Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Calcutta High Court: পকসো মামলায় নির্যাতিতার ছবি প্রকাশ, আইসি-আইওকে সাসপেন্ডের নির্দেশ হাইকোর্টের  

    Calcutta High Court: পকসো মামলায় নির্যাতিতার ছবি প্রকাশ, আইসি-আইওকে সাসপেন্ডের নির্দেশ হাইকোর্টের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পকসো (POCSO) আইনের মামলার কেস ডায়েরিতে নির্যাতিতার ছবি দিয়ে নাম লিখে দেওয়ার ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বুধবার ওই মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, নাবালিকার পরিচয় প্রকাশ করে অত্যন্ত গর্হিত কাজ করেছে বিধাননগর কমিশনারেটের অন্তর্গত বাগুইআটি থানা।

    সাসপেন্ডের নির্দেশ

    এই মামলায় থানার আইসি ও তদন্তকারী অফিসারকে (IO) সাসপেন্ড করে তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য বিধাননগরের কমিশনারকে নির্দেশও দিয়েছে আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে চার সপ্তাহ পরে। সেদিন বিধাননগর কমিশনারেটকে আদালতে জানাতে হবে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। এদিন আদালতের ভর্ৎসনার মুখেও পড়ে পুলিশ। বেঞ্চের (Calcutta High Court) প্রশ্ন, “যিনি নাবালিকাকে পাচারকারীদের হাত থেকে বাঁচালেন, তাঁকেই অভিযুক্ত করে গ্রেফতার করার কারণ কী? তার মানে কি ওই যুবক পাচার চক্র ভাঙতে চাইছিলেন না? পাচার চক্র যাতে চলতে পারে, পুলিশ কি সেই রাস্তা করে দিচ্ছে? কেন পুলিশ নাবালিকার গোপন জবানবন্দি দেখল না? না কি দেখেও দেখল না! সেখানে স্পষ্ট লেখা, ওই যুবক তাকে উদ্ধারে সাহায্য করেছেন।”

    বিচারপতির প্রশ্ন 

    কেস ডায়েরিতে কীভাবে পাচার হওয়া নাবালিকার ছবি সহ পরিচয় প্রকাশ করা হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। এর পরেই বাগুইআটি থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ শান্তনু সরকার ও তদন্তকারী অফিসার বিশ্বজিৎ দাসকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেয় আদালত। প্রসঙ্গত, ৩ মার্চ বন্ধুর বাড়ি যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় ওই নাবালিকা। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই নাবালিকার মা। পরে তিলজলা এলাকা থেকে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ।

    আরও পড়ুুন: মালদার ২ মহিলাকে নির্যাতন! রিপোর্ট তলব জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের

    পুলিশকে সাহায্য করে ওই নাবালিকার প্রেমিক অনল সর্দার। পরে তাঁকেই অভিযুক্ত ঠাউরে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই মামলায় আদালতের (Calcutta High Court) ভর্ৎসনার মুখে পড়ে পুলিশ। অনিলকে জামিনও দিয়েছে আদালত। এদিন থানার আইসি এবং তদন্তকারী অফিসারকেও তলব করেছিল হাইকোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Malda: মালদার ২ মহিলাকে নির্যাতন! রিপোর্ট তলব জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের

    Malda: মালদার ২ মহিলাকে নির্যাতন! রিপোর্ট তলব জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদায় দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনায় এবার রিপোর্ট তলব করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ২ সপ্তাহের মধ্যে জেলা পুলিশ সুপারকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  জেলার এসপি-র পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশকেও বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

    জামিনে মুক্ত দুই নির্যাতিতা

    গত ১৮ জুলাই মালদার বামনগোলার পাকুয়াহাটে চোর সন্দেহে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে জুতোপেটা করার অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টে নালাগোলা ফাঁড়ি ভাঙচুরকাণ্ডে নির্যাতিতাদেরই গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও ঘটনার দিন তারা ফাঁড়ির এলাকায় যাননি, ভাঙচুরেও যুক্ত ছিলেন না বলে দাবি করেন তাঁরা। ৭দিন পর গতকাল জামিনে জেল থেকে ছাড়া পান ২ নির্যাতিতা। ওই ঘটনায় গত ২৩ জুলাই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি তথা মালদা জেলা আদালতের আইনজীবী উজ্জ্বল দত্ত। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এবার জেলা পুলিশ সুপারের কাছে রিপোর্ট তলব করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

    আরও পড়ুন: পিংলায় ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন! দোষীদের ফাঁসির সাজা ঘোষণা করল আদালত

    আজ, বুধবার সকালে জামিনে মুক্ত দুই নির্যাতিতাকে মুক্তি দেয় জেল কর্তৃপক্ষ। জেল থেকে বেরিয়েই দুই নির্যাতিতার দাবি, ১৮ জুলাই ভরা হাটে চুরির মিথ্যা অপবাদে তাঁদের মারধর করা হয়। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে দুই নির্যাতিতার পরিবার। তাঁদের দাবি, ঘটনার দিন হাটে লেবু বিক্রি করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, সেই সময় চোর সন্দেহে তাঁদের মারধর ও জুতোপেটা করা হয়। ভিডিয়োতে অনেকে মিলে ওই দুই মহিলাকে মারধর করতে দেখা যায়। সেই মারধরের সময়ই ওই দুই মহিলার শরীর থেকে পোশাক খুলে যায়। কিন্তু তাতেও বন্ধ হয়নি শারীরিক হেনস্থা। পরে ওই দুই মহিলাকে মারধরে অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম মনোরঞ্জন মন্ডল, বিজয় মন্ডল, মিনতি টুডু, বাসন্তী মার্ডি এবং রেবতী বর্মন। আদালতে পেশ করা হলে তাদের পুলিশ হেফাজতে পাঠান বিচারক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: রামনবমী হিংসা মামলা, তদন্তে সহযোগিতা করছে না রাজ্য, আদালতে এনআইএ

    Calcutta High Court: রামনবমী হিংসা মামলা, তদন্তে সহযোগিতা করছে না রাজ্য, আদালতে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তদন্তে সহযোগিতা করছে না রাজ্য সরকার। এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। বুধবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে এই অভিযোগ জানান এনআইএর আইনজীবী। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছে আদালত।

    রামনবমীর শোভাযাত্রায় হিংসার অভিযোগ

    রামনবমীর শোভাযাত্রাকে ঘিরে হিংসার অভিযোগ ওঠে হাওড়ার শিবপুর, হুগলির রিষড়া, চন্দননগর এবং উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায়। এ নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা একটি জনস্বার্থ মামলায় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয় এনআইএ তদন্তের। হাইকোর্টের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। তাদের যুক্তি ছিল, জনস্বার্থ মামলায় তদন্তের ভার এনআইএকে দেওয়া যায় না। দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা ছাড়া সাধারণ হিংসার মামলায় এনআইএ আইন প্রয়োগ করা যায় না।

    সুপ্রিম কোর্টের রায় 

    এনআইএ তদন্তের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে রাজ্য সরকারের তরফে যে আর্জি জানানো হয়েছিল, মে মাসে তা খারিজ করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারডিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চেও খারিজ হয়ে গিয়েছে ওই আর্জি। তার পরেই জোর কদমে তদন্ত শুরু করে এনআইএ।

    তবে এই প্রথম নয়, চলতি বছরের জুন মাসেও রামনবমীর শোভাযাত্রায় হিংসা সংক্রান্ত মামলার নথি হস্তান্তর না করায় রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালতের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিল এনআইএ। সেই সময় হাইকোর্টের বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা নির্দেশে বলেন, “রায় চ্যালেঞ্জ করার মানে আগের নির্দেশ কার্যকর করা না হয়। রাজ্য বাধ্য ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ কার্যকর করতে। তাই আগে নথি হস্তান্তরের ব্যবস্থা করতে হবে। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এলে তখন আলাদা হবে। স্থগিতাদেশ পেয়ে যাব, এই ধারণা করে রাজ্য নথি চেপে বসে থাকতে পারে না।”

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ-দুর্নীতিতে নজরে কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর পুরসভা! সিবিআই তলবে হাজির আধিকারিকরা

    এদিন হাইকোর্টে এনআইএর আইনজীবী জানান, আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশ মেনে রাজ্যের কাছে হাওড়ার শিবপুর, হুগলির রিষড়া-চন্দননগর, উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় হিংসার নথি রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দাদের কাছে চাওয়া হলেও, তারা এখনও দেয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: সোমবারের আগে অভিষেকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নয়, আদালতে জানাল ইডি

    Abhishek Banerjee: সোমবারের আগে অভিষেকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নয়, আদালতে জানাল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারের আগে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) মামলার শুনানি হচ্ছে না। তাই ওই দিন পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করবে না ইডি (ED)। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে একথা জানিয়ে দিলেন ইডির আইনজীবী। মঙ্গলবার অভিষেকের মামলা বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে পাঠিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। বুধবার মামলাটি এজলাসে উঠতেই দ্রুত শুনানির আবেদন জানান ইডির আইনজীবী। কিন্তু অন্যান্য মামলার চাপ থাকায় সোমবারের আগে শুনানি সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন বিচারপতি ঘোষ। তার পরেই ওই দিন পর্যন্ত অভিষেকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ না করার সিদ্ধান্ত নেয় ইডি। পরে তা আদালতে জানিয়েও দেওয়া হয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে।

    মামলার সাত সতের

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় আদালতে এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়েছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড (Abhishek Banerjee)। গত সোমবার পর্যন্ত রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। মামলা নির্দিষ্ট না করা পর্যন্ত অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। মামলাটি বিচারপতি ঘোষের এজলাসে উঠলে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে ইডি। ইডির আইনজীবী বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলাটি বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে গিয়েছে। সেখানে তদন্ত চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তাই মামলাটি বিচারপতি সিনহার বেঞ্চেই যাওয়া উচিত। বিচারপতি ঘোষ জানিয়ে দেন, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিই ঠিক করবেন, কার এজলাসে শুনানি হবে সংশ্লিষ্ট মামলার। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম মামলাটি ফেরত পাঠান বিচারপতি ঘোষের এজলাসে। শুনানির জন্য মামলাটি উঠলে তিনি জানান, সোমবারের আগে এই মামলার শুনানি সম্ভব নয়।

    নাম জড়ায় অভিষেকের 

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার হন যুব তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা কুন্তল ঘোষ। পরে তিনি অভিযোগ করেন, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নাম বলতে তাঁকে চাপ দিচ্ছেন তদন্তকারীরা। এর পরেই ওই মামলায় নাম জড়ায় তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের। সিবিআইয়ের মুখোমুখি হলেও, ইডির হাজিরা এড়াতে অভিষেক দ্বারস্থ হন সুপ্রিম কোর্টে। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, ওই মামলা শুনবে হাইকোর্টই। এবার মামলা আসে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা নন্দীগ্রাম থানার সিভিক! জেলাজুড়ে শোরগোল

    অভিষেকের বিরুদ্ধে এফআইআর করে ইডি তদন্ত করতে পারবে বলে নির্দেশ দেন তিনি। এর পরেই এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়ে ফের একবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো। সেই মামলারই শুনানি সোমবারের আগে হবে না বলে জানিয়ে দেন বিচারপতি ঘোষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Ganguly: ছক কষেই দুর্নীতি! জেলে গিয়ে মানিককে জেরা করার নির্দেশ সিবিআই-ইডিকে

    Justice Abhijit Ganguly: ছক কষেই দুর্নীতি! জেলে গিয়ে মানিককে জেরা করার নির্দেশ সিবিআই-ইডিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় মঙ্গলবার সিবিআইয়ের (CBI) সমালোচনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। তাঁর প্রশ্ন, “কতবার মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই?” সিবিআইয়ের সিটের প্রধান অশ্বিনী শেনভিকে ভার্চুয়ালি তলবও করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পর্ষদের ‘ডিজাইনড কোরাপশনে’র উল্লেখও করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    ‘নতুন ধরনের দুর্নীতি’

    ২০২০ সালে কাউন্সেলিং পর্বে হয়েছে এই ডিজাইনড কোরাপশন। আদালত চায়, সিবিআই নতুন করে এফআইআর রুজু করে তদন্ত করুক। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, এদিনই জেলে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করুক সিবিআই। তিনি (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, “২০২০ প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এটা নতুন ধরনের দুর্নীতি। আজই মানিক ভট্টাচার্যকে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন সিবিআইয়ের দক্ষ দুই অফিসার। সন্ধে ৬টার মধ্যে মামলাকারীদের আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে আজই প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের।

    ‘ডিজাইনড কোরাপশন’

    প্রশ্ন হল, ডিজাইন কোরাপশন কী? জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে হয়েছিল কাউন্সেলিং। পরের বছর জুলাই মাসে কাউন্সেলিংয়ের বিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্ষদ। সেখানে চতুরতার সঙ্গে ড্রাফট লেখা হয়েছিল। হোম ডিস্ট্রিক্ট ফাঁকা না দেখিয়ে, প্রেফার্ড ডিস্ট্রিক্টকে পছন্দ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। কাউন্সেলিং পর্বে প্রার্থীদের বলা হয় ‘লাস্ট চান্স’। যদিও সেবারই তাঁরা প্রথম সুযোগ পাচ্ছিলেন। এখানেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে, পর্যবেক্ষণ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly)। তিনি জানান, যে মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ পেয়েছেন মানিক, সেই মামলার সঙ্গে এই নতুন মামলার কোনও যোগ নেই। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, তদন্ত চালিয়ে গেলেও, মানিকের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না সিবিআই।

    আরও পড়ুুন: প্রসঙ্গ মণিপুর, বিধানসভায় রাজ্যের অস্ত্রেই সরকারকে ঘায়েল করবেন শুভেন্দু!

    ইডির উদ্দেশে এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, এই মামলায় কোনও আর্থিক তছরুপ হয়ে থাকলে তদন্ত করতে পারবে তারা। প্রয়োজনে মানিককে হেফাজতেও নিতে পারবে। আজ, মঙ্গলবার থেকেই তদন্ত শুরু করতে পারবে ইডি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, যে ব্যক্তি টাকার বিনিময়ে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। প্রসঙ্গত, বীরভূম, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ ও হুগলিতে ডিজাইন কোরাপশনের অভিযোগ উঠেছে।

    মঙ্গলবার প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। মামলাটি ওঠে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) এজলাসে। ওই মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, প্রাথমিকের নিয়োগে পরিকল্পিত দুর্নীতি হয়েছে। যার নেপথ্যে রয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। মানিক-ই ছক কষে ডিজাইনড কোরাপশন করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Calcutta High Court: নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার পাহাড়, ফের একবার বিরক্তি প্রকাশ প্রধান হাইকোর্টের বিচারপতির

    Calcutta High Court: নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার পাহাড়, ফের একবার বিরক্তি প্রকাশ প্রধান হাইকোর্টের বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার পাহাড় জমে গিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। আজ, সোমবার ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত অন্তত ৭৩টি মামলার শুনানি রয়েছে। এরই মাঝে নতুন আবেদন শুনে ফের একবার বিরক্তি প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। সব মামলার শুনানি স্থগিত করে দেওয়ার হুমকিও দেন তিনি।

    মামলার পাহাড় 

    এদিন যে ৭৩টি মামলার শুনানি রয়েছে আদালতে, তার মধ্যে ২৬টি জনস্বার্থ মামলা রয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। এর মধ্যেই একটি মামলায় নতুন করে আবেদন নিয়ে এসেছিলেন এক মামলাকারী। এই সময়ই উষ্মা প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court) বলেন, “মামলা তো চলছে। কেন আবার নাক গলাচ্ছেন? এ নিয়ে তো অধীর রঞ্জন চৌধুরীর মামলা রয়েছে। তা ছাড়াও এত মামলা রয়েছে। আমরা কিন্তু সব মামলার শুনানি স্থগিত করে দিতে বাধ্য হব। শেষ কয়েক মাসে কোনও কাজ করা যাচ্ছে না।” 

    মামলা প্রত্যাহার

    তিনি বলেন, “মামলা তো দায়ের করেছেন। নতুন করে আবেদন কেন? মামলা প্রত্যাহার করে নিন। না হলে মামলা খারিজ করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কড়া অর্থদণ্ড দেব। আপনারা কি আদালতের সঙ্গে রাজনীতির খেলা শুরু করার চেষ্টা করছেন? আদালতের কাছে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বজায় রাখুন।” এর পরেও মামলাকারী অনড় থাকায় তাঁর মামলা খারিজ করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্য লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির দফতরে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেন। এর পরেই মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

    আরও পড়ুুন: ‘শ্লীলতাহানি’! বিজেপির দুই মহিলা প্রার্থীকে পুলিশি পাহারায় বাড়ি পাঠানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

    অবশ্য এই প্রথম নয়, দিন কয়েক আগেও রাজনৈতিক মামলার বহর দিন দিন বেড়ে যাওয়া উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court)। তার দিন দুই আগেও ওই একই কারণে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন হাইকোর্টেরই বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তিনি বলেছিলেন, “সারা দিন কি শুধু রাজনৈতিক মামলাই শুনব? অন্য মামলা কি আর শোনা যাবে না!এত এত রাজনৈতিক মামলা শোনার সময় দেওয়া যাবে না।” তিনি এও বলেছিলেন, “এই সব মামলা আমি রিলিজ করে দেব। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ২৭ থেকে ২৮টা মামলা রয়েছে। তার ওপর এই রকম আরও ১০টা মামলা এখনই রয়েছে। এত এত রাজনৈতিক মামলা শোনার সময় দেওয়া যাবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘শ্লীলতাহানি’! বিজেপির দুই মহিলা প্রার্থীকে পুলিশি পাহারায় বাড়ি পাঠানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ‘শ্লীলতাহানি’! বিজেপির দুই মহিলা প্রার্থীকে পুলিশি পাহারায় বাড়ি পাঠানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে ভোট গ্রহণ ও গণনার দিন তাঁদের দুই মহিলা প্রার্থীর শ্লীলতাহানি (two molested BJP women) করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিল বিজেপি। সোমবার, ওই দুই প্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের এজলাসেও উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের পুলিশ এসকর্ট দিয়ে বাড়ি পাঠানোর নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ডিভিশন বেঞ্চ। 

    হাইকোর্টের নির্দেশ

    ওই দুই মহিলা প্রার্থীর হয়ে আদালতে এদিন সওয়াল করেছিলেন বিজেপি নেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশের পর প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল বলেন, আদালতের নির্দেশকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। মহামান্য বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, দুই মহিলা প্রার্থীকে পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দিতে হবে। তাঁদের উপর যেন কোনও হামলা না হয়। রাজ্যে শান্তি কায়েম রাখতে হবে। বিজেপির দুই প্রার্থীর মধ্যে একজন এদিন কোর্ট চত্বরে দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিনি হাওড়া জেলার একটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন। ভোটের দিন ও গণনার দিন তৃণমূলের অনেকে বুথের মধ্যে ও গণনার মধ্যে ঢুকে পড়েছিল। একটা সরু প্যাসেজ দিয়ে বুথে ঢুকতে হচ্ছিল। সেখানে তৃণমূলের কয়েক জন কর্মী তাঁর গায়ে হাত দিয়েছেন বলে তাঁর অভিযোগ।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে আরও ১০ দিন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী, জানাল হাইকোর্ট

    মমতাকে কটাক্ষ

    রবিবার সকালে পাঁচ তফসিলি সাংসদের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম (BJP Fact Finding Team) বাংলায় পাঠিয়েছে বিজেপি। এ দিন তারা হুগলির তারকেশ্বর এবং আরামবাগে ভোটে আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। সোমবার, এই দলের সদস্য সাংসদ এস মুনিস্বামী জানিয়েছেন, ‘গতকাল যা দেখে এসেছি, তাতে স্পষ্ট, নামে মমতা হলেও মুখ্যমন্ত্রীর কাজকর্মে আর নামমাত্র মমত্ব অবশিষ্ট নেই। এই রাজ্যের দায়িত্ব অবিলম্বে রাজ্যপালের হাতে তুলে দেওয়া হোক। মুখ্যমন্ত্রী স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিন’। যার নেতৃত্বে এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম সফর করছে, সেই সাংসদ বিনোদ সোনকারের দাবি, ‘মমতা ব্যানার্জি ভয় পেয়েছেন। তাই আর এই আচরণ’। ৫ সদস্যের এই টিমে আছেন বিনোদ সোনকার, সুরেশ কাশ্যপ, এস মুনিস্বামী, মনোজ রাজোরিয়া এবং বিনোদ ছাবড়া। তাঁরা দিল্লি ফিরে গিয়ে, এই রাজ্যের সন্ত্রাস-এর আবহ নিয়ে বিস্তারিত আকারে  রিপোর্ট জমা দেবেন, বলে জানান। এরই মধ্যে 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Elections 2023: রাজ্যে আরও ১০ দিন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী, জানাল হাইকোর্ট

    Panchayat Elections 2023: রাজ্যে আরও ১০ দিন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী, জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections 2023) পর্ব মিটে গেলেও রাজ্যে এখনও বিক্ষিপ্ত ভাবে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটছে। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে (Central Forces) আরও ১০ দিন রেখে দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের নেতৃত্বে ডিভিশন বেঞ্চ।

    পর্যায় ভিত্তিক বাহিনী প্রত্যাহার 

    সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে কেন্দ্রের আইনজীবী জানান, বাহিনীর সময়সীমা বাড়ানোয় আপত্তি নেই কেন্দ্রের। বাহিনী থাকার সময় ১০ দিন বাড়ানো সম্ভব। হাইকোর্টে (Calcutta High Court) হলফনামা দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফেই বলা হয় যে এক সঙ্গে সব বাহিনী প্রত্যাহার না করে তারা দফায় দফায় তা প্রত্যাহারে আগ্রহী। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারের আইনজীবী আদালতে জানান, অবশিষ্ট ২৩৯ কোম্পানির বাহিনীর মধ্যে ১৩৯ কোম্পানি বাহিনী ইতিমধ্যে প্রত্যাহার করা হয়ে গিয়েছে। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম তাঁর নির্দেশে বলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও যখন চাইছে তাহলে আরও ১০ দিন রাজ্যে বাহিনী রেখে দেওয়া হোক।

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে আজ এক বেলায় ৭৩টি পঞ্চায়েত ভোট মামলার শুনানি

    তবে এ ব্যাপারে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বাহিনীর যথাযথ সমন্বয় প্রয়োজন, বলে জানায় আদালত। নইলে বাহিনী রেখে দেওয়ার কোনও অর্থ হয় না। যে সব জায়গায় এখনও অশান্তি রয়েছে, সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে লাগানো হোক। এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর আরও ১০দিন পর্যন্ত থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আজই সেই সময়সীমা শেষ হচ্ছে। ইতিমধ্যে রাজ্য থেকে বাহিনী প্রত্যাহারের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আদালতের নির্দেশ, এখন কোথায় বাহিনী যাবে, তা ঠিক করবে কমিশন ও রাজ্য। সোমবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাহিনী প্রত্যাহার করা হচ্ছে। বাহিনী প্রত্যাহারের জন্য প্রস্তুত স্পেশ্যাল ট্রেনও। যেমন খড়্গপুর থেকে রাজকোটের দিকে সোমবারই একটি স্পেশ্যাল ট্রেন রওনা দিচ্ছে। বিএসএফের ২০ কোম্পানি বাহিনী থাকবে তাতে। মেচেদা থেকে বেগুসরাই ও রাজকোটের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা সিআরপিএফের বড় বাহিনীর। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: অভিষেকের ‘বিজেপির বাড়ি ঘেরাও’ কর্মসূচি নিয়ে মামলার অনুমতি হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: অভিষেকের ‘বিজেপির বাড়ি ঘেরাও’ কর্মসূচি নিয়ে মামলার অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপিকে এই নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। 

    কেন মামলা

    গত শুক্রবার ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের সভামঞ্চ থেকে ‘বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘোরও’-এর ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মন্তব্যের জেরেই দায়ের হয়ে এফআইআর। পরে তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তৃণমূল নেত্রী এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ওই মন্তব্যে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিজেপি। বিজেপির আইনজীবী সূর্যনীল দাস সোমবার আদালতকে বলেন, এই ধরনের কর্মসূচি একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করবে। এই মর্মেই আদালতে মামলা রুজু করার অনুমতি চান তাঁরা। একই সঙ্গে মামলর দ্রুত শুনানির অনুরোধও করেন। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ প্রথম আর্জিটি মেনে নিলেও দ্বিতীয় আবেদনটি খারিজ করে দেয়।

    আরও পড়ুন: ‘কেন্দ্রীয় এজেন্সি ডাকলেই আন্দোলন কেন?’ ধনখড়ের নিশানা কাদের দিকে

    বিজেপির দাবি

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-এর বক্তব্য অনুযায়ী বিজেপির নেতা-কর্মীদের বাড়ি ঘেরাও অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে আগামী ৫ অগাস্ট। মূলত, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ বিজেপি নেতা-কর্মীদের বাড়ি ঘেরাও করার নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করে তৃণমূল কংগ্রেস। এই কর্মসূচির উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিষয়টি আইন শৃঙ্খলার অবনমন এবং বিজেপি নেতা, কর্মীদের সুরক্ষার দিক থেকে যথেষ্ট বিপজ্জনক বলে মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব। এরকম কর্মসূচি আরও বিপদ ডেকে আনবে বলেই মনে করছেন তাঁরা। প্রতিবাদ কর্মসূচির নামে মানুষের সুরক্ষা প্রশ্নের মুখে তুলে দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Recruitment: আদালতের নির্দেশে ৫৭৫৭ জনের তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন

    SSC Recruitment: আদালতের নির্দেশে ৫৭৫৭ জনের তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশিত হল ২০১৬ সালের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির (SSC) নিয়োগের তালিকা। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে বৃহস্পতিবার পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। কোনও নিয়োগের পিছনে দুর্নীতি আছে কি না, তা জানতে ২০১৬ সালের একাদশ-দ্বাদশের মেধাতালিকা ও সম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশ করার আর্জি জানিয়েছিলেন ববিতা সরকার। সিঙ্গল বেঞ্চ তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেওয়ার পর ডিভিশন বেঞ্চও বহাল রাখে সেই নির্দেশ। সেইমতো তালিকা প্রকাশ করা হল। 

    কী কী রয়েছে তালিকায়

    স্কুল সার্ভিস কমিশনের তালিকায় মোট ৫৭৫৭ জনের নাম ও তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ৫৭৫৭ জনের নাম ছাড়াও স্কুল, জেলা, বিষয়েরও উল্লেখ রয়েছে। প্রসঙ্গত, নিজের চাকরি হারানোর পর তা পুনরায় ফিরে পেতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন ববিতা। ববিতার বক্তব্য ছিল, ২০১৬-র পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগ হয়েছে এমন কারও চাকরি নিয়ে যদি প্রশ্ন ওঠে, যদি তালিকা প্রকাশ্যে আসলে দুর্নীতি ধরা পড়ে সে ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ পেতে পারেন তিনি। তাই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এজলাসে মেধাতালিকা ও ওএমআর প্রকাশের আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মেয়াদ কি বাড়ানো যায়? কেন্দ্রের কাছে জানতে চাইল হাইকোর্ট

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ববিতার আর্জি মঞ্জুর করে তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় স্কুল সার্ভিস কমিশন। বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে, উত্তরপত্র প্রকাশে বাধা কোথায়? তবে কারও চাকরি নিয়ে প্রশ্ন উঠলে, তাঁর বক্তব্য শুনতে হবে বলে নির্দেশে উল্লেখ করা হয়েছে। তারপরই এই তালিকা প্রকাশ করা হল। প্রসঙ্গত বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা ইতিমধ্যেই স্বীকার করে নিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনও। এরই মধ্যে এবার সামনে এল ২০১৬ সালের একাদশ ও দ্বাদশের নিয়োগের পূর্ণ তালিকা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

LinkedIn
Share