Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Calcutta High Court: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে ‘দুর্নীতি’! তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে ‘দুর্নীতি’! তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসককে তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।  তদন্ত করে ছয় সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় প্রকল্পের নামে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে। 

    অনিয়মের অভিযোগ

    প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ক্ষেত্রে রাজ্যে বেনিয়ম হয়েছে বলে বিরোধীরা একাধিকবার অভিযোগ তুলেছিল। অভিযোগের জেরেই কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে টিম পাঠিয়ে ছিল। রাজ্যের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের কাছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ক্ষেত্রে রাজ্যে বেনিয়ম হয়েছে বলে স্বীকার করেছিল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকও ৷ জানানো হয়েছিল দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্র ৷ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (PM Awas Yojana) দুর্নীতির অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। 

    আরও পড়ুন: ‘বাংলায় কুস্তি, বেঙ্গালুরুতে দোস্তি’! বিরোধী বৈঠককে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    আদালতের নির্দেশ

    এদিনের শুনানিতে মামলাকারীর তরফে সওয়াল করা হয়, ন্যায্য ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না। অথচ যাঁরা এই প্রকল্পের আওতায় আসছেনই না, তাঁদের নামে টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এক ব্যক্তির বহু অ্যাকাউন্টে টাকা যাচ্ছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে টাকা বরাদ্দ হয়েছে, অথচ টাকা পৌঁছয়নি। আবার অন্য এলাকার লোকের নামে বাড়ি বরাদ্দ হয়েছে। মামলাকারীর অভিযোগ, জেলায় আবাস যোজনার প্রাপকদের যে তালিকা তৈরি করা হয়েছে, তাতে বিস্তর গরমিল রয়েছে। আরও অভিযোগ, ন্যায্য প্রাপকদের বঞ্চিত করে বেআইনিভাবে একাধিক ব্যক্তির নাম তালিকায় তোলা হয়েছে। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসককে অভিযোগ খতিয়ে দেখে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: রামনবমীর শোভাযাত্রায় হিংসার মামলা, প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা

    Supreme Court: রামনবমীর শোভাযাত্রায় হিংসার মামলা, প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Rama Navami) শোভাযাত্রায় ব্যাপক হিংসা হয়েছিল এ রাজ্যে। তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল মামলাও। পরে আদালত অভিযোগের তদন্তভার দেয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। আদালতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার।

    সুপ্রিম কোর্টে শুনানি

    সোমবার দেশের শীর্ষ আদালতে হয় এই মামলার শুনানি। হাওড়ার শিবপুর, হুগলির রিষড়া এবং উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় অশান্তির ঘটনায় পাঁচটি এফআইআর দায়ের করেছিল এনআইএ। এদিন আদালত জানতে চায় রামনবমীর শোভাযাত্রায় অশান্তির ঘটনা নিয়ে দায়ের হওয়া পাঁচটি এফআইআরের বিবরণ একই কিনা। ওই বিবরণ বিশ্লেষণ করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় এনআইএকে। শুক্রবার সকালের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) এই রিপোর্ট জমা দেবে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিন শুনানিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবীরা রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁরা জানান, রামনবমীর শোভাযাত্রায় বোমা ছোড়া হলেও, বিস্ফোরক আইনে মামলা করেনি পুলিশ।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    এপ্রিল মাসে কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি (বর্তমানে প্রধান বিচারপতি) টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয়েছিল এই মামলার। তখন আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, রামনবমীর শোভাযাত্রাকে ঘিরে অশান্তির ঘটনায় বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে। তার জের টেনে এদিন শুভেন্দুর আইনজীবীর প্রশ্ন, এরপরও কেন রাজ্য পুলিশ বিস্ফোরক আইনে কোনও মামলা রুজু করল না? তিনি (Supreme Court) বলেন, হিংসার ঘটনায় দোষীদের আড়াল করতেই বিস্ফোরক আইনে এফআইআর দায়ের করেনি রাজ্য পুলিশ। মামলাকারীদর বিজেপি নেতা হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা ভুল। এঁদের মধ্যে সমাজকর্মী, আইনজীবীরাও রয়েছেন।

    আরও পড়ুুন: “দুর্নীতি ওঁদের অনুপ্রেরণা”, বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোটের বৈঠককে নিশানা মোদির

    হাইকোর্ট দেখেছে, একজন পুলিশ আধিকারিকই অত্যন্ত স্বল্প সময়ের মধ্যে ৫টি সিজার রিপোর্ট তৈরি করেছেন। ভিডিও ফুটেজে দুষ্কৃতীদের দেখা গিয়েছিল, তারপরেও তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি, সঠিক তদন্ত হয়নি। রামনবমীর মিছিলে নির্বিচারে পাথর, বোমা ছোড়া হয়েছে, তারপরেও বিস্ফোরক আইনে মামলা নথিভুক্ত করা হয়নি। প্রসঙ্গত, রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছিল হাওড়া ও হুগলি। কোথাও শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। কোথাও আবার ট্রেন বন্ধ করে কার্যত তাণ্ডব চালায় দুর্বৃত্তরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: রাজনৈতিক মামলার পাহাড়, উষ্মা প্রকাশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির

    Calcutta High Court: রাজনৈতিক মামলার পাহাড়, উষ্মা প্রকাশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক মামলার পাহাড় জমেছে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। পরপর রাজনৈতিক মামলায় উষ্মা প্রকাশ করলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, সারা দিন কি শুধু রাজনৈতিক মামলাই শুনব? অন্য মামলা কি আর শোনা যাবে না! এত এত রাজনৈতিক মামলা শোনার সময় দেওয়া যাবে না। এদিন কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর রক্ষাকবচ মামলার শুনানিতে ওই কথাগুলি বলেন বিচারপতি সেনগুপ্ত।

    সৌমেন্দুর রক্ষাকবচ

    প্রসঙ্গত, সৌমেন্দুকে রক্ষাকবচ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তাঁর রক্ষাকবচ ছিল ১৭ জুলাই পর্যন্ত। বেঞ্চ বদল হওয়ায় বিচারপতি মান্থার এজলাসের সমস্ত মামলা এসেছে বিচারপতি সেনগুপ্তের এজলাসে। সেই কারণেই সৌমেন্দুর মামলা ওঠে বিচারপতি সেনগুপ্তের (Calcutta High Court) এজলাসে। এরই কিছুক্ষণ আগে ভাঙড়ে ঢুকতে বাধা দেওয়া নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিধায়ক আইএসএফের নওশাদ সিদ্দিকি। সেই মামলারও শুনানি হয়েছে বিচারপতি সেনগুপ্তর এজলাসে। তারপর সৌমেন্দুর মামলা উঠলে উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি। জানা গিয়েছে, সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে ৮টি এফআইআর রয়েছে।

    ‘এত মামলা শোনার সময় দেওয়া যাবে না’

    বিচারপতি সেনগুপ্ত বলেন, এই সব মামলা আমি রিলিজ করে দেব। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ২৭ থেকে ২৮টা মামলা রয়েছে। তার ওপর এই রকম আরও ১০টা মামলা এখনই রয়েছে। এত এত রাজনৈতিক মামলা শোনার সময় দেওয়া যাবে না।  

    আরও পড়ুুন: খুনের প্রতিবাদে ফাঁড়িতে বিজেপি-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ, আইসি-কে ঝাঁটা দেখালেন মহিলারা

    এর পরেই আদালত (Calcutta High Court) জানায়, দু সপ্তাহ পরে এই মামলার শুনানি হবে। ততদিন পর্যন্ত সৌমেন্দুর রক্ষাকবচ বহাল থাকবে। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে, কেন রক্ষাকবচের বিরোধিতা করছে তারা। রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি সেনগুপ্তর প্রশ্ন, আগে কেন বিরোধিতা করা হয়নি রক্ষাকবচের? উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কংগ্রেস, বিজেপি, আইএসএফ, সিপিএম সহ বিভিন্ন দলের প্রার্থী ও তাঁদের পরিবার রক্ষাকবচ পায় হাইকোর্ট থেকে। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার রক্ষাকবচের নির্দেশে বলা হয়, আদালতের অনুমতি ছাড়া গ্রেফতার নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nawsad Siddique: ভাঙড়ে গেলেই আটকাচ্ছে পুলিশ! হাইকোর্টের দ্বারস্থ নওশাদ সিদ্দিকি

    Nawsad Siddique: ভাঙড়ে গেলেই আটকাচ্ছে পুলিশ! হাইকোর্টের দ্বারস্থ নওশাদ সিদ্দিকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র ভাঙড়ে যেতে দেওয়া হচ্ছে না আইএসএফ (ISF MLA) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে। বিধায়কের দাবি, ১৪৪ ধারা না থাকা সত্ত্বেও তাঁকে ভাঙড়ে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এই অভিযোগ জানিয়ে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের ( Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন নওশাদ (Nawsad Siddique)। কেন পুলিশ যেতে বাধা দিচ্ছেন তাঁর মক্কেলকে এই প্রশ্নের উত্তর চেয়েছেন নওশাদের আইনজীবী। পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগও তুলেছেন তাঁরা। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। চলতি সপ্তাহেই শুনানির সম্ভাবনা।

    নওশাদকে বাধা পুলিশের

    ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল শুক্রবার। নিজেরই বিধানসভা কেন্দ্রে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে (Nawsad Siddique) বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার ভাঙড়ে (BHangar) যাওয়ার পথে নিউটাউনে আটকে দেওয়া হয় নওশাদকে। দীর্ঘ ক্ষণ গাড়িতেই বসেছিলেন তিনি। রবিবারও নওশাদকে পড়তে হয় পুলিশি বাধার মুখে। আটকানো হয় তাঁর গাড়ি। যুক্তি দেওয়া হয়, ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। ডিএসপি ক্রাইমকে (বারুইপুর)ভাঙড়ের বিধায়ক প্রশ্ন করেন, ‘‘কেন বার বার পুলিশ বাধা দিচ্ছে? ১৪৪ ধারা জারি থাকার কথা বলা হচ্ছে শুধু। আমি কি ১৪৪ ধারা বলবত রয়েছে এমন এলাকায় দাঁড়িয়ে আছি?এত গাড়ি কী করে যাচ্ছে তাহলে?’’ এরপরই আদালতে যাওয়ার কথা জানান নওশাদ।

    আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা, বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা আশ্রয় নিলেন অসমে

    রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত

    পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে বার বার সংঘর্ষ, বোমাবাজিতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ভাঙড়ে। গত মঙ্গলবার গণনার দিনও প্রাণহানি হয়েছে সেখানে। কাঁঠালিয়ায় গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছিল তিন জনের। তাঁদের মধ্যে দু’জন ছিলেন আইএসএফ কর্মী। এক জন গ্রামবাসী বলে দাবি। আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্ত চেয়েছেন। নওশাদ (Nawsad Siddique) বারবার অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে আটকানো হচ্ছে তাঁকে। তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন, “নবান্ন, হাইকোর্ট চত্বর, লালবাজার, সবজায়গাতেই ১৪৪ ধারা থাকে। সাধারণ মানুষ যেতে পারে। অথচ আমাকে আমার এলাকাতেই ঢুকতে দিচ্ছে না।” এ দিকে, আইএসএফ-এর অভিযোগ, পুলিশ নওশাদকে বাধা দিলেও ভাঙড়ে ১৪৪ ধারার মধ্যেই সভা করছে তৃণমূল। প্রায় শতাধিক কর্মী-সমর্থকদের সমাবেশ করেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: বিচার ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, অভিষেকের বিরুদ্ধে মামলার অনুমতি হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: বিচার ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, অভিষেকের বিরুদ্ধে মামলার অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালত (Calcutta High Court) নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের করা সেই মন্তব্যের জন্য মামলাকারীকে বৃহত্তর বেঞ্চে আবেদন করার পরামর্শ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। বিচারপতিকে নিয়ে অভিষেকের পৃথক একটি মন্তব্যের মামলা চলছে বৃহত্তর বেঞ্চে। সোমবার সেই বেঞ্চেই আবেদনের পরামর্শ দিলেন প্রধান বিচারপতি।

    রুল জারির দাবি

    এদিন আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য ও শাক্য সেন প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে অভিষেকের মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেন। তাঁদের দাবি, ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করুক। রুল জারি করুক। এদিন অভিষেকের নাম না করে আইনজীবীরা বলেন, “ওঁর বক্তব্য হাইকোর্ট খুনিদের রক্ষাকবচ দিচ্ছে। হাইকোর্টের জন্যই নির্বাচনে এত রক্তারক্তি। তিনি কার্যত বিচার ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করছেন। এর আগেও তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।”

    বেলাগাম অভিষেক! 

    আদালত (Calcutta High Court) অবশ্য স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করার দাবি মানেনি। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম, বিচারপতি আইপি মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাসের বিশেষ বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে বলে আদালত সূত্রে খবর। শুক্রবার এসএসকেএমে জখম তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন অভিষেক। সেখানে নির্বাচনোত্তর হিংসা নিয়ে তিনি কাঠগড়ায় দাঁড় করান বিজেপিকে। বিচার ব্যবস্থার প্রতি ক্ষোভ উগরে দিতেও দেখা যায় তাঁকে। অভিষেককে বলতে শোনা যায়, “আমি বারবার বলছি বিচার ব্যবস্থার একাংশ বিজেপিকে মদত দিচ্ছে। …সমাজবিরোধীদের মদত দেওয়া হচ্ছে, যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক।”

    আরও পড়ুুন: ভোট পরবর্তী হিংসা, বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা আশ্রয় নিলেন অসমে

    তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডকে এও বলতে শোনা যায়, “কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) একজন বিচারপতির জন্য গোটা বিচার ব্যবস্থা কলুষিত হচ্ছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গাড়ি সাধারণ মানুষকে চাপা দিয়ে চলে যাচ্ছে, তবু পদক্ষেপ করা যাচ্ছে না। ওই বিচারপতি শুভেন্দুকে এমন রক্ষাকবচ দিয়েছেন যে আগামী দিনেও ওঁর কোনও অপরাধের জন্য পুলিশ পদক্ষেপ করতে পারবে না।” বিচার ব্যবস্থার প্রতি একজন সাংসদের এহেন মন্তব্য কতটা সমীচিন, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে রাজ্যজুড়ে। এদিন আদালতে বিকাশ বলেন, “ওই বিচারপতির বাড়িতে আগেও পোস্টার সাঁটা হয়েছে। তা নিয়ে হাইকোর্ট বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেছিল। শাসক দলের নেতাদের এই ধরনের মন্তব্য বন্ধ না হলে মর্যাদা হানি হবে হাইকোর্টের।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: হাইকোর্টই ঠিক করবে জয়ী প্রার্থীর ভবিষ্যত! সমস্ত জেলাশাসককে চিঠি নির্বাচন কমিশনের

    Panchayat Election 2023: হাইকোর্টই ঠিক করবে জয়ী প্রার্থীর ভবিষ্যত! সমস্ত জেলাশাসককে চিঠি নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) জয়ী কোনও প্রার্থীকে এখনই জয়ী বলা যাবে না। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ মেনে সমস্ত জেলাশাসককে এমনই নির্দেশ পাঠাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সমস্ত জেলাশাসকদের (DM) চিঠি দিয়ে জানানো হয়, ‘সমস্ত জয়ী প্রার্থীকে দ্রুত কমিশনের নোটিস সম্বন্ধে অবহিত করতে হবে জেলাশাসকদের।’

    কী বলল কমিশন 

    পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত একাধিক মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। তার মধ্যে, একটি মামলায়, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আগেই মন্তব্য করেছিল, জয়ী প্রার্থীদের মনে রাখতে হবে যে তাঁদের ভবিষ্যৎ সংশ্লিষ্ট মামলার উপর নির্ভর করছে। সেই সূত্রেই আরও বলা হয়েছিল, পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত যাবতীয়  নথি, সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে। ঘটনা হল, মনোনয়ন পর্ব থেকে ভোটগ্রহণের নানা পর্বে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। সেই সমস্ত অভিযোগই হাইকোর্টে বিচারাধীন। এবার সেই মামলার রায়ে কী বেরোয়, তার উপরই নির্ভর করবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ। রাজ্য নির্বাচন কমিশন এই বিষয়টিই একেবারে চিঠি দিয়ে সমস্ত জেলাশাসকদের জানিয়েছে। সঙ্গে এও জানানো হয়েছে, যে সংশ্লিষ্ট জেলার প্রত্যেক জয়ী প্রার্থীকে যেন কমিশনের নোটিস সম্পর্কে অবিলম্বে জানানো হয়। 

    রাজ্যে নানা প্রান্তে হিংসা

    রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই জেলায় জেলায় হিংসার ছবি ফুটে উঠেছে। এই আবহেই ভোট সম্পন্ন হয়। ভোট গণনা হয়। ফল প্রকাশিত হয়। প্রতিদিনই রক্ত ঝড়েছে গ্রাম বাংলায়। এই প্রসঙ্গে একটি মামলায়,হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থীদের জয় নির্ভর করবে মামলার রায়ের উপরেই। ভোট-হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য যদি নাগরিককে নিরাপত্তা না দিতে পারে, তা হলে সেটি খুবই গুরুতর বিষয়।’’ 

    আরও পড়ুন: ‘‘আসন সংখ্যায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি বিজেপির’’! সুকান্ত-শুভেন্দুদের প্রশংসা শাহের, অগাস্টেই বঙ্গ-সফরে?

    আদালতের অভিমত

    প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘‘নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরেও যে সব ঘটনা ঘটছে আদালত তা দেখে বিস্মিত। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, যে সন্ত্রাস, হিংসা চলছে রাজ্য তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। মানুষের জীবনধারণের স্বাধীনতার সঙ্গে আপস করা হচ্ছে। পুলিশ নিরীহ মানুষকে সাহায্য করছে না বলে অভিযোগ। সাধারণ মানুষের শান্তি যাতে ভঙ্গ না হয় তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাজ্যের। যদি এটি তারা না করতে পারে তা খুবই উদ্বেগের।”  ডিভিশন বেঞ্চ বলে, সমস্ত মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রার্থীদের জয়ের বিষয়টি ফয়সালা হবে না। তাঁদের মামলা নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। হাইকোর্টের এই নির্দেশ মাথায় রেখেই নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি জারি করে জেলাশাসকদেরও সতর্ক করে দিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kuntal Ghosh: অভিষেকের নাম বলার জন্য চাপ! কুন্তলের চিঠির অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি সিবিআই-এর

    Kuntal Ghosh: অভিষেকের নাম বলার জন্য চাপ! কুন্তলের চিঠির অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলতে তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন কুন্তল ঘোষ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ জানিয়ে জেলে বসে চিঠি লিখেছিলেন কুন্তল। এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে আদালতে জানিয়ে দিল সিবিআই। শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে সিবিআই জানায়, কুন্তলকে কেউ চাপ দিচ্ছেন এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এমনকী জেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেও কোনও সূত্র পাননি তদন্তকারীরা। এরপরই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উদ্দেশে বিচারপতি সিনহা বলেন, ‘‘এখনও কেন কিং পিন অবধি পৌঁছনো যাচ্ছে না।’’

    অভিযোগ ভিত্তিহীন

    গত ২৯ মার্চ ধর্মতলায় শহিদ মিনারের সভা থেকে অভিষেক দাবি করেছিলেন, হেফাজতে থাকার সময় মদন মিত্র, কুণাল ঘোষকে তাঁর নাম নিতে বলেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পরেই রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুবনেতা কুন্তল ঘোষ দাবি করেন যে, অভিষেকের নাম বলার জন্য তাঁকে ‘চাপ’ দিচ্ছে ইডি, সিবিআই। এই সংক্রান্ত অভিযোগ জানিয়ে নিম্ন আদালতে চিঠিও দেন কুন্তল। পুলিশি হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি পাঠান কলকাতার হেস্টিংস থানাতেও। তার পর হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর পর্যবেক্ষণে জানান, প্রয়োজনে সিবিআই বা ইডি এই ঘটনায় অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘ভোট-পরবর্তী হিংসায় ফের আক্রান্ত গ্রামবাংলা, এটাই কি গণতন্ত্র?’’ নিন্দা শুভেন্দুর

     শুক্রবার হাই কোর্টে রিপোর্ট দিয়ে সিবিআই জানায় যে, কুন্তলের অভিযোগ ভিত্তিহীন। সিবিআইয়ের তরফে এ-ও জানানো হয়েছে যে, কুন্তলের জেলযাত্রার প্রথম দিন থেকে ওই চিঠি লেখা পর্যন্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে যে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত, তাতে মাত্র কয়েক দিনের ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে। বাকি ফুটেজ নেই। জেল থেকে মাত্র কয়েকদিনের ফুটেজ দেওয়া হয়। সেই ফুটেজে কোথাও কোনও চাপ দেওয়ার ঘটনা দেখা যায়নি। এরপরই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উদ্দেশে বিচারপতি সিনহা বলেন, ‘‘এখনও কেন কিং পিন অবধি পৌঁছনো যাচ্ছে না।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: ভোটে কারচুপি! বিডিও-র বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমতি হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ভোটে কারচুপি! বিডিও-র বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত মামলা গুলো জনস্বার্থ মামলা হিসেবে দায়ের করা যেতে পারে। শুক্রবার পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত একটি মামলায় এমনই তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন হাওড়ার সলপে বিরোধীদের জয়ী ঘোষণা করেও শাসকদলের পরাজিত প্রার্থীদের শংসাপত্র দেওয়ার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালীন ওই মন্তব্য করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। 

    বিডিও-র বিরুদ্ধে মামলা

    এদিন শুনানির সময় মামলাকারীদের উদ্দেশে বিচারপতি সিনহা বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত মামলা গুলো আপনারা জনস্বার্থ মামলা হিসেবে দায়ের করছেন না কেন? বৃহত্তর পরিসরে এই ঘটনাগুলির সঙ্গে সরাসরি জনস্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে। এইগুলো জনস্বার্থেরই বিষয়।’ বিরোধীদলের প্রার্থীরা ভোটে জিতলেও শাসকদলের প্রার্থীদের জয়ের শংসাপত্র দেওয়ার অভিযোগ ওঠে হাওড়ার সলপে। মামলাকারী প্রার্থীরা স্থানীয় বিডিও-র বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। বিচারপতি সিনহা এদিন বিডিও-র বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। 

    ব্যালট পেপার ছিনতাই-মামলা

    অন্যদিকে, বালিতে গণনাকেন্দ্রের বাইরে ব্যালট পেপার পাওয়া যাওয়ার ঘটনায় আদালতে হাজিরা দিলেন জগাছার বিডিও। শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে হাজিরা দিয়ে গণনাকেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ আদালতে পেশ করেন তিনি। আদালতের তরফে এই সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি বলেন, দেখতে হবে, কে বা কারা ব্যালট পেপার গণনাকেন্দ্রের বাইরে নিয়ে এল। এদিন আদালতে জগাছার বিডিও বলেন, বালির ওই গণনাকেন্দ্র থেকে ব্যালট পেপার ছিনতাই হয়েছে। সেকথা জানিয়ে পুলিশে এফআইআর করেছেন তিনি। কমিশনকেও ঘটনার কথা জানিয়েছেন। তবে কমিশন এব্যাপারে কী পদক্ষেপ করেছে তা তাঁর জানা নেই। ওদিকে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে রাজ্যে ৬৯৬টি বুথে পুনর্নির্বাচন হয়েছে। এছাড়া ৬০০০টি বেনিয়মের অভিযোগ কমিশনে জমা পড়েছে। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনও বেনিয়ম ধরা পড়লে পদক্ষেপ করবে কমিশন। এদিন আদালতে পেশ হওয়া সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আগামী ২৫ জুলাই মামলাটির ফের শুনানি হবে।

    আরও পড়ুন: ভাঙড়ের পথে নওশাদকে আটকাল পুলিশ! গাড়িতেই বসে আইএসএফ বিধায়ক

    রামনগরেও বিতর্ক

    রামনগরের জেলা পরিষদে জয়ী ঘোষণা পরেও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি বিজেপি প্রার্থীকে। জয়ের সার্টিফিকেট চেয়ে মামলা করেন তিনি। এদিন এই মামলার প্রেক্ষিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে হাজিরা দিলেন সেখানকার বিডিও। সশরীরে এজলাসে হাজিরা দিলেন রামনগরের পঞ্চায়েতের রিটার্নিং অফিসার। রামনগর-২-এর বিডিও অখিল মণ্ডল জানান, ভোটের ফলাফল রেকর্ডিং এর সময় অদলবদল হয়। রামনগর ২ নং ব্লকের গণনা কেন্দ্রের সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ হাইকোর্টে জমা রাখতে নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। বিডিও-এর কাছে হলফনামা তলব করেন তিনি। ২৫ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: ৩৫০ কোটির নিয়োগ দুর্নীতি! হাইকোর্টে জমা পড়ল রিপোর্ট, তালিকা পেশের নির্দেশ

    Recruitment Scam: ৩৫০ কোটির নিয়োগ দুর্নীতি! হাইকোর্টে জমা পড়ল রিপোর্ট, তালিকা পেশের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারির (Recruitment Scam) সঙ্গে যুক্ত ৩৫০ কোটি টাকার দুর্নীতির খোঁজ পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে মুখবন্ধ খামে একটি রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বক্তব্য শুনে বিচারপতি অমৃতা সিনহা এদিন জানতে চান, ‘এত টাকা যদি এই দুর্নীতি থেকে উঠে থাকে, তাহলে আপনারা এখনও এই দুর্নীতির কিংপিন কে, তাকে কেন খুঁজে পাচ্ছেন না?’ এদিন, সিবিআইয়ের তদন্তের ‘ধীর গতি’ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। 

    সাড়ে ৩০০ কোটির দুর্নীতি

    আদালত সূত্রে খবর, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, অয়ন শীল ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ১৫ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পত্তি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত এবং ৪৩টি স্থাবর সম্পত্তি প্রসিড অব ক্রাইম হিসাবে অ্যাটাচ করা হয়েছে। সূত্রের দাবি, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা বাংলা সিনেমা থেকে স্থাবর সম্পত্তি, অস্থাবর সম্পত্তিতেও বিনিয়োগ করা হয়েছে বলেই ইডির রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১২৬ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি এবং নগদ অ্যাটাচ করা হয়েছে। বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই রিপোর্ট জমা পড়ে। বিচারপতি অর্ডার দেওয়ার সময় ওই রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে টাকার কথা বলেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভোট-পরবর্তী হিংসায় ফের আক্রান্ত গ্রামবাংলা, এটাই কি গণতন্ত্র?’’ নিন্দা শুভেন্দুর

    কিংপিন কে? 

    এদিন মামলাকারীর তরফে আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতকে বলেন, ‘৪২ হাজারের বেশি নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু কে বা কারা মূল সুবিধা পেয়েছে, এখনও সিবিআই সেটা খুঁজে বের করতে পারেনি। সিবিআইকে সেটা খুঁজে বের করার নির্দেশ দেওয়া হোক।’ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ (Recruitment Scam) মামলায় যে চাকরিপ্রাপকদের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল, তাঁদের নামের তালিকা আদালতে জমা দিতেও বললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এই মামলায় দুই তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং সিবিআইকে আগামী ২৯ আগস্টের মধ্যে তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলাতে তাঁকে ‘চাপ’ দেওয়া হচ্ছে— কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ জানিয়ে জেলে বসে চিঠি লিখেছিলেন কুন্তল ঘোষ। রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তলের সেই ‘বিতর্কিত’ চিঠির অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে শুক্রবার দাবি করে সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: জাঙ্গিপাড়ায় ব্যালট উদ্ধার-কাণ্ড, কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: জাঙ্গিপাড়ায় ব্যালট উদ্ধার-কাণ্ড, কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় রাস্তার নর্দমার পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া ব্যালট মামলায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ভর্ৎসনা কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি সিনহার এজলাসে। সেখানেই তিরস্কৃত হয় কমিশন। আদালতের পর্যবেক্ষণ, “পঞ্চায়েতে জিতলেই হাতে টাকা। আর সেই জন্যই এত দ্বন্দ্ব।” “রাস্তায় ব্যালট পড়ে থাকলে আর নির্বাচনের স্বচ্ছতা কোথায়?” প্রশ্ন বিচারপতি সিনহার। বৈধ ব্যালট পেপার গণনার আগে কীভাবে সেগুলো গণনা কেন্দ্রের বাইরে গেল ২০ জুলাইয়ের মধ্যে হলফনামায় তা জানানোর নির্দেশও দিয়েছে আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৫ জুলাই।

    জাঙ্গিপাড়ার বিডিওকে তলব

    বুধবার জাঙ্গিপাড়ায় একটি রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার হয় শয়ে শয়ে বৈধ ব্যালট পেপার। ব্যালট পেপারগুলিতে সিপিএমের প্রতীকে ভোট দেওয়া ছিল। সেগুলি কুড়িয়ে নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন হুগলির বাম নেতারা। রাস্তায় ব্যালট পেপার পড়ে থাকার কারণ জানতে চেয়ে জাঙ্গিপাড়ার বিডিওকে তলব করেছিলেন বিচারপতি সিনহা। বৃহস্পতিবার বেলা ২টোয় আদালতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল তাঁকে। একই সঙ্গে তলব করা হয়েছিল পঞ্চায়েতের রিটার্নিং অফিসারকেও। ওই বুথের ভোটের দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন, তাঁদেরও নামের তালিকা চেয়েছিলেন বিচারপতি। গণনা কেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ এবং ভিডিও ফুটেজও আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।

    কমিশনের আইনজীবীকে তিরস্কার

    এদিন জাঙ্গিপাড়ার বিডিও আদালতে (Calcutta High Court) জানান, প্রিসাইডিং অফিসার জয়দেব দে-কে ব্যালটগুলি ইস্যু করা হয়েছিল। কিন্তু সই মিলছে না। পঞ্চায়েত রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব ছিল ভোটের দিন বিষয়টি খতিয়ে দেখার। কিন্তু তার পরে আর আমার কোনও দায়িত্ব নেই। এই বুথ থেকে সন্ত্রাসের কোনও খবর রিপোর্ট হয়নি। কমিশনের আইনজীবীকে তিরস্কার করেন বিচারপতি সিনহা। বলেন, “প্রিসাইডিং অফিসারকে একজন আইনজীবী হিসেবে নয়, একজন নাগরিক হিসেবে বলুন তো, কী চলছে এটা? কীসের জন্য এত গোলমাল, গন্ডগোল? আসলে এটা একটা কাজ। জয় পেলে টাকা ইনকাম করার রাস্তা খুলে যাবে। তাই এত লড়াই। মামলার পাহাড় জমছে আদালতগুলোতে। কতগুলো ইলেকশন পিটিশনের সমাধান হয়েছে, তথ্য ঘেঁটে বলুন তো। প্র্যাক্টিক্যাল অভিজ্ঞতা থেকে বলুন।”

    আরও পড়ুুন: প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি বিতর্ক, কেজরিওয়াল, সঞ্জয় সিংহকে হাজিরার নির্দেশ গুজরাটের আদালতের

    এর পরেই আইনজীবী (Calcutta High Court) বলেন, “এখনও কিছু প্রমাণিত নয়। ইলেকশন পিটিশন করতে হবে। এই মামলা গ্রহণযোগ্য নয়।” প্রত্যুত্তরে বিচারপতি সিনহা বলেন, “ভোট গণনার সময় গোছা গোছা ব্যালট পেপার রাস্তায় পাওয়া গেল, এরপরও বলছেন কিছু প্রমাণিত নয়! এটা বাড়াবাড়ি না? আপনাদের বিডিও স্বীকার করছেন এগুলো আসল ব্যালট, তার পরেও কিছু প্রমাণিত নয় বলে বিষয়টা লঘু করার চেষ্টা করছেন!”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share