Tag: bjp

bjp

  • West Bengal Trade: ৬,৬৮৮টি সংস্থার রাজ্যছাড়া! বাণিজ্যে বেহাল বাংলা, রাজ্যে শাসনব্যবস্থার কী বার্তা দেয় এই ট্রেন্ড?

    West Bengal Trade: ৬,৬৮৮টি সংস্থার রাজ্যছাড়া! বাণিজ্যে বেহাল বাংলা, রাজ্যে শাসনব্যবস্থার কী বার্তা দেয় এই ট্রেন্ড?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় শিল্প ও উদ্যোগের ক্ষেত্রে দেশের অগ্রগামী রাজ্য (West Bengal Trade) ছিল পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু গত এক দশকে রাজ্য থেকে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলির ধারাবাহিক প্রস্থান (Companies exit from Bengal) এখন এক গভীর সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত দশ বছরে ৬,৬৮৮টি সংস্থা তাদের রেজিস্টার্ড অফিস পশ্চিমবঙ্গ থেকে অন্য রাজ্যে সরিয়ে নিয়েছে। চুপচাপ বড় বড় সংস্থা নিজেদের অফিস সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় কোনও প্রতিবাদও হয়নি তৃণমূল-শাসিত বাংলায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সংস্থাগুলি নিজেদের অফিস সরে নিয়ে গিয়েছে মহারাষ্ট্র, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশের মতো বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে। উদ্যোগপতিদের কথায়, ওই রাজ্যগুলিতে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ এবং নীতির স্থিতিশীলতা স্পষ্ট।

    ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছনো

    রাজ্যে (West Bengal Trade) পালা বদলের পর ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রহ সরকারের ক্ষমতায় আসার সময় থেকে শুরু হয় শিল্পপতির ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ নীতি। কিন্তু ২০১৫–১৬ থেকে ২০১৭–১৮ পর্যন্ত সময়টা হল সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ। এই তিন বছরে ২,৮১৪টি কোম্পানি রাজ্য ছেড়েছে। যা রাজ্য ত্যাগের মোট সংস্থার প্রায় ৪২ শতাংশ। ২০১৭–১৮ সালে সর্বাধিক ১,০২৭টি কোম্পানি রাজ্যছাড়া হয়, যা ছিল ইঙ্গিতবহ। সবচেয়ে আশঙ্কাজনক দিক হল, ১০০-রও বেশি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি, যারা স্টক এক্সচেঞ্জে লিস্টেড, তারাও পশ্চিমবঙ্গ ছাড়ে। এরা কেবলমাত্র আর্থিক দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বহু মানুষের চাকরি এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার সঙ্গে জড়িত। এই সরে যাওয়া দেশের বিনিয়োগ-বাজারে পশ্চিমবঙ্গের ভাবমূর্তি নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন তোলে।

    বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিই ‘প্রেফার্ড ডেস্টিনেশন’

    পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে যে সব সংস্থা (Companies exit from Bengal) চলে গিয়েছে, দেখা যায় তাদের সবচেয়ে পছন্দের গন্তব্য হয়ে উঠেছে বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিই। মহারাষ্ট্র (১,৩০৮টি), দিল্লি (১,২৯৭টি) ও উত্তরপ্রদেশে(৮৭৯টি) সরে যায় সংস্থাগুলি। মোট ৩,৪৮৪টি কোম্পানি, প্রায় ৫২ শতাংশ, এই তিন রাজ্যেই সরে গিয়েছে। ছত্তিশগড়, গুজরাট, রাজস্থান, অসমের মতো রাজ্যগুলিও তালিকায় রয়েছে। এই রাজ্যগুলিতে শিল্পনীতির মধ্যে স্পষ্টতা, স্থায়িত্ব এবং বাস্তবায়নের ইচ্ছা রয়েছে। বিপরীতে, কংগ্রেস বা তৃণমূল-শাসিত রাজ্যগুলি বিনিয়োগের পক্ষে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ, বলেই মনে করছেন উদ্যোগপতিরা।

    প্রতিশ্রুতি বনাম বাস্তবতা

    বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি আসে। কিন্তু রিপোর্ট বলছে, যেখানে পশ্চিমবঙ্গ ₹৩৯,১৩৩ কোটির বিনিয়োগে চতুর্থ স্থানে ছিল (IEM Part A), সেখানে বাস্তবায়িত বিনিয়োগে (IEM Part B) মাত্র ₹৩,৭৩৫ কোটি টাকা রাজ্যে এসেছে। এক বছরে আরও কমেছে—২০২৩ সালে যা ছিল ₹৪,৯৩০ কোটি। এই ব্যাপক ফারাক বিনিয়োগকারীদের (Companies exit from Bengal) আস্থাহীনতার স্পষ্ট প্রতিফলন। কথা আর কাজে বিরাট ব্যবধান শিল্পপতিদের দ্বিধাগ্রস্ত করছে।

    শিল্পোন্নয়ন-পরিকাঠামোয় পিছিয়ে পড়া রাজ্য

    পশ্চিমবঙ্গ এখনও ইন্ডিয়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল ল্যান্ড ব্যাঙ্কের (India Industrial Land Bank) অংশ নয়, যেখানে দেশের ২,৮৮৪টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের তথ্য রয়েছে। এটা রাজ্যের প্রশাসনিক অনীহা ও স্বচ্ছতার অভাবকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। এমনকি এফডিআই (বিদেশি বিনিয়োগ) ক্ষেত্রেও পশ্চিমবঙ্গ ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম রাজ্য হয়েও ১১তম স্থানে রয়েছে, যা এক অদ্ভুত বৈপরীত্য তুলে ধরে।

    নীতির অস্পষ্টতা মূল সমস্যা

    শিল্পোন্নয়ন ব্যর্থতার অন্যতম প্রধান উদাহরণ হল সিঙ্গুর আন্দোলনের উত্তরাধিকার। টাটার ন্যানো কারখানা আটকে যাওয়ার পরে, তৃণমূল সরকার ‘হ্যান্ডস-অফ’ ভূমি নীতি গ্রহণ করে। ফলে রাজ্য (West Bengal Trade) শিল্পের জন্য জমি দিতে অস্বীকার করে এবং কোম্পানিগুলিকে হাজার হাজার জমির মালিকের সঙ্গে নিজেরা চুক্তি করতে হয়—যা বড় শিল্পপ্রকল্পের ক্ষেত্রে অসম্ভব হয়ে ওঠে। সম্প্রতি, ২০২৫ সালের এপ্রিলে, রাজ্য সরকার হঠাৎ করেই ১৯৯৩ সাল থেকে চালু থাকা আটটি শিল্প ভর্তুকি প্রকল্প বন্ধ করে দেয়। ডালমিয়া ভারত ও বিরলা কর্পোরেশনের মতো কোম্পানি এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ৪৩০ কোটি টাকার বেশি দাবি আটকে গেছে।

    রাজনৈতিক ভাষণ দিয়ে উন্নয়ন হয় না

    রাজ্যজুড়ে কর্মসংস্থানের (Companies exit from Bengal) ঘাটতি বাড়ছে। দক্ষ পেশাজীবীরা রাজ্য ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গের জিএসডিপি (GSDP)-তে জাতীয় জিডিপি (GDP)-র অংশীদারিত্ব ১৯৬০–৬১ সালের ১০.৫% থেকে কমে ২০২৩–২৪ অর্থবর্ষে ৫.৬ শতাংশে নেমে এসেছে। এই পতন কেবলমাত্র পরিসংখ্যান নয়, একটি বড় আঞ্চলিক অসাম্যের চিত্র। ৬,৬৮৮টি কোম্পানির রাজ্য ছেড়ে চলে যাওয়া কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং একটি দীর্ঘমেয়াদি ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি। আজকের বিশ্বে শুধুমাত্র রাজনৈতিক জনপ্রিয়তা দিয়ে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় না। বিনিয়োগের জন্য চাই স্থিতিশীল নীতি, জমির স্বচ্ছতা, এবং প্রশাসনিক সদিচ্ছা। পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal Trade) অবস্থা থেকে বোঝা যায়, শাসনব্যবস্থা উন্নয়নবান্ধব না হলে, শিল্প আসবে না, কর্মসংস্থান হবে না, আর রাজ্য দীর্ঘমেয়াদে কেন্দ্রনির্ভর হয়ে পড়বে।

  • Ashwini Vaishnaw: সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে ধসের আতঙ্ক, তাই কি পার্ক সার্কাস উচ্ছেদ অভিযানে রেলকে অসহযোগিতা রাজ্যের?

    Ashwini Vaishnaw: সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে ধসের আতঙ্ক, তাই কি পার্ক সার্কাস উচ্ছেদ অভিযানে রেলকে অসহযোগিতা রাজ্যের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের আগে সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে ধস নামলে খোয়াতে হতে পারে গদি। তাই কি কলকাতার পার্ক সার্কাস রেলওয়ে স্টেশন থেকে দখলদারদের হঠাতে (Eviction Drive) একাধিকবার উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও, রেলকে সাহায্য করেনি তৃণমূল পরিচালিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার? আপাতত এই প্রশ্নটাই ঘোরাফেরা করছে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের (Ashwini Vaishnaw) একটি দাবির পর। ভনিতা ছেড়ে ফেরা যাক খবরে।

    রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ (Ashwini Vaishnaw)

    পার্ক সার্কাস এলাকাটি মুসলিম অধ্যুষিত। এই এলাকায় রেললাইন দখল করেও দিব্যিই ব্যবসা করে চলেছেন কিছু মানুষ। তার ফলে নিত্য বিস্তর অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় রেলযাত্রীদের। সেই কারণেই রেলস্টেশনের ধার থেকে দখলদারদের উচ্ছেদ করতে বারংবার অভিযান চালিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু রাজ্য সরকার তাতে সহযোগিতা না করায় উচ্ছেদ অভিযান সফল হয়নি বলে জানালেন রেলমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, রাজ্যসভার সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য রেলমন্ত্রকের কাছে প্রশ্ন করেছিলেন, পার্ক সার্কাস স্টেশনকে দখলদার মুক্ত করতে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? এই প্রশ্নের জবাবে রাজ্যসভায় এক লিখিত উত্তরে অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের অসহযোগিতার কথা। লিখিত উত্তরে রেলমন্ত্রী বলেন, “দখলদারদের উচ্ছেদ করতে পার্ক সার্কাস রেলস্টেশনে সময়ে সময়ে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে ভারতীয় রেল। কিন্তু রাজ্য সরকার এই কাজে সাহায্য করেনি। তাই অভিযান সফল হয়নি।”

    কী বললেন রেলমন্ত্রী?

    ট্রেনে যাত্রীদের সুরক্ষা প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী বলেন, “যাত্রীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত অভিযোগে ভারতীয় রেল সব সময় সাড়া দেয়। স্টেশনগুলিতে রেলের নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মী থাকেন। সিসিটিভির নজরদারির ব্যবস্থা রয়েছে। তবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে সময়, স্থান ও কী ধরনের হুমকি রয়েছে, তা দেখেশুনে সুরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করা হয়।” তিনি (Ashwini Vaishnaw) জানান, আরপিএফ মোতায়েনের বিষয়টি নিয়মিত পর্যালোচনা করা হয়। সরকারের রেল পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলা হয়। অপরাধ দমনে যথাযথ পদক্ষেপ করে রেল। স্টেশন চত্বরে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা সম্পর্কে রেলমন্ত্রী জানান, এটা নিরবচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া। স্টেশন চত্বরে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখতে রেলমন্ত্রক একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে। স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মাধ্যমে পরিষ্কার করা হচ্ছে, বর্জ্য পদার্থ ফেলার আলাদা আলাদা ডাস্টবিন রাখা হয়েছে, জল নিকাশি ব্যবস্থা আরও উন্নত হয়েছে এবং ঘন ঘন স্টেশন পরিষ্কার (Eviction Drive) রাখার কাজ চলছে। পে অ্যান্ড ইউজ প্রকল্পের মাধ্যমে শৌচালয়গুলিকে পরিচ্ছন্ন রাখার কাজও হচ্ছে (Ashwini Vaishnaw) নিয়মিত।

  • Suvendu Adhikari: অগাস্টেই শুরু এসআইআর? তৃণমূলের ভোট কমবে ১ কোটি! বড় দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: অগাস্টেই শুরু এসআইআর? তৃণমূলের ভোট কমবে ১ কোটি! বড় দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় নির্বাচন কমিশনের নিবিড় সমীক্ষা (SIR) শুরু হতে যাচ্ছে—এই নিয়ে চড়ছে রাজনীতির পারদ। চলতি অগাস্ট মাসেই রাজ্যে শুরু হচ্ছে এসআইআর, এমনটাই জানা যাচ্ছে। কারণ এরই মধ্যে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে দিল্লি নির্বাচন কমিশনের দফতর থেকে। সম্প্রতি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দাবি করেন, ‘‘এসআইআর (Special Intensive Revision) হলে প্রায় ৯০ লাখ নাম বাদ পড়বে।’’ তাঁর মতে, ‘‘কোনও রোহিঙ্গা মুসলমানের নাম ভোটার তালিকায় থাকতে পারে না।’’ তিনি বলেন, ‘‘বিহারে যদি ৩০ লাখ নাম বাদ যেতে পারে, তবে বাংলায় অন্তত ৯০ লাখ নাম বাদ পড়ার সম্ভাবনা আছে।’’ বিরোধী দলনেতার দাবি, ‘‘নিবিড় সমীক্ষা শুরু হলে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটের সংখ্যা ২ কোটি ৭৫ লাখ থেকে কমে ১ কোটি ৭৫ লাখে নেমে আসবে।’’

    কোনও বিএলও মনোজ পন্থ চেঞ্জ করতে পারবেন না

    বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে করেন। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বোলপুরে সরাসরি নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, বিএলও-দের ধমক দিয়েছিলেন (SIR)। আপনারা জেনে রাখুন এক্সটেনশনে থাকা স্তাবক মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে ১৩ সিসি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলতে চাই ৫ জুলাইয়ের পরে নিয়োগ করা একটাও বিএলও যুক্তিসঙ্গত কারণ ও সিইও অনুমোদন ছাড়া আপনি আইনগতভাবে পরিবর্তন করতে পারেন না। আমার বিশ্বাস সে বার্তা তিনি পেয়ে গিয়েছেন। কোনও বিএলও মনোজ পন্থ চেঞ্জ করতে পারবেন না।”

    তৃণমূলের অবৈধ ভোটব্যাঙ্ক

    প্রসঙ্গত, শুরু থেকেই এসআইআরের তীব্র বিরোধিতা করে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। কেউ কেউ বলছেন, রাজ্যে নির্বাচনের দিন যেভাবে সন্ত্রাস ও রিগিং দেখা যায়, তার মূলে রয়েছে তৃণমূলের অবৈধ ভোটব্যাঙ্ক। অনেকের মতে, এই অবৈধ ভোটব্যাঙ্কের ওপর ভর করেই তৃণমূল ক্ষমতায় টিকে আছে। সম্প্রতি বোলপুরে এক প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘যদি কোনও নির্দেশ আসে, তবে তা সরাসরি মুখ্যসচিবকে জানাতে হবে।’’ তিনি বলেন, “কোনও নির্দেশ এলে মুখ্যসচিবকে জানাবেন। আমাদের না জানিয়ে হুটপাট সিদ্ধান্ত নিয়ে নিচ্ছেন। কখনও এই জিনিস হয়নি। ভয় দেখালেই আপনারা ভয় পাবেন! তাহলে ঘরে বসে থাকুন।” এনিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “বিএলও বন্ধুদের বলব তাঁরা এ রাজ্যের সরকারের কর্মচারী। নির্বাচন কমিশনের অধীনে তাঁরা কাজ করবেন। ইলেকশন কমিশন বললে আপনারা কাজ শুরু করুন। আপনারা আক্রান্ত হলে সংবিধান আক্রান্ত হবে। আমরা তো আওয়াজ তুলবই। বাকি তো ইলেকশন কমিশনকে বুঝে নিতে হবে।”

    দেখবেন আর জ্বলবেন, লুচির মতো ফুলবেন

    এরপরই এসআইআর নিয়ে বলতে গিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন (Suvendu Adhikari), “এসআইআর নতুন কিছু নয়। ২০০২ সালেও এই রাজ্যে হয়েছিল। ২০০৪ সালে ভোটার লিস্ট বেরিয়েছিল, ২৬ লক্ষ নাম বাদ চলে গিয়েছিল। এবার এসআইআর হওয়ার পর আপনার ভোট ২ কোটি ৭৫ লক্ষ থেকে ১ কোটি ৭৫ নেমে যাবে। কিছু করতে পারবেন না। দেখবেন আর জ্বলবেন, লুচির মতো ফুলবেন।”

    বিহারে বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা

    প্রসঙ্গত, বিহারে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা বা এসআইআর শুরু হওয়ার পর থেকেই প্রচুর অবৈধ ভোটারের নাম সেখান থেকে বাদ যায়। মৃত বা নিখোঁজ ভোটারদের খুঁজে খুঁজে বের করে নির্বাচন কমিশন তারপর নতুনভাবে ভোটার লিস্ট তৈরির কাজ শুরু করে। রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিককে পাঠানো  চিঠিতে কমিশন স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে—গোটা দেশেই এসআইআর হবে। তাই বিহারের মতো সব রাজ্যেই মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে যেন প্রস্তুতিপর্ব চূড়ান্ত করা যায়।

    ১০টি থানা মিলিয়ে একজন করে বিএলও সুপারভাইজার থাকবেন

    জানা যাচ্ছে, এই চিঠিতে বিএল (BLO) নিয়োগ শুরু করারও কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে রাজ্যের সরকারি দফতরের কর্মীদেরই বিএলও হিসেবে নিয়োগ করা হবে। চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রতি থানায় একজন করে বিএলও নিয়োগ করা হবে। আর প্রতি ১০টি থানা মিলিয়ে একজন করে বিএলও সুপারভাইজার থাকবেন। যে চিঠি পাঠানো হয়েছে, সেখানে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করার কথা বলা হয়েছে—বলে সূত্রের খবর।

    ১০৯টি বিধানসভা এলাকার নাম ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশন

    প্রসঙ্গত, এই প্রথমবার নিবিড় সমীক্ষা হচ্ছে না এ রাজ্যে। ২০০২ সালে পশ্চিমবঙ্গে হয়েছিল নিবিড় সমীক্ষা। ইতিমধ্যে সেই সময় ভোটার তালিকা প্রকাশের কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। ১০৯টি বিধানসভা এলাকার নাম ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশন। জানা যাচ্ছে, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের যে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট, সেখানে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়ে গিয়েছে। এই তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, তারা স্বস্তি পেয়েছেন এসআইআর থেকে। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, নদিয়া, হাওড়া, হুগলি, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া—এই জেলাগুলির নাম তালিকায় রয়েছে।

  • Malegaon Blast Case: মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় প্রজ্ঞা ঠাকুর-সহ ৭ অভিযুক্তই বেকসুর খালাস

    Malegaon Blast Case: মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় প্রজ্ঞা ঠাকুর-সহ ৭ অভিযুক্তই বেকসুর খালাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালেগাঁও বোমা বিস্ফোরণ মামলায় (Malegaon Blast Case) অভিযুক্ত সাতজনকেই বেকসুর খালাস করে দিল মুম্বইয়ের বিশেষ এনআইএ আদালত। অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ বিজেপির প্রজ্ঞা ঠাকুর (Pragya Thakur) এবং সেনাবাহিনীর প্রাক্তন অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল প্রসাদ শ্রীকান্ত পুরোহিতও। বৃহস্পতিবার আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, কেবল সন্দেহের বশে মামলা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যেসব তথ্যপ্রমাণ দাখিল করা হয়েছে, তা সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয় বলেও জানিয়েছে আদালত। বিচারক একে লাহোটি বলেন, “সমাজে এটা একটা ভয়াবহ ঘটনা। কিন্তু কেবল নৈতিকতার যুক্তিতে আদালত কাউকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারে না।”

    মালেগাঁও বোমা বিস্ফোরণ (Malegaon Blast Case)

    ২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রমজান মাসের রাতে মুম্বই থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলার সাম্প্রদায়িক স্পর্শকাতর শহর মালেগাঁওয়ের ভিক্কু চৌকের কাছে ঘটেছিল শক্তিশালী বিস্ফোরণ। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল সাতজনের। জখম হয়েছিলেন ১০০জনেরও বেশি। তদন্তে জানা যায়, মালেগাঁও শহরে মসজিদ লাগোয়া কবরস্থানে একটি বাইকে রাখা ছিল দুটি বোমা। তাতেই বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনার তদন্তে নামে মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাসদমন শাখা। জানা যায়, ঘটনার নেপথ্যে ছিল একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। গ্রেফতার করা হয় ভোপালের প্রাক্তন সাংসদ প্রজ্ঞা এবং প্রাক্তন সেনা আধিকারিক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শ্রীকান্ত পুরোহিত-সহ সাতজনকে। পরে অবশ্য সবাই জামিন পান। এই মামলায় (Malegaon Blast Case) প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছিল প্রজ্ঞার নাম। কারণ যে বাইকটিতে বোমা রাখা ছিল, সেটি নথিভুক্ত ছিল প্রজ্ঞার নামেই। অভিযোগ উঠেছিল, বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করেছিলেন প্রজ্ঞাই।

    আদালতের বক্তব্য

    এদিন আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, ফরেন্সিক পরীক্ষায় এটি প্রমাণ হয়নি যে বাইকটি প্রজ্ঞার। আদালতের পর্যবেক্ষণ, “বিস্ফোরণের ঘটনার দু’বছর আগেই সন্ন্যাসী হয়ে গিয়েছিলেন প্রজ্ঞা।” ২০১১ সালে মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাসদমন শাখার হাত থেকে মামলার তদন্তভার যায় এনআইএ-র হাতে। তবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ, অস্ত্র আইনে করা মামলা বলবৎ ছিল। বৃহস্পতিবার বিশেষ আদালত জানায়, এই মামলায় ইউএপিএ প্রযুক্ত (Pragya Thakur) হয় না। রায় দিতে গিয়ে বিচারক বলেন, “পুলিশ ও তদন্তকারীরা অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করার কোনও জোরালো প্রমাণ হাজির করতে পারেননি। তাই তাঁদের বেনিফিট অফ ডাউটের সুবিধা দিয়ে নিরপরাধ ঘোষণা করা হচ্ছে। এই মামলায় যে সাতজন অভিযুক্ত ছিলেন, তাঁরা হলেন ভোপালের প্রাক্তন বিজেপি এমপি সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুর, তৎকালীন সেনা গোয়েন্দা অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল প্রসাদ শ্রীকান্ত পুরোহিত, অবসরপ্রাপ্ত মেজর রমেশ উপাধ্যায়, অজয় রাহিরকর, সুধাকর দ্বিবেদী, সুধাকর চতুর্বেদী এবং সমীর কুলকার্নি।”

    তদন্তভার যায় এনআইএয়ের হাতে

    তদন্তভার এনআইএয়ের হাতে যাওয়ার পর আদালতে জমা পড়ে একের পর এক চার্জশিট। জমা হয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটও। ২০১৮ সালে শুরু হয় বিচার। সাত অভিযুক্তের বিরুদ্ধেই গঠন করা হয় চার্জ। বিচার চলাকালীন আদালত খতিয়ে দেখে ৩২৩ জন সাক্ষীর বয়ান। চলতি বছরের এপ্রিলে বিশেষ আদালতে কয়েকশো পাতার তথ্যপ্রমাণ পেশ করে এনআইএ। ১৯ এপ্রিল রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারক। বৃহস্পতিবার আদালত জানায়, এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে এপ্রিল মাসে। কিন্তু মামলার (Malegaon Blast Case) প্রকৃতির কারণে, যেখানে এক লাখেরও বেশি পৃষ্ঠার প্রমাণ ও নথি রয়েছে, রায় দেওয়ার আগে সমস্ত রেকর্ড পর্যালোচনা করার জন্য অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন ছিল। মামলার সমস্ত অভিযুক্তকে রায়ের দিন আদালতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    কী বলছেন প্রজ্ঞা

    এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন সাত অভিযুক্তই। আদালতের রায় শোনার পর প্রজ্ঞা (Pragya Thakur) বলেন, “এই মামলা আমার পুরো জীবন ধ্বংস করে দিয়েছে। যারা দোষী, ঈশ্বর তাদের শাস্তি দেবেন (Malegaon Blast Case)।” তিনি বলেন,  “আমি শুরু থেকেই বলে আসছি, যাদের তদন্তের জন্য ডাকা হয়, তার পেছনে কোনও ভিত্তি থাকা উচিত। আমাকে ডাকা হয়েছিল, আমাকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল এবং নির্যাতন চালানো হয়েছিল। এতে আমার পুরো জীবন ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। আমি এক সাধু জীবন যাপন করছিলাম। কিন্তু আমাকে অভিযুক্ত করা হয় এবং তখন কেউ স্বেচ্ছায় আমাদের পাশে দাঁড়ায়নি। আমি বেঁচে আছি, কারণ আমি একজন সন্ন্যাসিনী।”

    আইনজীবীর বক্তব্য

    অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন সুধাকর ধর দ্বিবেদীও। তাঁর আইনজীবী রঞ্জিত সাঙ্গালে বলেন, “দীর্ঘ ১৭ বছর দেরি হওয়ার পরে ৩২৩ জন সাক্ষীর জবানবন্দি, ৪০ জন সাক্ষীর বিরোধিতা, ৪০ জন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীর জবানবন্দি বাতিল এবং ৪০ জন সাক্ষীর মৃত্যুর পর আজ ন্যায় বিচার হল (Pragya Thakur)। আমাদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ ছিল না। সব অভিযুক্তকেই বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে (Malegaon Blast Case)।”

  • Amit Shah: ‘‘আপনারা পাক অধিকৃত কাশ্মীর দিয়েছিলেন, আমরা ফিরিয়ে আনব’’! রাজ্যসভায় শাহের নিশানায় কংগ্রেস

    Amit Shah: ‘‘আপনারা পাক অধিকৃত কাশ্মীর দিয়েছিলেন, আমরা ফিরিয়ে আনব’’! রাজ্যসভায় শাহের নিশানায় কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে (বর্তমান) পাকিস্তানের হাতে তুলে দিয়েছিল কংগ্রেস। বিজেপি তা ফিরিয়ে আনবে। রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সংসদের বাদল অধিবেশনে রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ‘অপারেশন সিঁদুর’ ও ‘অপারেশন মহাদেব’-এর সাফল্যের জন্য ভারতীয় সেনাকে কুর্নিশ জানান। একই সঙ্গে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন শাহ। বলেন, দেশে তোষণের রাজনীতি করাই কংগ্রেসের উদ্দেশ্য। তাদের অগ্রাধিকার সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করা নয়, বরং ভোটব্যাঙ্ক।

    পাক অধিকৃত কাশ্মীর কংগ্রেসের সৃষ্টি

    ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর গাফিলতিতেই জম্মু ও কাশ্মীরের একাংশ ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের দখলে গিয়েছিল বলে অভিযোগ করেন শাহ। বিরোধী দল কংগ্রেসের বেঞ্চের দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আপনারা পাক অধিকৃত কাশ্মীর, তা পাকিস্তানকে দিয়ে দিয়েছিলেন, আমরা ফিরিয়ে আনব!’’ জওহরলাল নেহরুর জমানায় সিন্ধু জলবন্টন চুক্তির মাধ্যমে পাকিস্তানকে অন্যায্য সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন শাহ। তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমরা কখনও পাকিস্তানকে ৮০ শতাংশ জল দেওয়ার বন্দোবন্ত করব না।’’ এ দিন রাজ্যসভায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে আলোচনায় আগাগোড়া কংগ্রেসকে নিশানা করেন অমিত শাহ। সঙ্গে পিওকে পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধীকে চিন্তা করতে হবে না। কংগ্রেস পিওকে-এর জন্ম দিয়েছে। কিন্তু বিজেপি সেই জমি ফিরিয়ে আনবে। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’ তাঁর কথায়, ‘‘১৯৭১-এর যুদ্ধে ভারতের হাতে ৯৩,০০০ পাকিস্তানি সেনা বন্দি ছিল, সেই সময়ে চাইলেই পাক-অধিকৃত কাশ্মীর ফিরিয়ে আনা যেত। কিন্তু কংগ্রেস পারেনি।’’

    পাকিস্তানের মিত্র কংগ্রেস

    ইউপিএ জমানায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হতো না বলেও অভিযোগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তান তখন ভারতকে ভয়ই পেত না। আমরা শুধু ডসিয়ার পাঠিয়ে যেতাম। কিন্তু মোদি সরকারের আমলে পাকিস্তানকে ব্রহ্মোস মিসাইল পাঠিয়ে উত্তর দেওয়া হয়। অপারেশন সিঁদুর পাকিস্তানে ভয় তৈরি করেছে। ভয় থেকেই শান্তি আসে।’’ পহেলগাঁওয়ে হামলার পরে কংগ্রেস পাকিস্তানকে ক্লিনচিট দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন অমিত শাহ। টেনে আনেন চিদম্বরমের মন্তব্য। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘চার জঙ্গি যে পাকিস্তান থেকেই এসেছিল তার কী প্রমাণ আছে?’’অমিত শাহ বলেন, ‘‘কংগ্রেস পাকিস্তানকে ক্লিনচিট দিয়েছে। কিন্তু মোদি সরকার চুপ করে বসে থাকেনি। যতদিন পি চিদাম্বরম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন, ততদিন আফজল গুরুকে ফাঁসি দেওয়া হয়নি। ’’

    কাশ্মীরে সন্ত্রাসের জন্ম দিয়েছে কংগ্রেস

    কংগ্রেস আমলের কথা মনে করিয়ে বুধবার শাহ বলেন, “আমাদের কাছে যদি পাক অধিকৃত কাশ্মীর থাকত তাহলে সন্ত্রাসবাদীরা কখনওই আসত না। কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ কংগ্রেসের উপহার।” তাঁর দাবি, কংগ্রেস যেভাবে ৩৭০ ধারা সমর্থন করেছিল, তা আদতেই কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদ, বিচ্ছন্নতাবাদীদের হাত শক্ত করেছিল, তাঁদের উৎসাহিত করেছিল। ওই কথা বলেই থামেননি শাহ। তিনি আরও বলেন, “আমি যদি সেখানে থাকতাম, তাহলে দেশকে ভাঙতে দিতাম না। কংগ্রেস দীর্ঘ কয়েক দশক শাসন করলেও সন্ত্রাসবাদ, নকশালবাদ ও উত্তর-পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদের সমস্যার সমাধানে কিছু করেনি বলেও এ দিন অভিযোগ করেন অমিত শাহ। শাহের জোরাল দাবি, ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত বিশ্বের মধ্যে এক নম্বরে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের জন্য ১০০ বছরের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন।” এদিন শাহের কথায় বারবার ফিরে ফিরে আসে অপারেশন সিঁদুর থেকে অপারেশন মহাদেবের প্রসঙ্গ। কীভাবে অপারেশন চলেছিল, কীভাবে জঙ্গিদের খতম করা হয়েছে তার বিশদ বিবরণও দেন।

    ‘অপারেশন মহাদেব’ প্রসঙ্গ

    গত সোমবার সংসদে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে বিতর্কের সূচনার পরেই পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিন সন্ত্রাসবাদী, সুলেমান শাহ ওরফে হাসিম মুসা, জিবরান এবং হামজা আফগানি শ্রীনগরের অদূরে ভারতীয় সেনার প্যারাকমান্ডো বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়। এই ঘটনা নিছক কাকতালীয় কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীদের একাংশ। শাহ বুধবার বলেন, ‘‘ওই সন্ত্রাসবাদীদের কী আরও কিছু দিন বাঁচিয়ে রাখা উচিত ছিল? কেন ওদিন হত্যা করা উচিত হয়নি? কারণ ওদিন রাহুল গান্ধীর বক্তৃতা ছিল? এভাবে চলতে পারে না। গোটা দেশ দেখছে যে কংগ্রেসের অগ্রাধিকার জাতীয় নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসবাদ নির্মূল নয়, বরং রাজনীতি, ভোট ব্যাঙ্ক।’’ এর পরেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘পহেলগাঁও হামলায় নিহতদের পরিবার এবং আরও অনেকে চেয়েছিলেন, যেন তিন সন্ত্রাসবাদীর মাথায় গুলি করা হয়। অপারেশন মহাদেবে তাদের সেই পরিণতি হয়েছে।’’ রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চহ্বাণ পহেলগাঁওয়ের হত্যাকারীদের নিধনের অভিযানের ‘অপারেশন মহাদেব’ নামকরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। শাহ বলেন, ‘‘কংগ্রেস এই অপারেশনের নামকরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। আসলে কংগ্রেস প্রতিটি বিষয়কে হিন্দু-মুসলিম দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে। অপারেশন মহাদেবে হিন্দু-মুসলিম খুঁজবেন না। ভুলে যাবেন না ছত্রপতি শিবাজি তাঁর সেনারা শত্রু নিধনের সময় ‘হর হর মহাদেব’ ধ্বনি দিতেন।’’

  • Kerala Nuns Arrest: ধর্মান্তকরণের অভিযোগে ছত্তিশগড়ে ধৃত ২, সোচ্চার কংগ্রেস, ধুয়ে দিল বিজেপি

    Kerala Nuns Arrest: ধর্মান্তকরণের অভিযোগে ছত্তিশগড়ে ধৃত ২, সোচ্চার কংগ্রেস, ধুয়ে দিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানব পাচার ও ধর্মান্তকরণের অভিযোগে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) দুর্গ রেলস্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল দুই খ্রিস্টান সন্ন্যাসিনীকে (Kerala Nuns Arrest)। সেই ঘটনায় দেশজুড়ে রাজনৈতিক মহলে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া। ওই দুই সন্ন্যাসিনীর মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছে কংগ্রেস।

    কংগ্রেসের বক্তব্য (Kerala Nuns Arrest)

    সংসদের জিরো আওয়ারে এই ইস্যুটি তুলে ধরেন কংগ্রেস সাসদ কেসি বেণুগোপাল এবং কে সুরেশ। তাঁরা বলেন, “ঘটনাটি গভীরভাবে উদ্বেগজনক ও আতঙ্কজনক। কারণ সন্ন্যাসিনীরা নির্দোষ। তাঁরা ক্যন্সার আক্রান্ত রোগীদের সেবা-সুশ্রুষা করে সমাজসেবা করছিলেন।” বেণুগোপালের অভিযোগ, বজরং দলের সদস্যরা তাঁদের গায়ে হাত তুলেছেন এবং মানব পাচার ও ধর্মান্তকরণের মিথ্যে অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, এই দুই সন্ন্যাসিনী আগ্রার পথে যাচ্ছিলেন। তখনই দুর্গ রেলস্টেশনে আটকানো হয় তাঁদের। বেণুগোপাল বলেন, “এই দুই সন্ন্যাসিনী গত পাঁচ দিন ধরে কোনও কারণ ছাড়াই জেলে রয়েছেন। কী নিষ্ঠুরতা! দেশ কি একটি কলার প্রজাতন্ত্র (banana republic) হয়ে গিয়েছে? আমরা ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ও ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তাঁদের মুক্তির আবেদন জানিয়ে চিঠি লিখেছি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বজরং দলের বক্তব্যেরই শুধু পুনরাবৃত্তি করছেন। এটা লজ্জার ব্যাপার!” সুরেশ বলেন, “সন্ন্যাসিনীরা নির্দোষ। তাঁরা সমাজসেবার কাজ করছিলেন। আমি কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছেও এই বিষয়ে হস্তক্ষেপের আবেদন জানাই। উভয় সন্ন্যাসিনীই নির্দোষ।”

    বিজেপির তোপ

    যদিও দুর্গের সাংসদ বিজেপির বিজয় বাঘেল বলেন, “কংগ্রেস সাংসদরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করছেন। ছত্তিশগড় সরকার যে সন্ন্যাসিনীদের গ্রেফতার (Kerala Nuns Arrest) করেছে, তাঁদের সমর্থন করছেন।” তাঁর দাবি, ছত্তিশগড়ের তিন আদিবাসী কিশোরীকে প্রলোভন দেখিয়ে দুর্গ রেলস্টেশনে আনা হয়েছিল। ধৃত সন্ন্যাসিনীদের মধ্যে একজন আগ্রা থেকে এবং অন্যজন জব্বলপুর থেকে এসেছেন। বাঘেল বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি ছড়িয়ে যাওয়ায় সেখানে ভিড় জমে যায়। তার মধ্যে যেমন বজরং দলের সদস্যরা ছিলেন, তেমনই ছিলেন পুলিশ কর্মীরাও।” কংগ্রেস নেতা রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে নিশানা করে তিনি বলেন, “এটি একটি ষড়যন্ত্র। সংবেদনশীল ছত্তিশগড় সরকারের বদনাম করতে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতেই এসব করা হচ্ছিল।” তাঁর প্রশ্ন, “তাহলে কি (Chhattisgarh) আমাদের রাজ্যের মেয়েদের রক্ষা করা আমাদের উচিত নয় (Kerala Nuns Arrest)?”

  • Election Commission: অগাস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাংলায় শুরু ‘SIR’! সীমান্ত-জেলাগুলিতে ভোটার তালিকায় সংশোধনের হিড়িক

    Election Commission: অগাস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাংলায় শুরু ‘SIR’! সীমান্ত-জেলাগুলিতে ভোটার তালিকায় সংশোধনের হিড়িক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের পর এবার পশ্চিমবঙ্গেও শুরু হতে চলেছে নিবিড় সমীক্ষা (Special Intensive Revision – SIR)। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অগাস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকেই রাজ্যে শুরু হবে এই বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়া। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ইতিমধ্যেই সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। প্রসঙ্গত, বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। এই প্রেক্ষাপটে, নিবিড় সমীক্ষা বা SIR রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, এর মাধ্যমে একটি স্বচ্ছ ও নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরি করা সম্ভব হবে (SIR) এবং বহু ভুয়ো ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যাবে (Election Commission)।

    বিএলওদের ভাতা দ্বিগুণ করল কমিশন

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গিয়েছে। ভোটার তালিকা সংশোধন ও বিশেষ ড্রাইভের কাজে যুক্ত বিএলও এবং সুপারভাইজারদের ন্যূনতম বাৎসরিক বেতন এক ধাক্কায় প্রায় দ্বিগুণ করেছে নির্বাচন কমিশন। নতুন নির্দেশ অনুযায়ী, বুথ লেভেল অফিসাররা বছরে ১২ হাজার টাকা এবং বিএলও সুপারভাইজাররা ১৮ হাজার টাকা করে পাবেন। পাশাপাশি, বিশেষ ড্রাইভের জন্য বিএলওদের অতিরিক্ত ২ হাজার টাকা ইনসেনটিভও দেবে কমিশন।  দেশজুড়ে ভোটার তালিকা সংশোধন, নবীন ভোটার যুক্তকরণ এবং মৃত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো পরিচালনার জন্য বুথ লেভেল অফিসাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। প্রতি বছর হাজার হাজার বিএলও, সুপারভাইজার এবং সংশ্লিষ্ট কর্মীরা এই কাজে নিযুক্ত থাকেন। নির্বাচন কমিশনের মতে, তাঁদের এই প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দিতেই এই আর্থিক সংস্কার।

    বাংলার সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে কার্ড সংশোধনের হিড়িক

    বিহারে SIR-এর সময় দেখা গিয়েছে, লক্ষ লক্ষ মৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সর্বমোট সংখ্যা ৫২ লাখ বলে জানিয়েছে কমিশন। একই সঙ্গে চিহ্নিত হয়েছে এমন বহু ভোটার, যাঁরা এখন আর বিহারের স্থায়ী বাসিন্দা নন কিংবা যাঁদের নাম একাধিক জায়গায় রয়েছে। বিশেষ করে পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে অনেকেরই একাধিক রাজ্যে ভোটার কার্ড রয়েছে—এদেরও তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বিহারের তালিকা সংশোধনের আবহে পশ্চিমবঙ্গে গত এক সপ্তাহে ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ অনলাইনে ভোটার তালিকা সংশোধনের (Election Commission) জন্য আবেদন করেছেন। কেউ নাম সংশোধনের জন্য, কেউ ঠিকানা বদলের জন্য। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে এই আবেদন বেশি।

    বিরোধীদের আপত্তি, কমিশনের জবাব (Election Commission)

    বিহারে নিবিড় সমীক্ষা শুরুর পর থেকেই বিরোধী দলগুলি কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে আপত্তি জানাতে শুরু করে। তাদের প্রশ্ন ছিল—এটার দরকার কী ছিল? এই প্রেক্ষিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার বলেন, “মৃত ভোটার অথবা বিদেশি নাগরিকদের কোন যুক্তিতে ভোটার তালিকায় রাখা যেতে পারে? SIR বা নিবিড় সমীক্ষা একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া।” এদিকে পশ্চিমবঙ্গে নিবিড় সমীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কমিশনকে। অন্যদিকে, বিজেপি পাল্টা প্রশ্ন তুলেছে— মুখ্যমন্ত্রী কাদের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করছেন? নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতার বিরুদ্ধে কেন তিনি সরব হচ্ছেন (Election Commission)? বাংলায় SIR হলে ‘ ৯০ লক্ষ নাম বাদ’ যাওয়ার আশঙ্কা আগেই করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। এখানেই প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। তাদের দাবি, অর্থাৎ, মুখ্যমন্ত্রী ভালোভাবেই জানেন, রাজ্যে কত ভুয়ো ভোটার রয়েছে। সেই নামগুলি কাটা গেলে, তৃণমূলের ভোট অনেকটাই কমে যাবে, সেই আশঙ্কা থেকেই কি বাধা দিচ্ছে রাজ্যের শাসক দল?

  • Nitish Kumar: বিধানসভায় নীতীশ-তেজস্বী তুমুল তর্কযুদ্ধ, কী বললেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী?

    Nitish Kumar: বিধানসভায় নীতীশ-তেজস্বী তুমুল তর্কযুদ্ধ, কী বললেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার (Bihar) বিধানসভার বাদল অধিবেশনে তুমুল হট্টগোল। বুধবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) সঙ্গে তর্কযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন বিরোধী দলনেতা তথা লালু প্রসাদের পুত্র তেজস্বী যাদব। এদিন নির্বাচন কমিশনের বিশেষ নিবিড় সংশোধন অভিযান নিয়ে ভাষণ দিচ্ছিলেন তেজস্বী। সেই সময় তাঁকে বাধা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পরেই শুরু হয়ে যায় নীতীশ-তেজস্বী তর্কযুদ্ধ।

    আপনি কী বলছেন (Nitish Kumar)

    বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনি কী বলছেন, কেনই বা এসব বলছেন? যখন আপনি ছোট ছিলেন, তখন আপনার বাবা সাত বছর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, আপনার মা-ও সাত বছর মন্ত্রী ছিলেন। তখন কী অবস্থা ছিল? আমি আপনার সঙ্গেও কিছুদিন ছিলাম। কিন্তু আপনি সঠিক কাজ করেননি। তাই আমি আপনার সঙ্গ ছেড়ে দিয়েছি। আমরা (জেডিইউ এবং বিজেপি) শুরু থেকেই একসঙ্গে ছিলাম এবং এভাবেই থাকব।” তিনি (Nitish Kumar) বলেন, “নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এসেছে। তাই প্রচারে কেউ যা খুশি, তা-ই বলতেই পারেন।”

    নীতীশ সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি

    এর পরেই নীতীশ তাঁর সরকার নারী এবং সংখ্যালঘুদের জন্য যেসব কাজ করেছে, তার ফিরিস্তি দেন। মহিলাদের উন্নয়নে বিরোধীরা কোনও কাজই করেনি বলেও এদিন তোপ দাগেন নীতীশ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার বিহারের উন্নয়নের জন্য রাজ্যকে এখনও সাহায্য করছে। আপনি মহিলাদের জন্য কী করেছেন? মুসলমানদের জন্য কী করেছেন? আমরা সব সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করেছি। আপনি জানেন তো?  আপনি তখন শিশু ছিলেন। পাটনায় কি কেউ অন্ধকার নামার পর বাইরে বের হতে পারতেন (Bihar)?”

    ভোটার তালিকা সংশোধনের যে কাজ বিহারে চলছে, তা নিয়েই শাসক জোট এবং বিরোধী দলের মধ্যে বিতণ্ডা হয় এদিন। তার পরেই স্পিকার নন্দ কিশোর যাদব দুপুর ২টো পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি ঘোষণা করেন। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই নির্বাচন কমিশন দাবি করেছিল যে, তারা জানতে পেরেছে ভোটার লিস্টে নাম থাকা ভোটারদের মধ্যে ১৮ লাখ মারা গিয়েছেন, ২৬ লাখ ভোটার অন্য কোনও নির্বাচনী এলাকায় স্থানান্তরিত হয়েছেন। প্রায় ৭ লাখ ভোটারের নাম রয়েছে (Bihar) পৃথক পৃথক জায়গার ভোটার তালিকায় (Nitish Kumar)।

  • TMC Rule: তৃণমূলের আমলে রাজ্য থেকে পাততাড়ি গুটিয়েছে ৬ হাজার ৬৮৮টি সংস্থা! সংসদে জানাল কেন্দ্র

    TMC Rule: তৃণমূলের আমলে রাজ্য থেকে পাততাড়ি গুটিয়েছে ৬ হাজার ৬৮৮টি সংস্থা! সংসদে জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির অস্মিতাকে হাতিয়ার করে ২১ জুলাই ধর্মতলার জনসভায় (West Bengal) হাওয়া গরম করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের (TMC Rule) সর্বময়কর্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরের দিনই তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের আমলে পশ্চিমবঙ্গে শিল্পের করুণ দশার ছবি তুলে ধরলেন কেন্দ্রীয় কর্পোরেট বিষয়ক, সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী হর্ষ মালহোত্রা। মঙ্গলবার রাজ্যসভায় তিনি জানান, ১ এপ্রিল ২০১১ থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত গত ১৪ বছরে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সরে গিয়েছে ৬ হাজার ৬৮৮টি সংস্থা। এদিন রাজ্যসভার সদস্য তথা বঙ্গ বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের এক প্রশ্নের উত্তরে এই তথ্য দেন মন্ত্রী। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের মে মাসে ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসানের পর রাজ্যের ক্ষমতায় আসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস।

    অমিত মালব্যর কটাক্ষ (TMC Rule)

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর জবাবের প্রেক্ষিতে বিজেপির জাতীয় আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা  করেন। তিনি লেখেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের আমলে ১ এপ্রিল ২০১১ থেকে ৩১ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৬ হাজার ৬৮৮টি কোম্পানি তাদের রেজিস্টার্ড অফিস অন্য ভারতীয় রাজ্যে স্থানান্তর করেছে। এই ৬ হাজার ৬৮৮টির মধ্যে ১১০টি কোম্পানি সেই সময় স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ছিল।” শানিত বাক্যবাণেও এদিন মালব্য বেঁধেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। তিনি বলেন, “এই ব্যাপক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলির স্থানান্তর রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনের শিল্প পরিবেশের একটি হতাশাজনক ছবি তুলে ধরে।” তিনি বলেন, “এক সময় যেখানে পশ্চিমবঙ্গ ছিল শিল্প-ব্যবসার কেন্দ্র, সেখানে আজ দুর্বল শাসন, নীতির অস্থিরতা এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থার অভাবের কারণে কোম্পানিগুলি রাজ্য ছেড়ে চলে যাচ্ছে (West Bengal)।”

    কী বললেন মন্ত্রী

    এদিন রাজ্যসভায় লিখিত জবাবে মন্ত্রী জানান, ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭ এবং ২০১৭-১৮ সালে যথাক্রমে ৮৬৯, ৯১৮ এবং ১,০২৭টি কোম্পানি পশ্চিমবঙ্গ থেকে অন্য রাজ্যে তাদের রেজিস্টার্ড অফিস স্থানান্তর করেছে। এই তিন বছরের সময়টা তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের প্রথম ও দ্বিতীয় মেয়াদের সঙ্গে মিলে যায় (TMC Rule)। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার আগেও শমীক এই ইস্যুটি তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন যে রাজ্য থেকে শিল্পপতিরা পালিয়ে যাচ্ছেন।

    আগেও প্রশ্ন করেছিলেন শমীক

    গত ডিসেম্বরেও রাজ্যসভায় শমীক মোট চারটি প্রশ্ন জমা দিয়েছিলেন। তারই একটি ছিল, ২০১৯ থেকে ২০২৪ এই পাঁচ বছরে পশ্চিমবঙ্গের ক’টি সংস্থা ঠিকানা বদলে অন্য রাজ্যে গিয়েছে? সেই সময়ও লিখিত বিবৃতিতে মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ভারতের কোম্পানি আইনের ১৩(৪) ধারা মোতাবেক যে কোনও সংস্থা তাদের ঠিকানা এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে নিয়ে যেতে পারে। এই স্থানান্তরের কারণ হিসেবে মন্ত্রী বলেন, “প্রশাসনিক কাজের সুবিধা-অসুবিধার জন্য অনেকে ঠিকানা বদল করেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা, পরিচালন খরচ এবং পরিচালনার সুবিধার মতো কারণও দেখিয়েছে অনেক সংস্থা (TMC Rule)।”

    বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনকে কটাক্ষ শমীকের

    কেন্দ্রের তরফে ওই তথ্য হাতে পেয়েই সেবার রাজ্য সরকার আয়োজিত বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন শমীক। তিনি বলেছিলেন, “এই রাজ্যে সরকারি খরচে ঢাকঢোল পিটিয়ে গ্লোবাল বিজনেস সামিট হয়। কিন্তু কোনও সংস্থা টিকে থাকে না। এটা আমরা অনেক দিন ধরেই বলছি (West Bengal)। এবার কেন্দ্রের রিপোর্টে সেটা সত্য বলে জানা গেল।” বিজেপি সাংসদ এও বলেছিলেন, “গোটা দেশেই যখন উন্নয়নের জোয়ার বইছে, নতুন নতুন বিনিয়োগ আসছে, তখন বাংলায় কাজের পরিবেশ না থাকায় একের পর এক সংস্থা রাজ্য ছেড়ে চলে যাচ্ছে (TMC Rule)। প্রসঙ্গত, বাম জমানায় শ্রমিক ধর্মঘট ও ‘বিদ্রোহে’র জেরে ঝাঁপ পড়েছিল একের পর কারখানায়। তৃণমূল জমানায় সেগুলির কোনওটিরও ঝাঁপ খোলেনি, বরং বন্ধ হয়ে গিয়েছে আরও অনেক সংস্থা। পেটের টানে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে ভিন রাজ্যে চলে যাচ্ছেন বহু বাঙালি। একুশের মঞ্চে এসবের ধারপাশ দিয়ে যাননি তৃণমূল নেত্রী। যদিও

    জনতার দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা মমতার

    শমীকের অভিযোগ খণ্ডন করতে ধর্মতলার সমাবেশ মঞ্চকেই বেছে নিয়েছিলেন মমতা। ওই সমাবেশে জনতার দৃষ্টি ঘোরাতে উল্টে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারকেই দোষেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ওরা (বিজেপি) বলে বাংলায় কাজ নেই, তাই মানুষ চলে যাচ্ছে। আমি তথ্য দিচ্ছি ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ২৩ হাজার মানুষ দেশ ছেড়েছেন। ২০১৯ সালে ৭ হাজার, ২০২০ সালে ৫ হাজার, ২০২১ সালে সাড়ে ৭ হাজার, ২০২২ সালে ৮ হাজার, ২০২৩ সালে ৫ হাজার ১০০, ২০২৪ সালে ৪ হাজার ৩০০ ও ২০২৫ সালে সাড়ে ৩ হাজার জন দেশ ছেড়েছেন। বিদেশমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী মোট ১৭ লাখ ১০ হাজার ৮৯০ জন দেশ ছেড়েছেন। কিন্তু কোনও শিল্পপতিকে (West Bengal) বাংলার বাইরে যেতে হয়নি। বরং তাঁরা বাংলায় আসছেন। কারণ এখানে ব্যবসার প্রসার ঘটছে।” যদিও তিনি জানাননি, কোন কোন শিল্পপতি বাংলায় আসছেন, কতগুলিই বা শিল্প হয়েছে (TMC Rule)।

  • Shamik Bhattacharya: তৃণমূলের নয়া হাতিয়ার বাঙালি অস্মিতা, মমতাকে ধুয়ে দিলেন শমীক

    Shamik Bhattacharya: তৃণমূলের নয়া হাতিয়ার বাঙালি অস্মিতা, মমতাকে ধুয়ে দিলেন শমীক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোঁতা হয়ে গিয়েছে মুসলমানদের নিয়ে তৃণমূলের তৈরি করা হাতিয়ার। তাই এবার নয়া অস্ত্র তৈরি করে ফেলেছেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছাব্বিশের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে সোমবারই ছিল শেষ ২১ জুলাই। এদিন ধর্মতলার জনসভায় (পোশাকি নাম শহিদ দিবস। তবে এটা বললে যাঁরা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন, তাঁদের অপমান করা হয়। কারণ যেদিনের ঘটনা নিয়ে এদিন তর্পণ (!) করা হল, সেটি ছিল আদতে একটি নিখাদ রাজনৈতিক কর্মসূচি, তাও তৃণমূলের নয়, যুব কংগ্রেসের। কংগ্রেসের দাবি, তাদের কর্মসূচিকে হাইজ্যাক করা হয়েছে।) আগামী বিধানসভা নির্বাচনের সুর বেঁধে দিয়েছেন।

    তুরুপের তাস বাঙালির অস্মিতা (Shamik Bhattacharya)

    ওই নির্বাচনে তৃণমূলের তুরুপের তাস যে হতে যাচ্ছে বাঙালির অস্মিতা, এদিন তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো স্বয়ং। ধর্মতলার সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)। বরং এজন্য তৃণমূল নেত্রীকেই কাঠগড়ায় তোলেন শমীক। এদিন রোদ ঝলমলে দিনে যখন কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা অবরুদ্ধ করে দিয়েছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা, তখন দিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি বলেন, “অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গাদের (মায়ানমারের মুসলমান) আশ্রয় দিচ্ছে তৃণমূল। ওদের আমরা তাড়াবই।”

    কী বললেন শমীক?

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে নিশানা করে শমীক বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস বাংলা ভাষাকে আক্রমণ করছে। তৃণমূল কংগ্রেস রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে আক্রমণ করছে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা বন্দে মাতরমকে আক্রমণ করেছেন। আক্রমণ করেছেন ঋষি বঙ্কিমচন্দ্রের অমর সৃষ্টিকে।” তিনি (Shamik Bhattacharya) বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসকে ভুলিয়ে দেওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কংগ্রেসের যে হিন্দু সাংসদরা নিজেদের অবস্থান বদল করে পশ্চিমবঙ্গ সৃষ্টির পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন, সেই ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।” তৃণমূল নেত্রীর দাবিকে কটাক্ষ করে শমীক বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী না কি ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমিয়ে দিয়েছেন! বেকারত্ব কমেছে কীভাবে? চপ শিল্প, চায়ের দোকানকে এমএসএমই-র মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে পরিসংখ্যান বিকৃত করা হচ্ছে।”

    মমতাকে গুচ্ছের প্রশ্ন শমীকের

    তৃণমূল নেতৃত্বের দিকে এদিন এক গুচ্ছ প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Shamik Bhattacharya)। শমীক বলেন, “কত পরিযায়ী শ্রমিক পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে ভিনরাজ্যে কাজ করছেন? পশ্চিমবঙ্গের মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা কেন পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন?” তিনি বলেন, “সামান্যতম আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর অভিভাবকরা তাকে ভিন রাজ্যে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন। কেন বেঙ্গালুরু শহরের দ্বিতীয় কথ্য ভাষা বাংলা? কেন সেখানে ১৪ লাখ ৬০ হাজার ছেলেমেয়ে চাকরি করছে? তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে কত মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন?”

    অনুপ্রবেশ ইস্যুতেও তৃণমূলকে তুলোধনা

    অনুপ্রবেশ ইস্যুতেও তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়েছেন শমীক (Shamik Bhattacharya)। তিনি বলেন, “যাঁরা এক সময় এ দেশ ছেড়ে ও দেশে চলে গিয়েছিলেন, তাঁরা আবার ফিরে আসছেন। যাঁরা এই দেশটাকে ‘দার ইল হর্ব’ বলতেন, ‘নাপাক’ বলতেন, যাঁরা ওপারে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করে আবার এখানে এসে ঢুকেছেন, আমরা তাঁদের চিহ্নিত করতে চাই। তাঁদের ফেরত পাঠাতে চাই (TMC)।” বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “সিপিএমের সময় থেকে যেভাবে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার লিস্টে নাম তোলা হয়েছিল, রেশন কার্ড পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল, খাস জমি পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেই একই পথ অনুসরণ করে সেটাকে আরও কদর্যভাবে বাস্তবায়িত করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। রোহিঙ্গাদের ডেকে এনে বিভিন্ন জায়গায় বস্তিতে বসানো হয়েছে। কলকাতার ভিতরে বসানো হয়েছে। বিধাননগরে বসানো হয়েছে।”

    রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও প্রশ্রয়

    তিনি (Shamik Bhattacharya) বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব জেলায় রোহিঙ্গাদের বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিল, সেখানকার কক্সবাজারের কী অবস্থা? ওপারে সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হচ্ছেন, আর পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি সীমান্তবর্তী জেলায় সংখ্যালঘুরা উৎসব পালন করছেন!” এদিন ধর্মতলার সমাবেশে বিদ্যুৎ ও জলের সংযোগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। সে প্রসঙ্গে শমীক বলেন, “যেখানে বিজেপির সরকার রয়েছে, সেখানে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে চলা হয়। ধর্মতলায় একটি লাইন থেকে যেভাবে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ছড়ানো হয়েছিল, সেই জন্যই সংযোগ কাটা হয়েছে।”

    কী বললেন শুভেন্দু?

    এদিকে, এদিন শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপির যুব মোর্চা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। উত্তরবঙ্গ রওনা (Shamik Bhattacharya) হওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শুভেন্দু। তৃণমূলের শহিদ দিবসকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “ওটা সভা নয়, ওখানে পাগলু ডান্স হবে।” শুভেন্দু বলেন, “দেখছেন না নাচতে নাচতে আসছে। জলঙ্গি থেকে বাসের ভেতরে (TMC) নাচতে নাচতে আসছে বাজনা বাজিয়ে। পুরুলিয়া থেকে জোর করে যাদের আনা হয়েছিল, তারা ইতিমধ্যেই পালিয়েছে।”

LinkedIn
Share