Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Suvendu Adhikari: নেতাই গণহত্যার দিন সভা করতে চেয়ে হাইকোর্টে গেলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: নেতাই গণহত্যার দিন সভা করতে চেয়ে হাইকোর্টে গেলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৭ জানুয়ারি নেতাই গণহত্যার দিন। তাই এই দিনে নিহতদের স্মরণে একটি অনুষ্ঠাসভায় যোগদিতে চেয়েছেন রাজ্যের বিধানসভার বিরোধীদল নেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কিন্তু পুলিশ এলাকায় অনুষ্ঠান করতে অনুমতি দিচ্ছে না বলে বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। এরপর শুভেন্দু হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। মামলার শুনানি ৪ জানুয়ারি।

    আদালতে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    ৭ জানুয়ারি নেতাইগ্রামে তৎকালীন বাম আমলে সিপিএমের দুষ্কৃতীরা গুলি করে হত্যাকাণ্ড চালিয়ে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে গতবছরও সভা করার জন্য পুলিশি বাঁধার সম্মুখীন হয়েছিলেন শুভেন্দু। এমনকী আদলাতের অনুমতি নিয়ে সভা করতে গেলেও পুলিশ তাঁকে (Suvendu Adhikari) শারীরিক হেনস্থা করে বলে অভিযোগ উঠেছিল। তাই এবছরে যেন ফের এইরকম সমস্যার মধ্যে না পড়তে হয়, তাই আগে থেকেই হাইকোর্টে আবেদন করে রেখেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বেঞ্চে এই সভার জন্য অনুমোদন আবেদন করেছেন। অবশ্য বিচারপতি আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন ।

    গণহত্যা হয়েছিল নেতাই গ্রামে

    সময় টা তখন বামআমলের শেষের দিকে সময়। ২০১১ সালে ৭ জানুয়ারি লালগড় ব্লকের নেতাইগ্রামের সিপিআইএমের নেতা রথীন দন্ডপাটের একেবারে বাড়ি থেকে সাধারণ গ্রামবাসীদের উপর গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনায় আহত হয়েছিলেন মোট ২৮ জন। তাঁদের মধ্যে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল। ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সিপিএম নেতাদের নাম হল- অনুজ পাণ্ডে, ডালিম পাণ্ডে, ফুল্লরা মণ্ডল, চণ্ডী করণ প্রমুখ। ঘটনায় রাজ্যজুড়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। তবে ২০২২ সালে অভিযুক্ত সিপিএম নেতা ফুল্লরা মণ্ডল মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পান। এই অভিযুক্ত ফুল্লরা ঘটনায় জখমদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাঁধা দিয়েছিল। প্রথমে মামলা সিআইডি শুরু করলেও পরে ২০১৩ সালে হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরু করে। ২০১৪ সালে মোট ২০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট আদলাতে জমা করে সিবিআই। এবার তাই নেতাইগ্রামে সভা করবেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High court: বাড়িতে সারাক্ষণ কাজ করলে গৃহবধূরাও বেতন পাওয়ার যোগ্য! মত হাইকোর্টের

    Calcutta High court: বাড়িতে সারাক্ষণ কাজ করলে গৃহবধূরাও বেতন পাওয়ার যোগ্য! মত হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরের কাজ করেই কেটে যাচ্ছে দিন রাত। তবু শুনতে হয় ‘ঘরেই তো বসে থাক! কোনও কাজ তো নেই…’। এমন কথা প্রায়শই অনেকে বলে থাকেন। কিন্তু আইন বলছে অন্য কথা। আইনের চোখে গৃহবধূর শ্রম পারিশ্রমিকের যোগ্য। বৃহস্পতিবার একটি মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High court) বলল, গৃহবধূদের বেকার বলা যাবে না। তাঁরাও স্বোপার্জনকারী। সংসারে তাঁরা দিবারাত্রি যে কাজ করেন, তার মূল্য রয়েছে।

    কী বলল আদালত

    ৫ বছরের পুরনো একটি ঘটনা নিয়ে মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। বৃহস্পতিবার সেই মামলা উঠেছিল বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের বেঞ্চে। মামলার রায় দেওয়ার সময় বিচারপতি বলেন, ‘‘কে বলেছে, গৃহবধূরা বেকার? সংসারে গৃহবধূদের অবদান অনেক বড়। তাঁরা কোনও ছুটি না নিয়ে ৩৬৫ দিন সংসারের যাবতীয় কাজ করেন। একই কাজ অন্য কাউকে দিয়ে করালে যে খরচ হত, তা ব্যয় করতে হয় না ওঁদের দৌলতেই। তাই সংসারে ওঁদের কাজের আর্থিক মূল্যও রয়েছে। আর সেই জন্যই গৃহবধূদের বেকার বলা যাবে না। তাঁদেরকেও উপার্জনকারী হিসাবেই দেখতে হবে।’’  এক্ষেত্রে হাইকোর্ট (Calcutta High court) মনে করে দিয়েছে ২০০৮ সালে দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ের কথা। সর্বোচ্চ আদালত ব্যাখা করেছিল, যাঁরা বাড়িতে থাকেন তাঁদের বেকার বলে গণ্য করলে হবে না। প্রত্যেকদিন ১০০ টাকা করে ধার্য্য করতে হবে।

    আরও পড়ুন: ইডির চার্জশিটে প্রিয়ঙ্কার নাম! আর্থিক তছরুপ মামলায় চাপে কংগ্রেস নেত্রী

    কোন প্রসঙ্গে এই মত

    প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন বর্ধমানের বাসিন্দা লুফতা বেগম। পরে মৃত্যু হয় তাঁর। ছেলে মীর শামিম আদালতের দ্বারস্থ হন। তাঁর অভিযোগ ছিল, মোটর অ্যাক্সিডেন্ট ক্লেম ট্রাইব্যুনাল থেকে ক্ষতিপূরণের যথেষ্ট অর্থ তাঁরা পাচ্ছেন না। সংশ্লিষ্ট বিমা সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করেন মৃতের ছেলে। কারণ যে গাড়িটির দ্বারা দুর্ঘটনা ঘটেছিল সেই গাড়িটির বিমা করা ছিল। এই মামলারই শুনানিতে বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তা ২০০৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায়ের উল্লেখ করেন। সেখানে তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, যাঁরা গৃহবধূ তাঁদের বেকার ভাবলে চলবে না। তাঁদের শ্রমের মূল্য তা গণ্য করতে হবে। এরপর হাইকোর্টে (Calcutta High court) ওই বিমা সংস্থাকে ৪ লক্ষ ৫১ হাজার ৭০০ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। মামলার শুনানিতে বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তার একক বেঞ্চ স্পষ্ট জানায়, ওই মহিলার ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রাপ্য টাকা অবিলম্বে তাঁকে দিতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টের কড়া অবস্থানের পরেই সিবিআইকে বাড়ি-গাড়ির সুবিধা রাজ্যের

    Calcutta High Court: হাইকোর্টের কড়া অবস্থানের পরেই সিবিআইকে বাড়ি-গাড়ির সুবিধা রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের একাধিক নিয়োগ দুর্নীতি এবং সমবায়ের বিরুদ্ধে সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিভিন্ন ইস্যুতে দুর্নীতির তদন্তে নেমে মামলার চাপ সামলাতে কার্যত হিমসিম খাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দিন দুয়েক আগে আলিপুরদুয়ারের সমবায়ে আর্থিক দুর্নীতির বিষয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গে রোজ গিয়ে তদন্ত করা অফিসারদের পক্ষে সম্ভব নয়। আর তাই তদন্তের জন্য একটি অফিস দরকার। শুক্রবার, রাজ্য সরকার বিচারপতিকে জানিয়েছে, সিবিআইকে সবরকম সুবিধার ব্যবস্থা করবে। বিচারপতির নির্দেশ অনুসারেই মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী  স্থানীয় প্রশাসনকে কাজ করার কথা বলবেন বলে জানা গিয়েছে।

    বিচারপতি কী বলেছিলেন (Calcutta High Court)?

    হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মামলার শুনানিতে বলেছিলেন, “সিবিআইকে সাহায্য করতে ১০ জন পুলিশকর্মী সহযোগিতা করবে। প্রয়োজনে উত্তরবঙ্গে যাতায়াত করার জন্য গাড়ি এবং অফিসারদের থাকা ও একটি স্থায়ী অফিসের জন্য বাড়ি দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে। এই কাজ করবে রাজ্য।” গত ৩ এবং ৭ নভেম্বর রাজ্যের মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিলেও তার বাস্তবায়িত হয়নি। তার পর গত সোমবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কড়া অবস্থান নিয়ে মুখ্যসচিবের কাছে জানাতে চান, আদালতের নির্দেশ নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোনও পদক্ষেপ তিনি গ্রহণ করবেন কি না? মাঝে দু’দিন বিচারপতি অনুপস্থিত ছিলেন। এরপরে আবার গতকাল মামলা কোর্টে উঠলে বিচারপতিকে মুখ্যসচিব জানান আদলাতের নির্দেশ পালন করবে রাজ্য সরকার। মুখ্যসচিব এদিন আদালতে (Calcutta High Court) জানিয়েছেন যে, সিবিআই মোট ১০ জন পুলিশ কর্মী চেয়েছিল। ইতিমধ্যে রাজ্য থেকে ৮ জন পুলিশকর্মীকে ডেপুটেশনে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে একটি গাড়ি এবং ২ মাসের জন্য একটি অস্থায়ী অফিসের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। সবটাই দ্রুত দিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান মুখ্যসচিব।

    শহরে সিবিআই অতিরিক্ত নির্দেশক

    এদিকে, রাজ্যে কয়লা থেকে শুরু করে গরু, শিক্ষক নিয়োগ, সমবায়, পুরসভা, রেশন দুর্নীতি সহ আরও একাধিক বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। তদন্তের গতিপ্রকৃতি জানতে বৃহস্পতিবার কলকাতায় আসেন সিবিআইয়ের অতিরিক্ত নির্দেশক মনোজ শশিধর। শুক্রবার উচ্চপদস্থ অফিসারদের নিয়ে দফায় দফায় নিজাম প্যালেসে বৈঠক করেন তদন্তের গতি-প্রকৃতি নিয়ে। এরপর সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সেও বৈঠক করেন। সেই সঙ্গে তদন্তের জন্য কী কী সুযোগ-সুবিধা লাগবে তা নিয়েও দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয় এইদিন। রাজ্যে তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে তদন্তের বিষয়ে একটা খসড়া রিপোর্ট তিনি দিল্লির অফিসে দেবেন বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: সাড়ে ৮ হাজার পদে নিয়োগে কেলেঙ্কারি, হাইকোর্টে কবুল এসএসসির

    Recruitment Scam: সাড়ে ৮ হাজার পদে নিয়োগে কেলেঙ্কারি, হাইকোর্টে কবুল এসএসসির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরীক্ষা হয়েছে তিনটি। আর কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) হয়েছে সাড়ে ৮ হাজার পদে। অর্থাৎ শিক্ষক সহ এই সাড়ে ৮ হাজার প্রার্থী মোটা টাকা দিয়ে চাকরি ‘কিনেছেন’। যাঁরা মানুষ গড়ার কারিগর, স্কুলে যাঁরা নৈতিকতার পাঠ দিচ্ছেন ছাত্রছাত্রীদের, তাঁদের অনেকেই চাকরি পেয়েছেন অনৈতিকভাবে।

    দুর্নীতি কবুল 

    তিন পরীক্ষার নিয়োগে যে সাড়ে আট হাজার পদে দুর্নীতি হয়েছে, শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে এ কথা জানাল এসএসসি। শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি (Recruitment Scam) হয়েছে বলে অভিযোগ চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের। তাঁদের অভিযোগ, কারচুপি হয়েছে ওএমআর শিটেও। রাজ্যের স্কুলগুলিতে যে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগে ব্যাপক কেলেঙ্কারি হয়েছে, সে দাবি করেছে সিবিআইও। চাকরি প্রার্থী ও সিবিআইয়ের সেই দাবি যে নিছক গালগল্প নয়, এদিন এসএসসির হলফনামায়ই তা স্পষ্ট।

    কীভাবে চাকরি

    কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চে হলফনামা দিয়ে এসএসসি জানিয়েছে, নবম-দশমের তালিকায় ওপরে থাকাদের টপকে নিয়োগ হয়েছে ১৮৩ জনের। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই বরখাস্ত করা হয়েছে ১২২ জনকে। একাদশ-দ্বাদশে নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে ৩৯টি পদে। ৯৫২ জনের ওএমআর শিটে কারচুপির ঘটনাও চিহ্নিত করেছে এসএসসি। এর মধ্যে সুপারিশ করা হয়েছিল ৮২৩ জনের নাম। একাদশ-দ্বাদশে ওএমআর শিটে কারচুপির ঘটনা চিহ্নিত হয়েছে ৯০৭ জনের। এর মধ্যে সুপারিশ করা হয়েছিল ৭৭১ জন প্রার্থীর নাম।

    আরও পড়ুুন: ঝাড়খণ্ডে রেললাইন উড়িয়ে দিল মাওবাদীরা, ব্যাহত ট্রেন চলাচল

    জালিয়াতি হয়েছে গ্রুপ সি নিয়োগেও। অভিযোগ উঠেছে অনৈতিকভাবে চাকরি পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৮০জন। এর মধ্যে এসএসসি সুপারিশপত্র দিয়েছে ৭৮৩জনকে। গ্রুপ ডিতে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে ২ হাজার ৮২৩ জনের ওএমআর শিটে। সুপারিশপত্র ছাড়াই চাকরি হয়েছে বলেও হলফনামায় কবুল করেছে এসএসসি। স্কুল সার্ভিস কমিশনের দাবি, গ্রুপ সিতে সুপারিশপত্র ছাড়াই চাকরি পেয়েছেন ৫৭ জন। গ্রুপ ডিতে এভাবে চাকরি পেয়েছেন ১৭০ জন। সব মিলিয়েই চাকরি ‘বিক্রি’ হয়েছে (Recruitment Scam) সাড়ে আট হাজার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Justice Amrita Sinha: ‘তদন্তের নামে বয়ান লিখতে চাপ দিচ্ছে সিআইডি’, বিস্ফোরক বিচারপতির স্বামী

    Justice Amrita Sinha: ‘তদন্তের নামে বয়ান লিখতে চাপ দিচ্ছে সিআইডি’, বিস্ফোরক বিচারপতির স্বামী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিআইডি তদন্তের নামে হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) স্বামীর ওপর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাইপো মিলে পরোক্ষ প্রভাব ফেলতে চেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামী চিঠি লিখে অভিযোগ করলেন, ‘তদন্তের নামে বয়ান লিখতে চাপ দিচ্ছে সিআইডি’। এতেই রাজ্যের বিচার বিভাগে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

    উল্লেখ্য, এই বিচারপতির বেঞ্চে এসএসসি দুর্নীতি মামলা, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির হিসেব, লিপস এন্ড বাউন্ডস সহ বেশ কিছু পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসার মামলা রয়েছে। সবটা মিলিয়ে বিচার এবং বিচারপতিকে পরোক্ষ ভাবে চাপে রাখা হচ্ছে না তো! ঠিক এমনটাই মনে করছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা।

    বিচারপতির স্বামী কী বলেছেন চিঠিতে (Justice Amrita Sinha)?

    কলকাতার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশেনকে লেখা চিঠিতে প্রতাপ চন্দ্র অভিযোগ করেন, “যে মামলায় তাঁকে সাক্ষী হিসাবে ডাকা হয়েছে সেই বিষয়ে প্রশ্ন করার পরিবর্তে বিচারপতি সিনহার বিষয়ে নানান তথ্য জানান চেষ্টা করছে সিআইডি অফিসারেরা, যাতে তাঁর স্ত্রীর (Justice Amrita Sinha) বিরুদ্ধে সাজানো কথা বলতে হয়, তার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে নানা কুকথা বলে অভিযোগ করার কথা বলা হচ্ছে। এমনকি টাকা, বাড়ি গাড়ি দেওয়ার লোভ দেখানো হচ্ছে। টানা নয় ঘণ্টা ধরে মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে। সবটাই গভীর ষড়যন্ত্র।”

    কোন মামলায় বিচারপতির স্বামী অভিযুক্ত?

    সম্পত্তি-বিবাদ মামলায় প্রভাব খাটানোর অভিযোগে সিআইডি তদন্ত করছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) স্বামী আইনজীবী প্রতাপচন্দ্র দের বিরুদ্ধে। এই মামলায় এই নিয়ে তৃতীয়বার তাঁকে তলব করা হয়েছে। জমা দিতে বলা হয়েছে মোবাইল। গত একমাসের মধ্যে ডিসেম্বরের ১, ১৬ এবং ২২ তারিখে ডাকা হয়েছে। অবশ্য আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য রাজনৈতিক প্রতি হিংসার কারণে বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে সিআইডি।

    সিআইডির দাবি

    সিআইডির এক কর্তা জানিয়েছেন, “তদন্ত হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। আদালত জানিয়েছে কেউ যেন তদন্তের বাইরে না থাকে। কিন্তু তদন্তে অসহযোগিতা করছেন ওই বিচারপতির (Justice Amrita Sinha) স্বামী আইনজীবী। আমরা পদ্ধতি মেনেই কাজ করছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sujaykrishna Bhadra: চার মাসেও ‘কাকু’র কণ্ঠস্বর পরীক্ষা হল না! এসএসকেএমের কাছে রিপোর্ট চাইল আদালত

    Sujaykrishna Bhadra: চার মাসেও ‘কাকু’র কণ্ঠস্বর পরীক্ষা হল না! এসএসকেএমের কাছে রিপোর্ট চাইল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও চার মাস হয়ে গেল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করা গেল না। এ প্রসঙ্গে রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। এদিন মামলার সওয়াল জবাবে ইডির আইনজীবীর কাছে বিচারপতি জানতে চান, “গত চার মাসে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট করা সম্ভব হয়নি?” এসএসকেএমের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ এনে ইডির আইনজীবী জানান, “তাঁরা নানাভাবে চেষ্টা করেও পারেননি। প্রতিবারই সুজয়কৃষ্ণের নানা ধরনের অসুস্থতার প্রসঙ্গ তুলে ধরেছে এসএসকেএম হাসপাতাল।”

    এসএসকেএম-এর রিপোর্ট মানতে নারাজ ইডি

    ইডির কথা শুনেই বিস্ময় প্রকাশ করে আদালত। এরপরই সুজয়কৃষ্ণের সমস্ত মেডিকেল রিপোর্ট এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে চেয়ে পাঠান বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।  তাঁর নির্দেশ, আগামী ৫ জানুয়ারির মধ্যে ‘কাকু’র রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে। রিপোর্ট দিতে হবে এসএসকেএম হাসপাতালের সুপারকে। যদিও ইডি জানিয়েছে, ওই রিপোর্টে তাদের ভরসা নেই। হাইকোর্ট জানায়, আগে রিপোর্ট পেয়ে তার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আদালতে ইডি মঙ্গলবার জানিয়েছে, ওই হাসপাতালের উপর কোনও বিশ্বাস নেই। এসএসকেএম হাসপাতালের সুপার তথা চিকিৎসক পীযূষকুমার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে অভিযোগও তুলেছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী ফিরোজ এডুলজির দাবি, পীযূষকুমার মেডিক্যাল রিপোর্টে কারচুপি করছেন।

    আরও পড়ুন: ষাটোর্ধ্বদের মাস্ক বাধ্যতামূলক! দেশে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘পিরোলা’, সতর্ক স্বাস্থ্য মন্ত্রক

    রিপোর্ট দেখে সিদ্ধান্ত নেবে হাইকোর্ট

    এদিন আদালতে ইডির আইনজীবী এসএসকেএমে সুজয়কৃষ্ণের চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন তোলেন। ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি এদিন আদালতে দাবি করেন, “এসএসকেএমের তরফে কাকুর অসুস্থতা নিয়ে যা বলা হচ্ছে তা ঠিক নয়। আমাদের কাছে বেশ কিছু ফুটেজ রয়েছে, যাতে দেখা যাচ্ছে হাসপাতালের কেবিনে বেশ আরামেই রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ।” ইডি জানায়, এসএসকেএমের রিপোর্টকে তারা বিশ্বাস করে না। ইএসআই হাসপাতালে তারা পাল্টা পরীক্ষা করাতে চায়। হাই কোর্ট বলে, ‘‘আগে এসএসকেএমের রিপোর্ট পাই। কী বলে দেখি। তার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাব।’’ এদিকে মানসিক চাপ থেকেই হৃদযন্ত্রে প্রভাব পড়ছে কিনা জানার জন্য সুজয়কৃষ্ণর ‘স্ট্রেস এমপিআই টেস্ট’ করাতে চাইছে এসএসকেএম। এ ব্যাপারে এসএসকেএম হাসপাতালের পাঠানো  চিঠির ভিত্তিতে তাঁদের কী করণীয় তা জানতে চেয়ে এদিন আদালতে আবেদন জানায় প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ। এসএসকেএমের রিপোর্ট পাওয়ার পরই এ ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আদালত সূত্রের খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Teacher Recruitment Case: নিয়োগ প্যানেল নিয়ে বিচারপতি সিনহার নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে প্রাথমিক পর্ষদ!

    Teacher Recruitment Case: নিয়োগ প্যানেল নিয়ে বিচারপতি সিনহার নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে প্রাথমিক পর্ষদ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশকে (Teacher Recruitment Case) চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গেল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ১২ ডিসেম্বর জেলা ভিত্তিক নিয়োগের প্যানেল আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে শুনানি হতে পারে এই মামলার।

    সিঙ্গল বেঞ্চের রায়

    ২০১৪ সালের পর রাজ্যে টেট পরীক্ষা হয় দু বার। একবার ২০১৬ সালে। আর দ্বিতীয়বার ২০২০ সালে। নিয়োগ হওয়ার কথা ছিল ৪২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক। এই দুই নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্যানেল প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। পর্ষদকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিল বিচারপতি সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই সময় পর্ষদ আদালতে জানিয়েছিল, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ইতিমধ্যেই একটি প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছে। তবে নিয়োগের রীতি মেনে ২০১৬ সালের প্যানেল প্রকাশের নিয়ম নেই।

    বিচারপতি সিনহার মন্তব্য

    যদিও আদলত চেয়েছিল দুটি নিয়োগ প্রক্রিয়ারই সম্পূর্ণ প্যানেল দেখাতে। বিচারপতি সিনহার মন্তব্য ছিল, “আমি প্রাথমিকের প্যানেল (Teacher Recruitment Case) দেখতে চাই। মেয়াদ শেষের আগে একটা প্যানেল প্রস্তুত হয়। সেটি দেখতে চাই। নিয়োগের প্যানেল খতিয়ে দেখার অধিকার রয়েছে আদালতের।” তাঁর পর্যবেক্ষণ ছিল, “নিয়োগের প্যানেল প্রকাশ না করে কি পর্ষদ কাউকে আড়াল করতে চাইছে? এই প্যানেল বাড়িতে গচ্ছিত রাখার সম্পত্তি নয়। প্যানেল প্রকাশ হলে অসুবিধা কোথায়?” বিচারপতি সিনহার সেই প্যানেল প্রকাশের নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

    আরও পড়ুুন: “ভিখারি হয়ে গিয়েছে রাজ্য, মোদির পা ধরতেই মমতা দিল্লিতে”, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    এই মামলায়ই বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন এমন ৯৪জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার কথা জানিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। পর্ষদের তরফে আদালতে জানানো হয়েছিল, যে দুটি প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছে, তা ঠিক নয়। প্যানেলের জন্য আরও সময় প্রয়োজন। তখনই বিচারপতি সিনহার মন্তব্য ছিল, “আর কতদিন অপেক্ষায় থাকবেন বঞ্চিতেরা? তাঁদের (Teacher Recruitment Case) কাছে প্রতিটি দিনের মূল্য রয়েছে। চাকরি প্রার্থীদের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: প্রাথমিকে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য, রায় কলকাতা হাইকোর্টের   

    Calcutta High Court: প্রাথমিকে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য, রায় কলকাতা হাইকোর্টের   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়দিনের আগেই বড় খবর! তবে এই খবর সুপবন বয়ে আনবে কেবল রাজ্যের পার্শ্বশিক্ষকদের জীবনে। রাজ্যের সরকারি ও সরকার পোষিত উচ্চ প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য। এমনই রায় দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। আদালতের এই রায়ের সঙ্গে সঙ্গেই আইনি জট কাটল প্রায় সাত বছর পরে।

    আদালতের রায়

    আদালতের এই রায়ে আদতে মান্যতা পেল রাজ্যের উচ্চ প্রাথমিক স্কুলগুলিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের ২০১৬ সালের বিজ্ঞপ্তিই। বিচারপতি ভট্টাচার্য তাঁর রায়ে জানিয়েছেন, পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য সংরক্ষণ সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত। আদালত এতে হস্তক্ষেপ করবে না। আদালত জানিয়েছে, প্যারাটিচার নিয়োগ, তাঁদের কাজের ধরন, গুরুত্ব সবই অন্যদের থেকে আলাদা। তাই ২০১৭ সাল থেকে স্পেশাল এডুকেটর, সম্প্রসারক, সম্প্রসারিকা, মুখ্য সহায়ক এবং সহায়িকাদের দায়ের করা সব মামলা খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। পার্শ্বশিক্ষকদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) আগের স্থগিতাদেশও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

    রাজ্যে পার্শ্বশিক্ষকের সংখ্যা 

    প্রসঙ্গত, বাম আমলে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে পার্শ্বশিক্ষক ছিলেন ৫০ হাজারেরও বেশি। সেই সংখ্যা কমতে কমতে বর্তমানে ঠেকেছে ৪২ হাজারে। রাজ্যে ১৪ হাজার ৩৩৯ শূন্যপদের মধ্যে পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য সংরক্ষিত ১ হাজার ৪৩৩টি পদ। প্রসঙ্গত, এতদিন এই ১ হাজার ৪৩৩টি পদে নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। আদালতের এই রায়ের জেরে এবার উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিতে ১৪ হাজার ৩৩৯ শূন্যপদেই শুরু হবে কাউন্সেলিং।

    আরও পড়ুুন: ফের অ্যাম্বুলেন্সকে পথ ছেড়ে দিল প্রধানমন্ত্রীর কনভয়, ভাইরাল মোদির ‘কীর্তি’

    পার্শ্বশিক্ষকদের তরফে এদিন আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী সৌমিক প্রামাণিক। তিনি বলেন, “পার্শ্বশিক্ষকদের নিয়োগ হয় জেলা প্রজেক্ট অফিসারের মাধ্যমে। তাই তাঁদের নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার সুযোগ কম। তাঁদের নিয়মিত ক্লাস করতে হয়। পরীক্ষা নেওয়া ও খাতা দেখার কাজও করতে হয় তাঁদের।” এ সংক্রান্ত নথি আদালতে জমা দেন সৌমিক। আদালত সাফ জানিয়েছে, সর্বশিক্ষা মিশনের অন্তর্গত স্পেশাল এডুকেটর, সম্প্রসারক, সম্প্রসারিকা সহ সমগোত্রীয়রা যেহেতু এমন কোনও নথি দিতে পারেননি, তাই তাঁদের দায়ের করা সব মামলা খারিজ করে দিয়েছে আদালত (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Abhishek Banerjee: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ অভিষেকের আর্জি, কী আবেদন ছিল তৃণমূল নেতার?

    Abhishek Banerjee: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ অভিষেকের আর্জি, কী আবেদন ছিল তৃণমূল নেতার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা খেলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)! দেশের শীর্ষ আদালতে খারিজ হয়ে গেল তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের আবেদন। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন অভিষেক। তাঁর আর্জি ছিল, কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের শুনানি পর্বের রিপোর্ট প্রকাশের ওপর জারি করা হোক নিষেধাজ্ঞা। অভিষেকের এই আবেদনই শুক্রবার খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।

    কী বলেছিলেন বিচারপতি সিনহা?

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার? তদন্তে নাম জড়ায় অভিষেকের সংস্থা ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র। এই সংস্থার সম্পত্তির খতিয়ান আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সম্প্রতি একটি মুখবন্ধ খামে পাঁচ হাজার পৃষ্ঠার রিপোর্ট আদালতে জমা দেয় ইডি। এর পরেই বিচারপতি সিনহার প্রশ্ন, “সম্পত্তির পরিমাণ কম হলে কি এত নথি জমা পড়ত? এসব সম্পত্তির জন্য আয়ের উৎস কী তা কি খতিয়ে দেখা হয়েছে?” বিচারপতি সিনহা এও বলেছিলেন, “দেখা যাচ্ছে সিংহভাগ সম্পত্তিই হয়েছে ২০১৪ সালের পর। ঘটনাচক্রে সেই সময়ই হয়েছিল নিয়োগ কেলেঙ্কারি। এই ব্যপারটা কি তদন্ত করে দেখা হয়েছে?”

    অভিষেকের আবেদন

    বিচারপতি সিনহার সেই পর্যবেক্ষণ প্রকাশিত হয় সংবাদ মাধ্যমে। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। তৃণমূল নেতার আইনজীবী শীর্ষ আদালতে বলেন, “এই ধরনের পর্যবেক্ষণ সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় সম্মানহানি হচ্ছে তাঁর মক্কেলের (Abhishek Banerjee)।” কলকাতা হাইকোর্টের যে বেঞ্চে বর্তমানে মামলাটি রয়েছে, সেখানে থেকে মামলাটি সরানোর আর্জিও জানানো হয়। অভিষেকের সেই আর্জিও খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার মন্তব্য, “যদি প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে নিজের আপত্তি জানাতে পারবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।”

    আরও পড়ুুন: রেশন দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে পরামর্শ-চিঠি ইডির

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’কে নিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছে ইডি। বৃহস্পতিবার রিপোর্টটি জমা দেওয়া হয় বিচারপতি সিনহার বেঞ্চে। এই ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র বিস্তারিত নথি আদালতে জানানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। এই সংস্থার ডিরেক্টরদের নাম, তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ এবং সংস্থার লেনদেন, গ্রাহক কারা, সিইওর সম্পত্তির বিস্তারিত তথ্য, সংস্থার কর্মীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত তথ্য জমা দেওয়ার (Abhishek Banerjee) নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Jyotipriya Mallick: রেশন দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে পরামর্শ-চিঠি ইডির

    Jyotipriya Mallick: রেশন দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে পরামর্শ-চিঠি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) ঘর থেকে সিসি ক্যামেরা খুলে ফেলার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। শুক্রবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় থাকবে সিআরপিএফ। মন্ত্রীর ঘরে কারা ঢুকছেন, বেরচ্ছেনই বা কারা, এবার থেকে তা নজরদারি করবে সিআরপিএফ। ব্যবহার করতে হবে রেজিস্টার খাতা। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর ঘরে যে ক্যামেরা লাগানো রয়েছে, তা খুলে ফেলার নির্দেশও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দিয়েছে আদালত।

    ব্যক্তিগত গোপনীয়তা খর্ব হচ্ছে!

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি ভর্তি রয়েছেন রাজ্যের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএমে। মন্ত্রীর ওপর নজরদারি চালাতে সিসি ক্যামেরা বসিয়েছে ইডি। এর পরেই ব্যক্তিগত গোপনীয়তা খর্ব হচ্ছে বলে আদালতে মামলা করেন মন্ত্রী। তার জেরেই এদিন মন্ত্রীর কেবিন থেকে সিসি ক্যামেরা খুলে নেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

    সিসি ক্যামেরা খুলে ফেলার নির্দেশ

    বিচারপতি ঘোষের নির্দেশ, মন্ত্রীর ঘরে কোনও সিসি ক্যামেরা রাখা যাবে না। তবে রুমের বাইরে সিসি ক্যামেরা আগে থেকে লাগানো থাকলে, তদন্তের স্বার্থে তার ফুটেজ দেখতে পারবেন ইডির তদন্তকারী অফিসার। সিসি ক্যামেরার পরিবর্তে মন্ত্রীর ওপর নজরদারি চালাবেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। মন্ত্রীর ঘরে যাঁরা যাতায়াত করবেন, তাঁদের প্রত্যেকের গতিবিধি নথিভুক্ত করতে হবে রেজিস্টার খাতায়। 

    রাজ্য পুলিশকে চিঠি ইডির

    এদিকে, রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি (Jyotipriya Mallick) মামলায় তদন্তে নেমে ইডি জেনেছে, রেশন ব্যবস্থায় অনিয়ম সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ জমা পড়লেও, সেভাবে তদন্ত হয়নি। তদন্তকারীদের বিশ্বাস, এই অভিযোগগুলির তদন্ত হলে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির হদিশ মিলবে। তাই রাজ্য পুলিশকে এ ব্যাপারে চিঠি দিয়েছে ইডি।

    আরও পড়ুুন: “রাজনীতি করবেন না”, লোকসভাকাণ্ডে বিরোধীদের পরামর্শ শাহের

    রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যের কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে ইডি জানিয়েছে, রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে কলকাতা পুলিশ সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা পুলিশের কাছে যেসব অভিযোগ জমা পড়েছে, তার বিস্তারিত তদন্ত হয়নি। এ ব্যাপারে বিস্তারিত তদন্ত করা প্রয়োজন। চিঠিতে এও বলা হয়েছে, রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে রেশন কেলেঙ্কারির জাল। এ ব্যাপারে তথ্যপ্রমাণ কিংবা সাহায্যের প্রয়োজন হলে ইডি তা (Jyotipriya Mallick) করতে প্রস্তুত বলেও জানানো হয়েছে চিঠিতে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share