Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর নিরাপত্তায় বিস্তর ত্রুটি! রাজ্যের থেকে রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট

    Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর নিরাপত্তায় বিস্তর ত্রুটি! রাজ্যের থেকে রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিরাপত্তায় ফাঁক রাখছে রাজ্য সরকার। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবার সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের থেকে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। রিপোর্ট জমা দেওয়ার ডেডলাইনও বেঁধে দিয়েছে আদালত। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর নির্দেশ, আগামী ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাজ্য সরকারকে এই বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    তাঁর নিজের নিরাপত্তায় ফাঁক থাকার অভিযোগে রাজ্যকে কাঠগড়ায় তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে সেই মামলা ওঠে। উল্লেখ্য, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জেড ক্যাটাগরির সুরক্ষা দিয়ে থাকে। শুভেন্দু অধিকারীরর আইনজীবীরা অভিযোগ জানিয়েছেন, বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত, বিরোধী দলনেতার পদ ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সমতুল্য। সেক্ষেত্রে শুভেন্দুর আইনজীবীদের বক্তব্য, বিরোধী দলনেতার পাইলট কার পাওয়ার কথা। কিন্তু অভিযোগ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা দেওয়া হচ্ছে না। উল্টে নানাভাবে পুলিশি হয়রানি করা হচ্ছে। এমনকী বিরোধী দলনেতার কনভয়ে থাকা সিআরপিএফ জওয়ানদের সঙ্গেও কোনওরকম সহযোগিতা করা হয় না বলেও অভিযোগ।

    আরও পড়ুন: ৩০ হাজারের বিনিময়ে সদ্যোজাতকে হস্তান্তর! কলকাতায় শিশুপাচার চক্রের হদিশ

    কী বলল আদালত

    আদালত (Calcutta High Court) বিষয়টি শুনে রাজ্য সরকারের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত তাঁর নির্দেশে জানিয়েছেন, আাগামী ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এব্যাপারে রাজ্য সরকারকে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে হবে। বিধানসভার বিরোধী দলনেতার কী কী নিরাপত্তা পাওয়ার কথা এবং বর্তমানে তাঁকে কী কী নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে? সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আদালতে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৮ নভেম্বর রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘‘রাজ্য সরকারকে বিড়ম্বনায় ফেলছে পুলিশই’’, বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ইস্যুতে মন্তব্য আদালতের

    Calcutta High Court: ‘‘রাজ্য সরকারকে বিড়ম্বনায় ফেলছে পুলিশই’’, বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ইস্যুতে মন্তব্য আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে করা মামলায় পুলিশের আচরণে বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা গেল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতির জয় সেনগুপ্তকে। এর পাশাপাশি আদালতে বুধবার নির্দেশ দিয়েছে, প্রাক্তন উপাচার্যের বিরুদ্ধে কোনওরকম ব্যবস্থা নিতে পারবে না পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা যাবে না বলে জানিয়েছে আদালত। এদিন বিচারপতি আরও বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারকে বিড়ম্বনায় ফেলছে পুলিশই।’’

    ঠিক কী অভিযোগ আনে পুলিশ

    প্রসঙ্গত, গত ৭ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি লেখেন বিশ্বভারতীর প্রাক্ন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সেই চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিল্পী সত্ত্বা নিয়ে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নিজের মত প্রকাশ করেন। ওই চিঠিতে রবীন্দ্রনাথের লেখা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেন উপাচার্য। সে নিয়েই পুলিশ মামলা দায়ের করে। এবিষয়ে হাইকোর্ট (Calcutta High Court) প্রশ্ন তুলেছে বুধবার। বিচারপতি সেনগুপ্ত প্রশ্ন করেন, ‘‘এই চিঠি লেখায় অপরাধ কি আছে?’’ জবাবের রাজ্য সরকার আইনজীবী সেভাবে কোনও উত্তর দিতে পারেননি। শুধু বলেন, ‘‘তদন্ত করে দেখতে হবে।’’ রাজ্য সরকারের আইনজীবীর এমন উত্তর শুনে বিরক্ত হন প্রধান বিচারপতি। তখন তিনি  বলতে থাকেন, ‘‘এমন নয় যে উপাচার্যের এই চিঠি নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি বেঁধে যেতে পারে।’’এরপরই তিনি বলেন, ‘‘ভাগ্যিস রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বেঁচে নেই। থাকলে কী যে করতেন! তাঁকেও অভিযুক্ত করে দিতেন আপনারা!’’

    তাপস পালের প্রসঙ্গও উঠে আসে বুধবারের শুনানিতে

    অন্যদিকে, হোয়াটসঅ্যাপে দুর্গাপুজোর ইতিহাস ব্যাখ্যা করেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সে নিয়েও মামলা দায়ের করে পুলিশ। পুলিশের অভিযোগ, দুর্গাপুজো নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এ নিয়ে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আইনজীবী বলেন, ‘‘বাড়িতে দুর্গাপুজো হয় এখানে পুজোর ইতিহাস ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এটা বিরূপ কেন হবে? এ প্রসঙ্গে উঠে আসে তাপস পালের কথাও। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আইনজীবী (Calcutta High Court) বলতে থাকেন, ‘‘তাপস পালের একটি মামলায় আমি আইনজীবী ছিলাম, তাপস পাল তখন বলেছিলেন ‘ঘরে ছেলে ঢুকিয়ে দেব’। এই ঘটনায় পুলিশ কোনও এফআইআর করেনি। তবে এখানে পুলিশকে এফআইআর করতে দেখা গেছে।’’ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১১ জানুয়ারি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manik Bhattacharya: বাম আমলে হয়েছিলেন অধ্যক্ষ, তৃণমূলের সেই ‘মানিকে’র নিয়োগই অবৈধ, জানাল ইউজিসি

    Manik Bhattacharya: বাম আমলে হয়েছিলেন অধ্যক্ষ, তৃণমূলের সেই ‘মানিকে’র নিয়োগই অবৈধ, জানাল ইউজিসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি গাছেরও খেয়েছেন, তলারও কুড়িয়েছেন! বাম জমানায় হয়েছিলেন কলেজের প্রিন্সিপাল। সেই তিনিই তৃণমূল জমানায় হয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি। ঘাসফুল প্রতীকে নদিয়ার পলাশিপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়ে বিধায়কও হয়েছেন। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোয় পরে অবশ্য সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। এহেন মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাম জমানায় ১৯৯৮ সালে অবৈধভাবে কলেজের প্রিন্সিপাল হয়েছিলেন তিনি।

    কী বলছে ইউজিসি?

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের এই ‘মানিক’। জেল হেফাজতে রয়েছেন তিনি। দীর্ঘদিন তিনি কলকাতার যোগেশচন্দ্র ল কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। মানিককে ওই পদে অবৈধভাবে নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। মানিকের নিয়োগ নিয়ম মেনে হয়েছিল কিনা, তা জানতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে হলফনামা জমা দিতে বলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার সেই হলফনাম জমা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। হলফনামায় জানানো হয়েছে, বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল মানিককে (Manik Bhattacharya)। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, কলেজের অধ্যক্ষ হতে গেলে কোনও ব্যক্তিকে স্নাতকোত্তর স্তরে অন্তত ৫৫ শতাংশ নম্বর পেতে হয়। পিএইচডি কিংবা সমতুল্য কোনও কোনও যোগ্যতা থাকাও বাঞ্ছনীয়। এছাড়াও কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৫ বছর পড়ানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। এই সব যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও মানিক যোগেশচন্দ্র ল কলেজের অধ্যক্ষ হয়েছিলেন।

    বেআইনিভাবে অধ্যক্ষ হয়েছিলেন!

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বর্তমানে রয়েছেন জলপাইগুড়ির সার্কিট বেঞ্চে। আগামী সপ্তাহে কলকাতায় ফিরলে মামলাটি উঠবে শুনানির জন্য। সেই শুনানিতেই এই হলফনামা নিয়ে নিজের পর্যবেক্ষণ জানাবেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, দানিশ ফারুকি নামে যোগেশের এক ছাত্র অবৈধ নিয়োগ নিয়ে মামলা করেন হাইকোর্টে। মামলাটি ওঠে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। মামলাকারীর বক্তব্য ছিল, যোগেশের প্রিন্সিপাল হিসেবে মানিকের নিয়োগ অবৈধ ছিল। প্রিন্সিপাল পদে বসার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও, ওই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। মামলাকারীর দাবি, যত দিন মানিক (Manik Bhattacharya) ওই কলেজের প্রিন্সিপাল হিসেবে বেতন নিয়েছিলেন, সেই বেতন তাঁর কাছ থেকে ফিরিয়ে নেওয়া হোক।

    আরও পড়ুুন: উদ্বেগের অবসান, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে মোহন যাদব, সিলমোহর বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • National Anthem Case: ‘জাতীয় সঙ্গীতকে সম্মান করুন, হাতিয়ার নয়’ হাইকোর্টে ফের ধাক্কা রাজ্যের

    National Anthem Case: ‘জাতীয় সঙ্গীতকে সম্মান করুন, হাতিয়ার নয়’ হাইকোর্টে ফের ধাক্কা রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় সঙ্গীতকে সম্মান এবং শ্রদ্ধা করতে হয়। এটাকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা যায় না, অভিমত কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। রাজ্যের শাসকদলকে উদ্দেশ করে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর প্রশ্ন, “এসএসসি দুর্নীতির অভিযোগে একটি দল বিক্ষোভ করতে চায়। আপনারা সকাল থেকে জাতীয় সঙ্গীত বাজিয়ে দিলেন। তা হলে কি তারা বন্ধ করে দেবে?” জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে মামলায় স্থগিতাদেশের মেয়াদ এদিন আরও বৃদ্ধি করল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে মামলা স্থগিত থাকবে।

    কেন মামলা

    তৃণমূলের তরফে অভিযোগ, গত বুধ ও বৃহস্পতিবার তাঁদের বিধায়করা যখন জাতীয় সঙ্গীত গাইছিলেন, তখন পাল্টা স্লোগান দিয়ে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা (National Anthem Case) করেছে বিজেপি। বিধানসভার তরফে হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগও দায়ের হয়। এদিন ২৯ নভেম্বর, বিধানসভার ভিডিও ফুটেজ দেখেন বিচারপতি। তার পর বলেন, ‘যে ক্যামেরার ফুটেজ, সেখানে শুধু শাসক দলের ফুটেজ দেখতে পাচ্ছি। আর কারও জমায়েত দেখতে পাচ্ছি না। তা হলে বিজেপি বিধায়করা জাতীয় সঙ্গীত শুনতে পাবেন কী করে?’ রাজ্যের সওয়াল ছিল, ‘ওটা অন্য ক্যামেরায় আছে।’ এর পর বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘যদি একটি ক্যামেরায় দুটি জমায়েত দেখা-ই না যায়, তা হলে শোনার প্রশ্ন কী করে ওঠে? অভিযোগের স্বপক্ষে প্রাথমিক তথ্য প্রমাণ দেখা যাচ্ছে না।’ বিস্ময়প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, ‘এই সব ফুটেজই তো কেস ডায়রিতে থাকবে।’

    বিচারপতির প্রশ্ন

    আদালতের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ, বিজেপি বিধায়করা একটি পাশে স্লোগান দিচ্ছিলেন। শাসকদল অন্য পাশে ধর্না কর্মসূচি চালাচ্ছিলেন। দু’টি ঘটনা প্রায় একই সময়ে শুরু হয়েছে। জাতীয় সঙ্গীত শুরু হতে স্লোগান দেওয়া শুরু হয়নি। স্লোগান আগে থেকেই চলছিল। অন্য পাশ থেকে হঠাৎ জাতীয় সঙ্গীত শুরু হয়। বিচারপতির আরও প্রশ্ন ছিল, ‘হঠাৎ করে জাতীয় সঙ্গীত শুরু হলে কি বিছানায় শুয়ে থাকা বয়স্ক ব্যক্তি লাফ দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়বেন?’

    আরও পড়ুন: নারী শক্তির জয়! দেশের প্রথম মহিলা ‘এইদ দ্য কঁ’ হলেন বায়ুসেনার মনীষা পাধি

    রাজ্যের আইনজীবী কিশোর দত্তের উদ্দেশে বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘আপনি কি আশা করেন, কোনও গণ্ডগোলে জাতীয় সঙ্গীত বাজালে থেমে যাবে? ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু তথ্যের ভিত্তিতে বিচার করে দেখা উচিত। আদালত বার বার মূল দু’টো বিষয়কে মাথায় রেখে চলছে।’’  এর পরেই হাইকোর্টের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়, আজ ও কাল কোনও মামলার শুনানি হবে না। আগামী ১০ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানি মামলার নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। নিম্ন আদালতের নির্দেশের ওপর স্থগিতদেশ দিলেন বিচারপতি শম্পা সরকার। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেন রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায়। হাইকোর্টের নির্দেশ নিম্ন আদালতে আপাতত ওই মামলার বিচারপ্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে। পাশাপাশি বিরোধী দলনেতাকে মামলাকারীর কাছে নোটিস পাঠানোর নির্দেশও দিয়েছে উচ্চ আদালত।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    ‘জল জীবন মিশন’ প্রকল্পের একাধিক বিষয়ে জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায়ের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ‘ফেরুল’ অর্থাৎ মূল পাইপ থেকে মুখ জোড়ার যন্ত্রাংশ কেনা-সহ একাধিক বিষয়ে বেনিয়মের অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু। পুলকের বিরুদ্ধে শুভেন্দু অভিযোগ করেছিলেন, খোলা বাজারে যে ফেরুলের দাম ২১৩ টাকা, সেটাই কেনা হয়েছে ৫৭০ টাকায়। এ ছাড়া, নির্দিষ্ট কিছু সংস্থাকে দিয়ে ফেরুল কেনা হয়েছে। ১,০৮৬ কোটি টাকার প্রকল্পে নূন্যতম ৫০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে, বলে জানান শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতা অসত্য তথ্য সামনে এনেছেন এই অভিযোগ তুলে ৫ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন পুলক। 

    আরও পড়ুন: ১ বছরেই বৃদ্ধি ৪০ শতাংশ! পর পর ৫ বছর অ্যাসিড হামলায় শীর্ষে বাংলা

    কী বলল আদালত

     প্রথমে রাজ্যের মন্ত্রী পুলক, শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) আইনি নোটিস পাঠান। অভিযোগ, ওই নোটিসের কোনও জবাব দেননি বিরোধী দলনেতা। এর পরে গত ৩ জানুয়ারি উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতের দেওয়ানি বিভাগে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের হয়। নিম্ন আদালত এক পক্ষ শুনেই শুভেন্দু অধিকারীকে লিখিত জবাবি হলফনামা দিতে বলে। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী সেই নির্দেশে জানিয়েছিলেন, হলফনামা জমা করবেন না। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। তার প্রক্ষিতেই শুনানি ছিল হাইকোর্টে। বিচারপতি শম্পা সরকার আপাতত নিম্ন আদালতের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। বিচারপতির নির্দেশ, আপাতত ওই মামলার বিচারপ্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে। হাইকোর্টে মামলার বিষয়টি জানিয়ে মন্ত্রী পুলককে আগে নোটিস দেবেন শুভেন্দু। মামলাকারী মন্ত্রী শুভেন্দুর কাছ থেকে নোটিস পাওয়ার পরেই মামলাটি হাইকোর্টে আবার উঠবে। আগামী ১১ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘চাকরি আদালতে বিচারাধীন’, ২০১৬ সালে নিয়োগপ্রাপ্তদের নোটিশ দেবে এসএসসি

    Calcutta High Court: ‘চাকরি আদালতে বিচারাধীন’, ২০১৬ সালে নিয়োগপ্রাপ্তদের নোটিশ দেবে এসএসসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষার মাধ্যমে ২০১৬ সালে নিয়োগ পাওয়া প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থী, এসএসসি’র তরফ থেকে নোটিশ পেতে চলেছেন। গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের সমস্ত শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী মিলিয়ে মোট ২৩ হাজার ৫৪৯ জন কর্মী চাকরি পেয়েছিলেন ২০১৬ সালের এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে এসএসসি যে নোটিশ দেবে, তাতে লেখা থাকবে যে এই চাকরি আদালতের বিচারাধীন। প্রত্যেক চাকরিজীবী ডিসেম্বর মাসের বেতন পাওয়ার আগেই এই নোটিশ পাবেন এবং তাঁদেরকে এই নোটিশে সইও করানো হবে। প্রসঙ্গত, এসএসসির নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় রায় বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এই পর্যবেক্ষণে এক বড় অংশের চাকরিজীবীদের ওপরে খাঁড়া ঝুলল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    কী বললেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক?

    বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বলেন, ‘‘এই মামলার রায় যে দিকেই যাক, তার প্রভাব বিশাল সংখ্যক মানুষের ওপর পড়তে চলেছে। অথচ মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকে বিষয়টা না জেনেও থাকতে পারেন। তাই তাঁদের নোটিশ দিয়ে একথা জানাতে হবে যে তাঁদের নিয়োগ আদালতে (Calcutta High Court) বিচারাধীন রয়েছে। ডিসেম্বর মাসের বেতন দেওয়ার আগে ২০১৬ সালে নিয়োগ পাওয়া গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি কর্মী, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষকদের নোটিশ দিয়ে একথা জানাতে হবে। নোটিশে সই করিয়ে তা জমা দিতে হবে আদালতে। সবাইকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে কি না তা আদালতকে জানাবেন নোডাল অফিসার।’’ প্রসঙ্গত, এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন আদালত ঘোষণা করেছে আগামী ১২ জানুয়ারি।

    বিশেষ বেঞ্চে চলছে শুনানি

    সুপ্রিম নির্দেশের পরই নিয়োগ দুর্নীতির শুনানির জন্য বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। এসএসসি নিয়োগ-দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলাগুলির শুনানি তাই চলছে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের নেতৃত্বে গঠিত ২ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে, আগামী ছয় মাসের মধ্যেই এসএসসি দুর্নীতি সংক্রান্ত যত মামলা রয়েছে, তার সব কিছুর শুনানি শেষ করতে হবে। এছাড়াও আগামী ৯ জানুয়ারি নিয়োগ-দুর্নীতির সংক্রান্ত মামলার যাবতীয় তদন্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে সিবিআই-কে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “হাইকোর্টে এক কথা, সুপ্রিম কোর্টে অন্যথা কেন?”, পর্ষদকে তোপ আদালতের

    Calcutta High Court: “হাইকোর্টে এক কথা, সুপ্রিম কোর্টে অন্যথা কেন?”, পর্ষদকে তোপ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টে এক কথা, আর সুপ্রিম কোর্টে অন্য কথা কেন?” মঙ্গলবার নিয়োগ কেলেঙ্কারির শুনানির প্রথম দিনই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চের তোপের মুখে পড়ল স্কুল সার্ভিস কমিশন। আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, পর্ষদ কেন হাইকোর্টে ও সুপ্রিম কোর্টে দুরকম কথা বলছে, তা পরিষ্কার করে জানাতে হবে। এ ব্যাপারে এক সপ্তাহের মধ্যে পর্ষদকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের নির্দেশ, বোর্ড মিটিং করে সাত দিনের মধ্যে গোটা বিষয়টি জানাতে হবে কমিশনকে।

    কমিশনের দ্বিচারিতা 

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় দ্রুত তদন্ত শেষ করতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। নিয়োগ সংক্রান্ত সব মামলাও ফেরত পাঠিয়েছে হাইকোর্টে। মামলার নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ বেঞ্চও গঠন করেছে হাইকোর্ট। এই বেঞ্চের তরফেই এদিন প্রশ্ন তোলা হয়েছে পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে। নিয়োগ কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত (Calcutta High Court) মামলাটির মূল মামলাকারী লক্ষ্মী তুঙ্গা, সাবিনা ইয়াসমিন ও সন্দীপ প্রসাদ। ওই মামলায় হাইকোর্টে স্কুল সার্ভিস কমিশন জানিয়েছিল, তারা নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে বেআইনি চাকরিপ্রাপকদের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করেছে। একই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে তারা জানিয়েছিল, কলকাতা হাইকোর্টের চাপে একাজ করতে বাধ্য হয়েছে তারা। এই মামলায়ই এদিন কমিশনের কাছে হাইকোর্ট জানতে চায়, নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টে এক কথা, আর সুপ্রিম কোর্টে অন্য কথা কেন?

    কমিশনের দাবি

    কমিশনের দাবি, মামলাকারীরা প্রথমে টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। চাকরি না পেয়ে মামলা করেছেন তাঁরা। তাই তাঁদের পরীক্ষায়ও বেনিয়ম হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি বলেন, “একজন দুর্নীতির চেষ্টা করেছে বলে কি আপনারাও দুর্নীতির ছাড়পত্র পেয়ে যাবেন?” এদিন মামলার শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুক্তি ছিল, এই সব মামলায় রাজ্যকে পার্টি না করেই এক তরফাভাবে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তাই এই মামলা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়। এরই প্রেক্ষিতে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “যদি সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল হয়, তাহলে অনেক যোগ্য প্রার্থীও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাঁদেরও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। জনগণের টাকা (Calcutta High Court) কেন এভাবে নষ্ট হবে?”

    আরও পড়ুুন: ‘‘আমি মাস্টারমাইন্ড নই’’, দাবি কেষ্টর, ‘‘পুলিশ ওনার পকেটে’’, পাল্টা সিবিআই

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

       

  • Calcutta High Court: “তৈলমর্দন করলেই মিলবে পছন্দের পোস্টিং?” শিক্ষক নিয়োগ মামলায় প্রশ্ন বিচারপতির

    Calcutta High Court: “তৈলমর্দন করলেই মিলবে পছন্দের পোস্টিং?” শিক্ষক নিয়োগ মামলায় প্রশ্ন বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যাঁরা আপনাদের হাতে তৈলমর্দন করবেন, তাঁদের পছন্দমতো স্কুলে পোস্টিং দেবেন?” মঙ্গলবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে এই প্রশ্নই করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রধান শিক্ষক নিয়োগ মামলায় এই প্রশ্ন করেন বিচারপতি মান্থা।

    বান্ধবীর বাড়ির কাছে পোস্টিং

    তাঁর মন্তব্য, “যাঁরা তৈলমর্দন করেন তাঁদেরই কি পছন্দমতো স্কুলে পোস্টিং দেন? মামলাকারী অনেক কিছুই চাইতে পারেন। মামলাকারী বলতে পারেন যে তাঁকে তাঁর বান্ধবীর বাড়ির কাছে পোস্টিং দেওয়া হোক। কিন্তু পোস্টিংয়ের নির্দিষ্ট বিধি কোথায়?” বিচারপতির আরও প্রশ্ন, “হাওড়া, বাঁকুড়া, উত্তর ২৪ পরগনায় কাউন্সেলিং হলে, পূর্ব মেদিনীপুরে কেন নয়?” বিচারপতি মান্থা বলেন, “বারবার জিজ্ঞাসা করা হলেও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ বা রাজ্য সরকার কেউই নির্দিষ্ট কোনও বিধি দেখাতে পারেনি।” আদালতের নির্দেশ, “যদি এখনও কোনও শূন্যপদ থাকে, তাহলে সেখানে নিয়োগ করা যাবে না।” রাজ্য ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের হলফনামাও তলব করেছে আদালত (Calcutta High Court)।

    প্যানেল তৈরি হওয়ার পর কাউন্সেলিংই হয়নি

    মামলাকারীর দাবি, প্রধান শিক্ষকের প্যানেল তৈরি হওয়ার পর কাউন্সেলিংই হয়নি। তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষকদের বাড়ির কাছে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে। কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত বলেও অভিযোগ করেছেন মামলাকারী। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই আদালতের দ্বারস্থ হন পূর্ব মেদিনীপুরের দুটি সার্কেলের সাতজন শিক্ষক। তাঁদের মতে, পোস্টিং দেওয়ার ক্ষেত্রে কাজে লাগানো হয়েছে রাজনৈতিক প্রভাব। বিচারপতি মান্থার মন্তব্য, “২০১৬ সালের বিধির মধ্যে কোথাও কাউন্সেলিং বা পোস্টিংয়ের প্রক্রিয়া নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা নেই। তাই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদগুলি পোস্টিংয়ের ক্ষেত্রে অনিয়ন্ত্রিত ক্ষমতা পেয়ে যাচ্ছে।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৮ ডিসেম্বর।

    আরও পড়ুুন: মমতা-নীতীশদের অনুপস্থিতির জের! শরিক-ঘোঁটে ভেস্তে গেল ইন্ডি-জোটের বৈঠক?

    প্রসঙ্গত, তৃণমূল জমানায় শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। কখনও নিয়োগের ক্ষেত্রে, কখনও আবার পোস্টিং দেওয়ার ক্ষেত্রে কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠছে। মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে অনেকে চাকরি ‘কিনেছেন’ বলেও অভিযোগ। আবার বেছে বেছে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের চাকরি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এসব নিয়েও দায়ের হয়েছে মামলা। এবার সেই তৃণমূলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠল রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পোস্টিং দেওয়ার (Calcutta High Court)।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

       

  • Calcutta High Court: জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় হাইকোর্টে স্বস্তি বিজেপি বিধায়কদের

    Calcutta High Court: জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় হাইকোর্টে স্বস্তি বিজেপি বিধায়কদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় বিজেপি বিধায়কদের স্বস্তি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিজেপি বিধায়কদের ‘গ্রেফতার নয়’। এমনই মৌখিক নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ফলে, আরও একটি মামলায় ধাক্কা খেল রাজ্য। এদিন উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, হঠাৎ করে জাতীয় সঙ্গীত শুরু করা যায় না।

    তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, গত ২৯ তারিখ বিধানসভায় অম্বেডকরের মূর্তির পাদদেশে তাঁরা যখন জাতীয় সঙ্গীত গাইছিলেন, তখন নাকি বিজেপি বিধায়করা না দাঁড়িয়ে ঘাসফুল শিবিরকে চোর চোর স্লোগান দিতে থাকে! যদিও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, যেখানে সেখানে, যে কোনও জায়গায় জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া যায় না। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজ্যের শাসক দল এফআইআর-ও দায়ের করে পুলিশের কাছে। সেইমতো বেশ কয়েকজন বিধায়ককে তলব করে লালবাজার। পুলিশি তলবকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পাল্টা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয় গেরুয়া শিবির। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে দায়ের হয় মামলা। সেখানেই আদালত এই মামলায় বিজেপিকে স্বস্তি দিয়েছে ৷ বিধায়কদের গ্রেফতার না করার মৌখিক নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট ৷

    ঠিক কী অভিযোগ বিজেপির

    গত ২৯ তারিখ ধর্মতলার সভায় বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই দিনই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে কালো পোশাক পরে বিধানসভা চত্বরে অম্বেডকরের মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসে তৃণমূল। নেতৃত্বে ছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন সময় পাল্টা প্রতিবাদ জানাতে সেখান থেকে বেশ খানিকটা দূরে হাজির হন বিজেপি বিধায়করা। এই সময় হঠাৎ তৃণমূল জাতীয় সঙ্গীত শুরু করে।

    নেপথ্যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা?

    বিজেপির অভিযোগ, জাতীয় সঙ্গীত কোথায় বাজছিল বা ওই বিধায়করা তখন কোথায় ছিলেন— এ সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখা হয়নি। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসাকে চরিতার্থ করতে (Calcutta High Court) এবং বিজেপি বিধায়কদের হেনস্থা করতেই এই জাতীয় এফআইআর দায়ের করেছে শাসক। বিজেপির দাবি, সেদিনই বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননার অভিযোগ তুলে বিধানসভার স্পিকারকে চিঠি দেয় তৃণমূলের পরিষদীয় দল। এর পর বিধানসভায় এসে স্পিকারের সঙ্গে দেখা করেন ডিসি সেন্ট্রাল দীনেশ কুমার। তার পর ১১ বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। সেই ইস্যুতেই এ বার আদালতের দ্বারস্থ হয় পদ্মশিবির।

    কী জানাল আদালত?

    বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা বিষয়ক এই মামলাটি ওঠে। সেখানে বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে জানান, ‘‘হঠাৎ করে জাতীয় সঙ্গীত শুরু করা যায় না। এখানে যদি এখন কেউ জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শুরু করেন, তা হলে তো সব কাজ বন্ধ করে সবাইকে দাঁড়িয়ে পড়তে হবে। এমনটা করা যায় নাকি! অবশ্যই জাতীয় সঙ্গীতের জন্য একটা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলা উচিত।’’ বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এমন নয় যে, যখন তৃণমূল বিধায়ক, মন্ত্রীরা জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া শুরু করেন, তখন থেকে বিজেপি বিধায়কেরাও স্লোগান দিতে শুরু করেন। তাঁরা বিধানসভায় আগে থেকেই স্লোগান দিচ্ছিলেন। ফলে জাতীয় সঙ্গীতের জন্য নিয়ম মানা দরকার। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jyotipriya Mallick: বালুর কেবিনে সিসি ক্যামেরা! পিজির ফুটেজ দেখবে ইডিও, নির্দেশ আদালতের

    Jyotipriya Mallick: বালুর কেবিনে সিসি ক্যামেরা! পিজির ফুটেজ দেখবে ইডিও, নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (বালু) এখন ভর্তি রয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালে। রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়র কেবিনে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারির নির্দেশ দিল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, সেই সিসিটিভি ফুটেজের লিঙ্কও দিতে হবে ইডি-র তদন্তকারী অফিসারকে। শুক্রবার সকালেই এসএসকেএমে (SSKM) জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের চিকিৎসা যেখানে চলছে, সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রেসিডেন্সি জেলের তরফে এসএসকেএমে ক্যামেরা লাগাতে আসে কলকাতা পুলিশের টিম।

    বসল ক্যামেরা

    প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি ছিলেন বালু। অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সোমবার রাতেই তাঁকে আইসিইউতে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মন্ত্রীকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে মেডিক্যাল বোর্ড। তিনি হাসপাতালে থাকায়, তাঁকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করানো যায়নি। সূত্রের খবর, আদালতের নির্দেশে হাসপাতালের কার্ডিয়োলজি কেবিনে ইতিমধ্যে ক্যামেরা বসানো হয়েছে।

    ইডির দাবি

    দিন ইডি-র আইনজীবী ভাস্করপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় বিচারকের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা ওঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে চাইছি। অভিযুক্ত রাজ্যের একজন মন্ত্রী। তাঁকে জেল থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিষয়টি কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাছে উদ্বেগের। তাই হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা সিসিটিভি মনিটরিংয়ের বন্দোবস্ত করা হোক। ওই সিসিটিভি-র লিঙ্ক যেন তদন্তকারী অফিসারকেও দেওয়া হয়।’ জ্যোতিপ্রিয়কেও ‘প্রভাবশালী’ বলেই দাবি করেছে ইডি। সেই কারণে তাঁকে নজরদারিতে রাখার আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। 

    আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেও ঘামছে কলকাতা! নিম্নচাপের প্রভাবে থমকে শীত, কবে হাওয়া বদল?

    আদালতের নির্দেশ

    ইডির দাবি,’প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হোক, যাতে জ্যোতিপ্রিয় যেখানে রয়েছেন, সেখানে কেউ ডিজিটাল ডিভাইস নিয়ে ঢুকতে না পারেন। অভিযুক্ত একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। জেলে ও হাসপাতালে থাকাকালীন প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হতে পারে।’ জ্যোতিপ্রিয়র আইনজীবী শ্যামল ঘোষের পাল্টা সওয়াল, ‘আমার মক্কেল জেলে থাকার সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এখন কেমন রয়েছেন, তা জানতে চাইছি। শারীরিক দিক থেকে ফিট নন তিনি। কিডনিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা জামিন চাইছি না। সঠিক চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হোক।’ এরপরই আদালত হাসপাতালে জ্যোতিপ্রিয়র কেবিনে সিসিটিভি মনিটারিং-এর নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি, জ্যোতিপ্রিয়ের স্বাস্থ্য-রিপোর্টও আদালতকে জানানোর কথা বলা হয়। আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত জ্যোতিপ্রিয়ের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share