Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Sujay Krishna Bhadra: কণ্ঠস্বরের নমুনা মেলেনি ‘কালীঘাটের কাকু’র, আদালতে যাচ্ছে ইডি!

    Sujay Krishna Bhadra: কণ্ঠস্বরের নমুনা মেলেনি ‘কালীঘাটের কাকু’র, আদালতে যাচ্ছে ইডি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা পেলে জাল গুটিয়ে আনা যেত তদন্তের। যদিও একাধিকবার চেয়েও মেলেনি তাঁর (Sujay Krishna Bhadra) কণ্ঠস্বরের নমুনা। এসএসকেএমে চিকিৎসা চলছে তাঁর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তিনি কণ্ঠস্বরের নমুনা দিতে পারবেন কিনা, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে মেডিক্যাল বোর্ড। তাই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা পেতে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছে ইডি।

    নমুনা সংগ্রহ করার অনুমতি দিয়েছিল আদালত

    সুজয়ের কণ্ঠস্বরের নমুনা কবে নাগাদ মিলবে, তাও জানতে চেয়েছিলেন ইডির কর্তারা। তবে এখনও তার কোনও সদুত্তর মেলেনি। সুজয়ের কণ্ঠস্বরের নমুনা পেতে কেন এত দেরি হচ্ছে, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছেন সুজয়। একটি অডিওর কণ্ঠস্বর তাঁর গলার স্বরের মতো লাগছে ইডির তদন্তকারীদের। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে ফেলতে বলছেন তিনি। ইডি আদালতে এ কথা জানানোর পর সুজয়ের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করার অনুমতি দিয়েছিল আদালত। বিচারক জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনে হাসপাতাল থেকেই নমুনা সংগ্রহ করতে পারবেন তদন্তকারীরা। তবে তা করতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই।

    কী দাবি করল ইডি?

    এর পর থেকেই (Sujay Krishna Bhadra) ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের চেষ্টা করছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার দাবি, তারা যখন হাসপাতালে গিয়েছিল, তখন হাসপাতালের তরফে বলা হয়েছিল, তিনি (সুজয়) মানসিকভাবে সুস্থ নন। জানা গিয়েছে, দিন তিনেক আগে ফের একবার ইডির আধিকারিকরা এসএসকেএম হাসপাতালকে সুজয়ের কণ্ঠস্বরের নমুনার জন্য চিঠি লেখেন। চিঠিতে দ্রুত একটা তারিখও দিতে বলা হয়। সূত্রের খবর, ইডির সেই চিঠির জবাব দিয়েছেন এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানিয়েছেন, একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সেই মেডিকেল বোর্ড পরীক্ষা করে ঠিক করবে, কোন দিন সুজয়ের গলার স্বরের নমুনা নেওয়া সম্ভব হবে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সুজয়ের কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে তাঁর শারীরিক অবস্থাকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে ইডিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এটা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা। সূত্রের খবর, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা না (Sujay Krishna Bhadra) করলে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে ইডি।

    আরও পড়ুুন: “জালিয়াত সাংসদ জেলে যান”, নাম না করে মহুয়াকে নিশানা শুভেন্দুর

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা হাইকোর্টেই! দু’মাসেই শেষ করতে হবে তদন্ত, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    SSC Scam: নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা হাইকোর্টেই! দু’মাসেই শেষ করতে হবে তদন্ত, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত রাজ্যের সমস্ত মামলা কলকাতা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিল শীর্ষ আদালত। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, এই সংক্রান্ত সমস্ত তদন্ত সিবিআই এবং ইডিকে দু’মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। এদিন নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট নির্দেশ দেয়। 

    কী বলল শীর্ষ আদালত

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর আগামী ৩ মাসের মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিভিন্ন মামলায় চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। ওই মামলাতেই এদিন এই নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত যে সব মামলা এতদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন ছিল, সেগুলিকেও কলকাতা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই মামলার শুনানিও আগামী ছ’মাসে শেষ করতে হবে।

    আরও পড়ুন: মহুয়াকে লোকসভা থেকে বহিষ্কারে সায় এথিক্স কমিটির! পক্ষে থাকলেন মাত্র ৪ জন

    প্রসঙ্গত, এসএসসি সংক্রান্ত অনেকগুলি মামলা চলছিল সুপ্রিম কোর্টে। এই নিয়ে এর আগে একবার বিরক্তিও প্রকাশ করেছিল বিচারপতি বোস এবং বিচারপতি ত্রিবেদীর বেঞ্চ। বিচারপতিদ্বয় বলেছিলেন, ‘‘২০১৪, ২০১৬, ২০১৭ সাল-সহ বিভিন্ন বছরের আলাদা আলাদা বিষয় নিয়ে মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এতগুলি মামলার মধ্যে কোনটা আগে শুনব?’’ আদালত সূত্রের খবর, নবম, দশম, একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতির তদন্তে এখনও পর্যন্ত কী কী পাওয়া গিয়েছে, তা এদিন আদালতকে জানায় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে এ বিষয়ে এদিন আদালতে চারটি রিপোর্টও জমা দেওয়া হয়। এরপরই এসএসসি মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআইকে বিশেষ নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট বলে, তাদেরও এসএসসি সংক্রান্ত বাকি থাকা সমস্ত তদন্ত দু’মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Ganguly: “উর্দির সম্মানরক্ষা করুন”, শুভেন্দুর দাদার মামলায় পুলিশকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Justice Abhijit Ganguly: “উর্দির সম্মানরক্ষা করুন”, শুভেন্দুর দাদার মামলায় পুলিশকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দাসের মতো কাজ করেছে পুলিশ।” বুধবার এমনই পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর দাদা কৃষ্ণেন্দুকে পুলিশ যে নোটিশ পাঠিয়েছিল, তাও খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

    কৃষ্ণেন্দুকে তলব

    মেচেদা-দিঘা বাইপাসে বাতিস্তম্ভের সৌন্দর্যায়ন মিশনে দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় সাক্ষী হিসেবে নোটিশ পাঠানো হয় কৃষ্ণেন্দু অধিকারীকে। তিনি শিশির অধিকারীর বড় ছেলে। রাজনীতি করেন না। করেন ব্যবসা। এই কৃষ্ণেন্দুর পাশাপাশি শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দুর স্ত্রী সুতপাকেও নোটিশ পাঠায় পুলিশ। দিব্যেন্দু তমলুকের সাংসদ। বুধবার মামলাটি ওঠে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। এই মামলার শুনানিতেই পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করা হয়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই মামলায় পুলিশ ঠিক কাজ করেনি।

    এসডিপিওর জরিমানা ৫ লক্ষ টাকা

    এগরার এসডিপিওকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানাও করে আদালত। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) মন্তব্য, “উর্দিতে যে অশোকস্তম্ভ রয়েছে, তার সম্মানরক্ষা করেননি এসডিপিও। দাসের মতো কাজ করেছে পুলিশ।” তিনি জানান, আদালতের নির্দেশ ছাড়া সংশ্লিষ্ট মামলায় কৃষ্ণেন্দুকে আর কোনও নোটিশ পাঠাতে পারবে না পুলিশ। তিনি বলেন, “যদি পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করে, তার বিরুদ্ধে আমি পদক্ষেপ করব।”

    বছর কয়েক আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু। তিনি যতদিন ঘাসফুল শিবিরে ছিলেন, ততদিন কোনও অভিযোগ ওঠেনি। ধারাবাহিক অভিযোগ উঠতে শুরু করে শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু গোহারান হারান খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তার পরেই বাড়তে থাকে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে অভিযোগের মাত্রা। বিজেপির অভিযোগ, এর পরেই অধিকারী পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করা হয়।

    আরও পড়ুুন: রামমূর্তির অধিষ্ঠান হবে সোনার প্রলেপ দেওয়া সিংহাসনে, তৈরি হচ্ছে রাজস্থানে

    এমনই একটি মামলা হল, ‘গ্রিন সিটি মিশন’ প্রকল্পে দুর্নীতি। ২০১৭-১৮ সালে গ্রিন সিটি মিশনে মেচেদা-দিঘা বাইপাসে বাতিস্তম্ভের সৌন্দর্যায়নের সিদ্ধান্ত নেয় কাঁথি পুরসভা। এই মিশনে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। প্রায় তিন কোটি টাকা তছরুপ হয়েছে বলে অভিযোগ। এই মামলায় সাক্ষী হিসেবে তলব করা হয় কৃষ্ণেন্দুকে। ২০১১ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত আয়করের ফাইলও চেয়ে পাঠানো হয় তাঁর কাছে (Justice Abhijit Ganguly)। তলব করা হয় দিব্যেন্দুর স্ত্রীকেও। দুজনকেই ১৬০ এর নোটিশ পাঠান কাঁথি থানার তদন্তকারী আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: পুজোর আগেই সুখবর! কাউন্সেলিং শুরু হচ্ছে উচ্চ প্রাথমিকে, নিয়োগ কবে?

    Calcutta High Court: পুজোর আগেই সুখবর! কাউন্সেলিং শুরু হচ্ছে উচ্চ প্রাথমিকে, নিয়োগ কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগেই সুখবর পেতে চলেছেন উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থী শিক্ষকরা! মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের নিয়োগের কাউন্সেলিং শুরু করতে বলেছে। আদালত এও জানিয়েছে, কাউন্সেলিং শুরু হলেও এখনই হচ্ছে না নিয়োগ। এদিন বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, স্কুল সার্ভিস কমিশন এই ১৪ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের জন্য কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু করে দিতে পারবে। তবে আদালতের নির্দেশ ছাড়া কাউকে নিয়োগ করা যাবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

    বন্ধ ছিল কাউন্সেলিং

    উচ্চ প্রাথমিকের একটি মেধাতালিকায় নিয়োগের ব্যাপারে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। এই তালিকায় প্রার্থী রয়েছেন ৯ হাজার। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার জেরে কাউন্সেলিং বন্ধ ছিল এঁদের। এসএসসি এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার ব্যাপারে দ্বারস্থ হয়েছিল হাইকোর্টে। তখনই আদালত জানিয়ে দেয়, কাউন্সেলিং শুরু করা গেলেও, নিয়োগ হবে আদালত নির্দেশ দিলে।

    এসএসসিকে প্যানেল তৈরির গাইডলাইন

    ২০১৬ সালে একটি প্যানেল তৈরি হয়েছিল উচ্চ প্রাথমিকে। সেই প্যানেলে অস্বচ্ছতা রয়েছে বলে দাবি করা হয়। তার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে মামলা হয় ২০২০ সালে। ১১ ডিসেম্বর বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য স্থগিতাদেশ দেন নিয়োগে। পরে মামলাটি ওঠে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় অভিযুক্তদের বক্তব্য শোনার নির্দেশ দেন এসএসসিকে। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় এসএসসি। এর পরেই এসএসসিকে প্যানেল তৈরির গাইডলাইন ঠিক করে দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুুন: রেশন কেলেঙ্কারিতে ধৃত বাকিবুরের সম্পত্তির পরিমাণ জানেন? বোমা ফাটালেন শুভেন্দু

    প্যানেল তৈরির পর এসএসসি হাইকোর্টে জানায়, আদালতের নির্দেশ মেনেই প্যানেল তৈরি করা হয়েছে। এবার মামলাটি যায় বিচারপতি সৌমেন সেনের বেঞ্চে। সেই মামলায়ই মঙ্গলবার বিচারপতি সৌমেন সেনের বেঞ্চের (Calcutta High Court) নির্দেশ, তাদের তৈরি প্যানেল অনুযায়ী কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে এসএসসি। তবে আদালতের নির্দেশ ছাড়া নিয়োগ করতে পারবে না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর দেওয়া হবে পরবর্তী নির্দেশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ বেলেঘাটার নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে     

    Calcutta High Court: এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ বেলেঘাটার নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’ বছর আগে খুন হয়েছিলেন বেলেঘাটার বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। ওই ঘটনায় এবার অভিজিতের মা ও ভাইয়ের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। দীর্ঘদিন ধরে নিহত অভিজিতের মা ও ভাই নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয় পুলিশকে।

    বিচারপতি সেনগুপ্তর নির্দেশ

    অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় নিরাপত্তা দিতে গিয়েছিলেন পুলিশকর্মী। অভিজিৎ খুনে যাঁরা জেলবন্দি, তাঁদের পরিবারের লোকজন অভিজিতের বাড়িতে হামলা চালায় বলেও অভিযোগ। এই ইস্যুতে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। তার পরেই সোমবার ওই পরিবারকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। নির্দেশে তিনি বলেন, “এই খুনের ঘটনার মূল সাক্ষী দু’জন। মৃতের মা ও ভাই। আগেও দু’বার তাঁদের হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তিন সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। যতদিন না সেটা হচ্ছে, ততদিন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে নারকেলডাঙা থানা।”

    সিসিটিভির ফুটেজ

    আগে হাইকোর্টের নির্দেশেই পুলিশি নিরাপত্তা পেয়েছিল সরকার পরিবার। অভিযোগ, যিনি নিরাপত্তা দিতে আসতেন, তিনি মদ্যপ অবস্থায় ডিউটি করতে আসতেন। কখনও আবার পুলিশের উর্দি নয়, নিরাপত্তা যিনি দিতে আসতেন, তাঁর গায়ে থাকত সাধারণ পোশাক। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করতে সিসিটিভির ফুটেজও জমা দেন অভিজিতের ভাই। অভিযোগ পেয়ে বিভাগীয় তদন্ত করে পুলিশ। হাইকোর্ট (Calcutta High Court) দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ।

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েতে আদালত অবমাননা কমিশনের! সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল শুভেন্দুর

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয় তৃণমূল। এর পরেই কার্যত তাণ্ডব শুরু করে ঘাসফুল শিবিরের করিৎকর্মা কর্মীরা। বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালায় তারা। অভিযোগ, এহেন আবহে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন বেলেঘাটার বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। তার পর থেকে ন্যায় বিচারের দাবিতে আদালতে আইনি লড়াই চালাচ্ছে তাঁর পরিবার। ক্ষতিপূরণের দাবিতে হাইকোর্টে মামলাও হয়েছে। তার পরেও মাঝে মধ্যেই সরকার পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। অভিজিৎ খুনের পরপরই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি নেতারা নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব হন। তার পরেই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে রাজ্য পুলিশের হাত থেকে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • ED: ১০ ঘণ্টা পর ইডি দফতর থেকে বের হলেন অভিষেকের আপ্তসহায়ক, কী তথ্য দিয়ে এলেন?

    ED: ১০ ঘণ্টা পর ইডি দফতর থেকে বের হলেন অভিষেকের আপ্তসহায়ক, কী তথ্য দিয়ে এলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ, তারপর ইডি (ED) দফতর থেকে বের হতে দেখা গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়ক সুমিত রায়কে। সোমবার দুপুর বারোটা নাগাদ ইডি দফতরে পৌঁছেছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের আপ্ত সহায়ক। রাত দশটার কিছু আগে বের হন তিনি। তবে এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি সুমিত রায়। তবে তাঁকে কি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে? সে সংক্রান্ত প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হলে সুমিতের জবাব ‘‘এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’’

    আদালতে সুমিতের আর্জি খারিজ 

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলা ছাড়া এর আগে কয়লা পাচারকাণ্ডেও সুমিতের নাম উঠে এসেছিল বলে খবর। জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন কিনা! নিয়োগের জন্য কেউ তাঁর দ্বারস্থ হয়েছিল কিনা! এ সমস্ত কিছুই জানতে চেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সুমিতের বয়ান আপাতত খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ইডি (ED)
     নোটিশ পাওয়ার পর গত শুক্রবারই উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেকের আপ্ত সহায়ক। তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ না করার আর্জি ছিল সুমিতের। তবে এই আর্জি আদালতে খারিজ হয়ে যায়। কলকাতা হাইকোর্ট জানায়, ভবিষ্যতে যদি কড়া পদক্ষেপ করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তখন আদালতে তিনি আসতে পারেন।

    লিপস এন্ড বাউন্সের কর্মী ছিলেন সুমিত

    জানা গিয়েছে, লিপস এন্ড বাউন্স সংস্থার কর্মী হিসেবেই এক সময় কাজ করতেন সুমিত। সেখানে ইডির উদ্ধার করা এক হাজার পাতার নথি সূত্র ধরেই সুমিতকে প্রশ্ন করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। লিপস এন্ড বাউন্স সংস্থায় তাঁকে কে নিয়োগ করেছিলেন! সেখানে কী ভূমিকা ছিল সুমিতের! কী কাজ তিনি করতেন সেখানে! এ সমস্ত কিছুই জানতে চাওয়া হয়েছে তাঁর কাছে। প্রসঙ্গত, লিপস এন্ড বাউন্স সংস্থা থেকে উদ্ধার হওয়া নথির ভিত্তিতে ডেকে পাঠানো হয় অভিষেকের স্ত্রী রুজিরাকেও। গত বুধবারই তিনি হাজিরা দেন। এর পাশাপাশি তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ডাকা হয়েছিল ইডি দফতরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: তদন্ত করতে পারবেন ইডির অপসারিত অধিকর্তা মিথিলেশ, নির্দেশ বিচারপতি সিনহারই

    Calcutta High Court: তদন্ত করতে পারবেন ইডির অপসারিত অধিকর্তা মিথিলেশ, নির্দেশ বিচারপতি সিনহারই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডির অপসারিত অধিকর্তা মিথিলেশকুমার মিশ্রকেই রাজ্যের সব তদন্তে ফেরালেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা। নিয়োগ সহ রাজ্যের সব মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনিই। শুক্রবার রুদ্ধদ্বার শুনানির পর ফেরানো হয় মিথিলেশকুমারকে।

    অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি সিনহা

    ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংক্রান্ত তদন্তের রিপোর্ট দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি সিনহা। সংস্থার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। প্রশ্ন তুলেছিলেন তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়েও। মিথিলেশকুমারকে সেই সময় হাইকোর্টে তলব করেছিলেন বিচারপতি সিনহা। বিচারপতি সিনহা তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, “আপনি কি তদন্ত থেকে অব্যাহতি চান?” কেন তিনি মিথিলেশের কাজে সন্তুষ্ট নন, সেই ব্যাখ্যাও সেদিন দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা।

    বিচারপতি সিনহার নির্দেশ

    সেদিনই ইডিকে বিচারপতি সিনহার নির্দেশ ছিল, রাজ্যের সব মামলা থেকে যেন সরিয়ে দেওয়া হয় ইডির সহকারী অধিকর্তাকে। যদিও মিথিলেশ আর্জি জানিয়েছিলেন, নিয়োগ মামলার তদন্ত থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হলেও, রাজ্যের অন্য মামলাগুলির দায়িত্ব থেকে যেন তাঁকে সরানো না হয়। বিচারপতি সিনহা (Calcutta High Court) বলেছিলেন, “আপনি তদন্ত করতে সক্ষমই নন, অন্য কোথাও গিয়ে ভাল কাজ করুন।”

    আরও পড়ুুন: রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি হাইকোর্টের

    তার পরেই সরানো হয়েছিল মিথিলেশকুমারকে। ২০২২ সাল থেকে নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তাঁর অধীনেই যখন তদন্ত চলছিল, তখনই গ্রেফতার হন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, নাকাশিপাড়ার বিধায়ক তৃণমূলের মানিক ভট্টাচার্য সহ বেশ কয়েকজন। মিথিলেশের বিরুদ্ধে বিচারপতি সিনহার দেওয়া নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করতে হাইকোর্টে আবেদন করে ইডি। তার প্রেক্ষিতেই এদিন হয় রুদ্ধদ্বার শুনানি। দিল্লি থেকে ভার্চুয়ালি এই শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন ইডির জয়েন্ট ডিরেক্টর। তিনি জানান, মিথিলেশ দক্ষ অফাসার। তিনি সঠিকভাবে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।

    এর পরেই আগের নির্দেশ প্রত্যাহার করে বিচারপতি (Calcutta High Court) সিনহা জানান, নিয়োগ দুর্নীতি সহ সব মামলার তদন্তে ফিরলেন মিথিলেশকুমার মিশ্র। পশ্চিমবঙ্গের যে কোনও মামলার তদন্ত করতে পারবেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে নির্দেশনামায় যে পর্যবেক্ষণ ছিল, তাও প্রত্যাহার করে নেওয়া হল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশের অর্থ আদালতে হাজির হতে হবে রাজীব সিনহাকে। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, আদালতের নির্দেশ অবমাননা করা হয়েছে। অবমাননার আইন অনুযায়ী, রুল জারি করার নির্দেশ রয়েছে। ২৪ নভেম্বর আদালতে এসে উত্তর দিতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীবকে।

    মামলা দায়ের করেছিলেন শুভেন্দু 

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর করা এই মামলায় এই রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। শুভেন্দুর আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী জানান, রুল জারি হওয়ায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে সশরীরে আদালতে এসে জবাবদিহি করতে হবে। জানাতে হবে, কেন তিনি আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছেন।

    কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার আবেদন

    চলতি বছরই রাজ্যে হয় ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার আবেদন জানিয়ে ডিসেম্বর মাসে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন শুভেন্দু। অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির নজরদারিতে পঞ্চায়েত নির্বাচন করানোর আর্জিও জানিয়েছিলেন তিনি। পরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে পঞ্চায়েত নির্বাচন করানোর নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানায়, হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তা কার্যকর করা সম্ভব নয়। কারণ নির্বাচনে নিরাপত্তার বিষয়টি দেখে রাজ্য। তাই রাজ্যকে এই অনুরোধ করা তাদের কাজ নয়।

    আরও পড়ুুন: ‘‘অন্তঃসত্ত্বার পেট ফালা ফালা করা, পাশে পড়ে গর্ভস্থ শিশু’’! প্রকাশ্যে হামাস জঙ্গিদের বর্বরোচিত হামলা

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও, আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশ কার্যকর করেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাই আদালত অবমাননা হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, কমিশন যে হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর করেনি, তা সংবাদপত্র মারফৎ জানতে পেরেছেন তিনিও।

    শুভেন্দুর দায়ের করা সেই মামলায়ই এবার রুল জারি করল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, এবার রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে রক্তাক্ত। মনোনয়নপত্র পেশ-পর্ব থেকেই শুরু হয়েছিল হিংসা। যার জেরে এবার ভোটের বলি হন ৫৪ জন। এঁদের মধ্যে একজন ভোটারও রয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: টেট পাশের নথি দেখাতে পারেননি! ৯৪ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের 

    Recruitment Scam: টেট পাশের নথি দেখাতে পারেননি! ৯৪ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবৈধভাবে নিয়োগ (Recruitment Scam) হওয়া ৯৪ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল কলকাতা হাইকোর্ট। তার পরিবর্তে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের উচ্চ আদালত। একই সঙ্গে ২০১৬ এবং ২০২০ সালের টেটের মেধা তালিকা নম্বর সহ প্রকাশ করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অতা সিনহা। ওই মেধা তালিকা ৩ নভেম্বরের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে।  

    আদালতের নির্দেশ

    মঙ্গলবার প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলার শুনানি হয় বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। আদালতের নির্দেশেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কোর্টে জানায় যে, ৯৬ জনকে নথি যাচাইয়ের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তার মধ্যে ৯৪ জন টেট পাশের প্রমাণ দেখাতে পারেননি। এদিন মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডকে (ডব্লিউবিবিপিই) ভবিষ্যতে নিয়োগের পদ্ধতিতে যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও চাকরি দেওয়া হয়নি এমন প্রার্থীদের একটি সুযোগ দেওয়ার কথা বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতি সিনহা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে বলেন, ‘এই প্রার্থীরা বেকার। তাঁরা মনে করেন যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও নিয়োগ না পেয়ে তাঁদের সঙ্গে প্রতারিত করা হয়েছে। তাই আপনাদের অবশ্যই তাঁদের বিষয়টি সহানুভূতির সাথে বিবেচনা করা উচিত।’

    রাজপথে বিক্ষোভ

    এদিনই ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণরা আজ কলকাতার রাজপথে বিক্ষোভ করেন। তাঁদের অভিযোগ, ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণদের ইন্টারভিউ না নিয়ে নতুন টেট ঘোষণা করা হয়েছে। আগে তাঁদের নিয়োগ করতে হবে। এই দাবিতে প্রার্থীরা এপিসি ভবনের দিকে গেলে পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। এ নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়।

    আরও পড়ুন: কামদুনিকাণ্ডের শেষ দেখতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ টুম্পা-মৌসুমীরা, ফের নিশানা রাজ্যকে

    অভিষেকের নথি প্রসঙ্গ

    এদিন বিচারপতি সিনহার এজলাসে নজর ছিল অভিষেকের নথি জমার দিকেও। ইডি-র কাছে নথি জমা দেওয়ার জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। নির্দেশ ছিল, যে ভাবে হোক এই দিনের মধ্যেই নিজের এবং দুর্নীতিতে নাম জড়ানো বেসরকারি সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের লেনদেন সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য ও নথি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির কাছে জমা দিতে হবে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে। কিন্তু মঙ্গলবার বিকেলে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে ইডি-র আইনজীবী দাবি করেন, নথির কোনও প্রতিলিপি (হার্ড কপি) তাঁরা পাননি। তবে ই-মেল মারফত নথি (সফ্‌ট কপি) পাঠানো হয়েছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি। উল্টো দিকে, অভিষেকের আইনজীবী সঞ্জয় বসুর দাবি, এ দিন সন্ধ্যাতেই রিপোর্ট জমা পড়েছে ইডি-র কাছে। এ দিন ইডি এবং সিবিআই, দুই তদন্তকারী সংস্থাই মুখবন্ধ খামে  তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দিয়েছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: মিথিলেশের জায়গায় মুকেশ! এসেই কাজ শুরু ইডির নয়া অফিসারের

    ED: মিথিলেশের জায়গায় মুকেশ! এসেই কাজ শুরু ইডির নয়া অফিসারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে ইডির নয়া তদন্তকারী আধিকারিক কাজ শুরু করলেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুনানির সময়ে মিথিলেশ কুমারকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তাঁর বদলেই এলেন ইডি-র নতুন তদন্তকারী অফিসার অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর মুকেশ কুমার।  ইতিমধ্যেই দায়িত্বগ্রহণ করেছেন তিনি। কোন পথে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত এগোবে সেই নিয়ে তদন্তকারী অফিসারদের পাশাপাশি দিল্লি-র সদর দফতরের আধিকারিকদের সাথেও তিনি কথা বলেছেন।

    কেন নতুন আধিকারিক

    সম্প্রতি প্রাথমিক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় ইডি-র তদন্তকারী অফিসার মিথিলেশ কুমারকে ভর্ৎসনা করেছিলেন বিচারপতি সিনহা। শুনানিতে একাধিক কড়া মন্তব্য করেন বিচারপতি। ইডি-র আধিকারিককে বিচারপতি সিনহার প্রশ্ন ছিল, এই ধরনের তদন্ত করার জন্য কি আদৌ প্রশিক্ষণ রয়েছে তাঁর? তিনি কি আসলে এই তদন্ত থেকে অব্যহতি চাইছেন? বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, ইডি কর্তা মিথিলেশ কুমারের নেতৃত্বে এতদিন ধরে তদন্ত স্লথ গতিতে চলেছে। এরপরই যত দ্রুত সম্ভব তার বদলে নতুন অফিসার নিয়োগ করার জন্য ইডির ডিরেক্টরকে নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। ৩ অক্টোবর এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় উপযুক্ত অফিসারকে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। তাঁর নির্দেশের পরই ইডির নতুন তদন্তকারী অফিসার মুকেশ কুমার দায়িত্বে এসেছেন।  

    আরও পড়ুুন: নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াই! কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যায় জড়িত ২ লস্কর জঙ্গি খতম

    তদন্ত দ্রুত সম্পন্ন করাই লক্ষ্য

    সূত্রের খবর, মুকেশ কুমার ছাড়া আরও একজন তদন্তকারী অফিসারকে এই মামলার সঙ্গে যুক্ত করা হবে। যিনি মুকেশের সহযোগী হিসাবে কাজ করবেন। তবে সেই প্রক্রিয়া এখনও সম্পন্ন হয়নি। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত কীভাবে দ্রুত সম্পন্ন করা যায়, তা নিয়ে মুকেশ কুমার বাকি অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেছেন। দিল্লি-র সদর দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গেও আলোচনা সেরেছেন। ইতিমধ্যেই এই মামলার কেস ডায়েরি হস্তান্তরিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, মুকেশ তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যে সক্রিয়তা দেখাচ্ছেন, তাতে অনেকেই অস্বস্তিতে পড়বেন। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share