Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Panchayat Vote: নাটকীয় পরিবর্তন! রাজীব সিনহার জয়েনিং রিপোর্ট ফেরত পাঠিয়ে দিলেন রাজ্যপাল

    Panchayat Vote: নাটকীয় পরিবর্তন! রাজীব সিনহার জয়েনিং রিপোর্ট ফেরত পাঠিয়ে দিলেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের জয়েনিং রিপোর্ট ফেরত পাঠাল রাজভবন। দায়িত্ব নেওয়ার পরই পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote) ঘোষণা করেন রাজীব সিনহা। তখন থেকই শুরু হয় বিতর্ক। বিরোধীদের অভিযোগ, শাসকদলকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজীব। কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন নেই, এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাজীবই হয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্টের রায় বহাল রাখলে পরে প্রতি জেলায় ১ কোম্পানি বাহিনী দেওয়ার কথা বলেন তিনি (রাজীব)। বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নানা প্রশ্নের মুখে ফেলার পর দ্রুত ৮০০ কোম্পানির বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার যোগদান রিপোর্ট (জয়েনিং রিপোর্ট) ফেরত পাঠিয়ে দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এখন দেখার, রাজীব থাকেন নাকি সরতে হয় তাঁকে!

    বুধবারই হাইকোর্ট ভর্ৎসনা করে রাজীবকে

    রাজীব সিনহা দায়িত্ব নেন চলতি মাসের ৭ জুন। তারপর জয়েনিং রিপোর্ট নবান্ন পাঠায় রাজভবনে। কিন্তু সই না করেই তা ফেরত পাঠিয়ে দিলেন বোস। ঘটনাচক্রে, বুধবারই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম তাঁর পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী সংক্রান্ত আদালতের নির্দেশ পালন করতে না চাইলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজ্যপালের কাছে গিয়ে ইস্তফা দিতে পারেন। তার পরেই রাতে জানা গেল, রাজীবের যোগদান রিপোর্ট ফেরত পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল।

    রাজভবন-আদালতের এই জোড়া চাপের পর রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে আদৌ রাজীব সিনহা থাকবেন কিনা, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে রাজভবনে ডাকা বৈঠকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার যোগ দেননি বলে ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল, এমনটাও জানা গিয়েছে।

    কী বলছে বিজেপি?

    বিষয়টি নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘এই কাজের যোগ্য যে উনি নন, প্রথম দিন থেকেই তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। প্রস্তুতি ছাড়াই উনি ভোট ঘোষণা করেছিলেন। তল্পিবাহক হয়ে কাজ করছেন। প্রতিদিন খুন হচ্ছে। রাজ্যপালের যা কর্তব্য মনে হয়েছে করেছেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে ইডি-সিবিআই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ

    Recruitment Scam: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে ইডি-সিবিআই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি (recruitment scam) মামলায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির তদন্তের নির্দেশই বহাল রাখল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, পুর-নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় সর্বপ্রথম সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরে সেই মামলা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরে যায়। বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হার বেঞ্চও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ বহাল রাখে। সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। তবে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল রাখল।

    বড় ধাক্কা খেল রাজ্য

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এতে বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। উল্লেখ্য, পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) সিবিআই তদন্তের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টেরও আগে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য। পরে সেই মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। তবে এবার হাইকোর্টে ধাক্কা খাওয়ায় ফের রাজ্য শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় কিনা তার দিকেই তাকিয়ে গোটা রাজ্য।

    ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ

    রায় ঘোষণার সময় ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, রাজ্যের অধীনে পুরসভা এবং শিক্ষা দফতরে একই ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। দু’টি দুর্নীতি অবিচ্ছেদ্য ভাবে যুক্ত। যুক্ত রয়েছেন একই ব্যক্তিরা। এই মাপের দুর্নীতির জন্য মোহভঙ্গ হয়েছে তরুণ প্রজন্মের। তাই সিবিআই ছাড়া অন্য কোনও তদন্ত নয়। সিঙ্গল বেঞ্চের রায় যথার্থ ছিল। অসৎ উপায়ে টাকা সংগ্রহের জন্য এই দুর্নীতি। জনসাধারণের উপর এর প্রভাব পড়েছে। ফলে এই মুহূর্তে আদালত কোনও হস্তক্ষেপ করবে না।

    অয়ন শীল গ্রেফতার হতেই সামনে আসে পুর-নিয়োগ দুর্নীতি

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে বলাগড়ের তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করেই উঠে আসে অয়ন শীলের নাম। অয়নের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে ইডি বেশ কিছু নথি ও ওএমআর শিটের হদিশ পায়। পরবর্তীতে প্রায় ৬০ পুরসভায় প্রায় ৩০০ কোটির নিয়োগ-দুর্নীতি সামনে আসে।

    আরও পড়ুন: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে তৎপর আইন কমিশন

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Raju Jha Murder: শক্তিগড়ে রাজু ঝা খুনের তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে দিল হাইকোর্ট

    Raju Jha Murder: শক্তিগড়ে রাজু ঝা খুনের তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শক্তিগড়ে কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা’কে গাড়ির মধ্যেই খুন (Raju Jha Murder) করা হয়। এবার এই খুনের ঘটনায় সিবিআই-কে তদন্তভার দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ৪ মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে বলেও সময়সীমা এদিন বেঁধে দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। প্রসঙ্গত, কয়লা পাচার মামলায় রাজু ঝাও ছিলেন ইডির রেডারে। বীরভূমের আবদুল লতিফ নামে ওই গাড়িতে থাকা আর এক জনের নাম ইতিমধ্যেই মিলেছে গরু পাচার মামলার চার্জশিটে। কয়লা পাচার মামলা এবং এই খুনের ঘটনায় যোগসূত্র থাকতে পারে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। বিচারপতি তাই হয়তো কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকেই তদন্তভার তুলে দিলেন। রাজ্যকে ইতিমধ্যে কেস ডায়েরি সহ যাবতীয় নথি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। তাঁর পর্যবেক্ষণ, খুনের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে না গেলে ধাক্কা খাবে কয়লা পাচার তদন্ত।

    ইডি দফতরে হাজিরার ২ দিন আগেই খুন হন রাজু (Raju Jha Murder)

    প্রসঙ্গত, কয়লা পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত রাজু ঝা-র চলতি বছরের ৩ এপ্রিল ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। তার ঠিক একদিন আগে  ১ এপ্রিল সন্ধ্যায় তিনি কলকাতার উদ্দেশে রওনা হন। রাত পৌনে আটটা নাগাদ রাজুর সাদা গাড়ি শক্তিগড়ে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি ল্যাংচার দোকানের সামনে এসে দাঁড়ায়। গাড়ির চালকের পাশের সিটে বসে ছিলেন রাজু ঝা। পিছনের আসনে বসে ছিলেন রাজু ঝার সহযোগী ব্রতীন মুখোপাধ্যায় ও গরু পাচার মামলায় ফেরার অভিযুক্ত আব্দুল লতিফ। গাড়ি দাঁড়ানোর কিছু সময়ের মধ্যেই সেখানে এসে দাঁড়ায় নীল রঙের একটি চারচাকা গাড়ি। অভিযোগ, ওই গাড়ি থেকে নেমেই দুই শার্পশুটার পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পর পর গুলি চালিয়ে রাজু ঝার শরীর ঝাঁঝরা করে দিয়ে পালিয়ে যায়। রাজুর পিছনের সিটে বসে থাকা ব্রতীন মুখোপাধ্যায়ের হাতেও গুলি লাগে। এই হামলার সময়েই বেপাত্তা হয়ে যান আব্দুল লতিফ।

    তদন্তের গতিপ্রকৃতি

    রাজু ঝার গাড়ির চালক নূর হোসেন খুনের (Raju Jha Murder) পর পরই শক্তিগড় থানায় এফআইআর দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে খুনের ধারায় মামলা রুজু করে ও ‘সিট’ গঠন করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ঘটনার ১৯ দিন পরে পুলিশ গ্রেফতার করে অভিজিৎ মণ্ডল নামে এক অভিযুক্তকে। অভিজিৎ দুর্গাপুর-আসানসোলের এক কুখ্যাত কয়লা মাফিয়ার গাড়ির চালক বলে জানা যায়। পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন অভিজিৎ মণ্ডল ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হলে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, খুনের জন্য ব্যবহৃত গাড়িটি সরবরাহ করেছিল ইন্দ্রজিৎ গিরি ও লালবাবু কুমার নামের দুই ব্যক্তি। এর পরে মে মাসের ৩ তারিখে রাঁচি থেকে ইন্দ্রজিৎ ও লালবাবুকে গ্রেফতার করে সিট। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও একজনের নাম পায় পুলিশ। জুন মাসের ১৪ তারিখে ঘটনার তদন্তভার গেল সিবিআই-এর হাতে।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত শুভেন্দুর

    Panchayat Election: কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম কোনও পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। রাজ্যে বেড়ে চলা রাজনৈতিক হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতের এই রায় তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। পঞ্চায়েত মামলায় হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট

    রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) করানোর পক্ষে মঙ্গলবারই রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ, ‘‘আপাতত স্পর্শকাতর জেলায় মোতায়েন করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাকি যে জেলাগুলিতে পর্যাপ্ত রাজ্য পুলিশ থাকবে না, সেই জেলাগুলিতেও মোতায়েন করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সব বুথে লাগাতে হবে সিসিটিভি, না হলে ডিভিয়োগ্রাফি করতে হবে।’’

    আরও পড়ুন: “টাকার বিনিময়ে চাকরির কেলেঙ্কারি ধরা পড়েছে”, নাম না করে মমতাকে নিশানা মোদির

    নির্দেশ নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? 

    মঙ্গলবারই রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, ডায়মন্ডহারবারের পুলিশ সুপার বিজেপি প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি সন্ত্রাস চালানোর নিদান দিয়েছেন জেলার সব আইসি-দের।‘‘ এদিনের রায় পুলিশের প্রতি হাইকোর্টের অনাস্থা’’ এমনটাই বলেন শুভেন্দু। তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘ডিভিশন বেঞ্চ যে রায় দিয়েছে, তাতে একশো শতাংশ বা আমাদের সবগুলি পয়েন্ট হয়তো বিবেচনা করতে পারেনি। কিন্তু কম-বেশি হিংসামুক্ত নির্বাচনের জন্য় তাদের মানসিকতা অর্ডারে প্রকাশ পেয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চের কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। তারা তো আইনকে লঙ্খন করতে পারে না।’’

    চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ভোটের কাজে লাগানো নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু?

    এদিন বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘আমরা চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ভোটের (Panchayat Election) কাজে যাতে না লাগানো হয়, সেই দাবি জানিয়েছিলাম। কারণ চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বেশিরভাগই তৃণমূল কর্মী। গত ১২ বছর ধরে রাজ্যে কোনও নিয়োগ হয়নি।’’

    আরও পড়ুন: রণক্ষেত্র ভাঙড়, ব্যাপক বোমাবাজি, গুলিবিদ্ধ আইএসএফ কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Panchayat Election:  উপযুক্ত কারণ না দেখালে মনোনয়ন প্রত্যাহার নয়! ঘোষণা কমিশনের

    Panchayat Election: উপযুক্ত কারণ না দেখালে মনোনয়ন প্রত্যাহার নয়! ঘোষণা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী মাসের ৮ তারিখ রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শুরু হয়েছে মনোনয়ন পর্ব। তানিয়েও বিস্তর অভিযোগ বিরোধীদের। কোথাও প্রশাসনিক কর্তারা বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন কোথাও বা সন্ত্রাস করছে শাসক দল। কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশন ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করেছে। এবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর তা নিয়ে এল বিশেষ নিয়ম। কমিশন জানিয়েছে, যদি ২০২৩ পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হিসাবে কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে চান, তাহলে উপযুক্ত কারণ দর্শাতে হবে। সোমবার কমিশনের তরফে এমনই নির্দেশ এসেছে রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসকদের কাছে। প্রশাসনিক কর্তারা প্রথমে দেখে নেবেন, যিনি আবেদন প্রত্যাহার করতে এসেছেন তিনি আসল প্রার্থী কিনা! 

    আরও পড়ুন: বারাকপুরে মনোনয়নে এগিয়ে বিজেপি, এখনও প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে পারল না তৃণমূল

    বিরোধীদের চাপেই কি কমিশনের এমন সিদ্ধান্ত?

    ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, বিরোধীদের লাগাতার চাপের ফলেই কমিশন এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। রাজভবন থেকে আদালত প্রতিটি সংস্তাই এখন কড়া নজর রাখছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে। নজর দিচ্ছে মানবাধিকার কমিশনও। তাই রাজ্য নির্বাচন কমিশন অনেকটা বাধ্য হয়েই এমন সিদ্ধান্তগুলি নিচ্ছে, মত বিরোধী রাজনৈতিক মহলের একাংশের। ১৪৪ ধারা লাগু করার পরেও রোখা যায়নি রাজনৈতিক সন্ত্রাস। সোমবারই রাজ্যের একাধিক জায়গা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মনোনয়ন ঘিরে। বাঁকুড়ার সোনামুখীতে মাথা ফাটে বিজেপি বিধায়কের। 

    হাইকোর্টে বিজেপি

    পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) শাসকদলকে একতরফা সুবিধা দিতেই সর্বদলীয় বৈঠক না ডেকে নির্বাচন ঘোষণা করেছে কমিশন, এমন অভিযোগ বিজেপি গত কয়েকদিন ধরেই করে আসছে। ইতিমধ্যে মনোনয়নের সময়সীমা বাড়ানো সহ একাধিক দাবিতে হাইকোর্টের দারস্থও হয়েছে বিজেপি। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সোমবার হাইকোর্ট জিজ্ঞেস করে, ‘‘আইনে কি কোথাও বলা আছে মনোনয়নের জন্য ৭ দিনের সময়সীমার কথা?’’ এর পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের উত্তর, ‘‘ না সেরকম কোনও আইন নেই।’’ তখনই রাজ্য নির্বাচন কমিশন হাইকোর্টে জানাল, ১৬ জুন পর্যন্ত সময়সীমা বাড়াতে প্রস্তুত তারা।

    আরও পড়ুন: লোডশেডিংয়ে জেরবার রাজ্যবাসী! আচমকা বিদ্যুৎ ভবনে ‘হানা’ শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে হাইকোর্ট রিপোর্ট তলব করতেই ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য

    Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে হাইকোর্ট রিপোর্ট তলব করতেই ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বৃহস্পতিবারের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য। সোমবার হবে এই মামলার শুনানি।

    বৃহস্পতিবার কী নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি মান্থা? 

    প্রসঙ্গত, কালিয়াগঞ্জে নাবালিকা ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিয়ে বৃহস্পতিবারই রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেন। সিটকে রাজ্য পুলিশ অসহযোগিতা করছে, একথাও বলতে শোনা যায় বিচারপতিকে। বিচারপতি মান্থার এই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশনে বেঞ্চে গেল রাজ্য। রাজ্যের অভিযোগ, সিটে যাঁদের রাখা হয়েছে, অতীতে তাঁদের প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার ইতিহাস রয়েছে। 

    সিটে কারা রয়েছেন?

    কালিয়াগঞ্জে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ওই বিশেষ তদন্তকারী দলে ছিলেন বর্তমান আইপিএস দময়ন্তী সেন এবং দুই প্রাক্তন আইপিএস উপেন বিশ্বাস ও পঙ্কজ দত্ত। এই সিটকে সাহায্য না করার অভিযোগ উঠেছে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে। যা শুনে বৃহস্পতিবার অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি মান্থা। বৃহস্পতিবার বিচারপতি বলেন, ‘‘সিটকে পুলিশ সাহায্য করছে না বলে অভিযোগ উঠছে। ফলে বলতে হচ্ছে, রাজ্য নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনছে। সিট যাতে কাজ করতে না পারে সেই চেষ্টা করছে রাজ্য। এবার কি সিবিআইকে তদন্তভার দিলে ভালো হবে?’’ পুলিশ কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা রাজ্যের কাছে রিপোর্ট আকারে বৃহস্পতিবারই চেয়ে পাঠান বিচারপতি মান্থা।

    সিটের সদস্যই সিবিআই-এর পক্ষে সওয়াল করেছেন বৃহস্পতিবার

    বিশেষ তদন্তকারী দলের অন্যতম সদস্য হলেন উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস। তিনিও রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করেন বৃহস্পতিবার। সিটের পক্ষ থেকে প্রাথমিক রিপোর্টও (Kaliaganj) আদালতে (Calcutta High Court) জমা দেওয়া হয়েছে বলে গতকালই জানান তিনি। উপেন বিশ্বাস প্রাক্তন সিবিআই কর্তা। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘‘সব তথ্যের স্ক্রুটিনি করা হয়েছে। আমাদের কেউ সাহায্য করেনি। যদি ওই পরিবার ও রাজ্যবাসীর বিশ্বাস ফেরাতে হয়, তাহলে রাজ্য পুলিশের উপর নির্ভর করলে হবে না। সিবিআই-কে ছাড়া এই তদন্ত সম্ভব নয়।’’

    আরও পড়ুন: ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য, ১১ কোটি বাড়িতে জলের লাইন! অভাবনীয় সাফল্য মোদি সরকারের

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Suvendu Adhikari: ‘আদালতের অনুমতি ছাড়া চূড়ান্ত রিপোর্ট নয়’, শুভেন্দুর কনভয়কাণ্ডে হাইকোর্ট

    Suvendu Adhikari: ‘আদালতের অনুমতি ছাড়া চূড়ান্ত রিপোর্ট নয়’, শুভেন্দুর কনভয়কাণ্ডে হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কনভয়ের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল এক ব্যক্তির। ওই মামলার শুনানিতে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, আদালতের অনুমতি ছাড়া চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া যাবে না। শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআরপিএফ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। অন্তর্বর্তী নির্দেশে আদালত জানিয়েছে, রাজ্য তদন্ত চালাতে পারবে। বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, মামলা বিচারাধীন, রাজ্য পুলিশ নোটিশ পাঠালেও তাতে সাড়া দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৩ জুন।

    হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারি (Suvendu Adhikari)…

    পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরের কাছে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারির (Suvendu Adhikari) কনভয়ের এক গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় শেখ ইস্রাফিল নামের বছর তেত্রিশের এক ব্যক্তির। পরে মৃতদেহ নিয়ে শুভেন্দুর বাড়ির সামনে মিছিল করে তৃণমূল। ওই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার। পরে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। শুভেন্দুর অভিযোগ, যে রুটে তাঁর কনভয় যাচ্ছে, সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে না রাজ্য সরকার।

    আরও পড়ুুন: ‘পদ্ম-বার্তা’ পৌঁছে দিতে পথে বিজেপি, যুব পঞ্চায়েত পদযাত্রা গেরুয়া শিবিরের

    সেদিন রাজ্যের তরফে আদালতে দাবি করা হয়, মাঝে মধ্যেই পাইলট কারকে অতিক্রম করে চলে যায় শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কনভয়। এই মামলার প্রেক্ষিতে ভিআইপিদের নিরাপত্তার জন্য কী ব্যবস্থার আয়োজন করা হয় তা বিস্তারিত জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি মান্থা। কীভাবে রুট লাইনিং করা হয়, কী বন্দোবস্ত থাকে, সে ব্যাপারে যাবতীয় তথ্য জমা দেওয়ার কথা জানিয়েছিল আদালত। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই মামলায় কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ নয় বলেও জানিয়ে দেন বিচারপতি মান্থা।

    আরও পড়ুুন: ‘কানমলা খাওয়ার আগে উনি নিজেই এনআইএ মেনে নিয়েছেন’, মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliaganj Minor Girl Death: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে মেয়ের মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে বাবা

    Kaliaganj Minor Girl Death: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে মেয়ের মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে বাবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জে নাবালিকা ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা (Kaliaganj Minor Girl Death) এবার চলে এল কলকাতা হাইকোর্টে। ওই নাবালিকার বাবা বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাশে হাজির হন। তিনি জানান, রাজ্য পুলিশ যেভাবে এই ঘটনার তদন্ত করছে, তাতে তাঁদের কোনও আস্থা নেই। তাই তাঁরা চান, সিবিআইকে দিয়ে ওই ঘটনার তদন্ত করানো হোক। একই সঙ্গে তিনি ক্ষতিপূরণেরও আবেদন জানান। বিচারপতি বিষয়টি নিয়ে মামলা করার অনুমতি দেন। গুরুত্ব বুঝে খুব সম্ভবত বিষয়টি বৃহস্পতিবারই শুনানির জন্য উঠতে পারে। জানা গিয়েছে, আবেদনকারীর হয়ে মামলা লড়বেন বিজেপির আইনজীবী সেলের কনভেনর লোকনাথ চ্যাটার্জি। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সকালে একটি পুকুরের ধার থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় ওই ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করা হয়। তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ।

    মৃতার পরিবারের পাশে বিজেপি 

    মঙ্গলবারই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, প্রকৃত সত্য উদঘাটনের জন্য বিজেপি ওই পরিবারকে সবরকম সাহায্য ও সহযোগিতা করবে। এমনকি তারা যদি হাইকোর্টে মামলা করতে চায়, তাতেও তাঁরা পূর্ণ সহযোগিতা করবেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আগাগোড়াই অভিযোগ করে আসছেন, এ রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসন সম্পূর্ণ পক্ষপাতদুষ্ট। ওই নাবালিকার পরিবার হাইকোর্টে মামলা করলে তাঁরা তাঁদের পাশে থাকবেন। বুধবার নাবালিকার পরিবারকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয় বিজেপির উদ্যোগেই। এরপরই হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে হাজির হয়ে নাবালিকার বাবা তাঁর অভিযোগ জানান। তাঁর অভিযোগ, এই ঘটনার (Kaliaganj Minor Girl Death) সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন শাসক দলের নেতারা। তাই পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করছে না। একমাত্র সিবিআই তদন্তভার হাতে নিলেই প্রকৃত দোষীরা সাজা পাবে বলে তিনি মনে করেন। 

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ২১ এপ্রিল কালিয়াগঞ্জের পালোইবাড়ি এলাকার পুকুরপাড় থেকে উদ্ধার হয় দ্বাদশ শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীর মৃতদেহ (Kaliaganj Minor Girl Death)। তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে, এই অভিযোগে সরব হয় মৃতার পরিবার ও গ্রামবাসীরা। ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে পরপর কয়েকদিন বিক্ষোভ ও আন্দোলন চলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পালোইবাড়ি সাহেবঘাটা সংলগ্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই থানায় ডেপুটেশনকে কেন্দ্র করে এলাকা উত্তাল হয়ে ওঠে। ছাত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নামে রাজবংশী, তফশিলি ও আদিবাসী সংগঠনগুলির সমন্বয় কমিটি। মঙ্গলবার তাদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে কালিয়াগঞ্জের কালীবাড়ি সংলগ্ন এলাকা। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু করে তারা। ঘটনায় পিছু হঠতে দেখা যায় পুলিশকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে নামানো হয় কমব্যাট ফোর্স ও বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। বিক্ষোভকারীদের ধরতে পাল্টা দৌড় শুরু করে পুলিশ ও কমব্যাট ফোর্স। ঘটনায় এক বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ। এরপরই আন্দোলনকারীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। পাঁচিল ভাঙার পাশাপাশি থানায় আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। আগুন ধরানো হয় থানার একটি গাড়িতেও।

    অন্যদিকে, রবিবারই কালিয়াগঞ্জে মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো। কালিয়াগঞ্জ ও কালিয়াচককাণ্ড নিয়ে মুখ্য়সচিব এবং ডিজিপি-কে ফোন করে রিপোর্ট চান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Student Death: খড়্গপুর আইআইটি-র ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের রহস্যমৃত্যু! মৃতদেহের ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ

    Student Death: খড়্গপুর আইআইটি-র ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের রহস্যমৃত্যু! মৃতদেহের ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খড়্গপুর আইআইটির ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর (Student Death) ঘটনায় মঙ্গলবার চাঞ্চল্যকর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছেন, ওই ছাত্রের দেহ কবর থেকে তুলে ফের ময়নাতদন্ত করতে হবে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। শুধু তাই নয়, ময়নাতদন্তের সময় দুজনকে অবশ্যই হাজির থাকতে হবে। এঁদের মধ্যে একজন হলেন চিকিৎসক অজয় গুপ্ত, যাঁর রিপোর্টের ভিত্তিতেই এদিন হাইকোর্ট ওই চাঞ্চল্যকর নির্দেশ দিয়েছে। অন্যজন হলেন সেই চিকিৎসক, যিনি ইতিমধ্যেই মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করেছেন এবং যাঁর দেওয়া রিপোর্ট ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ময়নাতদন্তের যাবতীয় ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্য সরকারকেই। বিচারপতি এদিন মন্তব্য করেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ত্রুটি আছে মনে করাতেই তিনি দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিচ্ছেন। এক মাসের মধ্যে ময়নাতদন্তের কাজ সম্পন্ন করে ৩০ শে জুন মামলাটি ফের শুনানির জন্য উঠবে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    যে ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে এই রহস্য, তাঁর নাম ফাইজন আহমেদ। অসমের তিনসুকিয়ার বাসিন্দা এই ছাত্রটি থাকতেন খড়্গপুর আইআইটির হস্টেলে। ২০২২ সালের ১৪ই অক্টোবর হস্টেলের ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় (Student Death)। বি টেক থার্ড ইয়ারের ছাত্র ফাইজনকে খুন করা হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়। পরিবারের সদস্যদের আরও অভিযোগ, ফাইজনের মাথার পিছনে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করার স্পষ্ট চিহ্ন তাঁরা দেখেছেন। সেই কারণে মাথার ওই অংশে ছিল জমাটবাঁধা রক্ত। অন্যদিকে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছিল, ওই ছাত্রটি আত্মহত্যা করেছে। তার ঘর থেকে বিষ জাতীয় ওষুধও উদ্ধার হয়েছে। এমনকী ওই ছাত্রের হাতের শিরা ছিল কাটা, এমনটাই দাবি করে পুলিশ আত্মহত্যার তত্ত্বকেই জোরালো করে। এরপরই ওই ছাত্রটির পরিবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। এরপরই ঘটনার তদন্তের জন্য হাইকোর্ট বিশেষজ্ঞ কমিটি নিয়োগ করে। সেই কমিটির রিপোর্টই এদিন জমা পড়ে, যেখানে ওই ছাত্রের মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। তারপরই মামলা অন্যদিকে মোড় নেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: মিথ্যা মাদক মামলা দেওয়ায় পুলিশকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: মিথ্যা মাদক মামলা দেওয়ায় পুলিশকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা মামলায় মানুষকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। মূলত দাবিমতো তোলার টাকা না পেলেই পুলিশ ওই রাস্তা অবলম্বন করে, এমন অভিযোগও প্রায়শই শোনা যায়। এই ধরনের অভিযোগ যে মিথ্যা নয়, তা প্রমাণ হয়ে গেল কলকাতা হাইকোর্টের একটি রায়ে। মঙ্গলবার বিচারপতি শম্পা সরকার এই ধরনের একটি অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছেন। জরিমানার টাকা কোন পুলিশ কর্মী দেবেন, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনারকে। হাইকোর্ট (Calcutta High Court) স্পষ্ট করে দিয়েছে, তদন্তে যদি দেখা যায় একাধিক পুলিশ কর্মী দোষী, তাহলে জরিমানার টাকা সকলকেই দিতে হবে। আরও উল্লেখযোগ্য নির্দেশ হল, এই টাকা দিতে হবে পুলিশ কর্মীদের ব্যক্তিগতভাবে।

    কোন অভিযোগের ভিত্তিতে এই নির্দেশ?

    এই ঘটনার সঙ্গেও স্বাভাবিকভাবে জড়িয়ে পড়েছে রাজনীতি। মামলা সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী হলেন বিশাল শুক্লা। ঘটনাটি ২০২২ সালের ৯ ই মার্চের। ওইদিন বিশালকে তাঁর দোকান থেকে তুলে নিয়ে যায় টিটাগড় থানার পুলিশ এবং পরের দিন তাঁকে গ্রেফতার করা হয় মাদক মামলায়। বিশাল শুক্লা এলাকায় কংগ্রেস কর্মী হিসেবে পরিচিত এবং বিগত পুরসভা নির্বাচনে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী রাকেশ শুক্লার নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন তিনি। এই ঘটনায় কংগ্রেস গোড়া থেকেই অভিযোগ জানিয়ে আসছে, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে এবং বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই পুলিশ বিশাল শুক্লাকে গ্রেফতার করেছে। তাঁকে ফাঁসিয়ে দিতে মাদকের মতো জঘন্য মামলা দিয়েছে। পুলিশ বিশালের বিরুদ্ধে যে এফআইআর করেছিল, সেটিও খারিজ করার জন্য আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল। হাইকোর্ট (Calcutta High Court) সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে সেটি পাঠিয়ে দিয়েছে। 

    বারবার এমন ঘটনা কেন?

    এই নির্দেশের কথা প্রকাশ্যে আসতেই বিরোধীরা সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণে নেমেছে। মামলাকারী কংগ্রেস কর্মীর আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচির কথায় ফিরে এসেছে তাঁকে পুলিশের মাঝ রাতে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা। তার তীব্র কটাক্ষ, বিরোধীদের কথা বলা বন্ধ করতে সরকার হাতিয়ার করছে পুলিশকেই। অনেকেরই মনে পড়ে যাচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলের সেই ভাইরাল ভিডিওর কথা, যেখানে তিনি পুলিশকে গাঁজা কেস দেওয়ার নিদান দিচ্ছেন। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এদিনের নির্দেশের পর পরিস্থিতি কি আদৌ বদলাবে? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share