Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: দুই বিচারপতির দ্বন্দ্ব, দু’তরফেরই বিচারপ্রক্রিয়া স্থগিত সুপ্রিম কোর্টে

    Justice Abhijit Gangopadhyay: দুই বিচারপতির দ্বন্দ্ব, দু’তরফেরই বিচারপ্রক্রিয়া স্থগিত সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতির দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাতে হস্তক্ষেপ করল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) ও বিচারপতি সৌমেন সেনের সংঘাতের শুনানিতে এ সংক্রান্ত সব বিচারপ্রক্রিয়া স্থগিত করে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। স্থগিত করে দিয়েছে সিবিআই তদন্তও।

    পাঁচ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি সেনের সংঘাতের অবসান ঘটাতে পাঁচ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ গড়ে সুপ্রিম কোর্ট। বেঞ্চে রয়েছেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস। সেখানে আপাতত মেডিকেলে ভর্তি মামলায় হাইকোর্টের সব বিচারপ্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সিঙ্গল এবং ডিভিশন বেঞ্চের কোনও নির্দেশ আপাতত কার্যকর হচ্ছে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। সোমবার ফের শুনানি হবে এই মামলার।

    সিবিআই তদন্ত স্থগিত

    এই মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাও স্থগিত থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) সিঙ্গল বেঞ্চ এই মামলায় যে নির্দেশ দিয়েছে, তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন জানায় রাজ্য সরকার। সেই অনুমতিও দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যের পাশাপাশি নোটিশ দেওয়া হয়েছে মামলাকারীকেও। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, মেডিক্যালে ভর্তি মামলায় সিবিআই তদন্তও আপাতত স্থগিত থাকছে।

    আরও পড়ুুন: খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নিজের দফতরের দুর্নীতির কথা ভালোভাবে জানতেন বালু, দাবি ইডির

    কেন্দ্রের তরফে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি বলেন, “দুই বেঞ্চের কারও বিরোধিতা করা হচ্ছে না। তবে ডিভিশন বেঞ্চে যে আবেদন করা হয়েছে, সে বিষয়ে আমরা আমাদের বক্তব্য লিখিত আকারে জানাতে চাই।” কোনও নথি ছাড়াই কীভাবে ডিভিশন বেঞ্চ অর্ডার পাস করল, সে প্রশ্নও তোলেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল।

    প্রসঙ্গত, মেডিকেল কলেজে ভর্তি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ প্রথমে সেই নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। পরে খারিজ করে দেয় সিবিআইয়ের দায়ের করা এফআইআর। ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশের প্রক্রিয়াগত ত্রুটি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। তাঁর নির্দেশনামায় বিচারপতি সেন সম্পর্কে একাধিক অভিযোগ তোলেন। এই মামলায় তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে বলেন সিবিআইকে। দুই বিচারপতির এহেন বেনজির দ্বন্দ্বে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পদক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: প্রাথমিক নিয়োগের কোনও মামলা হবে না হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: প্রাথমিক নিয়োগের কোনও মামলা হবে না হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলা (Primary Recruitment Scam) নিয়ে বড় নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এক নির্দেশিকার মাধ্যমে শীর্ষ আদালত বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিল, ২০১৪ সালের প্রাথমিকের টেট এবং ২০১৬ ও ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত মামলার শুনানি আর করতে পারবে না কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। আগামী মার্চ মাসে শীর্ষ আদালতে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ততদিন সুপ্রিম কোর্টের এই রায় বহাল থাকবে। যার অর্থ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বা বিচারপতি অমৃতা সিংহের বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে না।

    ঠিক কী অভিযোগ নিয়ে মামলা?

    ২০১৬ এবং ২০২০ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ (Primary Recruitment Scam) নিয়ে বড় অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে একাধিকবার এই মামলার শুনানি হয়। প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত প্যানেল প্রকাশ করতে বলেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টর সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এর আগে জানিয়েছিল, আপাতত নামের তালিকা প্রকাশ করতে হবে না, কিন্তু মামলার শুনানি হবে সিঙ্গল বেঞ্চেই। 

    সুপ্রিম কোর্টি কী আর্জি করা হয়েছিল?

    এরই পরিপ্রেক্ষিতে আবেদনকারীরা সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আর্জি জানান, যাতে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল জাজ বেঞ্চে যেন ওই মামলার শুনানি না হয়। সুপ্রিম কোর্টে এক মামলাকারী এই দুই বিচারপতিকে মামলা থেকে সরানোর আবেদন জানান। তাঁদের অভিযোগ ছিল, হাইকোর্টের মামলার উপরে রাজ্যের ৫৮ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। তাঁর বক্তব্য, প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় (Primary Recruitment Scam) বিভিন্ন রকম রায় দিচ্ছেন তাঁরা (দুই বিচারপতি)। তাই মামলা ডিভিশন বেঞ্চে সরানো হোক। 

    এদিন সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এ বিষয়ে চাকরি না-পাওয়া পরীক্ষার্থীদের বক্তব্য জানতে চেয়ে নোটিশ জারি করেছে। মার্চ মাসে ফের শুনানি হবে। ততদিন একক বিচারপতির বেঞ্চে কোনও শুনানি হবে না। প্যানেলের নাম-ধাম প্রকাশের উপরেও স্থগিতাদেশ থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: শিক্ষা সংক্রান্ত সব মামলা সরল বিচারপতি সৌমেন সেনের বেঞ্চ থেকে, কী কারণ?

    Calcutta High Court: শিক্ষা সংক্রান্ত সব মামলা সরল বিচারপতি সৌমেন সেনের বেঞ্চ থেকে, কী কারণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেডিকেলে ভর্তি দুর্নীতি (Medical College Admission Scam) সহ যাবতীয় শিক্ষা দুর্নীতি মামলা সরানো হল বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ থেকে। এখন থেকে নতুন বেঞ্চে এই মামলাগুলি শোনা হবে। বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনটাই জানানো হয়েছে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) তরফে।

    নজিরবিহীন সংঘাতের সাক্ষী হাইকোর্ট

    বৃহস্পতিবার দিনভর নজিরবিহীন সংঘাতের সাক্ষী থাকল হাইকোর্ট। মেডিকেল কলেজে ভর্তি প্রসঙ্গে অনিয়মের মামলা নিয়ে বুধবার থেকেই হাইকোর্টের (Calcutta High Court) একক বেঞ্চ আর ডিভিশন বেঞ্চের টানাপোড়েন চলছিলই। যা চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায় বৃহস্পতিবার। এদিন ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি সৌমেন সেনের বিরুদ্ধে এজলাসে বসেই বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকী, কেন বিচারপতি সৌমেন সেনের ইম্পিচমেন্টের প্রক্রিয়া শুরু হবে না, সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। সেই মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরেই রাতে বিচারপতি সৌমেন সেনের বেঞ্চ থেকে সরে গেল শিক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত মামলা। বৃহস্পতিবার রাতে একটি নির্দেশিকা জারি করে জানাল, আগামী সোমবার থেকে শিক্ষা সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে অন্য ডিভিশন বেঞ্চে। নির্দেশিকায় জানানো হয়, বিচারপতি সেনের বেঞ্চে থাকা শিক্ষা সংক্রান্ত আপিল মামলা বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ শুনবে। আগামী শুক্রবার থেকে রস্টার পরিবর্তনের নির্দেশ কার্যকর হবে।

    আরও পড়ুন: মেডিকেলে ভর্তি দুর্নীতির তদন্ত করবে সিবিআই, জানালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    ঘটনার সূত্রপাত ঠিক কী?

    ঘটনার সূত্রপাত বুধবার। মূল বিতর্ক ছিল মেডিকেলে ভর্তি সংক্রান্ত একটি মামলাকে (Medical College Admission Scam) কেন্দ্র করে। অভিযোগ ছিল, ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দেখিয়ে কেউ কেউ মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন। এই অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ (Calcutta High Court)। কিন্তু বিচারপতির এই নির্দেশে এক ঘণ্টার মধ্যেই এ বিষয়ে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাজ্য। তখন ডিভিশন বেঞ্চ ওই নির্দেশে মৌখিক স্থগিতাদেশ দেয়। বুধবার বিকেলে এর পর আবার মামলাটি ওঠে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চে। সিবিআই এবং মামলাকারী তাঁকে মৌখিক স্থগিতাদেশের কথা জানায়। কিন্তু বিচারপতি পাল্টা জানান, স্থগিতাদেশের লিখিত প্রমাণপত্র না পেলে তিনি তা মানতে পারবেন না। এর পরেই সিবিআইকে তদন্তে এগোনোর নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে এই মামলায় এফআইআরও দায়ের করতে বলেন। 

    নির্দেশনামায় তীব্র অসন্তোষ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    বৃহস্পতিবার তা অন্য পর্যায়ে পৌঁছে যায়। এদিন সকালে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে সিবিআইয়ের দায়ের করা এফআইআরও খারিজ করে দেয় বিচারপতি সেন এবং বিচারপতি উদয়কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ (Calcutta High Court)। এর পরই এজলাসে বসেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মামলা সংক্রান্ত তাঁর নির্দেশনামায় বিচারপতি সেনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অভিযোগ করেন, বিচারপতি সেন ‘রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত থাকা’ ব্যক্তির মতো আচরণ করছেন। প্রশ্ন তোলেন, “কেন বিচারপতি সেনের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে না?’’ এমনকী, নিজের নির্দেশনামায় এই কথা লেখেনও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Ganguly: ‘‘কেন ইম্পিচমেন্টের প্রক্রিয়া শুরু হবে না?’’ বিচারপতি সেনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Justice Abhijit Ganguly: ‘‘কেন ইম্পিচমেন্টের প্রক্রিয়া শুরু হবে না?’’ বিচারপতি সেনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি দুর্নীতি মামলাকে ঘিরে তুলকালাম দুই বিচারপতির মধ্যে। এই মামলায় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের দেওয়া নির্দেশর ওপর গতকাল মৌখিকভাবে স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার এই মামলা নিয়ে শুনানির সময় এজলাসেই বিচারপতি সৌমেন সেনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    বিস্ফোরক বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, বড়দিনের ছুটির আগে বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে নিজের চেম্বারে ডেকেছিলেন বিচারপতি সৌমেন সেন। সেখানে বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে ডেকে রাজনৈতিক নেতার মত নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রথমে বলেছিলেন, অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের একটা রাজনৈতিক ভবিষ্যত আছে, তাকে বিরক্ত করা যাবে না। দ্বিতীয়ত, বিচারপতির অমৃতা সিনহার এজলাসে শুনানির লাইভ স্ট্রিমিং বন্ধ করতে হবে। তৃতীয়ত, প্রাথমিকের দুটি মামলা খারিজ করতে হবে বিচারপতি সিনহাকে। 

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, তিনি ওই ‘তথ্য’ জেনেছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহের কাছ থেকেই। বলেন, ‘‘আমি বিচারপতি সিনহার কাছ থেকে এটা জানতে পেরেছি।’’ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় যোগ করেন, বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে যা যা বলেছেন বিচারপতি সৌমেন সেন, সেই গোটা বিষয়টা কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে জানান বিচারপতি অমৃতা সিনহা। প্রধান বিচারপতি আবার তা সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে জানিয়েছেন।

    ‘‘অন্য কেউ গেলে এটা করবেন তো?’’

    মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি দুর্নীতি মামলায় নিজের নির্দেশনামায় বিচারপতি সৌমেন সেনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর মতে, ‘‘বিচারপতির সৌমেন সেন স্পষ্টতই একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছেন। তাই সুপ্রিম কোর্টের উচিত তাঁর (বিচারপতি সেনের) সমস্ত নির্দেশ খারিজ করা। তিনি আরও উল্লেখ করেন, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশনামা এবং আবেদনপত্রের কপি ছাড়াই সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিচ্ছেন বিচারপতি সেন। অন্য কেউ গেলে এটা করবেন তো? ভুল বার্তা পাঠাচ্ছেন বিচারপতি সেন।’’

    ‘‘কেন দু’বছর ধরে তাঁর বদলি হচ্ছে না?’’

    এখানেই থেমে থাকেননি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। নির্দেশনামায় তিনি এও উল্লেখ করেন, ‘‘এই মামলায় রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত থাকা ব্যক্তির মত আচরণ করছেন বিচারপতি সেন। কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন বিচারপতি সেন।’’ একইসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘‘কেন তাঁর বিরুদ্ধে ইম্পিচমেন্টের প্রক্রিয়া শুরু হবে না? কেন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও দু’বছর ধরে তাঁর বদলি হচ্ছে না? অন্য বিচারপতিদের তো হয়ে গিয়েছে। কে তাঁকে (বিচারপতি সেন) বাঁচাচ্ছে?’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘আমি দেশের প্রধান বিচারপতিকে এটা দেখার জন্য অনুরোধ করব।’’

    ‘‘এফআইআর খারিজের নির্দেশ বৈধ নয়’’

    এদিন সকালে, সিবিআইয়ের এফআইআর খারিজ করার নির্দেশ দেয় বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। এই প্রতিক্রিয়ায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর নির্দেশনামায় জানান, এফআইআর খারিজের যে নির্দেশ বিচারপতি সেন দিয়েছেন সেটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে দিয়েছেন, ফলে সেটা বৈধ নয়। সিবিআইয়ের উচিত তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। সিবিআইকে ২ মাসের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দেন যে এই নির্দেশের কপি অবিলম্বে কলকাতা হাইকোর্ট এবং দেশের প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিষেকের মামলা পত্রপাঠ খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    Abhishek Banerjee: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিষেকের মামলা পত্রপাঠ খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। পাশাপাশি বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ থেকে মামলা সরানোর আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের সেই আবেদন শুনানির আগেই খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কোনও যুক্তির ওপর নির্ভর করে মামলা দায়ের করা হয়নি বলে জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।

    কেন খারিজ মামলা

    সম্প্রতি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের অপসারণ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেন এক যুব তৃণমূল নেতা। তার প্রতিক্রিয়ায় পালটা প্রকাশ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর সম্পত্তির তালিকা প্রকাশের চ্যালেঞ্জ ছোড়েন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে আদালতে গিয়ে অভিষেক দাবি করেন, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য যেন তদন্তকে প্রভাবিত না করে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁর বিরুদ্ধে মন্তব্য করছেন। তাই বিচারপতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নির্দেশ দিক সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার এই মামলা প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের অভিমত, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) আবেদনে কোনও যুক্তি নেই। মামলাটি খারিজ করা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হার্ড ডিস্ক পাঁচদিনে পেশ করতে হবে, সিবিআইকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    কী বলল আদালত

    অভিষেকের (Abhishek Banerjee) আরও আবেদন, কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে বিচারাধীন মামলাগুলিকে (যেগুলি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে বিচারাধীন) তৃতীয় বেঞ্চ গঠন করে সেখানে স্থানান্তর করা হোক। এই আর্জিও এদিন শীর্ষ আদালতে খারিজ হয়ে যায়। অভিষেকের আইনজীবী সঞ্জয় বসু জানিয়েছেন, অভিষেককে নতুন করে মামলা দায়ের করতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংক্রান্ত একটি মামলার প্রেক্ষিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির হিসাব জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। প্রসঙ্গত এর আগে অভিষেকের আবেদনের ভিত্তিতে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির বেশ কয়েকটি মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরিয়ে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই মামলা এখন বিচারপতি সিনহার এজলাসে বিচারাধীন। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হার্ড ডিস্ক পাঁচদিনে পেশ করতে হবে, সিবিআইকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    SSC Scam: গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হার্ড ডিস্ক পাঁচদিনে পেশ করতে হবে, সিবিআইকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি (SSC Scam) মামলায় গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হওয়া ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস, হার্ড ডিস্ক এবং তার মধ্যে থাকা ওএমআর-সহ সমস্ত নথি আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ২৪ জানুয়ারির মধ্য়ে ওই সমস্ত নথি আদালতে জমা দিতে হবে। যদি পরবর্তী শুনানির দিন কোনও কারণে ইলেকট্রনিক ডিভাইস পেশ করা সম্ভব না হয়, তাহলে মামলা চলাকালীন তা পেশ করতে হবে।

    কী বলল আদালত

    এদিনের শুনানিতে বিচারপতি এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস পেশ করা সম্ভব না হলেও তার মধ্যে থাকা নথির কপি পেশ করতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-কে। এদিন সিবিআই-এর পাশাপাশি এসএসসি-র (SSC Scam) কাছে থাকা এই সংক্রান্ত সমস্ত নথিও পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই সংক্রান্ত তথ্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের সার্ভারে রয়েছে। আদালতে উত্তরপত্র জমা দেওয়ার বিষয়ে চাকরিপ্রাপকদের মধ্যে মতানৈক্য তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ চাইছেন, উত্তরপত্র আদালতের সামনে আসুক। একাদশ-দ্বাদশে চাকরিপ্রাপকদের দু’জন ওএমআর শিট দেখতে চেয়েছেন। তাঁরা নিজেরা ওই উত্তরপত্র পরীক্ষা করে দেখতে চান। তবে বাকি চাকরিপ্রাপকেরা উত্তরপত্র আদালতে জমা দেওয়ার বিপক্ষে। তাঁরা জানিয়েছেন, ডিজিটাল এই নথির সত্যতা নিয়েই তাঁদের সন্দেহ রয়েছে।

    আরও পড়ুন: আদালতে খারিজ আবেদন, সরকারি বাংলো খালি করলেন বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    সিবিআই-এর আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য সওয়াল করেন, “এই মামলার তদন্তে আমরা যে যে নথি এবং তথ্য উদ্ধার করেছি তার সবগুলিই স্কুল সার্ভিস কমিশনকে (SSC Scam) দিয়েছি। তারা সেগুলি খতিয়ে দেখে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।” বিচারপতি দেবাংশু বসাক সওয়াল করেন, “এসএসসি র ওপর আমরা কীভাবে বিশ্বাস করব? এসএসসি বারবার তার অবস্থান বদল করেছে। কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে তারা ভিন্ন অবস্থান নিয়েছেন এই এজলাসেও এসএসসি সর্বশেষ যে হলফনামা দাখিল করেছে সেখানেও তারা নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি।” এরপরই আদালত সিবিআইকে নথি পেশ করার নির্দেশ দেয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: “আমি বাংলা বলতে চাই, আপনারাও বাংলায় বলুন”, বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Justice Abhijit Gangopadhyay: “আমি বাংলা বলতে চাই, আপনারাও বাংলায় বলুন”, বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমি বাংলা বলতে চাই। আপনারাও বাংলায় সওয়াল করুন।” বৃহস্পতিবার কথাগুলি বললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। মঙ্গলবারই তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘কলকাতা হাইকোর্টে কেন বাংলায় মামলার সওয়াল করা হবে না?’  

    ‘আমি বাংলায় বলতে চাই’

    বৃহস্পতিবার এজলাসে ঢুকেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমি বাংলায় বলতে চাই। আমি আশা করব, আপনারাও বাংলায় সওয়াল করবেন। কারণ এজলাসে উপস্থিত অনেক মামলাকারী রয়েছেন, যাঁদের বুঝতে অসুবিধা হয়। তবে কারও অসুবিধা থাকলে তিনি ইংরেজিতেই বলতে পারেন।” তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট উত্তর চাইলে তার উত্তরও দেব। আদালতকে আমাদের মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে।” আইনজীবী শীর্ষন্ন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আইনের সমস্ত বিষয় ইংরেজিতেই হয়ে থাকে। বাংলায় সওয়াল করলে কীভাবে চলবে? সওয়াল পর্ব কী কাজে ব্যবহার করা হবে?

    ‘২১ ফেব্রুয়ারি অর্থহীন হয়ে পড়বে’

    প্রত্যুত্তরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমি তা বলিনি। আদালত চত্বরে যাঁরা আসেন, আদালত কক্ষে কী হচ্ছে তাঁরা যাতে তা বুঝতে পারেন, সেকথা ভেবেই সওয়ালটা বাংলায় করা হোক। কারও বাংলায় সমস্যা থাকলে ইংরেজিতে বলতে পারবেন। আমি বাংলায় বলতে চাই। অন্য দিনও বাংলায় শুনানি করব।” বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) বলেন, “আমি লক্ষ্য করেছি এখানে অনেকে এসে বাংলায় কথা বলেছেন বলে জিভ কাটছেন। মাতৃভাষায় কথা বলার জন্য যেখানে জিভ কাটতে হয়, সেখানে ২১ ফেব্রুয়ারির কোনও মানে হয় না।” আইনজীবী তথা কলকাতা পুরসভার আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, “এটা ভালো সিদ্ধান্ত। ভারতের বিভিন্ন আদালতে সেখানকার মাতৃভাষায় কথোপকথন হয়।”

    আরও পড়ুুন: তেভাগা আন্দোলনের শহিদ পরিবারের জমিতেও থাবা শাহজাহানের!

    এই সময় বিচারপতি আইনজীবী কল্লোল বসু বলেন, “এই শুরুটা আপনি করুন। ভাষার প্রতি সংবেদনশীলতা থাকা প্রয়োজন।” এই সময় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এই বাংলা নিয়ে কেউ আমার কাছে ব্যাখ্যা চাইলে আমি অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে তার উত্তর দেব।” এর পরেই বাংলায় কোর্ট অফিসারকে বিচারপতি বলেন, “তালিকায় থাকা পরের মামলাটি ডাকা হোক।” দেশের গা থেকে পরাধীনতার গ্লানি মুছতে উদ্যোগী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার আদালতের গা থেকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের গন্ধ মোছার ‘ভগীরথ’ হলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Fake Job Card: মনরেগা প্রকল্পে দুর্নীতির খোঁজ! ভুয়ো জব কার্ড ধরতে কমিটি গঠন হাইকোর্টের

    Fake Job Card: মনরেগা প্রকল্পে দুর্নীতির খোঁজ! ভুয়ো জব কার্ড ধরতে কমিটি গঠন হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনরেগা প্রকল্পে দুর্নীতির তদন্তে এবার তিন সদস্যের কমিটি গঠন করল কলকাতা হাইকোর্ট। যাঁরা এই প্রকল্পের আওতায় কাজ করছেন তাঁদের সকলের জব কার্ড (Fake Job Card) বৈধ কি না তা খতিয়ে দেখবে ওই কমিটি। বৃহস্পতিবার জব কার্ড সংক্রান্ত মামলায় এই কমিটি তৈরি করেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ওই কমিটিতে থাকবেন রাজ্য, কেন্দ্র, ক্যাগ বা কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া এবং অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেলের এক জন করে প্রতিনিধি।

    কিসের ভিত্তিতে কমিটি

    ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে দু’টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। এর মধ্যে একটি করেছিল শ্রমিকদের একটি সংগঠন। অন্যটি করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ক্ষেত মজদুর সংগঠনের দাবি ছিল, তাঁরা ১০০ দিনের কাজ করেছেন। অথচ কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে এই নিয়ে টানাপড়েনের জন্য প্রাপ্য টাকা পাচ্ছেন না। অন্যদিকে, শুভেন্দু আদালতকে বলেছিলেন, ১০০ দিনের কাজের নামে বিপুল দুর্নীতি (Fake Job Card) হয়েছে বাংলায়। বৃহস্পতিবার এই দু’টি মামলারই শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। বেঞ্চ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করেছে।

    আরও পড়ুন: কালীঘাটে গেরুয়া শিবিরের রাম পুজোতে পুলিশের ‘না’, হাইকোর্ট দিল অনুমতি

    কী বলল আদালত

    এদিন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম জানতে চান, বর্তমান পরিস্থিতি ঠিক কী? প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, “দুর্নীতি যতই থাক, যাঁরা প্রকৃত দরিদ্র, তাঁদের জন্য কী করা হয়েছে? কাউকে তো দায়িত্ব নিতে হবে।” কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই হলফনামা দিয়ে দুর্নীতির কথা স্বীকার করে নিয়েছে। সিবিআই-এর তরফে আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য জানান, বিপুল দুর্নীতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুরুলিয়ায় এই দুর্নীতির সন্ধান পাওয়া যায়। আদালত যদি সিবিআইকে নির্দেশ দেয় তাহলে সিবিআই তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে পারে। আদালত জানিয়েছে, অভিযোগের গভীরে পৌঁছতে হলে আগে দেখতে হবে যাঁরা প্রাপ্য অর্থের দাবি করছেন, তাঁদের জব কার্ড (Fake Job Card) বৈধ কি না। তাই ভুয়ো জব কার্ড ধরতে বা সঠিক জব কার্ড যাচাই করতেই বৃহস্পতিবার ওই কমিটি তৈরি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Puja: কালীঘাটে গেরুয়া শিবিরের রাম পুজোতে পুলিশের ‘না’, হাইকোর্ট দিল অনুমতি

    Ram Puja: কালীঘাটে গেরুয়া শিবিরের রাম পুজোতে পুলিশের ‘না’, হাইকোর্ট দিল অনুমতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন কালীঘাটে আগামী ২২ জানুয়ারি রাম পুজো (Ram Pujo) করার অনুমতি চেয়েছিল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, রাজ্য পুলিশ সেই অনুমতি দেয়নি। পুলিশের অনুমতি না মেলায় এবারও বিজেপি দ্বারস্থ হয় কলকাতা হাইকোর্টের। বিজেপির মিডিয়া সেলের কনভেনর তুষারকান্তি ঘোষ রামের পুজোর অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যান। উচ্চ আদালত এদিন বিজেপিকে ২২ জানুয়ারি রাম পুজোর (Ram Puja) অনুমতি দিয়েছে।

    কী নির্দেশ দিলেন বিচারপতি? 

    পুজোর স্থান এবং সময়ও ঠিক করে দিয়েছে উচ্চ আদালত। বিজেপি অবশ্য কালীঘাটের ৬৬ পল্লি নেপাল ভট্টাচার্য লেনে রামপুজো করার অনুমতি চেয়েছিল। তবে যানজটে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়তে পারেন এই কথা বিবেচনা করে ওই জায়গাটিতে পুজোয় অনুমতি দিতে আপত্তি জানায় রাজ্য। তাদের বক্তব্য, রাস্তা আটকে পুজো (Ram Puja) করা হলে সাধারণ মানুষের সমস্যা হবে। এর পরে আদালত ওই রাস্তা বাদ দিয়ে পার্কে পুজো করার অনুমতি দিয়েছে। বুধবার হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের নির্দেশ, আগামী ২২ জানুয়ারি কালীঘাটের দেশপ্রাণ শাসমল পার্কে রামপুজোর আয়োজন করতে পারবে বিজেপি। ২২ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পার্কের একাংশে রাম পুজো করা যাবে। 

    ২২ জানুয়ারি দেশজুড়ে রাম পুজো 

    ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই দিন দেশের ধর্মস্থানগুলিতে নাম সংকীর্তন করা হবে বলে আগেই জানিয়েছে আরএসএস। বিজেপিও ওই দিনটি বিশেষভাবে পালন করতে চায়। দিকে দিকে গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা রাম পুজো (Ram Puja) করবেন। পুজোর প্রসাদ জনগণের বিতরণও করতে দেখা যাবে গেরুয়া শিবিরের কর্মীদের। দিনভর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হবে। রাম পুজোর অনুমতি চেয়ে কালীঘাট বহুমুখী সেবা সমিতি নামে একটি ক্লাব পুলিশের কাছে কালীঘাটের ৬৬ পল্লি ক্লাবের কাছে রামপুজোর আয়োজন করতে চেয়ে আবেদন করে। পুলিশ অনুমতি দেয়নি। অবশেষে কোর্ট অর্ডারে হতে চলেছে পুজো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘‘ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দিয়ে ভাষণ নয়…’’, তৃণমূলকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ‘‘ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দিয়ে ভাষণ নয়…’’, তৃণমূলকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন সংহতি যাত্রার আয়োজন করেছে তৃণমূল। তা নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। মামলা করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সেই মামলায় শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়ের পর ২২ জানুয়ারি তৃণমূলের মিছিলে আর কোনও বাধা রইল না।

    হিংসার আশঙ্কা

    বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয় মামলাটির। মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী সৌম্য মজুমদার বলেন, “২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধনের পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে এই মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। ব্লকে ব্লকে এই মিছিল হলে হিংসা ছড়াতে পারে। রাম নবমীতে রাজ্যে হিংসার ছবি দেখা গিয়েছে। তেমন হিংসার আশঙ্কা করা হচ্ছে।” সওয়াল-পর্ব শেষে (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, বেশ কিছু শর্ত মেনে মিছিল করা যাবে ২২ জানুয়ারি। তবে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়াতে পারে এমন কোনও মন্তব্য করা যাবে না। মিছিল করতে হবে শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে। শব্দবিধি মানতে হবে। তবে মিছিল থেকে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে তার দায় নিতে হবে তৃণমূলকে।

    কী বলল আদালত?

    প্রধান বিচারপতি মনে করিয়ে দিয়েছেন, এই ধরনের মিছিলের ক্ষেত্রে ট্রাফিকের সমস্যা হতে পারে, আটকে পড়তে পারে অ্যাম্বুল্যান্স। এই বিষয়গুলি নিয়ে সংশ্লিষ্ট পার্টি ও রাজ্য সরকারকে তৎপর হতে হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের মন্তব্য, প্রতি ব্লকে যদি এই মিছিল হয়, তবে সেখানকার সাধারণ মানুষের সমস্যা হবে। এই মিছিলের জন্য আগাম কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। ওই দিন আরও ৩৫টি মিছিলের আবেদন জমা পড়েছে। সেগুলি অনুমতি পেলে সমস্যা আরও বাড়বে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে মিছিলের যে আর্জি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলনেতা জানিয়েছিলেন, তাও খারিজ করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

    আরও পড়ুুন: দোরগোড়ায় রাম মন্দির উদ্বোধন, নেতিবাচক প্রচার শুরু পাকিস্তানের!

    রায়ে বলা হয়েছে, ‘অঘটন ঘটলে দায় বর্তাবে ওই দলের ওপর। আদালতের (Calcutta High Court) রায় লঙ্ঘন করলে দায়ী হতে পারেন ব্যক্তিও।’ প্রসঙ্গত, রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন কলকাতার হাজরা থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত মিছিলের আয়োজন করেছে তৃণমূল। নাম দেওয়া হয়েছে সংহতি যাত্রা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share