Tag: bjp

bjp

  • Hiranmoy Chattopadhyay: প্রচারের মাঝেই আচমকা সেলুনে বিজেপি প্রার্থী, ৮২ দিন পর চুল কেটে চর্চায় হিরণ

    Hiranmoy Chattopadhyay: প্রচারের মাঝেই আচমকা সেলুনে বিজেপি প্রার্থী, ৮২ দিন পর চুল কেটে চর্চায় হিরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের প্রচারে সারাদিন ব্যাপক ব্যস্ততায় প্রচার অভিযানে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiranmoy Chattopadhyay)। দলীয় কর্মসূচি, রোড শো, পথসভা, জনসভা ইত্যাদির চাপে ঠিক নেই স্নান-খাওয়ার সময়। এমনকী চুল কাটারও সময়ও পাননি তিনি। অবশেষে নির্বাচনী ব্যস্ততার মধ্যে আজ ৮২ দিন পর চুল কেটে চাঞ্চল্য ফেলে দিলেন এই প্রার্থী। আজ দাসপুরের হরিরামপুরে নির্বাচনী প্রচারে এসেছিলেন হিরণ। সেখানেই হঠাৎ এলাকার একটি সেলুনে ঢুকে পড়েন তিনি। এরপর সেখানে কেটে ফেললেন নিজের চুল-দাড়ি। বিজেপির এই তারকা প্রার্থী হিরণকে দেখতে পেয়ে বেজায় খুশি সেলুনের মালিক রতন নাপিত। এলাকায় এই নিয়ে ভোটের প্রচার জমে উঠেছে।

    অভিনব ভোট প্রচার (Hiranmoy Chattopadhyay)

    ঘটালের প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiranmoy Chattopadhyay) নাপিতের দোকানে গেলে আসে পাশের অনেক মানুষ তাঁকে দেখার জন্য ভিড় জমান। দোকানের নাপিত বলেন, “আগে এত বড় মাপের কেউ আমাদের এই দোকানে আসেননি। খুব ভালো লাগছে।” ইতিমধ্যে তাঁকে দেখতে আসা প্রার্থীরা জয় শ্রী রাম ধ্বনি দিতে শুরু করে। অনেকেই তাঁকে ফুলের মালা পড়িয়ে দেন। উল্লেখ্য একই ভাবে নির্বাচনী প্রচারে অভিনব প্রচার করে তাক লাগিয়েছিলেন দক্ষিণ মালদার প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র। তিনি দোকানে সবজি বিক্রি করে, চায়ের দোকানে চা বানিয়ে চমক দিয়ে ছিলেন।

    আরও পড়ুনঃ পুলিশকে পেটানোর অভিযোগে গেফতার ৭ তৃণমূল কর্মী, শোরগোল

    কী বললেন হিরণ?

    এদিন চুল কেটে নাপিতকে ১০০ টাকা দেন হিরণ (Hiranmoy Chattopadhyay)। তারপরে বলেন, “আজ ৮২ দিন পর চুল দাড়ি কাটলাম। নির্বাচনের ব্যস্তার জন্য চুল কাটা হয়নি। ৮২ দিন ধরে হেঁটে চলেছি। সকাল ৯ টা থেকে রাত্রি ১১ টা পর্যন্ত প্রচার কাজে থাকি। এই জায়গা দিয়ে যাচ্ছিলাম তাই রতনদা বললেন আমার দোকান দেখে যান। ওর ডাকেই আজ ঢুকে পড়লাম। আগে তো মাটিতে ইটে বসে চুল কাটাতাম। আমি কোনও বড় মানুষ নই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: “এটাও জেতা সিট, তাই লক্ষাধিক মার্জিনে জিততে চাই”, শেষ বেলার প্রচারে আত্মবিশ্বাসী দিলীপ

    Dilip Ghosh: “এটাও জেতা সিট, তাই লক্ষাধিক মার্জিনে জিততে চাই”, শেষ বেলার প্রচারে আত্মবিশ্বাসী দিলীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ বেলা আজ নিজের কেন্দ্রে প্রচার সারলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। আমরাই ধোবি ঘাট এলাকায় রোড শো করে শেষে চা চক্রে যোগদান করেন তিনি। তাঁকে উদ্দেশ্য করে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, মেদিনীপুর না দুর্গাপুর-বর্ধমান লোকসভা আসনে এসে কোনটা বেশি চ্যালেঞ্জিং মনে হচ্ছে? উত্তরে দিলীপ বলেন, “এটাও জেতা সিট, তাই লক্ষাধিক মার্জিনে জিততে চাই।” এলাকার কর্মীরা আমার সঙ্গে আছেন। অপর দিকে গতকাল তাঁর রোড শোকে কমিশন আটকালে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। দিলীপ বলেন, সময়মতো আমাদের রোড-শো চলায় আটকে দেওয়া হয়েছে।” আগেও তাঁর সভা আটকানোর বিরুদ্ধে তৃণমূল এবং পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে ছিলেন তিনি।

    দেবের বিরুদ্ধে তোপ (Dilip Ghosh)

    আবার গতকাল ঘটাল কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী দেব প্রচার করে গিয়েছেন দুর্গাপুর-বর্ধমানলোকসভা কেন্দ্রে। দেব কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) বলেন, “মেদিনীপুর ছেড়ে এখানে আসতে হলো।” প্রত্যুত্তরে আজ দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমি মেদিনীপুরের ছেলে মেদিনীপুরে ফিরে যাব কিন্তু ও কোথায় যাবে! তৃণমূলের স্টার প্রচারক কিন্তু সংসদে যান না। এলাকার উন্নয়ন নিয়ে কোনও ভূমিকা রাখেন না। তৃণমূল যেমন দেবও তেমনি। সব চোরের দল।” সন্দেশখালির কয়েকজন মহিলার বিরুদ্ধে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তৃণমূলের পক্ষ থেকে ওই সমস্ত মহিলাদের চিহ্নিত করে মিথ্যা অভিযোগ এবং অপপ্রচার করা হচ্ছে। দিলীপ ঘোষ বলেন, “পুলিশ তৃণমূলের হয়ে তাবেদারি করছে। পুলিশ নিয়ে আমরা ভাবি না।”

    আরও পড়ুনঃ “বিজেপি ক্ষমতায় এলে মিথ্যা মামলা দেওয়া পুলিশ কর্মীদের ক্লোজ করা হবে”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী

    শেষ প্রচারের আসরে নেমে দিলীপ বলেন, “আমরা প্রত্যন্ত এলাকায় কাজ করছি। আমাদের কর্মীরা বুথে বথে কাজ করে চলেছেন। আমি জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। আমি শেষ বেলায় সব এলাকায় যাচ্ছি। এখানে কোনও বাধা নেই। তবে তৃণমূল যে আছে এটা জানাতে ওঁরা মাঝে মাঝে গো ব্যাক শ্লোগান দেন। এমনকী কোথাও কোথাও কালো পতাকা দেখিয়ে থাকেন। তবে পুলিশ যদি ঠিক করে কাজ করেন তাহলে মানুষ নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। প্রশাসন তৃণমূলের হয়ে কাজ না করলেই ভালো।” তবে শেষ দিনের প্রচারে ভোটারদের মন জয় করতে ব্যাপক জমজমাট চিত্র লক্ষ্য করা গেল।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “বিজেপি ক্ষমতায় এলে মিথ্যা মামলা দেওয়া পুলিশ কর্মীদের ক্লোজ করা হবে”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “বিজেপি ক্ষমতায় এলে মিথ্যা মামলা দেওয়া পুলিশ কর্মীদের ক্লোজ করা হবে”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমে দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পাশাপাশি পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন। শুক্রবার দলীয় প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্যের সমর্থনে বীরভূমে প্রচারে ঝড় তোলেন তিনি। বিরোধী দলনেতার বক্তব্যে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন।

    তৃণমূল নেতাদের সতর্ক করলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    শুক্রবার বীরভূমের সিউড়ি ২ ব্লকের পুরন্দরপুরে বিজেপি প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্যের সমর্থনে নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, এই ব্লকের তৃণমূল সভাপতি নুরুল ইসলাম এবং তৃণমূল নেতা অশ্বীনি মণ্ডল কাউকে হুমকি দিলে আমাকে মেসেজ করবেন। ভোটের দিন যদি পাড়ায় আটকে রাখে তাহলে আমাকে বুথ নম্বর এবং পোলিং নম্বর দিয়ে মেসেজ করবেন। ১৫ মিনিটের মধ্যে সিআরপিএফ চলে যাবে কথা দিলাম। কীভাবে এদের কোমর ভাঙতে হয় জানি। আমরা দিনহাটায় উদয়ন গুহকে বাড়ি থেকে বের হতে দিইনি। ফলে, তৃণমূলের কোনও দাদাগিরি চলবে না।

     মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো পুলিশ কর্মীদের বিজেপি ক্ষমতায় আসলে ক্লোজ করা হবে

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘আমি কেষ্টকেও সতর্ক করেছিলাম। এখন তিহাড়ে গড়াগড়ি খাচ্ছে।’ এরপর স্থানীয় শুভেন্দু- নুরুল ইসলাম, অশ্বিনী মণ্ডল, বলরাম বাগদী, রাজু মুখোপাধ্যায়ের নাম করে তাঁদের তিনি সতর্ক করেন। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর প্রসঙ্গ তোলেন শুভেন্দু  পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যে সমস্ত পুলিশ মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছে বিজেপি ক্ষমতায় আসলে তাদের ক্লোজ করা হবে। আর অবসর নিলে অবসরকালীন সুবিধা বন্ধ করে দেবে।’ তিনি ঘোষণা করেন, মিথ্যা মামলায় যাঁদের জেল খাটতে হচ্ছে। বিজেপি ক্ষমতায় আসলে তাদের ৫০০০ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। সেটা হল ‘সংগ্রামী ভাতা।’ এদিনও তিনি লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল বলছে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হয়ে যাবে। আমি বলছি বিজেপি ক্ষমতায় এলে ৩ হাজার টাকা করে দেব লক্ষ্মীর ভান্ডার। রাজস্থানের মতো ৪৫০ টাকা করে গ্যাস করে দেব।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “চ্যালেঞ্জ করছি কারও ক্ষমতা থাকলে সিএএ-তে হাত লাগিয়ে দেখুক”, হুঁশিয়ারি দিলেন অমিত শাহ

    Amit Shah: “চ্যালেঞ্জ করছি কারও ক্ষমতা থাকলে সিএএ-তে হাত লাগিয়ে দেখুক”, হুঁশিয়ারি দিলেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভোটের জন্য সিএএ করতে দিচ্ছেন না মমতা। বিরোধিতা করছেন। চ্যালেঞ্জ করছি কারও ক্ষমতা থাকলে সিএএ-তে হাত লাগিয়ে দেখুক।” শুক্রবার অমিত শাহ (Amit Shah) রানাঘাটের প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের হয়ে প্রচারে এই ভাষাতেই তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শাহের প্রশ্ন, “সিএএ এই দেশে আসা উচিত কি না! বহু মানুষ আজ নাগরিকত্ব পাননি। অনুপ্রবেশকারীদের ঠাঁই দিচ্ছে মমতার সরকার। কিন্তু মতুয়াদের নাগরিকত্বের বিরোধিতা করছে।আমরা সকলকে নাগরিকত্ব দেব।”

    মোদিকে প্রধানমন্ত্রী করতে বিজেপিকে ভোট দিন (Amit Shah)

    রানাঘাটের মাজদিয়া রেল বাজার হাই স্কুলের মাঠে সভা বিজেপি। সেখানে বক্তৃতা করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রানাঘাটে তৃণমূলের প্রার্থী বিজেপি ছেড়ে আসা মুকুটমণি অধিকারী। বক্তৃতায় তাঁকে বার বার কটাক্ষ করলেন সুকান্ত। জানালেন, এই ভোট হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকে সামনে রেখে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। নদিয়াবাসীর পক্ষ থেকে অমিত শাহকে স্বাগত জানালেন দলীয় কর্মীরা। তার পরেই মঞ্চে উঠলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমার সঙ্গে বলুন, ‘ভারত মাতার জয়’। ‘জয় শ্রীরাম’।”এর পর একে একে মঞ্চে উপস্থিত বিজেপি নেতা, কর্মীদের নাম নেন শাহ (Amit Shah)। উপস্থিত সকলকে নমস্কার জানিয়ে তিনি বলেন, “আপনাদের উৎসাহের জন্য প্রণাম জানাই। এখানে এক ইঞ্চিও জায়গা রাখেননি। জগন্নাথজিকে জয়ী করানোর জন্য সকলে এসেছেন। জগন্নাথকে কমল চিহ্নে দেওয়া প্রতি ভোট নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী করবে। জগন্নাথকে দেওয়া ভোট মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেবে।”

    আরও পড়ুন: গরমে ২৪ দিন নির্জলা থাকবে শিলিগুড়ি! দুর্ভোগে পুরবাসী, তৃণমূলকে দায়ী করল বিজেপি

    দুর্নীতিতে এক নম্বরে মমতার সরকার

    অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “রামমন্দির আগেই হওয়া উচিত ছিল কি না! এই কংগ্রেস, তৃণমূল, কমিউনিস্টেরা আটকে রেখেছিল এত বছর। দ্বিতীয় বার আপনারা প্রধানমন্ত্রী করেছেন। মামলা জিতে, ভূমিপুজো করে রামমন্দির করেছেন মোদি। আজ বলতে চাই, মোদিজি ১০ বছরে ৮০ কোটি গরিবের জন্য অনেক কাজ করেছেন। প্রতি মাসে যে ৫ কেজি চাল আসে, তা মোদি দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন। সন্দেশখালির প্রসঙ্গে শাহ বলেন, “মমতা একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর উপস্থিতিতে মহিলাদের শোষণ করা হয়েছে ধর্মের ভিত্তিতে। করেছেন ওঁর নেতারা। ওঁর লজ্জা করা উচিত। সিবিআই তদন্ত করছে। বাংলার মা, বোনদের চিন্তার দরকার নেই। আমরা সন্দেশখালি অপরাধীদের উল্টো ঝোলাব। শাহ জানান, দুর্নীতিতে ‘এক নম্বরে মমতার সরকার। শিক্ষক, পুরনিয়োগ থেকে রেশন, কয়লা সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতি করেছে মমতার সরকার।

    কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে, ভয় পাবেন না

    শাহ (Amit Shah) বলেন, “মমতার মন্ত্রীর ঘর থেকে ৫০ কোটি টাকা মিলেছে। এই সভায় কেউ এত টাকা দেখেছেন? এই টাকা কার? এই টাকা রানাঘাটের গরিব যুবকদের। এই মমতা এবং তৃণমূল এই কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করছে। যাঁরা দুর্নীতি করেছেন, তাঁদের ভয় পাবেন না।” তিনি আরও বলেন, “রাজ্যে এই যে বিস্ফোরণ হচ্ছে, সকলকে ভয় দেখানোর জন্য করাচ্ছেন মমতা। রানাঘাটবাসীকে বলছি, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছি আমরা। ভয় পাবেন না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Himanta Biswa Sarma: পেট্রোল-ডিজেলে ‘অতিরিক্ত ট্যাক্স মমতার’, আক্রমণ হিমন্ত বিশ্বশর্মার

    Himanta Biswa Sarma: পেট্রোল-ডিজেলে ‘অতিরিক্ত ট্যাক্স মমতার’, আক্রমণ হিমন্ত বিশ্বশর্মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংহের সমর্থনে জগদ্দল বিধানসভার শ্যামনগর অন্নপূর্ণা মাঠে জনসভায় বক্তব্য রাখলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। রাজ্যে তৃণমূল শাসনে একধিক বিষয়ে মমতাকে তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি। আসাম সরকারের সরকারি প্রকল্প এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সরকারি প্রকল্পের নানা বিষয়ে তৃণমূলকে তোপ দাগলেন। পশ্চিমবঙ্গে পেট্রোল-ডিজেলের লিটার পিছু মূল্য নিয়ে অতিরিক্ত ট্যাক্স নেওয়ার অভিযোগ তোলেন তিনি। একই সঙ্গে লক্ষ্মীর ভান্ডারে টাকার পরিমাণ কম পান বাংলার মা-বোনেরা, এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী।

    কী বলেল হিমন্ত বিশ্বশর্মা(Himanta Biswa Sarma)?

    আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বলেন, “আসামে গোয়াহাটিতে পেট্রোলের লিটার ৯৬ টাকা আর পশ্চিমবঙ্গে পেট্রোলে লিটার ১০৩ টাকা। পেট্রোলে লিটার পিছু সাত টাকা করে বেশি নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার ডিজেলের লিটার পিছু নিচ্ছে তিন টাকা করে। সেই কারণেই পশ্চিমবঙ্গে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের মহিলারা হাজার টাকা করে লক্ষ্মীর ভান্ডার পায় কিন্তু আসামের মহিলারা ১২৫০ টাকা করে লক্ষ্মীর ভান্ডার পায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে পেট্রোল ও ডিজেল এ অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে তাতে এই পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের ২০০০ টাকা করে লক্ষীর ভান্ডার পাওয়া উচিত।”

    নিয়োগ নিয়ে আক্রমণ

    বাংলায় শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma) বলেন, “আসামে আমরা প্রথম বছরে ১ লক্ষ যুবকের সরকারি চাকরি দিয়েছি। কিন্তু সেই চাকরি নিয়ে কোনও হাইকোর্ট বা সুপ্রিমকোর্ট হয়নি বা কোনও মন্ত্রীর বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হয়নি, তাই আসামে গিয়ে কীভাবে সাধারণ যুবকদের চাকরি দিতে হয় তা মুখ্যমন্ত্রীকে শিখে আসার জন্য আহ্বান জানাই। অথচ এই রাজ্যের তৃণমূল মন্ত্রীর বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। বেকার যুবকদের স্বপ্ন ধ্বংস করে দিয়েছেন মমতা।” বাংলায় তৃণমূল শাসনকে মুক্ত করতে এদিন জনসভার মঞ্চ থেকে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করে অর্জুন সিং-কে জেতানোর জন্য আহ্বান জানান।

    আরও পড়ুনঃসন্দেশখালির ‘ভুয়ো ভিডিও’ প্রসঙ্গে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপির গঙ্গাধর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “সন্দেশখালির পাপ ঢাকার জন্য তৃণমূল অনেক কিছু করবে”, বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: “সন্দেশখালির পাপ ঢাকার জন্য তৃণমূল অনেক কিছু করবে”, বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শশী পাঁজা একজন মহিলা এবং মন্ত্রী তিনি কেন সন্দেশখালি নিয়ে মূর্খের মতো কথা বলছেন বুঝতে পারছি না। অপেক্ষা করুন সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। শুক্রবার তিনি নদিয়ার কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের সমর্থনে রোড শো করতে আসেন।

    সুকান্তর রোড শোয়ে জনজোয়ার (Sukanta Majumdar)

    এদিন কৃষ্ণনগর লোকসভার ভীমপুর থানার আশাননগর উচ্চ বিদ্যালয় এর সামনে থেকে শুরু হয় রোড শো। প্রায় দুই কিলোমিটার দূরত্বে ভীমপুর বাজারে শেষ হয় এই রোড শো। এই রোড শোয়ে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা উপস্থিত হওয়ার কথা থাকলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তিনি আসতে পারেননি। এদিন সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) এই রোড শোয়ে বিজেপি কর্মীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। রোড শোয়ে সাধারণ মানুষের ভিড়ে জনজোয়ারের আকার নেয়। আগামী ১৩ ই মে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন। সেই কারণেই শেষ পর্যায়ের প্রচারে ব্যস্ত প্রতিটি রাজনৈতিক দল। কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন বহু বিতর্কিত নেত্রী মহুয়া মৈত্র। তাঁর বিরুদ্ধে এবার বিজেপি কিছুটা চমক দিয়ে প্রার্থী করেছেন কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পরিবারের সদস্যা তথা রাজবধূ অমৃতা রায়কে। এবারের কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন অনেকটাই হাড্ডাহাড্ডি হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    আরও পড়ুন: গরমে ২৪ দিন নির্জলা থাকবে শিলিগুড়ি! দুর্ভোগে পুরবাসী, তৃণমূলকে দায়ী করল বিজেপি

    সন্দেশখালির পাপ ঢাকার জন্য তৃণমূল অনেক কিছু করবে

    এদিন রোড শো শুরু করার আগে সাংবাদিকদের সন্দেশখালি নিয়ে প্রশ্নে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন,  অপেক্ষা করুন সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। সন্দেশখালিতে কোথা থেকে টাকা আসছে সবাই তা জানে। সন্দেশখালির পাপ ঢাকার জন্য তৃণমূল অনেক কিছু করবে। পাশাপাশি শশী পাঁজা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি একজন মহিলা এবং রাজ্যের মন্ত্রী হয়ে কীভাবে সন্দেশখালি নিয়ে মুর্খের মতো কথা বলতে পারেন। সেখানে রাজ্য পুলিশ ১৬৪ ধারায় মহিলাদের বয়ান নিয়েছে। সন্দেশখালির মহিলারা পুলিশের সামনেই আদালতে ধর্ষনের ঘটনা কথা অভিযোগ করেছিলেন। এখানে বিজেপির কোনো সম্পর্ক নেই। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে যে নোংরামি চলছে তা সময়ে এলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali news: সন্দেশখালির ‘ভুয়ো ভিডিও’ প্রসঙ্গে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপির গঙ্গাধর

    Sandeshkhali news: সন্দেশখালির ‘ভুয়ো ভিডিও’ প্রসঙ্গে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপির গঙ্গাধর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও শিরোনামে সন্দেশখালি। এবার সন্দেশখালির (Sandeshkhali news) ভাইরাল হওয়া ‘ভুয়ো ভিডিও’ প্রসঙ্গে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়াল। অভিযোগ, তাঁর ছবি ব্যবহার করে ‘ভুয়ো’ ভিডিও তৈরি করা হয়েছে। তার পর তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সমাজমাধ্যমে। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলার অনুমতি চেয়েছেন গঙ্গাধর। অনুমতি দিয়েছে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চ। আগামী সোমবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। 

    উল্লেখ্য, সন্দেশখালির যে ভিডিও ভাইরাল (sandeshkhali viral video) হয়েছিল তাতে স্থানীয় বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালকে দেখা গিয়েছিল। ভিডিওতে দেখা যায়, অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের কাছে তিনি নিজে স্বীকার করছেন, সন্দেশখালির আন্দোলন সাজানো। টাকার বিনিময়ে সেখানকার মহিলারা তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং অত্যাচারের ভুয়ো অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভিডিওতে বিজেপি নেতা গঙ্গাধরকে বলতে শোনা গেছিল, “বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন অভিযোগকারী মহিলাদের। সন্দেশখালির ঘটনা পুরোটাই সাজানো। ২০০০ টাকা দিয়ে তাদের ভুয়ো অভিযোগ করতে বলা হয়েছিল।” এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় শুরু হয় রাজ্যে। 

    কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ গঙ্গাধর

    এবার সেই ভিডিও ইস্যুতে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন গঙ্গাধর। যদিও বিষয়টি নিয়ে ইতমধ্যেই সিবিআই-এর কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন তাঁরা। তাই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার জন্য বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে আবেদন জানান। এই বিষয়ে বিচারপতি বলেন, “কী করে সিবিআই সরাসরি এই ভাবে মামলা নেবে? তাছাড়া সন্দেশখালির সব মামলা এখন ডিভিশন বেঞ্চে। মামলা দায়ের হোক। সোমবার শোনা হবে।” 

    আরও পড়ুন: ভোটের মধ্যেই হুগলিতে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বাড়ি ও অফিসে আয়কর হানা

    বিজেপির দাবি 

    এ প্রসঙ্গে যদিও ভিডিওটিকে প্রথম থেকেই ‘ভুয়ো’ বলে দাবি করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই ভিডিও তৈরি করা হয়েছে। তৃণমূল ভুয়ো ভিডিও তৈরি করে সন্দেশখালি (Sandeshkhali news) নিয়ে মানুষের ক্ষোভ কমানোর চেষ্টায় রয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Rekha Patra: গরিবের মেয়ে বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের সম্পত্তি কত জানেন?

    Rekha Patra: গরিবের মেয়ে বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের সম্পত্তি কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন সন্দেশখালির প্রতিবাদী চরিত্র গরিবের মেয়ে রেখা পাত্র (Rekha Patra)। বিজেপির কাছে এই কেন্দ্র ভীষণ আকর্ষণীয়। সম্প্রতি সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের ঘটনায় সারা দেশ ব্যাপি ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। তৃণমূলনেতা শেখ শাহজান এবং তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগে উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা এলাকায়। লোকসভা ভোটে গতকাল নিজের কেন্দ্রে মনোনয়ন করেছেন রেখা পাত্র। মনোনয়ন অনুযায়ী তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ কত আসুন জেনে নিই।

    সাধারণ একজন গৃহবধূ (Rekha Patra)

    নিজের মনোনয়নে রেখা পাত্র (Rekha Patra) জানিয়েছেন, তিনি নিজে সাধারণ একজন গৃহবধূ। তাঁর স্বামী সন্দীপ পাত্র। তিনি নিজে পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন তাঁর স্বামী। নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে রেখা আরও জানিয়েছেন, উত্তর বউঠাকুরানি এফপি বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাশ করেছেন ২০০৩ সালে। এটাই তাঁর সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা।

    নগদ অর্থ কত?

    রেখা (Rekha Patra) তাঁর হলফ নামায় নিজের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কে জানিয়েছেন, তাঁর হাতে মাত্র নগদ টাকা রয়েছে তিন হাজার টাকা। তবে নির্বাচনী অ্যাকাউন্ট সহ তাঁর আরও দুটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ওই দুটি অ্যাকাউন্টের মধ্যে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় রয়েছে। এই অ্যাকাউন্টে রয়েছে মাত্র ১০ হাজার ৭৬৪.৫৪ টাকা। তবে এছাড়া তাঁর হাতে নগদ অর্থ নেই। আবার স্বামী সন্দীপ পাত্রের নামে একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এই অ্যাকাউন্টে রয়েছে মাত্র ৪ হাজার ৬৯২ টাকা। রেখা পাত্র অথবা স্বামীর কাছে এর বাইরে কোনও টাকা নেই। নগদ টাকা ছাড়া ফিক্সড ডিপোজিট, অলংকার নেই। সেই সঙ্গে কোনও যানবাহন নেই বলে জানিয়েছেন রেখা।

    আরও পড়ুনঃভোটের মধ্যেই হুগলিতে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বাড়ি ও অফিসে আয়কর হানা

    স্থাবর সম্পত্তি কত?

    রেখা পাত্র (Rekha Patra) এবং তাঁর স্বামীর স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ হল দুই জনের নামে কোনও চাষের জমি নেই। এছাড়াও অচাষযোগ্য জমিও নেই। তাঁদের কোনও পাকা বাড়ি বা কোনও ঋণ নেই। সব মিলিয়ে স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ শূন্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Income tax raid: ভোটের মধ্যেই হুগলিতে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বাড়ি ও অফিসে আয়কর হানা

    Income tax raid: ভোটের মধ্যেই হুগলিতে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বাড়ি ও অফিসে আয়কর হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করতেই হুগলিতে আয়কর দফতরের (Income tax raid) হানা তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বাড়ি ও অফিসে। তৃণমূলের অবশ্য বক্তব্য বিজেপির নির্দেশেই এই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। অপরে বিজেপি নেত্রী লকেট অবশ্য জানিয়েছেন দুর্নীতি করলে কেউ ছাড় পাবে না। ভোটের মধ্যে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছে।

    মগড়া ও বাঁশবেড়িয়ায় আয়করের হানা (Income tax raid)

    শুক্রবার সকালে হুগলির মগড়া ও বাঁশবেড়িয়ার তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী কমল দাস, বৈদ্যনাথ সাহা, সত্যরঞ্জন শীল, দিলপ্রীত সিংহ, অভিজিৎ ঘটক সহ একাধিক ব্যবসায়ীর বাড়িতে এবং অফিসে হানা (Income tax raid) দিয়েছে আয়কর দফতর। আয়কর দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। উল্লেখ্য গত ৩ এপ্রিল তারিখে বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় এই ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। এই ব্যবসায়ীরা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ উঠেছিল। এরপর থেকেই হানা বলে মনে করা হচ্ছে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    স্থানীয় জেলার হুগলি-শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি অরিন্দম গুইন বলেন, “ব্যবসা করা কী অপরাধ? নাকি তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ হওয়ায় অপরাধ? বিজেপির নেত্রী আগেই বলে রেখেছেন ইডি কোথায় যাবে। এছাড়াও আয়কর দফতর (Income tax raid) কোথায় যাবে এই কথাই ঘোষণা করেছিলেন তিনি। সমস্ত এজেন্সি এখন বিজেপির হয়ে কাজ করছে।”

    আরও পড়ুনঃ “শাহজাহানের বিরুদ্ধে এফআইআর তুলে নিতে বলেছিল পুলিশ”, বিস্ফোরক রেখা পাত্র

    কী বললেন লকেট?

    আয়কর দফতরের (Income tax raid) হানা প্রসঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে সিন্ডিকেট তোলাবাজি চলছে। যারা এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাদের ছাড়া যাবে না। দেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন না খাবো, না খেতে দেবো। আমরা তাঁর সৈনিক। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলবে। রাজ্যের দুর্নীতি, গুন্ডাগিরি, মাফিয়ারাজ চলছে রাজ্যে। এই অপ শাসনের শেষ দেখতে চাই। দুর্নীতির করলে কেউ ছাড় পাবন না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: গরমে  ২৪ দিন নির্জলা থাকবে শিলিগুড়ি! দুর্ভোগে পুরবাসী, তৃণমূলকে দায়ী করল বিজেপি

    Siliguri: গরমে ২৪ দিন নির্জলা থাকবে শিলিগুড়ি! দুর্ভোগে পুরবাসী, তৃণমূলকে দায়ী করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র গরমের মধ্যে শুক্রবার থেকে আগামী ২৪ দিন নির্জলা থাকবে শহর শিলিগুড়ি (Siliguri)। পুরসভার তরফে বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে সে কথা জানানো হয়েছে। ফলে, চরম দুর্ভোগের আশঙ্কা শহরবাসীর। পুর কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন পুরবাসী।

    কেন জল সঙ্কট? (Siliguri)

    তিস্তা মহানন্দা ক্যানেল থেকে শিলিগুড়ি শহরের পানীয় জল নেওয়া হয়। গত পুজোর আগে সিকিমের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে গজলডোবার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। শুক্রবার থেকে সেই বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু হবে। বাঁধ মেরামত করার জন্য গজলডোবা ব্যারেজের সব স্লুইস গেট খুলে জলস্তর নামানো হয়েছে। এই তাই বাঁধ মেরামত চলাকালীন তিস্তা থেকে আর জল পাওয়া যাবে না।

      মেয়র কী সাফাই দিলেন?

    মেয়র গৌতম দেব বলেন, গজলডোবায় তিস্তা ব্যারেজে বাঁধ মেরামতির কাজ করতেই হবে।  না হলে এই বর্ষায়  বিস্তীর্ণ এলাকা ভেসে যাবে। প্রচুর মানুষ  ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটতে পারে। সেই বিপর্যয় এড়ানোর জন্যই এই বাঁধ মেরামত করা হচ্ছে। তবে, মানুষ যাতে নির্জলা না থাকে তারজন্য শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভার বিভিন্ন এলাকায় ২১ টি জলের ট্যাঙ্ক রাখা থাকবে। পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের তরফে ১ লক্ষ জলের পাউচ বিলি করা হবে। তিনি আরও বলেন, এই পরিস্থিতি দেখা দিত না। বামেরা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার সময় শিলিগুড়ির পানীয় জল প্রকল্পের বিকল্প জলাধার তৈরি করেনি। বিকল্প জলাধার থাকলে এধরনের পরিস্থিতির জন্য আগাম জল ধরে রেখে তা দিয়ে সমস্যার সমাধান করা যেত।

    আরও পড়ুন: “নৈহাটিতে সব থেকে বেশি ভোটে হারবে তৃণমূল,” ঘোষণা অর্জুনের

    জল সঙ্কটের জন্য দায়ী তৃণমূল, বলছে  বিজেপি

    শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপি কাউন্সিলর অমিত জৈন এই পরিস্থিতির জন্য মেয়রের অযোগ্যতাকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, গত একমাস ধরে শিলিগুড়ি শহরের পানীয় জলের সঙ্কট চলছে। ভোট নিয়ে ব্যস্ত থাকার জন্য মেয়র ও তাঁর কাউন্সিলররা কাজ করেননি। সেই ব্যর্থতাকে আড়াল করতে তিস্তা বাঁধ মেরামতকে অজুহাত করা হচ্ছে। ছ’মাস আগে কেন বাঁধ মেরামত করা হল না? কেন্দ্রীয় সরকার অম্রুত-২ প্রকল্পে শিলিগুড়ি পুরসভার জল প্রকল্পের জন্য টাকা অনুমোদন করেছে। সেই টাকা পেয়েও মেয়র কাজ শুরু করতে পারেনি। একাধিকবার টেন্ডার ডেকেও বিডার পাওয়া যায়নি। ২০১১ সাল থেকে রাজ্যে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় রয়েছে।  গৌতম বাবু ১০ বছর মন্ত্রী ছিলেন। তাহলে তিনি নিজের শহরের জন্য পানীয় জল প্রকল্পের ব্যাপারে উদ্যোগ নেননি কেন? আসলে রাজনীতি, দলবাজি করার করতে গিয়ে তিনি  শিলিগুড়ি শহরের পানীয় জল সমস্যাকে জটিল করেছেন। তার জেরে এখন তীব্র গরমে শহরবাসীকে জলকষ্টে থাকতে হচ্ছে।  তিনদিনের মধ্যে যদি শিলিগুড়ি শহরের পানীয় জল সরবরাহ স্বাভাবিক না হয়, তাহলে আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাস্তায় নামব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share