Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Primary Recruitment: হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য! নিয়োগ না মেলায় ফের আদালতে ৬২ জন চাকরিপ্রার্থী

    Primary Recruitment: হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য! নিয়োগ না মেলায় ফের আদালতে ৬২ জন চাকরিপ্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের  (Calcutta High Court) নির্দেশ সত্ত্বেও চাকরি দেওয়া হয়নি। এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন ৬২ জন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের বক্তব্য, হাইকোর্ট চার মাস আগে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা পার হয়ে গেলেও এখনও কাউকে চাকরি দেয়নি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর একক বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ওই চাকরিপ্রার্থীরা। দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। চলতি সপ্তাহেই এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

    চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য

    এনসিটিই-র নির্দেশিকা অনুযায়ী, স্নাতক স্তরে উপযুক্ত নম্বর থাকা সত্ত্বেও প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে দেয়নি পর্ষদ। এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন মোট ৭৪ জন চাকরিপ্রার্থী। এনসিটিই-র গাইডলাই অনুযায়ী ৪৫ শতাংশ নম্বর দরকার স্নাতর স্তরে। ওই আবেদনকারীদেরও ৪৫ শতাংশ নম্বর ছিল। কিন্তু অভিযোগ, পর্ষদ বলেছিল স্নাতক স্তরে ৫০ শতাংশ দরকার। এনসিটিই-র সেই গাইডলাইন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ মানেনি বলে অভিযোগ উঠেছিল। এই মামলার শুনানিতে গত ১০ এপ্রিল তাঁদের চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বসু। তাঁর নির্দেশ ছিল, মামলাকারীদের তথ্য যাচাই করে জুন মাসের মধ্যে চাকরি দিতে হবে। কিন্তু সেই জুন পেরিয়ে জুলাইও শেষ হয়ে গেল। অথচ, ওই ৬২ জনের এখনও চাকরি মেলেনি বলে অভিযোগ মামলাকারীদের। এমন অবস্থায় তাই এবার বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে এনেছেন ওই বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা।

    আরও পড়ুন: ৪ ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের থেকে কত টাকা নিয়েছিলেন তাপস-কুন্তলরা? বিরাট দাবি সিবিআইয়ের

    গত ২৭ জুলাই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, তথ্য যাচাই করে মামলাকারী ৭৪ জনের মধ্যে ৬২ জনকে প্রাথমিকের শিক্ষক পদে চাকরির জন্য বিবেচনা করা হয়েছে। শিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির কাছে শূন্যপদের তালিকাও চাওয়া হয়েছে। তালিকা এলেই তাঁদের শীঘ্রই নিয়োগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানায় পর্ষদ। তার মধ্যেই ফের আদালতের দ্বারস্থ হলেন চাকরিপ্রার্থীরা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “রাজ্য কেন অভিযুক্তের হয়ে কথা বলছে?”, উলুবেড়িয়া ধর্ষণকাণ্ডে প্রশ্ন হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: “রাজ্য কেন অভিযুক্তের হয়ে কথা বলছে?”, উলুবেড়িয়া ধর্ষণকাণ্ডে প্রশ্ন হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় পুলিশকে ভর্ৎসনা কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। ধর্ষণ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য উলুবেড়িয়া থানাকে সিআইডির হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশও দেয় আদালত। ধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ধরা না পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত। বিচারপতির প্রশ্ন, “কতবার তল্লাশি হয়েছে, অভিযুক্তকে গ্রেফতারের কী কী চেষ্টা করেছে পুলিশ। আমি দেখতে চাই কেস ডায়েরি থেকে কী কী চেষ্টা হয়েছে গ্রেফতারের। মূল অভিযুক্ত যিনি তিনি কি খুব প্রভাবশালী?” সিআইডি তদন্তের পাশাপাশি আদালতের নির্দেশ, নির্যাতিতার পরিবারকে সশস্ত্র পুলিশি নিরাপত্তা দিতে হবে।

    নাবালিকা মেয়েকে গণধর্ষণ

    উলুবেড়িয়ায় সরকারি জায়গায় একটি ছোট চায়ের দোকান রয়েছে ওই নাবালিকার পরিবারের। মামলাকারীর অভিযোগ, স্থানীয় কয়েকজন দোকান বন্ধ করে দেওয়ার জন্য তাঁদের চাপ দিচ্ছিল। তাঁর অভিযোগ, ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে তাঁর নাবালিকা মেয়েকে গণধর্ষণ করা হয়। মামলাকারীর দাবি, পুলিশ প্রথমে তাঁর অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। পরে অভিযোগ নিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করলেও, মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা। এর পরেই আদালতের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন তিনি। তাঁর দাবি, এর মধ্যেই সামাজিক চাপে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন তাঁর স্বামী। মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, মূল অভিযুক্ত শেখ এক্রামূল তাঁদের হুমকি দিচ্ছে।

    ভর্ৎসনার মুখে পুলিশ

    এদিনের শুনানিতে আদালতে হাজির ছিলেন উলুবেড়িয়ার আইসি রামেশ্বর ওঝা এবং আইও। ভর্ৎসনার মুখে পড়ে পুলিশ। বিচারপতি বলেন, “রাজ্যের দেওয়া তদন্ত রিপোর্ট, কেস ডায়েরি দেখে আদালত মনে করছে পুলিশ কিছু নথি দেখে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছে গিয়েছে। যার জন্য পুলিশ গণধর্ষণের অভিযোগও মানতে চাইছে না। মাস পিটিশনের সঙ্গে দশ টাকার স্ট্যাম্প পেপারের তথ্য দেখে পুলিশ তাতেই মান্যতা দিয়েছে।” আদালতের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, “রাজ্য কেন অভিযুক্তের হয়ে কথা বলছে, সেটাই তো পরিষ্কার নয়। এটা রাজ্যের লজ্জা। একজন নির্যাতিতার পাশে থাকা উচিত রাজ্যের। সেখানে রাজ্য পুলিশ থাকছে অভিযুক্তের পাশে। এটা চলতে পারে না।” বিচারপতি বলেন, “আদালত নিশ্চিত, মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পুলিশ ব্যর্থ। এটা রাজ্যের ব্যর্থতা। তাই সিআইডিকে তদন্ত হস্তান্তর করা হল।”

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়াল অভিষেকের নাম, শিরোনামে তৃণমূল কর্তার সংস্থাও

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Calcutta High Court: বোতলবন্দি জলেই শরীরে ঢুকছে বিষ! বৈধ পানীয় জল তৈরি সংস্থার তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশ

    Calcutta High Court: বোতলবন্দি জলেই শরীরে ঢুকছে বিষ! বৈধ পানীয় জল তৈরি সংস্থার তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পানীয় জলের মাধ্যমেই শরীরে ঢুকছে বিষ। এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই এবার বেআইনি পানীয় জলের রমরমা ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যবাসীকে এ ব্যাপারে সতর্ক করার পাশাপাশি বৈধ পানীয় জল প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির তালিকা তৈরির নির্দেশও রাজ্যকে দিয়েছে হাইকোর্ট। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, রাজ্যের সর্বত্র নজরদারি চালিয়ে বেআইনি পানীয় জলের কারখানাগুলি বন্ধ করারও।

    রাজ্যের রিপোর্ট তলব

    বছর কয়েক ধরে প্যাকেজড ড্রিংঙ্কিং ওয়াটারের রমরম ব্যবসা চলছে। সেই জল আদৌ পরিস্রুত কিনা বা পানের যোগ্য কিনা তা যাচাই করা হয়নি বলে অভিযোগ। এই অভিযোগেই গত বছর হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সেই রিপোর্টে রাজ্য জানিয়েছে, বেআইনি পানীয় জলের কারবার রুখতে গঠন করা হয়েছে টাস্কফোর্স। বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে একাধিক বেআইনি প্যাকেজিং ড্রিংঙ্কিং ওয়াটার কারখানা।  

    বেআইনি পানীয় জলের কারখানা

    মামলাকারীর অভিযোগ, রাজ্যে যত্রতত্র কুটির শিল্পের মতো গজিয়ে উঠেছে বেআইনি পানীয় জলের কারখানা। দূষিত পুকুর কিংবা নদী থেকে জল সংগ্রহ করে সেগুলিকে কৃত্রিম পদ্ধতিতে শোধন করে বোতলজাত করে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডর্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া, ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ড ও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রয়োজনীয় লাইসেন্স ছাড়াই ওই সব কারখানা চালানো হচ্ছে। তার পরেই রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়াল অভিষেকের নাম, শিরোনামে তৃণমূল কর্তার সংস্থাও

    আদালতে (Calcutta High Court) জমা দেওয়া রিপোর্টে রাজ্য জানায়, রাজ্যজুড়ে ৪১৩টি ইউনিটে হানা দিয়ে ৮৫টি বেআইনি কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ২০১৯-২১ সালের মধ্যে ৩৪০টি কারখানার জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে ২৮০টি নমুনা। আইনজীবীদের একাংশের মতে, রাজ্যের এই পদক্ষেপকে যথেষ্ট বলে মনে করছে না আদালত। তাই রাজ্যে কতগুলি জল তৈরির কারখানার লাইসেন্স রয়েছে, তার তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: তৃণমূলের হয়ে নথি বিকৃতির অভিযোগ! বিচারপতি সিনহার বেঞ্চে ফিরল মামলা

    Calcutta High Court: তৃণমূলের হয়ে নথি বিকৃতির অভিযোগ! বিচারপতি সিনহার বেঞ্চে ফিরল মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উলুবেড়িয়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে এক প্রার্থীর নথি বিকৃত করার মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে কোনও হস্তক্ষেপ করল না ডিভিশন বেঞ্চ। মামলা ফেরত গেল সিঙ্গল বেঞ্চেই। সিঙ্গল বেঞ্চকে বিস্তারিতভাবে এসডিও-র বক্তব্য শোনার পরামর্শ ডিভিশন বেঞ্চের।

    ডিভিশন বেঞ্চের পরামর্শ

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে নথি বিকৃত করার অভিযোগ ওঠে। নথি বিকৃত মামলায় ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক বিডিও-সহ তিন আধিকারিককে সাসপেন্ড করার সুপারিশ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) নিযুক্ত তথ্য অনুসন্ধান কমিটি। কমিটির রিপোর্টের প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানতে চেয়েছিলেন আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ঠিক কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। এর আগে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন বিডিও। এদিন ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, “মনোনয়নপত্রে তথ্য বিকৃতি মামলায় যে রিপোর্ট পেশ করেছে কমিটি তাতে অনিয়ম হয়েছে বলে মনে করছে আদালত। সিঙ্গল বেঞ্চ সাসপেন্ড সম্পর্কিত যে কথা বলছে তা প্রাক্তন বিচারপতি পরিচালিত কমিটির রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে। তিন আধিকারিকের সাসপেনশন সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের শীর্ষ কর্তাদের বিবেচনা করতে বলেছে সিঙ্গল বেঞ্চ। নতুন করে এই বিষয়টি স্পষ্ট করে দেওয়ার আগে সিঙ্গল বেঞ্চ এসডিও-র বক্তব্য শুনবে।” ডিভিশন বেঞ্চ আরও জানায়, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ অনুসন্ধানের স্বার্থে প্রাক্তন বিচারপতির নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেওযা হয়। এই কমিটির রিপোর্ট কোথাও চ্যালেঞ্জ করা হয়নি। সিঙ্গল বেঞ্চ এই কমিটির রিপোর্ট দেখে পদক্ষেপ করেছে। 

    আরও পড়ুন: স্বস্তি শুভেন্দুর! এফআইআর দায়ের নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট

    উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নের সময় উলুবেড়িয়ার বাহিরা ১ নং গ্রাম পঞ্চেয়াতের বাম প্রার্থী কাশ্মীরা বেগমের মনোনয়নপত্র বিকৃত করার অভিযোগ ওঠে। এই আসনটি ওবিসি-দের জন্য সংরক্ষিত ছিল। অভিযোগ ওঠে কাশ্মীরার জাতিগত শংসাপত্র বিকৃত করার বিষয়ে অভিযোগ পাওযার পরেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেননি স্থানীয় বিডিও। এই প্রসঙ্গেই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই বাম নেত্রী।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ‘‘নির্দোষই যদি হন, তাহলে ভয় পাচ্ছেন কেন?’’ অভিষেকের রক্ষাকবচ মামলায় প্রশ্ন ইডির

    Abhishek Banerjee: ‘‘নির্দোষই যদি হন, তাহলে ভয় পাচ্ছেন কেন?’’ অভিষেকের রক্ষাকবচ মামলায় প্রশ্ন ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যদি নির্দোষই হন, তাহলে তদন্তের স্বার্থে কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন কেন? হাইকোর্টে এই প্রশ্ন তুললেন  ইডির আইনজীবী এম ভি রাজু। হাইকোর্টে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) রক্ষাকবচ মামলার শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার। সেখানে আবারও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রক্ষাকবচের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী অভিষেক মনুসিংভি। তার প্রেক্ষিতেই এই প্রশ্ন তোলে ইডি। 

    ভার্চুয়াল শুনানি

    তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এখন বিদেশে। কুন্তল ঘোষের বক্তব্যের নিরিখে এই রক্ষাকবচ মামলা। শুনানিপর্বে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী অভিষেক মনুসিংভি ও  ইডির আইনজীবী এম ভি রাজু। এদিন আইনজীবী অভিষেক মনুসিংভি বলেন, কোথাও অভিষেকের নামে কোনও অভিযোগ নেই। সাপ্লিমেন্টারি যে চার্জশিট, সেখানেও নাম নেই। অথচ ১৬ এপ্রিল, ১৯ মে ২০২৩ সমন পাঠানো হয় সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে। ১৪ জুন চতুর্থ সমন পাঠানো হয়। ২০ অগাস্ট অভিষেকের দেশে ফেরার কথা। আশঙ্কা তিনি ফিরলেই গ্রেফতার করা হতে পারে তাঁকে। তাই কোনও পদক্ষেপ যাতে না করা হয়, সেই নির্দেশ দেওয়া হোক। আজ, শুক্রবার ফের মামলার শুনানি হবে।

    আরও পড়ুন: কঠোর নিরাপত্তা! জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে এএসআই-এর ‘বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা’ শুরু

    আদালতে ইডির দাবি

    অভিষেকের (Abhishek Banerjee) আইনজীবীর বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে ইডির আইনজীবী এম ভি রাজুর বক্তব্য, ‘‘সমন পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ডাকা মানেই তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে, এমন কেন ভাবছেন তিনি? তিনি এত প্রভাবশালী যে জিজ্ঞাসাবাদ করতেও ডাকা যাবে না? তা হলে তো তদন্তই অসম্পূর্ণ থেকে যাবে! তিনি যদি নির্দোষ হন, তা হলে কেন গ্রেফতারের ভয় পাচ্ছেন? কেন সমন এড়িয়ে যাছেন? আজ অভিযুক্ত নন বলে, কালও যে হবেন না, এমনটা তো নয়।’’ এ দিন আদালতে শুনানি সন্ধ্যা পর্যন্ত গড়ায়। শেষে বিচারপতি ঘোষ জানান, মামলাটি আজ, শুক্রবার আবার তিনি শুনবেন। ততক্ষণ পর্যন্ত রক্ষাকবচ থাকবে অভিষেকের। প্রসঙ্গত, ইডি ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টেও দাবি করেছে, অভিষেকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে বলেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে। ইডির যুক্তি, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে যে আর্থিক লেনদেন হয়েছে তা খতিয়ে দেখার জন্যই অভিষেককে জিজ্ঞসাবাদে ডাকা হয়েছে। অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ। বহু গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েদের থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। তাই তদন্তের কথা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিক আদালত।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pakistani in Indian Army: জাল নথি দিয়ে সেনায় চাকরি! পাক নাগরিক নিয়োগ মামলায় তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Pakistani in Indian Army: জাল নথি দিয়ে সেনায় চাকরি! পাক নাগরিক নিয়োগ মামলায় তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনা বাহিনীতে (Indian Army) পাকিস্তানি চর নিয়োগ মামলায় চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে বলে জানাল সিবিআই। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে সিবিআইয়ের (CBI) দাবি, ওবিসি সার্টিফিকেট কারচুপি করে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীতে কাজ করছেন এমন চারজনের হদিশ মিলেছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা থেকে এমন বেশ কিছু নথি তাঁদের কাছে রয়েছে। এমনকী, শংসাপত্রে এসডিও-র সইও রয়েছে। এরপরই হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত সিবিআইকে এ বিষয়ে এফআইআর দায়ের করে দ্রুত তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশেই বিষয়টি প্রাথমিক ভাবে খতিয়ে দেখেছিল সিবিআই। 

    আদালতে সিবিআই-এর দাবি

    আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে, এমনকী আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এই অভিযোগের গুরুতর ভূমিকা রয়েছে। উত্তর পূর্ব ভারত সহ অন্য রাজ্য থেকে জাল নথি দিয়ে বাহিনীতে নিয়োগ হচ্ছে। ডোমিসাইল সার্টিফিকেট ও জাতিগত শংসাপত্র নিয়েও আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আদালতকে জানিয়েছে, মহকুমা শাসকের সই করা সার্টিফিকেট পাওয়া গিয়েছে, অথচ তিনি তা স্বীকার করছেন না। শুধু ডোমিসাইল নয় এমন প্রার্থীদের ওবিসি সার্টিফিকেটও দিয়েছেন মহকুমা শাসক। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এখনও এমন নিয়োগের চারজনের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। শুধু এই রাজ্য নয়, প্রতিবেশী রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকাতেও এই ধরনের কার্যকলাপের হদিশ পাওয়া গিয়ছে। সিবিআই আদালতকে বলেছে, ‘এখনও অবধি কোনও বিদেশি নাগরিকের এইভাবে চাকরি পাওয়া হদিশ না পাওয়া গেলেও সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এই অভিযোগের তদন্তের ক্ষেত্রে ইন্টারপোলের সাহায্য প্রয়োজন হতে পারে। এটা জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় বিপদের কারণ।’ 

    আরও পড়ুন: ‘‘যুদ্ধ কোনও বিকল্প নয়’’! ফের ভারতের সঙ্গে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ পাক প্রধানমন্ত্রীর

    বিচারপতির পর্যবেক্ষণ

    এ প্রসঙ্গে বুধবার বিচারপতি সেনগুপ্তের পর্যবেক্ষণ, এই রাজ্য সীমান্তবর্তী হওয়ায় কম নম্বরের মাধ্যমে এখানকার বাহিনীতে নিয়োগের একটা সুযোগ রয়েছে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভিন্‌রাজ্যের নাগরিকেরা জাল সার্টিফিকেট ব্যবহার করে, চক্রের মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে ঢুকে পড়ছেন। দ্রুত তদন্ত শুরু করা প্রয়োজন। পাশাপাশি বিচারপতির নির্দেশ, যত দিন না সিবিআই এই তদন্তের রিপোর্ট দিচ্ছে, তত দিন মামলাকারী বিষ্ণু চৌধুরীর নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করবে রাজ্যের পুলিশ। 

    সেনাবাহিনীতে পাক নাগরিক!

    ভারতীয় সেনাবাহিনীতে সত্যিই পাকিস্তানি নাগরিক আছেন কি না, থাকলেও কী ভাবে এলেন, বিষয়টি নিয়ে আগেই সিআইডিকে প্রাথমিক ভাবে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সিবিআইকেও বিষয়টি দেখতে বলেন। আদালতের বক্তব্য ছিল, দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে সব সংস্থাকে একযোগে কাজ করতে হবে। উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের সেনাছাউনিতে পাকিস্তানের দুই নাগরিক কর্মরত বলে অভিযোগ উঠেছিল। তাঁদের নাম জয়কান্ত কুমার এবং প্রদ্যুম্ন কুমার। অভিযোগ, পাকিস্তান থেকে এসে তাঁরা ভারতীয় সেনায় যোগ দিয়েছেন। সরকারি পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁদের নিয়োগও হয়েছে। ওই পরীক্ষায় প্রয়োজনীয় নথিপত্র জাল করে চাকরি পেয়েছেন তাঁরা। এই অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি দায়ের করেন হুগলির বাসিন্দা বিষ্ণু চৌধুরী। এই ঘটনায় পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের যুক্ত থাকার আশঙ্কাও প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি মান্থা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: বুথের ভিডিও ফুটেজ নষ্ট হল কীভাবে? বিডিওকে প্রশ্ন হাইকোর্টের 

    Panchayat Election 2023: বুথের ভিডিও ফুটেজ নষ্ট হল কীভাবে? বিডিওকে প্রশ্ন হাইকোর্টের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহরমপুরের বেলডাঙা-২ ব্লকের কাশীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের (Panchayat Election 2023) একটি বুথে পুনর্নির্বাচন না হওয়ার মামলায় হাইকোর্টে ধমক খেলেন সংশ্লিষ্ট বিডিও। অন্যদিকে সিঙ্গল বেঞ্চের পর কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা উলুবেড়িয়ার বিডিও নীলাদ্রিশেখর দে-র। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে হস্তক্ষেপ করল না ডিভিশন বেঞ্চ। আপনি কি অন্যদের সঙ্গে সুবিচার করেছেন ? বিডিওকে প্রশ্ন করে আদালত। 

    বহরমপুরের বিডিও-কে  ধমক

    মঙ্গলবার বহরমপুরের বেলডাঙা-২ ব্লকের একটি বুথে পরাজিত (Panchayat Election 2023) সিপিএম প্রার্থী নাসিমা বেগম হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। মামলাকারীর অভিযোগ, তাঁর এজেন্টদের ভোটের দিন ও গণনার দিন মারধর করে বের কর দেওয়া হয়েছিল। তারপরও বুথে পুনর্নির্বাচন হয়নি। মামলাটি ওঠে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চে। এদিন শুনানির সময়, বেলডাঙা-২ ব্লকের বিডিও জানান, তাঁর দায়িত্বে যে বুথগুলি ছিল, তার মধ্যে দু’টি বুথে পুনর্নির্বাচন করানো হয়েছিল। কিন্তু নাসিমা বেগমের ওই বুথটি সেই তালিকায় ছিল না। কারণ হিসেবে বিডিও জানান, ওই বুথের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করা যায়নি। সিসিটিভি ফুটেজ নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে দাবি বিডিও-র। এখানেই বিচারপতির প্রশ্ন, কীভাবে ভিডিও ফুটেজ নষ্ট হয়ে যেতে পারে! তাহলে সিসিটিভি রাখার উদ্দেশ্য কী? মামলায় সংশ্লিষ্ট ব্লকের বিডিওকে আদালতে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। একইসঙ্গে প্রিসাইডিং অফিসারকে মামলায় যুক্ত করারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের টাকা ‘আত্মসাৎ’ করেছেন বিডিও! খতিয়ে দেখার নির্দেশ হাইকোর্টের

    উলুবেড়িয়ার বিডিও-কে ভর্ৎসনা 

    অন্যদিকে, পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) মাঝে দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছিল উলুবেড়িয়ার বিডিও-র বিরুদ্ধে। প্রাক্তন বিচারপতির (Calcutta High Court) এক সদস্যের কমিশন সব তথ্য খতিয়ে দেখে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছিল। তাঁর পক্ষ থেকে হাইকোর্টে নজিরবিহীনভাবে বিডিও, এসডিওকে সাসপেন্ড করার সুপারিশ করেছিলেন কমিশন। যার পরই নির্বাসনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বিচারপতি অমৃতা সিনহার যে নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেন উলুবেড়িয়ার বিডিও। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন তিনি। কিন্তু এদিন নীলাদ্রিশেখরের আইনজীবীর জবাবে সন্তুষ্ট ছিলেন না বিচারপতি। মামলা ফেরত যায় বিচারপতি সিন্হার কাছেই। ৩ অগাস্ট বিচারপতি অমৃতা সিন্হার এজলাসে পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Calcutta High Court: পঞ্চায়েতের টাকা ‘আত্মসাৎ’ করেছেন বিডিও! খতিয়ে দেখার নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: পঞ্চায়েতের টাকা ‘আত্মসাৎ’ করেছেন বিডিও! খতিয়ে দেখার নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতের টাকা আত্মসাৎ করেছেন বিডিও (BDO)! শুধু আত্মসাৎ করাই নয়, একেবারে টাকা বিদেশে পাচার করেছেন ওই সরকারি আধিকারিক! এ সংক্রান্ত মামলায় জেলাশাসককে অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের বিডিও কৃশানু রায়ের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকজন সদস্য। আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন তাঁরা। এই মামলার প্রেক্ষিতেই জেলাশাসককে অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ।

    বিডিও’র বিরুদ্ধে অভিযোগের বহর

    আদালত সূত্রে খবর, নায়ারণগড় ব্লকে তৃণমূলের দখলে থাকা একাধিক পঞ্চায়েতের প্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষদের অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা না করেই পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির ফান্ড খরচ করেছেন বিডিও। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর ভুয়ো বিল বানিয়ে টাকা খরচ করা হয়েছে বলেও দেখিয়েছেন তিনি। আদালতে যাঁরা মামলা করেছিলেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন আয়নাল হক মোল্লাও। তিনি (Calcutta High Court) বলেন, “বিষয়টি আগেই জেলাশাসককে জানিয়েছিলেন গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা। জেলাশাসক কোনও পদক্ষেপ না করায় আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলাম।” মঙ্গলবার এই মামলাই ওঠে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। জেলাশাসককে আদালতের নির্দেশ, যথাযথ তদন্ত করে আট সপ্তাহের মধ্যে পদক্ষেপ করতে হবে। অভিযুক্ত বিডিওকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

    মামলাকারী কারা জানেন? 

    জানা গিয়েছে, বিডিওর বিরুদ্ধে মামলাটি রুজু হয়েছিল ২০ জুলাই। প্রধান আবেদনকারী নারায়ণগড় পঞ্চায়েত সমিতির সদ্য বিদায়ী শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ অনাদি বারিক। বাকিরা হলেন পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি নমিতা সিংহ, সহকারী সভাপতি গণেশ মাইতি, বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ তথা নারায়ণগড় ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সুকুমার জানা, কৃষি কর্মাধ্যক্ষ কাওসার আলি সহ সাতজন কর্মাধ্যক্ষ। বিদায়ী পঞ্চায়েতের প্রধান সহ আরও কয়েকজনও রয়েছেন মামলায় (Calcutta High Court)। মামলাকারীদের অভিযোগ— কন্যাশ্রী, রূপশ্রী প্রকল্পের টাকাও আত্মসাৎ করেছেন বিডিও। ট্রেনিংয়ের টাকা সঠিক খাতে খরচ না করে ভুয়ো বিল বানিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। বিডিও অফিসের গাড়ি ব্যবহার করেছেন ব্যক্তিগত কাজে। পঞ্চায়েতের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক খাতের বিল নকল করেও টাকা আত্মসাৎ করেছেন অভিযুক্ত বিডিও। পরে, সেই টাকা বিদেশে পাচার করেছেন ওই বিডিও। 

    আরও পড়ুুন: “চুরি আটকান, তাহলে রাজ্যের বরাদ্দ আদায়ে এক সঙ্গে দিল্লি যাব”, বললেন শুভেন্দু

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Calcutta High Court: ভাঙড় থেকে প্রত্যাহৃত ১৪৪ ধারা, আদালতে জানাল রাজ্য সরকার

    Calcutta High Court: ভাঙড় থেকে প্রত্যাহৃত ১৪৪ ধারা, আদালতে জানাল রাজ্য সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হল ভাঙড় থেকে। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) একথা জানাল রাজ্য সরকার। স্বাভাবিকভাবেই এখন আর ভাঙড়ে যেতে কোনও বাধা রইল না স্থানীয় বিধায়ক আইএসএফের নওশাদ সিদ্দিকির। এদিন রাজ্য সরকারও জানিয়েছে, এখন আর ভাঙড়ের বিধায়কের মামলার কোনও যৌক্তিকতা নেই।

    ভাঙড়ে জারি ১৪৪ ধারা

    ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্বে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছিল ভাঙড়। রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়েছেন বেশ কয়েকজন। মনোনয়ন-পেশ পর্বেও হয়েছে খুনখারাপি। তারপরেই এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। তার জেরে এলাকায় ঢুকতে পারেননি স্থানীয় বিধায়ক নওশাদ। নির্বাচন-পর্ব মিটে যাওয়ার পরেও কেন ভাঙড়ে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে, সে প্রশ্নও ওঠে। এই ১৪৪ ধারার কারণেই ১২ জুলাই নওশাদকে ভাঙড়ে ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। ১৭ জুলাইও তাঁর বিধানসভা ক্ষেত্রে যেতে দেওয়া হয়নি নওশাদকে।

    হাইকোর্টে ভাঙড়ের বিধায়ক 

    এর পরেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ভাঙড়ের বিধায়ক। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে সেই মামলার (Calcutta High Court) শুনানি হয় আজ, সোমবার। সেখানেই রাজ্য সরকার জানায়, এদিন থেকেই ভাঙড়ে প্রত্যাহার করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। এর পরেই বিচারপতি সেনগুপ্তের সিঙ্গল বেঞ্চ জানায়, এখন আর ভাঙড়ে ঢুকতে বাধা নেই বিধায়কের। কেবল স্থানীয় বিধায়ক নন, ১৪৪ ধারা জারি থাকায় ভাঙড়ে ঢুকতে গিয়ে বাধা পেয়েছেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তৃণমূলের সওকত মোল্লা এবং তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামও। 

    আরও পড়ুুন: ফের মুখ পুড়ল তৃণমূলের! বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচিতে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    জানা গিয়েছে, তৃণমূল বিধায়ক সওকতের আবেদনে কান দেওয়ায়ই ভাঙড় থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। বিধানসভার বাদল অধিবেশনে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারের (Calcutta High Court) আবেদন করেন সওকত। তিনি বলেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাই, যাতে ভাঙড় থেকে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হয়। ভাঙড়ের তপ্ত পরিবেশের জেরে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছিল। আমার মনে হয়, এখন ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া উচিত। গরিব মানুষের অসুবিধা হোক, সেটা আমরা কখনও চাই না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

     

  • Calcutta High Court: রাজ্যকে ভর্ৎসনা! রামনবমী নিয়ে সরকারের ভূমিকায় বিরক্ত কলকাতা হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: রাজ্যকে ভর্ৎসনা! রামনবমী নিয়ে সরকারের ভূমিকায় বিরক্ত কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমী মামলায় (Ramnabami Case) কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ভর্ৎসনার মুখে পড়ল রাজ্য সরকার। সোমবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে মামলা করার অনুমতি চায় রাজ্য। কিন্তু বিচারপতি রাজ্যের আবেদনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সোমবার রাজ্যের এই আচরণেই বিরক্তি প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে, রামনবমীর অশান্তি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে, তাতে তারা কোনও ভাবেই হস্তক্ষেপ করবে না। 

    কী বললেন বিচারপতি

    হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘আপনারা লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে একটা নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন। তার পর শীর্ষ আদালতের নির্দেশ পক্ষে না গেলে নতুন মামলা করছেন। এটা হতে পারে না।’’ রামনবমীর মিছিল ঘিরে রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় যে অশান্তি তৈরি হয়েছিল, তাতে এনআইএ তদন্তের কথা বলেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। পরে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে যায়। সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল যাবতীয় মামলার নথি এনআইএ কে দিতে হবে। সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট বলেছে, ‘‘আগে শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশ কার্যকর করুক রাজ্য, তার পরে আপনাদের মামলা শুনব।’’ বিচারপতি সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ বাইপাস করে রাজ্য নতুন মামলা করে আগের নির্দেশ কার্যকর করতে দেরি করবে। সেটা মেনে নেব না।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন হয়নি, তাই ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত’’! মুখ্যমন্ত্রীর কথায় ওয়াকআউট বিজেপির

    রাজ্যকে ধমক

    গত মার্চ মাসে, রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে হাওড়ার শিবপুর, হুগলির রিষড়া এবং উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় দফায় দফায় অশান্তি হয়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা মামলায়, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ, হাওড়া, হুগলি, ডালখোলায় অশান্তির ঘটনায় এনআইএ-কে তদন্তভার দেয়। এরপর, এনআইএ তদন্তের নির্দেশে স্থগিতাদেশ চেয়ে সু্প্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। কিন্তু রাজ্য সরকারের এই আবেদনে সাড়া দেয়নি সর্বোচ্চ আদালত। এনআইএ তদন্তের বিষয়টি হাইকোর্টের ওপরেই ছেড়ে রাখে সর্বোচ্চ আদালত। তার প্রেক্ষিতেই এদিন বিচারপতি সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘আপনারা টাকা খরচ করে সুপ্রিম কোর্ট যাবেন, সেখানে পক্ষে রায় না পেলেও সেখানকার নির্দেশ পালন করবেন না, এটা হতে পারে না। আগে এনআইএ মামলা করেছে, সেই মামলা আগে শুনব, তার পরে রাজ্যের মামলা শুনব। কারণ, রাজ্য কোর্টের নির্দেশ পালন না করে নতুন মামলা করে বিষয়টা আরও ঘোরালো করছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল যাবতীয় মামলার নথি এনআইএকে দিতে হবে। আগে তাই দিন তারপর কথা হবে।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share