Tag: bjp

bjp

  • Lok Sabha Election 2024: অভিষেকের সভার পরই বিজেপির মহিলা কর্মীকে কুপিয়ে খুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Lok Sabha Election 2024: অভিষেকের সভার পরই বিজেপির মহিলা কর্মীকে কুপিয়ে খুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করে চলে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিজেপি মহিলা কর্মীকে কুপিয়ে খুন করার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাতে মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া এলাকায়। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। হামলার জেরে মহিলা কর্মী খুনের পাশাপাশি ৮ জন বিজেপি কর্মী জখম হয়েছেন। ষষ্ঠদফা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Lok Sabha Election 2024)

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটপ্রচারের (Lok Sabha Election 2024) শেষ লগ্নে সোনাচূড়ার মনসাপুকুর বাজার এলাকায় রাতে পাহারা দিচ্ছিলেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। সেই সময়ই বাইকে করে আসা এক দল দুষ্কৃতী ধারালো অস্ত্র নিয়ে ওই বিজেপি কর্মীদের ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। রখিবালা আড়ি নামে ওই বিজেপি কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি কোপ চালাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। মাকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম হন রাখিবালার ছেলে সঞ্জয় আড়িও। চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় রাখিবালাসহ অন্যদের নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসকেরা রখিবালাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রাখিবালার ছেলে সঞ্জয়বাবুকে  অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এছাড়াও এই ঘটনায় জখম আরও প্রায় ৭ জন বিজেপি কর্মীর নন্দীগ্রাম হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছে বলে খবর। এই ঘটনার পর থেকেই উত্তেজনার পারদ চড়েছে গোটা এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা নন্দীগ্রাম জুড়ে। তৃণমূলে বিরুদ্ধে সরব হয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। যদিও এই হামলার দায় অস্বীকার করেছে তৃণমূল। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলেও পুলিশ সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুন: আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল! সরাসরি আঘাত কলকাতাতে, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এই ঘটনা প্রসঙ্গে নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা মেঘনাদ পাল বলেন, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) মুখে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়াতে এই হামলা চালিয়েছে। অভিষেকের সভার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিজেপি কর্মীদের ওপর যে ভাবে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়েছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। এই হামলা জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sisir Adhikari: অমিতের সভামঞ্চে তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদ শিশির, আক্রমণ শানালেন শাসকদলকে

    Sisir Adhikari: অমিতের সভামঞ্চে তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদ শিশির, আক্রমণ শানালেন শাসকদলকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও খাতায় কলমে তৃণমূলের কাঁথির বিদায়ী সাংসদ শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari)। বিজেপিতে অফিসিয়ালি যোগদান করেননি তিনি। তাঁর ছেলে সৌমেন্দু অধিকারী এবার বিজেপির প্রার্থী। সৌমেন্দুর হয়ে প্রচারে বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর সেই সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কাঁথির বিদায়ী তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী। শুধু উপস্থিতই থাকলেন না, বক্তৃতাও করলেন তিনি। আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, তৃণমূল থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। দুর্নীতি মুক্ত বাংলা গড়তে  পারে একমাত্র বিজেপি। 

    বিজেপির মঞ্চে একসঙ্গে দেখা গেল তিন অধিকারীকে (Sisir Adhikari)

    বিজেপির প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকে ছেলে সৌমেন্দুর হয়ে প্রথম থেকেই তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদ শিশির (Sisir Adhikari) নিজের আসনে প্রচারে নেমেছিলেন। বুধবারও কাঁথিতে বিজেপির জনসভায় প্রথম থেকে উপস্থিত ছিলেন শিশির। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মঞ্চে নিয়ে ওঠেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সময় শাহকে স্বাগত জানাতে এগিয়ে যান শিশির। করজোড়ে প্রণাম করে কাঁথিতে শাহকে স্বাগত জানান তিনি। সৌমেন্দুকে বিজেপির যুবনেতা অ্যাখ্যা দিয়ে বড় ব্যবধানে জয়ী করার পাশাপাশি তৃণমূলের বিরুদ্ধে শিশির-পুত্র শুভেন্দুর লড়াইকে যখন কুর্নিশ করেন শাহ, তখন মঞ্চে বসে হাততালি দিতে দেখা যায় শিশিরকে। সৌমেন্দুর পাশাপাশি ওই সভাতে পিতার সঙ্গে মঞ্চে হাজির ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। এই প্রথম বিজেপির মঞ্চে একসঙ্গে দেখা গেল তিন অধিকারীকে।

    আরও পড়ুন: আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু-হিরণ, কোলাঘাটকাণ্ডের কথা জানানো হল শাহকেও

    গেরুয়া রঙের উত্তরীয় পরে সারাক্ষণ মঞ্চে থেকেছেন শিশির

    এদিনের সভায় বিজেপির পতাকা হাতে তুলে না-নিলেও গেরুয়া রঙের উত্তরীয় পরে সারা ক্ষণ মঞ্চে থেকেছেন তিনি। এর আগে ২০২১ সালেও শাহের সভায় দেখা গিয়েছিল শিশিরকে (Sisir Adhikari) । সে বছরের ১ মার্চ এগরার জনসভায় শাহের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করে নিয়ে তৃণমূল সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়েছিলেন তিনি। যদিও সে দিন পদ্ম প্রতীকের পতাকা হাতে তুলে নেননি। তবে, ২০২০ সালের ১৯ডিসেম্বর মেদিনীপুরের সভায় যে দিন শাহের হাত ধরে শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, সে দিনই কাঁথির ‘শান্তিকুঞ্জ’ তৃণমূলের সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়েছিল। শিশির সরাসরি বিজেপিতে যোগ না দিলেও, তিনি যে তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্বের কাছেও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pawan Singh Expelled: জনপ্রিয় ভোজপুরি গায়ক পবন সিংকে ছেঁটে ফেলল বিজেপি

    Pawan Singh Expelled: জনপ্রিয় ভোজপুরি গায়ক পবন সিংকে ছেঁটে ফেলল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির একেবারে প্রথম প্রার্থী তালিকায় নাম ছিল তাঁর। বেশ চর্চায় ছিলেন এই ভোজপুরি গায়ক। পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল কেন্দ্র থেকে হেভিওয়েট তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার বিরুদ্ধে প্রার্থী করা হয়েছিল তাঁকে। প্রার্থী হয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। পরবর্তীকালে সেই পবন সিং আসানসোল থেকে বিজেপির হয়ে প্রার্থী হবেন না বলে জানিয়েছিলেন। পরে দেখা যায় তিনি বিজেপির টিকিট প্রত্যাখ্যান করে নির্দল প্রার্থী হিসেবে বিহারের ৩৫ নম্বর কারাকাট লোকসভা আসন থেকে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। NDA-র শরিক দল রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চার (RLM) প্রধান উপেন্দ্র কুশওয়াহার বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন পবন। তাই দল বিরোধী কাজের অভিযোগে জনপ্রিয় ভোজপুরি গায়ককে বহিষ্কার করল বিজেপি।  

    বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত পবন সিং (Pawan Singh Expelled)

    বিজেপির বিহার শাখার পক্ষ থেকে পবন সিংকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই চিঠিতে বলা হয়েছে, “আপনি এনডিএ-র প্রার্থীর বিরুদ্ধে লোকসভা নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আপনার এই কাজ দলীয় শৃঙ্খলার বিরোধী। এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।” এই চিঠিতে সই রয়েছে বিহার বিজেপির সভাপতি সম্রাট চৌধুরীর। আসানসোলে শত্রুঘ্ন সিনহার বিরুদ্ধে তাঁকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। এরপর পবন সিং-এর কয়েকটি গানের পোস্টার দেখিয়ে তাঁকে নারী বিদ্বেষী প্রমাণ করার চেষ্টা করে তৃণমূল কংগ্রেসের আইটি সেল। সমালোচনা শুরু হতেই হঠাৎ করেই নিজের সামাজিক মাধ্যমে একাউন্টে পোস্ট করে পবন সিং আসানসোল থেকে লড়বেন না বলে জানিয়ে দেন।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে তৃণমূল জমানায় দেওয়া সব ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল! বড় রায় হাইকোর্টের

    এরপর ১৩ই মার্চ কারাকাট থেকে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা করেন। তার মা প্রতিমা সিংও এই কেন্দ্র থেকে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন। সেই সময় সামাজিক মাধ্যমে এই ভোজপুরি গায়ক নায়ক লিখেছিলেন, তিনি তাঁর মা, সমাজ এবং জনগণকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা পালন করতেই লোকসভা নির্বাচন লড়ছেন। তবে হঠাৎ করেই বিজেপির সঙ্গে তাঁর দূরত্ব হল কী কারণে তা এখনও প্রকাশ পায়নি।

    ‘কাঁচি’ প্রতীক চিহ্নে লড়বেন পবন

    নির্দল প্রার্থী হয়ে পবন সিং ‘কাঁচি’ চিহ্ন প্রতীক হিসেবে পেয়েছেন। তবে এই কাঁচি দিয়ে তিনি এনডিএ প্রার্থীর ভবিষ্যৎ কেটে ফেলতে পারেন কি না তা জানা যাবে ৪ জুন। যদিও বিজেপির থেকে তার ভবিষ্যৎ যে ‘কাঁচি’ (Pawan Singh Expelled) হয়ে গিয়েছে তা এদিনের সম্রাট চৌধুরীর বহিষ্কারের চিঠি থেকেই বোঝা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: হাজি নুরুলের নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূলের আদি-নব্যের গোষ্ঠী সংঘর্ষ! উত্তাল হাড়োয়া

    Lok Sabha Election 2024: হাজি নুরুলের নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূলের আদি-নব্যের গোষ্ঠী সংঘর্ষ! উত্তাল হাড়োয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) প্রচারে তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে মিছিলকে ঘিরে তৃণমূলের সঙ্গে তৃণমূলেরই সংঘর্ষ বাধে। উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ায় মিছিল নিয়ে তৃণমূল বনাম তৃণমূলে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। জানা গিয়েছে, দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে সকলেই হাজি নুরুল ইসলামের সমর্থক, কিন্তু একপক্ষ আদি তৃণমূল, ওপর পক্ষ নব্য তৃণমূল।

    কীভাবে ঘটল গোষ্ঠী সংঘর্ষ (Lok Sabha Election 2024)?

    বসিরহাট লোকসভা (Lok Sabha Election 2024) কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুলের সমর্থনে আদি-নব্যের জোড়া মিছিলের মুখোমুখি হতেই হামলার ঘটনা ঘটেছে। আদি-নব্যের সংঘাতে লাঠি-বাঁশ-ইট নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিন আটপুকুর অঞ্চল থেকে আদি তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে একটি মিছিল বের করেন। অন্যদিকে বিহারী এলাকা থেকে নব্য তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা আরও একটি মিছিল নিয়ে বের হয়। দু’টি মিছিল বিহারী অঞ্চলে মুখোমুখি হতেই কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। অভিযোগ, আদি তৃণমূলের লোকজন নব্য তৃণমূলের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। লাঠি-বাঁশ নিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। এমনকি একটি আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গিয়ে বলে অভিযোগ। দুই শিবিরের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ ধরে বাদানুবাদ হয় বলে খবর। এই ঘটনার জেরে প্রায় ৬ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর বক্তব্য

    তৃণমূলের এই গোষ্ঠীকোন্দলের ঘটনায় আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী হাফিজুল ইসলাম ঢালি বলেন, “এখানে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। আমরা হাজি নুরুল সাহেবের সমর্থক। অপর দিকের কর্মীরাও তৃণমূল কর্মী। আমরা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) প্রচারে বেরিয়ে ছিলাম সঙ্গে সাংবাদিকেরাও ছিলেন। আমাদের উপর বন্দুকের বাট দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। আমাদের লক্ষ্য করে বোমা মারা হয়। ধারালো অস্ত্র, বাঁশ-রড দিয়ে মারা হয়। তৃণমূল দুষ্কৃতী মিজানুর রহমান, আইনুল ইসলাম সহ আরও অনেকে এই হামলার সঙ্গে যুক্ত।”

    আরও পড়ুনঃ “পতন এসে গেছে, পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে”, মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের

    ঘটনাস্থানে পৌঁছায় পুলিশ

    এদিকে গোলমালের খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় হাড়োয়া থানার পুলিশ। তখনও পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল। শেষে পুলিশি তৎপরতায় আস্তে আস্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে জানা যাচ্ছে, তৃণমূলের দুই শিবিরের মধ্যে এই দ্বন্দ্বের পর থেকে এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। এদিকে ভোটের (Lok Sabha Election 2024) মুখে দলের গোষ্ঠীকোন্দলের ফলে তৃণমূল শিবির খানিকটা চাপে পড়তে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: “পতন এসে গিয়েছে, পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে”, মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: “পতন এসে গিয়েছে, পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে”, মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ষষ্ঠ দফা লোকসভা নির্বাচনের প্রচার জমে উঠেছে। রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের প্রচারে ভোটারদের মন জয় করতে ময়দানে নিজের নিজের বক্তব্য তুলে ধরছেন। সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুগলির গোঘাট থেকে একযোগে ভারত সেবাআশ্রম, ইসকন, এবং রামকৃষ্ণ মিশনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। মিশনের সন্ন্যাসীরা রাজনীতি করছেন বলে অভিযোগ করেন। এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যে প্রচারে আসা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ পাল্টা আক্রমণ করেছেন। এবার একই ইস্যুতে রাজ্যের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি মমতাকে বলেন, “পতন এসে গিয়েছে, পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে।”

    কী বললেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)?

    রাজ্যের বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, “ভাগবানই তাঁর মুখ দিয়ে বলাচ্ছেন। কারণ সমানেই তাঁর পতন এসে গিয়েছে। প্রথম দফায় ভোট থেকেই মমতা হারতে শুরু করেছে। আমরা ৩০ আসনে জয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছি। দিদিমণি নেমে ১৫ হয়েছেন। আর কত নামবেন জানি না। সিঙ্গেল ডিজিট হয়ে যেতে পারে। প্রত্যেক দফা ভোটের আগে তাঁর কথাবার্তা শুনেই বোঝা যাচ্ছে। তিনি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। আমাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের তাই গালাগাল দিচ্ছেন। আগেও তাঁর দলের কর্মীরা রাজ্যপাল, রাষ্ট্রপতিকে গালগাল দিয়েছেন। ধর্ম প্রতিষ্ঠান এবং সাধু-সন্তদের কুকথা বলেছেন। তাঁর পতনের সময় এসে গিয়েছে পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে।

    আরও পড়ুনঃ রামকৃষ্ণ মিশনের জমি সিল করল পুলিশ, হামলার নেপথ্যে কেজিএফ গ্যাং যোগ!

    আর কী বললেন?

    নির্বাচনী প্রচার সম্পর্কে মমতাকে আক্রমণ করে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, “লোকসভার ভোটে সমস্ত কিছুর প্রতিফলন হবে। প্রত্যেক বাঙালি আগে হিন্দু তারপর সে বাঙালি। মমতার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। কাকে কী বলছেন, ঠিক নেই। কট্টর মৌলবীদের দিয়ে রাজনীতি করাতে পারেন, একসঙ্গে নামাজ পড়ে ভোট নিতে পারেন। আর আমাদের সাধু সন্ন্যাসীদের রাজনীতি কি সংবিধানে নিষেধ আছে? আজকে বাংলায় হিন্দু সমাজ বিপদে। হিন্দু সমাজের মহিলারাও বিপদে। এ কথা সাধুরা কি বলবেন না? সাধুরা সর্বস্ব ছেড়েছেন ধর্ম রক্ষার জন্য। সমাজ রক্ষার জন্য বলতেই পারেন।”      

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “যত অত্যাচার করবেন, বিজেপি ততই শুভেন্দুদাকে বড় নেতা বানাবে”, বললেন অমিত শাহ

    Amit Shah: “যত অত্যাচার করবেন, বিজেপি ততই শুভেন্দুদাকে বড় নেতা বানাবে”, বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার কাঁথি লোকসভার বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীর সমর্থনে সভা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) । ওই মঞ্চে দেখা গিয়েছে বিদায়ী সাংসদ, শুভেন্দু-সৌমেন্দুর বাবা শিশির অধিকারীকে। সভার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নানা ইস্যুতে মমতাকে নিশানা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর দাবি, বাংলায় ৪২টি লোকসভা আসনের ৩০টিতে বিজেপি জয় পেলেই তৃণমূল খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে যাবে। আর মোদি সোনার বাংলা তৈরি করবে।

    শুভেন্দুর বাড়়িতে পুলিশি হানা নিয়ে সরব শাহ (Amit Shah)

    এদিন সভায় অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “কাল এখানে ‘ল্যান্ড’ করতেই একটা এসএমএস পেলাম। জানলাম শুভেন্দুদার বাড়িতে পুলিশ ‘রেড’ করেছে।” মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রীকে নিশানা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আরে মমতাদিদি, আমরা বিজেপির লোকজন আপনার পুলিশকে ভয় পাই না। আপনার মন্ত্রীর বাড়িতে রেড হলে ৫১ কোটি টাকা মেলে। আর শুভেন্দুদার বাড়িতে রেড হয়েছে। চার আনাও পাননি মমতা।” তারপর হুঁশিয়ারি দেওয়ার সুরে শাহের সংযোজন, “আজ কাঁথিতে দাঁড়িয়ে বলে গেলাম, বাংলায় যদিও বা এক-দুটো আসন পেতেন, এই পুলিশি অত্যাচার জারি থাকলে তা-ও পাবে না তৃণমূল।” তিনি আরও বলেন, “মমতাদিদি শুভেন্দুদার ওপর যত অত্যাচার করবেন, বিজেপি ততই শুভেন্দুদাকে বড় নেতা বানাবে।”

    আরও পড়ুন: আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু-হিরণ, কোলাঘাটকাণ্ডের কথা জানানো হল শাহকেও

    মমতার ভোটব্যাঙ্ক অনুপ্রবেশকারীরা

    এদিন জনসভায় ভিড় উপচে পড়ে। শুভেন্দুর বাড়িতে পুলিশি হানার পাশাপাশি তৃণমূলের দুর্নীতি ইস্যুতে মুখ খোলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিন সভা থেকে তিনি (Amit Shah) বলেন, মমতার ভোটব্যাঙ্ক অনুপ্রবেশকারীরা। পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই হবে। ছিল, আছে, থাকবে। আমরা নিয়েই ছাড়ব। আবার ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থে বাংলার শাসকদল অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শাহ। তিনি একে ‘পাপ’ বলে মন্তব্য করেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলায় সিএএ হবেই। আবার দুর্নীতি ইস্যুতে মমতার সরকারকে নিশানা করে শাহের সংযোজন, “এই মাফিয়াদের খুঁজে খুঁজে উল্টো করে ঝুলিয়ে সিধে করে দেওয়ার কাজ বিজেপি করবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Ganguly: কমিশনের সেন্সরে ক্ষুব্ধ অভিজিৎ কোর্টে যাবেন, বিজেপি প্রার্থীর প্রচারে রামচন্দ্র

    Abhijit Ganguly: কমিশনের সেন্সরে ক্ষুব্ধ অভিজিৎ কোর্টে যাবেন, বিজেপি প্রার্থীর প্রচারে রামচন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে মন্তব্যের জেরে তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ বা গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) ২৪ ঘণ্টা প্রচার করতে পারবেন না বলে মঙ্গলবার জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিজিৎ। কমিশনের এই নির্দেশে তাঁর মানহানি হয়েছে বলে মনে করছেন তমলুকের বিজেপি প্রার্থী। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন তিনি।

    প্রচারে নিষেধাজ্ঞায় কমিশনের নির্দেশে মানহানি হয়েছে (Abhijit Ganguly)

     মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিজিৎ (Abhijit Ganguly) বলেন, ‘আমি কমিশনকে জবাব দিতে গিয়ে বলেছিলাম, যদি কোনও পদক্ষেপ করা হয় তার আগে যেন অতিরিক্ত জবাব দেওয়ার সুযোগ থাকে। কিন্তু, কোনও সুযোগ না দিয়ে কমিশন এই নির্দেশ দিয়েছে। অন্য লোকের মান আছে, রেখা পাত্রের মান নেই, আমার মান নেই, তা তো হতে পারে না। প্রচারে নিষেধাজ্ঞায় কমিশনের নির্দেশে আমার মানহানি হয়েছে। এরপর তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছু  বলব না। তবে, বলব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো উচিত। সন্দেশখালির মা-বোনদের উদ্দেশে ভাইপো বলেছে, রেট কত? বিভিন্ন সভা-সমিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সন্দেশখালির মা-বোনদের নিয়ে যা বলেছেন, সেটাও তো ইলেকশন কমিশন দেখতে পাচ্ছে। সাধুসন্তদের নিয়ে বিভিন্ন ভাষায় যেভাবে কথা বলা হচ্ছে, তার জন্য আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখটা সেলাই করে দেওয়া উচিত।’ শাসকদলকে নিশানা করে অভিজিৎ আরও বলেন, ‘এভাবে বিজেপিকে ভয় দেখাতে পারবে না তৃণমূল। এতে বিজেপির লাভ হবে। ২৫ মে মানুষ কাকে ভোট দেবেন, সেটা তাঁরা ঠিক করে ফেলেছেন।’ পাশাপাশি নাম না করে তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যকে শান্তিতে ঘুমোনোর পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ভোট তো দেন, জানেন কীভাবে কাজ করে ইভিএম?

    বিজেপি প্রার্থীর প্রচারে রামচন্দ্র!

    প্রাক্তন বিচারপতির অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) সমর্থনে বিরুলিয়া বাজার থেকে আমদাবাদ কলেজ পর্যন্ত রোড শো করলেন স্বয়ং শ্রীরাম চন্দ্র। ছবি দেখে এতক্ষণে নিশ্চয় ধরে ফেলেছেন অনেকেই। হ্যাঁ, কথা হচ্ছে বিখ্যাত অভিনেতা অরুণ গোভিলকে নিয়ে। ১৯৯০ সালের বিখ্যাত রামায়ণ সিরিয়ালের রামচন্দ্রের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন শ্রী অরুণ গোভিল। অরুণ গোভিলকে দেখতে এদিন সন্ধ্যায় তমলুকে ভিড় ছিল একেবারে দেখার মতো। পদ্ম প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে স্বয়ং রাম চন্দ্রকে দেখে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ছিল চোখে দেখার মতো। এদিন তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী পাপিয়া অধিকারী সহ জেলা ও স্থানীয় নেতৃত্বরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Prashant Kishor: “ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই”, বললেন পিকে

    Prashant Kishor: “ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই”, বললেন পিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে যে তৃতীয়বারের জন্য বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসতে চলেছে, সে ভবিষ্যদ্বাণী আগেই করেছিলেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে (Prashant Kishor)।

    পেট্রোল-ডিজেল আসবে জিএসটির আওতায়! (Prashant Kishor)

    এবার তিনি জানালেন, এনডিএ ফের ক্ষমতায় এলে পেট্রোল-ডিজেল চলে আসতে পারে জিএসটির আওতায়। পরিকাঠামোগত এবং প্রশাসনিক নানা পরিবর্তনও হাতে পারে। পিকে বলেন, “মোদি ফের একবার প্রধানমন্ত্রী পদে বসলে ক্ষমতা ও সম্পদ আরও বেশি করে কেন্দ্রের অধীনস্থ থাকবে। রাজ্যগুলির অর্থনৈতিক স্বাধীনতায় প্রতিবন্ধকতাও সৃষ্টি করা হতে পারে।” ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিকে পরামর্শ দিয়েছিলেন এই ভোট কুশলী। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি ‘কাজ করেছিলেন’ তৃণমূলের হয়ে। পিকে বলেন, “বর্তমানে দেশের প্রতিটি রাজ্য তিনভাবে আয় করতে পারে। পেট্রোলিয়াম, আবগারি ও জমি।” তিনি বলেন, “আমি অবাক হব না যদি তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে মোদি সরকার পেট্রোলিয়ামকেও জিএসটির আওতায় নিয়ে আসে।” প্রসঙ্গত, পেট্রোল-ডিজেলকে জিএসটির আওতায় আনার দাবি এই ইন্ডাস্ট্রির দীর্ঘ দিনের। তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে এ ব্যাপারেই পদক্ষেপ করতে পারে মোদি সরকার।

    আর পড়ুন: ‘আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটে’র ‘হারানো সন্তান’রা পালন করেন হিন্দুধর্ম!

    কী বললেন পিকে?

    পিকে (Prashant Kishor) বলেন, “উনিশের নির্বাচনে বিজেপি জয়ী হয়েছিল ৩০৩টি আসনে। এবারও তাদের আসন সংখ্যা থাকবে এর আশপাশেই। ৩০৩ ছাড়িয়েও যেতে পারে। গত প্রায় পাঁচ মাস ধরে মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপিই যে ক্ষমতায় ফিরবে, সে কথা আমি বলে এসেছি। এখনও তাই বলছি।” ‘জন সুরাজ পার্টি’র সুপ্রিমো পিকে বলেন, “মোদি সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের কোনও ক্ষোভ রয়েছে, এমন কথা দেশের কোনও প্রান্তেই শুনিনি।” তিনি বলেন, “সাধারণভাবে সরকারের কার্যকলাপ নিয়ে জনগণের প্রচণ্ড ক্ষোভ, হতাশা, অপূর্ণ আকাঙ্খার বহিঃপ্রকাশ না থাকলে ভোটের ফল শাসকের অনুকূলেই যায়।” সম্প্রতি পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পিকে দাবি করেছিলেন, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের এক নম্বর দল হয়ে উঠতে পারে। গত কয়েক বছর ধরে বিজেপি পূর্ব ও দক্ষিণ ভারতে তাদের সংগঠন বাড়াতে যে কঠোর পরিশ্রম করেছে, তার ফলেই এমনটা হতে পারে বলেই দাবি পিকের (Prashant Kishor)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Election 2024: গভীর রাতে হিরণের সেক্রেটারির বাড়িতে পুলিশের তল্লাশি, প্রতিহিংসার রাজনীতি?

    Lok Sabha Election 2024: গভীর রাতে হিরণের সেক্রেটারির বাড়িতে পুলিশের তল্লাশি, প্রতিহিংসার রাজনীতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা (Lok Sabha Election 2024) ভোটের মধ্যেই গভীর রাতে হিরণের সেক্রেটারির বাড়িতে হঠাৎ পুলিশ। আরও তিন বিজেপি নেতার বাড়িতে চলল রাতভর তল্লাশি। গতকাল মঙ্গলবার রাত পেরিয়ে ভোর পর্যন্ত চলেছিল এই পুলিশের অভিযান। আবার একই দিনে কোলাঘাটে শুভেন্দুর ভাড়া বাড়িতে চলে পুলিশের হানা। সেখানে উপস্থিত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের চলে ধস্তাধস্তি। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অবশ্য বিজেপির দাবি তৃণমূল প্রতি হিংসার রাজনীতি করছে।

    খড়্গপুর তালবাগিচায় তল্লাশি (Lok Sabha Election 2024)

    মঙ্গলবার রাতের বেলা খড়্গপুর তালবাগিচায় তমোঘ্নর বাড়িতে হানাদেয় ঘাটাল ও খড়্গপুর তালবাগিচায় লোকাল থানার পুলিশ। লোকসভা (Lok Sabha Election 2024) প্রার্থী হিরণ অবশ্য দাবি করেছেন, একই সঙ্গে কেশপুরের আরও এক বিজেপি নেতা এবং মেদিনীপুরের বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক তন্ময় ঘোষের বাড়িতেও পুলিশ হানা দেয়। তবে বিজেপি প্রার্থীর সেক্রেটারি এবং বিজেপি নেতার বাড়িতে কেন অভিজান? তা নিয়ে পুলিশ কিছুই জানায়নি। যদিও হিরণের একটি প্রকাশ করা ভিডিওতে দেখা গিয়েছে পুলিশ বলছেন, কোনও এক প্রতারণার মামলার তদন্তে এই তল্লাশি অভিযান।

    সেক্রেটারির পরিবারের দাবি

    বিজেপি প্রার্থী হিরণের (Lok Sabha Election 2024) সেক্রেটারির পরিবার থেকে তমোঘ্ন দে-র মা রেখা দে জানিয়েছেন, “রাতে এসে পুলিশ ডাকাডাকি করে। রাত তখন ৩টে বাজে। কিন্তু আমি অসুস্থ অবস্থায় দারজা না খুললে দরজায় লাথি মারে। তারপর ভয়ে দরজা খুলি, কিন্তু কোনও কিছু না বলে সোজা ঢুকে পরে পুলিশ। তবে কী কারণে পুলিশের এই অভিযান এই বিষয়ে পুলিশ কিছুই বলতে চায়নি।”

    হিরণের বক্তব্য

    ঘাঁটাল লোকসভার (Lok Sabha Election 2024) বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমার একাধিক আপ্ত সহায়ক রয়েছেন। তাঁদের একজনকে এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কাজ ছেড়ে দেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয়। এমন কী আমার পিএকে আই লাভ ইউ মেসেজ পাঠিয়েছেন তিনি। তবে দেবের পিএ গুজরাটে সোনা চুরি করেছে। আশা কর্মীকে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়েছে, তাঁকে কেন পুলিশ গ্রেফতার করছে না।”

    আরও পড়ুনঃআশ্রম ভেঙে দেওয়ার হুমকি! হাইকোর্টে নিরাপত্তার আর্জি কার্তিক মহারাজের

    একই ভাবে মেদিনীপুর শহরের মিরবাজারের বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক তন্ময় ঘোষের বাড়িতেও হানা দেয় পুলিশ। তবে গতকাল বাড়িতে ছিলেন না এই বিজেপি নেতা। তাঁর স্ত্রী রীণা ঘোষের দাবি, “স্বামী বাড়িতে নেই জানা সত্ত্বেও ভোর পর্যন্ত এলাকাতেই ঘোরাঘুরি করছিল পুলিশ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “মমতার সরকারের অত্যাচারের শিকার”, পুলিশি হানা নিয়ে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “মমতার সরকারের অত্যাচারের শিকার”, পুলিশি হানা নিয়ে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের মধ্যেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কোলাঘাটের ভাড়াবাড়িতে আচমকাই পুলিশি অভিযান। মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘিরে ফের রাজ্য-রাজনীতির উত্তেজনার পারদ চড়ল। ভোট আবহের মধ্যে পুলিশের এই ভূমিকা নিয়ে রাজ্য জুড়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, আমাকে না জানিয়ে আচমকাই আইপ্যাকের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে কোলাঘাট থানার পুলিশ আমার ওই ভাড়াবাড়ি ও অফিসে চড়াও হয়। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কোলাঘাট থানার সামনে ধর্নায় বসেন বিরোধী দলনেতা।

    মমতার সরকারের অত্যাচারের শিকার (Suvendu Adhikari)

    রাজ্যের তৃণমূল সরকার ও পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বিরোধী দলনেতা। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘কেন আমার কোলাঘাটের ভাড়াবাড়ি ও অফিসে পুলিশ হানা দিল, তা পরিষ্কার নয়।’ তাঁর অভিযোগ, ‘ভাইপোর নির্দেশে আমার বৃদ্ধ বাবা-মাকেও হেনস্থা করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল সরকারের অত্যাচারের শিকার আমি।’ পুলিশ জানিয়েছে, এক দুষ্কৃতীর সন্ধানেই তল্লাশি চালানো হয়। যদিও এই তত্ত্ব মানতে নারাজ শুভেন্দু। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। আইনি পদক্ষেপ করবেন বলেও জানিয়েছেন। শুভেন্দু জানান, ‘পুলিশ ও আইপ্যাক আমার বেডরুমে ঢুকে গেছে, ফোন করে বলল আমাকে। আমি অপেক্ষা করতে বলেছিলাম। কিন্তু কেউ ছিল না। ওসির সঙ্গে কথা হয়। প্রথমে ফোন ধরতে চাননি।’ আশঙ্কা প্রকাশ করে শুভেন্দুর প্রশ্ন, ‘আমার অনুপস্থিতে যদি বাড়িতে ভাঙা দু’টো বন্দুক ফেলে আসে, নগদ টাকা বা হেরোইন রেখে আসে, তার দায়িত্ব কে নেবে?’ তিনি বলেন, ‘আমার কাছে হাইকোর্টের রক্ষাকবচ রয়েছে। পুলিশ আমার বিরুদ্ধে কোনও দমনমূলক পদক্ষেপ করতে পারবে না। তাহলে এই অভিযান কেন? এর বিরুদ্ধে আমি আদালতের দ্বারস্থ হব।’

    আরও পড়ুন: ভোট তো দেন, জানেন কীভাবে কাজ করে ইভিএম?

    শাসকদলের ষড়যন্ত্র!

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘পুলিশের কাছে যদি সার্চ ওয়ারেন্ট থেকে থাকে, তাহলে তো আমার উপস্থিতিতেই তল্লাশি চালাতে পারত। কিন্তু সেটা করা হয়নি। এসব আসলে আমার বিরুদ্ধে শাসকদলের ষড়যন্ত্র।’ মঙ্গলবার বিকেলে শুভেন্দুর কোলাঘাটের ভাড়াবাড়িতে যায় পুলিশ। অভিযোগ, প্রায় ৮০জন পুলিশকর্মী ওই বাড়ি ঘিরে ফেলে তল্লাশি করেন। পুলিশি অভিযানের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিজেপির স্থানীয় নেতা- কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কিতেও জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। খবর পেয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে সোজা কোলাঘাট থানায় পৌঁছন শুভেন্দু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share