Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Calcutta High Court: কুন্তলের চিঠি মামলায় হাইকোর্টে স্বস্তি পেল সিবিআই, কী বলল উচ্চ আদালত?

    Calcutta High Court: কুন্তলের চিঠি মামলায় হাইকোর্টে স্বস্তি পেল সিবিআই, কী বলল উচ্চ আদালত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুন্তলের চিঠি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে স্বস্তি পেল সিবিআই। তদন্তের নামে শারীরিক নির্যাতন করেন ইডি-সিবিআই কর্তারা, কুন্তল ঘোষের এই অভিযোগের তদন্ত এখন করতে পারবে কলকাতা পুলিশ। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ, কুন্তল ঘোষের চিঠি বিতর্কে বিশেষ সিবিআই আদালতের রায় আপাতত কার্যকর করা যাবে না। প্রসঙ্গত, সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, কুন্তলের চিঠির যৌথ তদন্ত করবেন সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর ও কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের জয়েন্ট কমিশনার। কুন্তলের চিঠি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল।  

    সিবিআইয়ের যুক্তি

    এদিন আদালতে (Calcutta High Court) সিবিআই বলে, “যেখানে হাইকোর্টের নজরদারিতে তদন্ত চলছে, সেখানে নিম্ন আদালত কীভাবে এই নির্দেশ দিতে পারে?  নিম্ন আদালত কোনও সাংবিধানিক কোর্ট নয়। তারা কীভাবে ওই রিপোর্ট চাইতে পারে?” সিবিআইয়ের এই যুক্তি শোনার পর আদালত জানিয়ে দেয়, সিবিআই আদালতের নির্দেশ আপাতত কার্যকর করতে হবে না। বিচারপতি সিনহা বলেন, “নিম্ন আদালতের নির্দেশ নিষ্ক্রিয় করা হল।”

    কুন্তলের অভিযোগ

    নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হন হুগলির বলাগড়ের যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। পার্টির গায়ে যাতে কালির ছিটে না লাগে, তাই তড়িঘড়ি কুন্তলকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি রয়েছেন কুন্তল। নিম্ন আদালতে চিঠি দিয়ে তিনি ইডি এবং সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। ইডির দুই আধিকারিক ও সিবিআইয়ের এক আধিকারিকের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছিলেন কুন্তল।

    আরও পড়ুুন: মোদিই ‘বিশ্বনেতা’, লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের সুর বেঁধে দিল বিজেপি?

    একই সঙ্গে তাঁকে চাপ দিয়ে জোর করে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও দাবি করেছিলেন ওই বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা। আদালতে (Calcutta High Court) চিঠি জমা পড়ার পর তার ভিত্তিতে অভিযোগ দায়ের হয় কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানায়। হাইকোর্টের পাশাপাশি মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টেও। এই মামলার শুনানি হচ্ছে বিচারপতি সিনহার বেঞ্চে। এদিন সেই বেঞ্চেরই দ্বারস্থ হয়েছিল সিবিআই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: সাত দিনে অভিষেক সহ ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর ডিরেক্টরদের সম্পত্তির খতিয়ান চাইল হাইকোর্ট

    Abhishek Banerjee: সাত দিনে অভিষেক সহ ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর ডিরেক্টরদের সম্পত্তির খতিয়ান চাইল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সমস্ত ডিরেক্টরের সম্পত্তির খতিয়ান তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই নথি আদালতে জমা দিতে হবে ইডি ও সিবিআইকে। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। 

    ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নথি জমা দিতে হবে 

    বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে ইডির কাছে লিপ‌্স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার পাঁচটি বিষয় জানতে চায় হাইকোর্ট। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের আয় – ব্যয়ের হিসাব ও সংস্থা তৈরি থেকে আজ পর্যন্ত তাদের কর্মকাণ্ড জানতে চেয়েছেন বিচারপতি। এদিন আদালতে বিচারপতি সিনহা ইডির আইনজীবীকে বলেন, “যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছেন তাদের সম্পত্তির হিসাব জানেন? লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও ও ডিরেক্টরদের কার কত সম্পত্তি তার তালিকা আদালতকে জানাতে হবে। সেজন্য ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হল। ” এদিন বিচারপতি সিনহার নির্দেশ, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে যে সকল টলিউডের অভিনেতা এবং অভিনেত্রীর নাম উঠে এসেছে, তা নিয়ে ইডিকে রিপোর্ট দিতে হবে। জানাতে হবে ওই সব অভিনেতার নাম এবং তাঁদের সম্পত্তির বিবরণও।

    আর কী বলল আদালত

    ইডি সূত্রে খবর, সংস্থার ডিরেক্টরের তালিকায় রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেকের পরিবারের বেশ কয়েক জন। এই সংস্থাতেই আগে ডিরেক্টর ছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। বৃহস্পতিবার বিচারপতি সিনহা আরও জানান, সংস্থার সব সদস্যের সম্পত্তির বিবরণ দিতে হবে। সংস্থার সংগঠনের স্মারকলিপি জমা করতে হবে ইডিকে। সংস্থার নথিভুক্তকরণের (রেজিস্ট্রেশন) তারিখ জানাতে হবে। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হন সুজয়কৃষ্ণ ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’। এর পরেই ইডির আতশকাচে আসে তাঁর সংস্থা লিপ‌্স অ্যান্ড বাউন্ডস। সেই সংস্থার দফতরে ম্যারাথন তল্লাশি চালায় ইডি। ইডির আধিকারিকদের সূত্রে খবর, তল্লাশির পর সংস্থার বেশ কিছু নথি তাঁদের হাতে এসেছে।

    আরও পড়ুন: নারদকাণ্ডে ফের নাড়াচাড়া! ম্যাথু স্যামুয়েলকে কলকাতায় তলব সিবিআইয়ের

    অভিষেকের দাবি

    বুধবার দীর্ঘ জেরার পর অভিষেকের কাছে ইডি তাঁর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তির খতিয়ান চেয়েছে বলে সূত্রের খবর। বুধবারের জেরার পর অভিষেক জানিয়েছেন, তিনি এখনো লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও পদে রয়েছেন। তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্য ওই সংস্থার ডিরেক্টর পদে রয়েছেন। এমনকী নিয়োগ দুর্নীতির ১০ পয়সা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি বলে দাবি অভিষেকের। কিন্তু আদালত সেই সংস্থার নথি তলব করার পর এখন কী করবেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড? 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED on Abhishek Banerjee: কিছু প্রশ্ন রয়েছে, তাই তলব করা হয়েছে অভিষেককে, হাইকোর্টে জানাল ইডি

    ED on Abhishek Banerjee: কিছু প্রশ্ন রয়েছে, তাই তলব করা হয়েছে অভিষেককে, হাইকোর্টে জানাল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সরাসরি রক্ষাকবচ মিলল না তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রক্ষাকবচ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। মামলা যতক্ষণ বিচারাধীন, ততক্ষণ যেন ইডি কোনও পদক্ষেপ না করে, আদালতের কাছে এমনই আবেদন জানান তৃণমূল নেতার আইনজীবী।

    “নির্দেশনামায় কেন নতুন শব্দবন্ধ লিখতে যাব?”

    ইডির (ED on Abhishek Banerjee) আইনজীবীর মৌখিক প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে ইডির আধিকারিকরা এই মামলার শুরু থেকে কোনও কড়া পদক্ষেপ করেননি। মঙ্গলবার ফের শুনানি হয় এই মামলার। মামলা ওঠে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে। তিনি বলেন, “এই মামলার শেষ মুহূর্তে নির্দেশনামায় কেন নতুন শব্দবন্ধ লিখতে যাব? কালকেও আমার বিচার্য বিষয় একই থাকবে।  জামিনের মামলা শুনানির জন্য আমার কাছেই আসবে।” প্রসঙ্গত, ইসিআইআর খারিজের দাবিতে যখন মামলা চলছে, তখন ১০ সেপ্টেম্বর অভিষেককে নতুন করে সমন পাঠানো হয়েছে।

    অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন

    ১৩ সেপ্টেম্বর, বুধবার হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। অভিষেকের আইনজীবী জানান, বুধবার তাঁর (অভিষেকের) বিশেষ একটি বৈঠক রয়েছে। তিনি বলেন, “এটা বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ। কাল তাঁকে গ্রেফতারও করা হতে পারে। এই ধরনের হয়রানির মানে কি?” ইডির আইনজীবী বলেন, “সমন পাঠানো মানে কড়া পদক্ষেপ নয়। তিনি অভিযুক্ত নন।  ইডির (ED on Abhishek Banerjee) কিছু প্রশ্ন রয়েছে। তাই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। সমন পাঠানোর ক্ষেত্রে আমাদের কোনও বাধা নেই। গ্রেফতার করতে আমাদের কোনও সমনের দরকার নেই।  আমরা যখন ইচ্ছা গিয়ে গ্রেফতার করতে পারি। গ্রেফতারির জন্য সমন পাঠানো হয়েছে এই আশঙ্কা অমূলক।” তিনি বলেন, “এই আদালতের অন্য এজলাসেও মামলা চলছে।  সেখানে আমাদের রিপোর্ট দিতে হবে। তাই জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘টাকা সরানোর ট্রানজিট পয়েন্ট দুবাই’’! মমতার বিদেশ সফর নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    বিচারপতি ঘোষ বলেন, “ইসিআইআর খারিজের মূল মামলায় অভিষেক এবং ইডির বক্তব্যের লিখিত আকারে খুশি (ED on Abhishek Banerjee) নয় আদালত। ১৯ সেপ্টেম্বর নতুন করে লিখিত আকারে বক্তব্য পেশ করতে হবে।” অভিষেকের আইনজীবীর উদ্দেশে তিনি বলেন,  “আপনি এমন কিছু নির্দেশনামার উল্লেখ করেছেন যা আপনার বিপক্ষে যেতে পারে। আপনি মুখে যা বলেছেন এবং লিখিত আকারে যা জমা দিয়েছেন তার মধ্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। অনেক বক্তব্য লিখিত আকারে দেননি।” এদিন রিপোর্ট জমা দিল সিএফএসএল। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে  ১৯ সেপ্টেম্বর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: উপাচার্য নিয়োগ বিল নিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মামলা, হলফনামা তলব হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: উপাচার্য নিয়োগ বিল নিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মামলা, হলফনামা তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপাচার্য নিয়োগ বিল নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে মামলা। তার জেরে মঙ্গলবার রাজ্যপালের দফতরের হলফনামা চাইল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। হলফনামা জমা দিতে হবে ৪ অক্টোবরের মধ্যে। বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে চাওয়া হয় হলফনামা। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৬ অক্টোবর।

    কেন্দ্রের আইনজীবীকে প্রশ্ন আদালতের

    মামলাকারীর অভিযোগ, রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়োগের যে বিল বিধানসভায় পাশ হয়েছে, তা আটকে রেখে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি করেছেন রাজ্যপাল। এদিন মামলার শুনানিতে কেন্দ্রের আইনজীবীকে আদালতের (Calcutta High Court) প্রশ্ন, “যদি সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হয়, তাহলেও কি আদালত রাজ্যপালকে কোনও একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার অনুরোধ জানাতে পারে না? ডানদিকে হোক, বামদিকে হোক বা কেন্দ্রে হোক, যেখানেই হোক, কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার অনুরোধ রাজ্যপালকে আদালত জানাতে পারে না? এই ধরনের সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিদের কৈফিয়ত তলব করা যায় না, সময় বেঁধে দেওয়া যায় না, কিন্তু যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অনুরোধও কি আদালত করতে পারে না?”

    কী জবাব দিলেন কেন্দ্রের আইনজীবী?

    কেন্দ্রের আইনজীবী বলেন, “সংবিধান রাজ্যপাল সহ একাধিক সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিকে রক্ষাকবচ দিয়েছে। তাঁরা জবাবদিহি করতে বাধ্য নন। মামলাকারীর রাজনৈতিক পরিচয় খতিয়ে দেখা হোক। তিনি একটি রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক। এই পরিচয় গোপন করে তিনি মামলা করেছেন। তাই এই মামলা গ্রহণযোগ্য নয়।”

    রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন (Calcutta High Court), “একটি বিল যাওয়ার পরে রাজ্যপাল তিনটি কাজ করতে পারেন। প্রথমত, তিনি বিলে সম্মতি জানিয়ে সই করতে পারেন। দ্বিতীয়ত, তিনি পরামর্শ দিয়ে বা না দিয়ে পুনরায় বিবেচনার জন্য বিধানসভায় বিলটি ফেরত পাঠাতে পারেন। তৃতীয়ত, তিনি বিলটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দিতে পারেন। বিলটি তাঁর কাছে যাওয়ার পর এক বছরেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও, রাজ্যপাল এই তিনটি পদক্ষেপের কোনওটিই করেননি।

    আরও পড়ুুন: লোকসভা ভোটের ঢাকে কাঠি! ভোটার তালিকায় ত্রুটি রুখতে গুচ্ছ নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

    প্রসঙ্গত, বিধানসভা ও রাজ্য মন্ত্রিসভায় পাশ হওয়ার পর ২০২২ সালের ১৫ জুন বিলটি পাঠানো হয় রাজ্যপালের কাছে। বিলটিতে তিনি সই করলে সেটি আইনে পরিণত হত। রাজ্যপাল বিলটি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। এর প্রেক্ষিতেই দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manik Bhattacharya: পার্থর মতো স্কুল রয়েছে মানিকেরও! হাইকোর্টে বিস্ফোরক দাবি ইডির

    Manik Bhattacharya: পার্থর মতো স্কুল রয়েছে মানিকেরও! হাইকোর্টে বিস্ফোরক দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্কুলের হদিশ মিলেছিল। এবার প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যেরও (Manik Bhattacharya) স্কুলের সন্ধান পেলেন ইডি আধিকারিকরা। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে এমনই দাবি করল ইডি। মানিককে আদালতে হাজির করানোর অনুমিতও চেয়েছিলেন তাঁর আইনজীবী। যদিও বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানান, আপাতত এর প্রয়োজন নেই। প্রসঙ্গত, হাইকোর্টে শুনানির সময় কোনও অভিযুক্তকে নিয়ে আসা হয় না।

    মানিকেরও স্কুলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে?

    আদালতে ইডির আইনজীবী বলেন, “আমরা একটা স্কুলের সন্ধান পেয়েছি। পার্থর মতো মানিকেরও স্কুলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।” মানিকের আইনজীবী অবশ্য জানান, যে স্কুলের কথা বলা হচ্ছে, সেটি সরকারি স্কুল এবং তা একশো বছরের পুরনো। মানিকের মালিকানাধীন কোনও বেসরকারি স্কুল নেই।

    নিয়োগ দুর্নীতির ‘কিংপিন’

    এর আগে মানিককে (Manik Bhattacharya) নিয়োগ দুর্নীতির ‘কিংপিন’ বলে আদালতে দাবি করেছিল ইডি। একাধিকবার জামিনের আবেদন জানানো হলেও, তা খারিজ করে দিয়েছে আদালত। ইডির তদন্ত নিয়ে এদিনও অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি ঘোষ। ইডির আইনজীবীর উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, “দু সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে কী করেছেন?” ২৭ সেপ্টেম্বর হবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের নামে পিংলায় রয়েছে বিসিএম ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। খিরিন্দা মৌজায় সাড়ে তিন একর জমিতে ওই ইংরেজি মাধ্যম স্কুলটি রয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, পার্থের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য তাঁর মামার কাছ থেকে জমি লিজ নিয়ে স্কুলটি করেছিলেন। পার্থ নিজেও দু’ বার গিয়েছিলেন স্কুলটিতে। ইডির দাবি, এরকম একটি স্কুল রয়েছে মানিকেরও।

    আরও পড়ুুন: ফ্ল্যাট প্রতারণাকাণ্ডে তলব পেয়ে ফাইল হাতে ইডি দফতরে নুসরত জাহান, কী তথ্য পেশ?

    এদিকে, এদিন বিচারপতি ঘোষের এজলাসে শুনানি হয়নি মানিক (Manik Bhattacharya) ও তাঁর ছেলে সৌভিকের জামিনের আবেদনের। অগাস্টে মানিকের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্যকে নিয়োগ মামলায় জামিন দেয় আদলত। তার পর থেকেই বিচারপতি ঘোষের এজলাসে জামিনের আবেদন করতে শুরু করেন নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্তরা। এই তালিকায় পার্থর পাশাপাশি রয়েছেন মানিক ও তাঁর পুত্র সৌভিকও। ২৭ সেপ্টেম্বর হবে এই মামলার শুনানি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Ganguly: হাসপাতালে গিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে ফেললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, কেন জানেন?

    Justice Abhijit Ganguly: হাসপাতালে গিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে ফেললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বজ্রকঠিন মানুষটির ভেতরেই লুকিয়েছিল নরম মনের একটি মানুষ। এতদিন সেই মানুষটির হদিশ পাননি রাজ্যবাসী।  দোর্দণ্ডপ্রতাপ বিচারপতি (Justice Abhijit Ganguly) হিসেবে যাঁকে চেনেন পশ্চিমবঙ্গবাসী, সেই তিনিই ধরে রাখতে পারলেন না আবেগের রাশ। দুর্ঘটনাগ্রস্ত এক ছাত্রীকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে ফেললেন শিশুর মতো। তিনি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার দৌলতে রাজ্য তো বটেই, গোটা দেশ যাঁকে চিনে গিয়েছে।

    দুর্ঘটনার কবলে মেধাবী ছাত্রী

    হুগলির চাঁপদানির বিএম রোডে বাড়ি সুনীতা বর্মার। মহাদেবানন্দ কলেজের প্রথম সেমেস্টারের ছাত্রী তিনি। বৃহস্পতিবার পরীক্ষা দিতে কলেজে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। পলতা স্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন ওই ছাত্রী। ট্রেন চলে এলে ভিড়ের ধাক্কায় স্টেশন আর ট্রেনের মাঝে পা আটকে যায় তাঁর। তড়িঘড়ি উদ্ধার করা হয় ওই কলেজ ছাত্রীকে। তবে ততক্ষণে ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। প্রাণে বাঁচলেও, তাঁর দুটি পা-ই কেটে বাদ দিয়ে দেন আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

    হাসপাতালে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় 

    সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে খবরটি জানতে পারেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। সোমবার মেধাবী ওই ছাত্রীকে দেখতে হাইকোর্ট থেকে সোজা হাসপাতালে চলে যান তিনি। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। কথা বলেন ওই ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গেও। সুনীতার বাবা নেই। মা ও ভাইকে নিয়েই সংসার তাঁর। সেই সুনীতারই দুটি পা খোয়া যাওয়ায় অথৈ জলে বর্মা পরিবার। এদিন হাসপাতালের সুপারের সঙ্গেও কথা বলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পরে মুখোমুখি হন সংবাদ মাধ্যমের।

    আরও পড়ুুন: ইন্দ্রনীলের সঙ্গে বিবাদই কাল হল বাবুলের, ডানা ছাঁটা হল ‘বহিরাগত’ গায়কের

    তখনই ছাত্রীটির বিষয়ে বলতে গিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠেন আপাত লৌহকঠিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ধরা গলায় বলেন, “ছাত্রীটি ভাল আছেন। ওই ছাত্রীর পাশে আমরা সবাই রয়েছি। সব রকম সাহায্য করব। কৃত্রিমভাবে পা লাগানো যায় কিনা চিকিৎসকদের কাছে আবেদন করেছি।” তিনি (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, “এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানবিক। তিনিও নিশ্চয়ই বিষয়টি দেখবেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Justice Abhijit Ganguly: ৮২ পেলেই টেট পাশ! বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় বহাল রাখল হাইকোর্ট

    Justice Abhijit Ganguly: ৮২ পেলেই টেট পাশ! বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় বহাল রাখল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেট পরীক্ষায় পাশের নম্বর নিয়ে আপাতত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Gangopadhyay) রায় বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। টেট মামলায় (TET case) ৮২ না ৮৩, কত নম্বরকে টেট পাশের জন্য গণ্য করা হবে তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। ওই মামলায় ৮২ নম্বর প্রাপ্তদের উত্তীর্ণ হিসাবে গণ্য করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই মুহূর্তে সেই রায়-এ হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। বুধবার এমনটাই জানাল কলকাতা হাইকোর্ট।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    সংরক্ষিত প্রার্থীদের দাবি ছিল, ১৫০-এর মধ্যে ৮২ নম্বর পেলেই পাশ বলে গণ্য করতে হবে ও মূল পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিতে হবে। সেই আর্জিকে মান্যতা দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন কয়েকজন টেট প্রার্থী। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতির মতের অমিল হওয়ায় মামলা যায় তৃতীয় বেঞ্চে। এবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রাখল বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের বেঞ্চ। টেট পরীক্ষা হয় ১৫০ নম্বরে। তার মধ্যে ৮২ পেলে শতাংশের বিচারে তা হয় ৫৪.৬৭ শতাংশ। ৫৫ শতাংশ পেলে তবেই উত্তীর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয় সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীদের। এ ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী, ৫৪.৬৭ শতাংশকে ৫৫ বলেই ধরা হবে। সে কারণেই সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীদের দাবি ছিল, ৮২ পেলেই পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হোক। 

    আরও পড়ুন: উত্তর দিনাজপুরে বিএড, ডিএলএড কলেজ বন্ধের হুমকি কেন দিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী?

    বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের এই রায় তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। এর আগে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে রায় দ্বিধা বিভক্ত হয়। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের মত ছিল, ১৫০ এর মধ্যে ৮২ পেলেই টেট উত্তীর্ণ হিসেবে গণ্য করা সম্ভব। আর বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের মত ছিল, ৮২.৫ পেলে তবেই প্রার্থীদের টেট উত্তীর্ণ বলে উল্লেখ করা হবে। এরপর মামলা যায় বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের বেঞ্চে। এদিন তিনি যে রায় দিয়েছিলেন এরপর প্রার্থীদের টেটে বসার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা রইল না বলেই মনে করা হচ্ছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JU Student Death: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হস্টেল ছাড়তে হবে প্রাক্তনীদের! যাদবপুরকে বলল কলকাতা হাইকোর্ট

    JU Student Death: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হস্টেল ছাড়তে হবে প্রাক্তনীদের! যাদবপুরকে বলল কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) প্রাক্তন পড়ুয়াদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হস্টেল ছাড়তে হবে। মঙ্গলবার এমন নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। এই নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।

    কী বলল আদালত

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পর কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হয়েছিল। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট জানাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের হস্টেলে থাকতে দেওয়া যাবে না। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘হস্টেলের প্রত্যেক রুমে গিয়ে দেখতে হবে, প্রাক্তনীরা রয়েছেন কিনা। যদি থাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বের করে দিন।” আদালতের নির্দেশ, ‘‘প্রাক্তনীরা যে ঘর ছেড়ে দিয়েছে, তা নিশ্চিত করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। ঘর ছেড়ে দিলে মেইনটেন্যান্সের কাজ শুরু করুক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।” পাশাপাশি প্রধান বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও ইউনিয়ন না থাকলে জনসমক্ষে বক্তব্য বা প্রেস রিলিজ দেওয়া বন্ধ করতে হবে। উল্লেখ্য, সোমবারই বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছে ইউজিসি-র প্রতিনিধি দল। সেক্ষেত্রে এদিন প্রধান বিচারপতি বলেন, “ইউজিসি দেখবে রেগুলেশন প্রয়োগ হচ্ছে কিনা।”

    কেন এই নির্দেশ?

    গত ৯ অগাস্ট মেইন হস্টেলের তিনতলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের। এই ঘটনায় উঠেছিল র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ। সেইসঙ্গে নাম জড়িয়েছিল বেশ কয়েকজন প্রাক্তন পড়ুয়ার। প্রশ্ন উঠেছিল, প্রাক্তনীরা কেন হস্টেলে থাকছেন। যদিও ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, প্রাক্তন পড়ুয়াদের হস্টেল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু, তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এবার সরাসরি আদালতের নির্দেশ এলো।

    আরও পড়ুন: ৭টি দূরপাল্লার ট্রেনের স্টপেজ বাড়ল রাজ্যে! রেলকে ধন্যবাদ জানালেন শুভেন্দু

    যাদবপুরকাণ্ডে তোলপাড় দেশ

    দেশের প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ ঘিরে ইতিমধ্যেই তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। পুলিশ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের মধ্যে একজন জামিনে মুক্তি পেলেও বাকিরা জেলেই রয়েছেন। পুলিশ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। ধৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন প্রাক্তন পড়ুয়াও রয়েছেন। সূত্রের খবর, ঘটনার সময় তাঁরা হস্টেলের তিনতলায় ছিলেন বলে প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। এই প্রেক্ষিতেই নতুন ছাত্রদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নিল হাইকোর্ট অভিমত শিক্ষামহলের।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jhalda Municipality: তৃণমূল ক্ষমতাচ্যুত, বন্ধ টাকা! হাইকোর্টের দ্বারস্থ ঝালদার ৭ কাউন্সিলর

    Jhalda Municipality: তৃণমূল ক্ষমতাচ্যুত, বন্ধ টাকা! হাইকোর্টের দ্বারস্থ ঝালদার ৭ কাউন্সিলর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতছাড়া হওয়া ঝালদা পুরসভা ছিনিয়ে আনতে মরিয়া তৃণমূল। বিরোধীদের জব্দ করতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা এমনই অভিযোগ। পুরসভা শাসক দলের হাতছাড়া হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন স্কিমের টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। সেই টাকা পেতেই এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন ঝালদার ৭ কাউন্সিলর। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি ছিল।

    বিরোধীদের অভিযোগ

    জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা ঝালদার বাসিন্দা নেপাল মাহাতোর অভিযোগ, ‘‘স্রেফ বিরোধী দলের পুরসভা বলেই বিভিন্ন অছিলায় রাজ্য সরকার ঝালদা পুরসভার ‘হাউজ ফর অল প্রকল্প’-সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের তহবিল আটকে রেখেছে। সুবিচার পেতে তাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে যাচ্ছি।’’ ঝালদা পুরভবন সূত্রে খবর, ‘হাউজ ফর অল প্রকল্পে’ বাড়ি তৈরির জন্য পুরসভায় মোট ৩ কোটি টাকা এসেছিল। গত বছরের শেষে বিরোধীদের ডাকা অনাস্থার জেরে তৃণমূল পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল পদ থেকে সরে যাওয়ার কিছু দিনের মাথায় ২ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা পুরসভার তহবিল থেকে ফেরত নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঝালদার উপপুরপ্রধান পূর্ণিমার দাবি, ‘‘আবেদন-নিবেদনের পরেও সেই টাকা মেলেনি। সুবিচার পেতে মামলা করা করা ছাড়া গতি নেই।’’

    আরও পড়ুন: চড়া রোদে হেঁটেই বাড়ি বাড়ি প্রচারে সুকান্ত, ‘চোরেদের’ না আনার আহ্বান

    মামলাকারীদের দাবি

    মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচি এদিন আদালতে জানান, শাসক দলের হাত থেকে পুরসভা চলে যাওয়ার পর থেকেই টাকা দেওয়া হচ্ছে না। এ কথা শুনে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, তবে পুরসভা চলছে কীভাবে? আইনজীবী জানান, পুরসভার তরফ থেকে একাধিকবার টাকা দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু রাজ্য কোনও উত্তর দেয়নি। টাকা প্রত্যাহার করার কোনও নথি আছে কি না, তা দেখতে চান বিচারপতি সিনহা। উল্লেখ্য, গত পুরসভা নির্বাচনের পর পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার কংগ্রেসের পুরপ্রতিনিধি তপন কান্দুকে গুলি করে খুন করা হয়। এরপর উপ পুরপ্রধান হন তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। তারপরও ওই পুরসভার ক্ষমতা ফিরে পেতে বারবার বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়েছে তৃণমূল। এমনই অভিযোগ কংগ্রেসের।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “মনে হচ্ছে সিবিআইয়ের আগে সিআইডি লক্ষ্যে পৌঁছবে”, নিয়োগ মামলায় মন্তব্য বিচারপতির  

    Calcutta High Court: “মনে হচ্ছে সিবিআইয়ের আগে সিআইডি লক্ষ্যে পৌঁছবে”, নিয়োগ মামলায় মন্তব্য বিচারপতির  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মনে হচ্ছে সিবিআইয়ের আগে সিআইডি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে।” শুক্রবার এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। মুর্শিদাবাদের গোঠা হাইস্কুলে ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরিতে যোগদানের মামলায় এদিন এই মন্তব্য করে বিচারপতি বসু। এই মামলায় আগের শুনানিতে সিআইডিকে ভর্ৎসনা করেছিলেন তিনি। এদিন প্রকাশ করেন সন্তোষ।

    সিআইডির আইনজীবীকে প্রশ্ন

    এদিন সিআইডির আইনজীবীকে আদালতের প্রশ্ন, “যাঁরা জাল নথি জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের কি চিহ্নিত করা গিয়েছে?” সিআইডির আইনজীবী জানান, তাঁদের চিহ্নিত করা গিয়েছে। বিচারপতি বসুর প্রশ্ন, “তাঁদের তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কি?” সিআইডির তরফে জানানো হয়, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি, নথি পরীক্ষার কাজ চলছে। এর পরেই বিচারপতি (Calcutta High Court) বসু বলেন, “মনে হচ্ছে সিআইডি সিবিআইয়ের আগে লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে বলুন এই শিক্ষকদের ওপর নজর রাখতে।”

    নিয়োগ দুর্নীতি 

    প্রসঙ্গত, জাল নথি দিয়ে সুতির গোঠা এ আর রহমন হাইস্কুলে শিক্ষকতা করছিলেন অনিমেষ তিওয়ারি। এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাঁর বাবা। অভিযোগ, তিনিই প্রভাব খাটিয়ে ছেলেকে স্কুলে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। বিষয়টি আদালতের নজরে আসে। পরে জানা যায়, কেবল অনিমেষ নন, জাল নথি দিয়ে আরও কয়েকজনও ওই স্কুলে চাকরি করছেন। এই দুর্নীতির তদন্তভার সিআইডির হাতে দেন বিচারপতি বসু। তদন্ত করতে সিআইডির আধিকারিকরা একাধিকবার ওই স্কুলে যান। তার পরেও তদন্তে বিশেষ অগ্রগতি না হওয়ায় গত শুনানিতে সিআইডিকে ভর্ৎসনা করেছিলেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুুন: “দেদার ছাপ্পা চললেও, প্রাণভয়ে কিছু করতে পারিনি”! হাইকোর্টে স্বীকারোক্তি প্রিসাইডিং অফিসারের

    সিআইডির তরফে ওই মামলার তদন্তের দায়িত্বে কারা রয়েছেন, তার তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছিলেন তিনি। তদন্তের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের আদালতে তলবও করেন বিচারপতি বসু (Calcutta High Court)। সিআইডির তদন্তকারী ওই দলের প্রধানকে তাঁর প্রশ্ন, “আপনি কী মনে করছেন, থালায় করে আপনাকে নথি সাজিয়ে দিয়ে আসা হবে?” তদন্ত এভাবে এগোলে এই মামলায় তদন্তের ভার সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশের ব্যাপারে বিবেচনা করবেন বলেও জানিয়েছিলেন বিচারপতি বসু।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share