Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Panchayat Elections 2023: রাজ্যে আরও ১০ দিন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী, জানাল হাইকোর্ট

    Panchayat Elections 2023: রাজ্যে আরও ১০ দিন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী, জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections 2023) পর্ব মিটে গেলেও রাজ্যে এখনও বিক্ষিপ্ত ভাবে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটছে। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে (Central Forces) আরও ১০ দিন রেখে দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের নেতৃত্বে ডিভিশন বেঞ্চ।

    পর্যায় ভিত্তিক বাহিনী প্রত্যাহার 

    সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে কেন্দ্রের আইনজীবী জানান, বাহিনীর সময়সীমা বাড়ানোয় আপত্তি নেই কেন্দ্রের। বাহিনী থাকার সময় ১০ দিন বাড়ানো সম্ভব। হাইকোর্টে (Calcutta High Court) হলফনামা দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফেই বলা হয় যে এক সঙ্গে সব বাহিনী প্রত্যাহার না করে তারা দফায় দফায় তা প্রত্যাহারে আগ্রহী। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারের আইনজীবী আদালতে জানান, অবশিষ্ট ২৩৯ কোম্পানির বাহিনীর মধ্যে ১৩৯ কোম্পানি বাহিনী ইতিমধ্যে প্রত্যাহার করা হয়ে গিয়েছে। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম তাঁর নির্দেশে বলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও যখন চাইছে তাহলে আরও ১০ দিন রাজ্যে বাহিনী রেখে দেওয়া হোক।

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে আজ এক বেলায় ৭৩টি পঞ্চায়েত ভোট মামলার শুনানি

    তবে এ ব্যাপারে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বাহিনীর যথাযথ সমন্বয় প্রয়োজন, বলে জানায় আদালত। নইলে বাহিনী রেখে দেওয়ার কোনও অর্থ হয় না। যে সব জায়গায় এখনও অশান্তি রয়েছে, সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে লাগানো হোক। এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর আরও ১০দিন পর্যন্ত থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আজই সেই সময়সীমা শেষ হচ্ছে। ইতিমধ্যে রাজ্য থেকে বাহিনী প্রত্যাহারের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আদালতের নির্দেশ, এখন কোথায় বাহিনী যাবে, তা ঠিক করবে কমিশন ও রাজ্য। সোমবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাহিনী প্রত্যাহার করা হচ্ছে। বাহিনী প্রত্যাহারের জন্য প্রস্তুত স্পেশ্যাল ট্রেনও। যেমন খড়্গপুর থেকে রাজকোটের দিকে সোমবারই একটি স্পেশ্যাল ট্রেন রওনা দিচ্ছে। বিএসএফের ২০ কোম্পানি বাহিনী থাকবে তাতে। মেচেদা থেকে বেগুসরাই ও রাজকোটের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা সিআরপিএফের বড় বাহিনীর। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: অভিষেকের ‘বিজেপির বাড়ি ঘেরাও’ কর্মসূচি নিয়ে মামলার অনুমতি হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: অভিষেকের ‘বিজেপির বাড়ি ঘেরাও’ কর্মসূচি নিয়ে মামলার অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপিকে এই নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। 

    কেন মামলা

    গত শুক্রবার ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের সভামঞ্চ থেকে ‘বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘোরও’-এর ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মন্তব্যের জেরেই দায়ের হয়ে এফআইআর। পরে তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তৃণমূল নেত্রী এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ওই মন্তব্যে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিজেপি। বিজেপির আইনজীবী সূর্যনীল দাস সোমবার আদালতকে বলেন, এই ধরনের কর্মসূচি একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করবে। এই মর্মেই আদালতে মামলা রুজু করার অনুমতি চান তাঁরা। একই সঙ্গে মামলর দ্রুত শুনানির অনুরোধও করেন। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ প্রথম আর্জিটি মেনে নিলেও দ্বিতীয় আবেদনটি খারিজ করে দেয়।

    আরও পড়ুন: ‘কেন্দ্রীয় এজেন্সি ডাকলেই আন্দোলন কেন?’ ধনখড়ের নিশানা কাদের দিকে

    বিজেপির দাবি

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-এর বক্তব্য অনুযায়ী বিজেপির নেতা-কর্মীদের বাড়ি ঘেরাও অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে আগামী ৫ অগাস্ট। মূলত, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ বিজেপি নেতা-কর্মীদের বাড়ি ঘেরাও করার নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করে তৃণমূল কংগ্রেস। এই কর্মসূচির উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিষয়টি আইন শৃঙ্খলার অবনমন এবং বিজেপি নেতা, কর্মীদের সুরক্ষার দিক থেকে যথেষ্ট বিপজ্জনক বলে মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব। এরকম কর্মসূচি আরও বিপদ ডেকে আনবে বলেই মনে করছেন তাঁরা। প্রতিবাদ কর্মসূচির নামে মানুষের সুরক্ষা প্রশ্নের মুখে তুলে দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Recruitment: আদালতের নির্দেশে ৫৭৫৭ জনের তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন

    SSC Recruitment: আদালতের নির্দেশে ৫৭৫৭ জনের তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশিত হল ২০১৬ সালের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির (SSC) নিয়োগের তালিকা। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে বৃহস্পতিবার পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। কোনও নিয়োগের পিছনে দুর্নীতি আছে কি না, তা জানতে ২০১৬ সালের একাদশ-দ্বাদশের মেধাতালিকা ও সম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশ করার আর্জি জানিয়েছিলেন ববিতা সরকার। সিঙ্গল বেঞ্চ তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেওয়ার পর ডিভিশন বেঞ্চও বহাল রাখে সেই নির্দেশ। সেইমতো তালিকা প্রকাশ করা হল। 

    কী কী রয়েছে তালিকায়

    স্কুল সার্ভিস কমিশনের তালিকায় মোট ৫৭৫৭ জনের নাম ও তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ৫৭৫৭ জনের নাম ছাড়াও স্কুল, জেলা, বিষয়েরও উল্লেখ রয়েছে। প্রসঙ্গত, নিজের চাকরি হারানোর পর তা পুনরায় ফিরে পেতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন ববিতা। ববিতার বক্তব্য ছিল, ২০১৬-র পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগ হয়েছে এমন কারও চাকরি নিয়ে যদি প্রশ্ন ওঠে, যদি তালিকা প্রকাশ্যে আসলে দুর্নীতি ধরা পড়ে সে ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ পেতে পারেন তিনি। তাই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এজলাসে মেধাতালিকা ও ওএমআর প্রকাশের আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মেয়াদ কি বাড়ানো যায়? কেন্দ্রের কাছে জানতে চাইল হাইকোর্ট

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ববিতার আর্জি মঞ্জুর করে তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় স্কুল সার্ভিস কমিশন। বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে, উত্তরপত্র প্রকাশে বাধা কোথায়? তবে কারও চাকরি নিয়ে প্রশ্ন উঠলে, তাঁর বক্তব্য শুনতে হবে বলে নির্দেশে উল্লেখ করা হয়েছে। তারপরই এই তালিকা প্রকাশ করা হল। প্রসঙ্গত বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা ইতিমধ্যেই স্বীকার করে নিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনও। এরই মধ্যে এবার সামনে এল ২০১৬ সালের একাদশ ও দ্বাদশের নিয়োগের পূর্ণ তালিকা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

  • Calcutta High Court: রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মেয়াদ কি বাড়ানো যায়? কেন্দ্রের কাছে জানতে চাইল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মেয়াদ কি বাড়ানো যায়? কেন্দ্রের কাছে জানতে চাইল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের পর এখনও রাজ্যের  আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি  পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি বলে দাবি বিজেপির। প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভোট পরবর্তী হিংসার খবর আসছে। তাই রাজ্যে আরও এক মাস কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার জন্য কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানাল বিজেপি। সেই আর্জি শুনেই  রাজ্যে আরও চার সপ্তাহ  কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা যায় কি না কেন্দ্রকে বিবেচনা করে দেখতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। 

    কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলে সমস্যা

    এই বিষয়ে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি (Chief Justice) টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিজেপি নেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। আদালতে প্রিয়াঙ্কা বলেন, “এখনও বিভিন্ন জায়গায় মহিলা শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে। বিজেপি কর্মীরা ঘর ছাড়া। বহু এলাকায় এখনও হিংসাত্মক ঘটনা ঘটছে। তাই রাজ্যের মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থেই আরও চার সপ্তাহ কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা হোক।” কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে বলে দাবি করেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: ট্যুইটারে জনপ্রিয়তার নিরিখে বাইডেন-সুনককে পিছনে ফেললেন মোদি

    কী বলছে আদালত

    শুক্রবার সেই মামলার শুনানির সময়,  হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ভোটের ফল প্রকাশের পরে প্রথম ১০ দিনের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আরও রাখতে হলে কেন্দ্রের মতামত নিতে হবে। তারাই সিদ্ধান্ত নিক। কেন্দ্রীয় বাহিনী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে। তাই এই পরিস্থিতিতে আদালত (Calcutta High Court) কোনও নির্দেশ দিতে পারব না। তবে হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করতে পারে। তার পরে বাহিনী রাখা হবে কিনা, সেটা তাদের উপর নির্ভর করছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ২২ জুলাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর এ রাজ্যে থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এরপর আর কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কি না তা নিয়ে কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়ে আদালতকে জানাবে। সোমবার ফের এই মামলার শুনানি হবে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election Case: হাইকোর্টে আজ এক বেলায় ৭৩টি পঞ্চায়েত ভোট মামলার শুনানি

    Panchayat Election Case: হাইকোর্টে আজ এক বেলায় ৭৩টি পঞ্চায়েত ভোট মামলার শুনানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মোট ৭৩টি মামলার (Panchayat Election Case) শুনানি হতে চলেছে। বিভিন্ন এজলাসে এই মামলাগুলো চলবে। যার মধ্যে ২৬টি রয়েছে জনস্বার্থ মামলা। এই জনস্বার্থ মামলাগুলো রয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের এজলাসে। মোট ৭৩টি মামলার মধ্যে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে রয়েছে ১৬টি মামলা। বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে রয়েছে ২৮টি মামলা।

    ভোট সংক্রান্ত মামলার সেঞ্চুরি

    পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election Case) সংক্রান্ত বিষয়ে মামলার পাহাড় নিয়ে একাধিক বার অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। দিন দিন মামলার সংখ্যা বেড়েছে। আইনজীবীদের একাংশের ধারণা, পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা থেকে এত দিন পর্যন্ত মামলার সংখ্যা অনায়াসে শতাধিক পার করে দিয়েছে। তবে এক দিনে পঞ্চায়েতের ৭৩টি মামলা শুনানির তালিকায় রয়েছে এর আগে দেখা যায়নি। রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটের জন্য সোমবারের দিনটি হাই কোর্টে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।  সকাল সাড়ে ১০টা থেকে প্রধান বিচারপতির এজলাসে এই মামলাগুলির শুনানি শুরু হওয়ার কথা। শুরুতেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ কয়েক জনের করা পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা, অশান্তি, কারচুপির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলাগুলির শুনানি রয়েছে। গত শুনানিতে এই মামলাতেই হাই কোর্ট জানিয়েছিল, আদালতের নির্দেশের উপরেই জয়ী প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে। সেই মতো রাজ্য নির্বাচন কমিশন জয়ীদের উদ্দেশে বিজ্ঞপ্তিও জারি করে। 

    আরও পড়ুন: বিজেপির কেন্দ্রীয় দল হুগলির সন্ত্রাস-কবলিত এলাকা পরিদর্শন করল রবিবার

    কোন কোন মামলার শুনানি আজ

    এছাড়াও সোমবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election Case) উল্লেখযোগ্য মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর দায়ের করা মামলাও। সেই মামলায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পঞ্চায়েত নির্বাচনে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করেছেন। পাশাপাশি, সোমবার শুনানির তালিকায় রয়েছে রাজ্যে একমাস কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার আবেদনও। এর পাশাপাশি, বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের তিনটি মামলার শুনানি রয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। এই মামলাগুলোর শুনানি হতে পারে বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায় ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে।পাশাপাশি, বিচারপতি সেনগুপ্তর এজলাসে বিরোধীদের প্রতি রাজ্য পুলিশের অতিসক্রিয়তা ভোট পরবর্তী হিংসা ও বিরোধীদের ওপর অত্যাচারের মামলারও শুনানি হতে পারে। গণনাকেন্দ্রের বাইরে ব্যালট, ভোটবাতিল, ছাপ্পা, জয়ী প্রার্থী নিয়ে বিতর্ক, ভোটের শংসাপত্র নিয়ে অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলাগুলো শুনতে পারেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Amrita Sinha: ‘‘আদালতে আসি ন্যায় দিতে, কাগজে নাম ছাপাতে নয়’’! বিস্ফোরক বিচারপতি অমৃতা সিনহা

    Justice Amrita Sinha: ‘‘আদালতে আসি ন্যায় দিতে, কাগজে নাম ছাপাতে নয়’’! বিস্ফোরক বিচারপতি অমৃতা সিনহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Elections 2023) ছাপ্পা-ভোট থেকে শুরু করে গণনায় কারচুপির অভিযোগ নিয়ে বারবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বিরোধী দলগুলি। কয়েকদিন আগেই, কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দাখিল হয়, যেখানে মামলাকারী দাবি করেন, ভোট বয়কট করা বুথেই ৯৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। এই তথ্য আদালতের সামনে পেশ করলে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি। বুধবার আরও একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ নিয়ে মামলা দায়ের হল হাইকোর্টে। মামলাকারীর দাবি, উত্তর ২৪ পরগনার তিনটি বুথে ১০০ শতাংশেরও বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী।

    ১০০ শতাংশেরও বেশি ভোটে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী!

    জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া-২ ব্লকের মালিয়ারা গ্রাম পঞ্চায়েতে এই ঘটনা ঘটেছে। ৬৮ নম্বর বুথে মোট ভোটারের সংখ্যা ১হাজার ৪৮১। কিন্ত সেখানে মোট ভোট পড়েছে ২ হাজার ১৭৭টি। অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭১ নম্বর বুথে মোট ভোটারের সংখ্যা ১ হাজার ৫২৯। সেখানে ভোট পড়েছে ১ হাজার ৭৪০টি। একইভাবে ৮৩ নম্বর বুথে মোট ভোটারের সংখ্যা যেখানে ১ হাজার ৪৮৮. কিন্ত ভোট পড়েছে ২ হাজার ৪৯৬টি। মামলাকারীর দাবি, এর থেকেই স্পষ্ট, কীভাবে কারচুপি ও ছাপ্পার সাহায্যে জয়ী হয়েছে রাজ্যের শাসক দল (Panchayat Elections 2023)। মামলাটি এদিন ওঠে বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) এজলাসে। ভাবে মোট ভোটারের চেয়ে বেশি ভোট পড়ল, সংশ্লিষ্ট বিডিও-র কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি।

    বিধায়কের হুমকির পরই জয়ী ঘোষণা তৃণমূল প্রার্থীকে!

    কুলপির এক সিপিএম প্রার্থীর দায়ের করা আরেকটি মামলায় নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট তলব করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha)। তৃণমূল বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদারের বিরুদ্ধে গণনায় প্রভাব খাটানোর অভিযোগ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা দাখিল করেন কুলপির রামকৃষ্ণপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রার্থী অর্পিতা বণিক সর্দার। সিপিএম প্রার্থীর অভিযোগ, ভোটগণনার দিন (Panchayat Elections 2023) গণনার শেষে প্রথমে তাঁকে জয়ী বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু পরে স্থানীয় বিধায়ক কয়েক জন দুষ্কৃতীকে নিয়ে গণনাকেন্দ্রে ঢোকেন এবং হুমকি দেন। তার পরেই মাত্র একটি ভোটে তৃণমূল প্রার্থীকে জয়ী বলে ঘোষণা করা হয়। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে শুনানি হয়। সেখানে মামলাকারীর দাবি, তিনি এই মর্মে বিধায়কের বিরুদ্ধে কমিশনেও অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এর পরই এই ঘটনায় কমিশনের রিপোর্ট তলব করেন বিচারপতি।

    ‘‘মানুষকে ন্যায় দিতে আদালতে আসি…’’

    অন্যদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections 2023) ঘিরে মামলার পাহাড় জমে যাওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। একটি মামলার শুনানি চলাকালীন তিনি জানন, খাবার খাওয়ারও সময় পাচ্ছেন না তিনি। এদিন, নির্বাচন সংক্রান্ত নয় একটি মামলার উল্লেখপর্ব নিয়ে মামলার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha)। সেখানেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘পঞ্চায়েতের যেভাবে বন্যার মতো মামলা আসছে তাতে আমি আপনাকে কথা দিতে পারছি না। রোজ ৭০ – ৮০টা করে তালিকাবহির্ভূত মামলা আসছে।’’ তখন ওই আইনজীবী বলেন, ‘‘আমরা দেখছি যে মাননীয় বিচারপতি দুপুরের আহার করার সময় পাচ্ছেন না।’’ তাঁর কথার সূত্র ধরে বিচারপতি সিনহা বলেন, ‘‘হ্যাঁ, গতকাল আমি ১০টা ৩০ মিনিট নাগাদ এজলাসে বসেছি। আর উঠেছি বেলা ৩টে ২৯ মিনিটে।’’

    এই কথার প্রেক্ষিতেই উপস্থিত আরেক আইনজীবী বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘‘আজকের খবর কাগজে প্রথম হেডলাইনেই আপনার নাম।’’ তখন জবাবে বিচারপতি সিনহা বলেন, ‘‘খবরের কাগজে নাম ছাপাটা বড় কথা নয়। বড় কথা হল, একটু স্বস্তি পেতে মানুষ ছুটতে ছুটতে আদালতে আসছে। সাংবাদিকদের হয়তো হেডলাইন নিয়ে উৎসাহ থাকবে। কিন্তু আমরা এখানে শুধুমাত্র মানুষকে ন্যায় দিয়ে আসি। হেডলাইনে নাম ছাপার জন্য নয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC scam: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ বহাল! প্রকাশ করতে হবে উত্তরপত্র বলল ডিভিশন বেঞ্চ

    SSC scam: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ বহাল! প্রকাশ করতে হবে উত্তরপত্র বলল ডিভিশন বেঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৬ সালের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তার নির্দেশই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে সমস্ত ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় বহাল রাখল বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ। 

    ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ

    হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, স্কুল সার্ভিস কমিশনকে সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র প্রকাশ করতে হবে। তবে, উত্তরপত্র প্রকাশ করলেও তার উপর ভিত্তি করে কারও চাকরি এখনই বাতিল করা যাবে না বলেও জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। এখনই কোনও চাকরি বাতিল করা যাবে না, ওএমআর শিটে কারচুপি থাকা শিক্ষকদের চাকরি বাতিল, সুপ্রিম কোর্টের এসএলপি-র ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে। ‘সরকারি চাকরিতে এমন কারচুপির তথ্য জেনে চুপ করে থাকতে পারে না সাংবিধানিক আদালত’, পর্যবেক্ষণ বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের। 

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ

    গত ৭ জুলাই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ২০১৬ সালে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে ৫,৫০০ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা-সহ ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের উত্তরপত্র প্রকাশ করতে হবে কমিশনকে। উত্তরপত্রের পাশাপাশি নাম, বাবার নাম, ঠিকানা, স্কুলের নাম-সহ ৯০৭ জনের তালিকা প্রকাশ করতে হবে, যাঁদের বিকৃত উত্তরপত্র উদ্ধার করেছিল সিবিআই। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ২০১৬ সালে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ পরীক্ষার বিস্তারিত মেধাতালিকার প্রকাশের আবেদন করে মামলা করেন ওই বিচারপতিরই নির্দেশে চাকরি হারানো ববিতা। তাঁর দাবি, ২০১৬ সালের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ৫,৫০০ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে ৯০৭টি বিকৃত উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) উদ্ধার করে সিবিআই। তার মধ্যে ১৩৮ জন ছিলেন ওয়েটিং লিস্টে।

    আরও পড়ুন: ‘‘২১ জুলাই বিডিও অফিস ঘেরাও’’! মহা মিছিলের মঞ্চ থেকেই ঘোষণা সুকান্তর

    ববিতার আবেদন, একাদশ-দ্বাদশের বিস্তারিত তথ্য-সহ প্যানেল প্রকাশ পেলে কারা, কী ভাবে, কোথায় চাকরি পেয়েছেন তা পরিষ্কার হয়ে যাবে। যদি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রথম ২০ জনের মধ্যে দুর্নীতির কারণে কেউ চাকরি পেয়ে থাকেন, তবে ববিতার আবার শিক্ষিকা হওয়ার সুযোগ আসবে। তাই প্যানেল প্রকাশ করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি ২০১৬ সালে নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে চাকরি পাওয়া ৫,৫০০ জনের উত্তরপত্র প্রকাশের নির্দেশ দেন। তাঁর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল কমিশন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nawsad Siddique: ভাঙড়ে ঢুকতে বাধা! রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি নওশাদের

    Nawsad Siddique: ভাঙড়ে ঢুকতে বাধা! রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি নওশাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এলাকায় জারি ১৪৪ ধারা। ভাঙড়ে প্রবেশ করতে পারছেন না সেখানকার বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি (Nawsad Siddique)। তবে বিনা যুদ্ধে জমি ছাড়তে নারাজ তিনি। বললেন, ‘‘এ ভাবে বিপ্লব আটকানো যায় না।’’ভাঙড়ের পরিস্থিতি জানিয়ে, রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী ও বিধানসভার স্পিকারকে চিঠি দিলেন তিনি। জানালেন, প্রয়োজনে কেন্দ্রেও অভিযোগ জানাবেন। 

    ভাঙড়ে শান্তিপ্রতিষ্ঠাই লক্ষ্য

    মঙ্গলবার বারুইপুর সংশোধনাগার থেকে জামিনে মুক্ত ১২ জন আইএসএফ সমর্থককে স্বাগত জানাতে যান নওশাদ সিদ্দিকি। সেখানে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, ‘‘১৪৪-এর অজুহাতে আমাকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমাকে আটকে রাখতে পারবে না। আমি ইতিমধ্যেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আদালতের মাধ্যমে আমি সেখানে ছাড়পত্র পাব।’’ নওশাদের কথায়, ‘‘আমায় ১৪৪ ধারার কথা বলে যে ভাবে আটকাচ্ছে (পুলিশ), তাতে আমি রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, স্পিকার স্যার (বিধানসভার স্পিকার)— সমস্ত দফতরকে জানিয়েছি। এর পর যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মেনে আমি কেন্দ্রের দ্বারস্থ হব। আমার লক্ষ্য, ভাঙড়ে শান্তিপ্রতিষ্ঠা করা।’’ ভাঙড়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে নওশাদ বলেন,‘‘ভাঙড়ের মানুষকে যে ভাবে অশান্তির মধ্যে রাখার চেষ্টা হচ্ছে সেটাকে প্রতিহত করে, সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন যাতে ভাঙড়বাসী করতে পারেন সেটা ব্যবস্থা করব আমি। যারা শান্ত ভাঙড়বাসীকে অশান্তির মধ্যে রেখেছিল, আতঙ্কের মধ্যে রেখেছিল, যারা ভাঙড়কে রাজনৈতিক উত্তাপের শিরোনামে নিয়ে গেল, সেই সমস্ত রাজনীতির কারবারীদের আমি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ঘুমোতে দেব না।’’

    নওশাদের রক্ষাকবচের মেয়াদ বৃদ্ধি

    অন্যদিকে, মঙ্গলবারই ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির রক্ষাকবচের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হল। আগামী ২৭ জুলাই পর্যন্ত ওই রক্ষাকবচ বৃদ্ধি করা হয়েছে। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাসের ডিভিশন বেঞ্চ। অর্থাৎ, ২৭ জুলাইয়ের আগে পর্যন্ত নওশাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগেরর মামলায় কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের তিন দিন আগে, ৫ জুলাই নিউ টাউন থানায় ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা নওশাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ দায়ের করেন এক তরুণী। তাঁকে ‘সহায়তা’ করেছিলেন সল্টলেক পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূলের তরফে ভাঙড়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত। ওই অভিযোগকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলে দাবি করেন নওশাদ। পরে জানা যায়, ডোমকল শহরে তৃণমূলের সর্বশেষ যে কমিটি ঘোষিত হয়েছিল, তাতে মোট পাঁচ জনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল। তার চার নম্বরে নাম ছিল নওশাদের বিরুদ্ধে অভিযোগকারিণী তরুণীর। 

  • Panchayat Election 2023: বয়কট সত্ত্বেও ৯৫ শতাংশ ব্যালট পড়ল কীভাবে? তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Panchayat Election 2023: বয়কট সত্ত্বেও ৯৫ শতাংশ ব্যালট পড়ল কীভাবে? তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) দিন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল হাতিয়ারা-জ্যাংড়ার ২ নম্বর বুথ। বিক্ষিপ্ত অশান্তির জেরে ভোট বয়কট করেছিলেন ভোটাররা! অথচ সেই বুথে ভোটের হার ৯৫ শতাংশ। ভোটারদের একাংশের বয়কটের পরেও ভোটের হার এত বেশি কী করে? মঙ্গলবার রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং আইজিকে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এ নিয়ে রাজারহাটের বিডিওকে তলব করেছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

    আদালতের নির্দেশ

    রাজারহাটের হাতিয়ারা-জ্যাংড়ার ২ নম্বর পঞ্চায়েতের আব্দুল কালাম কলেজে ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, বাসিন্দাদের ভোট দিতেই দেওয়া হয়নি। ভোট দিতে গেলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। রীতিমতো হুমকি দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। তারপরই স্থানীয়রা ভোট বয়কট করেন। ১ জুলাই ভোটের ফলপ্রকাশের দিন দেখা গেল, ওই বুথেই ভোট পড়েছে ৯৫ শতাংশ। যে বুথে ভোটাররা ভোটই দেননি, সেই বুথে এত ভোট পড়ল কীভাবে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তিনি জানিয়েছেন, এক জন পুলিশ আধিকারিককে নিয়োগ করে ঘটনার অনুসন্ধান করবেন ডিজি এবং আইজি। আগামী ৩ অগাস্ট রাজ্যের ডিজি এবং আইজিকে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। 

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে ‘দুর্নীতি’! তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    ব্যালট পেপার ‘অদল-বদল’

    দুটি বুথে ব্যালট পেপার ‘অদল-বদল’করা হল। গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির ২ বুথের ২ ব্যালট পেপার বদলে যায়। আরামবাগ মলয়পুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে ব্যালট পেপার নিয়ে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ বাসিন্দাদের। এক আসনের ব্যালট অন্য আসনে দিয়ে ভোট হয়। অন্য প্রার্থীর নামের ব্যালটে ভোটে জয়ী হন আর একজন  প্রার্থী। এই কথা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আরামবাগ বিডিও-র রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারপতি। ২৫ জুলাই মধ্যে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: বিচারপতি সেনগুপ্তের পর এবার বিরক্তি প্রকাশ করলেন প্রধান বিচারপতিও, কেন জানেন?

    Calcutta High Court: বিচারপতি সেনগুপ্তের পর এবার বিরক্তি প্রকাশ করলেন প্রধান বিচারপতিও, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক হিংসা সংক্রান্ত মামলার পাহাড় জমেছে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। সোমবার এ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এবার একই কারণে বিরক্তি প্রকাশ করেলন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম স্বয়ং। তিনি বলেন, “গত দেড় মাস ধরে গাদা গাদা পঞ্চায়েত মামলা দায়ের হচ্ছে। পঞ্চায়েত মামলা শুনতে গিয়ে অন্য কোনও মামলা শোনা হচ্ছে না। আর মানুষ ভাবছে আমরা কাজ করছি না।”

    একের পর এক মামলা

    ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকে একের পর এক মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারীদের মধ্যে যেমন রয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, তেমনি রয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এবং আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি। কখনও নির্বাচনের দফা বৃদ্ধি, কখনওবা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি, কখনও আবার নির্বাচনে শাসক দলের অবাধ ছাপ্পার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন এঁরা। সুবিচারের আশায় দ্বারস্থ হয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। এই সব মামলার বেশ কতকগুলির শুনানি হয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। নির্বাচন হয়েছে ৮ জুলাই। তার পর থেকে এখনও চলছে মামলা। ভোট হিংসার বিচার চেয়ে প্রায় প্রতিদিনই হচ্ছে নতুন নতুন মামলা। এ নিয়েই মঙ্গলবার উষ্মা প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।

    উষ্মা প্রকাশ প্রধান বিচারপতিরও

    এদিন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে দ্রুত শুনানির আর্জি জানান কয়েক জন আইনজীবী। তখনই উষ্মা প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, “পঞ্চায়েত মামলার ভিড়েই চাপা পড়ে যাচ্ছে অন্য সব মামলা।” সোমবার প্রায় একই রকম সুর শোনা গিয়েছিল বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের গলায়ও। তিনিও বলেছিলেন, “সারা দিন কি শুধুই রাজনৈতিক মামলা শুনব? অন্য মামলা কি আর শোনা যাবে না!”

    আরও পড়ুুন: “দুর্নীতি ওঁদের অনুপ্রেরণা”, বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোটের বৈঠককে নিশানা মোদির

    এদিন প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court) বলেন, “আইনজীবীদের আবেদন মতো সময়ে শুনানি করা সম্ভব নয়। ওই মামলাগুলির জন্য নির্ধারিত দিনেই পঞ্চায়েত মামলার শুনানি হবে।” প্রধান বিচারপতি বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে এত মামলা। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আদালতকে ব্যবহার করে অনেকেই সস্তা প্রচার পাওয়ার চেষ্টা করছেন। অনেকেই আদালতকে ব্যবহার করে সংবাদ শিরোনামে আসতে চাইছেন। দয়া করে এই কাজ করবেন না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share