Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Calcutta High Court: ফের পুলিশে অনাস্থা! ময়নায় বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ফের পুলিশে অনাস্থা! ময়নায় বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ময়নার বিজেপি কর্মী খুনের মামলায় সরাসরি এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্তের দায়িত্ব নিতে এনআইএ-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত তাঁর নির্দেশে জানিয়েছেন, আগামী ২৪ এপ্রিলের মধ্যে আদালতের নির্দেশ কার্যকর করে আদালতে রিপোর্ট পেশ করতে হবে এনআইএ-কে। ভোটের আগে রাজ্যের একটি মামলায় হাইকোর্ট ফের এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় অস্বস্তি বাড়ল রাজ্য সরকারের।

    বিচারপতির বক্তব্য

    একইসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ভূমিকাতেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে উচ্চ আদালত (Calcutta High Court)। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “এটা দুর্ভাগ্যজনক। হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর করতে কোনও পদক্ষেপ করতে আগ্রহ দেখায়নি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। শুক্রবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চে এই মামলার শুনানির সময় কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল আদালতে জানান, তিনি চিঠি দিয়ে হাই কোর্টের নির্দেশের কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই চিঠির কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। যা শুনে বিচারপতি মন্তব্য করেন, ‘‘এটা দুর্ভাগ্যজনক যে হাই কোর্টের নির্দেশ কার্যকর করতে আগ্রহ দেখায়নি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।’’ তার পরই তিনি সরাসরি এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেন। 

    আরও পড়ুন: কংগ্রেসের ইস্তাহারে তাইল্যান্ড, নিউইয়র্কের ছবি! সমালোচনা বিজেপির

    কী ঘটেছিল

    গত বছর, ১ মে পঞ্চায়েত ভোটের আগে, বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে  অপহরণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার দিন বিকেল ৫টা নাগাদ বাড়ি ফেরার পথে, বিজেপি নেতার স্ত্রী-ছেলেকে মারধর করে, বাইকে চাপিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ ছিল। অভিযোগের আঙুল ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। ওই দিন, রাতেই বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে উদ্ধার হয় বিজয়কৃষ্ণের দেহ। মাথায় ভারী কিছু দিয়ে মেরে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ছিল। নেতা খুনের প্রতিবাদে গভীর রাতে ময়না থানার সামনে বিধায়ক অশোক দিন্দার নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘‘এক শতাংশ অভিযোগ সত্য হলেও লজ্জার বিষয়,’’ সন্দেশখালি ইস্যুতে বলল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: ‘‘এক শতাংশ অভিযোগ সত্য হলেও লজ্জার বিষয়,’’ সন্দেশখালি ইস্যুতে বলল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘এক শতাংশ অভিযোগ সত্য হলেও লজ্জার বিষয়।’’ সন্দেশখালি নিয়ে মামলা শুনানিতে এমনই মন্তব্য করতে শোনা গেল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমকে। এ দিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে সন্দেশখালি সংক্রান্ত জনস্বার্থ একটি মামলা শুনানি ছিল। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টে সন্দেশখালির ঘটনার মোট পাঁচটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। এর প্রত্যেকটির শুনানি চলছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে।

    আরও পড়ুুন: কেন বিজেপিতে? ‘কৈফিয়ত’ দিলেন অভিজিৎ, কী লিখলেন জানেন?

    কী বললেন প্রধান বিচারপতি?

    প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম বলেন, ‘‘ন্যাশানাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী (Calcutta High Court) এই রাজ্য মেয়েদের জন্য সব থেকে নিরাপদ বলা হয়েছে। কিন্তু সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর যা ঘটনা ঘটেছে আইনজীবীরা হলফনামা দিয়ে তাঁদের উপর অত্যাচারের ঘটনার কথা আদালতকে জানিয়েছেন। এত অভিযোগের একটাও যদি সত্যি হয় তা অত্যন্ত লজ্জাজনক।’’

    শাহজাহান মামলার নথি তলব

    শাহজাহানের বিরুদ্ধে (Calcutta High Court) এখনও পর্যন্ত দায়ের হওয়া সমস্ত মামলার এফআইআর এবং চার্জশিটের নথি মুখ বন্ধ খামে রাজ্যকে জমা দিতে বলে এদিন উচ্চ আদালত। এই সমস্ত নথির কপিও চেয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এ নিয়ে প্রথম আপত্তি জানিয়েছিল রাজ্য। তাদের আইনজীবীর প্রশ্ন ছিল ওই সমস্ত মামলা আর্থিক দুর্নীতি সম্পর্কিত নয় তাহলে কেন তথ্য চাই। তখন ইডি জানায়, আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত করতেই এগুলো দরকার।

    আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল কী বলছেন?

    আইনজীবী (Calcutta High Court) প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল এদিন বলেন, ‘‘তিনি যে হলফনামা এদিন আদালতে দিয়েছেন সেখানে ৭০০ জনের বেশি অভিযোগ করেছেন। তার মধ্যে ১০০ টি’র বেশি মহিলাদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। বাকি জমি দখলের অভিযোগ। বিএলআর ছাড়া এইভাবে জমি দখল করা যায় না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Gangopadhyay: কেন বিজেপিতে? ‘কৈফিয়ত’ দিলেন অভিজিৎ, কী লিখলেন জানেন?

    Abhijit Gangopadhyay: কেন বিজেপিতে? ‘কৈফিয়ত’ দিলেন অভিজিৎ, কী লিখলেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি (Abhijit Gangopadhyay)। তাঁর একের পর এক রায়ের জেরে কাঁপন ধরেছিল দুর্নীতি-বৃক্ষের শিকড়ে। ভয়ে তাঁকে তাক করতে শুরু করেছিলেন বাংলার শাসক দলের হেদিপেঁচিরাও। তা সত্ত্বেও তাঁকে টলানো যায়নি দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই থেকে। এহেন এক বিচারপতি একদিন আচমকাই ইস্তফা দিয়ে হাতে তুলে নিলেন পদ্ম আঁকা ঝান্ডা।

    অভিজিতের ‘কৈফিয়ত’ (Abhijit Gangopadhyay)

    কেন তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডেলে সেই ‘কৈফিয়ত’ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। তিনি লিখেছেন, “আমার জন্মস্থান, আমার প্রিয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, এক সময় সংস্কৃতি, বাণিজ্য ও সৃজনশীলতার কেন্দ্র হিসেবে খ্যাত ছিল। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সর্বদা ঐশ্বর্যের চেয়ে জ্ঞানের মহিমাকে প্রাধান্য দিয়ে এসেছে। যাই হোক, বর্তমান রাজ্য সরকারের অপশাসন রাজ্যকে দুর্নীতিতে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে। তা জীবনের প্রতিটি স্তরকে প্রভাবিত করেছে এবং সম্মিলিতভাবে রাজ্যের মর্যাদাকে টেনে নামিয়েছে। এক সময় এ রাজ্য ছিল শিল্পায়নের কেন্দ্র, যার জন্য ছিল প্রচুর কর্মসংস্থান, যা এ রাজ্যকে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের থেকে আলাদা পরিচিতি দিত। কিন্তু সেই রাজ্য এখন প্রচণ্ড আর্থিক চাপের মধ্যে রয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকরা হয়ে উঠেছেন এ রাজ্যের সব চেয়ে বড় রফতানির বস্তু।”

    নিশানা টিএমসিকে

    অভিজিৎ (Abhijit Gangopadhyay) লিখেছেন, “টিএমসি দলের নেতারা রাজ্যের ইকোসিস্টেমটাকেই দুর্নীতিগ্রস্ত করে তুলেছে। রাজ্যের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও যুব সমাজের ভবিষ্যৎকে ধ্বংস করেছে। বাছাইয়ের ক্ষেত্রে যোগ্যতা আর মাপকাঠি নয়, বরং আর্থিক সামর্থ্যই এখন নির্ণায়ক।” তিনি লিখেছেন, “প্রোটোকল ও নিয়মাবলীর কারণে উচ্চ আসনে বসে আমায় অনেক ক্ষেত্রে নীরব দর্শক হয়ে থাকতে হয়েছে, যা আমার বিবেককে নাড়া দিচ্ছিল। তাই আমি আমার পথ পরিবর্তন করেছি। এবং এমন একটি পদক্ষেপ করেছি, যার মাধ্যমে এখন আমি রাজ্যের নৈতিক, সাংস্কৃতিক ও আর্থিক অবক্ষয় বন্ধ করার লড়াইয়ে যোগ দিতে পেরেছি, যা দীর্ঘকাল ধরে রাজ্যকে জর্জরিত করেছে।” পোস্টের শেষে তিনি (Abhijit Gangopadhyay) ট্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকেও।

    আরও পড়ুুন: “মহিলা-তরুণদের কাছে যান”, ভিডিও-বার্তায় বঙ্গ বিজেপিকে নির্দেশ মোদির

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘‘গরিব মানুষ কি মরার জন্য জন্মেছেন?’’ বেআইনি নির্মাণ খালির নির্দেশ বিচারপতির

    Calcutta High Court: ‘‘গরিব মানুষ কি মরার জন্য জন্মেছেন?’’ বেআইনি নির্মাণ খালির নির্দেশ বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেআইনি নির্মাণে ফের কড়া নির্দেশ দিতে দেখা গেল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে। বিধাননগরের একটি বেআইনি আবাসনে জল এবং বিদ্যুৎ পরিষেবা অবিলম্বে বন্ধ করা নির্দেশ দেন বিচারপতি। সেইসঙ্গে সেখানকার বাসিন্দাদের আবাসন খালি করার জন্য ৩০ দিন সময় বেঁধে দেন তিনি। প্রসঙ্গত অভিযোগ, বিধাননগর পুরসভার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে একটি আবাসন বেআইনিভাবে তৈরি করা হয়েছে। ওই নির্মাণ কাজ করার সময় পুরসভার কোনও রকমের অনুমতি নেওয়া হয়নি। নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পরেই মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। বুধবারে এই মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই বিচারপতি অমৃতা সিনহা এই নির্দেশ দেন। মামলার শুনানি চলার সময় বিচারপতি সিনহার মন্তব্য, ‘‘গরিব মানুষ কি মরার জন্য জন্মেছেন?’’

    ‘‘নির্মাণ যদি অবৈধভাবে শুরু হয় তবে তা ধুলোয় মিশিয়ে দিতেই হবে’’

    অন্যদিকে, এদিন পুরসভার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। বুধবারের শুনানিতে দুই নির্মাণকারীর আইনজীবী স্বীকার করেন, ওই আবাসন নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হয়নি। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। অনুমতি ছাড়া কীভাবে পাঁচ তলা নির্মাণ সম্ভব হল? যদিও নির্মাণকারীদের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, পরবর্তীকালে অনুমতি নেওয়া হয়। এরপরেই নির্মাণকারীদের আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বিচারপতি অমৃতা সিনহা মন্তব্য করেন, ‘‘নির্মাণ যদি অবৈধভাবে শুরু হয় তবে তা ধুলোয় মিশিয়ে দিতেই হবে।’’ গার্ডেনরিচের দুর্ঘটনার পরে বেআইনি নির্মাণের ক্ষেত্রে আরও করা হতে হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি (Calcutta High Court)। এর পাশাপাশি নির্মাণকারীদের জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। ১২ এপ্রিলের মধ্যে ওই বাড়ির নির্মাতা ২ প্রোমোটারকে ১ কোটি টাকা জমা দিতে হবে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে।

    গরিব মানুষ কি মরার জন্য জন্মেছেন?

    হাইকোর্টে (Calcutta High Court) শুনানি চলার সময় উপস্থিত ছিলেন ওই বেআইনি নির্মাণেরই কয়েক জন বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে এক বাসিন্দা কোর্টকে জানান, ওই আবাসনের অধিকাংশ বাসিন্দাই গরিব। এখন তাঁরা কোথায় যাবেন? এটা শুনে বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘খুব গরিব লোকেদের মরে যাওয়া উচিত? এটাই বলতে চান? তাঁরা কোথায় যাবেন মানে? তাঁদের উচিত ছিল বৈধ অনুমোদন রয়েছে কি না তা যাচাই করে ওই আবাসনে বিনিয়োগ করা। আগে নিজের জীবন বাঁচান, যদি এই বাড়ি ভেঙে পড়ে তবে কী হবে? গরিব মানুষ কি মরার জন্য জন্মেছেন? জীবনের মূল্য অনেক বেশি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: মামলার জটে প্রাথমিকে যোগ্যদের চাকরি না হওয়ায় বিরক্ত হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: মামলার জটে প্রাথমিকে যোগ্যদের চাকরি না হওয়ায় বিরক্ত হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একের পর এক মামলার জেরে প্রাথমিকে প্রকৃত যোগ্যদের চাকরি না হওয়াতে চরম বিরক্তি প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বুধবারই ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় উর্দু ভাষার প্রশ্নের ভুল সংক্রান্ত একটি মামলা ছিল। মামলাটি ওঠে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থারের এজলাসে। সেখানেই বিচারপতি রাজ্য সরকারকে একটি রিপোর্ট জমা দিতে বলেন। আগামী ১৭ এপ্রিলের মধ্যে রাজ্য সরকারকে একটি রিপোর্ট দিতে হবে।  ওই রিপোর্টে জানাতে হবে প্রাথমিক স্কুলগুলিতে রাজ্যে বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষকের সংখ্যা কত?

    বিচারপতি মান্থারের পর্যবেক্ষণ

    আদালত এদিন স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, মূলত মামলার কারণে যে সমস্ত যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ আটকে রয়েছে, তাঁদের নিয়োগ কোনওভাবে আটকে রাখা যাবে না। এদিনই প্রাথমিকের ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার মামলা শুনানিতে বিচারপতি মান্থার পর্যবেক্ষণ (Calcutta High Court) করে বলেন, ‘‘দিনের পর দিন মামলা চলছে। আর এই মামলার মধ্যে প্রকৃত যোগ্যরা নিয়োগ পাচ্ছেন না। তাঁদের নিয়োগ আটকে রাখা হচ্ছে। চাকরিতে প্রকৃত যোগ্যরা বঞ্চিত থেকে যাচ্ছেন এবং এই মামলার কারণে তাঁদের বয়স চলে যাচ্ছে।’’ প্রসহ্গত নিয়োগ দুর্নীতিতে একের পর এক অনিয়মের অভিযোগ সামনে এসেছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য বর্তমানে জেলেও রয়েছেন। চাকরি প্রার্থীরা আন্দোলনও করছেন রাজপথে। এমন আবহে আদালতের এদিনের পর্যবেক্ষণ খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    আরও পড়ুুন: বঙ্গে রামের দলের নয়া মুখপাত্র রাধিকা, চেনেন তাঁকে?

    আদালতের আরও পর্যবেক্ষণ

    আদালতের (Calcutta High Court) আরও পর্যবেক্ষণ, পর্ষদ এই নিয়োগ নিয়ে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করুক। তাদের অসহযোগিতাতেই নতুন নিয়োগ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে বলে মনে করে হাইকোর্ট। আদালত এদিন জানিয়েছে, কোনও সুপার নিউমেরারি পোস্টের হিসাব এই তালিকায় আনা যাবে না। বোর্ডের ওই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই আদালত তার পরবর্তী নির্দেশ দেবে, তা জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Case: সশরীরে হাজিরার হুমকি, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ডেডলাইন

    Recruitment Case: সশরীরে হাজিরার হুমকি, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ডেডলাইন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Case) আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। যদি সময়মতো নির্দেশ না মানা হয়, তাহলে আদালত তাঁকে সশরীরে ডাকতে বাধ্য হবে বলে জানালেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ। 

    কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্ন

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Case) সরকারি পদে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। কিন্তু রাজ্য অনুমোদন না দিলে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। কেন রাজ্য সরকার এত দিন ধরে ওই অনুমোদন দানের প্রক্রিয়া ঝুলিয়ে রেখেছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। গত ২২ মার্চ অনুমতি দেওয়া বা না দেওয়া নিয়ে তিনি কী ভাবছেন তা মুখ্যসচিবকে জানাতে বলেছিল আাদলত। সরকারি আইনজীবী অনির্বাণ রায় আদালতকে জানান, “মুখ্যসচিব ভোটের কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাওয়ার জন্য দেরি হচ্ছে।”  আদালতের থেকে আরও কিছু সময় চায় রাজ্য। 

    আরও পড়ুন: বাইরে তাপপ্রবাহ! সুস্থ থাকতে কী করবেন, কী করবেন না, নির্দেশিকা কেন্দ্রের

    কী বলল আদালত

    সরকারি আইনজীবী নির্বাচনের কথা বললেই ক্ষুব্ধ হয় আদালত। এরপরই বিচারপতি বাগচীর পর্যবেক্ষণ, গত দেড় বছর ধরে সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি মুখ্যসচিব। সম্প্রতি নির্বাচন ঘোষণা হয়েছে। তিনি এতদিন কী করছিলেন প্রশ্ন তোলে হাইকোর্ট। এতে বিচারপ্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। তদন্তের কাজ শ্লথ হচ্ছে। একটা সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আগামী মঙ্গলবার রিপোর্ট জমা দিতে না পারলে তাঁকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে। নিয়োগ মামলায় (Recruitment Case) এর আগে সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাইকোর্টে বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে দ্রুত শুনানির প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল। এর আগে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সিবিআইয়ের তদন্তের গতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: ৮২টি সিসি ক্যামেরা বসিয়ে তাঁর ওপর নজরদারি চালাচ্ছে রাজ্য, হাইকোর্টের দ্বারস্থ অর্জুন

    Arjun Singh: ৮২টি সিসি ক্যামেরা বসিয়ে তাঁর ওপর নজরদারি চালাচ্ছে রাজ্য, হাইকোর্টের দ্বারস্থ অর্জুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল থেকে বিজেপিতে ফিরেছেন অর্জুন সিং (Arjun Singh)। এবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন বারাকপুরের বিদায়ী সাংসদ। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে তাঁর বাড়ির আশেপাশে ৮২টি সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। তাঁর বাড়িতে আসা-যাওয়া ব্যক্তিদের গতিবিধির ওপর এভাবেই নজরদারি চালাচ্ছে রাজ্য। এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন অর্জুন। কলকাতা হাইকোর্ট অর্জুন সিং (Arjun Singh)-এর এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এই অনুমতি দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। হাইকোর্ট সূত্রে খবর, আগামী সপ্তাহের মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি রয়েছে।

    বাড়ির পুরোহিতের ওপরেও নজরদারি! সরব অর্জুন

    অর্জুন সিং (Arjun Singh) বলেন, ‘‘আমার বাড়ির আশেপাশে ৮২টি ক্যামেরা। মানে, আমার প্রত্যেকটা গতিবিধিকে রেইকি করা হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে আমার সঙ্গে সাধারণ মানুষ থেকে কার্যকর্তা যাঁরাই দেখা করতে আসছেন, এমনকী মন্দিরের পুরোহিত যদি আমার বাড়িতে কেউ পুজো করতে আসেন তাঁকে ১০৭ কেটে দিয়েছে। ১১০ দিয়েছে যার বয়স ৭০ বছর। পুলিশকে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এই ধরনের কাজ করাচ্ছে। ক্যামেরা লাগিয়ে সবসময় নজরদারি চলছে। আমার সঙ্গে কে দেখা করতে আসেন…কে কথা বলতে আসেন…সবার ওপর নজরদারি চালাচ্ছে।’’ 

    জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা অর্জুনের, পবন সিং-এর ওপর নজরদারির অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসের ১৫ তারিখে বিজেপিতে যোগ দেন অর্জুন সিং। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে বর্তমানে তাঁকে জেড ক্যাটাগরির সুরক্ষা প্রদান করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই আবহেই তিনি নজরদারি চালানোর অভিযোগ আনলেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। অর্জুন সিং-এর (Arjun Singh) পাশাপাশি একই অভিযোগে সরব হয়েছেন তাঁর পুত্র তথা ভাটপাড়ার বিধায়ক পবন সিংও। প্রসঙ্গত, মাঝখানে অর্জুন সিং তৃণমূলে গেলেও পবন সিং বিজেপিতেই ছিলেন। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তাঁর ভিডিও এবং অডিও দুই ভাবেই ট্যাপিং-এর অভিযোগ এনেছেন পবন।

    তোলাবাজির টাকা যায় ক্যামাক স্ট্রিটে

    প্রসঙ্গত, গতকাল বারাকপুরে তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন অর্জুন। বারাকপুর শিল্পাঞ্চল থেকে তোলাবাজির মাধ্যমে টাকা তুলে, সেই টাকা ক্যামাক স্ট্রিটে পাঠান পার্থ ভৌমিক, এমনই অভিযোগ বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং-এর (Arjun Singh)। নদীর চর রাস্তা থেকে বালি তুলে পাচার করেন তৃণমূল প্রার্থী। এমনও অভিযোগ এনেছেন অর্জুন।

     

     

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Suvendu Adhikari: খালিস্তানি বিতর্ক! শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি সেনগুপ্ত

    Suvendu Adhikari: খালিস্তানি বিতর্ক! শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি সেনগুপ্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে এফআইআর সংক্রান্ত একটি মামলা সরে দাঁড়ালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। হাইকোর্টের বিচারপতি জানিয়েছেন, রাজ্যের ওই আবেদন তিনি শুনবেন না। এর পাশাপাশি প্রধান বিচারপতির এজলাসে ওই মামলাটি পাঠিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। প্রসঙ্গত, খালিস্তানি বিতর্কের জেরে শুভেন্দু অধিকারী বিরুদ্ধে এফআইআর করতে চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। আবেদনটি যায় বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের কাছে। তবে এফআইআর সংক্রান্ত অন্য মামলাগুলির শুনানি বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে হবে বলেই জানা গিয়েছে। আগামী ১০ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

    শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা করতে হাইকোর্টের অনুমতি লাগবে

    গত ২০ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালিতে পুলিশের সঙ্গে বচসার মাঝে খালিস্তানি মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এই অভিযোগ তুলেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থারের বেঞ্চ শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশের দায়ের করা ২৬টি এফআইআর-এ স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। সে সময় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার জানিয়েছিলেন, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা করতে গেলে আগে হাইকোর্টের অনুমতি নিতে হবে। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলায় এফআইআর করছে রাজ্য, এমনটাই অভিযোগ ছিল বিজেপি শিবিরের। সেই মর্মে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু।

    খালিস্তানি বিতর্কের এফআইআর দায়ের হয় ভবানীপুর থানায়

    আদালতের কাছে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) আবেদন জানান, তাঁর নামে দায়ের হয় এফআইআর গুলি খারিজ করা হোক অথবা মামলার তদন্ত সিবিআই করুক। তখন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থারের পর্যবেক্ষণ ছিল, শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি মানুষের ভোটে নির্বাচিত। পুলিশ নিজে অথবা অন্য কারও নির্দেশে অভিযোগ এনে জনগণের প্রতি বিরোধী দলনেতার কর্তব্য স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে। প্রসঙ্গত, খলিস্তানি বিতর্কে জেরে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ভবানীপুর থানায় একটি এফআইআর দায়ের হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Telegram, FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shahjahan Sheikh: আদালতের নির্দেশ অমান্য! শাহজাহানের বিরুদ্ধে খুনের মামলায় রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Shahjahan Sheikh: আদালতের নির্দেশ অমান্য! শাহজাহানের বিরুদ্ধে খুনের মামলায় রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে তিন বিজেপি কর্মী খুনের মামলায় নিম্ন আদালতের বিচার প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। তারপরেও পুলিশে মামলাতে অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেয় বলে অভিযোগ। সোমবার এই মামলার শুনানিতে রাজ্যকে ভৎর্সনা করল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, সোমবারই বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চে সন্দেশখালির এই মামলাটির শুনানি ছিল। এদিন পুলিশের ভূমিকায় অত্যন্ত অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি। এই খুনের মামলায় মূল অভিযুক্ত ছিলেন শেখ শাহজাহান (Shahjahan Sheikh)।

    ২০১৯ সালে খুন ৩ বিজেপি কর্মী 

    মৃতদের পরিবারের পক্ষে আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য এদিন বলেন, ‘‘এই মামলাতে মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান (Shahjahan Sheikh)। এখনও কীভাবে রাজ্য পুলিশ তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে, এটা তার নমুনা।’’ শাহজাহানের নাম বাদ দেওয়া নিয়ে তদন্তকারী অফিসার বলেন, ‘‘সাক্ষীকে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি।’’ তখন বিচারপতি বলেন, ‘‘আপনি ঠিক করবেন, কে বিশ্বাসযোগ্য আর কে বিশ্বাসযোগ্য নয়?’’ জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরে সন্দেশখালিতে খুন হন তিন বিজেপি কর্মী প্রদীপ মণ্ডল, দেবদাস মণ্ডল এবং সুকান্ত মণ্ডল। এই ঘটনায় শেখ শাহজাহান এবং তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে দু’টি এফআইআর দায়ের করা হয়।  কিন্তু পুলিশ শেখ শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) নাম চার্জশিট থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছিল।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    সম্প্রতি, সেই অভিযোগ নিয়েই নিহতদের পরিবাররা হাজির হয় হাইকোর্টে। সোমবার আদালতে এই মামলার আইনজীবী জানিয়েছেন, ১৭ জানুয়ারি হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দেওয়ার পরেও পুলিশ অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেয়। এতেই ক্ষুদ্ধ হন বিচারপতি। এই মামলা নিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ হল, ‘‘হাইকোর্ট ট্রায়াল সহ যাবতীয় বিচার প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। তারপরেও কিভাবে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ?’’ এ প্রসঙ্গে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘আদালতে নির্দেশ অমান্য করার কারণে তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে আমি আদালত অবমাননার রুল জারি করতে বাধ্য হব।’’ জানা গিয়েছে, আগামী বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: বিচারপতির নাম ভাঙিয়ে টাকা নেওয়া! ট্রাফিক পুলিশকে তলব হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: বিচারপতির নাম ভাঙিয়ে টাকা নেওয়া! ট্রাফিক পুলিশকে তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিকিম হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল কলকাতার এক ট্রাফিক গার্ডের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের নাম পলাশ দাস। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এক আইনজীবীর কাছ থেকে তিনি টাকা নেন বলে অভিযোগ। আর এই ঘটনাতেই অভিযুক্ত ওই ট্রাফিক গার্ডকে হাইকোর্টে সশরীরে হাজির হতে নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি (Calcutta High Court) অমৃতা সিংহ। বৃহস্পতিবারই এমন নির্দেশ দেন অমৃতা সিংহ। তাঁর নির্দেশ, আগামী ২ এপ্রিল আদালতে হাজিরা দিতে হবে ট্রাফিক গার্ডকে।

    এক হাজার টাকা দাবি করা হয়

    অভিযোগ, গত মঙ্গলবারই দ্বিতীয় হুগলি সেতু দিয়ে যাচ্ছিলেন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) আইনজীবী শুভ্রাংশু পান্ডা। অভিযোগ, সেসময়ই তাঁর কাছে এক হাজার টাকা দাবি করেন ট্রাফিক গার্ড পলাশ দাস। আইনজীবী টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাঁর ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করার হুমকি দেন ওই পলাশ দাস। আইনজীবী জানান, এ ভাবে টাকা নেওয়া যায় না। এ সংক্রান্ত দীপঙ্কর দত্ত বনাম রাজ্য সরকারের মামলার রায় ওই ট্রাফিক কর্মীকে দেখানো হয়।

    বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের নাম উল্লেখ

    প্রসঙ্গত, বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি। আইনজীবীর অভিযোগ, ওই ট্রাফিক পুলিশকর্মী পাল্টা দাবি করেন, কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রাক্তন বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের সঙ্গে তিনি কাজ করেছেন। আইন শেখানোর দরকার নেই। আইন ভাল করেই জানেন তিনি। তাঁর অনেক ক্ষমতা রয়েছে। প্রসঙ্গত, বিচারপতি সমাদ্দার বর্তমানে সিকিম হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। দীর্ঘ বাগ্‌বিতণ্ডার পরে ওই পুলিশকর্মী আইনজীবীর লাইসেন্স জোর পূর্বক কেড়ে নেন বলে অভিযোগ।

    এমন কাণ্ড আগেও করেছেন ওই ট্রাফিক পুলিশ

    বৃহস্পতিবার ওই আইনজীবীর কাছে পুরো ঘটনা শুনে কার্যত বিস্মিত হন বিচারপতি সিংহ। তারপরেই তিনি ওই ট্রাফিক পুলিশকে আদালতে সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। তবে এমনটা প্রথম নয়, শুভ্রাংশুর দাবি, এর আগেও বিচারপতি সমাদ্দারের নাম করে দেবোত্তম দাস নামের এক আইনজীবীর (Calcutta High Court) কাছ থেকে ওই পুলিশকর্মী ৫০০ টাকা নিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share