Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Calcutta High Court: বইমেলায় স্টল দেওয়া হল না কেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে! গিল্ডকে তীব্র ভৎর্সনা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: বইমেলায় স্টল দেওয়া হল না কেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে! গিল্ডকে তীব্র ভৎর্সনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা বইমেলায় স্টল দেওয়া হচ্ছে না বিশ্বহিন্দু পরিষদকে (Vishwa Hindu Parishad)। এই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হা তীব্র ভৎর্সনা করলেন আয়োজক সংস্থা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডকে। রাজ্য প্রশাসন এবং আয়োজকদের উদ্দেশে বিচারপতি বললেন, “আগের বছর মনে হয়নি স্পর্শকাতর, তাই অনুমতি দিয়েছিলেন, এইবারে বিতর্কিত মনে হয়েছে? কিন্তু কেন?”

    মামলা যায় বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হার বেঞ্চে (Calcutta High Court)

    হাতে মাত্র আর কটাদিন বাকি, সামনেই কলকাতা আন্তর্জাতিক পুস্তক মেলায়। বই মেলার আয়োজক সংস্থা পাবলিশার্স এন্ড বুকসেলার্স গিল্ড বুক স্টল দেয়নি হিন্দু সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে (Vishwa Hindu Parishad)। তাই অভিযোগ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে এই হিন্দু সংগঠন। এরপর মামলা যায় বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হার বেঞ্চে। শুনানিতে বিশ্বহিন্দু পরিষদের (Vishwa Hindu Parishad) আইনজীবী (Calcutta High Court) বলেন, “গিল্ডের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একাধিক শর্ত আরোপ করেছে। বিভিন্ন শর্ত মেনে ৬০০ স্কোয়ার ফুট জায়গার কথা বলে সংগঠনের তরফে আবেদন করা হয়েছে। এরপর ১০ জানুয়ারি ইমেল করে জানতে চাওয়া হয় কিন্তু গিল্ডের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কিছুই জানানো হয়নি। আর সেই জন্য তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।”

    কী বললেন বিচারপতি?

    অপর দিকে গিল্ডের আইনজীবী বলেন, “বিশ্ব হিন্দু পরিষদের লেখা ভীষণ ভাবে স্পর্শকাতর।” এটা শুনে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি সিন্‌হা। রাজ্যের যুক্তির প্রেক্ষিতে বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হা (Calcutta High Court) তখন রাজ্যকে পাল্টা প্রশ্ন করেন, “এত বছর ধরে স্টলের অনুমতি দিয়ে আসা হচ্ছে। তাহলে তখন এই সংগঠনের (Vishwa Hindu Parishad) লেখা স্পর্শকাতর মনে হয়নি কেন? তখন তাহলে কেন অনুমতি দেওয়া হয়েছিল? আর সেক্ষেত্রে এবছরই বা কেন অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না?” 

    তখন গিল্ডের আইনজীবী বলেন, “বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নামে আবেদন করা হয়েছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Vishwa Hindu Parishad) কোনও পাবলিশার্স নয়, কোনও বুকসেলার্সও নয়। এদের পত্রিকা রয়েছে। যার নাম হল বিশ্ব হিন্দু বার্তা।” তখন (Calcutta High Court) বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনারা কি জানতেন যে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নিজস্ব পাবলিকেশন হাউস আছে?’’ এর পর আপাতত মৌখিক ভাবে স্টলের জায়গা দেওয়ার কথা বলেন বিচারপতি। পরবর্তী মামলার শুনানি ২০ জানুয়ারি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nabanna Abhijan: নবান্ন অভিযান বন্ধের প্রয়োজন নেই, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    Nabanna Abhijan: নবান্ন অভিযান বন্ধের প্রয়োজন নেই, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মানুষ মিটিং, মিছিলের সঙ্গে পরিচিত। তাই নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) বন্ধ করার কোনও প্রয়োজন নেই। বৃহস্পতিবার জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে স্পষ্ট জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চের নির্দেশ, এই শহরের মানুষেরা মিছিল, মিটিংয়ে অভ্যস্ত। দীর্ঘদিন ধরেই এসব চলছে, আর এর মধ্যেও তারা শান্তিপূর্ণভাবেই থাকে। তাই নবান্ন অভিযান বন্ধ করার কোনও প্রয়োজন আছে বলে মনে করছে না আদালত।

    নবান্ন অভিযান নিয়ে আদালতে মামলা (Nabanna Abhijan)

    ১৬ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযান কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল ‘নবান্ন চলো’ লেখা একাধিক পোস্টার। সঙ্গে লেখা ছিল স্লোগান, ‘রাত দখলের পর/ আজ দাবি দখল’। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় ওয়েলিংটন স্কোয়্যারে জমায়েতের কথা বলা হয়েছিল। সেখান থেকে মিছিল যাওয়ার কথা ছিল রাজ্যের প্রশাসনিক সদর দফতর নবান্নের দিকে। নবান্ন অভিযান কর্মসূচির নেপথ্যে কারা, তা জানতে চেয়ে সম্প্রতি হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন ভরতকুমার মিশ্র নামে এক প্রবীণ। মামলাকারীর যুক্তি ছিল, ওই মিছিল হলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। তাঁর বক্তব্য, ১৫ জানুয়ারি গঙ্গাসাগর মেলা শেষ হয়েছে। সেখান থেকে ফিরবেন তীর্থযাত্রীরা। তিনি নিজেও গঙ্গাসাগর যাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি সংস্থায় যুক্ত। ফলে ১৬ জানুয়ারি ‘নবান্ন চলো’ কর্মসূচি হলে সমস্যায় পড়তে পারেন তীর্থযাত্রীরা। মঙ্গলবারও ওই মামলার শুনানিতে মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর প্রশ্ন ছিল, ‘‘তীর্থযাত্রীরা তো ডায়মন্ড হারবারের দিক থেকে আসবেন। তা হলে সমস্যা কোথায়?’’

    নবান্ন অভিযান বন্ধ করার কোনও প্রয়োজন নেই!

    বৃহস্পতিবার ওই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ফের কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের (Nabanna Abhijan) মানুষ অত্যন্ত সহনশীল। তাঁদের সহ্যশক্তি অনেক বেশি। তাঁরা দীর্ঘ দিন ধরেই মিটিং-মিছিলে অভ্যস্ত। গাড়ি নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তায় বড় মিছিলে আটকে গেলে কেউ কিছু বলেন না। মা উড়ালপুলে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা আটকে থাকলেও তাঁরা মুখ বুজে সহ্য করেন। তা নিয়ে সবাই খুব খুশি!” আদালতের যুক্তি, বঙ্গে প্রায়ই এমন মিটিং-মিছিল হয়ে থাকে। তাই এই ‘অভিযান’ বন্ধ করার জন্য আলাদা করে আদালতের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই। এ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ পুলিশই করবে বলে জানিয়েছে দুই বিচারপতির বেঞ্চ। এর পরেই মামলাকারীর আইনজীবীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘আপনি গঙ্গাসাগর যান। মেলা শুরুর আগে ও পরে সেখানে সুন্দর ব্যবস্থা থাকে। কপিল মুনির আশ্রম রয়েছে। পরিষ্কার খাবার পাওয়া যায়। সেখান থেকে ঘুরে আসুন!’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Tram: ট্রামকে বাঁচাতে উদ্যোগী হতে হবে সরকারকে, বন্ধ করতে হবে লাইন বোজানর কাজ, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Kolkata Tram: ট্রামকে বাঁচাতে উদ্যোগী হতে হবে সরকারকে, বন্ধ করতে হবে লাইন বোজানর কাজ, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ট্রাম (Kolkata Tram) নিয়ে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মুখ পুড়ল মমতার সরকারের। রাজ্য সরকারকেই ট্রাম বাঁচানোর জন্য বিশেষ ভূমিকা নিতে হবে, উদ্যোগী হতে হবে। ঠিক এই নির্দেশ দিয়ে অবিলম্বে লাইন বোজানোর কাজ বন্ধের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে বলা হয়, প্রধান বিচারপতির বেঞ্চকে ট্রাম লাইন বুজিয়ে ফেলার বিষয়ে ছবি-সহ রিপোর্ট জমা দিতে হবে। 

    রাজ্যের সদিচ্ছা থাকা একান্ত প্রয়োজন (Kolkata Tram)

    কলকাতা শহরে ট্রামের পরিষেবা এবং লাইন তুলে ফেলার একটি মামলায় প্রধান বিচারপতির (Calcutta High Court) একটি পর্যবেক্ষণে বলা হয়, “ট্রাম একটি ঐতিহ্যবাহী যাত্রী পরিষেবা। তুলে দেওয়া খুব সহজ কাজ, কিন্তু বহুদেশে ট্রাম চলে। কোথাও কোথাও রাস্তার একেবারে মাঝখান দিয়ে লাইন করা রয়েছে। রাজ্যে ট্রামকে (Kolkata Tram) বাঁচাতে সরকারকে অনেক বেশি উদ্যোগী হতে হবে। এর জন্য সদিচ্ছা থাকা একান্ত প্রয়োজন।”

    দুই জায়গায় ট্রাম লাইন তুলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ

    কলকাতায় ট্রাম (Kolkata Tram) পরিষেবাকে অব্যাহত রাখতে একটি সামাজিক সংগঠন মামলা করেছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সংস্থার পক্ষে থেকে অভিযোগ ছিল, রাস্তায় যাতে ট্রাম চলতে না পারে, তাই কালীঘাট, ভবানীপুর, জাজেস কোর্ট, খিদিরপুরের ট্রামলাইনে পিচ ঢেলে বুজিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বন্ধ করার কাজ নিয়ে রাজ্য সরকারকে ধাক্কার মুখে পড়তে হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের। প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court) টিএস শিবজ্ঞানম নির্দেশ দেন, “দুই জায়গায় ট্রাম লাইন তুলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ এসেছে, তা নিয়ে কলকাতা পুলিশ তদন্ত করে দেখবে। উপর তলার হাত না থাকলে এই ভাবে বুজিয়ে ফেলা যায় না।” তবে রাজ্যের তরফ থেকে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে তাতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ট্রাম লাইন বুজিয়ে ফেলার কোনও কাজ করা হয়নি।

    আরও পড়ুনঃ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গিয়ে মৃত্যু কেরলের যুবকের, রাশিয়াকে কড়া বার্তা কেন্দ্রের

    লাইন তুলে দিতে প্রস্তুত সরকার

    এখন বিভিন্ন রকমের জটিলতা কাটিয়ে কীভাবে ট্রামকে সচল রাখা যায়, সেই কাজ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে পুলিশ, পরিবহণ দফতর, কলকাতা পুরসভা, রাজ্য পরিবহণ নিগম সহ বিভিন্ন পক্ষের প্রতিনিধিরা। প্রত্যেক সংস্থার লোকজনকে নিয়ে একটি কমিটি গঠনের কথাও বলা হয়েছে। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, হাতে গোনা মাত্র কয়েকটা রুটে চলে ট্রাম (Kolkata Tram)। এখন এগুলিকেও তুলে দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য সরকার। একইভাবে অভিযোগ আরও করা হয়, আদালতের (Calcutta High Court) নানা সুপারিশ এবং পরামর্শকে অমান্য করছে রাজ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ১ টাকায় জমি লিজ সৌরভকে, চুক্তি গেল বিশ বাঁও জলে, বড় ধাক্কা হাইকোর্টে

    Calcutta High Court: ১ টাকায় জমি লিজ সৌরভকে, চুক্তি গেল বিশ বাঁও জলে, বড় ধাক্কা হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) সঙ্গে মমতা সরকারের জমি চুক্তি বিশ বাঁও জলে। চন্দ্রকোনায় ইস্পাত কারখানা তৈরি করার জন্য সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ১ টাকায় জমি লিজ দিয়েছিল মমতা সরকার। সেই জমি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। উচ্চ আদালতে প্রশ্ন ওঠে, প্রয়াগের ফিল্ম সিটির জমি, যা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল, তা কীভাবে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ককে ১ টাকায় লিজ দেওয়া হল! বৃহস্পতিবার ছিল সেই মামলার শুনানি। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ এদিন সাফ জানিয়ে দিল, প্রথমে জমির ভ্যালুয়েশন করাতে হবে, তারপর হবে নিলাম। সেই নিলামে যদি সৌরভের সংস্থা প্রয়োজনীয় দাম দিতে পারে, তখনই তাদের হাতে জমি তুলে দেওয়া যেতে পারে।

    ১৩ ফেব্রুয়ারি রিপোর্ট দিতে নির্দেশ (Calcutta High Court) 

    হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এমন নির্দেশ রাজ্য সরকার তথা সৌরভের সংস্থার কাছে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আদালত এদিন আরও জানিয়েছে, এই ভ্যালুয়েশনের কাজে রাজ্য যাবতীয় সাহায্য করবে সেবি-কে। গোটা বিষয়ে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি রিপোর্ট দিতে হবে হাইকোর্টে।

    আরও পড়ুন: কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত চন্দ্র আর্য, মসনদে কি এবার ‘গর্বিত হিন্দু’?

    বাজেয়াপ্ত করা হয় জমি 

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায় প্রয়াগ গ্রুপকে ফিল্ম সিটি করার জন্য একসময় ৭৫০ একর জমি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। পরবর্তীকালে চিটফান্ড মামলায় নাম জড়ায় ওই সংস্থার। অভিযোগ ওঠে, ফিল্ম সিটিতে বিনিয়োগের টাকা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রতারণা করে তোলা হয়েছিল। সেসময় প্রয়াগ গ্রুপের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। অভিযোগ, সেই ৭৫০ একর জমি থেকেই কিছুটা সৌরভকে কারখানার জন্য দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এনিয়েই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: বাম আমলে শিক্ষা-দুর্নীতি! ২০০৯ সালে প্রাথমিকে চাকরিপ্রাপ্তদের নিয়ে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: বাম আমলে শিক্ষা-দুর্নীতি! ২০০৯ সালে প্রাথমিকে চাকরিপ্রাপ্তদের নিয়ে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক, নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে বাম আমলে ভুয়ো এক্সচেঞ্জ কার্ড দেখিয়ে প্রাথমিকে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর এই বিষয়ে বড় পদক্ষেপ করল কলকাতা হাইকোর্ট।

    আদালতের কী পর্যবেক্ষণ? (Calcutta High Court)

    জানা গিয়েছে, এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ কার্ড (Calcutta High Court) ব্যবহার করে ২০০৯ সালে প্রাথমিকে চাকরি (Primary Recruitment) পান কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী। অভিযোগ ওঠে, বহু চাকরিপ্রার্থী ভুয়ো এক্সচেঞ্জ কার্ড দেখিয়ে চাকরি পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার ২০০৯ সালের প্রাথমিকে চাকরি পাওয়া সব শিক্ষকের এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ কার্ড যাচাই করতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশ, পরবর্তী শুনানির দিন ওই বিষয়ে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিতে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থাকে। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, কার্ড জালিয়াতি করে চাকরি মামলায় আগামী ২৭ জানুয়ারি সব কার্ড যাচাই করে রিপোর্ট দিতে হবে শিক্ষা দফতরের কমিশনারকে। ওই দিনই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    আরও পড়ুন: ‘২০৩১ সালের পরে হিন্দুদেরও পালানোর রাস্তা খুঁজতে হবে’, কীসের ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    সিট গঠনের ইঙ্গিত!

    প্রসঙ্গত, এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ (Calcutta High Court) কার্ড ব্যবহার করে ২০০৯ সালে প্রাথমিকে চাকরি পান কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী। অভিযোগ ওঠে, বহু চাকরিপ্রার্থী ভুয়ো এক্সচেঞ্জ কার্ড দেখিয়ে চাকরি পেয়েছেন। এই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। উত্তর ২৪ পরগনায় ভুয়ো এক্সচেঞ্জ কার্ড ব্যবহার করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে ২৬ জনের চাকরি বাতিল হয়। অন্য জেলাগুলিতে ভুয়ো এক্সচেঞ্জ কার্ড ব্যবহার করে চাকরি পাওয়ার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ। বৃহস্পতিবার সব জেলার প্রাথমিক স্কুল কাউন্সিলকে ২০০৯ সালে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের এক্সচেঞ্জ কার্ড খতিয়ে দেখতে বলল হাইকোর্ট। বৃহত্তর জালিয়াতির ইঙ্গিত পেলে সিট গঠন করা হতে পারে বলে বিচারপতি জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: নির্যাতিতাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিতে হবে পুলিশি নিরাপত্তা, গণধর্ষণ-কাণ্ডে নির্দেশ কোর্টের

    Sandeshkhali: নির্যাতিতাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিতে হবে পুলিশি নিরাপত্তা, গণধর্ষণ-কাণ্ডে নির্দেশ কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) এক মহিলাকে গণধর্ষণের (Gang Rape Case) অভিযোগে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলেও এখনও পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এবার এই মর্মে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নির্যাতিতা। তাঁর প্রাণহানির আশঙ্কাও করেছিলেন। বুধবার এই মামলার শুনানি ছিল। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্যাতিতার বাড়িতে ২৪ ঘণ্টা পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। পরবর্তী শুনানি সোমবার। এদিন পুলিশ তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার কথা জানিয়েছে। পাল্টা রাজ্য পুলিশের দাবি তদন্ত এগিয়েছে অনেকটা, দ্রুত চার্জশিট দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে হিন্দু বাড়ির বউদের তুলে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে  দেশ জুড়ে ব্যাপক শোরগোল পড়েছিল। সেই মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।  

    সুরক্ষা চেয়ে দ্বারস্থ কলকাতা হাইকোর্টে (Sandeshkhali)

    জানা গিয়েছে,সন্দেশলখালির (Sandeshkhali) নির্যাতিতা গতকাল অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় ব্লক তৃণমূল নেতা দলবল নিয়ে অত্যচার চালিয়েছে তাঁর ওপর। এরপর নির্যাতিতা নিজে সন্দেশখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তবে মূল অভিযুক্তকে পুলিশ এখনও গ্রেফতার করেনি। এমন কী অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, নির্যাতিতাকে (Gang Rape Case) থানায় অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য উল্টে হুমকিও দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপর নির্যাতিতা ভয়ে কলকাতা হাইকোর্টের কাছে সুরক্ষা চেয়ে দ্বারস্থ হন।

    আরও পড়ুনঃ বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত চিড়িয়াখানার জমি! শুভেন্দুর প্রতিবাদ মিছিলে সায় হাইকোর্টের

    আদালতের কাছে ন্যায় বিচার চাই

    শাসক দলের নেতাদের দৌরাত্ম্য নিয়ে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নির্যাতিতা (Gang Rape Case) বলেন, “এলাকার তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে আমি সন্দেশখালি পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেছি। আমাকে নানাভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। আমাকে থ্রেট করা হয়েছে। কিন্তু রাজ্যের পুলিশ কোনও ভূমিকা নিচ্ছে না। উল্টে তৃণমূল নেতার হয়ে কাজ করছে। তাই আমি এখন নিরুপায়। অত্যন্ত অসহায়বোধ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি এখন। আমি চাই দোষীরা উপযুক্ত সাজা পাক। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার এখন জেলে থাকার কথা কিন্তু এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রকাশ্যে। আমি মহামান্য আদালতের কাছে ন্যায় বিচার চাই।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত চিড়িয়াখানার জমি! শুভেন্দুর প্রতিবাদ মিছিলে সায় হাইকোর্টের

    Suvendu Adhikari: বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত চিড়িয়াখানার জমি! শুভেন্দুর প্রতিবাদ মিছিলে সায় হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার রবীন্দ্র সদন মেট্রো থেকে ন্যাশনাল লাইব্রেরি পর্যন্ত মিছিল করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বুধবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের সিঙ্গল বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, আগামী ৯ জানুয়ারি দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত মিছিল করা যাবে। তবে মিছিল নিয়ে হাইকোর্ট কিছু শর্তও আরোপ করেছে।

    প্রতিবাদ মিছিলের অনুমতি 

    চিড়িয়াখানার জমি বেআইনিভাবে বেসরকারি কাজে ব্যবহার করার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার মিছিলের ডাক দিয়েছে বিজেপি। সেই প্রেক্ষিতেই রবীন্দ্র সদন মেট্রো থেকে ন্যাশনাল লাইব্রেরি পর্যন্ত মিছিলের অনুমতি চেয়েছিল তারা। তবে আবারও পুলিশের বিরুদ্ধে অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ, রবীন্দ্র সদন থেকে পিটিএস, আলিপুর চিড়িয়াখানা হয়ে ন্যাশনাল লাইব্রেরি পর্যন্ত মিছিল করা যাবে। তবে মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের শালীনতা বজায় রাখতে হবে। হাজার সমর্থক মিছিলে অংশগ্রহণ করতে পারবে। বেলা ১২টা থেকে শুরু করে বিকেল তিনটের মধ্যে শেষ করতে হবে মিছিল ৷ সব রকম নিয়মশৃঙ্খলা মেনে মিছিল করতে হবে বলে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। 

    আরও পড়ুন: অপরাধ, তিনি হিন্দু! বাংলাদেশে যুবককে কুপিয়ে খুন, চুপ শান্তিতে নোবেল জয়ী ইউনূস

    কেন প্রতিবাদ মিছিল 

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ঘোষণা করেন, আলিপুর চিড়িয়াখানার উল্টোদিকে চিড়িয়াখানার জমিতে পিপিপি মডেলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে বরাত দেওয়া হচ্ছে, যেখানে বহুতল নির্মাণ করে একটা ফ্লোরে থাকবে সরকারি জিনিসপত্র বিক্রির স্টল আর অন্যগুলোতে বেসরকারি ব্যবসায়ীরা তাঁদের ব্যবসা করতে পারবেন। এই কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এবার এর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: নতুন তদন্ত চাইলেন আরজি কর নির্যাতিতার বাবা-মা, সিবিআইয়ের থেকে নথি চাইল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: নতুন তদন্ত চাইলেন আরজি কর নির্যাতিতার বাবা-মা, সিবিআইয়ের থেকে নথি চাইল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশে আরজি করকাণ্ডের (RG Kar) পর পরই সিবিআই ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করে। এই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া সন্দীপ ঘোষসহ দুজন জামিন পেয়ে গিয়েছেন। এই ঘটনার পর এবার নতুন করে মেয়ের খুনের তদন্ত চান নির্যাতিতার বাবা-মা। সেই কারণে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেছেন তাঁরা। বর্তমানে যে তদন্ত চলছে তাতে তাঁদের আস্থা নেই। তা তাঁরা প্রকাশ্যে বলেছেনও। এবার তাঁদের দাবি, দ্রুত নতুন করে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিক আদালত। এই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার, বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ, ওই মামলা সংক্রান্ত নথি হাইকোর্টে পেশ করতে হবে সিবিআইকে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    আদালতে কী আর্জি জানাল নির্যাতিতার বাবা-মা? (Calcutta High Court)

    সিবিআই যখন তদন্তভার হাতে নেয়, তখনই স্বতঃপ্রণোদিতভাবে সুপ্রিম কোর্ট এই মামলা গ্রহণ করে। বর্তমানে শীর্ষ আদালতে এই মামলা বিচারাধীন। এই আবহের মধ্যে হাইকোর্ট (Calcutta High Court) মামলা করে আরজি করের নির্যাতিতার পরিবার দাবি করেছে, এই তদন্তের নামে সব তথ্য প্রমাণ লোপাট হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে বিচার প্রক্রিয়া চলছে এবং সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। এখনই যদি আদালত হস্তক্ষেপ না করে তাহলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে। তাঁদের এই আর্জি শুনে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। 

    কী নির্দেশ দিল আদালত?

    সিবিআইকে এই মামলায় যুক্ত করার পাশাপাশি আগামী সোমবার ফের বিষয়টি আদালতে (Calcutta High Court) উল্লেখ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। প্রসঙ্গত, আরজি করকাণ্ড ঘটার কয়েকদিনের মধ্যেই সিবিআই এই তদন্তভার হাতে নেয়। তবে, ৯০ দিনের মধ্যে সিবিআই চার্জশিট দিতে না পারায়, অন্যতম অভিযুক্ত আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের জামিন হয়ে যায়। অসন্তোষে ফেটে পড়েন আন্দোলনকারীরা। সিবিআই যে ঠিক মতো তদন্ত করছে না, এই জামিনই তার প্রমাণ বলে আগেই জানিয়েছিলেন অভয়ার বাবা-মা। এই অবস্থায় আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মার নতুন করে তদন্ত চাওয়ার বিষয়টি যে ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: বিপদ বাড়ল ‘কালীঘাটের কাকু’র! সিবিআই মামলায় আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল হাইকোর্ট

    CBI: বিপদ বাড়ল ‘কালীঘাটের কাকু’র! সিবিআই মামলায় আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকুর’ আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সম্প্রতি ইডির মামলায় শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ। এরই মধ্যে সিবিআই (CBI) তাঁকে হেফাজতে নিতে চাইছে। এই অবস্থায় নতুন করে গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কায় হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানান সুজয়কৃষ্ণ। সোমবার সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্টের বিচারক জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ।

    সিবিআইয়ের আইনজীবী কী বললেন?(CBI)

    নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ইডি এবং সিবিআই (CBI) উভয় কেন্দ্রীয় সংস্থা তদন্ত চালাচ্ছে। প্রাথমিকের নিয়োগ মামলায় ইডিই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। সোমবার নিম্ন আদালতে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত ইডির মামলার শুনানি হয়েছে। সিবিআইয়ের মামলায় আগে অসুস্থতার কারণে সুজয়কৃষ্ণ আদালতে উপস্থিত না থাকলেও, ইডির মামলায় ভার্চুয়ালি হাজিরা দেন। জেল হাসপাতালের বিছানা থেকে লাল কম্বল গায়ে, মাথায় মাফলার জড়িয়ে ভার্চুয়াল হাজিরা দেন তিনি। সিবিআইয়ের আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী জানান, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে নিম্ন আদালত থেকে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছে। যার অর্থ, তাঁকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফলে তাঁকে যে কোনও মুহূর্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নিজেদের হেফাজতে নিতে পারে।

    কেন সুজয়কৃষ্ণকে হেফাজতে নেওয়া হয়নি? প্রশ্ন বিচারপতির

    বিচারপতি বাগচি জানান, সিবিআই (CBI) গ্রেফতার করলে অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করতে হবে। তা কেন সম্ভব হয়নি, জানতে চান বিচারপতি। গ্রেফতারের জন্য যে আইনি কাজগুলি করা দরকার, সেগুলি করা হয়েছে কি না, সে বিষয়েও আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন তিনি। সিবিআইয়ের আইনজীবীকে বিচারপতির প্রশ্ন, কেন অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়া হয়নি। বিচারপতি বাগচির মন্তব্য, যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়, তবে জামিন পাওয়ার অধিকার থাকবে। সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, সুজয়কৃষ্ণ হাসপাতালে ছিলেন বলে তাঁকে গ্রেফতার করা যায়নি। জেল সুপার তাঁদের জানিয়েছিলেন, অভিযুক্ত সেই অবস্থায় নেই। বর্তমানে যেহেতু প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি হয়ে গিয়েছে এবং অভিযুক্তকে যে কোনও মুহূর্তে হেফাজতে নেওয়া যায়, তাই আগাম জামিনের আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানান সিবিআইয়ের আইনজীবী। সে ক্ষেত্রে অভিযুক্তকে জামিনের আবেদন করা প্রয়োজন বলে মত তাঁর।

    সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবী কী বললেন?

    সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবী মিলন মুখোপাধ্যায় জানান, ওই প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট এখনও কার্যকর হয়নি। তাই আগাম জামিনের আবেদন করা যেতেই পারে। হেফাজতে নেওয়ার জন্য শুধু নোটিশ জারি করা হয়েছে। তবে গ্রেফতার করা হয়নি বলেই জানান আইনজীবী। তবে শেষ পর্যন্ত ওই আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: আধাসেনায় ৪৬ হাজার নিয়োগে নির্দেশ দিল হাইকোর্ট, রোজগার মেলায় নিয়োগপত্র দিতে পারবেন মোদি!

    Calcutta High Court: আধাসেনায় ৪৬ হাজার নিয়োগে নির্দেশ দিল হাইকোর্ট, রোজগার মেলায় নিয়োগপত্র দিতে পারবেন মোদি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ জুড়ে আধাসামরিক বাহিনীতে ৪৬ হাজার ৬১৭ শূন্য পদে নিয়োগে সবুজ সঙ্কেত দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। মূল মামলাকারীরা পরবর্তী কালে যোগ্য বলে বিবেচিত হলে তাঁদের মেধা তালিকায় স্থান দিতে হবে।বৃহস্পতিবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, আধাসেনা বাহিনীর ওই নিয়োগের মেধাতালিকা প্রকাশ করা যাবে। ফলে, রোজগার মেলায় চাকরিপ্রার্থীদে নিয়োগপত্র দিতে পারবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।  

    মামলাকারীদের কী বক্তব্য? (Calcutta High Court)

    গত বছর দেশ জুড়ে আধাসেনার ৪৬ হাজার ৬১৭ শূন্য পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় স্টাফ সিলেশন কমিশন (এসএসসি)। সেই মতো সারা দেশে তিন লক্ষের বেশি আবেদন জমা পড়ে। নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে এসএসসি। পশ্চিমবঙ্গের কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী তথা মামলাকারীদের বক্তব্য, আধাসেনার পদে চাকরি পেতে গেলে ১৭০ সেন্টিমিটার উচ্চতা হতে হবে বলে জানানো হয়। তাঁদের উচ্চতা ‘আধ সেন্টিমিটার’ কম রয়েছে, এই যুক্তিতে চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। অথচ নিয়ম অনুযায়ী, ‘আধ সেন্টিমিটার’ উচ্চতা কম হলে ওই পদের যোগ্য বলে বিবেচনা করতে হয়। এরপরই আদালতে মামলা হয়। ওই মামলায় (Calcutta High Court) প্রথমে বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য এবং পরে বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ জানায়, ৩৮ জনের বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। তাঁদের পুনরায় নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুযোগ দিতে হবে। তত দিন মেধাতালিকা প্রকাশ করতে পারবে না এসএসসি। সিঙ্গল বেঞ্চের ওই নির্দেশ পরিবর্তন করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, মেধাতালিকা প্রকাশ করা যাবে। নিয়োগ প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপে মামলাকারীরা উত্তীর্ণ হলে জায়গা পাবেন মেধাতালিকায়।

    আরও পড়ুন: চালিয়ে খেলছে শীত! কলকাতায় ১৩ ডিগ্রির ঘরে পারদ, বঙ্গে তাপমাত্রা নামল ১০-এর নিচে

    রোজগার মেলায় হবে নিয়োগ

    ২০২২ সাল থেকে কেন্দ্র রোজগার মেলার আয়োজন করে। ওই কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় চাকরি প্রাপকদের সরাসরি নিয়োগপত্র দেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ২৩ ডিসেম্বর ওই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে আধাসামরিক বাহিনীর এই ৪৬ হাজার শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা। বাকি দেশে হলেও এ রাজ্যে মামলার জটে নিয়োগপ্রক্রিয়া থমকে গিয়েছিল। সুযোগ না-পেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন ৩৮ জন। তাঁদের মামলায় (Calcutta High Court)সিঙ্গল বেঞ্চ জানায়, মামলাকারীদের বিষয়টি বিবেচনা না-করে ওই নিয়োগপ্রক্রিয়া চালিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না। ১০ দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান রয়েছে। এই অবস্থায় সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে তড়িঘড়ি ডিভিশন বেঞ্চে যায় কেন্দ্র। তারা দ্রুত শুনানির আর্জি জানায়। বৃহস্পতিবার ডিভিশন বেঞ্চ সেনাবাহিনীর ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ছাড়পত্র দেয়।

    কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল কী বললেন?

    কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এএসজি অশোককুমার চক্রবর্তী বলেন, “সেনাবাহিনীর ওই নিয়োগের মেধাতালিকা প্রকাশ করা যাবে। আদালত (Calcutta High Court) নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছে। এর ফলে ওই নিয়োগের আইনি জট কেটে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিয়োগপত্র দিতে পারবেন। সব মিলিয়ে এই রায় নিয়ে আমরা খুবই খুশি। তবে কোর্টের নির্দেশ মেনে মামলাকারীদের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share