Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Calcutta High Court: “আরএসএসে ছিলাম, ফিরে যেতেও প্রস্তুত”, অবসর নিয়ে বললেন বিচারপতি দাশ

    Calcutta High Court: “আরএসএসে ছিলাম, ফিরে যেতেও প্রস্তুত”, অবসর নিয়ে বললেন বিচারপতি দাশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আজ আমার বিদায়ের দিন। শুনতে খারাপ লাগলেও একটা কথা আমি আপনাদের বলতে চাই, সেটা হল আমি আরএসএসে ছিলাম, সেই সংগঠনেই ফিরে যেতে প্রস্তুত। আমি আরএসএসের সদস্য ছিলাম এবং এখনও রয়েছি।” অবসরের দিনে কথাগুলি বললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাশ।

    ‘আমার যাবার সময় হল’… (Calcutta High Court)

    এদিন তাঁর সম্মানে আয়োজিত বিদায় সম্বর্ধনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিরা, ছিলেন বার কাউন্সিলের সদস্যরাও। বিদায়ের দিনে সেখানেই তিনি তাঁর সঙ্গে আরএসএসের সম্পর্কের কথা জানান। কোনও কাজে অথবা কোনও সাহায্যের জন্য আরএসএস তাঁকে ডাকলে তিনি তা করতে সক্ষম বলেও জানান সদ্য অবসরপ্রাপ্ত এই বিচারপতি। গত ১৪ বছর ধরে তিনি ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি। ওড়িশা হাইকোর্ট থেকে কলকাতা হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে।

    আরএসএসের শিক্ষা

    আরএসএসে থেকে তিনি যে অনেক কিছু শিখেছেন, এদিন তাও জানাতে ভোলেননি ওড়িশা থেকে বাংলায় আসা এই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। বলেন, “আমি এই সংগঠনের (আরএসএস) কাছে বিভিন্নভাবে ঋণী…শৈশব থেকে আমি এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত, পুরো যৌবনও কেটেছে সংগঠনেই। এই সংগঠন আমায় সাহসী হতে শিখিয়েছে, শিখিয়েছে ন্যায়নিষ্ঠ হতে। সবার প্রতি সমদৃষ্টি দিতে শিখিয়েছে এবং সর্বোপরি পাঠ দিয়েছে দেশপ্রেমের, কাজের প্রতি দায়বদ্ধতার।” তিনি জানান, যে পেশায় তিনি এতদিন ছিলেন, সেই পেশার কারণেই এতদিন সংগঠনের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল তাঁর।

    আর পড়ুন: কার্তিক মহারাজের পাশে সাধু-সন্তরা, মমতাকে ধিক্কার জানিয়ে হল প্রতিবাদ মিছিল

    বলেন, “দীর্ঘ কেরিয়ারে কোনও সুবিধা নিতে সংগঠনের সদস্যপদ আমি ব্যবহার করিনি। কারণ এটা নীতিবিরুদ্ধ। ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে আমি সমস্ত বিচারপ্রার্থীকে সমদৃষ্টিতে দেখেছি। বিচারের সময় কখনও ভাবিনি তিনি কমিউনিস্ট, না বিজেপি, না কংগ্রেস, না তৃণমূল।” তিনি বলেন, “আমার কাছে সবাই সমান। কারও প্রতি কখনও কোনও পক্ষপাতিত্ব করিনি। আমি মনে করি, বিচার করতে গিয়ে আইনকে নত করা যায়, কিন্তু বিচারপতিকে নয়।”

    আরএসএস ডাকলে তিনি যে আবারও সংগঠনে ফিরে যেতে প্রস্তুত, তাও জানান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দাশ। বলেন (Calcutta High Court), “আমার জীবনে আমি কখনও কোনও অন্যায় কিছু করিনি। আমি যে ওই সংগঠন থেকে এসেছি, তা বলার মতো সাহস আমার রয়েছে। কারণ এটাও তো কোনও অন্যায় নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: আদালতের নোটিশ ফেরত সচিবের, ঔদ্ধত্যের জবাব দিলেন বিচারপতি 

    Calcutta High Court: আদালতের নোটিশ ফেরত সচিবের, ঔদ্ধত্যের জবাব দিলেন বিচারপতি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নামের বানান অপছন্দ হওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নোটিশ গ্রহণ করেননি রাজ্যের এক সচিব। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ওই সচিবকে শিক্ষা দিতে শুক্রবার তড়িঘড়ি ডেকে পাঠালেন। আদালতের চিঠি গ্রহণ না করার যুক্তি শুনে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন বিচারপতি।

    ‘ভিভেক’ বনাম ‘বিবেকের’ দোটানা

    হাইকোর্ট (Calcutta High Court)  সূত্রে জানা গিয়েছে ওই সচিব প্রাণী সম্পদ বিভাগে কর্মরত। তিনি নিজের নাম ‘ভিভেক’ লিখে থাকেন। আদালতের নোটিশে ‘ভিভেকের’ পরিবর্তে ‘বিবেক’ লেখায় হাইকোর্টের পাঠানো আদালত অবমাননা সংক্রান্ত মামলার নোটিশ দিতে অস্বীকার করেন সচিব সাহেব। বিচারপতি নোটিশ না নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে রাজ্যের আইনজীবীর যুক্তি ছিল ‘বিবেক’ শব্দটি উচ্চারিত হয় ঠোঁট থেকে এবং ‘ভিভেক’ শব্দটি আসে হৃদয় থেকে। তাই নামের বানানের এই ত্রুটির জন্য সচিব আদালতের নোটিশ নিতে অস্বীকার করে থাকতে পারেন।

    রাজ্যের আজগুবি যুক্তি (Calcutta High Court)

    আদালত অবমাননার মামলায় এই সচিবের এমন আজগুবি যুক্তি শুনে একেবারে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। রেগে আগুন হয়ে বিচারপতি  বলেন, সচিবের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হচ্ছে। বিধাননগর পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হল ওকে ধরে নিয়ে এসে সোমবার আদালতে (Calcutta High Court)   নিয়ে আসতে হবে। তারপর দেখব কোন শব্দ হৃদয় থেকে বেরোয় আর কোন শব্দ ঠোঁট থেকে বেরোয়।

    আরো পড়ুন: “পরিবর্তন দরকার, নাহলে রাজ্যের অবস্থা ভয়ঙ্কর হবে”, বললেন মিঠুন

    বিচারপতি এদিন স্পষ্ট ভাবে বলেন, “আদালতের একের পর এক নির্দেশ কার্যকর না করায়, তলব করার পরও একজন সচিব আদালতের নোটিশ নিতে অস্বীকার করেন, এই আচরণ ঔদ্ধত্যের সমান।”

    হাজিরা দেওয়ায় বাতিল গ্রেফতারি পরোয়ানা

    ওই সচিবের বিরুদ্ধে বিধাননগর সিটি পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয় আগামী সোমবার তাকে বেলা সাড়ে দশটায় (Calcutta High Court) এজলাসে হাজির করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের আইনজীবী মরিয়া হয়ে বলেন, এই নির্দেশ যাতে না দেওয়া হয়। সেই ব্যাপারে জোড়াজুড়ি করলে আদালত জানিয়ে দেয়, একটাই শর্ত এই নির্দেশ প্রত্যাহার করার। যদি তিনি সেদিনই হাজির হন। এরপরই তড়িঘড়ি আদালতে হাজিরা দেন বিবেক কুমার। হাজিরা দেওয়ায় গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করে নেন বিচারপতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টে স্বস্তি, ভোট পর্যন্ত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তদন্তে স্থগিতাদেশ

    Calcutta High Court: হাইকোর্টে স্বস্তি, ভোট পর্যন্ত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তদন্তে স্থগিতাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা হয়েছিল প্রাক্তন বিচারপতি তথা তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) বিরুদ্ধে। এফআইআর খারিজের আবেদন নিয়ে  কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সেই মামলার (Calcutta High Court) শুনানিতে আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিল, ভোটের মধ্যে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না রাজ্য সরকার। 

    কী বলল হাইকোর্ট

    এদিন মামলার শুনানিতে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানিয়েছেন, আগামী ২১ জুন এফআইআর-এর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে কিনা তার বিচার হবে। তার আগে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। ভোট না মেটা পর্যন্ত অভিজিৎকে বিরক্ত করা যাবে না। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তও করতে পারবে না পুলিশ। তবে ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া তারা চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। অভিজিতের সঙ্গে এফআইআর খারিজের আবেদন করেছিলেন বিজেপি নেতা প্রশান্ত দাসও। বৃহস্পতিবার তাঁকেও রক্ষাকবচ দিয়েছে আদালত। উল্লেখ্য, তমলুকে ষষ্ঠ দফায় আগামী ২৫ মে ভোটগ্রহণ রয়েছে।

    তদন্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ 

    গত ৪ মে মনোনয়ন জমা দিতে যান তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ। সে দিন তমলুকের হাসপাতাল মোড়ে কিছু গোলমাল হয়েছিল। সেই ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। যা খারিজের আবেদন নিয়ে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) যান প্রাক্তন বিচারপতি। বিচারপতি জানিয়েছেন, যে হেতু মামলাকারী নির্বাচনের প্রার্থী, তাই তাঁর বিরুদ্ধে ১৪ জুন পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও তদন্তও করা যাবে না। তদন্ত প্রক্রিয়াতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: কোনও বাপের বেটা সিএএ রুখতে পারবে না! হুঁশিয়ারি মোদির

    কেন স্থগিতাদেশ ব্যাখ্যা 

    অভিজিতের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের বিরোধিতা করেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। এ প্রসঙ্গে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিনের উল্লেখ করে বিচারপতি ঘোষের বক্তব্য, ”আপনি জানেন কয়েকদিন আগেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিন হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে কোনও হয়রানি করবেন না।” মামলার পরবর্তী শুনানির দিন, অর্থাৎ ১২ জুন পুলিশকে আদালতে কেস ডায়েরি জমা করতে হবে। এছাড়া, ১৪ জুনের মধ্যে দু’পক্ষকে হলফনামা জমা দিতে বলেছে আদালত। প্রাক্তন বিচারপতির হয়ে আদালতে এই মামলার সওয়াল করেন আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টে দুই নেত্রী, রেখা চাইলেন রক্ষাকবচ, জামিন চাইছেন পিয়ালি দাস

    Calcutta High Court: হাইকোর্টে দুই নেত্রী, রেখা চাইলেন রক্ষাকবচ, জামিন চাইছেন পিয়ালি দাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে এবার হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) দুই বিজেপি নেত্রী। একদিকে বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র (Rekha Patra) রক্ষাকবচ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। অন্যদিকে জেলবন্দি স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বে পিয়ালি দাস ওরফে মাম্পি নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন। পিয়ালি দাসের ৭ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল বসিরহাট আদালত।

    রক্ষাকবচ চাইলেন রেখা পাত্র

    ভাইরাল ভিডিও পর্বের পর বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে সন্দেশখালিতে।  তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দায়ের হয়েছে, হাইকোর্টে এই অভিযোগ জানিয়েছেন রেখা। হাইকোর্টে তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন, এমন কত মামলা আছে তার তালিকা দিক পুলিশ। একই সঙ্গে রেখা পাত্রকে নিরাপত্তা দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে বিচারপতির জয় সেনগুপ্তর বেঞ্চে। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। অন্যদিকে পিয়ালি দাস জানিয়েছেন প্রথমে পুলিশের তরফ থেকে জামিনযোগ্য ধারা দেওয়া হয়েছিল। আদালতে আত্মসমর্পণ করতে গেলে শেষ মুহূর্তে জামিন অযোগ্য ধারা যুক্ত করে পিয়ালি দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বসিরহাট মহকুমা আদালত তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এরপরই নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন পিয়ালি।

    ভাইরাল ভিডিও তৃণমূলের হাতিয়ার

    প্রসঙ্গত সন্দেশখালি পর্বের পরবর্তী অধ্যায়ের সূত্রপাত ভাইরাল ভিডিওকে কেন্দ্র করে। স্টিং অপারেশনের পর সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয় বেশ কয়েকটি ভিডিও। তাতে সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ ভুয়ো বলে দাবি করা হয়। এই দাবি করে তৃণমূল কংগ্রেস। পাল্টা বিজেপির দাবি ভিডিওটি ভুয়ো এবং বিকৃত করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: “ডায়মন্ড হারবারে সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী অভিষেক-ভাইরাসের বিরুদ্ধেই লড়াই”, কটাক্ষ ববির

    এরপরেই একের পর এক মামলা হয় স্থানীয় বিজেপি নেত্রী রেখা পাত্র এবং পিয়ালি দাসের বিরুদ্ধে। এই সব মামলা থেকে নিস্তার পেতে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন দুই নেত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: সন্দেশখালির বিজেপি নেতা গঙ্গাধরের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নয়, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: সন্দেশখালির বিজেপি নেতা গঙ্গাধরের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নয়, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালের বিরুদ্ধে এখনই এগোবে না কোনও তদন্ত। তাঁর বিরুদ্ধে করা এফআইআরের ওপরও কোনও কড়া পদক্ষেপও করা যাবে না বলে মৌখিকভাবে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আজ, মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে। মামলার পরবর্তী শুনানি শুক্রবার।

    গঙ্গাধরের বিরুদ্ধে এফআইআর (Calcutta High Court)

    সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে একটি ভিডিওকে কেন্দ্র করে গঙ্গাধরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন জনৈক শক্তিপদ রাউত। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য মামলায় দায়ের করা হয় এফআইআর। এই এফআইআরের ওপর রক্ষাকবচ চেয়ে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন গঙ্গাধর। বিচারপতি সেনগুপ্তর মন্তব্য, “মিথ্যা মামলায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আর তাতে থানায় এফআইআর রুজু করা হল কীসের ভিত্তিতে? ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি সাপেক্ষে এই এফআইআর করার সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত ছিল।” তিনি জানান, সন্দেশখালি মামলার তদন্ত চলছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নজরদারিতে। সিবিআই তদন্ত করছে। এই আবেদনেরও শুনানি হওয়া উচিত প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে।

    আরও পড়ুুন: “চাবাহার বন্দর চুক্তিতে খুলে গেল বিনিয়োগের বৃহত্তর দ্বার”, বললেন জয়শঙ্কর

    আদালতে গঙ্গাধর

    বিজেপি নেতা গঙ্গাধর খবরে চলে আসেন সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে দু’টি স্টিং অপারেশন পর্ব-১ ও পর্ব-২ প্রকাশ্যে আসার পর। প্রথম পর্বে গঙ্গাধরকে বলতে শোনা যায়, সন্দেশখালির ঘটনা সাজানো। ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা। দ্বিতীয় পর্বের ভিডিওয় তাঁকে বলতে শোনা যায়, ৭২ জন মহিলাকে দু’হাজার করে টাকা দিয়ে ধর্ষণের মিথ্যা মামলা করানো হয়েছে। ভিডিও দু’টির সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। ভিডিও দু’টি ভাইরাল হতেই চাপে পড়ে যান গঙ্গাধর। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা চেয়ে দ্বারস্থ হন কলকাতা হাইকোর্টের। তাঁর আরও অভিযোগ, তাঁর ছবি ব্যবহার করে ভুয়ো ভিডিও তৈরি করা হয়েছে। পরে তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সমাজমাধ্যমে। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলার অনুমতি চান গঙ্গাধর। সেই অনুমতি দিয়েছে বিচারপতি সেনগুপ্তের সিঙ্গল বেঞ্চ (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: বাড়ছে পড়ুয়াদের আত্মহত্যার প্রবণতা, রাজ্যের পদক্ষেপ জানতে চেয়ে মামলা হাইকোর্টে

    Calcutta High Court: বাড়ছে পড়ুয়াদের আত্মহত্যার প্রবণতা, রাজ্যের পদক্ষেপ জানতে চেয়ে মামলা হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পড়ুয়াদের মধ্যে বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা। এই প্রবণতা ঠেকাতে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চেয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের হল মামলা। প্রসঙ্গত, প্রতিনিয়ত বাড়ছে পড়াশোনার প্রতিযোগিতা। এর ফলে এই কম বয়সী পড়ুয়াদের ওপর পড়ছে ব্যাপক মানসিক চাপ। চাপ সামলাতে না পেরে অনেকেই আত্মহত্যার পথকে বেছে নিচ্ছেন।

    সংসদে পেশ করা রিপোর্ট 

    গত বছরে দেশের সংসদে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এই পাঁচ বছরে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে অন্তত ৯৮ জন পড়ুয়া আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। এর মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। এর পাশাপাশি আইআইটি এনআইটি বা আইআইএম-এর মতো উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলিও রয়েছে তালিকায়। মানসিক অবসাদের শিকার হয়ে আত্মহত্যার পথকে বেছে নিচ্ছেন মেডিক্যাল পড়ুয়ারাও। ওই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন এইমসে কমপক্ষে এমন ১৩ জন পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছেন। এবার এ নিয়ে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের হল মামলা।

    কেন আত্মহত্যা

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলাচ্ছে প্রতিযোগিতার ধরন। কঠিন হচ্ছে প্রতিযোগিতা। এই সময়ে যে সমস্ত পড়ুয়া নিজেদেরকে প্রতিযোগিতার যোগ্য করে তুলতে পারছেন না বলে মনে করছেন, তাঁরাই আত্মহত্যার পথকে বেছে নিচ্ছেন। বিশেষত দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পরেই এমন আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। এ নিয়েই মঙ্গলবার হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল।

    মামলাকারীদের দাবি

    ওই জনস্বার্থ মামলাটি যাঁরা করেছেন, তাঁদের দাবি, আত্মহত্যার প্রবণতা ঠেকাতে ২০১৭ সালে একটি আইন তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার (Calcutta High Court)। মেন্টাল হেলথ কেয়ার নামের সেই আইনের ১০০ নম্বর ধারায় আত্মহত্যার প্রবণতা রুখতে একাধিক পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে আইন প্রণয়ন করার জন্য প্রতিটি জেলাকে ৮৩ লক্ষ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ওই আইনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি

    Calcutta High Court: ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তমলুক কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। 
    এর আগে তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছিল। সেই ইস্যুতে পাল্টা কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিচারপতি। আপাতত মামলা চলে গেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। পরবর্তী বিচারপতি নির্ধারণ করবে সেই বেঞ্চ। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিচারপতি, এমনটাই জানা গেছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Calcutta High Court) 

    উল্লেখ্য গত ৪ মে তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) মনোনয়ন জমা দেন। তমলুকের রাজবাড়ি ময়দান থেকে বর্ণাঢ্য পদযাত্রা বের হয়। নেতৃত্বে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে ওইদিন হাসপাতাল মোড়ে মিছিল পৌঁছতেই ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে। কারণ সেখানেই চাকরিহারাদের নিয়ে তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের অবস্থান বিক্ষোভ করছিল। অভিযোগ, অনশনরত শিক্ষক–শিক্ষিকাদের উপর হামলা করা হয়। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) ও শুভেন্দু অধিকারীর মদতেই বিজেপির দুষ্কৃতীরা হামলা করে বলে অভিযোগ।
    অন্যদিকে আবার গত ৫ মে তমলুকে অভিজিতের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, হামলা ও ভাঙচুর-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়। অস্ত্র আইনেও মামলা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। ঘটনাচক্রে, প্রাক্তন বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন এসএসসি মামলার রায়ে চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। সেই ইস্যুতে পাল্টা কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: নির্দিষ্ট সময়ের আগেই আসছে বর্ষা! সুখবর জানাল আবহাওয়া দফতর

    হাইকোর্টের দ্বারস্থ অভিজিৎ 

    নির্বাচনী প্রচারে সমস্যা হচ্ছে। এই যুক্তি দিয়ে হাই কোর্টে (Calcutta High Court) তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর খারিজ করার আর্জি জানান অভিজিৎ। মঙ্গলবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শুনানির আগেই এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে দেব-ঘনিষ্ঠের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হল হাইকোর্টে

    Calcutta High Court: আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে দেব-ঘনিষ্ঠের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হল হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার (Calcutta High Court) ভোট চালাকালীন ফের দুর্নীতিকাণ্ডে বিতর্কে জড়ালেন ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দেবের প্রতিনিধি রামপদ মান্না। এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে আর্থিক দুর্নীতির কথা অভিযোগ উঠেছে। আদালত সূত্রে খবর, মৌসুমি সাঁতরা নামে একমহিলা ২০২২ সালে আশাকর্মীর পরীক্ষা দিয়ে মে মাসে ইন্টারভিউয়ের ডাক পান। এরপর ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের এক কর্মীর মাধ্যমে রমাপদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর। কিন্তু টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা হয় বলে অভিযোগ ওঠেছে। এরপর পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু ঘটনায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এই তৃণমূল নেতা টাকা নেওয়ার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, এই অভিযোগে একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এবার এই বিষয়ে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। এলাকায় এই নিয়ে তীব্র চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছে। 

    হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন অভিযোগকারী (Calcutta High Court)

    জানা গিয়েছে, চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়া হয়েছে ওঁই মহিলার কাছ থেকে। এরপর পুলিশের কাছে গেলে এফআইআর দায়ের করতে চায়নি। এরপর হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন ওঁই মহিলা। এই মামলা বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে এই সপ্তাহেই শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাল্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভাবে অস্বীকার করেছে। সবটাই বিরোধীদের ষড়যন্ত্র। সবটাই বিরোধীদের চক্রান্ত বলে জানানো হয়েছে। তবে লোকসভার (Lok Sabha Election 2024) নির্বাচনে এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    আরও পড়ুনঃ কয়লাকাণ্ডে ১০ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেলেন অনুপ মাঝি

    ভাইরাল অডিও-ক্লিপ

    স্থানীয় বাসিন্দারা এমন অভিযোগ নতুন নয়। আগেও ঘাটালে চাকরি দেওয়ার নাম করে একাধিক ব্যক্তির কাছে টাকা নিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে ইতিমধ্যে একটি অডিও-ক্লিপ ‘ভাইরাল’ হয়েছে। এই অডিও-ক্লিপে রামপদের নাম শোনা গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভোটের (Lok Sabha Election 2024) মুখে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এই মামলা দায়ের হওয়ায়, এই অভিযোগে তৃণমূলের উপর চাপ বাড়ল বলে মনে করেছে রাজনীতির এক অংশের মানুষ।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rashid Khan: এখনই ছাড়া পাবে না রশিদ, বউবাজার বিস্ফোরণে অভিযুক্তের মামলা ছুটির পর শুনবে আদালত

    Rashid Khan: এখনই ছাড়া পাবে না রশিদ, বউবাজার বিস্ফোরণে অভিযুক্তের মামলা ছুটির পর শুনবে আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বউবাজার বিস্ফোরণ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত রশিদ খানকে (Rashid Khan) মুক্তি দেওয়া যায় কি না তা বিবেচনা হবে হাইকোর্টের গ্রীষ্মকালীন অবকাশের পর। এ মামলার শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। ইতিমধ্যেই ৩১ বছর জেল খেটেছে রশিদ খান ও তাঁর সঙ্গী খালিদ। ১৯৯৩ সালে বউ বাজারে বিস্ফোরণে (Bow Bazar Blast) ৬৯ জন নিহত ও অনেকে আহত হয়েছিলেন। তখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন জ্যোতি বসু।  

    আদালতে সওয়াল জওয়াব

    বিচারপতি সব্যসাচী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ বিস্ফোরণ (Bow Bazar Blast) মামলায় অভিযুক্ত রশিদকে (Rashid Khan) এপ্রিল মাসে মুক্তি দেওয়া নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু আইনি জটিলতায় তাঁকে মুক্তি দেওয়া যায়নি। পরবর্তীতে ২৪ শে জুন পর্যন্ত তাঁর সাগরেদ মোহাম্মদ খালিদকে ছাড়ার সিঙ্গেল বেঞ্চের (Calcutta High Court) নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতে রশিদ খানের আইনজীবী জানিয়েছেন, “অভিযুক্তের বয়স ৫৯ বছর। ১৫ বারের বেশি প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন। সামাজিক ক্ষেত্রে কোনও রকম ক্ষতিকর কিছু করেননি তিনি (Rashid Khan)। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি বলেন এই মর্মে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি আবেদন করতে পারেন যে ৩১ বছর ধরে তিনি জেলে আছেন। জেলে থাকাকালীন তার ভূমিকা ভাল ছিল। কিন্তু এই ধরনের কোন আইন কি রাজ্যে আছে? রাজ্যের কি কোন স্পষ্ট নীতি আছে? এই মর্মে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তের কাছে এই মর্মে জানতে চেয়েছেন। প্রধান বিচারপতিকে এডভোকেট জেনারেল আদালতে জানিয়েছেন, “রিভিউ বোর্ডের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে ১৯৯৩ সালের ঘটনায় ৬৯ জনের মৃত্যু হয়। ৯ অক্টোবর ২০২৩ মেদিনীপুরের (Medinipur) জেল সুপার জানান রশিদ খানের (Rashid Khan) ব্যবহার খুবই ভাল জানিয়েছেন। কিন্তু কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে রশিদ খানকে ছাড়লে সমাজে তার প্রভাব পড়তে পারে। পরবর্তীতে এলাকায় ফের অশান্তি সৃষ্টি হতে পারে। যেভাবে মানুষের মধ্যে তিনি অতীতে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিলেন সেদিকে তাকিয়ে তাঁকে ছাড়া উচিত নয়।”

    আরও পড়ুন: শুভেন্দুর গড়ে বিজেপির রোড শোয়ে বোমাবাজি তৃণমূলের! এনআইএ তদন্তের দাবি জানালেন সৌমেন্দু

    ১৯৯৩ সালের সেই কালো রাত

    উল্লেখ্য ১৯৯৩ সালের ১৬ই মার্চ বাম আমলে ২৬৭ বিবি গাঙ্গুলী স্ট্রিটের দোতলা একটি বাড়িতে রাত্রিবেলা ভয়ংকর বিস্ফোরণ (Bow Bazar Blast) হয়। গোটা বাড়ি গুঁড়িয়ে যায়। মৃত্যু হয় ৬৯ জনের। সেই মামলায় কলকাতার তৎকালীন সাট্টার বেতাজ বাদশা রশিদ খানের (Rashid Khan) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। পুলিশের তরফ থেকে সেই সময় দাবি করা হয়েছিল, “রশিদের কাছে যে পরিমাণ বিস্ফোরক মজুত ছিল তা কলকাতার একটা বড় অংশ উড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।” এই মামলাতেই রশিদের ছায়া সঙ্গে মোঃ খালিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল। ৩১ বছর জেল খাটার পর খালিদ জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার দাবিতে রাজ্য সরকারের সেন্টেন্স রিভিউ বোর্ডে আবেদন করেছিল। সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে বিচারপতি সব্যসাচীর ভট্টাচার্য তাঁকে এপ্রিল মাসে ১৫ দিনের মধ্যে ছাড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্যের তরফে সেই নির্দেশ কার্যকর করার ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা রয়েছে দাবি করে এক মাসের জন্য নির্দেশ কার্যকর করার বিষয়ে স্থগিতাদেশ জারি করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam case: রেশন দুর্নীতিতে এখনও পর্যন্ত ৮৭টি অভিযোগ দায়ের! আদালতে জানাল রাজ্য

    Ration Scam case: রেশন দুর্নীতিতে এখনও পর্যন্ত ৮৭টি অভিযোগ দায়ের! আদালতে জানাল রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার শিরোনামে রেশন দুর্নীতি। সোমবার রাজ্য পুলিশের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) রিপোর্ট দিয়ে জানানো হয়েছে রাজ্যে রেশন দুর্নীতিতে (Ration Scam case) এখনও পর্যন্ত ৮৭টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে ৬৫টি মামলায় ইতিমধ্যে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে রাজ্য। দুটি মামলায় ত্রুটি আছে। বাকি ২০টি মামলার তদন্ত চলছে বলে ওই রিপোর্টে জানিয়েছে রাজ্য। 

    ৬টি মামলায় রাজ্য পুলিশের তদন্তে স্থগিতাদেশ বহাল 

    অন্যদিকে এই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে আগামী ১৭ জুন আদালতে (Calcutta High Court) জবাব দেবে ইডি। ২৪ জুন পর্যন্ত রেশন দুর্নীতির ৬টি মামলায় রাজ্য পুলিশের তদন্তে স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। গাইঘাটা থানার একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের সব রেশন দুর্নীতির মামলা ইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
    প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি মামলার (Ration Scam case)  তদন্তভার নিজেদের হাতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় ইডি। সেই প্রেক্ষিতে রাজ্যের কোন কোন থানায়, মোট কয়টি এফআইআর দায়ের হয়েছে, তার একটি তালিকা আদালতে জমা দেওয়ার আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির সেই দাবির ভিত্তিতেই সোমবার রাজ্যের আইনজীবী আদালতে রিপোর্ট পেশ করেছেন।

    অভিযোগ পেয়েও চোখ কান বুজে বসেছিল পুলিশ

    এদিকে রেশন দুর্নীতির (Ration Scam case) তদন্তে নেমে ইডির হাতে উঠে এসেছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। তদন্তকারীদের দাবি, ১০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। সেই দুর্নীতির টাকা পাঠানো হয়েছে বিদেশে। এদিকে দুর্নীতির তদন্ত যথাযথ হয়নি। উল্টে মূল এফআইআর রাজ্য পুলিশ নষ্ট করেছে বলে অভিযোগ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। 

    আরও পড়ুন: মুখের মিলেই মিশরে ব্যাপক জনপ্রিয় ভারতীয় গায়ক অভিজিৎ

    প্রসঙ্গত, এর আগে রেশন দুর্নীতি মামলায় (Ration Scam case) গত বছর ২৭ অক্টোবর গ্রেফতার হন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এরপর চলতি বছরে ফেব্রুয়ারি মাসে মন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ করা হয় তাঁকে। ইডির দাবি, খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীন রেশন বণ্টনে দুর্নীতির কথা জানতেন জ্য়োতিপ্রিয়। এফআইআর দায়ের থেকে সিআইডি তদন্ত, চালকল-গমকল মালিকদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ, সবই তাঁর নজরে ছিল। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেননি তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share