Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Calcutta High Court: মতুয়া মামলায় বড় স্বস্তি শান্তনুর, আয়কর সংক্রান্ত তথ্য তলব মমতাবালাকে

    Calcutta High Court: মতুয়া মামলায় বড় স্বস্তি শান্তনুর, আয়কর সংক্রান্ত তথ্য তলব মমতাবালাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মতুয়া মহাসঙ্ঘের তহবিল সংক্রান্ত মামলায় বড়সড় স্বস্তি পেলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আপাতত কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। একই সঙ্গে এই মামলায় আয়কর দফতরকেও পার্টি করতে বলেছে আদালত। এর পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলায় তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা শান্তনু ঠাকুরে জেঠিমা মমতাবালা ঠাকুরের আয়কর সংক্রান্ত তথ্য জমা দিতে বলেছে।

    আরও পড়ুন: ইন্ডি জোটে জট, কোচবিহার আসনে বামের বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রার্থী

    বৃহস্পতিবার মামলাটি ওঠে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে

    বৃহস্পতিবারই মামলাটি ওঠে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে। উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর এমন নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। ১ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। প্রসঙ্গত, গাইঘাটার ঠাকুরনগরে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘ নামে থাকা দুটি সংগঠনের মধ্যে একটির সঙ্ঘাধিপতি হলেন মমতাবালা ঠাকুর, অন্যটির সঙ্ঘাধিপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শান্তনু ঠাকুর। বনগাঁর বিজেপির সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের হয়ে এদিন মামলাটি লড়েন আইনজীবী জয়দীপ কর।

    মমতাবালা বনাম শান্তনু 

    মমতাবালা ঠাকুর নিজের সংগঠনকে আসল বলে দাবি করেন। সেই মতো শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে ক্ষমতা হস্তান্তর সংক্রান্ত বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরেই কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) আবেদন জানান শান্তনু। মমতাবালা এমন অভিযোগ করার পরেই মতুয়া সঙ্ঘের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিল করা হয়। মতুয়াবালা ঠাকুর এমনও অভিযোগ করেন, অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের নামে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে বিপুল টাকা জমা করছেন শান্তনু ঠাকুর। এই মামলাতেই রাজ্যের কাছে কেস ডায়েরি চেয়ে পাঠিয়েছিল উচ্চ আদালত। সেইমতো এদিন মহাসঙ্ঘের অ্যাকাউন্ট এবং কেস ডায়েরি জমা দেয় রাজ্য। এদিনের শুনানিতে শান্তনু বেশ স্বস্তি পেলেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    আরও পড়ুন: কেজরিওয়ালের আর্জি ফেরাল হাইকোর্ট, ‘‘মুখোশ খুলে দেবো’’, হুঙ্কার কনম্যান সুকেশের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: দাড়িভিটকাণ্ডে রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবের বিরুদ্ধে রুল ইস্যু হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: দাড়িভিটকাণ্ডে রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবের বিরুদ্ধে রুল ইস্যু হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৮ সালের দাড়িভিটকাণ্ডে উচ্চ আদালত (Calcutta High Court) এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। এরপর কেটে গিয়েছে ১০ মাস। কিন্তু সিআইডি এই মামলা সংক্রান্ত কোনও নথি এখনও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দেয়নি। এর পাশাপাশি পুলিশের গুলিতে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও পালন করেনি রাজ্য। তাই শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও এডিজি সিআইডির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার দায়ে রুল ইস্যু করল কলকাতা হাইকোর্ট। 

    কী বললেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার

    এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ দেন, আগামী শুনানিতে ওই অফিসারদের এজলাসে হাজির হয়ে জানাতে হবে কেন তাঁদের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট পদক্ষেপ করবে না। জানা গিয়েছে, মামলার পরবর্তী শুনানি ৫ এপ্রিল। প্রসঙ্গত, গত বছরের অর্থাৎ ২০২৩ সালের মে মাসে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত (Calcutta High Court)। ওই নির্দেশ দিতে গিয়ে ২০২৩ সালের ১০ মে বিচারপতি মান্থার বলেন, ‘‘পুলিশের রিপোর্টেই সেখানে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ফলে এই ঘটনার এনআইএ তদন্ত প্রয়োজন।’’ সেদিনই তদন্ত সংক্রান্ত নথি এনআইএ-র হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। এর পরে দাড়িভিটে গিয়ে নিহত ২ ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে কথাও বলে আসেন এনআইএ-র আধিকারিকরা। কিন্তু ১০ মাস পার হলেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি রাজ্য।

    ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরের ঘটনা

    ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর উত্তর দিনাজপুরের দাড়িভিটের একটি স্কুলে বাংলা শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে পড়ুয়া এবং এলাকাবাসী। অভিযোগ ছিল, ওই স্কুলে বাংলা শিক্ষকের প্রয়োজন থাকলেও নিয়োগ করা হয়েছে উর্দু শিক্ষক। আন্দোলনে পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। মৃত্যু হয় দুই প্রাক্তন ছাত্রের। মৃতদের পরিবার অভিযোগ করে, পুলিশের গুলিতেই এই মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত (Calcutta High Court)।

    আরও পড়ুুন: ‘সরকারি চাকরির মূল্য শুনলে চমকে যাবেন’, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কী বললেন বিচারপতি সিনহা?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: দীর্ঘদিন ফাঁকা পিএসসি-র চেয়ারম্যানের পদ, রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: দীর্ঘদিন ফাঁকা পিএসসি-র চেয়ারম্যানের পদ, রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিএসসি চেয়ারম্যান (Psc Chairman) পদে নিয়োগ নিয়ে কড়া অবস্থান নিতে দেখা গেল কলকাতা হাইকোর্টকে। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান পদটি খালি রয়েছে। এর ফলে পিএসসির নিয়োগ সংক্রান্ত অনেক ইন্টারভিউ আটকে রয়েছে। জুডিশিয়াল সার্ভিস বা ডাব্লুবিসিএস-এর মতো পরীক্ষার ইন্টারভিউও আটকে রয়েছে, শুধুমাত্র চেয়ারম্যান পদ খালি থাকার কারণে। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, রাজ্য যদি না পারে তাহলে আদালত এই পদে নিয়োগ (Psc Chairman) নিয়ে এবার সিদ্ধান্ত নেবে।

    চেয়ারম্যান নিয়োগের দাবিতে মামলা করেন এক আইনজীবী

    প্রসঙ্গত, পিএসসি চেয়ারম্যান (Psc Chairman) নিয়োগের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন আইনজীবী শামিম আহমেদ। এবং তিনি জানান, পিএসসিতে ৬ থেকে ৭ জন সদস্য থাকার কথা থাকলেও সেখানে মেম্বার রয়েছেন মাত্র দুই জন। এর ফলে একাধিক পরীক্ষার ইন্টারভিউ নেওয়া যাচ্ছে না। শুক্রবারের শুনানিতে পিএসসি-এর চেয়ারম্যান নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকারের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, পিএসসি চেয়ারম্যান নিয়োগ ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশও অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের বিরুদ্ধে। আদালতের বক্তব্য, চেয়ারম্যান নিয়োগ না করার ফলে সুপ্রিম কোর্টেও নির্দেশ মানা হচ্ছে না।

    ১৪ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি

    আগামী ১৪ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। তবে তার আগেই রাজ্যকে এ বিষয়ে রিপোর্ট চেয়েছে হাইকোর্ট। পিএসসি চেয়ারম্যান পদ খালি থাকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকেও। রাজ্য সরকারের নিয়োগের (Psc Chairman) ক্ষেত্রে গতি আনার পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যপালও। কিন্তু রাজ্যের যেন কোনও হেলদোলই নেই। প্রসঙ্গত, আগে রাজ্যের বিভিন্ন দফতরে গ্রুপ ডি এবং গ্রুপ সি পদের নিয়োগের পরীক্ষা থেকে ইন্টারভিউ সবটাই দেখাশোনা করতো পিএসসি। তবে তা পিএসসির-র কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বর্তমানে।

     

    আরও পড়ুুন: “আরও ১০ বছরও প্রধানমন্ত্রী থাকবেন মোদি”, সাফ জানালেন শাহ

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Gangopadhyay: ‘‘তৃণমূল আর বেশিদিন থাকবে না’’, ইস্তফা দিয়েই হুঙ্কার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Abhijit Gangopadhyay: ‘‘তৃণমূল আর বেশিদিন থাকবে না’’, ইস্তফা দিয়েই হুঙ্কার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে জল্পনার অবসান, বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগদানের কথা ঘোষণা করলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। বিজেপিতে যোগদানের ঘোষণার পরেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘তৃণমূল আর বেশিদিন থাকবে না।’’ সংবাদমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এও জানান, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হতে তিনি ভয় পান না। এদিন শাসক দলের এক নেতাকে ‘তালপাতার সিপাই’ বলে কটাক্ষ করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, ওই নেতা আসলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর (অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়) কটাক্ষ, ‘‘তালপাতার সিপাই কোন যুদ্ধে জিতেছেন জানিনা!’’ পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন, ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্র থেকে তিনি লড়তে ভয় পান না। এর পাশাপাশি দক্ষিণ কলকাতা আসনে দল তাঁকে প্রার্থী করলে লড়তে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    কেন অন্য কোনও দল নয়?

    প্রসঙ্গত, রবিবারই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) জানিয়েছিলেন, তিনি বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন। কিন্তু কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দেবেন তা এদিন স্পষ্ট করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সিপিএম-এ যোগ না দেওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘‘আমি ধর্মে বিশ্বাস করি, ঈশ্বরে বিশ্বাস করি, তাই সিপিএম-এ যাইনি।’’ অন্যদিকে কংগ্রেস দলকে পারিবারিক জমিদারি বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। তৃণমূল প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘এটাকে কোনও রাজনৈতিক দল বলেই মনে করি না আমি, ওটা একটা যাত্রাপালা যার নাম- ‘মা মাটি মানুষ’।’’

    তৃণমূলের শিক্ষা সংস্কৃতি ও বেড়ে ওঠার রীতির মধ্যে অনেক ত্রুটি রয়েছে

    তৃণমূলের শিক্ষা সংস্কৃতি ও বেড়ে ওঠার রীতির মধ্যে অনেক ত্রুটি রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বিজেপিতে যোগদানের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের মতো দুষ্কৃতী দলের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বিজেপির মতো সর্বভারতীয় দল দরকার।’’ তিনি এও জানিয়েছেন, বিজেপির ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব যা সিদ্ধান্ত নেবেন, তিনি সেটাই মেনে চলবেন। আর বিজেপি বলেছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারা জিরো টলারেন্স।

    কীভাবে বিজেপিতে?

    কখন মনস্থির করলেন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে? এব্যাপারে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) বলেন, ‘‘আমি বিজেপিতে যাই, সেটা দুতরফেরই সিদ্ধান্ত। বিজেপির তরফ থেকে প্রস্তাব এসেছিল। আমিও এই বিষয়টা নিয়ে আগেই ভাবনাচিন্তা করেছিলাম। আমি সাত দিন ধরে ছুটিতে ছিলাম। আমি শেষ ওই সাত দিনেই চিন্তাভাবনা করেছি।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘বিজেপির সঙ্গে আমার আর আমার সঙ্গে বিজেপি শেষ ৫-৬ দিনের মধ্যে যোগাযোগ হয়েছে। আমি আদালতে ৭ দিন ছুটি নিই। এই ছুটি নেওয়ায় ক্ষতি কিন্তু আমারই হয়। কল্যাণ কিংবা কুণালের কিন্তু হয়নি ক্ষতি। যাতে কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে, তার জন্যই ছুটি নিয়েছিলাম। শুধু গতকাল আমি কোর্টে বসেছি, কতগুলো মামলা ছেড়ে দিতে হবে বলে।’’

    রাজনীতিতে আসার অনুপ্রেরণা তৃণমূল!

    তিনি আরও বলেন, ‘‘তৃণমূলই আমাকে রাজনীতিতে আসার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। শাসকদল আমাকে নানাভাবে অপমান করেছে। শাসকদলের মুখপাত্ররা আমাদের অপমানজনক মন্তব্য করেছেন। বিজেপিই তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছে। বিজেপি সর্ব ভারতীয় পার্টি। তাই বিজেপিতে যোগ দিয়েছি।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তে বাধা দিচ্ছে পুলিশ, হাইকোর্টে অভিযোগ ইডির

    Calcutta High Court: সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তে বাধা দিচ্ছে পুলিশ, হাইকোর্টে অভিযোগ ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি মামলার তদন্তে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে বাধার অভিযোগ। এই মর্মে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হল ইডি। চাওয়া হল সিবিআই। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই আবেদন করা হয়েছে।

    কী বললেন ইডির আইনজীবী?

    ইডির ওপর হামলার ৫৬ দিন পরে গ্রেফতার হন শেখ  শাহজাহান। তারপর থেকেই এই মামলার তদন্তভার নিয়েছে সিআইডি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডির আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদীর বক্তব্য, ‘‘তদন্তের নামে বারবার ইডি অফিসারদের ডেকে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু অভিযুক্তকে আদতে তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জেরার প্রয়োজন।’’ গত ৫ জানুয়ারি ইডির ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী হিসেবে ইডির ডেপুটি ডিরেক্টরকে সিআইডি তলব করে। সোমবারই ভবানী ভবনে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু গতকাল ইডির ডেপুটি ডিরেক্টর যাননি। এবার আদালতে গিয়েই পুলিশের বিরুদ্ধেই অভিযোগ করল ইডি।

    কী বললেন সিবিআই-এর আইনজীবী?

    প্রসঙ্গত, ইডির হামলার ঘটনায় বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত সিট গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। নির্দেশে বলা হয়, সিবিআই এবং রাজ্যের আধিকারিকরা যৌথভাবে এই মামলার তদন্ত করবে। তবে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ (Calcutta High Court) দিয়েছিল। আগামী ৬ মার্চ ওই মামলার ফের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। সিবিআইয়ের তরফে আইনজীবী এসভি রাজু এদিন বলেন, ‘‘যদি তদন্ত সিআইডির হাতে থাকে তাহলে তা সাংঘাতিকভাবে ব্যাহত হবে। তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হতে পারে। তাই অবিলম্বে এই মামলার তদন্ত হস্তান্তর করা উচিত সিবিআইয়ের হাতে।’’

    তদন্ত দিকভ্রষ্ট হওয়ার আশঙ্কা সিবিআইয়ের

    এসভি রাজু আরও (Calcutta High Court) বলেন, ‘‘রাজ্য পুলিশ তদন্তকে বিভ্রান্ত করবে। অন্যদিকে ঘোরাতে চাইবে। যারা ইডি আধিকারিকদের উপর আক্রমণ করেছিল তাদের কিছু হল না। উলটে ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মহিলাদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ করা হয়েছে। ফলে অনুমান করা যায় এই মামলা পুলিশ চাইবে অন্যদিকে ঘোরাতে। রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আমরা সন্দিহান। সেই জন্য সিবিআইয়ের হাতে দেওয়া হোক তদন্তের দায়িত্ব।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: অচেনা মহিলাকে ‘ডার্লিং’ সম্বোধন করা অপমানজনক, জানাল কলকাতা হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: অচেনা মহিলাকে ‘ডার্লিং’ সম্বোধন করা অপমানজনক, জানাল কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অচেনা মহিলাকে ‘ডার্লিং’ সম্বোধন করা অপমানজনক। তা যৌন ইঙ্গিতপূর্ণও বটে। সম্প্রতি একটি মামলায় এমনটাই পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের। ওই মামলায় ‘ডার্লিং’ শব্দ ব্যবহারীকে সাজাও শুনিয়েছে উচ্চ আদালত (Calcutta High Court)। ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩৫৪(এ) ধারা অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে অভিযুক্তকে।

    ঘটনা কী ঘটেছিল? 

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে পোর্ট ব্লেয়ারের সার্কিট বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের। এক যুবক মহিলা কনস্টেবলের উদ্দেশে এমন মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। ৯ বছর আগে ২০১৫ সালের ২১ অক্টোবর ঘটনা এটি। সূত্রের খবর, ওই মহিলা পুলিশ কর্মী ও তাঁর অন্য়ান্য সহকর্মীরা দুর্গাপুজোর আগে রাস্তায় ভিড় ও যানযট সামলাচ্ছিলেন। তখনই পুলিশ জানতে পারে যে একজন ব্যক্তি এলাকায় ঝামেলা করছে। এরপরই পুলিশ সেখানে যায়। এরপর পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তকে তুলে আনে। এদিকে জায়গাটি কিছুটা অন্ধকার থাকায় ওই ব্যক্তিকে নিয়ে কাছাকাছি একটা দোকানে নিয়ে আসা হয়েছিল। তখনই ওই ব্যক্তি এক মহিলা কনস্টেবলকে ডার্লিং বলে সম্বোধন করেন। এরপরেই পদক্ষেপ গ্রহণ করে পুলিশ। বিচারে নিম্ন আদালত যুবককে তিন মাসের কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিল। নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন যুবক। সেই মামলা ওঠে জয় সেনগুপ্তের এজলাসে।

    হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

    বিচারপতি সেনগুপ্তের পর্যবেক্ষণ, ‘‘মহিলা কনস্টেবলের প্রতি যুবকের মন্তব্যে যৌন ইঙ্গিত ছিল। যুবক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন। সেটি একটি উৎসবের রাত ছিল। যে অর্থে তিনি ‘ডার্লিং’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন, তা যে কোনও মহিলার কাছে অসম্মানের।’’ সেই সঙ্গেই বিচারপতি আরও বলে, ‘‘ওই ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। এই ধরনের মন্তব্য যদি একেবারে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে বলা হয়ে থাকে তবে এই অপরাধের গুরুত্ব অনেকটাই বেড়ে যায়।’’ তবে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত যুবকের সাজা কিছুটা কমিয়েছে। তিন মাসের পরিবর্তে তাঁকে এক মাসের কারাবাসের সাজা শুনিয়েছে উচ্চ আদালত (Calcutta High Court)। ভবিষ্যতে এমন ধরনের শব্দ ব্যবহারে অভিযুক্তকে সতর্কও থাকতে বলেছেন বিচারপতি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Ganguly: মোদির সভায় যোগদান? বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রার্থী হচ্ছেন তমলুকে?

    Justice Ganguly: মোদির সভায় যোগদান? বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রার্থী হচ্ছেন তমলুকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারপতির পদ ছাড়ছেন তিনি, আসছেন রাজনীতিতেও একথা রবিবারই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Ganguly)। কিন্তু কোন দলে যাচ্ছেন তিনি? তা জানাননি। তবে তৃণমূলে যে একেবারেই নয়, সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। শোনা যাচ্ছে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। প্রার্থী হতে পারেন তমলুক লোকসভা আসনে। চলতি সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসভায় তিনি যোগ দিতে পারেন বলেও শোনা যাচ্ছে। তবে এই জল্পনায় এখনও সিলমোহর দেয়নি গেরুয়া শিবির। এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও বিবৃতি আসেনি রাজ্য বিজেপির তরফে।

    কী বলছে গেরুয়া শিবির?

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছে, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Ganguly) ইস্তফা গৃহীত হলে তবেই তিনি প্রতিক্রিয়া দেবেন। অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “রাজনীতিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো নিষ্ঠাবান মানুষকে দরকার, সে তিনি যে দলেই যোগ দিন না কেন।” সেই সঙ্গে তাঁর মত, ‘‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিজেপিই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের স্বাভাবিক পছন্দ হওয়া উচিত।’’

    গতকাল কী বলেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়?

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় রবিবার বলেন, “আমি বিচারপতি পদ থেকে মঙ্গলবার পদত্যাগ করব। আগামিকাল (সোমবার) বিচারপতি হিসেবে আমার শেষ দিন। আমি সেদিন কোনও বিচারের কাজ করব না। কতগুলি মামলা অর্ধেক হয়ে রয়েছে, সেগুলি আমার লিস্ট থেকে রিলিজ করতে হবে। এরপর আমাদের হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে মৌখিকভাবে জানাব। মঙ্গলবার আমাদের রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখে জানিয়ে দেব। যে মুহূর্তে আমি চিঠিটা পোস্ট করব, সেই মুহূর্ত থেকে আমার রেজিগনেশন কার্যকর হবে। এটাই কনস্টিটিউশন ও কনস্টিটিউশন ল’ এর প্রবিশন। সেটা মঙ্গলবার হবে। এরপর আপনাদের সব প্রশ্নের উত্তর দেব।” গতকাল তিনি আরও বলেন, “মঙ্গলবার দেড়টার সময় কোর্টে মাস্টারদা সূর্যসেন মূর্তির নীচে আমি আসব, সব প্রশ্নের উত্তর দেব। মাথা আমি এখনও নত করিনি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • ED: ‘‘আমার নয়, টাকা ওর’’! ৫৪ কোটির মালিক কে? সম্পত্তি-জটে আটকে ‘অপা’-র মামলা

    ED: ‘‘আমার নয়, টাকা ওর’’! ৫৪ কোটির মালিক কে? সম্পত্তি-জটে আটকে ‘অপা’-র মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারই নিয়োগ-দুর্নীতিতে গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে শুনানি চলাকালীন ইডির তরফে দাবি করা হয়, ‘‘স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ৫৪ কোটি টাকার জন্য দু’জন নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে এবং দু’জনেই দাবি করছে, এটা তাঁর নয়, অপর জনের।’’ ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ৫৪ কোটি টাকা যেন ফুটবল হয়ে গিয়েছে। কখনও পার্থর কোর্টে তো কখনও অর্পিতার কোর্টে। অথচ মালিকানা কেউ নিতে চাইছে না। সূত্রের খবর, গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মামলার শুনানিতে অর্পিতা স্পষ্টভাবেই জানিয়েছেন, তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন ঠিকই, কিন্তু এই বিপুল সম্পত্তির মালিক তিনি নন। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে অর্পিতার দুটি বাড়ি থেকেই কোটি কোটি টাকা এবং সোনার গয়না উদ্ধার করে ইডি।

    দুর্নীতির কিংপিন পার্থ, দুর্নীতির রানি অর্পিতা

    আদালতে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আরও দাবি করে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতোই চলত যাবতীয় ব্যবসা। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়-সহ একাধিক ব্যক্তিকে এই পার্থ চট্টোপাধ্যায় দুর্নীতি সংগঠিত করতে ব্যবহার করেছেন বলেও দাবি ইডির (ED)। ইডির দাবি, অর্পিতা অতীতে দাবি করেছেন, যাবতীয় দুর্নীতির কিংপিন হলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই। তবে অর্পিতাও যে দুর্নীতির সঙ্গে সমানভাবে যুক্ত, সে কথাও এদিন আদালতে তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী। ইডির তরফে এদিন বলা হয়, ‘‘অর্পিতা মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই দুর্নীতির কিংপিন। আমরা বলছি, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় প্রকৃতপক্ষে এই দুর্নীতির রানি।’’

    ৬ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি

    বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের প্রশ্নের জবাবে ইডি আদালতে জানায়, পাঁচটি মামলায় ১৬৫ জন সাক্ষী রয়েছে। সেই শুনে বিচারপতি বলেন, ‘‘তাহলে অদূর ভবিষ্যতে নিম্ন আদালতে বিচারপর্ব শেষ হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।’’ তখন ইডির (ED) তরফে আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, ‘‘আমরা বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রস্তুত রয়েছি। হাইকোর্ট নির্দেশ দিলে প্রত্যেকদিন নিম্ন আদালতে শুনানি করতে প্রস্তুত।’’ আগামী ৬ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: সন্তান দত্তক নিতে চেয়েছিলেন পার্থ-অর্পিতা, তাহলে কাকা-ভাইঝি কীভাবে? আদালতে ইডি

    Recruitment Scam: সন্তান দত্তক নিতে চেয়েছিলেন পার্থ-অর্পিতা, তাহলে কাকা-ভাইঝি কীভাবে? আদালতে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারই মামলার শুনানিতে (Recruitment Scam) অর্পিতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা আদালতে অস্বীকার করেছিলেন পার্থ। তাঁর আইনজীবী আদালতে জানিয়েছিলেন, অর্পিতা রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী নয়, বরং ভাইঝির মতো! কিন্তু বৃহস্পতিবারের শুনানিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানাল, দুজনে সন্তান দত্তক নিতে চেয়েছিলেন, তাহলে কাকা-ভাইঝি কীভাবে? নিজেদের দাবির স্বপক্ষে এদিন উচ্চ আদালতের তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে বিভিন্ন যুক্তিও খাড়া করে ইডি।

    পার্থ-অর্পিতা সম্পর্ক, উচ্চ আদালতে ইডির যুক্তি

    ১. পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে বলে এদিন জানায় ইডি (Recruitment Scam)। সেই কারণেই নাকি দুজনে সন্তান দত্তক নিতেও সম্মত  হন। আদালতে এমনটাই দাবি ইডির।

    ২.  পার্থ কীভাবে অর্পিতার কাকা হয়ে গেলেন, সেটা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে বলেও জানায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইডির (Recruitment Scam) মতে, অর্পিতার ৩১ টি এলআইসি পলিসিতে পার্থর নাম উল্লেখ রয়েছে।

    ৩. ইডির আরও দাবি, বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী মারা যাওয়ার পর অর্পিতার নাম রাখা হয়েছে। এর থেকেই প্রমাণিত হয়, তাঁদের দুজনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ঠিক কতটা।

    ৪. পার্থ-অর্পিতা গোয়া ও থাইল্যান্ড ঘুরতে গিয়েছিলেন বলেও জানা যায়। ইডির দাবি, সেসময় জনৈক স্নেহময়ও তাঁদের সঙ্গে যান। স্নেহময়ের বয়ানে পার্থ-অর্পিতার সম্পর্কের কথা বলা  আছে বলে জানিয়েছে ইডি।

    ৫. কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, অপা নামে পার্থ-অর্পিতার যৌথ কোম্পানি রয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, কাকা-ভাইঝির সম্পর্কের নাম এভাবে অপা হতে পারে না।

    কী বললেন ইডির আইনজীবী?

    ইডির আইনজীবী এদিন উচ্চ আদালতে বলেন, ‘‘নিম্ন আদালতে শুনানির সময় অর্পিতা বার বার দাবি করেছেন, এই দুর্নীতির ‘কিংপিন’ (Recruitment Scam) পার্থ। এর স্বপক্ষে তিনি কিছু তথ্যও দিয়েছিলেন। তাতে বোঝা যায়, দুর্নীতিতে অর্পিতাকে ব্যবহার করেছিলেন পার্থ। অর্থাৎ দুর্নীতিতে তাঁরা দু’জনেই জড়িত। তাঁদের মধ্যে কী ধরনের সম্পর্ক ছিল, আমরা জানি না। কিন্তু তথ্য বলছে, একে অপরের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক অবশ্যই ছিল। আমরা বলছি, অর্পিতা এই দুর্নীতির রানি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: সিবিআই বা ইডি’ও গ্রেফতার করতে পারবে শাহজাহানকে, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Sandeshkhali Incident: সিবিআই বা ইডি’ও গ্রেফতার করতে পারবে শাহজাহানকে, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু রাজ্য পুলিশ নয়, সিবিআই বা ইডি যে কেউ গ্রেফতার করতে পারে শেখ শাহাজাহানকে। বুধবার এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এদিন সন্দেশখালি নিয়ে একটি মামলার (Sandeshkhali Incident) শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, সিবিআই, ইডি এবং রাজ্য পুলিশ যে কেউ শাহজাহান শেখকে গ্রেফতার করতে পারে। সন্দেশখালি নিয়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্টের নির্দেশের পরিবর্তন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। নির্দেশনামার ৮ নম্বর প্যারার পুনর্বিবেচনা চেয়েছিল রাজ্য। সেই মামলার শুনানিতেই বুধবার প্রধান বিচারপতি শাহজাহানের গ্রেফতারি নিয়ে এই মন্তব্য করেন।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali Incident) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, ‘‘স্পষ্ট ভাবে বলছি, পুলিশকে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। ইডির মামলায় সিট গঠনের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। আমরা পুলিশকে বলিনি যে, শাহজাহান গ্রেফতার করা যাবে না।’’ প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘‘আমরা ওই দিন পুলিশকে তদন্ত করতে বারণ করেছিলাম। আমরা কোথাও বলিনি যে নতুন অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রেফতার করা যাবে না। শুধু মাত্র তদন্তের ক্ষেত্রেই নির্দেশ দিয়েছিলাম। অনেকেই বলছেন হাইকোর্ট অভিযুক্তকে রক্ষা করছে। ৪২টা এফআইআর দায়ের হওয়ার পরেও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা যায়নি, তার দায় পুলিশ ঝেড়ে ফেলতে পারে না।’’

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে ‘১৭৪ ধারা’! স্থানীয় অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরতের মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়

    সওয়াল-জবাব

    এদিন শুনানি চলাকালীন রাজ্যের এজি সওয়াল করেন, ‘‘আমরা যদি শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারি তাহলে আমাদের দেখাতে হবে কোন মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হল।’’ এরপর রাজ্যেকে উদ্দেশ্য করে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘তার মানে আপনারা জানেন যে তিনি কোথায় আছে।’’ এদিন ইডি জানায় যে রাজ্য পুলিশকে তদন্তভার দেওয়া হলে তথ্য প্রমাণ বিকৃত করা হবে। রাজ্য পুলিশ শাহজাহানকে গ্রেফতার করলে তাকে লঘু ধারায় মামলা করা হবে এবং তার জামিন পাওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। সিবিআই গ্রেফতার করলে কোনও অসুবিধা নেই। এরপরই প্রধান বিচারপতির (Calcutta High Court) মন্তব্য, সিবিআই বা ইডি যদি চায় তারাও শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারে। শুনানিতে ইডির তরফে সওয়াল করেন ধীরাজ ত্রিবেদী এব‌ং এসভি রাজু। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share