Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Sukanta Majumder: সন্দেশখালিকাণ্ডে শর্তসাপেক্ষে সুকান্তকে ধর্নায় অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের

    Sukanta Majumder: সন্দেশখালিকাণ্ডে শর্তসাপেক্ষে সুকান্তকে ধর্নায় অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শর্তসাপেক্ষে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder) ধর্নায় অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের। সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে কলকাতার মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসতে চেয়েছিলেন সুকান্ত। তাতে অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ। বুধবার থেকে দু’দিনের ধর্নায় অনুমতি দিয়েছে আদালত।

    বিচারপতির নির্দেশ

    বিচারপতির নির্দেশ, সর্বাধিক দেড়শো জনের জমায়েত নিয়ে ধর্না করতে হবে। মাইক ব্যবহার করা যাবে না। কোনও সমস্যা হলে দায় বর্তাবে মামলাকারীর ওপরই। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, জমায়েত হওয়া ও ধর্না সাংবিধানিক অধিকার। একমাত্র উপযুক্ত (Sukanta Majumder) কারণ থাকলে তবেই এই অধিকার খর্ব করা যায়। বুধবার থেকে আগামী দু’দিন গান্ধী মূর্তির পাদদেশে সন্দেশখালি ইস্যুতে ধর্নায় বসবেন সুকান্ত মজুমদার।

    সুকান্তকে ধর্নায় বসার অনুমতি

    সন্দেশখালিকাণ্ডের জেরে তিন দিনের ধর্নায় বসতে চেয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এ ব্যাপারে রাজ্য পুলিশের কাছে আবেদনও জানানো হয়েছিল বিজেপির পক্ষ থেকে। রাজ্যে চলছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। সে কথা জানিয়ে সুকান্তকে ধর্নায় বসার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। এর পরেই আদালতের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। পদ্ম শিবির জানিয়ে দেয়, যে এলাকায় ধর্নায় বসা হবে, তার আশপাশে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। সেনাবাহিনীর তরফে অনুমতি মিলেছে বলেও জানিয়ে দেয় বিজেপি। এর পরেই শর্তসাপেক্ষে সুকান্তকে বসার অনুমতি দেয় আদালত।

    আরও পড়ুুন: ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিকে বাধা! সন্দেশখালির পথে গ্রেফতার অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি

    রেশন বিলি কেলেঙ্কারিকাণ্ডে নাম জড়ায় সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডির দুই আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ান। তার পরেও কার্যত কর্পূরের মতো উবে যান এই তৃণমূল নেতা। এর পরেই শাহজাহান ও তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে ওঠে নারী নির্যাতনের অভিযোগ। ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন সন্দেশখালির নির্যাতিতারা। তাঁদের আন্দোলন দমন করতে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। তা সত্ত্বেও সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তাঁর বাগ-বিতণ্ডা হয়। ধস্তাধস্তির জেরে গাড়ি থেকে নীচে পড়ে যান সুকান্ত। অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। টানা তিন দিন বাইপাসের একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। এর পর সুস্থ হয়ে সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রতিবাদে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসতে চান তিনি। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ‘অজুহাতে’ তাতে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। শেষমেশ আদালতে মিলল অনুমতি (Sukanta Majumder)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালি যেতে গিয়ে গ্রেফতার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা, হাইকোর্টে দায়ের মামলা

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালি যেতে গিয়ে গ্রেফতার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা, হাইকোর্টে দায়ের মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) যাওয়ার পথে আটকে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যদের। গ্রেফতার করা হয় অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকেও। এবার এই বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। মঙ্গলবার বিচারপতি কৌশিক চন্দর এজলাসে মামলা দায়ের করেছে দিল্লির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। 

    কেন আটকানো হল

    মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেন, “শাসক দলের নেতা মন্ত্রীদের যেতে দিচ্ছে পুলিশ, কিন্তু বাকিদের আটকানো হচ্ছে।” মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গত রবিবার সন্দেশখালি গিয়েছিল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। সেদিন ধামাখালি হয়ে সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) পাত্রপাড়া, মাঝেরপাড়া, নতুনপাড়ায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যদের যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পথেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিচারপতি নারসিমা রেড্ডি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের যুগ্ম রেজিস্ট্রার রাজপাল সিং, ওপি ব্যাস, জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের কনসালট্যান্ট ভাবনা বাজাজ এবং বর্ষীয়ান সাংবাদিক সঞ্জীব নায়ক। পথেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। টেনেহিঁচড়ে তাঁদের প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। কেন সন্দেশখালি যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, পুলিশের উদ্দেশে সেই প্রশ্ন করতে থাকেন তাঁরা। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হল।

    আরও পড়ুন: ‘দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন’’, ফের শামির পাশে প্রধানমন্ত্রী, ধন্যবাদ জানালেন পেসারও

    এর আগে জাতীয় মহিলা সুরক্ষা কমিশন থেকে শুরু করে এসসি কমিশন সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) এলাকা পরিদর্শন করে। সন্দেশখালি এলাকায় যান স্বয়ং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পাশাপাশি, একাধিক রাজনৈতিক দল সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাঁদের বাধার সম্মুখীন হতে হয়। সন্দেশখালির একাধিক জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, শাসক দলের নেতারা খুব সহজেই সেখানে পৌঁছে যেতে পারছেন। এলাকায় ভয়ের পরিবেশ রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: ‘‘হচ্ছেটা কী?’’ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের রাজ্যকে ভর্ৎসনা বিচারপতি বসুর

    Recruitment Scam: ‘‘হচ্ছেটা কী?’’ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের রাজ্যকে ভর্ৎসনা বিচারপতি বসুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তে ফের বিচারপতির তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ল রাজ্য সরকার ৷ সোমবার গোথা হাইস্কুল মামলায় তদন্তকারী সিটের সদস্যরা কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) হাজিরা দেন। কিন্তু সকল ডিআই-দের রিপোর্ট জমা দিতে পারেনি রাজ্য সরকার। এরপরই নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে রাজ্যের উদাসীনতা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এদিন এই মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হতে তুলে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বিচারপতি।

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    শিক্ষকের নিয়োগে (Recruitment Scam) বেনিয়মের অভিযোগ যাচাই করতে তদন্ত করছে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে গঠিত স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (সিট)। এদিন সংশ্লিষ্ট মামলাটিতে রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু প্রশ্ন তোলেন, “সিআইডি কী তদন্ত করছে? তিনজনের সিট গঠিত হয়েছে। সুতি সহ আরও যে অভিযোগ জমা পড়েছে সেই তদন্ত কতদূর এগিয়েছে? স্কুল সার্ভিস কমিশনের পশ্চিমাঞ্চলের চেয়ারম্যান সিরাজউদ্দিন শেখ কি গ্রেফতার হয়েছেন?” উত্তরে রাজ্য সরকারের আইনজীবী রুদ্র নন্দী জানান, “সিটের সদস্যদের কাছে অভিযোগের ভিত্তিতে তারা তদন্ত করছে। গোথা হাই স্কুলে বাবা ও ছেলে গ্রেফতার হয়েছে। আব্দুল রাকিবকে সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছে। সকলেই এই স্কুলের শিক্ষক ও ক্লার্ক হিসাবে কাজ করতেন। এছাড়াও জাসমিনা খাতুন নামে আর একজন গ্রেফতার হয়েছে।” 

    আরও পড়ুন: জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি, আজ তিন রাজ্যের ১৫ আসনে রাজ্যসভা নির্বাচন

    ক্ষোভ প্রকাশ বিচারপতির

    বিচারপতি বসু বলেন, “সমস্ত জেলার ডিআইদের রিপোর্ট কোথায়? আদালত জানতে চায় তারা কী তথ্য দিচ্ছে?” রাজ্যের তরফে জানানো হয়, রিপোর্ট তৈরি হলেও এই মুহূর্তে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আরও সময় দেওয়া হোক। রাজ্যের বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, “কী অদ্ভুত! আমি কীভাবে অ্যাডভোকেট জেনারেলকে আমার প্রশ্নগুলো করব? আজ সেই রিপোর্ট নিয়ে এলে মামলাটা এগিয়ে যেত। স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম এত উদাসীন! হচ্ছেটা কী?” এরপর রাজ্যকে সতর্ক করে রাজ্যের আবেদনে সাড়া দিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য সময় দিয়েছে আদালত (Calcutta High Court)। আগামী বৃহস্পতিবার মামলার পরবর্তী শুনানি। সেদিন ডিআই-দের রিপোর্টের সঙ্গে রাজ্যকে মামলার কেস ডায়েরি জমা দিতে বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালির প্রতিবাদে বিজেপির ধর্নায় ‘না’ কলকাতা পুলিশের, ফের হাইকোর্টে সুকান্ত

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালির প্রতিবাদে বিজেপির ধর্নায় ‘না’ কলকাতা পুলিশের, ফের হাইকোর্টে সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে শাসকদলের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ক্রমশ দানা বাঁধছে। শেখ শাহজাহান এবং তাঁর দলবদলের বিরুদ্ধে সরব স্থানীয় মানুষ। প্রতিদিন সেখানে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মহিলারা। আজ তাঁরা রুখে দাঁড়িয়েছেন। পাশে পেয়েছেন বিরোধী দল বিজেপিকে। কিন্তু পুলিশ-প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে মানুষের প্রতিবাদ রুখতে চাইছে রাজ্য সরকার। সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিজেপির তিন দিনের ধর্না কর্মসূচিতে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। এবার ধর্নায় বসতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। 

    আদালতের দ্বারস্থ

    সন্দেশখালি নিয়ে কলকাতার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি। অনুমতি মেলেনি। এরপরই হাইকোর্টে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। আদালত সূত্রে খবর, মঙ্গলবার শুনানি হতে পারে। গত শুক্রবার বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব স্থির করেন, সন্দেশখালির ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে খাস কলকাতায় টানা তিন দিন ধর্না কর্মসূচি পালন করবে দল। ধর্না কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি সূত্রে খবর ছিল, আগামী মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত টানা তিন দিন কলকাতার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে সেই ধর্না চলবে। পুলিশের কাছে অনুমতি চাওয়া হলে তা দেওয়া হয়নি। অবশ্য সেনার তরফে ধর্নার অনুমতি পেয়েছিল বলে দাবি বিজেপির। 

    আরও পড়ুন: ‘জ্ঞানবাপীর তহখানায় চলবে পুজো’, মুসলিম পক্ষের আপত্তি নাকচ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    ময়দান এলাকা সেনার অধীন

    উল্লেখ্য, ময়দান এলাকার মালিক সেনা। তাই সেখানে ধর্না করতে গেলে সেনার অনুমতি প্রয়োজন পড়ে। তবে বিজেপির দাবি, সেনার অনুমতি থাকলেও পুলিশি ছাড়পত্র মেলেনি। পুলিশ নাকি বিজেপিকে বলেছে, সেই এলাকায় লাউডস্পিকার বাজানো মানা। তাই ধর্নার অনুমতি দেওয়া যাবে না। তবে বিজেপির পালটা যুক্তি, কয়েকদিন আগেই সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্না করেন। এই আবহে ধর্নার অনুমতি চেয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: পঞ্চায়েত ভোটে সন্দেশখালিতে কী অভিযোগ ছিল? খুঁজে দেখার নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: পঞ্চায়েত ভোটে সন্দেশখালিতে কী অভিযোগ ছিল? খুঁজে দেখার নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের সময় কেমন ছিল সন্দেশখালি (Sandeshkhali)? তখন সেখানে কী কী অভিযোগ ছিল? এবার সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চায় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে পঞ্চায়েতে আদালত অবমাননার মামলার শুনানি ছিল। শুনানি চলাকালীন কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল-সহ সেই মামলার আইনজীবীদের পঞ্চায়েতে সন্দেশখালি নিয়ে কী অভিযোগ ছিল, তা খুঁজে বার করতে বলেন প্রধান বিচারপতি।

    প্রধান বিচারপতির নির্দেশ

    শুক্রবার কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল (এএসজি)-সহ পঞ্চায়েতে আদালত (Calcutta High Court) অবমাননার মামলার আইনজীবীদের পঞ্চায়েত ভোটে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) নিয়ে অভিযোগ খুঁজে বার করতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম বলেন, ‘‘আমার যত দূর মনে পড়ছে, সন্দেশখালি নির্বাচন নিয়ে একটি মামলা দায়ের হয়েছিল। সেখানে কী অভিযোগ ছিল দেখতে চাই। ওই মামলাটি কে করেছিলেন তা-ও খুঁজে বার করা হোক।’’ আগামী সোমবার সন্দেশখালি মামলার শুনানির সময় সেই বিষয়টিও আদালত নজরে আনতে চায় বলে জানান প্রধান বিচারপতি।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিকাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য, এক সপ্তাহে বাংলায় ৩টি জনসভা মোদির

    সন্দেশখালি প্রসঙ্গে মন্তব্য

    ২০ তারিখও সন্দেশখালি (Sandeshkhali) মামলার শুনানিতে উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি। তিনি নাম না করে শাহজাহান প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় ওঁকে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিতে পারি।’ পাশাপাশি প্রধান বিচারপতির আরও উল্লেখযোগ্য মন্তব্য ছিল, ‘জানি না তাঁকে কেউ নিরাপত্তা দিচ্ছেন কিনা।’এবার কলকাতা হাইকোর্টের নজরে সন্দেশখালিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঘটে যাওয়া হিংসার ঘটনা। গত ৫ জানুয়ারি ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল সন্দেশখালিতে। তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনার পর থেকে পলাতক শাহজাহান। তারপর থেকেই বারবার উত্তপ্ত হয়েছে উত্তর ২৪ পরগণার সন্দেশখালি। এবার, রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়েও সন্দেশখালি নিয়ে কোনও অভিযোগ উঠেছিল কি না,তা খতিয়ে দেখতে চাইছে হাইকোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: আকবর-সীতা বিতর্ক এড়াতে সিংহের নাম বদলের পরামর্শ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: আকবর-সীতা বিতর্ক এড়াতে সিংহের নাম বদলের পরামর্শ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আকবর-সীতা বিতর্ক এড়াতে রাজ্যকে সিংহের নাম বদলের পরামর্শ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য বৃহস্পতিবার রাজ্যের উদ্দেশ ওই সিংহ দম্পতির নাম বদলে দিতে বলেন। বৃহস্পতিবার মামলাকারীকে জনস্বার্থ মামলা হিসেবে মামলা দায়ের করার নির্দেশও দেন তিনি।

    কী বললেন বিচারপতি?

    এদিন মামলাটির শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে। বিচারপতি ভট্টাচার্য (Calcutta High Court) বলেন, “কারা এই নাম রেখেছেন? কারা এত বিতর্ক তৈরি করছেন? কোনও পশুর নাম কি কোনও দেবতা, পৌরাণিক নায়ক, স্বাধীনতা সংগ্রামী অথবা নোবেলজয়ী ব্যক্তির নামে রাখা যায়? সিংহ-সিংহীর নাম আকবর ও সীতার নামে রেখে শুধু শুধু বিতর্ক ডেকে আনা হয়েছে। এই বিতর্ক এড়ানো যেত। শুধু সীতা নয়, আকবর নামটিও রাখা উচিত নয়। তিনি মুঘল সাম্রাজ্যের মহান সম্রাট ছিলেন। অত্যন্ত দক্ষ এবং ধর্ম নিরপেক্ষ ছিলেন। রাজ্যের উচিত ছিল এই ধরনের নামের বিরোধিতা করা।”

    বিচারপতির গুচ্ছ প্রশ্ন

    আলিপুর চিড়িয়াখানর প্রসঙ্গ টেনে বিচারপতি বলেন, “কত সাধারণ নাম রয়েছে, যা নিয়ে বিতর্ক হয় না। আলিপুর চিড়িয়াখানায় একটি সিংহীর নাম শ্রুতি, তা নিয়ে তো বিতর্ক হয় না।” বিচারপতি বলেন, “আপনি কি কোনও সিংহের নাম দেবেন হিন্দুদের কোনও দেবতার নামে? অথবা কোনও মুসলমান প্রফেটের নামে? কিংবা খ্রিস্টানদের দেবতার নামে? অথবা কোনও স্বাধীনতা সংগ্রামীর নামে? কিংবা কোনও নোবেলজয়ীর নামে? সাধারণত আমাদের দেশে যাঁরা শ্রদ্ধার পাত্র কিংবা বিখ্যাত তাঁদের নামে?”

    আরও পড়ুুন: বিজেপি-র মহিলা মোর্চাকে বাধা! শাহজাহান অনুগামীর ভেড়ির আলাঘর জ্বালিয়ে দিল জনতা

    গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরার বিশালগড়ের সিপাহিজল জুলজিক্যাল পার্ক থেকে জলপাইগুড়ির সাফারি পার্কে নিয়ে আসা হয় ওই সিংহ দম্পতিকে। সিংহটির নাম আকবর, সিংহীর নাম সীতা। সেখানে তাদের একই ঘেরাটোপে রাখা হয়। সিংহ দম্পতির এই নামে আপত্তি তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। অভিযোগ, এক ঘেরাটোপে এই নামের সিংহ ও সিংহীকে রেখে আঘাত করা হয়েছে ধর্মীয় ভাবাবেগে (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: ‘‘জেলে অন্তঃসত্ত্বা হলে বন্দিরা কলঙ্কিত হন’’, সব পক্ষকে বৈঠকের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ‘‘জেলে অন্তঃসত্ত্বা হলে বন্দিরা কলঙ্কিত হন’’, সব পক্ষকে বৈঠকের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে সংশোধনাগারে অন্তঃসত্ত্বা (Pregnant in Jail) হচ্ছেন মহিলারা! মহিলা বন্দিদের সঙ্গে এখন ১৯৬ শিশু রয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলে। এই প্রসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের হয়েছিল। মঙ্গলবার মামলাটি ওঠে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে। এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সব পক্ষকে নিয়ে রাজ্যকে বৈঠকে বসতে হবে। সেখান থেকে কী উঠে এল, রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি)-কে তা নিয়ে আগামী ৮ মার্চ আদালতে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে। 

    হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

    মঙ্গলবার বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘এই ধরনের অভিযোগের কী সামাজিক প্রভাব পড়তে পারে তা আমরা জানি। এটা মহিলাদের কালিমালিপ্ত করার চরম পথ। এমনিতেই তাঁরা অভিযুক্ত হয়ে জেলে। এই পরিস্থিতিতে এমন একটা অভিযোগ যদি সামনে আনা হয় সেক্ষেত্রে তা তাঁদের আরও বেশি কলঙ্কিত করতে পারে। এটা দায়িত্বশীল পদে থাকা ব্যক্তিদের আরও বেশি করে মাথায় রাখা জরুরি।’ মঙ্গলবার আদালত বান্ধব তাপস ভঞ্জের সওয়াল, জেলে ঢোকার পরে মহিলাদের পুরুষ বন্দিদের সেলের সামনে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। মহিলাদের জন্য আলাদা রাস্তা বা প্রবেশপথ নেই। এর ফলে অনেক সময় পুরুষ বন্দিরা হায়নার মতো আচরণ করেন। এটা আটকানো দরকার। আর মহিলা কয়েদিদের নিয়মিত ‘প্রেগন্যান্সি টেস্ট’ করানো হোক।

    আরও পড়ুুন: শাহজাহানকে রক্ষা করছে মমতা-পুলিশ! সন্দেহ কলকাতা হাইকোর্টের

    গর্ভধারণের পরীক্ষা নিয়ে নিজে থেকে কোনও নির্দেশ দেবে না বলে আদালত জানায়। বিচারপতি বাগচীর মন্তব্য, ‘‘এমন নির্দেশ আদালত একেবারেই দেবে না। কোনও মহিলা স্বেচ্ছায় চাইলে বা কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত (Calcutta High Court) নির্দেশ দিতে পারে। কিছু সমস্যা রয়েছে, তা থেকে বার হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। রাজ্যের সঙ্গে সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা করুন। আপনার পরামর্শ দিন রাজ্যকে পুরুষ ও মহিলা বন্দিদের পথ আলাদা করা যায় কিনা।’’ এদিন বিচারপতি জানান, রাজ্যকে সমস্ত পক্ষের সঙ্গে বসতে হবে। সেখানেই বাড়তি বন্দি ভিড়, মহিলা বন্দি, জেলে বন্দি মৃত্যু, জেলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, অসুস্থ বন্দিদের মৃত্যু সহ নানা বিষয়ে সহমতের ভিত্তিতে একটি রূপরেখা তৈরি করার পর আদালত শুনানি করবে সমস্যা ধরে ধরে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: শাহজাহানকে রক্ষা করছে মমতা-পুলিশ! সন্দেহ কলকাতা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: শাহজাহানকে রক্ষা করছে মমতা-পুলিশ! সন্দেহ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে মমতা-পুলিশ রক্ষা করছে বলে এবার সন্দেহ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। মঙ্গলবার সন্দেশখালি সংক্রান্ত মামলায় এই মন্তব্য করতে শোনা যায় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমকে। বিচারপতি বলেন, ‘‘এমন ব্যক্তিকে রক্ষা করা হচ্ছে কি না আমরা জানি না। তবে মনে হচ্ছে, হয় রাজ্য পুলিশ তাঁকে রক্ষা করছে, না হলে তিনি পুলিশের আওতার বাইরে চলে গিয়েছেন।’’

    শাহজাহানকে নিয়ে কেন্দ্র করে এত সমস্যা!

    প্রধান বিচারপতি পলাতক শাহজাহানকে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এসে আত্মসমর্পণ করার কথা বলতে পারেন বলেও জানিয়েছেন। প্রধান বিচারপতির নিজের ভাষায়, ‘‘শেখ শাহজাহানকে আমরা এই কোর্টে আসতে বলতে পারি। ইডি, সিবিআই এবং পুলিশ সবাই থাকবে। স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় তাঁকে আমরা এখানে আত্মসমর্পণ করতে বলতে পারি। এত দিন ধরে ওই ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে এত সমস্যা। শাহজাহান প্রকাশ্যে এসে তো বলতে পারেন, এই সব অভিযোগ সঠিক নয়। কারও জমি নেওয়া হয়নি। তা না করে ওই ব্যক্তি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদি তিনি পালিয়ে বেড়ান, তবে স্বাভাবিক ভাবে সমস্যা আরও বাড়বে। তাঁর সমর্থকেরাই সমস্যা তৈরি করতে পারে।’’

    মূল মাস্টারমাইন্ড শাহজাহান 

    এদিনের শুনানিতে প্রধান বিচারপতির (Calcutta High Court) মন্তব্যে সন্দেশখালির মূল মাস্টারমাইন্ড হিসেবে উঠে এসেছে শাহজাহানের নাম। শাহজাহানকে কটাক্ষ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘এক জন ব্যক্তি পুরো সমস্যার জন্য দায়ী। অথচ তিনি কিনা জনপ্রতিনিধি! মানুষ তাঁকে ভোট দিয়ে নির্বাচন করেছেন। যেখানে জনগণের স্বার্থে ওই ব্যক্তির কাজ করা উচিত, সেখানে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, তিনি জনগণের ক্ষতিই করেছেন।’’

    পুলিশের ভূমিকায় সন্দেহ

    সন্দেশখালি ইস্যুতে পুলিশের ভূমিকায় সন্দেহ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court) এবং তিনি বলেন, ‘‘মামলা দায়ের হয়েছে, অথচ রাজ্য পুলিশ তাঁকে (শাহজাহানকে) ধরতে পারছে না। তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ১৮ দিনের বেশি হয়ে গেল কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। এমন ব্যক্তিকে রক্ষা করা হচ্ছে কি না আমরা জানি না। কিন্তু তাঁকে সমর্থন করা উচিত নয় রাজ্যের।’’

    মামলায় যুক্ত করা হল ইডি-সিবিআইকে

    পাশাপাশি, এ দিনই প্রধান বিচারপতি সন্দেশখালি সংক্রান্ত মামলায় যুক্ত করেন ইডি এবং সিবিআইকে। প্রসঙ্গত, মহিলাদের উপর অত্যাচার এবং জমি দখল করে নেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে সেখানে। এবিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছেন বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়। ওই মামলা এবার থেকে শুনবেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে (Calcutta High Court)। আগামী সপ্তাহের সোমবারে এই মামলার শুনানি হবে। সেদিন মামলার সব পক্ষকে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

    সন্দেশখালি প্রেক্ষাপট

    গত ৫ জানুয়ারি থেকে শাহজাহানের খোঁজ চলছে তবে এখনও তিনি বেপাত্তা রয়েছেন। ৫ জানুয়ারি সকালে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যান ইডির আধিকারিকরা। সেখানে ৮০ থেকে ১০০ জনের উন্মত্ত জনতা গাড়ি ভাঙচুর করে তাঁদের। মাথাও ফাটিয়ে দেওয়া হয় ইডি অফিসারদের। এই ঘটনায় আবার ইডির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয় ন্যাজাট থানায়। সেখানে শাহজাহানের বাড়ির কেয়ারটেকারের অভিযোগের ভিত্তিতে সেই অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। এরপরেই সেখানে শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দার নামের শাহজাহানের দুই শাগরেদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সন্দেশখালির মানুষজন। হাজার হাজার মহিলা রাস্তায় নামেন তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। জানুয়ারি মাস থেকে রাজ্য রাজনীতিতে সন্দেশখালি নিয়ে জোর চর্চা চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: হাইকোর্ট থেকে অনুমতি নিয়েই আজ সন্দেশখালিতে শুভেন্দু

    Sandeshkhali: হাইকোর্ট থেকে অনুমতি নিয়েই আজ সন্দেশখালিতে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের থেকে অনুমতি নিয়ে আজ, মঙ্গলবার সন্দেশখালি (Sandeshkhali) যাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর সঙ্গে যাচ্ছেন বিজেপির পাঁচ বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, বিশাল লামা, অগ্নিমিত্রা পাল, সুমিতা সিনহা রায় ও তাপসী মণ্ডল। সন্দেশখালিতে এতদিন যে ১৪৪ ধারা জারি ছিল, সোমবারই তাতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে এখন সন্দেশখালি যেতে আর কোনও বাধা থাকার কথা নয় বিরোধীদের।

    আদালতের নির্দেশকে মান্যতা

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সন্দেশখালির নির্দিষ্ট কয়েকটি জায়গায় যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সোমবার, আদালত জানায়, শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করবে রাজ্য পুলিশ। প্রয়োজনে অতিরিক্ত বাহিনী ব্যবহার করা যেতে পারে। আদালতের এই নির্দেশের পর মঙ্গলবারই সন্দেশখালি যাচ্ছেন শুভেন্দু। এদিন আদালতের নির্দেশ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমি মাহামান্য কলকাতা হাইকোর্ট এবং বিচারপতি মহোদয়ের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই যে তিনি আমাকে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। আমি চেষ্টা করব সন্দেশখালির গ্রাম পঞ্চায়েতে আমার চিহ্নিত করে দেওয়া ছয়, সাত, আটটি মৌজা বা পাড়াতে মানুষজনের সঙ্গে দেখা করতে।’’

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের পাশে রাজ্যপাল, রাজভবনে খোলা হল ‘পিস হোম’

    সন্দেশখালিতে শুভেন্দু 

    এর আগে দু’বার সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন শুভেন্দু। দু’বারই বাধার মুখে পড়তে হয়। একবার বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়েতে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় শুভেন্দুকে। আরেকবার সন্দেশখালির রামপুরে বাধা দেওয়া হয় তাঁকে। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন তিনি। উভয়পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে সোমবারই তাঁর সন্দেশখালি সফরের অনুমোদন মেলে। সন্দেশখালির যে ১৫টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল, সেখানেও আদালতের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ কার্যকর হবে। ফলে শুভেন্দু বা বিজেপি বিধায়কদের সেই জায়গায় যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। শুভেন্দুর সঙ্গে রয়েছেন তিন মহিলা বিজেপি বিধায়ক। সন্দেশখালিতে যেহেতু মহিলাদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে, সেখানে মহিলা বিধায়করা নির্দেযাতিতাদের সঙ্গে কথা বলবেন।

    সাংবাদিক নিগ্রহের প্রতিবাদ

    সন্দেশখালিতে সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি সন্তু পানকে গ্রেফতারের ঘটনায় গর্জে উঠলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাতেই নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি সরিয়ে সেখানে কালো করে দেন তিনি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: সন্দেশখালিতে যেতে পারবেন শুভেন্দু, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: সন্দেশখালিতে যেতে পারবেন শুভেন্দু, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে যেতে পারবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ যে কোনও ব্যক্তি। সন্দেশখালির যে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি নেই, সেই জায়গায় যেতে পারবেন তাঁরা। তাঁদের বাধা দিতে পারবে না পুলিশ-প্রশাসন (Calcutta High Court)। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তাঁদের ওপর কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করা যেতেই পারে। তবে সেই বিধিনিষেধের বৈধতা যাচাই করবে আদালত। পাশাপাশি, বিএসএফকেও জানাতে হবে প্রয়োজনে বাড়তি নিরাপত্তা তারা দিতে পারবে কি না। সোমবার এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

    শুভেন্দুকে বাধা

    সন্দেশখালি যেতে গিয়ে আগে দু’ বার ব্যর্থ হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পুলিশের যুক্তি ছিল, ১৪৪ ধারা জারি করা এলাকায় তিনি গেলে বিঘ্নিত হতে পারে শান্তি। ১৪৪ ধারা রদ করতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে সিপিএম। সেই মামলার প্রেক্ষিতে সন্দেশখালি থেকে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। পরে সন্দেশখালির কিছু জায়গা চিহ্নিত করে ফের ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।

    আদালতে শুভেন্দু 

    পর পর দুদিন সন্দেশখালি যেতে গিয়ে বাধা পান শুভেন্দু। ১৫ ফেব্রুয়ারি আবারও সন্দেশখালির পথে রওনা দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Calcutta High Court)। ১৪৪ ধারা জারি থাকায় সঙ্গে নেন মাত্র তিন বিধায়ককে। সেদিনও অশান্তির আশঙ্কায় আটকে দেওয়া হয় শুভেন্দুর গাড়ি। সরবেরিয়ায় তাঁকে আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশের যুক্তি ছিল, শুভেন্দু এলাকায় গেলে প্রচুর মানুষ বেরিয়ে আসবেন। সেক্ষেত্রে নতুন করে তৈরি হতে পারে বিশৃঙ্খলা। এর পরেই সেখান থেকে ফিরে এসে আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুুন: দাঙ্গাকারীদের কড়া বার্তা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কাজ শুরু উত্তরাখণ্ড পুলিশের

    সোমবার মামলাটি ওঠে বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে। শুভেন্দুর আইনজীবীর সওয়াল, ভারতীয় সংবিধান যে কোনও নাগরিককে ভারত ভূখণ্ডের যে কোনও জায়গায় যাওয়ার অধিকার দেয়। কিন্তু শুভেন্দুকে সন্দেশখালিতে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। পাল্টা সওয়ালে রাজ্যের যুক্তি, শুভেন্দু সন্দেশখালির বাসিন্দা নন। তাই সেখানে ১৪৪ ধারা জারি নিয়ে মামলা করার অধিকার তাঁর নেই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টও বলছে, শুভেন্দু সন্দেশখালি গেলে গোলমাল হতে পারে। দু পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর আদালত (Calcutta High Court) জানিয়ে দেয়, শুভেন্দুকে সন্দেশখালি যেতে দিতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share