Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Calcutta High Court: পুজোর আগেই সুখবর! কাউন্সেলিং শুরু হচ্ছে উচ্চ প্রাথমিকে, নিয়োগ কবে?

    Calcutta High Court: পুজোর আগেই সুখবর! কাউন্সেলিং শুরু হচ্ছে উচ্চ প্রাথমিকে, নিয়োগ কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগেই সুখবর পেতে চলেছেন উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থী শিক্ষকরা! মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের নিয়োগের কাউন্সেলিং শুরু করতে বলেছে। আদালত এও জানিয়েছে, কাউন্সেলিং শুরু হলেও এখনই হচ্ছে না নিয়োগ। এদিন বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, স্কুল সার্ভিস কমিশন এই ১৪ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের জন্য কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু করে দিতে পারবে। তবে আদালতের নির্দেশ ছাড়া কাউকে নিয়োগ করা যাবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

    বন্ধ ছিল কাউন্সেলিং

    উচ্চ প্রাথমিকের একটি মেধাতালিকায় নিয়োগের ব্যাপারে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। এই তালিকায় প্রার্থী রয়েছেন ৯ হাজার। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার জেরে কাউন্সেলিং বন্ধ ছিল এঁদের। এসএসসি এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার ব্যাপারে দ্বারস্থ হয়েছিল হাইকোর্টে। তখনই আদালত জানিয়ে দেয়, কাউন্সেলিং শুরু করা গেলেও, নিয়োগ হবে আদালত নির্দেশ দিলে।

    এসএসসিকে প্যানেল তৈরির গাইডলাইন

    ২০১৬ সালে একটি প্যানেল তৈরি হয়েছিল উচ্চ প্রাথমিকে। সেই প্যানেলে অস্বচ্ছতা রয়েছে বলে দাবি করা হয়। তার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে মামলা হয় ২০২০ সালে। ১১ ডিসেম্বর বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য স্থগিতাদেশ দেন নিয়োগে। পরে মামলাটি ওঠে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় অভিযুক্তদের বক্তব্য শোনার নির্দেশ দেন এসএসসিকে। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় এসএসসি। এর পরেই এসএসসিকে প্যানেল তৈরির গাইডলাইন ঠিক করে দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুুন: রেশন কেলেঙ্কারিতে ধৃত বাকিবুরের সম্পত্তির পরিমাণ জানেন? বোমা ফাটালেন শুভেন্দু

    প্যানেল তৈরির পর এসএসসি হাইকোর্টে জানায়, আদালতের নির্দেশ মেনেই প্যানেল তৈরি করা হয়েছে। এবার মামলাটি যায় বিচারপতি সৌমেন সেনের বেঞ্চে। সেই মামলায়ই মঙ্গলবার বিচারপতি সৌমেন সেনের বেঞ্চের (Calcutta High Court) নির্দেশ, তাদের তৈরি প্যানেল অনুযায়ী কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে এসএসসি। তবে আদালতের নির্দেশ ছাড়া নিয়োগ করতে পারবে না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর দেওয়া হবে পরবর্তী নির্দেশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ বেলেঘাটার নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে     

    Calcutta High Court: এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ বেলেঘাটার নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’ বছর আগে খুন হয়েছিলেন বেলেঘাটার বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। ওই ঘটনায় এবার অভিজিতের মা ও ভাইয়ের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। দীর্ঘদিন ধরে নিহত অভিজিতের মা ও ভাই নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয় পুলিশকে।

    বিচারপতি সেনগুপ্তর নির্দেশ

    অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় নিরাপত্তা দিতে গিয়েছিলেন পুলিশকর্মী। অভিজিৎ খুনে যাঁরা জেলবন্দি, তাঁদের পরিবারের লোকজন অভিজিতের বাড়িতে হামলা চালায় বলেও অভিযোগ। এই ইস্যুতে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। তার পরেই সোমবার ওই পরিবারকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। নির্দেশে তিনি বলেন, “এই খুনের ঘটনার মূল সাক্ষী দু’জন। মৃতের মা ও ভাই। আগেও দু’বার তাঁদের হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তিন সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। যতদিন না সেটা হচ্ছে, ততদিন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে নারকেলডাঙা থানা।”

    সিসিটিভির ফুটেজ

    আগে হাইকোর্টের নির্দেশেই পুলিশি নিরাপত্তা পেয়েছিল সরকার পরিবার। অভিযোগ, যিনি নিরাপত্তা দিতে আসতেন, তিনি মদ্যপ অবস্থায় ডিউটি করতে আসতেন। কখনও আবার পুলিশের উর্দি নয়, নিরাপত্তা যিনি দিতে আসতেন, তাঁর গায়ে থাকত সাধারণ পোশাক। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করতে সিসিটিভির ফুটেজও জমা দেন অভিজিতের ভাই। অভিযোগ পেয়ে বিভাগীয় তদন্ত করে পুলিশ। হাইকোর্ট (Calcutta High Court) দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ।

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েতে আদালত অবমাননা কমিশনের! সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল শুভেন্দুর

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয় তৃণমূল। এর পরেই কার্যত তাণ্ডব শুরু করে ঘাসফুল শিবিরের করিৎকর্মা কর্মীরা। বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালায় তারা। অভিযোগ, এহেন আবহে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন বেলেঘাটার বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। তার পর থেকে ন্যায় বিচারের দাবিতে আদালতে আইনি লড়াই চালাচ্ছে তাঁর পরিবার। ক্ষতিপূরণের দাবিতে হাইকোর্টে মামলাও হয়েছে। তার পরেও মাঝে মধ্যেই সরকার পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। অভিজিৎ খুনের পরপরই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি নেতারা নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব হন। তার পরেই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে রাজ্য পুলিশের হাত থেকে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • ED: ১০ ঘণ্টা পর ইডি দফতর থেকে বের হলেন অভিষেকের আপ্তসহায়ক, কী তথ্য দিয়ে এলেন?

    ED: ১০ ঘণ্টা পর ইডি দফতর থেকে বের হলেন অভিষেকের আপ্তসহায়ক, কী তথ্য দিয়ে এলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ, তারপর ইডি (ED) দফতর থেকে বের হতে দেখা গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়ক সুমিত রায়কে। সোমবার দুপুর বারোটা নাগাদ ইডি দফতরে পৌঁছেছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের আপ্ত সহায়ক। রাত দশটার কিছু আগে বের হন তিনি। তবে এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি সুমিত রায়। তবে তাঁকে কি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে? সে সংক্রান্ত প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হলে সুমিতের জবাব ‘‘এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’’

    আদালতে সুমিতের আর্জি খারিজ 

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলা ছাড়া এর আগে কয়লা পাচারকাণ্ডেও সুমিতের নাম উঠে এসেছিল বলে খবর। জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন কিনা! নিয়োগের জন্য কেউ তাঁর দ্বারস্থ হয়েছিল কিনা! এ সমস্ত কিছুই জানতে চেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সুমিতের বয়ান আপাতত খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ইডি (ED)
     নোটিশ পাওয়ার পর গত শুক্রবারই উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেকের আপ্ত সহায়ক। তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ না করার আর্জি ছিল সুমিতের। তবে এই আর্জি আদালতে খারিজ হয়ে যায়। কলকাতা হাইকোর্ট জানায়, ভবিষ্যতে যদি কড়া পদক্ষেপ করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তখন আদালতে তিনি আসতে পারেন।

    লিপস এন্ড বাউন্সের কর্মী ছিলেন সুমিত

    জানা গিয়েছে, লিপস এন্ড বাউন্স সংস্থার কর্মী হিসেবেই এক সময় কাজ করতেন সুমিত। সেখানে ইডির উদ্ধার করা এক হাজার পাতার নথি সূত্র ধরেই সুমিতকে প্রশ্ন করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। লিপস এন্ড বাউন্স সংস্থায় তাঁকে কে নিয়োগ করেছিলেন! সেখানে কী ভূমিকা ছিল সুমিতের! কী কাজ তিনি করতেন সেখানে! এ সমস্ত কিছুই জানতে চাওয়া হয়েছে তাঁর কাছে। প্রসঙ্গত, লিপস এন্ড বাউন্স সংস্থা থেকে উদ্ধার হওয়া নথির ভিত্তিতে ডেকে পাঠানো হয় অভিষেকের স্ত্রী রুজিরাকেও। গত বুধবারই তিনি হাজিরা দেন। এর পাশাপাশি তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ডাকা হয়েছিল ইডি দফতরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: তদন্ত করতে পারবেন ইডির অপসারিত অধিকর্তা মিথিলেশ, নির্দেশ বিচারপতি সিনহারই

    Calcutta High Court: তদন্ত করতে পারবেন ইডির অপসারিত অধিকর্তা মিথিলেশ, নির্দেশ বিচারপতি সিনহারই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডির অপসারিত অধিকর্তা মিথিলেশকুমার মিশ্রকেই রাজ্যের সব তদন্তে ফেরালেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা। নিয়োগ সহ রাজ্যের সব মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনিই। শুক্রবার রুদ্ধদ্বার শুনানির পর ফেরানো হয় মিথিলেশকুমারকে।

    অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি সিনহা

    ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংক্রান্ত তদন্তের রিপোর্ট দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি সিনহা। সংস্থার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। প্রশ্ন তুলেছিলেন তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়েও। মিথিলেশকুমারকে সেই সময় হাইকোর্টে তলব করেছিলেন বিচারপতি সিনহা। বিচারপতি সিনহা তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, “আপনি কি তদন্ত থেকে অব্যাহতি চান?” কেন তিনি মিথিলেশের কাজে সন্তুষ্ট নন, সেই ব্যাখ্যাও সেদিন দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা।

    বিচারপতি সিনহার নির্দেশ

    সেদিনই ইডিকে বিচারপতি সিনহার নির্দেশ ছিল, রাজ্যের সব মামলা থেকে যেন সরিয়ে দেওয়া হয় ইডির সহকারী অধিকর্তাকে। যদিও মিথিলেশ আর্জি জানিয়েছিলেন, নিয়োগ মামলার তদন্ত থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হলেও, রাজ্যের অন্য মামলাগুলির দায়িত্ব থেকে যেন তাঁকে সরানো না হয়। বিচারপতি সিনহা (Calcutta High Court) বলেছিলেন, “আপনি তদন্ত করতে সক্ষমই নন, অন্য কোথাও গিয়ে ভাল কাজ করুন।”

    আরও পড়ুুন: রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি হাইকোর্টের

    তার পরেই সরানো হয়েছিল মিথিলেশকুমারকে। ২০২২ সাল থেকে নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তাঁর অধীনেই যখন তদন্ত চলছিল, তখনই গ্রেফতার হন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, নাকাশিপাড়ার বিধায়ক তৃণমূলের মানিক ভট্টাচার্য সহ বেশ কয়েকজন। মিথিলেশের বিরুদ্ধে বিচারপতি সিনহার দেওয়া নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করতে হাইকোর্টে আবেদন করে ইডি। তার প্রেক্ষিতেই এদিন হয় রুদ্ধদ্বার শুনানি। দিল্লি থেকে ভার্চুয়ালি এই শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন ইডির জয়েন্ট ডিরেক্টর। তিনি জানান, মিথিলেশ দক্ষ অফাসার। তিনি সঠিকভাবে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।

    এর পরেই আগের নির্দেশ প্রত্যাহার করে বিচারপতি (Calcutta High Court) সিনহা জানান, নিয়োগ দুর্নীতি সহ সব মামলার তদন্তে ফিরলেন মিথিলেশকুমার মিশ্র। পশ্চিমবঙ্গের যে কোনও মামলার তদন্ত করতে পারবেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে নির্দেশনামায় যে পর্যবেক্ষণ ছিল, তাও প্রত্যাহার করে নেওয়া হল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশের অর্থ আদালতে হাজির হতে হবে রাজীব সিনহাকে। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, আদালতের নির্দেশ অবমাননা করা হয়েছে। অবমাননার আইন অনুযায়ী, রুল জারি করার নির্দেশ রয়েছে। ২৪ নভেম্বর আদালতে এসে উত্তর দিতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীবকে।

    মামলা দায়ের করেছিলেন শুভেন্দু 

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর করা এই মামলায় এই রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। শুভেন্দুর আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী জানান, রুল জারি হওয়ায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে সশরীরে আদালতে এসে জবাবদিহি করতে হবে। জানাতে হবে, কেন তিনি আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছেন।

    কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার আবেদন

    চলতি বছরই রাজ্যে হয় ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার আবেদন জানিয়ে ডিসেম্বর মাসে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন শুভেন্দু। অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির নজরদারিতে পঞ্চায়েত নির্বাচন করানোর আর্জিও জানিয়েছিলেন তিনি। পরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে পঞ্চায়েত নির্বাচন করানোর নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানায়, হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তা কার্যকর করা সম্ভব নয়। কারণ নির্বাচনে নিরাপত্তার বিষয়টি দেখে রাজ্য। তাই রাজ্যকে এই অনুরোধ করা তাদের কাজ নয়।

    আরও পড়ুুন: ‘‘অন্তঃসত্ত্বার পেট ফালা ফালা করা, পাশে পড়ে গর্ভস্থ শিশু’’! প্রকাশ্যে হামাস জঙ্গিদের বর্বরোচিত হামলা

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও, আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশ কার্যকর করেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাই আদালত অবমাননা হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, কমিশন যে হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর করেনি, তা সংবাদপত্র মারফৎ জানতে পেরেছেন তিনিও।

    শুভেন্দুর দায়ের করা সেই মামলায়ই এবার রুল জারি করল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, এবার রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে রক্তাক্ত। মনোনয়নপত্র পেশ-পর্ব থেকেই শুরু হয়েছিল হিংসা। যার জেরে এবার ভোটের বলি হন ৫৪ জন। এঁদের মধ্যে একজন ভোটারও রয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: টেট পাশের নথি দেখাতে পারেননি! ৯৪ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের 

    Recruitment Scam: টেট পাশের নথি দেখাতে পারেননি! ৯৪ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবৈধভাবে নিয়োগ (Recruitment Scam) হওয়া ৯৪ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল কলকাতা হাইকোর্ট। তার পরিবর্তে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের উচ্চ আদালত। একই সঙ্গে ২০১৬ এবং ২০২০ সালের টেটের মেধা তালিকা নম্বর সহ প্রকাশ করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অতা সিনহা। ওই মেধা তালিকা ৩ নভেম্বরের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে।  

    আদালতের নির্দেশ

    মঙ্গলবার প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলার শুনানি হয় বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। আদালতের নির্দেশেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কোর্টে জানায় যে, ৯৬ জনকে নথি যাচাইয়ের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তার মধ্যে ৯৪ জন টেট পাশের প্রমাণ দেখাতে পারেননি। এদিন মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডকে (ডব্লিউবিবিপিই) ভবিষ্যতে নিয়োগের পদ্ধতিতে যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও চাকরি দেওয়া হয়নি এমন প্রার্থীদের একটি সুযোগ দেওয়ার কথা বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতি সিনহা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে বলেন, ‘এই প্রার্থীরা বেকার। তাঁরা মনে করেন যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও নিয়োগ না পেয়ে তাঁদের সঙ্গে প্রতারিত করা হয়েছে। তাই আপনাদের অবশ্যই তাঁদের বিষয়টি সহানুভূতির সাথে বিবেচনা করা উচিত।’

    রাজপথে বিক্ষোভ

    এদিনই ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণরা আজ কলকাতার রাজপথে বিক্ষোভ করেন। তাঁদের অভিযোগ, ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণদের ইন্টারভিউ না নিয়ে নতুন টেট ঘোষণা করা হয়েছে। আগে তাঁদের নিয়োগ করতে হবে। এই দাবিতে প্রার্থীরা এপিসি ভবনের দিকে গেলে পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। এ নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়।

    আরও পড়ুন: কামদুনিকাণ্ডের শেষ দেখতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ টুম্পা-মৌসুমীরা, ফের নিশানা রাজ্যকে

    অভিষেকের নথি প্রসঙ্গ

    এদিন বিচারপতি সিনহার এজলাসে নজর ছিল অভিষেকের নথি জমার দিকেও। ইডি-র কাছে নথি জমা দেওয়ার জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। নির্দেশ ছিল, যে ভাবে হোক এই দিনের মধ্যেই নিজের এবং দুর্নীতিতে নাম জড়ানো বেসরকারি সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের লেনদেন সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য ও নথি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির কাছে জমা দিতে হবে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে। কিন্তু মঙ্গলবার বিকেলে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে ইডি-র আইনজীবী দাবি করেন, নথির কোনও প্রতিলিপি (হার্ড কপি) তাঁরা পাননি। তবে ই-মেল মারফত নথি (সফ্‌ট কপি) পাঠানো হয়েছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি। উল্টো দিকে, অভিষেকের আইনজীবী সঞ্জয় বসুর দাবি, এ দিন সন্ধ্যাতেই রিপোর্ট জমা পড়েছে ইডি-র কাছে। এ দিন ইডি এবং সিবিআই, দুই তদন্তকারী সংস্থাই মুখবন্ধ খামে  তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দিয়েছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: মিথিলেশের জায়গায় মুকেশ! এসেই কাজ শুরু ইডির নয়া অফিসারের

    ED: মিথিলেশের জায়গায় মুকেশ! এসেই কাজ শুরু ইডির নয়া অফিসারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে ইডির নয়া তদন্তকারী আধিকারিক কাজ শুরু করলেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুনানির সময়ে মিথিলেশ কুমারকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তাঁর বদলেই এলেন ইডি-র নতুন তদন্তকারী অফিসার অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর মুকেশ কুমার।  ইতিমধ্যেই দায়িত্বগ্রহণ করেছেন তিনি। কোন পথে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত এগোবে সেই নিয়ে তদন্তকারী অফিসারদের পাশাপাশি দিল্লি-র সদর দফতরের আধিকারিকদের সাথেও তিনি কথা বলেছেন।

    কেন নতুন আধিকারিক

    সম্প্রতি প্রাথমিক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় ইডি-র তদন্তকারী অফিসার মিথিলেশ কুমারকে ভর্ৎসনা করেছিলেন বিচারপতি সিনহা। শুনানিতে একাধিক কড়া মন্তব্য করেন বিচারপতি। ইডি-র আধিকারিককে বিচারপতি সিনহার প্রশ্ন ছিল, এই ধরনের তদন্ত করার জন্য কি আদৌ প্রশিক্ষণ রয়েছে তাঁর? তিনি কি আসলে এই তদন্ত থেকে অব্যহতি চাইছেন? বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, ইডি কর্তা মিথিলেশ কুমারের নেতৃত্বে এতদিন ধরে তদন্ত স্লথ গতিতে চলেছে। এরপরই যত দ্রুত সম্ভব তার বদলে নতুন অফিসার নিয়োগ করার জন্য ইডির ডিরেক্টরকে নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। ৩ অক্টোবর এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় উপযুক্ত অফিসারকে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। তাঁর নির্দেশের পরই ইডির নতুন তদন্তকারী অফিসার মুকেশ কুমার দায়িত্বে এসেছেন।  

    আরও পড়ুুন: নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াই! কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যায় জড়িত ২ লস্কর জঙ্গি খতম

    তদন্ত দ্রুত সম্পন্ন করাই লক্ষ্য

    সূত্রের খবর, মুকেশ কুমার ছাড়া আরও একজন তদন্তকারী অফিসারকে এই মামলার সঙ্গে যুক্ত করা হবে। যিনি মুকেশের সহযোগী হিসাবে কাজ করবেন। তবে সেই প্রক্রিয়া এখনও সম্পন্ন হয়নি। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত কীভাবে দ্রুত সম্পন্ন করা যায়, তা নিয়ে মুকেশ কুমার বাকি অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেছেন। দিল্লি-র সদর দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গেও আলোচনা সেরেছেন। ইতিমধ্যেই এই মামলার কেস ডায়েরি হস্তান্তরিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, মুকেশ তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যে সক্রিয়তা দেখাচ্ছেন, তাতে অনেকেই অস্বস্তিতে পড়বেন। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kamduni Case: আইনি সাহায্যের আশ্বাস শুভেন্দুর, আজ কামদুনিতে বিজেপির মহিলা মোর্চা

    Kamduni Case: আইনি সাহায্যের আশ্বাস শুভেন্দুর, আজ কামদুনিতে বিজেপির মহিলা মোর্চা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যায়ের দাবিতে আজ, মঙ্গলবার কামদুনি (Kamduni Case) যাচ্ছে বিজেপির মহিলা মোর্চা। কামদুনি কাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই নির্যাতিতা কলেজ ছাত্রীর পরিবার ও বান্ধবী মৌসুমী কয়াল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে এ বিষয়ে সাক্ষাৎ করেন।  সম্প্রতি কামদুনিতে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে তিনি জানান, সুষমা স্বরাজের মেয়ে বাঁশুরি স্বরাজ বিনা পয়সায় এই মামলা লড়বেন সুপ্রিম কোর্টে। 

    শুভেন্দুর সঙ্গে সাক্ষাত

    কামদুনিকাণ্ডে (Kamduni Case) রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার। তাদের সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন শুভেন্দু। এই বৈঠক প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা বলেন, ‘রাজ্য নাটক করছে। লোক দেখিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করছে আর এখানে ফাঁসির আসামীকে ছেড়ে দিচ্ছে। কামদুনির বোনের পরিবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করে সাহায্য চান। আইনি সহায়তা সহ সব সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই এই নিয়ে আরও বড় কর্মসূচি নিতে চলেছে বিজেপি।’

    শীর্ষ আদালতে ধাক্কা

    হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সিআইডি। কামদুনিকাণ্ডে (Kamduni Case) এখনই কলকাতা হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ করেছে শীর্ষ আদালত। সোমবার বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। বিচারপতি নোটিশ জারি করে। সব পক্ষের জবাব তলব করেছে শীর্ষ আদালত। সাতদিন বাদে সুপ্রিম কোর্ট কামদুনি কেসের পরবর্তী শুনানি।

    কামদুনির ঘটনা প্রবাহ 

    ২০১৩ সালে উত্তর ২৪ পরগনার কামদুনির (Kamduni Case) বুকে হওয়া এই ঘটনা গোটা রাজ্যে তোলাপাড় ফেলে দিয়েছিল। ৭ জুন দিনে দুপুরে এক কলেজ পড়ুয়াকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পরিত্যক্ত কারখানায় ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে খুন করা হয়। এই ঘটনায় নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত তিনজনের ফাঁসি ও তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে অভিযুক্তরা হাইকোর্টে যান। সেখানে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্তদের একজনকে বেকসুর খালাস করে দেয় আদালত। বাকি দু’জনের আমৃত্যু কারাবাস হয়। অন্যদিকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তিনজনের একজনকে বেকসুর খালাসের পাশাপাশি আরও দু’জনের সাজা রদ করা হয়। তারই প্রতিবাদে ফের গর্জে ওঠে কামদুনি। পুলিশ, সিআইডির ভুল রিপোর্টের কারণে এই রায় বলে দাবি করেন কামদুনির প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী কয়াল। 

    আরও পড়ুুন: “রাজভবনের সামনে ধর্না হলে নব মহাকরণের সামনে কেন নয়?”, প্রশ্ন আদালতের

    মামলা লড়বেন বাঁশুরি স্বরাজ

    নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে সম্প্রতি দেখা করতে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানেই সুকান্ত বলেন, “নির্যাতিতার মা চাইছেন ওনার মেয়ের সঙ্গে যে জঘন্য অপরাধ হয়েছে তার বিচার হোক। সেই বিচারের জন্য সুপ্রিম কোর্ট যেতে হবে। বিজেপির পক্ষ থেকে আমরা আশ্বস্ত করছি আইনজীবী দিয়ে সাহায্য করব। নাম করা আইনজীবী বাঁশুরি স্বরাজ রাজি হয়েছেন। তিনি বিনা পয়সায় এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে লড়বেন। তাছাড়া আমি বিরোধী দলনেতার সঙ্গে কথাও বলে এসেছি, রাজ্য সরকার ওনাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করলে আমরা আপাতত ২-৩টি বেসরকারি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করব। গ্রামবাসীদের উপর গুলি চলেছে, মার খেয়েছে। তাদের নিরাপত্তা দরকার।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: “মস্তানি নয়, দিনকাল খুব খারাপ”! ‘ছাত্র’দের সতর্কবার্তা বিচারপতির 

    Justice Abhijit Gangopadhyay: “মস্তানি নয়, দিনকাল খুব খারাপ”! ‘ছাত্র’দের সতর্কবার্তা বিচারপতির 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের (Jogesh Chandra Chaudhuri Law College) বিতর্কিত পাঁচ প্রাক্তন ছাত্রকে সতর্ক করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কলেজের প্রাক্তন ছাত্রদের বিরুদ্ধে হুমকি আর দাদাগিরির অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। শুনানির জন্য সেই মামলা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ওঠে। মামলাটি শোনার পর ওই ছাত্রদের হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি।

    কী বললেন বিচারপতি

    অভিযুক্ত ছাত্রদের বিরুদ্ধে শুনানি পর্বে বিচারপতি বলেন, ‘‘মস্তানি নয়! দিন কাল খুব খারাপ।’’ পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের কমিশনার এবং চারুমার্কেট থানাকে আদালত নির্দেশ দেয়, ‘‘অভিযুক্তদের আদালতে নিয়ে আসুন। তাদের যেন আগামী ছ’মাস কলেজ চত্বরের ত্রিসীমানায় না দেখা যায়।’’ বিচারপতি জানান পুলিশকেই এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এর পর ছাত্রদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘বাড়িতে যদি না থাকতে পারেন, তবে আমি অন্য কোথাও পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারি। আপনারা কি তা-ই চান?’’ যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী কলেজের পাঁচ প্রাক্তন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে এই মামলাটি করেছিলেন যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল’কলেজের এক প্রাক্তন পড়ুয়া। বিচারপতি অবশ্য মামলাকারীকেও নির্দেশ দিয়েছেন আগামী ছ’মাস কলেজ চত্বরে না আসার। তিনি বলেন, ‘‘আপনাকেও যেন দেখা না যায়। পুলিশ এটা নিশ্চিত করবে।’’এই মামলায় কলেজের কাছে একটি খাবারের দোকানের উপরেও পুলিশকে নজর রাখতে বলেন বিচারপতি।

    অধ্যক্ষ ও এক অধ্যাপককে অপসারণের নির্দেশ

    ইউজিসি-র নির্ধারিত যোগ্যতা না থাকায় গত সপ্তাহে যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের অধ্যক্ষ সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েঙ্কা সহ আরও এক অধ্যাপক অচিনা কুণ্ডুকে অপসারণের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি তাঁর অফিসে তালা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য স্পেশাল অফিসার নিযুক্ত করে আদালত। রাতে আদালতের নির্দেশমতো কলেজের অধ্যক্ষের বন্ধ ঘরের তালা গালা দিয়ে সিল করে দেওয়া হয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন সুনন্দা। এদিন সেই মামলার শুনানি ছিল।

    আরও পড়ুুন: নিজ্জর খুনে হাত রয়েছে বেজিংয়ের! দাবি চিনা বংশোদ্ভূত ইউটিউবারের

    গত সপ্তাহে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় বলেন, “ইউজিসি-র নির্ধারিত যোগ্যতা সুনন্দা গোয়েনকা ও অচিনা কুণ্ডু নেই। সেই কারণেই অপসারণের নির্দেশ। তবে তাঁরা যোগ্যতা সম্পর্কে আদালতকে সন্তুষ্ট করতে পারলে তাঁদের পুনর্বহাল করা হবে।’’ যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল’ কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে মানিক ভট্টাচার্যের নিয়োগ নিয়ে আদালতে একটি মামলা হয়। সেখানে অভিযোগ করা হয়, উপযুক্ত যোগ্যতা না থাকা সত্বেও বেশ কিছু অধ্যাপক নিযুক্ত করেছেন মানিক ভট্টাচার্য। মানিক ভট্টাচার্য নিযুক্ত অধ্য়াপকরা বেশ কিছু দুষ্কৃতীকে নিজেদের স্বার্থে প্রশয় দিচ্ছে। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “রাজভবনের সামনে ধর্না হলে নব মহাকরণের সামনে কেন নয়?”, প্রশ্ন আদালতের

    Calcutta High Court: “রাজভবনের সামনে ধর্না হলে নব মহাকরণের সামনে কেন নয়?”, প্রশ্ন আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজভবনের সামনে ধর্না কর্মসূচি চললে নব মহাকরণের সামনে ধর্নায় আপত্তি কেন? প্রশ্ন তুলল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। নব মহাকরণের সামনে রাজ্যের আপত্তি কেন, তা নিয়েও রাজ্যকে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছে আদালতে।

    হাইকোর্টের প্রশ্ন

    বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে নব মহাকরণের সামনে ধর্নায় বসতে চান শ্রম দফতরের অস্থায়ী কর্মীরা। পুলিশের অনুমতি না মেলায় আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা। সেই মামলায় সরকারি আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতির প্রশ্ন, “রাজভবনের সামনে জমায়েত হলে নব মহাকরণের সামনে কেন নয়?” ১৬ অক্টোবরের মধ্যে এ ব্যাপারে রাজ্যকে হলফনামা জমা দিতে বলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

    শুনানিতে রাজভবনের প্রসঙ্গ

    প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারি মাসে শহিদ মিনার চত্বরে অবস্থানে বসতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল শ্রম দফতরের অস্থায়ী কর্মীদের সংগঠন। সেই আবেদন সাড়া দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। পরে আর আবেদনে সাড়া দেয়নি আদালত। ফের অবস্থানে বসতে গেলে নতুন করে মামলা করতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মতো নতুন করে মামলা করা হয় সংগঠনের তরফে। সেই মামলার শুনানিতেই রাজভবনের প্রসঙ্গ তোলেন বিচারপতি সেনগুপ্ত (Calcutta High Court)।

    ৫ অক্টোবর থেকে রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসেছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই রাজভবন চত্বর রাজ্যের অন্যতম হাই সিকিউরিটি জোন। এখানে সব সময়ই জারি থাকে ১৪৪ ধারা। তা সত্ত্বেও কীভাবে রাজভবনের সামনে তৃণমূল ধর্নায় বসেছে, সে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজভবনের সামনে ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও কীভাবে মঞ্চ বেঁধে ধর্না চলছে, সে প্রশ্নের উত্তর চেয়ে রাজ্যকে চিঠি দেওয়া হয়েছে রাজভবনের তরফে। 

    আরও পড়ুুন: চলছে হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধ, উড়ে আসছে রকেট, আতঙ্কে ভারতীয় পড়ুয়ারা

    তার পরেও চলছে তৃণমূলের ধর্না। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনা ও একশো দিনের প্রকল্পের টাকা দিল্লি থেকে আদায় করতে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই কারণেই চলছে ধর্না। তৃণমূল যেদিন রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসেছিল, সেদিন রাজভবনে ছিলেন না তিনি। রাজ্যপাল গিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে। পরে কলকাতায় ফিরে আজ, সোমবার অভিষেকের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি (Calcutta High Court) দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share