Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Sandeshkhali: ৩ মার্চ দিল্লির তথ্যসন্ধানী দলকে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    Sandeshkhali: ৩ মার্চ দিল্লির তথ্যসন্ধানী দলকে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির তথ্যসন্ধানী দল বা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) যাওয়ার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, গত রবিবারই এই দলের প্রতিনিধিরা সন্দেশখালিতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখনই পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তাঁরা। গ্রেফতারও করা হয় তাঁদের। এর পরে জামিনে মুক্ত হয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন দলের প্রতিনিধিরা। পরে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) যাওয়ার অনুমতি চেয়ে তাঁরা উচ্চ আদালতে দ্বারস্থ হন। বুধবারই সেই অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ৩ মার্চ সন্দেশখালি যেতে পারবেন তাঁরা। উচ্চ আদালত জানিয়েছে, সন্দেশখালির সর্বত্র তাঁরা প্রবেশ করতে পারবেন না। যে সমস্ত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়নি, সেখানেই ঢুকতে পারবেন তাঁরা। ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে যে সমস্ত জায়গায়, সেখানে তথ্যসন্ধানী দল যেতে পারবে না।

    তথ্যসন্ধানী দলকে টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে 

    গত শনিবার বিকেলে দিল্লি থেকে কলকাতায় আসে ছয় সদস্যের ওই তথ্যসন্ধানী দল। রবিবারই সকালে তাঁরা সন্দেশখালির (Sandeshkhali) উদ্দেশে রওনা দেন। দলের নেতৃত্বে ছিলেন পাটনা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এল নরসিংহ রেড্ডি। ধামাখালি হয়ে সন্দেশখালির পাত্রপাড়া, মাঝেরপাড়া, নতুনপাড়া, নস্করপাড়ায় যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু ভোজেরহাটেই দলটিকে আটকে দেয় পুলিশ। দলের সদস্যদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় পুলিশের। এর পরেই তাঁদের টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথমে দলের সদস্যদের আটক, পরে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    রবিবারই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানায় তথ্যসন্ধানী দল

    রবিবার রাতেই রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে এ রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের (Sandeshkhali) দাবি জানায় দলটি। দলের অন্যতম সদস্য ভাবনা বজাজ এক্স হ্যান্ডলের পোস্টে জানান, তাঁরা রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করেছেন। রাজ্যপাল যাতে রাষ্ট্রপতি শাসনের কথা ঘোষণা করেন, তার জন্য অনুরোধ করেছেন তাঁরা। সেই রাতেই রাজভবন সূত্রে জানা যায়, তথ্যসন্ধানী দলের সঙ্গে সাক্ষাতের পরেই রাজ্যের ডিজি রাজীব কুমারের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: পার্থ-অর্পিতার সম্পর্ক কেমন জানতে চাইলেন বিচারপতি, কী উত্তর দিলেন আইনজীবী?

    Partha Chatterjee: পার্থ-অর্পিতার সম্পর্ক কেমন জানতে চাইলেন বিচারপতি, কী উত্তর দিলেন আইনজীবী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২২ সাল থেকেই একটা প্রশ্ন ঘুরছে। পার্থ-অর্পিতার সম্পর্ক কী? এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক মিম ছড়িয়ে পড়েছে। অবেশেষে মিলল উত্তর। অর্পিতা নাকি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ভাইঝি, আদালতে মঙ্গলবার এমনটাই জানালেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আইনজীবী। ভাইঝি অর্পিতার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এমনটাই দাবি আইনজীবীর।

    পার্থ-অর্পিতার সম্পর্ক জানতে চান বিচারপতি

    মঙ্গলবারই পার্থর জামিনের মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে। এদিন নিজের এজলাসে বসে পার্থ-অর্পিতার সম্পর্ক জানতে চান বিচারপতি। তখনই তাঁদের কাকা-ভাইঝি বলে উল্লেখ করেন পার্থর আইনজীবী। শুনানি চলাকালীন পার্থর (Partha Chatterjee) আইনজীবী আদালতে জানান, এমনটা নয় যে অর্পিতাকে চিনতেন না তাঁর মক্কেল। ব্যবসায়িক সূত্রেই তাঁদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। কিন্তু এর বাইরে অর্পিতা কী করেন, তা তাঁর মক্কেলের জানা ছিল না। নিজের যুক্তির স্বপক্ষে পার্থর আইনজীবী আদালতে আরও দাবি করেন, অর্পিতার বাড়ি থেকে তদন্তকারীরা বিমা সংক্রান্ত যে নথি উদ্ধার করেছেন, সেখানেও ‘নমিনি’ হিসেবে পার্থর পরিচয় রয়েছে ‘কাকু’!

    নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন পার্থ-অর্পিতা

    শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ২০২২ সালের ২২ জুলাই দক্ষিণ কলকাতার নাকতলায় পার্থর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। দীর্ঘ তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় একদা তৃণমূলের মহাসচিবকে। সেসময় পার্থর (Partha Chatterjee) ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত অর্পিতার টালিগঞ্জ ও বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। গ্রেফতার করা হয় অর্পিতাকেও। রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি নগদ টাকা উদ্ধারের ঘটনা শোরগোল ফেলে দিয়েছিল গোটা রাজ্যে। পার্থ এবং অর্পিতার সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। তবে পার্থর আইনজীবী বুধবার আদালতে জানালেন, ব্যবসায়িক সম্পর্কই ছিল দু’জনের মধ্যে।

    আরও পড়ুুন: লোকসভা ভোটের আগেই লাগু সিএএ আইন! নোটিশ জারি কবে জানেন?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ‘‘হয় শাহজাহানকে ধরুন, নয়তো ৭২ ঘণ্টায় রিপোর্ট জমা দিন’’, রাজ্যকে ডেডলাইন বোসের

    Sandeshkhali: ‘‘হয় শাহজাহানকে ধরুন, নয়তো ৭২ ঘণ্টায় রিপোর্ট জমা দিন’’, রাজ্যকে ডেডলাইন বোসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাহজাহানের গ্রেফতারি ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে ফের কড়া বার্তা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবারই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, শাহজাহান শেখের গ্রেফতারিতে কোনও বাধা নেই রাজ্য পুলিশের। ঠিক এই আবহে রাজ্যপাল বোসের কড়া বার্তা মমতা সরকারের উদ্দেশে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার (Sandeshkhali) করুক রাজ্য। আর যদি না পারে, তাহলে কেন গ্রেফতার করা গেল না সেই বিষয়ে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কারণ জানাতে হবে রাজ্যকে। সোমবার সন্ধ্যায় একেবারে ডেডলাইন বেঁধে দিলেন রাজ্যপাল।

    কালপ্রিটকে অবশ্যই গ্রেফতার করতে হবে….

    উল্লেখ্য, সোমবার প্রধান বিচারপতি শাহজাহানের গ্রেফতারি (Sandeshkhali) নিয়ে বলেন, ‘‘শেখ শাহজাহানকে এই মামলায় যুক্ত করা হোক। কিন্তু কীভাবে করা হবে? তিনি তো পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। পুলিশ তো তাঁকে ধরতে পারছে না।’’ এর ঠিক পরেই সরব হতে দেখা যায় রাজ্যপালকে। রাজ্যপাল বলেছিলেন, ‘‘কালপ্রিটকে অবশ্যই গ্রেফতার করতে হবে। গ্রেফতার না করার জন্য কোনও অজুহাত আর থাকতে পারে না। তিনি (শাহজাহান) গ্রেফতার হবেন, তাঁকে অবশ্যই গ্রেফতার করতে হবে।’’ এবার রাজভবন থেকে রাজ্যের উদ্দেশে কড়া বার্তা সামনে এল।

    খুনের মামলায় চার্জশিট থেকে নাম বাদ শাহজাহানের

    হাইকোর্টের নির্দেশের পরপরই তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ভবিষ্যদ্বাণী করেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে গ্রেফতার হবেন শেখ শাহজাহান। এখানেই সন্দেহ দানা বাঁধছে। প্রশ্ন উঠছে তবে কি তৃণমূলই কোথাও লুকিয়ে রেখেছে শাহজাহানকে। শাহজাহান ইস্যুতে রাজ্য পুলিশের ভূমিকায় সন্দেশ প্রকাশ করতে আগেই দেখা গিয়েছে উচ্চ আদালতকে। এখন দেখার প্রায় দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ শাহজাহানকে (Sandeshkhali) পুলিশ ধরতে পারে কিনা! অন্যদিকে, শাহজাহানের বিরুদ্ধে একাধিক পুরনো মামলাতে পুলিশ কোনও ব্য়বস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। ২০১৯ সালে তিন বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগ ওঠে শাহজাহানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বিজেপির অভিযোগপত্রে নাম থাকা শেখ শাহজাহানের নাম নেই চার্জশিটে। এখানেই পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন ওঠে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ‘‘আমরা পুলিশকে বলিনি যে, গ্রেফতার করা যাবে না’’, শাহজাহান ইস্যুতে জানাল হাইকোর্ট

    Sandeshkhali: ‘‘আমরা পুলিশকে বলিনি যে, গ্রেফতার করা যাবে না’’, শাহজাহান ইস্যুতে জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারবে রাজ্য পুলিশ। কোনও স্থগিতাদেশ তাতে দেওয়া হয়নি। সোমবারই এ কথা জানালেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। প্রধান বিচারপতির এদিনের মন্তব্য এটাও সামনে আনল যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারি সম্পর্কে এতদিন যা বলেছিলেন, তা একেবারেই মিথ্যা। প্রধান বিচারপতির নিজের ভাষায়, ‘‘স্পষ্টভাবে বলছি, পুলিশকে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। ইডির মামলায় সিট গঠনের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। আমরা পুলিশকে বলিনি যে, গ্রেফতার করা যাবে না।’’

    নোটিশ জারি হবে শাহজাহানের নামে

    সোমবারই প্রধান বিচারপতি শাহজাহানকে মামলায় যুক্ত করে নোটিশ জারি করার নির্দেশ দিয়েছেন। হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে এবিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই নির্দেশ (Sandeshkhali) অনুযায়ী, সর্বাধিক প্রচারিত বাংলা এবং ইংরেজি সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে নোটিশ জারি করতে হবে। পাশাপাশি ইডি, সিবিআই এবং রাজ্য পুলিশকেও মামলায় যুক্ত করতে বলা হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৪ মার্চ।

    মিথ্যা প্রমাণিত অভিষেকের দাবি

    গত বুধবারই তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এক সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছিলেন, শাহজাহানের (Sandeshkhali) গ্রেফতারির ক্ষেত্রে অন্তরায় আদালত। কোর্টই পুলিশের হাত-পা বেঁধে দিয়েছে। অভিষেক বলেন, ‘‘শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে রাজ্য সরকার। ইডি তাঁকে ধরতে পারেনি। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গিয়ে রাজ্য পুলিশের ওই এফআইআরের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ পেয়েছে। ফলে পুলিশের হাত-পা বেঁধে দিয়েছে আদালতই।’’ অভিষেকের এই দাবি যে সম্পূর্ণ মিথ্যা, তারই প্রতিফলন ধরা পড়ল আদালতের এদিনের নির্দেশে।

    আইনি সহায়তা কেন্দ্রে অভিযোগ জানাতে পারবেন নির্যাতিতারা

    প্রসঙ্গত, সোমবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে সন্দেশখালির একাধিক মামলা ওঠে। শুনানিতে বিজেপির আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিব্রেওয়াল অভিযোগ জানিয়েছেন, পুলিশ সন্দেশখালির নির্যাতিতা মহিলাদের অভিযোগ (Sandeshkhali) শুনছে না। উল্টে অভিযুক্তদের আড়াল করছ। এভাবে চলতে থাকলে নির্যাতিতারা কোনও দিনই বিচার পাবেন না। এর প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট জানিয়েছে, নির্যাতিতা যদি চান জেলার আইনি সহায়তা কেন্দ্রে অভিযোগ জানাতে পারেন। সেক্ষেত্রে আইনি সহায়তা কেন্দ্রে যাঁরা অভিযোগ জানাবেন, তাঁদের পরিচয় গোপন রাখা হবে। পরের শুনানিতে সেই সব অভিযোগের রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে।

     

    আরও পড়ুন: ৩৭০ ধারা বিলোপের কারণে জম্মু-কাশ্মীরে ৩০ বছর পরে পালিত হয়েছিল জন্মাষ্টমী, জানালেন অমিত শাহ

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “গুন্ডারা জেলে যাবে, মমতার দিন শেষ”, সন্দেশখালিতে গিয়ে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “গুন্ডারা জেলে যাবে, মমতার দিন শেষ”, সন্দেশখালিতে গিয়ে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিভিশন বেঞ্চের অনুমতির পরেই সন্দেশখালিতে পৌঁছালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে পেয়ে নির্যাতিত মানুষ যেন বটবৃক্ষের আশ্রয় পেলেন। উলুধ্বনি, পুষ্পবর্ষণ করে স্বাগত জানালেন এলাকার মানুষ। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরা, উত্তমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তাঁরা। একে একে শুভেন্দু শুনলেন সব অত্যাচার, নির্যাতনের কথা। সেই সঙ্গে নিপীড়িত মানুষকে আশ্বাস দিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আপনারা পাশে থাকুন। সন্দেশখালির সব কিছুর পরিবর্তন হবে।”

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    সন্দেশখলিতে পা রেখে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “সংবিধানের জয়, গণতন্ত্রের জয়, সন্দেশখালির মা-বোনের জয়। গুন্ডারা জেলে যাবে। মমতার দিন শেষ, ফিনিশ। পরিবর্তনের ভরকেন্দ্র হচ্ছে আজকের সন্দেশখালি। তৃণমূলের পিঠে শেষ পেরেক পুঁতে দিয়েছে এই জনজাগরণ। নন্দীগ্রামে আমরা ভয় পাইনি, আপনারাও ভয় পাবেননা। এলাকার মানুষ শান্তি চায়। শেখ শাহজাহানের ফাঁসি চায় মানুষ। ওর পালানোর উপায় নাই।” শেখ শাহজাহান সম্পর্কে এলাকার মানুষ বলেন, “আমরা জীবন দেব, কিন্তু আন্দোলন থামাব না।” স্থানীয় এক মহিলা বলেন, “আমার ৭ বিঘা জমি কেড়ে নিয়ে গেস্ট হাউস বানিয়েছে ওরা। আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত নিয়ে টানাটানি করেছে তৃণমূলের নেতারা। মমতা ক্ষমতায় আসার পর থেকে আমরা কোনও ভোট দিতে পারিনি এলাকায়।”

    হাইকোর্টের বক্তব্য

    এদিকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) যাওয়ার আগেই এলাকার ১২টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ। তবে হাইকোর্টের নির্দেশে অবশেষ উঠল ১৪৪ ধারা। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশিন বেঞ্চের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্য নির্দেশ দিয়ে বলেন, “রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ সন্দেশখালিতে যেতে পারবেন। তবে এলাকায় যাতে কোনও রকম শান্তিভঙ্গ না হয়, নজর রাখতে হবে। সবটাই দেখার দায়িত্ব পুলিশের।” অপর দিকে রাজ্যের পুলিশ শেখ শাহজাহানকে রক্ষা করছে বলে হাইকোর্টের বিচারপতি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। প্রধান বিচারপতি এই তৃণমূল নেতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “এমন ব্যক্তিকে রক্ষা করা হচ্ছে কি না জানি না, তবে মনে হয় রাজ্য পুলিশ তাঁকে রক্ষা করছে। তাঁকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ জারি করব। আশা করি পুলিশ আদালতকে সাহায্য করবে।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ২ সংস্থায় ‘ভুয়ো’ ডিরেক্টর নিয়োগের অভিযোগ, বড় নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Calcutta High Court: ২ সংস্থায় ‘ভুয়ো’ ডিরেক্টর নিয়োগের অভিযোগ, বড় নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারদা চিটফান্ড কায়দায় ‘ভুয়ো’ ডিরেক্টর নিয়োগের অভিযোগ। এই সংক্রান্ত মামলায় বড় নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court)। জানা গিয়েছে, বিচারপতির নির্দেশ মতো আজই পাঁচজন ডিরেক্টরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ইডি। পাঁচ ডিরেক্টরকে হাইকোর্টেরই শেরিফের অফিসে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। ইডির পাশাপাশি, সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিসের (এসএফআইও) আধিকারিকদেরও এই ঘটনার তদন্ত করতে বলেছেন বিচারপতি। 

    কেন এই  মামলা

    ডেল্টা লিমিটেড এবং ওলিসা রিয়্যালিটি প্রাইভেট লিমিটেড-এই দুই সংস্থার ৫ ডিরেক্টরকে আদালতে (Calcutta High Court) হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কারণ ওই দুই সংস্থার কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মী আদালতের দ্বারস্থ হন টাকা পাচ্ছেন না, এই অভিযোগে। পর্যবেক্ষণে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কিছুই জানেন না এঁরা। সংস্থার আয়-ব্যয় বা কার্যপ্রণালী নিয়েও বিচারপতির কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি তাঁরা। এঁরা সবাই জুট মিলের সুপারভাইজার থেকে ডিরেক্টর হয়েছেন। এমনকি কে এঁদের ডিরেক্টর হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন সেটাও জানেন না।’’

    এঁদের পিছনে বড় মাথা রয়েছেন

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court) আরও বলেন, ‘‘এঁদের সাজিয়ে রেখে কেউ পিছন থেকে কাজ করছে। এঁদের বলির পাঁঠা করা হচ্ছে। এঁরা চাইলে পদত্যাগ করতে পারেন। এখন এঁদের গ্রেফতার করার কোনও প্রয়োজন নেই। এঁদের সম্মানহানি যেন না হয়।’’ লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে জানান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘‘দুই সংস্থার পাঁচ ডিরেক্টরকে এখন থেকে হাইকোর্টের শেরিফের অফিসেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। সেখানে কোনও আইনজীবী প্রবেশ করতে পারবেন না। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ মোবাইল ফোন ফেরত পাবেন না। প্রাথমিক ভাবে কী পাওয়া গেল, আমাকে জানাতে হবে। এর নেপথ্যে পাট শিল্পের বড় বড় মাথা রয়েছেন। তাঁরা আমার বদলিও করতে পারেন। লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি হচ্ছে। এ সব আমি বরদাস্ত করব না।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: তৃণমূলের দুর্নীতি বোঝাতে হাইকোর্টে ইডি’র আইনজীবীর মুখে সোনার কেল্লা, ফেলুদা প্রসঙ্গ

    Abhishek Banerjee: তৃণমূলের দুর্নীতি বোঝাতে হাইকোর্টে ইডি’র আইনজীবীর মুখে সোনার কেল্লা, ফেলুদা প্রসঙ্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কোম্পানি লিপ্‌স অ্যান্ড বাউন্ডসের আরও সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টে একই কথা জানাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। অপর দিকে প্রাথমিকে শিক্ষক-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির তদন্তের গতি নিয়ে প্রশ্ন করলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তদন্তের প্রক্রিয়ায় একদম সন্তুষ্ট নন তিনি। ফলে চাপ বাড়ল ইডি’র। মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ মার্চ।

    হাইকোর্টে ইডির বক্তব্য (Abhishek Banerjee)

    আজ হাইকোর্টে ইডির আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী তৃণমূল সাংসদ অভিষেকের (Abhishek Banerjee) সম্পত্তি সম্পর্কে জানিয়ে বলেন, “আরও কিছু সম্পত্তি চিহ্নিত করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে অপরাধও নিশ্চিত করার কাজ চলছে। এক অভিযুক্তের কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার জন্য দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে। তা এলেই তদন্তের আরও অগ্রগতি ঘটবে।”

    কী বললেন বিচারপতি?

    বিচারপতি অমৃতা সিনহা এদিন প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার (Abhishek Banerjee) দুর্নীতির বিষয়ে তদন্তকারী অফিসারদের উদ্দেশ্য করে বলেন, “এভাবে সময় চলে গেলে প্রত্যেকে তদন্তের বাইরে চলে যাবে। তখন আর কিছু পাবেন না। এত দিনের সব পদক্ষেপ কাজে লাগবে না। আর কত দিন লাগবে?” উত্তরে আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী বলেন, “প্রত্যেক পদক্ষেপে আমরা মামলায় জড়িয়ে পড়ছি। যে কোনও নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে।” আবার বিচারপতি বলেন, “আপনারা কি মনে করছেন খুব সহজ? অপারাধ যত সামনে আসবে, এই ধরনের মামলার চাপ আরও বাড়বে।” আবার উত্তরে আইনজীবী বলেন, “আমরা সিঙ্গল বেঞ্চ থেকে সুপ্রিম কোর্টে লড়াই করছি। আমাদের নখ, দাঁত বের করে লড়াই করছি। পরবর্তী শুনানির দিন আমরা বিস্তারিত রিপোর্ট দেব।”

    সিবিআই-এর মুখে ‘সোনার কেল্লা’

    তৃণমূল নেতাদের (Abhishek Banerjee) দুর্নীতি নিয়ে সত্যজিৎ রায়ের সোনার কেল্লার উদাহরণ টেনে আইনজীবী বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে বলেন, “এখানে আমার সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত সোনার কেল্লার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। সেখানেও গোয়েন্দারা যখন সোনার কেল্লায় যাচ্ছেন, তখন তাঁদের কাঁটা বিছানো পথ পেরিয়ে যেতে হয়েছিল। তাঁরা (ফেলুদা) সত্য অনুসন্ধান করতে পেরেছিলেন। এখানে দুর্নীতির মামলায় আমরাও আশাবাদী।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CAG Report: মমতা সরকারের ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটির দুর্নীতি! ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি বিজেপির

    CAG Report: মমতা সরকারের ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটির দুর্নীতি! ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্যাগ রিপোর্টে (CAG Report) ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে মমতার সরকারের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে গত বছর হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল। এবার দ্রুত শুনানি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে বিজেপির তরফে। আগামী ১৯ তারিখের পর শুনানির আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে আজ বিধানসভায় ওই একই ইস্যুতে আলোচনা চেয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।

    জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে (CAG Report)

    ক্যাগ বা সিএজির রিপোর্টে (CAG Report) রাজ্যে হিসেবের গোলমাল মিলেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। কেন্দ্র থেকে পাওয়া টাকার হিসেবের কোনও শংসাপত্র দেওয়া হয়নি। রাজ্যের পুর, নগরোন্নয়ন, শিক্ষা এবং পঞ্চায়েত দফতরের হিসেবে ব্যাপক গরমিল পাওয়া গিয়েছে। উল্লেখ্য, হাইকোর্টে সিবিআই তদন্ত চেয়ে জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছে। সিএজি রিপোর্ট মামলায় এবার দ্রুত শুনানির আবেদন করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। 

    বিজেপি রাজ্য সভাপতির দাবি

    বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “রাজ্যের হিসেব নিয়ে কেন্দ্র যে সিএজি বা ক্যাগ রিপোর্ট পাঠিয়েছে, সেখানে অনিয়ম রয়েছে।” এবার একে সামনে রেখেই আজ বিধানসভায় বিজেপি বিধায়করা ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান। একই ভাবে সরকারের সমালোচনা করেন রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    শুভেন্দুর বক্তব্য

    বিধানসভায় বিজেপির আনা আলোচনার প্রস্তাবকে স্পিকার বাতিল করলে শুভেন্দু বলেন, “ক্যাগের রিপোর্টে সর্বত্র দুর্নীতির কথা বলা হয়েছে। কয়েকশো ভুয়ো অ্যাকাউণ্টের তথ্য মিলেছে। ভয়ঙ্কর সব তথ্যের উল্লেখ করা হয়েছে। সরকারের ক্যাগ-আতঙ্ক শুরু হয়েছে। এই রিপোর্টের কথা শুনেই তৃণমূল লাফাচ্ছে।” 

    তৃণমূলের বক্তব্য

    রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা পালটা বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেছেন, “শুভেন্দু গতকাল দিল্লিতে গিয়ে ধমকানি চমকানি দিয়েছেন। বিভিন্ন নেতা এবং দফতরে গিয়ে দেখা করেছেন। কী আলোচনা হয়েছে বলছেন না। আগামী দিনে ইডি, সিবিআইকে পরিচালনা করা হবে। মমতা ২১ লাখ মানুষকে ১০০ দিনের কাজের সুযোগ করে দিয়েছেন। তাই বিজেপি বদলার রাজনীতি করেছে।”

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: কীভাবে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া হত, হাইকোর্টে হলফনামায় জানাল সিবিআই

    Recruitment Scam: কীভাবে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া হত, হাইকোর্টে হলফনামায় জানাল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে নিজেদের হলফনামায় বড়সড় দাবি করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মতে, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হওয়া হার্ডডিক্সের তথ্য অবিকৃত এবং তা আসল। প্রসঙ্গত সোমবারই নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে সিবিআই-এর হলফনামা এদিন জমা দেন কেন্দ্রের ডেপুটি সলিসিটার জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য।

    দুর্নীতির ব্যাখ্যা রয়েছে

    জানা গিয়েছে, ওই হলফনামাতে ব্যাখা (Recruitment Scam)  করা হয়েছে হার্ডডিক্সে কী তথ্য রয়েছে এবং সেই তথ্য যে আসল তাও ব্যাখ্যা করা হয়েছে সেখানে। এর পাশাপাশি কীভাবে উত্তরপত্র স্ক্যান করার পরে সেই তথ্য বিকৃত করে বেশ কিছু পরীক্ষার্থীর নম্বর বাড়ানো হতো তারও ব্যাখ্যাও রয়েছে। জানা গিয়েছে, উত্তরপত্র স্ক্যান এবং সফল পরীক্ষার্থীদের তালিকা তৈরি দায়িত্বে থাকা সংস্থা নাইসার একাধিক কর্মী এই দুর্নীতিতে যুক্ত হয়েছিলেন। সেই ব্যাখা ওই রিপোর্টে দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের একই রকম দুর্নীতির ব্যাখা ওখানে দেওয়া হয়েছে।

    কীভাবে চলত দুর্নীতি

    শুনানিতে এদিন আদালত এও জানিয়েছে, সিবিআই উত্তরপত্র সংক্রান্ত যে তথ্য পেয়েছে তা পরীক্ষার্থীরা দেখতে পাবেন বিকাল চারটার মধ্যে। এ বিষয়ে সিবিআই-এর কাছে আবেদন করতে হবে। জানা গিয়েছে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি। কী ভাবে চলত দুর্নীতি (Recruitment Scam) , তাও জানা গিয়েছে। নাইসার আধিকারিকদের কাছে তালিকা চলে যেত কোন কোন প্রার্থীর ওএমআর শিট এর নম্বর বাড়াতে হবে এব সেই মতো চলত দুর্নীতির কাজ। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ২০২২ সালের জুলাই মাসে ইডির হাতে গ্রেফতার হন তৎকালীন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। সেই শুরু, তারপর শাসক দলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক গিয়েছেন গারদের পিছনে। বিগত ২ বছর ধরে তদন্ত করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দুর্নীতির জাল অনেকটাই গুটিয়ে আনতে পেরেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: নরেন্দ্রপুর স্কুলকাণ্ডে প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ড করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ

    South 24 Parganas: নরেন্দ্রপুর স্কুলকাণ্ডে প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ড করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) নরেন্দ্রপুর বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরে হামলার ঘটনায় প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। অবিলম্বে ঘটনায় অভিযুক্ত সকলকে গ্রেফতার করার আদেশও দিয়েছে কোর্ট। এবার তাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমদকে সাসপেন্ড করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। অপর দিকে তদন্তের কিছু অগ্রগতি না হওয়া পর্যন্ত নরেন্দ্রপুর পুলিশ ইনস্পেক্টরকে এই থানায় রেখে দেওয়ার নির্দেশ নিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

    এফআইআর-এ নাম রয়েছে প্রধান শিক্ষকের

    গত শনিবার ২৭ জানুয়ারি নরেন্দ্রপুরের (South 24 Parganas) বলরামপুর হাইস্কুলে একদল বহিরাগত আক্রমণ চালিয়েছিল। নিগৃহীত হন স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকা। একই ভাবে কয়েকজন শিক্ষিকাকে শারীরিক ভাবে সম্ভ্রমহানিও করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে এফআইআর-এ রয়েছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক, স্থানীয় বনহুগলি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য এবং স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির দুই আরও সদস্যের নাম। এই চারজনকে অবিলম্বে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

    আরেক শিক্ষককে করা হল স্কুলের সুপারভাইজার

    সামনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা। এই অবস্থায় স্কুল (South 24 Parganas) চলবে কী করে? স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে স্কুলের পরিচালনা কে করবেন? কোর্টের নির্দেশে স্কুলের আরেক শিক্ষক শিবনাথ চাটুইকে সুপারভাইজার করা হয়েছে। তবে স্কুলের হামলার ঘটনায় সকল অভিযুক্তকে এখনও পর্যন্ত পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। প্রধান শিক্ষক নিজেও নিখোঁজ। তাই তাঁর ভাই ওই স্কুলের পার্শ্বশিক্ষকের হাতেই স্কুলের চাবি পাঠিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    এসপি হাজিরা দিয়ে কী বলেছিলেন?

    হাইকোর্টের ভার্চুয়াল হাজিরাতে বারুইপুর (South 24 Parganas) পুলিশের এসপি পলাশচন্দ্র ঢালি জানিয়েছেন, “এফআইআরে নাম থাকা দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” কিন্তু বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানিয়েছেন, “মাধ্যমিক শুরু হওয়ার আগে গ্রেফতার করুন। পঞ্চায়েত সদস্য এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিকে ছেড়ে রাখা যাবে না। পরীক্ষার সময় গোলমাল হতে পারে।”

    উল্লেখ্য স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে হামলার ঘটনা ঘটেছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু স্কুলের আক্রান্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা একথা অস্বীকার করে বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কথা ফাঁস হওয়ায় পরিকল্পনা করে স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে আক্রমণ করা হয়েছে স্কুলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share