Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Suvendu Adhikari: ‘কাশ্মীর মডেলের দাবি মুর্শিদাবাদে’, আগামী দিনে হিন্দুদের বড় বিপদের আশঙ্কা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘কাশ্মীর মডেলের দাবি মুর্শিদাবাদে’, আগামী দিনে হিন্দুদের বড় বিপদের আশঙ্কা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদে মেনে চলা হোক কাশ্মীর মডেল। সীমান্তবর্তী গ্রামে যেখানে ২০ শতাংশের কম হিন্দুদের বাস, তাদের আত্মরক্ষার জন্য অস্তর রাখার অনুমতি দেওয়া হোক। এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। বিগত কয়েকদিনে ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে মালদা, মুর্শিদাবাদের একাধিক এলাকা। আক্রান্ত হয়েছে হিন্দুরা। রাজ্য সরকার বারবার শান্ত থাকার কথা বলেছে, কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করেনি। পুলিশ-প্রশাসন কার্যত চুপ করে দেখেছে। বাধ্য হয়ে আদালতের নির্দেশে নামানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু বাহিনী তো সব সমসয় থাকবে না। তখন হিন্দুদের কী হবে প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু।

    আত্মরক্ষায় বৈধ অস্ত্র রাখার আবেদন

    মুর্শিবাদের সীমান্তবর্তী এলাকায় সুরক্ষার জন্য হিন্দুদের অস্ত্র রাখার অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ করলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বিধানসভার বিরোধী দলনেতার কথায়, “এটা কমিউনাল রাইট নয়, ধর্মযুদ্ধ। এরা কাশ্মীরের মতো হিন্দুদের ওখান থেকে সরাতে চায়। তাই যে সমস্ত সীমান্তবর্তী এলাকায় ২০ শতাংশেরও কম হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ আছেন তাঁদের সুরক্ষায় বৈধ অস্ত্র রাখার অনুমতি দেওয়া হোক।” এমনটাই দাবি করছেন তিনি। শুভেন্দুর সাফ কথা, “বিএসএফ-সিআরপিএফ সব সময় থাকে না। বাংলাদেশ থেকে যে ৫০ কিলোমিটার বর্ডার এলাকা রয়েছে, যেখানে হিন্দু জনসংখ্যা ২০ শতাংশের কম, তাঁদের কাশ্মীরের পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকার মতো বৈধ লাইসেন্স যুক্ত আগ্নেয়াস্ত্র দেওয়া উচিত। কারণ, আত্মরক্ষার অধিকার প্রত্যেকের আছে।” এখানেই না থেমে তাঁর আরও ব্যাখ্যা, “কাশ্মীরে তো বর্ডারের বহু গ্রামে এই ব্যবস্থা আছে। স্পেশ্যাল অ্য়াক্টের আওতায় এই ব্যবস্থা করা হয়। কাশ্মীরের মতো একই মডেল মুর্শিদাবাদে না করতে পারলে ১০-১৫ শতাংশ হিন্দু যেখানে আছে তা থাকবে না।” শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, ‘‘মুর্শিদাবাদের আসল ঘটনা রাজ্য চেপে গিয়েছিল কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক প্রকৃত তথ্য নিজেরা খোঁজ নিয়ে জেনেছে। আদালতে সেটা জানিয়েছে।’’ তাঁর মতে, শুধু মুর্শিদাবাদ না কোচবিহারের দিনহাটা থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং, বাসন্তী আগামী নির্বাচনে কোথাও হিন্দুরা ভোট দিতে পারবে না। রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে তবেই নির্বাচন করতে হবে।

    অশান্ত মালদা-মুর্শিদাবাদ

    প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকদিনে ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে মুর্শিদাবাদের (High Court on Murshidabad) একাধিক এলাকায়। হিংসার আগুনে জ্বলে সামশেরগঞ্জ, সুতির মতো এলাকা। ঝরেছে প্রাণ। আধাসেনার দাবিতে শুভেন্দুই গিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতের নির্দেশে শেষ পর্যন্ত বিএসএফের পাশাপাশি প্যারা মিলিটারি ফোর্স নামে মুর্শিবাদাবাদে। কিন্তু, আশঙ্কা ছিল ১৭ এপ্রিলের পর কী হবে! কারণ, কলকাতা হাইকোর্টের আগের নির্দেশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার পর্যন্তই মুর্শিদাবাদের কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকার কথা ছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার মেয়াদ বাড়ছে। পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত বহাল থাকছে বাহিনী। বর্তমানে মুর্শিদাবাদ জেলায় মোট ১৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।

    মুর্শিদাবাদে আপাতত থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

    সন্ত্রস্ত মুর্শিদাবাদে (High Court on Murshidabad) আপাতত থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। শান্তিরক্ষা, পুনর্বাসনের জন্য রাজ্য সরকারকে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন ও রাজা বসু চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। গোটা বিষয়টিকে গোয়েন্দা ব্যর্থতা বলে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছে বিচারপতি সৌমেন সেন ও রাজা বসু চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ। মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি নিয়ে একটি কমিটি গঠনের কথাও বলেছে আদালত। মৌখিক নির্দেশে হাইকোর্ট জানিয়েছে, এই কমিটিতে থাকবেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, রাজ্য মানবাধিকার কমিশন এবং রাজ্য লিগ্যাল সার্ভিসেস কমিটির এক জন করে সদস্য। মুর্শিদাবাদের অশান্তির পরে অনেকে ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। ওই ঘরছাড়াদের পুনরায় ঘরে ফেরানোই হবে হাইকোর্টের গঠিত কমিটির মূল লক্ষ্য। ধুলিয়ানে ঘরছাড়াদের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে এই কমিটি। বস্তুত, গত কয়েক দিনে পুলিশ এবং বিএসএফের যৌথ উদ্যোগে ঘরছাড়াদের অনেকেই বাড়ি ফিরেছেন। এ বার বাকিদেরও ঘরে ফেরানোর লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠনের কথা বলেছে আদালত।

    আতঙ্ক গ্রামে-গ্রামে, সরকারকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    মুর্শিদাবাদের (High Court on Murshidabad) উপদ্রুত এলাকায় শান্তি রক্ষায় এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য রাজ্যকে এখনই স্কিম তৈরির নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। মৃতদের পরিবারকে শুধু টাকা দেওয়া নয়, প্রয়োজনে চাকরি দেওয়ার বিষয়েও চিন্তাভাবনার পরামর্শ দিয়েছে উচ্চ আদালত। সম্প্রতি ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় অশান্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad Situation) একাধিক এলাকা। হিংসার জেরে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। পরিস্থিতি এখনও থমথমে সেখানে। এখনও টহল দিচ্ছে বিএসএফ। মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। ধুলিয়ানে পুরসভায় ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে। একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয় এবং পরে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। লুটপাট চালানো হয় একটি শপিংমলে। এখনও পুলিশের উপরে আস্থা রাখতে পারছেন না গ্রামবাসীরা। তাঁরা গ্রামে গ্রামে স্থায়ী বিএসএফের ক্যাম্প চাইছেন। গন্ডগোলের সময় যাঁরা ভয়ে ঘর ছেড়েছিলেন, তাঁদের অনেকের কথায়, ‘‘পুলিশ-প্রশাসন আশ্বাস দেওয়ায় বাড়িতে ফিরলাম। এখন এলাকায় বিএসএফ ও পুলিশ রয়েছে। কিন্তু তারা ফিরে গেলে, কী হবে জানি না! আতঙ্ক আছেই। বাড়ির মহিলাদের আনা হয়নি। ভয়ে ভয়ে ছেলেরাই ফিরেছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, মহিলাদের নিয়ে আসব।’’

  • Suvendu Adhikari: কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত শুভেন্দুর, কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    Suvendu Adhikari: কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত শুভেন্দুর, কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবারই হিংসা কবলিত মুর্শিদাবাদে (Violence Hit Murshidabad) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ। সেই কারণেই কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানান শুভেন্দু। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “রাজ্যপাল, মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের জন্য আমরা আবেদন করেছিলাম। আমি মুখ্যমন্ত্রীকেও অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তিনি শুনলেন না। তাই আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলাম। কলকাতা হাইকোর্টের প্রতি আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। আদালতের এই সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাই।”

    কী বললেন শুভেন্দুর আইনজীবী

    প্রসঙ্গত, শনিবার (Suvendu Adhikari) হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায় ঘটা সংঘর্ষ ও তিনজনের প্রাণহানির ঘটনার প্রেক্ষিতে জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয়। এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী অনীশ মুখার্জি। তিনি জানান, গত কয়েকদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গজুড়ে, বিশেষত মুর্শিদাবাদে, হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে। অধিকারী একটি জনস্বার্থ মামলার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন এবং এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “রাজ্যজুড়ে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, যা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ অপরিহার্য ছিল।”

    হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ

    হাইকোর্ট মমতা সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার উভয়কেই পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৭ এপ্রিল। আদালতের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “মামলাটি শুনানির পর আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনী অবিলম্বে মোতায়েন করতে হবে। রাজ্য প্রশাসন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সহায়তা করবে যাতে প্রাণহানি, আইন লঙ্ঘন বা কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা না ঘটে। এই জনস্বার্থ মামলাটি হাইকোর্ট গ্রহণ করেছে এবং ১৭ এপ্রিল এর আবার শুনানি হবে, যেখানে রাজ্য ও কেন্দ্র উভয়ই তাদের অবস্থান (Violence Hit Murshidabad) স্পষ্ট করে হলফনামা জমা দেবে।” এদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, জেলায় ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন বিরোধী উত্তেজনার জেরে শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একাধিক যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বর্তমানে (Suvendu Adhikari) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

  • Mothabari: ‘‘শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব আমার’’, মোথাবাড়ি পৌঁছে এনআইএ তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    Mothabari: ‘‘শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব আমার’’, মোথাবাড়ি পৌঁছে এনআইএ তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উচ্চ আদালতের অনুমতি নিয়ে শুক্রবার সাম্প্রদায়িক হিংসা কবলিত মোথাবাড়িতে (Mothabari) পৌঁছলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতা এদিন মোথাবাড়িতে পৌঁছতেই তাঁকে ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা দেখা যায়। ওঠে জয় শ্রী রাম ধ্বনি। এদিন মোথাবাড়িতে পৌঁছে আক্রান্ত হিন্দু পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন শুভেন্দু। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির হাতে আর্থিক সাহায্যও তুলে দেন তিনি। এর পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘‘ডালখোলা, রিষড়া, শিবপুর ঠান্ডা করে দিয়েছি। মোথাবাড়িতে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব আমার।’’

    হাইকোর্টের শর্ত মেনে মোথাবাড়িতে (Mothabari) শুভেন্দু

    এ প্রসঙ্গে বলা দরকার, মোথাবাড়ি (Mothabari) যেতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই আবহে গত ৮ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্ট শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) আর্জি মেনে নেয়। তাঁকে মোথাবাড়ি যাওয়ার অনুমতি দেয় উচ্চ আদালত। তবে এক্ষেত্রে একাধিক শর্ত দেন বিচারপতি। উচ্চ আদালত জানায়, বিরোধী দলনেতার সঙ্গে কেবলমাত্র একজন বিজেপি বিধায়ক ও নিরাপত্তারক্ষীই মোথাবাড়ি যেতে পারবেন। একইসঙ্গে হাইকোর্ট জানায়, মোথাবাড়ি গিয়ে কোনওরকমের রাজনৈতিক ভাষণ দিতে বা মন্তব্য করতে পারবেন না শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত, মোথাবাড়ির চারটি অঞ্চলে যেতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Mothabari) । উচ্চ আদালত সেই আবেদন মেনে নেয়। কোর্ট জানায়, চারটি জায়গাতেই যেতে পারবেন বিরোধী দলনেতা এবং কথাও বলতে পারবেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টের মধ্যে তাঁকে সফর শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছিল হাইকোর্ট।

    যাদের ধরেছে তারা প্রকৃত দোষী নয়, ক্ষতিগ্রস্ত ৮৬ হিন্দু পরিবার, অভিযোগ শুভেন্দুর

    এদিন শুভেন্দু অধিকারী মোথাবাড়ি (Mothabari) পৌঁছতেই জয় শ্রী রাম ধ্বনিতে ফেটে পড়ে গোটা এলাকা। প্রথমেই তিনি মোথাবাড়ি বাজারে আক্রান্ত হিন্দু পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের হাতে নানা সাহায্য সামগ্রী তুলে দেন। এর পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘এখানে মানুষকে সরকার নিরাপত্তা না দিয়ে দাবিয়ে রেখেছে। যাদের ধরেছে তারা প্রকৃত দোষী নয়। ভিডিও ফুটেজ দেখে সব দোষীদের ধরতে হবে। আমরা আদালতে এনআইএ ও সিবিআই তদন্তের দাবি করেছি।’’ পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলে তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ যখন ব্যবস্থা নেওয়ার নেয়নি। ওরা যা করার করে দিয়েছে। ফেসবুক লাইভ করতে করতে করেছে। হঠাৎ তো হয়নি, জানিয়ে করেছে। যদি কারও আস্থায় কেউ আঘাত দেয় থানায় যান। আইন হাতে তুলে নেবেন কেন? যে ৮৬টি হিন্দু পরিবারকে ক্ষতিগ্রস্ত করলেন এরা তো কোনও দোষ করেনি।’’

    কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে তদন্ত করাব

    মোথাবাড়িতে (Mothabari) শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘‘এখানে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে তদন্ত করিয়ে সবকটা দোষীকে গ্রেফতার করাব। ঠিক যেভাবে ডালখোলা, রিষড়া, শিবপুরে করিয়েছি। একই ভাবে মোথাবাড়িতে পার্মানেন্ট শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব বিরোধী দলনেতার।’’ প্রসঙ্গত, শুভেন্দুকে মোথাবাড়ি যেতে অনুমতি দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। সেই মতো নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে মোথাবাড়ি থানা এলাকায় পরিদর্শন করলেন বিরোধী দলনেতা।

    মুক্তির স্বাদ পেয়েছে মোথাবাড়ি

    মোথাবাড়িতে (Mothabari) বাড়ি বাড়ি গিয়ে আক্রান্ত পুরুষ-মহিলাদের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু অধিকারী। মোথাবাড়ির পালপাড়ায় শুভেন্দু বলেন, ‘‘১৫ দিন পর এরা মুক্তির স্বাদ পেয়েছেন।’’ বিরোধী দলনেতা রয়েছেন, নরেন্দ্র মোদি রয়েছেন, তাই ভয় নেই, গ্রামবাসীদের এমন আশ্বাসও দিতে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে। এদিনই বিরোধী দলনেতার কাছে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় এক গ্রামবাসীকে। সাংবাদিকদের সামনে ওই মহিলা জানান, মোথাবাড়ি অশান্তিতে ব্যাপক আহত হয়েছেন তিনি।

    সরকার মানুষকে প্রোটেকশন না দিয়ে দাবিয়ে রেখেছে

    কোর্টের অনুমতিতে মোথাবাড়ি পরিদর্শন করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বলেন, ‘‘এখানে সরকার মানুষকে প্রোটেকশন না দিয়ে দাবিয়ে রেখেছে। আমরা এনআইএ, সিবিআই দাবি করছি। কেন হিন্দুরা অত্যাচারিত হবে? দেখার দায়িত্ব কার? মোথাবাড়িতে (Mothabari) পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়েছি তিনবার, অনুমতি দেয়নি।’’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে সময়ের মধ্যে চলে এসেছি। তিনটি জায়গায় পরিদর্শন সেরেছি। ৬ জনকে নিয়ে আইনি লড়াই করছি।’’

    শাসকদলের মদতেই মোথাবাড়িতে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার, অভিযোগ শুভেন্দুর

    শাসকদলের মদতেই মোথাবাড়িতে (Mothabari) হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন মালদার ইংরেজবাজারের বাধাপুকুর মোড়ে স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী কর্মী সমর্থকদের নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে স্বাগত জানান। সম্প্রতি অশান্ত হয়ে ওঠে মালদার মোথাবাড়ি। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে দোকান ও গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় সারি সারি বাইক ও গাড়িতে। হিন্দুদের ওপর ব্যাপক হামলা চলে বলে অভিযোগ। এরপর পরিস্থিতি সামলাতে মাঠে নেমে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশ। ব্য়বহার করা হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল। ৬টি মামলা রুজু করে পুলিশ। এরপরে জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। গত শুক্রবারই মোথাবাড়ি ইস্যুতে মন্তব্য করে কলকাতা হাইকোর্ট। এই অঞ্চলের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের বলেই জানান বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চ।

  • Suvendu Adhikari: ওবিসি সংরক্ষণের নামে কেন মুসলিমদের বাড়তি সুবিধা? প্রশ্ন শুভেন্দুর, যাচ্ছেন হাইকোর্টে

    Suvendu Adhikari: ওবিসি সংরক্ষণের নামে কেন মুসলিমদের বাড়তি সুবিধা? প্রশ্ন শুভেন্দুর, যাচ্ছেন হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে মমতা সরকারকে ফের একবার তোষণ ইস্যুতে তোপ দাগলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বুধবার তিনি এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার সংবিধান মেনে কাজ করছে না এবং ওবিসি সমীক্ষার নামে একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে অতিরিক্ত সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।’’ এর বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করবেন বলেও জানিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘ওবিসির রি-সার্ভে করতে হলে সবার হওয়া উচিত। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, বাংলা সহায়তা কেন্দ্র, আশা কর্মী এবং আইসিডিএস কর্মীদের দিয়ে শুধুমাত্র মুসলিমদের সার্ভে করানো হচ্ছে। এমনকি ইমামদের পরামর্শ অনুযায়ী এই সমীক্ষা পরিচালিত হচ্ছে।’’ এর আগে, রাজ্যে ওবিসি সার্টিফিকেট পদ্ধতি মেনে দেওয়া হয়নি এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলার প্রেক্ষিতে গত বছর বিরাট রায় দেয় হাইকোর্ট। ২০১০ সালের ২২ মে পর থেকে জারি করা রাজ্যের সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল ঘোষণা করে হাইকোর্ট। এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় মমতার সরকার। সেখানে এই মামলা এখন বিচারাধীন।

    মুসলিমদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার নামে রাজ্যের কর্মসংস্থানের সুযোগ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে

    বুধবারের সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও জানান, মামলায় জাতীয় ওবিসি কমিশনকে অন্তর্ভুক্ত করার আবেদনও আদালতে জানানো হবে। বিরোধী দলনেতার মতে, এই বিষয়টি স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্ত করা দরকার। শুভেন্দু অধিকারীর মতে, রাজ্যে সীমিত কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে, তবে ওবিসি সংরক্ষণের জটিলতার কারণে তা আরও বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিরোধী দলনেতার কথায়, ‘‘ওবিসিতে মুসলিমদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার নামে রাজ্যের কর্মসংস্থানের সুযোগ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। শুধু চাকরি নয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও ভর্তির ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এর ফলে হিন্দু ওবিসিরা আরও বেশি ক্ষতির মুখে পড়ছে।’’

    মুসলিম জনগোষ্ঠীকে বিপথে চালিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী

    এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আরও আক্রমণ শানিয়ে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘রামনবমীর পর রাজ্যজুড়ে হিন্দু ওবিসিদের বাঁচাও কর্মসূচি পালন করা হবে। সরকার শুধু সার্টিফিকেট দিচ্ছে, কিন্তু চাকরি দিচ্ছে না। ধর্মীয় মেরুকরণের মাধ্যমে তুষ্টিকরণের রাজনীতি করছে। এজন্যই আমরা এই সরকারকে ‘মুসলিম লিগ-২’ বলে থাকি!’’ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) মমতা সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে বলেন, ‘‘মুসলিম জনগোষ্ঠীকে বিপথে চালিত করেছেন উনি, তাঁদের ভুল বুঝিয়েছেন, তাঁরা জেনারেল ক্যাটাগরিতে তাঁদের যে শিক্ষিত যুবক-যুবতীরা আছে, মেধা নিয়ে লড়াই করতে পারত, যাদের মেধা আছে, শিক্ষা আছে, তাঁদেরকে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির স্বার্থে ললিপপ ধরিয়েছিলেন। একটা বিশেষ সম্প্রদায়কে ভুল বুঝিয়ে, তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য়, কর্মসংস্থান না দিয়ে, শুধুমাত্র ধর্মীয় মেরুকরণের ভিত্তিতে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে, তুষ্টিকরণ করছেন, এটা তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ।’’

  • Calcutta High Court: পূর্ব বর্ধমানে মোহন ভাগবতের সভার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: পূর্ব বর্ধমানে মোহন ভাগবতের সভার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব বর্ধমানে আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবতের সভার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সাই কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হতে চলা আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সভায় শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিল উচ্চ আদালত। প্রসঙ্গত আগামীকাল রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ওই সভা রয়েছে। রবিবার স্কুল খোলা থাকবে না। পরীক্ষাও নেই। ঠিক এই কারণে শর্তসাপেক্ষে ওই সভার অনুমতি দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তবে বিচারপতি এও নির্দেশ দিয়েছেন, কোনও মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর যাতে সমস্যা না হয়, সেটা দেখার দায়িত্ব মামলাকারীর। এদিন দুটি শর্ত দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রথমত, ৪৫ ডেসিবেলের ওপর আওয়াজ যেন না যায়। দ্বিতীয়ত, সভা চলবে সর্বোচ্চ ৭৫ মিনিট।

    কী বললেন মামলাকারীর আইনজীবী?

    মামলাকারীর আইনজীবী (Calcutta High Court) এদিন বলেন, “সাই কমপ্লেক্সের মাঠ ৫০ বিঘা জমি জুড়ে। ১-২ কিমির মধ্যে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। তাই কোনও অনুমতি চাওয়ার দরকার নেই। মোহন ভাগবত আসবেন। এসডিও-কে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, লাউড স্পিকার ব্যবহার করা হবে। গতকাল জানানো হয়েছে, কোনও সাউন্ড বক্স ব্যবহার করলে সভার অনুমতি বাতিল হবে। অথচ কিছু লিখিত দেওয়া হয়নি। কোনও সাইলেন্স জোন নেই সেখানে। আমরা পরে জানাই, কোনও লাউড স্পিকার ব্যবহার করব না।”

    কী বললেন বিচারপতি?

    এরপরেই বিচারপতি (Calcutta High Court) অমৃতা সিনহা জানতে চান, “কতজন আসবেন ওই সভায়। যেখানে সভা হচ্ছে, সেটা কি মার্ক করা হয়েছে?” তখন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত আদালতের একটি নির্দেশের কথা উল্লেখ করেন। যেখানে বলা হয়েছিল, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময় মাইক ব্যবহার করা যাবে না। মোহন ভাগবতের সভার বিরোধিতা করে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, দুটি স্কুল আছে ওই চত্বরের দুই কিমির মধ্যে। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল আরও বলেন, “৪৫টি মাইক ব্যবহার করা হচ্ছে ওই সভায়। শব্দ নিয়ন্ত্রণ করবে কে?” বিচারপতি (Calcutta High Court) অমৃতা সিনহা তখন বলেন, “আমি সেই জন্যই জানতে চাইছি, কত বড় সভা। মাইকে কত ডেসিবল ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটা দেখার দায়িত্ব কার? কে প্রয়োগ করবে? দুষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দেখা উচিত। রেগুলেট করে দিন। যাতে শব্দ সীমার বাইরে না যায়।”

  • Calcutta High Court: বইমেলায় স্টল দেওয়া হল না কেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে! গিল্ডকে তীব্র ভৎর্সনা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: বইমেলায় স্টল দেওয়া হল না কেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে! গিল্ডকে তীব্র ভৎর্সনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা বইমেলায় স্টল দেওয়া হচ্ছে না বিশ্বহিন্দু পরিষদকে (Vishwa Hindu Parishad)। এই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হা তীব্র ভৎর্সনা করলেন আয়োজক সংস্থা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডকে। রাজ্য প্রশাসন এবং আয়োজকদের উদ্দেশে বিচারপতি বললেন, “আগের বছর মনে হয়নি স্পর্শকাতর, তাই অনুমতি দিয়েছিলেন, এইবারে বিতর্কিত মনে হয়েছে? কিন্তু কেন?”

    মামলা যায় বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হার বেঞ্চে (Calcutta High Court)

    হাতে মাত্র আর কটাদিন বাকি, সামনেই কলকাতা আন্তর্জাতিক পুস্তক মেলায়। বই মেলার আয়োজক সংস্থা পাবলিশার্স এন্ড বুকসেলার্স গিল্ড বুক স্টল দেয়নি হিন্দু সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে (Vishwa Hindu Parishad)। তাই অভিযোগ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে এই হিন্দু সংগঠন। এরপর মামলা যায় বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হার বেঞ্চে। শুনানিতে বিশ্বহিন্দু পরিষদের (Vishwa Hindu Parishad) আইনজীবী (Calcutta High Court) বলেন, “গিল্ডের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একাধিক শর্ত আরোপ করেছে। বিভিন্ন শর্ত মেনে ৬০০ স্কোয়ার ফুট জায়গার কথা বলে সংগঠনের তরফে আবেদন করা হয়েছে। এরপর ১০ জানুয়ারি ইমেল করে জানতে চাওয়া হয় কিন্তু গিল্ডের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কিছুই জানানো হয়নি। আর সেই জন্য তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।”

    কী বললেন বিচারপতি?

    অপর দিকে গিল্ডের আইনজীবী বলেন, “বিশ্ব হিন্দু পরিষদের লেখা ভীষণ ভাবে স্পর্শকাতর।” এটা শুনে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি সিন্‌হা। রাজ্যের যুক্তির প্রেক্ষিতে বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হা (Calcutta High Court) তখন রাজ্যকে পাল্টা প্রশ্ন করেন, “এত বছর ধরে স্টলের অনুমতি দিয়ে আসা হচ্ছে। তাহলে তখন এই সংগঠনের (Vishwa Hindu Parishad) লেখা স্পর্শকাতর মনে হয়নি কেন? তখন তাহলে কেন অনুমতি দেওয়া হয়েছিল? আর সেক্ষেত্রে এবছরই বা কেন অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না?” 

    তখন গিল্ডের আইনজীবী বলেন, “বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নামে আবেদন করা হয়েছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Vishwa Hindu Parishad) কোনও পাবলিশার্স নয়, কোনও বুকসেলার্সও নয়। এদের পত্রিকা রয়েছে। যার নাম হল বিশ্ব হিন্দু বার্তা।” তখন (Calcutta High Court) বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনারা কি জানতেন যে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নিজস্ব পাবলিকেশন হাউস আছে?’’ এর পর আপাতত মৌখিক ভাবে স্টলের জায়গা দেওয়ার কথা বলেন বিচারপতি। পরবর্তী মামলার শুনানি ২০ জানুয়ারি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nabanna Abhijan: নবান্ন অভিযান বন্ধের প্রয়োজন নেই, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    Nabanna Abhijan: নবান্ন অভিযান বন্ধের প্রয়োজন নেই, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মানুষ মিটিং, মিছিলের সঙ্গে পরিচিত। তাই নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) বন্ধ করার কোনও প্রয়োজন নেই। বৃহস্পতিবার জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে স্পষ্ট জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চের নির্দেশ, এই শহরের মানুষেরা মিছিল, মিটিংয়ে অভ্যস্ত। দীর্ঘদিন ধরেই এসব চলছে, আর এর মধ্যেও তারা শান্তিপূর্ণভাবেই থাকে। তাই নবান্ন অভিযান বন্ধ করার কোনও প্রয়োজন আছে বলে মনে করছে না আদালত।

    নবান্ন অভিযান নিয়ে আদালতে মামলা (Nabanna Abhijan)

    ১৬ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযান কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল ‘নবান্ন চলো’ লেখা একাধিক পোস্টার। সঙ্গে লেখা ছিল স্লোগান, ‘রাত দখলের পর/ আজ দাবি দখল’। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় ওয়েলিংটন স্কোয়্যারে জমায়েতের কথা বলা হয়েছিল। সেখান থেকে মিছিল যাওয়ার কথা ছিল রাজ্যের প্রশাসনিক সদর দফতর নবান্নের দিকে। নবান্ন অভিযান কর্মসূচির নেপথ্যে কারা, তা জানতে চেয়ে সম্প্রতি হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন ভরতকুমার মিশ্র নামে এক প্রবীণ। মামলাকারীর যুক্তি ছিল, ওই মিছিল হলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। তাঁর বক্তব্য, ১৫ জানুয়ারি গঙ্গাসাগর মেলা শেষ হয়েছে। সেখান থেকে ফিরবেন তীর্থযাত্রীরা। তিনি নিজেও গঙ্গাসাগর যাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি সংস্থায় যুক্ত। ফলে ১৬ জানুয়ারি ‘নবান্ন চলো’ কর্মসূচি হলে সমস্যায় পড়তে পারেন তীর্থযাত্রীরা। মঙ্গলবারও ওই মামলার শুনানিতে মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর প্রশ্ন ছিল, ‘‘তীর্থযাত্রীরা তো ডায়মন্ড হারবারের দিক থেকে আসবেন। তা হলে সমস্যা কোথায়?’’

    নবান্ন অভিযান বন্ধ করার কোনও প্রয়োজন নেই!

    বৃহস্পতিবার ওই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ফের কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের (Nabanna Abhijan) মানুষ অত্যন্ত সহনশীল। তাঁদের সহ্যশক্তি অনেক বেশি। তাঁরা দীর্ঘ দিন ধরেই মিটিং-মিছিলে অভ্যস্ত। গাড়ি নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তায় বড় মিছিলে আটকে গেলে কেউ কিছু বলেন না। মা উড়ালপুলে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা আটকে থাকলেও তাঁরা মুখ বুজে সহ্য করেন। তা নিয়ে সবাই খুব খুশি!” আদালতের যুক্তি, বঙ্গে প্রায়ই এমন মিটিং-মিছিল হয়ে থাকে। তাই এই ‘অভিযান’ বন্ধ করার জন্য আলাদা করে আদালতের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই। এ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ পুলিশই করবে বলে জানিয়েছে দুই বিচারপতির বেঞ্চ। এর পরেই মামলাকারীর আইনজীবীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘আপনি গঙ্গাসাগর যান। মেলা শুরুর আগে ও পরে সেখানে সুন্দর ব্যবস্থা থাকে। কপিল মুনির আশ্রম রয়েছে। পরিষ্কার খাবার পাওয়া যায়। সেখান থেকে ঘুরে আসুন!’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Tram: ট্রামকে বাঁচাতে উদ্যোগী হতে হবে সরকারকে, বন্ধ করতে হবে লাইন বোজানর কাজ, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Kolkata Tram: ট্রামকে বাঁচাতে উদ্যোগী হতে হবে সরকারকে, বন্ধ করতে হবে লাইন বোজানর কাজ, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ট্রাম (Kolkata Tram) নিয়ে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মুখ পুড়ল মমতার সরকারের। রাজ্য সরকারকেই ট্রাম বাঁচানোর জন্য বিশেষ ভূমিকা নিতে হবে, উদ্যোগী হতে হবে। ঠিক এই নির্দেশ দিয়ে অবিলম্বে লাইন বোজানোর কাজ বন্ধের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে বলা হয়, প্রধান বিচারপতির বেঞ্চকে ট্রাম লাইন বুজিয়ে ফেলার বিষয়ে ছবি-সহ রিপোর্ট জমা দিতে হবে। 

    রাজ্যের সদিচ্ছা থাকা একান্ত প্রয়োজন (Kolkata Tram)

    কলকাতা শহরে ট্রামের পরিষেবা এবং লাইন তুলে ফেলার একটি মামলায় প্রধান বিচারপতির (Calcutta High Court) একটি পর্যবেক্ষণে বলা হয়, “ট্রাম একটি ঐতিহ্যবাহী যাত্রী পরিষেবা। তুলে দেওয়া খুব সহজ কাজ, কিন্তু বহুদেশে ট্রাম চলে। কোথাও কোথাও রাস্তার একেবারে মাঝখান দিয়ে লাইন করা রয়েছে। রাজ্যে ট্রামকে (Kolkata Tram) বাঁচাতে সরকারকে অনেক বেশি উদ্যোগী হতে হবে। এর জন্য সদিচ্ছা থাকা একান্ত প্রয়োজন।”

    দুই জায়গায় ট্রাম লাইন তুলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ

    কলকাতায় ট্রাম (Kolkata Tram) পরিষেবাকে অব্যাহত রাখতে একটি সামাজিক সংগঠন মামলা করেছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সংস্থার পক্ষে থেকে অভিযোগ ছিল, রাস্তায় যাতে ট্রাম চলতে না পারে, তাই কালীঘাট, ভবানীপুর, জাজেস কোর্ট, খিদিরপুরের ট্রামলাইনে পিচ ঢেলে বুজিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বন্ধ করার কাজ নিয়ে রাজ্য সরকারকে ধাক্কার মুখে পড়তে হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের। প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court) টিএস শিবজ্ঞানম নির্দেশ দেন, “দুই জায়গায় ট্রাম লাইন তুলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ এসেছে, তা নিয়ে কলকাতা পুলিশ তদন্ত করে দেখবে। উপর তলার হাত না থাকলে এই ভাবে বুজিয়ে ফেলা যায় না।” তবে রাজ্যের তরফ থেকে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে তাতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ট্রাম লাইন বুজিয়ে ফেলার কোনও কাজ করা হয়নি।

    আরও পড়ুনঃ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গিয়ে মৃত্যু কেরলের যুবকের, রাশিয়াকে কড়া বার্তা কেন্দ্রের

    লাইন তুলে দিতে প্রস্তুত সরকার

    এখন বিভিন্ন রকমের জটিলতা কাটিয়ে কীভাবে ট্রামকে সচল রাখা যায়, সেই কাজ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে পুলিশ, পরিবহণ দফতর, কলকাতা পুরসভা, রাজ্য পরিবহণ নিগম সহ বিভিন্ন পক্ষের প্রতিনিধিরা। প্রত্যেক সংস্থার লোকজনকে নিয়ে একটি কমিটি গঠনের কথাও বলা হয়েছে। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, হাতে গোনা মাত্র কয়েকটা রুটে চলে ট্রাম (Kolkata Tram)। এখন এগুলিকেও তুলে দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য সরকার। একইভাবে অভিযোগ আরও করা হয়, আদালতের (Calcutta High Court) নানা সুপারিশ এবং পরামর্শকে অমান্য করছে রাজ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ১ টাকায় জমি লিজ সৌরভকে, চুক্তি গেল বিশ বাঁও জলে, বড় ধাক্কা হাইকোর্টে

    Calcutta High Court: ১ টাকায় জমি লিজ সৌরভকে, চুক্তি গেল বিশ বাঁও জলে, বড় ধাক্কা হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) সঙ্গে মমতা সরকারের জমি চুক্তি বিশ বাঁও জলে। চন্দ্রকোনায় ইস্পাত কারখানা তৈরি করার জন্য সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ১ টাকায় জমি লিজ দিয়েছিল মমতা সরকার। সেই জমি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। উচ্চ আদালতে প্রশ্ন ওঠে, প্রয়াগের ফিল্ম সিটির জমি, যা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল, তা কীভাবে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ককে ১ টাকায় লিজ দেওয়া হল! বৃহস্পতিবার ছিল সেই মামলার শুনানি। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ এদিন সাফ জানিয়ে দিল, প্রথমে জমির ভ্যালুয়েশন করাতে হবে, তারপর হবে নিলাম। সেই নিলামে যদি সৌরভের সংস্থা প্রয়োজনীয় দাম দিতে পারে, তখনই তাদের হাতে জমি তুলে দেওয়া যেতে পারে।

    ১৩ ফেব্রুয়ারি রিপোর্ট দিতে নির্দেশ (Calcutta High Court) 

    হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এমন নির্দেশ রাজ্য সরকার তথা সৌরভের সংস্থার কাছে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আদালত এদিন আরও জানিয়েছে, এই ভ্যালুয়েশনের কাজে রাজ্য যাবতীয় সাহায্য করবে সেবি-কে। গোটা বিষয়ে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি রিপোর্ট দিতে হবে হাইকোর্টে।

    আরও পড়ুন: কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত চন্দ্র আর্য, মসনদে কি এবার ‘গর্বিত হিন্দু’?

    বাজেয়াপ্ত করা হয় জমি 

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায় প্রয়াগ গ্রুপকে ফিল্ম সিটি করার জন্য একসময় ৭৫০ একর জমি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। পরবর্তীকালে চিটফান্ড মামলায় নাম জড়ায় ওই সংস্থার। অভিযোগ ওঠে, ফিল্ম সিটিতে বিনিয়োগের টাকা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রতারণা করে তোলা হয়েছিল। সেসময় প্রয়াগ গ্রুপের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। অভিযোগ, সেই ৭৫০ একর জমি থেকেই কিছুটা সৌরভকে কারখানার জন্য দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এনিয়েই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: বাম আমলে শিক্ষা-দুর্নীতি! ২০০৯ সালে প্রাথমিকে চাকরিপ্রাপ্তদের নিয়ে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: বাম আমলে শিক্ষা-দুর্নীতি! ২০০৯ সালে প্রাথমিকে চাকরিপ্রাপ্তদের নিয়ে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক, নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে বাম আমলে ভুয়ো এক্সচেঞ্জ কার্ড দেখিয়ে প্রাথমিকে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর এই বিষয়ে বড় পদক্ষেপ করল কলকাতা হাইকোর্ট।

    আদালতের কী পর্যবেক্ষণ? (Calcutta High Court)

    জানা গিয়েছে, এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ কার্ড (Calcutta High Court) ব্যবহার করে ২০০৯ সালে প্রাথমিকে চাকরি (Primary Recruitment) পান কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী। অভিযোগ ওঠে, বহু চাকরিপ্রার্থী ভুয়ো এক্সচেঞ্জ কার্ড দেখিয়ে চাকরি পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার ২০০৯ সালের প্রাথমিকে চাকরি পাওয়া সব শিক্ষকের এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ কার্ড যাচাই করতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশ, পরবর্তী শুনানির দিন ওই বিষয়ে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিতে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থাকে। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, কার্ড জালিয়াতি করে চাকরি মামলায় আগামী ২৭ জানুয়ারি সব কার্ড যাচাই করে রিপোর্ট দিতে হবে শিক্ষা দফতরের কমিশনারকে। ওই দিনই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    আরও পড়ুন: ‘২০৩১ সালের পরে হিন্দুদেরও পালানোর রাস্তা খুঁজতে হবে’, কীসের ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    সিট গঠনের ইঙ্গিত!

    প্রসঙ্গত, এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ (Calcutta High Court) কার্ড ব্যবহার করে ২০০৯ সালে প্রাথমিকে চাকরি পান কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী। অভিযোগ ওঠে, বহু চাকরিপ্রার্থী ভুয়ো এক্সচেঞ্জ কার্ড দেখিয়ে চাকরি পেয়েছেন। এই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। উত্তর ২৪ পরগনায় ভুয়ো এক্সচেঞ্জ কার্ড ব্যবহার করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে ২৬ জনের চাকরি বাতিল হয়। অন্য জেলাগুলিতে ভুয়ো এক্সচেঞ্জ কার্ড ব্যবহার করে চাকরি পাওয়ার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ। বৃহস্পতিবার সব জেলার প্রাথমিক স্কুল কাউন্সিলকে ২০০৯ সালে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের এক্সচেঞ্জ কার্ড খতিয়ে দেখতে বলল হাইকোর্ট। বৃহত্তর জালিয়াতির ইঙ্গিত পেলে সিট গঠন করা হতে পারে বলে বিচারপতি জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share