Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Sandeshkhali: নির্যাতিতাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিতে হবে পুলিশি নিরাপত্তা, গণধর্ষণ-কাণ্ডে নির্দেশ কোর্টের

    Sandeshkhali: নির্যাতিতাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিতে হবে পুলিশি নিরাপত্তা, গণধর্ষণ-কাণ্ডে নির্দেশ কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) এক মহিলাকে গণধর্ষণের (Gang Rape Case) অভিযোগে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলেও এখনও পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এবার এই মর্মে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নির্যাতিতা। তাঁর প্রাণহানির আশঙ্কাও করেছিলেন। বুধবার এই মামলার শুনানি ছিল। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্যাতিতার বাড়িতে ২৪ ঘণ্টা পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। পরবর্তী শুনানি সোমবার। এদিন পুলিশ তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার কথা জানিয়েছে। পাল্টা রাজ্য পুলিশের দাবি তদন্ত এগিয়েছে অনেকটা, দ্রুত চার্জশিট দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে হিন্দু বাড়ির বউদের তুলে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে  দেশ জুড়ে ব্যাপক শোরগোল পড়েছিল। সেই মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।  

    সুরক্ষা চেয়ে দ্বারস্থ কলকাতা হাইকোর্টে (Sandeshkhali)

    জানা গিয়েছে,সন্দেশলখালির (Sandeshkhali) নির্যাতিতা গতকাল অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় ব্লক তৃণমূল নেতা দলবল নিয়ে অত্যচার চালিয়েছে তাঁর ওপর। এরপর নির্যাতিতা নিজে সন্দেশখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তবে মূল অভিযুক্তকে পুলিশ এখনও গ্রেফতার করেনি। এমন কী অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, নির্যাতিতাকে (Gang Rape Case) থানায় অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য উল্টে হুমকিও দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপর নির্যাতিতা ভয়ে কলকাতা হাইকোর্টের কাছে সুরক্ষা চেয়ে দ্বারস্থ হন।

    আরও পড়ুনঃ বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত চিড়িয়াখানার জমি! শুভেন্দুর প্রতিবাদ মিছিলে সায় হাইকোর্টের

    আদালতের কাছে ন্যায় বিচার চাই

    শাসক দলের নেতাদের দৌরাত্ম্য নিয়ে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নির্যাতিতা (Gang Rape Case) বলেন, “এলাকার তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে আমি সন্দেশখালি পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেছি। আমাকে নানাভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। আমাকে থ্রেট করা হয়েছে। কিন্তু রাজ্যের পুলিশ কোনও ভূমিকা নিচ্ছে না। উল্টে তৃণমূল নেতার হয়ে কাজ করছে। তাই আমি এখন নিরুপায়। অত্যন্ত অসহায়বোধ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি এখন। আমি চাই দোষীরা উপযুক্ত সাজা পাক। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার এখন জেলে থাকার কথা কিন্তু এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রকাশ্যে। আমি মহামান্য আদালতের কাছে ন্যায় বিচার চাই।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত চিড়িয়াখানার জমি! শুভেন্দুর প্রতিবাদ মিছিলে সায় হাইকোর্টের

    Suvendu Adhikari: বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত চিড়িয়াখানার জমি! শুভেন্দুর প্রতিবাদ মিছিলে সায় হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার রবীন্দ্র সদন মেট্রো থেকে ন্যাশনাল লাইব্রেরি পর্যন্ত মিছিল করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বুধবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের সিঙ্গল বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, আগামী ৯ জানুয়ারি দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত মিছিল করা যাবে। তবে মিছিল নিয়ে হাইকোর্ট কিছু শর্তও আরোপ করেছে।

    প্রতিবাদ মিছিলের অনুমতি 

    চিড়িয়াখানার জমি বেআইনিভাবে বেসরকারি কাজে ব্যবহার করার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার মিছিলের ডাক দিয়েছে বিজেপি। সেই প্রেক্ষিতেই রবীন্দ্র সদন মেট্রো থেকে ন্যাশনাল লাইব্রেরি পর্যন্ত মিছিলের অনুমতি চেয়েছিল তারা। তবে আবারও পুলিশের বিরুদ্ধে অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ, রবীন্দ্র সদন থেকে পিটিএস, আলিপুর চিড়িয়াখানা হয়ে ন্যাশনাল লাইব্রেরি পর্যন্ত মিছিল করা যাবে। তবে মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের শালীনতা বজায় রাখতে হবে। হাজার সমর্থক মিছিলে অংশগ্রহণ করতে পারবে। বেলা ১২টা থেকে শুরু করে বিকেল তিনটের মধ্যে শেষ করতে হবে মিছিল ৷ সব রকম নিয়মশৃঙ্খলা মেনে মিছিল করতে হবে বলে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। 

    আরও পড়ুন: অপরাধ, তিনি হিন্দু! বাংলাদেশে যুবককে কুপিয়ে খুন, চুপ শান্তিতে নোবেল জয়ী ইউনূস

    কেন প্রতিবাদ মিছিল 

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ঘোষণা করেন, আলিপুর চিড়িয়াখানার উল্টোদিকে চিড়িয়াখানার জমিতে পিপিপি মডেলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে বরাত দেওয়া হচ্ছে, যেখানে বহুতল নির্মাণ করে একটা ফ্লোরে থাকবে সরকারি জিনিসপত্র বিক্রির স্টল আর অন্যগুলোতে বেসরকারি ব্যবসায়ীরা তাঁদের ব্যবসা করতে পারবেন। এই কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এবার এর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: নতুন তদন্ত চাইলেন আরজি কর নির্যাতিতার বাবা-মা, সিবিআইয়ের থেকে নথি চাইল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: নতুন তদন্ত চাইলেন আরজি কর নির্যাতিতার বাবা-মা, সিবিআইয়ের থেকে নথি চাইল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশে আরজি করকাণ্ডের (RG Kar) পর পরই সিবিআই ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করে। এই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া সন্দীপ ঘোষসহ দুজন জামিন পেয়ে গিয়েছেন। এই ঘটনার পর এবার নতুন করে মেয়ের খুনের তদন্ত চান নির্যাতিতার বাবা-মা। সেই কারণে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেছেন তাঁরা। বর্তমানে যে তদন্ত চলছে তাতে তাঁদের আস্থা নেই। তা তাঁরা প্রকাশ্যে বলেছেনও। এবার তাঁদের দাবি, দ্রুত নতুন করে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিক আদালত। এই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার, বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ, ওই মামলা সংক্রান্ত নথি হাইকোর্টে পেশ করতে হবে সিবিআইকে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    আদালতে কী আর্জি জানাল নির্যাতিতার বাবা-মা? (Calcutta High Court)

    সিবিআই যখন তদন্তভার হাতে নেয়, তখনই স্বতঃপ্রণোদিতভাবে সুপ্রিম কোর্ট এই মামলা গ্রহণ করে। বর্তমানে শীর্ষ আদালতে এই মামলা বিচারাধীন। এই আবহের মধ্যে হাইকোর্ট (Calcutta High Court) মামলা করে আরজি করের নির্যাতিতার পরিবার দাবি করেছে, এই তদন্তের নামে সব তথ্য প্রমাণ লোপাট হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে বিচার প্রক্রিয়া চলছে এবং সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। এখনই যদি আদালত হস্তক্ষেপ না করে তাহলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে। তাঁদের এই আর্জি শুনে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। 

    কী নির্দেশ দিল আদালত?

    সিবিআইকে এই মামলায় যুক্ত করার পাশাপাশি আগামী সোমবার ফের বিষয়টি আদালতে (Calcutta High Court) উল্লেখ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। প্রসঙ্গত, আরজি করকাণ্ড ঘটার কয়েকদিনের মধ্যেই সিবিআই এই তদন্তভার হাতে নেয়। তবে, ৯০ দিনের মধ্যে সিবিআই চার্জশিট দিতে না পারায়, অন্যতম অভিযুক্ত আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের জামিন হয়ে যায়। অসন্তোষে ফেটে পড়েন আন্দোলনকারীরা। সিবিআই যে ঠিক মতো তদন্ত করছে না, এই জামিনই তার প্রমাণ বলে আগেই জানিয়েছিলেন অভয়ার বাবা-মা। এই অবস্থায় আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মার নতুন করে তদন্ত চাওয়ার বিষয়টি যে ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: বিপদ বাড়ল ‘কালীঘাটের কাকু’র! সিবিআই মামলায় আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল হাইকোর্ট

    CBI: বিপদ বাড়ল ‘কালীঘাটের কাকু’র! সিবিআই মামলায় আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকুর’ আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সম্প্রতি ইডির মামলায় শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ। এরই মধ্যে সিবিআই (CBI) তাঁকে হেফাজতে নিতে চাইছে। এই অবস্থায় নতুন করে গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কায় হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানান সুজয়কৃষ্ণ। সোমবার সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্টের বিচারক জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ।

    সিবিআইয়ের আইনজীবী কী বললেন?(CBI)

    নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ইডি এবং সিবিআই (CBI) উভয় কেন্দ্রীয় সংস্থা তদন্ত চালাচ্ছে। প্রাথমিকের নিয়োগ মামলায় ইডিই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। সোমবার নিম্ন আদালতে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত ইডির মামলার শুনানি হয়েছে। সিবিআইয়ের মামলায় আগে অসুস্থতার কারণে সুজয়কৃষ্ণ আদালতে উপস্থিত না থাকলেও, ইডির মামলায় ভার্চুয়ালি হাজিরা দেন। জেল হাসপাতালের বিছানা থেকে লাল কম্বল গায়ে, মাথায় মাফলার জড়িয়ে ভার্চুয়াল হাজিরা দেন তিনি। সিবিআইয়ের আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী জানান, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে নিম্ন আদালত থেকে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছে। যার অর্থ, তাঁকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফলে তাঁকে যে কোনও মুহূর্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নিজেদের হেফাজতে নিতে পারে।

    কেন সুজয়কৃষ্ণকে হেফাজতে নেওয়া হয়নি? প্রশ্ন বিচারপতির

    বিচারপতি বাগচি জানান, সিবিআই (CBI) গ্রেফতার করলে অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করতে হবে। তা কেন সম্ভব হয়নি, জানতে চান বিচারপতি। গ্রেফতারের জন্য যে আইনি কাজগুলি করা দরকার, সেগুলি করা হয়েছে কি না, সে বিষয়েও আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন তিনি। সিবিআইয়ের আইনজীবীকে বিচারপতির প্রশ্ন, কেন অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়া হয়নি। বিচারপতি বাগচির মন্তব্য, যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়, তবে জামিন পাওয়ার অধিকার থাকবে। সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, সুজয়কৃষ্ণ হাসপাতালে ছিলেন বলে তাঁকে গ্রেফতার করা যায়নি। জেল সুপার তাঁদের জানিয়েছিলেন, অভিযুক্ত সেই অবস্থায় নেই। বর্তমানে যেহেতু প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি হয়ে গিয়েছে এবং অভিযুক্তকে যে কোনও মুহূর্তে হেফাজতে নেওয়া যায়, তাই আগাম জামিনের আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানান সিবিআইয়ের আইনজীবী। সে ক্ষেত্রে অভিযুক্তকে জামিনের আবেদন করা প্রয়োজন বলে মত তাঁর।

    সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবী কী বললেন?

    সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবী মিলন মুখোপাধ্যায় জানান, ওই প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট এখনও কার্যকর হয়নি। তাই আগাম জামিনের আবেদন করা যেতেই পারে। হেফাজতে নেওয়ার জন্য শুধু নোটিশ জারি করা হয়েছে। তবে গ্রেফতার করা হয়নি বলেই জানান আইনজীবী। তবে শেষ পর্যন্ত ওই আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: আধাসেনায় ৪৬ হাজার নিয়োগে নির্দেশ দিল হাইকোর্ট, রোজগার মেলায় নিয়োগপত্র দিতে পারবেন মোদি!

    Calcutta High Court: আধাসেনায় ৪৬ হাজার নিয়োগে নির্দেশ দিল হাইকোর্ট, রোজগার মেলায় নিয়োগপত্র দিতে পারবেন মোদি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ জুড়ে আধাসামরিক বাহিনীতে ৪৬ হাজার ৬১৭ শূন্য পদে নিয়োগে সবুজ সঙ্কেত দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। মূল মামলাকারীরা পরবর্তী কালে যোগ্য বলে বিবেচিত হলে তাঁদের মেধা তালিকায় স্থান দিতে হবে।বৃহস্পতিবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, আধাসেনা বাহিনীর ওই নিয়োগের মেধাতালিকা প্রকাশ করা যাবে। ফলে, রোজগার মেলায় চাকরিপ্রার্থীদে নিয়োগপত্র দিতে পারবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।  

    মামলাকারীদের কী বক্তব্য? (Calcutta High Court)

    গত বছর দেশ জুড়ে আধাসেনার ৪৬ হাজার ৬১৭ শূন্য পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় স্টাফ সিলেশন কমিশন (এসএসসি)। সেই মতো সারা দেশে তিন লক্ষের বেশি আবেদন জমা পড়ে। নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে এসএসসি। পশ্চিমবঙ্গের কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী তথা মামলাকারীদের বক্তব্য, আধাসেনার পদে চাকরি পেতে গেলে ১৭০ সেন্টিমিটার উচ্চতা হতে হবে বলে জানানো হয়। তাঁদের উচ্চতা ‘আধ সেন্টিমিটার’ কম রয়েছে, এই যুক্তিতে চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। অথচ নিয়ম অনুযায়ী, ‘আধ সেন্টিমিটার’ উচ্চতা কম হলে ওই পদের যোগ্য বলে বিবেচনা করতে হয়। এরপরই আদালতে মামলা হয়। ওই মামলায় (Calcutta High Court) প্রথমে বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য এবং পরে বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ জানায়, ৩৮ জনের বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। তাঁদের পুনরায় নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুযোগ দিতে হবে। তত দিন মেধাতালিকা প্রকাশ করতে পারবে না এসএসসি। সিঙ্গল বেঞ্চের ওই নির্দেশ পরিবর্তন করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, মেধাতালিকা প্রকাশ করা যাবে। নিয়োগ প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপে মামলাকারীরা উত্তীর্ণ হলে জায়গা পাবেন মেধাতালিকায়।

    আরও পড়ুন: চালিয়ে খেলছে শীত! কলকাতায় ১৩ ডিগ্রির ঘরে পারদ, বঙ্গে তাপমাত্রা নামল ১০-এর নিচে

    রোজগার মেলায় হবে নিয়োগ

    ২০২২ সাল থেকে কেন্দ্র রোজগার মেলার আয়োজন করে। ওই কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় চাকরি প্রাপকদের সরাসরি নিয়োগপত্র দেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ২৩ ডিসেম্বর ওই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে আধাসামরিক বাহিনীর এই ৪৬ হাজার শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা। বাকি দেশে হলেও এ রাজ্যে মামলার জটে নিয়োগপ্রক্রিয়া থমকে গিয়েছিল। সুযোগ না-পেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন ৩৮ জন। তাঁদের মামলায় (Calcutta High Court)সিঙ্গল বেঞ্চ জানায়, মামলাকারীদের বিষয়টি বিবেচনা না-করে ওই নিয়োগপ্রক্রিয়া চালিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না। ১০ দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান রয়েছে। এই অবস্থায় সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে তড়িঘড়ি ডিভিশন বেঞ্চে যায় কেন্দ্র। তারা দ্রুত শুনানির আর্জি জানায়। বৃহস্পতিবার ডিভিশন বেঞ্চ সেনাবাহিনীর ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ছাড়পত্র দেয়।

    কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল কী বললেন?

    কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এএসজি অশোককুমার চক্রবর্তী বলেন, “সেনাবাহিনীর ওই নিয়োগের মেধাতালিকা প্রকাশ করা যাবে। আদালত (Calcutta High Court) নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছে। এর ফলে ওই নিয়োগের আইনি জট কেটে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিয়োগপত্র দিতে পারবেন। সব মিলিয়ে এই রায় নিয়ে আমরা খুবই খুশি। তবে কোর্টের নির্দেশ মেনে মামলাকারীদের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • OBC Certificate Case: ‘শুধু ধর্মের ভিত্তিতে কোনও সংরক্ষণ করা যায় না’, ওবিসি মামলায় রাজ্যকে সুপ্রিম-ধাক্কা

    OBC Certificate Case: ‘শুধু ধর্মের ভিত্তিতে কোনও সংরক্ষণ করা যায় না’, ওবিসি মামলায় রাজ্যকে সুপ্রিম-ধাক্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু ধর্মের ভিত্তিতে কারও সংরক্ষণ পাওয়া উচিত নয়। ওবিসি সার্টিফিকেট (OBC Certificate Case) বাতিল মামলায় হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যের দেওয়া কয়েক লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল হয়ে যায়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। শীর্ষ আদালত ওই নির্দেশে এখনও পর্যন্ত কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি। ‘ধর্মের ভিত্তিতে কোনও সংরক্ষণ করা যায় না’, সোমবার মামলা গ্রহণ করে এই মৌখিক পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। কীভাবে ৭৭টি সম্প্রদায়, যাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত, তাঁদের ওবিসি বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে? এই মর্মে রাজ্য সরকারের কাছে হলফনামা চাইল শীর্ষ আদালত। 

    ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ কেন

    সোমবার সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের ওবিসি শংসাপত্র বাতিল (OBC Certificate Case) মামলার শুনানি ছিল। সেখানে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল সওয়াল করে জানান, হাইকোর্টের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গে ১২ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল হয়েছে। এই রাজ্যে মোট বাসিন্দার ২৮ শতাংশ সংখ্যালঘু। তার মধ্যে ২৭ শতাংশ মুসলিম। রঙ্গনাথ কমিশন মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণের সুপারিশ করেছিল। কলকাতা হাইকোর্ট অন্ধ্রপ্রদেশের একটি রায়কে সামনে রেখে ওবিসি শংসাপত্র বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে। অথচ অন্ধ্রে ওই রায় স্থগিত রয়েছে। এর পরেই বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের পর্যবেক্ষণ, শুধুমাত্র ধর্মের ভিত্তিতে কারও সংরক্ষণ পাওয়া উচিত নয়।

    আরও পড়ুন: ‘‘ঢাকা থেকে ৩ লক্ষ হাতে টানা রিকশা রওনা দিয়েছে কলকাতা দখলের জন্য’’, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    রাজ্যকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

    গত ২২ মে হাইকোর্টে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ ২০১০ সালের পর থেকে তৈরি রাজ্যের সব ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল (OBC Certificate Case) করে দিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টে এদিন বিচারপতি বিআর গাভাই ও কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে মামলার শুনানির সময় রাজ্যের আইনজীবী জানায়, পিছিয়ে পড়া অংশকে সংরক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার মধ্যে মুসলিম ছাড়াও অন্য সম্প্রদায় রয়েছে। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) রাজ্যের তৈরি সংরক্ষণের তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের পর্যবেক্ষণ, কমিশন গঠন না-করে একটি বিশ্ববিদ্যালয় কী ভাবে সংরক্ষণের তালিকা তৈরি করতে পারে। বিচারপতি গাভাই জানিয়েছেন, হাইকোর্ট বলেছে শ্রেণিবিন্যাস করে রাজ্য বিধানসভায় পেশ করুক। রাজ্য কেন নিজের ক্ষমতায় তা করতে পারবে না? রাজ্য পাল্টা দাবি করে, হাইকোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, তারা এখনই কোনও নির্দেশ দেবে না। আগামী জানুয়ারিতে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “সাদা পোশাক পরলেই পুলিশ হওয়া যায় না”, চরম ভর্ৎসনা বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের

    Calcutta High Court: “সাদা পোশাক পরলেই পুলিশ হওয়া যায় না”, চরম ভর্ৎসনা বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) চরম ভর্ৎসনার মুখে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিক। এক ব্যক্তির বাড়িতে হামলার ঘটনায় রাজারহাট থানার পুলিশ তদন্ত করে। সেই তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে বুধবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সরকারি আইনজীবীকে রাজারহাট থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন করেন।

    “সাদা পোশাক পরলেই পুলিশ হওয়া যায় না” (Calcutta High Court)

    রাজারহাটে এক মামলাকারীর (Calcutta High Court) বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছিল। তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন ১২ জন এসেছিল হামলা করতে। আক্রান্ত ব্যক্তি তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। কিন্তু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আদালত ধর্তব্যযোগ্য কি না, তা জানতে নিম্ন আদালতে আবেদন করে পুলিশ। পুলিশের এই আবেদনে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, “এটাই বেআইনি। যেখানে পুলিশ আদালতগ্রাহ্য অপরাধের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে, সেখানে নিম্ন আদালতের অনুমতির কোনও প্রয়োজন নেই। এই আইনটুকু যদি না জানে পুলিশ, তাহলে কীভাবে মানুষ বিচার পাবে?” এর পরই তাঁর প্রশ্ন, “আপনার মনে হয় এই পুলিশ অফিসারদের থানায় থাকার যোগ্যতা রয়েছে? কীভাবে ফৌজদারি মামলার তদন্ত করতে হয়, সেটা এরা জানে বলে মনে হচ্ছে আপনার? অভিযোগ যা আছে সেই অনুযায়ী তদন্ত কোথায়? এই অফিসারদের আইনের জ্ঞান কতটা? কমিশনারের জানা দরকার তিনি কাদের নিয়ে কাজ করছেন। সাদা পোশাক পরলেই পুলিশ (Kolkata Police) হওয়া যায় না।”

    আরও পড়ুন: ২৫ হাজার কার্ডের নম্বর এক! রাজ্যে বিপুল ডুপ্লিকেট ভোটার কার্ড আবিষ্কার কমিশনের

    মামলায় চূড়ান্ত নির্দেশ কবে?

    ক্ষুব্ধ বিচারপতির মন্তব্য, “এই মামলায় (Calcutta High Court) অভিযোগের ভিত্তিতে যে রকম ভাবে তদন্ত হওয়ার দরকার, সেরকম তদন্ত করতে হবে। এই শেষ সুযোগ পুলিশকে। এরপর যদি এমন ত্রুটি দেখা যায় তাহলে পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিতে বাধ্য হব।” বিচারপতির আরও মন্তব্য, “নিউটাউন আর রাজারহাট থানা নিয়ে একই সমস্যা।” ৫ ডিসেম্বর এই মামলায় চূড়ান্ত নির্দেশ দেবে আদালত। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে একই ধরনের একটি মামলায় নিউটাউন থানার আইসি প্রসাদ রায়কে তুমুল ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি ঘোষ। তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Case: নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরেও দেড় কোটি টাকা ঢুকেছিল কুন্তলের অ্যাকাউন্টে!

    Recruitment Case: নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরেও দেড় কোটি টাকা ঢুকেছিল কুন্তলের অ্যাকাউন্টে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (Recruitment Case) গ্রেফতার হয়েছিলেন তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তল ঘোষ (কলঙ্ক মুছতে পরে তাঁকে বহিষ্কার করে তৃণমূল) (Kuntal Ghosh)। গ্রেফতার হওয়ার পরেও হুগলির বলাগড়ের ওই ‘নেতা’র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে দুর্নীতির টাকা। অন্তত এমনই দাবি করলেন ইডির তদন্তকারীরা।

    টাকার উৎস কী? (Recruitment Case)

    সম্প্রতি জামিনের আবেদন করেছিলেন কুন্তল। বুধবার তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে ইডি জানায়, কুন্তল অ্যারেস্ট হওয়ার কয়েকদিন পরেও তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ওই টাকার উৎস সম্পর্কে সদুত্তর দিতে পারেননি বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা। এদিন কুন্তলের জামিন মামলার শুনানি শেষ হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। তবে রায়দান স্থগিত রেখেছেন বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ২১ জানুয়ারি গ্রেফতার হন কুন্তল।

    কুন্তলের অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা

    প্রাথমিক স্কুলে নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় কুন্তলের। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’। ওই মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন জনৈক তাপস মণ্ডলও। তদন্তকারীদের সামনে মুখ খুলেছেন তিনি। জানিয়েছেন, ৩২৫ জনের কাছ থেকে কুন্তল নিয়েছেন ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা। ঘুরপথে তৃণমূলের তৎকালীন ওই যুবনেতার অ্যাকাউন্টে ১৯ কোটি টাকারও বেশি ঢোকে। এ সংক্রান্ত কিছু তথ্যপ্রমাণও তাপস তুলে দেন তদন্তকারীদের হাতে।

    গত প্রায় ২২ মাস ধরে জেলেই রয়েছেন কুন্তল। জামিন মামলার শুনানিতে তাঁর আইনজীবী জানান, এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্য জামিন পেয়েছেন। কুন্তলকেও জামিন দেওয়া হোক। তিনি বলেন, “কুন্তল দীর্ঘদিন জেলে রয়েছেন। এই অবস্থায় জামিন পেলে (Recruitment Case) তাঁর পক্ষে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করাও তো সম্ভব নয়।”

    আরও পড়ুন: “রাজাকারদের লাগানো আগুনেই মৃত্যু হয়েছিল মা-বোনের”, খাড়্গেকে মনে করিয়ে দিলেন যোগী

    কুন্তলের জামিনের বিরোধিতা করেন ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। তিনি জানান, কুন্তলের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। গ্রেফতারির পরেও তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে দেড় কোটি টাকারও বেশি। ইডির আইনজীবী বলেন, “মানিককে কেবল ইডি গ্রেফতার করেছিল। তাঁকে সিবিআই গ্রেফতার করেনি। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৪৭৯ (২) ধারায় বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে একের বেশি মামলা বিচারাধীন থাকলে জামিন প্রযোজ্য হবে না। তিনি বলেন, “নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে কুন্তলের (Kuntal Ghosh) বিরুদ্ধে একের বেশি মামলা রয়েছে (Recruitment Case)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

     

  • PM Awas Yojana: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা নিয়ে দুর্নীতি! হাইকোর্টে ব্যর্থতা মেনে নিল রাজ্য

    PM Awas Yojana: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা নিয়ে দুর্নীতি! হাইকোর্টে ব্যর্থতা মেনে নিল রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PM Awas Yojana) টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে এবার হাইকোর্টে ভর্ৎসিত রাজ্য সরকার। ঘটনাটি ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের। ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকার জন্য আবেদন করেন ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সিরাজুল মণ্ডল-সহ পাঁচ বাসিন্দা। তাঁদের দাবি, এখনও সেই টাকা পাননি তাঁরা। টাকা পেতে হাইকোর্টে মামলা করেন ওই ৫ জন। মামলাকারী ৫ জনের টাকাই ভুল অ্যাকাউন্টে গিয়েছে বলে আদালতে রিপোর্ট দিয়ে জানায় রাজ্য। এরপরই আদালতের (Calcutta High Court) ক্ষোভের মুখে পড়ে সরকার। 

    ইচ্ছাকৃত জালিয়াতি

    এই ঘটনা ইচ্ছাকৃত জালিয়াতি, বলে এদিন মত প্রকাশ করেন বিচারপতি রবি কিষাণ কাপুর। বিডিও এবং পঞ্চায়েত প্রধানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর তলব করেন বিচারপতি। অবিলম্বে সরকারকে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী পদক্ষেপের নির্দেশও দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। দীর্ঘদিন টাকা না আসায় পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হন আবাসের টাকা থেকে বঞ্চিত পাঁচজন। অভিযোগ, তখন পঞ্চায়েত থেকে বলা হয় টাকা আসেনি। পরে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, তাঁরা টাকা পাওয়ার জন্য যোগ্য ব্যক্তি নন। এরই প্রেক্ষিতে ২০২৩ সালে আদালতে মামলা করা হলে স্বাধীন তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্তভার দেওয়ার আর্জি জানানো হয়। সে ব্যাপারে রিপোর্ট তলব করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রবি কিষাণ কাপুর। 

    আরও পড়ুন: সরকারের দেওয়া ট্যাব কেনার ১০ হাজার টাকা গায়েব! একের পর এক স্কুলে একই ঘটনা কীভাবে?

    কাঠগড়ায় রাজ্য সরকার

    উল্লেখ্য, প্রায়ই জেলায় জেলায় আবাস যোজনার (PM Awas Yojana) তালিকায় গরমিলের অভিযোগ সামনে আসছে। কোথাও তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব তৃণমূলই। কোথাও বিডিও অফিসের দরজা বন্ধ করে বিক্ষোভ। সম্প্রতি হুগলির গোঘাটে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ডের বিরুদ্ধে আবাস যোজনার তালিকায় স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সদস্য। আবাস যোজনার তালিকায় গরমিলের অভিযোগ তুলে বীরভূমের রামপুরহাটেও বিক্ষোভ দেখিয়েছিন স্থানীয় তিলডাঙা গ্রামের বাসিন্দারা। বিরোধীরা বারবার যে দুর্নীতির কথা বলছেন, এবার তা মেনে নিল রাজ্যও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

  • Calcutta High Court: দুর্গাপুজোয় রাজ্যে একাধিক মণ্ডপে হামলা! রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: দুর্গাপুজোয় রাজ্যে একাধিক মণ্ডপে হামলা! রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর সময় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মণ্ডপে হামলা ও মূর্তি ভাঙার অভিযোগ (Vandalism Durga Puja Pandal) উঠেছিল। সেই ঘটনাগুলির স্বচ্ছ তদন্তের দাবিতে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। এবার এনিয়েই রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পুজোর সময় যে গোলমাল হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে কতগুলি অভিযোগ দায়ের হয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রশাসন কী কী পদক্ষেপ করেছে, সেই সব রিপোর্ট জেলার পুলিশ সুপার বা কমিশনারেটের সিপি-রা রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে পাঠাবেন। সেই সসমস্ত তথ্যগুলি খতিয়ে দেখে ডিজি রাজীব কুমারকে একটি রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টে পেশ করতে হবে। আগামী ১৪ নভেম্বর প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে সেই রিপোর্ট (vandalism Durga Puja pandal) রাজ্যকে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য ৷

    মামলা (Calcutta High Court) করেন নদিয়ার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা

    উল্লেখ্য, গার্ডেনরিচ-সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় পুজো মণ্ডপে হামলার ঘটনা ঘটে। সেগুলির স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। সেখানে নিরপেক্ষ কোনও সংস্থাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। সেই মামলাটি দায়ের করেছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নদিয়া জেলার নেতা ঋতু সিং। এদিনের শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবী সওয়ালে বলেন, ‘‘পুজোর সময় রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। গার্ডেনরিচ পুজো মণ্ডপে দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে। কোচবিহারের শীতলকুচি, হাওড়ার শ্যামপুর এবং নদিয়া জেলায় মূর্তি ভাঙার ঘটনা ঘটেছে।’’

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য মামলাকারীর আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনারা কী চান? তদন্তের হস্তান্তর? কিন্তু, কেন?’’ যার জবাবে আইনজীবী বলেন, ‘‘রাজ্য পুলিশ ব্যর্থ হয়েছে ৷ ওই ঘটনাগুলির তদন্ত রাজ্য পুলিশ করতে পারবে না।’’ এরপর বিচারপতি জানতে চান, ‘‘কোন গ্রাউন্ডে ট্রান্সফার চাইছেন?’’ মামলাকারী আইনজীবীর বক্তব্য, ‘‘এই ঘটনা কলকাতা-সহ একাধিক জায়গায় ঘটেছে। নিরপেক্ষ তদন্ত হবে না, যদি রাজ্য পুলিশ তদন্ত করে।’’ এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিচারপতি ভট্টাচার্য অ্যাডভোকেট জেনারেলকে প্রশ্ন করেন, ‘‘এই ঘটনাগুলির ক্ষেত্রে রাজ্য কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে?’’ তার জবাবে রাজ্য সরকারের তরফে এজি রিপোর্ট পেশ করতে কিছুটা সময় চান। অ্যাডভোকেট জেনারেলের আবেদন মেনে নিয়ে আগামী ১৪ নভেম্বরের মধ্যে ডিজি-র রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য। রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে (Calcutta High Court) পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share