Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • SIR: মমতা সরকারের আবেদন খারিজ, সোদপুরে শুভেন্দুর সভা-মিছিলে অনুমতি হাইকোর্টের

    SIR: মমতা সরকারের আবেদন খারিজ, সোদপুরে শুভেন্দুর সভা-মিছিলে অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশ অনুমতি দেয়নি কিন্তু তবুও থেমে থাকেনি বিজেপি। প্রদীপ করের মৃত্যু প্রসঙ্গে তৃণমূলের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে মিছিল করতে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) আবেদন করেছিল বঙ্গ বিজেপি। এবার হাইকোর্ট রাজ্য প্রশাসনের আবেদন খারিজ করে শর্ত সাপেক্ষে মিছিলের অনুমতি দিয়েছে। উল্লেখ্য মৃত্যু নিয়ে কোনও রকম তদন্ত করার আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন ‘এই মৃত্যু আত্মহত্যা! এসআইআর (SIR) আবহে এনআরসির কারণে মানসিক ভাবে ভয় পেয়ে এই কাজ করেছেন। আর এখান থেকেই বিজেপির প্রশ্ন তদন্তের আগে মৃত্যু নিয়ে মমতা এতো নিশ্চিত কীভাবে?

    বিকেল ৩ টে থেকে সন্ধ্যে ৫ টা পর্যন্ত মিছিল (SIR)

    সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে মামলার (Calcutta High Court) শুনানি হয়। বিজেপিকে অনুমতি দিয়ে বিচারপতির নির্দেশ, বিকেল ৩টে থেকে সন্ধ্যে ৫টা পর্যন্ত মিছিল করতে পারবে। মিছিলের শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখতে পারবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ১০০০ লোক নিয়ে মিছিল করা যাবে। তবে আয়োজকদের নিশ্চিত করতে হবে স্থানীয়দের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়। মানুষের ভোগান্তী যেন না হয়। পুলিশকে আইন শৃঙ্খলার বিষয়ে কড়া নজরদাড়ি রাখতে হবে। মিছিল সোদপুর থেকে আগরপাড়া তেঁতুলতলা বাস স্টপ পর্যন্ত করতে হবে।

    ২০০২ সালে প্রদীপ করের নাম রয়েছে

    রাজ্যে এসআইআর (SIR) আবহে সোদপুরের প্রদীপ করের মৃত্যুকে এনআরসি আতঙ্ক বলে চিহ্নিত করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আবার তৃণমূলের পক্ষেই পুলিশ তথ্য দিয়ে বলেছে, দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়ায় নোটেও সেরকমই লেখা রয়েছে। যদিও সেই নোটের হাতের লেখা নিয়ে হাজারও সংশয় রয়েছে। ইতিমধ্যে নমুনা সংগ্রহ করেছে ফরেন্সিক টিম। তবে বিজেপির বক্তব্য, মৃত প্রদীপ বাবুর হাতের চারটি আঙ্গুল নেই। উপরন্তু তিনি তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তিনি কীভাবে আত্মহত্যার নোট লিখবেন? ফলে এটা কী হত্যা নাকি আত্মহত্যা, এই নিয়ে বিজেপি প্রশ্ন তুলেছে। বিজেপির সাফ কথা পুলিশের করা কেস সম্পূর্ণ ভাবে মিথ্যা।

    তবে এই প্রদীপ করের মৃত্যু নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “যেখানে ২০০২ সালে প্রদীপ করের নাম রয়েছে, তিনি কেন আত্মঘাতী হবেন।” পাল্টা বিজেপির দাবি তাঁকে খুন করা হয়েছে। ফলে ঘটনার অপপ্রচার এবং আসল মৃত্যুর কারণ জানতে রাস্তায় নামতে চলেছে বিজেপি। তৃণমূলের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে বিজেপি সোদপুর থেকে আগরপাড়া পর্যন্ত মিছিল করবে।

  • Calcutta High Court: “রাজ্যে কি আর্থিক জরুরি অবস্থা চলছে?” পশ্চিমবঙ্গের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: “রাজ্যে কি আর্থিক জরুরি অবস্থা চলছে?” পশ্চিমবঙ্গের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার হাইকোর্টের (Calcutta High Court) কাছে মুখ পুড়ল রাজ্যের! রাজ্যের সব আর্থিক লেনদেন বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের। রাজ্যের উচ্চ ও নিম্ন আদালতগুলির পরিকাঠামো উন্নয়ন-সহ বিভিন্ন খাতে পর্যাপ্ত অর্থের বরাদ্দ নিয়ে আরও একবার আদালতের ক্ষোভের মুখে পড়ল তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার (West Bengal Govt)। এর আগেও মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে ভর্ৎসনা করেছিল বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ।

    অর্থ চেয়েও না মেলায় ক্ষোভ আদালতের (Calcutta High Court)

    পরিকাঠামো উন্নয়ন-সহ প্রয়োজনীয় নানা কাজে অর্থ চেয়ে রাজ্যের দ্বারস্থ হয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট প্রশাসন। অর্থের জন্য হন্যে হলেও, অর্থ তো মেলেইনি, বরং এ সংক্রান্ত অন্তত ৫৩টি ফাইল আটকে রয়েছে। এর সমাধান হওয়া তো দূর অস্ত, পেপারলেস অবস্থায় চলছে আদালতের কাজকর্ম। হাইকোর্ট এবং জেলা আদালতগুলিতে প্রয়োজনীয় কর্মী নেই। লাখ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে যে  সংস্থা আদালতে ইন্টারনেট সংযোগ দিয়েছে, তাদের। এনিয়ে একাধিকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ডিভিশন বেঞ্চ। তার পরেও পরিস্থিতি যথা পূর্বং, তথা পরং। পুজোর ছুটির মধ্যে কলকাতা হাইকোর্ট প্রশাসনের সঙ্গে রাজ্যের অর্থ দফতরের সচিবের বৈঠকে সমস্যার সমাধান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আদালতের তরফে। তাতেও সুরাহা হয়নি। এদিকে সোমবার রাজ্যের পক্ষে ফের সময় চাওয়া হয়। এর পরেই ক্ষোভ উগরে দেন দেবাংশু বসাক এবং মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ।

    কী বলছে আদালত

    বিচারপতি বসাক বলেন, “বিএসএনএলের তিন বছরের বিল বাবদ বাকি ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। হাইকোর্টের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিলে কী হবে? আজ সরকারি ছুটি মানেই তো আর ইন্টারনেট হলি-ডে নয়! রাজ্য কি কনসলিডেলেট ফান্ড রিজার্ভ ব্যাঙ্কে রাখে? তাহলে তার অ্যাকাউন্ট নম্বর দিন। অ্যাটাচ করে দেব। সব লেনদেন বন্ধ রাখুন তাহলে! আরবিআইকে বলছি লেনদেন বন্ধ করতে।” তিনি বলেন, “রাজ্যের প্রশাসনিক (Calcutta High Court) মাথা, মুখ্যসচিব, অর্থসচিব – তাঁরা এক মাসেও কিছু করতে পারলেন না। রাজ্যের ভূমিকায় আমরা বাকরুদ্ধ। আমরা এগুলি রাজ্যের নজরে আনছি।” এই মামলায় এর আগে দু’বার (West Bengal Govt) ভার্চুয়াল হাজিরা দিয়েছিলেন মুখ্যসচিব। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে বিচারপতি বসাক বলেন, “উনি (মুখ্যসচিব) প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার পরেও কেন টাকা দেওয়া হল না?” এর পরেই তিনি বলেন, “রাজ্যে কি আর্থিক জরুরি অবস্থা চলছে? আপনারা তো প্রথম লাইনেই মিথ্যে কথা বলছেন!” প্রসঙ্গত, বছর তিনেক ধরে বকেয়া থাকায় ৩৬টি প্রকল্পের কাজ আটকে রয়েছে। মেটানো হয়নি বিএসএনের প্রাপ্য বকেয়া বিলও।

    রাজ্য সরকার মিথ্যের আশ্রয় নিচ্ছে!

    বেঞ্চের তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “হাইকোর্টের কাজে অর্থ বরাদ্দ করা কি প্রশাসনিক কাজের মধ্যে পড়ে না? গত তিন বছর যথেষ্ট সময়। বিল দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি? দেখে তো মনে হচ্ছে শামুক আর কচ্ছপের দৌড় প্রতিযোগিতা হচ্ছে।” বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন, “এই যদি হাইকোর্টের অবস্থা হয়, তাহলে নিম্ন আদালতগুলির কী অবস্থা!” এদিন রাজ্যের তরফে আইনজীবী জানান, ৬০ লাখ টাকা মিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ৩০ তারিখের মধ্যে (West Bengal Govt) বাকি টাকা দেওয়া হবে। অর্থ দফতরের আধিকারিক বলেন, “আমরা দু’দিনের মধ্যে অর্ধেক টাকা মিটিয়ে দিচ্ছি।” বিচারপতি (Calcutta High Court) বসাকের ফের প্রশ্ন, “কেন দু’দিন সময় লাগবে? এখন তো সঙ্গে সঙ্গে টাকা পাঠানো যায়!” রাজ্যের তরফে জানানো হয় রাজ্য সরকারের ছুটি রয়েছে। এর পরেই বেঞ্চ বলে, “এখন তো অনলাইনেই টাকা পাঠিয়ে দেওয়া যায়। ছুটি বলে তো আর ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ নয়! আদালত মনে করে, রাজ্য সরকার এই বিষয়ে মিথ্যের আশ্রয় নিচ্ছে।”

    রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর দিন

    এদিন শুনানির সময় আদালতে হাজির ছিলেন রাজ্যের অর্থ দফতরের এক আধিকারিক। বেঞ্চ তাঁর কাছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর জানতে চাইলে তিনি জানান, আরবিআইয়ের অ্যাকাউন্ট নম্বর জানা নেই তাঁর। এর পরেই আদালত (Calcutta High Court) বলে, “আমরা বসে আছি। এখনই মুখ্যসচিবকে ফোন করে অ্যাকাউন্ট নম্বর জেনে জানান।” এদিন রাজ্যের তরফে উপস্থিত আইনজীবী বলেন, “দয়া করে একটু সময় দেওয়া হোক। বিলের ২.৯ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে।” বেঞ্চের প্রশ্ন, “কিন্তু সেই টাকা কি আদৌ আদালতের হাতে এসেছে?”

    আদালতের নির্দেশ

    এর পরেও রাজ্যের তরফে এক সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১০ নভেম্বর। বেঞ্চের নির্দেশ, তার আগে ২৯ অক্টোবর এবং ৬ নভেম্বর বিষয়টি (West Bengal Govt) নিয়ে ফের বৈঠকে বসতে হবে রাজ্য এবং হাইকোর্ট (Calcutta High Court) প্রশাসনকে। মুখ্যসচিবের পাশাপাশি বৈঠকে উপস্থিত থাকতে হবে অর্থসচিবকেও।

  • Suvendu Adhikari: ধাক্কা নয়, হাইকোর্টের রায়ে খুশিই শুভেন্দু, ‘রক্ষাকবচ’ প্রত্যাহার নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    Suvendu Adhikari: ধাক্কা নয়, হাইকোর্টের রায়ে খুশিই শুভেন্দু, ‘রক্ষাকবচ’ প্রত্যাহার নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)-এর রায়ে খুশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে শুক্রবার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) দেওয়া রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০২২ সালে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার দেওয়া রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করেছে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এরপরই শুভেন্দু জানান, হাইকোর্ট তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া বেশিরভাগ মিথ্যা মামলা খারিজ করেছে আদালত। তাই রক্ষাকবচের প্রয়োজন সেই অর্থে নেই।

    কেন খুশি শুভেন্দু

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমি হাইকোর্টের রায়ে খুশি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পুলিশকে দিয়ে গত ৫ বছরে আমার বিরুদ্ধে যত মামলা করেছিল, হাইকোর্ট সেই সব মামলার বেশিরভাগ খারিজ করেছে। বাকি মামলা সিবিআইকে দিয়ে সিট বানিয়েছে। রাজ্য পুলিশ যে মমতার ক্রীড়নক, রাজনৈতিক টুল, এটা হাইকোর্টের রায়ে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। আবার মিথ্যা মামলা করলে আবার হাইকোর্টে আমি যেতে পারব, সেই স্বাধীনতাও হাইকোর্ট দিয়েছে। অতএব দেখবি আর জ্বলবি, লুচির মতো ফুলবি। নন্দীগ্রামে হারিয়েছি। ভবানীপুরে হারাব। মমতাকে প্রাক্তন করব। ওর ভাইপোকে জেলে পাঠাব।”

     রক্ষাকবচ প্রত্যাহারের নির্দেশ

    ২০২১ সালে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) রক্ষকবচ দিয়েছিলেন। যার ফলে বিধানসভার বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর করার আগে অভিযোগকারীদের আদালতের অনুমতি নিতে হত। এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর সিঙ্গল বেঞ্চ শুভেন্দুর রক্ষাকবচ প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। তবে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা খারিজ করে দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ। আর তাঁর বিরুদ্ধে মানিকতলা-সহ চারটি মামলায় সিবিআই ও রাজ্য পুলিশের যুগ্ম সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

    আগে যা ছিল, এখনও তাই

    এদিন ২০২২ সালে শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) দেওয়া হাইকোর্টের রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করে বিচারপতির মন্তব্য, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে রক্ষাকবচের যে রায় ছিল, তা অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ ছিল। কোনও অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ অনির্দিষ্টকাল চলতে পারে না। এর ফলে থেকে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে রাজ্যকে আর আদালতের অনুমতি নিতে হবে না। হাইকোর্ট রায় ঘোষণার পরই শাসকদের একাধিক নেতারা সব সুর চড়াতে শুরু করেন। তবে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “তৃণমূল বেকার নাচছে। এই মামলা আমারই পক্ষে গেছে”। ব্যাখ্যা দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যত গুলো মিথ্যে মামলা দিয়েছিল এই জেহাদি সরকার সব স্থগিত করে দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি, খুন, হামলা থেকে শুরু করে যা যা মিথ্যে মামলা সাজিয়েছিল সেগুলোও খারিজ করেছে।” বিরোধী দলনেতার কথায়, “এই রায় আমার কাছে কোন নেগেটিভ রায় নয়। তৃণমূল নাচছে নাচুক। ওরা সারাদিন আমাকে নিয়েই ব্যস্ত থাকে।” বিজেপি নেতা তথা আইনজ্ঞ তাপস রায়ও বলেন, রক্ষাকবচ তুলে নেওয়া হয়েছে বলে হইচই করা হচ্ছে, এই ব্যাখ্যাটাই আসলে ভুল। তাপসবাবু বলেন, “বিরোধী দলনেতার আগেও কোনও রক্ষাকবচ ছিল না, এখনও নেই। আগেও আদালত বলেছিল, হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে এফআইআর দায়ের করতে হবে। এখনও সেই অবস্থানই রয়েছে।”

    যে কোনও ঘটনায় শুভেন্দুকে জড়ানোর চেষ্টা

    বিরোধী দলনেতার অভিযোগ ছিল, তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক এফআইআর করছে পুলিশ। ছোটবড় যে কোনও ঘটনার সঙ্গে তাঁর নাম জড়ানো হচ্ছে। এফআইআরগুলিকে ভুয়ো বলে উল্লেখ করে ২০২১ এবং ২০২২ সালে দু’বার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। সেই সময়ে বিচারপতি মান্থা এফআইআরগুলিতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন এবং জানান, আদালতের অনুমতি ছাড়া নতুন করে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর আর করা যাবে না। রাজ্য সরকার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল। তবে শীর্ষ আদালত এ বিষয়ে হাইকোর্টের(Calcutta High Court) সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করেনি।

    শুভেন্দুর আইনজীবীর দাবি

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘‘বিচারপতি সেনগুপ্ত অধিকাংশ এফআইআর বাতিল করে দিয়েছেন। চার-পাঁচটি এফআইআর শুধু বাতিল করা হয়নি। আদালত জানিয়েছে, সিবিআই এবং রাজ্য পুলিশের সিনিয়র অফিসারদের নিয়ে সিট গঠন করতে হবে। তাঁরা ওই মামলাগুলির তদন্ত করবেন। আগের মামলাগুলির নিষ্পত্তি করে দেওয়া হয়েছে। তাই একে ঠিক রক্ষাকবচ প্রত্যাহার বলা চলে না।’’ ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। তার আগে রাজ্য সরকার নানা ভাবে বিরোধী দলনেতার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করবে বলে আশঙ্কা শুভেন্দুর আইনজীবীর। রাজ্য পুলিশের কাজে আস্থা নেই বলেই সিবিআইকে সিটে শামিল করা হয়েছে, দাবি তাঁর।

  • Nagrakata Incident: ‘নাগরাকাটায় পরিকল্পিত হামলা চালায় তৃণমূল’, মমতা ও রাজ্য সরকারকে নিশানা কেন্দ্রীয় বিজেপির

    Nagrakata Incident: ‘নাগরাকাটায় পরিকল্পিত হামলা চালায় তৃণমূল’, মমতা ও রাজ্য সরকারকে নিশানা কেন্দ্রীয় বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আহত বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে হাসপাতালে দেখতে নয় কেবলমাত্র ফটোশুট, ভিডিও শুট করতেই গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা এমনই দাবি করলেন।। জলপাইগুড়ির নাগরাকাটার ঘটনা নিয়ে ফের তৃণমূল কংগ্রেস ও রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তিনি। বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র তৃণমূলকে তালিবানি মানসিকতার বলে কটাক্ষ করেন। তিনি এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কদের মারার ঘটনার প্রসঙ্গে রাজ্যের মানসিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।

    কেন গিয়েছিলেন মমতা?

    বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর অভিযোগ, “কেবলমাত্র ফটোশুট, ভিডিও শুট করতে, লোক দেখাতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এক মিনিটের কম সময় থাকেন। আর বাইরে বেরিয়ে এসেই ভিডিও শুট করে বলেন, কেবল কানের নীচে একটু চোট লেগেছে। আসলে চোখের নীচের কয়েক সেন্টিমিটার দূরত্বেই হাড় ভেঙেছে, চোখটা নষ্ট হয়ে যেতে পারত।” শেহজাদ বলেন, “আমাদের আদিবাসী সম্প্রদায়ের সাংসদ খগেন মুর্মুকে ঘৃণ্যভাবে মারা হয়েছে। ওনার ওপর প্রাণঘাতী হামলা হয়েছে। ওনার পরিস্থিতি এতটাই আশঙ্কাজনক, চোখটা নষ্ট হতে বসেছিল। কোনওভাবে রক্ষা করা গিয়েছে। আইসিইউ তে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর এক্স রে রিপোর্টে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, মুখে চোখের নীচের হাড় ভেঙে গিয়েছে। আরেকজন আদিবাসী সম্প্রদায়ের বিধায়ক মনোজ ওঁরাওকে হেনস্থা করা হয়েছে।”

    গোটাটাই তৃণমূলের পরিকল্পিত হামলা

    পুরো হামলার নেপথ্যে তৃণমূল জড়িত বলে আরও একবার অভিযোগ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র শেহজাদ। তিনি বলেন, “গোটাটাই তৃণমূলের পরিকল্পিত হামলা। উত্তরবঙ্গে বিপর্যস্ত মানুষের পাশে যাঁরা দাঁড়াতে গিয়েছিলেন, তাঁদের ওপর হামলা হল। তৃণমূল নেতাকর্মীরা তালিবানি সংস্কৃতি পালন করছে। শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলা হয়েছে। শঙ্কর ঘোষও বলেছেন, কীভাবে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে পরিকল্পিত হামলা ছিল। কেন্দ্রীয় জওয়ানরাও রক্ষা পাননি।” উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই এমন দাবি করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। তিনি এই ঘটনায় এনআইএ তদন্ত দাবি করেন। একই দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারীও। এই হামলার পিছনে রোহিঙ্গা, বাংলাদেশিরা জড়িত বলে অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের।

    এখনও পর্যন্ত অধরা অভিযুক্তরা

    বর্তমানে শিলিগুড়ি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন খগেন। ওষুধের ও বিশ্রামের মাধ্যমে আপাতত তাঁর চোখের নীচের হাড় জোড়ার চেষ্টা চলছে। চার সপ্তাহ তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। যদি তাতে উন্নতি না হয়, তাহলে অপারেশন করে পাত বসানো হতে পারে। সেক্ষেত্রে দিল্লির এইমসেও নিয়ে যাওয়ার হতে পারে খগেনকে। ইতিমধ্যেই ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বিজেপির তরফে। কিন্তু ঘটনার পর ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও, এখনও পর্যন্ত এক জনকেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

  • Suvendu Adhikari: “ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে সুদ সহ বদলা হবে”, নাগরাকাটার ঘটনায় হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে সুদ সহ বদলা হবে”, নাগরাকাটার ঘটনায় হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর উপরে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সুদ সহ তার বদলা নেবে মানুষ। শাসক দল তৃণমূলকে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার নাগরাকাটার ঘটনায় (Nagrakata Incident) পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করছে বিজেপি। নাগরাকাটার বিজেপি মণ্ডল সভাপতি এই মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

    এনআইএ তদন্তের দাবি

    মঙ্গলবার শিলিগুড়ির হাসপাতালে আহত সাংসদ খগেন মুর্মুকে দেখতে যান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। সেখান থেকে বেরিয়েই তিনি বলেন, ‘ছাব্বিশে (election 2026) এই রক্তের বদলা হবে, সুদ সহ উসুল করবে বাংলার মানুষ। বিজেপি ক্ষমতায় এলে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে এই ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে। এসটি কমিশন, লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা হস্তক্ষেপ করেছেন। জলপাইগুড়ির এসপি আর ডিজি রাজীব কুমার দিল্লি যাওয়ার জন্য ব্যাগ গুছিয়ে রাখুন। ডাক আসবেই। রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য সিবিআই অথবা এনআইএ তদন্তের যে দাবি জানিয়েছেন, তাকে আমি সমর্থন করি।’

     মুখ্যমন্ত্রীর আচরণের কড়া সমালোচনা

    এদিনই শিলিগুড়ির হাসপাতালে গিয়ে বিজেপি-র আহত সাংসদ খগেন মুর্মুর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। যদিও ওই হাসপাতালেই আহত বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে দেখতে যাননি তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণেরও কড়া সমালোচনা করেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন, তা নিয়ে আমাদের দলের অনেক কর্মী সমর্থকই ক্ষুব্ধ ছিলেন। তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমরা সৌজন্য বজায় রাখতে বলেছি। উনি একজনের সঙ্গে দেখা করেছেন একজনের সঙ্গে করেননি। উনি এখানে এসে প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে লাগল? অথচ যারা অভিযুক্ত তাদের গ্রেফতার করছেন না।’

    শাসকদলের মদত স্পষ্ট, বললেন শুভেন্দু

    নাগরাকাটায় (Nagrakata Incident) বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটের আঘাতে চোখের নীচে হাড় ভেঙে গিয়েছে খগেন মুর্মুর। বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরাও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, দুর্গত এলাকায় ৩০-৪০টা কনভয় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আর তাতেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এই নিয়েও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুখ খোলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “৮ জন বিধায়ক, ৩ জন সাংসদ ছিলেন, পাঁচ খানা গাড়ি ছিল, আর ১২টা মিডিয়ার গাড়ি ছিল।” এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করে তিনি বলেন, “কে বলছেন! যাঁর জন্য চার ঘণ্টা রাস্তা বন্ধ থাকে, দড়ি ঘেরা থাকে, আর যিনি ২৫০-৩০০ গাড়ি নিয়ে বের হন। যাঁর জোড়া হেলিকপ্টার রয়েছে, জোড়া চার্টার্ড ফ্লাইট রয়েছে, তারপরও যখন রাস্তায় বের হন, রাস্তা বন্ধ করে দেন। তাঁর মুখ থেকে এসব কথা মানায় না।” এই ঘটনার পিছনে শাসকদলের মদত স্পষ্ট, বলে জানান বিরোধী দলনেতা। একই সঙ্গে এই ঘটনায় প্রশাসনিক ব্যর্থতাকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিজেপি। দলের সাংসদের ওপর হামলার ২৪ ঘণ্টা পরও অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেনি পুলিশ। ‘শূন্য’ গ্রেফতারি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে গেরুয়া শিবির।

  • Calcutta High Court: ফের স্থগিতাদেশ বৃদ্ধি চাকরিহারাদের ভাতায়, হাইকোর্টের তোপের মুখে মমতা সরকার

    Calcutta High Court: ফের স্থগিতাদেশ বৃদ্ধি চাকরিহারাদের ভাতায়, হাইকোর্টের তোপের মুখে মমতা সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসির গ্রুপ-ডি এবং গ্রুপ-সি চাকরি হারাদের ভাতা নিয়ে রাজ্য সরকার আরও একবার হাইকোর্টের তোপের মুখে। চাকরিহারাদের ভাতা দেওয়ার মামলায় স্থগিতাদেশের মেয়াদের সময়সীমাকে আরও একবার বৃদ্ধি করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হা নির্দেশ দেন, চাকরি হারাদের আগামী ২০২৬ সালের ৩০ জানুয়ারি সময় পর্যন্ত রাজ্য সরকার কোনও রকম ভাতা দিতে পারবে না । কোর্টের স্পষ্ট মত, যেখানে দেশের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দুর্নীতির (SSC scam) কারণে চাকরি বাতিল হয়েছে, সেখানে রাজ্য সরকার ভাতা দেবে কোন যুক্তিতে।

    অযোগ্য প্রার্থীদের অধিকাংশ তৃণমূল ঘনিষ্ঠ (Calcutta High Court)!

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হয়েছে। টাকার বিনিময়ে রাজ্য সরকার চাকরি বিক্রি করেছিল— এই মর্মে ১৮০০ জনের বেশি অযোগ্য প্রার্থীদের নামের তালিকাও প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। যাদের মধ্যে বেশির ভাগ চাকরি প্রার্থী তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-নেতা-মন্ত্রীর সমর্থক বা ঘনিষ্ঠ। চাকারি হারাদের পাশে দাঁড়িয়ে মমতা সরকার গ্রুপ সি কর্মীদের জন্য ২৫ হাজার টাকা এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের জন্য ২০ হাজার টাকা ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের হয়। আর এই মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রথমে চলতি মাসের ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবার সেই স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষের আগেই পুনরায় স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি করে দেন বিচারপতি সিন্‌হা।

    ভাতা দিলে কি পাওয়া যাবে?

    রাজ্য সরকারের দেওয়া ভাতার সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রথম থেকেই কোর্টের (Calcutta High Court) স্পষ্ট নির্দেশ ছিল, টাকার বিনিময়ে পেছনের দরজার দিয়ে যারা চাকরি পেয়েছে তারা আর যাই হোক যোগ্য নয়। সম্পূর্ণ ভাবে বেআইনি এবং অযোগ্যদের কীভাবে সরকার পক্ষ ভাতা দেওয়ার নৈতিক অধিকার রাখতে পারে। অযোগ্যদের ভাতা দিলে কি পাওয়া যাবে? তবে রাজ্যের অবশ্য বক্তব্য ছিল চাকরিহারাদের সাময়িক আর্থিক সাহায্য প্রদান করতেই ভাতার ভাবনা। তবে এই বিষয়ে রাজনীতির একাংশের মত, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর কোনরকম আলোচনা ছাড়া এই ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ভাবে বেআইনি। সেইসঙ্গে ওয়াকিবহাল মহলের মত, সরকার কীভাবে দাগিদের ভাতা দিতে পারে! এই ভাবনাটাই সম্পূর্ণ ভাবে দুর্নীতিকে (SSC scam) উৎসাহী করবে।

  • Calcutta High Court: খেজুরির দুই বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যুতে ফের মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: খেজুরির দুই বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যুতে ফের মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে দুই বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যুতে নয়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সোমবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি শব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে নতুন একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করতে হবে। এই বোর্ডকে এসএসকেএম হাসপাতালের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তে পাওয়া আঘাতগুলির ব্যাখ্যা দিয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

    ১২ জুলাই রহস্যমৃত্যু হয়

    গত ১২ জুলাই খেজুরির এক মেলায় সুজিত দাস ও সুজিত পাইক নামে দুই বিজেপি কর্মীর (BJP Workers) মৃত্যু হয়। প্রথমে তমলুক মেডিক্যাল কলেজের ময়নাতদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছিল, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ ছিল, তাঁদের খুন করা হয়েছে। এরপর পরিবারের সদস্যরা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে এসএসকেএম হাসপাতালে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত হয়। সেই রিপোর্টে আঘাতের চিহ্ন ধরা পড়ে—একজনের শরীরে ২৪টি এবং অন্যজনের শরীরে একাধিক আঘাতের দাগ পাওয়া যায়। সেই থেকেই খুনের অভিযোগ ফের জোরদার হয়।

    ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে সেই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে

    সোমবার আদালত (Calcutta High Court) জানিয়েছে, নতুন মেডিক্যাল বোর্ডকে জানাতে হবে, ওই আঘাতগুলির মধ্যে কোনটি মৃত্যুর কারণ হতে পারে। সেইসঙ্গে পুরো রিপোর্ট নিয়ে স্পষ্ট মতামতও জমা দিতে হবে। ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে (Calcutta High Court) সেই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। এর আগেও এই মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট তদন্তকারী অফিসার, প্রথম ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক, থানার ওসি ও মেলা কমিটির সদস্যদের মোবাইল কল রেকর্ড খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিল। সিআইডি আদালতকে জানায়, প্রথম ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক তদন্তকারী অফিসারকে একাধিকবার ফোন করেছিলেন। এ নিয়ে বিচারপতি বসাক প্রশ্ন তুলেছিলেন—“তদন্তকারী আধিকারিক কেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসককে ফোন করবেন?” প্রসঙ্গত, এসএসকেএমের রিপোর্টে উল্লেখ ছিল—মৃত্যুর কারণ শুধু বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া নয়, শরীরে আঘাতের (BJP Workers) চিহ্নও রয়েছে। সেই কারণেই ফের নতুন মেডিক্যাল বোর্ডের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে আদালত।

  • Siksha Bondhu: সুপ্রিম কোর্টে ফের ধাক্কা রাজ্যের, শিক্ষাবন্ধুদের ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরিতে বহাল রাখার নির্দেশ

    Siksha Bondhu: সুপ্রিম কোর্টে ফের ধাক্কা রাজ্যের, শিক্ষাবন্ধুদের ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরিতে বহাল রাখার নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের শিক্ষাবন্ধুরা এখন থেকে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চ কলকাতা হাইকোর্টের রায়কেই বহাল রাখে এবং জানিয়ে দেয়, শিক্ষাবন্ধুদের (Siksha Bondhu) চাকরির মেয়াদ ৬০ বছর পর্যন্ত বাড়ানো হল। সর্বোচ্চ আদালত এদিন আরও পর্যবেক্ষণ করে জানায়, দেশে শিক্ষকরা যথোপযুক্ত সম্মান পান না বরং অবহেলা ও শোষণের শিকার হন। বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এদিন বলেন, যদি কেউ একটানা ২১ বছর ধরে কাজ করে থাকেন, তবে তাঁকে স্থায়ী কর্মী হিসেবে বিবেচনা করা হবে না কেন? দিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চ (Supreme Court) স্পষ্ট নির্দেশ দেয়, শিক্ষাবন্ধুদের বকেয়া অর্থও মেটাতে হবে।

    সর্বশিক্ষা মিশনের অধীনেই নিয়োগ পান শিক্ষাবন্ধুরা (Siksha Bondhu)

    প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে রাজ্য সরকার সর্বশিক্ষা মিশনের অধীনে শিক্ষাবন্ধুদের (Siksha Bondhu) নিয়োগ করে। এরপর ২০১৩ সালে রাজ্য সরকার তাঁদের ‘স্বেচ্ছাসেবক’ হিসেবে ঘোষণা করে। কিন্তু ২০১৪ সালে, তাঁদের ভাতা বন্ধ করে এবং ৬০ বছরের আগেই অবসর নেওয়ার নির্দেশ জারি করে রাজ্য। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শিক্ষাবন্ধুরা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। ২০২৩ সালে, বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের বেঞ্চ রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেন। তবে, সেই রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করে।

    রাজাশেখর মান্থা এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে একই রায় দেয়

    এই নিয়ে মামলা উঠেছিল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল শিক্ষকদের মতো শিক্ষামিত্রদেরও কাজ করার অধিকার রয়েছে ৬০ বছর পর্যন্ত। ২০২৫ সালে দেওয়া এই মামলার রায়ে ডিভিশন বেঞ্চ হাইকোর্টের আগের রায়কেই বহাল রাখে, যা শিক্ষাবন্ধুদের পক্ষে এক গুরুত্বপূর্ণ জয় হিসেবে বিবেচিত হয়। এরপরে সুপ্রিম কোর্টও সেই রায়ই বহাল রাখল। সূত্রের খবর, বর্তমানে রাজ্যে মোট ৩,৩৩৭ জন শিক্ষাবন্ধু রয়েছেন। পিছিয়ে পড়া ও স্কুলছুট পড়ুয়াদের আবার শিক্ষার স্রোতে ফিরিয়ে আনাই তাঁদের মূল দায়িত্ব।

  • Supreme Court: সিঙ্গুর ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে চরম ভর্ৎসিত রাজ্য সরকার, মামলা শুনবে হাইকোর্ট

    Supreme Court: সিঙ্গুর ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে চরম ভর্ৎসিত রাজ্য সরকার, মামলা শুনবে হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিঙ্গুর ইস্যুতে রাজ্যের আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। একই সঙ্গে সালিশি আদালতের বিচারকের বিরুদ্ধে রাজ্যের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রাখল দেশের শীর্ষ আদালত। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট জানায়, সিঙ্গুরে কারখানা না হওয়ার জন্য টাটা মোটরসকে ৭৬৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া সংক্রান্ত যে বিষয়টি রয়েছে, তা কলকাতা হাই কোর্টেই শুনবে। চলতি মাসেই, আগামী ১২ অগাস্ট বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের বেঞ্চে, সিঙ্গুর সংক্রান্ত এই মামলার শুনানি রয়েছে।

    ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেয় সালিশি আদালত

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, সিঙ্গুরে টাটা মোটরসের কারখানা না হওয়ার জন্য ৩ সদস্যের একটি সালিশি আদালত টাটা গোষ্ঠীকে ৭৬৫ কোটি ৭৮ লাখ — অর্থাৎ প্রায় ৭৬৬ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল। ৩ সদস্যের এই আদালত ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর ওই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সালিশি আদালতের সেই নির্দেশ সামনে আসতেই ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে একটি বিবৃতি দিয়েছিল টাটা গোষ্ঠী। সেই বিবৃতিতে তারা বলেছিল, “২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর তিন সদস্যের সালিশি আদালতে সিঙ্গুরে অটোমোবাইল কারখানা মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। সর্বসম্মত ভাবে ট্রাইব্যুনাল, টাটা মোটরসকে ৭৬৫.৭৮ কোটি টাকা দিতে বলেছে। সেই সঙ্গে, ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে পুরো ক্ষতিপূরণ পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত ১১ শতাংশ হারে সুদ দিতে বলা হয়েছে।”

    পর্যবেক্ষণে কী জানিয়েছিল হাইকোর্ট?

    পরবর্তীকালে এই রায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার এবং সেই মামলা দায়ের করার অনুমতিও দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের বক্তব্য ছিল, সালিশি আদালতের সভাপতি তথা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ভিএস শ্রীপুরকর আসলে টাটা মোটরসের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। রাজ্যের আরও দাবি ছিল, সালিশি আদালতের বিচারপ্রক্রিয়া আসলে পক্ষপাতদুষ্ট। তাই এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে। কিন্তু গত ১৯ জুন, হাইকোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় রাজ্যের এই আবেদন খারিজ করে দেন (Singur Tata Case)। হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণে জানায়, সালিশি আদালতের সভাপতির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলছে রাজ্য সরকার, আসলে তার কোনও আইনি ভিত্তি নেই। এরপরে হাইকোর্টের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার।

    কী জানাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)?

    শুক্রবারে শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি পিএস নরসিংহ এবং বিচারপতি অতুল এস চান্দুরকরের বেঞ্চে। এক্ষেত্রে হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল, তাই বহাল রাখল শীর্ষ আদালত। এর পাশাপাশি রাজ্য সরকারের দায়ের করা মামলা খারিজও করে দেন তারা। সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার জানিয়েছে, ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত এই মামলার শুনানি কলকাতা হাইকোর্টেই হবে।

    ২০০৬ সালে টাটাকে জমি দেয় রাজ্য সরকার

    প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে হুগলির সিঙ্গুরে টাটার ন্যানো গাড়ি কারখানা প্রকল্পের কথা ঘোষণা করে তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেক্ষেত্রে টাটাকে এক হাজার একর জমি দেওয়া হয় (Singur Tata Case)। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সিঙ্গুরে গাড়ি কারখানা করতে পারেনি টাটা। এর পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ওই জমি টাটার কাছে ফেরত চায় তারা। টাটা গোষ্ঠী জমি ফেরাতে রাজি হয়। জমির দামের সঙ্গে যে পরিমাণ বিনিয়োগ করেছিল টাটা, তাও যোগ করা হয়। কিন্তু টাটার এই প্রস্তাবে রাজি হয়নি মমতা সরকার। তারপরেই লড়াই শুরু হয় আদালতে।

    ২০২৩ সালে আর্বিট্রেটর নিয়োগ করে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)

    ২০২৩ সালে, ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড ও টাটা মোটরসের মধ্যে মামলায় সমস্যা মেটাতে আর্বিট্রেটর নিয়োগ করে সুপ্রিম কোর্ট। এই সালিশি আদালতের সভাপতির বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ তোলে রাজ্য। পরে হাইকোর্টে আপিল করে। সুপ্রিম কোর্টে শুক্রবার রাজ্যের তরফ থেকে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। অন্যদিকে টাটার তরফ থেকে আদালতে সওয়াল করতে দেখা যায় আইনজীবী মুকুল রোহতগিকে।

    সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) সওয়াল-জবাব

    কপিল সিব্বল জানান যে, আর্বিট্রেটরের এক বিচারপতি পক্ষপাতদুষ্ট। তাঁকে নাকি টাটাদের অনুষ্ঠানেও দেখা গিয়েছে। তীব্র আপত্তি জানান মুকুল রোহতগি। তিনি বলেন, একজন বিচারপতির বিরুদ্ধে কিভাবে এই ধরনের অভিযোগ করা যায়? এর পাশাপাশি, শীর্ষ আদালতে তিনি আবেদন জানান যে এই মামলা খারিজ করে রাজ্যকে জরিমানা করা হোক। রাজ্যকে বড় জরিমানা করার দাবি ও করেন তিনি। এরপরই শীর্ষ আদালত নিজেদের পর্যবেক্ষণে জানায়, যদি কোনও ভাবে বোঝা যায় যে এই দাবি অনায্য, তবে রাজ্যকে বড় জরিমানা করা হবে। মুকুল রোহতগি বলেন, সবকিছুর সীমা থাকা উচিত। রাজ্যকে বড় জরিমানা হোক। এরপরেই রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। অর্থাৎ ক্ষতিপূরণ বাবদ টাটাদের হাতে তুলে দিতেই হবে ৭৬৬ কোটি টাকা।

  • Calcutta High Court: সন্দেশখালির তিন বিজেপি কর্মী খুনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেও

    Calcutta High Court: সন্দেশখালির তিন বিজেপি কর্মী খুনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মুখ পুড়ল প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তিন বিজেপি কর্মী খুনের অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল রাখল বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চ।

    শাহজাহানের আবেদনের গ্রহণযোগ্যতাই নেই (Calcutta High Court)

    বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সিবিআই তদন্তের বিরুদ্ধে সন্দেশখালির প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের আবেদনের কোনও গ্রহণযোগ্যতাই নেই। গত ৩০ জুন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর সিঙ্গল বেঞ্চ। সিবিআইয়ের যুগ্ম অধিকর্তাকে সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশও দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৮ জুন খুন হন বিজেপি কর্মী প্রদীপ মণ্ডল ও সুকান্ত মণ্ডল। নিখোঁজ হয়ে যান দেবদাস মণ্ডল। যদিও তাঁর পরিবারের অভিযোগ, দেবদাসকেও খুন করা হয়েছে। খুনের অভিযোগ ছিল শেখ শাহজাহানের এবং তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে। আদালতের দ্বারস্থ হন প্রদীপ মণ্ডলের স্ত্রী পদ্মা ও দেবদাসের স্ত্রী সুপ্রিয়া মণ্ডল গায়েন। সেই মামলায়ই এই নির্দেশ দেয় আদালত।

    চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল শাহজাহানের নাম

    জানা গিয়েছে, এই খুনের মামলায় প্রথমে যে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছিল, তাতে নাম ছিল শাহজাহানের। পরে মামলার তদন্তভার সিআইডির হাতে যাওয়ার পর চার্জশিট থেকে বাদ যায় শাহজাহানের নাম। ২০২২ সালেও একটি খুনের মামলায় চার্জশিটে ছিল শাহজাহানের নাম। সেবারও জামিন পেয়ে (Calcutta High Court) যান তিনি। প্রসঙ্গত, সন্দেশখালির অঘোষিত শাসক হিসেবে পরিচিত তৃণমূলের শাহজাহান ইতিমধ্যেই রেশন কেলেঙ্কারি ও ইডি অফিসারদের ওপর হামলার মামলায় জেলবন্দি। প্রায় দু’মাস গা-ঢাকা দেওয়ার পর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এরপর প্রথমে সিবিআই এবং পরে ইডি দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাই হেফাজতে নেয় তাঁকে। এই অবস্থায় আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখায় শাহজাহানের রক্তচাপ যে বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য (Sandeshkhali)।

    মৌরসি পাট্টায় পরিণত করেছিলেন শাহজাহান

    সন্দেশখালিকে কার্যত নিজের মৌরসি পাট্টায় পরিণত করেছিলেন শাহজাহান। তিনি ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মাধ্যক্ষ। সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতিও তিনিই। স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০০৩ সালে এই শাহজাহানই করতেন সন্দেশখালি-সরবেড়িয়া রুটের ট্রেকারের হেল্পারি। তাঁর মামা ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান। সেই সূত্রে বাম আমলে ভেড়ির ব্যবসায় পা রেখেছিলেন শাহজাহান। স্থানীয়দের একাংশের আবার অভিযোগ, শাহজাহান বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন। সন্দেশখালির মাছের ভেড়ির রাশ নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি (Calcutta High Court) প্রথমদিকে তিনি শোনা যায় গরিবদের সাহায্যও করতেন। তখনও শাহজাহান হয়ে ওঠেননি ‘সন্দেশখালির বাঘ’। বাম জমানার একেবারে শেষের দিকে স্থানীয় বিধায়ক অনন্ত রায়ের আস্থাভাজন হয়ে উঠেছিলেন শাহজাহান। শোনা যায়, সেই সময় থেকেই তিনি হাত পাকিয়েছিলেন কাঠ ও গরু পাচারে। মানুষ পাচারের অভিযোগও ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।

    শাহজাহান যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে

    ২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে শাহজাহান যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত ধরেই বস্তুত সক্রিয়ভাবে রাজনীতির জগতে পা রাখেন তিনি। মাথায় জ্যোতিপ্রিয়র আশীর্বাদী হাত থাকায় তৃণমূলের পদ পেতেও বিশেষ বেগ পেতে হয়নি শাহজাহানকে। যদিও বাম আমলে বিধায়ক ঘনিষ্ঠ থাকলেও, কোনও পদ ছিল না শাহজাহানের। তৃণমূলের পদ পাওয়ার পরেই শাহজাহান হয়ে ওঠেন ‘শের-ই-সন্দেশখালি’। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে সন্দেশখালি কেন্দ্রে তৃণমূলের তারকা-রাজনীতিক নুসরত জাহানকে লিড পাইয়ে (Sandeshkhali) দেওয়ার ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা ছিল এই শাহজাহানেরই (Calcutta High Court)।

    দলের এই ‘সম্পদ’কে খুশি করতে পদ

    দলের এই ‘সম্পদ’কে খুশি করতে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঘাসফুল শিবির প্রার্থী করে শাহজাহানকে। নির্বাচনে জিতে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষও হন তিনি। এর পরে পরেই রেশন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়। তদন্ত শুরু হতেই উঠে আসে শাহজাহানের নাম। তাঁকে ধরতে সন্দেশখালি গিয়েছিলেন ইডির কর্তারা। সেদিন শাহজাহান বাড়ির ভেতরে থাকলেও, বাইরে বের হননি। উল্টে শাহজাহান বাহিনীর হামলার মুখে পড়ে জখম হন ইডির দুই আধিকারিক। ঘটনাটিকে সেদিন তৃণমূল নেতারা ব্যাখ্যা করেছিলেন, ‘এটি ইডির বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান’।

    মুখোশ খুলে পড়ে শাহজাহানের

    এই ‘গণঅভ্যুত্থানে’র পরেই মুখোশ খুলে পড়ে শাহজাহানের। মুখ খোলেন স্থানীয়রা। কেউ তাঁর বিরুদ্ধে জমিজমা দখলের অভিযোগ করেন, কেউ আবার শাহজাহান ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগে সরব হন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে গা-ঢাকা দেন শাহজাহান। পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁর শাগরেদ উত্তম সর্দার, শিবু হাজরাদের। শেষমেশ পুলিশের জালে পড়েন সন্দেশখালির বাঘ। দলের গায়ে যাতে শাহজাহানের কলঙ্ক (Sandeshkhali) না লাগে, তাই (Calcutta High Court) তাঁকে করে দেওয়া হয় ‘প্রাক্তনী’।

LinkedIn
Share