Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Kamduni Case: আইনি সাহায্যের আশ্বাস শুভেন্দুর, আজ কামদুনিতে বিজেপির মহিলা মোর্চা

    Kamduni Case: আইনি সাহায্যের আশ্বাস শুভেন্দুর, আজ কামদুনিতে বিজেপির মহিলা মোর্চা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যায়ের দাবিতে আজ, মঙ্গলবার কামদুনি (Kamduni Case) যাচ্ছে বিজেপির মহিলা মোর্চা। কামদুনি কাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই নির্যাতিতা কলেজ ছাত্রীর পরিবার ও বান্ধবী মৌসুমী কয়াল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে এ বিষয়ে সাক্ষাৎ করেন।  সম্প্রতি কামদুনিতে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে তিনি জানান, সুষমা স্বরাজের মেয়ে বাঁশুরি স্বরাজ বিনা পয়সায় এই মামলা লড়বেন সুপ্রিম কোর্টে। 

    শুভেন্দুর সঙ্গে সাক্ষাত

    কামদুনিকাণ্ডে (Kamduni Case) রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার। তাদের সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন শুভেন্দু। এই বৈঠক প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা বলেন, ‘রাজ্য নাটক করছে। লোক দেখিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করছে আর এখানে ফাঁসির আসামীকে ছেড়ে দিচ্ছে। কামদুনির বোনের পরিবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করে সাহায্য চান। আইনি সহায়তা সহ সব সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই এই নিয়ে আরও বড় কর্মসূচি নিতে চলেছে বিজেপি।’

    শীর্ষ আদালতে ধাক্কা

    হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সিআইডি। কামদুনিকাণ্ডে (Kamduni Case) এখনই কলকাতা হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ করেছে শীর্ষ আদালত। সোমবার বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। বিচারপতি নোটিশ জারি করে। সব পক্ষের জবাব তলব করেছে শীর্ষ আদালত। সাতদিন বাদে সুপ্রিম কোর্ট কামদুনি কেসের পরবর্তী শুনানি।

    কামদুনির ঘটনা প্রবাহ 

    ২০১৩ সালে উত্তর ২৪ পরগনার কামদুনির (Kamduni Case) বুকে হওয়া এই ঘটনা গোটা রাজ্যে তোলাপাড় ফেলে দিয়েছিল। ৭ জুন দিনে দুপুরে এক কলেজ পড়ুয়াকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পরিত্যক্ত কারখানায় ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে খুন করা হয়। এই ঘটনায় নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত তিনজনের ফাঁসি ও তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে অভিযুক্তরা হাইকোর্টে যান। সেখানে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্তদের একজনকে বেকসুর খালাস করে দেয় আদালত। বাকি দু’জনের আমৃত্যু কারাবাস হয়। অন্যদিকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তিনজনের একজনকে বেকসুর খালাসের পাশাপাশি আরও দু’জনের সাজা রদ করা হয়। তারই প্রতিবাদে ফের গর্জে ওঠে কামদুনি। পুলিশ, সিআইডির ভুল রিপোর্টের কারণে এই রায় বলে দাবি করেন কামদুনির প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী কয়াল। 

    আরও পড়ুুন: “রাজভবনের সামনে ধর্না হলে নব মহাকরণের সামনে কেন নয়?”, প্রশ্ন আদালতের

    মামলা লড়বেন বাঁশুরি স্বরাজ

    নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে সম্প্রতি দেখা করতে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানেই সুকান্ত বলেন, “নির্যাতিতার মা চাইছেন ওনার মেয়ের সঙ্গে যে জঘন্য অপরাধ হয়েছে তার বিচার হোক। সেই বিচারের জন্য সুপ্রিম কোর্ট যেতে হবে। বিজেপির পক্ষ থেকে আমরা আশ্বস্ত করছি আইনজীবী দিয়ে সাহায্য করব। নাম করা আইনজীবী বাঁশুরি স্বরাজ রাজি হয়েছেন। তিনি বিনা পয়সায় এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে লড়বেন। তাছাড়া আমি বিরোধী দলনেতার সঙ্গে কথাও বলে এসেছি, রাজ্য সরকার ওনাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করলে আমরা আপাতত ২-৩টি বেসরকারি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করব। গ্রামবাসীদের উপর গুলি চলেছে, মার খেয়েছে। তাদের নিরাপত্তা দরকার।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: “মস্তানি নয়, দিনকাল খুব খারাপ”! ‘ছাত্র’দের সতর্কবার্তা বিচারপতির 

    Justice Abhijit Gangopadhyay: “মস্তানি নয়, দিনকাল খুব খারাপ”! ‘ছাত্র’দের সতর্কবার্তা বিচারপতির 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের (Jogesh Chandra Chaudhuri Law College) বিতর্কিত পাঁচ প্রাক্তন ছাত্রকে সতর্ক করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কলেজের প্রাক্তন ছাত্রদের বিরুদ্ধে হুমকি আর দাদাগিরির অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। শুনানির জন্য সেই মামলা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ওঠে। মামলাটি শোনার পর ওই ছাত্রদের হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি।

    কী বললেন বিচারপতি

    অভিযুক্ত ছাত্রদের বিরুদ্ধে শুনানি পর্বে বিচারপতি বলেন, ‘‘মস্তানি নয়! দিন কাল খুব খারাপ।’’ পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের কমিশনার এবং চারুমার্কেট থানাকে আদালত নির্দেশ দেয়, ‘‘অভিযুক্তদের আদালতে নিয়ে আসুন। তাদের যেন আগামী ছ’মাস কলেজ চত্বরের ত্রিসীমানায় না দেখা যায়।’’ বিচারপতি জানান পুলিশকেই এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এর পর ছাত্রদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘বাড়িতে যদি না থাকতে পারেন, তবে আমি অন্য কোথাও পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারি। আপনারা কি তা-ই চান?’’ যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী কলেজের পাঁচ প্রাক্তন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে এই মামলাটি করেছিলেন যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল’কলেজের এক প্রাক্তন পড়ুয়া। বিচারপতি অবশ্য মামলাকারীকেও নির্দেশ দিয়েছেন আগামী ছ’মাস কলেজ চত্বরে না আসার। তিনি বলেন, ‘‘আপনাকেও যেন দেখা না যায়। পুলিশ এটা নিশ্চিত করবে।’’এই মামলায় কলেজের কাছে একটি খাবারের দোকানের উপরেও পুলিশকে নজর রাখতে বলেন বিচারপতি।

    অধ্যক্ষ ও এক অধ্যাপককে অপসারণের নির্দেশ

    ইউজিসি-র নির্ধারিত যোগ্যতা না থাকায় গত সপ্তাহে যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের অধ্যক্ষ সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েঙ্কা সহ আরও এক অধ্যাপক অচিনা কুণ্ডুকে অপসারণের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি তাঁর অফিসে তালা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য স্পেশাল অফিসার নিযুক্ত করে আদালত। রাতে আদালতের নির্দেশমতো কলেজের অধ্যক্ষের বন্ধ ঘরের তালা গালা দিয়ে সিল করে দেওয়া হয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন সুনন্দা। এদিন সেই মামলার শুনানি ছিল।

    আরও পড়ুুন: নিজ্জর খুনে হাত রয়েছে বেজিংয়ের! দাবি চিনা বংশোদ্ভূত ইউটিউবারের

    গত সপ্তাহে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় বলেন, “ইউজিসি-র নির্ধারিত যোগ্যতা সুনন্দা গোয়েনকা ও অচিনা কুণ্ডু নেই। সেই কারণেই অপসারণের নির্দেশ। তবে তাঁরা যোগ্যতা সম্পর্কে আদালতকে সন্তুষ্ট করতে পারলে তাঁদের পুনর্বহাল করা হবে।’’ যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল’ কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে মানিক ভট্টাচার্যের নিয়োগ নিয়ে আদালতে একটি মামলা হয়। সেখানে অভিযোগ করা হয়, উপযুক্ত যোগ্যতা না থাকা সত্বেও বেশ কিছু অধ্যাপক নিযুক্ত করেছেন মানিক ভট্টাচার্য। মানিক ভট্টাচার্য নিযুক্ত অধ্য়াপকরা বেশ কিছু দুষ্কৃতীকে নিজেদের স্বার্থে প্রশয় দিচ্ছে। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “রাজভবনের সামনে ধর্না হলে নব মহাকরণের সামনে কেন নয়?”, প্রশ্ন আদালতের

    Calcutta High Court: “রাজভবনের সামনে ধর্না হলে নব মহাকরণের সামনে কেন নয়?”, প্রশ্ন আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজভবনের সামনে ধর্না কর্মসূচি চললে নব মহাকরণের সামনে ধর্নায় আপত্তি কেন? প্রশ্ন তুলল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। নব মহাকরণের সামনে রাজ্যের আপত্তি কেন, তা নিয়েও রাজ্যকে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছে আদালতে।

    হাইকোর্টের প্রশ্ন

    বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে নব মহাকরণের সামনে ধর্নায় বসতে চান শ্রম দফতরের অস্থায়ী কর্মীরা। পুলিশের অনুমতি না মেলায় আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা। সেই মামলায় সরকারি আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতির প্রশ্ন, “রাজভবনের সামনে জমায়েত হলে নব মহাকরণের সামনে কেন নয়?” ১৬ অক্টোবরের মধ্যে এ ব্যাপারে রাজ্যকে হলফনামা জমা দিতে বলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

    শুনানিতে রাজভবনের প্রসঙ্গ

    প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারি মাসে শহিদ মিনার চত্বরে অবস্থানে বসতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল শ্রম দফতরের অস্থায়ী কর্মীদের সংগঠন। সেই আবেদন সাড়া দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। পরে আর আবেদনে সাড়া দেয়নি আদালত। ফের অবস্থানে বসতে গেলে নতুন করে মামলা করতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মতো নতুন করে মামলা করা হয় সংগঠনের তরফে। সেই মামলার শুনানিতেই রাজভবনের প্রসঙ্গ তোলেন বিচারপতি সেনগুপ্ত (Calcutta High Court)।

    ৫ অক্টোবর থেকে রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসেছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই রাজভবন চত্বর রাজ্যের অন্যতম হাই সিকিউরিটি জোন। এখানে সব সময়ই জারি থাকে ১৪৪ ধারা। তা সত্ত্বেও কীভাবে রাজভবনের সামনে তৃণমূল ধর্নায় বসেছে, সে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজভবনের সামনে ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও কীভাবে মঞ্চ বেঁধে ধর্না চলছে, সে প্রশ্নের উত্তর চেয়ে রাজ্যকে চিঠি দেওয়া হয়েছে রাজভবনের তরফে। 

    আরও পড়ুুন: চলছে হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধ, উড়ে আসছে রকেট, আতঙ্কে ভারতীয় পড়ুয়ারা

    তার পরেও চলছে তৃণমূলের ধর্না। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনা ও একশো দিনের প্রকল্পের টাকা দিল্লি থেকে আদায় করতে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই কারণেই চলছে ধর্না। তৃণমূল যেদিন রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসেছিল, সেদিন রাজভবনে ছিলেন না তিনি। রাজ্যপাল গিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে। পরে কলকাতায় ফিরে আজ, সোমবার অভিষেকের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি (Calcutta High Court) দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: কামদুনির রায় ‘অপ্রত্যাশিত’, বললেন শুভেন্দু! ‘পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার প্রমাণ’, মত সুকান্তর

    Suvendu Adhikari: কামদুনির রায় ‘অপ্রত্যাশিত’, বললেন শুভেন্দু! ‘পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার প্রমাণ’, মত সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কামদুনি গণধর্ষণ ও খুনের (Kamduni Gang Rape) মামলায় নির্যাতিতার পরিবারকে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ক্ষেত্রে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কামদুনিকাণ্ডে হাইকোর্টের রায় ‘সামগ্রিকভাবে প্রত্যাশিত নয়’, বলে জানালেন শুভেন্দু। নির্যাতিতার পরিবারের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে নিরাপত্তা দাবি করলেন তিনি।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের একজন নাগরিক হিসাবে এই রায়কে স্বাগত জানানোর কোনও প্রশ্ন নেই। এই রায় অপ্রত্যাশিত। আমি কামদুনির (Kamduni Gang Rape) বোনেদের বলব, রায়ের কপি তুলে তাদের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে তাঁরা যদি রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আইনি বা আর্থিক সাহায্য যদি চান, আমি সম্পূর্ণ তৈরি। অনেক প্রবীণ আইনজীবীর সঙ্গে আমার যোগাযোগ রয়েছে, অনুরোধ করলে তাঁরাও বিনা পারিশ্রমিকে এই মামলা লড়তে পারেন।’’ রাজ্য সরকারের কাছে বিরোধী দলনেতার অনুরোধ,  ‘‘অবিলম্বে নির্যাতিতার পরিবারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হোক। কারণ খালাস পেয়ে যাওয়ার পরে এই অপরাধীরা, বোনদের পরিবারের সার্বিক ক্ষতি করবে না, এই গ্য়ারান্টি কেউ দিতে পারে না। তাদের আচরণ কোনও সভ্য, সুস্থ মানুষের মতো নয়।’’

    আরও পড়ুন: সিকিম বিপর্যয়ের পর খোঁজ নেই তথ্য প্রযুক্তি কর্মী সহ তিন বন্ধুর, দুশ্চিন্তায় পরিবার

    সুকান্তর দাবি

    প্রসঙ্গত, কামদুনিকাণ্ডে (Kamduni Gang Rape) ‘লঘু দণ্ড’ দিয়েছে আদালত, বলে দাবি অভিজ্ঞ মহলের। নিম্ন আদালতে দোষীর ফাঁসির সাজা হয়েছিল, তাকে বেকসুর খালাস করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ফাঁসির বদলে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বাকি দু’জনকে। এই রায় প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, বিচারের নামে প্রহসন হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া অপরাধীর বিরুদ্ধে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ আদালতে পেশ করা পুলিশের কাজ। তা ঠিকমতো হয়নি। মহিলা মোর্চার তরফে আন্দোলনে নামার পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার চিন্তাভাবনার কথাও শোনান সুকান্ত।

    রায় নিয়ে বিরোধীদের মত 

    বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের বক্তব্য, দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তিই অনেকে চেয়েছিলেন। ফলে এই রায়ে সকলে খুশি হবেন না। শঙ্কর ঘোষ বলেন, “আদালতের রায় যেহেতু, এ নিয়ে কিছু না বলে শুধু বলতে চাই বিচার প্রক্রিয়া বিশেষ করে পুলিশি তদন্তের ক্ষেত্রে কোনও সক্রিয়তার অভাব রয়ে গিয়েছিল কি? যার কারণে আজকে এই ধরনের নৃশংস অপরাধ সংগঠিত করার পরও কেউ কেউ খালাস হচ্ছে? এটা মানুষের মনে নিশ্চিতভাবে প্রশ্ন তুলবে।”

    আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির কথায়, “পুলিশের এক প্রকার নিষ্ক্রিয়তার কারণেই এই রায়টা হল। তৃণমূল যে অভিযুক্তদের পক্ষে মিছিল করেছে, পুলিশের কি আর সাহস হবে তাদের বিরুদ্ধেই ঠিকমতো চার্জশিট গঠন করার, প্রমাণ ঠিকমতো দাখিল করার। পুলিশের ভিতরে ঢুকলে অনেক কিছুই বোঝা যায়। আমি তো ৪২ দিন জেলে ছিলাম। লকআপে থেকে অনেক জ্ঞানই অর্জন করেছি। পুলিশ চাইলে অনেক কিছুই করতে পারে।”

    বিস্ফোরক মৌসুমি-টুম্পা

    টুম্পা কয়াল বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত ১৪ জন আইনজীবী আমাদের মামলা থেকে সরে গিয়েছেন। তখনই আমরা আন্দাজ করেছিলাম এমন কিছু হবে। সরকার আমাদের কথা দিয়েছিল যে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে। একদিকে সরকার আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, অন্যদিকে দোষীদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছে। কারণ সরকারি আইনজীবী একের পর এক টাকা নিয়ে তাঁরা বিক্রি হয়ে গিয়েছেন।’

    চিৎকার করে মৌসুমী বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনি শুনতে পাচ্ছেন, আপনিই কামদুনি গিয়ে বলেছিলেন, ১৫ দিনে চার্জশিট আর ৩০ দিনে সাজা ঘোষণা, সরকারি উকিল এই মামলা লড়বে! রেপ কেসকে আপনি দরদাম করেছিলেন! কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে আপনার সেই রেটের দামের মূল্য আজকে দিতে হল! সরকারি উকিল, পুলিশ প্রশাসন সব টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়ে গেছে। বিচার দিতে পারলেন না আপনি!”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: মঙ্গলবারের মধ্যেই ইডির কাছে নথি দিতে হবে, অভিষেককে নির্দেশ হাইকোর্টের

    Abhishek Banerjee: মঙ্গলবারের মধ্যেই ইডির কাছে নথি দিতে হবে, অভিষেককে নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে গিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানেও হতাশ হতে হল তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee)। বৃহস্পতিবার ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ইডি যা যা নথি চেয়েছিল, তা তাঁকে জমা দিতে হবে। ওই নথি জমা দিতে হবে ১০ অক্টোবরের মধ্যেই। আদালত জানিয়ে দিয়েছে, অভিষেককে এক ঘণ্টাও অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে না। এর পাশাপাশি ইডিকে আদালত বলে, নথিতে সন্তুষ্ট না হলে তারা ফের অভিষেককে ডেকে পাঠাতে পারবে। তবে তলব করার আগে তাঁকে অন্তত ৪৮ ঘণ্টা সময় দিতে হবে।

    ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ

    এদিন ডিভিশন বেঞ্চ বলে, “আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে ইডির কাছে সব নথি দিতে হবে অভিষেককে। কোনও নথি জমা দিতে না পারলে ইডির সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। কিন্তু আদালত অভিষেককে এক ঘণ্টাও অতিরিক্ত সময় দেবে না। অভিষেকের জমা দেওয়া নথিতে সন্তুষ্ট না হলে তাঁকে হাজিরা দিতে বলতে পারে ইডি। তবে সমন পাঠাতে হলে ১৯ অক্টোবরের আগে বা ২৬ অক্টোবরের পরে তা পাঠাতে হবে।”

    ‘ইডির দফতরে সব নথি নিয়ে যান’

    বুধবারই অভিষেকের (Abhishek Banerjee) আইনজীবীকে বিচারপতি সৌমেন সেন বলেন, “আপনি (অভিষেক) তদন্তকারী সংস্থাকে সহযোগিতা করুন। যে নথি চাওয়া হয়েছে, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই তথ্য দেওয়া উচিত। ১২ অক্টোবর ইডির দফতরে সব নথি নিয়ে যান।” ইডির আইনজীবীকে বিচারপতির প্রস্তাব, যা যা নথি চাওয়া হয়েছে, তা দেওয়া হবে। তাতে সন্তুষ্ট না হলে তদন্তের প্রয়োজনে অভিষেককে তলব করতে পারবে ইডি। ১২ অক্টোবর অভিষেক ইডিকে নথি দেবেন। সব নথি খতিয়ে দেখে পুজোর পরে নয় নতুন করে সমন পাঠাবে ইডি।

    আরও পড়ুুন: ‘ভারতের সঙ্গে ব্যক্তিগত কূটনীতি চাই’, সুর আরও নরম করে বলল কানাডা

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় নাম জড়ায় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের। এই কোম্পানির সিইও তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক (Abhishek Banerjee)। তাঁর মা লতা এবং বাবা অমিত এই সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর। অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায় সংস্থার এক অধিকর্তা। অভিষেক, লতা, অমিত এবং রুজিরাকে তলব করে ইডি। ৩ অক্টোবর তলব করা হয়েছিল অভিষেককে। দিল্লিতে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। তাই হাজিরা দিতে পারেননি সিজিও কমপ্লেক্সে, ইডির দফতরে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ রাজ্য! কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ চিকিৎসক

    Dengue: ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ রাজ্য! কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ চিকিৎসক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার রাজ্যের বিরুদ্ধে ডেঙ্গি (Dengue) মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন এক চিকিৎসক। বুধবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের এজলাসে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন চিকিৎসক সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়। আবেদনে তিনি বলেছেন, অবিলম্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দিয়ে মেডিক্যাল কমিশন গঠন করে নজরদারির ব্যবস্থা করা হোক। যত্রতত্র আবর্জনা ও জমা জল পরিষ্কারের নির্দেশ দিক আদালত। রক্ত পরীক্ষার জন্য চালু হোক মোবাইল ইউনিট। ওই চিকিৎসকের অভিযোগ, রাজ্যে পুরসভা ও পঞ্চায়েতগুলি কোনও কাজ করছে না। ডেঙ্গি নিয়ে কেন্দ্রকে সঠিক পরিসংখ্যানও রাজ্য দিচ্ছে না।

    ডেঙ্গির বলি বালিকা

    মামলাকারী চিকিৎসকের অভিযোগ যে নিছক ভুয়ো নয়, তার প্রমাণ মিলেছে এদিনই। কলকাতার পাটুলিতে ডেঙ্গিতে (Dengue) মৃত্যু হয়েছে তিথি হালদার নামে বছর দশেকের এক বালিকার। শনিবার জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় তিথি। বুধবার সকালে মৃত্যু হয় তার। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ডেঙ্গির বলি হয়েছেন তিনজন। এঁদের মধ্যে একজন ঠাকুরপুকুরের, একজন লেকটাউনের, আর একজন মুর্শিদাবাদের। সরকারি মতে মৃতের সংখ্যা ৩ হলেও, বেসরকারি মতে সংখ্যাটা ছাড়িয়েছে ৫০ এর গন্ডি। জানা গিয়েছে, কেবল দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গির বলি হয়েছেন ৯জন। স্থানীয়দের অভিযোগ, ডেঙ্গি মোকাবিলায় পুরসভা ব্যর্থ। কাউন্সিলরের দেখা মেলে না।

    ডেঙ্গিতে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা

    এদিকে, পুজোর আগে আগেই রাজ্যে বাড়ছে ডেঙ্গির (Dengue) চোখ রাঙানি। ফি বারের মতো এবারও শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এই জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারের কাছাকাছি। গত সপ্তাহে স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনায় মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৯৬৫ জন। এর মধ্যে শহরাঞ্চলে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৫২৩ জন। আর গ্রামাঞ্চলে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৪৪২ জন। বিধাননগর পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ২৯৮ জন। জানা গিয়েছে, কামারহাটি, দক্ষিণ দমদম, বরাহনগর, বারাসাতে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়াবহ। ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে বনগাঁ, আমডাঙা, হাবড়া ২ নম্বর ব্লক, দেগঙ্গা এবং গাইঘাটা এলাকায়।

    আরও পড়ুুন: “সব নথি নিয়ে ইডির দফতরে যান”, অভিষেককে বলল ডিভিশন বেঞ্চ

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Abhishek Banerjee: “সব নথি নিয়ে ইডির দফতরে যান”, অভিষেককে বলল ডিভিশন বেঞ্চ

    Abhishek Banerjee: “সব নথি নিয়ে ইডির দফতরে যান”, অভিষেককে বলল ডিভিশন বেঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির বিরুদ্ধে হিসেব বহির্ভূত অর্থের অভিযোগ। অভিযোগ থাকলে ডিরেক্টর বা সিইওকে জিজ্ঞাসাবাদে অসুবিধে কোথায়? আপনি সিইও হলে যে নথি চাওয়া হয়েছে, তা দিয়ে দিন। ১৮৮ এ, হরিশ মুখার্জি রোডের সম্পত্তির খতিয়ান সিঙ্গল বেঞ্চ চাইলে সমস্যা কোথায়? আপনি সাংসদ, আপনার সম্পত্তির খতিয়ান তো নির্বাচন কমিশনকেও দিতে হয়।” বুধবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) ইডির তলব প্রসঙ্গে পর্যবেক্ষণে এমনই জানাল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। নথির তথ্যে সন্তুষ্ট না হলে তবেই অভিষেককে ডাকা হোক, ইডিকে প্রস্তাব আদালতের। অবশ্য বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশের ওপর কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, বিচারপতি সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক।

    ‘ইডিকে নথি দিন’

    অভিষেকের আবেদন শোনার পর বিচারপতি সৌমেন সেনের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ বলে, “ইডি শেষ যে সমন পাঠিয়েছিল, তাতে যা যা জানতে চাওয়া হয়েছিল, তা ইডিকে দিয়ে দিন। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে আপত্তি কোথায়?” নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় নাম জড়ায় ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ কোম্পানির। এই মামলায় ধৃত ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে জেরা করে ওই কোম্পানির নাম জানতে পারেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    ‘এতে তো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়’

    এই সংস্থার সিইও তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তাই তলব করা হয় তাঁকে। এদিন বিচারপতি বলেন, “এটি একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। এর সব তথ্য সামনে আসা উচিত। সিইও-র বিষয়ে যা জানতে চাওয়া হয়েছে, তাও জনসমক্ষে আনা প্রয়োজন। এতে তো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।”

    আরও পড়ুুন: ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ মামলায় ফের ইডির তলব অভিষেককে, হাজিরার নির্দেশ রুজিরাকেও

    বিচারপতি বলেন, “মাথায় রাখবেন, এটা কোনও সরাসরি তদন্ত নয়। কোর্টের নজরদারিতে তদন্ত চলছে। তাই সিঙ্গল বেঞ্চ এটা করতেই পারে। তদন্তের প্রয়োজনে তদন্তকারী সংস্থার কাছে জবাব চাইতেই পারে সিঙ্গল বেঞ্চ। এতদিন ধরে তদন্ত চলার পরেও কিছু পাওয়া যায়নি। সিঙ্গলবেঞ্চের বিচারপতি তো এ নিয়ে জানতে (Abhishek Banerjee) চাইবেনই।” তিনি বলেন, “আদালতের নজরদারিতে তদন্ত চললে যদি তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্টে আদালত সন্তুষ্ট না হয়, তাহলে আবার নির্দেশ দিতে পারে।” অভিষেকের আইনজীবীকে বিচারপতি সেন বলেন, “আপনি (অভিষেক) তদন্তকারী সংস্থাকে সহযোগিতা করুন। যে নথি চাওয়া হয়েছে, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই তথ্য দেওয়া উচিত। ১২ অক্টোবর ইডির দফতরে সব নথি নিয়ে যান।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ‘‘আজ তলবে সাড়া দেবেন না, ইডিকে আগে জানাননি কেন?’’ অভিষেকের আইনজীবীকে প্রশ্ন হাইকোর্টের

    Abhishek Banerjee: ‘‘আজ তলবে সাড়া দেবেন না, ইডিকে আগে জানাননি কেন?’’ অভিষেকের আইনজীবীকে প্রশ্ন হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কবে নোটিস পাঠিয়েছিল ইডি (ED)? এতগুলো দিন কেটে গিয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) যে হাজিরা দিতে পারবেন না, তা তিনি আগে জানালেন না কেন? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবীকে মঙ্গলবার এই প্রশ্ন করলেন হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলার শুনানি ছিল এদিন। মামলার কাগজপত্র এসে না পৌঁছনোর কারণে এদিন তা শোনা হয়নি। বুধবার এই মামলা শুনবে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রথমার্ধেই এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    কী বললেন বিচারপতি

    এদিন বিচারপতি সেন সরাসরি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) আইনজীবীকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘আপনার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি রয়েছে, সেটা তদন্তকারী সংস্থাকে জানিয়েছেন? কেন জানাননি? আপনি যে যাবেন না সেটাকে ইডিকে জানানো উচিত ছিল।’’উত্তরে অভিষেকের আইনজীবী কিশোর দত্ত বলেন, ‘‘প্রতি বার রাজনৈতিক কর্মসূচির দিন আমার মক্কেলকে তলব করা হয়। এর আগেও হাজিরা দেওয়া হয়েছে। এমনকি, এই মামলায় ইডির তদন্তকারী অফিসারকে সরানোও হয়েছে।’’ এর পরেই বিচারপতি বলেন, ‘‘মামলার সব পক্ষকে প্রতিলিপি দিন। বুধবার শুনানি হবে।’’

    বুধবার ফের মামলার শুনানি

    নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। ইডির (ED) হাজিরা এড়াতে চেয়ে এবং সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের ব্যাখ্যা চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছিল হাইকোর্ট। মঙ্গলবারই বেলা সাড়ে ১২টায় শুনানির কথা ছিল। এদিন এজলাসে সিবিআইয়ের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, ‘সকালে এসে মামলা করতে পারেন, অথচ কেন যাবেন না সেটা একবারও বলা হল না।’ অন্যদিকে ইডির আইনজীবী বলেন, ‘ওনার বিরুদ্ধে ক্ষতিকর কোনও পদক্ষেপ করা হবে না। ওনাকে শুধু গিয়ে দেখা করার কথা বলা হয়েছে। আমাদের সহযোগিতা করুন উনি।’ এই না যেতে পারার বিষয়টি নিয়ে অভিষেকের আইনজীবী কিশোর দত্ত সে অর্থে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। 

    আরও পড়ুন: নাবালিকাকে অপহরণ সিকিমে, ধর্মান্তকরণ করে বিয়ে! হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে পুলিশ

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) মঙ্গলবার দিল্লিতে দলীয় কর্মসূচিতে ব্যস্ত। তাই কলকাতায় ইডির দফতরে হাজিরা দিতে পারেননি। তবে তিনি বুধবারেও হাজিরা দিতে পারেন, কলকাতা হাইকোর্টে এমনটাই জানায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইডির আইনজীবী আদালতে জানান, অভিষেক মঙ্গলবার ব্যস্ত থাকলে বুধবারেও হাজিরা দিতে পারেন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেক এখন দিল্লিতে, আজ ইডি-র দিল্লি দফতরেই ডাকা হবে তৃণমূল সাংসদকে?

    Abhishek Banerjee: অভিষেক এখন দিল্লিতে, আজ ইডি-র দিল্লি দফতরেই ডাকা হবে তৃণমূল সাংসদকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজ, মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। কলকাতার দফতরে তাঁকে সশরীরে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। কিন্তু, এই মুহূর্তে দিল্লিতে রয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। সেখানে দলের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছেন তিনি। এদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ৩ অক্টোবর (আজ) তদন্তের কাজ যেন কোনও অবস্থাতেই ব্যাহত না হয়। ফলে, আজ অভিষেক হাজিরা না দিলে কী কী পদক্ষেপ করতে পারে ইডি?

    তলব কলকাতায়, অভিষেক রয়েছেন দিল্লিতে 

    অভিষেকের (Abhishek Banerjee) শিবিরের দাবি, আজ যে তিনি ইডি দফতরে অভিষেক হাজিরা দিচ্ছেন না, তা একপ্রকার নিশ্চিত। তাদের যুক্তি, অভিষেক যে আজ সমনে হাজিরা দেবেন না, তা তিনি সমাজমাধ্যমে ঘোষণা করে দিয়েছেন। এদিকে ইডি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে অভিষেক যে হাজিরা দিচ্ছেন না, সোমবার রাত অবধি সেরকম কোনও তথ্য তাদের কাছে লিখিত আকারে জানানো হয়নি। ফলে ইডি তদন্তকারীরা অভিষেকের হাজিরার সম্ভাবনা ধরে নিয়েই প্রস্তুতি নিয়েছেন। তাঁদের পাল্টা বক্তব্য, সমাজমাধ্যমে কে কী লিখল, তা ইডি-র (Enforcement Directorate) কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। 

    ‘তদন্তের কাজ যেন ব্যাহত না হয়’

    আবার, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) ওই দাবি কলকাতা হাইকোর্টের নজরে আনলে বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে বলতে শোনা গিয়েছে, কোনও অবস্থাতেই ৩ অক্টোবর তদন্তের কাজ যেন ব্যাহত না হয়। এর আগের শুনানিতে, ভরা আদালতে ইডি-র প্রতিনিধিকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি সিনহা। এমনও প্রশ্ন ওঠে, যে ইডি কি ইচ্ছাকৃতভাবে মামলাকে ঝুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে? ফলে, সব মিলিয়ে প্রবল চাপে থাকা ইডি আজ কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেই দিকে নজর রয়েছে সকলের, বিশেষ করে রাজনৈতিক মহলের। 

    কী পদক্ষেপ করতে পারে ইডি?

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানো লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস-এর সিইও হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে অভিষেককে। সেই সিইও-র তরফে গরহাজিরার চিঠি এলে, তার পরে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে বলে দাবি ইডির (Enforcement Directorate)। মূল প্রশ্ন হচ্ছে, আদালতের সামনে ইডি-কে প্রমাণ করতে হবে যে, তদন্তে ব্যাঘাত ঘটেনি। গত শুনানিতে ইডি-র তদন্তকারী অফিসারকে সরিয়ে দেওয়ার পরে আদালতে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি জানিয়েছে, ১০ অক্টোবরের মধ্যে তারা বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেবে। ফলে, সেই দিক দিয়ে তদন্তকারী সংস্থার কাছে আরও কয়েকদিন রয়েছে। অভিষেককে এর মধ্যে নতুন করে তলব করা হতে পারে। 

    অভিষেককে দিল্লি অফিসেই ডাকা হবে?

    আবার, অভিষেক (Abhishek Banerjee) যদি দিল্লিতে থাকার কথা জানিয়ে হাজিরা এড়ানোর চিঠি দেন, সেক্ষেত্রে অভিষেককে দিল্লিতেই ইডির সদর দফতরে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তাব দিতে পারে তারা। এটা করলে হাইকোর্টের নির্দেশকে কার্যকর করতে ইডি যে কতটা সচেষ্ট, সেই বিষয়টি আদালতের সামনে তুলে ধরতে পারবে। পাশাপাশি, এই সময়ের মধ্যে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস-এর অপর দুই ডিরেক্টর তথা অভিষেকের বাবা-মা অমিত ও লতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ইডি। ১০ অক্টোবর আদালতে ইডি (Enforcement Directorate) কী রিপোর্ট জমা দেয়, সেই দিকে নজর থাকবে আদালতের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Amrita Sinha: ‘‘মানুষের চাকরি নেই, পুজো কমিটিকে ৭০ হাজার টাকা’’! কড়া মন্তব্য বিচারপতি সিনহার

    Justice Amrita Sinha: ‘‘মানুষের চাকরি নেই, পুজো কমিটিকে ৭০ হাজার টাকা’’! কড়া মন্তব্য বিচারপতি সিনহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানুষের চাকরি নেই। মানুষ বেতন পাচ্ছেন না। পেনশন পাচ্ছেন না। আর পুজো (Durga Puja 2023) কমিটিগুলিকে বড় টাকা অনুদান দিচ্ছে রাজ্য সরকার। এটা অবাক করার বিষয়। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চে দুর্গাপুজো সংক্রান্ত একটি মামলা চলাকালীন এই মন্তব্য করলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha)। তাঁর এই মন্তব্যকে স্বাগত জানাল বিরোধীরা।

    কী বলল আদালত

    দুর্গাপুজো করতে চেয়ে তমলুক পুরসভার কাছে অনুমতি চেয়েছিল একটি ক্লাব। অনুমতি দেয়নি পুরসভা। সেই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করে ওই ক্লাব। শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি জিজ্ঞেস করেন, তমলুক পুরসভার অধীনে ক’টা পুজো হয়? রাজ্যের আইনজীবী জানান, ৫০টার মতো পুজো হয়। এর পরেই বিচারপতি বলেন, ‘‘সব পুজো কমিটি কি ৭০ হাজার টাকা পাবে?’’ রাজ্যের আইনজীবী জানান, সকলে পায় না। যে সব ক্লাব রাজ্যে নথিভুক্ত রয়েছে, শুধু তারা পায়। এরপরই বিচারপতি সিনহা বললেন, “আমি অনেক মামলা শুনেছি, যেখানে মানুষ বেতন, পেনশন, চাকরি পাচ্ছেন না। আর পুজো কমিটিগুলিকে টাকা দেওয়া হচ্ছে!” এর পরেই বিচারপতি পুজো কমিটির উদ্দেশে বলেন, ‘‘জেলাশাসকের দফতরে পুজো নিয়ে বৈঠকে হবে। সেখানে যান। কী বলেন, দেখুন।’’ তিনি এই প্রশ্নও তোলেন যে, গত বছর ওই পুজোর অনুমিত ছিল। তা হলে এ বছর কেন আটকানো হচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: “পশ্চিমবঙ্গ থেকে চোরেদের লিডার দিল্লি যাচ্ছেন” অভিষেককে তীব্র আক্রমণ সুকান্তর

    কী বলছে বিরোধীরা

    বিচারপতির এই মন্তব্যে তাঁর পক্ষ নিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন বিরোধীরা। বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘আদালতের এই পর্যবেক্ষণকে স্বাগত জানাচ্ছি। ঠিক কথাই বলছে আদালত। মূলধনী খাতে ব্যয় অর্ধেক, জেলা হাসপাতালে জীবনদায়ী ওষুধ নেই। কলকাতা হাসপাতালে ক্যান্সার রোগীদের জন্য ওষুধ নেই। রাস্তাঘাট ভাঙা, নতুন শিল্প নেই, সরকারি চাকরি নেই, স্কুলের চাকরি সব বিক্রি হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়ে শুধু হচ্ছে খেলা। দুর্গাপুজোকে অনুদান দেওয়া। এর কী মানে? ৭০ হাজার টাকা করে যদি ক্লাবগুলোকে দেওয়া না হত, তাহলে কি মা দুর্গা এখানে পৌঁছতেন না হিমালয় থেকে? আসলে এটা মানুষেরও দেখা দরকার, দলমত নির্বিশেষে এই সরকারে টাকা দিয়ে ভোট কেনার প্রচেষ্টা সেটা বন্ধ হওয়া উচিত।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share