Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Panchayat Election 2023: একদিনে দুটি মামলায় হাইকোর্টে জোড়া স্বস্তি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের

    Panchayat Election 2023: একদিনে দুটি মামলায় হাইকোর্টে জোড়া স্বস্তি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিপদে ধাক্কা খেতে থাকার মাঝে একদিনে দুটি মামলায় জোড়া স্বস্তি পেল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) নিয়ে একাধিক মামলায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন ধাক্কা খেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। রেহাই মেলেনি সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও। তবে এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষে গেল দুটি মামলার রায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সমানে রেখে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন একটি নোটিশ দিয়েছিল। সেটা আজ, শুক্রবার খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। অন্যদিকে,মনোনয়নে নথি বিকৃতি কাণ্ডেও এখনই কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না সিবিআই, শুক্রবার একথা জানাল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। 

    মানবাধিকার কমিশনের নোটিস খারিজ 

    পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নোটিস খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন পর্বে গোলমালের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। মানবাধিকার কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসাবে কমিশনের ডিজি (তদন্ত) রাজ্যের স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করবেন বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। এর পাল্টা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই মামলায় শুক্রবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ওই নোটিস খারিজ করে দিলেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। স্পর্শকাতর এলাকা মানবাধিকার কমিশনের ডিজি চিহ্নিত করতে পারবেন না বলেও নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত (Calcutta High Court)। 

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাহিনী মোতায়েন নিয়ে বিজ্ঞপ্তি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

    নথি বিকৃতি-কাণ্ডে এখনই সিবিআই নয়

    পঞ্চায়েতে (Panchayat Election 2023) নথি বিকৃতি-কাণ্ডে আপাতত কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এমনই জানাল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী সোমবার দুপুর ২টোয় এই মামলার রায় ঘোষণা করবে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক (বিডিও)-এর বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র বিকৃত করার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুই প্রার্থী। সেই মামলায় বুধবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিংহ। বিচারপতি তাঁর নির্দেশে জানান, আগামী ৭ জুলাই তদন্তের রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে সিবিআইকে। সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “বিদেশে বসেই মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন কীভাবে?” কমিশনকে প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: “বিদেশে বসেই মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন কীভাবে?” কমিশনকে প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আরও একবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রশ্নবাণের মুখে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পরেই রাজ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক হিংসা। ইতিমধ্যেই হিংসার বলি হয়েছেন ৭ জন (অবশ্য প্রশাসনের দাবি ৫ জন)। শাসক দল তৃণমূলের হিংসার জেরে অনেক ক্ষেত্রেই বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারেননি বলে অভিযোগ। কোথাও আবার হাইকোর্টের নির্দেশে পুলিশি প্রহরায় মনোনয়নপত্র পেশ করতে গিয়েও হিংসার শিকার হয়েছেন বিরোধীরা।

    আদালতের প্রশ্নবাণ

    রাজ্যের এই হিংসার আবহেই সৌদি আরবে থেকেও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তৃণমূলের এক প্রার্থী। বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার প্রশ্ন, “এটা কীভাবে সম্ভব হল? তাঁর আরও প্রশ্ন, সশীরের উপস্থিত না থেকেও কি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যায়? যদি তাই হবে, তাহলে এত প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে মার খেলেন কেন? আর ওই প্রার্থীই বা বিদেশে থেকে মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করলেন কীভাবে?”

    “পরিস্থিতিটা একবার দেখুন”

    এদিন পঞ্চায়েত সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি সিনহার বেঞ্চে। মামলাকারীর অভিযোগ, তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী মহিরুদ্দিন গাজি হজ করতে সৌদি আরবে গিয়েছেন ৪ জুন। ভারত সরকারের হজ কমিটির তালিকায় নামও রয়েছে তাঁর। অথচ তাঁর মনোনয়নপত্র জমা নিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার। মামলাকারীর যুক্তি, কীভাবে এই মনোনয়নপত্র গৃহীত হল? এটা বেআইনি। কারণ মনোনয়নপত্রে প্রার্থীর স্বাক্ষর প্রয়োজন। এর পরেই বিচারপতি (Calcutta High Court) সিনহার মন্তব্য, “পরিস্থিতিটা একবার দেখুন। এক দল মনোনয়ন দিতে গিয়ে বাধা পাচ্ছে, মার খাচ্ছে। আর এক দল বিদেশে বসে মনোনয়ন দিচ্ছে।” তিনি বলেন, “মনোনয়নপত্রে প্রার্থীর স্বাক্ষর থাকা প্রয়োজন। তাহলে তিনি স্বাক্ষর করলেন কীভাবে?”

    আরও পড়ুুন: হাইকোর্টের গুঁতো! কেন্দ্রের কাছে আরও ৮০০ কোম্পানি বাহিনীর দাবি কমিশনের

    মামলাকারীদের দাবি, এই অনিয়মের পরেও মহিরুদ্দিন সম্পর্কে রিটার্নিং অফিসার ফর্মে জানিয়েছেন, প্রার্থী সঠিক পদ্ধতিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর পরেই কমিশনকে বিচারপতি সিনহার নির্দেশ, “কমিশনকে জানাতে হবে মনোনয়ন দেওয়ার সময় প্রার্থীদের উপস্থিতি থাকা প্রয়োজন কিনা? স্বাক্ষর কীভাবে করা হয়, তাও জানাতে হবে।” এই মামলায় স্বরাষ্ট্র দফতরের অধীন অভিবাসন ব্যুরোকেও যুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি শুক্রবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Elections 2023: হাইকোর্টের গুঁতো! কেন্দ্রের কাছে আরও ৮০০ কোম্পানি বাহিনীর দাবি কমিশনের

    Panchayat Elections 2023: হাইকোর্টের গুঁতো! কেন্দ্রের কাছে আরও ৮০০ কোম্পানি বাহিনীর দাবি কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের গুঁতোয় সম্বিত ফিরল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission)! প্রথমে রাজ্যের ২২টি জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections 2023) জন্য কেন্দ্রের কাছে চেয়ে পাঠানো হয়েছিল মাত্র ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার নেপথ্যেও ছিল হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের জোড়া ধাক্কা। কমিশন নামকাওয়াস্তে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়ার ‘চাল’ চালায় ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা। সেখানে আর এক প্রস্থ ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে।

    রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ভর্ৎসনা 

    বুধবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার উদ্দেশে বলেন, “আপনি চাপ নিতে না পারলে ছেড়ে দিন।” বৃহস্পতিবারও পঞ্চায়েত সংক্রান্ত অন্য একটি মামলায় বিচারপতি অমৃত সিনহা কমিশনের উদ্দেশে বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections 2023) কি হচ্ছে? নির্বাচন কমিশনার পদে কি তিনি (রাজীব সিনহা) এখনও বহাল আছেন? আমি বুঝতে পারছি না কী হচ্ছে!” তার পরেই কেন্দ্রের কাছে সব মিলিয়ে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আগেই চাওয়া হয়েছিল ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বৃহস্পতিবার চেয়ে পাঠানো হল আরও ৮০০ কোম্পানি।

    সব বুথে বাহিনী নয়!

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে বুথ হবে ৬১ হাজারেরও বেশি। রাজ্য নির্বাচন কমিশন চেয়েছে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। কেন্দ্র এই পরিমাণ বাহিনী পাঠালেও, রাজ্যের প্রায় ৪০ হাজার বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া যাবে না।বুধবারই কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছিল, ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Elections 2023) যে পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হয়েছিল, এবার সেই সংখ্যক কিংবা তার বেশি সেন্ট্রাল ফোর্স ব্যবহার করতে হবে। ২০১৩ সালে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছিল ৮২০ কোম্পানি। তবে সেবার নির্বাচন হয়েছিল ৫ দফায়। এবার নির্বাচন হবে এক দফায়। তাই ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এলেও সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া অসম্ভব।

    আরও পড়ুুন: প্রার্থী বসে সৌদি আরবে, পঞ্চায়েতে তৃণমূলের হয়ে জমা পড়ে গেল মনোনয়ন!

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কেন্দ্রের কাছে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে এক ঢিলে দুই পাখি মারল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। একদিকে যেমন হাইকোর্টের নির্দেশ মান্য করা হল, তেমনি অন্যদিকে রাজ্যের সব বুথে মোতায়েন করা গেল না বাহিনী। বিরোধীদের মতে, যা আদতে রাজ্যের শাসক দলকে ‘সুবিধা’ পাইয়ে দেওয়ার কৌশল মাত্র!

    এদিকে, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Panchayat Elections 2023) দাবিতে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের রবীন্দ্রভবনে বিক্ষোভ দেখালেন ভোটকর্মীরা। তাঁদের দাবি, প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে। তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এই দাবিতে প্রশিক্ষণ চলাকালীনই বিক্ষোভ দেখান ভোটকর্মীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য

    Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) সিবিআই তদন্তের (CBI Investigation) নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন।  বৃহস্পতিবার বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিন্‌হা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, শুক্রবার মামলাটি শোনা হবে। 

    ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের

    নিয়োগ দুর্নীতি, কয়লা পাচার, গরু পাচারের পর পঞ্চায়েত ভোটেও (Panchayat Election 2023) সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। উলুবেড়িয়া ২ নম্বর ব্লকের দুই সিপিএম প্রার্থীর আর্জির ভিত্তিতে বিডিওর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বৃহস্পতিবার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছে রাজ্য সরকার। মামলা গ্রহণ করেছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এই মামলায় দ্রুত শুনানির আর্জি জানান। 

    কঠোর বিচারপতি

    এই মামলাতেই বুধবার বিচারপতি সিনহা বলেছিলেন, যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি রাজ্য সরকারি কর্মচারী। তাই এই তদন্তভার রাজ্যের কোনও সংস্থাকে দেওয়া যাবে না। তারপরেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি। ভোট (Panchayat Election 2023) সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ সাম্প্রতিক সময়ে নজিরবিহীন। বিচারপতি তাঁর নির্দেশে জানান, আগামী ৭ জুলাই তদন্তের রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে সিবিআইকে। পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত অন্য একটি মামলার শুনানিতেও কড়া ভাষায় রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হা। তিনি বলেছিলেন, ‘‘অশান্তি, রক্তপাত, জীবনহানি হলে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’’

    আরও পড়ুুন: হুমায়ুনের পর এবার বিদ্রোহী মনোরঞ্জন! ছাড়লেন দলীয় পদ

    একই সঙ্গে বিচারপতি সিন্‌হা তাঁর পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন, অশান্তির জন্য যদি কোনও প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে না পারেন, তবে তাঁদের অতিরিক্ত সময়ও দেওয়া উচিত কমিশনের। মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে ভাঙড়ে অশান্তি, বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে না দেওয়া এবং মনোনয়ন প্রত্যাহারে বাধ্য করার কথা প্রসঙ্গেই বিচারপতি সিন্‌হা মন্তব্য করেন, ‘‘একটি নির্বাচন ঘিরে এত অভিযোগ। এটা রাজ্যের পক্ষে লজ্জার! রাজ্যের উচিত, আদালতের নির্দেশ মতো আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা। তা না হলে বা অশান্তি, রক্তপাত, জীবনহানি হলে নির্বাচন (Panchayat Election 2023) বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Elections 2023: ভোটের কাজে নিরাপত্তার দাবিতে হাইকোর্টে শিক্ষকরা

    Panchayat Elections 2023: ভোটের কাজে নিরাপত্তার দাবিতে হাইকোর্টে শিক্ষকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের ৬১ হাজার বুথে ২২ কেন্দ্রীয় বাহিনী কীভাবে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দেবে এই প্রশ্ন নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল শিক্ষকদের একাংশ। অন্যদিকে পঞ্চায়েতে ভোটের কাজে পার্শ্বশিক্ষক এবং মেডিক্যাল অফিসারদের ব্যবহার করা যাবে না বলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

    নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ

    রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকে নিরাপত্তা আশ্বাস দিলেও, কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে সরব ছিলেন শিক্ষকরা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি সুনিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে কমিশনকে চিঠি লিখেছিলেন তাঁরা। এবার তাঁদের প্রশ্ন, রাজ্যের ৬১ হাজার বুথে ২২ কেন্দ্রীয় বাহিনী কি হবে? এই প্রশ্ন তুলেই এবার আদালতের দ্বারস্থ হলেন শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা। হাইকোর্টের দ্বারস্থ শিক্ষা অনুরাগী ইউনাইটেড অ্যাসোসিয়েশন। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। এই সংগঠনের ৮০০ সদস্য। পোলিং অফিসার হিসেবে থাকছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, প্রত্যেকের নাম ও ফোন নম্বরের তালিকা ছড়িয়ে গিয়েছে। নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন তাঁরা।

    রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ

    পঞ্চায়েত ভোটের কাজে ব্যবহার করা যাবে না পার্শ্বশিক্ষক এবং মেডিক্যাল অফিসারদের। মঙ্গলবার এই মর্মে রাজ্যের সব জেলাশাসক এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের জেলা আধিকারিকদের চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। চিঠি পাঠানো হয়েছে সব জেলার পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন আধিকারিকদেরও। এর আগে পঞ্চায়েতের ভোটের কাজে সিভিক ভলান্টিয়ার, অস্থায়ী বা চুক্তিভিত্তিক কর্মী ব্যবহার না করার দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিল বিজেপি। এই মামলায় কমিশনের তরফে জানানো হয়, নির্বাচনী বিধি অনুযায়ীই ভোটের কাজে স্থায়ী কর্মীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। একান্তই প্রয়োজন দেখা দিলে নির্দিষ্ট কিছু কাজে অস্থায়ী কর্মীদের ব্যবহার করা হবে।

    আরও পড়ুুন: বোমা ফেটে জখম ৫, রাজ্যের রিপোর্ট তলব জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের

    আইসি, বিধায়কের নামে এফআইআর 

    পঞ্চায়েতে মনোনয়ন নিয়ে ক্যানিংয়ের হাটপুখুরিয়া পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান সিরাজুল ইসলাম ঘরামির অভিযোগের ভিত্তিতে ক্যানিং থানার আইসি, এসডিপিও ও স্থানীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজুর নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।  ১২ জুলাই এই ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। সেই সঙ্গেই আদালতের নির্দেশ, মামলাকারী সিরাজুল বারুইপুরের এসপি’র কাছে নিরাপত্তার আবেদন করবেন। তাঁর বাড়ির সামনে দু’জন সশস্ত্র কনস্টেবল এক সপ্তাহের জন্যে পাহারায় থাকবেন। ১৩ থেকে ১৬ জুন ক্যানিংয়ের বিডিও অফিস, হসপিটাল মোড়-সহ আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে। সিরাজুলের অভিযোগ, ১১ জুন নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিতে গেলে বিডিও অফিসের সামনে স্থানীয় বিধায়ক পরেশ নাথ দাসের মদতে তাঁর উপর হামলা চালানো হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: “২০১৩-র চেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট”, কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের

    Panchayat Election 2023: “২০১৩-র চেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট”, কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) করতে হবে। এই মর্মে রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মুখ পুড়েছে সেখানেও। রাজ্যের সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করানোর যে রায় হাইকোর্ট দিয়েছিল, তা বহাল রাখে দেশের শীর্ষ আদালতও।

    নামকাওয়াস্তে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া

    আদালত অবমাননা এড়াতে রাজ্যের প্রতিটি জেলার জন্য এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানায় রাজ্য। নামকাওয়াস্তে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়ায় ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা। বুধবার সেই মামলায় আদালতের নির্দেশ, “২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল, ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তার চেয়ে কম কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা চলবে না।” বিজেপির তরফে আদালতকে জানানো হয়েছিল, ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) রাজ্যে মোতায়েন করা হয়েছিল ৮২ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী।

    প্রধান বিচারপতির নির্দেশ

    এদিন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, “এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরাপত্তার জন্যও ওই সংখ্যক বা তার বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। কমিশন ২২টি জেলার জন্য যে ২২ কোম্পানি অর্থাৎ ২২০০ আধা সেনা মোতায়েনের কথা বলছে, তা করলে চলবে না।”

    স্পেশালাইজড ফোর্স

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের ৫ কোটি ৬৭ লক্ষ ভোটারের নিরাপত্তায় মাত্র ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া রাজ্যের ৬ জেলায় ১ কোম্পানি করে রাজ্যের স্পেশালাইজড ফোর্স মোতায়েনের সিদ্ধান্তও নিয়েছে কমিশন। রাজ্যের এই ৬টি জেলা হল বীরভূম, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর। কমিশনের সিদ্ধান্ত, এই জেলাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে সঙ্গে থাকবে রাজ্যের স্পেশালাইজড ফোর্স। ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) নিরাপত্তায় মোতায়েন ছিল ৮২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। চলতি বছর নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরে রাজ্যে অশান্তি শুরু হওয়ার পরেও ২২টি জেলার জন্য মাত্র ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়ায় ওঠে প্রশ্ন।

    আরও পড়ুুন: বোমা ফেটে জখম ৫, রাজ্যের রিপোর্ট তলব জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের

    এদিন মামলার শুরুতেই প্রধান বিচারপতি কমিশনকে বলেন, “বলতে বাধ্য হচ্ছি এত কিছু পরে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ থাকছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করতে হচ্ছে। আপনারা দয়া করে হাইকোর্টের নির্দেশ পালন করুন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: নথি বিকৃতি! পঞ্চায়েত ভোটেও এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Panchayat Election 2023: নথি বিকৃতি! পঞ্চায়েত ভোটেও এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটেও (Panchayat Election 2023) সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রার্থীর চেক লিস্টে কারচুপি? বিকৃত করা হয়েছে নির্বাচনের নথি? বিচারপতি অমৃতা সিনহার মন্তব্য, ‘এটা কোনওভাবে মেনে নেওয়া যায় না। যেসব আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা রাজ্য সরকারি কর্মচারী। তাই রাজ্যের হাতে তদন্তভার দেওয়া সমীচীন হবে না’। 

    কেন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ

    উলুবেড়িয়া-২ ব্লকে কাশ্মীরা বিবি ও ওমজা বিবি নামের দু’জন মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। অভিযোগ, স্ক্রুটিনিতে তাঁদের ফর্ম বাতিল করে দেওয়া হয়। এই দুই প্রার্থীর অভিযোগ, তাঁরা যে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন তা বিকৃত করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাঁদের বক্তব্য, বিডিওর কাছে অভিযোগ জানাতে গেলেও তা নেওয়া হয়নি। এরপর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুই প্রার্থী। সেই মামলায় বুধবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হা। আদালতের নির্দেশ,আগামী ৭ জুলাই তদন্তের রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে সিবিআইকে। ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ঠিক তার আগের দিন তদন্ত রিপোর্ট চাইল আদালত।

    বিরোধীদের দাবি

    এই রায় প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘গোটা ব্যবস্থাকেই ঘেটে ফেলেছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনারকে সামনে রেখে, তৃণমূল রাজ্যে চরম নৈরাজ্য, অবাধ সন্ত্রাস  এবং প্রাতিষ্ঠানিক লুঠের ব্যবস্থা করেছে।এক হাজারের কাছাকাছি মনোনয়নপত্র আমাদের বাতিল হয়ে গিয়েছে। বিডিওরা প্রত্যক্ষভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে কাজ করছেন। নথি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। এটা চরম দুর্ভাগ্যের। সারা ভারতবর্ষের মানুষ বাংলাকে দেখছে’।

    আরও পড়ুুন: হুমায়ুনের পর এবার বিদ্রোহী মনোরঞ্জন! ছাড়লেন দলীয় পদ

    কড়া বার্তা বিচারপতির

    পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত অন্য একটি মামলার শুনানিতে এদিন বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হা বলেন, ‘‘অশান্তি, রক্তপাত, জীবনহানি হলে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’’ একই সঙ্গে বিচারপতি সিন্‌হা তাঁর পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন, অশান্তির জন্য যদি কোনও প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে না পারেন, তবে তাঁদের অতিরিক্ত সময়ও দেওয়া উচিত কমিশনের। মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে ভাঙড়ে অশান্তি, বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে না দেওয়া এবং মনোনয়ন প্রত্যাহারে বাধ্য করার কথা প্রসঙ্গেই বিচারপতি সিন্‌হা মন্তব্য করেন, ‘‘একটি নির্বাচন ঘিরে এত অভিযোগ। এটা রাজ্যের পক্ষে লজ্জার! রাজ্যের উচিত, আদালতের নির্দেশ মতো আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা। তা না হলে বা অশান্তি, রক্তপাত, জীবনহানি হলে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: “স্বরাষ্ট্র দফতর জানুক রাজ্যের কোথায় বোমা শিল্প চলছে”! ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Panchayat Election 2023: “স্বরাষ্ট্র দফতর জানুক রাজ্যের কোথায় বোমা শিল্প চলছে”! ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর তো জানুক রাজ্যের বোমা শিল্প কোথায় কেমন চলছে!” পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) নিয়ে এক মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার একথা বলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। রাজ্য পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকার সমালোচনা করতে গিয়ে বিচারপতি বলেন, “মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়েছে। গুলি, পরপর গাড়িতে আগুন, লাঠি-বাঁশ হাতে দুর্বৃত্তদের দাপাদাপি, ভাঙড় থেকে ক্যানিং, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপর্বে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা গিয়েছে ভয়ঙ্কর এই হিংসার ছবি। তাহলে পুলিশ কী করছিল? পুলিশ কি এসব ঘটনা স্বরাষ্ট্র দফতরকে জানিয়েছে? স্বরাষ্ট্র দফতর অন্তত জানুক রাজ্যের বোমা শিল্প কোথায় কেমন চলছে!”

    বেলাগাম সন্ত্রাসের ছবি

    মনোনয়নপত্র পেশের শেষ দিনে পুলিশি প্রহরায় বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন জমার জন্য গন্তব্যে পাঠাতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি মান্থা। তার পরেও সংবাদ মাধ্যমের পর্দায় ভেসে ওঠে বেলাগাম সন্ত্রাসের ছবি। অভিযোগ, পুলিশের গাড়ি থামিয়ে বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন পেশে বাধা দেয় তৃণমূল। ভাঙড়ের শোনপুর বাজারের কাছে পুলিশি প্রহরায় আসা আইএসএফ প্রার্থীদের ওপর হামলা চালায় তৃণমূল। প্রহরারত পুলিশ কর্মীরা তখন সেখান থেকে সরে যান বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আইএসএফ কর্মী মহিউদ্দিনের।

    রাজ্য সরকারের জবাব তলব

    সেই মামলা (Panchayat Election 2023) প্রসঙ্গে বিচারপতি মান্থা বলেন, “ভাঙড়, কাশীপুর, হাড়োয়া, বসিরহাট নিয়ে আদালতের নির্দেশের পরেও মামলাকারীদের মনোনয়ন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হওয়ায় জায়গায় জায়গায় বোমাবাজি ও গুলি চলেছে।” এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের জবাব তলব করেছে আদালত। ক্যানিং, মিনাখা, ভাঙড়, ন্যাজাট, জীবনতলা এলাকায় মনোনয়নের জন্য কত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল, তাও জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। বুধ থেকে শুক্রবার পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট এলাকার বিডিও অফিস চত্বরের সিসিটিভির ফুটেজও তলব করেছেন বিচারপতি মান্থা। ১০ দিনের মধ্যে হলফনামা আকারে জবাব জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি, তোপ দলেরই বিধায়কের!

    ক্যানিংয়ে অশান্তির ঘটনায় জেলার পুলিশ সুপার ও একজন অতিরিক্ত সুপার মর্যাদার অফিসার নিয়োগ করে তদন্তের (Panchayat Election 2023) নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা। ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক তৃণমূলের পরেশরাম দাস, থানার আইসি এবং ক্যানিংয়ের এসডিপিও-র বিরুদ্ধে এফআইআর গ্রহণ করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। নির্দেশ দেওয়ার পরেও কেন প্রার্থীরা মনোনয়ন দিতে পারলেন না, তা জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Panchayat Election 2023: জেলা পিছু এক কোম্পানি! ‘নামকাওয়াস্তে’ কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইল কমিশন

    Panchayat Election 2023: জেলা পিছু এক কোম্পানি! ‘নামকাওয়াস্তে’ কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য নির্বাচন কমিশন জেলা প্রতি মাত্র এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়ার পর কটাক্ষ বিরোধীদের। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খাওয়ার পর রাজ্য নির্বাচন কমিশন প্রতি জেলায় মাত্র এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে। এর ফলে ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে বিরোধীরা। পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতও জানায়, সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে রাজ্যে ভোট করতে হবে। তারপরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে ২২ জেলার জন্য ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর সেখানেই আপত্তি বিরোধীদের।

    ২২ জেলায় মাত্র ২২০০ জওয়ান

    এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীতে সাধারণত ১০০ থেকে ১০৫ জন সদস্য থাকেন। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী কাজে লাগানো হয় কম-বেশি ৮০ জনকে। ধরে নেওয়া যাক, ১০০ জন জওয়ান থাকবেন প্রত্যেক কোম্পানিতে। সেক্ষেত্রে রাজ্যের ২২ জেলায় মাত্র ২২০০ জওয়ান নিযুক্ত হবেন। এদিকে, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023) হতে চলেছে মোট ৬১ হাজার বুথে। এরকম হলে মাত্র একজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের দায়িত্বে থাকতে পারে ২৮ টি বুথ! বিরোধীদের দাবি, এটা মোটেই যথেষ্ট নয়। তাই আবার আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। 

    বিজেপির দাবি

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘প্রতি জেলায় ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। আদালতের নির্দেশের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে ভোটে বুথ, সেক্টর, থানা, স্ট্রং-রুম এবং গণনা কেন্দ্রের দায়িত্বে যৌথ ভাবে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ। কোনও বাহিনীর বিরুদ্ধেই যাতে অভিযোগ না ওঠে, তাই এই সিদ্ধান্ত। তাই আদালতের নির্দেশ যাতে সঠিক ভাবে প্রয়োগ হয়, সেই দাবিই আমরা হাইকোর্টে জানাব।’’ রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘স্বেচ্ছাচারিতা, দখলদারি এবং নির্লজ্জতার বেনজির দৃষ্টান্ত রাজীব সিংহ। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার জনবিচ্ছিন্ন তৃণমূলকে বাঁচাতে চাইছেন। তবু আমরা বলছি যে, প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে তৃণমূলকে।’’ শমীকের সংযোজন, ‘‘নামকাওয়াস্তে কেন্দ্রীয় বাহিনী এনেও রাজ্য নির্বাচন কমিশনার তৃণমূলকে রক্ষা করতে পারবেন না। আর গোটা বিষয়টাই আদালতের নজরদারিতে হচ্ছে।’’

    আরও পড়ুন: বহাল হাইকোর্টের রায়, পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনীই, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে ২২ জেলার জন্য ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই মতো বাহিনী পাঠানোর নির্দেশিকা দিয়েছে কেন্দ্র। এই ২২ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে বিএসএফের ৮, সিআরপিএফের ৬, এসএসবির ৪ এবং আইটিবিপির ৪ কোম্পানি। এই ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন যাতে সুষ্ঠু ভাবে হয় সেই জন্য এস সি বুদাকোটিকে নোডাল অফিসার হিসাবে রাজ্যে নিযুক্ত করেছে কেন্দ্র।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Nawsad Siddique: কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাবেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ জানাল কলকাতা হাইকোর্ট

    Nawsad Siddique: কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাবেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ জানাল কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বেই হিংসা দেখেছে ভাঙড়। তাই ভাঙড়ের ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার আর্জি মঞ্জুর করল হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্ট মঙ্গলবার তাঁর আর্জি মঞ্জুর করেছে। তবে নওশাদকে (Nawsad Siddique) কী ধরনের নিরাপত্তা দেওয়া হবে, তা এখনও জানা যায়নি। কেন্দ্রের তরফে রিপোর্ট দিয়ে তা হাইকোর্টে জানানো হবে।

    নওশাদের অভিযোগ

    ভাঙড়ে বিরোধীদের বিশেষ করে আইএসএফ কর্মীদের মনোনয়ন জমায় বাধা দিয়েছে তৃণমূল, এমনই অভিযোগ নওশাদের (Nawsad Siddique)। তিনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকেও দলের কর্মীদের মনোনয়ন জমা করাতে হিমশিম খেয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে এবার তিনি প্রাণনাশের আশঙ্কা করতে শুরু করেন। গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে লেখা চিঠিতেও নিজের সেই আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন নওশাদ। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন তিনি। এরই পাশাপাশি রাজ্য সরকারের কাছেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন নওশাদ।

    নওশাদের দাবি জেড প্লাস নিরাপত্তা

    কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা চেয়ে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মঙ্গলবার তার শুনানি ছিল। এই মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, রাজ্যের অনেক বিধায়কই আলাদা করে নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। বর্তমানে পঞ্চায়েত ভোটের আবহে ভাঙড়ের পরিস্থিতি উত্তপ্ত। তাই সেখানকার বিধায়ক হিসাবে নওশাদও (Nawsad Siddique) নিরাপত্তা পাবেন। তবে নওশাদকে কী ধরনের নিরাপত্তা দেওয়া হবে, তা নির্দিষ্ট করে বলে দেননি বিচারপতি। কেন্দ্রই তা ঠিক করবে। আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ওই দিন কেন্দ্রের তরফে হাইকোর্টে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে নওশাদের জন্য তারা কী ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবেন।

    আরও পড়ুন: আমি না শাওনি, ঠিক করতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে, বিস্ফোরক বিধায়ক হুমায়ুন কবীর

    হাইকোর্টের নির্দেশের পর নওশাদ (Nawsad Siddique) বলেন, ‘‘আমি প্রথমে রাজ্য সরকারকে বলেছিলাম আমাকে নিরাপত্তা দেওয়া হোক। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তার পর কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও নিরাপত্তা চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা কেউ আমার কথায় কান দেয়নি। বিধায়কের ন্যূনতম যে নিরাপত্তা পাওয়ার কথা, তা-ও আমাকে রাজ্য দেয়নি। তাই বাধ্য হয়েই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলাম।’’ তিনি আরও বলেন, “শুধু আমার নয়, ভাঙড়বাসীর নিরাপত্তার স্বার্থে আমি নবান্নে ছুটে গিয়েছিলাম। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর আমার জন্য সময় হয়ে ওঠেনি। আশা করব, আগামী দিনে ভাঙড়বাসী নিরাপদে থাকবে। না হলে আমি আবার আদালতে যাব।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share