Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • SSC Recruitment Verdict: ফের শিরোনামে ‘সৎ রঞ্জন’, আদালতের রায়ে ‘আঁধার’ নামল মামাভাগিনা গ্রামে

    SSC Recruitment Verdict: ফের শিরোনামে ‘সৎ রঞ্জন’, আদালতের রায়ে ‘আঁধার’ নামল মামাভাগিনা গ্রামে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার এসএসসি মামলার রায় (SSC Recruitment Verdict) দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে চাকরিহারা প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক। আর সেই সূত্র ধরে আরও একবার নাম উঠল ‘সৎ রঞ্জন’ ওরফে চন্দন মণ্ডলের। এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত চলাকালীন শিরোনামে ছিলেন চন্দন মণ্ডল। উল্লেখ্য তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস ভিডিয়ো বার্তায় ‘সৎ রঞ্জন’ নামে এক ব্যক্তির কথা জানান। মূল অভিযোগ হল, তিনি নাকি টাকার বিনিময়ে বহু চাকরি দিয়েছেন। পরে গ্রেফতার হন চন্দন মণ্ডল।

    বাগদার মামাভাগিনা গ্রামে আধার (SSC Recruitment Verdict)

    জানা গিয়েছে সোমবার আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশের পরে যে ২৬ হাজার মানুষ চাকরি হারিয়েছেন তাঁদের মধ্যে আছেন উত্তর ২৪ পরগনার চন্দনের গ্রামের আশপাশের এলাকার অনেকে। হাইকোর্টের রায়ের পরে মঙ্গলবার ভরা দুপুরেও যেন ‘আঁধার’ নেমে এসেছে বাগদার মামাভাগিনা গ্রামে। চাকরি যাওয়া কারও ফোন বন্ধ, তো কেউ আবার বাড়ির দরজায় তালা লাগিয়ে নিরুদ্দেশ হয়েছেন।

    এলাকাবাসীর বক্তব্য

    তবে কেবল মামাভাগিনা নয়, আশপাশের চড়ুইগাছি কুরুলিয়া, রামনগর-সহ গোটা বাগদা ব্লকের প্রচুর ছেলেমেয়ের চাকরি (SSC Recruitment Verdict) চলে গিয়েছে বলে গ্রামেরবাসিন্দারা জানিয়েছেন। চন্দনের প্রতিবেশী, স্থানীয় একটি সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান হারান বিশ্বাস এ প্রসঙ্গে বলছিলেন, ‘‘যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের বেশ কয়েক জন অবৈধ ভাবে চন্দনকে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন বলেই মনে হচ্ছে ।’’ সেই সঙ্গে আরও বলেন, “গ্রামের অনেকেই টাকা দিয়ে চাকরি পেলেও সকলে অবৈধভাবে নিযুক্ত হননি। কেউ কেউ নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছেন।”

    অনেকে ঋণ নিয়ে বাড়ি করেছেন

    এদিন হাইকোর্টের রায়ের (SSC Recruitment Verdict) পরে এলাকার পরিবেশ সম্পূর্ণ পাল্টে গিয়েছে। আরও গ্রামবাসীরা বলেন, “যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁরা সোমবারের পর থেকে আর বাড়ির বাইরে বের হননি। তেমনই এক যুবকের বাড়ি গিয়ে এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করতেই জানালেন, কোনও স্কুলে চাকরি করেন না তিনি। মাঠেঘাটে কাজ করেন। গ্রামের এক মহিলার মতে আদালতের এমন সিদ্ধান্তে বাগদার (Bagda) প্রচুর যুবক-যুবতী পথে বসলেন। কারও বিয়ে হয়েছে। কারও সন্তান হয়েছে। কেউ কেউ আবার ঋণ নিয়ে বাড়ি করছেন। তাঁদের এ বার কী হবে!”

    আরও পড়ুনঃউস্কানিমূলক মন্তব্যে তৃণমূল বিধায়ককে শো-কজ করল নির্বাচন কমিশন

    লাইন পড়ত চন্দনের বাড়িতে

    মামাভাগিনা (Mamabhagina) গ্রামে চাকরি যাওয়া এক যুবকের আত্মীয় এদিন বলেন, ‘‘কয়েক বছর আগে এখানে যখন চাকরি বিক্রি হচ্ছিল, তখন চন্দন মণ্ডলকে টাকা দিয়ে ছেলের চাকরি হয়েছিল।’’ এ দিন পুরনো স্মৃতি উস্কে বাসিন্দারা জানান, কয়েক বছর আগে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজনের দীর্ঘ লাইন পড়ত চন্দনের বাড়িতে। উদ্দেশ্য একটাই, চন্দন মণ্ডলের সাহায্য নিয়ে একটা সরকারি চাকরি (SSC Recruitment Verdict) জোটানো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে সুপ্রিম দুয়ারে রাজ্য, ২৬ হাজর চাকরি বাতিল করা নিয়ে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে সুপ্রিম দুয়ারে রাজ্য, ২৬ হাজর চাকরি বাতিল করা নিয়ে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের পুরো প্যানেল বাতিল করা হয়েছে। হাইকোর্টের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বুধবারই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার।

    শীর্ষ আদালতে রাজ্য

    এদিন রাজ্য সরকার একটি স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করেছে আদালতে। যেহেতু পুরো প্যানেল বাতিল করা হয়েছে, তাই প্রশ্ন উঠেছে যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি নিয়ে। তাঁদের চাকরি কেন যাবে, এই প্রশ্ন নিয়েই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, সর্বোচ্চ আদালতে স্পেশাল লিভ পিটিশন (SLP) দায়ের করেছে রাজ্য। এই আবেদনে বলা হয়েছে, ‘মহামান্য হাইকোর্ট রাজ্যকে এই ধরনের একটি পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য পর্যাপ্ত সময় না দিয়ে অবিলম্বে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের চাকরি বাতিল করেছে এবং সমগ্র নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করেছে। যা শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্থির করে দিয়েছে।’ গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের মোট মোট ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে। এরপরই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা জানিয়েছিল এসএসসি। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই বিশেষ বেঞ্চে শুনানি চলছিল হাইকোর্টে। তাই আপাতত রাজ্যের আবেদন সুপ্রিম কোর্ট গ্রহণ করে কি না, সেটাই দেখার।

    এসএসসি-র যুক্তি

    বুধবার এসএসসির (SSC Scam) তরফেও হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হয়েছে। এসএসি-র যুক্তি, পাঁচ হাজার জনের বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে, তার জন্য ২৬ হাজার জনের কেন চাকরি বাতিল হবে? ১৯ হাজারের বেশি শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী রয়েছেন, যাঁরা যোগ্য হয়েও এই মুহূর্তে চাকরিহারা। তাঁরা ইতিমধ্যেই শহিদ মিনার চত্বরে অবস্থান বিক্ষোভ দেখাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গে রবিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতা, এবার গরম উত্তরেও

    কী বলছে আদালত

    সোমবার হাইকোর্ট জানায়, এসএসসি দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগগুলি নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাবে সিবিআই। প্রয়োজনে তারা সন্দেহভাজনদের হেফাজতে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। সিবিআই চাইলে মন্ত্রিসভার সদস্যদেরও হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে, বলে অভিমত আদালতের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: টেটের প্রশ্নপত্রে ভুল ছিল কি? বিশ্বভারতীকে কমিটি গড়তে বলল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: টেটের প্রশ্নপত্রে ভুল ছিল কি? বিশ্বভারতীকে কমিটি গড়তে বলল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেটের প্রশ্নপত্রে সত্যিই ভুল ছিল কিনা, তা জানতে বিশ্বভারতীকে বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়তে বলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ২০১৭ সালে প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বাংলা, পরিবেশ বিজ্ঞান-সহ মোট তিনটি বিষয়ে ২১টি প্রশ্ন ভুল ছিল বলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পরীক্ষার্থীরা। তাঁদের দাবি, প্রশ্ন ভুল থাকলে ওই একুশটি প্রশ্নের জন্য বরাদ্দ নম্বর দিতে হবে তাঁদের।

    কী বলল হাইকোর্ট? (Calcutta High Court)

    আবেদনকারীদের সেই বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা কমিটি গঠন করতে বলেছেন বিশ্বভারতীকে। আদালতের নির্দেশ, উপাচার্য তাঁর পছন্দ মতো কমিটি গড়বেন। সেই কমিটি সব প্রশ্ন খতিয়ে দেখে আগে চিহ্নিত করবে সঠিক উত্তরগুলি (Calcutta High Court)। পরে খতিয়ে দেখা হবে পরীক্ষার্থীদের উত্তরও। তার ভিত্তিতে পরীক্ষার্থীদের কোন কোন উত্তর বেছে নেওয়া হবে, সেটা নির্ধারণ করবেন এই কমিটির বিশেষজ্ঞরা। এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট তৈরি করে মতামত দিতে হবে কমিটিকে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১১ জুন। সেদিন বিশ্বভারতীর কমিটির রিপোর্ট খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।

    মামলাকারীদের দাবি

    ২০১৭ সালের টেটে প্রশ্ন ভুল ছিল এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। তাঁর বক্তব্যের নির্যাস, ওই বছরের টেটের প্রশ্নপত্রে ২১টি প্রশ্নে ভুল ছিল। প্রশ্নে যদি ভুল থাকে, তাহলে সবাইকে নম্বর দেওয়া হোক। এই মামলার আগের শুনানিতে কিছুটা অসন্তোষের সুরেই বিচারপতি বলেছিলেন, “একটা প্রশ্নে এত ভুল থাকে কী করে? পরীক্ষার্থীরা কি আইনস্টাইন হয়ে ভুল প্রশ্ন খুঁজে বের করে সঠিক উত্তর দেবেন? বুধবার এই মামলারই শুনানিতে প্রশ্ন ভুলের অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা। সেই ভুল খুঁজে বের করতেই বিশ্বভারতীকে কমিটি গঠনের কথা বলেছেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুুন: শ্যাম পিত্রোদার ‘উত্তরাধিকার কর’ মন্তব্য ঘিরে উত্তাল রাজনীতি, কংগ্রেসকে তুলোধনা বিজেপির

    মাত্র আটচল্লিশ ঘণ্টা আগেই কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন ২৩ হাজার ৭৫৩ জন। এঁরা সবাই ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলে ছিলেন। এই নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বাতিল করে দেওয়ায় চাকরি হারিয়েছেন ওই হাজার চব্বিশেক মানুষ। সোমবারের সেই নজিরবিহীন রায়ের পর বুধবার ২০১৭-র টেটে ভুল প্রশ্ন নিয়ে কমিটি গড়ার নির্দেশ সেই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)।

    আবারও কি একবার মুখ পুড়বে এসএসসি কর্তৃপক্ষের?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের ওএমআর-এর মূল্যায়ন না পরীক্ষা, এসএসসি নিয়ে কী বলছে হাইকোর্ট?

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের ওএমআর-এর মূল্যায়ন না পরীক্ষা, এসএসসি নিয়ে কী বলছে হাইকোর্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) নিয়ে নজিরবিহীন রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বাতিল করা হয়েছে এসএসসি-র ২০১৬-র পুরো প্যানেল। সঠিক পদ্ধতি মেনে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার কথা বলেছে আদালত। এর মধ্যেই যোগ্য হয়েও যাঁরা চাকরি হারিয়েছেন, তাঁরা সরকারের দিকে আঙুল তুলেছেন। তাঁদের দাবি, যোগ্য হয়েও কেন কিছু ভুল লোকের জন্য তাঁদের শাস্তি পেতে হবে? এই আবহে কীভাবে এসএসসির শূন্য পদগুলি পূরণ করা হবে তা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত সকলে। 

    কীভাবে হবে নিয়োগ

    সোমবারের রায়ের পরে এই নিয়েই শুরু হয়েছে নানা ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ এবং জল্পনা। মামলার সঙ্গে যুক্ত আইনজীবীদের একাংশের মতে, এসএসসির গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি এবং নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক পদে সব চাকরিহারাকেই আবার পরীক্ষায় বসতে হবে। অর্থাৎ, তেমনটা হলে নতুন করে চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে শুরু করে থেকে পরীক্ষা, ইন্টারভিউ-সহ সব পদ্ধতি মেনেই নতুন করে হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া (SSC Scam) । যদিও এ বিষয়ে সংশয় রয়েছে আইনজীবীদের একাংশের। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে এসএসসিকে। ঘোষিত শূন্যপদের প্রেক্ষিতে নিয়োগ হবে।নিয়োগের জন্য নতুন করে আয়োজন, মূল্যায়ন এবং ওএমআর শিট স্ক্যান করতে হবে। এর জন্য ওপেন টেন্ডার করতে হবে। টেন্ডারের জন্য মানদণ্ড কোন শর্তসাপেক্ষে হবে তা-ও ঘোষণা করতে হবে।

    আরও পড়ুুন: “টাকা ফেরত না দিয়ে “চাকরি চোর” মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও করুন”, বার্তা দিলেন শুভেন্দু

    ওএমআর পুনর্মূল্যায়ন 

    হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী, পুরনো ওএমআর পুনর্মূল্যায়নের আর কোনও জায়গা নেই। সোমবার রায় ঘোষণা করতে গিয়ে হাইকোর্টের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ যে ১৭ দফা দুর্নীতির কথা বলেছিল, তার অন্যতম অংশ হল, এসএসসির তরফে ইচ্ছাকৃত ভাবে ওএমআর শিটের আসল কপি নষ্ট করে দেওয়া। সে ক্ষেত্রে ওএমআর শিটের ‘মিরর ইমেজ’ এসএসসির সার্ভারে সংরক্ষিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এসএসসির সার্ভার থেকে ওই ধরনের কোনও ‘মিরর ইমেজ’ খুঁজে পায়নি।সিবিআইয়ের দাবি, ওএমআর শিট স্ক্যান করে তার ‘মিরর ইমেজ’ সংরক্ষণ না করেই আসল কপি নষ্ট করেছে এসএসসি। এসএসসি আবার তথ্য জানার অধিকার আইনে ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আবেদনকারীদের স্ক্যানড ওএমআর শিট দেখায়। এসএসসি জানায়, তাদের ডেটাবেস থেকেই ওগুলি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সিবিআই এসএসসির সার্ভার থেকে কিছুই পায়নি। অতএব, আদালতের রায়তেই স্পষ্ট,  ওএমআর শিট বা উত্তরপত্রের আসল কপি বা ‘মিরর ইমেজ’ পাওয়া না-গেলে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিকাণ্ডে ফের বসিরহাট এসপি অফিসে সিবিআই হানা

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিকাণ্ডে ফের বসিরহাট এসপি অফিসে সিবিআই হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও বসিরহাটের এসপি অফিসে (SP Office) সিবিআই হানা। সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ইডি-র উপর হামলার ঘটনায় ন্যাজাট থানায় দায়ের হওয়া দুটো অভিযোগেরই তদন্ত করছে সিবিআই। এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ এই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই মামলার তদন্তে বার বার তৃণমূল নেতাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে এসেছে। বিরোধীরা বার বার অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি নারী নির্যাতনের ঘটনায় সন্দেশখালি উত্তাল হয়ে উঠেছিল। এলাকার মহিলাদের আন্দোলনের চাপে তৃণমূল নেতা শাহজাহানকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের নির্দেশে সমস্ত মামলার তদন্তের ভার দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে। 

    নোটিশ জারি করেছিল সিবিআই (Sandeshkhali)

    তবে ন্যাজাট (Sandeshkhali) থানায় দায়ের হওয়া দুটি অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এতদিন যা তদন্ত করেছে, তাতে বাজেয়াপ্ত হওয়া জিনিস তালিকা-তথ্য ও নথি পেতে নোটিশ জারি করেছিল সিবিআই। তবে মঙ্গলবারই প্রথম নয়, এর আগে গত ১৬ এপ্রিলও এসপি অফিসে পৌঁছেছিল সিবিআই-এর একটি টিম। ওই দিন সন্দেশখালিতে হামলার ঘটনায় বসিরহাটের (Basirhat) পুলিশ সুপারকে নোটিশ দিয়েছিল সিবিআই (CBI)। একই সঙ্গে ইডির উপর হামলার ঘটনায় বেশকিছু তথ্য ও নথি চাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে মঙ্গলবার সেই তথ্যের খোঁজেই গোয়েন্দা আধিকারিকেরা এসপি অফিসে হানা দিলেন কিনা সেই বিষয়টি স্পষ্ট নয়।

    আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে শাহজাহানের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দায়ের

    পুলিশের বাজেয়াপ্ত হওয়া জিনিসের খোঁজে সিবিআই

    উল্লেখ্য, সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার ঘটনায় ন্যজাট থানায় যে দুটো মামলা দায়ের হয়েছিল, ওই মামলাতে কোনও দাবিদারহীন বাজেয়াপ্ত আছে কিনা, সেই সংক্রান্ত তথ্য জানতে চেয়ে বসিরহাটের পুলিশ সুপারকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশের বাজেয়াপ্ত হওয়া জিনিসের মধ্যে দাবিদারহীন জিনিস তদন্তের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেছন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারেরা। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে বিজেপি শাসক দলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ বার বার তুলে সরব হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে নয়া মোড়, সুপ্রিম দুয়ারে যোগ্য হয়েও চাকরিহারারা, ধর্না শহিদ মিনারে 

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে নয়া মোড়, সুপ্রিম দুয়ারে যোগ্য হয়েও চাকরিহারারা, ধর্না শহিদ মিনারে 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) নতুন নতুন রূপ দেখছে রাজ্যবাসী। এতদিন চাকরিপ্রার্থীরা ধর্নামঞ্চে নিজেদের দাবি জানাতেন এবার চাকরিহারারাও শহিদ মিনারে ধর্না দিতে চলেছেন। সুপ্রমি কোর্টেও আবেদন জানানোর কথা জানিয়েছেন যোগ্যতার বলে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিরা। তাঁদের কথায়, “ঘুষ তো দিইনি, যোগ্যতার বলেই চাকরি পেয়েছিলাম। আমাদের দোষ কোথায়? এর দায় রাজ্য সরকারকে নিতে হবে।”

    কী বলছেন চাকরিহারারা

    মঙ্গলবার সকালেই চাকরিচ্যুতদের (SSC Scam) একাংশ শহিদ মিনার চত্বরে জমায়েত শুরু করেন। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ধর্নায় বসে নিজেদের প্রতিবাদ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আদালতের দ্বারস্থও হওয়ার কথা ভাবছেন তাঁরা। সে ক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টের সোমবারের চাকরি বাতিলের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন তাঁরা। চাকরিচ্যুতদের বক্তব্য, তাঁরা অবৈধ উপায়ে চাকরি পাননি। তা হলে কেন অবৈধ উপায়ে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের জন্য তাঁদেরও শাস্তি পেতে হবে? তাঁদের দাবি, এর দায় নিতে হবে সকলকে। এসএসসি বা সরকারের ভুলের খেসারত তারা কেন গুনবেন?

    আরও পড়ুন: জারি হতে পারে অবমাননা রুল, নিয়োগ-মামলায় মুখ্যসচিবকে ‘শেষ সুযোগ’ হাইকোর্টের

    কী বলেছে হাইকোর্ট

    ২০১৬ সালের এসএসসির সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া (SSC Scam) বাতিল করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। শিক্ষক পদের পাশাপাশি গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি মিলিয়ে বাতিল হয়েছে মোট ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি। যাঁরা নিজেদের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেরই দাবি, ‘আইনি পদক্ষেপ’ করার কথা ভাবছেন তাঁরা। যাঁরা মেধার ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছিল, তাঁরা স্বাভাবিক কারণেই এই রায়ে হতাশ। কিন্তু হাইকোর্ট জানিয়েছে এছাড়া কোনও উপায় নেই। একজন যোগ্য শিক্ষকের কথায়, “যোগ্য বলে চাকরি পেলাম। নিয়ম মেনে বেতন পাচ্ছিলাম। যারা দালালের হাত ধরে চাকরি পেল, তাদের সঙ্গে একই বন্ধনীতে ফেলে দেওয়া হল আমাদের। এটা অমানবিক। এর দায় সরকারকেই নিতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: জারি হতে পারে অবমাননা রুল, নিয়োগ-মামলায় মুখ্যসচিবকে ‘শেষ সুযোগ’ হাইকোর্টের

    SSC Scam: জারি হতে পারে অবমাননা রুল, নিয়োগ-মামলায় মুখ্যসচিবকে ‘শেষ সুযোগ’ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় ধৃত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর অনুমোদন সংক্রান্ত বিষয়ে আবারও কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়লেন রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা। নিজের অবস্থান জানানোর জন্য তাঁকে শেষ সুযোগ দিল আদালত। এই নিয়ে চতুর্থ বার সময় দেওয়া হল। এবার যদি আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে মুখ্যসচিব পদক্ষেপ না করেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করা হবে বলেও মঙ্গলবার জানায় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ২ মে মামলার পরবর্তী শুনানি।

    কী বলল আদালত

    মঙ্গলবার নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য-সহ শিক্ষা দফতরের কয়েক জন প্রাক্তন আধিকারিকের জামিনের মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে। সিবিআইয়ের অভিযোগ ছিল, রাজ্যের মুখ্যসচিবের অনুমতি না পাওয়ায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি। এই সংক্রান্ত মামলার গত শুনানিতে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর পর্যবেক্ষণ ছিল, মুখ্যসচিব তাঁর দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। ২৩ এপ্রিল অর্থাৎ মঙ্গলবারই এই বিষয়ে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সরকারকে। কিন্তু মঙ্গলবারও মুখ্যসচিব কোনও রিপোর্ট জমা দেননি। গোটা বিষয়টি নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত তাঁকে আর মাত্র ১০ দিন সময় দিয়েছে। এরপর মুখ্যসচিবের রিপোর্ট না পেলে রুল ইস্যুর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী।  

    আরও পড়ুন: ১৭টি বিভিন্ন উপায়ে নিয়োগে দুর্নীতি করেছে এসএসসি! কী বলল হাইকোর্ট?

    রাজ্যের যুক্তি

    মঙ্গলবারও আগের শুনানির (SSC Scam) মতো একই যুক্তি দেখায় রাজ্য সরকার। বলা হয়, লোকসভা ভোটের কাজে ব্যস্ত মুখ্যসচিব। তাই তিনি জবাব দিতে পারেননি। রাজ্যের যুক্তি শুনে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি বাগচী। তিনি মন্তব্য করেন, ‘‘তদন্ত এবং বিচার প্রক্রিয়া মসৃণ ভাবে চলছে কি না, সেটা দেখা আদালতের কাজ। যদি দেখা যায় সেখানে কোনও বাধা আসছে, তবে তা সরানোর কাজ করতে হবে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘নির্বাচনের সঙ্গে মুখ্যসচিবের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের কোনও সম্পর্ক নেই। অযথা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তিনি দেরি করছেন। তিনি হয় এই মামলার গুরুত্ব বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন। নতুবা আমাদের কি এটা ধরে নিতে হবে যে এই অভিযুক্তরা এতই প্রভাবশালী যে, রাজ্যের মুখ্যসচিবও বিচার শুরু করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না?’’  বিচারের কাজে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে মুখ্যসচিবকে প্রভাবমুক্ত থাকার নির্দেশ দেয় আদালত। মুখ্যসচিবকে তাঁর বিধবদ্ধ দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • SSC Scam: ১৭টি বিভিন্ন উপায়ে নিয়োগে দুর্নীতি করেছে এসএসসি! কী বলল হাইকোর্ট?

    SSC Scam: ১৭টি বিভিন্ন উপায়ে নিয়োগে দুর্নীতি করেছে এসএসসি! কী বলল হাইকোর্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) ২০১৬ সালে এসএসসি নিয়োগের গোটা প্যানেলটাই বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। ২৫ হাজার ৭৫৩জনের চাকরি বাতিল করেছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আদালত জানিয়েছে, এসএসসি প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে হবে। সুদের হার হবে বছরে ১২ শতাংশ। চার সপ্তাহের মধ্যে বেতন ফেরত দিতে বলেছে আদালত। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায় দিতে গিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, ১৭টি পন্থায় দুর্নীতি হয়েছে। কী কী উপায়ে দুর্নীতি হয়েছে, তা-ও স্পষ্ট করে জানিয়েছে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ।

    কী কী উপায়ে দুর্নীতি

    ১) মেধাতালিকায় নম্বর গোপন: ‘কুকীর্তি’ লুকোতে প্রার্থীদের নম্বর-সহ মেধাতালিকা কখনও প্রকাশই করেনি এসএসসি। নম্বর-সহ মেরিট লিস্ট প্রকাশ না করেই চাকরি দেওয়া হয়েছে।

    ২) ‘গোপন’ টেন্ডার : সংবিধানের ১৪ এবং ১৬ নম্বর ধারা অমান্য করে, ‘গোপন’ টেন্ডারে ওএমআর মূল্যায়নকারী সংস্থা নাইসাকে বেছে নেয় এসএসসি।

    ৩) ওএমআর নষ্ট : স্ক্যান কপি না রেখেই ওএমআর শিট নষ্ট করে দেওয়া হয় (এক্ষেত্রে আরটিআইতে স্ক্যান কপি পেলেও, তদন্ত করতে গিয়ে সেই এএমআর-এর হদিশ পায়নি সিবিআই)।

    ৪) নিয়োগে প্রশ্ন : নাইসা-র তরফে ওএমআর স্ক্যানের জন্য় নিয়োগ করা হয় ‘ডেটা স্ক্যানটেক’ নামক সংস্থাকে। ওএমআর স্ক্যান হত এসএসসি-র অফিসে। অথচ, ‘ডেটা স্ক্যানটেক’-কে নিয়োগ করার কথা অস্বীকার করে এসএসসি।

    আরও পড়ুন: ঝাঁঝাঁ রোদ! ভোট দেবেন কী ভাবে? বৈঠক নির্বাচন কমিশনের

    ৫) ওএমআর নিরুদ্দেশ: মিরর ইমেজের নামে যা করা হয়েছে সেটা বেআইনি।  আসল ওএমআর শিট পাওয়া যায়নি।সিবিআই এসএসসি সার্ভার থেকে ওই ধরনের কোনও ‘মিরর ইমেজ’ খুঁজে পায়নি।

    ৬) প্রমাণ লোপাট : সার্ভারে ওএমআর-এর স্ক্যান করা ছবিও রাখা হয়নি।

    ৭ ) ভুয়ো দাবি: ২০১৮ থেকে ২০২৩ অবধি, আরটিআই আবেদনকারীদের ওএমআর-এর স্ক্যান কপি দিয়ে, এসএসসি দাবি করত, এগুলি তাদের ডেটাবেসে ছিল। যা অসত্য।

    ৮) পদ কম, নিয়োগ বেশি: ৪টি ক্যাটাগরিতেই ঘোষিত শূন্যপদের থেকে বেশি সংখ্যক প্রার্থী নিয়োগ করা হয়।

    ৯) নাম নেই, চাকরি আছে: প্যানেলে নামই নেই, এমন প্রার্থীদের নিয়োগ করা হয়।

    ১০) সাদা খাতায় চাকরি: সাদা খাতা জমা দিয়েও মিলেছে চাকরি 

    ১১) ‘এক্সপায়ার্ড’ চাকরি: প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও, সেখান থেকে চাকরি দেওয়া হয়।

    ১২ )  র‍্যাঙ্ক জাম্প করে চাকরি: মেধাতালিকার প্রথমে থাকা প্রার্থীদের বদলে, অগ্রাধিকার দেওয়া হয় শেষের দিকে থাকা প্রার্থীদের।

    ১৩ ) বেআইনি কাউন্সেলিং: অযোগ্য প্রার্থীদের কাউন্সেলিং করা হয়।

    ১৫ ) দুর্নীতি খুঁজতে অসহযোগিতা: দুর্নীতির সমস্ত সুবিধাভোগীকে এখনও চিহ্নিত করা বাকি। রাজ্য সরকার ও এসএসসি-র সহযোগিতা ছাড়া করা সম্ভব নয়।

    ১৬ ) চুরি ঢাকতে বাড়তি পদ: অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরির সুযোগ করে দিতে, অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির আবেদন জানানো হয়।

    ১৭ ) সর্বত্রই বিধি ভঙ্গ: গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ—চারটি ক্যাটেগরির ক্ষেত্রেই, কখনও নিয়োগের কোনও বিধি মানা হয়নি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: একমাত্র চাকরি যায়নি এই শিক্ষিকার, সেই সোমা দাস কী বলছেন?

    Recruitment Scam: একমাত্র চাকরি যায়নি এই শিক্ষিকার, সেই সোমা দাস কী বলছেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (recruitment scam) মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta highcourt) নির্দেশে ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল হয়ে গিয়েছে সোমবার। চাকরি হারালেন প্রায় ২৬ হাজার সরকারি শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মচারী। শুধু চাকরি যায়নি একজনের। ব্যতিক্রমী ভাবে বহাল রইল বীরভূমের শিক্ষিকা সোমা দাসের (soma das) চাকরি। তিনি নলহাটির (nalhati) এক নম্বর ব্লকের মধুরা হাই স্কুলে বাংলার শিক্ষিকার পদে কর্মরত রয়েছেন। কিন্তু কোন যুক্তিতে তাঁর চাকরিতে বহাল রাখল আদালত? এটাও একটা মানুষের মনে প্রশ্ন।

    চাকরিতে বহাল রাখল শুধু সোমা

    সোমবার শিক্ষক দুর্নীতি (ssc) মামলার ২৮১ পাতার রায়ে কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতি জানিয়েছেন, “সোমা দাস যেহেতু ক্যান্সার আক্রান্ত। তাই মানবিকতার স্বার্থে তাঁর চাকরি বাতিল করা হয়নি। তিনি আগের মতই শিক্ষিকা হিসেবে চাকরি করতে পারবেন।” চাকরি যায়নি শুনে খুশি হয়েছেন সোমা। তিনি বলেন যোগ্য প্রার্থীদের পাশে আছি তাঁরা যেন চাকরি পান।

    প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলন করছেন সোমা

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা শুনানি চলাকালীন হাইকোর্টের নির্দেশে বছর খানেক আগে চাকরিতে যোগদানের সুপারিশ পত্র পেয়েছিলেন বীরভূমের (birbhum) সোমা দাস। কলকাতা হাইকোর্টের আবেদনকে মান্যতা দিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। যেহেতু সোমা দাস ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। তাই তাঁকে সুপারিশপত্র দেওয়া হয়। এরপর তিনি বীরভূমের নলহাটি ১ নম্বর ব্লকের মধুরা হাইস্কুলের বাংলা বিভাগে শিক্ষকতার কাজে যোগ দিয়েছিলেন। তবে সোমার চাকরি পাওয়ার রাস্তা মসৃণ ছিল না। ২০১৯ সালে কলকাতা প্রেসক্লাবের সামনে যে চাকরি প্রার্থীরা কয়েক মাস আন্দোলন অনশন চালিয়েছিল তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুনঃ দুর্নীতি মামলায় বড় ধাক্কা রাজ্যের! কী বললেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা?

    কী বললেন সোমা?

    বীরভূমের নলহাটির বাসিন্দার সোমা। তাঁর কর্কট রোগের চিকিৎসা চলছিল। পরবর্তীকালে তিনি চাকরি পেলেও সেদিনের আন্দোলনের কথা আজও মনে রয়েছে সোমা দাসের। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে তাঁর চাকরি বহাল থাকলে সহযোদ্ধাদের প্রতি তার সমর্থন আজও রয়েছে আগের মতই। বাংলার শিক্ষিকা সোমা এদিন প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন, “দুর্নীতি যে হয়েছিল তা আগেই বোঝা গিয়েছিল। মাননীয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সবার আগে দুর্নীতিকে চিহ্নিত করে দেন। তাঁকে নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে ঠিকই। কিন্তু তিনি যা বলে ছিলেন যা করে ছিলেন আজকের রায় সেই বিচারেরই সত্যতা প্রমাণ করল। আজও অনেক যোগ্য প্রার্থী চাকরি পায়নি। তাঁদের জন্য খারাপ লাগছে। আমি চাইব তাঁদের যেন দ্রুত চাকরি হয়। চাকরি হওয়ার মতন উপযুক্ত পরিবেশ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: দুর্নীতি মামলায় বড় ধাক্কা রাজ্যের! কী বললেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা?

    Recruitment Scam: দুর্নীতি মামলায় বড় ধাক্কা রাজ্যের! কী বললেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে এখন পুরোদস্তুর ভোটের হাওয়া। আর এরই মধ্যে রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam ) নিয়ে বিরাট রায় ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High court )। একসঙ্গে প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল করল কলকাতা হাইকোর্ট। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, ৪ সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের ১২ শতাংশ সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে হবে। অতিরিক্ত পদে নিয়োগকারীদের প্রয়োজনে নেওয়া যাবে হেফাজতে। মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। রাজ্য জুড়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য (Recruitment Scam)

    তবে আদালতের এই রায়ে সম্পূর্ণ খুশি হতে পারছেন না আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থী রাসমণি পাত্র সহ অন্যান্যরাও। উল্লেখ্য গত ডিসেম্বরে এই রাসমণিই এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থানের ১০০০তম দিনে প্রতিবাদ স্বরূপ নিজের মাথার চুল কামিয়ে ফেলেছিলেন। মঙ্গলবার বিচারপতির রায় শুনে রাসমণি বলেন, “আদালত ও বিচারব্যবস্থার উপর আস্থা ছিল। যারা অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছে তারা যে যথাযথ শাস্তি পেয়েছে সেটা কাম্য। সত্যের জয় হয়েছে।” একই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “প্যানেল বাতিল (Recruitment Scam) আমাদের দাবি ছিল না। আমাদের দাবি ছিল যে অন্যায় আমাদের সঙ্গে হয়েছে, যে চাকরিটা আমাদের চুরি হয়েছে, সেটা ফিরিয়ে দেওয়া হোক। আমরা পরীক্ষা দিয়েছিলাম, আমাদের ওএমআর সঠিক। আমরা র‌্যাঙ্কেও এসেছিলাম। তা হলে চাকরিটা কেন আমাদের দেওয়া হল না? আজকে রায়দানে পুরোপুরি খুশি হতে পারছি না। এখনও তো অনিশ্চয়তা রয়েছে। নতুন নিয়োগ (Recruitment) কবে হবে, কতদিনে প্যানেল প্রকাশ হবে তা এখনও সম্পূর্ণ দৃশ্যমান নয় আমাদের কাছে।”

    আরও পড়ুনঃ “পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন মমতা, অবিলম্বে পদত্যাগ চাই”, দাবি সুকান্তর

    অন্য চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি

    সর্বোপরি ধর্নামঞ্চে থাকা অন্য চাকরিপ্রার্থীদেরও বক্তব্য, “অবৈধ উপায়ে চাকরি (Recruitment Scam) পাওয়া ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়া হোক। কিন্তু যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের কেন বঞ্চিত করা হবে।” উল্লেখ্য মঙ্গলবার আদালতের তরফে বলা হয়েছে, টেন্ডার ডেকে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট (OMR Sheet) পুনর্মূল্যায়নেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সমস্ত ওএমআর শিটের কপি আপলোড করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share