Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Panchayat Election 2023: বাকি ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হবে শীঘ্রই! চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

    Panchayat Election 2023: বাকি ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হবে শীঘ্রই! চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) বাকি ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাতে প্রস্তুত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। শীঘ্র বাকি কোম্পানি বাহিনী পাঠানো হবে বলে সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বিষয়টা হলফনামা দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টেও জানিয়েছে কেন্দ্রের আইনজীবী। এর আগে প্রথম দফায় ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং পরে আরও ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছিল রাজ্যে। তৃতীয় দফায় ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এলে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য মোট ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে রাজ্যে।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ঘোষণা

    পঞ্চায়েত (Panchayat Election 2023) মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, অন্তত ৮২ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে হবে। অর্থাৎ কম করে ৮০০ কোম্পানি সেন্ট্রাল ফোর্স মোতায়েন করতে হবে পঞ্চায়েত ভোটে। হাইকোর্টের সেই নির্দেশের পর মোট ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সোমবার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়েই মূলত আদালত অবমাননার একটি মামলা চলছিল হাইকোর্টে। শুনানি চলাকালীনই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে ঘোষণা করা হয় পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোটের জন্য বাকি ৪৮৫ কেন্দ্রীয় বাহিনীও পাঠানো হবে। এরপরই ওই মামলার সওয়াল-জবাব এদিনের মতো স্থগিত করে দেয় উচ্চ আদালত। আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার এই নিয়ে শুনানি হবে ডিভিশন বেঞ্চে। 

    আরও পড়ুন: ‘রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে কোর্টে যাচ্ছে বিজেপি’, কেন বললেন সুকান্ত?

    এক দফা ভোটের জন্যই ৮২২ কোম্পানি

    এবার এক দফা ভোটের জন্যই ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে বাংলায়। পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) যা বিরল শুধু নয়, এক কথায় বেনজির। এই ব্যবস্থা ভবিষ্যতের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল। ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত ভোটেও ৮২০ কোম্পানি সেন্ট্রাল ফোর্স মোতায়েন হয়েছিল। কিন্তু সেবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক মাত্র ২৬০ কোম্পানি বাহিনী পাঠিয়েছিল। যেহেতু ভোটগ্রহণ পাঁচ দফায় হয়েছিল, তাই ওই ২৬০ কোম্পানি বাহিনীকেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করা হয়।  আগেই ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। ওই ৩১৫ কোম্পানি বাহিনীর জওয়ানরা ধাপে ধাপে রাজ্যে আসতেও শুরু করে দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ৩২৩ কোম্পানির মধ্যে বিএসএফ থেকে ১০০ কোম্পানি, সিআরপিএফ থেকে ৭৩ কোম্পানি, এসএসবি থেকে ৫০ কোম্পানি, সিআইএসএফ থেকে ৪০ কোম্পানি আরপিএফ থেকে ৩০ কোম্পানি এবং আইটিপিবি থেকে ৩০ কোম্পানি বাহিনী আসবে। এ ছাড়াও ২০টি রাজ্য থেকে আসবে ১৬২ কোম্পানি বাহিনী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: রাজীব সিনহার নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা খারিজ হাইকোর্টে

    Calcutta High Court: রাজীব সিনহার নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা খারিজ হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে রাজীব সিনহার নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে যে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল, সোমবার তা খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। একইসঙ্গে এদিন পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন বাতিল করতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের করা জনস্বার্থ মামলাও খারিজ হয়ে গেল।

    রাজীব সিনহার নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ

    রাজীবের নিয়োগের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করেছিলেন নব্যেন্দুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। মামলকারীর বক্তব্য, ‘‘গত ৭ জুন রাজীবকে নিয়োগ করেন রাজ্যপাল। রাজ্য সঠিক পদ্ধতিতে এই নিয়োগ করেনি।’’ এদিন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি খারিজ করে দেয়। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব রাজীবের নাম প্রথম প্রস্তাব করেছিল নবান্ন। তবে সেই প্রস্তাবে প্রথমে সিলমোহর দেয়নি রাজভবন। আরও দু’টি নাম পাঠায় রাজ্য। পরে অবশ্য রাজীবকেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিয়োগে সম্মতি দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

    আরও পড়ুন: ‘রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে কোর্টে যাচ্ছে বিজেপি’, কেন বললেন সুকান্ত?

    পঞ্চায়েত নির্বাচন বন্ধের আবেদন

    অপর একটি মামলায় এদিন মামলাকারীর আইনজীবী শ্রীধর চন্দ্র বাগাড়িয়া জানান, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্র করে অনেক প্রাণহানি হয়েছে। তাই ভোট অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া উচিত। রাজ্যের পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাষ্ট্রপতি শাসনও জারি করা উচিত। এ প্রসঙ্গে বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত মামলায় এর আগে হাইকোর্ট (Calcutta High Court) রায় দিয়েছে। এমনকি, সুপ্রিম কোর্টেও এই সংক্রান্ত মামলা উঠেছিল। রায় শুনিয়েছে শীর্ষ আদালতও। সুপ্রিম কোর্ট থেকে নির্বাচন কমিশনকেও পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভোট বাতিল করতে চেয়ে মামলা গ্রহণযোগ্য বলে মনে করছে না আদালত। রাষ্ট্রপতি শাসন জারির জন্য কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট চাওয়ার প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি জানান, এ বিষয়ে হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করতে পারে না। কারণ সংবিধানের ৩৫৬ ধারাটি রাষ্ট্রপতির বিষয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Panchayat Vote: ভোটের দফা বাড়ানোর আর্জি নিয়ে হাইকোর্টে অধীর, মঙ্গলবার শুনানি

    Panchayat Vote: ভোটের দফা বাড়ানোর আর্জি নিয়ে হাইকোর্টে অধীর, মঙ্গলবার শুনানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি সপ্তাহের শনিবার পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote)। তার আগে নির্বাচনের দফা বাড়ানোর আর্জি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। কংগ্রেস নেতার আশঙ্কা, পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকলে এক দফার নির্বাচনে অশান্তি বাড়তে পারে।

    সাংবাদিক বৈঠকেই আদালতে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেন অধীর

    ভোটে (Panchayat Vote) দফা বাড়ানোর আবেদন জানিয়ে অধীর চৌধুরী যে আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছেন তা তাঁর একাধিক সাংবাদিক বৈঠকেই স্পষ্ট হয়ে যায়। সাংবাদিক বৈঠকে অধীর চৌধুরীর অভিযোগ ছিল, এক দফায় এই রাজ্যে কখনও অবাধ-শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব নয়। পাশাপাশি রাজ্য নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছেন বলেও সরব হন কংগ্রেসের দলনেতা। অধীরের মতে, “একদফায় নির্বাচন অবাধ শান্তিপূর্ণ হতে পারে না। তাই দফা বাড়ানোর আবেদন জানিয়ে সোমবার আদালতে যাচ্ছি।”

    আরও পড়ুন: বাহিনীর ভবিষ্যৎ কী? কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যসচিব, ডিজি

    ভোট (Panchayat Vote) ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে হিংসার বাতাবরণ

    মনোনয়ন পর্ব শুরু হতেই রাজ্য জুড়ে চলছে শাসক দলের লাগামছাড়া সন্ত্রাস, এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। রোজই হচ্ছে বোমা উদ্ধার, সামনে আসছে মৃত্যুর খবরও। সোমবারই পুরুলিয়ার মানবাজারে উদ্ধার হয়েছে বিজেপি কর্মীর নিথর দেহ। অধীরের দাবি, রাজ্যের বেশিরভাগ জেলাতেই বিরোধী দলের কর্মীরা নিত্যদিন আক্রান্ত হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছেন অধীর। ভোটের দিন শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আদৌ সম্ভব কি না প্রশ্ন তুলে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন কংগ্রেস দলনেতা। দ্রুত শুনানির আবেদন জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হতে পারে।

    দফা বাড়ানো নিয়ে নওশাদের মামলা খারিজ হাইকোর্টে

    ভোটের (Panchayat Vote) দফা বাড়ানোর নিয়ে নওশাদ সিদ্দিকির আর্জি খারিজ করে দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, কেন দফা প্রয়োজন? প্রসঙ্গত, নওশাদ সিদ্দিকির আবেদন ছিল নির্বাচনের দফা বাড়ানো হোক। আইএসএফ বিধায়কের যুক্তি ছিল, যে বাহিনী আসছে তাতে এক দফায় ভোট করানো সম্ভব নয়। কারণ এতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবেনা। এক দফায় ভোট নিয়ে কমিশনের বিজ্ঞপ্তি বাতিল করা করার আবেদন জানিয়েছিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: শারীরিক প্রতিবন্ধীদের পোলিং অফিসার করা যাবে না, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Panchayat Vote: শারীরিক প্রতিবন্ধীদের পোলিং অফিসার করা যাবে না, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) বাকি মাত্র আর পাঁচদিন। ভোট ঘিরে একাধিক মামলা গড়িয়েছে হাইকোর্টে। এমনই একটি অভিযোগ জমা পড়ে কোর্টে যে  শারীরিকভাবে অক্ষম হলেও ভোট গ্রহণের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের সরকারি শিক্ষকদের একাংশ এনিয়ে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট সাফ নির্দেশ দিল, যাঁরা বিশেষভাবে সক্ষম, তাঁদের কোনওভাবেই ভোটের পোলিং অফিসার হিসাবে ব্যবহার করতে পারবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। প্রসঙ্গত, এ ব্যাপারে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জনস্বার্থ মামলা করেছিল রাজ্যের শিক্ষানুরাগী যৌথ মঞ্চ। সোমবার মামলার শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এদিন  কমিশনকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘‘এই ভোটের কাজে প্রতিবন্ধীদের পোলিং অফিসার হিসাবে নিয়োগ করা উচিত নয় কমিশনের।’’

    ভোট কর্মীর অভাব

    পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote) ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করেছে শাসক দল, এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। একাধিক বিষয়ে মামলা জমা পড়েছে আদালতে। এর মধ্যে ভোটের দফা বৃদ্ধির আবেদন করেছে বিরোধীরা। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি রয়েছে। ভোট যদি একদফায় হয় তবে তা সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে শুক্রবারের মধ্যেই বুথে বুথে পোলিং অফিসার পাঠাতে হবে কমিশনকে। কমিশনের অন্দরের খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনের কাজে সরকারি কর্মীর নাকি পর্যাপ্তভাবে মিলছে না। তাই, নির্বাচনের কাজে শারীরিক প্রতিবন্ধী সরকারি শিক্ষকদেরও পোলিং অফিসার করার কথা চিন্তা করে কমিশন। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে তা আর সম্ভব হলনা।

    ৮০ শতাংশ শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধীদেরও ভোট কর্মী করেছিল কমিশন

    ভোট কর্মী হিসেবে ডাক পাওয়া সরকারি শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, পোলিং অফিসার করতে চেয়ে এর আগেও লোকসভা, বিধানসভা এবং পঞ্চায়েত ভোটে এই ভাবেই চিঠি পাঠানো হয়েছিল প্রতিবন্ধী সরকারি শিক্ষকদের। এ বারও সেই একইকাজ করা হয়েছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, ৬০, ৭০ এমনকি ৮০ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষকদের পঞ্চায়েত ভোটে পোলিং অফিসার করার জন্য চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর বিরুদ্ধে প্রথমে তাঁরা স্থানীয় জেলা প্রশাসনের কাছে দ্বারস্থ হন। কিন্তু এখানে সমস্যার সমাধানের ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন না তাঁরা। কারণ, এর আগে পঞ্চায়েত ভোটে শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কথা জানানো সত্ত্বেও পোলিং অফিসারের কর্তব্য থেকে অব্যাহতি পাননি সরকারি শিক্ষকেরা। সোমবার অবশ্য আদালত সেই সমস্যার সমাধান করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: কুড়মি প্রার্থীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নয়, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Panchayat Election 2023: কুড়মি প্রার্থীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নয়, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) প্রার্থী হয়েছেন তাঁরা। অভিযোগ, তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের ধমকেছিলেন। এর পর কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন ২৮ জন কুড়মি প্রার্থী। মামলার শুনানি চলে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। শুক্রবার আদালতের নির্দেশ, ওই প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে হবে। ১৫ জুলাই পর্যন্ত তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা যাবে না।

    কুড়মিদের বিক্ষোভ

    গত ২৬ মে ঝাড়গ্রামে নবজোয়ার কর্মসূচি সেরে লোধাশুলি হয়ে শালবনি যাওয়ার পথে অভিষেকের কনভয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান কুড়মিরা। এই হামলার ঘটনায় কুড়মি সমাজ পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি রাজেশ মাহাত ও আদিবাসী জনজাতি কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি শিবাজি মাহাত সহ মোট ১৫ জন বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে দায়ের হয় এফআইআর। এদের মধ্যে ৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডিকে। যদিও রাজেশের দাবি ছিল, সিবিআই তদন্তের।

    অভিষেকের হুঁঁশিয়ারি

    বিক্ষোভকারীদের (Panchayat Election 2023) হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিষেক বলেছিলেন, “যারা করেছে, তাদের সবাইকে চিহ্নিত করেছি। প্রশাসনও চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেবে। ভদ্রতার খাতিরে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটেছি। খেলা তুমি শুরু করেছ, আমি শেষ করব।” ওই মামলায় অভিযুক্তরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে কুড়মি প্রার্থীদের প্রচারে অংশ নিচ্ছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে যাতে কড়া পদক্ষেপ করা না হয়, সেই আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কুড়মিরা। সেই মামলায় আদালতের নির্দেশ, মামলাকারীদের বিরুদ্ধে ১৫ জুলাই পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। তাঁরা তাঁদের বাড়ির ঠিকানা, এই কয়েকদিন যেখানে তাঁরা থাকবেন, সেখানকার ঠিকানা ও তাঁদের মোবাইল নম্বর স্থানীয় থানায় জমা দেবেন।

    আরও পড়ুুন: আতিকের দখল করা জমিতে বহুতল, গরিবদের হাতে ফ্ল্যাটের চাবি দিলেন যোগী

    এক সময় জঙ্গলমহলে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের আধিপত্য থাকলেও, ক্রমেই সরছে পায়ের নীচের মাটি। সম্প্রতি পঞ্চায়েতে ‘নো ভোট টু টিএমসি’র ডাক দিয়েছিল আদিবাসী কুড়মি সমাজ। ধৃত নেতাদের মুক্তি না দিলে এবং কুড়মি সমাজের দাবি (Panchayat Election 2023) না মানলে তৃণমূলকে ভোট দেওয়া হবে না বলেই সাফ জানিয়ে দিয়েছিল কুড়মি সমাজের ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটি। আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। জঙ্গলমহলে লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন কুড়মি সমাজের প্রার্থীরাও। প্রার্থী যে দেওয়া হবে, তা আগেই জানিয়েছিলেন ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অশোক মাহাত। তিনি বলেছিলেন, “আমরা এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে জঙ্গলমহলে প্রার্থী দেব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Saumitra Khan: হাইকোর্টে স্বস্তি! ১৫ জুলাই পর্যন্ত সৌমিত্র খাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নয়

    Saumitra Khan: হাইকোর্টে স্বস্তি! ১৫ জুলাই পর্যন্ত সৌমিত্র খাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-এর (Saumitra Khan) বিরুদ্ধে এখনই কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ, নির্দেশ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha)। আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত তাঁকে সাময়িক রক্ষাকবচ দিল কলকাতা হাইকোর্ট  (Calcutta High Court)। তবে সাংসদের মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন বিচারপতি মান্থা।

    আদালত যা বলল

    সোনামুখী থানার আইসিকে কদর্য ভাষায় আক্রমণের অভিযোগ বাঁকুড়া বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদের (Saumitra Khan) বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ নিয়ে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের নামে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের হয়েছিল মামলা। গ্রেফতারির আশঙ্কায় রক্ষাকবচ চেয়ে পাল্টা আদালতে যান সৌমিত্র। শুক্রবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। বিচারপতি বলেছেন, ‘সৌমিত্র যে ভাষা ব্যবহার করেন বলে পুলিশের দাবি, তা অত্যন্ত খারাপ। এক জন সাংসদের কাছে এই ধরনের ভাষা একেবারে প্রত্যাশিত নয়।’ একইসঙ্গে আদালত জানায়, ১৩ এপ্রিল দায়ের হওয়া মামলা দু’টিতে ১৫ জুলাই পর্যন্ত কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। প্রয়োজনে এফআইআর খারিজের আবেদন করতে পারেন সাংসদ।

    আরও পড়ুুন: বাদল অধিবেশনেই সংসদে পেশ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল! ভাবনা মোদি সরকারের

    আইনজীবীর বক্তব্য

    এদিন আদালতে সৌমিত্র খাঁয়ের (Saumitra Khan) আইনজীবীর জানান, সোনামুখী থানার আইসির বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ করায় সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে একাধিক মামলা দেওয়া হয়েছে। সে কারণেই গ্রেফতারির আশঙ্কা করে আদালতের দ্বারস্থ তিনি। দু’টি মামলা হয়েছে সৌমিত্রের বিরুদ্ধে। এসআই মামলা করেছেন। তাই এই মামলার তদন্ত পুলিশ করতে পারে না বলেও দাবি সাংসদের আইনজীবীর। গত এপ্রিলে বাঁকুড়ায় প্রায় ২০০টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে টাকা তছরুপের অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। গত ১১ এপ্রিল মানিকবাজারে এনিয়ে বিক্ষোভও দেখান স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। অভিযোগ, সেখানেই সোনামুখী থানার আইসিকে হুমকি দেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি (BJP) সাংসদ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: সৌদি আরবে থেকেও মনোনয়ন পেশ! তৃণমূলের সেই নেতার প্রার্থীপদ খারিজ

    Panchayat Election 2023: সৌদি আরবে থেকেও মনোনয়ন পেশ! তৃণমূলের সেই নেতার প্রার্থীপদ খারিজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোনয়নপত্র (Panchayat Election 2023) পেশ-পর্ব শুরুর চারদিন আগেই তিনি চলে গিয়েছিলেন মক্কা। হজ করতে। সেখান থেকেই তিনি নাকি মিনাখাঁর প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এনিয়ে সরব হন বিরোধীরা। আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা। কীভাবে মক্কা থেকেই মনোনয়ন, স্ক্রুটিনি? ওঠে প্রশ্ন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও ওঠে প্রশ্ন। শেষ পর্যন্ত বাতিল হয়ে গেল তৃণমূলের (TMC) ওই প্রার্থীর প্রার্থীপদ।

    মইনউদ্দিনের কীর্তি!

    জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁ ব্লকের কুমারজুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রভাবশালী নেতা মইনউদ্দিন গাজি। তৃণমূলের ওই নেতা ৪ জুন দেশের বাইরে চলে যান। মনোনয়নপত্র পেশ-পর্ব শুরু হয় তারও চারদিন পরে। অথচ দেখা যায়, কুমারজুলি গ্রাম পঞ্চায়েতে ঘাসফুলের প্রতীকে মনোনয়নপত্র (Panchayat Election 2023) পেশ করেছেন তিনি। তার পরেই তাঁর মনোনয়নকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। 

    আদালতে বিরোধীরা

    বিমান সংক্রান্ত তথ্যের উল্লেখ করে আবেদনকারী আদালতে জানান, পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন মইনউদ্দিন। তাই তাঁর পক্ষে সশরীরে গিয়ে মনোনয়নপত্র পেশ করা সম্ভব নয়। যদিও আশ্চর্যজনকভাবে দেখা যায়, বিডিও অফিসে মনোনয়নপত্র পেশ করেছেন তিনি। তাঁর মনোনয়নপত্র গৃহীতও হয়েছে। আবেদনকারীর বক্তব্য ছিল, মনোনয়নপত্র পেশ পর্বে কোথাও অনিয়ম হয়েছে। মামলার (Panchayat Election 2023) দ্রুত শুনানির পাশাপাশি আদালতে ওই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিলের আবেদনও করেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূলের সমবায়ে কোটি কোটি টাকা তছরুপ! গ্ৰেফতার ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ার

    এর আগে ওই মামলার শুনানিতে বিস্ময় প্রকাশ করে আদালত বলে, যেখানে প্রার্থীরা সশরীরে গিয়েও মনোনয়ন জমা দিতে পারছেন না, তাঁদের ওপর আক্রমণ নেমে আসছে বলে অভিযোগ উঠছে, সেখানে একজন প্রার্থী বিদেশে থেকে কীভাবে মনোনয়ন জমা দিলেন? এটা কীভাবে সম্ভব? রাজ্যের আইনজীবী অবশ্য যুক্তি দিয়েছিলেন, আইন মেনে ওই প্রার্থীর প্রস্তাবক মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। প্রশ্ন ওঠে, ওই ব্যক্তি যখন বিদেশ রয়েছেন, তখন তাঁর সই কে করলেন? এসব বিষয় কমিশনকে জানানোর নির্দেশ দেয় আদালত। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছেও ওই ব্যক্তির বিদেশে থাকা সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করা হয়। শুক্রবারও কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে শুনানি হওয়ার কথা ওই মামলার। তার আগেই এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশন খারিজ করে দেয় মইনউদ্দিনের প্রার্থীপদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Calcutta High Court: সংরক্ষিত আসনে টেটে পাশ মার্ক নিয়ে ভিন্ন মত ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতির  

    Calcutta High Court: সংরক্ষিত আসনে টেটে পাশ মার্ক নিয়ে ভিন্ন মত ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতির  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেটের (TET) সংরক্ষিত প্রার্থীদের পাশ নম্বর নিয়ে ভিন্ন মত কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি। তাই মামলাটি গেল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। সেখান থেকে যাবে তৃতীয় বেঞ্চে। সেখানেই নির্ধারিত হবে সংরক্ষিত প্রার্থীদের পাশ নম্বর কত।

    এনসিটিই-র নিয়ম

    সংরক্ষিত প্রার্থীদের টেট পাশের জন্য পেতে হবে ন্যূনতম ৫৫ শতাংশ নম্বর। যার অর্থ, ১৫০ নম্বরের পরীক্ষায় পেতে হবে ৮২.৫। এনসিটিই-র নিয়ম অনুযায়ী, পরীক্ষার্থীরা ৮২ নম্বর পেলেই পাশ বলে ধরা হবে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের যুক্তি, ১৫০-র মধ্যে ৮২ নম্বর পাওয়া মানে ৫৪.৬৭ শতাংশ নম্বর। অর্থাৎ ৫৫ শতাংশ নম্বর হচ্ছে না। ১ নম্বর বেশি হলে তবেই তা শতাংশের বিচারে হত ৫৫.৩৪। কেবল সেক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হত ৫৫ শতাংশের নিয়ম। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অবশ্য ৮২ নম্বর পাওয়া টেট প্রার্থীদের মান্যতা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। রায়দানকালে এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশ এবং এনসিটিই-র রিপোর্টেরও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন কয়েকজন প্রার্থী।

    ডিভিশন বেঞ্চে ভিন্ন মত

    বুধবার সেই মামলা ওঠে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানেই ভিন্ন মত পোষণ করেন দুই বিচারপতি। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে সঠিক বলে মত দেন। কিন্তু বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের দাবি, ৮২.৫ নম্বর পেলেই উত্তীর্ণ বলে ধরা হবে। সেক্ষেত্রে তা ৮৩-ও হতে পারে। নম্বরের ক্ষেত্রে পিছিয়ে যেতে রাজি নন তিনি। ডিভিশন বেঞ্চের (Calcutta High Court) দুই বিচারপতি ভিন্ন মত পোষণ করায় মামলাটি গিয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের এজলাসে। তিনি সেটি পাঠাবেন তৃতীয় বেঞ্চে। সেখানেই নির্ধারিত হবে উত্তীর্ণ মান কত – ৮২ না ৮৩?

    আরও পড়ুুন: ‘‘এমন পদক্ষেপ করুন যাতে মানুষ ভরসা পায়’’, কমিশনকে হাইকোর্ট

    প্রসঙ্গত, সারা দেশেই ৮২ নম্বরকেই উত্তীর্ণ মান ধরা হয়। এই বিষয়টি নজরে রেখেই যাতে সিঙ্গল বেঞ্চ নম্বরের বিষয়টি বিবেচনা করে, এমনই আবেদন করেছিলেন আবেদনকারীরা। ৮২ নম্বরকেই পাশ মার্ক হিসেবে মান্যতা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তার পরেই মামলা যায় ডিভিশন বেঞ্চে (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: হাইকোর্টে সশরীরে রাজীব সিনহা, কেন আদালতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার?

    Panchayat Election 2023: হাইকোর্টে সশরীরে রাজীব সিনহা, কেন আদালতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। এদিন পঞ্চায়েত  নির্বাচন (Panchayat Election 2023) সংক্রান্ত একাধিক মামলার শুনানি রয়েছে হাইকোর্টে। তাই রাজীব আদালতে উপস্থিত হওয়ায় দানা বাঁধে জল্পনা। রাজীব জানান, একটি হলফনামা দাখিলের জন্য আদালতে এসেছিলেন তিনি। তবে আদালত সূত্রে খবর, পঞ্চায়েতে আদালত অবমাননা সংক্রান্ত মামলায় একটি হলফনামায় সই করতে আদালতে এসেছিলেন রাজীব। হাইকোর্ট থেকে বেরনোর সময় পঞ্চায়েত নির্বাচনের দফা বৃদ্ধি নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয় রাজীবকে। তিনি জানান, দফা নিয়ে আদালতে কোনও কথা হয়নি। কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে রাজীব বলেন, বাহিনী চেয়ে পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে বাহিনী আসবে। মাঝে কয়েকদিন ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী নিয়ে জট পেকেছিল। তা খুলেছে।

    পঞ্চায়েত সংক্রান্ত মামলা

    এদিন পঞ্চায়েত (Panchayat Election 2023) সংক্রান্ত একাধিক মামলার শুনানি রয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের এজলাসে। এরই একটি হল কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ পালন করা হয়নি। এই অভিযোগ তুলে কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেছিলেন বিরোধীরা। মামলাটি ওঠে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে।

    প্রধান বিচারপতির মন্তব্য

    শুনানির শুরুতেই প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, “বলতে বাধ্য হচ্ছি, এত কিছুর পরেও কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ থাকছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করতে হচ্ছে। আপনারা দয়া করে হাইকোর্টের নির্দেশ পালন করুন। চাপ সামলাতে না পারলে রাজ্যপালের কাছে গিয়ে বলুন, আর পদ ছেড়ে দিন। অন্য কাউকে তিনি ওই পদে বসাবেন। ওই পদের অনেক গুরুত্ব আছে।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘এমন পদক্ষেপ করুন যাতে মানুষ ভরসা পায়’’, কমিশনকে হাইকোর্ট

    নির্বাচন (Panchayat Election 2023) সংক্রান্ত একাধিক মামলার শুনানি চলছে উচ্চ আদালতে। এরই একটি হল, দফা বাড়িয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করার দাবি সংক্রান্ত মামলা। মামলাটি দায়ের করেছিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক আইএসএফের নওশাদ সিদ্দিকি। এদিন সে প্রসঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, এখনও পর্যন্ত যা নির্ঘণ্ট তাতে এক দফায়ই পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েত ভোটে পর্যবেক্ষক চেয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

    Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েত ভোটে পর্যবেক্ষক চেয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) বাকি আর মাত্র নয়দিন। তবু মামলা যেন মিটছে না। এবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফে পর্যবেক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত খারিজ করেছিলেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সোমবার শুনানির সম্ভবনা রয়েছে। 

    কেন পর্যবেক্ষক প্রয়োজন

    অতীতের ভোটে হিংসার কথা বিবেচনা করে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করতে চেয়েছিল। দাবি জানিয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছিল সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে। তাদের বক্তব্য ছিল, এর আগের ভোটগুলিতে বাংলায় ভয়ঙ্কর ছবি দেখা গিয়েছিল। তার জন্য়ই পর্যবেক্ষকের প্রয়োজন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মামলায় দাবি করা হয়, একটি বিধিবদ্ধ সংস্থার ওপর আরেকটি বিধিবদ্ধ সংস্থা এভাবে নজরদারি করতে পারে না। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফে পর্যবেক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত খারিজ করেন বিচারপতি ভট্টাচার্য। 

    আরও পড়ুন: ‘৩ মাসের মধ্যে বিদায় দেব চোরেদের সরকারকে’, ভোটপ্রচারে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    এর আগে ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের পর রাজ্যে ব্যাপক হিংসা ছড়ায়। ফল প্রকাশের দিনই কলকাতার বেলেঘাটায় বিজেপি কর্মী অভিজিত সরকারকে শাসকদলের লোকজন বাড়ি থেকে টেনে এনে খুন করে বলে অভিযোগ। সেই খুনের সিবিআই তদন্ত এখনও চলছে। সেই সময় রাজ্যে আরও বেশ কয়েকটি হিংসার ঘটনা ঘটে। বিজেপি তা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়। হাইকোর্ট হয়ে সেই জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। আদালতের নির্দেশে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন হিংসার তদন্তে প্রতিনিধিদল পাঠায় রাজ্যে। তা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ করে রাজ্য সরকার। এবার পঞ্চায়েত ভোটেই (Panchayat Election 2023) জাতীয় মানবাধিকার কমিশন পর্যবেক্ষক পাঠাতে চেয়েছে। বিরোধিতা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য সরকার। এবার আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ কমিশন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

LinkedIn
Share