Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • SSC Recruitment Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় বাতিল ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি

    SSC Recruitment Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় বাতিল ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় (SSC Recruitment Scam) বিরাট রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করে দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কোনও চাকরিই বৈধ বলে গণ্য হওয়া উচিত নয়, সাফ জানাল আদালত। সোমবার হাইকোর্টে হয় রায়দানের প্রক্রিয়া। রায়দান হয় ৯টি ইস্যুতে। ২৮১ পাতার নির্দেশে রয়েছে ৩৭০টি অনুচ্ছেদ।

    নিয়োগ বাতিল (Calcutta High Court)

    আদালত জানিয়েছে, এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি (SSC Recruitment Scam) মামলায় সব নিয়োগ বাতিল করা হচ্ছে। ২০১৬-র পুরো প্যানেলই বাতিল করে দিল হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে ওই প্যানেলে হওয়া চারটে নিয়োগ প্রক্রিয়া- গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ— সকলেরই প্যানেল বাতিল করা হয়েছে। প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও যাঁদের চাকরি হয়েছে, তাদের প্রাপ্ত বেতন ১২ শতাংশ সুদ সহ আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে জেলাশাসকের কাছে জমা করতে হবে। বেতন ফেরত হয়েছে কিনা, সেটা দেখার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ডিআই-কে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী ২ সপ্তাহের মধ্যে ওই টাকা আদালতের কাছে জমা করবেন জেলাশাসক।

    হেফাজতে নিতে পারবে সিবিআই

    এই দুর্নীতির (SSC Recruitment Scam) রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্তের প্রয়োজনে যখন যাকে প্রয়োজন হবে, তখন তাঁকেই হেফাজতে নিতে পারবে সিবিআই। যাঁরা অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি করেছিলেন, তাঁদেরও হেফাজতে নিতে পারবে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা। কেবল তাই নয়, ওএমআর শিটের সমস্ত কপি আপলোড করার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। ওএমআর শীট পুনঃমূল্যায়ন করে নতুন করে প্যানেল প্রকাশ করতে হবে। একই সঙ্গে এসএসসিকে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতেও বলেছে আদালত (Calcutta High Court)। ১৫ দিনের মধ্যে সেই প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে বলে জানিয়ে দিল হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুন: ‘ইন্ডি’ জোটকে ‘ঝগড়ুটে জোট’ আখ্যা বিজেপির, কেন জানেন?

    নিয়োগ কেলেঙ্কারির (SSC Recruitment Scam) অভিযোগ প্রমাণিত হলে যাঁরা চাকরি করছেন, তাঁদের কী হবে? ১৩ মার্চ শুনানি চলাকালীন এই প্রশ্নের দুটি বিকল্পের উল্লেখ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক। পর্যবেক্ষণে তিনি দু’টি বিকল্পের কথা বলেছিলেন। এক, দুর্নীতি প্রমাণিত হলে সম্পূর্ণ নিয়োগ বাতিল করা হতে পারে। দুই, গোটা নিয়োগের অংশ বিশেষ বাতিল করা হতে পারে। ওই দিন বিচারপতি বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়, পিছনের দরজা দিয়ে চাকরি পেলে কী করা উচিত? পদ ভরাতে হবে বলে অযোগ্যদের কেন নিয়োগ করা হবে? অযোগ্য ব্যক্তিরা কী শেখাবেন? যদি সবটা অবৈধ হয়, তাহলে যা পরিণতি, তাই হবে। ডিভিশন বেঞ্চের তরফে বলা হয়, কমিশনকে বিশ্বাস করতে না পারলে তো গোটা নিয়োগই বাতিল করা উচিত। 

    প্রসঙ্গত, এসএসসি মামলায় (SSC Recruitment Scam) প্রায় পাঁচ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court)। মানবিক কারণে সোমা দাস নামক এক চাকরিপ্রাপকের চাকরি থাকবে। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ায় মানবিক কারণে তাঁর চাকরি বাতিল করা হয়নি বলেও জানাল আদালত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: ‘‘সামনের সপ্তাহে বোমা পড়তে চলেছে, বেসামাল হবে তৃণমূল’’, কী ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: ‘‘সামনের সপ্তাহে বোমা পড়তে চলেছে, বেসামাল হবে তৃণমূল’’, কী ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আবহে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, ‘‘সামনের সপ্তাহে বোমা পড়তে চলেছে, বেসামাল হবে তৃণমূল।’’ বড় কিছু রাজনৈতিক ঘটনা কি ঘটতে চলেছে? যা নিয়েই বিরোধী দলনেতা এমন মন্তব্য করলেন? এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে জোরচর্চা। গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চড়ছে ভোটের পারদ। ঠিক সেই আবহে ভোটবঙ্গের উত্তাপ বেশ কিছুটা বাড়াল বিরোধী দলনেতার এমন মন্তব্য।

    কী বললেন শুভেন্দু?

    শনিবার মালদহে রতুয়ার সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) বলতে শোনা যায়, ‘‘আগামী সপ্তাহ শুরু হতে চলেছে। আপনারা দেখবেন, আমি বলব না বিস্তারিত। আগামী সপ্তাহের শুরুতে এমন একটা বোম পড়বে, তৃণমূল বেসামাল হয়ে যাবে। নিশ্চিন্ত থাকুন। তৃণমূল কূল কিনারা পাবে না। সেই ব্যবস্থার দিকে যাচ্ছে। অপেক্ষা করতে থাকুন।’’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘আমি রাজনৈতিক বিস্ফোরণের কথা বলছি। আদালতের বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। আর কাকুর গলা মিললে তো ভাইপো বিপদে পড়বে। এ তো আমি সেদিনও বলেছি। আজ তো রাজনৈতিক বিস্ফোরণের কথা বলেছি। অন্য কথা তো বলিনি। বুঝে নিন সব।’’

    কী হতে পারে?

    প্রসঙ্গত, বড় যোগদান হতে চলেছে আগামী সপ্তাহে, বিরোধী দলনেতা এমন কথা বলার পরেই দেখা যায় প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দেন। তারপরেই শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ঠিক কী রাজনৈতিক ঘটনা ঘটতে চলেছে তা জানা যাবে আগামী সপ্তাহতেই। তৃণমূলের দুর্নীতি সংক্রান্ত বেশ কিছু ঘটনা সামনে এসেছে। কালীঘাটের কাকুর কন্ঠ পরীক্ষার নমুনার রিপোর্ট পজিটিভ মিলেছে। আবার সোমবারে বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করবে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে কি এ নিয়েই কিছু বলতে চাইলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক? তা ভাবাচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

    আরও পড়ুন: ভারতে বিক্রিত বেবি ফুডে অতিরিক্ত চিনি! নেসলের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের পথে কেন্দ্র

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Primary Recruitment Case: টেট অকৃতকার্যদের কাছে টাকা নিয়ে চাকরি দিত তাপস-কুন্তল! রিপোর্ট সিবিআইয়ের

    Primary Recruitment Case: টেট অকৃতকার্যদের কাছে টাকা নিয়ে চাকরি দিত তাপস-কুন্তল! রিপোর্ট সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেট পরীক্ষা (Primary Recruitment Case) দিয়েই চাকরিপ্রার্থীদের অনেকেই যোগাযোগ করতেন নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত কুন্তল ঘোষ ও তাপস মণ্ডলের সঙ্গে। চাহিদা মতো টাকা দেওয়ার পরে পাশ করা প্রার্থিতালিকায় নাম উঠে যেত তাঁদের। ইন্টারভিউয়ে ডাকও পেতেন। এঁদের মধ্যে অনেকে চাকরিও পেয়েছিলেন।

    সিবিআইয়ের দাবি (Primary Recruitment Case)

    সিবিআইয়ের দাবি, জাল ওয়েবসাইট খুলে চলত জালিয়াতি। সেখানেই নাম দেখতে পেতেন কুন্তল-তাপসকে টাকা দেওয়া চাকরিপ্রার্থীরা। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে এমনই রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে কীভাবে দুর্নীতি হয়েছিল, এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে জমা পড়েছে সেই সংক্রান্ত তদন্ত রিপোর্ট। রিপোর্টের সঙ্গে পেশ (Primary Recruitment Case) করা হয়েছে চার্জশিটের কপিও। রিপোর্টে বলা হয়েছে, কুন্তল ও তাপসের মধ্যে গড়ে উঠেছিল অশুভ আঁতাত। এঁরাই অবৈধভাবে চাকরি পাইয়ে দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ রোজগারের চক্র তৈরি করেছিলেন।

    জালিয়াতি কারবার!

    রিপোর্টে জানা গিয়েছে, তাপসের কয়েকজন সাব এজেন্ট ছিলেন। তাঁদের মাধ্যমে মূলত টিচার্স ট্রেনিং কলেজের মালিকদের কাছ থেকে টাকা তোলা হত। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কুন্তল ও তাপস কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন বলেও দাবি সিবিআইয়ের। ২০১৬ থেকে ২২ এই ছ’বছরে আটজন এজেন্টের মাধ্যমে তাপস সংগ্রহ করেছিলেন ৪ কোটি ১২ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা। কুন্তলকে দিয়েছিলেন ৫ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা। সিবিআইয়ের দাবি, প্রায় একইভাবে তিনজন এজেন্টের মাধ্যমে কুন্তল তুলেছিলেন ৩ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা। সিবিআই জানিয়েছে, কুন্তল-তাপসের তৈরি জাল ওয়েবসাইটটি ছিল অবিকল আসলের মতো। নকল ওয়েবসাইটটি হল, www,wbtetresults.com। বেআইনিভাবে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, ভুয়ো ই-মেইল আইডি থেকে মেইল পাঠিয়ে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডেকে পাঠানো হত তাঁদের।

    আরও পড়ুুন: “অনুপ্রবেশকারী ও অপরাধীদের কাছে বাংলাকে লিজ দিয়ে দিয়েছে তৃণমূল”, বিস্ফোরক মোদি

    কুন্তল ছিলেন তৃণমূলের যুব নেতা। গ্রেফতার হওয়ার পরেই অবশ্য তাঁকে ছেঁটে ফেলে দল। করা হয় বহিষ্কার। যে তাপসের সঙ্গে তাঁর অশুভ আঁতাত, সেই তাপসই বছরখানেক আগে আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, তৃণমূল সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ভাঙিয়ে কোটি কোটি টাকা তুলেছেন কুন্তল। সেই টাকা তিনি খাটাচ্ছেন হাওলায় (Primary Recruitment Case)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ram Navami: রাজ্যের আপত্তি শুনল না হাইকোর্ট, রামনবমীতে শ্রীরামপুরে মিছিলের অনুমতি 

    Ram Navami: রাজ্যের আপত্তি শুনল না হাইকোর্ট, রামনবমীতে শ্রীরামপুরে মিছিলের অনুমতি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের আপত্তি শুনল না কলকাতা হাইকোর্ট। রামনবমীর (Ram Navami) দিন শর্তসাপেক্ষে হুগলির শ্রীরামপুরে মিছিলের অনুমতি দিল আদালত (Calcutta High Court)। লোকসভা ভোটের আগে শান্তি বজায় রাখতে মিছিলে আপত্তি জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু শুক্রবার রাজ্যের আপত্তি খারিজ করে মিছিল করার অনুমতি দেয় হাইকোর্ট। অশান্তি এড়াতে প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহায়তা নিয়ে মিছিল করতে দিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত। 

    কী বলল কলকাতা হাইকোর্ট

    শুক্রবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর বেঞ্চ (Calcutta High Court) জানিয়ে দেয়, শ্রীরামপুরে জিটি রোডের উপর দিয়ে ৭০০ মিটার এলাকা দিয়ে রামনবমীতে (Ram Navami) মিছিল করা যাবে। আদালত জানিয়ে দিয়েছে, ১৩টি মিছিলে ২০০ জন করে সর্বাধিক থাকতে পারবেন। আদালতের বক্তব্য, মিছিলে লোকসংখ্যা কম করার নির্দেশ দিলেও রুট বদলের প্রস্তাব মানা হবে না। আদালত মনে করে, হাজার পাঁচেক লোকের মিছিল সামাল দেওয়ার মতো দক্ষতা পুলিশের আছে। রাজ্য প্রয়োজন মনে করলে কেন্দ্রীয় বাহিনীরও সহায়তা নিতে পারবে। প্রসঙ্গত, গত বছর রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে হাওড়া সহ রাজ্যের কয়েকটি জায়গা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মিছিলে হিংসাও হয়। যার তদন্ত করছে এনআইএ।

    আরও পড়ুন: আজ জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের ১০৫ বছর পূর্তি, জানুন সেই ইতিহাস

    ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে অনুমতি

    একই সঙ্গে ১৪ এপ্রিল বাসন্তী পুজো উপলক্ষে শোভযাত্রা করার জন্য ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। প্রতি বছর মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বাসন্তী পুজো উপলক্ষে মিছিল বার করে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ। গোলমালের আশঙ্কায় এবার তার অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার। রাজ্যের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সঙ্ঘ। তাদের মিছিলেরও অনুমতি দিয়ে আদালত। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘গত বিশ বছর ধরে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ বাসন্তী পুজো উপলক্ষে এই শোভাযাত্রা করে। সেখানে তাদেরই স্কুলের পড়ুয়ারা হাঁটবে। সেখানে মিছিলে আপত্তির কারণ কতটা যুক্তিযুক্ত?’’ বিচারপতি সেনগুপ্তর বেঞ্চ বলে, ‘‘অশান্তি আশঙ্কা রয়েছে এই যুক্তিতে আমরা কি প্রতিদিনের কাজকর্ম বন্ধ করে বসে থাকব।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhupatinagar Case: রক্ষাকবচ এনআইএ আধিকারিকদের, ভূপতিনগরের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট

    Bhupatinagar Case: রক্ষাকবচ এনআইএ আধিকারিকদের, ভূপতিনগরের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূপতিনগর কাণ্ডে (Bhupatinagar Case) এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা এফআইআর-এর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এনআইএ আধিকারিকদের রক্ষাকবচ দিল আদালত। কোনও এনআইএ অফিসারকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কোনও এনআইএ অফিসারকে এই মামলায় যদি জেরা করতে হয়, তাহলে তা করতে হবে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে। থানায় তলব করা যাবে না। ভিডিয়ো জেরার জন্যেও ৭২ ঘণ্টা আগে পুলিশকে নোটিশ পাঠাতে হবে।

    আদালতের প্রশ্ন

    গত ৬ এপ্রিল সন্দেশখালির পুনরাবৃত্তি দেখা গিয়েছিল ভূপতিনগরে (Bhupatinagar Case)। যেখানে তল্লাশিতে গিয়ে এনআইএ আধিকারিকদের নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠেছে, সেখানে অফিসারদের বিরুদ্ধেই কেন অভিযোগ? তাও আবার গুরুতর ধারায়? হাইকোর্টে এমন প্রশ্নের মুখেই পড়তে হল পুলিশকে। বুধবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর পর্যবেক্ষণ, স্থানীয় থানার পুলিশকে জানিয়ে গত শনিবার এনআইএ  আধিকারিকরা বৈধ তল্লাশিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ভোরবেলায় পুলিশ ফোর্স জোগাড় করতে পারেনি। সেটা পুলিশের ব্যর্থতা। এনআইএ-র তরফের আইনজীবী এদিন আদালতে দাবি করেন, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্দেশ অনুযায়ী ওই এলাকায় কাজ করতে যায় এনআইএ। এই সময় এনআইএ-র তদন্তকারী অফিসারদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছে তৃণমূলের একটি পরিবার। ওই পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এফআইআরও রুজু করেছে। পুলিশ এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ৩২৫ ধারা যুক্ত করেছে।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই, সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    ৩২৫ ধারা কেন

    কেন এনআইএ অফিসারদের বিরুদ্ধে ৩২৫ ধারা যুক্ত করা হল? সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত পুলিশকে বলেন, “কোনও প্রমাণ ছাড়া অফিসারের বিরুদ্ধে গুরুতর আহত করার ধারা কেন যুক্ত করলেন? কেস ডায়েরিতে আঁচড় বা গুরুতর আঘাতের কোনও উল্লেখ নেই। তাও কীভাবে ৩২৫ ধারা? কে তদন্ত করছিলেন? প্রাথমিক তদন্তের প্রয়োজন অনুভব করেছিলেন?” মেডিক্যাল রিপোর্ট না দেখে এবং প্রয়োজনীয় তদন্ত না  করেই পুলিশ এই ধারা  যোগ করেছে। তাই পুলিশের এই এফআইআর বিধি সম্মত নয়। মামলার পরবর্তী শুনানি  ২৯ এপ্রিল। ওই দিন পুলিশকে কেস ডায়েরি সহ রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই, সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই, সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি কাণ্ডে (Sandeshkhali Incident) সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। জনস্বার্থ ও স্বতঃপ্রণোদিত মামলা, দুটো ক্ষেত্রেই সিবিআই-কে সিট গঠন করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের নজরদারিতে হবে তদন্ত। আদালত জানিয়েছে, নতুন ইমেল আইডি চালু করে সন্দেশখালির ঘটনা সংক্রান্ত অভিযোগ জমা নিতে হবে সিবিআইকে। আজ, বুধবার থেকেই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তদন্ত শুরু করতে বলা হয়েছে।

    আদালতের নির্দেশ

    সন্দেশখালি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মোট পাঁচটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। একত্রে সেই মামলাগুলি শুনছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের তরফে জানানো হয়, ন্যায়বিচারের স্বার্থে সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত প্রয়োজন। তাই এই মামসার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে। মহিলাদের উপর অত্যাচার, সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে তফসিলি জনজাতির জমি কেড়ে নেওয়া-সহ বিভিন্ন অভিযোগ বিবেচনা করে তাই আদালত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সিবিআই সন্দেশখালির মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করবে। জমি দখল, ধর্ষণ, চাষের জমিতে ভেড়িতে পরিবর্তন করা-সহ সমস্ত অভিযোগের তদন্ত করবে সিবিআই। 

    নতুন পোর্টাল তৈরি

    আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে,  সিবিআই-কে পোর্টাল তৈরি করতে হবে। সিবিআইয়ের চালু করা ইমেল আইডির মাধ্যমে মামলার সব পক্ষকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সিবিআইয়ের কাছে সব অভিযোগ জমা দিতে হবে। অভিযোগকারীদের গোপনীয়তা বজায় রাখতে এই ব্যবস্থা। সন্দেশখালি এলাকায় ওই ইমেল আইডির প্রচার করতে হবে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসককে। বুধবারের শুনানিতে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “সব কিছু দেখে আমাদের কোন সন্দেহ নেই যে এক্ষেত্রে স্বাধীন তদন্তকারী সংস্থার প্রয়োজন রয়েছে। রাজ্য সব সহযোগিতা করবে তদন্তকারী সংস্থাকে।”

    আরও পড়ুন: ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ ধারাটির অপব্যবহার হচ্ছে, মত কর্নাটক হাইকোর্টের

    স্পর্শকাতর এলাকায় সিসিটিভি

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) স্পর্শকাতর এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসাতে বলেছে আদালত। উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, স্থানীয় প্রশাসনকে একসঙ্গে মিলে স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করতে হবে। রাস্তায় বসাতে হবে এলইডি আলো। সিসিটিভি এবং এলইডি আলোর খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার। আদালতের নির্দেশ, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রাজ্যকে এই সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় অনুমোদন এবং খরচ দিতে হবে। আগামী ২ মে হাইকোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “আসল ওএমআর শিট না পেলে ২০১৪ টেট বাতিল”, হুঁশিয়ারি বিচারপতি মান্থার

    Calcutta High Court: “আসল ওএমআর শিট না পেলে ২০১৪ টেট বাতিল”, হুঁশিয়ারি বিচারপতি মান্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ওএমআর শিটের আসল তথ্য খুঁজে না পেলে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষাই বাতিল করে দেব।” মঙ্গলবার এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তিনি বলেন, “ডিজিটাল তথ্য সহজে নষ্ট হয় না। মুছে ফেললেও তা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। পৃথিবী থেকে মঙ্গলে গেলেও, ওই তথ্য পাওয়া যেতে বাধ্য। তার পরেও যদি তথ্য হাতে না আসে, তাহলে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াই বাতিল করতে বাধ্য হবে আদালত।”

    ‘ফুটপ্রিন্ট কোথায়?’ (Calcutta High Court)

    ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই মামলায় তদন্ত করছে সিবিআই। এদিন সিবিআইয়ের উদ্দেশে বিচারপতি মান্থা (Calcutta High Court) বলেন, “ওএমআর শিটের আসল তথ্য খুঁজে বার করুন। ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট কোথায় রয়েছে তার সন্ধান করুক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মঙ্গলবারের মধ্যে অতিরিক্ত রিপোর্ট দিয়ে সংক্ষেপে জানাতে হবে, নিয়োগ কীভাবে হয়েছিল? দুর্নীতিই বা হয়েছে কোথায়।”

    কী বলছে পর্ষদ?

    ২০১৪ সালের টেট কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্ত শুরু হতেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আদালতে জানিয়েছিল, ওএমআর শিটের হার্ড কপি নষ্ট করা হয়েছে। তার পরিবর্তে ডিজিটাইজড ডেটা হিসেবে ওই সব তথ্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। এদিন পর্যবেক্ষণে বিচারপতি মান্থা বলেন, “পর্ষদের দাবি সব ওএমআর শিট ডিজিটাইজড ডেটা হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। ২০১৯ সালে হেমন্ত চক্রবর্তী নামে এক পরীক্ষার্থীকে ওএমআর শিটের প্রতিলিপি দেওয়া হয়। অর্থাৎ ডিডিটাল ফুটপ্রিন্ট থাকার কথা।” তাঁর প্রশ্ন, “তার পরেও ওএমআর শিটের তথ্য পাওয়া যাবে না কেন?” সিবিআইকে বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, “তথ্যপ্রযুক্তি বিজ্ঞান বলছে তথ্য মুছে ফেললেও, তা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। অর্থাৎ, ওএমআর শিটের তথ্য পাওয়া যেতে পারে। আর ওই সব তথ্য সিবিআইকে খুঁজে বার করতে হবে। তার জন্য যদি হার্ড ডিস্ক বা অন্য কোনও সূত্রের প্রয়োজন হয়, তবে প্রয়োজনে পর্ষদ অফিসেও যেতে পারবে সিবিআই।”

    আরও পড়ুুন: স্কুল বন্ধ করে দেবের ভোটপ্রচার! কমিশনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি বিজেপির

    সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, ৩০৪ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গিয়েছে। চার্জশিট এবং অতিরিক্ত চার্জশিট ফাইলও করা হয়েছে। বিচারপতি মান্থা জানান, এই মামলায় সিবিআইয়ের অনেক রিপোর্ট আদালতে পৌঁছায়নি। হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে ওই সব রিপোর্ট তাঁর এজলাসে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের মুখ্যসচিবের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল হাইকোর্ট

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের মুখ্যসচিবের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) কিছুতেই রাজ্যের রিপোর্ট খুশি নয় কলকাতা হাইকোর্ট। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যে আধিকারিকদের নাম জড়িয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গেলে রাজ্যের অনুমতি নিতে হবে। সেই অনুমতি না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে সিবিআই। হাইকোর্টে আবেদন করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আদালত (Calcutta High Court) বারবার এ বিষয়ে মুখ্যসচিব বিপি গোপালিককে সময় দিলেও তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার এক্ষেত্রে মুখ্যসচিবের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। এই মামলায় অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার অনুমোদন নিয়ে রাজ্যের অবস্থান জানানোর জন্য তৃতীয় বার সময় দিল আদালত। আগামী ২৩ এপ্রিলের মধ্যে এ বিষয়ে মুখ্যসচিবকে নিজের অবস্থান জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    মঙ্গলবার আদালতে রাজ্য সরকারের আইনজীবী জানিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচনের পরে এই মামলায় (Recruitment Scam) অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ে অনুমোদন নিয়ে রাজ্যের অবস্থানের সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এরপরই ক্ষুব্ধ বিচারপতি বাগচী বলেন, “আদালত মনে করছে, মুখ্যসচিব যে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন সেখানে কোনও বুদ্ধি প্রয়োগ করা হয়নি। তিনি তাঁর দায়িত্ব উপলব্ধি করতে পারেননি। আদালত (Calcutta High Court) আশ্চর্য হয়েছে যে রাজ্যে সবচেয়ে উচ্চপদে থাকা আধিকারিক কোনও অজ্ঞাত কারণে নিজের দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। আমরা আশা করব প্রভাবশালী অভিযুক্তদের পদ মুখ্যসচিবকে প্রভাবিত করবে না। একজন মুখ্যসচিব স্বাধীনভাবেই সিদ্ধান্ত নেবেন।”

    আরও পড়ুন: শিয়ালদা শাখার সব লোকাল ট্রেন ১২ কামরার! কবে থেকে মিলবে পরিষেবা জানাল পূর্ব রেল

    বিচারপতির প্রশ্ন

    বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর পর্যবেক্ষণ, মুখ্যসচিব তাঁর দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁর জন্য তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে কিনা, সেই প্রশ্নও তুলেছে আদালত (Calcutta High Court)। বিচারপতির প্রশ্ন, “মুখ্যচিবকে ডেকে পাঠাব? নির্বাচনের সঙ্গে বিচার প্রক্রিয়ার কী সম্পর্ক? পুলিশ কি এফআইআর করা বন্ধ করেছে? তদন্ত কি বন্ধ আছে? আপনাদের বিলাসিতার জন্য কি তদন্ত থেমে থাকবে? ”  বিচারপতি বলেন, ‘‘মুখ্যসচিবকে এই সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। হয়ত, সিদ্ধান্তের কারণে কোনও রাজনৈতিক দলের কাছে তিনি অপ্রিয় হয়ে যাবেন। কিন্তু তার থেকেও অনেক বড় দায়িত্ব তাঁর উপর ন্যস্ত আছে। মুখ্যসচিব রাজ্যের আইন দফতরের সঙ্গে কথা বলছেন, কিন্তু তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে কথা বলছেন না। এরকম কেন হবে? প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি বাগচী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Garden Reach: গার্ডেনরিচ-কাণ্ডের নেপথ্যে থাকা পুর আধিকারিকদেরও শাস্তির নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    Garden Reach: গার্ডেনরিচ-কাণ্ডের নেপথ্যে থাকা পুর আধিকারিকদেরও শাস্তির নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গার্ডেনরিচে (Garden Reach) বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় পুর আধিকারিকদের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চে। এদিন আদালত (Calcutta High Court) স্পষ্ট জানায়, বেআইনি নির্মাণে যে পুর আধিকারিকেরা মদত দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে সাসপেনশনের নোটিস জারি করতে হবে। পুরসভাকে তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    গার্ডেনরিচকাণ্ডে (Garden Reach) সোমবার আদালতে (Calcutta High Court) রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাজ্য এবং পুরসভা। রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত গার্ডেনরিচের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এক জন পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে। রাজ্যের রিপোর্ট দেখে আদালতের মন্তব্য, ‘‘এই ধরনের গ্রেফতারি দেখতে ভাল লাগে। কিন্তু পুরসভার যে আধিকারিকদের সাহায্যে বেআইনি নির্মাণ হল, তাঁদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে?’’ আদালতের পর্যবেক্ষণ, পুরসভার যে আধিকারিকেরা এত দিন চুপ করে ছিলেন, তাঁরাও এই চক্রান্তে যুক্ত। তাঁরাই আসল দোষী। এটাও তদন্ত করে দেখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: লোকসভায় ভালো ফল না করলে সরে দাঁড়ান রাহুল, পরামর্শ প্রশান্ত কিশোরের

    দোষী পুর আধিকারিকদের শাস্তির নির্দেশ

    গার্ডেনরিচে (Garden Reach) গত ১৭ মার্চ একটি নির্মীয়মাণ পাঁচ তলা বহুতল ভেঙে পড়ে পাশের ঝুপড়ির উপরে। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি এদিন মন্তব্য করেন, এতগুলো মানুষের মৃত্যুর দায় কার সে কথা মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে কলকাতা পুরসভাকে। বেআইনি নির্মাণের বাড়ির মালিক বা প্রোমোটারকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা ভালো কথা। কিন্তু যারা অফিসে বসে পিছন থেকে এই বেআইনি নির্মাণে মদত দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে পুরসভাকে। রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি বাগচীর প্রশ্ন, ‘‘বেআইনি নির্মাণের উপর নজরদারি এবং উপযুক্ত পদক্ষেপ করার আইন রয়েছে। মানুষের প্রাণ এবং সম্পত্তি রক্ষা করার বৈধ উপায় রয়েছে। কিন্তু তার পরেও আপনাদের আধিকারিক এত দিন বসে ছিলেন কেন?’’ মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • HC On Bhupatinagar: “এই ধরনের রিপোর্ট লেখার সাহস ওসি পেলেন কী করে?”, ভূপতিনগরকাণ্ডে প্রশ্ন আদালতের

    HC On Bhupatinagar: “এই ধরনের রিপোর্ট লেখার সাহস ওসি পেলেন কী করে?”, ভূপতিনগরকাণ্ডে প্রশ্ন আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এই ধরনের রিপোর্ট লেখার সাহস ওসি পেলেন কী করে?” পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর থানার ওসিকে এই ভাষায়ই প্রশ্ন করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত (HC On Bhupatinagar)। সোমবার বিচারপতি সেনগুপ্তের সিঙ্গল বেঞ্চে চলছিল ভূপতিনগরকাণ্ড মামলার শুনানি। সেখানে ‘আদালতের রক্ষাকবচের ফলে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করতে পারে অভিযুক্তরা’, এই মর্মে রিপোর্ট দেওয়া হয় ভূপতিনগর থানার তরফে।

    ক্ষুব্ধ বিচারপতির প্রশ্ন (HC On Bhupatinagar)

    র পরেই ক্ষুব্ধ বিচারপতি সেনগুপ্ত প্রশ্ন করেন, “ওসিকে বলতে হবে আদালতের রক্ষাকবচের ফলে কবে, কোথায় বানচাল হয়েছে নির্বাচন?” আগামী চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ওসিকে এই রিপোর্টের ব্যাখ্যা দিতে হবে বলেও নির্দেশ দেয় আদালত। এর পরেই ওসির সাহস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। ভূপতিনগর থানার (HC On Bhupatinagar) ওসিকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। আগামিকাল মঙ্গলবার ফের হবে এই মামলার শুনানি। এদিন পর্যন্ত মামলাকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও কড়া আইনি পদক্ষেপ করতে পারবে না বলেও মৌখিক নির্দেশ দেন বিচারপতি সেনগুপ্ত।

    বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা!

    তপন মিদ্দে নামে বিজেপির এক স্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে গত তিন বছরে ২৬টি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে ভূপতিনগর থানার পুলিশ। এর মধ্যে ১৫টিতে ইতিমধ্যেই দাখিল করা হয়েছে চার্জশিট। মামলাকারীর দাবি, তাঁর নামে কোনও এফআইআর নেই। কোন কোন মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তা নিয়ে আদালতের নির্দেশে এদিন রিপোর্ট দেওয়া হয় ভূপতিনগর থানার তরফে। প্রসঙ্গত, ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডে সব মিলিয়ে মোট ২০ জন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে পুলিশ মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে, এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট বিজেপি নেতারা।

    আরও পড়ুুন: ভারতের জাতীয় পতাকাকে অপমান মলদ্বীপের সাসপেন্ডেড মন্ত্রীর!

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর ভূপতিনগরের এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তৃণমূলের এক নেতা ও তাঁর ভাই-সহ মোট তিনজনের। একজনের ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার হয়। তবে তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। বিরোধীদের অভিযোগ, ঘটনায় আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রয়েছে তৃণমূলের নাম। সেদিক থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেই বিজেপি কর্মীদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে (HC On Bhupatinagar) পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share