Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Calcutta High Court: সিংহ আকবর ও সিংহী সীতা! নামবদল চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে ভিএইচপি

    Calcutta High Court: সিংহ আকবর ও সিংহী সীতা! নামবদল চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে ভিএইচপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিংহীর নাম সীতা এবং সিংহের নাম আকবর, তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। জল গড়াল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) পর্যন্ত। হিন্দু ধর্মে রামচন্দ্র জায়া হলেন দেবী সীতা। সিংহীর নামকরণ দেবীর নামে কেন? এ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ৷ চলতি সপ্তাহের শুক্রবার সরাসরি কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বা ভিএইচপি। জানা গিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে (Calcutta High Court) বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের এজলাসে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানি রয়েছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে দাখিল করা পিটিশনে হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

    হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত?

    ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরা থেকে শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারিতে আনা হয় ওই সিংহ আকবর এবং সিংহীকে। ভিএইচপির অভিযোগ, জলপাইগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে (Calcutta High Court) ত্রিপুরা থেকে আনা সিংহীর নাম ‘সীতা’ রাখা হয়েছে।  এতে হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত হানা হয়েছে। অবিলম্বে এই নাম পরিবর্তন করতে হবে। পাশাপাশি অন্য কোনও প্রাণীর নাম যাতে হিন্দু দেব-দেবীর নামে না হয়, তারও আবেদন করা হয়েছে হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে।

    কী বলছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আইনজীবী

    ভিএইচপির আইনজীবী শুভঙ্কর দত্ত বলেন, ‘‘ত্রিপুরা থেকে যে সিংহ দু’টি আনা হয়েছে, তাদের সরকারি নথিতে নাম লেখা ছিল প্যানথেরা লিও মেল ও ফিমেল ৷ পাশাপাশি তাদের সিংহ ও সিংহী দু’টির আইডি নম্বরও দেওয়া ছিল। কিন্তু ত্রিপুরা থেকে বেঙ্গল সাফারি পার্কে আসার পর বৈজ্ঞানিক নাম না দিয়ে সিংহ ও সিংহীর হাউজ নেম দেওয়া হয় আকবর ও সীতা। তাই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের থেকে ‘সীতা’ নাম পরিবর্তন চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা স্টেট জু অথরিটি এবং বেঙ্গল সাফারি ডিরেক্টরকে এই মামলার পার্টি করেছি।’’ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি দুলাল চন্দ্র রায় বলেন, ‘‘বেঙ্গল সাফারি পার্কে আনা সিংহীর নাম রাখা হয়েছে সীতা। সিংহের নাম দেওয়া হয়েছে আকবর। সীতা নাম দেওয়ায় আমরা মনে করছি এতে আমাদের হিন্দু ধর্মের উপর আঘাত করা হয়েছে। এই নাম নিয়ে আমাদের তীব্র আপত্তি রয়েছে। তাই আমরা আদালতের দারস্থ হয়েছি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করুন, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

    Calcutta High Court: সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করুন, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন আইনজীবী সংযুক্তা সামন্ত। শুক্রবার জনস্বার্থ মামলা দায়ের করতে চেয়ে সংযুক্তার আর্জি, সন্দেশখালিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য মোতায়েন করা হোক কেন্দ্রীয় বাহিনী। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ। সোমবার শুনানি হতে পারে মামলাটির।

    ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিকে বাধা

    এদিকে, শুক্রবার (Calcutta High Court) পুলিশ সন্দেশখালিতে ঢুকতে বাধা দেয় বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিকেও। এদিন সকালে ওই কমিটির সদস্যরা নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন। সন্দেশখালির কয়েকটি গ্রামও পরিদর্শন করার কথা ছিল তাঁদের। ১৪৪ ধারা জারি থাকায় তাদের বাধা দেয় পুলিশ। শুরু হয় বচসা। পরে রামপুরে রাস্তার ওপরই বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা।

    নেপথ্য কথন

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোয় তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। অভিযোগ, বাড়িতে থাকলেও, দরজা খুলে ইডির আধিকারিকদের ঘরে ঢুকতে দেননি তাঁর পরিবারের লোকজন। কিছুক্ষণ পরে শাহজাহানের অনুগামী তৃণমূল নেতা-কর্মীরা ইডির তদন্তকারী আধিকারিকদের ওপর হামলা চালায়। জখম হন ইডির দুই আধিকারিক এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ান। ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা শাহজাহান।

    আরও পড়ুুন: ‘‘সন্দেশখালিতে যে আওয়াজ উঠেছে, তাকে আটকানো যাবে না’’, হুঙ্কার মিঠুনের

    শাহজাহান গা ঢাকা দিতেই ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয় মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, শাহজাহানের দলবল স্থানীয় মহিলাদের রাতে ডেকে পাঠাতেন পার্টি অফিসে। করা হত বর্বরোচিত নির্যাতন। এরই প্রতিবাদে দফায় দফায় অশান্তি শুরু হয় সন্দেশখালিতে। ঘটেছে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও। অশান্তি রুখতে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। এ নিয়ে রাজ্যের উদ্দেশে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর প্রশ্ন ছিল, “গোটা সন্দেশখালিজুড়ে উত্তেজনা কেন? গোটা এলাকায় জারি ১৪৪ ধারা? এর পর তো বলবেন কলকাতাজুড়েই জারি করতে হবে ১৪৪ ধারা।” এর পরেই সন্দেশখালি থেকে তুলে নেওয়া হয় ১৪৪ ধারা। তবে বেশ কয়েকটি জায়গায় এখনও জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা।

    ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    এদিকে, সন্দেশখালিতে যেতে গিয়ে বাধা পেয়ে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে এই মামলারও। শুভেন্দুর বক্তব্য, আদালত ১৪৪ ধারা বাতিল করেছে। ফের ১৪৪ ধারা জারি করে পথ আটকাচ্ছে পুলিশ। শাসকদলের নেতাদের যেতে দেওয়া হলেও, বিরোধীদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ধনখড়ের করা নিয়োগ বহাল থাকল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে

    Calcutta High Court: ধনখড়ের করা নিয়োগ বহাল থাকল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল থাকাকালীন জগদীপ ধনখড়ের একটি নিয়োগ খারিজ করেছিল হাইকোর্টের (Calcutta High Court) সিঙ্গল বেঞ্চ। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশকে খারিজ করে ধনখড়ের নিয়োগকে পুনরায় সিলমোহর দিল। বহাল থাকল পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা দেশের বর্তমান উপরাষ্ট্রপতির করা নিয়োগ।

    ইজেডসিসি-তে ধনখড় নিয়োগ করেন আশিস গিরিকে

    ইস্টার্ন জোনাল কালচারাল সেন্টারের (ইজেডসিসি) ডিরেক্টর পদে আশিস গিরি নামে এক ব্যক্তিকে নিয়োগ করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল ধনখড়। নির্ধারিত নিয়োগ প্রক্রিয়া মেনেই ওই পদের জন্য তিন জনকে বাছাই করেছিল রাজভবন। সেই তিন জনের নাম কেন্দ্রের সংস্কৃতি মন্ত্রকের কাছে পাঠান জগদীপ ধনখড়। সেখান থেকে আশিস গিরি নিয়োগ পান। তৎকালীন এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জল গড়ায় হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। মামলা হয় বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। একক বেঞ্চ সেই নিয়োগ খারিজ করে দিয়েছিল।

    আরও পড়ুন: আজ শুরু উচ্চমাধ্যমিক, জেনে নিন কী কী নিয়ম আছে?

    চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে চারটি আবেদন জমা পড়েছিল

    সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে চারটি আবেদন জমা পড়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেও আবেদন করা হয় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে (Calcutta High Court)। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ভিএম ভেলুমানির ডিভিশন বেঞ্চ, সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে। এদিন আদালতের পর্যবেক্ষণ, ভারতীয় সংবিধানের ১৬৩(২) ধারা অনুযায়ী, রাজ্যপালের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায় না। সেই নিয়োগ খারিজও করা যায় না। প্রসঙ্গত, ইজেডসিসি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও এই সংস্থার কাজ রয়েছে অসম, বিহার, ঝাড়খণ্ড, মণিপুর, ত্রিপুরা, সিকিম, ওড়িশা এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল পদাধিকার বলে এই সংস্থার চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন।

     

    আরও পড়ুন: প্রথমে দেব, এবার মিমি! পদত্যাগের হিড়িক তৃণমূলের তারকা-সাংসদদের, কেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Ganguly: “আমি ক্রুদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ”, সন্দেশখালিকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Justice Abhijit Ganguly: “আমি ক্রুদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ”, সন্দেশখালিকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমি ক্রুদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ। কিন্তু আপাতত মুখ বন্ধ রাখছি।” সন্দেশখালিকাণ্ড প্রসঙ্গে মঙ্গলবার কথাগুলি বললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে মহিলাদের ওপর নির্যাতনের যে সব অভিযোগ উঠেছে তা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। প্রশ্ন তোলেন প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও। তার পরেই তিনি বলেন, “আমি ক্রুদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ। কিন্তু আপাতত মুখ বন্ধ রাখছি।”

    কী বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়?

    মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, “আমি আমার জ্ঞান হওয়া থেকে এসব শুনিনি। যা দেখলাম টিভিতে। যেসব কথা ওঁরা বলছেন – বলা হচ্ছে রাতে ফোন করে ডাকা হত। জোর করে মিটিংয়ে নিয়ে যাওয়া হত।” তিনি বলেন, “বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জোর করে মিটিং-মিছিলে নিয়ে যায়। সেটা জানা থাকলেও, রাত্রিবেলা কাউকে পার্টি অফিসে যেতে বলা হচ্ছে, এটা আমার কাছে পরিচিত ঘটনা নয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে বলতে পারি, আমি অত্যন্ত ক্রুদ্ধ ও ক্ষুদ্ধ। আপাতত আমি মুখ বন্ধ করেই রেখেছি।”

    পলাতক শেখ শাহজাহান!

    রেশন বণ্টনকাণ্ডে নাম জড়ায় তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যায় ইডি। সেই সময় ওই তৃণমূল নেতার অনুগামীরা ইডির ওপর চড়াও হয়। ইটের ঘায়ে জখম হন ইডির দুই কর্তা। জখম হন সিআরপিএফের দুই কর্মীও। এর পরেই পালিয়ে যান শাহজাহান।

    আরও পড়ুুন: রাজ্যপালের কনভয়ে অন্য গাড়ি, নেপথ্যে হাত তৃণমূলের শাহজাহানের!

    শনিবার স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ শাহজাহান ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, স্থানীয় মহিলাদের রাতে ডেকে নিয়ে যাওয়া হত পার্টি অফিসে। না গেলে হুমকি দেওয়া হত। সন্দেশখালির এই ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। মঙ্গলবার দিল্লিতে এ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে কী কী ঘটেছে, তা গোটা দেশের জানা উচিত বলেও মন্তব্য করেছিলেন স্মৃতি। সন্দেশখালি গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। গিয়েছিলেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ও। সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বাধার সম্মুখীন হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মহিলা নির্যাতনের প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) প্রশ্ন, “প্রশাসন কি জানত না এমন ঘটনা ঘটছে? নাকি পুলিশ প্রশাসন সব জেনেও চোখ বুজে ছিল?”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালির ঘটনায় উদ্বিগ্ন হাইকোর্ট, স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ বিচারপতির

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালির ঘটনায় উদ্বিগ্ন হাইকোর্ট, স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ঘটনায় এবার স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায় মামলাটি গ্রহণ করে মন্তব্য করেন, সন্দেশখালিতে যে অভিযোগ উঠেছে তা ভয়াবহ। সন্দেশখালির দুটি বিষয় নিয়ে আদালত খুবই বিচলিত। রাজ্যের পাবলিক প্রসিকিউটার দেবাশিষ রায়কে এই ব্যাপারে পরবর্তী শুনানিতে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।

    কী বললেন বিচারপতি

    সন্দেশখালির ঘটনায় বিচারপতি বলেন, ‘‘সন্দেশখালির দু’টি ঘটনায় আমি শিহরিত। প্রথমত, আদিবাসীদের জমি দখলের অভিযোগ। দ্বিতীয়ত, সেখানকার মহিলাদের মাথায় বন্দুকের নল ঠেকিয়ে ধর্ষণ করার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে আদালত এই মামলা নিচ্ছে।’’ সন্দেশখালি নিয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ করার এটিই সঠিক সময় বলেও জানিয়েছেন বিচারপতি। তাঁর কথায়,  ‘‘মানুষ রাতে ঘুমোতে যায় এটা ভেবে যে, মাথার উপর আদালত রয়েছে। এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করার এটাই সঠিক সময়।’’সন্দেশখালির ঘটনার মামলায় আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়কে আদালতবান্ধব হিসাবে নিয়োগ করেছে আদালত। আগামী শুনানিতে সরকারি আইনজীবী দেবাশিস রায়কে এ বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি।

    উত্তাল সন্দেশখালি

    বিগত কয়েকদিন ধরে বিজেপি সহ বিরোধী দলগুলি সন্দেশখালির বিষয় নিয়ে লাগাতার বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বিবৃতি দাবি করার পাশাপাশি ঘটনাস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তবে তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছতে ব্যর্থ হয়েছে। সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় সেখানে বাইরে থেকে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ। এই নিয়েও কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। পুলিশি অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে বিজেপি আদালতে দাবি করে, শাসক দলকে সন্দেশখলি যেতে দেওয়া হচ্ছে অথচ বিরোধী কোনও রাজনৈতিক দলকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না, আক্রান্ত কর্মীদের সঙ্গেও দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশ পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করার অপেক্ষায়…’’, আরব সফরে যাওয়ার আগে বার্তা মোদির

    ক্ষোভ প্রকাশ বিচারপতির

    এদিন সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশও করেছেন বিচারপতি। আদালতে তিনি বলেন, ‘‘সন্দেশখালিতে যে সব ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে আমি ক্ষুব্ধ। খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে। এক জন বিচারপতি হিসাবে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ গ্রহণ করার আমার যথেষ্ট ক্ষমতা রয়েছে। সেখানে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে মহিলাদের উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘অবৈধ উপায়ে আদিবাসীদের জমি নেওয়া হচ্ছে। আমরা জানি, আদিবাসীদের জমি হস্তান্তর হতে পারে না। আইন মোতাবেক, একজন আদিবাসী অন্য আদিবাসীকে জমি হস্তান্তর করতে পারেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: মুখ পুড়ল রাজ্যের! সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: মুখ পুড়ল রাজ্যের! সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) জারি হওয়া ১৪৪ ধারা বাতিল করার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। পরিস্থিতি ভালোভাবে টেক কেয়ার করতে হবে বলে পুলিশকে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এলাকায় আরও বেশি সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করতে হবে বলেও নির্দেশ আদালতের।

    বিচারপতির পর্যবেক্ষণ

    বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, উত্তেজনাপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এ ক্ষেত্রে পুরো এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তাই ১৪৪ ধারা খারিজ করা হল। বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, যেহেতু ১৪৪ ধারা খারিজ করা হয়েছে, তাই শুভেন্দুর দায়ের করা মামলাটির আর গ্রহণযোগ্যতা আর নেই। এখন শুভেন্দু সেখানে যেতে পারেন। প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) যেতে গিয়ে সোমবার বাধার সম্মুখীন হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এর পরেই হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের করেন মামলা। ১৪৪ ধারা খারিজ হয়ে যাওয়ায় সেই মামলারও নিষ্পত্তি হয়ে গেল।

    কী বললেন বিচারপতি?

    মঙ্গলবার বিচারপতি সেনগুপ্ত বলেন, “একটা-দুটো এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হলে বুঝতাম। আপনারা তো গোটা সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করে দিয়েছেন। এভাবে ১৪৪ ধারা জারি করা যায় নাকি? এর পরে তো কোনও দিন গোটা কলকাতায় ১৪৪ ধারা জারি করে দেবেন।” বিচারপতি বলেন, “সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ওঠা অভিযোগ গুরুতর। সেখানে জনজাতিভুক্ত মানুষের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। মেয়েদের সম্ভ্রম লুট করার অভিযোগ রয়েছে।” এর পরেই ১৪৪ ধারা জারির প্রশাসনিক নির্দেশকে বাতিল ঘোষণা করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, “কেন সেখানে (সন্দেশখালিতে) সর্বত্র ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে, তা রাজ্যের ব্যাখ্যা থেকে স্পষ্ট নয়। বিস্তীর্ণ এলাকায় এভাবে ১৪৪ ধারা জারি করা যায় না।”

    আরও পড়ুুন: সুকান্তর এসপি অফিস অভিযান ঘিরে অগ্নিগর্ভ বসিরহাট, লাঠিচার্জ-কাঁদানে গ্যাস

    মামলাকারীর পক্ষে আইনজীবী শামিম আহমেদ বলেন, “সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ঘটনা ব্যতিক্রমী। ৩-৪ বছর ধরে অত্যাচারের ঘটনা ঘটছে। কৃষকদের জমি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দিন মজুরদের কাজ করিয়ে টাকা দেওয়া হয়নি। রাতে মহিলাদের ডেকে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করা হয়েছে।” পুলিশ পদক্ষেপ করলেই পরিস্থিতি শান্ত হবে বলে দাবি তাঁর। রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি সেনগুপ্তের পর্যবেক্ষণ, গত তিন বছর ধরে পুলিশ কোনও অভিযোগ নেয়নি বলে দাবি। এলাকার মহিলারা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। এত অভিযোগের পরেও আদালত (Calcutta High Court) চোখ বন্ধ করে থাকতে পারে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: সন্দেশখালিকাণ্ডে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে, শুনানি মঙ্গলেই!

    Calcutta High Court: সন্দেশখালিকাণ্ডে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে, শুনানি মঙ্গলেই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ড গড়াল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার দায়ের হল মামলা। মামলা দায়ের হয়েছে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে। মামলাকারীদের বক্তব্য, “গোটা সন্দেশখালি এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে রাখা হয়েছে। আমাদের জমি জবর দখল করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা চূড়ান্ত বিঘ্নিত হয়েছে সন্দেশখালিতে। একটা দ্বীপে মানুষগুলো আটকে রয়েছে। মামলাটুকু দায়ের করার জন্য আসতে হলেও, হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ।”

    শুভেন্দু অধিকারীকে বাধা

    আইনজীবীদের যাতে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়, সেই আবেদনও জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানির আশ্বাস দিয়েছেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। এদিকে, এদিন সন্দেশখালি (Calcutta High Court) যাওয়ার পথে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিজেপির আইনজীবী সেলের সদস্যরা।

    সন্দেশখালি গেলেন রাজ্যপাল

    এদিন সন্দেশখালির পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সন্দেশখালির আন্দোলনকারী মহিলাদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। শেখ শাহজাহান, উত্তম সর্দার ও শিবু হাজরার কড়া শাস্তির দাবিও জানান তাঁরা। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন রাজ্যপাল। এরপর মহিলারা তাঁর হাতে পরিয়ে দেন রাখি। এদিন সন্দেশখালি গিয়েছিলেন (Calcutta High Court) রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরাও।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালির অরাজকতা রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট, তোপ স্মৃতি ইরানির

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোয় রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যান ইডির আধিকারিকরা। সেখানে ইডির ওপর হামলা চালায় তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বাহিনী। তাদের ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হন ইডির দুই কর্তা। জখম হন তাঁদের সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ানও। এই ঘটনার পরেই গা ঢাকা দেয় তৃণমূলের তাজা নেতা শাহজাহান। শাহজাহান পগার পার হতেই তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে সরব হন স্থানীয় মহিলারা। এলাকায় শাহজাহানের অনুগামী হিসেবে পরিচিত উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরার বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামেন স্থানীয়রা। উত্তমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এখনও নাগাল মেলেনি শাহজাহান ও শিবুর। শাহজাহান বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছে বলে অসমর্থিত একটি সূত্রে খবর (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “বলুন আমি সর্বশক্তিমান, যা চাই তাই করে দিতে পারি” রাজ্যকে কেন বলল হাইকোর্ট?

    Calcutta High Court: “বলুন আমি সর্বশক্তিমান, যা চাই তাই করে দিতে পারি” রাজ্যকে কেন বলল হাইকোর্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম কটাক্ষ করলেন। স্কুলের পড়ুয়াদের একটাই মাত্র খেলার মাঠ ছিল মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা ২ নম্বর ব্লকের আখরিগঞ্জ হাই স্কুলে। এই মাঠের বিষয় নিয়ে স্কুলের পড়ুয়ার অভিভাবকেরা মামলা করেছিলেন হাইকোর্টে। এই মামলার পাশে দাঁড়িয়েছে স্কুলের কর্তৃপক্ষও। এই মাঠে আরও একটি স্কুল নির্মাণ করতে গেলে খেলার মাঠ রক্ষা প্রসঙ্গে বিচারপতি, রাজ্য সরকারকে বলেন, “বলুন আমি সর্ব শক্তিমান, যা চাইবো তাই করে দিতে পারি।”

    কী বললেন বিচারপতি (Calcutta High Court)?

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, “বলুন না আমি সর্ব শক্তিমান, আমি যা চাইবো, তাই করে দিতে পারি।” একই সঙ্গে আরও বলেন, “রাজ্য সরকার যদি আদালতে নিজেদের পরিকল্পনার কথা জানাতে না পারে তাহলে স্কুল নির্মাণের কাজে স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে।” আবার রাজ্য সরকারের বক্তব্য ছিল, “জমিটি সরকারের তাই জমিতে কী করা হবে তা সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত।” এরপর প্রধান বিচারপতি বলেন, “অন্যের জায়গায় নতুন নির্মাণ! যা খুশি করুন। স্কুল ভেঙে দিন। মানুষকে আর শিক্ষা দিতে হবে না। স্কুলটি সরকার পরিচালিত হওয়ার পরেও সরকার তাঁর বিরোধিতা করছে। ক্ষমতা দেখানো হচ্ছে।” আবার পালটা রাজ্য বলে যে খেলার মাঠের জমির পরিমাণ ১.৭৮ একর। ওখানে একটি ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল নির্মাণ করতে চাই। উত্তরে বিচারপতি বলেন, “দুই স্কুলের জন্য এক একর জমি খেলার মাঠের জন্য ছেড়ে রাখুন। জেনে আসুন কী করবেন? না হলে ওই নির্মাণে স্থগিতাদেশ দেবো।”

    খেলার মাঠ নিয়ে অভিযোগ কী?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, “স্কুলের তিন হাজার পড়ুয়া খেলা করে। স্কুলের মাঠ একটাই। স্কুলের জমিদান করেছিলেন একজন ব্যক্তি। কিন্তু একই জমিতে আরও একটি স্কুল খুলতে চাইছে এই রাজ্যের সরকার। ফলে স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য কোনও খেলার মাঠ থাকবে না। এই খেলার মাঠ রক্ষার জন্য হাইকোর্টে (Calcutta High Court) একটি মামলা হয় এবং এই মামলায় প্রধান বিচারপতি এবং সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে। এরপর রাজ্য সরকারকে সমালোচনা করেন প্রধান বিচারপতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: মহিলা সংশোধনাগারের মধ্যেই অন্তঃসত্ত্বা হচ্ছেন বন্দিরা! কীভাবে? প্রশ্ন হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: মহিলা সংশোধনাগারের মধ্যেই অন্তঃসত্ত্বা হচ্ছেন বন্দিরা! কীভাবে? প্রশ্ন হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের জেলগুলির অবস্থা ভয়ঙ্কর। বাংলার বিভিন্ন জেলে মহিলা কয়েদিরা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ছেন। রাজ্যের বিভিন্ন জেলে মহিলা বন্দিদের সঙ্গে বর্তমানে ১৯৬ জন নাবালকও আছে। এটা কীভাবে সম্ভব? বিচার চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করল আদালত বান্ধব। পাশাপাশি, সংশোধনাগারে পুরুষদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার আর্জিও জানানো হয়েছে।

    আদালতে আর্জি

    বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন আদালত বান্ধব তাপস ভঞ্জ। তিনি জানান,  সম্প্রতি আলিপুর মহিলা জেল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে দেখেন, মহিলা কয়েদিদের মধ্যে এক জন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন। তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিচারপতি শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি ভট্টাচার্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তাপস। রাজ্যের সংশোধনাগারের মহিলা সেলগুলিতে পুরুষদের প্রবেশ বন্ধ করার আর্জি জানান তিনি। এই প্রেক্ষিতে তাঁর অভিযোগ শোনার পরে প্রধান বিচারপতির বক্তব্য — খুব সিরিয়াস বিষয়। আগামী সোমবার মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে।

    আরও পড়ুন: কী ছিল, কী হল! গত ১০ বছরে মোদি সরকারের অর্থনীতির শ্বেতপত্রে বিধ্বস্ত কংগ্রেস

    আদালত বান্ধব কী

    রাজ্যের বিভিন্ন জেলের কয়েদিদের সুযোগসুবিধার কথা মাথায় রেখে আদালত বান্ধব নিয়োগ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। সংশোধনাগারের মধ্যে কয়েদিরা ঠিক করে খাবার বা চিকিৎসা পাচ্ছেন কি না, তা দেখার দায়িত্ব আদালত বান্ধবের। পাশাপাশি, কয়েদিদের জীবনযাপনে কোনও অব্যবস্থা রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখার দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন জেল ঘুরে ১৯৬ জন নাবালককে মায়েদের সঙ্গে সেলেই থাকতে দেখেছেন তাপস। তাঁর অভিযোগ, জেলে মহিলাদের অবস্থা দুর্বিষহ। যদিও এ নিয়ে কোনও মহিলার কোনও অভিযোগ তাঁর কাছে পৌঁছেছে কি না, সেটা স্পষ্ট করেননি তিনি। সুপ্রিম কোর্টের একটি মামলার প্রেক্ষিতে তাপসকে আদালত-বান্ধব নিযুক্ত করে কলকাতা হাইকোর্ট। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘সরকারি শিক্ষকরা বেতন নিয়ে মাথা ঘামান, ছাত্রদের পড়ানো নিয়ে নয়’, উদ্বিগ্ন হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: ‘সরকারি শিক্ষকরা বেতন নিয়ে মাথা ঘামান, ছাত্রদের পড়ানো নিয়ে নয়’, উদ্বিগ্ন হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্রছাত্রীদের পড়ানো, তাঁদের গঠন নয় নিজেদের স্বার্থ নিয়ে চিন্তিত সরকারি স্কুলের শিক্ষকেরা। নিজেদের বেতন নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন রাজ্যের শিক্ষক সমাজের একাংশ, এমনই অভিমত কলকাতা হাইকোর্টের। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বুধবার উদ্বেগ প্রকাশ করে একথা বলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। 

    কী বললেন বিচারপতি

    বুধবার রাজ্য সরকারের সুপার নিউমেরারি পদ তৈরি করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। সেখানেই অবৈধভাবে চাকরি পাওয়ায় চাকরি থেকে বরখাস্ত প্রার্থীদের আইনজীবীর বক্তব্য শুনে বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি বসু। তিনি বলেন, “এই পদগুলো তৈরি হয়েছে যাদের চাকরি চলে গিয়েছে তাদের চাকরি দেওয়ার জন্য। তারা রোজ কুম্ভীরাশ্রু বর্ষণ করছে। ওদিকে এই টানাপোড়েনে ছাত্রছাত্রীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”  বিচারপতি বসুর কথায়, যারা এখন চাকরির জন্য কাকুতি মিনতি করছে চাকরি পেলেই তাদের ভোল বদলে যাবে। বাড়ির কাছে বদলি করে দেওয়ার আবেদন জানাবে। উৎসশ্রী, শুভশ্রী প্রকল্পে আবেদন করবে। বেতন সহ পাঁচটা জিনিস নিয়ে মগজমারি করবে। কিন্তু মন দিয়ে পড়াবে না।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালি মামলায় সিট গঠনের উপর স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    নিয়োগ দুর্নীতির মামলা চলাকালীন শুধুমাত্র দুর্নীতি নিয়ে নয়, প্রশ্ন উঠেছে রাজ্যের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে। স্কুলগুলির বেহাল অবস্থা, ছাত্র সংখ্যা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বিচারপতি বসুর এজলাসে। এবার শিক্ষকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য বোধ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তাঁর মন্তব্য, “ছাত্র-ছাত্রীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমি শিক্ষকদের জন্য চিন্তিত নই।” ভবিষ্যত প্রজন্ম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিচারপতি। তাঁর পর্যবেক্ষণ, সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা সরকারের থেকে বেতন নিয়ে নিজেদের সন্তানদের বেসরকারি স্কুলে ভর্তি করছেন। নিজেদের পছন্দ মতো স্কুলে বদলিও নিয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে অতটা চিন্তা করা হচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share