিক ইতিহাসে মাইলফলক (Amit Shah)

    শাহের এই কৃতিত্ব ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ দমন এবং প্রশাসনিক সংস্কারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু সাহসী এবং ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার এনডিএর সংসদীয় দলের বৈঠকে শাহের এই অসাধারণ অবদানের প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    আডবাণীর প্রকৃত উত্তরসূরি

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে গুজরাটের গান্ধীনগর আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন অমিত শাহ। তার আগে ওই কেন্দ্রে ছ’বার জিতেছিলেন বিজেপিরই এলকে আডবাণী। শাহ জেতার পর একে দেখা হয়েছিল একটি আদর্শগত দায়িত্বের প্রজন্মগত হস্তান্তর হিসেবে। বস্তুত, আজ সেই রূপান্তরটি প্রতীকে ও বাস্তবে সম্পূর্ণ হয়েছে। অমিত শাহ শুধু আডবাণীর দৃষ্টিভঙ্গির উত্তরাধিকারই নেননি, বরং তিনি তা বাস্তবায়ন করেছেন নিখুঁতভাবে। তিনি এমন এক কাজ করেছেন, যা বহুদিন ধরে বিজেপির ইডিওলজিক্যাল পূর্বসূরি – জনসংঘ, আএসএস এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির মতো মহাপুরুষরা দাবি করে আসছিলেন।

    ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল

    ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট রাজ্যসভায় ভাষণ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এটি ছিল সেই ভাষণ, যা ভারতের সংসদীয় ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ভাষণ হিসেবে উল্লিখিত হয়ে থাকবে। তিনি সংবিধানের ৩৭০(৩) অনুচ্ছেদ উদ্ধৃত করে এবং তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের এক আদেশ হাতে নিয়ে, “সংবিধান (জম্মু ও কাশ্মীরে প্রয়োগ) আদেশ, ২০১৯” উপস্থাপন করেন। এর মাধ্যমেই ১৯৫৪ সালের সেই আদেশ বাতিল করা হয়, যা জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে বিশেষ সুবিধা দিত। সেই সময় জম্মু ও কাশ্মীর রাষ্ট্রপতির শাসনের অধীনে ছিল। রাজ্য বিধানসভার ক্ষমতা হাতে তুলে নিয়েছিল সংসদ। রাজ্যসভায় প্রস্তাবটি ১২৫ ভোটে গৃহীত হয়। পরে লোকসভায় প্রস্তাবটির পক্ষে পড়ে ৩৭০টি ভোট, বিপক্ষে মাত্রই ৭০টি। প্রত্যাশিতভাবেই পাশ হয়ে যায় প্রস্তাবটি। এরপর শাহের নেতৃত্বে প্রস্তাবিত জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন, ২০১৯ অনুযায়ী রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয় —  জম্মু ও কাশ্মীর (বিধানসভা-সহ) এবং লাদাখ (Amit Shah)।

    বদলেছে ভূস্বর্গ

    ২০১৯ সালে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিলের পর (Home Minister) থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাস-সংক্রান্ত মৃত্যুর হার ৭০ শতাংশ কমেছে। নিরাপত্তা কর্মীদের হতাহতের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। সন্ত্রাসের প্রতি শাহের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি দৃঢ় সীমান্ত পারাপার অভিযানে, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপে এবং নজিরবিহীন পর্যটকের আগমনের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে।

    মাও দমনে শাহের অবদান

    দেশে মাওবাদী দমনেও উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে অমিত শাহের মন্ত্রক। ২০০৯ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ভারতে মাওবাদী হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ৫ হাজার ২২৫ জনের। অমিত শাহের নেতৃত্বে ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এই সংখ্যা নেমে এসেছে ৬০০-র নীচে। বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প, রাজ্য পুলিশের সঙ্গে নিবিড় সমন্বয় এবং শীর্ষ মাওবাদী নেতাদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক অভিযানের ফলে ‘লাল করিডর’ এখন সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছে হাতে গোনা কয়েকটি জেলার মধ্যে। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রেকর্ড অনুযায়ী, মাওবাদী প্রভাবিত জেলার সংখ্যা ৭৫ শতাংশেরও বেশি কমে গিয়েছে। শাহি জমানায়ই যেমন নিকেশ করা গিয়েছে বেশ কিছু মাওবাদী চাঁইকে, তেমনই অস্ত্র ছেড়ে (Home Minister) সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে আত্মসমর্পণ করেছেন (Amit Shah) বহু মাওবাদী।

    তিনটি ঐতিহাসিক বিল পাশ

    শাহি জমানায় ২০২৩ সালে আরও তিনটি ঐতিহাসিক বিল পাশ হয় সংসদে। দেশের গা থেকে ঔপনিবেশিক যুগের কলঙ্ক মুছতে পুরানো আইনগুলি বাতিল করে ভারতীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে তৈরি নয়া কাঠামো প্রতিষ্ঠা করে। যুগান্তকারী এই তিন আইন হল, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা। এটি ভারতীয় দণ্ডবিধি (IPC)-এর পরিবর্তে চালু হয়েছে। ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা, এটি চালু হয়েছে ফৌজদারি কার্যবিধির বদলে। ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম স্থলাভিষিক্ত হয়েছে ভারতীয় সাক্ষ্য আইনের (Amit Shah)।

    পাশ সিএএ আইন

    অমিত শাহের জমানায়ই পাশ হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA), ২০১৯। এই আইন ভারতের রাজনৈতিক (Home Minister) ইতিহাসে অন্যতম সাহসী এবং সামাজিকভাবে বিভাজন সৃষ্টিকারী আইন। এই আইনের মাধ্যমে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে ভারতে আসা হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান, জৈন, পার্সি ও বৌদ্ধদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দ্রুততার সঙ্গে দেওয়া হয়, যদিও মুসলমানদের এই সুবিধার বাইরে রাখা হয়েছে। বিরোধীদের প্রবল প্রতিবাদের মুখে দাঁড়িয়ে শাহ সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, “ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার মানুষদের আশ্রয় দেওয়া আমাদের সভ্যতাগত কর্তব্য।” সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। এছাড়া, তাঁর জমানায় তিন তালাককে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর ফলে, যুগ যুগ ধরে চলে আসা মুসলিম মহিলদের প্রতি হওয়া অন্যায় বন্ধ হয়।

  • Calcutta High Court: সন্দেশখালির তিন বিজেপি কর্মী খুনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেও

    Calcutta High Court: সন্দেশখালির তিন বিজেপি কর্মী খুনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মুখ পুড়ল প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তিন বিজেপি কর্মী খুনের অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল রাখল বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চ।

    শাহজাহানের আবেদনের গ্রহণযোগ্যতাই নেই (Calcutta High Court)

    বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সিবিআই তদন্তের বিরুদ্ধে সন্দেশখালির প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের আবেদনের কোনও গ্রহণযোগ্যতাই নেই। গত ৩০ জুন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর সিঙ্গল বেঞ্চ। সিবিআইয়ের যুগ্ম অধিকর্তাকে সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশও দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৮ জুন খুন হন বিজেপি কর্মী প্রদীপ মণ্ডল ও সুকান্ত মণ্ডল। নিখোঁজ হয়ে যান দেবদাস মণ্ডল। যদিও তাঁর পরিবারের অভিযোগ, দেবদাসকেও খুন করা হয়েছে। খুনের অভিযোগ ছিল শেখ শাহজাহানের এবং তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে। আদালতের দ্বারস্থ হন প্রদীপ মণ্ডলের স্ত্রী পদ্মা ও দেবদাসের স্ত্রী সুপ্রিয়া মণ্ডল গায়েন। সেই মামলায়ই এই নির্দেশ দেয় আদালত।

    চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল শাহজাহানের নাম

    জানা গিয়েছে, এই খুনের মামলায় প্রথমে যে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছিল, তাতে নাম ছিল শাহজাহানের। পরে মামলার তদন্তভার সিআইডির হাতে যাওয়ার পর চার্জশিট থেকে বাদ যায় শাহজাহানের নাম। ২০২২ সালেও একটি খুনের মামলায় চার্জশিটে ছিল শাহজাহানের নাম। সেবারও জামিন পেয়ে (Calcutta High Court) যান তিনি। প্রসঙ্গত, সন্দেশখালির অঘোষিত শাসক হিসেবে পরিচিত তৃণমূলের শাহজাহান ইতিমধ্যেই রেশন কেলেঙ্কারি ও ইডি অফিসারদের ওপর হামলার মামলায় জেলবন্দি। প্রায় দু’মাস গা-ঢাকা দেওয়ার পর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এরপর প্রথমে সিবিআই এবং পরে ইডি দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাই হেফাজতে নেয় তাঁকে। এই অবস্থায় আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখায় শাহজাহানের রক্তচাপ যে বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য (Sandeshkhali)।

    মৌরসি পাট্টায় পরিণত করেছিলেন শাহজাহান

    সন্দেশখালিকে কার্যত নিজের মৌরসি পাট্টায় পরিণত করেছিলেন শাহজাহান। তিনি ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মাধ্যক্ষ। সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতিও তিনিই। স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০০৩ সালে এই শাহজাহানই করতেন সন্দেশখালি-সরবেড়িয়া রুটের ট্রেকারের হেল্পারি। তাঁর মামা ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান। সেই সূত্রে বাম আমলে ভেড়ির ব্যবসায় পা রেখেছিলেন শাহজাহান। স্থানীয়দের একাংশের আবার অভিযোগ, শাহজাহান বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন। সন্দেশখালির মাছের ভেড়ির রাশ নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি (Calcutta High Court) প্রথমদিকে তিনি শোনা যায় গরিবদের সাহায্যও করতেন। তখনও শাহজাহান হয়ে ওঠেননি ‘সন্দেশখালির বাঘ’। বাম জমানার একেবারে শেষের দিকে স্থানীয় বিধায়ক অনন্ত রায়ের আস্থাভাজন হয়ে উঠেছিলেন শাহজাহান। শোনা যায়, সেই সময় থেকেই তিনি হাত পাকিয়েছিলেন কাঠ ও গরু পাচারে। মানুষ পাচারের অভিযোগও ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।

    শাহজাহান যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে

    ২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে শাহজাহান যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত ধরেই বস্তুত সক্রিয়ভাবে রাজনীতির জগতে পা রাখেন তিনি। মাথায় জ্যোতিপ্রিয়র আশীর্বাদী হাত থাকায় তৃণমূলের পদ পেতেও বিশেষ বেগ পেতে হয়নি শাহজাহানকে। যদিও বাম আমলে বিধায়ক ঘনিষ্ঠ থাকলেও, কোনও পদ ছিল না শাহজাহানের। তৃণমূলের পদ পাওয়ার পরেই শাহজাহান হয়ে ওঠেন ‘শের-ই-সন্দেশখালি’। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে সন্দেশখালি কেন্দ্রে তৃণমূলের তারকা-রাজনীতিক নুসরত জাহানকে লিড পাইয়ে (Sandeshkhali) দেওয়ার ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা ছিল এই শাহজাহানেরই (Calcutta High Court)।

    দলের এই ‘সম্পদ’কে খুশি করতে পদ

    দলের এই ‘সম্পদ’কে খুশি করতে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঘাসফুল শিবির প্রার্থী করে শাহজাহানকে। নির্বাচনে জিতে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষও হন তিনি। এর পরে পরেই রেশন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়। তদন্ত শুরু হতেই উঠে আসে শাহজাহানের নাম। তাঁকে ধরতে সন্দেশখালি গিয়েছিলেন ইডির কর্তারা। সেদিন শাহজাহান বাড়ির ভেতরে থাকলেও, বাইরে বের হননি। উল্টে শাহজাহান বাহিনীর হামলার মুখে পড়ে জখম হন ইডির দুই আধিকারিক। ঘটনাটিকে সেদিন তৃণমূল নেতারা ব্যাখ্যা করেছিলেন, ‘এটি ইডির বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান’।

    মুখোশ খুলে পড়ে শাহজাহানের

    এই ‘গণঅভ্যুত্থানে’র পরেই মুখোশ খুলে পড়ে শাহজাহানের। মুখ খোলেন স্থানীয়রা। কেউ তাঁর বিরুদ্ধে জমিজমা দখলের অভিযোগ করেন, কেউ আবার শাহজাহান ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগে সরব হন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে গা-ঢাকা দেন শাহজাহান। পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁর শাগরেদ উত্তম সর্দার, শিবু হাজরাদের। শেষমেশ পুলিশের জালে পড়েন সন্দেশখালির বাঘ। দলের গায়ে যাতে শাহজাহানের কলঙ্ক (Sandeshkhali) না লাগে, তাই (Calcutta High Court) তাঁকে করে দেওয়া হয় ‘প্রাক্তনী’।

LinkedIn
Share