Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • ISF: বিজেপির পর আইএসএফ, শর্তসাপেক্ষে সিদ্দিকির দলকে সভার অনুমতি হাইকোর্টের

    ISF: বিজেপির পর আইএসএফ, শর্তসাপেক্ষে সিদ্দিকির দলকে সভার অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খবরের শিরোনামে ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউস এলাকা। ফি বছর (ISF) একুশে জুলাই শহিদ দিবস পালন করে তৃণমূল। এই এলাকায় সভা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি বিজেপিকেও। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে সেবার সভার অনুমতি পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। ফের সেই একই সমস্যার সম্মুখীন আইএসএফ।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভার অনুমতি না পেয়ে মঙ্গলবার ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির দল দ্বারস্থ হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর পর্যবেক্ষণ, “অন্য দল সভা করতে পারলে আইএসএফ নয় কেন? সমর্থক কমিয়ে, পুলিশ বাড়িয়ে ওখানেই সভা হোক।” মঙ্গলবার আদালতে আইএসএফের তরফে জানানো হয়েছিল, ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে তাদের সভা করার অনুমতি দিচ্ছে না পুলিশ। বুধবার শুনানি হয় এই মামলার। আইএসএফের আবেদনে সাড়া দিয়ে শর্ত সাপেক্ষে নওশাদের দলকে সভার অনুমতি দেয় আদালত। প্রসঙ্গত, আদালতের অনুমতি নিয়ে এই জায়গায় ২৯ নভেম্বর সভা করেছিল বিজেপি।

    শর্তসাপেক্ষে সভা

    ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে থেকে সভা সরিয়ে নিয়ে গিয়ে অন্যত্র করা হোক বলে আদালতে জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। গত বছর রানি রাসমণি রোডে আইএসএফের সভায় গন্ডগোলের প্রসঙ্গ ওঠে। তখনই আইএসএফের (ISF) আইনজীবীকে বিচারপতি সেনগুপ্ত প্রশ্ন করেন, ‘তৃণমূল বা অন্য দল সভা করলে তাদের বিরুদ্ধে গন্ডগোলের অভিযোগ ওঠে না। কেউ উসকানি দিতেই পারে। কিন্তু নিজের সমর্থকদের আটকানো কার কাজ?’ এর পরেই বিচারপতি বলেন, “ওই জায়গায় সভা করতে বারণ করছে না আদালত। তবে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করুক আইএসএফ। সমর্থক নিয়ে আসার ক্ষেত্রে নিজেরাই বিধিনিষেধ আরোপ করুক দল।” আদালতের পর্যবেক্ষণ, সমর্থক কমিয়ে, পুলিশ বাড়িয়ে ওখানেই হোক সভা। তারা কত লোক আনবে, সেই বিষয়ে আদালতকে বৃহস্পতিবার জানাতে আইএসএফ-কে নির্দেশ দিল আদালত। আগামিকাল এই বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানাবে নওশাদের দল ও পুলিশ।

    আরও পড়ুুন: ২২ জানুয়ারি মমতার কর্মসূচিতে নষ্ট হবে সম্প্রীতির পরিবেশ, হাইকোর্টে শুভেন্দু

    ভিক্টোরিয়া হাউসের এই জায়গায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভা করতে চেয়েছিল বিজেপি। পুলিশের অনুমতি না পেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারিরা। সেই মামলার রায় ঘোষণা করতে গিয়ে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম প্রশ্ন তুলেছিলেন, “ওখানে সভা করা নিয়ে বৈষম্য কেন? ওখানে কি তৃণমূলের সভাও বন্ধ করে দেব?” তার পরেই ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে বিজেপিকে সভার অনুমতি দিয়েছিল (ISF) আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Ram Mandir: ২২ জানুয়ারি মমতার কর্মসূচিতে নষ্ট হবে সম্প্রীতির পরিবেশ, হাইকোর্টে শুভেন্দু

    Ram Mandir: ২২ জানুয়ারি মমতার কর্মসূচিতে নষ্ট হবে সম্প্রীতির পরিবেশ, হাইকোর্টে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ জানুয়ারির রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন, সেদিনই আবার কলকাতাতে সংহতি যাত্রার ঘোষণা করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রীর এই বিতর্কিত কর্মসূচি নিয়ে এবার জল গড়াল হাইকোর্ট পর্যন্ত। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন এই মর্মে যে সংহতি যাত্রা হলে রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে। বুধবারই জনস্বার্থ মামলার আবেদন জানান নন্দীগ্রামে বিধায়ক। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি মধুরেশ প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চ। মামলায় অন্যতম পার্টি হিসেবে যুক্ত করা হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। বৃহস্পতিবারই শুনানি হতে পারে এই মামলার।

    সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি মমতার

    রাম মন্দিরের উদ্বোধন ঘিরে রামভক্তদের উন্মাদনা তুঙ্গে পৌঁছেছে। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সারা দেশ জুড়ে এই দিনটি উদযাপন হবে। ধর্মস্থানগুলিতে চলবে কীর্তন। এই দিনেই মমতার ঘোষিত কর্মসূচি ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ওই দিন কলকাতা সমেত প্রত্যেকটি জেলায় এবং ব্লকগুলিতে মিছিল করবে তৃণমূল। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। ওয়াকিবহল মহলের ধারণা, সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন ওই দিনেই। এমন কর্মসূচি ২২ জানুয়ারির আগে বা পরে করা যেতেই পারতো। রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের সঙ্গে সম্প্রীতির কোনও সম্পর্ক নেই। বিষয়টিতে রাজনৈতিক রং লাগানোর উদ্দেশ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কর্মসূচি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আশঙ্কা যে ওইদিন রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান (Ram Mandir) হবে, সেখানে বিভিন্ন জায়গায় সম্প্রীতির পরিবেশ বিঘ্নিত করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেসের এই কর্মসূচি।

    সমালোচনায় দিলীপ ঘোষ

    অন্যদিকে ২২ জানুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেসের এই কর্মসূচির নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘সব রামের (Ram Mandir) ইচ্ছা। যারা চিরদিন জাতীয় সংহতির বিরুদ্ধে কাজ করে এসেছে, তারাই সংহতি মিছিল করছে। এর থেকে বড় বিড়ম্বনা আর কী হতে পারে। দেশে বা কেন্দ্রে যা অনুষ্ঠান হয়, তার সবসময় উনি বিরোধিতা করে এসেছেন। এটাকেই উনি রাজনীতি মনে করেন। তাই আজ উনি এমন জায়গায় পৌঁছে গেছেন, তার আলাদা জাতীয় সঙ্গীত চাই, আলাদা জাতীয় পতাকা চাই, আলাদা কোর্ট চাই, আলাদা পার্লামেন্ট চাইবেন। যার চিন্তাভাবনার মধ্যে সংহতি নেই, তিনি যতই সংহতি যাত্রা করুন, কিছু হবে না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে দিতে আদালতে আবেদন জানাবে ইডি

    Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে দিতে আদালতে আবেদন জানাবে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের হাত থেকে সন্দেশখালিকাণ্ডের (Sandeshkhali Case) তদন্তভার দেওয়া হোক সিবিআইয়ের হাতে। কলকাতা হাইকোর্টে এই মর্মে নতুন করে আবেদন জানাতে চলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। প্রসঙ্গত, সোমবারই ইডি তাদের দায়ের করা মামলাটিকেও সিবিআই কিংবা এনআইএকে দেওয়ার আবেদন করেছিল।

    সিবিআই চেয়ে মামলা

    সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন ইডির আইনজীবী এসভি রাজু ও ধীরজ ত্রিবেদী। সোমবার সেই মামলায়ই বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের আইনজীবী। তিনি বলেন, “আমার মক্কেলও ওই মামলায় যুক্ত হতে চান।” গত পাঁচ জানুয়ারি শাহজাহানের বাড়িতে তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডির আধিকারিকরা। জখম হন দুই আধিকারিক। তাঁদের সঙ্গে থাকা সিআরপিএফের দুই জওয়ানও জখম হন।

    শাহজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    শাহজাহানের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের উসকানি দেওয়ার অভিযোগ করে ইডি। পাঁচ (Sandeshkhali Case) জানুয়ারির ওই ঘটনার পরেই গা ঢাকা দেন তৃণমূল নেতা। এই মামলায় যুক্ত হতে চান বলে সোমবার আইনজীবী মারফত কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেন শাহজাহান। তাঁর আরও আবেদন, এই ঘটনায় তাঁর বক্তব্যও শোনা হোক। আবেদন শোনার পর শাহজাহানের আইনজীবীকে ভর্ৎসনা করে আদালত। বিচারপতি জানতে চান, ওই ঘটনায় কতজন গ্রেফতার হয়েছেন। ইডির ওপর হামলার পর পরই কেন রাজ্য পুলিশ শাহজাহানের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেনি, সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালিকাণ্ডে গ্রেফতার আরও তিন, এখনও অধরা শাহজাহান

    সোমবার মামলায় যুক্ত হওয়ার আবেদন জানালেও, মঙ্গলবার শাহজাহান জানান, তিনি এখনই ওই মামলায় যুক্ত হতে চান না। এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে এমনই জানান অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার আইনজীবী। তিনি জানান, সোমবার সন্দেশখালির নিখোঁজ তৃণমূল নেতার তরফ মামলায় যুক্ত হওয়ার যে আবেদন করা হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। আদালত মনে করলে মামলায় যুক্ত হবেন তাঁর মক্কেল। শাহজাহানের আইনজীবীর কাছে বিচারপতি জানতে চান, তাঁর মক্কেল কেন আত্মসমর্পণ করেননি? শাহজাহানের আইনজীবী বলেন, “আমার অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছে। ইডির অভিযান সঠিক ছিল না।” বিচারপতি বলেন, “তবুও ইডির সঙ্গে সহযোগিতা করা উচিত আপনার (Sandeshkhali Case)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্টে ক্ষমা চাইলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিব, কেন জানেন?

    Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্টে ক্ষমা চাইলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিব, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতে ভুল তথ্য দিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিব সুব্রত ঘোষ। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) হাজিরা দেন তিনি। ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য দায়ী করেন দফতরের চার কর্মীকে। পর্ষদকে ভুল শুধরে দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশও দেয় আদালত।

    পর্ষদকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ

    বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ, ২২ জানুয়ারির মধ্যে কার্যকর করতে হবে আদালতের নির্দেশ। কোথায় গাফিলতি ছিল, তা রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে পর্ষদকে। গাফিলতির প্রেক্ষিতে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, জানাতে হবে তাও। রাজ্য শিক্ষা দফতর, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও এসএসসিকে শূন্যপদ নিয়ে বৈঠকে বসার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বসু। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাঁকুড়া শালতোড়া গার্লস স্কুলে চাকরির সুপারিশ পান জনৈক উমা প্রামাণিক। অভিযোগ, দু’বছর (Calcutta High Court) পরেও তাঁকে চাকরি দেয়নি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

    কীভাবে ঘুরল মামলার মোড়?

    হাইকোর্টে মামলা দায়ের হলে পর্ষদ জানায়, সুপারিশপত্র দেয়নি এসএসসি। তাই চাকরি দেওয়া যায়নি। পরে এসএসসি উমাকে সুপারিশপত্র দিয়েছে, এমন প্রমাণ তুলে ধরতেই ঘুরে যায় মামলার মোড়। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, পর্ষদ অসত্য তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। পর্ষদের গাফিলতির জেরেই দু’বছর পরেও চাকরি পাননি মামলাকারী। এর পরেই পর্ষদের ভূমিকায় ক্ষোভপ্রকাশ করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিবকে তলব করেন বিচারপতি। আদালত কেন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে না, তার কারণ দর্শানোর নির্দেশও দেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুুন: ‘অকাল দীপাবলি’ পালনের আবেদন জানালেন শুভেন্দু

    এদিন আদালতে হাজিরা দিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে সুব্রত বলেন, “ভুল ছিল পর্ষদেরই। দফতরের চার কর্মীর উদাসীনতার কারণেই ওই ভুল হয়েছে। এঁরা হলেন, পর্ষদের সহকারী সচিব, পর্ষদ সভাপতির পিএ এবং চুক্তিভিক্তিক দুই গ্রুপ সি কর্মী।” বিচারপতি বসু জানান, একজন যোগ্য প্রার্থীকে এতদিন চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এর জন্য যাঁরাই দায়ী, তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। ওই চারজনের বিরুদ্ধে পর্ষদ সচিব কী পদক্ষেপ করেছেন, পরবর্তী শুনানিতে তা জানাতে হবে আদালতে (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Calcutta High Court: ডালিম, তপনের পর এবার নেতাই গণহত্যায় জামিন পেলেন সিপিএমের রথীন

    Calcutta High Court: ডালিম, তপনের পর এবার নেতাই গণহত্যায় জামিন পেলেন সিপিএমের রথীন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছর জামিন পেয়েছিলেন নেতাই গণহত্যা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ডালিম পাণ্ডে ও তপন দে। সোমবার ওই মামলায় জামিন পেলেন সিপিএম নেতা রথীন দণ্ডপাট। প্রায় দশ বছর পর জামিন পেলেন তিনি। রথীনের জামিন মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি পার্থসারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ।

    সিবিআইয়ের অপদার্থতা!

    রথীনের জামিনের পর সিবিআইয়ের দিকে আঙুল তোলেন আইনজীবী সঞ্জয় বর্ধন। তিনি বলেন, “আজ নেতাইয়ের বাসিন্দারা সিবিআইয়ের কাছে প্রশ্ন করছেন। তাঁরা রাজনৈতিক মামলায় এত সক্রিয়। অথচ নেতাইয়ের নয় শহিদের পরিবার কেন এখনও বিচার পাচ্ছে না? সিবিআইয়ের অপদার্থতার জন্য আজও নেতাই মামলার বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। শহিদ পরিবার বিচার পাচ্ছে না।”

    নেতাইকাণ্ডের নেপথ্যে

    ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি লালগড়ের নেতাই গ্রামে (Calcutta High Court) দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে মৃত্যু হয় ন’জন গ্রামবাসীর। গুলির ঘায়ে জখম হন ২৮ জন। অভিযোগ, স্থানীয় সিপিএম নেতা রথীনের বাড়ি থেকে গুলি চালিয়েছিল সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। রথীনের বাড়িতে সিপিএমের সশস্ত্র বাহিনীর শিবির ছিল। স্থানীয়দের তারা নানাভাবে কাজে লাগাচ্ছিল। শিবিরের নানা কাজে সাহায্যের জন্য ডেকে পাঠানো হত বাড়ির মহিলাদের। এসব নিয়েই ক্ষোভ বাড়ছিল স্থানীয়দের মধ্যে। জানুয়ারির সাত তারিখে প্রতিবাদ আন্দোলনে শামিল হন স্থানীয়রা। তার পরেই রথীনের বাড়ি থেকে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: “চুরির সাত কাহন কাব্য লেখা উচিত”, তৃণমূলকে তোপ সুকান্তর

    ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিআইডি। পরে ২০১৩ সালে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে হাত বদল হয় তদন্তের রশি। তদন্ত শুরু করে সিবিআই। গ্রেফতার হন সিপিএমের তৎকালীন বিনপুর জোনাল সম্পাদক অনুজ পাণ্ডে-সহ ২০ জন সিপিএম নেতা-কর্মী। নেতাই গণহত্যা মামলায় বছরখানেক আগে জামিন পান ফুল্লরা মণ্ডল। গত ফেব্রুয়ারিতে জামিনে মুক্ত হন ডালিম এবং তপন। এদিন পেলেন (Calcutta High Court) রথীন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Recruitment Case: “দীর্ঘদিন চাকরি করলেই অবৈধ নিয়োগ বৈধ হয় না”, বলল হাইকোর্ট

    SSC Recruitment Case: “দীর্ঘদিন চাকরি করলেই অবৈধ নিয়োগ বৈধ হয় না”, বলল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দীর্ঘদিন চাকরি করলেই অবৈধভাবে হওয়া নিয়োগ বৈধ হয়ে যায় না।” সোমবার এসএসসি নিয়োগ মামলায় (SSC Recruitment Case) এমনই মন্তব্য করল কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ। বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির বেঞ্চে শুনানি হয় মামলাটির। তখনই বিচারপতি বলেন, “কে, কতদিন কাজ করেছেন, সেটা বড় বিষয় নয়, মূল বিচার্য হচ্ছে, নিয়োগ বৈধ কি না!”

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ

    নিয়োগ মামলায় অবৈধ সব নিয়োগ বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সব মামলার শুনানি কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চে ছ’ মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। সেই বেঞ্চেই এদিন হয়েছে শুনানি। কর্মরত কয়েকজন শিক্ষকের আবেদন, দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা স্কুলে চাকরি করছেন সুপার নিউম্যারিক পদ তৈরি করে চাকরিতে বহাল রাখা হোক তাঁদের। কারণ তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন।

    কী বলল হাইকোর্ট?

    এই প্রসঙ্গেই বিশেষ বেঞ্চ (SSC Recruitment Case) বলে, মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হবে, তাতে অসুবিধা নেই। কিন্তু আদালত পদক্ষেপ করলে সেটা আদালতের এক্তিয়ার বহির্ভূত বিষয়। বিচারপতি জানান, নিয়োগের বৈধতার ওপরই নির্ভর করবে চাকরির ভবিষ্যৎ। যে নিয়োগ অবৈধভাবে হয়েছে, তা শুধু দীর্ঘদিন চাকরি করা হয়েছে এই যুক্তিতে বৈধ হয়ে যাবে না। এই মামলায় নতুন করে মেধাতালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এতে আপত্তি জানিয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ।

    আরও পড়ুুন: শতাব্দীর সাংসদ তহবিলের ইডি, সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

    এ প্রসঙ্গে বিচারপতি বলেন, “যখনই কেউ কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নেন, তখনই তিনি জানেন যে মেধাতালিকা প্রকাশিত হবে।” আদালতের প্রশ্ন, মেধাতালিকা বা প্যানেল প্রকাশিত হবে কীভাবে কারও সম্মানহানি হতে পারে? বিচারপতি বলেন, “এসএসসির উচিত ছিল আগেই ভুলগুলি স্বীকার করা। যাঁরা বেআইনিভাবে নিয়োগ হয়েছেন তাঁদের শনাক্ত করা প্রয়োজন ছিল (SSC Recruitment Case)। অন্যায়ভাবে যাঁরা সুযোগ পেয়েছেন, তাঁদের চাকরি বাতিল হওয়া উচিত।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

      

  • Sandeshkhali Incident: হাইকোর্টের দ্বারস্থ সন্দেশখালিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূলের শাহজাহান

    Sandeshkhali Incident: হাইকোর্টের দ্বারস্থ সন্দেশখালিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূলের শাহজাহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডের (Sandeshkhali Incident) পর উধাও হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সোমবার, পৌষ সংক্রান্তির দিন ‘উদয়’ হলেন তিনি। তিনি তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল নেতা। নিজে প্রকাশ্যে না এলেও, আইনজীবী মারফৎ জানান, সন্দেশখালি মামলায় যুক্ত হতে চান তিনি। কারণ, তিনি চান এই ঘটনায় তাঁর বক্তব্যও শোনা হোক।

    ইডির অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, তৃণমূলের এই নেতার বিরুদ্ধেই সন্দেশখালিতে গ্রামবাসীদের উসকানি দেওয়ার অভিযোগ এনেছিল ইডি। শাহজাহানের আইনজীবী জানান (Sandeshkhali Incident), মামলায় যুক্ত হতে চাইলে ওকালতনামা জমা দেওয়া হোক। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, “ঠিক আছে। রাজ্যকে এই মামলার কেস ডায়েরি নিয়ে আসতে হবে।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি মঙ্গলবার। রেশন বিলিকাণ্ডে গ্রেফতার (Sandeshkhali Incident) হন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনার নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এই ঘটনায় নাম জড়ায় জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ শাহজাহানের।

    ইডির ওপর হামলা

    ৫ জানুয়ারি সরবেরিয়া গ্রামে তাঁর বাড়িতে হানা দেন ইডির আধিকারিকরা। সেখানে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও দরজা খোলেনি শাহজাহানের বাড়ির। যদিও শাহজাহানের মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশনে দেখা যায় শাহজাহান রয়েছেন বাড়ির ভেতরেই। ইডির আধিকারিকরা দরজা ভাঙার চেষ্টা করেন। এই সময় স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা ইডির আধিকারিকদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায়। ছুড়তে থাকে ইট-পাটকেল। ইটের ঘায়ে জখম হন ইডির দুই আধিকারিক। তাঁদের সঙ্গে থাকা সিআরপিএফের দুই জওয়ানও জখম হন। সন্দেশখালির ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে ইডি।

    আরও পড়ুুন: “শাহজাহান কোথায়, উত্তর আছে মা গঙ্গার কাছে”, ফের রাজ্যপালের মন্তব্য

    পুলিশকে ভর্ৎসনা আদালতের

    সন্দেশখালিকাণ্ডে অভিযুক্ত হাজার তিনেক মানুষ। এই ঘটনায় মাত্র চারজন গ্রেফতার কেন, পুলিশকে ভর্ৎসনা করে আদালত। গোটা ঘটনার (Sandeshkhali Incident) তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার আবেদনও জানিয়েছে ইডি। কেস ডায়েরি না নিয়ে আসায় বিচারপতি বলেন, “পুলিশ এতদিন ধরে কী করছে, সেটা কেস ডায়েরি দেখেই বোঝা সম্ভব।” মঙ্গলবার কেস ডায়েরি আনতে হবে পুলিশকে। বিচারপতি পুলিশের কাছে জানতে চান, ঘটনার পরে কি পুলিশ শাহজাহানের বাড়িতে ঢুকেছিল? আদালত এজিকে বলেন, “সৎভাবে বিচার করার ইচ্ছে থাকলে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করুন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: এবার ভুতুড়ে চাকরির হদিশ! ৫৮ শিক্ষকের নিয়োগ সম্পর্কে জানে না খোদ এসএসসি

    Recruitment Scam: এবার ভুতুড়ে চাকরির হদিশ! ৫৮ শিক্ষকের নিয়োগ সম্পর্কে জানে না খোদ এসএসসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় নয়া ‘চাঞ্চল্যকর’ তথ্য সামনে এল। এবার ভুতুড়ে চাকরি ধরা পড়ল। যে চাকরি গুলি সম্পর্কে এসএসসি নিজেই জানে না। অথচ বহাল তবিয়তে মাস পোহালে বেতনও তুলছেন ওই ভুতুড়ে শিক্ষকরাও। জানা গিয়েছে ৫৮ জন শিক্ষকের চাকরি পাওয়া নিয়ে ‘ধোঁয়াশা’ রয়েছে খোদ এসএসসির কাছে। কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট দিয়ে এসএসসি জানিয়েছে, ওই ৫৮ জন শিক্ষকের কোনও তথ্য তাদের কাছে নেই। ওই শিক্ষকদের পার্সোনালিটি টেস্ট, ইন্টারভিউ নেওয়া হয়নি। এমনকি নিয়োগের প্যানেলও তাঁদের নাম ছিল না। ফলে তাঁরা কী ভাবে চাকরি পেলেন তা নাকি এসএসসি জানেনা।

    কীভাবে পাওয়া গেল ৫৮ জনের সন্ধান?

    স্কুলের নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam)  মামলায় তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই এবং ইডি। শাসকদলে বেশ কিছু রাঘববোয়াল থেকে মন্ত্রী-বিধায়ক এই মামলায় বর্তমানে গারদের অন্দরে। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আদালতের নির্দেশ মতো তদন্তে উঠে আসা তথ্য এসএসসিকে পাঠানো হয় সিবিআই-এর তরফে। ওই তথ্য যাচাই করে বেআইনি নিয়োগ সম্পর্কে নিজেদের অবস্থান কোর্টকে জানায় এসএসসি। গত সপ্তাহে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চে এসএসসি ৫৮ জন শিক্ষকের নাম আদালতে রিপোর্ট আকারে জমা দেয়। সেখানেই এসএসসি জানায়, নবম-দশম শ্রেণিতে ৪০ জন এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে ১৮ জন শিক্ষক রয়েছেন। তাঁরা কী ভাবে চাকরি (Recruitment Scam)  পেয়েছেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তাঁদের কোনও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।

    মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী সপ্তাহে

    এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam)  সাদা খাতা জমা দিয়েও চাকরি পাওয়ার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে । পরীক্ষা না দিয়েও অনেক অযোগ্য প্রার্থী চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। এবার উঠল নতুন অভিযোগ। ৫৮ জনের ভুতুড়ে চাকরি। কী ভাবে তাঁরা চাকরির সুপারিশপত্র পেলেন তা খুঁজছে খোদ এসএসসিও। আগামী সপ্তাহে আবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sandeshkhali Case: ইডির বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে না পুলিশ, সন্দেশখালিকাণ্ডে জানাল আদালত

    Sandeshkhali Case: ইডির বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে না পুলিশ, সন্দেশখালিকাণ্ডে জানাল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩১ মার্চ পর্যন্ত ইডির বিরুদ্ধে করা এফআইআর নিয়ে কোনও তদন্ত করতে পারবে না পুলিশ। সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali Case) বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ইডির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল পুলিশ। শুরু করেছিল তদন্তও। এদিন সেই তদন্তেই স্থগিতাদেশ দিল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ।

    কেস ডায়েরি তলব

    রাজ্যের কাছে এই ঘটনার কেস ডায়েরিও তলব করেছে আদালত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে করা এফআইআর নিয়ে রাজ্যকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। ইডি আধিকারিকেরা কি শাহজাহানের বাড়িতে ঢুকেছিলেন? প্রশ্ন বিচারপতি মান্থার। ইডির তরফে জানানো হয়েছে, অনেক চেষ্টা করেও শাহজাহানের বাড়িতে ঢুকতে পারেননি তাঁরা। সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali Case) একই দিনে তিনটি এফআইআর দায়ের হয়েছিল থানায়। এর মধ্যে দুটি এফআইআরের বয়ানে কোনও মিল নেই।

    বিচারপতির প্রশ্ন?

    সেই প্রেক্ষিতেই বিচারপতি মান্থার প্রশ্ন, “এফআইআর নেওয়ার আগে পুলিশ কি ন্যূনতম অনুসন্ধান করেছিল?” তাঁর পর্যবেক্ষণ, “ধরুন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ওপর আক্রমণ হয়েছে। ন্যূনতম অনুসন্ধান না করেই কি সঙ্গে সঙ্গে এফআইআর লিখতে বসে যাবেন? আপনার রায় কি সে কথা বলছে? পুলিশের দুটি অভিযোগ নেওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে। একটি ঘটনার সঙ্গে অন্যটিকে মেলানো যাচ্ছে না।” তিনি বলেন, “প্রথমে একটি বয়ানে পুলিশ এফআইআর নিল। ওসি স্বাক্ষর করে দিলেন। আবার দুপুরে আর একজন গিয়ে থানায় উল্টো ঘটনা বললেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেও এফআইআর করা হল। আর তাতেও ওসি সই করে দিলেন!”

    আরও পড়ুুন: শাহজাহানকে গ্রেফতারে দাবিতে ন্যাজাট থানা ঘেরাও সুকান্তর, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি

    বিচারপতি মান্থার পর্যবেক্ষণ, “পুলিশের একবারও মনে হল না, একটু আগে এই একই ঘটনা নিয়ে এফআইআর নেওয়া হয়েছে? আগে যিনি এসেছিলেন তিনি অন্য কথা বলেছেন। তখন দ্বিতীয় জনকে পুলিশ তো সেকথা বলবে। তা না করে চোখ বন্ধ করে ওসি স্বাক্ষর করে দিলেন! এটা পুলিশের কী ধরনের বোকামি?” বিচারপতি জানান, এক্ষেত্রে চালাকি করা হতে পারে। তাই কোন এফআইআর আগে হয়েছে, কোনটি পরে, তা জানতে এফআইআরের কপি তিনি পাঠাতে পারেন ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে (Sandeshkhali Case)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: ‘‘আমার কাজকর্ম একটা শ্রেণিকে বিপদে ফেলেছে’’, মন্তব্য বিচারপতির

    Justice Abhijit Gangopadhyay: ‘‘আমার কাজকর্ম একটা শ্রেণিকে বিপদে ফেলেছে’’, মন্তব্য বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। আদালতের ভিতরে হোক বা বাইরে তাঁর একাধিক মন্তব্যে সমস্যআয় পড়েছে রাজ্যের শাসক দল। এমনকী তাঁর করা মন্তব্যের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গেই এবার তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন বিচারপতি। তিনি বলেন, “আমার কাজকর্ম-কথাবার্তায় এক শ্রেণি খুব বিপদে পড়ছে, তাই হয়ত নানা পদক্ষেপ।” 

    বিচারপতির প্রশ্ন

    বিবেকানন্দ পাঠচক্র আয়োজিত স্বামী বিবেকানন্দ মিলন মেলায় উপস্থিত হয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) বলেন, “বহু বিখ্যাত মানুষ, যাঁরা কাজ করার চেষ্টা করেছেন, তাঁদেরকে সব সময় টেনে নামানোর চেষ্টা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে বহু প্রচার হয়েছে। এমনকি বিধবা বিবাহ প্রচলনের সময় বিদ্যাসাগর মশাই নিজে শারীরিক নিগ্রহের শিকার হয়েছিলেন।” এই অনুষ্ঠানে স্বামী বিবেকানন্দের জীবন-আদর্শের কথা তুলে ধরেন তিনি। একই সঙ্গে সমাজের বিচ্যুতি থেকে শুরু করে আরও বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন। বিচারপতি প্রশ্ন করেছেন, যে বাংলায় এত মনীষীদের জন্ম হয়েছে সেই বাংলার বর্তমান সমাজে এত বিচ্যুতি হয় কীভাবে।

    আরও পড়ুন: টাকা তছরুপের অভিযোগ! কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাকে তলব ইডির

    কী বললেন বিচারপতি

    প্রসঙ্গত, বুধবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক (Abhishek Banerje)। আবেদনে তিনি জানান, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আদালতের বাইরে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি। সুপ্রিম কোর্টের কাছে তৃণমূল সাংসদের আর্জি, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ করা হোক। তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রসঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “যে কেউ মামলা করতে পারেন। যে কোনও আর্জি জানাতে পারেন। বলতেই পারেন, চাঁদ আমাকে পেড়ে দাও। যিনি শুনছেন (মামলা), তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন।” তার পরই বিচারপতির সংযোজন, “মনে হয় আমার কাজে এবং কথাবার্তায় একটা শ্রেণি খুব বিপদে পড়ছে।” তাঁর মন্তব্যে, তদন্তকারী সংস্থা প্রভাবিত হচ্ছে কি না, তা ওই সংস্থাগুলিই বলতে পারবে বলে জানান বিচারপতি। তাঁর কথায়, “একটা কথায় এজেন্সি প্রভাবিত হচ্ছে, এ সব আষাঢ়ে গল্প।” সময় পাল্টে গিয়েছে বলে দাবি করে বিচারপতির প্রশ্ন, “আগে এত চুরি-জোচ্চুরি দেখেছেন? চাকরি বিক্রি দেখেছেন?” হতাশার সুরে বিচারপতি জানান, বর্তমানে বাংলায় অবক্ষয় চোখে পড়ছে, যা বিদ্যাসাগর, বিবেকানন্দের বাংলায় কাম্য নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share