Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Panchayat Election 2023: রাত পোহালেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

    Panchayat Election 2023: রাত পোহালেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023)। নির্বাচন-পর্ব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সেই মতো রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তাঁদের নিয়ে আসা হচ্ছে রাজ্যে। শুক্রবার বিশেষ বিমানে লেহ্ থেকে এয়ারলিফ্ট করে রাজ্যে নিয়ে আসা হয়েছে ৫ কোম্পানি এবং ২ প্লাটুন কেন্দ্রীয় বাহিনী। এদিন দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ ওই বাহিনী নামে পানাগড়ে। সেখান থেকেই তাঁদের মোতায়েন করা হবে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়।

    লেহ্ থেকে এল বাহিনী

    যেহেতু নির্বাচন (Panchayat Election 2023) শুরু হতে আর মাত্র ঘণ্টা কয়েক বাকি, তাই চাহিদা মতো বাহিনী মিলবে কিনা, তা নিয়ে ছিল সংশয়। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানায়, লাদাখের লেহ্ থেকে এয়ারলিফ্ট করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে আসা হচ্ছে বাংলায়। মোট পাঁচ কোম্পানি ও দুই প্লাটুন বাহিনী আসছে পানাগড়ের বিমানঘাঁটিতে।

    সব বাহিনী আসবে এদিনই

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে জলঘোলা হয়েছে বিস্তর। নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা। তার পর আদালতের গুঁতোয় সব মিলিয়ে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে যেহেতু একেবারে শেষ পর্যায়ে কমিশনের তরফে বাহিনী চাওয়া হয়েছে, তাই বাহিনী আসতে সময় লাগছে। সূত্রের খবর, এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে চাহিদা মতো বাহিনী চলে আসবে শুক্রবারই।

    আরও পড়ুুন: গুজরাট হাইকোর্টেও বহাল নিম্ন আদালতের রায়, জেলে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী?

    জানা গিয়েছে, যেখানে ১ থেকে ২টি বুথ রয়েছে, সেখানে মোতায়েন করা হবে ৪ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। ৩ থেকে ৪টি বুথ রয়েছে এমন জায়গায় থাকবেন ৮ জন জওয়ান। ৫ থেকে ৬টি বুথ রয়েছে এমন জায়গায় থাকবেন ১২ জন জওয়ান। ৭ এবং ৭-এর বেশি বুথ রয়েছে এমন জায়গায় মোতায়েন করা হবে ১৬ জন জওয়ান। স্ট্রং-রুম পাহারায় থাকবে ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। অগ্রাধিকার দেওয়া হবে স্পর্শকাতর বুথগুলিকে। প্রসঙ্গত, রাজ্যে স্পর্শকাতর (Panchayat Election 2023) বুথ রয়েছে ৪ হাজার ৮৩৪টি। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে এমনই জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ‘সাময়িক’ স্বস্তি পেলেন চাকরিহারা সেই ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক

    Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ‘সাময়িক’ স্বস্তি পেলেন চাকরিহারা সেই ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে সাময়িক স্বস্তি পেলেন ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক। এঁদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওই পদগুলিতে নতুন করে নিয়োগেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার সেই নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত।

    এনসিটিই-র নিয়ম

    প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য টেট নেওয়া হয় ২০১৪ সালে। তার ভিত্তিতে নিয়োগ হয় ২০১৬ সালে। নিয়োগপত্র পান ৪২ হাজার ৫০০ জন। সেই সময় এনসিটিই-র নিয়মে বলা হয়েছিল, নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের। তার পরেও শূন্যস্থান থাকলে, সুযোগ পাবেন প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীরা। অবশ্য দু বছরের মধ্যে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিতে হবে তাঁদের। নিয়োগ-পর্ব শেষ হওয়ার পরেই অভিযোগ ওঠে, চাকরি পাননি বহু প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীই। তার বদলে চাকরি পেয়েছেন (Supreme Court) প্রশিক্ষণহীন বহু প্রার্থী। প্রশিক্ষণহীনদের নিয়োগের ক্ষেত্রে অ্যাপটিটিউড টেস্টও হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি গড়ায় আদালত অবধি।

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ

    শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। ৩০ জন ইন্টারভিউয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তিনি। জানা যায়, সেবার কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্টই হয়নি। অনেকে আবার জানান, টেস্ট নিয়ে কোনও নির্দেশ ছিল না। এর পরেই মে মাসে (Supreme Court) ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পরে অবশ্য জানা যায়, ৩৬ হাজার নয়, ৩২ হাজার প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছেন তিনি। চার মাসের মধ্যে ওই পদগুলিতে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশও তিনি দিয়েছিলেন পর্ষদকে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, চাকরিহারারা এই চার মাস স্কুলে যেতে পারবেন। তবে তাঁরা বেতন পাবেন পার্শ্বশিক্ষকদের সম হারে। তিনি এও জানিয়েছিলেন, পর্ষদের নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন এই চাকরিহারারা।

    আরও পড়ুুন: ভোটের আগে অনুব্রতর গড়ে উদ্ধার ২০০ তাজা বোমা, জেলাজুড়ে শোরগোল

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের রায় চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন চাকরিহারাদের একাংশ। এবার শুনানি হয় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। আদালত জানায়, ওই শিক্ষকরা যেমন ছিলেন, তেমনিই থাকবেন। তবে পর্ষদকে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। তাতে অংশ নিতে পারবেন ওই চাকরিহারারা। সেখানে ব্যর্থ হলে, চাকরি খোয়াবেন তাঁরা।

    ডিভিশন বেঞ্চের রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যান চাকরিহারাদের একাংশ। এদিন আদালত জানায়, এই শিক্ষকদের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্ট এতদিন যা যা নির্দেশ দিয়েছে, তা খারিজ করা হচ্ছে। হাইকোর্টের নয়া ডিভিশন বেঞ্চে নতুন করে মামলার শুনানি হবে। তাঁরাই নতুন করে বিচার করবেন এবং সিদ্ধান্ত নেবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েতের ফল ঘোষণার পরেও ১০ দিন মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েতের ফল ঘোষণার পরেও ১০ দিন মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনোত্তর হিংসা রুখতে বড় পদক্ষেপ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)! আদালতের নির্দেশ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) ফল ঘোষণার পরেও ১০ দিন রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখতে হবে, যাতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা যায়। মূলত নির্বাচিতদের ও সামগ্রিকভাবে মানুষের নিরাপত্তার জন্যই এই নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত।

    প্রধান বিচারপতির নির্দেশ

    বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের নির্দেশ, নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরেও ১০ দিন রাজ্যে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজ্যে আগেও ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের উদাহরণ রয়েছে। তাই সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা প্রয়োজন। কোনও অভিযোগ যেন না আসে, তার জন্য সবরকম চেষ্টা করতে হবে কমিশনকে। আদালত আশা করে, ভোট শান্তিপূর্ণ হবে, মানুষ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবেন। কোথায় কত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে, সে সিদ্ধান্ত নেবেন বিএসএফের আইজি। রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য পুলিশের কর্তারা বিএসএফের আইজিকে সাহায্য করবেন।

    গণনা-পর্ব

    পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) হবে ৮ জুলাই। গণনা শুরু হবে ১১ জুলাই। গণনা-পর্ব শেষ হতে ১২ তারিখ হয়ে যেতে পারে। তাই এই ১২ জুলাইয়ের পরেও ১০ দিন রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। হাইকোর্ট এও জানিয়েছে, ভোট প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ব্যালট বাক্সের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে বাহিনী। প্রসঙ্গত, বুধবারই আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, প্রার্থী ও নির্বাচনী এজেন্টদের নিরাপত্তায় গণনা কেন্দ্রে মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

    আরও পড়ুুন: “এখনও সময় আছে রাজধর্ম পালন করুন”, রাজীবকে হুঁশিয়ারি রাজ্যপালের

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই অশান্ত হয়েছে রাজ্য। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে খুন হয়েছেন কংগ্রেস কর্মী। কেবল মুর্শিদাবাদেই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়েছেন অন্তত ১৩ জন। কোথাও শাসকের হাতে খুন হয়েছেন বিরোধী দলের কোনও কর্মী, কোথাও আবার তৃণমূলেরই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বলি হয়েছেন কেউ। রাজনৈতিক এই হিংসার আবহে নির্বিঘ্নে নির্বাচন সম্ভব নয় অনুমান করে আদালতের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা। দাবি করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর। বিস্তর টানাপোড়েনের পর হাইকোর্টের গুঁতোয় শেষমেশ কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি লেখে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তার পরেই রাজ্যে দফায় দফায় আসতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এবার আদালতের নির্দেশে সেই বাহিনীই থাকবে গণনা শেষ হওয়ার ১০ দিন পর পর্যন্ত।

        

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: ‘শুভেন্দুর চার অভিযোগে পদক্ষেপ নয় কেন?’ কমিশনকে প্রশ্ন হাইকোর্টের

    Panchayat Election 2023: ‘শুভেন্দুর চার অভিযোগে পদক্ষেপ নয় কেন?’ কমিশনকে প্রশ্ন হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচি সহ চারটি অভিযোগ পেয়েও কেন পদক্ষেপ নয়? রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মামলায় রাজ্য নির্বাচন (Panchayat Election 2023) কমিশনের উদ্দেশে প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, অভিযোগ আসার পরেই পদক্ষেপ করা উচিত ছিল কমিশনের। এদিনই দুপুর ১টায় ফের শুনানি হবে এই মামলার।

    শুভেন্দুর আইনজীবীর বক্তব্য

    আদালতে এদিন শুভেন্দুর আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী বলেন, সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীতে রাজনৈতিক কর্মসূচি দিদিকে বলো-র ফোন নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে। যা এখন চলছে। নির্বাচন ঘোষণার পরে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের তৃণমূলের এক প্রার্থী টাকার বিনিময়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অমরনাথ কে অংশ নিয়েছিলেন তৃণমূলের কর্মসূচিতে। এই অবস্থায় ওই জেলায় তিনি কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন (Panchayat Election 2023) পরিচালনা করবেন। নির্বাচন ঘোষণার পরে রাজ্য পুলিশের আইজি কয়েকজন অফিসারকে বদলিও করেছেন।

    মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার দিনই সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী কর্মসূচি ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী ওই কর্মসূচি ঘোষণা করার পরেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হয়। জারি হয় বিজ্ঞপ্তিও। বিষয়টি নিয়ে আদালতের (Panchayat Election 2023) দ্বারস্থ হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, কর্মসূচিতে যে নম্বর ব্যবহার করা হয়েছিল, সেই একই নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী কর্মসূচিতে। নির্বাচনের আগে এটি আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন।

    আরও পড়ুুন: আমেরিকায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু খালিস্তানি জঙ্গি গুরপতবন্ত সিং পান্নুর!

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের বিরুদ্ধে আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। বুধবার মামলাটি বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে ওঠে। বিচারপতি সিনহা মামলাটি পাঠিয়ে দেন প্রধান বিচারপতির এজলাসে (Panchayat Election 2023)। বিচারপতি সিনহার পর্যবেক্ষণ, মামলাটি জনস্বার্থ মামলা হিসেবে গণ্য হওয়া উচিত। তাই এটিকে প্রধান বিচারপতির এজলাসে পাঠান তিনি। এদিন শুনানি হয় ওই মামলার। সেখানেই আদালতের প্রশ্নের সম্মুখীন হয় কমিশন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat election 2023: পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গণনাও করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে, নির্দেশ আদালতের

    Panchayat election 2023: পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গণনাও করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে, নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat election 2023) ভোট গণনাও করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে। গণনায় কারচুপি ও অশান্তি রুখতেই বিশেষ নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার এই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। কেবল তাই নয়, প্রার্থী ও কাউন্টিং এজেন্টদেরও নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। 

    জেলায় জেলায় ঝরেছে রক্ত

    রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতেই শুরু হয়ে যায় অশান্তি। প্রথম বলি হয় মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে। সেখানে এক কংগ্রেস কর্মীকে গুলি করে খুন করা হয়। অভিযোগের তির রাজ্যের শাসক দলের দিকেই। কংগ্রেসের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই তাদের দলের ওই কর্মীকে খুন করে। কেবল মুর্শিদাবাদ নয়, অশান্ত হয়ে উঠেছে রাজ্যের বিভিন্ন (Panchayat election 2023) জেলাও। ভাঙড়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। আইএসএফ-তৃণমূলের ওই সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছে তিনজনের। তাঁদের মধ্যে এক আইএসএফ কর্মীও ছিলেন।

    উত্তপ্ত কোচভূমও

    শাসক দলের সঙ্গে বিরোধীদের সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত হয়েছে কোচ রাজাদের ভূমিও। অশান্তি হয়েছে রাজ্যের আরও কয়েকটি জেলায়ও। সব ক্ষেত্রেই যে সংঘর্ষ হয়েছে তৃণমূল বনাম বিরোধীদের, তা কিন্তু নয়। কোথাও কোথাও তৃণমূলেরই দুই গোষ্ঠীর লড়াই হয়েছে। তৃণমূলের সঙ্গে যুব তৃণমূলের লড়াইয়ের বলিও হয়েছেন একজন। এমতাবস্থায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়েছিলেন বিরোধীরা (Panchayat election 2023)। যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভরসা করেছিল রাজ্য পুলিশের ওপর। সেই মতো কয়েকটি রাজ্যের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করতেও শুরু করেছিল বলে খবর। কমিশনের এই পরিকল্পনার কথা জানতে পেরে আদালতের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা।

    আরও পড়ুুন: ভাঙড়ের অশান্তির ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ চাইল হাইকোর্ট

    কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য আবেদন করতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এর পর কমিশনের তরফে মাত্র ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়। ফের আদালতের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা। এবার আদালত নির্দেশ দেয়, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে যত সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল, তার সমতুল কিংবা তার বেশি বাহিনী চাইতে হবে। সেই মতো ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য আবেদন করে কমিশন। ভোটারদের (Panchayat election 2023) আস্থা ফেরাতেই এই বাহিনীর একটা অংশ টহল দিচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। বাকি বাহিনী এলে টহল দেবে তারাও। ভোটারদের আস্থা ফেরানোর পাশাপাশি প্রার্থী ও কাউন্টিং এজেন্টদের নিরাপত্তাও দিতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Elections 2023: ভাঙড়ের অশান্তির ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ চাইল হাইকোর্ট 

    Panchayat Elections 2023: ভাঙড়ের অশান্তির ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ চাইল হাইকোর্ট 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে। প্রাণ হারিয়েছেন অনেকেই। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি চর্চায় থেকেছে ভাঙর। মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে ব্যাপক অশান্তি হয় ওই এলাকায়। প্রায় প্রতিদিনই কোনও না কোনও ঘটনা ঘটেছে ভাঙড়ে। গুলি-বোমাবাজি এমনকী মনোনয়ন জমা নিয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। যা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা হয়। সেই মামলাতেই ভাঙড়ের বিডিও অফিস, ভাঙড় ও কাশীপুর থানার ভিতর ও বাইরের সিসি ক্যামেরার যাবতীয় ফুটেজ বৃহস্পতিবারের মধ্যেই মামলাকারীকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

    নির্বাচনের পর ফের শুনানি

    বিরোধীদের অভিযোগ, মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত রাজ্যের থেকে হলফনামা চেয়েছিল। বুধবার সেই হলফনামা আদালতে জমা দেয় রাজ্য।অন্যদিকে, ক্যানিংয়ের এক বিরোধী দলের সমর্থক নিখোঁজ হয়ে গেছে বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় ২৬ জুন আদালত পুলিশকে নির্দেশ দেয়, অবিলম্বে তাঁকে খুঁজে বের করতে হবে। কিন্তু এখনও কেন তাঁর কোনও হদিশ পাওয়া গেল না, তা রিপোর্ট দিয়ে পরবর্তী শুনানিতে পুলিশকে জানাতে বলেছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর আগামী ১৮ জুলাই সব মামলার একসঙ্গে শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। 

    আরও পড়ুুন: লোকসভায় এবারও জিতবে বিজেপি, মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পদে চান সিংহভাগ ভোটার, বলছে সমীক্ষা

    ক্যানিংয়ে ঘটনায় এফআইআর-এর নির্দেশ খারিজ

    অন্যদিকে, ক্যানিংয়ে হিংসার ঘটনায় এসডিপিও-র বিরুদ্ধে এফআইআর-এর নির্দেশ এদিন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন ঘিরে হাটুপুখুরিয়া এলাকায় হিংসার অভিযোগ ওঠে। তাতে ক্যানিং থানার আইসি, এসডিপিও ও স্থানীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সিরাজুল ইসলাম ঘরামি নামে এক ব্যক্তি। সেই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা আইসি, এসডিপিও ও স্থানীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ খারিজ করল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তবে বিচারপতি মান্থা হিংসার ঘটনার যে সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছিলেন সেটা বজায় রেখেছেন। সেই সঙ্গে মামলাকারির আর্জি মেনে তাঁর বাড়ির সামনে ১৫ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ পিকেট, ২ জন কনস্টেবল মোতায়েন রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যের বিরুদ্ধে শুভেন্দুর করা মামলা গেল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে, কেন জানেন?

    Suvendu Adhikari: রাজ্যের বিরুদ্ধে শুভেন্দুর করা মামলা গেল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ অনুষ্ঠানের নামে ভঙ্গ করা হচ্ছে আদর্শ আচরণ বিধি। এমনই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মঙ্গলবার এই মামলা গ্রহণ করেনি বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ। বরং নির্বাচনী বিধি সংক্রান্ত বিষয় হওয়ায় প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে যাওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। সেই মতো বুধবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। জনস্বার্থ মামলা করার অনুমতি দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার শুনানি হতে পারে এই মামলার।

    ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নবান্নের তখতে ফিরতে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি নিয়েছিল তৃণমূল। ইলেকশন স্পেশালিস্ট প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্ক প্রসূত ওই কর্মসূচিতে ব্যাপক (Suvendu Adhikari) সাড়া মেলে। প্রশান্তর সংস্থা আইপ্যাকের কর্মীরাই জনগণের সমস্যার কথা জেনে নথিবদ্ধ করে রাখছিলেন। অভিযোগ, দলীয় এই কর্মসূচিতে যে ফোন নম্বরটি ব্যবহার করা হয়েছিল, সেই একই ফোন নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে সরকারের কর্মসূচি ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’তে। দলীয় কর্মসূচিতে ব্যবহৃত ফোন নম্বর কীভাবে সরকারি কর্মসূচিতে ব্যবহার করা যেতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    আদর্শ আচরণ বিধি ভঙ্গ!

    বিরোধীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণার দিনই এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। ঘোষণাটি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। তবে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরে ঘোষণা করা হয় পঞ্চায়েতের নির্ঘণ্ট। তার ঠিক পরের দিনই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় এই কর্মসূচির। নন্দীগ্রামের বিধায়কের দাবি, এতে আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘিত হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘একশো দিনের কাজে চুরি আটকানো হয়েছে, টাকা নয়’’, বললেন শুভেন্দু

    এদিকে, জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের ৬ নম্বর আসনের প্রার্থী দীনেশ মজুমদারের বিরুদ্ধে টাকা বিলির অভিযোগ (Suvendu Adhikari) উঠেছে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও-ও ভাইরাল হয়েছে। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। এই বিষয়টি নিয়েও কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আগামী সপ্তাহে শুনানি হতে পারে এই মামলার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Panchayat Election 2023: হজে গিয়েও মিনাখাঁয় মনোনয়ন! তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Panchayat Election 2023: হজে গিয়েও মিনাখাঁয় মনোনয়ন! তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি হজে গিয়েছেন নির্বাচন (Panchayat Election 2023) ঘোষণা হওয়ার চার দিন আগেই। সৌদি আরবের মক্কায় বসেই মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন বসিরহাটের মিনাখাঁর কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের কুমারজোল গ্রামের প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা মইনউদ্দিন গাজি। খোদ প্রার্থীর স্বাক্ষর ছাড়া কীভাবে তাঁর মনোনয়নপত্র জমা নিলেন রিটার্নিং অফিসার? প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। আদালতের দ্বারস্থও হন তাঁরা। বিরোধীরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতেই তড়িঘড়ি মইনউদ্দিনের মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

    তদন্তের নির্দেশ

    মঙ্গলবার তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসারের (Panchayat Election 2024) বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের আইনজীবী জানান, ইন্টারপোলের সাহায্য চাইলে সহযোগিতা করতে পারে সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থা কী হবে, তা পরে নির্দেশ দিয়ে জানানো হবে বলেও জানায় আদালত। শুধু তাই নয়, মিনাখাঁ ব্লকের মনোনয়ন পর্বের যাবতীয় নথি সংরক্ষণের নির্দেশও দিয়েছে আদালত।

    বিচারপতির প্রশ্ন?

    বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, “আদালতে অভিযোগ না এলে কী হত? তাহলে তো সৌদি আরব থেকেই মনোনয়ন বৈধ হয়ে যেত।” তিনি বলেন, “সৌদি আরব থেকে মনোনয়নের ঘটনা তদন্তযোগ্য অপরাধ। এরকম ঘটনা আরও লুকিয়ে থাকলে সেখানে কী হবে? কমিশন কি পদক্ষেপ করতে পারবে?” এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৯ জুলাই। রাজ্য নির্বাচন (Panchayat Election 2024) কমিশনের আইনজীবী আদালতে বলেন, “আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। অনুসন্ধান করে সত্যতা খুঁজে বের করেছি। প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: লোকসভায় এবারও জিতবে বিজেপি, প্রধানমন্ত্রী পদে পছন্দ মোদি-ই! বলছে সমীক্ষা

    প্রসঙ্গত, এই মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারকে আগেই পার্টি করেছে আদালত। কেন্দ্রের আইনজীবীর দাবি, এই ঘটনায় একটা বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে। তাই স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের (Panchayat Election 2024) জন্য তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। মামলাকারীর আইনজীবীও বলেন, “কমিশন বর্তমানে এই প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেছে। তবে এই ঘটনা অনেক কিছুর দিকেই ইঙ্গিত করছে। আমরা এই ঘটনার অভিযোগ জানাতে গেলে কেউ অভিযোগ নেয়নি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েত হবে এক দফাতেই! অধীরের আবেদন খারিজ করে নির্দেশ হাইকোর্টের

    Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েত হবে এক দফাতেই! অধীরের আবেদন খারিজ করে নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খারিজ হয়ে গেল প্রদেশ কংগ্রেস (Congress) সভাপতি অধীর চৌধুরীর আবেদন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) দফা বৃদ্ধির আবেদন জানিয়েছিলেন অধীর। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ ওই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশ, শনিবার এক দফায়ই হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আদালতের পর্যবেক্ষণ, সুশৃঙ্খলভাবে নির্বাচন করানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এই পরিস্থিতিতে ভোটের দফা বৃদ্ধির প্রয়োজন নেই। তাই অধীরের আবেদনটির আপাতত কোনও গুরুত্ব থাকছে না।

    নওশাদ সিদ্দিকির দাবি

    অধীরের আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) দফা বৃদ্ধির আর্জি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি। তাঁর যুক্তি ছিল, পঞ্চায়েত নির্বাচনে আদালতের নির্দেশ মতো পর্যাপ্ত বাহিনী আনা হোক অথবা পঞ্চায়েত নির্বাচনের দফা বৃদ্ধি করা হোক। এই একই দাবিতে সোমবার হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন অধীর। সেই মামলাই খারিজ করে দিল প্রধান বিচারপতির ডিশিশন বেঞ্চ।

    অধীরের আইনজীবীর যুক্তি

    আদালতে অধীরের হয়ে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনকে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রতি দিনই অশান্তির ঘটনা ঘটছে। গুলি চলছে। পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই। ফলে তৃণমূলস্তরে বাহিনী পৌঁছতে পারছে না। তাই যদি এই বাহিনী দিয়েই নির্বাচন করাতে হয়, তবে ভোটগ্রহণ হোক একাধিক দফায়।”

    আরও পড়ুুন: লোকসভায় এবারও জিতবে বিজেপি, মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পদে চান সিংহভাগ ভোটার, বলছে সমীক্ষা

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরে পরেই রাজ্যের বিভিন্ন অংশে শুরু হয় অশান্তি। খুন হন অন্তত ১৩ জন। তা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন রাজ্য পুলিশের ওপর আস্থা রেখেই ভোট করাতে চেয়েছিল। পরে আদালতের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা। হাইকোর্টের গুঁতোয় শেষমেশ ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রের কাছে আবেদন করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তার পরেই কেন্দ্রের তরফে প্রথম দফায় পাঠানো হয় ২২ কোম্পানি, দ্বিতীয় দফায় ৩৩৭ কোম্পানি এবং তৃতীয় দফায় আরও ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠানো হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: প্রতি বুথে অর্ধেক কেন্দ্রীয় বাহিনী, অর্ধেক রাজ্য পুলিশ! বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Panchayat Election 2023: প্রতি বুথে অর্ধেক কেন্দ্রীয় বাহিনী, অর্ধেক রাজ্য পুলিশ! বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) রাজ্যের প্রতিটি বুথে সশস্ত্র নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। সশস্ত্র বাহিনীর অর্ধেক কেন্দ্রীয় বাহিনী ও অর্ধেক রাজ্যের বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের। আইজি বিএসএফ এবং নোডাল অফিসারদের এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ভোট গণনা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজ্যে৷ তাই এমন বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ আদালতের।

    ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

    প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশে জানিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) মোট ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। যার অর্থ, ৬৫ হাজার অ্যাকটিভ ফোর্স। এর সঙ্গে থাকছে রাজ্যের ৭০ হাজার সশস্ত্র পুলিশ। এই দুই বাহিনীকে ৫০:৫০ অনুপাতে ব্যবহার করতে হবে। কুইক রেসপন্স টিমেও কেবল রাজ্য পুলিশ রাখলে চলবে না।

    গণনা পর্যন্ত বাহিনী

    আদালতের আরও নির্দেশ, বিএসএফের আইজি পদ মর্যাদার অফিসার ফোর্স কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করবেন। কোথায় কত ফোর্স পাঠাতে হবে, তা ঠিক করবেন তিনিই। আদালতের এই নির্দেশের জেরে বাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি আর পুরোপুরি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হাতে রইল না। প্রধান বিচারপতি বলেন, প্রথম নির্দেশেই আদালত জানিয়েছিল যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। তার মানে শুধু ভোটের দিন নয়, গোটা পঞ্চায়েত নির্বাচন চলাকালীন বাহিনী মোতায়েনের কথা বলা হয়েছিল।

    আরও পড়ুুন: ‘পঞ্চায়েত ভোটে স্পর্শকাতর বুথ ঠিক করেছেন ভাইপো,’ বিস্ফোরক অভিযোগ সুকান্তের

    প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে প্রথম থেকেই বিস্তর জল ঘোলা হয়েছিল। বিরোধীরা কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানালেও, রাজ্য নির্বাচন কমিশন রাজ্য পুলিশের ওপরই আস্থা রাখছিল। প্রয়োজনে ভিন রাজ্য থেকেও বাহিনী আনার চেষ্টা করছিল। এর পরেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা। নিয়মরক্ষার্থে তার পর ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠায় কমিশন। ফের আদালতে যান বিরোধীরা। এর পর আদালত জানিয়ে দেয় আরও ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। শেষমেশ রাজ্যে আসছে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজনৈতিক মহলের মতে, প্রতিটি বুথে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন থাকলে আস্থা বাড়বে ভোটারদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share