Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • CAG Report: মমতা সরকারের ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটির দুর্নীতি! ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি বিজেপির

    CAG Report: মমতা সরকারের ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটির দুর্নীতি! ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্যাগ রিপোর্টে (CAG Report) ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে মমতার সরকারের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে গত বছর হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল। এবার দ্রুত শুনানি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে বিজেপির তরফে। আগামী ১৯ তারিখের পর শুনানির আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে আজ বিধানসভায় ওই একই ইস্যুতে আলোচনা চেয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।

    জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে (CAG Report)

    ক্যাগ বা সিএজির রিপোর্টে (CAG Report) রাজ্যে হিসেবের গোলমাল মিলেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। কেন্দ্র থেকে পাওয়া টাকার হিসেবের কোনও শংসাপত্র দেওয়া হয়নি। রাজ্যের পুর, নগরোন্নয়ন, শিক্ষা এবং পঞ্চায়েত দফতরের হিসেবে ব্যাপক গরমিল পাওয়া গিয়েছে। উল্লেখ্য, হাইকোর্টে সিবিআই তদন্ত চেয়ে জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছে। সিএজি রিপোর্ট মামলায় এবার দ্রুত শুনানির আবেদন করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। 

    বিজেপি রাজ্য সভাপতির দাবি

    বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “রাজ্যের হিসেব নিয়ে কেন্দ্র যে সিএজি বা ক্যাগ রিপোর্ট পাঠিয়েছে, সেখানে অনিয়ম রয়েছে।” এবার একে সামনে রেখেই আজ বিধানসভায় বিজেপি বিধায়করা ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান। একই ভাবে সরকারের সমালোচনা করেন রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    শুভেন্দুর বক্তব্য

    বিধানসভায় বিজেপির আনা আলোচনার প্রস্তাবকে স্পিকার বাতিল করলে শুভেন্দু বলেন, “ক্যাগের রিপোর্টে সর্বত্র দুর্নীতির কথা বলা হয়েছে। কয়েকশো ভুয়ো অ্যাকাউণ্টের তথ্য মিলেছে। ভয়ঙ্কর সব তথ্যের উল্লেখ করা হয়েছে। সরকারের ক্যাগ-আতঙ্ক শুরু হয়েছে। এই রিপোর্টের কথা শুনেই তৃণমূল লাফাচ্ছে।” 

    তৃণমূলের বক্তব্য

    রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা পালটা বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেছেন, “শুভেন্দু গতকাল দিল্লিতে গিয়ে ধমকানি চমকানি দিয়েছেন। বিভিন্ন নেতা এবং দফতরে গিয়ে দেখা করেছেন। কী আলোচনা হয়েছে বলছেন না। আগামী দিনে ইডি, সিবিআইকে পরিচালনা করা হবে। মমতা ২১ লাখ মানুষকে ১০০ দিনের কাজের সুযোগ করে দিয়েছেন। তাই বিজেপি বদলার রাজনীতি করেছে।”

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: কীভাবে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া হত, হাইকোর্টে হলফনামায় জানাল সিবিআই

    Recruitment Scam: কীভাবে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া হত, হাইকোর্টে হলফনামায় জানাল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে নিজেদের হলফনামায় বড়সড় দাবি করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মতে, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হওয়া হার্ডডিক্সের তথ্য অবিকৃত এবং তা আসল। প্রসঙ্গত সোমবারই নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে সিবিআই-এর হলফনামা এদিন জমা দেন কেন্দ্রের ডেপুটি সলিসিটার জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য।

    দুর্নীতির ব্যাখ্যা রয়েছে

    জানা গিয়েছে, ওই হলফনামাতে ব্যাখা (Recruitment Scam)  করা হয়েছে হার্ডডিক্সে কী তথ্য রয়েছে এবং সেই তথ্য যে আসল তাও ব্যাখ্যা করা হয়েছে সেখানে। এর পাশাপাশি কীভাবে উত্তরপত্র স্ক্যান করার পরে সেই তথ্য বিকৃত করে বেশ কিছু পরীক্ষার্থীর নম্বর বাড়ানো হতো তারও ব্যাখ্যাও রয়েছে। জানা গিয়েছে, উত্তরপত্র স্ক্যান এবং সফল পরীক্ষার্থীদের তালিকা তৈরি দায়িত্বে থাকা সংস্থা নাইসার একাধিক কর্মী এই দুর্নীতিতে যুক্ত হয়েছিলেন। সেই ব্যাখা ওই রিপোর্টে দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের একই রকম দুর্নীতির ব্যাখা ওখানে দেওয়া হয়েছে।

    কীভাবে চলত দুর্নীতি

    শুনানিতে এদিন আদালত এও জানিয়েছে, সিবিআই উত্তরপত্র সংক্রান্ত যে তথ্য পেয়েছে তা পরীক্ষার্থীরা দেখতে পাবেন বিকাল চারটার মধ্যে। এ বিষয়ে সিবিআই-এর কাছে আবেদন করতে হবে। জানা গিয়েছে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি। কী ভাবে চলত দুর্নীতি (Recruitment Scam) , তাও জানা গিয়েছে। নাইসার আধিকারিকদের কাছে তালিকা চলে যেত কোন কোন প্রার্থীর ওএমআর শিট এর নম্বর বাড়াতে হবে এব সেই মতো চলত দুর্নীতির কাজ। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ২০২২ সালের জুলাই মাসে ইডির হাতে গ্রেফতার হন তৎকালীন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। সেই শুরু, তারপর শাসক দলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক গিয়েছেন গারদের পিছনে। বিগত ২ বছর ধরে তদন্ত করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দুর্নীতির জাল অনেকটাই গুটিয়ে আনতে পেরেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: নরেন্দ্রপুর স্কুলকাণ্ডে প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ড করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ

    South 24 Parganas: নরেন্দ্রপুর স্কুলকাণ্ডে প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ড করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) নরেন্দ্রপুর বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরে হামলার ঘটনায় প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। অবিলম্বে ঘটনায় অভিযুক্ত সকলকে গ্রেফতার করার আদেশও দিয়েছে কোর্ট। এবার তাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমদকে সাসপেন্ড করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। অপর দিকে তদন্তের কিছু অগ্রগতি না হওয়া পর্যন্ত নরেন্দ্রপুর পুলিশ ইনস্পেক্টরকে এই থানায় রেখে দেওয়ার নির্দেশ নিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

    এফআইআর-এ নাম রয়েছে প্রধান শিক্ষকের

    গত শনিবার ২৭ জানুয়ারি নরেন্দ্রপুরের (South 24 Parganas) বলরামপুর হাইস্কুলে একদল বহিরাগত আক্রমণ চালিয়েছিল। নিগৃহীত হন স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকা। একই ভাবে কয়েকজন শিক্ষিকাকে শারীরিক ভাবে সম্ভ্রমহানিও করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে এফআইআর-এ রয়েছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক, স্থানীয় বনহুগলি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য এবং স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির দুই আরও সদস্যের নাম। এই চারজনকে অবিলম্বে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

    আরেক শিক্ষককে করা হল স্কুলের সুপারভাইজার

    সামনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা। এই অবস্থায় স্কুল (South 24 Parganas) চলবে কী করে? স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে স্কুলের পরিচালনা কে করবেন? কোর্টের নির্দেশে স্কুলের আরেক শিক্ষক শিবনাথ চাটুইকে সুপারভাইজার করা হয়েছে। তবে স্কুলের হামলার ঘটনায় সকল অভিযুক্তকে এখনও পর্যন্ত পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। প্রধান শিক্ষক নিজেও নিখোঁজ। তাই তাঁর ভাই ওই স্কুলের পার্শ্বশিক্ষকের হাতেই স্কুলের চাবি পাঠিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    এসপি হাজিরা দিয়ে কী বলেছিলেন?

    হাইকোর্টের ভার্চুয়াল হাজিরাতে বারুইপুর (South 24 Parganas) পুলিশের এসপি পলাশচন্দ্র ঢালি জানিয়েছেন, “এফআইআরে নাম থাকা দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” কিন্তু বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানিয়েছেন, “মাধ্যমিক শুরু হওয়ার আগে গ্রেফতার করুন। পঞ্চায়েত সদস্য এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিকে ছেড়ে রাখা যাবে না। পরীক্ষার সময় গোলমাল হতে পারে।”

    উল্লেখ্য স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে হামলার ঘটনা ঘটেছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু স্কুলের আক্রান্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা একথা অস্বীকার করে বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কথা ফাঁস হওয়ায় পরিকল্পনা করে স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে আক্রমণ করা হয়েছে স্কুলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ‘নিখোঁজ’, ‘বেপাত্তা’ শাহজাহানের আগাম জামিনের আবেদন এবার বারাসত আদালতে!

    Sandeshkhali: ‘নিখোঁজ’, ‘বেপাত্তা’ শাহজাহানের আগাম জামিনের আবেদন এবার বারাসত আদালতে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি নাকি নিখোঁজ। তিনি নাকি বেপাত্তা। ঘটনার পর প্রায় ২৬ দিন অতিক্রান্ত। তবুও পুলিশ নাকি তাঁর হদিশ পায়নি। হাইকোর্ট থেকে শুরু করে রাজ্যপাল, তাঁর এই অন্তরালে থাকা নিয়ে বারবার নানা মন্তব্য শোনা গিয়েছে। এমনকী ক’দিন আগে আগাম জামিনের আবেদন নিয়ে তিনি যখন ইডি’র দ্বারস্থ হন, তখনই প্রশ্ন উঠেছিল, আবেদনপত্রে তিনি সই করলেন কীভাবে। সন্দেশখালি (Sandeshkhali) এই তৃণমূল নেতা শাহজাহানের অন্তর্ধান-রহস্য যখন ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে, তখন আরও একবার তাঁর নাম ভেসে উঠল। এবার তাঁর জন্য আগাম জামিনের আর্জি জমা পড়ল বারাসত আদালতে।

    কী জানালেন সরকারি আইনজীবী?

    উত্তর ২৪ পরগনা জেলা আদালতের মুখ্য সরকারি আইনজীবী শান্তময় বসু জানান, গতকাল শাহজাহান তাঁর আইনজীবী মারফত আগাম জামিনের একটি আবেদন করেন। সেই আবেদন গৃহীত হয়েছে। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি জামিনের মামলার শুনানি। তিনি আরও জানান, ন্যাজাট পিএস কেস নাম্বার ৯/২৪ মামলার ভিত্তিতে এই আবেদন করা হয়েছে। জামিনের আবেদনে শাহজাহান সেখানে উপস্থিত ছিল না, এমনটাই দাবি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে থানার কাছে মামলা (Sandeshkhali) সংক্রান্ত নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে সরকারি আইনজীবীর পক্ষে।

    বাড়িতে অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত ইডি (Sandeshkhali) 

    উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি শাহজাহানের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিলেন ইডি’র আধিকারিকরা। তাঁকে সেদিন বাড়িতে পাওয়া যায়নি। কিন্তু ওই দিনই শাহজাহান ঘনিষ্ঠদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা। ইডি’র অফিসার এবং নিরাপত্তা আধিকারিকরা আক্রান্ত হন, আহত হন। এই নিয়ে থানায় অভিযোগ জানানোর পর বিষয়টি এখন হাইকোর্টে বিচারাধীন। ইডি’র পক্ষ থেকে গত ২৪ শে জানুয়ারি ফের ওই তৃণমূল নেতার বাড়িতে (Sandeshkhali) অভিযান চালানো হয়েছিল। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল বেশ কিছু জিনিস। ইডির পক্ষ থেকে তাঁর বাড়িতে নোটিশ লাগিয়ে ২৯ শে জানুয়ারি তাঁকে ইডির দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সেদিনও তিনি হাজির হননি। অথচ আগাম জামিনের জন্য একের পর এক আবেদন জানিয়ে চলেছেন। প্রশ্ন উঠছে, আইনজীবীর সঙ্গে তাঁর যেখানে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রয়েছে, সেখানে পুলিশ তাঁকে কেন খুঁজে পাচ্ছে না! যদিও এই প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি।

    হাইকোর্টের ক্ষোভের মুখে পুলিশ (Sandeshkhali) 

    উল্লেখ্য, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের ক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। সন্দেশখালিকাণ্ডে সেদিন হামলাকারীর সংখ্যা ছিল হাজার তিনেক। কিন্তু পুলিশ কেন মাত্র চারজনকে গ্রেফতার করেছে, সেই প্রশ্ন তুলে আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল। বিচারপতি বলেছিলেন, পুলিশ এতদিন ধরে কী করছে, সেটা কেস ডায়েরি দেখেই বোঝা সম্ভব। পুলিশকে তাই কেস ডায়েরি আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সন্দেশখালিকাণ্ডের (Sandeshkhali) পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন এই তৃণমূল নেতা। প্রশ্ন উঠেছে, দলীয় নেতৃত্বেই কি তাঁকে আগলে রেখেছেন?

    লুক আউট নোটিশ জারি

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তৃণমূলের ডন (Sandeshkhali) শাহজাহানের বিরুদ্ধে ঘটনার পরই লুক আউট নোটিশ জারি করে ইডি। শুধুমাত্র সন্দেশখালির এই ডন নেতাই নয়, তাঁর পরিবারের অন্যান্য় সদস্যদের নামেও এই লুক আউট নোটিশ জারি করে কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী সংস্থা। লুক আউট নোটিশ দেশের সমস্ত বিমানবন্দরে পাঠানো হয়। নোটিশ যায় সীমান্তরক্ষীবাহিনীর হাতেও। যাতে শাহাজাহান দেশ ছাড়তে না পারে। কিন্তু কোথায় কী! তাঁর টিকিও ছুঁতে পারেনি পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Primary Teacher: স্থগিতাদেশ তুলে নিল সুপ্রিম কোর্ট, প্রায় ১২ হাজার চাকরিপ্রার্থীর প্রাথমিকের নিয়োগে রইল না বাধা

    Primary Teacher: স্থগিতাদেশ তুলে নিল সুপ্রিম কোর্ট, প্রায় ১২ হাজার চাকরিপ্রার্থীর প্রাথমিকের নিয়োগে রইল না বাধা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২২ সালে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক (Primary Teacher) নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নিল দেশের শীর্ষ আদালত। সোমবারই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় নিয়োগ প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে পারবে পর্ষদ। এর পাশাপাশি প্যানেল প্রকাশের বাধাও তুলে নিলেন বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি আহসান উদ্দিন আমানুল্লাহ এর বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্টের আজকের রায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকেই এককথায় সিলমোহর দিল।

    ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় পর্ষদ

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসেই প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ১২ হাজার শিক্ষকের (Primary Teacher) নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। সেখানে প্রথমে জানানো হয়, যাঁরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তাঁরাও ওই নিয়োগে অংশ নিতে পারবেন। এরপরেই জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। মামলা করেন চাকরি প্রার্থীদের একাংশ। ২০২২ সালে সেপ্টেম্বরের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদের সিদ্ধান্তকেই মান্যতা দেন। ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস নাগাদ হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ পর্ষদের ওই বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে দেয়।

    মামলা গড়ায় দেশের শীর্ষ আদালতে

    ২০২৩ সালের ২৮ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি রাজেশ জিন্দালের বেঞ্চ জানায়, আদালত নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পর্ষদ কোনও মেধা তালিকা প্রকাশ করতে পারবে না। তারপর থেকে মামলাটির শুনানি সুপ্রিম কোর্টে চলছিল এবং একাধিকবার এই শুনানি পিছিয়ে যায়। চলতি মাসের ২২ তারিখ প্রাথমিক শিক্ষাপর্ষদের কাছে তথ্য জানতে চায় শীর্ষ আদালত। ঠিক কত শূন্য পদ রয়েছে এবং তার মধ্যে কতজন যোগ্য তার খসড়া প্যানেল আদালতে পেশ করতে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ঠিক তারপরেই সোমবার নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে দিল শীর্ষ আদালত। এরপর পর্ষদ (Primary Teacher) নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: মেডিক্যালে ভর্তি-দুর্নীতির মামলা হাইকোর্ট থেকে সরল সুপ্রিম কোর্টে

    Calcutta High Court: মেডিক্যালে ভর্তি-দুর্নীতির মামলা হাইকোর্ট থেকে সরল সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিচারপতি সৌমেন সেনের মধ্যে বেনজির সংঘাতের জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। গত শনিবারই সুপ্রিম কোর্টে এনিয়ে শুনানি শুরু হয়। মঙ্গলবার সকালে পাঁচ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ মেডিক্যালে ভর্তি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের শুনানিতে স্থগিতাদেশ জারি করল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম নির্দেশের ফলে হাইকোর্টের সিঙ্গল এবং ডিভিশন বেঞ্চের কোনও নির্দেশ আপাতত কার্যকর হচ্ছে না। এবার থেকে মেডিক্যালে ভর্তির সব মামলা কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তরিত করা হল।

    আরও পড়ুন: এনডিএ-র নেতৃত্বে নীতীশ কুমার উজ্জ্বল বিহার গঠন করবেন, জানালেন জেপি নাড্ডা

    কী জানাল দেশের শীর্ষ আদালত?

    জানা গিয়েছে, দুই বিচারপতির (Calcutta High Court) সংঘাত সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি সুপ্রিম কোর্টে হবে তিন সপ্তাহ পরে। এবং এরই মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের মেডিক্যাল ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় মামলা স্থানান্তরিত হয়ে যাবে দেশের শীর্ষ আদালতে। এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, আমরা সবদিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। এমন কিছু হবে না যাতে কলকাতা হাইকোর্টের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়।

    প্রসঙ্গ ২ বিচারপতির সংঘাত

    প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিচারপতি সৌমেন সেনের মধ্যে নজিরবিহীন সংঘাত শুরু হয়। রাজনৈতিক নেতার মত আচরণ করছেন সৌমেন সেন এরকম মন্তব্যও করতে শোনা যায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি সংক্রান্ত দুর্নীতি বিষয়ে মামলা দায়ের করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলা ছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। মামলাতে সিবিআই নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু পরবর্তীকালে সেই নির্দেশকে খারিজ করে দেন ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি সৌমেন সেন। পরবর্তীকালে ভরা এজলাসেই সৌমেন সেনের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলতে থাকেন বিচারপতি (Calcutta High Court) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রশ্ন করেন যে কেন সৌমেন সেনের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট করা হবে না!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • North 24 Parganas: জমির মিউটেশন ২ কোটি ১৯ লক্ষ টাকার! নোটিশ দেখেই চক্ষু চড়ক গাছ বিচারপতির

    North 24 Parganas: জমির মিউটেশন ২ কোটি ১৯ লক্ষ টাকার! নোটিশ দেখেই চক্ষু চড়ক গাছ বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খড়দা পুরসভায় (North 24 Parganas) জমির মিউটেশন ২ কোটি ১৯ লক্ষ টাকার! এই নোটিশ দেখে কার্যত বিস্মিত কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার। মূল অভিযোগ খড়দা পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। জমির মিউটেশনে বিপুল পরিমাণে টাকা কেন? সেই প্রশ্নও করেন বিচারপতি। এই নিয়ে জেলায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    ঠিক কী কারণে নোটিশ(North 24 Parganas)?

    একটি সংস্থা নিজেদের কোম্পানি খোলার জন্য একটি বড় জমি কেনে। জমির অবস্থান খড়দা থানা (North 24 Parganas) সংলগ্ন বিটিরোডের ধারেই। জমির পরিমাণ হল ২১ একর এবং জমির ক্রয়মূল্য বাবদ দিয়েছে ৮০ কোটি টাকা। এপরপর নিজেদের কোম্পানির গুদামঘর তৈরির জন্য জমির মিউটেশন করতে চেয়ে স্থানীয় পুরসভায় আবেদন করা হয়। এরপর পুরসভার চেয়ারম্যান নিজের স্বাক্ষর করা একটি নোটিশ পাঠায় ওই সংস্থাকে। ৯ নভেম্বের ২০২৩ সালে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নোটিশে এটাও বলা হয় যে জামি মিউটেশন করতে গেলে এই টাকা পুরসভায় জমা করতে হবে। এরপর ওই কোম্পানির তরফ থেকে হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয় পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সুবিচার চেয়ে। এরপর হাইকোর্টের বিচারপতি এই বিপুল পরিমাণের টাকার অঙ্ক দেখে রীতিমত হতচকিত হয়ে যান। তাঁর চক্ষু একেবারে চড়ক গাছে উঠে যায়।

    বিচারপতির নির্দেশ

    পুরসভার কোন আইনের পরিপ্রেক্ষিতে এতো বিপুল পরিমাণে টাকা চেয়ে নোটিশ দিয়েছে সেই বিষয়ে জানতে চান বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার। সেই সঙ্গে এই নোটিশকে খারিজ করে দেন বিচারপতি এবং আগামী সাত দিনের মধ্যে আইন মেনে কোম্পানির জমিকে মিউটেশন করানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। পাশপাশি উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas)  জেলা শাসকের কাছে এই বিপুল পরিমাণ টাকা চাওয়ার প্রেক্ষিতকে সামনে রেখে বিশেষ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

    কী বলল খড়দা পুরসভা?

    খড়দা পুরসভার(North 24 Parganas) চেয়ারপার্সন নীলু সরকার বলেন, “সাধারণত আমরা জমির মিউটেশন করার ক্ষেত্রে নির্ধারিত জমির মূল্যের উপর ১ শতাংশ করে নিয়ে থাকি। আর এই করের উপর নির্ভর করে পুরসভার বাকি কাজ চলে। এতো কর্মী যাঁদের বেতন দেওয়া, সাফাই কাজের সরঞ্জাম কেনা ইত্যাদিতে আমরা নাগরিক সমাজের পরিষেবার কাজ করে থাকি। পুরসভার স্বাস্থ্য পরিষেবা, অ্যাম্বুল্যান্স চালাতেও এই খরচ বহন করে থাকি আমরা। আইন মেনে আমরা কাজ করেছি। জেল শাসকের চিঠি পেয়েছি। পুরসভা যেকোনও টাকা নিলে বিনিময়ে রিসির্ভ কপি দিয়ে থাকি আমরা। তবে ব্যক্তি গত ভাবে আমরা কোনও টাকা নিয়ে থাকি না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্টে দুই বিচারপতির বেনজির সংঘাত, বিশেষ বেঞ্চ গঠন শীর্ষ আদালতের

    Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্টে দুই বিচারপতির বেনজির সংঘাত, বিশেষ বেঞ্চ গঠন শীর্ষ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দুই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিচারপতি সৌমেন সেনের সংঘাত নিয়ে বিশেষ বেঞ্চ গঠন করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের ওই বিশেষ বেঞ্চ শনিবার অর্থাৎ আজই শুনানি করবে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, মোট পাঁচ বিচারপতিকে নিয়ে তৈরি হয়েছে ওই বিশেষ বেঞ্চ। শনিবার আদালত ছুটি রয়েছে, তবুও ওই দিনেই বসবে বিশেষ বেঞ্চ। আজ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুনানি শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।

    সংঘাতের কারণ কী 

    মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির বিষয়ে অনিয়ম সামনে আসতেই, মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি (Calcutta High Court) গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশের উপর প্রথমে স্থগিতাদেশ দেয়। পরে সিবিআইয়ের দায়ের করা এফআইআর-ও খারিজ করে দেয় বিচারপতি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। এর পরেই ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা কার্যকর হবে না বলে তখন জানিয়ে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়। অর্থাৎ, এই মামলায় সিবিআইকে তিনি তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে বলেন। এখানেই শুরু দয় সংঘাত।

    পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দুই বিচারপতির সংঘাতের ঘটনায় শনিবার আদালত ছুটির দিনেও বসবে পাঁচ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ। তাতে থাকবেন, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি সূর্যকান্ত, বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় এই মামলার শুনানি।

    রাজনৈতিক নেতার মতো আচরণ করছেন বিচারপতি সেন, অভিযোগ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর নির্দেশনামায় জানিয়েছিলেন, বড়দিনের ছুটির আগে বিচারপতি সেন তাঁর চেম্বারে বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে ডেকে পাঠান। সেখানে বিচারপতি সেন বলেন, প্রথমত, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ রয়েছে। তাঁকে বিরক্ত করা চলবে না। দ্বিতীয়ত, অমৃত সিংহের এজলাসের ‘লাইভ স্ট্রিমিং’ বন্ধ করতে হবে। তৃতীয়ত, নিয়োগ দুর্নীতির দু’টি মামলা খারিজ করতে হবে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মতে, বিচারপতি সেন ব্যক্তিগত স্বার্থে ওই সব নির্দেশ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবারও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিচারপতির সেন স্পষ্টতই একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছেন। ওই মামলায় রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত থাকা ব্যক্তির মতো আচরণ করছেন বিচারপতি সেন। তিনি কয়েক জন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। তাই সুপ্রিম কোর্টের উচিত তাঁর (বিচারপতি সেনের) সমস্ত নির্দেশ খারিজ করা।’’

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Medical College: দুর্নীতির আখড়া আর জি কর হাসপাতাল! হাইকোর্টে মামলা সুকান্তর

    RG Kar Medical College: দুর্নীতির আখড়া আর জি কর হাসপাতাল! হাইকোর্টে মামলা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ এবং রেশন দুর্নীতির অভিযোগ আগেই উঠেছে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে। প্রভাবশালী মন্ত্রীরা গ্রেফতারও হয়েছেন এই মামলাগুলিতে। বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন বিষয়গুলি। এবার স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়েও বিস্তর অনিয়মের অভিযোগ তুলল রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। কলকাতার সরকারি হাসপাতাল আর জি করের (RG Kar Medical College) পরিষেবা নিয়ে মামলা দায়ের হল হাইকোর্টে। সোমবার এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। আগামী সপ্তাহে মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে। 

    কেন এই মামলা দায়ের করলেন সুকান্ত মজুমদার?

    বালুরঘাটের সাংসদের অভিযোগ, কলকাতার অন্যতম সরকারি হাসপাতাল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ (RG Kar Medical College) দুর্নীতির আঁতুরঘর হয়ে উঠেছে। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার উদাহরণ হিসেবে টেনে আনেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষের নাম। বঙ্গ বিজেপির প্রধানের দাবি, এই কলেজের প্রিন্সিপাল যাবতীয় দুর্নীতির পরেও, এমনকী তাঁর পদ থেকে বারবার বদলি হওয়া সত্ত্বেও ফিরে আসছেন। অন্যদিকে সুকান্তর আরও অভিযোগ, মৃতদেহগুলি এই হাসপাতালে বেআইনিভাবে ব্যবহার হয়। মৃতদের পরিবারের অনুমতি ছাড়াই তাতে কাটাছেঁড়া করা হয়। হাসপাতালের (RG Kar Medical College) বর্জ্য পদার্থও বেআইনিভাবে খোলাবাজারে বিক্রি করা হয় বলে অভিযোগ সুকান্তর। হাসপাতালের বর্জ্য পদার্থ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ কার্যত নজিরবিহীন। বালুরঘাটের সাংসদের মতে, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সেগুলি পুনর্ব্যবহার করেন।

    কাটমানি নেওয়া হয় টেন্ডার পাশ করতে

    রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবাও যে কাটমানির অপসংস্কৃতির বাইরে নয়, তা সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগেই স্পষ্ট। সুকান্তর দাবি, আর জি করে টেন্ডার পাশ করাতে গেলে লাগে মোটা অঙ্কের কাটমানি। এর পাশাপাশি ছাত্রদের জন্য আসা অ্যাকাডেমিক ফান্ডের টাকা অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা হয় যা বেআইনি। পরিকাঠামো উন্নয়নের দ্বিগুণ খরচ দেখানো হয় আবার কম দামি যন্ত্রপাতি বেশি দামে কেনা হয় বলেও অভিযোগ বালুরঘাটের সাংসদের। এর পাশাপাশি বেশিরভাগ কাজের বরাত পায় একটি বিশেষ সংস্থা। এই গোটা দুর্নীতি চক্র কাজ করছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের (RG Kar Medical College) নির্দেশে। এমনটাই অভিযোগ সুকান্তর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টের গুঁতো খেয়েই ফিরল হুঁশ, বারাকপুর পুলিশ ছুটল অভিযুক্তকে ধরতে

    Calcutta High Court: হাইকোর্টের গুঁতো খেয়েই ফিরল হুঁশ, বারাকপুর পুলিশ ছুটল অভিযুক্তকে ধরতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতির ধমক খেয়ে হুঁশ ফিরল পুলিশের। বুধবার আদালত থেকে পুলিশকে ভর্ৎসনা করে বলা হয়েছিল, ‘পুলিশ পুরো মেডেল পাওয়ার মতো কাজ করেছে!’ গত ছয়মাস ধরে যে খুনের মামলার কোনও গতি-প্রকৃতি ছিল না, বিচারপতির গুঁতোয় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ সক্রিয় হল। আজ বৃহস্পতিবার বারাকপুর পুলিশ মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার এবং খুনের ধারা যুক্ত করার কথা বলে হাইকোর্টে রিপোর্ট দিয়েছে।

    কী বললেন বিচারপতি (Calcutta High Court)

    হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন, “একজনকে ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে নীচে ফেলা হয়েছে, এরপর নীচে নেমে পেটানো হল। এরপরও পুলিশ খুনের ধারা যোগ করার অভিযোগ পেল না! এটাই কি এই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবস্থা! সেই সঙ্গে বিচারপতি দেবাংশু বসাক, বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল বুধবার পর্যবেক্ষণ করে বলেন, “এই ঘটনায় সকল অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু পুলিশ কিছুই করেনি। মামলায় সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত।” উল্লেখ্য এক ব্যক্তিকে ছাদ থেকে ফেলে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল। বারাকপুর পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। কিন্তু গত ছয়মাস ধরে মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়নি। খুনের মামলায় পুলিশের সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি।

    ২৪ ঘণ্টার মধ্যেও পুলিশ তৎপর

    আদালতে বিচারপতির (Calcutta High Court) ধমকের পর আজ বৃহস্পতিবার বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট রিপোর্ট দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জানায় যে গতকাল আদালত যে নির্দেশ দিয়েছিল তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হয়েছে। খুনের ওই মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে এবং খুনের ধারাও যুক্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্যবারাকপুর সিপি গত ছয়মাসে যা করেননি কার্যত আদালতের ধমক খেয়ে মাত্র ২৪ ঘণ্টায় সক্রিয় হয়েছেন। ফলে পুলিশ প্রশাসন যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে, তা আরও একবার স্পষ্ট বলে এলাকার মানুষ দাবি করে।

    ঘটনা কী ঘটেছিল?

    মামলা সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনা ঘটেছিল ২০২৩ সালের ২৩ জুন, খড়দহ থানার টিটাগড়ের লক্ষ্মীঘাট এলাকায়। বাড়িভাড়াকে ঘিরে বচসার কারণে আহত হন গোবিন্দ যাদব। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে আরজিকর হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছিল, মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরিবারের অভিযোগ খুনের ধারা যোগ করেনি পুলিশ। এরপর মামলা গড়ায় উচ্চ আদালতে। এই মামলায় পুলিশকে তীব্র ধমক দেওয়ার ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিচারপতি (Calcutta High Court) মন্তব্যে শোরগোল পড়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share