Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Calcutta High Court: বড় ধাক্কা মমতা সরকারের, চাকরিহারাদের দেওয়া যাবে না ভাতা, রায় হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: বড় ধাক্কা মমতা সরকারের, চাকরিহারাদের দেওয়া যাবে না ভাতা, রায় হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত মে মাসেই চাকরিহারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতা দেওয়ার (SSC) সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মমতা সরকার। শুক্রবার এ নিয়ে হাইকোর্টের রায় সামনে এল। বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। এদিনই হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Calcutta High Court) তাঁর রায়ে জানিয়েছেন, ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অথবা আদালত যতদিন না পরবর্তী নির্দেশ দিচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত এই চাকরিহারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতা দিতে পারবে না রাজ্য সরকার। উচ্চ আদালত এদিন আরও জানিয়েছে, চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা জমা দিতে হবে এ বিষয়ে। রাজ্যের হলফনামা জমা দেওয়ার পনেরো দিনের মধ্যে পাল্টা হলফনামা জমা দেবেন মামলাকারীরা।

    গ্রুপ সি কর্মীদের ২৫ হাজার টাকা ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ২০ হাজার টাকার ভাতার ঘোষণা

    প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলে থাকা প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। এই ২৬ হাজার জনের মধ্যেই রয়েছেন গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীরাও। গত মাসেই রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, চাকরিহারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের প্রতি মাসে ভাতা দেওয়া হবে। গ্রুপ সি কর্মীদের প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকা এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে মমতা সরকার। তবে শুক্রবার তাতে স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।

    আগের শুনানিতেই এনিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা

    প্রসঙ্গত, ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয় (Calcutta High Court)। যারা মামলা করেন, তারা হাইকোর্টে জানান যে, চাকরিহারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতা দেওয়া হলে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থী হবে। প্রসঙ্গত, আগের শুনানিতেই বিচারপতি অমৃতা সিনহা ভাতার টাকার অঙ্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, টাকার পরিমাণ ২৫ হাজার এবং ২০ হাজার করা হল কেন? কিসের ভিত্তিতে এই অঙ্ক নির্ধারণ করা হল? বিচারপতি অমৃতা সিনহা আরও প্রশ্ন তুলেছিলেন, যাঁরা এই টাকা পাবেন তাঁদের থেকে রাজ্য প্রতিদানে কী পাবে? তিনি বলেছিলেন, তাঁরা ঘরে বসে থাকবেন আর টাকা পাবেন? সুপ্রিম কোর্টে একটার পর একটা রিভিউ পিটিশন হতে থাকবে আর এরা টাকা পেতে থাকবেন? প্রসঙ্গত, গত শুক্রবারই মামলার শুনানি শেষ হয়, কিন্তু সেদিন রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এই শুক্রবার তিনি রায় ঘোষণা করলেন এবং গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতা দেওয়ার উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করলেন।

  • Calcutta High Court: ওবিসির নয়া তালিকায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি কলকাতা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ওবিসির নয়া তালিকায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট কুড়োতে নয়া ওবিসি তালিকা তৈরি করে বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছিল রাজ্য সরকার। তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের সেই প্রচেষ্টায় আপাতত জল ঢেলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার আদালত সাফ জানিয়ে (Calcutta High Court) দিল, ওবিসির (OBC Case) নয়া তালিকা-সহ রাজ্য এ সংক্রান্ত যত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, সেগুলির ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা হল। এই নির্দেশ বলবৎ থাকবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। ওবিসি সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৪ জুলাই। এদিন মামলাটি উঠেছিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চে। সোমবারই পোর্টাল চালু করে সমস্ত দফতরে কাস্ট সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার আবেদন করতে বলেছিল রাজ্য। তাতেও স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত।

    বিচারপতি মান্থার বক্তব্য (Calcutta High Court)

    এদিন শুনানিতে বিচারপতি মান্থা বলেন, “রাজ্যের তরফে এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে যে চার-পাঁচটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, তার মাধ্যমে সরাসরি আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে। আমরা আগেও বলেছি যে ওবিসি শ্রেণিভুক্ত ৬৬টি সম্প্রদায়কে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করুন।” রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী বলেন, “আপনারাও (রাজ্য) বলছেন যে, আপনারা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের জন্য অপেক্ষা করছেন। আমরাও বলেছি যে, ঠিক আছে তাহলে সেই পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করবেন না।” বিচারপতি মান্থা বলেন, “আপনারা (রাজ্য) অর্ধেক কাজ করেছেন ২০১২ সালের ওবিসি আইন অনুযায়ী। তারপর আবার ১৯৯৩ সালের আইনে ফিরে গিয়েছেন। এটা কেন হবে? আপনারা কেন ২০১২ সালের আইনে সংশোধনী আনলেন না?” এর পরেই খারিজ হয়ে যায় রাজ্যের আবেদন।

    আবেদনকারীদের দাবি

    প্রসঙ্গত, ওবিসি শংসাপত্র বাতিল মামলায় আবেদনকারীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, হাইকোর্টের রায় মেনে সমীক্ষা করা হয়নি। কোনও বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়নি। রাজ্য ও অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ কমিশনের যুক্তি ছিল, সমস্ত নিয়ম মেনেই সমীক্ষা হয়েছে এবং তার রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চ সেই সমীক্ষার পদ্ধতি-সহ যাবতীয় নথি দেখতে চায়।মামলাকারীদের মূল বক্তব্য, কোথায় কত জনসংখ্যা রয়েছে (Calcutta High Court), তার সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্যই রাজ্যের কাছে নেই। এই জন্যই সঠিক সমীক্ষার প্রয়োজন (OBC Case)। নয়া কোনও জনগোষ্ঠীকে ওবিসির তালিকায় আনতে গেলে বিধানসভায় বিল পেশ করতে হয়। সেটাও করেনি রাজ্য সরকার। এর পরেই রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি খারিজের আবেদন জানান মামলাকারীরা।

    ওবিসি শংসাপত্র বাতিল

    ২০২৪ সালের ২২ মে কলকাতা হাইকোর্ট ২০১০ সালের পরে তৈরি রাজ্যের সমস্ত ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করে দেয়। তার জেরে বাতিল হয়ে গিয়েছে প্রায় ১২ লাখ ওবিসি শংসাপত্র। আদালত জানিয়েছিল, ২০১০ সালের পর থেকে ওবিসি শংসাপত্র প্রাপকদের যে তালিকা তৈরি করা হয়েছিল, তা ১৯৯৩ সালের ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস আইনের পরিপন্থী। আদালতের রায় অনুযায়ী, ২০১০ সালের আগের ৬৬টি সম্প্রদায়ের ওবিসি শংসাপত্র বৈধ। ফলে তার পর থেকে তৈরি সব ওবিসি শংসাপত্র বাতিল হয়ে যায়। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। তবে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।

    শুভেন্দুর কড়া প্রতিক্রিয়া

    এদিন আদালতের রায় প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়ে ট্যুইট-বার্তায় বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, “ভোট ব্যাংকের স্বার্থে ওবিসি সংরক্ষণে অপব্যবহার করতে চেয়েছিল রাজ্য। বহু সম্প্রদায়কে বঞ্চিত করা হয়েছিল। আদালতের রায়ে রাজ্যের সেই অপচেষ্টা ব্যর্থ হল।” সরকারি চাকরিতে ওবিসিদের জন্য ১৭ শতাংশ সংরক্ষণ চালু করেছিল রাজ্য। যা নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় রাজ্যের সংরক্ষণ নির্দেশ বাতিল করে আগেও (Calcutta High Court) হাইকোর্ট জানিয়েছিল, ‘ধর্মের ভিত্তিতে কোনও সংরক্ষণ করা যায় না’।

    তোষণের রাজনীতি!

    ট্যুইট-বার্তায় বিরোধী দলনেতা আরও লেখেন, “আদালতের রায়ে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম না মেনে তোষণের রাজনীতি করছিল।” তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের আমলে বিশেষ একটি সম্প্রদায়ের লোকজনকে ওবিসির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে (OBC Case)।

    উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, আদালতের নির্দেশে নয়া অনগ্রসর সম্প্রদায়ের তালিকা তৈরি হয়েছিল। কোন কোন জনজাতিকে ওবিসি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে, তার একটি নির্দিষ্ট তালিকা কিছুদিন আগেই প্রকাশ করেছিল অনগ্রসর সম্প্রদায় উন্নয়ন কমিশন। সেখানে ১৪০টি জনগোষ্ঠীকে ওবিসি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল (Calcutta High Court)।

     

  • Calcutta High Court: মিলল হাইকোর্টের ছাড়পত্র, মঙ্গলবারেই মহেশতলায় যাচ্ছেন শুভেন্দু

    Calcutta High Court: মিলল হাইকোর্টের ছাড়পত্র, মঙ্গলবারেই মহেশতলায় যাচ্ছেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শর্তসাপেক্ষে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) মহেশতলা নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কেবল শুভেন্দুই নন, তাঁর সঙ্গে যেতে পারবেন আরও দু’জন। সোমবার এমনই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য।

    রাজ্যকে প্রশ্ন (Calcutta High Court)

    এদিন এই মামলার শুনানিতে শুভেন্দুর হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী সূর্যনীল দাস। আদালতে তিনি জানান, এসপির কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। রবীন্দ্রনগর থানায়ও জানানো হয়েছে। ওই এলাকায় ভারতীয় সংহিতার ১৬৩ (পূর্বতন ১৪৪) ধারা জারি রয়েছে। আজ, সোমবার পর্যন্ত এই ধারা জারি থাকবে। শুভেন্দুর আইনজীবীর কাছ থেকে এই তথ্য জানার পরেই বিচারপতি রাজ্যকে প্রশ্ন করেন, “আজ যদি উঠে যায়, তাহলে কীসের অসুবিধা? যদি আদালত অনুমতি দেয়, তাহলে কী আশঙ্কা করছেন?”

    ‘উনি আদালতে এলেন কেন?’

    বিচারপতির প্রশ্ন শুনে রাজ্যের তরফে এজি বলেন, “যেখানেই কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটে, বিরোধী দলনেতা সেখানেই কেন যেতে চান? উনি আদালতে এলেন কেন? নিজেই তো চলে যেতে পারতেন!” এর পরেই বিচারপতির উদ্দেশে এজি বলেন, “আদালতকে রাজনৈতিক কারণে ব্যবহৃত হতে দেবেন না।” এদিন আদালতের হাজির ছিলেন আইনজীবী তথা তৃণমূলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, “বিরোধী দলনেতা আসলে পাবলিসিটি পেতে চান (Calcutta High Court)।” এজির প্রশ্ন শুনে পাল্টা প্রশ্ন করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, “বিরোধী দলনেতাকে যদি আটকে দেন, তাহলে সাধারণ মানুষের কী হবে?” এর পরেই তিনি নির্দেশ দেন, মঙ্গলবার মহেশতলায় যাবেন শুভেন্দু। তবে কোনও সমাবেশ কিংবা মিছিল করা যাবে না। করা যাবে না বিতর্কিত মন্তব্যও।

    প্রসঙ্গত, গত ১১ জুন মহেশতলার আক্রা সন্তোষপুর এলাকায় একটি ফলের দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে শুরু হয় অশান্তি। প্রথমে বচসা, পরে শুরু হয় সংঘর্ষ। দুই গোষ্ঠীর এই সংঘর্ষের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এলাকার বেশ (Suvendu Adhikari) কয়েকটি বাড়ি এবং দোকানদানি। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে জখম হন কয়েকজন পুলিশ কর্মীও (Calcutta High Court)।

  • Maheshtala Incident: মহেশতলার ঘটনায় উত্তাল বিধানসভা, ওয়াক আউট বিজেপির! এনআইএ চেয়ে হাইকোর্টে শুভেন্দু

    Maheshtala Incident: মহেশতলার ঘটনায় উত্তাল বিধানসভা, ওয়াক আউট বিজেপির! এনআইএ চেয়ে হাইকোর্টে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহেশতলার ঘটনায় (Maheshtala Incident) এনআইএ তদন্ত (NIA Investigation) চাইছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেই আবেদন জানিয়ে ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। রবীন্দ্রনগরে অশান্তির জেরে বৃহস্পতিবার (১২ জুন, ২০২৫) উত্তপ্ত হয় বিধানসভার অধিবেশনও। বিজেপি বিধায়কদের প্রতিবাদ, প্রতিরোধের জেরে পরিস্থিতি এতটাই উত্তেজক হয়ে ওঠে যে একটা সময় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁকে চারপাশ থেকে ঘিরে রাখেন নিরাপত্তারক্ষীরা।

    উত্তপ্ত বিধানসভা

    মহেশতলার ঘটনা (Maheshtala Incident) নিয়ে এদিন উত্তপ্ত হয় বিধানসভা। বিধানসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনের অধিবেশনে মূলত দু’টি দাবি তুলেছিলেন বিজেপি বিধায়করা। প্রথমত, তাঁরা মুর্শিদাবাদের সাম্প্রতিক অশান্তি নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায় সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন। এরপর রবীন্দ্রনগর থানা এলাকায় বুধবার (১১ জুন, ২০২৫) যে অশান্তি ছড়িয়েছিল, তা নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা চান বিজেপি বিধায়করা। কিন্তু, তাতেও সায় দেননি বিমান। এর ফলে অধিবেশন চলাকালীনই বিধানসভার ভিতর হট্টগোল শুরু করে দেন বিজেপি বিধায়করা। নিজের আসন ছেড়ে উঠে আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিধানসভার কার্যবিবরণী ছিঁড়ে, সেই কাগজের টুকরোগুলি শূন্যে উড়িয়ে দেন তিনি! ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা ৷ অধ্যক্ষ এরই মধ্যে অন্য বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করলে স্লোগান দিতে দিতে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করে বিজেপি৷ পরবর্তীতে বিধানসভার মূল ফটকের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। তাঁদের তুলসী মঞ্চ মাথায় নিয়েও হাঁটতে দেখা যায়। ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী দাবি জানিয়েছেন, রবীন্দ্রনগর থানার আইসি মুকুল মিঞাকে অপসারিত ও গ্রেফতার করতে হবে। জানা গিয়েছে, রাজ্যপাল যাতে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন, সেই দাবি সামনে রেখে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও ভাবছেন বিজেপি বিধায়করা। এদিন বিধানসভা থেকে বেরিয়েই তাঁরা সরাসরি মিছিল করে রাজভবনে চলে যান।

    থমথমে মহেশতলা

    বুধবার সকালে মহেশতলায় (Maheshtala Incident) রবীন্দ্রনগর থানা লাগোয়া এলাকায় একটি শিব মন্দিরের সামনে দোকান নির্মাণ নিয়ে চাপা অশান্তি শুরু হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে একটি ছোট তুলসী মঞ্চ তৈরি করে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে অশান্তি শুরু হয়। মুসলিমরা তুলসী মঞ্চ তৈরির প্রতিবাদে ডেপুটেশন দিতে এসেছিলেন। পরে সেখান থেকে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। শিব মন্দির ও তুলসী মঞ্চে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। পুলিশ আরও জানিয়েছে যে এলাকায় ১০টি পিকেট বসানো হয়েছে। এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি রয়েছে। দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে বচসা শুরু হলেও পরে তা হাতাহাতির রূপ নেয়। মুহূর্তে তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ব্যাপক ভাঙচুর শুরু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিরাট পুলিশ বাহিনী। এডিজি দক্ষিণবঙ্গ থেকে শুরু করে পুলিশের শীর্ষকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। রবীন্দ্রনগর থানা লাগোয়া এলাকায় একটি বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়িও। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য ব়্যাফ নামানো হয়। ছোড়া হয় টিয়ার গ্যাসও। বৃহস্পতিবার সকালেও থমথমে পরিবেশ মহেশতলার রবীন্দ্রনগর এলাকায়। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অলিগলিতে চলেছে পুলিশের রুট মার্চও।

    মহেশতলায় যেতে অনুমতি দিল না পুলিশ

    হিংসা কবলিত মহেশতলা (Maheshtala Incident) যাওয়ার জন্য শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) অনুমতি দিল না পুলিশ। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যেহেতু এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি রয়েছে, তাই সেখানে কাউকে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না এখনই। তবে, ১৬ জুনের পরে শুভেন্দু অধিকারী হিংসা কবলিত এলাকায় যেতে পারেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    এনআইএ তদন্ত দাবি

    মহেশতলায় (Maheshtala Incident) অশান্তি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। গোটা মামলা এনআইএ-এর হাতে হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছেন তিনি। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি সেন।

  • Sharmistha Panoli: মমতার পুলিশকে ভর্ৎসনা কলকাতা হাইকোর্টের, শর্মিষ্ঠাকে অন্তর্বর্তী জামিন

    Sharmistha Panoli: মমতার পুলিশকে ভর্ৎসনা কলকাতা হাইকোর্টের, শর্মিষ্ঠাকে অন্তর্বর্তী জামিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ফের একবার ভর্ৎসিত হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে তাদের আচরণের জন্য তিরস্কার করে আদালত। হাইকোর্টের মন্তব্য, “আপনাদের লজ্জা হওয়া উচিত। কারণ এটি এক তরুণীর (Sharmistha Panoli) মর্যাদার বিষয়।” এদিন আদালতে শর্মিষ্ঠার হয়ে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী ডিপি সিং। তিনি জানান, তাঁর (শর্মিষ্ঠার) গ্রেফতার অবৈধ ছিল। তিনি বলেন, “বিতর্কিত ভিডিওটি পরের দিনই মুছে ফেলা হয়েছিল।” তিনি এও বলেন, “মন্তব্যগুলি পাকিস্তানকে লক্ষ্য করে করা হয়েছিল এবং তা মুহূর্তের উত্তেজনায় বলা হয়েছিল।”

    তরুণীর শালীনতার প্রশ্ন (Sharmistha Panoli)

    এদিন তিনি শর্মিষ্ঠাকে খুন ও ধর্ষণের হুমকির প্রসঙ্গও আদালতে তোলেন। কীভাবে তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছিল, তাও বর্ণনা করেন শর্মিষ্ঠার আইনজীবী। সেই সময় বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরী রাজ্যকে জিজ্ঞেস করেন, “কোন অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে? এটি এক তরুণীর শালীনতার প্রশ্ন। এসব দেখলে আপনারা লজ্জিত হবেন। আমি এটা জনসমক্ষেই বলছি। সর্বোপরি, উনি একজন আইনের ছাত্রী।” রাজ্য পুলিশ যেভাবে শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করেছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিচারপতি বসু চৌধুরী।

    আদালতের পাঠ

    তিনি বলেন, “সম্ভবত বা স্বাধীনতা শব্দগুলিকে কখনওই অনুমতি হিসেবে ব্যাখ্যা করা যায় না।” আইনজ্ঞদের মতে, এর মাধ্যমে তিনি রাজ্যকে পরোক্ষভাবে জানিয়ে দেন, কাউকে গ্রেফতার করার স্বাধীনতা মানেই গ্রেফতার করার অনুমতি দেওয়া নয়। এর পরেই আদালত শর্মিষ্ঠাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয় আদালত। মামলার প্রক্রিয়াগত ত্রুটি তুলে ধরে এবং ন্যায়বিচার ও মর্যাদার প্রতি আদালতের অঙ্গীকারকে ফের স্মরণ করিয়ে দেন বিচারপতি। প্রসঙ্গত, (Sharmistha Panoli) মঙ্গলবারই শর্মিষ্ঠাকে অন্তর্বর্তী জামিন দিতে অস্বীকার করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট।

    গত মাসে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন পুণের একটি আইন কলেজের ছাত্রী তথা নেটপ্রভাবী শর্মিষ্ঠা পানোলি। তার জেরে প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার পথ উজিয়ে গিয়ে গুরগাঁও থেকে শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করে আনে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের পুলিশ। অথচ যে শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল, কলকাতার সেই মুসলিম যুবকটি হিন্দু ধর্ম, বিশেষত কামাখ্যা দেবীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেও পার পেয়ে যায় (Calcutta High Court)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে যাতে টোল না পড়ে, তাই তাঁকে গ্রেফতার না করে ধরা হয় শর্মিষ্ঠাকে (Sharmistha Panoli)।

  • Suvendu Adhikari: ‘কাশ্মীর মডেলের দাবি মুর্শিদাবাদে’, আগামী দিনে হিন্দুদের বড় বিপদের আশঙ্কা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘কাশ্মীর মডেলের দাবি মুর্শিদাবাদে’, আগামী দিনে হিন্দুদের বড় বিপদের আশঙ্কা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদে মেনে চলা হোক কাশ্মীর মডেল। সীমান্তবর্তী গ্রামে যেখানে ২০ শতাংশের কম হিন্দুদের বাস, তাদের আত্মরক্ষার জন্য অস্তর রাখার অনুমতি দেওয়া হোক। এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। বিগত কয়েকদিনে ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে মালদা, মুর্শিদাবাদের একাধিক এলাকা। আক্রান্ত হয়েছে হিন্দুরা। রাজ্য সরকার বারবার শান্ত থাকার কথা বলেছে, কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করেনি। পুলিশ-প্রশাসন কার্যত চুপ করে দেখেছে। বাধ্য হয়ে আদালতের নির্দেশে নামানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু বাহিনী তো সব সমসয় থাকবে না। তখন হিন্দুদের কী হবে প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু।

    আত্মরক্ষায় বৈধ অস্ত্র রাখার আবেদন

    মুর্শিবাদের সীমান্তবর্তী এলাকায় সুরক্ষার জন্য হিন্দুদের অস্ত্র রাখার অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ করলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বিধানসভার বিরোধী দলনেতার কথায়, “এটা কমিউনাল রাইট নয়, ধর্মযুদ্ধ। এরা কাশ্মীরের মতো হিন্দুদের ওখান থেকে সরাতে চায়। তাই যে সমস্ত সীমান্তবর্তী এলাকায় ২০ শতাংশেরও কম হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ আছেন তাঁদের সুরক্ষায় বৈধ অস্ত্র রাখার অনুমতি দেওয়া হোক।” এমনটাই দাবি করছেন তিনি। শুভেন্দুর সাফ কথা, “বিএসএফ-সিআরপিএফ সব সময় থাকে না। বাংলাদেশ থেকে যে ৫০ কিলোমিটার বর্ডার এলাকা রয়েছে, যেখানে হিন্দু জনসংখ্যা ২০ শতাংশের কম, তাঁদের কাশ্মীরের পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকার মতো বৈধ লাইসেন্স যুক্ত আগ্নেয়াস্ত্র দেওয়া উচিত। কারণ, আত্মরক্ষার অধিকার প্রত্যেকের আছে।” এখানেই না থেমে তাঁর আরও ব্যাখ্যা, “কাশ্মীরে তো বর্ডারের বহু গ্রামে এই ব্যবস্থা আছে। স্পেশ্যাল অ্য়াক্টের আওতায় এই ব্যবস্থা করা হয়। কাশ্মীরের মতো একই মডেল মুর্শিদাবাদে না করতে পারলে ১০-১৫ শতাংশ হিন্দু যেখানে আছে তা থাকবে না।” শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, ‘‘মুর্শিদাবাদের আসল ঘটনা রাজ্য চেপে গিয়েছিল কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক প্রকৃত তথ্য নিজেরা খোঁজ নিয়ে জেনেছে। আদালতে সেটা জানিয়েছে।’’ তাঁর মতে, শুধু মুর্শিদাবাদ না কোচবিহারের দিনহাটা থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং, বাসন্তী আগামী নির্বাচনে কোথাও হিন্দুরা ভোট দিতে পারবে না। রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে তবেই নির্বাচন করতে হবে।

    অশান্ত মালদা-মুর্শিদাবাদ

    প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকদিনে ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে মুর্শিদাবাদের (High Court on Murshidabad) একাধিক এলাকায়। হিংসার আগুনে জ্বলে সামশেরগঞ্জ, সুতির মতো এলাকা। ঝরেছে প্রাণ। আধাসেনার দাবিতে শুভেন্দুই গিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতের নির্দেশে শেষ পর্যন্ত বিএসএফের পাশাপাশি প্যারা মিলিটারি ফোর্স নামে মুর্শিবাদাবাদে। কিন্তু, আশঙ্কা ছিল ১৭ এপ্রিলের পর কী হবে! কারণ, কলকাতা হাইকোর্টের আগের নির্দেশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার পর্যন্তই মুর্শিদাবাদের কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকার কথা ছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার মেয়াদ বাড়ছে। পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত বহাল থাকছে বাহিনী। বর্তমানে মুর্শিদাবাদ জেলায় মোট ১৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।

    মুর্শিদাবাদে আপাতত থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

    সন্ত্রস্ত মুর্শিদাবাদে (High Court on Murshidabad) আপাতত থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। শান্তিরক্ষা, পুনর্বাসনের জন্য রাজ্য সরকারকে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন ও রাজা বসু চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। গোটা বিষয়টিকে গোয়েন্দা ব্যর্থতা বলে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছে বিচারপতি সৌমেন সেন ও রাজা বসু চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ। মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি নিয়ে একটি কমিটি গঠনের কথাও বলেছে আদালত। মৌখিক নির্দেশে হাইকোর্ট জানিয়েছে, এই কমিটিতে থাকবেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, রাজ্য মানবাধিকার কমিশন এবং রাজ্য লিগ্যাল সার্ভিসেস কমিটির এক জন করে সদস্য। মুর্শিদাবাদের অশান্তির পরে অনেকে ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। ওই ঘরছাড়াদের পুনরায় ঘরে ফেরানোই হবে হাইকোর্টের গঠিত কমিটির মূল লক্ষ্য। ধুলিয়ানে ঘরছাড়াদের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে এই কমিটি। বস্তুত, গত কয়েক দিনে পুলিশ এবং বিএসএফের যৌথ উদ্যোগে ঘরছাড়াদের অনেকেই বাড়ি ফিরেছেন। এ বার বাকিদেরও ঘরে ফেরানোর লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠনের কথা বলেছে আদালত।

    আতঙ্ক গ্রামে-গ্রামে, সরকারকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    মুর্শিদাবাদের (High Court on Murshidabad) উপদ্রুত এলাকায় শান্তি রক্ষায় এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য রাজ্যকে এখনই স্কিম তৈরির নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। মৃতদের পরিবারকে শুধু টাকা দেওয়া নয়, প্রয়োজনে চাকরি দেওয়ার বিষয়েও চিন্তাভাবনার পরামর্শ দিয়েছে উচ্চ আদালত। সম্প্রতি ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় অশান্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad Situation) একাধিক এলাকা। হিংসার জেরে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। পরিস্থিতি এখনও থমথমে সেখানে। এখনও টহল দিচ্ছে বিএসএফ। মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। ধুলিয়ানে পুরসভায় ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে। একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয় এবং পরে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। লুটপাট চালানো হয় একটি শপিংমলে। এখনও পুলিশের উপরে আস্থা রাখতে পারছেন না গ্রামবাসীরা। তাঁরা গ্রামে গ্রামে স্থায়ী বিএসএফের ক্যাম্প চাইছেন। গন্ডগোলের সময় যাঁরা ভয়ে ঘর ছেড়েছিলেন, তাঁদের অনেকের কথায়, ‘‘পুলিশ-প্রশাসন আশ্বাস দেওয়ায় বাড়িতে ফিরলাম। এখন এলাকায় বিএসএফ ও পুলিশ রয়েছে। কিন্তু তারা ফিরে গেলে, কী হবে জানি না! আতঙ্ক আছেই। বাড়ির মহিলাদের আনা হয়নি। ভয়ে ভয়ে ছেলেরাই ফিরেছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, মহিলাদের নিয়ে আসব।’’

  • Suvendu Adhikari: কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত শুভেন্দুর, কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    Suvendu Adhikari: কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত শুভেন্দুর, কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবারই হিংসা কবলিত মুর্শিদাবাদে (Violence Hit Murshidabad) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ। সেই কারণেই কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানান শুভেন্দু। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “রাজ্যপাল, মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের জন্য আমরা আবেদন করেছিলাম। আমি মুখ্যমন্ত্রীকেও অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তিনি শুনলেন না। তাই আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলাম। কলকাতা হাইকোর্টের প্রতি আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। আদালতের এই সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাই।”

    কী বললেন শুভেন্দুর আইনজীবী

    প্রসঙ্গত, শনিবার (Suvendu Adhikari) হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায় ঘটা সংঘর্ষ ও তিনজনের প্রাণহানির ঘটনার প্রেক্ষিতে জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয়। এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী অনীশ মুখার্জি। তিনি জানান, গত কয়েকদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গজুড়ে, বিশেষত মুর্শিদাবাদে, হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে। অধিকারী একটি জনস্বার্থ মামলার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন এবং এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “রাজ্যজুড়ে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, যা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ অপরিহার্য ছিল।”

    হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ

    হাইকোর্ট মমতা সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার উভয়কেই পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৭ এপ্রিল। আদালতের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “মামলাটি শুনানির পর আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনী অবিলম্বে মোতায়েন করতে হবে। রাজ্য প্রশাসন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সহায়তা করবে যাতে প্রাণহানি, আইন লঙ্ঘন বা কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা না ঘটে। এই জনস্বার্থ মামলাটি হাইকোর্ট গ্রহণ করেছে এবং ১৭ এপ্রিল এর আবার শুনানি হবে, যেখানে রাজ্য ও কেন্দ্র উভয়ই তাদের অবস্থান (Violence Hit Murshidabad) স্পষ্ট করে হলফনামা জমা দেবে।” এদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, জেলায় ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন বিরোধী উত্তেজনার জেরে শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একাধিক যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বর্তমানে (Suvendu Adhikari) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

  • Mothabari: ‘‘শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব আমার’’, মোথাবাড়ি পৌঁছে এনআইএ তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    Mothabari: ‘‘শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব আমার’’, মোথাবাড়ি পৌঁছে এনআইএ তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উচ্চ আদালতের অনুমতি নিয়ে শুক্রবার সাম্প্রদায়িক হিংসা কবলিত মোথাবাড়িতে (Mothabari) পৌঁছলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতা এদিন মোথাবাড়িতে পৌঁছতেই তাঁকে ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা দেখা যায়। ওঠে জয় শ্রী রাম ধ্বনি। এদিন মোথাবাড়িতে পৌঁছে আক্রান্ত হিন্দু পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন শুভেন্দু। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির হাতে আর্থিক সাহায্যও তুলে দেন তিনি। এর পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘‘ডালখোলা, রিষড়া, শিবপুর ঠান্ডা করে দিয়েছি। মোথাবাড়িতে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব আমার।’’

    হাইকোর্টের শর্ত মেনে মোথাবাড়িতে (Mothabari) শুভেন্দু

    এ প্রসঙ্গে বলা দরকার, মোথাবাড়ি (Mothabari) যেতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই আবহে গত ৮ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্ট শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) আর্জি মেনে নেয়। তাঁকে মোথাবাড়ি যাওয়ার অনুমতি দেয় উচ্চ আদালত। তবে এক্ষেত্রে একাধিক শর্ত দেন বিচারপতি। উচ্চ আদালত জানায়, বিরোধী দলনেতার সঙ্গে কেবলমাত্র একজন বিজেপি বিধায়ক ও নিরাপত্তারক্ষীই মোথাবাড়ি যেতে পারবেন। একইসঙ্গে হাইকোর্ট জানায়, মোথাবাড়ি গিয়ে কোনওরকমের রাজনৈতিক ভাষণ দিতে বা মন্তব্য করতে পারবেন না শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত, মোথাবাড়ির চারটি অঞ্চলে যেতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Mothabari) । উচ্চ আদালত সেই আবেদন মেনে নেয়। কোর্ট জানায়, চারটি জায়গাতেই যেতে পারবেন বিরোধী দলনেতা এবং কথাও বলতে পারবেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টের মধ্যে তাঁকে সফর শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছিল হাইকোর্ট।

    যাদের ধরেছে তারা প্রকৃত দোষী নয়, ক্ষতিগ্রস্ত ৮৬ হিন্দু পরিবার, অভিযোগ শুভেন্দুর

    এদিন শুভেন্দু অধিকারী মোথাবাড়ি (Mothabari) পৌঁছতেই জয় শ্রী রাম ধ্বনিতে ফেটে পড়ে গোটা এলাকা। প্রথমেই তিনি মোথাবাড়ি বাজারে আক্রান্ত হিন্দু পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের হাতে নানা সাহায্য সামগ্রী তুলে দেন। এর পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘এখানে মানুষকে সরকার নিরাপত্তা না দিয়ে দাবিয়ে রেখেছে। যাদের ধরেছে তারা প্রকৃত দোষী নয়। ভিডিও ফুটেজ দেখে সব দোষীদের ধরতে হবে। আমরা আদালতে এনআইএ ও সিবিআই তদন্তের দাবি করেছি।’’ পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলে তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ যখন ব্যবস্থা নেওয়ার নেয়নি। ওরা যা করার করে দিয়েছে। ফেসবুক লাইভ করতে করতে করেছে। হঠাৎ তো হয়নি, জানিয়ে করেছে। যদি কারও আস্থায় কেউ আঘাত দেয় থানায় যান। আইন হাতে তুলে নেবেন কেন? যে ৮৬টি হিন্দু পরিবারকে ক্ষতিগ্রস্ত করলেন এরা তো কোনও দোষ করেনি।’’

    কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে তদন্ত করাব

    মোথাবাড়িতে (Mothabari) শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘‘এখানে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে তদন্ত করিয়ে সবকটা দোষীকে গ্রেফতার করাব। ঠিক যেভাবে ডালখোলা, রিষড়া, শিবপুরে করিয়েছি। একই ভাবে মোথাবাড়িতে পার্মানেন্ট শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব বিরোধী দলনেতার।’’ প্রসঙ্গত, শুভেন্দুকে মোথাবাড়ি যেতে অনুমতি দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। সেই মতো নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে মোথাবাড়ি থানা এলাকায় পরিদর্শন করলেন বিরোধী দলনেতা।

    মুক্তির স্বাদ পেয়েছে মোথাবাড়ি

    মোথাবাড়িতে (Mothabari) বাড়ি বাড়ি গিয়ে আক্রান্ত পুরুষ-মহিলাদের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু অধিকারী। মোথাবাড়ির পালপাড়ায় শুভেন্দু বলেন, ‘‘১৫ দিন পর এরা মুক্তির স্বাদ পেয়েছেন।’’ বিরোধী দলনেতা রয়েছেন, নরেন্দ্র মোদি রয়েছেন, তাই ভয় নেই, গ্রামবাসীদের এমন আশ্বাসও দিতে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে। এদিনই বিরোধী দলনেতার কাছে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় এক গ্রামবাসীকে। সাংবাদিকদের সামনে ওই মহিলা জানান, মোথাবাড়ি অশান্তিতে ব্যাপক আহত হয়েছেন তিনি।

    সরকার মানুষকে প্রোটেকশন না দিয়ে দাবিয়ে রেখেছে

    কোর্টের অনুমতিতে মোথাবাড়ি পরিদর্শন করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বলেন, ‘‘এখানে সরকার মানুষকে প্রোটেকশন না দিয়ে দাবিয়ে রেখেছে। আমরা এনআইএ, সিবিআই দাবি করছি। কেন হিন্দুরা অত্যাচারিত হবে? দেখার দায়িত্ব কার? মোথাবাড়িতে (Mothabari) পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়েছি তিনবার, অনুমতি দেয়নি।’’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে সময়ের মধ্যে চলে এসেছি। তিনটি জায়গায় পরিদর্শন সেরেছি। ৬ জনকে নিয়ে আইনি লড়াই করছি।’’

    শাসকদলের মদতেই মোথাবাড়িতে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার, অভিযোগ শুভেন্দুর

    শাসকদলের মদতেই মোথাবাড়িতে (Mothabari) হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন মালদার ইংরেজবাজারের বাধাপুকুর মোড়ে স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী কর্মী সমর্থকদের নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে স্বাগত জানান। সম্প্রতি অশান্ত হয়ে ওঠে মালদার মোথাবাড়ি। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে দোকান ও গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় সারি সারি বাইক ও গাড়িতে। হিন্দুদের ওপর ব্যাপক হামলা চলে বলে অভিযোগ। এরপর পরিস্থিতি সামলাতে মাঠে নেমে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশ। ব্য়বহার করা হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল। ৬টি মামলা রুজু করে পুলিশ। এরপরে জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। গত শুক্রবারই মোথাবাড়ি ইস্যুতে মন্তব্য করে কলকাতা হাইকোর্ট। এই অঞ্চলের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের বলেই জানান বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চ।

  • Suvendu Adhikari: ওবিসি সংরক্ষণের নামে কেন মুসলিমদের বাড়তি সুবিধা? প্রশ্ন শুভেন্দুর, যাচ্ছেন হাইকোর্টে

    Suvendu Adhikari: ওবিসি সংরক্ষণের নামে কেন মুসলিমদের বাড়তি সুবিধা? প্রশ্ন শুভেন্দুর, যাচ্ছেন হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে মমতা সরকারকে ফের একবার তোষণ ইস্যুতে তোপ দাগলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বুধবার তিনি এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার সংবিধান মেনে কাজ করছে না এবং ওবিসি সমীক্ষার নামে একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে অতিরিক্ত সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।’’ এর বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করবেন বলেও জানিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘ওবিসির রি-সার্ভে করতে হলে সবার হওয়া উচিত। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, বাংলা সহায়তা কেন্দ্র, আশা কর্মী এবং আইসিডিএস কর্মীদের দিয়ে শুধুমাত্র মুসলিমদের সার্ভে করানো হচ্ছে। এমনকি ইমামদের পরামর্শ অনুযায়ী এই সমীক্ষা পরিচালিত হচ্ছে।’’ এর আগে, রাজ্যে ওবিসি সার্টিফিকেট পদ্ধতি মেনে দেওয়া হয়নি এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলার প্রেক্ষিতে গত বছর বিরাট রায় দেয় হাইকোর্ট। ২০১০ সালের ২২ মে পর থেকে জারি করা রাজ্যের সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল ঘোষণা করে হাইকোর্ট। এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় মমতার সরকার। সেখানে এই মামলা এখন বিচারাধীন।

    মুসলিমদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার নামে রাজ্যের কর্মসংস্থানের সুযোগ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে

    বুধবারের সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও জানান, মামলায় জাতীয় ওবিসি কমিশনকে অন্তর্ভুক্ত করার আবেদনও আদালতে জানানো হবে। বিরোধী দলনেতার মতে, এই বিষয়টি স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্ত করা দরকার। শুভেন্দু অধিকারীর মতে, রাজ্যে সীমিত কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে, তবে ওবিসি সংরক্ষণের জটিলতার কারণে তা আরও বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিরোধী দলনেতার কথায়, ‘‘ওবিসিতে মুসলিমদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার নামে রাজ্যের কর্মসংস্থানের সুযোগ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। শুধু চাকরি নয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও ভর্তির ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এর ফলে হিন্দু ওবিসিরা আরও বেশি ক্ষতির মুখে পড়ছে।’’

    মুসলিম জনগোষ্ঠীকে বিপথে চালিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী

    এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আরও আক্রমণ শানিয়ে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘রামনবমীর পর রাজ্যজুড়ে হিন্দু ওবিসিদের বাঁচাও কর্মসূচি পালন করা হবে। সরকার শুধু সার্টিফিকেট দিচ্ছে, কিন্তু চাকরি দিচ্ছে না। ধর্মীয় মেরুকরণের মাধ্যমে তুষ্টিকরণের রাজনীতি করছে। এজন্যই আমরা এই সরকারকে ‘মুসলিম লিগ-২’ বলে থাকি!’’ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) মমতা সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে বলেন, ‘‘মুসলিম জনগোষ্ঠীকে বিপথে চালিত করেছেন উনি, তাঁদের ভুল বুঝিয়েছেন, তাঁরা জেনারেল ক্যাটাগরিতে তাঁদের যে শিক্ষিত যুবক-যুবতীরা আছে, মেধা নিয়ে লড়াই করতে পারত, যাদের মেধা আছে, শিক্ষা আছে, তাঁদেরকে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির স্বার্থে ললিপপ ধরিয়েছিলেন। একটা বিশেষ সম্প্রদায়কে ভুল বুঝিয়ে, তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য়, কর্মসংস্থান না দিয়ে, শুধুমাত্র ধর্মীয় মেরুকরণের ভিত্তিতে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে, তুষ্টিকরণ করছেন, এটা তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ।’’

  • Calcutta High Court: পূর্ব বর্ধমানে মোহন ভাগবতের সভার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: পূর্ব বর্ধমানে মোহন ভাগবতের সভার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব বর্ধমানে আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবতের সভার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সাই কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হতে চলা আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সভায় শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিল উচ্চ আদালত। প্রসঙ্গত আগামীকাল রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ওই সভা রয়েছে। রবিবার স্কুল খোলা থাকবে না। পরীক্ষাও নেই। ঠিক এই কারণে শর্তসাপেক্ষে ওই সভার অনুমতি দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তবে বিচারপতি এও নির্দেশ দিয়েছেন, কোনও মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর যাতে সমস্যা না হয়, সেটা দেখার দায়িত্ব মামলাকারীর। এদিন দুটি শর্ত দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রথমত, ৪৫ ডেসিবেলের ওপর আওয়াজ যেন না যায়। দ্বিতীয়ত, সভা চলবে সর্বোচ্চ ৭৫ মিনিট।

    কী বললেন মামলাকারীর আইনজীবী?

    মামলাকারীর আইনজীবী (Calcutta High Court) এদিন বলেন, “সাই কমপ্লেক্সের মাঠ ৫০ বিঘা জমি জুড়ে। ১-২ কিমির মধ্যে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। তাই কোনও অনুমতি চাওয়ার দরকার নেই। মোহন ভাগবত আসবেন। এসডিও-কে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, লাউড স্পিকার ব্যবহার করা হবে। গতকাল জানানো হয়েছে, কোনও সাউন্ড বক্স ব্যবহার করলে সভার অনুমতি বাতিল হবে। অথচ কিছু লিখিত দেওয়া হয়নি। কোনও সাইলেন্স জোন নেই সেখানে। আমরা পরে জানাই, কোনও লাউড স্পিকার ব্যবহার করব না।”

    কী বললেন বিচারপতি?

    এরপরেই বিচারপতি (Calcutta High Court) অমৃতা সিনহা জানতে চান, “কতজন আসবেন ওই সভায়। যেখানে সভা হচ্ছে, সেটা কি মার্ক করা হয়েছে?” তখন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত আদালতের একটি নির্দেশের কথা উল্লেখ করেন। যেখানে বলা হয়েছিল, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময় মাইক ব্যবহার করা যাবে না। মোহন ভাগবতের সভার বিরোধিতা করে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, দুটি স্কুল আছে ওই চত্বরের দুই কিমির মধ্যে। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল আরও বলেন, “৪৫টি মাইক ব্যবহার করা হচ্ছে ওই সভায়। শব্দ নিয়ন্ত্রণ করবে কে?” বিচারপতি (Calcutta High Court) অমৃতা সিনহা তখন বলেন, “আমি সেই জন্যই জানতে চাইছি, কত বড় সভা। মাইকে কত ডেসিবল ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটা দেখার দায়িত্ব কার? কে প্রয়োগ করবে? দুষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দেখা উচিত। রেগুলেট করে দিন। যাতে শব্দ সীমার বাইরে না যায়।”

LinkedIn
Share