Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Calcutta High Court: ৫০ কোটি সমবায় দুর্নীতিকাণ্ডে তদন্তে ইডি-সিবিআই, বহাল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়

    Calcutta High Court: ৫০ কোটি সমবায় দুর্নীতিকাণ্ডে তদন্তে ইডি-সিবিআই, বহাল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ার সমবায় দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ইডি-সিবিয়াইয়ের নির্দেশকে বহাল রাখলেন ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। তবে দিতে হবেনা সিআইডিকে জরিমানার পাঁচ লাখ টাকা। আলিপুরদুয়ারের ঋণদান সমিতিতে ৫০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। আর এই দুর্নীতির কাণ্ডে রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র শোরগোল  পড়ে যায়। রাজ্য প্রশাসনের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির উপর আস্থা রাখতে পারলেন না কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ফলে শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধীরাও তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ  করল। 

    ডিভিশন বেঞ্চ কী রায় দিয়েছে(Calcutta High Court)?

    বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য নির্দেশ দিয়ে জানান, এই মামালায় সিআইডিকে পাঁচ লক্ষ টাকার জরিমানার দিতে হবে না। যদিও এই জরিমানার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ দুর্নীতির তদন্ত বিষয়ে নির্দেশ দিয়ে বলেন, এই দুর্নীতির মামালায় ইডি-সিবিআই তদন্ত করবে। ফলে রাজ্য সরকারে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি আদালতে কার্যত ধাক্কা খেল বলে মনে করছেন বিরোধীরা।

    মামালার প্রেক্ষাপট

    প্রথমিক ভাবে আলিপুরদুয়ার সমবায় দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছিল সিআইডি। কিন্তু তদন্ত নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট হননি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court)। এরপর তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে সিআইডিকে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন। দুর্নীতির বিষয়ে সিআইডিকে তীব্র ভৎসনাও করেন বিচারপতি। তিনি তদন্তকারী সংস্থার অফিসারদের বলেছিলেন যে আপনাদের নিয়ম অনুয়ায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। পরবর্তীতে সিআইডি, হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করে। সেই রায়ের ভিত্তিতে আজ ফের ডিভিশন বেঞ্চ জরিমানাকে বাদ দিয়ে আগের রায়কে বহাল রাখলেন বিচারপতির বেঞ্চ।  

    সূত্রে জানা গেছে, আলিপুরদুয়ারের মহিলা ঋণদান সমিতিতে ২১ হাজার ১৬৩ জন টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। এই সমবায়ে মোট ৫০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়। সমিতির সদস্যরা পরে জানতে পেরেছিলেন এই সমিতি উঠে গেছে। আর এরপরেই অভিযোগ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে ঋণ সমিতির উপভোক্তারা মামলা করেন।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: চাকরিপ্রার্থীর ভুল বানানে তাজ্জব বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, বাতিল করলেন নিয়োগ

    Calcutta High Court: চাকরিপ্রার্থীর ভুল বানানে তাজ্জব বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, বাতিল করলেন নিয়োগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালের প্রাইমারি টেট পরীক্ষায় অনিয়মের বিরুদ্ধে একের পর এক রায় দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর রায়ে স্বস্তি পেয়েছেন যোগ্য প্রার্থীরা। এদিকে সম্প্রতি, কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) নিজেকে যোগ্য বলে দাবি করেন এক চাকরিপ্রার্থী। তিনি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসের দ্বারস্ত হন। আদালতে তিনি মামলা করেন যে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় ৬টি প্রশ্ন ভুল ছিল, এই নম্বর পেলে তিনি চাকরিটা পেতেন। চাকরিপ্রার্থীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে ইন্টারভিউ এবং অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট এর নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার সেই ইন্টারভিউয়ের ভিডিও দেখে বিস্মিত হয়ে গেলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। 

    ইন্টারভিউ-এর ভিডিও 

    বিচারপতির (Calcutta High Court) প্রশ্ন, ‘‘এই যোগ্যতা নিয়ে আপনি শিক্ষকতা করবেন? আপনার আবেদন খারিজ করতে বাধ্য হচ্ছি।’’  আসলে ইন্টারভিউ-এর ভিডিওতে দেখা যায় ওই চাকরিপ্রার্থী ব্ল্যাকবোর্ডে লিখছেন, ‘‘আমরা চাষ করী আনন্দে’’, সঠিক বানান হওয়া উচিত ছিল ‘করি’। কিন্তু তিনি লিখেছেন ‘করী’। পাশাপাশি চাকরিপ্রার্থীকে পাল্টা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, ‘‘বলুনতো দুর্গা বানান কি?’’ মৌখিকভাবে প্রার্থী জানান, ‘দূর্গা’ হল সঠিক বানান। চাকরিপ্রার্থীর আবারও ভুল বানান শুনে কার্যত বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি (Calcutta High Court) গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘এই সাধারণ ছোটখাটো বানান না জানলে আপনি শিক্ষক হবেন কীভাবে?, করি বানানে ভুল হল কেন?’’ চাকরিপ্রার্থী উত্তর দেন, ‘‘আমি নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলাম অনেকদিন আগে পড়াশোনা করেছি তো তাই।’’

    বিচারপতির পাল্টা উত্তর

    বিচারপতি (Calcutta High Court) পাল্টা বলেন, ‘‘আমিও তো অনেক আগে পড়াশোনা করেছি আমারও তো ভুল হওয়ার কথা।’’ এরপরে সম্পূর্ণ ভিডিও আর দেখেননি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘আমি আর সমস্ত ভিডিওটা দেখব না। এই বিদ্যা নিয়ে স্কুলে পড়ানোর যোগ্যতা আপনার নেই! আপনার থেকে অনেক কম যোগ্য চাকরিপ্রার্থী অনিয়মের ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছে, কিন্তু আপনিও স্কুলে পড়ানোর যোগ্য নন।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Calcutta High Court: কবে সম্ভব রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতির নির্বাচন? জানতে চাইল আদালত

    Calcutta High Court: কবে সম্ভব রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতির নির্বাচন? জানতে চাইল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটির নির্বাচনের দিনক্ষণ কবে করা সম্ভব? রাজ্যের কাছে তা জানতে চাইলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা। শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা এই মর্মে নির্দেশ দেন আগামী মঙ্গলবার এর মধ্যে অর্থাৎ ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজ্যকে জানাতে হবে যে রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে কবে নির্বাচন হচ্ছে? পাশাপাশি বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দিয়েছেন, যতদিন না পর্যন্ত স্থায়ী সমিতি গঠন হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত বিরোধী পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনওরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না পুলিশ। 

    বিচারপতির পূর্বের নির্দেশ

    প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ১১ তারিখ বিচারপতি (Calcutta High Court) অমৃতা সিনহা ওই পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটি গঠনের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করেছিলেন। এর ফলে সভাপতি নির্বাচিত হলেও সেখানে কোনও স্থায়ী কমিটি গঠন হয়নি, ইতিমধ্যে ডোমকলের মহকুমা শাসককে হাইকোর্ট জানিয়েছিল যে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী কমিটির কোনও রকমের বৈঠক ডাকা যাবে না। শুক্রবারই কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এই মর্মে শুনানি চলাকালীন রাজ্যের মতামত জানতে চাইলেন অমৃতা সিনহা।

    আরও পড়ুন: মউ স্বাক্ষরই সার, মমতার এবারের বিদেশ সফরের নিটফল সেই ‘অশ্বডিম্ব’!

    বিরোধীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ

    প্রসঙ্গত, রানিনগরের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন বাম সমর্থিত একজন কংগ্রেস প্রার্থী। কিন্তু বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, পুলিশকে ব্যবহার করে স্থায়ী সমিতি গঠন করতে দিচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেস। একই সঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে বলে দাবি বিরোধীদের। ৬ জন বিরোধী সদস্যের ওপর বর্তমানে মামলা চলছে। কংগ্রেসের দাবি, ভোটে অংশ নিতে চান তাঁরা। প্রসঙ্গত, রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতির মোট সদস্য ৪২ জন। বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীরা এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়।

    আরও পড়ুুন: “ওরা সনাতন ধর্মকে মুছে দিতে চায়”, মধ্যপ্রদেশে প্রধানমন্ত্রীর নিশানায় ইন্ডি-জোট

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “পুলিশ এবং অভিযুক্তদের যোগসাজশ ভাঙতে হবে” তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: “পুলিশ এবং অভিযুক্তদের যোগসাজশ ভাঙতে হবে” তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাসপেন্ড করলেও বেতনের একটা অংশ পেয়ে রীতিমতো আরাম করবে পুলিশ। তাই পুলিশ এবং অভিযুক্তদের যোগসাজশ ভাঙতে হবে। ঠিক এভাবেই তীব্র ভর্ৎসনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta high court) বিচারপতি। পূর্ব মেদিনীপুরে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মামলা দায়ের হলে হাইকোর্টের বিচারপতির এই মন্তব্যে তীব্র শোরগোল পড়ে যায়। বার বার শাসক-বিরোধীদের পাশাপাশি বিচারপতিদেরও এই ধরনের মন্তব্যে পুলিশ-প্রশাসনের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা কতটা থাকবে, এই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। 

    পুলিশকে কেন ভর্ৎসনা কোর্টের (Calcutta high court)?

    নিম্ন আদালতে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে, পুলিশ একটি চার্জশিট জমা করে। কিন্তু পরে দেখা যায় চার্জশিটে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের বদলে মার্চ মাসের তারিখ উল্লেখ করা রয়েছে। পুলিশের গাফিলতির বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন চার্জশিটে অভিযুক্তরা। এই মামলার শুনানির সময় বিচারপতি (Calcutta high court) তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, “সাসপেন্ড করলে বেতনের একটা অংশ পেয়ে পুলিশ আরামেই থাকবে। সেই সঙ্গে অভিযুক্তদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বেআইনি কাজ করবে। পুলিশ এবং অভিযুক্তদের এই যোগসাজশকে ভাঙতে হবে।” পুলিশ কর্মীদের আরও কড়া প্রশিক্ষণের কথা বলে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি। বিচারপতির এই মন্তব্যে পুলিশের ভূমিকা এবং কাজের ধরন নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। তাহলে কি পুলিশ দোষীদের আড়াল করে অপরাধকে পরোক্ষে মদত করছে। বিচারপতির এই মন্তব্যে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।

    মামলা কী ছিল?

    জানা গেছে, ২০১৪ সালে তমলুক থানার অন্তর্গত এক এলাকায় মোবাইলের টাওয়ার বসানোর কথা বলেছিল এক সংস্থা। সেই সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে মামলা দায়ের করা হয়। প্রতারণার মূল অভিযোগ ছিল নিউটাউনের এক সংস্থার বিরুদ্ধে। পুলিশ তদন্তে নেমে ১৫ জনকে গ্রেফতার করে। কিন্তু সময়মতো পুলিশ চার্জশিট দিতে পারেনি। নিম্ন আদালতে সেই চার্জশিট জমা হয় ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে। কিন্তু তার পরেও দেখা যায়, সিটে তারিখ রয়েছে ২০২২ সালের মার্চ মাসের। আর এই মামলায় সঠিক ভাবে তদন্ত না করার অভিযোগে ফের মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta high court)। আর তারপরই বিচারপতি পুলিশের তীব্র সমালোচনা করেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ইন্ডি জোটের বৈঠকের দিনই ইডির তলব অভিষেককে

    Abhishek Banerjee: ইন্ডি জোটের বৈঠকের দিনই ইডির তলব অভিষেককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) নোটিস পাঠাল ইডি। ১৩ সেপ্টেম্বর হাজিরা দিতে বলা হয়েছে ওই নোটিসে। প্রসঙ্গত ১৩ সেপ্টেম্বর ইন্ডি জোটের সমন্বয় কমিটির প্রথম বৈঠক রয়েছে এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এই কমিটিতে রয়েছেন। রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ এ নিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) লেখেন, ‘‘১৩ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের কো-অর্ডিনেশন কমিটির প্রথম বৈঠক। ওই কমিটির আমি একজন সদস্য। অথচ একটু আগেই আমাকে ইডির তরফে নোটিস পাঠানো হল। ওইদিনই আমাকে তলব করেছে ওরা।’’

    বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ 

    প্রসঙ্গত নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগেও তলব করা হয় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে। ধৃত কুন্তল ঘোষের একটি চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে ডেকে পাঠায় ইডি। পরবর্তীকালে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। কালীঘাটের কাকুর মারফত সন্ধান মেলে ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থার। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে ইডি জানতে পারে এক সময় এই সংস্থার সিইও ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রশ্ন তোলেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) যদি ওই সংস্থার সিইও থাকেন, তাহলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি কোনও পদক্ষেপ কেন নিচ্ছে না?’’ বিচারপতি অমৃতা সিনহা সেদিন নির্দেশ দেন, এসংক্রান্ত তথ্য ১৪ সেপ্টেম্বর জমা দিতে হবে হাইকোর্টে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেরা করতে তাই ১৩ সেপ্টেম্বর ডেকে পাঠানো হল ডায়মন্ডহারবারের সাংসদকে।  প্রসঙ্গত, ১২ সেপ্টেম্বর স্পেন ও দুবাই সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ঠিক তার পরের দিনই ডেকে পাঠানো হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee)। এর আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে (Abhishek Banerjee) তলব করা হয়েছিল পঞ্চায়েত ভোটের আগে।

    কী বলছে বিজেপি

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Abhishek Banerjee) তলব নিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ইডি, সিবিআই নিয়ে যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কথা তৃণমূল বলছে, এসব শুনে মানুষ ক্লান্ত। তদন্তকারী সংস্থা কখন, কাকে ডাকবে, সেটা তো তাদেরই বিষয়। আর আমরা তো চাই ইন্ডি জোট আরও শক্তিশালী হোক। ভারতবর্ষের কোথায় কী জোট হচ্ছে, আমাদের জানার দরকার নেই। আমরা চাই বাংলা থেকে এই জোট আরও শক্তিশালী হোক।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা বন্ধ হল কেন? রাজ্যের কাছে হলফনামা চাইল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা বন্ধ হল কেন? রাজ্যের কাছে হলফনামা চাইল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মানুষের কাছে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা কেন বন্ধ করা হল? তা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। রাজ্যের কাছে এ নিয়ে হলফনামা চেয়েছে হাইকোর্ট। সোমবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ সুবিধার বিষয় সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আড়ালে কেন রাখা হল (Calcutta High Court)? ১৫ দিনের মধ্যে তা রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। এ প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন,‘‘কেন্দ্রীয় সুবিধা (Calcutta High Court) বন্ধ করে রাজ্য যে ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’ তৈরি করেছে, তার কাজ আদালতের কাছে স্পষ্ট নয়। রাজ্যের এমন পদক্ষেপের কারণ আদালতের কাছে পরিষ্কার নয়।’’

    গত মাসেই এ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা করেন সুকান্ত মজুমদার

    প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা থেকে রাজ্যের মানুষকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এই অভিযোগ তুলে গত মাসেই হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বালুরঘাটের সাংসদের বক্তব্য, ‘‘বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করার জন্যই কমন সার্ভিস সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার।’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতির আরও দাবি, ওই প্রকল্পগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে দেড় লক্ষ মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়েছেন। এই সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলা দায়ের করতে নিজেই কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) হাজির হয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার।

    কেন্দ্রের ২০০টি পরিষেবার সুবিধা নানা ভাবে পেয়ে থাকেন রাজ্যের মানুষ

    তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় পরিষেবা থেকে বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করতেই মুখ্যমন্ত্রী এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কেন্দ্রের ২০০টি প্রকল্পের সুবিধা পান রাজ্যের মানুষ । সুকান্ত মজুমদার আরও দাবি করেছিলেন যে সিএসসির মাধ্যমে পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা জানতে পারতো গ্রামের মানুষজন। ২০২০ সালের মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার ওই পরিষেবা তুলে দেয়।  বিজেপির রাজ্য সভাপতির এই জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এবার হলফনামা চাইল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Murder: বিজেপি নেতা খুনে অভিযুক্তকে জামিন পাইয়ে দিতে ‘চক্রান্তে’ সামিল পুলিশ! মত হাইকোর্টের

    BJP Murder: বিজেপি নেতা খুনে অভিযুক্তকে জামিন পাইয়ে দিতে ‘চক্রান্তে’ সামিল পুলিশ! মত হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত মে মাসে পূর্ব মেদিনীপুরে ময়নায় বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভূঁইয়া খুন (BJP Murder) হন। ওই খুনের ঘটনায় একাধিক তৃণমূল নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে জামিনে মুক্ত করতে চক্রান্ত (BJP Murder) করছে পুলিশ, সোমবার এই মামলার শুনানিতে এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। প্রসঙ্গত, এই খুনের (BJP Murder) ঘটনায় ৯১ দিনের মাথায় চার্জশিট পেশ করে। আইন অনুসারে ঠিক তার আগের দিনই জামিন পেয়ে যান মূল অভিযুক্ত। কেন চার্জশিট পেশ করতে একদিন সময় বেশি লাগল পুলিশের, তা ব্যাখ্যা করতে গিয়েই এই মন্তব্য করে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, গত ৪ অগাস্ট জামিন পেয়ে যায় মূল অভিযুক্ত (BJP Murder)। ঠিক তার পরের দিনই আদালতে চার্জশিট জমা পড়ে পুলিশের।

    কেন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিতে হয়, তার কারণ ব্যাখ্যা করেন বিচারপতি

    ময়নায় বিজেপি নেতা খুনের (BJP Murder) ঘটনায়, সিবিআই তদন্তের দাবিতে মামলাটি হাইকোর্টে ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন যে আমরা কোনও মামলা সিবিআই-সিআইডিকে দিতে চাই না। কিন্তু কেন আমাদের এই কাজ করতে হয় তার স্পষ্ট উদাহরণ দিচ্ছি। এরপরেই বিচারপতি বলেন, ‘‘গত ৪ অগাস্টই চার্জশিট তৈরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও সেই চার্জশিট আদালতে পেশ করা হয়নি। মূল অভিযুক্তকে জামিন পাইয়ে দিতেই পুলিশ এই কাজ করেছে (BJP Murder)। ৫ অগাস্ট চার্জশিট আদালতে পেশ করেছে পুলিশ (BJP Murder)। এতে স্পষ্ট মূল অভিযুক্তকে জামিন পাইয়ে দিতে পুলিশের চক্রান্ত (BJP Murder)।’’ 

    মামলায় এসসি-এসটি আইনের ধারা যোগ হওয়ার পরেও কীভাবে জামিন, প্রশ্ন হাইকোর্টের

    বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের আর প্রশ্ন, মামলাতে এসসি-এসটি আইনের ধারাগুলিকে যোগ করা হয়েছে। তারপরেও কীভাবে মূল অভিযুক্ত (BJP Murder) জামিন পেতে পারেন? প্রসঙ্গত,  বিজয়কৃষ্ণ ভূঁইয়াকে বোম মারতে মারতে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছে তাঁর পরিবার। তারপরেও বিস্ফোরক আইনের কোনও ধারা কেন যোগ করা হয়নি তাও জানতে চান বিচারপতি।   ১৮ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির  দিন রয়েছে। সেদিন এই সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিতে হবে পুলিশকে, এমন কথাই শুনিয়েছেন বিচারপতি (BJP Murder)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টের রিপোর্ট প্রকাশ, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কোন রায় বছরের সেরা?

    Calcutta High Court: হাইকোর্টের রিপোর্ট প্রকাশ, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কোন রায় বছরের সেরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশিত হল। বই আকারে প্রকাশিত হওয়া এই রিপোর্টগুলিতে রয়েছে বিচারপতিদের দেওয়া অন্যতম সেরা রায়গুলি। তাতে স্থান পেয়েছে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া প্রাথমিকে নিয়োগ মামলার রায়। তালিকায় নাবালিকার গর্ভপাতের রায় থেকে শুরু করে বন্যপ্রাণ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ, এই সমস্ত কিছু রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের এই বার্ষিক রিপোর্টে। বই আকারে এই রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ায় সাধারণ মানুষের কাছে হাইকোর্টের কাজকর্ম এবং আদালতের (Calcutta High Court) দেওয়ার রায় আরও বোধগম্য হয়ে উঠবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া রায়

    প্রসঙ্গত, গত বছর থেকে এই নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় গতি আসে। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হন তৃণমূলের বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। আবার নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় উঠে আসে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। হাইকোর্টের প্রকাশিত ওই বইতে বলা হচ্ছে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সেরা রায় (Calcutta High Court) দিয়েছেন। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির সত্য উদঘাটন এবং এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তি দিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি।

    প্রধান বিচারপতির সেরা রায়

    কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বিচারপতিদের এজলাসে সারা বছর ধরে অসংখ্য মামলা চলে। হাইকোর্টের প্রকাশিত এই রিপোর্টে সেই সমস্ত মামলা থেকে একটি রায়কে বাছাই করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রত্যেক বিচারপতিদের জন্য একটি সেরা রায় বাছাই করে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। এই রায়ে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের (Calcutta High Court) একটি গুরুত্বপূর্ণ রায়ের উল্লেখ রয়েছে। সেটি আয়কর বিভাগ সম্পর্কিত একটি মামলা। অন্যদিকে বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ জুভেনাইল আইন সংক্রান্ত একটি রায় দিয়েছেন তা সেরার তালিকায় স্থান পেয়েছে। এভাবেই প্রকাশিত হয়েছে বাকি বিচারপতিদের রায়ও।

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বহু চর্চিত নাম

    জুলাই ২০২২ সাল থেকে জুন ২০২৩ সাল পর্যন্ত এক বছরে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে বইতে। বিভিন্ন আদালতে (Calcutta High Court) এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কত মামলা এসেছে সে মামলা গুলির বর্তমানে কী অবস্থা রয়েছে, তা নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান ও গ্রাফের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতিদের মধ্যে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় নিয়ে সবথেকে চর্চা হয়। তাঁর রায়কে ঘিরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heritage Building: বাঁকুড়ার হেরিটেজ ভবনে তৃণমূল-সিপিএমের জোড়া দখলদারি! সক্রিয় কলকাতা হাইকোর্ট

    Heritage Building: বাঁকুড়ার হেরিটেজ ভবনে তৃণমূল-সিপিএমের জোড়া দখলদারি! সক্রিয় কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ার হেরিটেজ ভবন এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল (Heritage Building) হল থেকে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তৃণমূলের এই পুরসভা এলাকায় সিপিএমের কো-অর্ডিনেশন কমিটি এই হেরিটেজ ভবনের এক অংশ দখল করে রেখেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। দোকানঘর বানিয়েছে খোদ তৃণমূল পরিচালিত পুরসভাও।

    হাইকোর্টের কী নির্দেশ (Heritage Building)?

    বুধবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এই হেরিটেজ বিল্ডিংকে (Heritage Building) রক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে নির্দেশে বলা হয়, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে হেরিটেজ ভবনের এলাকা চিহ্নিত করতে হবে এবং বিল্ডিং সংলগ্ন অবৈধ নির্মাণ দ্রুত ভেঙে ফেলতে হবে। এই বিষয়ে জেলাশাসককে হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর করার জন্য বলা হয়েছে।

    কীভাবে জবরদখলে হেরিটেজ বিল্ডিং (Heritage Building)?

    রানি ভিক্টোরিয়ার বড় পুত্রের নাম অ্যাঁলবার্ট এডওয়ার্ড (Heritage Building)। ১৯০১ সাল থেকে ১৯১০ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের শাসক ছিলেন তিনি। তাঁর স্মরণেই বাঁকুড়া সদরে তৈরি হওয়া ভবনের নামকরণ করা হয়। ১৯১১ সালে এই ভবনটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু এই হেরিটেজ ভবনের একটি ভাগ দখল করে হয়েছে স্টাফ কোয়ার্টার এবং বেশ কিছু পাকা দোকানঘর তৈরি করছে বাঁকুড়া পুরসভা। অন্যদিকে এই হেরিটেজ বিল্ডিং-এর আরেকটি অংশ দখল করেছে বাম কর্মচারী সংগঠনের স্টেট কো-অর্ডিনেশন কমিটি।

    কেন আদালতে মামলা হয়েছিল?

    হেরিটেজ বিল্ডিংয়ে (Heritage Building) বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে এলাকা দখলমুক্ত করতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বাঁকুড়ার শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সমাজ নামে এক সংগঠন। এই অভিযোগের আগেই হাইকোর্ট জেলার ভূমি এবং ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায়। উল্লেখ্য এই রিপোর্টে বেআইনি দখলদারির বিষয়ে বিস্তৃত তথ্য দেওয়া হয়েছিল। অবশেষে গতকাল হাইকোর্টের নির্দেশে এলাকা দখলমুক্ত করার কথা বলা হয়।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ৯ বছর ধরে বন্ধ প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, হাইকোর্টে জানাল পর্ষদ

    Calcutta High Court: ৯ বছর ধরে বন্ধ প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, হাইকোর্টে জানাল পর্ষদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৯ বছর ধরেই রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ বন্ধ রয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ঠিক এমনটাই জানালো প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মঙ্গলবার এই রিপোর্টের পাল্টা হলফনামা চেয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court)। অন্যদিকে জানা গিয়েছে মামলার পরবর্তী শুনানি ৪ সেপ্টেম্বর।

    প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি আদালতে (Calcutta High Court) কী জানালেন?

    মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে শেষবারের মতো বিএড ডিগ্রিধারী যাঁরা, তাঁরা প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা করতে ঢুকেছিলেন। তাঁদের শেষবারের মতো ব্রিজ কোর্স করানো হয়েছে। তারপর থেকে এই কোর্স আর করানো হয়নি। কিন্তু এনসিআরটি-র গাইডলাইন অনুযায়ী প্রশিক্ষণ ছাড়া পড়াতে পারবেন না প্রাথমিক শিক্ষক বা হাই স্কুলের শিক্ষকরা। প্রাথমিকের জন্য ডিএড ও ডিএলএড কোর্স করতে হবে। এনসিআরটি-র নিয়মে বিএড-এর যাঁরা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তাঁরা প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি পেতে পারেন। কিন্তু চাকরি পাওয়ার এক বছরের মধ্যে তাঁদের ব্রিজ কোর্স সম্পূর্ণ করতে হবে (Calcutta High Court)।

    উচ্চ প্রাথমিকের শূন্যপদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন

    অন্যদিকে, মঙ্গলবারই উচ্চ প্রাথমিকের শূন্যপদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। প্রসঙ্গত, এর আগেই কমিশন জানিয়েছিল খুব তাড়াতাড়ি শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে। এবার চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হল। গত ২৩ অগাস্ট ১৩,০০০ চাকরি প্রার্থীর প্যানেল প্রকাশ করেছিল এসএসসি। প্রসঙ্গত, উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছিল ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে। সে পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছিল ২০১৬ সালে। কিন্তু তারপরে ৯ বছর ধরে আটকে রয়েছে নিয়োগ। নিয়োগের দাবিতে পথে নেমে আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.westbengalssc.com/-এ সমস্ত খুঁটিনাটি তথ্য মিলবে।

    আরও পড়ুন: জানেন কোন ২১ জন বিধায়ক পশ্চিমবঙ্গকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিলেন?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share