Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Calcutta High Court: কেন্দ্রীয় প্রকল্প রাজ্যের নামে! মামলায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানার হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: কেন্দ্রীয় প্রকল্প রাজ্যের নামে! মামলায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানার হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রকল্প বন্ধ করে রাজ্যের নামে প্রকল্প করার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন বিজেপি সাংসদ তথা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মঙ্গলবার কমন সার্ভিস সেন্টারের একটি জনস্বার্থ মামলায় রাজ্যকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করার হুঁশিয়ারি দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ।

    উল্লেখ্য রাজ্য সরকার কেন্দ্র সরকারের প্রকল্প ‘কমন সার্ভিস সেন্টার’ যে বন্ধ করে দিয়েছে, তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি আদালতে দাবি করেছিলেন রাজ্যে প্রায় ৪০ হাজার সিএসসি বন্ধ করে দিয়েছে মমতার সরকার।

    আদালতের নির্দেশ কী (Calcutta High Court)?

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)  প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করে নির্দেশ দিয়ে রাজ্য সরকারকে জানিয়েছে যে আগামী ১২ ডিসেম্বর রাজ্যকে হলফনামা দিতে হবে। উত্তরে, রাজ্য হলফনামা দেওয়ার বিষয়ে অতরিক্ত সময় চাইলে বিচারপতি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করার হুঁশিয়ারি দেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, “সব কিছুতে রাজনীতির রঙ না দেখাই ভালো। এটা যে পিপলস ওয়েলফেয়ার স্কিম।” যদিও এই মাসের প্রথম সপ্তাহে মামলাটি বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চে উঠেছিল। সেই সময় রাজ্যকে হলফনামা দেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিলেন বিচারপতিরা।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার?

    রাজ্যে পঞ্চায়েত স্তরে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে মানুষকে বঞ্চনা করা হচ্ছে। কেন্দ্রের সকল প্রকল্পগুলির জন্য ই-পরিষেবার মাধ্যমে সকলকে পরিষেবা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ২০২০ সাল থেকে এই ‘কমন সার্ভিস সেন্টার’ নাম বদল করে ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’ রাখা হয়। এরপর সুকান্ত মজুমদার হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “প্রকল্প বন্ধের ফলে অনেকের কাজ চলে গিয়েছে। এখানে অনেক তরুণ-তরুণীর কাছে একটা কাজের সুযোগ ছিল। রাজ্য সরকারের রাজনীতির কারণে মানুষ নিজের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। যেমন-কেন্দ্রের বেটি পড়াও বেটি বাঁচাও প্রকল্পকে রাজ্য সরকার কন্যাশ্রী প্রকল্প নাম দিয়েছে।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ভোট পরবর্তী হিংসায় ক্ষতিপূরণ দেয়নি রাজ্য! হাইকোর্ট গঠন করল বৃহত্তর বেঞ্চ

    Calcutta High Court: ভোট পরবর্তী হিংসায় ক্ষতিপূরণ দেয়নি রাজ্য! হাইকোর্ট গঠন করল বৃহত্তর বেঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যজুড়ে লাগামছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। রাজনৈতিক হত্যা, লুট, বাড়ি ভাঙচুর সমেত একাধিক মামলা দায়ের হয়েছিল। বিরোধী মহিলা কর্মীদের উপরও ব্যাপক নির্যাতন হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই সংক্রান্ত মামলাগুলিতে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। অভিযোগ, সেই নির্দেশ মানেনি রাজ্য। তাই গত বছর ২৮ নভেম্বর আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলার শুনানির জন্য গঠন করা হল পাঁচজন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে এই বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

    অভিযোগ ছিল মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে 

    মূলত রাজ্যের মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেই আদালত অবমাননার অভিযোগ করা হয়েছিল। ওই মামলার শুনানির জন্য হাইকোর্টের (Calcutta High Court) গঠন করা নতুন বৃহত্তর বেঞ্চে দুই প্রবীণ বিচারপতি রয়েছেন। এই বেঞ্চে থাকবেন বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাস, বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন, বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী। প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসায় অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ জমা পড়ে। প্রশাসনের সামনেই একাধিক ক্ষেত্রে হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। লাখের ওপর বিজেপি কর্মীকে সেই সময় ঘরছাড়া হতে হয়। ফলে এসবেরই বিচার এবার হতে চলেছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে।

    মামলায় আর কী বলা হয়েছিল?

    গত ২৮ নভেম্বর হাইকোর্টে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় বলা হয়েছিল, দুষ্কৃতীরা যাদের সম্পত্তিহানি, বাড়িঘর ভাঙচুর, লুট এবং ক্ষতি করেছে, তাদের অভিযোগ জমা নিয়েছে ‘রাজ্য লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটি’। সেখানে মামলা বিচারাধীন। পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত উচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে কোনও ক্ষতিপূরণই দেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রে রাজ্যের দাবি ছিল, কলকাতা হাইকোর্টের নিয়ম অনুযায়ী যেসব বিচারপতির দেওয়া নির্দেশ কার্যকর করা হয়নি, তাঁরাই আদালত অবমাননার মামলা শুনতে পারবেন। তবে আগের পাঁচ বিচারপতির মধ্যে দুইজন বিচারপতি বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) নেই। তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে রয়েছেন, অন্যদিকে অবসর নিয়েছেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার। নতুন বেঞ্চ গঠনের মধ্যে দিয়ে সেই বিষয়টিও পরিষ্কার হয়ে গেল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টে বড় জয় বিজেপির, ধর্মতলার সভায় অনুমতি দিতে পুলিশকে নির্দেশ

    Calcutta High Court: হাইকোর্টে বড় জয় বিজেপির, ধর্মতলার সভায় অনুমতি দিতে পুলিশকে নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৯ নভেম্বর কলকাতায় মহা সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিজেপি। অভিযোগ ছিল, এ নিয়ে কলকাতা পুলিশের অনুমতি মিলছে না। জল গড়ায় হাইকোর্ট (Calcutta High Court) পর্যন্ত। অবশেষে বড় জয় পেল বঙ্গ বিজেপি। ২৯ নভেম্বরের সভায় অনুমতি দেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চে (Calcutta High Court) এই মামলাটি ওঠে এবং সেখানেই বিচারপতি পুলিশকে নির্দেশ দেন যে সভার অনুমতি দিতে হবে।

    কী বললেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা?

    বিচারপতি (Calcutta High Court) রাজাশেখর মান্থা এদিন কলকাতা পুলিশকে তুলোধনা করে বলেন, ‘‘স্বাধীন দেশে মানুষ যেখানে মন চায় যাবে। কোনও কারণ ছাড়াই পর পর দু’বার সভার অনুমতি বাতিলের কারণ কী? অনুমোদন বাতিলের দু’টি চিঠি দিয়েছে পুলিশ। অথচ একটিতেও আপত্তির কারণ লেখা নেই। খুব বিস্মিত হচ্ছি পুলিশের এমন জবাব দেখে। কী শর্ত দেবে সেটা পুলিশ ঠিক করুক। কিন্তু অনুমতি দিতে হবে পুলিশকেই। সবার সমানাধিকার থাকা উচিত। কোনও কারণ না দেখিয়ে দু’বার অনুমতির আবেদন খারিজ করা হয়েছে। এতেই সন্দেহের উদ্রেক হয়।’’

    ধর্মতলায় বিজেপির সভা

    প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ যে রাজনৈতিক রং দেখে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে টাকা দেওয়া হচ্ছে না এই যুক্তিতে গত অগাস্টেই অভিষেক ও তাঁর দলবল দিল্লিতে একপ্রস্থ নাটক শুরু করেন। সেই নাটকের আঁচ পরবর্তীকালে দেখা যায় রাজভবনের সামনেও। তখনই বঙ্গ বিজেপি ঘোষণা করে, রাজ্যে যে সমস্ত মানুষদের শাসক দল কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছেন, তাদের নিয়ে বড় সভা করা হবে কলকাতায়। ঠিক যেখানে একুশে জুলাই প্রতি বছর শহিদ দিবস পালন করে তৃণমূল কংগ্রেস, সেই ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়ার সামনেই সভা করার আবেদন জানায় রাজ্য বিজেপি। তবে কলকাতা পুলিশের কাছে আবেদন করা হলেও তারা কোনও রকম অনুমতি দেয়নি। বিজেপির অভিযোগ, কোনও রকম কারণ না দেখিয়ে পরপর দুবারই বিজেপির আবেদন খারিজ করেছে পুলিশ। পরে এ বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) হস্তক্ষেপ চায় রাজ্য বিজেপি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: থানায় যুবকের রহস্য মৃত্যু, পরিবারের হাতে দেহ তুলে দিতে পুলিশকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: থানায় যুবকের রহস্য মৃত্যু, পরিবারের হাতে দেহ তুলে দিতে পুলিশকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চুরি যাওয়া মোবাইল ব্যবহার করায় এক ব্যক্তিকে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় ডেকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে মামলার জল গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। যদিও উচ্চ আদালত (Calcutta High Court) জানিয়েছে যে এই মামলায় দ্বিতীয়বার দেহের ময়না তদন্তের প্রয়োজনীয়তা নেই। এরই মধ্যে মৃত ব্যক্তির দেহ ফেরত চেয়ে শনিবার কলকাতা হাইকোর্টে শুনানির আর্জি জানায় পরিবার। এই মর্মে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানাকে নিহতের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

    পুলিশি নিরাপত্তার ঘেরাটোপে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে

    নিহত অশোক কুমার সাউয়ের পরিবারের তরফে শনিবারই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে (Calcutta High Court) নিহতের দেহ চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী তথা বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। এদিন শুনানির শেষে নিহত অশোক কুমারের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দিতে পুলিশকে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ। এর পাশাপাশি হাসপাতাল থেকে বাড়ি এবং শেষকৃত্য যেখানে সম্পন্ন হবে শ্মশানঘাট পর্যন্ত পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

    থানার সিসিটিভি সংগ্রহ করল পুলিশ

    প্রসঙ্গত, গতকাল প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চে জানিয়ে দিয়েছিল যে মৃত অশোক কুমার সাউয়ের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের প্রয়োজন এখনই নেই। নভেম্বরের পর মামলার (Calcutta High Court) পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছিল। এবং সেই দিন পর্যন্ত দেহ সংরক্ষণে নির্দেশ দেয় আদালত। এর পরেই দেহ সৎকারের আবেদন জানিয়ে ফের হাইকোর্টে যায় মৃতের পরিবার। সেই মর্মে আদালত আজ এই নির্দেশ দিল। এই ঘটনায় মৃতের ভাইপো বিজয় সাউ বলেন, ‘‘গতকাল আমরা পুলিশের কাছে দেহ চাইতে গেলে আমাদের আদালতের নির্দেশ দেখিয়ে বলা হয় দেহ ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে৷ সেই কারণেই দেহ সৎকারের জন্য আমরা ফের হাইকোর্টে আবেদন করেছি৷’’ জানা গিয়েছে, থানার ঐদিনকার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে সংগ্রহ করেছে লালবাজার। এর পাশাপাশি থানায় উপস্থিত সেদিনের সমস্ত পুলিশ কর্মীদের শনিবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম নির্দেশে বিশেষ বেঞ্চ হাইকোর্টে, খুশি চাকরিপ্রার্থীরা

    Calcutta High Court: নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম নির্দেশে বিশেষ বেঞ্চ হাইকোর্টে, খুশি চাকরিপ্রার্থীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তে বিশেষ বেঞ্চ গঠন করল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবারই বিশেষ বেঞ্চ গঠন করা হয়। হাইকোর্ট (Calcutta High Court) সূত্রে জানা গিয়েছে, বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বার রশিদিকে নিয়ে এই বিশেষ বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। এখন থেকে নিয়োগ-দুর্নীতি মামলার সমস্ত শুনানি এই বেঞ্চে হবে বলে জানা গিয়েছে।

    ইডি-সিবিআইকে সময়সীমা বেঁধে দিল শীর্ষ আদালত

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিয়োগ-দুর্নীতির বিভিন্ন মামলায় চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়। এই সংক্রান্ত মামলাতেই গত ৯ নভেম্বর নিয়োগ দুর্নীতিতে তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং ইডিকে তদন্তের সময়সীমা বেঁধে দেয় শীর্ষ আদালত। আগামী দু’মাসের মধ্যে সিবিআই এবং ইডিকে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। একই সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতিতে যে সমস্ত মামলাগুলি শীর্ষ আদালতে ছিল, সেগুলিকেও পুনরায় ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে হাইকোর্টের কাছেই। সেই মামলাগুলো নতুন গঠিত ডিভিশন বেঞ্চেই উঠবে বলে জানা গিয়েছে।

    আশায় বুক বাঁধছেন চাকরিপ্রার্থীরা

    গত ১০ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এই মামলাগুলিকে ফেরত পাঠিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। শীর্ষ আদালত সময়সীমা যেভাবে বেঁধে দিয়েছে, এবার সিবিআই এবং ইডি-র তদন্তে ব্যাপক গতি দেখা যাবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। পুজোর ছুটির পরে গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই কলকাতা হাইকোর্ট খুলেছে। এদিকে আদালত বিশেষ বেঞ্চ গঠন করায় চাকরিপ্রার্থীরাও আশায় বুক বাঁধছেন। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তাঁদের সঠিক বিচার মিলবে, এই আশাতেই  দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে বসে রয়েছেন তাঁরা। চাকরিপ্রার্থীদের মতে, আদালতের (Calcutta High Court) প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। সুবিচার থেকে আমরা বঞ্চিত হবো না।

     

    আরও পড়ুন: ১৯ বছর বয়সী পণবন্দি তরুণীকে হত্যা হামাসের, ট্যুইট করে জানাল ইজরায়েল

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TET: ৯৪ জন প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল, সোমবার থেকে কার্যকর হবে নির্দেশ

    TET: ৯৪ জন প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল, সোমবার থেকে কার্যকর হবে নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯৪ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল হল রাজ্যে। এঁদের মধ্যে টেটে (TET) পাশ করতে পারেননি কেউই তবুও প্রাথমিকের শিক্ষকতা করছিলেন তাঁরা। অযোগ্য এমন ৯৪ জন শিক্ষককে আগেই ছাঁটাই করা নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট এবার সেই নির্দেশ বাস্তবায়িত করার জন্য নোটিশ জারি করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রসঙ্গত, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই। প্রাক্তন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বর্তমানে জেলে রয়েছেন।

    চাকরি গেল ৯৪ শিক্ষকের

    জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালের প্রাথমিকের টেট (TET) পরীক্ষায় নিয়োগ হয় ২০১৬ সালে। সেই থেকে টানা ৭ বছর চাকরি করছিলেন অযোগ্য শিক্ষকরা। ৯৪ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে যাবতীয় তথ্য আদালতে পেশ করে সিবিআই। আদালত পরবর্তীকালে এই ৯৪ জন শিক্ষককে তাঁদের টেট পাশ করার সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তবে কোনও রকমের সার্টিফিকেট তাঁরা জমা দিতে পারেননি। তাই এই ৯৪ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল হল। সত্যিই কি ৯৪ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের ক্ষেত্রে তাদের দায়িত্ব এড়াতে পারে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ? এমনটাই প্রশ্ন রয়েছে বিভিন্ন মহলের। কারণ টেট (TET) পাশ না করার অভিযোগে যাঁরা চাকরি করছিলেন এতদিন, তাঁদের প্রত্যেককেই নিয়োগ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। 

    ৬ নভেম্বর থেকে আর স্কুলে আসতে পারবেন না শিক্ষকরা

    জানা গিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (TET) তরফ থেকে জেলার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরে এই চিঠিগুলি পাঠানো হয়েছে ইতিমধ্যে। জেলার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের একাধিক চেয়ারম্যান চিঠি প্রাপ্তির কথা স্বীকারও করেছেন। আগামীকাল সোমবার ৬ নভেম্বর থেকে এই নির্দেশিকা কার্যকর হবে বলে জানা গিয়েছে। ওই ৯৪ জন অযোগ্য শিক্ষক সোমবার থেকে আর স্কুলে আসতে পারবেন না। তবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এ বিষয়ে কী ভূমিকা ছিল অথবা ৯৪ জন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কী মনে করছেন? এই নিয়ে কোন বিবৃতি এখনও পর্যন্ত সামনে আসেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ-তদন্তে গতি আনতে দিল্লি থেকে আনা হচ্ছে নতুন আধিকারিক! নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের 

    Recruitment Scam: নিয়োগ-তদন্তে গতি আনতে দিল্লি থেকে আনা হচ্ছে নতুন আধিকারিক! নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় গতি আনতে সিবিআই-এর ‘স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম’-এর পুনর্গঠন করা হল। নতুন সিবিআই আধিকারিককে দিল্লি থেকে ডেকে পাঠালেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দিল্লিতে কর্মরত স্নেহাংশু বিশ্বাস নামক ওই অভিজ্ঞ অফিসারকে ২০ অক্টোবরের মধ্যে কলকাতায় বদলি করে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে এখন কোনওভাবেই সরানো যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

    কী বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়?

    বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) ডিআইজি সিবিআই অশ্বিন সেনভিকে সিট পুনর্গঠনের নির্দেশ কার্যকর করতে বলেন।  সিট-কে আরও শক্তিশালী করতে দিল্লি সিবিআই অ্যান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চের ওই অফিসারকে কলকাতায় আনতেই বিচারপতির এই নির্দেশ। নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় এদিনের শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “আদালতকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিরক্ত করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে প্রাইমারি বোর্ড অফ এডুকেশন।” সিবিআই-কে বিচারপতি নির্দেশ দেন, পুজোর ছুটির পরে গোটা নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে হবে। এতদিন ধরে কী কী তদন্ত এই নিয়োগ দুর্নীতিতে হয়েছে, সেটা জানতে হবে। মুখ বন্ধ খামে আদালতে তা জমা করতে হবে সিবিআই-কে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৯ নভেম্বর। সেদিনই মুখ বন্ধ খামে রিপোর্ট জমা করতে হবে সিবিআই-কে।

    আরও পড়ুন: পুজোর উপহার! ফের ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ল কেন্দ্র সরকারি কর্মচারীদের, কত হবে বেতন?

    মামলার গতি রোধ করার চেষ্টা করছে পর্ষদ

    আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় ও সুদীপ্ত দাশগুপ্ত এদিন আদালতে জানান, রাজ্য প্রাথমিক কাউন্সিল সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে। ওএমআর সিট বিতর্কে সিঙ্গেল বেঞ্চের দেওয়া নির্দেশে স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে ওই আবেদনে। ইতিমধ্যেই মানিক ভট্টাচার্য এই মামলায় এসএলপি ফাইল করেছেন। এদিন বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন করা হলে শীর্ষ আদালত খারিজ করে দেয়। ফলে দ্রুত শুনানি ও সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ স্থগিতের আবেদন আপাতত গ্রহণ করা হয়নি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, এই মামলায় সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ থেকে শিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। তারপরেও পর্ষদের এই আবেদন করার পিছনে বলা হয়েছে সিঙ্গেল বেঞ্চ ‘হার্স অর্ডার’ দিয়েছে। যে কোনও ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান চ্যালেঞ্জ করতেই পরে। কিন্তু, এখানে পর্ষদের এই আবেদন আসলে মামলার গতি রোধ করার চেষ্টা বলে মনে করছে আদালত। তাদের এই উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন আসছে।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: হাইকোর্টের কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি! রাতেই ইডি দফতরে গেল অভিষেকের নথি

    Abhishek Banerjee: হাইকোর্টের কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি! রাতেই ইডি দফতরে গেল অভিষেকের নথি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে মঙ্গলবার রাত বারোটার আগেই ইডির কাছে যাবতীয় নথি জমা করলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারে উচ্চ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল যে ১০ অক্টোবরের মধ্যে নথি যদি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জমা না করেন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারবে ইডি।  মনে করা হচ্ছে কলকাতা হাইকোর্টের এই কড়া নির্দেশের পরেই তড়িঘড়ি নথি জমা করতে উদ্যোগী হন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ।

    ইডির অভিযোগ 

    ইডি তরফে আদালতে এদিন অভিযোগ জানানো হয় যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে নির্দেশ মানছেন না এবং তাঁর কাছ থেকে কোনও নথিও জমা দেওয়া হয়নি। সেইমতো বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) আদালতের নির্দেশ না মানলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত সময়সীমাও বেঁধে দেয় কোর্ট। এদিন দুই ব্যক্তিকে নথি হাতে ঢুকতে দেখা যায় ইডি দফতরে।

    গত সপ্তাহেই হাজিরা এড়াতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক 

    ইডি অফিসে নথি জমা দেওয়া সংক্রান্ত মামলার শুনানি গত সপ্তাহেই কলকাতা হাইকোর্টে সম্পন্ন হয়েছিল। বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। মামলার শুনানিতে চলতি মাসের ৫ তারিখে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল যে সমস্ত নথি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) জমা দিতে হবে এবং তার সময়সীমা হাইকোর্ট নির্ধারণ করেছিল ১০ অক্টোবর পর্যন্ত। গত সপ্তাহেই সিঙ্গল বেঞ্চের পর্যবেক্ষণের ব্যাখ্যা চেয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যান অভিষেক। সেখানেই বিচারপতি অভিষেকের আইনজীবী বলেন, ‘‘মাথায় রাখবেন, এটা কোনও সরাসরি তদন্ত নয়। কোর্টের নজিরদারিতে তদন্ত চলছে। তাই সিঙ্গল বেঞ্চ এটা করতে পারে। তদন্তের প্রয়োজনে তদন্তকারী সংস্থার কাছে জবাব চাইতেই পারে সিঙ্গল বেঞ্চ। এমনকি, কোর্টের নজরদারিতে তদন্ত চললে আদালত যদি তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্টে সন্তুষ্ট না হয়, তবে নতুন নির্দেশও দিতে পারেন বিচারপতি।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি সংক্রান্ত দুর্নীতি? জবাব চাইলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Calcutta High Court: মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি সংক্রান্ত দুর্নীতি? জবাব চাইলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য। এরই মধ্যে সামনে এল মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগ। এই ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগ যোগ্য়তা থাকা সত্ত্বেও সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। এর পাশাপাশি রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোতে বেনিয়মের মাধ্যমে ভর্তি করা হচ্ছে পড়ুয়াদের। মেডিক্যাল কলেজে ছাত্র ভর্তির দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগের মামলা গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। মঙ্গলবারই এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে (Calcutta High Court)। অতিসত্ত্বর রাজ্যের কাছে জবাব তলব করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি তিনি ডিরেক্টর অফ মেডিক্যাল এডুকেশন দেবাশিষ ভট্টাচার্যকে আদালতে তলবও করেছেন। এদিনের শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান ভর্তি সংক্রান্ত এই মামলায় অনিয়ম প্রমাণিত হলে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, ভর্তি সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন ইতিশা সোরেন নামে এক নিট পরীক্ষার্থী। 

    ঠিক কী অভিযোগ ছিল মামলাকারীর

    চলতি বছরের ৭ মে নিট পরীক্ষা হয় মেডিক্যালের। গত ১৩ জুলাই এ সংক্রান্ত ফল প্রকাশ হয়। সেখানে দেখা যায় পরীক্ষার্থী ইতিশা সোরেন মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছেন ২৮,৩১৯ নম্বরে। ইতিশা সোরেন একজন তপশিলি সমাজের পড়ুয়া। ইতিশা জানিয়েছেন, এরপরে দুবার তাঁকে কাউন্সেলিং-এ ডাকা হলেও কোনও সরকারি মেডিক্যাল কলেজে (Calcutta High Court) পড়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। এর পাশাপাশি তাঁকে বলা হয়েছে সংরক্ষিত সমস্ত আসন পূরণ হয়ে গিয়েছে। মামলাকারীর আইনজীবী এদিন হাইকোর্টে জানিয়েছেন, তপশিলি জনজাতি সমাজের নন এমন অনেককে সংরক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

    দীর্ঘদিন ধরেই এমন অভিযোগ

    তবে এই অভিযোগ নতুন কিছু নয়। দীর্ঘদিন ধরেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এনআরএস, আরজিকর, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ সহ বেশিরভাগ কলেজগুলিতে সংরক্ষণের নিয়ম না মেনে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছিল দীর্ঘদিন ধরেই। এ বিষয়ে সোমবারই ডিরেক্টর অব মেডিক্যাল এডুকেশন এর অধ্যাপক দেবাশিষ ভট্টাচার্যকে হাইকোর্টে তলব করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court)। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন আগামী দিনে যদি অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণ হয় তাহলে যাঁরা বেনিয়মের মাধ্যমে ভর্তি হয়েছেন। সেই ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি তো বাতিল করা হবে এর পাশাপাশি আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের বিরুদ্ধে ইডির অভিযোগ বহাল রাখল হাইকোর্ট, রইল না তদন্তে বাধা

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের বিরুদ্ধে ইডির অভিযোগ বহাল রাখল হাইকোর্ট, রইল না তদন্তে বাধা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে ইডির করা অভিযোগ খারিজ করল না কলকাতা হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত স্কুল শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় ইডির অভিযোগ বা ইসিআইআর-এর খারিজের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। শুক্রবার এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের পর্যবেক্ষণ, ‘‘তদন্ত চলছে। এই পরিস্থিতিতে ইসিআইআর খারিজের আবেদন অপরিণত অবস্থায় রয়েছে। তাই এই নিয়ে আদালত এখনই কোনও নির্দেশ দেবে না।’’

    বাধা রইল ইডির তদন্তে

    শুক্রবার হাইকোর্টের এই পর্যবেক্ষণের ফলে ইডির তদন্তে আর কোনও বাধা রইল না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রসঙ্গত, এই মামলায় ১৩ সেপ্টেম্বর সল্টলেকের ইডি দফতরে হাজিরা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এর আগে ২১ অগাস্ট প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। সেখানে বাজেয়াপ্ত করা হয় বেশ কিছু নথি। পরবর্তীকালে ২৩ অগাস্ট ইডির প্রেস বিবৃতিতে লিপস অ্যান্ড বাউন্সের সিইও হিসেবে উঠে আসে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের (Abhishek Banerjee) নাম। ইডির এই প্রেস বিবৃতি অনুযায়ী ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত লিপস অ্যান্ড বাউন্সের ডিরেক্টর পদে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র গ্রেফতার হতেই তদন্তে জড়ায় লিপস অ্যান্ড বাউন্স সংস্থার নাম। অভিযোগ, ওই কোম্পানির মাধ্যমেই নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করতেন কালীঘাটের কাকু। এক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে জেলে থাকা তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটেরও হদিস পায় ইডি।

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগেই গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষ। তাঁর চিঠির সূত্র ধরেই উঠে আসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নাম। তৃণমূলের যুবনেতার দাবি ছিল যে অভিষেকের নাম বলার জন্য নাকি তাঁকে চাপ দিচ্ছে ইডি-সিবিআই। পরবর্তীকালে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্যবেক্ষণে বলেন যে প্রয়োজন পড়লে সিবিআই বা ইডি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই একই নির্দেশ পরবর্তীকালে বহাল রাখেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share