Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • SSC: উত্তরপত্রে বিকৃতির অভিযোগ! আদালতের নির্দেশে ৯০৭ পরীক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ এসএসসির

    SSC: উত্তরপত্রে বিকৃতির অভিযোগ! আদালতের নির্দেশে ৯০৭ পরীক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ এসএসসির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তড়িঘড়ি ৯০৭ জন পরীক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। কিন্তু হঠাৎ এত সংখ্যক পরীক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ কেন? আসলে এই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে চাকরির পরীক্ষার উত্তরপত্রে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। তবে শুধুমাত্র নাম নয়। এদের উত্তরপত্র প্রকাশ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এদিন শুধুই নাম প্রকাশ হল। প্রসঙ্গত, নামের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্ট উত্তরপত্র প্রকাশের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় বলে খবর। কিন্তু ৯০৭ জন শিক্ষকের উত্তরপত্র দেখতে চায় দেশের শীর্ষ আদালত। এরপর তাই বুধবার কমিশনের (ssc) তরফে ৯০৭ জনের নাম এবং রোল নম্বর প্রকাশ করা হল।

    ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগের মামলা

    মামলাকারী ববিতা সরকারের আবেদনে চলতি মাসের ৭ জুলাই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ২০১৬ সালে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ৫,৫০০ জন চাকরি প্রাপক এবং ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) প্রকাশ করতে হবে কমিশনকে (ssc)। বিচারপতির আরও নির্দেশ ছিল, ওএমআর শিটের পাশাপাশি পরীক্ষার্থীর নাম, ঠিকানা, স্কুলের নাম-সহ ৯০৭ জনের তালিকাও প্রকাশ করতে হবে। প্রসঙ্গত, এই ৯০৭ জনের বিকৃত উত্তরপত্র উদ্ধার করেছিল সিবিআই।

    হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান চাকরিপ্রার্থীরা

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন এসএসসি (ssc) চাকরিপ্রার্থীরা। পরে ডিভিশন বেঞ্চও সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রাখে। এরপর মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে ৯০৭ শিক্ষকের উত্তরপত্র দেখতে চায় দেশের শীর্ষ আদালত। তবে এই মামলায় এক সপ্তাহের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহ পরে আবার  বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি বেলা ত্রিবেদীর ডিভিশন বেঞ্চে সেই আবেদনের শুনানি শুরু হবে।

     

    আরও পড়ুুন: ভোট-হিংসায় সিবিআই, বিস্ফোরণে এনআইএ চাই, রিপোর্ট পেশ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: বিচারপতির হস্তক্ষেপে এক বছরের মধ্যেই নতুন স্কুল ভবন বলাগড়ে, উচ্ছ্বসিত গ্রামবাসী

    Hooghly: বিচারপতির হস্তক্ষেপে এক বছরের মধ্যেই নতুন স্কুল ভবন বলাগড়ে, উচ্ছ্বসিত গ্রামবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর খানেকের মধ্যেই নতুন ভবন পেল বলাগড়ের (Hooghly) চক খয়রামারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বলাগড় ব্লকের জিরাট পঞ্চায়েতের অধীনে এই প্রাথমিক বিদ্যালয়টি গঙ্গা ভাঙনের ফলে বিপজ্জনক অবস্থায় ছিল। পাড় ভাঙতে ভাঙতে এমন অবস্থা হয়েছিল যে বিদ্যালয়ের জানালা খুললেই গঙ্গা। জনা পঞ্চাশেক ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে ভীষণ চিন্তায় থাকতেন। ছাত্রদের পাশাপাশি শিক্ষকরাও ছিলেন আশঙ্কায়। আর তাই এবার চক খয়রামারি (Hooghly) স্কুলের নতুন বিল্ডিং উদ্বোধন করে ক্লাস শুরু হল। নতুন ভবনে ক্লাস শুরু করে ছাত্রছাত্রীরা উচ্ছ্বসিত।

    কীভাবে এলো নতুন ভবন (Hooghly)?

    যে কোনও দিন গঙ্গায় তলিয়ে যেতে পারে স্কুলবাড়িটি (Hooghly)। এরকম খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হতেই অনেকের মতো নজর পড়ে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। তিনি খবরটি জেনে স্তম্ভিত হয়ে যান। হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে এই বিষয়ে সুয়োমোটো কেস করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। জিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতের তৎকালীন প্রধান সুচন্দ্রা রায়কে সঠিক তথ্য কোর্টকে প্রদান না করার জন্য আদালতের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। আসলে গত কয়েক বছর ধরেই স্কুল বাড়িটির এক একটি অংশ গঙ্গার গ্রাসে চলে যাচ্ছিল। এরপর তাঁরই নির্দেশে হাইকোর্ট থেকে স্পেশাল অফিসার স্কুলবাড়িটির পুরো অবস্থা সরজমিনে পর্যবেক্ষণ করে আদালতে রিপোর্ট দেন। এরপরই হাইকোর্টের নির্দেশ মতো ওই বাড়ি থেকে স্কুল সরিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে অস্থায়ী ভাবে নিরাপদ জায়গায় আনা হয়। আদালতের নির্দেশে গঙ্গা থেকে নিরাপদ দূরত্বে টিন দিয়ে ঘিরে একটি জায়গায় ক্লাস করানো শুরু হয়। অন্যদিকে প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিল থেকেও কোর্টকে জানানো হয় যে বছর দেড়েকের মধ্যেই নতুন স্কুল বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে।

    কীভাবে ক্লাস শুরু হল?

    এরপর ওই গ্রামের এক সহৃদয় ব্যক্তি চক খয়রামারি (Hooghly) স্কুলের নতুন বিল্ডিং করার জন্য ১০ কাঠা জমি দান করেছেন। সেই জমির মধ্যেই দেড় কাঠা জমির মধ্যে সর্বশিক্ষা মিশনের ১১ লক্ষ টাকায় তৈরি হয়েছে নতুন দোতলা বিল্ডিং। একতলাতে মিড ডে মিলের রান্না ও খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে আর দোতলায় একটি রুম। সেখানেই ক্লাস করানো হবে। বলাগড় আর্সেনিক যুক্ত এলাকা। তাই আর্সেনিকমুক্ত বিশুদ্ধ জলের ব্যবস্থা হয়েছে বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর উদ্যোগে। সোমবারই নতুন ভবনে ক্লাস শুরু হল নতুন ভাবে। বলাগড়ের বিদ্যালয় পরিদর্শক (সাব ইন্সপেক্টর) গৌরব চক্রবর্তী এই নতুন ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে নিজে ক্লাস নেন। জানা গেছে, ওই একটি ঘরেই পার্টিশন করে বিভিন্ন কক্ষ করা হবে। সোমবার ৫২ জনের মধ্যে ৪৫ জন ছাত্রছাত্রীই আসে স্কুলে। সকল ছাত্রছাত্রীদের মিড ডে মিলে মাংস-ভাত খাওয়ানো হল এদিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: পুলিশ অভিযোগ নেয়নি! বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: পুলিশ অভিযোগ নেয়নি! বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিষ্ণুপুরে বিজেপি প্রার্থী ভোলানাথ মণ্ডলের রহস্যমৃত্যু হয়। এই ঘটনায় এদিন হাইকোর্টে (Calcutta High Court) তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ল রাজ্য পুলিশ। বিজেপির অভিযোগ, পুলিশের কাছে ঘটনার অভিযোগ নিয়ে যাওয়ার পরেও কোনওরকম এফআইআর দায়ের হয়নি। আরও মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ময়নাতদন্ত ছাড়াই ওই বিজেপি প্রার্থীর দেহ সৎকার করা হয়েছে। পুলিশ-প্রশাসনের ওপর ভরসা হারিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব দ্বারস্থ হয় কলকাতা হাইকোর্টের। মামলাটি ওঠে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে। এদিন বিচারপতি দুটি অভিযোগই শোনেন এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেন।

    ঠিক কী হয়েছিল?

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর ১ নম্বর ব্লকের দড়িকেওড়াডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির হয়ে মনোনয়ন জমা দেন ভোলানাথ মণ্ডল। অভিযোগ, এর পর থেকেই শাসক দলের সন্ত্রাস নেমে আসে তার ওপর। মনোনয়ন তোলার জন্য চাপ দিতে থাকে তৃণমূল। কিন্তু নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন ভোলানাথ। এরপরই গত ২১ জুন তাঁর মাথায় বন্দুকের বাঁট দিয়ে আঘাত করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সেই আঘাত নিয়েও ভোটে লড়েন তিনি। ফের তাঁকে ১১ জুলাই গণনার দিন ব্যাপক মারধর করা হয়। অসুস্থ ভোলানাথকে ভর্তি করা হয় ডায়মন্ডহারবারের হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় ভোলানাথের।  

    কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ

    এমন পরিস্থিতিতে ভোলানাথ মণ্ডলের মৃত্যুর ঘটনায় ডিএসপি পদমর্যাদার কোনও অফিসারকে দিয়ে তদন্ত করানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। একই সঙ্গে গণনাকেন্দ্র এবং হাসপাতালের (Calcutta High Court) সিসিটিভি ফুটেজও বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর নির্দেশ, দ্রুত তদন্ত শুরু করতে হবে। আগামী ১৮ অগাস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। ওই দিন পুলিশকে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে। একই সঙ্গে মৃত বিজেপি প্রার্থীর পরিবারের তরফেও হলফনামা জমা নেওয়া হবে ওইদিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: রাজ্যের শিক্ষা দফতরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: রাজ্যের শিক্ষা দফতরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শুরু হতেই একের পর এক অভিযোগ উঠছে। ২০১২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগেও কারচুপির অভিযোগ ওঠে। তখন শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন ব্রাত্য বসু। তা নিয়ে জল গড়ায় আদালতে। এবার সেই মামলায় রাজ্য শিক্ষা দফতরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন এই নির্দেশ দেন।

    আরও পড়ুন: রামনবমীর শোভাযাত্রায় হিংসার মামলায় খারিজ রাজ্যের আর্জি, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশে বহাল এনআইএ তদন্ত

    বিচারপতির নির্দেশ

    মঙ্গলবার বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে এই টাকা জমা করতে হবে। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ‘লিগ্যাল এইড সার্ভিস’-এ এই টাকা যাবে বলেও জানিয়েছেন বিচারপতি। পাশাপাশি আগামী ছ’সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে জমা দিতে হবে রিপোর্ট। শিক্ষা দফতর কীভাবে এই টাকা পাবে, তার পথ বাতলে দিয়েছেন বিচারপতি। তাঁর মতে, ২০১২ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ‘দুর্নীতি’র তদন্তে যে সমস্ত প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে, তাঁদের কাছ থেকে আদায় করতে হবে জরিমানার টাকা।

    পরবর্তী শুনানি ১২ সেপ্টেম্বর

    প্রসঙ্গত, ২০১২ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ওঠে। স্বজনপোষণের মাধ্য়মে টাকার বিনিময়ে কয়েকজনকে চাকরি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এর জল হাইকোর্টে পর্যন্ত গড়ালে, উচ্চ আদালত (Calcutta High Court) ২০১৬ সালে শিক্ষা দফতরের তৎকালীন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। কিন্তু মাঝখানে সাত বছর পেরিয়ে গিয়েছে। তবুও নির্দেশ এখনও কার্যকর হয়নি। বিষয়টি নিয়ে ফের মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। মামলাকারীরা অযোগ্যদের চাকরি বাতিল এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তদন্তের দাবি তোলেন। মঙ্গলবার এই মর্মে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১২ সেপ্টেম্বর।

    আরও পড়ুুন: ‘পিসিমণির হেঁসেল ঘরে স্পেশাল মেনু ব্যালট পেপারের থালি,’ টোটোর ব্যানারে প্রতিবাদ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Forced Conversion: ‘অপহরণ করে ইসলামে ধর্মান্তকরণ’! হাইকোর্টের নির্দেশে এফআইআর সিবিআই-এর

    Forced Conversion: ‘অপহরণ করে ইসলামে ধর্মান্তকরণ’! হাইকোর্টের নির্দেশে এফআইআর সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল সিবিআই। কালিয়াচকের ওই সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দোর করে দুই ব্যক্তিকে হিন্দু থেকে মুসলমান ধর্মে (Forced Conversion) ধর্মান্তকরণ করেছে তারা। জানা গিয়েছে, মালদার মোথাবাড়ি ও কালিয়াচকের ৬ জায়গায় বৃহস্পতিবার অভিযান চালায় সিবিআই। সাত অভিযুক্তের বাড়ি থেকে মোবাইল সহ বেশ কিছু নথিও বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ২০২১ সালে মালদার মালদার কালিয়াচকের ঘটে এই ঘটনা। দুই বোনের অভিযোগ ছিল, তাঁদের স্বামী বুদ্ধ মণ্ডল এবং গৌরাঙ্গ মণ্ডল বিজেপির সমর্থক হওয়ার কারণে ভোট পরবর্তী সময়ে তাদের জোর করে ইসলামে ধর্মান্তকরণ করা হয়। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পরাস্ত হয়। তাঁরা কোর্টের কাছে আরও জানান, ২৪ নভেম্বর ২০২১ সাল থেকে তাদের স্বামীরা নিঁখোজ। পুলিশকে এব্যাপারে জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি তারা। হাইকোর্টের কাছে রাজ্য অবশ্য রিপোর্ট দেয়, ওই দুই ব্যক্তি স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন এবং পারিবারিক বিবাদের কারণে তারা বাড়ি ছেড়েছে। যদিও পরিবারের দাবির সঙ্গে কোনওভাবেই মিলছে না রাজ্যের রিপোর্ট। এবিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত করে সিবিআই রিপোর্ট জমা দেয় গত ২০ ফেব্রুয়ারি, যার ভিত্তিতে চলতি বছরের ৬ জুন হাইকোর্ট এফআইআর করতে নির্দেশ দেয়। সেই মতো এফআইআর করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। নাম রয়েছে, খুরশেদ সেখ, রবিউল সেখ, মুক্তাবুল সেখ, তিনু সেখ, নজু সেখ, বরকতি সেখ এবং হাবিব সেখের। জানা গিয়েছে প্রত্যেকেরই বাড়ি মালদায়।

    তদন্তে কী উঠে এল?

    জানা গিয়েছে পেশায় রাজমিস্ত্রি দুই ভাই বুদ্ধ মণ্ডল এবং গৌরাঙ্গ মণ্ডল ২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর কাজে যান। গৌরাঙ্গ মণ্ডল যান রবিউল সেখের বাড়ি এবং বুদ্ধ মণ্ডল যান হাবিব সেখের বাড়ি। এরপর সেদিন দুপুর দুটোর সময় তাঁরা বাড়িতেও ফেরেন মধ্যাহ্নভোজ সারতে। তারপর আবার বেরিয়ে যান। পরে রাতে আর বাড়ি ফেরেন নি। এরপর নিঁখোজ দুইজনের স্ত্রী (বু্দ্ধ মণ্ডলের স্ত্রী পার্বতী মণ্ডল এবং গৌরাঙ্গ মণ্ডলের স্ত্রী কলাবতী মণ্ডল) জানতে পারেন তাঁদের স্বামীদের ইসলামে ধর্মান্তকরণ করা হয়েছে এবং নমাজ পড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। পুলিশ এরপর বুদ্ধ মণ্ডল ও গৌরাঙ্গ মণ্ডলের সন্ধান পায় একটি মুসলিম বাড়িতে। মামলাকারীদের পুলিশ জানায়, বুদ্ধ মণ্ডল এবং গৌরাঙ্গ মণ্ডলকে কোর্টে তোলা হবে ২৮ নভেম্বর ২০২১। পরিবারের দাবি, কোর্টে তোলার দিন তাঁরা সকাল থেকেই আদালত চত্বরে হাজির ছিলেন, কিন্তু গোটা দিন উপস্থিত থাকার পরেও যখন বু্দ্ধ এবং গৌরাঙ্গকে কোর্টে তোলা হল না তখন কলাবতীদেবী এবং পার্বতীদেবী বাড়ি ফিরে আসেন। এরপর বিকালের পরে বুদ্ধ এবং গৌরাঙ্গকে এসডিও এর সামনে হাজির করানো হয়, সেসময় প্রচুর পরিমাণে মুসলিমদের ভিড় সেখানে ছিল। তারা বুদ্ধ এবং গৌরাঙ্গকে ছাড়িয়ে নিয়ে চলে যায়, পরিবারের লোকের অনুপস্থিতিতে। এরপর ২০২২ সালের সালের ৪ জানুয়ারি স্থানীয় ধরলা গ্রামে বুদ্ধ এবং গৌরাঙ্গকে ভিক্ষা করতে দেখা যায়। খবর পেয়ে তখনই গ্রামে পৌঁছান পার্বতী দেবী ও কলাবতী দেবী। তাঁদের ছাড়িয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হলে স্থানীয় মুসলিমরা হুমকি দিতে থাকে বলে অভিযোগ। এরপর গৌরাঙ্গ কোনওভাবে মুসলিম সম্প্রদায়ের খপ্পর থেকে পালিয়ে আসতে সমর্থ হয়। এবং কলাবতীকে সঙ্গে করে সে একটি গোপন আস্তানায় থাকতে শুরু করে। অভিযোগ, অপহরণকারীদের চাপে কলাবতী ও গৌরাঙ্গর নামে এফআইআর করে বুদ্ধ। এরপর গৌরাঙ্গকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে চলে যায় অপহরণকারীরা। কলাবতী জামিনে মুক্ত হন। পরিবারের অভিযোগ, দুইভাই ফোনে জানিয়েছে, তাদের জোরপূর্বক মাদকের নেশা করানো হচ্ছে এবং পশু হত্যা করার প্রশিক্ষণও দিচ্ছে মুসলিমরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থী ভোটে লড়তে পারবেন না, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Panchayat Vote: ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থী ভোটে লড়তে পারবেন না, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাঙড়ের ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থীর পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) লড়াই করার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করল হাইকোর্ট। মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, এই প্রার্থীদের এর আগে ভোটে লড়তে দেওয়ার নির্দেশ কমিশনকে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চ। কিন্তু মঙ্গলবার সেই নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ১৫ দিন পর এই মামলার নিষ্পত্তি করার কথাও বলা হয়েছে এদিনের নির্দেশে। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোট হল শনিবার। তাই এবারের পঞ্চায়েত ভোটে ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থী লড়তে পারবেন না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।

    রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে হঠাৎ করেই নাম মুছে যায় আইএসএফ প্রার্থীদের

    জানা গিয়েছে, এঁরা প্রত্যেকেই মনোনয়ন জমা করেছিলেন। কিন্তু তাঁদের নাম হঠাৎ মুছে গিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে। এই মর্মে সোমবার তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।সোমবারের এই মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহা কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে। একই সঙ্গে বিচারপতি বলেছিলেন, ‘‘আইএসএফ প্রার্থীদের অভিযোগ সত্য হলে তাঁদের নির্বাচনে (Panchayat Vote) অংশ নেওয়ার সুযোগও করে দিতে হবে কমিশনকে।’’ আইএসএফের অভিযোগ, এরপরেও কমিশন কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। মঙ্গলবার একই আর্জি নিয়ে আইএসএফ দ্বারস্থ হয় ডিভিশন বেঞ্চে। মামলা ওঠে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। ডিভিশন বেঞ্চ এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয়।

    কী বলল ডিভিশন বেঞ্চ?

    মঙ্গলবার ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘‘এই ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থী এখনই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। একক বেঞ্চ মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে যে নির্দেশ দিয়েছিল আপাতত তা স্থগিত থাকবে। ১৫ দিন পরে মামলাটির আবার শুনানি হবে।’’ তবে শুধু আইএসএফ নয় এদিন ভোটে (Panchayat Vote) লড়ার ওপর স্থগিতাদেশ চলে এল ১৯ জন সিপিএম প্রার্থীর ক্ষেত্রেও। ভাঙড়ের সিপিএম প্রার্থীরা একই অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: গ্রাম পঞ্চায়েতের সমস্ত প্রার্থীরও হলফনামা প্রকাশের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

    Panchayat Vote: গ্রাম পঞ্চায়েতের সমস্ত প্রার্থীরও হলফনামা প্রকাশের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote)। সোমবার কমিশনকে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। এবার গ্রাম সংসদের প্রার্থীদেরও হলফনামা প্রকাশ করতে হবে। উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, এর ফলে ভোটাররা জানতে পারবেন, তাঁরা কাকে ভোট দিচ্ছেন। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীদের হলফনামা প্রকাশ করে থাকে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এই প্রথম গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থীদেরও হলফনামা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালতের এই নির্দেশের ফলে শনিবারের মধ্যে কমিশনকে ৬০ হাজারেরও বেশি আসনে সমস্ত প্রার্থীর হলফনামা প্রকাশ করতে হবে। কমিশন সূত্রে খবর, গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রার্থী সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে কমিশন হলফনামা প্রকাশ করে না।

    আরও পড়ুন: কোর্টের গুঁতো! স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ১৮৯ থেকে দাঁড়াল কয়েক হাজারে

    বিচারপতি অমৃতা সিনহা এই নির্দেশ দেন

    সোমবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। সেখানেই বিচারপতি সিনহা নির্দেশ দেন, শুধু জেলা পরিষদ বা পঞ্চায়েত সমিতি নয়, গ্রাম পঞ্চায়েতে হলফনামা প্রকাশ করতে হবে কমিশনকে। কেন পঞ্চায়েত প্রার্থীদেরও হলফনামা প্রকাশ করা দরকার, তাও বিচারপতি সিনহা তাঁর পর্যবেক্ষণে জানিয়ে দিয়েছেন। তাঁর মতে, ‘‘ভোটারা যাদের ভোট দেবেন তাঁদের সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকবেন। তাই এই হলফনামা প্রকাশ্যে আসা প্রয়োজন।’’

    জনৈক দেবপ্রসাদ নস্কর এ বিষয়ে মামলা করেন হাইকোর্টে

    প্রসঙ্গত, গ্রাম পঞ্চায়েতে (Panchayat Vote) প্রার্থীদের হলফনামাও প্রকাশ্যে আনতে হবে, এই দাবি নিয়ে হাইকোর্টর দ্বারস্থ হন জনৈক দেবপ্রসাদ নস্কর। তাঁর দাবিতেই এদিন সিলমোহর দিতে দেখা গেল হাইকোর্টকে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আদালতের এই নির্দেশের ফলে ফের চাপের মুখে পড়ল কমিশন। হাইকোর্টে একের পর এক ধাক্কা খেয়েই চলেছে কমিশন, তার মাঝে আবার এটা নতুন সংযোজন। পাঁচদিনের মধ্যে ৬০ হাজার হলফনামা প্রকাশ করা বেশ কঠিন কাজ বলেই মনে করছেন কমিশনের আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন: ‘রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে কোর্টে যাচ্ছে বিজেপি’, কেন বললেন সুকান্ত?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: কোর্টের গুঁতো! স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ১৮৯ থেকে দাঁড়াল কয়েক হাজারে

    Panchayat Vote: কোর্টের গুঁতো! স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ১৮৯ থেকে দাঁড়াল কয়েক হাজারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট (Panchayat Vote) ঘোষণার পর থেকেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ। প্রথমে কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনীতে না’ বলে। এরপর সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেয়ে মাত্র ২২ কোম্পানি বাহিনী চায়। কমিশনের তখন যুক্তি ছিল, রাজ্যে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা নাকি মাত্র ১৮৯টি। এক লাফে এবার স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা দাঁড়াল ১৮৯ থেকে কয়েক হাজারে! এই সমস্ত স্পর্শকাতর বুথের তালিকা আদালতে জমা দিয়েছে কমিশন। বিরোধীদের কটাক্ষ, এই যে রাতারাতি স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা বেড়ে গেল, তা কি হাইকোর্টের চাপে পড়ে? অধীর চৌধুরীর কটাক্ষ, প্রতমে কমিশন যে ১৮৯টি স্পর্শকাতর বুথের কথা বলেছিল, তা হয়তো তৃণমূলের জন্য। হতে পারে ওই বুথগুলিতে শাসক দল গোষ্ঠীকোন্দলে জর্জরিত ছিল তাই এমনটা হিসাব দিয়েছিল কমিশন।

    আরও পড়ুন: ‘রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে কোর্টে যাচ্ছে বিজেপি’, কেন বললেন সুকান্ত?

    ভোটে কলকাতা পুলিশ থাকবে ১৫ হাজার

    জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মোট ১,১৩৭ কোম্পানি বাহিনীতে হবে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote)! পঞ্চায়েত ভোটে বাহিনী মোতায়েন নিয়ে শনিবারই এডিজি আইন-শৃঙ্খলা, ডিজি ও মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয় যে ভোটে রাজ্য পুলিশ থাকবে ৬৫ হাজার। কলকাতা পুলিশ থাকবে ১৫ হাজার। অর্থাত্ মোট ৮০ হাজার বাহিনী দেবে রাজ্য। সূত্রের খবর, এখন কলকাতা পুলিশে মোট বাহিনী আছে ২০ হাজার। তার মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার বাহিনী দিতে পারবে বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ। রাজ্যের তরফে পঞ্চায়েত ভোটে থাকছে ৮০০ কোম্পানি। কেন্দ্র বাহিনী পাঠাচ্ছে ৩৩৭ কোম্পানি। অর্থাত, মোট বাহিনীর সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে (৮০০+৩৩৭)= ১,১৩৭ কোম্পানি।

    কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের মোতায়েন 

    আদালতকে জমা দেওয়া রিপোর্টে কমিশন জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত যে সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে এসেছে তাদের মোতায়েন হয়ে গিয়েছে জায়গায় জায়গায়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর থাকা, খাওয়া ও পরিবহণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কোনও ত্রুটি রাখা হয়নি।

     

    আরও পড়ুন: বাকি ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হবে শীঘ্রই! চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: নথি বিকৃতি মামলার তদন্তে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    Panchayat Vote: নথি বিকৃতি মামলার তদন্তে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Vote) মনোনয়নে নথি বিকৃতির অভিযোগে ওঠে উলুবেড়িয়া ১ ব্লকের বিডিও নীলাদ্রি শেখর দে-র বিরুদ্ধে। এনিয়ে জল গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সোমবার বিচারপতি সিনহার সেই নির্দেশ খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, এই মামলায় সিবিআই তদন্তের মতো উপাদান নেই।

    আরও পড়ুন: লোকসভা, বিধানসভার পর এবার লক্ষ্য জেলা পরিষদ দখল, আলিপুরদুয়ারে ঝাঁপাল বিজেপি

    ঠিক কী হয়েছিল?

    ৯ জুন থেকে ১৫ জুন পঞ্চায়েতে (Panchayat Vote) মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন ছিল। ওই কয়েক দিনে মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ অভিযোগ ওঠে। এরই মধ্যে নথি বিকৃত করার অভিযোগ করেন সিপিএমের দুই প্রার্থী কাশ্মীরা বেগম খান এবং তনুজা বেগম মল্লিক। উলুবেড়িয়া-১ নম্বর ব্লকের বহিরা-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দু’টি আলাদা আসনে সিপিএম প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, মনোনয়ন পেশের সময় তাঁরা চেকলিস্ট জমা করেন। তাতে তাঁরা জাতিগত প্রমাণপত্র জমা দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছিলেন। এর পর জানা যায়, মনোনয়নপত্রে তাঁদের উল্লেখ করা অংশ কলম দিয়ে কেউ কেটে দিয়েছে।

    তদন্ত কীভাবে হবে?

    হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন নির্দেশ দেয়, ‘‘অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দেবীপ্রসাদ দে-র নজরদারিতে এই মামলার তদন্ত করবে রাজ্য পুলিশ। এক সদস্যের এই কমিশনকে সব রকম সাহায্য করতে হবে রাজ্যকে।’’ পাশাপাশি তিন সপ্তাহের মধ্যে নথি বিকৃতির অভিযোগের তদন্ত রিপোর্ট বিচারপতি অমৃতা সিনহার কাছে জমা করতে হবে বলেও জানিয়েছে হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই একের পর এক মামলায় হাইকোর্টে মুখ পুড়েছে রাজ্যের। এদিন সিবিআই খারিজ হলেও মনোনয়ন বিকৃতির মামলাতে একই ধারা অব্যাহত থাকল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: বাহিনী ইস্যুতে আদালত অবমাননা! কমিশনের কাছে হলফনামা চাইল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: বাহিনী ইস্যুতে আদালত অবমাননা! কমিশনের কাছে হলফনামা চাইল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাহিনী ইস্যুতে আদালত অবমাননা করেছে কমিশন। এই মর্মে শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারী ও মালদার কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেমের করা  মামলার শুনানিতে কমিশনকে হলফনামা পেশের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এদিন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ২৭ জুন অর্থাৎ আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে এই হলফনামা দিতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে।

    হলফনামায় কী কী জানাতে হবে কমিশনকে?

    আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশ মতো হলফনামায় কমিশনকে জানাতে হবে, পঞ্চায়েত ভোটে কেন ২০ হাজারের বেশি মনোনয়ন প্রত্যাহার হল? ক্যানিং-১ ব্লকের ২৭৪টি আসনে একটি দলের প্রার্থী কীভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হল তারও উল্লেখ করতে হবে এই হলফনামায়। একইসঙ্গে মিনাখাঁর মইনুদ্দিন গাজী সৌদি আরব থেকে মনোনয়ন জমা দেন, কীভাবে বিদেশে থেকে প্রার্থীপদে তিনি মনোনয়ন দিলেন তারও উল্লেখ করতে হবে হলফনামায়। এছাড়া চারিদিকে পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে হিংসার রিপোর্টও জমা দিতে হবে।

    হলফনামা দেখে সিদ্ধান্ত নেবে আদালত (Calcutta High Court)

    সূত্রের খবর, হলফনামা দেখে তারপরেই হাইকোর্ট সিদ্ধান্ত নেবে এই বাহিনী মামলায় স্বাধীন পর্যবেক্ষক (অবসর প্রারপ্ত বিচারপতি) নিয়োগ করা হবে কি না। এছাড়া মামলাকারীরা ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ৪টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানোর আবেদনও করেছেন। তা নিয়েও উল্লখ থাকবে কমিশনের হলফনামায়।

    ভোটের দফা বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল কেন্দ্রের আইনজীবীর

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের দফা বাড়ানোর পক্ষে এদিন হাইকোর্টে সওয়াল করেন কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী, অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল অশোককুমার চক্রবর্তী। শুক্রবার হাইকোর্টে মামলার শুনানির সময় তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে সেটা দিতে কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু ২০১৩ সালে পাঁচ দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল। এবারও পঞ্চায়েত সেই একই মডেলে হলে ৮২ হাজার বাহিনী দিতে সমস্যা হবে না।’’ 

    আরও পড়ুন: রাজ্যে ২২ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন! ধাপে ধাপে আসবে আরও

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share