Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Ekbalpur Mominpur: একবালপুর-মোমিনপুর কাণ্ডের জেরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি, জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে

    Ekbalpur Mominpur: একবালপুর-মোমিনপুর কাণ্ডের জেরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি, জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একবালপুর-মোমিনপুর কাণ্ড নিয়ে চরম অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। একবালপুর-মোমিনপুর সংঘর্ষের জেরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন করা নিয়ে আগেই আর্জি জানিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু রাজ্য সরকারের অস্বস্তি যেন আরও বেড়ে গেল। শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা নিয়ে হাইকোর্টের দরজা নাড়লেন আরও এক ব্যক্তি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কলকাতা শহরে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Forces) মোতায়েনের আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা (PIL) দায়ের করা হল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)।

    একবালপুর-মোমিনপুর কাণ্ডে রাজ্যের পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ আগেই উঠেছে। এমনকি অভিযোগ উঠেছে, সেখানকার ঘটনা ঠেকাতে ও নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়েছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata police)। লক্ষ্মী পুজোর আগের রাত থেকে এই হিংসা শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে ঘিরে পুলিশ প্রশাসনের দিকে বারবার ব্যর্থতার আঙুল তুলেছে বিজেপি। এই ঘটনায় পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নেওয়ায় বিজেপি ট্যুইটে বারবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছে ও এই পরিস্থিতির জন্য মুখ্যমন্ত্রীকেই দায়ী করেছে।

    আরও পড়ুন: হাত রয়েছে আল কায়দা ও আইসিসের! মোমিনপুরের ঘটনায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

    অন্যদিকে গতকাল, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ওই অঞ্চলে যেতে চাইলে তাঁকেও আটকে দেয় পুলিশ। আটক করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে। সুকান্ত মজুমদারের গ্রেফতারির প্রতিবাদে, কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায় জেলায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মী-নেতারা। এমনকি শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে, বিধানসভা থেকে মিছিল করে রাজভবনে যান বিজেপির বিধায়করা। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গিয়েছে এমনটা অভিযোগ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজ্যপালের কাছে চিঠি পাঠান শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়াও তিনি এই ঘটনার পর থেকেই একবালপুর-মোমিনপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন নিয়ে দাবি করেছিলেন। আর তারই মধ্যে এক আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হল কলকাতা হাইকোর্টে।  

     

  • Calcutta High Court: এমবিবিএসদের সমান বেতন দিতে হবে আয়ুশ চিকিৎসকদের, রাজ্যকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: এমবিবিএসদের সমান বেতন দিতে হবে আয়ুশ চিকিৎসকদের, রাজ্যকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডাক্তারিতে যে কোনও শাখার স্নাতককেই সমানভাবে দেখার নির্দেশ দিলো আদালত (Calcutta High Court)। বলা হয়েছে, এমবিবিএস চিকিৎসকদের সমান বেতন ও আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে আয়ুশ ডাক্তারদেরও। একটি মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট  এই নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে এই নির্দেশ পালনের জন্য চার মাস সময় দেওয়া হয়েছে। 

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধীনে নিয়োগ করা হয় এই আয়ুশ চিকিৎসকদের। অ্যালোপ্যাথি চিকিৎকদের পাশাপাশি চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসাবে এদের নেওয়া হয়। আয়ুশের অধীন রয়েছে বিএএমএস (আয়ুর্বেদ), বিএইচএমএস (হোমিয়োপ্যাথি) এবং বিইউএমএস (ইউনানি)। অ্যালোপ্যাথি এমও-দের বেতন ৪০ হাজার টাকা হলেও আয়ুশ এমওদের বেতন ছিল ২৫ হাজার টাকা। আয়ুশ এমওরা বার বার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাড়েনি বেতন। এর পর ২০২০ সালে বেতন বাড়ে। অ্যালোপ্যাথ এমও-দের শুরুর বেতন করা হয়য় ৬০ হাজার টাকা। অন্যদিকে আয়ুশ চিকিৎসকদের মাসিক বেতন হয় ৩২ হাজার টাকা। সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ২০২১ সালে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের করেন ছ’ জন আয়ুশ এমও। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভা, জয়নগর-মাজিলপুর পুরসভা, দক্ষিণ নারায়ণপুর ব্লক হাসপাতাল, নোয়াপাড়া ব্লক হাসপাতাল, রাধানগর গ্রামীণ হাসপাতল ও খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে কর্মরত আয়ুশ এমও-রা। সম্প্রতি সেই মামলায় রায় দিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। তখনই এই কথা বলে আদালত।

    আরও পড়ুন: প্রয়াত টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা পার্থসারথী দেব

    শীর্ষ আদালতের পথেই রায়দান

    অ্যালোপ্যাথি-আয়ুশ বৈষম্য নিয়ে ২০২২-এই অবশ্য নৈনিতাল হাইকোর্টে একই ধরনের মামলা করেছিলেন উত্তরাখণ্ডের আয়ুশ এমও-রা। সেখানেও রায় গিয়েছিল আয়ুশ চিকিৎসকদেরই পক্ষে। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে উত্তরাখণ্ড সরকার সুপ্রিম কোর্টে গেলেও হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখে দেশের শীর্ষ আদালত। ফলে কলকাতা হাইকোর্টও (Calcutta High Court) সেই রায়কেই উদ্ধৃত করে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন, চার মাসের মধ্যে চুক্তিভিত্তিক অ্যালোপ্যাথি এমও-দের সমমর্যাদা দিতে হবে চুক্তভিত্তিক আয়ুশ এমও-দেরও। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এই রায়ে উপকৃত হবেন আরবিএসকে কর্মসূচিতে কর্মরত ১২১৯ জন আয়ুশ এমও। স্বাস্থ্যভবনের একাংশ মনে করছে, যেহেতু শীর্ষ আদালতের রায়েরই প্রতিফলন রয়েছে হাইকোর্টের এই রায়ে, তাই সুপ্রিম কোর্টে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করার কথা সে ভাবে ভাবা হচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “চার্জশিটে কেন বাদ শেখ শাহজাহানের নাম?”, সিআইডিকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: “চার্জশিটে কেন বাদ শেখ শাহজাহানের নাম?”, সিআইডিকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতে (Calcutta High Court) ফের ভর্ৎসিত পুলিশ। তিন বিজেপি কর্মী খুনের মামলায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের তোপের মুখে পড়লেন এই মামলার তদন্তকারী আধিকারিক।

    শাহজাহানের নাম বাদ কেন? (Calcutta High Court)

    বিচারপতির প্রশ্ন, “চার্জশিটে কেন বাদ শেখ শাহজাহানের নাম?” ১ এপ্রিলের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের প্রশ্ন, “মামলায় মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান, সাক্ষীরা তাঁর নামই জানিয়েছেন। তাও কেন চার্জশিট থেকে তাঁর নাম বাদ দিল পুলিশ?” সাক্ষীরা বিশ্বাসযোগ্য না হওয়ায় তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। এর পরেই বিস্ময় প্রকাশ করে বিচারপতি বলেন, “আপনিই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন যে, সাক্ষী বিশ্বাসযোগ্য নয়!”

    সন্দেশখালিতে বিজেপির মহিলা প্রতিনিধি দল

    এদিকে, শুক্রবার (Calcutta High Court) ফের সন্দেশখালিতে গেল বিজেপির মহিলা মোর্চার প্রতিনিধি দল। এদিন তাঁরা গিয়েছেন জেলিয়াখালিতে। কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গেও। আদালতের অনুমতি নিয়ে সন্দেশখালিতে গিয়েছেন প্রাক্তন আইপিএস বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষও। ২০১৯ সালে সন্দেশখালিতে খুন হন বিজেপির তিন কর্মী প্রদীপ মণ্ডল, দেবদাস মণ্ডল ও সুকান্ত মণ্ডল। ওই ঘটনায় শেখ শাহজাহান ও তার দলবলের বিরুদ্ধে দু’টি এফআইআর দায়ের হয়। হাইকোর্টের নির্দেশেই সেই মামলার তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে। শুরু হয় তদন্ত।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে জামিন সংক্রান্ত মামলায় নোটিশ রাজ্যের মুখ্যসচিবকে

    সাক্ষীদের গোপন জবানবন্দি নেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। যদিও মামলার চূড়ান্ত চার্জশিট জমা দেওয়ার পর দেখা যায়, সেখানে প্রধান অভিযুক্ত ও সাক্ষীদের বয়ানে সবার ওপরে থাকা শেখ শাহজাহানের নাম বাদ গিয়েছে। এরপরেই সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, “রাজ্য অনেক দিন সময় নিয়েছে। আর সময় দেওয়া যায় না। প্রত্যক্ষদর্শী শাহজাহানের নাম নিয়েছে। তার পরেও নাম বাদ দেওয়া হয়েছে তাঁর।”

    এদিন রাজ্যের তরফে এক আইনজীবী বলেন, “চার্জশিট জমা পড়েছে। তবে চার্জ ফ্রেম হয়নি এখনও। কেস ডায়েরি হাজির করতে রাজ্যকে আরও কয়েকদিন সময় দেওয়া হোক।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১ এপ্রিল (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে জামিন সংক্রান্ত মামলায় নোটিশ রাজ্যের মুখ্যসচিবকে

    Recruitment Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে জামিন সংক্রান্ত মামলায় নোটিশ রাজ্যের মুখ্যসচিবকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে (Recruitment Scam) জামিন সংক্রান্ত মামলায় নোটিশ রাজ্যের মুখ্যসচিবকে। ধৃত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর অনুমোদন কবে, তা জানতে চেয়েই দেওয়া হয়েছে নোটিশ। ৩ এপ্রিলের মধ্যেই জবাব তলব করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি।

    কী বললেন বিচারপতি? (Recruitment Scam) 

    বিচারপতি বলেন, “উচ্চ পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে সেটা আইনের ও জনগণের বিশ্বাসের ওপর ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলে।” আর্থিক দুর্নীতির গুরুত্ব কেবলমাত্র শাস্তির মেয়াদ থেকে বোঝা যায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর পর্যবেক্ষণ, “মানুষের আস্থা ও সমাজের ওপর প্রশাসনিক ব্যবস্থার একটা সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে।” তিনি বলেন, “সৎ (Recruitment Scam) সরকারি আধিকারিকদের তদন্তের নামে হয়রানি করা থেকে রক্ষা করার জন্যই অনুমতি গ্রহণের এই নিয়ম বা আইন রয়েছে। কিন্তু যেখানে আদালতের নির্দেশে বা নজরদারিতে তদন্ত হচ্ছে, সেখানে সেই তদন্ত হয়রানির জন্য করা হচ্ছে প্রাথমিকভাবে তা বলা যাবে না। অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া একটি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি। এতে দেরি হওয়াটা দুঃখের বিষয়।”

    সিবিআইয়ের যুক্তি

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল বেশ কয়েকজন সরকারি আধিকারিককে। এঁদের মধ্যে অনেকেই জামিন পেয়েছেন। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর গ্রেফতার করা হয়েছিল কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্যদের। আদালতে সিবিআইয়ের যুক্তি ছিল, সরকারি আধিকারিকদের ক্ষেত্রে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে গেলে রাজ্যের অনুমতির প্রয়োজন হয়। সেটা যেহেতু পাওয়া সম্ভব হয়নি, তাই এগোচ্ছে না তদন্ত।

    আরও পড়ুুন: থিম্পুতে মোদি, ভুটানের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী

    গোয়েন্দা সংস্থার আইনজীবীর বক্তব্য শুনে বিচারপতি বাগচি বলেন, “আদালতের নজরদারিতে যখন তদন্ত চলছিল, তখন এত অনুমোদনের প্রয়োজন ছিল না। এতদিনে তদন্ত শেষ হয়ে যাওয়ার কথা।” আদালতের বক্তব্য, আসামিকে গ্রেফতার করে রেখে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দিষ্ট দিন আছে। ট্রায়াল চলাকালীন আসামিকে জেলে থাকতে হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। পার্থ চট্টোপাধ্যায় মন্ত্রী ছিলেন। তিনি খুনের আসামি নন যে, তাঁকে হেফাজতে রেখে পুরো তদন্ত শেষ করতে হবে। বিচারপতি বাগচির পর্যবেক্ষণ, “তদন্তকারী সংস্থা এক (Recruitment Scam) বছরেরও বেশি সময় পেয়েছে। যদিও তদন্তে গতি আনতে ব্যর্থ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
  • Calcutta High Court: প্রশাসনের অগোচরে গার্ডেনরিচে নির্মাণ হয়নি, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: প্রশাসনের অগোচরে গার্ডেনরিচে নির্মাণ হয়নি, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশাসনের অগোচরে গার্ডেনরিচে নির্মাণ হয়নি, বৃহস্পতিবার এমনটাই জানাল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। অর্থাৎ এদিন সরাসরি প্রশাসনকেই এই ঘটনার জন্য কাঠগড়ায় তুলল হাইকোর্ট, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় রাজ্য সরকার এখনও পর্যন্ত কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে- এবিষয়ে রিপোর্টও চেয়েছে উচ্চ আদালত। বৃহস্পতিবারই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি ছিল। আগামী ৪ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

    মামলা করেন বিজেপি নেতা রাকেশ সিং

    গার্ডেনরিচ এলাকায় বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন বিজেপি নেতা রাকেশ সিং। মামলাকারী রাকেশের বক্তব্য, গার্ডেনরিচে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে যাওয়ার ফলে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর পাশাপাশি ওই এলাকায় এমন আরও প্রায় ৫০টি বেআইনি নির্মাণ রয়েছে বলে দাবি করেন রাকেশ। এ বিষয়ে আদালতের (Calcutta High Court) হস্তক্ষেপ চেয়েছেন মামলাকারী। বৃহস্পতিবার শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘শুনলাম বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর উদ্ধারকার্য বন্ধ করে দিয়েছে। ধ্বংসস্তূপে আর কেউ আটকে থাকলে কী হবে? প্রতিটি পঞ্চায়েত, পুরসভার একটি করে নজরদারি কমিটি থাকা দরকার। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে ওই পাঁচ তলা বহুতল গড়ে উঠেছে বলে মনে হয় না।’’

    গুলি ছাড়া বন্দুক দিয়ে সৈন্যদের সীমান্তে যুদ্ধে পাঠিয়ে কী লাভ!

    প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘‘বেআইনি নির্মাণ আটকাতে আইন থাকলেই হবে না, তা বলবৎ করার মতো পরিকাঠামোও থাকতে হবে। গুলি ছাড়া বন্দুক দিয়ে সৈন্যদের সীমান্তে যুদ্ধে পাঠিয়ে কী লাভ?’’ প্রধান বিচারপতির (Calcutta High Court) আরও পর্যবেক্ষণ, ‘‘দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে অসীম ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দেখা যায়, তারা যখন স্কুটার বা জিপে করে কোনও এলাকা পরিদর্শনে যায়, তাদের মারধর করা হয়। পরিকাঠামো না থাকলে তারা কী করবে? মনে করুন, আপনি প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়ে অর্ধেক লরি ভর্তি বালি, এক লরি ভর্তি ইট নিয়ে এসে নির্মাণস্থলের সামনে রাখলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে কাউন্সিলরের গুপ্তচর চলে আসবেন। আর অনুমতি না থাকলে অনেক সময় কেউ আসেও না।’’

    যাঁরা বাড়ি হারিয়েছেন, তাঁদের জন্য তাঁবুর বন্দোবস্ত করতে বলেছে হাইকোর্ট

    সরকারের উদ্দেশে আদালত (Calcutta High Court) এদিন আরও পরামর্শ দিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের পাশাপাশি আপাতত কয়েক দিন খাবার সরবরাহ, রেশন সামগ্রী দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এর পাশাপাশি, যাঁরা বাড়ি হারিয়েছেন, তাঁদের জন্য তাঁবুর বন্দোবস্ত করতে বলেছে হাইকোর্ট। হাইকোর্টের মতে, প্রতিটি পঞ্চায়েত সহ সব জায়গায় মনিটরিং সেল থাকা দরকার। প্রসঙ্গত, গার্ডেনরিচে যেখানে বাড়িটি তৈরি হচ্ছিল, সেখানে জলাভূমি ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Amrita Sinha: বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কড়া নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার, কী বললেন তিনি?

    Justice Amrita Sinha: বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কড়া নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার, কী বললেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কঠোর অবস্থান নিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। হাওড়ার একটি বেআইনি নির্মাণের ঘটনায় প্রোমোটারকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি আগামী তিনমাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আবাসনের বাসিন্দাদের আবাসন খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha)। তারপরই আবাসনটি ভেঙে ফেলার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি।

    হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

    গার্ডেনরিচ (Garden Reach) বিপর্যয়ে এখনও পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে এখনও আটকে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। ভয়াবহ এই ঘটনার পরই বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ করল হাইকোর্ট। গার্ডেনরিচের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে বুধবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে কড়া পর্যবেক্ষণ ব্যক্ত করলেন। তিনি বলেন, ‘‘বেআইনি নির্মাণের সঙ্গে যুক্তদের ভাল শিক্ষা দিতে হবে। যাতে আগামীতে বেআইনি নির্মাণ বন্ধ হয়’। বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) মন্তব্য, ‘আদালত চোখ বন্ধ করে বসে থাকতে পারে না, বিচার না দিলে অন্যায় করা হবে। সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশের উপর ডিভিশন বেঞ্চের কোন স্থগিতাদেশ নেই।’’ শুধু তাই নয়, ১ লাখ টাকা জরিমানা দিতে না চাওয়া অভিযুক্তের জরিমানা বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা করল আদালত। বাড়ি ভাঙার নির্দেশ কার্যকর করতে পুরসভার আপ-টু-ডেট যন্ত্রপাতি রয়েছে কিনা তাও এদিন জানতে চান বিচারপতি।  এ বিষয়ে পুর কমিশনারের থেকে ৯ এপ্রিলের মধ্যে হলফনামা তলব করেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ভোটের কালি সহজে ওঠে না, জানেন কোথায় তৈরি হয় এই বিশেষ রঙ?

    কড়া নির্দেশ বিচারপতির

    আদালত (Calcutta High Court) সূত্রে জানা গেছে, হাওড়ার কালীপ্রসাদ চক্রবর্তী লেনে কোনরকম অনুমোদন ছাড়াই তৈরি হয়েছিল একটি পাঁচতলা আবাসন। শুধু তাই নয় সেই আবাসনটির প্রত্যেকটি ফ্ল্যাট ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা দরে বিক্রি করে দেয় প্রোমোটার। নির্মাণটিকে কেন্দ্র করে মামলা দায়ের হয়। অভিযোগ, মামলা চলাকালীনই একতলা থেকে সেটিকে পাঁচ তলায় রূপান্তরিত করে দেন প্রোমোটার। এদিন মামলার শুনানিতে গার্ডেনরিচের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বিচারপতি বলেন, ‘আদালত এতদিন নরম ছিল তাই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। যে পরিস্থিতি এসে দাঁড়িয়েছে তাতে আদালত আর কোন বেআইনি নির্মাণকে রেয়াত করবে না।’ আবাসনের বাসিন্দারা এদিন আদালতের কাছে অতিরিক্ত সময় চান। তাঁদের দাবি ছিল, ব্যাঙ্ক লোন করে সর্বস্ব দিয়ে ফ্ল্যাটগুলি কিনেছেন। ফ্ল্যাটটি খালি করতে তাঁদের অন্তত এক বছর সময় দেওয়া হোক। কিন্তু সেই আবেদন পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি (Justice Amrita Sinha)। ২ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে ৩ বিজেপি কর্মীর খুনে অভিযুক্ত শাহজাহান, কেস ডায়েরি তলব হাইকোর্টের

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে ৩ বিজেপি কর্মীর খুনে অভিযুক্ত শাহজাহান, কেস ডায়েরি তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ৩ বিজেপি সমর্থককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ রয়েছে শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বিরুদ্ধে। সেই মামলার শুনানিতে এবার ঘটনার কেস ডায়েরি তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আগামী শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে কেস ডায়েরি আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ততদিন নিম্ন আদালতের বিচারপ্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে। ওই ঘটনার এফআইআর-এ নাম থাকলেও, চার্জশিট থেকে শেখ শাহজাহানের নাম বাদ দিয়েছিল রাজ্য পুলিশ। 

    কোন ঘটনার কেস ডায়েরি

    ২০১৯ সালে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ৩ বিজেপি কর্মী সুকান্ত মণ্ডল, তপন মণ্ডল ও প্রদীপ মণ্ডলকে পুলিশের উপস্থিতিতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে খুন করে শাহজাহানের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। পরিবারের দাবি, ৩ নিহতের মধ্যে ২ জনের দেহ এখনও পাওয়া যায়নি। সেই ঘটনায় শাহজাহানসহ একাধিক দুষ্কৃতীর নামে এফআইআর দায়ের হয়। প্রাথমিকভাবে শাহজাহানকে অভিযুক্ত করা হলেও পরে পুলিশ আদালতে আবেদন করে তার নাম অভিযুক্তের তালিকা থেকে বাদ দেয়। কিন্তু স্থানীয়দের দাবি, ওই ঘটনার পর বেশ কিছুদিনের জন্য গায়েব হয়ে গিয়েছিল শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। পরে ফের তাকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে প্রকাশ্যে দেখা যায়।

    আরও পড়ুন: রাত থেকেই ভিজছে শহর, আগামী তিন দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণে

    হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

    বিজেপির দাবি ছিল, অভিযোগপত্রে নাম থাকা সত্ত্বেও শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) নাম ছিল না চার্জশিটে। এই সংক্রান্ত এক মামলার শুনানির সময়ে কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছিল, গত ৪ বছরে ৪৩ টি এফআইআর হয়েছে, যার মধ্যে ৪২টি মামলায় চার্জশিট পেশ হয়েছিল। কিন্তু আদালত বিস্ময় প্রকাশ করেছিল যে, ৪২টি মামলার চার্জশিট দিতে কেন ৪ বছর সময় লেগেছে। নিহত তপন মণ্ডলের পরিবারের দাবি, ঘটনার দিন পুলিশের উপস্থিতিতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় তপনবাবুকে। এর পর সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শাহজাহানের লোকেরা তার ভেড়ির মাঝখানে নিয়ে গিয়ে তপনকে নৃশংসভাবে মারধর করে। এর পর একের পর এক গুলি করা হয় তপনবাবুকে। এমনকী তাঁর ২টি চোখেও গুলি করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনার পর থেকে ঘরছাড়া নিহতদের পরিবার। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। এবার সেই ঘটনারই কেস ডায়েরি চেয়ে পাঠাল কলকাতা হাইকোর্ট। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “অবৈধ বাড়ি ভাঙার নির্দেশে কোনও স্থগিতাদেশ নয়”, বললেন বিচারপতি সিনহা

    Calcutta High Court: “অবৈধ বাড়ি ভাঙার নির্দেশে কোনও স্থগিতাদেশ নয়”, বললেন বিচারপতি সিনহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বেআইনিভাবে নির্মাণের অভিযোগে বাড়ি ভাঙার নির্দেশের ওপর কোনওরকম স্থগিতাদেশ নয়। স্থগিতাদেশের কোনও আবেদনই শুনব না। যে আদালতই নির্দেশ দিক, সেটাই বহাল থাকবে।” মঙ্গলবার এমনই মন্তব্য করলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আদালত জানিয়েছে, আগে মানুষের জীবন সুরক্ষিত হোক, আদালত এই ধরনের মামলায় কোনও হস্তক্ষেপই করবে না। বাড়ি ভাঙার নির্দেশের বিরুদ্ধে কোনও মামলার অনুমতিও নয়। মঙ্গলবার বিচারপতি সিনহার এজলাসে এ সংক্রান্ত তিনটি মামলার আবেদন এসেছিল। একটি মামলাও গৃহীত হয়নি।

    বিচারপতি সিনহার প্রশ্ন (Calcutta High Court)

    এদিন ইকবালপুরের একটি বেআইনি নির্মাণ মামলার শুনানি হচ্ছিল বিচারপতি (Calcutta High Court) অমৃতা সিনহার এজলাসে। বাড়িটির বাইরের অংশ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এই মামলায় পুরসভা ৩০ দিন সময় চেয়েছিল। এর পরেই বিচারপতি সিনহার প্রশ্ন, একটা বাড়ির বাইরের অংশ ভাঙতে ৩০ দিন সময় লাগে? বাড়ি ভাঙার নির্দেশ কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আছে কিনা, তা জানাতে পুরকমিশনারের হলফনামা তলব করেছে আদালত। ৯ এপ্রিল ওই হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। তিনি বলেন, “যখন একটা বিল্ডিং ভাঙে তখন কয়েক সেকেন্ড সময় লাগে। আর সেই বাড়ি ভাঙতে এখানে ৩০ দিন সময় লাগবে কেন?”

    বহুতল বিপর্যয়ে ভয়ঙ্কর ছবি

    গার্ডেনরিচে (Calcutta High Court) বহুতল বিপর্যয়ের পর উঠে আসছে ভয়ঙ্কর সব ছবি। একটি বহুতলের ওপর হেলে পড়েছে আর একটি বহুতল। দুই বহুতলের মাঝে ফাঁক মাত্র এক আঙুলের। ৯টি প্রাণের বিনিময়ে নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা পুরসভাও। থানাগুলিকেও নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে পুলিশের হেড কোয়ার্টার লালবাজার। এহেন আবহেই এমন পর্যবেক্ষণ বিচারপতি সিনহার। বিচারপতি বলেন, “বাইরের অংশের কলাম আর বিম ভাঙার নির্দেশ দেওয়া ছিল। বাইরের দেওয়াল ভাঙতেও এত সময়! কেন? প্রশ্ন বিচারপতি সিনহার। তার পরেই তিনি (Calcutta High Court) বলেন, “যখন একটা বিল্ডিং ভাঙে তখন কয়েক সেকেন্ড সময় লাগে, আর সেই বাড়ি ভাঙতে এখানে ৩০ দিন সময় লাগবে কেন?

    আরও পড়ুুন: সিএএ-তে স্থগিতাদেশ নয়, তিন সপ্তাহে কেন্দ্রের জবাব তলব সুপ্রিম কোর্টের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Calcutta High Court: ‘আদালতের নির্দেশ কি খেলনা?’ কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ‘আদালতের নির্দেশ কি খেলনা?’ কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ না মানায় কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।  একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা পুলিশকে কিছু সিসিটিভি ফুটেজ দেওয়ার নির্দেশ দেয় আাদালত। নির্দেশে মান্যতা না দেওয়ার জন্যেই ভর্ৎসনা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার।

    বিচারপতির পর্যবেক্ষণ

    এদিন সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানিতে বিচারপতি বলেন, হাইকোর্টের অর্ডার কি খেলার জিনিস? পুলিশ কি মনে করছে? হাইকোর্টের (Calcutta High Court) অর্ডার না মানলেও চলবে? কিন্তু পুলিশ যদি ভাবে কোর্ট অর্ডার না মানলেও চলবে, তাহলে ভুল করছে। কেন আদালত অবমাননার জন্য তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেব না? পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি এও বলেন, “ভুলে যাবেন না, হাইকোর্টের ক্ষমতা।” এরপরই মামলার পরবর্তী শুনানিতে এজলাসে হাজির হয়ে পুলিশ কমিশনারকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

    আরও পড়ুন: ফের বিজেপিতে অর্জুন, ভোটের আগে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিলেন দিব্যেন্দু

    আদালতের নির্দেশ

    মোবাইল টাওয়ার লোকেশন সংক্রান্ত একটি মামলায় হাইকোর্টের (Calcutta High Court)  দ্বারস্থ হয়েছিলেন মামলাকারী পঙ্কজ কুমার দুগার। ওই মামলায় আলিপুর পুলিশ কোর্ট থেকে হাজারা ক্রসিং  এবং কালীঘাট ফায়ার স্টেশন পর্যন্ত সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশ কমিশনারকে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। আদালত সূত্রে জানা গেছে, এই নির্দেশের পরেও কাজ হয়নি। উল্টে  পুলিশ কমিশনারের হয়ে কালীঘাট থানার ওসি রিপোর্ট দেয় আদালতকে। ২২ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি। ওইদিন সিপিকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিক মামলায় কলকাতা পুলিশ বা রাজ্য পুলিশকে আদালতের রোষের মুখে পড়তে দেখা গিয়েছে। রাজনৈতিক মামলা থেকে শুরু করে অন্য কোনও অপরাধ সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। 

    আরও পড়ুন: দাড়িভিটকাণ্ডে রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবের বিরুদ্ধে রুল ইস্যু হাইকোর্টের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: ‘‘গলাকাটা দামে বিক্রি হয়েছে চাকরি’’, নিয়োগ মামলায় পর্যবেক্ষণ বিচারপতি সিনহার

    Recruitment Scam: ‘‘গলাকাটা দামে বিক্রি হয়েছে চাকরি’’, নিয়োগ মামলায় পর্যবেক্ষণ বিচারপতি সিনহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) সিবিআইয়ের বিস্তারিত রিপোর্ট যেন মৌচাকের মতো বহুমুখী। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত রিপোর্ট জমা করেছিল সিবিআই এবং ইডি। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha) এই মন্তব্য করেন। ওই রিপোর্ট নিয়ে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ এবং তাঁর নির্দেশনামা বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে।

    বিচারপতির পর্যবেক্ষণ

    নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) সিবিআই রিপোর্ট চমকে দেওয়ার মতো। অনেকটা মৌচাকের মতো বহুমুখী। সিবিআই-এর রিপোর্ট দেখে মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বৃহস্পতিবারের শুনানিতে বিচারপতি এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন। বিচারপতি বলেন, “যে পরিমাণ টাকা পাচার করা হয়েছে, তা চমকে দেওয়ার মতো। টাকা এক হাত থেকে আরেক হাতে বিভিন্ন স্তরে গিয়েছে। এই অপরাধ এক হাত থেকে আরেক হাতে, এক দফতর থেকে আরেক দফতরে মসৃণভাবে প্রবেশ করেছে। শুধু রাজ্য না রাজ্যের বাইরেও টাকা গেছে। অপরাধের তীব্রতা শকিং।” আদালতের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, “সরকারি চাকরি এখানে গলাকাটা দামে বিক্রি হয়েছে।” যেহেতু তদন্ত চলছে, তাই তদন্তের স্বার্থে রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হবে না, বলেও জানান বিচারপতি সিনহা (Justice Amrita Sinha)।

    আরও পড়ুুন: “ভারতের গণতন্ত্রে ঐতিহাসিক দিন”, এক দেশ এক ভোট প্রসঙ্গে বললেন শাহ

    সিবিআইকে নির্দেশ আদালতের (Calcutta High Court)

    তদন্ত দ্রুত শেষ করে ট্রায়াল শুরু করা উচিত বলেই মনে করে আদালত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে আদালতের নির্দেশ, সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের ভয়েস স্যাম্পেলের রিপোর্ট শীঘ্রই সংগ্রহ করতে হবে। নির্দেশনামা অনুযায়ী, ইডির রিপোর্ট দেখে মনে হচ্ছে, পিএমএলএ (টাকা তছরুপ)-এর মামলায় ইডিকে আরও সক্রিয় পদক্ষেপ করতে হবে। এক অভিযুক্তের কণ্ঠস্বরের নমুনা সিএফএসএল থেকে দ্রুত আনার জন্য ইডিকে পদক্ষেপ করতে হবে। আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশ, অপরাধ কী ভাবে এগিয়েছে, বিশেষত ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থা, তার ডিরেক্টর এবং কর্মীরা কী ভাবে এত টাকা সঞ্চয় করেছেন, যা ইডির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। পরবর্তী শুনানির দিন, আগামী ২৪ এপ্রিল ইডি-সিবিআইকে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিতে হবে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share