Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Jadavpur University: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি, দাবি এনআইএ তদন্তের

    Jadavpur University: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি, দাবি এনআইএ তদন্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে (Jadavpur University) কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ  হল বিজেপি। বিশ্ববিদ্যালয়ে মাওবাদী কার্যকলাপের পাশাপাশি আজাদি স্লোগানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন বিজেপির মুখপাত্র রাজর্ষি লাহিড়ি। ঘটনার তদন্তে এনআইএ দাবি করেছে পদ্ম শিবির।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    ৯ অগাস্ট রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসে বিজেপির যুব মোর্চা। ওই কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফেরার সময় তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়। দেওয়া হয় মাওবাদী স্লোগানও। হামলা চালানো হয় তাঁর গাড়িতেও। এর পরেই আরএসএফের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন শুভেন্দু। তাঁর (Jadavpur University) দাবি, আরএসএফ মাওবাদীদের সেই সংগঠন, যা ভারতে নিষিদ্ধ। এই সংগঠনের বিরুদ্ধে ইউএপিএ প্রয়োগ করার জন্যও যাদবপুর থানার ওসিকে লিখিত অভিযোগ জানান শুভেন্দু।

    আদালতে মামলা

    সোমবার রাজর্ষি মামলা দায়ের করার পাশাপাশি পৃথক একটি মামলার অনুমতি চেয়েছিলেন শুভেন্দু। পুরো বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তাঁরা। মামলা দায়েরের অনুমতিও দেন প্রধান বিচারপতি। আদালতে শুভেন্দুর আইনজীবী বলেন, “ইউএপিএ আইন অনুযায়ী, মাওবাদী সংগঠন নিষিদ্ধ। তা সত্ত্বেও যাদবপুরের মতো প্রতিষ্ঠানে (Jadavpur University) এই অতিবাম সংগঠনগুলো কীভাবে সক্রিয় থাকতে পারে? তাই ছাত্র খুনের ঘটনায় ইউএপিএ ধারা যুক্ত করে এনআইএ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।” তিনি বলেন, “২০২২ সালে নদিয়া জেলা থেকে কিছু মাওবাদী গ্রেফতার হয়েছিলেন। তাঁরা যাদবপুরের ছাত্র ছিলেন। যে ছাত্রটির মৃত্যু হয়েছে, তারও বাড়ি নদিয়ায়। ছেলেটি কিছু জানতে পেরেছিল বলেই তাকে হত্যা করা হল কিনা, সেটা জানা জরুরি। যেহেতু যাদবপুরে মাওবাদীদের মতো নিষিদ্ধ সংগঠন সক্রিয় তাই জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এনআইএ তদন্ত চাইছি।”

    আরও পড়ুুন: লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের দফতরে ইডি! ‘কালীঘাটের কাকু’র মেয়ে-জামাইয়ের ফ্ল্যাটে তল্লাশি

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে (Jadavpur University) আগেই এনআইএ তদন্ত চেয়েছিলেন শুভেন্দু। গ্রেফতার হওয়া ১৩ জন পড়ুয়ার মধ্যে একজন জম্মু-কাশ্মীরের। তাঁকে ওবিসি এ সার্টিফিকেট দিয়ে ভর্তির সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। শুভেন্দু বলেছিলেন, “জম্মু-কাশ্মীরের ছেলে যাদবপুরে ভর্তি হতে পারে না। তাঁকে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট দিয়েছে শাসক দলের নেতা। এর সঙ্গে কাদের লিঙ্ক রয়েছে, মধ্যযুগীয় বর্বরতা কারা করতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়। একে একেবারে শেকড় থেকে তুলে ফেলতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja: কেন নতুন দুর্গাপুজোর অনুমতি নয়? কলকাতা হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে হিডকো

    Durga Puja: কেন নতুন দুর্গাপুজোর অনুমতি নয়? কলকাতা হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে হিডকো

    মাধ্যম বাংলা নিউজ: দুর্গা পুজোর অনুমতি চেয়ে  আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন নিউ টাউনের একটি পুজোর উদ্যোক্তারা। গত বছর পুজোর অনুমতি পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল ‘নিউ টাউন ইন্টেলেকচুয়াল’ নামে একটি সংগঠনকে। তাদের দাবি, নিউ টাউন মেলা প্রাঙ্গনে পুজোর অনুমতি দিতে হবে তাদের। গত বছর আদালতের হস্তক্ষেপে মেলা প্রাঙ্গনে পুজোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    দুর্গাপুজোর অনুমতি না দেওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন পুজো কমিটির লোকেরা। তাঁদের দাবি, সরকার বিরোধী পক্ষের লোক হওয়ায় তাঁদের পুজো করতে দেওয়া হচ্ছে না।  কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে পুজো উদ্যোক্তাদের একাংশ আবেদন করেন। শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে পুজো উদ্যোক্তারা প্রশ্ন তোলেন, পাশেই কেএমডিএ কর্তা দেবাশিস সেনের স্ত্রীর উদ্যোগে একটি দুর্গা পুজো হয়। সেই পুজোর জৌলুস যাতে কমে না যায়, সেই কারণেই কি নতুন পুজোর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না? হিডকোর আইনজীবী জানিয়েছেন, গত বছর ব্যতিক্রমীভাবে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তাদের দাবি, আগের বার যেখানে পুজো হয়েছিল, এবার সেখানে অনুমতি দিলে ট্রাফিকের সমস্যা হতে পারে। তিনি আরও জানান, ট্রাফিক ছাড়াও হাউজিংয়ের পুজো হয়। বিগত বছরে বাস স্ট্যান্ডের পরিবর্তে মেলা প্রাঙ্গণে পুজোর অনুমতি দেওয়া হয়। তখন বিচারপতি জানতে চান, তাহলে এই বছর সেই জায়গায় অনুমতি দিতে বাধা কোথায়? কী কারণ পুজোর অনুমতি দেওয়া যাচ্ছে না তা জানাতে বলেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুন: আর দিতে হবে না ‘পেনাল ইন্টারেস্ট’! গ্রাহকদের সুরাহায় নানা নির্দেশ আরবিআইয়ের

    মামলাকারী সংগঠনের তরফে আইনজীবী তরুণজ্যোতি তেওয়ারির দাবি, “কলেজের উৎসব-সহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অনুমতি দেওয়া হয় মেলা প্রাঙ্গনে, তাহলে পুজোয় কেন নয়? ওখানে সার্ভিস রোড আছে। ফলে যানজট হওয়ার কথা নয়। অথযা যানজটের বাহানা দেওয়া হচ্ছে।” দীর্ঘ শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য।  এই মর্মে হিডকোর জবাব চেয়েছেন বিচারপতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • JU Student Death: যাদবপুরকাণ্ডে জনস্বার্থ মামলায় রাজ্যপালকে পার্টি করার অনুমতি হাইকোর্টের

    JU Student Death: যাদবপুরকাণ্ডে জনস্বার্থ মামলায় রাজ্যপালকে পার্টি করার অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর (JU Student Death) ঘটনায় যখন কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ উঠছে, ঠিক তখনই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (JU Student Death) স্নেহমঞ্জু বসু শাসকদলের ঘনিষ্ঠ বলে সবাই জানেন। অন্যদিকে তিনি সমস্ত দায় চাপিয়েছেন ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়ের উপর। আবার রজত রায় লালবাজারে যে বয়ান দিয়েছেন, তাতে তিনি বলছেন, ‘‘ছাত্রদের বাধাতেই নাকি আইন কার্যকর করা যায় না।’’ রেজিস্ট্রার এবং ডিন মিলে সমস্ত দায় ছাত্রদের ওপরে চাপিয়েছেন। এমন অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্তৃপক্ষের দায় ঝেড়ে ফেলে তা রাজ্যপালের ওপরে চাপানোর প্রচেষ্টা করছেন। প্রসঙ্গত, গত ৯ অগাস্ট মৃত্যু হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপের। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ১২ জনকে। যাদের সবাই যাদবপুরের প্রাক্তনী ও পড়ুয়া। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় তোলপাড় হয়েছে রাজ্য।

    আরও পড়ুন: যাদবপুরে ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার আরও ৩

    জনস্বার্থ মামলা তৃণমূলের 

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদ খালি রয়েছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাবি যে রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পদাধিকারী। এবং উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর নাম জোড়া হোক। এমন দাবি নিয়ে মামলা দায়ের করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র সুদীপ রাহা। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। আগামী সোমবার এই মামলার শুনানি হতে পারে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে করা এই জনস্বার্থ মামলার (JU Student Death) আইনজীবী রয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

    সক্রিয় রাজ্যপাল

    যদিও যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর (JU Student Death) ঘটনায় রাজ্যপালকে অত্যন্ত সক্রিয় দেখা যাচ্ছে। তিনি নিজে বিশ্ববিদ্যালয়ে বারবার গিয়েছেন, সেখানকার পড়ুয়াদের সঙ্গে কথাও বলেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে রাজভবনের তলবও করা হয়েছে। বৈঠক করে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে বলে রাজ্যপাল জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুুন: “২০৪৭ সালের মধ্যে প্রতিটি গ্রামে উন্নয়নের দীপ জ্বালাতে হবে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: সুপ্রিম নির্দেশ, হাইকোর্টই শুনবে নিয়োগ মামলা! আরও দু’মাস জেল হেফাজত পার্থর

    Recruitment Scam: সুপ্রিম নির্দেশ, হাইকোর্টই শুনবে নিয়োগ মামলা! আরও দু’মাস জেল হেফাজত পার্থর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্ট থেকে নিয়োগ মামলা সরিয়ে শীর্ষ আদালতে নিয়ে যাওয়ার আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার (Recruitment Scam Case) শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টেই (Calcutta High Court)। নিয়োগ দুর্নীতির যাবতীয় মামলা একযোগে সুপ্রিম কোর্টে শোনার আর্জি জানানো হয়। শুক্রবার বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চে এই আবেদনের শুনানি হয়। এদিনের শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, হাইকোর্টকে এড়িয়ে সরাসরি কোনও মামলার শুনানি সম্ভব নয়।

    সুপ্রিম পর্যবেক্ষণ

    প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চের নির্দেশে অনেক শিক্ষকের চাকরি প্রশ্নের মুখে পড়েছে। সেই সব শিক্ষকদের একটি অংশ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। আর্জি ছিল, নিয়োগ দুর্নীতির অন্যান্য মামলাগুলি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে রাজ্যের বাইরের কোনও হাইকোর্টে যাতে স্থানান্তর করে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই আর্জি ধোপে টিকল না শীর্ষ আদালতে। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পরে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে নিয়োগ মামলার শুনানিতে কোনও বাধা রইল না। হাইকোর্টে যেমন শুনানি চলছে তেমনই চলবে।

    আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে মোদির বড় চমক, আজ সন্ত রবিদাসের ১০০ কোটির মন্দিরের শিলান্যাস

    পার্থর জেল হেফাজত

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, অয়ন শীল, শান্তনু মুখোপাধ্যায়, সৌভিক ভট্টাচার্য এবং কুন্তল ঘোষকে আরও দু’মাসের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। বিচারকের নির্দেশ, আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতেই রাখতে হবে পার্থদের। তাঁদের কোনও আইনজীবীই শুক্রবার জামিনের জন্য আবেদন করেননি। শুক্রবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের শুনানিতে পার্থ, অর্পিতা, সৌভিক এবং কুন্তলকে ভার্চুয়ালি হাজির করানো হয়েছিল। শান্তনু এবং অয়নকে সশরীরে আদালতে হাজির করানো হয়। মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য আদালতে হাজির হতে পারেননি। তিনি আদালতকে তা আগে থেকে জানিয়ে দিয়েছিলেন। ইডির তরফ থেকে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি, অভিজিৎ ভদ্র এবং ভাস্করপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: শিক্ষক পোস্টিং মামলায় তদন্ত চালিয়ে যাবে সিবিআই, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Calcutta High Court: শিক্ষক পোস্টিং মামলায় তদন্ত চালিয়ে যাবে সিবিআই, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত সিবিআই করছে, এর পাশাপাশি এবার পোস্টিং দুর্নীতি মামলাতেও তদন্ত চালাবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। শুক্রবার এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, প্রাথমিক শিক্ষকদের পোস্টিং নিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, এদিন সেই মামলার শুনানি চলছিল তখনই এই নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court)। বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন যে পোস্টিং দুর্নীতির মাধ্যমে কয়েকজন শিক্ষকের চাকরি পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাই তাঁদের এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে সিবিআই।  

    দিনকয়েক আগেই মানিককে জেলে গিয়ে জেরা করে সিবিআই

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে পোস্টিং দুর্নীতি মামলায় প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার ভিডিও আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যান প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। জিজ্ঞাসাবাদ ও ভিডিও ফুটেজ পেশের এই মামলায় শেষ পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এদিনের পর্যবেক্ষণ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সিবিআই তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে প্রাথমিক শিক্ষক পদে বেশ কিছু নিয়োগ হয়েছিল, সেই সময়ে কোন স্কুলে কার পোস্টিং হবে সে নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলে মামলা করেন কয়েকজন শিক্ষক। চলতি বছরের ২৫ জুলাই এ বিষয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court)। 

    বিচারপতির রায়ে ঘুম উড়েছে অনেকের

    অন্যদিকে, মানিক ভট্টাচার্যের ভিডিও ফুটেজ আদালতে পেশ সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্ট যে স্থগিতাদেশ দিয়েছে, তা নিয়ে কিছুটা আক্ষেপ প্রকাশ করতে দেখা যায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। বিচারপতির এই নির্দেশের পর অনেক আইনজীবী (Calcutta High Court) তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং তাঁদের মতামত হল যে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় অনেকের মনে ভয় ধরাতে পেরেছে। তাদের ঘুম উড়ে গিয়েছে। এ কথা শুনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষের সঙ্গে কেউ দুষ্টুমি করলে তাকে তিনি রেয়াত করবেন না।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: নন্দীগ্রামে জয়ী ৪৭ বিরোধী প্রার্থীকে ১২ অগাস্ট পর্যন্ত রক্ষাকবচ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: নন্দীগ্রামে জয়ী ৪৭ বিরোধী প্রার্থীকে ১২ অগাস্ট পর্যন্ত রক্ষাকবচ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোর্ড গঠনের আগে নন্দীগ্রামের (Nandigram) ১ নম্বর ও ২ নম্বর ব্লকের ১৭টি পঞ্চায়েতের ৪৭ জন বিরোধী বিজয়ী প্রার্থীর বিরুদ্ধে এখনই কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না রাজ্য পুলিশ। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। একইসঙ্গে ১১ অগাস্ট বোর্ড গঠনের সময়ে যাতে ওই জয়ী প্রার্থীরা উপস্থিত থাকতে পারেন, তার জন্য তাঁদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। 

    বিজেপির অভিযোগ

    বিজেপির অভিযোগ, বিরোধীদের বোর্ড গঠন রুখে দিতে নন্দীগ্রামের (Nandigram) দুটি ব্লকের ১৭টি পঞ্চায়েতের বিজেপির বিজয়ী প্রার্থীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ। এই আশঙ্কায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট প্রার্থীরা। ওই মামলাতেই এদিন আবেদনকারীদের রক্ষাকবচ দিয়েছে আদালত। আগামী শনিবার পর্যন্ত নন্দীগ্রামের (Nandigram) দুটি ব্লকের ১৭টি পঞ্চায়েতের ৪৭ জন বিরোধী সদস্যের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা যাবে না। পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকেই নন্দীগ্রাম-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি ও গোলমালের অভিযোগ উঠেছিল। এবার বোর্ড গঠনেও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। 

    আরও পড়ুন: “৭ দিন মানে ৭ দিন”! ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরি মামলায় সিআইডি-কে ‘ডেডলাইন’ হাইকোর্টের

    বিজেপির স্বস্তি

    উল্লেখ্য, এর আগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপেই (Central Force) নন্দীগ্রামে (Nandigram) পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আগামিকাল অর্থাৎ, ১১ অগাস্ট বোর্ড গঠন রয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েনের পরও পুলিশি গ্রেফতারি নিয়ে নতুন করে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল বিজেপি প্রার্থীদের মধ্যে। সেই আশঙ্কা থেকেই হাইকোর্টে মামলা করেন বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা। মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে। শেষ পর্যন্ত আজ আদালত থেকে অন্তর্বর্তী নির্দেশে ওই বিজেপি প্রার্থীদের ১২ তারিখ পর্যন্ত রক্ষাকবচ দেওয়া হল। ফলে এখন কিছুটা স্বস্তির শ্বাস গেরুয়া শিবিরে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: “৭ দিন মানে ৭ দিন”! ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরি মামলায় সিআইডি-কে ‘ডেডলাইন’ হাইকোর্টের

    Recruitment Scam: “৭ দিন মানে ৭ দিন”! ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরি মামলায় সিআইডি-কে ‘ডেডলাইন’ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের সুতির গোথা এআর হাইস্কুলে ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরির মামলায় (Recruitment Scam) রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারির বিরুদ্ধে ছেলে অনিমেশ তিওয়ারিকে বেআইনিভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত এই মামলায় রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলায় ৭ দিনের চূড়ান্ত সময়সীমা দেওয়া হয়েছে সিআইডিকে। উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখাক সিআইডি নাহলে তদন্ত স্থানান্তর করা হবে বলে পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের। 

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে সিআইডির উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, “কাজ না করলে তার ফল ভুগতে হবে।” তদন্তে রাজ্য কাউকে আড়াল করতে চাইছেন কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে সিআইডির উদ্দেশে বিচারপতির মন্তব্য, “আপনাদের উপর ভরসা রেখে তদন্তের ভার সিবিআইকে না দিয়ে সিআইডিকে দিয়েছিলাম। আপনারা কি আমার সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণিত করতে চাইছেন?” বুধবারই মামলায় সিআইডির তদন্তের গতি প্রকৃতি নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করে আদালত। হস্পতিবার অবশ্য ডিআইজি হাইকোর্টে আসেননি। এই মামলার জন্য গঠিত সাত সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর চার জন উপস্থিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার বিচারপতি বলেন, “আদালত আশা করে এই ধরনের একটা মামলার সময় তদন্তকারী দলের দায়িত্বশীল কোনও আধিকারিক আদালতে উপস্থিত থাকবেন। তদন্তকারী দলে কারা কারা আছেন? ডিআইজি-সিআইডিকে তদন্তকারী দল গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলাম। সেই নামগুলো কোথায়?” 

    আরও পড়ুন: খানাকুলে তৃণমূলকে সংখ্যালঘু করে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করল বিজেপি

    সাত দিন সময়

    বিচারপতি এদিন আরও বলেন, “এখানে শুধুমাত্র অনিমেষ তিওয়ারির ঘটনা উদঘাটনে সিআইডি-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। এর নেপথ্যে থাকা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র খুঁজতে বলা হয়েছে। সেখানে রাজ্যের যদি কোনও কিছু লুকনোর না থাকে সেক্ষেত্রে তা করা উচিত। আর যদি রাজ্য কিছু চাপা দিতে চায় সেক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা। এসএসসি খোঁজ করার চেষ্টা করছে যে কাদের বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হল। এটা তো সিআইডি-র খোঁজার কথা।” বিচারপতি আরও বলেন, “এটা একটা সুপরিকল্পিত চক্র। তা কেবলমাত্র একজনের পক্ষে সম্ভব নয়। এতদিন হয়ে গিয়েছে। যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছে। আর ধৈর্য্য ধরা সম্ভব হচ্ছে না। কিছু লোক এখনও শিক্ষক হিসেবে কাজ করছে, বেতন পাচ্ছে। অথচ তাদের কোনও রেকর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে নেই। ১৫ দিন সময় দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। সাতদিন মানে সাতদিন। ব্যক্তি নয়, একটা দল হিসেবে কাজ করুন।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৭ অগাস্ট।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: রিপোর্টে অসন্তুষ্ট! ‘ভুয়ো’ শিক্ষক মামলায় রাজ্যের ডিআইজি সিআইডিকে তলব হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: রিপোর্টে অসন্তুষ্ট! ‘ভুয়ো’ শিক্ষক মামলায় রাজ্যের ডিআইজি সিআইডিকে তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের গোথা এয়ার স্কুলে ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরির মামলায় বুধবার রাজ্যের ডিআইজি সিআইডিকে তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Biswajit Basu) নির্দেশ দেন, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ডিআইজি সিআইডিকে সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে হবে। তলব করা হয়েছে তদন্তকারী আধিকারিকদেরও। এর পরই মামলাটির তদন্ত সিবিআইকে দেওয়ার ইঙ্গিত দেন বিচারপতি।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    এদিন শুনানির সময়,  বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, “আমি আমার বিশ্বাস ভরসা সিআইডির উপর হারাচ্ছি।” ভুয়ো নিয়োগপত্র বানিয়ে নিজের স্কুলেই ছেলেকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল প্রধানশিক্ষক বাবার বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদের সুতির গোথা স্কুলের ওই ঘটনার তদন্তভার সিআইডিকে দিয়েছিল হাইকোর্ট। ওই মামলার তদন্তে নেমে রাজ্য জুড়ে প্রায় ৩৬ জন শিক্ষকের নাম পায় সিআইডি। যাঁদের মধ্যে ১৮ জন শিক্ষক ভুয়ো নথি ব্যবহার করে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। ১১ জন শিক্ষকের নিয়োগের নথি পাওয়া যায়নি। তদন্তে আরও উঠে আসে যে, সাত জন শিক্ষক মেধাতালিকায় স্থান পরিবর্তন করে চাকরি পেয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: চিনকে টক্কর! উত্তর-পূর্ব সীমান্তে আরও সাতটি টানেল তৈরি করছে ভারত

    তলব তদন্তকারী আধিকারিকদের

    বুধবার বিচারপতি বসু (Justice Biswajit Basu) এজলাসে এই মামলার শুনানিতে বলেন, ‘রাজ্যের এজেন্সিকে ভরসা করেছিলাম। আমার মোহভঙ্গ হচ্ছে। তাহলে এবার কেন সিবিআই নয়? বৃহস্পতিবার এজলাসে এসে নিজের কাজের ব্যাখ্যা দিতে হবে ডিআইজি সিআইডিকে।’ শুধু তিনি একা নন, তদন্তকারী দলের বাকি সদস্যদেরও আদালতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বসু। এদিন আদালতে তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় সিআইডির তরফে। সেই রিপোর্টে খুশি নন বিচারপতি। সেইসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন তদন্তকারী অফিসারদের কেউ আদালতে উপস্থিত নেই। রাজ্যের তরফে জানানো হয়, অফিসাররা তদন্তের কাজে গিয়েছেন। যা শুনে রেগে যান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘সবাই একসঙ্গে গেছেন? কাল আদালতে এসে তাঁরা সবাই আজ কোথায় গেছেন তা জানাতে হবে।’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: পছন্দের কোনও হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করাতে পারেন সুজয়কৃষ্ণ, নির্দেশ আদালতের

    Calcutta High Court: পছন্দের কোনও হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করাতে পারেন সুজয়কৃষ্ণ, নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ বেসরকারি হাসপাতালেই চিকিৎসা করানোর অনুমতি পেলেন ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেয় ইডি (ED)। তার পরেই অস্ত্রোপচারের জন্য তাঁকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা যেতে পারে বলে জানিয়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। যদিও আজ, বুধবারও তাঁকে জামিন দেননি বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। আদালতের নির্দেশ, যেহেতু সুজয়কৃষ্ণের জামিন হয়নি, তাই হাসপাতালে জেল কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তার সঙ্গে সঙ্গে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীও।

    বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর ইচ্ছে প্রকাশ

    কিছু দিন আগেই স্ত্রী বিয়োগ হয় সুজয়কৃষ্ণের। সেই সময়ও তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়েছিল আদালত। তবে স্ত্রীর পারলৌকিক ক্রিয়া করার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। কাজ শেষে ফের সুজয়কৃষ্ণ ফেরেন প্রেসিডেন্সি জেলের ছোট্ট কুঠুরিতেই। সম্প্রতি আদালতে (Calcutta High Court) অসুস্থ বলে দাবি করেন সুজয়কৃষ্ণ। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে চান বলেও জানান তিনি। তবে কেন তিনি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে চান, তা জানতে চান বিচারপতি। বিচারপতি জানান, এসএসকেএম হাসপাতাল যতক্ষণ না বলবে তাঁরা বিষয়টি বিশ্বাস করতে পারছেন না।

    সুজয়কৃষ্ণের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইডির

    এর পর সুজয়কৃষ্ণের বর্তমান শারীরিক অবস্থা জানতে চেয়ে ইডির কাছে রিপোর্ট তলব করেন বিচারপতি। ইডিকে বিশেষ মেডিক্যাল টিম গঠন করার নির্দেশও দেন। আদালতের নির্দেশ মেনে সুজয়কৃষ্ণের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে বিশেষ মেডিক্যাল টিম। এই টিমের চিকিৎসকরাও জানান সুজয়কৃষ্ণের অস্ত্রোপচার করা প্রয়োজন। সেই রিপোর্ট দেখেই আদালত অনুমতি দেয় সুজয়কৃষ্ণের অস্ত্রোপচারে। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ, এসএসকেএম বা তাঁর পছন্দের কোনও বেসরকারি হাসপাতাল, যেখানে খুশি চিকিৎসা করাতে পারেন সুজয়কৃষ্ণ।

    আরও পড়ুুন: “প্রাক্তন না করতে পারলে আমরা ক্ষুদিরামের দেশের লোক নই”, শুভেন্দুর তোপ মমতাকে

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তাপস মণ্ডলের মুখেই প্রথম শোনা যায় কালীঘাটের কাকুর কথা। পরে জানা যায়, এই কালীঘাটের কাকুই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষও নাকি বারবার বলতেন কালীঘাটের কাকুর কাছে পেমেন্ট দিতে হবে। সুজয়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তৃণমূলের বড় বড় নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন তিনি। মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণের হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটও এসেছে ইডির হাতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ভয় দেখাচ্ছে তৃণমূল! জয়ী বিরোধী প্রার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ভয় দেখাচ্ছে তৃণমূল! জয়ী বিরোধী প্রার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল বেরিয়েছে অনেক আগেই। চলছে বোর্ড গঠনের তোড়জোড়। তার আগে অশান্তির আশঙ্কায় কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূল বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জয়ী প্রার্থীরা। মঙ্গলবার মথুরাপুর, মুর্শিদাবাদ ও রায়দিঘির বিরোধী দলের জয়ী প্রার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ১০ অগাস্ট বোর্ড গঠন হওয়ার কথা মথুরাপুর পঞ্চায়েতে। এই পঞ্চায়েতের ৯জন জয়ী প্রার্থীকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

    নিরাপত্তার নির্দেশ মুর্শিদাবাদে

    মুর্শিদাবাদের তেনকরাইপুর বালুমতি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫ জন প্রার্থী এবং জেলার হেরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএমের ১২ জন প্রার্থীকেও নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘির কাশীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতজন জয়ী বিরোধী দলের প্রার্থীকেও নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তেনকরাইপুর বালুমতি পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হবে ১১ অগাস্ট। ১০ অগাস্ট বোর্ড গঠন হওয়ার কথা দক্ষিণ ২৪ পরগনারই উত্তর কুসুম গ্রাম পঞ্চায়েতে। ২৫ আসন বিশিষ্ট এই পঞ্চায়েতে তৃণমূল যাতে বোর্ড গড়তে না পারে, তাই জোট বেঁধেছে বাম ও কংগ্রেস। এদিন এখানেও বিরোধী দলের জয়ী প্রার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সেনগুপ্ত (Calcutta High Court)।

    আদালতে কংগ্রেসের মস্কিনা

    প্রসঙ্গত, এই পঞ্চায়েতে ১৭টি আসন পেয়েছে বাম, কংগ্রেস এবং আইএসএফ। বাকি ৮টি আসন পেয়েছে তৃণমূল। অভিযোগ, বোর্ড গঠনের আগে তৃণমূল জোট প্রার্থীদের হুমকি দিচ্ছে। এর পরেই প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী মস্কিনা মমতাজ। মস্কিনা কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক আবুল বাশার লস্করের স্ত্রী। ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপারকে বিচারপতি সেনগুপ্তের নির্দেশ, বোর্ড গঠনের দিন পঞ্চায়েত কার্যালয়ে উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। সেদিন প্রার্থীরা যাতে বৈঠকে অংশ নিতে পারেন, সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে।

    আরও পড়ুুন: হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য! নিয়োগ না মেলায় ফের আদালতে ৬২ জন চাকরিপ্রার্থী

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজয়ী প্রার্থীদের ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুক নন্দীগ্রামেও। বোর্ড গঠনের দিন ঘনিয়ে আসতেই বিরোধী দলের জয়ী প্রার্থীদের এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এরই প্রেক্ষিতে নন্দীগ্রামের দুটি ব্লকের ১৭টি পঞ্চায়েতের বিজয়ী প্রার্থীরা যাতে বোর্ড গঠনে উপস্থিত থাকতে পারেন, সে বিষয়েও পুলিশকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেয় আদালত (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

LinkedIn
Share