Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Supreme Court: সিঙ্গুর ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে চরম ভর্ৎসিত রাজ্য সরকার, মামলা শুনবে হাইকোর্ট

    Supreme Court: সিঙ্গুর ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে চরম ভর্ৎসিত রাজ্য সরকার, মামলা শুনবে হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিঙ্গুর ইস্যুতে রাজ্যের আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। একই সঙ্গে সালিশি আদালতের বিচারকের বিরুদ্ধে রাজ্যের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রাখল দেশের শীর্ষ আদালত। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট জানায়, সিঙ্গুরে কারখানা না হওয়ার জন্য টাটা মোটরসকে ৭৬৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া সংক্রান্ত যে বিষয়টি রয়েছে, তা কলকাতা হাই কোর্টেই শুনবে। চলতি মাসেই, আগামী ১২ অগাস্ট বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের বেঞ্চে, সিঙ্গুর সংক্রান্ত এই মামলার শুনানি রয়েছে।

    ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেয় সালিশি আদালত

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, সিঙ্গুরে টাটা মোটরসের কারখানা না হওয়ার জন্য ৩ সদস্যের একটি সালিশি আদালত টাটা গোষ্ঠীকে ৭৬৫ কোটি ৭৮ লাখ — অর্থাৎ প্রায় ৭৬৬ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল। ৩ সদস্যের এই আদালত ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর ওই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সালিশি আদালতের সেই নির্দেশ সামনে আসতেই ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে একটি বিবৃতি দিয়েছিল টাটা গোষ্ঠী। সেই বিবৃতিতে তারা বলেছিল, “২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর তিন সদস্যের সালিশি আদালতে সিঙ্গুরে অটোমোবাইল কারখানা মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। সর্বসম্মত ভাবে ট্রাইব্যুনাল, টাটা মোটরসকে ৭৬৫.৭৮ কোটি টাকা দিতে বলেছে। সেই সঙ্গে, ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে পুরো ক্ষতিপূরণ পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত ১১ শতাংশ হারে সুদ দিতে বলা হয়েছে।”

    পর্যবেক্ষণে কী জানিয়েছিল হাইকোর্ট?

    পরবর্তীকালে এই রায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার এবং সেই মামলা দায়ের করার অনুমতিও দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের বক্তব্য ছিল, সালিশি আদালতের সভাপতি তথা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ভিএস শ্রীপুরকর আসলে টাটা মোটরসের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। রাজ্যের আরও দাবি ছিল, সালিশি আদালতের বিচারপ্রক্রিয়া আসলে পক্ষপাতদুষ্ট। তাই এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে। কিন্তু গত ১৯ জুন, হাইকোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় রাজ্যের এই আবেদন খারিজ করে দেন (Singur Tata Case)। হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণে জানায়, সালিশি আদালতের সভাপতির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলছে রাজ্য সরকার, আসলে তার কোনও আইনি ভিত্তি নেই। এরপরে হাইকোর্টের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার।

    কী জানাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)?

    শুক্রবারে শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি পিএস নরসিংহ এবং বিচারপতি অতুল এস চান্দুরকরের বেঞ্চে। এক্ষেত্রে হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল, তাই বহাল রাখল শীর্ষ আদালত। এর পাশাপাশি রাজ্য সরকারের দায়ের করা মামলা খারিজও করে দেন তারা। সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার জানিয়েছে, ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত এই মামলার শুনানি কলকাতা হাইকোর্টেই হবে।

    ২০০৬ সালে টাটাকে জমি দেয় রাজ্য সরকার

    প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে হুগলির সিঙ্গুরে টাটার ন্যানো গাড়ি কারখানা প্রকল্পের কথা ঘোষণা করে তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেক্ষেত্রে টাটাকে এক হাজার একর জমি দেওয়া হয় (Singur Tata Case)। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সিঙ্গুরে গাড়ি কারখানা করতে পারেনি টাটা। এর পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ওই জমি টাটার কাছে ফেরত চায় তারা। টাটা গোষ্ঠী জমি ফেরাতে রাজি হয়। জমির দামের সঙ্গে যে পরিমাণ বিনিয়োগ করেছিল টাটা, তাও যোগ করা হয়। কিন্তু টাটার এই প্রস্তাবে রাজি হয়নি মমতা সরকার। তারপরেই লড়াই শুরু হয় আদালতে।

    ২০২৩ সালে আর্বিট্রেটর নিয়োগ করে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)

    ২০২৩ সালে, ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড ও টাটা মোটরসের মধ্যে মামলায় সমস্যা মেটাতে আর্বিট্রেটর নিয়োগ করে সুপ্রিম কোর্ট। এই সালিশি আদালতের সভাপতির বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ তোলে রাজ্য। পরে হাইকোর্টে আপিল করে। সুপ্রিম কোর্টে শুক্রবার রাজ্যের তরফ থেকে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। অন্যদিকে টাটার তরফ থেকে আদালতে সওয়াল করতে দেখা যায় আইনজীবী মুকুল রোহতগিকে।

    সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) সওয়াল-জবাব

    কপিল সিব্বল জানান যে, আর্বিট্রেটরের এক বিচারপতি পক্ষপাতদুষ্ট। তাঁকে নাকি টাটাদের অনুষ্ঠানেও দেখা গিয়েছে। তীব্র আপত্তি জানান মুকুল রোহতগি। তিনি বলেন, একজন বিচারপতির বিরুদ্ধে কিভাবে এই ধরনের অভিযোগ করা যায়? এর পাশাপাশি, শীর্ষ আদালতে তিনি আবেদন জানান যে এই মামলা খারিজ করে রাজ্যকে জরিমানা করা হোক। রাজ্যকে বড় জরিমানা করার দাবি ও করেন তিনি। এরপরই শীর্ষ আদালত নিজেদের পর্যবেক্ষণে জানায়, যদি কোনও ভাবে বোঝা যায় যে এই দাবি অনায্য, তবে রাজ্যকে বড় জরিমানা করা হবে। মুকুল রোহতগি বলেন, সবকিছুর সীমা থাকা উচিত। রাজ্যকে বড় জরিমানা হোক। এরপরেই রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। অর্থাৎ ক্ষতিপূরণ বাবদ টাটাদের হাতে তুলে দিতেই হবে ৭৬৬ কোটি টাকা।

  • Calcutta High Court: সন্দেশখালির তিন বিজেপি কর্মী খুনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেও

    Calcutta High Court: সন্দেশখালির তিন বিজেপি কর্মী খুনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মুখ পুড়ল প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তিন বিজেপি কর্মী খুনের অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল রাখল বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চ।

    শাহজাহানের আবেদনের গ্রহণযোগ্যতাই নেই (Calcutta High Court)

    বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সিবিআই তদন্তের বিরুদ্ধে সন্দেশখালির প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের আবেদনের কোনও গ্রহণযোগ্যতাই নেই। গত ৩০ জুন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর সিঙ্গল বেঞ্চ। সিবিআইয়ের যুগ্ম অধিকর্তাকে সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশও দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৮ জুন খুন হন বিজেপি কর্মী প্রদীপ মণ্ডল ও সুকান্ত মণ্ডল। নিখোঁজ হয়ে যান দেবদাস মণ্ডল। যদিও তাঁর পরিবারের অভিযোগ, দেবদাসকেও খুন করা হয়েছে। খুনের অভিযোগ ছিল শেখ শাহজাহানের এবং তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে। আদালতের দ্বারস্থ হন প্রদীপ মণ্ডলের স্ত্রী পদ্মা ও দেবদাসের স্ত্রী সুপ্রিয়া মণ্ডল গায়েন। সেই মামলায়ই এই নির্দেশ দেয় আদালত।

    চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল শাহজাহানের নাম

    জানা গিয়েছে, এই খুনের মামলায় প্রথমে যে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছিল, তাতে নাম ছিল শাহজাহানের। পরে মামলার তদন্তভার সিআইডির হাতে যাওয়ার পর চার্জশিট থেকে বাদ যায় শাহজাহানের নাম। ২০২২ সালেও একটি খুনের মামলায় চার্জশিটে ছিল শাহজাহানের নাম। সেবারও জামিন পেয়ে (Calcutta High Court) যান তিনি। প্রসঙ্গত, সন্দেশখালির অঘোষিত শাসক হিসেবে পরিচিত তৃণমূলের শাহজাহান ইতিমধ্যেই রেশন কেলেঙ্কারি ও ইডি অফিসারদের ওপর হামলার মামলায় জেলবন্দি। প্রায় দু’মাস গা-ঢাকা দেওয়ার পর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এরপর প্রথমে সিবিআই এবং পরে ইডি দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাই হেফাজতে নেয় তাঁকে। এই অবস্থায় আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখায় শাহজাহানের রক্তচাপ যে বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য (Sandeshkhali)।

    মৌরসি পাট্টায় পরিণত করেছিলেন শাহজাহান

    সন্দেশখালিকে কার্যত নিজের মৌরসি পাট্টায় পরিণত করেছিলেন শাহজাহান। তিনি ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মাধ্যক্ষ। সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতিও তিনিই। স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০০৩ সালে এই শাহজাহানই করতেন সন্দেশখালি-সরবেড়িয়া রুটের ট্রেকারের হেল্পারি। তাঁর মামা ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান। সেই সূত্রে বাম আমলে ভেড়ির ব্যবসায় পা রেখেছিলেন শাহজাহান। স্থানীয়দের একাংশের আবার অভিযোগ, শাহজাহান বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন। সন্দেশখালির মাছের ভেড়ির রাশ নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি (Calcutta High Court) প্রথমদিকে তিনি শোনা যায় গরিবদের সাহায্যও করতেন। তখনও শাহজাহান হয়ে ওঠেননি ‘সন্দেশখালির বাঘ’। বাম জমানার একেবারে শেষের দিকে স্থানীয় বিধায়ক অনন্ত রায়ের আস্থাভাজন হয়ে উঠেছিলেন শাহজাহান। শোনা যায়, সেই সময় থেকেই তিনি হাত পাকিয়েছিলেন কাঠ ও গরু পাচারে। মানুষ পাচারের অভিযোগও ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।

    শাহজাহান যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে

    ২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে শাহজাহান যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত ধরেই বস্তুত সক্রিয়ভাবে রাজনীতির জগতে পা রাখেন তিনি। মাথায় জ্যোতিপ্রিয়র আশীর্বাদী হাত থাকায় তৃণমূলের পদ পেতেও বিশেষ বেগ পেতে হয়নি শাহজাহানকে। যদিও বাম আমলে বিধায়ক ঘনিষ্ঠ থাকলেও, কোনও পদ ছিল না শাহজাহানের। তৃণমূলের পদ পাওয়ার পরেই শাহজাহান হয়ে ওঠেন ‘শের-ই-সন্দেশখালি’। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে সন্দেশখালি কেন্দ্রে তৃণমূলের তারকা-রাজনীতিক নুসরত জাহানকে লিড পাইয়ে (Sandeshkhali) দেওয়ার ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা ছিল এই শাহজাহানেরই (Calcutta High Court)।

    দলের এই ‘সম্পদ’কে খুশি করতে পদ

    দলের এই ‘সম্পদ’কে খুশি করতে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঘাসফুল শিবির প্রার্থী করে শাহজাহানকে। নির্বাচনে জিতে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষও হন তিনি। এর পরে পরেই রেশন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়। তদন্ত শুরু হতেই উঠে আসে শাহজাহানের নাম। তাঁকে ধরতে সন্দেশখালি গিয়েছিলেন ইডির কর্তারা। সেদিন শাহজাহান বাড়ির ভেতরে থাকলেও, বাইরে বের হননি। উল্টে শাহজাহান বাহিনীর হামলার মুখে পড়ে জখম হন ইডির দুই আধিকারিক। ঘটনাটিকে সেদিন তৃণমূল নেতারা ব্যাখ্যা করেছিলেন, ‘এটি ইডির বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান’।

    মুখোশ খুলে পড়ে শাহজাহানের

    এই ‘গণঅভ্যুত্থানে’র পরেই মুখোশ খুলে পড়ে শাহজাহানের। মুখ খোলেন স্থানীয়রা। কেউ তাঁর বিরুদ্ধে জমিজমা দখলের অভিযোগ করেন, কেউ আবার শাহজাহান ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগে সরব হন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে গা-ঢাকা দেন শাহজাহান। পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁর শাগরেদ উত্তম সর্দার, শিবু হাজরাদের। শেষমেশ পুলিশের জালে পড়েন সন্দেশখালির বাঘ। দলের গায়ে যাতে শাহজাহানের কলঙ্ক (Sandeshkhali) না লাগে, তাই (Calcutta High Court) তাঁকে করে দেওয়া হয় ‘প্রাক্তনী’।

  • Calcutta High Court: ২১ জুলাই সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত মধ্য কলকাতায় যেন যানজট না-হয়! নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ২১ জুলাই সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত মধ্য কলকাতায় যেন যানজট না-হয়! নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবস উপলক্ষে কলকাতায় মিছিলের দিন যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ওই দিন সকাল ৮টা পর্যন্ত মিছিল করা যাবে। সকাল ৯টার মধ্যে মিছিল যেখানেই থাকবে, সেখানেই সেটিকে থামিয়ে দিতে হবে। বিশেষ করে সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত শহরে যেন কোনও যানজট না হয়, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police)। এই সংক্রান্ত মামলাটি দায়ের করে অল ইন্ডিয়া লয়্যার্স ইউনিয়ন। এই মামলাতেই বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানিয়েছেন, হাইকোর্টের রাস্তাসহ মধ্য কলকাতা এবং আশপাশের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে যান চলাচল যাতে বাধাপ্রাপ্ত না হয়, তা কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে নিশ্চিত করতে হবে। এই নির্দেশ কেবল কলকাতা পুলিশের অধীনস্থ এলাকাগুলির জন্য প্রযোজ্য। বেলা ১১টার পর মিছিল স্বাভাবিক নিয়মেই চলতে পারবে বলে আদালত জানিয়েছে (Calcutta High Court)।

    পুলিশ কমিশনারের পদক্ষেপ স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন

    বিচারপতি এদিন জানতে চান, সভায় কতজনের সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। রাজ্যের আইনজীবী জানান, প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের জমায়েত হতে পারে। বিচারপতি তখন বলেন, ‘‘আপনার এই বক্তব্য রেকর্ডে আনব?’’ উত্তরে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, ‘‘এটা নতুন কিছু নয়।’’ বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, কলকাতার পুলিশ (Kolkata Police) কমিশনার একজন সরকারি কর্মচারী। তিনি কী কী পদক্ষেপ করছেন, তা স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন। যদি পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়, তখন কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা-ও আগে থেকে পরিকল্পনা করা দরকার। তিনি আরও বলেন, আমহার্স্ট স্ট্রিট ও কলেজ স্ট্রিট বন্ধ হলে উত্তর কলকাতার (Calcutta High Court) স্বাভাবিক জীবনযাত্রা থমকে যাবে।

    যানজটের অভিযোগ দীর্ঘদিনের

    আসলে, ২১ জুলাইয়ের তৃণমূল কর্মসূচির কারণে মধ্য কলকাতায় দীর্ঘ যানজটের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এই প্রেক্ষিতে ধর্মতলার মতো জনবহুল এলাকায় একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে কর্মসূচি করার অনুমতি দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলে আবেদনকারীরা। বিচারপতি ঘোষের এজলাসে মামলার শুনানিতে আদালত (Calcutta High Court) প্রশ্ন তোলে — একটানা কতদিন রাস্তা বন্ধ করে এই ধরনের কর্মসূচি মেনে নেওয়া সম্ভব? তিনি বলেন, “এই বছর কর্মসূচির স্থান পরিবর্তন করছি না, তবে কিছু শর্ত থাকছে।” তৃণমূলের আইনজীবীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “আগামী বছর শহিদ মিনার, ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড বা অন্য কোথাও সভা করার কথা ভাবতে পারেন।”

  • TMC: বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনে কাঠগড়ায় ৩ তৃণমূল নেতা, আগাম জামিনের আবেদন

    TMC: বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনে কাঠগড়ায় ৩ তৃণমূল নেতা, আগাম জামিনের আবেদন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে-পরে ব্যাপক রক্ত ঝরেছিল পশ্চিমবঙ্গে। বিরোধীদের ওপর প্রচুর অত্যাচার হয়েছিল বলেও অভিযোগ। এই নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিনই রাতে খুন হন বেলেঘাটার বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার।

    খুনের ঘটনায় কাঠগড়ায় তৃণমূলের ৩ (TMC)

    এই খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় বেলেঘাটার বিধায়ক তৃণমূলের (TMC) পরেশ পাল, কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (বস্তি) তৃণমূলের স্বপন সমাদ্দার এবং ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৃণমূলেরই পাপিয়া ঘোষ। সেজন্য কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) আগাম জামিনের আবেদন করেন তাঁরা। তৃণমূলের এই নেতাদের আইনজীবীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই মামলায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই তাঁদের নাম জড়ানো হয়েছে। তদন্তে সহযোগিতা করার ইচ্ছে থাকলেও, সিবিআই হঠাৎই তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করায় তাঁরা আদালতের কাছে আগাম জামিনের আবেদন করেন। প্রসঙ্গত, সিবিআই ইতিমধ্যেই ওই তিন তৃণমূল নেতাকে ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিশ দিয়েছে। আদালত সূত্রে খবর, ১৬ জুলাই বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে ওই তৃণমূল নেতাদের আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি হতে পারে।

    বিজেপি কর্মী খুনে অভিযুক্ত তাঁরা

    কলকাতার বেলেঘাটার বাসিন্দা অভিজিৎ বিজেপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল বের হয় ২ মে। তার পরেই কলকাতার বেশ কয়েকটি এলাকায় হিংসার ঘটনা ঘটে। সেই সময় ফেসবুক লাইভে এসে অভিজিৎ অভিযোগ করেন, তাঁর বাড়ি ও পোষ্যদের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। এরই কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধার হয় তাঁর মৃতদেহ। তাতেই নাম জড়ায় ওই তিন তৃণমূল নেতার। খুনের প্রেক্ষিতে অভিজিতের পরিবারের পক্ষ থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয় কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতের নির্দেশে তদন্তভার পায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা (TMC)। সম্প্রতি চার্জশিট দাখিল করে সিবিআই। সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছে পরেশ, স্বপন এবং পাপিয়ার নাম।

    বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, এই খুনের ঘটনায় জড়িত শাসক দল তৃণমূলের একাধিক নেতাকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে দীর্ঘ দিন ধরে। কিন্তু শেষমেশ সামনে আসছে সত্য। উল্লেখ্য, এর আগে ব্যাংকশাল কোর্টে হাজিরা এড়িয়েছিলেন (Calcutta High Court) তৃণমূলের এই তিন অভিযুক্ত নেতা (TMC)।

  • ssc Scam: ‘দাগি’ বা চিহ্নিত অযোগ্য প্রার্থীদের পাশে কেন বারবার দাঁড়াচ্ছে মমতা সরকার?

    ssc Scam: ‘দাগি’ বা চিহ্নিত অযোগ্য প্রার্থীদের পাশে কেন বারবার দাঁড়াচ্ছে মমতা সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দাগি’ বা চিহ্নিত অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া (ssc Scam) থেকে অবিলম্বে বাদ দিতে হবে—এই মর্মে সোমবার গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য নির্দেশ দিয়েছেন, যদি কোনও অযোগ্য প্রার্থী ইতিমধ্যেই আবেদন করে থাকেন, তবে সেই আবেদন বাতিল করতে হবে। আদালত আরও স্পষ্ট করে দিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা মেনেই নিয়োগের পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। তবে ৩০ মে এসএসসি যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল, তার ভিত্তিতেই নিয়োগ এগোতে পারে—এই অংশে আদালত হস্তক্ষেপ করেনি।

    রাজ্য সরকারের জন্য বড় ধাক্কা (ssc Scam)

    এই রায় কার্যত রাজ্য সরকারের জন্য বড় ধাক্কা। কারণ, নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অযোগ্যদের সরাসরি বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি। কোর্টের রায় সামনে আসতেই অনেক প্রাক্তন চাকরিপ্রার্থী প্রশ্ন তুলেছেন—”যোগ্যদের বঞ্চিত রেখে রাজ্য কেন বারবার অযোগ্যদের পাশেই দাঁড়াতে চাইছে?” প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়। এরপর শিক্ষা দফতর নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, ২০২5 সালের SSC-র বিজ্ঞপ্তি সুপ্রিম কোর্টের রায়কে অমান্য করছে।

    অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের অধিকার নেই

    চিহ্নিত অযোগ্যদের নিয়োগ পরীক্ষায় (ssc Scam) অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়, যদিও সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্টভাবে তাদের অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হন যোগ্য প্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, SSC সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা লঙ্ঘন করেছে এবং অযোগ্যদের সুযোগ দিয়ে যোগ্যদের সঙ্গে চরম অবিচার করা হয়েছে। বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য এই মামলায় রায় দেন, SSC-র সিদ্ধান্ত অনুচিত এবং অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের অধিকার নেই। মামলাকারীদের আরও অভিযোগ, প্রায় ৪৪ হাজার শূন্যপদের যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে, সেটি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এবং ২০১৬ সালের চাকরির নিয়মাবলি অনুসরণ না করেই জারি করা হয়েছে। তাঁরা দাবি করেন, ওই বছরের বাছাই প্রক্রিয়া ২০১৬ সালের নিয়মেই সম্পন্ন হওয়া উচিত এবং আবেদনকারীরাও সে সময়কার প্রার্থী হতে হবে। বয়সের ছাড় সংক্রান্ত নিয়মও মানা হয়নি বলে আদালতে অভিযোগ করেছেন মামলাকারীরা।

    অযোগ্যদের পাশে রাজ্য

    তাঁরা এ-ও বলেন, ২০১৬ সালের নিয়োগে বিস্তর দুর্নীতি হয়েছিল, যার জেরে সুপ্রিম কোর্ট নতুন করে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল। তাই নতুন প্রক্রিয়াও যেন পুরনো নিয়মনীতির আলোকে চলে—এমনটাই তাঁদের জোর দাবি।সোমবার আদালতে এসএসসি ও রাজ্য তাদের অবস্থান তুলে ধরে জানায়, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কোথাও সরাসরি উল্লেখ নেই যে অযোগ্য প্রার্থীদের আবেদন করার অধিকার নেই।

    কমিশনের কাছ থেকে এমন ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য নয়, জানান বিচারপতি

    তবে এই যুক্তিতে সন্তুষ্ট হয়নি আদালত। বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “কমিশনের কাছ থেকে এমন ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য নয়।ফলত, আদালতের নির্দেশ—চিহ্নিত অযোগ্যদের নিয়োগপ্রক্রিয়া থেকে অবিলম্বে বাদ দিতে হবে। এই অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে—রাজ্য সরকার বারবার কেন অযোগ্যদের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে?

    ৩০ মে এসএসসি নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে

    প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন ২৬ হাজারেরও বেশি শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। এরপরই চিহ্নিত অযোগ্যদের বাদ দিয়ে নতুন পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সেই অনুযায়ী ৩০ মে এসএসসি নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে, যা চ্যালেঞ্জ করে ৯টি পৃথক মামলা হয়। সোমবার সেই মামলার শুনানিতে, রাজ্য ও এসএসসি ফের অযোগ্যদের পক্ষেই সওয়াল করে, যা আদালতের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

  • CBI: শাহজাহানের বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর! আদালতের নির্দেশে তিন বিজেপি কর্মীর খুনের তদন্তভার নিল সিবিআই

    CBI: শাহজাহানের বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর! আদালতের নির্দেশে তিন বিজেপি কর্মীর খুনের তদন্তভার নিল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে ঘটে যাওয়া হিংসাত্মক ঘটনার তদন্তভার শেষমেশ গ্রহণ করল সিবিআই। ওই ঘটনায় তিন বিজেপি কর্মীর খুনের মামলায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছে তৃণমূল দুষ্কৃতী শাহজাহান শেখের নাম। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই (CBI)। শনিবার এই তথ্য সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকেরা।

    ৩০ জুন কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ

    গত ৩০ জুন কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় যে, সন্দেশখালির তিন বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত করবে। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত সিবিআইকে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠনের নির্দেশও দেন। ওই তিন বিজেপি কর্মী—প্রদীপ মণ্ডল, দেবদাস মণ্ডল এবং সুকান্ত মণ্ডল। ২০১৯ সালের ৮ জুন এঁরা খুন হন বলে অভিযোগ।

    শাহজাহানের বাড়িতে ইডি

    প্রাথমিক চার্জশিটে শাহজাহান শেখের নাম থাকলেও, পরবর্তী সময়ে সিআইডি তদন্তভার গ্রহণ (CBI) করলে তাঁর নাম বাদ পড়ে বলে দাবি নিহতদের পরিবারের। নিহতদের পরিবারগুলোর অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শাহজাহানের নাম বাদ দেওয়া হয় । উল্লেখ্য, ২০২২ সালে আরেকটি খুনের মামলার চার্জশিটেও শাহজাহানের নাম ছিল, কিন্তু পরে তিনি জামিন পান।
    ২০২৪ সালের গোড়ার দিকে (CBI) রেশন দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চালাতে গিয়ে শাহজাহানের বাড়িতে কেন্দ্রীয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর আধিকারিক ও আধাসেনা জওয়ানরা ‘আক্রান্ত’ হন বলে অভিযোগ। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

    শাহজাহানের বিরুদ্ধে সন্দেশখালির আন্দোলন

    এই ঘটনার কিছুদিন পর থেকেই সন্দেশখালির বহু বাসিন্দা শাহজাহান ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে সরব হতে থাকেন। অভিযোগ ওঠে, স্থানীয়দের কৃষিজমি জোর করে দখল করে মাছের ভেড়ি তৈরি করা হয়েছে, সেই ভেড়ির লিজের টাকা প্রাপ্যদের দেওয়া হয়নি, এবং একাধিক আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে তাঁরা জড়িত। এছাড়াও, এলাকায় মহিলাদের উপর নির্যাতনের অভিযোগে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়ায় (CBI)। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকায় বিজেপি-সহ একাধিক বিরোধী দল রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে অংশ নেয়। এই চাপের মুখেই তৃণমূল কংগ্রেস শাহজাহান শেখকে দল থেকে সাসপেন্ড করে।

  • Calcutta High Court: ‘রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজের ইউনিয়ন রুম আজ থেকে বন্ধ’, বিরাট নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ‘রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজের ইউনিয়ন রুম আজ থেকে বন্ধ’, বিরাট নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কসবায় ল’ কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের পর ঘটনার পর শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের ভূমিকা আতসকাচের তলায়। তার ওপর বহুকাল ধরে রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র ভোট হয়নি। অথচ হই হই করে চলছে কলেজের ইউনিয়ন রুম!  এনিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। ওই মামলাতেই বৃহস্পতিবার বড় নির্দেশ দিল আদালত।

    সব কলেজের ইউনিয়ন রুম বন্ধ!

    গত ২৫ জুন কসবার ল’ কলেজের ইউনিয়ন রুমে এক ছাত্রীকে আটকে রেখে গণধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। সেই সূত্রে এই অভিযোগও সামনে আসে যে রাজ্যের একাধিক কলেজের ইউনিয়নরুমে বহিরাগতদের আড্ডা এবং অসামাজিক কার্যকলাপ হচ্ছে। আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলায় এদিন বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, যতদিন পর্যন্ত ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত রাজ্যের সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিয়ন রুম বন্ধ থাকবে। জরুরি কোনও প্রয়োজন হলে রেজিস্ট্রারের কাছে আবেদন করতে হবে। নয়তো ইউনিয়ন রুম তালাবন্ধই থাকবে। এই মর্মে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরকে নোটিশ জারি করতে হবে বলেও নির্দেশ দেয় আদালত।

    ছাত্র ভোট নিয়ে কী ভাবছে রাজ্য?

    এদিন মামলার শুনানিতে বিচারপতিদ্বয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেন, কোনও নির্বাচন না হওয়া সত্ত্বেও ইউনিয়ন চলছে কলেজগুলিতে, যা বেআইনি। এরপরেই, গোটা রাজ্যের সব কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের রুম বন্ধের নির্দেশ দেয় বেঞ্চ। একইসঙ্গে, ছাত্র ভোট নিয়ে কী ভাবছে রাজ্য? হলফনামা দিয়ে আগামী ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে রাজ্যকে জানাতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    কসবা মামলায় কেস ডায়েরি জমার নির্দেশ

    অন্যদিকে, কসবা ল’ কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে রাজ্যকে তদন্ত রিপোর্ট এবং কেস ডায়েরি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত জানিয়েছে, এই ঘটনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কলেজকেও হলফনামা জমা দিতে হবে। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালির ৩ বিজেপি কর্মী খুনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

    Sandeshkhali: সন্দেশখালির ৩ বিজেপি কর্মী খুনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে ২০১৯ সালে তিন বিজেপি কর্মীকে হত্যার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। আদালত সিবিআইকে এই মামলার জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছে। ২০১৯ সালের ৮ জুন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বাসিন্দা তথা বিজেপি প্রদীপ মণ্ডল, দেবদাস মণ্ডল এবং সুকান্ত মণ্ডলকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। তিনজনই বিজেপি কর্মী ছিলেন। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছিল তৎকালীন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে। প্রথম পর্যায়ে তার নাম চার্জশিটে থাকলেও পরে সিআইডির হাতে তদন্ত যাওয়ার পর তার নাম বাদ পড়ে যা নিয়ে নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়।

    ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সহায়তায় হাইকোর্টে যায় নিহতদের পরিবার

    প্রদীপ মণ্ডলের পরিবারের অভিযোগ, সেদিন একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে গুলি করে খুন করে। তার তুতো ভাই সুকান্ত এবং প্রতিবেশী দেবদাস মণ্ডলকেও একই কায়দায় হত্যা করা হয়। ঘটনায় দু’টি পৃথক এফআইআর দায়ের করেছিলেন সুপ্রিয়া মণ্ডল এবং পদ্মা মণ্ডল। দুই মামলাতেই মূল অভিযুক্ত ছিল শেখ শাহজাহান (Sandeshkhali)। একটি মামলায় ২৮ জন এবং অন্যটিতে ২৪ জন অভিযুক্ত ছিল। কিন্তু রহস্যজনকভাবে, দুই মামলার চার্জশিট থেকেই বাদ যায় শেখ শাহজাহানের (Sandeshkhali) নাম। এরপর ২০২৪ সালের ৮ জানুয়ারি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সহায়তায় নিহতদের পরিবার ফের হাইকোর্টে সিবিআই তদন্তের দাবি জানায়।

    তদন্তকারী আধিকারিককে ভর্ৎসনা বিচারপতির (Calcutta High Court)

    মামলার শুনানির সময় তদন্তকারী আধিকারিককে প্রশ্ন করেন বিচারপতি, ‘‘সাক্ষীর গোপন জবানবন্দিতে শেখ শাহজাহানকে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও কেন তার নাম চার্জশিটে নেই?’’ উত্তরে আধিকারিক (Sandeshkhali) বলেন, ‘‘সাক্ষীকে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি।’’ তখন বিচারপতি পাল্টা বলেন, ‘‘আপনি ঠিক করবেন কে বিশ্বাসযোগ্য আর কে নয়?’’ বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, তদন্ত যথাযথভাবে হয়নি, সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদেও গাফিলতি রয়েছে। তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, “যখন বছরের পর বছর মূল অভিযুক্তের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে, তখন হঠাৎ এখন অতিরিক্ত চার্জশিট দেওয়ার তোড়জোড় কেন? চার-পাঁচ বছর ধরে চুপ ছিলেন, আর এখন সক্রিয়তা মানুষ এসব বুঝতে পারে।”

  • Calcutta High Court: বড় ধাক্কা মমতা সরকারের, চাকরিহারাদের দেওয়া যাবে না ভাতা, রায় হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: বড় ধাক্কা মমতা সরকারের, চাকরিহারাদের দেওয়া যাবে না ভাতা, রায় হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত মে মাসেই চাকরিহারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতা দেওয়ার (SSC) সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মমতা সরকার। শুক্রবার এ নিয়ে হাইকোর্টের রায় সামনে এল। বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। এদিনই হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Calcutta High Court) তাঁর রায়ে জানিয়েছেন, ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অথবা আদালত যতদিন না পরবর্তী নির্দেশ দিচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত এই চাকরিহারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতা দিতে পারবে না রাজ্য সরকার। উচ্চ আদালত এদিন আরও জানিয়েছে, চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা জমা দিতে হবে এ বিষয়ে। রাজ্যের হলফনামা জমা দেওয়ার পনেরো দিনের মধ্যে পাল্টা হলফনামা জমা দেবেন মামলাকারীরা।

    গ্রুপ সি কর্মীদের ২৫ হাজার টাকা ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ২০ হাজার টাকার ভাতার ঘোষণা

    প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলে থাকা প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। এই ২৬ হাজার জনের মধ্যেই রয়েছেন গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীরাও। গত মাসেই রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, চাকরিহারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের প্রতি মাসে ভাতা দেওয়া হবে। গ্রুপ সি কর্মীদের প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকা এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে মমতা সরকার। তবে শুক্রবার তাতে স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।

    আগের শুনানিতেই এনিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা

    প্রসঙ্গত, ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয় (Calcutta High Court)। যারা মামলা করেন, তারা হাইকোর্টে জানান যে, চাকরিহারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতা দেওয়া হলে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থী হবে। প্রসঙ্গত, আগের শুনানিতেই বিচারপতি অমৃতা সিনহা ভাতার টাকার অঙ্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, টাকার পরিমাণ ২৫ হাজার এবং ২০ হাজার করা হল কেন? কিসের ভিত্তিতে এই অঙ্ক নির্ধারণ করা হল? বিচারপতি অমৃতা সিনহা আরও প্রশ্ন তুলেছিলেন, যাঁরা এই টাকা পাবেন তাঁদের থেকে রাজ্য প্রতিদানে কী পাবে? তিনি বলেছিলেন, তাঁরা ঘরে বসে থাকবেন আর টাকা পাবেন? সুপ্রিম কোর্টে একটার পর একটা রিভিউ পিটিশন হতে থাকবে আর এরা টাকা পেতে থাকবেন? প্রসঙ্গত, গত শুক্রবারই মামলার শুনানি শেষ হয়, কিন্তু সেদিন রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এই শুক্রবার তিনি রায় ঘোষণা করলেন এবং গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতা দেওয়ার উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করলেন।

  • Calcutta High Court: ওবিসির নয়া তালিকায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি কলকাতা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ওবিসির নয়া তালিকায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট কুড়োতে নয়া ওবিসি তালিকা তৈরি করে বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছিল রাজ্য সরকার। তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের সেই প্রচেষ্টায় আপাতত জল ঢেলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার আদালত সাফ জানিয়ে (Calcutta High Court) দিল, ওবিসির (OBC Case) নয়া তালিকা-সহ রাজ্য এ সংক্রান্ত যত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, সেগুলির ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা হল। এই নির্দেশ বলবৎ থাকবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। ওবিসি সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৪ জুলাই। এদিন মামলাটি উঠেছিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চে। সোমবারই পোর্টাল চালু করে সমস্ত দফতরে কাস্ট সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার আবেদন করতে বলেছিল রাজ্য। তাতেও স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত।

    বিচারপতি মান্থার বক্তব্য (Calcutta High Court)

    এদিন শুনানিতে বিচারপতি মান্থা বলেন, “রাজ্যের তরফে এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে যে চার-পাঁচটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, তার মাধ্যমে সরাসরি আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে। আমরা আগেও বলেছি যে ওবিসি শ্রেণিভুক্ত ৬৬টি সম্প্রদায়কে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করুন।” রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী বলেন, “আপনারাও (রাজ্য) বলছেন যে, আপনারা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের জন্য অপেক্ষা করছেন। আমরাও বলেছি যে, ঠিক আছে তাহলে সেই পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করবেন না।” বিচারপতি মান্থা বলেন, “আপনারা (রাজ্য) অর্ধেক কাজ করেছেন ২০১২ সালের ওবিসি আইন অনুযায়ী। তারপর আবার ১৯৯৩ সালের আইনে ফিরে গিয়েছেন। এটা কেন হবে? আপনারা কেন ২০১২ সালের আইনে সংশোধনী আনলেন না?” এর পরেই খারিজ হয়ে যায় রাজ্যের আবেদন।

    আবেদনকারীদের দাবি

    প্রসঙ্গত, ওবিসি শংসাপত্র বাতিল মামলায় আবেদনকারীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, হাইকোর্টের রায় মেনে সমীক্ষা করা হয়নি। কোনও বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়নি। রাজ্য ও অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ কমিশনের যুক্তি ছিল, সমস্ত নিয়ম মেনেই সমীক্ষা হয়েছে এবং তার রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চ সেই সমীক্ষার পদ্ধতি-সহ যাবতীয় নথি দেখতে চায়।মামলাকারীদের মূল বক্তব্য, কোথায় কত জনসংখ্যা রয়েছে (Calcutta High Court), তার সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্যই রাজ্যের কাছে নেই। এই জন্যই সঠিক সমীক্ষার প্রয়োজন (OBC Case)। নয়া কোনও জনগোষ্ঠীকে ওবিসির তালিকায় আনতে গেলে বিধানসভায় বিল পেশ করতে হয়। সেটাও করেনি রাজ্য সরকার। এর পরেই রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি খারিজের আবেদন জানান মামলাকারীরা।

    ওবিসি শংসাপত্র বাতিল

    ২০২৪ সালের ২২ মে কলকাতা হাইকোর্ট ২০১০ সালের পরে তৈরি রাজ্যের সমস্ত ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করে দেয়। তার জেরে বাতিল হয়ে গিয়েছে প্রায় ১২ লাখ ওবিসি শংসাপত্র। আদালত জানিয়েছিল, ২০১০ সালের পর থেকে ওবিসি শংসাপত্র প্রাপকদের যে তালিকা তৈরি করা হয়েছিল, তা ১৯৯৩ সালের ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস আইনের পরিপন্থী। আদালতের রায় অনুযায়ী, ২০১০ সালের আগের ৬৬টি সম্প্রদায়ের ওবিসি শংসাপত্র বৈধ। ফলে তার পর থেকে তৈরি সব ওবিসি শংসাপত্র বাতিল হয়ে যায়। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। তবে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।

    শুভেন্দুর কড়া প্রতিক্রিয়া

    এদিন আদালতের রায় প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়ে ট্যুইট-বার্তায় বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, “ভোট ব্যাংকের স্বার্থে ওবিসি সংরক্ষণে অপব্যবহার করতে চেয়েছিল রাজ্য। বহু সম্প্রদায়কে বঞ্চিত করা হয়েছিল। আদালতের রায়ে রাজ্যের সেই অপচেষ্টা ব্যর্থ হল।” সরকারি চাকরিতে ওবিসিদের জন্য ১৭ শতাংশ সংরক্ষণ চালু করেছিল রাজ্য। যা নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় রাজ্যের সংরক্ষণ নির্দেশ বাতিল করে আগেও (Calcutta High Court) হাইকোর্ট জানিয়েছিল, ‘ধর্মের ভিত্তিতে কোনও সংরক্ষণ করা যায় না’।

    তোষণের রাজনীতি!

    ট্যুইট-বার্তায় বিরোধী দলনেতা আরও লেখেন, “আদালতের রায়ে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম না মেনে তোষণের রাজনীতি করছিল।” তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের আমলে বিশেষ একটি সম্প্রদায়ের লোকজনকে ওবিসির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে (OBC Case)।

    উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, আদালতের নির্দেশে নয়া অনগ্রসর সম্প্রদায়ের তালিকা তৈরি হয়েছিল। কোন কোন জনজাতিকে ওবিসি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে, তার একটি নির্দিষ্ট তালিকা কিছুদিন আগেই প্রকাশ করেছিল অনগ্রসর সম্প্রদায় উন্নয়ন কমিশন। সেখানে ১৪০টি জনগোষ্ঠীকে ওবিসি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল (Calcutta High Court)।

     

LinkedIn
Share