Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • National Anthem Case: বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে চার্জশিট নয়, জাতীয় সঙ্গীত মামলায় নির্দেশ হাইকোর্টের

    National Anthem Case: বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে চার্জশিট নয়, জাতীয় সঙ্গীত মামলায় নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার (National Anthem Case) দু’টি মামলাতেই স্বস্তিতে বিজেপি। আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশ ছাড়া ওই মামলায় কোনও চার্জশিট পেশ করা যাবে না। বুধবার জানিয়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এছাড়া বিজেপি বিধায়কদের জেরা করা যাবে না বলে যে নির্দেশ আগে দেওয়া হয়েছিল, সেটাও বহাল রাখা হয়েছে। একক বেঞ্চ আগেই এই মামলাকে ‘ছেলেমানুষি’ আখ্যা দিয়ে রাজ্যকে ভর্ৎসনা করেছিল।

    কী বলল আদালত

    বিধানসভা চত্বরে দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা (National Anthem Case) করার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে। শাসক দলের তরফে একটি নয়, দুটি মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। কিন্তু আগেই এই মামলাকে ‘ছেলেমানুষি’ আখ্যা দিয়ে রাজ্যকে ভর্ৎসনা করেছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। এর পরেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চে এখনও পর্যন্ত কোনও শুনানি হয়নি। তাই একক বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, দ্বিতীয় মামলাতেও তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে না পুলিশ। পাশাপাশি, হাইকোর্টের নির্দেশ ছাড়া দেওয়া যাবে না চার্জশিটও। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি দুই মামলারই শুনানি হতে পারে সিঙ্গল বেঞ্চে। যদি তার আগে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের দায়ের প্রথম মামলার শুনানি হয়ে যায়।

    আরও পড়ুন: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে অভিষেক, কী আর্জি তৃণমূল নেতার?

    বিতর্কের সূত্রপাত, গত মাসে বিধানসভায় একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে। তৃণমূলের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নেতৃত্বে অম্বেডকর মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেন শাসকদলের মন্ত্রী, বিধায়কেরা। ওই একই সময়ে তৃণমূলের বিক্ষোভস্থল থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে বিধানসভার সিঁড়িতে বসে বিজেপি বিধায়কেরা পাল্টা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। তুলছিলেন সরকার-বিরোধী স্লোগান। তৃণমূল বিধায়কেরা সেই সময় জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। সেই সময়েও বিজেপি শিবির থেকে স্লোগান শোনা যাচ্ছিল বলে অভিযোগ। বিজেপি বিধায়কদের দাবি ছিল, অপরাধযোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Primary Recruitment Case: প্রাথমিক নিয়োগ মামলা থেকে অ্যাডভোকেট জেনারেলকেই সরিয়ে দিলেন বিচারপতি

    Primary Recruitment Case: প্রাথমিক নিয়োগ মামলা থেকে অ্যাডভোকেট জেনারেলকেই সরিয়ে দিলেন বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা থেকে এবার এজি-কে সরিয়ে দিলেন বিচারপতি  অমৃতা সিনহা। এই মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে রাজ্যের হয়ে সওয়াল করতে পারবেন না মুখ্য আইনি উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। বুধবার এই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এজি হিসাবে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের হয়ে কীভাবে আইনজীবী হিসাবে রয়েছেন কিশোর দত্ত? এই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।

    অ্যাডভোকেট জেনারেলকে প্রশ্ন

    তিনি বলেন, ‘আমি শুনেছি যে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল এই দুর্নীতির মামলায় কোনও এক অভিযুক্তের আইনজীবী হিসেবে মামলা লড়ছেন। যদি এটা হয় তাহলে সরাসরি একটা স্বার্থের দ্বন্দ্ব (কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট) তৈরি হচ্ছে। এই জন্য আমি রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে ডেকে পাঠিয়েছি।’ রাজ্যের লিগল অ্যাডভাইসার কিশোর দত্ত নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত  সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রেরও আইনজীবী। কিছুদিন আগেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কালীঘাটের কাকু তথা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করা হয়েছে। এই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এদিনের শুনানির সময়ে বিচারপতি এজি-র উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, “আপনি এই মামলায় একজনের হয়ে সওয়াল করছেন। তার সঙ্গে রাজ্যের স্বার্থের সংঘাত হলে সমস্যা হবে। তাহলে সরকারের হয়ে এই মামলায় থাকতে পারেন না।” এরপরই বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “আপনি বাই ডিফল্ট বেরিয়ে যান।”

    আরও পড়ুন: তৃণমূলের মহুয়ার বিরুদ্ধে তৈরি রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল সিবিআই, কেন জানেন?

    বিরক্ত বিচারপতি সিনহা

    এদিন শুনানির সময় প্রাথমিকে নিয়েগ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। রাজ্যের উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন করেন, “চাকরি প্রার্থীদের এক একটা দিন নষ্ট হচ্ছে। রাজ্যকে বলতেই হবে কী চায় তারা। তাদের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে। কবে নিয়োগ দেওয়া হবে? আর কত অপেক্ষা। এই অপেক্ষা শেষ হওয়ার নয়। উভয় মিটিং করে এব্যাপারে সমাধানে আসা যায় কি না দেখুন।” এই মামলার পরের শুনানি ৬ ফ্রেবরুয়ারি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Primary TET: প্রাথমিকের একটি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ খারিজ ডিভিশন বেঞ্চে

    Primary TET: প্রাথমিকের একটি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ খারিজ ডিভিশন বেঞ্চে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকে (Primary TET) চাকরির নিয়োগে প্যানেল প্রকাশ এবং তা আদালতের সামনে জমা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার সেই নির্দেশ খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।

    ২০১৪ সালের টেটের প্রেক্ষিতে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ

    ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছিল ২০১৫ সালের অক্টোবর আসে। ফলাফল প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৬ সালে। এই মামলায় পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির নির্দেশ ছিল, ১০ দিনের মধ্যে প্যানেল প্রকাশ করতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে (Primary TET)। সেই মোতাবেক প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন বিচারপতি। কিন্তু, ১০ জানুয়ারি অর্থাৎ বুধবার সেই নির্দেশ খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, এই মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যায় পর্ষদ (Primary TET)। ওই মামলার শুনানিতে দুই বিচারপতির বেঞ্চ এদিন একক বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ করে দিল। তবে একক বেঞ্চ মামলার পরবর্তী অংশের শুনানি চালিয়ে যেতে পারবে বলে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

    ২০১৬ সালে প্রাথমিকের নিয়োগ ঘিরে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে

    ২০১৪ সালের নিয়োগে ৪২ হাজারেরও বেশি প্রার্থী শিক্ষক পদে চাকরি পেয়েছিলেন ২০১৬ সালে। কিন্তু, সেই নিয়োগ নিয়ে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে পরবর্তীকালে। এ নিয়ে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনও শুরু করেন। জল গড়ায় হাইকোর্টে। মামলা ওঠে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতারও হন পর্ষদের (Primary TET) প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। মামলার শেষ শুনানিতে মোট ৪২ হাজার ৯৪৯ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল ১০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে বলেন তিনি। তবে এদিন তাঁর নির্দেশ খারিজ হল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালিকাণ্ডে হাইকোর্টে মামলা ইডির, বয়ান রেকর্ডে সিজিওতে বসিরহাট পুলিশ

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালিকাণ্ডে হাইকোর্টে মামলা ইডির, বয়ান রেকর্ডে সিজিওতে বসিরহাট পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) তাদের উপরে হামলার ঘটনায় এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, রেশন দুর্নীতি মামলায় তল্লাশি করতে গিয়ে তাদের আধিকারিকদের উপর হামলা করা হয়েছে। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত ইডিকে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। আগামী কাল বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে বুধবারই ইডির দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছল বসিরহাটের পুলিশ। এদিনই ইডি অফিসারদের বয়ান রেকর্ড করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    হাইকোর্টে ইডি

    বুধবার হাইকোর্টে ইডি-র অভিযোগ, ‘রেশন দুর্নীতির মামলায় তল্লাশি করতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন অফিসাররা। উলটে আমাদের অফিসারদের বিরুদ্ধেই পুলিশ এফআইআর করেছে বলে শুনতে পাচ্ছি। সব সংবাদমাধ্যমে এটা প্রচার হচ্ছে। আমরা বসিরহাট কোর্টেও খোঁজ নিয়েছি। কিন্তু সেখানেও এমন কোনও এফআইআর কপি যায়নি। ওয়েবসাইটে আপলোডও করা হয়নি। উলটে পুলিশ প্রতিদিন আমাদের অফিসে গিয়ে খোঁজ করছে, কোন কোন অফিসার সেদিন সেখানে গিয়েছিলেন। আমাদের আশঙ্কা হেনস্থা করার জন্য তাঁদের নামেও নতুন অভিযোগ দায়ের করবে।’ এদিন ইডির আবেদন শোনার পর মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। আগামী কাল বৃহস্পতিবারই মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

    তৎপর কেন্দ্র

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) ঘটনায় তৎপর হয়েছে কেন্দ্রও। রাজ্যে এসে দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইডির ডিরেক্টর রাহুল নবীন। সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে দফায় দফায় বৈঠক করেন ইডির ডিরেক্টর। কথা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্তাদের সঙ্গে। সূত্রের খবর, বৈঠকে ছিলেন সিআরপিএফ, এনআইএ, এসএসবি, সিআইএসএফ ও আইটি-র কর্তার। সেখানে দফতরের আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয় বলে সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: এবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ! পড়ুয়াকে লাগাতার হেনস্থার অভিযোগে তোলপাড়

    সিজিও কমপ্লেক্সে পুলিশ

    অন্যদিকে সন্দেশখালির ঘটনায় (Sandeshkhali Incident) তল্লাশি অভিযানে যাওয়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের বয়ান রেকর্ড করতেই বসিরহাটের ডিএসপি-র নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সিজিওতে পৌঁছেছে বলে সূত্রের খবর। সঙ্গে রয়েছে পুলিশের ক্যামেরাম্যানও। বুধবার ১২টা নাগাদ বসিরহাট পুলিশ সিজিও কমপ্লেক্সে যায়। তবে ইডির ডেপুটি ডিরেক্টর বয়ান রেকর্ডের জন্য উপস্থিত না থাকার কারণে কিছুক্ষণ পরে পুলিশ সিজিও কমপ্লেক্স ছেড়ে বেড়িয়ে যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: চাপ বাড়ল কাকুর, ‘‘কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলবে’’, নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    Kalighater Kaku: চাপ বাড়ল কাকুর, ‘‘কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলবে’’, নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একক বেঞ্চের পরে ডিভিশন বেঞ্চেও জোর ধাক্কা খেলেন ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighater kaku)। তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ বিষয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশই কার্যকর হবে, একথা সাফ জানালেন বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবারই ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনার পরবর্তী প্রক্রিয়ার উপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।

    ইডির তদন্তে বাধা দেওয়ার অভিযোগ রাজ্যের বিরুদ্ধে

    নিয়োগ মামলায় ধৃত সুজয়কৃষ্ণের (Kalighater Kaku) কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। এনিয়ে বুধবারই হাইকোর্টে ইডির আইনজীবী তাঁর সওয়ালে বলেন, ‘‘আমরা তদন্ত শেষ করব কীভাবে? গোটা রাজ্য আমাদের বিরুদ্ধে। প্রতি পদে তদন্তে বাধা দেওয়া হচ্ছে।’’ ইডির আইনজীবীর কথায় উঠে আসে সন্দেশখালির ঘটনাও। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের তদন্তকারী আধিকারিকদের মারধর করা হচ্ছে। এফআইআর করা হচ্ছে।’’ এর পর ইডির আইনজীবী বলেন, কী ভুল রয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার ওই নির্দেশে? তিনি তো নির্দেশে লিখেছেন যে, কণ্ঠস্বরের নমুনা বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ ছাড়া বিচার প্রক্রিয়ায় প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না।

    কী বললেন বিচারপতি সৌমেন সেন

    যদিও কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku) কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন এদিন তুলতে দেখা গিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চকে। বিচারপতি সেনের মন্তব্য, ‘‘আইন অনুযায়ী প্রত্যেক অভিযুক্তের কিছু অধিকার থাকে। আইন অনুযায়ী তিনি এই নমুনা দিতে অস্বীকার করতে পারেন। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি অমৃতা সিংহ সঠিক কাজ করেননি। বিচারপতির তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে যখন এই একই বিষয়বস্তু নিয়ে মামলা বিচারাধীন তখন বিচারপতি অমৃতা সিংহের এই নির্দেশ সঠিক নয়। এটা বিচারবিভাগীয় পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে এবং বিচারবিভাগীয় আচরণবিধির ক্ষেত্রে সঠিক উদাহরণ নয়। এটা মারাত্মক প্রবণতা।’’ প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহের বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই মামলার শুনানি চলে। এরপরেই সুজয়কৃষ্ণকে (Kalighater Kaku) সঙ্গে নিয়ে রাতে অ্যাম্বুল্যান্সে করে এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছন ইডির আধিকারিকরা। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে চলে কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: তিন বিজেপি কর্মীকে খুনের পুরনো মামলায় শাহজাহানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: তিন বিজেপি কর্মীকে খুনের পুরনো মামলায় শাহজাহানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারির তদন্তে সন্দেশখালিতে গিয়ে প্রহৃত হয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। অভিযোগ, তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের অনুগামীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হন ইডির আধিকারিকরা। ঘটনার পর পরই গা ঢাকা দেন তৃণমূল নেতা।

    আদালতে শুভেন্দু 

    শাহজাহানের বিরুদ্ধে তিন বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগও রয়েছে। এই ঘটনায় এবার সিবিআই কিংবা এনআইএ তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু বলেন, “ওরা চাপে আছে। ওরা আদালতে শাহজাহানকে আত্মসমর্পণ করাতে চায়। বরিশালের সঙ্গে যোগ আছে। বাংলাদেশে পাচারে যুক্ত শাহজাহান।” বাংলাদেশের বন্ধু সরকার শাহজাহানকে ধরতে পারবে বলেও আশা প্রকাশ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    এনআইএ দাবি

    তিন বিজেপি কর্মী খুনে শাহজাহান যে জড়িত, তা আগেই জানিয়েছিলেন মেদিনীপুরের সাংসদ বিজেপির দিলীপ ঘোষ। সোমবার শুভেন্দুও বলেন, “কেবল রেশন কেলেঙ্কারি নয়, তিনজনের দেহ লোপাটেও অভিযুক্ত শাহজাহান। তিনটি পরিবার বিচার পায়নি, পুলিশ মামলা থেকে শাহজাহানকে নিষ্কৃতি দিয়েছে। সন্দেশখালির দুই মহিলা আমার কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন। ওই দুই পরিবারের ন’জনকে আমি নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করেছি।” বিজেপি কর্মী খুনে মূল অভিযুক্ত শাহজাহান। তার পরেও পুলিশ তাঁর টিকি না ছোঁওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পুলিশের চার্জশিট চ্যালেঞ্জ করে সিবিআই বা এনআইএ তদন্ত দাবি করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    আরও পড়ুুন: শিক্ষা দুর্নীতির চারটি মামলাতেই নাম জড়াল পার্থের! চূড়ান্ত চার্জশিট দিল সিবিআই

    ২০১৯ সালের ৬ জুন সন্দেশখালিতেই খুন হন বিজেপির তিন কর্মী। তাঁদের প্রত্যেকের দেহ লোপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ পদ্ম শিবিরের। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “নিরাপত্তা নেই। তাই বাংলায় নির্বাচনকে ঘিরে এত হিংসা।” তিনি বলেন, “সিপিএম শুরু করেছিল। বৃত্ত সম্পূর্ণ করেছে তৃণমূল। গতকাল (রবিবার) ব্রিগেডে শাহজাহান শেখকে নিয়ে একটাও কথা নেই কেন?” জায়ান্ট কিলার (গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে হারানোর পর রাজনৈতিক মহলে এই নামেই পরিচিত শুভেন্দু) (Suvendu Adhikari) বলেন, “তিনজনের দেহ লোপাট করেও স্থানীয় থানার পুলিশের সহযোগিতায় রেহাই পেয়ে গিয়েছিলেন শাহজাহান। ওই মামলা রি-ওপেন করে সিবিআই কিংবা এনআইএ তদন্তের দাবিতে হাইকোর্ট আর্জি জানিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: পঞ্চায়েত ভোটে আদালত অবমাননা, নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন রাজীব সিনহা

    Panchayat Vote: পঞ্চায়েত ভোটে আদালত অবমাননা, নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন রাজীব সিনহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) আদালত অবমাননার মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। এদিনই আদালত অবমাননার মামলাটির শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে। হলফনামা দিয়ে এই মামলায় নিজের বক্তব্য আদালতকে জানিয়েছেন রাজীব সিনহা, সেই সঙ্গে নিঃশর্ত ক্ষমাও চেয়েছেন। প্রসঙ্গত গত বছরের জুন মাসের ৮ তারিখে বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই একতরফাভাবে পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা করার অভিযোগ ওঠে রাজীবের বিরুদ্ধে। এর পাশাপাশি মনোনয়ন পর্বকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে রাজ্যের প্রতিটি ব্লক অফিস (Panchayat Vote)। এই পরিপ্রেক্ষিতে আদালত কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর কথা বলে, কিন্তু হাইকোর্টের সেই নির্দেশও যথাযথ পালন না করায় ফের অভিযোগ ওঠে রাজীবের বিরুদ্ধে। তখনই আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়। সেই মামলাতেই এদিন ক্ষমা চাইলেন রাজীব।

    হলফনামায় কী বললেন রাজীব? 

    হলফনামায় রাজীবের বক্তব্য, অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনও ভুল হয়ে থাকতে পারে। তার জন্য আদালতের কাছে তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। হাইকোর্টে এদিন রাজীবের হলফনামা গ্রহণের আগে প্রধান বিচারপতি মস্করা করেই বলেন, ‘‘হলফনামায় কী দিয়েছেন? কোনও ভাবে আদালত অবমাননা হয়নি? সব কিছু ঠিকঠাক করা হয়েছিল, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছেন— হলফনামায় এ সবই লিখেছেন তো? দেখি কী রয়েছে?’’ আইনজীবী উত্তরে জানিয়েছেন, কোনও ভুল হয়ে থাকলে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই মামলায় (Panchayat Vote) অন্য পক্ষ রাজীবের হলফনামার প্রেক্ষিতে পাল্টা হলফনামা দিতে চায়। তার জন্য তিন সপ্তাহ সময় দিয়েছে আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি।

    গত ১৩ অক্টোবর আদালত অবমাননার রুল জারি করে আদালত

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ অক্টোবর রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করে হাইকোর্ট। রাজীব ক্ষমা চাওয়াতে কার্যত তা বিরোধীদের কাছে নৈতিক জয় বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) সরাসরি তৃণমূলকে সুবিধা পাইয়ে দিতে চেষ্টার কোনও কসুর করেননি রাজীব। রাজ্যে পঞ্চাশেরও বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটে পঞ্চায়েত ভোটকে ঘিরে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার তখনও নির্বিকার ছিলেন বলে দাবি বিরোধী দলগুলির। অবশেষে আজকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘‘সরকারি স্কুলে পড়াশোনা ঠিকভাবে হচ্ছে না, ছিঃ..’’, মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Calcutta High Court: ‘‘সরকারি স্কুলে পড়াশোনা ঠিকভাবে হচ্ছে না, ছিঃ..’’, মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি স্কুলে পড়াশোনার মান যে খুবই খারাপ জায়গায় পৌঁছেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা অভিযোগ আগেই শোনা গিয়েছে। এবার এ নিয়ে সরব হলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। একটি মামলার শুনানি ছিল সোমবার। সেই সময়ই বিচারপতি মন্তব্য করেন, “কী হচ্ছে এ রাজ্যে? আমাকে আর কিছু বলতে বাধ্য করবেন না। ভগবান বৃদ্ধ হয়েছেন, গোলযোগ সইতে পারেন না।” বিচারপতির আরও সংযোজন, “সরকারি স্কুলে পড়াশোনা ঠিকভাবে হচ্ছে না। ছিঃ…! আগে ‘জিন্দাবাদ’, ‘জিন্দাবাদ’ করত, এখন অন্য কিছু করে।”

    মামলার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ

    অবসরকালীন কোনও সুযোগসুবিধা পাচ্ছেন না, সম্প্রতি এই অভিযোগে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার গোসাবার ছোটমোল্লাখালি (পূর্ব) প্রাথমিক স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক কানাই চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, ২০০৮ সালে স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েই তিনি তিন মাসের ছুটি নিয়েছিলেন। কিন্তু ছুটি শেষ হওয়ার পর তাঁকে কাজে যোগ দিতে দেওয়া হয়নি। ২০১৪ সালে তিনি অবসরগ্রহণ করেন। কিন্তু তখন থেকেই তাঁকে অবসরকালীন সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছে স্কুল।

    রাজ্যে সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে

    প্রসঙ্গত, গত শুক্রবারই সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের হামলার মুখে পড়তে হয়। তখনই এ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেদিন এক আইনজীবী বিচারপতির (Calcutta High Court) দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এই বিষয়ে। পুরো ঘটনা তিনি (আইনজীবী) বিচারপতির সামনে বর্ণনা করেন। সব শুনে সন্দেশখালির ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা জানতে চান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “পুলিশ কী করছিল, পুলিশ কি ঘটনাস্থলে যায়নি?” তার পরে তিনি বলেন, “রাজ্যপাল কেন ঘোষণা করছেন না, রাজ্যে সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে?” এই বিষয়ে বিচারপতির সংযোজন, “তদন্তকারী সংস্থা আক্রান্ত হলে কীভাবে তদন্ত হবে?”

    আরও পড়ুন: “গোয়া নয়, মানুষজন ঘুরতে আসছেন অযোধ্যায়”, উচ্ছ্বসিত রামনগরীর হোটেল ব্যবসায়ী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED in Sandeshkhali: সন্দেশখালি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের বিজেপির, শুনানি বৃহস্পতিবার

    ED in Sandeshkhali: সন্দেশখালি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের বিজেপির, শুনানি বৃহস্পতিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি এবং বনগাঁয় ইডি (ED attacked in Sandeshkhali) আধিকারিকদের উপর আক্রমণের ঘটনায় হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করল বিজেপি। সোমবার এই বিষয়ে বিজেপির তরফে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। এনআইএ তদন্ত ও তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের গ্রেফতার চেয়ে আবেদন করা হয় জনস্বার্থ মামলায়। আগামী বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি। 

    জনস্বার্থ মামলা দায়ের

    প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সন্দেশখালিতে তদন্তের কাজে গিয়ে ইডি আধিকারিকদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্য। এখনও খোঁজ নেই শেখ শাহজাহানের। অন্যদিকে বনগাঁতে পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করতে গিয়েও হামলার মুখে পড়েন ইডি আধিকারিকরা। এবার সেই দুই ঘটনার প্রেক্ষিতে জনস্বার্থ মামলা দায়েরের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করার করার অনুমতি চায় বিজেপি। আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত দ্রুত শুনানি চেয়ে আবেদন করেন। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী মোদির অপমানে ক্ষুব্ধ অক্ষয়-সলমনরা, দেশের দ্বীপগুলিতে যাওয়ার আর্জি সচিনের

    দ্রুত শুনানির আর্জি

    বিজেপি শুক্রবারই এই ঘটনার সমালোচনা করেছিল। রবিবার দুপুরে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দলের তরফে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি তুলে দেন রাজ্যপালের হাতে। চিঠির বিষয়বস্তু হিসাবে বিজেপি লেখে, “রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে উদ্বেগ।” ভিতরে সে দিনের ঘটনার বিবরণ দিয়ে বিজেপি লেখে, ‘‘রাজ্যপালের কাছে অনুরোধ, তিনি যেন পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেন এবং এমন ব্যবস্থা নেন, যাতে তা বাস্তবে কাজে লাগে।’’ এদিকে ঘটনার পর থেকে ৩ দিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত শেখ শাহজাহানের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। উল্টে ঘটনায় ইডির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Gangopadhyay: হামলাকারীরা ভারতের নাগরিক তো? সন্দেশখালির ঘটনায় প্রশ্ন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Abhijit Gangopadhyay: হামলাকারীরা ভারতের নাগরিক তো? সন্দেশখালির ঘটনায় প্রশ্ন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে আক্রান্ত ইডি আধিকারিকদের দেখতে হাসপাতালে গেলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই  ঘটনাকে ‘অনভিপ্রেত’ এবং ‘লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। রাজ্যের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আক্ষেপ করতে দেখা যায় বিচারপতিকে। রীতিমতো উদ্বেগের সুরে তিনি বলেন, এই রাজ্যে সাংবিধানিক অবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। তাঁর প্রশ্ন, “যাদের লেলিয়ে দেওয়া হল মারার জন্য, তারা ভারতবর্ষের নাগরিক তো? নৌকা করে আসেনি তো?”

    পরিকল্পনা করে আক্রমণ

    রেশন ‘দুর্নীতি’ কাণ্ডে তৃণমূল নেতা শাহাজাহান শেখের বাড়িতে অভিযান চালানোর সময় আক্রান্ত হয় ইডি আধিকারিকরা। এদিন হাসপাতালে গিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, দুই ইডি আধিকারিকের চোট গুরুতর। মানবিকতার খাতিরে তাঁদের দেখতে হাসপাতালে এসেছেন। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে চিন্তিত বিচারপতি বলেন, “পুলিশের উপর আমরা ভরসা আছে। কিন্তু পুলিশ পরিচালনার উপর ভরসা নেই। পুলিশকে একেবারে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হচ্ছে। পুলিশকে হাত খুলে কাজ করতে দিলে, দুর্বৃত্তদের সহজেই উড়িয়ে দেওয়া যাবে।”

    তদন্তে সহযোগিতার আর্জি

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “গুরুতর আহত। দুজনের মাথায় ভয়ঙ্কর চোট। একজন আইসিইউতে। দুজন জেনারেল বেডে। পরিকল্পনা করে মেরেছে। আমি এসেছি, আমার কোর্ট থেকেই আদেশ দেওয়া হয়। যদি কেউ মনে করে দুর্নীতি হয়নি, তার উচিত সহযোগিতা করা। উচিত এজেন্সিকে সাহায্য করা। কোর্টে কোর্টে না দৌড়ে। অফিসারদের উপর টেররাইজ করে দুর্নীতি আটকানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।” 

    আরও পড়ুন: ইডির উপর হামলায় যুক্ত কারা? ছবি দেখিয়ে তিন জনকে ‘শনাক্ত’ করলেন শুভেন্দু

    সন্দেশখালিকাণ্ডে বিচারপতি তৃণমূল নেতাকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘বাড়িতে শাহজাহানকে পাওয়া যায়নি। তিনি এতই সাহসী যে, বাড়িতে থাকতে পারেননি। ইডির ভয়ে দৌড়ে চলে গিয়েছিলেন। কঠোর ব্যবস্থা তো নেওয়া উচিত বটেই।’’ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও জানান, তিনি চান যে, তৃণমূল নেতার বাড়িতে গিয়ে ইডি আধিকারিকরা আক্রান্ত হয়েছেন, সেই শাহাজাহান যেন শুক্রবার রাত ১২টার মধ্যে ইডি অফিসে হাজিরা দেন। এর পর সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের উপর আক্রমণের ঘটনা নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘আমার একটা স্পেসিফিক প্রশ্ন আছে। যাঁদেরকে মারার জন্য লেলিয়ে দেওয়া হল, তাঁরা ভারতবর্ষের নাগরিক তো? তাঁরা অন্য কোনও জায়গা থেকে নৌকো করে এখানে ঢোকেননি তো? যদি উপযুক্ত তদন্ত হয়, তাহলে কারা কাকে আশ্রয় দিচ্ছে, সেটা জানা যাবে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share