Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Calcutta High Court: অভিষেককে কেন তলব নয়? ইডির কাছে জানতে চাইল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: অভিষেককে কেন তলব নয়? ইডির কাছে জানতে চাইল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি  নিয়ে জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ইডির কাছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে খোঁজ নেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতির নির্দেশ, আগামী ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ইডিকে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি

    দিনকয়েক আগেই ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্স’-এর অফিসে তল্লাশি চালায় ইডি

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগেই ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্স’ কোম্পানির অফিসে তল্লাশি চালায় ইডি। সেখান থেকে মেলে বেশ কিছু নথি। তার পরবর্তীকালে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা একটি সাংবাদিক সম্মেলনও করে। ইডির প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্স’ এর প্রাক্তন সিইও হিসেবে রয়েছে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। প্রসঙ্গত ইডির দাবি এই ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্স’ সংস্থাকে কাজে লাগানো হতো নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকার সাদা করার কাজে। ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্স’ এর কাজ অবশ্য জানা গিয়েছে, পরামর্শদানে নামে বিভিন্ন সংস্থার কাছে টাকা নেওয়া। তবে কী ধরনের পরামর্শ ঠিক দেওয়া হতো, তা অবশ্য জানা যায়নি। যে সমস্ত কোম্পানিকে পরামর্শ দানের ভিত্তিতে তারা টাকা নিয়েছে সেই কোম্পানি বা সংস্থাগুলির অস্তিত্ব আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে ইডি। অন্যদিকে, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্স’ সংস্থাটি যে তাঁরই এটা কার্যত মেনে নিয়েছেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ নিজেও। সোমবার ছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস এবং এখানেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্স’ আমার সংস্থা।  

    বিচারপতি অমৃতা সিনহার পর্যবেক্ষণ

    বিচারপতি (Calcutta High Court) অমৃতা সিনহার পর্যবেক্ষণ যে ইডির বিজ্ঞপ্তিতেই বলা হচ্ছে ঐ সংস্থার মারফত কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। কিন্তু সেই বিষয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মাত্র একবারই তলব করা হয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয়বার তলব কেন করা হয়নি সেটাই জানতে চেয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। মামলার (Calcutta High Court)পরবর্তী শুনানি ১৪ সেপ্টেম্বর। অন্যদিকে, বিচারপতি (Calcutta High Court) অমৃতা সিনহা এদিন জানিয়েছেন যে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তের জন্য গঠিত সিবিআই-এর বিশেষ তদন্তকারী দলই তদন্ত করবে পুর নিয়োগ দুর্নীতির। পাশাপাশি আদালতের (Calcutta High Court) নজরদারিতে চলবে এই দুর্নীতির তদন্ত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JU Student Death: পুতুল নিয়ে মেন হস্টেলে ফরেন্সিক দল, তিনতলা থেকে ফেলা হল বিভিন্ন কোণে

    JU Student Death: পুতুল নিয়ে মেন হস্টেলে ফরেন্সিক দল, তিনতলা থেকে ফেলা হল বিভিন্ন কোণে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৯ অগাস্ট হোস্টেলের তিন তলার বারান্দা থেকে কীভাবে পড়ে যান স্বপ্নদীপ? (JU Student Death) সেই উত্তর খুঁজতে এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির হয় ফরেন্সিক দল। তাদের হাতে ছিল একটি পুতুল। ফরেনসিক দলের সঙ্গে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও এদিন যান যাদবপুরের মেন হোস্টেলে। বিভিন্ন কোণ থেকে ওই পুতুলটিকে (JU Student Death) ফেলা হয়। প্রসঙ্গত, এদিনই যাদবপুরের ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়কে তলব করে মানবাধিকার কমিশন। অন্যদিকে, যাদবপুরের দ্বিতীয় জবাবে সন্তুষ্ট না ফের চিঠি পাঠাতে চলেছে ইউজিসি।

    পুতুল নিয়ে যাদবপুরে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা

     ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলির থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, পা পিছলে পড়ে গেলে কীভাবে পড়ছে পুতুলটি (JU Student Death)! কেউ ধাক্কা দিলে ফেলে দিলে কীভাবে পড়ছে! নিজে থেকে ঝাঁপ দিলে কীভাবে পড়ছে! এই তিনরকমভাবে ফেলা হয় পুতুলটিকে। পা পিছলে পড়ে গেলে দুর্ঘটনা, নিজে ঝাঁপ দিলে আত্মহত্যা (JU Student Death), কেউ ঠেলে দিলে খুন। পুতুল নিয়ে এদিন এই তদন্তই করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। এদিনের ঘটনার পুননির্মাণের সময় গোটা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করে দেওয়া হয়। তবে এটাই প্রথম নয় এর আগেও যাদবপুরকাণ্ডে ধৃত ছাত্র সপ্তক কামিল্যাকে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে প্রশাসন।

    ৯ অগাস্ট পুলিশকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে বাধা,জবাব চাইল হাইকোর্ট

    অন্যদিকে, ৯ অগাস্টের ওই রাতে (JU Student Death) পুলিশকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে নিয়ে পুলিশ একটি পৃথক মামলা রজু করে ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে। এবার এ নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কৈফিয়ত চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ প্রশ্ন করেন, যাদবপুরে সেই রাতে পুলিশকে কেন ঢুকতে দেওয়া হয়নি (JU Student Death)? আগামী দু সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহি করা নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্ট ইউনিয়নকে মামলার পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Ganguly: কলকাতার পর কালিম্পং! বুলডোজারে বেআইনি নির্মাণ ভাঙার পরামর্শ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Justice Abhijit Ganguly: কলকাতার পর কালিম্পং! বুলডোজারে বেআইনি নির্মাণ ভাঙার পরামর্শ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে এর আগেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) টেনে এনেছিলেন যোগীরাজ্যের বুলডোজার মডেলের প্রসঙ্গ। এবার কালিম্পং-এ  একটি বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে স্থানীয় পুরসভাকে বুলডোজার ব্যবহারের পরামর্শ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। ১৭ অগাস্ট বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দেন বিচারপতি। তিনি আরও বলেন, ২২ অগাস্টের  মধ্যে বেআইনি নির্মাণ ভাঙা না হলে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে পুরসভার বিরুদ্ধে। তারপরেই তিনি বলেন যে পুরসভা চাইলে বুলডোজার ব্যবহার করতে পারে। প্রসঙ্গত, কলকাতার মানিকতলার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের একটি নির্মাণ ভাঙতে এমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) এবং কলকাতা হাইকোর্টে তিনি বলেন, ‘‘ওই নির্মাণ ভাঙতে প্রয়োজনে যোগী আদিত্যনাথের কাছ থেকে বুলডোজার ভাড়া করুন।’’ প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের গ্যাংস্টারদের বাড়ি ভাঙতে বুলডোজার ব্যবহার করে যোগী প্রশাসন। সেই মডেলই কি এবার বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে লাগু হতে চলেছে? হাইকোর্টের নির্দেশে! এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। 

    কালিম্পং-এ বেআইনি নির্মাণ

    জানা গিয়েছে, কালিম্পং পুরসভার অনুমতি না নিয়ে বেআইনিভাবে একটি নির্মাণ করা হয়। মামলার জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে মামলা দায়ের করেন বীর বাহাদুর বলন নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা। ওই মামলায় উল্লেখ করা হয়, এই ধরনের নির্মাণ বিপদ ডেকে আনতে পারে। কারণ তার পাশে স্কুলও রয়েছে। পরে জানা যায় পুরসভার অনুমতি ছাড়াই ওই নির্মাণ গড়ে উঠেছে। ওই মামলাকারী আর্জি জানান, ওই বেআইনি নির্মাণ অবিলম্বে ভেঙে দেওয়া হোক। কিন্তু সেখানে আক্ষেপ করে তিনি এও জানান যে পুরসভাকে বারবার অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি।

    পুরসভা ৫ দিনের সময় চায়

    এই মামলা শোনার পরেই সোমবারের মধ্যে ওই নির্মাণ ভেঙে ফেলা নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) এবং এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে বুলডোজার ব্যবহার করতে পারে কালিম্পং পুরসভা। পাশাপাশি বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে কেন পুরসভা এখনও পর্যন্ত কেন কোনও রকমের পদক্ষেপ নেয়নি তা জানতে পৌরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসারকেও তলব করে আদালত। এক্সিকিউটিভ অফিসার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) কাছে পাঁচ দিন সময় চেয়ে নেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তা মঞ্জুর করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ভাইরাল জ্বরে কাবু হাইকোর্ট, আক্রান্ত বিচারপতি থেকে আইনজীবীরা

    Calcutta High Court: ভাইরাল জ্বরে কাবু হাইকোর্ট, আক্রান্ত বিচারপতি থেকে আইনজীবীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্বরের উত্তাপে কাঁপছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। উচ্চ আদালতের প্রায় ৭ জন বিচারপতির জ্বর এবং অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ হয়ে রয়েছেন। এর ফলে তাঁরা বিগত কয়েকদিন ধরেই আদালতের স্বাভাবিক কাজকর্মে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না। আক্রান্তদের তালিকায় রয়েছেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমও। মঙ্গলবার তিনি সশরীরে এজলাসে হাজির থাকতে পারেনি। তাই ভার্চুয়াল মাধ্যমেই মঙ্গলবার বেশ কিছু মামলার শুনানি হয়।

    জ্বরে আক্রান্ত বিচারপতিরা

    প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এদিন তাঁকে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আশা করি আপনি ভালো আছেন।’’ তখন প্রধান বিচারপতি উত্তর দেন, ‘‘আর ৭ জন বিচারপতি জ্বরে অসুস্থ। আবহাওয়ার বদল নাকি অন্য কোনও কারণে বোঝা যাচ্ছে না। প্রধান বিচারপতি এদিন আরও জানান যে চিকিৎসকের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে। এবং তাঁকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। তিনি দুর্বল রয়েছেন বলেও জানান।  হাইকোর্টের (Calcutta High Court) অনেকে আবার কনজাঙ্কটিভাইটিস-এ আক্রান্ত হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে।

    বেশ কয়েকজন আইনজীবীও জ্বরে আক্রান্ত

    তবে মঙ্গলবার এজলাসে হাজির থাকতে না পারলেও বুধবার সশরীরে প্রধান বিচারপতি উপস্থিত হন হাইকোর্টে। এবং এজলাসেও বসেছেন। জানা গিয়েছে, হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও জ্বরে আক্রান্ত। তবে বুধবার তিনি আদালতে (Calcutta High Court) এসেছেন। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষকেও বুধবার আদালতে দেখা গিয়েছে। হাইকোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, বিচারপতি সম্পা সরকার এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্থ বুধবারেও আদালতে (Calcutta High Court) আসতে পারেন নি। জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার কারণে অনেক আইনজীবীও শুনানির সময় হাজির থাকতে পারেন নি। হাইকোর্টের স্টাফদের এই পরিস্থিতি দেখে ঠিক যেন করোনাকালের কথা মনে পড়ছে। বছর দু’য়েক আগে করোনার থাবায় বেশ কয়েকজন বিচারপতি আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই তখন বিরতি নেন দৈনন্দিন কোর্টের কাজ থেকে। এবারও যেন সেই ছবিই ধরা পড়েছে হাইকোর্টে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: বেহালাকাণ্ডের জের! রাস্তায় বেআইনি কাটআউট রোধে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: বেহালাকাণ্ডের জের! রাস্তায় বেআইনি কাটআউট রোধে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় সড়কে যত্রতত্র অপরিকল্পিত-বেআইনি কাট আউটের জন্য বাড়ছে পথ দুর্ঘটনা, এমনটাই পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। সোমবার এই সংক্রান্ত মামলায় এই পর্যবেক্ষণ দেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি এই সমস্ত কাট-আউট অবিলম্বে বন্ধ করারও নির্দেশ এদিন দিয়েছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। নতুনভাবে বেআইনি কাট-আউট যেন তৈরি না হয়, এবিষয়ে প্রশাসনকে কড়া নজরদারিও রাখতে বলেছে কোর্ট। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজ্যে থাকা জাতীয় সড়কগুলির হাল বেশ খারাপ। কোথাও বেআইনি জবরদখল, কোথাও আবার ট্রাফিক বিধি মানা হচ্ছে না। এতেই বাড়ছে দুর্ঘটনা। জানা গিয়েছে, যান চলাচলের জন্য রয়েছে অসংখ্য ‘মেডিয়ান কাট’। কিন্তু তারপরেও রাস্তার উপর বেশ কিছু বেআইনি কাট বানানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, বিভিন্ন কারখানার সামনেও তৈরি করা হয়েছে বেআইনি কাট। অন্যদিকে, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কারখানাগামী লরিগুলি যাতে সহজেই বাঁক নিতে পারে সেই কারণে মালিকদের একাংশের মদতেই ওই কাট তৈরি করা হয়েছে।

    বেহালায় নিহত খুদে পড়ুয়া সৌরনীলের প্রসঙ্গও ওঠে 

    প্রসঙ্গত, সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) উত্তর দিনাজপুরে ডালখোলায় জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ সংক্রান্ত একটি মামলা ওঠে ডিভিশন বেঞ্চে। এই মামলায় উঠে আসে বেহালায় নিহত খুদে পড়ুয়া সৌরনীলের প্রসঙ্গ। কীভাবে বেপরোয়া লরি পিষে দিল ছোট্ট শিশুকে সে কথা উত্থাপন করেন মামলাকারী। তা শুনে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মন্তব্য করে, “আমাদের সকলকে আরও অনেক বেশি সচেতন হতে হবে।”

    মামলাকারীদের বক্তব্য

    সোমবার ডালখোলায় জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ সংক্রান্ত মামলায় মামলাকারীর মূল বক্তব্য ছিল, ‘‘৩৪ নং জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ না হওয়ায় বাড়ছে দুর্ঘটনা।’’ এই মামলার আইনজীবী কল্যাণ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বারাসত থেকে আলিপুরদুয়ার পর্যন্ত জাতীয় সড়কে প্রশাসন এক-দু কিলোমিটার অন্তর অন্তর ব্যারিকেড দিচ্ছে। এটা জাতীয় সড়কের ক্ষেত্রে করা যায় না।’’ মামলাকারী এদিন প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলে বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষের যাতায়াতের সুবিধার ক্ষেত্রে প্রশাসন যা করছে, তা দুর্ঘটনা বাড়বে।’’ এরপরেই ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানায়, জাতীয় সড়কে ব্যারিকেড দেওয়া যাবে না। সাধারণ মানুষ যাতে আন্ডারপাস ব্যবহার করে সেজন্য মানুষকে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে প্রশাসনকেও পরামর্শ দেন বিচারপতি। ডিভিশন বেঞ্চের (Calcutta High Court) আরও বক্তব্য, রাস্তার দু’প্রান্তে একাধিক ক্ষেত্রে অপরিকল্পিত কাট আউট লাগানো হচ্ছে। এই কারণেই বাড়ছে দুর্ঘটনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: গণনায় কারচুপি! বড়জোড়ার বিডিও-এসডিওকে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টে

    Calcutta High Court: গণনায় কারচুপি! বড়জোড়ার বিডিও-এসডিওকে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে অনিয়মের অভিযোগে এবার বাঁকুড়ার বড়জোড়ার বিডিও, এসডিও সমেত ১৬৭ নম্বর বুথের প্রিসাইডিং অফিসারকে তলব করা হল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। চলতি মাসের ৮ তারিখে তাঁদের উচ্চ আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। প্রসঙ্গত, গত মাসের ৮ তারিখ ছিল পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং ১১ জুলাই ছিল ভোট গণনার দিন। অভিযোগ ওঠে যে গণনা কেন্দ্রের বাইরে থেকে বাম প্রার্থীর পক্ষে ছাপ দেওয়া ২৪৮টি ব্যালট পেপার উদ্ধার করেন গ্রামের লোকজন। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে, যে ব্যালট পেপার থাকার কথা স্ট্রং রুমের ভিতরে তা বাইরে গেল কীভাবে!  এই প্রশ্নের উত্তর পেতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা তলব করেছেন ওই তিন সরকারি আধিকারিককে। জানা গিয়েছে ২৪৮টি ভোট দেওয়া ব্যালট উদ্ধার হওয়ার পরপরই কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের হয়।

    হাস্যকর যুক্তি পেশ রাজ্যের আইনজীবীর

    রাজ্যের আইনজীবীর তরফে এদিন হাস্যকর যুক্তি পেশ করা হয় আদালতের সামনে। রাজ্যের আইনজীবি বলেন যে চলতি বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচনে অনেক জায়গায় নকল ব্যালট ছাপা হয়েছে। স্থানীয় ভিত্তিতে গ্রামের লোকজন নাকি সেই নকল ব্যালট ছাপাতে পারে বলে রাজ্য সরকারের আইনজীবী অনুমানও করেন। বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Calcutta High Court) তখন রাজ্যের আইনজীবীকে বলেন, ‘‘গ্রামের লোকজন ব্যালট ছাপানোর মতো টাকা কোথা থেকে পাবেন।’’

    সাসপেন্ড উলুবেড়িয়ার বিডিও, এসডিও সমেত এক সরকারি আধিকারিক 

    প্রসঙ্গত চলতি বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে অশান্তির বাতাবরণ শুরু হয়ে যায়। এর পাশাপাশি ভোটে এবং গণনাতে কারচুপি এবং অনিয়মেরও বিস্তর অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। পরবর্তীকালে হাইকোর্টে প্রচুর মামলাও দায়ের হয়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে এতে হাইকোর্টের বিচারপতিরা পর্যন্ত বিরক্ত হয়ে ওঠেন। ইতিমধ্যে উলুবেড়িয়ার এসডিও, বিডিও এবং এক সরকারি আধিকারিককে বিরোধী প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বিকৃতি করার অভিযোগে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিনহা (Calcutta High Court)। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েও কোন আলাদা ফল হয়নি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: নন্দীগ্রামে জয়ী বিজেপি প্রার্থীদের গ্রেফতার করা যাবে না, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    Nandigram: নন্দীগ্রামে জয়ী বিজেপি প্রার্থীদের গ্রেফতার করা যাবে না, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুভেন্দুর গড়ে রক্ষাকবচ মিলল ১৫ জন জয়ী বিজেপি প্রার্থীর। এদিন নন্দীগ্রামের (Nandigram) জয়ী ১৫ জন বিজেপি প্রার্থীকে রক্ষাকবচ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী সোমবার পর্যন্ত রাজ্য পুলিশ কোনওভাবেই গ্রেফতার করতে পারবে না তাদের। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর একক বেঞ্চ। জানা গিয়েছে  এখনও পর্যন্ত এই  বিজেপি প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তাদের কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিচ্ছে শাসক দল, যাতে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন না করা যেতে পারে। প্রসঙ্গত, এর আগে নন্দীগ্রামের মেঘনাদ পাল-সহ ৭ জন জয়ী বিজেপি প্রার্থীকে রক্ষাকবচ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত৷ এদিন তালিকায় ফের জুড়ল ১৫ জন। সব মিলিয়ে ২২ বিজেপি প্রার্থী রক্ষাকবচ পেলেন হাইকোর্ট থেকে৷

    হাইকোর্টে কী বলল বিজেপি?

    বৃহস্পতিবারের শুনানিতে বিজেপির পক্ষ থেকে হাইকোর্টে বলা হয়, নন্দীগ্রামে (Nandigram) একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতে জিতেছে তারা। সামনেই বোর্ড গঠন। যাতে বোর্ড গঠন না করা যায় সেই কারণেই মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। এদিন এনিয়ে ভর্ৎসনার মুখেও পড়েন রাজ্যের আইনজীবী। বিচারপতিজয় সেনগুপ্ত প্রশ্ন করেন, যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে, সবাই কি জয়ী প্রার্থী? রাজ্যের আইনজীবী বলেন, ‘সেটা জানি না…’ এরপরেই বিরক্ত হন বিচারপতি। পাল্টা আবার প্রশ্ন করেন, “তাঁরা যে বিজেপি করেন, সেটা জানেন? আর জয়ী প্রার্থী কিনা সেটা জানেন না? অ্যাক্টিং কেন করছেন?”  এরপরেই আগামী সোমবার পর্যন্ত বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের গ্রেফতারিতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

    নন্দীগ্রামে (Nandigram) ভাল ফল বিজেপির

    ২০০৭ সাল থেকেই রাজ্যের রাজনৈতিক মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে নন্দীগ্রামের (Nandigram)। ওই বছরের ১৪ মার্চ বামপন্থী সরকারের বিরুদ্ধে গুলি চালনার অভিয়োগ ওঠে সাধারণ কৃষকদের ওপর। মারা যান ১৪ জন প্রান্তিক চাষী। প্রবল গণআন্দোলন শুরু হয় এরপর। যার জেরে ২০১১ সালে পতন হয় বামফ্রণ্ট সরকারের। সেদিনে সেই গণআন্দোলনের নেতা ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের বিধানসভায় নন্দীগ্রাম আসন থেকেক জেতেন শুভেন্দু। এরপর ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বিজেপিতে যোগদান করেন শিশির অধিকারীর পুত্র। ২০২১ সালের বিধানসভার ভোটে নন্দীগ্রাম কার দখলে থাকবে এনিয়ে লড়াই তুঙ্গে ওঠে। কোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় নন্দীগ্রাম (Nandigram) আসনে প্রার্থী হন। বিজেপির প্রার্থী হন শুভেন্দু। ফল বেরতে দেখা যায় পরাস্ত হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এরপরে সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটেও নন্দীগ্রামের সিংহভাগ পঞ্চায়েতে জয় লাভ করে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • SSC: উত্তরপত্রে বিকৃতির অভিযোগ! আদালতের নির্দেশে ৯০৭ পরীক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ এসএসসির

    SSC: উত্তরপত্রে বিকৃতির অভিযোগ! আদালতের নির্দেশে ৯০৭ পরীক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ এসএসসির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তড়িঘড়ি ৯০৭ জন পরীক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। কিন্তু হঠাৎ এত সংখ্যক পরীক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ কেন? আসলে এই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে চাকরির পরীক্ষার উত্তরপত্রে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। তবে শুধুমাত্র নাম নয়। এদের উত্তরপত্র প্রকাশ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এদিন শুধুই নাম প্রকাশ হল। প্রসঙ্গত, নামের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্ট উত্তরপত্র প্রকাশের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় বলে খবর। কিন্তু ৯০৭ জন শিক্ষকের উত্তরপত্র দেখতে চায় দেশের শীর্ষ আদালত। এরপর তাই বুধবার কমিশনের (ssc) তরফে ৯০৭ জনের নাম এবং রোল নম্বর প্রকাশ করা হল।

    ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগের মামলা

    মামলাকারী ববিতা সরকারের আবেদনে চলতি মাসের ৭ জুলাই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ২০১৬ সালে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ৫,৫০০ জন চাকরি প্রাপক এবং ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) প্রকাশ করতে হবে কমিশনকে (ssc)। বিচারপতির আরও নির্দেশ ছিল, ওএমআর শিটের পাশাপাশি পরীক্ষার্থীর নাম, ঠিকানা, স্কুলের নাম-সহ ৯০৭ জনের তালিকাও প্রকাশ করতে হবে। প্রসঙ্গত, এই ৯০৭ জনের বিকৃত উত্তরপত্র উদ্ধার করেছিল সিবিআই।

    হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান চাকরিপ্রার্থীরা

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন এসএসসি (ssc) চাকরিপ্রার্থীরা। পরে ডিভিশন বেঞ্চও সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রাখে। এরপর মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে ৯০৭ শিক্ষকের উত্তরপত্র দেখতে চায় দেশের শীর্ষ আদালত। তবে এই মামলায় এক সপ্তাহের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহ পরে আবার  বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি বেলা ত্রিবেদীর ডিভিশন বেঞ্চে সেই আবেদনের শুনানি শুরু হবে।

     

    আরও পড়ুুন: ভোট-হিংসায় সিবিআই, বিস্ফোরণে এনআইএ চাই, রিপোর্ট পেশ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: বিচারপতির হস্তক্ষেপে এক বছরের মধ্যেই নতুন স্কুল ভবন বলাগড়ে, উচ্ছ্বসিত গ্রামবাসী

    Hooghly: বিচারপতির হস্তক্ষেপে এক বছরের মধ্যেই নতুন স্কুল ভবন বলাগড়ে, উচ্ছ্বসিত গ্রামবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর খানেকের মধ্যেই নতুন ভবন পেল বলাগড়ের (Hooghly) চক খয়রামারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বলাগড় ব্লকের জিরাট পঞ্চায়েতের অধীনে এই প্রাথমিক বিদ্যালয়টি গঙ্গা ভাঙনের ফলে বিপজ্জনক অবস্থায় ছিল। পাড় ভাঙতে ভাঙতে এমন অবস্থা হয়েছিল যে বিদ্যালয়ের জানালা খুললেই গঙ্গা। জনা পঞ্চাশেক ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে ভীষণ চিন্তায় থাকতেন। ছাত্রদের পাশাপাশি শিক্ষকরাও ছিলেন আশঙ্কায়। আর তাই এবার চক খয়রামারি (Hooghly) স্কুলের নতুন বিল্ডিং উদ্বোধন করে ক্লাস শুরু হল। নতুন ভবনে ক্লাস শুরু করে ছাত্রছাত্রীরা উচ্ছ্বসিত।

    কীভাবে এলো নতুন ভবন (Hooghly)?

    যে কোনও দিন গঙ্গায় তলিয়ে যেতে পারে স্কুলবাড়িটি (Hooghly)। এরকম খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হতেই অনেকের মতো নজর পড়ে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। তিনি খবরটি জেনে স্তম্ভিত হয়ে যান। হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে এই বিষয়ে সুয়োমোটো কেস করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। জিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতের তৎকালীন প্রধান সুচন্দ্রা রায়কে সঠিক তথ্য কোর্টকে প্রদান না করার জন্য আদালতের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। আসলে গত কয়েক বছর ধরেই স্কুল বাড়িটির এক একটি অংশ গঙ্গার গ্রাসে চলে যাচ্ছিল। এরপর তাঁরই নির্দেশে হাইকোর্ট থেকে স্পেশাল অফিসার স্কুলবাড়িটির পুরো অবস্থা সরজমিনে পর্যবেক্ষণ করে আদালতে রিপোর্ট দেন। এরপরই হাইকোর্টের নির্দেশ মতো ওই বাড়ি থেকে স্কুল সরিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে অস্থায়ী ভাবে নিরাপদ জায়গায় আনা হয়। আদালতের নির্দেশে গঙ্গা থেকে নিরাপদ দূরত্বে টিন দিয়ে ঘিরে একটি জায়গায় ক্লাস করানো শুরু হয়। অন্যদিকে প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিল থেকেও কোর্টকে জানানো হয় যে বছর দেড়েকের মধ্যেই নতুন স্কুল বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে।

    কীভাবে ক্লাস শুরু হল?

    এরপর ওই গ্রামের এক সহৃদয় ব্যক্তি চক খয়রামারি (Hooghly) স্কুলের নতুন বিল্ডিং করার জন্য ১০ কাঠা জমি দান করেছেন। সেই জমির মধ্যেই দেড় কাঠা জমির মধ্যে সর্বশিক্ষা মিশনের ১১ লক্ষ টাকায় তৈরি হয়েছে নতুন দোতলা বিল্ডিং। একতলাতে মিড ডে মিলের রান্না ও খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে আর দোতলায় একটি রুম। সেখানেই ক্লাস করানো হবে। বলাগড় আর্সেনিক যুক্ত এলাকা। তাই আর্সেনিকমুক্ত বিশুদ্ধ জলের ব্যবস্থা হয়েছে বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর উদ্যোগে। সোমবারই নতুন ভবনে ক্লাস শুরু হল নতুন ভাবে। বলাগড়ের বিদ্যালয় পরিদর্শক (সাব ইন্সপেক্টর) গৌরব চক্রবর্তী এই নতুন ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে নিজে ক্লাস নেন। জানা গেছে, ওই একটি ঘরেই পার্টিশন করে বিভিন্ন কক্ষ করা হবে। সোমবার ৫২ জনের মধ্যে ৪৫ জন ছাত্রছাত্রীই আসে স্কুলে। সকল ছাত্রছাত্রীদের মিড ডে মিলে মাংস-ভাত খাওয়ানো হল এদিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: পুলিশ অভিযোগ নেয়নি! বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: পুলিশ অভিযোগ নেয়নি! বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিষ্ণুপুরে বিজেপি প্রার্থী ভোলানাথ মণ্ডলের রহস্যমৃত্যু হয়। এই ঘটনায় এদিন হাইকোর্টে (Calcutta High Court) তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ল রাজ্য পুলিশ। বিজেপির অভিযোগ, পুলিশের কাছে ঘটনার অভিযোগ নিয়ে যাওয়ার পরেও কোনওরকম এফআইআর দায়ের হয়নি। আরও মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ময়নাতদন্ত ছাড়াই ওই বিজেপি প্রার্থীর দেহ সৎকার করা হয়েছে। পুলিশ-প্রশাসনের ওপর ভরসা হারিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব দ্বারস্থ হয় কলকাতা হাইকোর্টের। মামলাটি ওঠে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে। এদিন বিচারপতি দুটি অভিযোগই শোনেন এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেন।

    ঠিক কী হয়েছিল?

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর ১ নম্বর ব্লকের দড়িকেওড়াডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির হয়ে মনোনয়ন জমা দেন ভোলানাথ মণ্ডল। অভিযোগ, এর পর থেকেই শাসক দলের সন্ত্রাস নেমে আসে তার ওপর। মনোনয়ন তোলার জন্য চাপ দিতে থাকে তৃণমূল। কিন্তু নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন ভোলানাথ। এরপরই গত ২১ জুন তাঁর মাথায় বন্দুকের বাঁট দিয়ে আঘাত করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সেই আঘাত নিয়েও ভোটে লড়েন তিনি। ফের তাঁকে ১১ জুলাই গণনার দিন ব্যাপক মারধর করা হয়। অসুস্থ ভোলানাথকে ভর্তি করা হয় ডায়মন্ডহারবারের হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় ভোলানাথের।  

    কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ

    এমন পরিস্থিতিতে ভোলানাথ মণ্ডলের মৃত্যুর ঘটনায় ডিএসপি পদমর্যাদার কোনও অফিসারকে দিয়ে তদন্ত করানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। একই সঙ্গে গণনাকেন্দ্র এবং হাসপাতালের (Calcutta High Court) সিসিটিভি ফুটেজও বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর নির্দেশ, দ্রুত তদন্ত শুরু করতে হবে। আগামী ১৮ অগাস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। ওই দিন পুলিশকে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে। একই সঙ্গে মৃত বিজেপি প্রার্থীর পরিবারের তরফেও হলফনামা জমা নেওয়া হবে ওইদিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share