Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • NIA: ফের হাইকোর্টে এনআইএ! রামনবমীর মিছিলে হামলার ঘটনায় সাহায্য করছে না রাজ্য

    NIA: ফের হাইকোর্টে এনআইএ! রামনবমীর মিছিলে হামলার ঘটনায় সাহায্য করছে না রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর মিছিলে হামলার তদন্তে আদালতের নির্দেশের পরেও সহযোগিতা করছে না রাজ্য পুলিশ, দাবি এনআইএ-র (NIA)। রাজ্য সাহায্য না করায় আটকে রয়েছে বহু মামলা। অভিযোগ, মামলার বহু নথিও দিচ্ছে না রাজ্য। এই সব অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ কেন্দ্রীয় এজেন্সি। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। 

    এনআইএ-র দাবি

    রামনবমীতে হাওড়া, রিষড়া, ডালখোলা-সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় হামলার ঘটনায় এনআইএ (NIA) তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। রাজ্য পুলিশকে সমস্ত নথি হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ২৭ এপ্রিলের রায়ে ২ সপ্তাহের মধ্যে নথি হস্তান্তরের কাজ শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। এনআইএ-র (NIA) অভিযোগ, রাম নবমী সংঘর্ষ নিয়ে তদন্তে কোনও সহযোগিতা করছে না রাজ্য। এমনকী মামলা সংক্রান্ত কোনও নথিও দেওয়া হচ্ছে না। ফলে তদন্ত আটকে রয়েছে।

    বুধবার শুনানির সম্ভাবনা

    এ প্রসঙ্গে রাজ্যের তরফে বলা হচ্ছে, প্রধান বিচারপতির এনআইএ তদন্তের নির্দেশকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। কিন্তু সেই মামলায় কোনও অর্ডার নেই। গরমের ছুটির পড়ে সেই মামলার শুনানির কথা। কেন্দ্রীয় এজেন্সির অভিযোগের ভিত্তিতে বিচারপতি মান্থা মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন। বুধবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। 

    আরও পড়ুুন: বহাল হাইকোর্টের রায়, পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনীই, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    সক্রিয় এনআইএ

    এই মুহূর্তে এনআইএ কলকাতা শাখায় ডিএসপি ও ইন্সপেক্টর মিলিয়ে ৬জন তদন্তকারী অফিসার রয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেকের উপরেই অন্তত দু’ থেকে তিনটি কেসের চাপ রয়েছে। ফলে অফিসারদের নির্দিষ্ট কোনও কেসের উপর নজর দিতে সমস্যা হচ্ছে। আর এই দুর্বলতা ধরতে পেরেছেন ডিজি দীনকর গুপ্তা। সম্প্রতি কলকাতা সফরে এসে যত দ্রুত সম্ভব অফিসারের অভাব পূরণ করা হবে বলে আশ্বাসও দেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Matua Thakurbari: মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে অশান্তির ঘটনায় সিট গঠনের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Matua Thakurbari: মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে অশান্তির ঘটনায় সিট গঠনের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে (Matua Thakurbari) অশান্তির ঘটনায় সিট গঠনের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। এডিজি পদ মর্যাদার কোনও আধিকারিককে এই তদন্তের দায়িত্ব দিতে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে নির্দেশ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। তাঁর নির্দেশ, অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর গ্রহণ করতে হবে পুলিশকে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের মামলায় মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। যেসব মতুয়া ভক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদেরও জামিনে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ আদালতের। রাজ্যকে হাইকোর্টের নির্দেশ, ওই মন্দির চত্বর ও হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করতে হবে পুলিশকে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৮ জুলাই।

    অভিষেককে বাধা মতুয়াদের

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মতুয়া মন পেতে ১১ জুন ঠাকুরবাড়িতে (Matua Thakurbari) পুজো দিতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ এবং দলীয় বিধায়ক তাপস রায়। বিকেল ৪টে নাগাদ ঠাকুরবাড়িতে পৌঁছান তাঁরা। তাঁদের মন্দির ঢুকতে বাধা দেন শান্তনু। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক বিজেপির অশোক কীর্তনিয়া। দু পক্ষের কথা কাটাকাটির মধ্যেই মূল মন্দিরে ঢুকে পড়ে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেন শান্তনু। মূল মন্দির ঢুকতে না পেরে পাশেই অন্য একটি মন্দিরে পুজো দেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। 

    সিট গঠনের নির্দেশ

    অনুমতি না নিয়ে মতুয়া মহাসঙ্ঘের মন্দিরে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন (Matua Thakurbari) অভিষেক, এমনই অভিযোগে সরব হয়েছেন মতুয়াদের একাংশ। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তা ও অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শান্তনু। সাংসদের অভিযোগ, মন্দিরের তরফে জানানো হলেও, কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ। উল্টে ওই দিনের ঘটনায় কয়েকজন ভক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। শান্তনুর এই মামলার প্রেক্ষিতে সিট গঠনের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুুন: বিজেপি প্রার্থীকে বাড়ি বয়ে হুমকি! সুকান্তর তাড়ায় চম্পট দিল শাসক দল

    বাম জমানায় মতুয়া মহাসঙ্ঘের (Matua Thakurbari) রাশ ছিল বামেদের হাতে। পরে হাতবদল হয় রশি। রাজ্যে পালাবদলের পর মতুয়া মহাসঙ্ঘের রাশ হস্তগত করে তৃণমূল। উনিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে আগেই সেই রশি চলে আসে বিজেপির হাতে। তার পর থেকে মতুয়া মন পেতে চেষ্টার কসুর করছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। ওই দিন ঠাকুরবাড়িতে অভিষেকের পুজো দিতে যাওয়াও সেই চেষ্টারই অঙ্গ বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Calcutta High Court: উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি নিয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি নিয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগে (VC appointment) রাজ্যের কমিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এ সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্সের বিষয়ে রাজ্যকে তিন সপ্তাহের মধ্যে বক্তব্য জানাতে নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। একইসঙ্গে আদালতের নির্দেশ, সার্চ কমিটি নিয়ে রাজ্য সরকার যদি কোনও পদক্ষেপ করে, মামলাকারী সঙ্গে সঙ্গে তা আদালতকে জানাবে। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি অজয় গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছে।

    আদালতের প্রশ্ন

    হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানতে চেয়েছে, উপাচার্য নিয়োগে রাজ্যের তৈরি নতুন সার্চ কমিটিতে সরকার পক্ষের সদস্য বেশি কেন? সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধিই বা কেন রয়েছেন? সোমবার হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন করে, ‘‘এই কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রীর কোনও সদস্যকে কেন রাখা হয়েছে? যতদূর জানি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রীর মনোনীত কোনও সদস্য থাকার কথা নয়! এই কমিটিতে শিক্ষাবিদদের কি রাখা হয়েছে?’’ এর জবাবে রাজ্য জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-এর নিয়ম মাথায় রেখেই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সব সদস্যই শিক্ষাবিদ! এর পাল্টা প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বলেছে, তিন সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে এ বিষয়ে হলফনামা জমা দিতে হবে। 

    মামলাকারীর দাবি

    এদিন আদালতে মামলাকারীর আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত বলেন, ‘রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগে (VC appointment) স্বজনপোষণের কোনও জায়গা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উপাচার্য নিয়োগ করতে হয়। নিয়োগ সংক্রান্ত সার্চ (সিলেকশন) কমিটির সদস্যপদে রাজ্যের প্রতিনিধি বেশি রাখা হয়েছে। তিনজন প্রতিনিধি রাখা হয়েছে বেআইনিভাবে।’ সুপ্রিমকোর্ট ও হাইকোর্টের একাধিক নির্দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনওরকম স্বজনপোষণ যাতে না হয়, সেই কারণে রাজ্যের হস্তক্ষেপ মানা হয়নি।

    আরও পড়ুুন: ‘৩ লক্ষ টাকা দিলেই মিলছে তৃণমূলের প্রতীক’, রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সরব দলেরই কর্মীরা

    নতুন কমিটিতে রাজ্য সরকারের তিন প্রতিনিধি থাকার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ, রাজ্য কোনও সিদ্ধান্ত নিলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে তা সহজেই পাশ হয়ে যাবে ওই কমিটিতে। এমনকি, সে ক্ষেত্রে রাজ্যপালের মতামত এড়িয়ে যাওয়ারও সংস্থান রয়েছে। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিকে। তাঁর জায়গায় স্থান পান মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি। যা কাম্য নয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: কোথায় কেন্দ্রীয় বাহিনী? ফের হাইকোর্টে শুভেন্দু

    Panchayat Election 2023: কোথায় কেন্দ্রীয় বাহিনী? ফের হাইকোর্টে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। কিন্তু অভিযোগ, কমিশন সেই নির্দেশ মানেনি। সেক্ষেত্রে আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। 

    বিরোধীদের দাবি

    নির্বাচনী (Panchayat Election 2023) প্রক্রিয়ার একেবারে প্রাথমিক ধাপেই গত ১০ দিনে রাজ্যে ৭টি খুনের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। গোটা বিষয়টিতে কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিরোধীরা। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা। পাশাপাশি, আদালতের নির্দেশ ছিল মনোনয়নপত্র জমা থেকে কাউন্টিং , গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে এবং সিসিটিভি বসাতে হবে। সেই নির্দেশও পালন হয়নি বলে অভিযোগ। কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন হাইকোর্টে শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী সওয়াল করেন, ‘‘ সুপ্রিম কোর্টে আজও কমিশন ও রাজ্যের এসএলপি নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। রাজ্য ও কমিশন করা এসএলপি নিয়ে কোনও নোটিস দেওয় হয়নি। তাই আদালত অবমাননার মামলা হাইকোর্টে হতে কোনও আইনি বাধা নেই।’’

    আরও পড়ুুন: ‘৩ লক্ষ টাকা দিলেই মিলছে তৃণমূলের প্রতীক’, রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সরব দলেরই কর্মীরা

    ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিষয়ে শীর্ষ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন৷  শনিবার এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন দাখিল করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন৷ সূত্রের খবর, সেই আবেদন শুনতে রাজিও হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷ আগামিকাল, অর্থাৎ, মঙ্গলবার কমিশন ও রাজ্যের আর্জির শুনানির সম্ভাবনা৷ বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি এম এম সুন্দরেশের বেঞ্চে শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে৷ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shantanu Thakur: মতুয়াধামের অশান্তিতে আইনি লড়াই! অভিষেকের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে শান্তনু 

    Shantanu Thakur: মতুয়াধামের অশান্তিতে আইনি লড়াই! অভিষেকের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে শান্তনু 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠাকুর নগরের মতুয়াধামের অশান্তিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)। তৃণমূলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তিনি। আগামী কাল, মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি হবে। তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ জানান তিনি।

    শান্তনু ঠাকুরের অভিযোগ

    সম্প্রতি তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি নিয়ে ঠাকুরনগরের মতুয়াধামে এসেছিলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শান্তনু ঠাকুরের অভিযোগ,অভিষেক কাউকে না জানিয়ে মতুয়া মহা সঙ্ঘের মন্দিরের সামনে মিছিল করেন। তৃণমূলের দলবল নিয়ে মন্দিরে ভিড় করেন। এমনকি অভিষেকের লোক ভক্তদের হুমকি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ। এই নিয়ে মন্দিরের তরফে অভিযোগ জানালেও সেটা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি প্রশাসন। উল্টে ওই দিনের ঘটনায় মন্দির কমিটি-সহ ভক্তদের বিরুদ্ধে পাঁচটি এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। বেশ কয়েকজন ভক্তকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। এর বিহিত চেয়ে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলা দায়ের করলেন শান্তনু ঠাকুর। 

    আরও পড়ুন: ২১ তারিখ আসছেন মোদি, রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদর দফতরে প্রস্তুতি তুঙ্গে, দেখুন ভিডিও

    গত ১১ জুন ঠাকুরনগরে মতুয়াধাম এসে মন্দিরে পুজো দেবেন বলে কথা ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাই সকাল থেকে এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা মন্দির চত্বর সাজানো শুরু করেন। কিন্তু দুপুরে অন্য দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। মতুয়াদের একাংশ হঠাৎ বচসায় জড়িয়ে পড়েন। তৃণমূলের অভিযোগ, এলাকার সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বেই এই কাজ ঘটানো হয়েছে। তাতে বিজেপি কর্মীরা যুক্ত। ধুন্ধুমার পরিস্থিতিতে মূল মন্দিরের ফটক বন্ধ করে দিতে হয়। তখন পাশের মন্দিরে পুজো দেন অভিষেক। তিনি চলে গেলে, বিজেপির কর্মীদের উপর চড়াও হয় তৃণমূল। অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজনের মারে বিজেপির বেশ কয়েক জন আহত হন। পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি। এর বিচার চেয়ে এবার বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর হাইকোর্টে গেলেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Teacher Transfer: শিক্ষক বদলির নির্দেশ দিয়েও পিছিয়ে এল রাজ্য সরকার, কেন জানেন?

    Teacher Transfer: শিক্ষক বদলির নির্দেশ দিয়েও পিছিয়ে এল রাজ্য সরকার, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক বদলির (Teacher Transfer) নির্দেশ দিয়েও পিছিয়ে এল রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর। স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে প্রথম দফায় পর্ষদের কাছে প্রশাসনিক বদলির নির্দেশ গিয়েছিল ৬০৩ জন শিক্ষকের। আপাতত গোটা প্রক্রিয়া স্থগিত রাখতে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে। এই শিক্ষকদের বদলির নির্দেশ ঘিরে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় হারে ডিএর দাবিতে আন্দোলন করা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলি করা হচ্ছে। প্রতিহিংসাবশতই রাজ্য সরকার শিক্ষকদের বদলির নির্দেশ দিয়েছে বলে অভিযোগ একাধিক শিক্ষক সংগঠনের। সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিও তোলে শিক্ষক সংগঠনগুলি। যদিও রাজ্য সরকারের বক্তব্য ছিল, প্রতিহিংসা নয়, পদ্ধতি মেনেই নেওয়া হয়েছে বদলির সিদ্ধান্ত।

    বদলির নির্দেশ

    যে ৬০৩ জন শিক্ষককে বদলির (Teacher Transfer) নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা দ্বারস্থ হয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের। ১৩ থেকে ১৬ জুন টানা চার দিন ধরে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। মামলাটির পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা ১৯ জুন সোমবার। বৃহস্পতিবার বদলির নির্দেশ স্থগিত রেখে বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্কুল শিক্ষা দফতর। কথা ছিল, গরমের ছুটির পরে কার্যকর হবে বদলির এই নির্দেশ। তার আগেই এল স্থগিতাদেশ।

    নির্দেশ স্থগিতাদেশের সম্ভাব্য কারণ

    কেন এই স্থগিতাদেশ? এনিয়ে শিক্ষক মহলে নানা মত শোনা যাচ্ছে। শিক্ষকদের একাংশের মতে, এভাবে বদলি করা হলে স্কুলগুলিতে সমস্যা হতে পারে। বাড়ি থেকে দূরে বদলি করা হলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তাছাড়া বদলির (Teacher Transfer) নির্দেশ পাওয়া শিক্ষকদের একাংশ আবার আদালতের দ্বারস্থও হয়েছেন। স্থগিতাদেশ নির্দেশ জারির আরও একটি কারণ শোনা যাচ্ছে। এটি হল, দোরগোড়ায় রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ভোটের কাজে প্রচুর শিক্ষকের প্রয়োজন। তাই নির্বাচনের আগে ওই ৬০৩জন শিক্ষককে বদলি করা হলে, সমস্যা আরও বাড়বে।

    আরও পড়ুুন: খুনের আশঙ্কায় আবেদন করেছিলেন নিরাপত্তার, জেড ক্যাটেগরির সুরক্ষা পাচ্ছেন নওশাদ

    শিক্ষকদের অন্য একটি অংশের মতে, বদলির নির্দেশ পাওয়া শিক্ষকদের কেউ অসুস্থতাজনিত কারণ দেখিয়ে, কেউ আবার দূরত্বজনিত অসুবিধার কারণে বিষয়টি পুনরায় ভেবে দেখার আবেদন জানিয়েছেন। বদলির নির্দেশে স্থগিতাদেশের এটাও একটা কারণ হতে পারে। তবে নির্বাচন-পর্ব মিটলে ফের এই শিক্ষকদের বদলির সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে কিনা, সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: নদিয়ায় ‘জমি দুর্নীতি’তে সিবিআই তদন্ত! নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: নদিয়ায় ‘জমি দুর্নীতি’তে সিবিআই তদন্ত! নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ায় (Nadia) একটি জমি অধিগ্রহণের ঘটনায় সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। পাশাপাশি একই রকম জমিতে দামের আকাশ-পাতাল হেরফের কেন তা সিবিআই-কে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। 

    দুর্নীতির অভিযোগ

    অভিযোগ, জল সরবরাহের কাজের জন্য নদিয়ার এক ব্যক্তির জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁকে জমির জন্য অনেক কম দাম দেওয়া হয়েছে। বিতর্কের সূত্রপাত নদিয়ার বীরেন্দ্র নাথ ঘোষের জমি ঘিরে। ২০০৯ সালে জল সরবরাহের কাজের জন্য বীরেন্দ্র ঘোষের ৪৪ শতক জমি অধিগ্রহণ করে জনস্বাস্থ্য করিগরি দফতর। বীরেন্দ্রনাথের অভিযোগ, জমি অধিগ্রহণ করা হলেও প্রথমে টাকা পাননি তিনি। তারপরই নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন। জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ওই জমির দাম ঠিক করা হয় ৩৬ লক্ষ ৪৭ হাজার ৬৩১ টাকা। জেলা পরিষদ জানায় ২০২৩ এপ্রিলের বর্তমান মূল্য অনুযায়ী ওই দাম ধার্য করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ২২ কোটির কারচুপি! ২১ জন বিএসএনএল কর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের সিবিআইয়ের

    সিবিআইকে নির্দেশ

    এরপরই হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেন বীরেন্দ্রনাথ ঘোষ। তাঁর মূল অভিযোগ, জমির (land corruption) সঠিক মূল্যায়ণ করেনি নদিয়া জেলা পরিষদ। মামলাকারীর আইনজীবী তুলসী দাস আদালতে জানিয়েছেন, ওই জমি থেকে মাত্র এক মাইল দূরে ৩৯ শতকে একটি জমির মূল্য পাঁচ কোটির উপরে ধার্য করেছে সরকার। প্রতি শতকে ১৫ লক্ষ টাকার বেশি ধার্য করা হয়েছে বলে দাবি আইনজীবীর। বীরেন্দ্রর দাবি, তাঁর জমি বানিজ্যিক জমি। সেক্ষেত্রে জমির দাম প্রতি শতক এক লাখের কম কেন হবে? এরপরই বিচারপতি বিবেক চৌধুরী বলেন, এটি বিভ্রান্তিকর সিদ্ধান্ত। অথবা কোনও দুর্নীতির অঙ্গ। কোনওভাবেই ব্যবসায়িক জমির দাম কম হতে পারে না। নদিয়া জেলা পরিষদের অসৎ উদ্দেশ্য আছে বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: বেড ভাড়া, ওষুধের খরচ বেঁধে দিতে পারে না কমিশন, রায় হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: বেড ভাড়া, ওষুধের খরচ বেঁধে দিতে পারে না কমিশন, রায় হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে অস্বাভাবিক খরচ নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্য সরকারের গঠিত স্বাস্থ্য কমিশনের(Health Commission) মোট ২৬টি নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। উচ্চ আদালতের বক্তব্য, এমন নির্দেশ জারির অধিকার ওই কমিশনের নেই। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরোধিতা করে ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রয়োজনে এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টেও যাবে রাজ্য সরকার।

    আদালতের নির্দেশ

    হাইকোর্টে (Calcutta High Court)কমিশনের নির্দেশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল কলকাতার একটি প্রথম সারির হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা ২০২০-র ২৭ জুলাই থেকে পরের বছরের ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কমিশনের জারি করা ২৬টি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়। সেই মামলার শুনানি শেষ হয় ১৬ মে। বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য তাঁর নির্দেশে বলেন, রেগুলেটরি কমিশনের নির্দেশ এক্তিয়ার বহির্ভূত। নির্দেশগুলি অসাংবিধানিক ও অপ্রয়োজনীয় বলে উল্লেখ করে বিচারপতি ভট্টাচার্য সেগুলি প্রত্যাহার করে নিতে কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: শুক্রতেও মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন বসিরহাটের ৬০ বিজেপি প্রার্থী

    আদালতের (Calcutta High Court) বক্তব্য, এই ধরনের পদক্ষেপের কোনও সংস্থান নেই ২০১৭-র ক্লিনিক্যাল এস্ট্যাবলিশমেন্ট আইনে, যার বলে কমিশন গঠিত হয়েছে। সরকারি কৌঁসুলিরা অবশ্য সওয়াল করেছিলেন যে, জনস্বার্থে এবং রোগীস্বার্থেই এই ধরনের নির্দেশিকা কমিশন জারি করেছে। কিন্তু আইনি প্রশ্নে তাকে আদালত মান্যতা দেয়নি। এই প্রসঙ্গে অতীতের বিভিন্ন মামলার দৃষ্টান্তও তুলে ধরা হয়েছে। আগামী দিনে এমন পদক্ষেপ কমিশন যেন আর না করে, সেই নির্দেশও দিয়েছে আদালত। রায়ে বলা হয়েছে, বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পরিষেবার রেট বেঁধে দেওয়াও কমিশনের এক্তিয়ার বহির্ভূত। এই রায় সম্পর্কে রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারপার্সন অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, “রায়ের কপি হাতে পেয়েছি। আমরা ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আদালতের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি প্রত্যাহার রাজ্যের

    Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আদালতের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি প্রত্যাহার রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) ৭ জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের মঙ্গলবারের রায়ের কিছু অংশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য। আজ, শুক্রবার আদালতে এই আর্জি প্রত্যাহার করে নিল রাজ্য সরকার। প্রধান বিচারপতিকে আর্জি প্রত্যাহার করার কথা জানান রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যাহারের আর্জি মঞ্জুর করেছেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।

    আদালতে রাজ্যের আবেদন

    মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে এলাকাগুলিকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করেছিল, সেখানে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023) নিয়ে বিরোধীদের জনস্বার্থ মামলায় হাইকোর্টের এই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে গিয়েছিলেন রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ। কিছুদিন আগেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা করেন রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। তবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা নিয়ে প্রথম থেকেই অশান্তি অব্যাহত। ৮ জুলাই একদফাতেই দার্জিলিং-কালিম্পংয়ে দ্বিস্তরীয় ও বাকি রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট।

    আরও পড়ুন: মনোনয়নে হিংসা ‘প্রশাসনিক ব্যর্থতা’! রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব আদালতের

    মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে প্রাক নির্বাচনী অশান্তিতে উত্তাল হয় বাংলা। পরিস্থিতি দেখে এরপরেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় আদালত। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, রাজ্যের সব এলাকাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করতে হবে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নির্দেশ কার্যকরেরও নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ মেনে চলার কথা জানিয়েও দেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। তবে, রাজনৈতিক মহলের ধারণা, পঞ্চায়েত ভোটে সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের নেতৃত্বে ডিভিশন বেঞ্চ যে রায় দিয়েছে, তাকে চ্যালেঞ্জ করতে চাইছে রাজ্য সরকার। সবঠিক থাকলে এ ব্যাপারে সম্ভবত শনিবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জমা দেওয়া হতে পারে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: মনোনয়নে হিংসা ‘প্রশাসনিক ব্যর্থতা’! রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব আদালতের

    Panchayat Election: মনোনয়নে হিংসা ‘প্রশাসনিক ব্যর্থতা’! রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) প্রার্থীদের পুলিশি পাহারা দিয়ে মনোনয়ন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ রাজ্য পুলিশ। এর উপযুক্ত তদন্ত হওয়া দরকার, অভিমত হাইকোর্টের। শুক্রবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, এই পুরো ঘটনা নিয়ে রাজ্যকে ব্যাখ্যা দিতে হবে। আগামী মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    আদালতের নির্দেশ 

    বৃহস্পতিবার বিচারপতি মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন, বিরোধী প্রার্থীদের পাহারা (এসকর্ট) দিয়ে মনোনয়ন কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে পুলিশকে। মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেছেন, পুলিশি পাহারার মধ্যেই এক জনকে গুলি করে মারা হয়েছে। কয়েক জন আক্রান্ত। তাঁর প্রশ্ন, আদালতের নির্দেশ অমান্য করে কী ভাবে হামলা হল? এই প্রসঙ্গেই বিচারপতির নির্দেশ, মামলকারীরা যে সব অভিযোগ করেছেন, তা নিয়ে রাজ্যকে রিপোর্ট দিতে হবে। বিচারপতি মান্থা জানতে চান, হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন ওই প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারলেন না। আদালতের নির্দেশ থাকার পরেও যে পুলিশকর্মীরা নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ, তাঁদের বিরুদ্ধে কেন কোনও পদক্ষেপ করা হবে না।

    পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার অনুমতি

    পুলিশের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা রুজু করারও অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, মনোনয়ন জমা নিয়ে এই আদালতের বিচারের এক্তিয়ার নেই। তাই মামলাকারীদের আবেদন মতো পুলিশের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা গ্রহণ করা হল। আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানি।

    আরও পড়ুন: শুক্রতেও মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন বসিরহাটের ৬০ বিজেপি প্রার্থী

    শুভেন্দুর ট্যুইট

    আন্তর্জাতিক বিভিন্ন যুদ্ধের ছবি সঙ্গে বৃহস্পতিবার ভাঙড়ের দৃশ্য মিলিয়ে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই পোস্টে বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, ‘গতকাল পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের হাজার হাজারবার মৃত্যু হয়েছে। আমাদের জীবদ্দশায় আমরা যুদ্ধ, দ্বন্দ্ব অঞ্চলের ফুটেজ, উদ্বাস্তু সংকট দেখেছি। কিছু বিরক্তিকর ছবি আমাদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে থাকে যায়। আতঙ্কিত ও বাস্তুচ্যুত মানুষের ছবি ‘আত্মসমর্পণের জন্য হাত তুলে’; বন্দুকের ব্যারেলের দিকে তাকিয়ে থাকা এমন একটি ছবি যা আমাদের যুদ্ধের কথা মনে করিয়ে দেয়।’

    সম্প্রতি ভাঙরে এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছে। যেখানে বিরোধী প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন তাঁদের হাতে নথি তুলে ধরে যাতে পুলিশ তাঁদের উপর গুলি না চালায়। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ভয় দেখিয়ে বোমা মেরে মনোনয়ন কেন্দ্রের দিকে যেতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share