Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Sexual Harassment: কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেডিক্যালে ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, গ্রেফতার অধ্যাপক

    Sexual Harassment: কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেডিক্যালে ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, গ্রেফতার অধ্যাপক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Incident) মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার রাতেই আরও একটি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে রাজ্য। অভিযোগ, কল্যাণীর এক মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন এক অধ্যাপক। ৯ অগস্ট রাতে কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। নির্যাতিতা মেডিক্যাল কলেজের ওই বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। যার ভিত্তিতে পুলিশ ওই অধ্যাপককে গ্রেফতার করেছে।

    কী অভিযোগ

    ঘটনাটি ঘটেছিল কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা ওই কলেজের মাইক্রোবায়োলজির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তিনি কলেজের বিভাগীয় এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তার ভিত্তিতে অধ্যাপককে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই সময় আরজিকর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় হয়ে উঠেছিল রাজ্যসহ গোটা দেশ। জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় বর্ষের নির্যাতিতা ছাত্রী আরজিকর নিয়ে প্রতিবাদ আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। প্রতিবাদ আন্দোলনের মঞ্চেই তিনি কেঁদে ফেলেছিলেন। সহকর্মীদের তিনি এবিষয়ে জানান। পরে সহকর্মীদের কাছ থেকে সাহস পেয়ে তিনি স্থানীয় থানায় অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। গত ১৩ অগস্ট অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। তার ভিত্তিতে অধ্যাপককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ‘‘ওকেও উৎসব মণ্ডল করে দেব’’, ধৃত বাংলাদেশি হিন্দুকে মারার চেষ্টা মুসলিমদের

    জামিনের আর্জি খারিজ

    এই ঘটনায় অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তার জামিন খারিজ করে দেন। পরে কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানান অভিযুক্ত অধ্যাপক। অভিযুক্তের আইনজীবী আদালতে বলেন, এমন কিছুই ঘটেনি সেদিন রাতে। ছাত্রীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল খানিকটা। এরপর বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ বলেন, যেহেতু চার্জশিট ফাইল হয়ে গেছে, এবার ছাত্রীর সাক্ষ্য গ্রহণ হবে, তাই এই অবস্থায় জামিন দেওয়া যাবে না। জানা গিয়েছে এই বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তৎকালীন অধ্যক্ষ তদন্ত করতে একটি কমিটি গঠন করেন। একদিনের মধ্যেই তার রিপোর্টও জমা পড়ে। সেই রিপোর্টও পুলিশের কাছে পাঠানো হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: মঙ্গলেই মিছিল ডাক্তারদের, রাজ্যকে ভর্ৎসনা করে অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: মঙ্গলেই মিছিল ডাক্তারদের, রাজ্যকে ভর্ৎসনা করে অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মুখ পুড়ল রাজ্য সরকারের। আবারও কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ভর্ৎসিত হল তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার। সোমবার বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ রাজ্যকে বলেন, “এক কাজ করুন। গোটা শহরে আপনারা ১৪৪ ধারা জারি করুন।” পরে অবশ্য তিনি শর্তসাপেক্ষে মিছিলের (Doctors Rally) অনুমতি দিয়েছেন। আদালতের শর্ত হল, নির্দিষ্ট রুটেই মিছিল হবে। নামাতে হবে পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবকও।

    রাজ্যকে ভর্ৎসনা আদালতের

    আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদ ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে ১ অক্টোবর বিকেল ৫টায় কলেজ স্কোয়ার থেকে রবীন্দ্রসদন পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছে চিকিৎসকদের বেশ কয়েকটি সংগঠন। পুলিশের অনুমতি না মেলায় উদ্যোক্তারা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেখানেই মেলে মিছিলের অনুমতি। রাজ্যকে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি বলেন, “এক কাজ করুন। গোটা শহরে আপনারা ১৪৪ ধারা জারি করুন। তাহলে কোনও আন্দোলন, মিটিং-মিছিল হবে না। দুর্গাপুজো হবে না। অথচ এই শহরে আমি ৪০-৫০ বছরের কাটানো জীবনে দেখেছি, মিটিং-মিছিল হয়। পুলিশ তা নিজের মতো করে সামালও দেয়।”

    মিছিলের অনুমতি দিল আদালত

    তিনি বলেন (Calcutta High Court), “কোনও মানুষ বাড়ি থেকে বেরিয়ে মিছিলে হাঁটলে তাঁকে কে নিষেধ করবে? পুলিশ নাকি ডাক্তাররা? নাকি বাইরের লোক ঢুকেছে দেখে ডাক্তাররা মিছিল বন্ধ করে দেবেন? বাস্তবটা দেখার চেষ্টা করুন।” বিচারপতি বলেন, “শহরের মানুষ যদি পথে নেমে আসে, তখন কি পুলিশ বলতে পারে রাস্তায় যানজট হয়ে গিয়েছে, আপনারা বন্ধ করুন?” তিনি মনে করিয়ে দেন, “সুরক্ষা দেওয়া পুলিশের কাজ।” এর পরেই শর্তসাপেক্ষে মিছিলের অনুমতি দেয় আদালত।

    আরও পড়ুন: মামলার পথে ইডি! কেজরি, সোরেনের পর এবার কি সিদ্দারামাইয়ার জেলে যাওয়ার পালা?

    জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১ অক্টোবর মিছিল হবে কলেজ স্কোয়ার থেকে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত। পথে নামবে ৫৫টি সংগঠন। চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও এই মিছিলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে উদ্যোক্তাদের তরফে। পুলিশের অনুমতি না মেলায় সৃষ্টি হয়েছিল জটিলতা। আদালতের হস্তক্ষেপে (Doctors Rally) শেষমেশ কাটে জট (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Malviya: ‘গান পয়েন্টে ধর্ষণ আইএএসের স্ত্রীকে’! পুলিশকে ভর্ৎসনা আদালতের, রাজ্যকে আক্রমণ মালব্যর

    Amit Malviya: ‘গান পয়েন্টে ধর্ষণ আইএএসের স্ত্রীকে’! পুলিশকে ভর্ৎসনা আদালতের, রাজ্যকে আক্রমণ মালব্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘গান পয়েন্টে ধর্ষণ আইএএসের স্ত্রীকে’! খোদ কলকাতার ঢাকুরিয়ার ঘটনা। মামলা লঘু করে দেখিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ রাজ্যের বিরুদ্ধে। কলকাতা হাইকোর্টে ভর্ৎসনার মুখে রাজ্য সরকার। তার পরেই বাংলায় নারী (Women In Bengal) সুরক্ষা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুললেন বিজেপির আইটি সেলের আহ্বায়ক অমিত মালব্য (Amit Malviya)। এক আইএএস অফিসারের স্ত্রীকে ধর্ষণের মামলাকে লঘু করার অপরাধে কলকাতা হাইকোর্টে ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে পুলিশ।

    অমিতের ট্যুইট-বাণ (Amit Malviya)

    এই প্রসঙ্গেই অমিতের ট্যুইট-বাণ। তিনি লিখেছেন, “বন্দুকের নলের সামনে দুদিন ধর্ষণের শিকার হন একজন আইএএসের স্ত্রী। এক মহিলা থানায় গেলে পুলিশ অপরাধীকে বাঁচাতে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট ও লোপাট করার চেষ্টা করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে এভাবেই মানুষ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত।” এই বিজেপি নেতার দাবি, “এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বরং বাংলায় নারীর প্রতি যৌন অপরাধের প্রবণতা ক্রমবর্ধমান।” তাঁর প্রশ্ন, ‘যদি কলকাতায় একজন প্রভাবশালী আইএএস অফিসারের স্ত্রী যৌন নিপীড়নের শিকার হন এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ অপরাধের চিহ্ন মুছে ফেলার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে, তাহলে দরিদ্র ও প্রান্তিকরা কতটা দুর্বল, তা কল্পনা করা যায়?’ অমিতের বক্তব্য, এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সন্দেশখালি থেকে আরজি কর, বাংলায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেই চলেছে।

    হাইকোর্টের পদক্ষেপ

    গত ১৫ জুলাই লেক থানা এলাকায় এক আইএএসের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ ধর্ষণের চেষ্টার পরিবর্তে লঘু ধারায় মামলা রুজু করে বলে অভিযোগ। মহিলার বয়ানের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশটিও বাদ দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিম্ন আদালতে পেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই জামিন পান অভিযুক্ত। তার আগাম জামিনও মঞ্জুর করে (Amit Malviya) আদালত। যদিও নিম্ন আদালত থেকে পাওয়া জামিন ও আগাম জামিন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মামলা হস্তান্তর করা হল লালবাজারে কর্মরত ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার এক মহিলা পুলিশ আধিকারিককে। হাইকোর্টের নির্দেশ, তিনি এই মামলার তদন্তকারী আধিকারিক হবেন। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে লেক থানার ওসি, এক সাব ইনস্পেক্টর, একজন সার্জেন্ট ও তিন মহিলা পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেয় আদালত।

    জানা গিয়েছে, এফআইআর দায়ের করার পরেই অভিযুক্তের স্ত্রী ও ছেলেকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। নিগৃহীতাকে চাপ দেওয়ার জন্যই এদের নিয়ে আসা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার প্রায় চব্বিশ ঘণ্টা পরে তাঁর জামা-কাপড় ও অন্যান্য সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করতে পুলিশ বাড়িতে যায় বলে দাবি নিগৃহীতার। হাইকোর্টে দায়ের করা মামলায় দাবি, অভিযুক্ত যে বাড়িতে ঢুকছে এবং বেরোচ্ছে, সেই সিসিটিভি ফুটেজ নিতে অস্বীকার করে পুলিশ। নিগৃহীতার মেডিক্যাল পরীক্ষা করার প্রয়োজন বোধ করেননি তদন্তকারী আধিকারিক। নিগৃহীতা নিজেই সরকারি হাসপাতালে যান এবং মেডিক্যাল রিপোর্ট দেন তদন্তকারী আধিকারিককে।

    আরও পড়ুন: ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ’, দোষ প্রমাণ হলে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে সন্দীপের

    কী বলছে আদালত

    এদিন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ নির্দেশে জানান, লেক থানার পুলিশ আধিকারিক সুজাতা বর্মণ, তিলজলা থানার এসআই কল্পনা রায় ও কড়েয়া থানার এসআই অর্পিতা ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ নির্যাতিতার অভিযোগ গ্রহণ করা ও তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করার ক্ষেত্রে গাফিলতি রয়েছে (Women In Bengal) বলে মনে করছে আদালত (Amit Malviya)। আদালতের পর্যবেক্ষণ, প্রাথমিকভাবে সঠিক ধারায় এফআইআর দায়ের না হওয়া এবং অভিযোগপত্র বিকৃত করার যে অভিযোগ উঠেছে, তার ফলে এই তদন্তের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিচারপতি ভরদ্বাজের পর্যবেক্ষণ, অভিযুক্তের পরিবার নিগৃহীতাকে থানায় বসে হুমকি দিচ্ছে। এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ নিয়েও কোনও তদন্ত হয়নি। এছাড়াও ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে নিগৃহীতা মহিলার শারীরিক পরীক্ষাও করেনি পুলিশ।

    ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা

    কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ থেকে এটা স্পষ্ট, রাজ্যে (Amit Malviya) কোনও ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। অভিযোগ, সন্দেশখালি কিংব অন্যত্র ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেই তৃণমূলের দলদাস পুলিশ কর্মীরা ঘটনাকে লঘু করে দেখানোর চেষ্টা করে। কোথাও এফআইআরে ধর্ষণের কথা উল্লেখ করা হয় না, তো কোথায় আবার নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা করা হয় না। কোথাও আবার শারীরিক পরীক্ষা করা হলেও, তা ঘটনার পরে পরেই নয়, বেশ কয়েকদিন পরে। অভিযোগ, প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশেই এসব করা হয়। ঢাকুরিয়ার বধূর ক্ষেত্রেও কী তাই করার চেষ্টা করেছিল রাজ্য, উঠছে প্রশ্ন (Amit Malviya)।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “১০০ দিনের কাজ আদৌ চালু আছে?”, সাতদিনের মধ্যে রাজ্যের জবাব তলব হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: “১০০ দিনের কাজ আদৌ চালু আছে?”, সাতদিনের মধ্যে রাজ্যের জবাব তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি ইস্যুতে বার বার কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাত হয়েছে রাজ্যের। এই প্রকল্পে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। মূলত আর্থিক দুর্নীতির কারণে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে টাকা আটকে রাখা হয়েছে। রাজ্যের পক্ষ থেকে বার বার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই আবহের মধ্যে রাজ্যে ১০০ দিনের কাজ আদৌ হচ্ছে কি না, এ বার রাজ্যের কাছে জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। জানিয়ে দিল, ওই প্রকল্পে উঠে আসা দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান হয়েছে। ওই প্রকল্পের কাজ যেন বন্ধ না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্যকে।

    কী নির্দেশ দিল হাইকোর্ট? (Calcutta High Court)

    ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলায় বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি বিভাস পট্টনায়েকের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ওই প্রকল্প ঘিরে নানা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রকল্পের কাজ যেন বন্ধ না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্য সরকারকে। এ জন্য রাজ্যকে সাত দিনের সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার আদালতে জনস্বার্থ মামলাকারীর আইনজীবী জানান, প্রকল্পের টাকা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের দ্বন্দ্বের ফলাফল হিসেবে প্রায় দু’বছরের কাছাকাছি কাজ বন্ধ রয়েছে। এর পরেই রাজ্যের থেকে কাজের খতিয়ান চেয়েছে উচ্চ আদালত। আগামী সাতদিন অর্থাৎ ৩ অক্টোবরের মধ্যে রাজ্যকে জানাতে হবে, ১০০ দিনের কাজ চলছে কি না।

    আরও পড়ুন: পুজোর মুখে পর পর বন্ধ হচ্ছে জুটমিল! কর্মহীন কয়েক হাজার, হেলদোল নেই মমতা-সরকারের

    দুর্নীতি নিয়ে কোর্টে জনস্বার্থ মামলা

    ১০০ দিনের কাজে (100 Days Work) কেন্দ্রীয় অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তব্য ছিল, কেন্দ্রীয় সরকারের মনরেগা প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি করা হয়েছে। ভুয়ো জব কার্ড, মৃত ব্যক্তির নামে জব কার্ড, অসত্য তথ্য দিয়ে জব কার্ড তৈরি করে কেন্দ্রের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। গ্রামে বসবাস করেন না এমন ব্যক্তিদের নামেও জবকার্ড তৈরি করে দুর্নীতি করা হয়েছে। রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এমনকী ভুয়ো জবকার্ডের টাকা তোলার জন্য প্রচুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের অপব্যবহার করা হয়েছে। ওই দুর্নীতির তদন্ত সিবিআইকে দেওয়া হোক। এর পরেই ভুয়ো কার্ড শনাক্ত করতে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুভেন্দুর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৌম্য মজুমদার, তরুণজ্যোতি তিওয়ারি, সূর্যনীল দাস। প্রকল্পের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় দল পাঠায় নরেন্দ্র মোদি সরকার। তাদের অনুসন্ধানের ওপর ভিত্তি করে গত বছর মার্চ মাসে প্রকল্পের অর্থ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেছিল পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেত মজদুর সমিতিও। কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের জেরে কাজের পরও শ্রমিকরা প্রাপ্য টাকা পাচ্ছেন না বলে মামলা হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: পুজোয় মানুষ কি রাস্তায় বেরোবে না? পুলিশ কমিশনারের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ, মামলা হাইকোর্টে

    Calcutta High Court: পুজোয় মানুষ কি রাস্তায় বেরোবে না? পুলিশ কমিশনারের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ, মামলা হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজো শুরুর দুসপ্তাহ আগে কলকাতা পুলিশের নির্দেশ জারি করাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য, বুধবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা জানিয়েছেন, আগামী ২ মাস কলকাতা শহরের একাংশে বড় জমায়েত করা যাবে না। আরজি কর নিয়ে চলা আন্দোলনে (Agitation) লাগাম টানতেই কি পুলিশ প্রশাসনের এই পদক্ষেপ, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জোড়া মামলা দায়ের হল।

    কী নির্দেশ দিল কলকাতা পুলিশ? (Calcutta High Court)

    কলকাতা পুলিশের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে। বউবাজার থানা, হেয়ার স্ট্রিট থানা এবং ধর্মতলা এলাকায় কে সি দাস ক্রসিং থেকে ভিক্টোরিয়া হাউসের দিকের এলাকায় জমায়েত বা মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ। যে এলাকাগুলিতে পাঁচজনের বেশি জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, সেই এলাকাগুলিতে কি পুজোর সময় মানুষ যেতে পারবে না? বিভিন্ন মহলের তরফে এই প্রশ্ন তোলা হচ্ছিল। এবার হাইকোর্টে দায়ের হল মামলা। জানা গিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে সিপিএম। কারণ ধর্মতলাতেই তাদের মিছিল করার কথা। পুলিশি অনুমতি না মেলায় তারা হাইকোর্টে গেল। শুক্রবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে! এর পাশাপাশি জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে একটি মিছিলের আবেদন জানা হয়েছিল পুলিশের কাছে। সেই কর্মসূচিও হওয়ার কথা শুক্রবার। কিন্তু অনুমতি না মেলায় তারাও আদালতের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছে। সেই মামলার শুনানিও হতে চলেছে শুক্রবার।

    আরও পড়ুন: পুজোর মুখে পর পর বন্ধ হচ্ছে জুটমিল! কর্মহীন কয়েক হাজার, হেলদোল নেই মমতা-সরকারের

    কলকাতা পুলিশের সাফাই

    কলকাতা পুলিশ হঠাৎ শহরের একাংশে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা নিয়ে সাফাই দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কলকাতার একাধিক জায়গায় হিংসাত্মক ঘটনা ঘটতে পারে বলে খবর এসেছে। সেই কারণে ধর্মতলা চত্বরের ওই এলাকায় পাঁচ থেকে ছয়জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না বলে স্পষ্ট করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে কারও হাতে লাঠি বা এই ধরনের কোনও ‘অস্ত্র’ দেখতে পেলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    মামলাকারীর আইনজীবী কী বললেন?

    মামলাকারীর (Calcutta High Court) আইনজীবী শামীম আহমেদ বলেন, “যে এলাকার ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিশ এই বিধিনিষেধ জারি করেছে, সেখানে বেশ কয়েকটি পুজো হয়। আসলে আরজি কর নিয়ে পুজোর সময় যদি আবার মানুষ পথে নামে, তা আটকাতেই এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।” প্রসঙ্গত, সামনেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার দুর্গাপুজো যে অন্যরকম হতে চলেছে, তা বলতে বাধা নেই। বিভিন্ন মণ্ডপে আরজি কর ইস্যুতে স্লোগান উঠতে পারে এমন সম্ভাবনা আছে। আবার কোথাও কোনও কর্মসূচিও হতে পারে পুজোর মধ্যে। এই সব নিয়ে পুলিশ যে প্রস্তুত রয়েছে তা আগেই জানিয়েছেন নগরপাল। পুজোর মধ্যে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেই কারণেই এই বিবৃতি জারি করা হয়েছে বলে মত অনেকের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: মহিলা চিকিৎসকরা কলেজে যাচ্ছেন ছুরি, পেপার স্প্রে নিয়ে! ‘থ্রেট কালচার’ নিয়ে উদ্বিগ্ন হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: মহিলা চিকিৎসকরা কলেজে যাচ্ছেন ছুরি, পেপার স্প্রে নিয়ে! ‘থ্রেট কালচার’ নিয়ে উদ্বিগ্ন হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে ‘থ্রেট কালচার’ (Threat Culture) নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার মধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ উঠে আসে। এই ইস্যুতে ‘উত্তরবঙ্গ লবি’র দাপট বেশি বলেও দাবি করা হয়। দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর মতে, মহিলা চিকিৎসকরা কলেজে যাচ্ছেন ছুরি, পেপার স্প্রে নিয়ে! মহিলাদের নিরাপত্তার দিক দিয়ে এটা যথেষ্ট উদ্বেগের বিষয়।

    জনস্বার্থ মামলা

    আরজি কর কাণ্ডের পরই রাজ্যে স্বাস্থ্যক্ষেত্রের কালো দিকগুলি উঠে আসতে থাকে। মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র বিক্রি, বদলি, টুকল-সহ একাধিক অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের বিষয়গুলি উল্লেখ করে চিকিৎসক অর্চিস্মান ভট্টাচার্য ও এক সমাজকর্মী জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি বিভাস পট্টনায়েকের ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার (Calcutta High Court) শুনানি ছিল। শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এই মামলায় রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের উপস্থিত থাকা প্রয়োজন। অভিযোগের (Threat Culture) প্রেক্ষিতে রাজ্যের হলফনামা তলব করেন প্রধান বিচারপতি। এদিন শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘যেসব অভিযোগ আসছে তা ভয়ঙ্কর! উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের এক প্রিন্সিপালের রিপোর্টেও থ্রেট কালচারের উল্লেখ রয়েছে।’’

    আরও পড়ুন: লাভ জিহাদ-এর বিরুদ্ধে লড়াই, উত্তরাখণ্ডে ছয় শতাধিক মেয়েকে উদ্ধার হিন্দু সংগঠনগুলির

    প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ

    প্রধান বিচারপতি বলেন, “একজন মহিলা চিকিৎসক বলছেন, যে তাঁকে তাঁর বাবা নিরাপত্তার জন্য ছুরি দিয়েছেন! আরেক মহিলা চিকিৎসক বলছেন, যে তিনি পেপার-স্প্রে সঙ্গে নিয়ে কর্মক্ষেত্রে যান।” গোটা বিষয়টিতে বিস্মিত প্রধান বিচারপতি।  তিনি মন্তব্য করেন, “হাসপাতালের ৬০ শতাংশ মহিলা চিকিৎসক বিভিন্ন ভাবে দুর্ব্যবহারের শিকার হন।” তিনি এও বলেন, ‘‘জুনিয়র ডাক্তারদের অনেকে নানা অভিযোগ করেছেন। তার মধ্যে থ্রেট কালচারের অভিযোগ আছে। এটা যথেষ্ট চিন্তার বিষয় (Threat Culture)। তাই রাজ্য সরকারের এই ইস্যুতে কী মনোভাব, হলফনামা আকারে তা জানতে চায় আদালত।’’ আগামী ২১ নভেম্বর পরবর্তী শুনানি (Calcutta High Court)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP Kalighat Chalo: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আজ ‘কালীঘাট চলো’ অভিযান বিজেপির

    BJP Kalighat Chalo: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আজ ‘কালীঘাট চলো’ অভিযান বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বিজেপিকে কর্মসূচি করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High court)। আজ বুধবার বিজেপির ‘কালীঘাট চলো’ অভিযান রয়েছে। সভায় পুলিশের অনুমতি না মেলায় গেরুয়া শিবির দ্বারস্থ হয়েছিল উচ্চ আদালতের। হাইকোর্ট বিজেপিকে হাজরা মোড়ে সভা করার অনুমতি দিয়েছে। বিচারপতি ভরদ্বাজ নির্দেশ দিয়েছেন, বুধবার দুপুর থেকে ওই কর্মসূচি করতে পারবে রাজ্য বিজেপি। হাইকোর্টের নির্দেশ মতো, দুপুর ২টো থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কর্মসূচি করতে পারবে রাজ্য বিজেপি। তবে ২০০-৩০০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না বলে জানিয়েছে উচ্চ আদালত (Calcutta High court)। আদালতের আরও নির্দেশ, পর্যাপ্ত নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে হবে পুলিশকে।

    আরজি কর কাণ্ডে লাগাতার আন্দোলনে বিজেপি (BJP)

    গত ৯ অগাস্ট মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্য বিজেপি (BJP) লাগাতার স্বাস্থ্য ভবন অভিযান, লালবাজার অভিযান, জেলা শাসকের দফতর অভিযান, ব্লক অফিস ঘেরাও, থানা ঘেরাও-সহ একাধিক বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানে পুলিশের দমন-পীড়নের প্রতিবাদে ঠিক পরের দিনই ২৮ অগাস্ট রাজ্য়জুড়ে বনধের ডাক দেয় বিজেপি। সারা রাজ্যে বনধের ব্যাপক প্রভাবও পড়ে। আরজি কর কাণ্ডের দেড় মাস পরেও এতটুকু আন্দোলনের ঝাঁঝ কমেনি গেরুয়া শিবিরের। ঠিক এই আবহে ফের একবার আজ বুধবার কালীঘাট চলো অভিযান হতে চলেছে।

    ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত একাধিক কর্মসূচি 

    প্রসঙ্গত, গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকেই ফের একবার লাগাতার কর্মসূচি শুরু করেছে বিজেপি। ১৮ সেপ্টেম্বর পথসভা শুরু হয়েছে বিজেপির। চলবে ১ অক্টোবর পর্যন্ত। প্রতিটি ওয়ার্ডে পথসভা করবেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। পঞ্চায়েত এলাকায় দু’ থেকে তিনটি করে পথসভা করবে বিজেপি (BJP)। এক কোটি সই সংগ্রহ করে তা বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে সাংসদ ও বিধায়করা তুলে দেবেন রাজ্যপালের হাতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: হাইকোর্টের রায় বহাল সুপ্রিম কোর্ট, উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার পদে নিয়োগে বাধা নেই

    Supreme Court: হাইকোর্টের রায় বহাল সুপ্রিম কোর্ট, উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার পদে নিয়োগে বাধা নেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজারেরও বেশি শূন্যপদে নিয়োগে (SSC Upper Primary Recruitment) হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আপাতত কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রাখল শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ জানিয়েছে, এখনই হাইকোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করছে না শীর্ষ আদালত। অর্থাৎ নতুন মেধাতালিকা প্রকাশে বাধা রইল না এসএসসি’র। 

    সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পর্যবেক্ষণ

    উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজারের বেশি শূন্যপদে নিয়োগের (SSC Upper Primary Recruitment) নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। ওই নির্দেশ সংরক্ষণ নীতির বিরোধী, এই দাবি তুলে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজীব ব্রহ্ম-সহ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী। এর ফলে ১৪ হাজার চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ নিয়ে আবার তৈরি হয় জট। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, নতুনদের আবেদন শোনা হবে না। হাইকোর্টে মামলাকারীদের বক্তব্য শুনবে উচ্চ আদালত। ২০১৫ সাল থেকে উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ (SSC Upper Primary Recruitment) নিয়ে জটিলতায় আটকে রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।  ২০২০ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বাতিল করে দিয়েছিল উচ্চ আদালত। আবার ২০২৩ সালে প্যানেল প্রকাশ করার অনুমতি দিয়েছিল হাইকোর্ট। তবে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল, এসএসসি কাউকে নিয়োগের সুপারিশ করতে পারবে না।  

    আরও পড়ুন: তিরুপতির লাড্ডু বিতর্কে ঘি সরবরাহকারী সংস্থাকে নোটিশ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের

    নিয়োগ-প্রক্রিয়া শুরু 

    সোমবারই উচ্চ প্রাথমিকের ২০১৬ সালের (SSC Upper Primary Recruitment) মেধাতালিকা প্রকাশের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে এসএসসি। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামী বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা হবে মেধাতালিকা। ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত রাখা হবে অস্থায়ী শিক্ষকের জন্য। বাকি পদে নিয়োগের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে। যদিও চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, শুধু মেধাতালিকা প্রকাশ করলে হবে না, নিয়োগ প্রক্রিয়াও শীঘ্র শুরু করতে হবে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে একটাই বাধা ছিল সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) মামলা। এবার সেখান থেকেও সবুজ সঙ্কেত মিলল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “পুজো কমিটিগুলোকে কম করে ১০ লাখ টাকা দিন”, রাজ্যকে কটাক্ষ আদালতের

    Calcutta High Court: “পুজো কমিটিগুলোকে কম করে ১০ লাখ টাকা দিন”, রাজ্যকে কটাক্ষ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “৮৫ হাজার টাকায় কী হয়? রাজ্যের পুজো কমিটিগুলোকে কম করে ১০ লাখ টাকা দিন (West Bengal Govt)।” সোমবার এমনই তীর্যক মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। এদিন প্রধান বিচারপতি ও বিচারপতি বিভাস পট্টানায়কের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। সেই সময় এমন মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।

    টাকা দেওয়ার ‘সংস্কৃতি’ (Calcutta High Court)

    রাজ্যের পুজো বিভিন্ন পুজো কমিটিকে অনুদান বাবদ কয়েক হাজার করে টাকা দেওয়ার ‘সংস্কৃতি’ চালু করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। রাজনৈতিক মহলের মতে, ভোটের সময় এরই প্রতিদান দেয় ক্লাবের ছেলেরা। তৃণমূল কর্মীদের পাশাপাশি তারাও ‘ঋণ’ শোধ করতে ‘ভোট করাতে’ আসরে নেমে পড়ে। যে টাকায় উন্নয়নমূলক নানা কাজ সরকার করতে পারত, সেই টাকা কেন খয়রাতিতে ব্যয় হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা সময়। গত বছর পুজো কমিটিগুলিকে রাজ্য সরকার দিয়েছিল ৭০ হাজার করে টাকা। এবার সেটাই বাড়িয়ে করা হয়েছে ৮৫ হাজার টাকা।

    জনস্বার্থ মামলা দায়ের

    অনুদানের এই টাকার উৎস কী, তা জানতে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন সৌরভ দত্ত নামে এক ব্যক্তি। সেই মামলায় প্রশ্ন তোলা হয়েছে, এই টাকার উৎস কী? ক্লাবগুলি এই টাকা গাইডলাইন মেনে খরচ করছে কিনা। প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court) বলেন, “গত দুবছর ধরে আমি পুজো প্যান্ডেলে গিয়েছি। যা দেখেছি, তাতে মনে হয়েছে ৮৫ হাজার টাকায় কিছু হয় না। ওই টাকা সম্ভবত ক্লাবের সদস্যদের জন্য কাজে লাগতে পারে।” তিনি বলেন, “অনুদানের টাকা কমপক্ষে ১০ গুণ বাড়ানো হলে সেটা পুজোর কাজে লাগতে পারে।”

    আরও পড়ুন: বন্যায় ভেঙেছে বাড়ি, বেতন থেকে দুর্গতকে ৫ লক্ষ টাকা তুলে দিলেন শুভেন্দু

    প্রধান বিচারপতি বলেন, “দুর্গাপুজো রাজ্যের ঐতিহ্য। সেই কারণে পুজো কমিটিগুলিকে উৎসাহিত করার জন্য হয়তো এই টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু সেটা পর্যাপ্ত নয়।” অন্য একটি মামলায় তিনি বলেন, “দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত শিশুদের জন্য সরকার এক হাজার টাকা দেয়। তাদের আরও বেশি প্রয়োজন। সেটা সরকার বিবেচনা করে (West Bengal Govt) দেখলে ভালো হয় (Calcutta High Court)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Upper Primary: চাকরিপ্রার্থীরা বিক্ষোভ দেখাতেই আপার প্রাইমারি প্যানেল প্রকাশের দিন ঘোষণা

    Upper Primary: চাকরিপ্রার্থীরা বিক্ষোভ দেখাতেই আপার প্রাইমারি প্যানেল প্রকাশের দিন ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অশান্ত সল্টলেক করুণাময়ী চত্বর। সোমবার আপার প্রাইমারির (Upper Primary) চাকরিপ্রার্থীরা বিক্ষোভ দেখান করুণাময়ীতে। এসএসসি ভবন ঘেরাওয়ের ডাক দেন তাঁরা। যখন করুণাময়ীতে (SSC Bhawan) আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন চলছে তখনই এল বিজ্ঞপ্তি। ২৫ সেপ্টেম্বর প্যানেল প্রকাশ করার কথা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। সোমবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, আগামী বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা হবে মেধাতালিকা। ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত রাখা হবে অস্থায়ী শিক্ষকের জন্য। বাকি পদে নিয়োগের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে। যদিও চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, শুধু মেধাতালিকা প্রকাশ করলে হবে না, ১০ বছর ধরে অপেক্ষা করছে তারা। নিয়োগ প্রক্রিয়াও শীঘ্র শুরু করতে হবে। 

    কবে প্যানেল প্রকাশ

    ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আপার প্রাইমারির (Upper Primary) নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর ডেডলাইন ছিল কলকাতা হাইকোর্টের। গত ২৮ অগাস্ট ৪ সপ্তাহের ডেডলাইন স্থির করেছিল আদালত। সেইমতোই সোমবার ২৩ তারিখ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হল ২৫ তারিখ অর্থাৎ আগামী বুধবার প্যানেল প্রকাশ করা হবে। ২০১৬ সালে প্রথম এসএলএসটি হয়েছিল। এখনও নিয়োগ পাননি যোগ্যরা। দ্রুত নিয়োগের দাবিতে আজই রাস্তায় নামেন চাকরিপ্রার্থীরা। আর এদিনই প্যানেল প্রকাশের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হল। হাইকোর্টের (Calcutta High Court)  নির্দেশ থাকার পরও কেন এখনও প্যানেল প্রকাশ করা হচ্ছে না, সে দাবিকে সামনে রেখেই এদিন পথে নামেন চাকরিপ্রার্থীরা। 

    আরও পড়ুন: “আমরা এক সঙ্গে পারি…”, মোদিকে আশ্বাস শ্রীলঙ্কার নয়া প্রেসিডেন্টের

    ধুন্ধুমার করুণাময়ী

    বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগে এদিন করুণাময়ী মেট্রো স্টেশন থেকে কাতারে কাতারে চাকরিপ্রার্থী রাস্তায় নেমে আসেন। গার্ডরেল পার করে চাকরিপ্রার্থীরা এসএসসি ভবনের (Upper Primary) দিকে ছুটে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে বচসাও বাধে তাদের। তবে চাকরি প্রার্থীদের একটা বড় অংশ আচার্য সদনের কাছাকাছি চলে যান। যে ব্যারিকেড ছিল, তা কার্যত ঠেলে সরিয়ে দিয়ে বেরিয়ে যান চাকরিপ্রার্থীরা। পুলিশ সামাল দিতে কিছুটা হিমশিমই খায়। কারণ, বিভিন্ন দিক থেকে এসএসসি ভবনের (SSC Bhawan) দিকে ছুটে যান চাকরিপ্রার্থীরা। অবশেষে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। তারপরই আপার প্রাইমারি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তির কথা জানানো হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share