Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Bana Sahayak Recruitment: বন সহায়ক পদে নতুন করে ইন্টারভিউয়ের নির্দেশে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    Bana Sahayak Recruitment: বন সহায়ক পদে নতুন করে ইন্টারভিউয়ের নির্দেশে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন সহায়ক পদে (Bana Sahayak Recruitment) নতুন করে নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার এজলাসে শুনানির পর একক বেঞ্চের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। ৬ জুলাই পর্যন্ত স্থগিতাদেশ জারি করা হয়। এর ফলে বন সহায়ক পদে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনই শুরু করতে পারবে না রাজ্য। পাশাপাশি, দু’হাজার অস্থায়ী কর্মীর প্যানেল বাতিলের যে নির্দেশ সিঙ্গল বেঞ্চ দিয়েছিল, আপাতত তার উপরেও স্থগিতাদেশ থাকবে বলে জানিয়েছে উচ্চ আদালত।

    বন সহায়ক পদে এখনই নিয়োগ নয়

    উল্লেখ্য, রাজ্যে বন বিভাগে কর্মী নিয়োগেও (Bana Sahayak Recruitment) দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের পর্যবেক্ষণে নিয়োগ প্রক্রিয়ার গলদ ধরা পড়ে। তিনি নির্দেশ দেন, দু’মাসের মধ্যে পুরনো প্যানেল বাতিল করে নতুন প্যানেল তৈরি করতে হবে। সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ। বনসহায়ক পদে আবেদনের শেষ দিন ছিল ২৯ মে। গত ১৯ তারিখ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছিল। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ভিএম ভেলুমণি এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, বন সহায়ক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর যে বিজ্ঞপ্তি রাজ্যের তরফে প্রকাশ করা হয়েছিল, তাতে আগামী ৬ জুলাই পর্যন্ত অন্তর্বর্তিকালীন স্থগিতাদেশ থাকবে। 

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামের মিছিলে ‘না’ পুলিশের, হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    দু’হাজার জনের পুরনো প্যানেল বাতিল করে নতুন প্যানেল গঠন এবং তার মাধ্যমে পুরনো নিয়োগ প্রক্রিয়া আবার শুরু করার যে নির্দেশ বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ দিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে বিচারপতি বিবেক চৌধুরী এবং বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরীর অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চে মামলা হয়। প্যানেলে থাকা ৫০ জন এই মামলা করেন। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টেবর মাসে বনসহায়ক পদে নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ হয়। দু’হাজার শূন্যপদ ছিল, চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ হয়। মাসিক ভাতা ১০ হাজার টাকা। সহায়করা মূলত ফরেস্ট গার্ডদের মতোই বনসুরক্ষার কাজ করবেন। এমনটাই ঠিক করেছিলেন রাজ্যের বনকর্তারা। বিরোধীরা প্রথম থেকেই অভিযোগ তোলেন, কিছু লোককে চাকরি পাইয়ে দিতেই এই পদ তৈরি করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Kaliaganj: “সিবিআই তদন্ত দিলে ভালো হবে?’’ কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Kaliaganj: “সিবিআই তদন্ত দিলে ভালো হবে?’’ কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে (Kaliaganj) রাজ্যের ভূমিকায় খুশি নন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এদিন হাইকোর্টে বিচারপতির চরম ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় রাজ্যকে। প্রসঙ্গত, কালিয়াগঞ্জে নাবালিকা খুনের ঘটনায় তদন্ত চালাচ্ছে সিট। ঘটনাক্রমে, এই সিট গঠন করেছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নিজেই। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে কালিয়াগঞ্জে এক নাবালিকার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে সেখানকার পরিস্থিতি। প্রতিবেশীরা অভিযোগ তোলেন, ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। সেই মামলাতেই পুলিশকর্তা পঙ্কজ দত্ত, উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস এবং পুলিশ আধিকারিক দময়ন্তী সেনকে সদস্য হিসেবে রেখে সিট গঠন করেছিলেন রাজাশেখর মান্থা।

    তীব্র ভর্ৎসনার মুখে রাজ্য! তদন্তে (Kaliaganj) অসহযোগিতার অভিযোগ

    বিচারপতি মান্থা এদিন বলেন, ‘‘সিটকে পুলিশ সাহায্য করছে না বলে অভিযোগ উঠছে। তাহলে বলতেই হচ্ছে, রাজ্য নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনছে। সিট যাতে কাজ করতে না পারে, সেই চেষ্টা করছে রাজ্য। এবার কি সিবিআইকে তদন্তভার দিলে ভালো হবে?’’ তাঁর আরও সংযোজন, পুলিশ সিটকে সাহায্য করছে না (Kaliaganj)। আর পুলিশ কিছুই জানে না, এটা কি হতে পারে?’’ এরপরেই তিনি নির্দেশ দেন, রাজ্য পুলিশ কেন হাইকোর্টের নির্দেশ মানেনি, তা এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে স্বরাষ্ট্র দফতরকে।

    সিটের সদস্যই সিবিআই-এর পক্ষে সওয়াল করছেন

    বিশেষ তদন্তকারী দলের অন্যতম সদস্য হলেন উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস। তিনিও রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করেছেন ইতিমধ্যেই। সিটের পক্ষ থেকে প্রাথমিক রিপোর্টও (Kaliaganj) আদালতে (Calcutta High Court) জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। উপেন বিশ্বাস প্রাক্তন সিবিআই কর্তা। তিনি বলেন, ‘‘সব তথ্যের স্ক্রুটিনি করা হয়েছে। আমাদের কেউ সাহায্য করেনি। যদি ওই পরিবার ও রাজ্যবাসীর বিশ্বাস ফেরাতে হয়, তাহলে রাজ্য পুলিশের উপর নির্ভর করলে হবে না। সিবিআই-কে ছাড়া এই তদন্ত সম্ভব নয়।’’

    আরও পড়ুুন: নন্দীগ্রামের মিছিলে ‘না’ পুলিশের, হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রামের মিছিলে ‘না’ পুলিশের, হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রামের মিছিলে ‘না’ পুলিশের, হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের বিধানসভা কেন্দ্রেই মিছিল করার অনুমতি মিলছে না। পুলিশের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নন্দীগ্রামে মিছিল ও জনসভার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শুভেন্দু। বৃহস্পতিবার আদালতের মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। শুক্রবারই শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। 

    শুভেন্দুর মিছিলের প্রস্তুতি

    আগামী ১৬ জুন নন্দীগ্রাম বিধায়ক কার্যালয় থেকে জানকীনাথ মন্দির পর্যন্ত বিরোধী দলনেতা মিছিল এবং পরে সভা করতে চান। অভিযোগ, সেই মিছিল ও সভার জন্য আবেদন জানানো হলেও কোনও উত্তর মেলেনি পুলিশ-প্রশাসনের তরফে। আদালতে বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন, ১৬ জুন ওই মিছিলের বিশদ জানিয়েই অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল প্রশাসনের কাছে। কিন্তু প্রশাসনের তরফে সেই আবেদনের কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি। বিজেপি নেতা (Suvendu Adhikari) জানিয়েছেন, মিছিলের সাত দিন আগেও জবাব না পাওয়ায় শেষ মুহূর্তে ওই কর্মসূচি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তাই আদালত বিষয়টি দেখুক। শুভেন্দুর এই আর্জির শুনানি শুক্রবার হতে পারে বলে আদালত সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন: লিভ-ইন সঙ্গীকে খুন, দেহ টুকরো করে প্রেসার কুকারে ফোটাল প্রেমিক

    আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    উল্লেখ্য, গত ১ জুন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মিছিল করে নন্দীগ্রামে যাওয়ার পরই পাল্টা এই মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। ১৬ জুন বিকেল ৩টেয় নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা-কর্মীদের মিছিলে সামিল হতে বার্তা পাঠানো হয়েছে। প্রকাশ্যে অভিষেকের পদযাত্রাকে পাত্তাও দিতে চাইছেন না বিজেপি নেতৃত্ব। অভিষেকের সভা প্রসঙ্গে শুভেন্দুর অভিযোগ ছিল, বাইরে থেকে, এমনকী কলকাতা থেকেও লোক নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অভিষেকের পদযাত্রাকে টেক্কা দিতেই সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তরফে। তবে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এই ধোঁয়াশা কাটাতেই কলকাতা হাইকোর্টে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Calcutta High Court: উপাচার্য নিয়োগের অর্ডিন্যান্সকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

    Calcutta High Court: উপাচার্য নিয়োগের অর্ডিন্যান্সকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগের জন্য অর্ডিন্যান্স তৈরি করেছে রাজ্য। সেই অর্ডিন্যান্সকে চ্যালেঞ্জ করে বুধবার জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। মামলা করেছেন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। ১২ জুন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।

    সার্চ কমিটি গঠনে বদল

    হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটি গঠনে বদল এনেছে রাজ্য সরকার। কমিটিতে ৩ জনের পরিবর্তে সদস্য সংখ্যা করা হয়েছে ৫। ৩ সদস্যের কমিটিতে থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য রাজ্যপাল, সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি এবং রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি। নয়া যে কমিটি গঠন করা হবে তাতে থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রীর একজন প্রতিনিধি, উচ্চ শিক্ষা দফতরের একজন প্রতিনিধি, উচ্চ শিক্ষা সংসদ ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের একজন প্রতিনিধি। সুস্মিতার দাবি, নয়া কমিটিতে রাজ্য সরকারের ৩ প্রতিনিধি থাকবে বলে বলা হয়েছে। যার অর্থ, রাজ্য কোনও সিদ্ধান্ত নিলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে তা পাশ হয়ে যাবে অনায়াসেই। রাজ্যপালের মতামত উপেক্ষা করার উপায়ও রয়েছে।

    প্রশ্ন একাধিক

    সুস্মিতার প্রশ্ন, কমিটিতে (Calcutta High Court) নিজেদের ওজন বাড়ানোর জন্যই কি মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধিকে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে? কমিটিতে উচ্চ শিক্ষা সংসদের প্রতিনিধিকে রাখার প্রয়োজনই বা কী? প্রশ্ন উঠছে কমিটিতে রাজ্যের ৩ প্রতিনিধি থাকা নিয়েও। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে সার্চ কমিটিতে যুক্ত করা হয়েছে ইউজিসির চেয়ারম্যানের একজন প্রতিনিধিকে। এর জেরে কমিটির সদস্য সংখ্যা দাঁড়াচ্ছিল ৪ এ। কোনও নির্বাচন কমিটিতেই জোড় সংখ্যক সদস্য থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। সেই কারণেই যুক্ত করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর একজন প্রতিনিধিকে।

    আরও পড়ুুন: “কেন্দ্র ৫০ হাজার কোটি টাকা রাজ্যকে দিয়েছে, সেই টাকা কোথায় গেল?”

    সম্প্রতি রাজ্যের ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের চিঠি পাঠান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এর পরেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী (Calcutta High Court) নিক্ষেপ করেন ট্যুইট-বাণ। তাঁর দাবি, এই পদ্ধতি আইনসম্মত নয়। উচ্চ শিক্ষা দফতরের সঙ্গে এ নিয়ে কোনও আলোচনাই করেননি রাজ্যপাল। নবান্ন-রাজ্যপাল ভবনের এহেন সংঘাতের আবহেই দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA Protester: ৮ ডিএ আন্দোলনকারীকে আগাম জামিন কলকাতা হাইকোর্টের! কেন জানেন?

    DA Protester: ৮ ডিএ আন্দোলনকারীকে আগাম জামিন কলকাতা হাইকোর্টের! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিএ আন্দোলনকারী (DA Protester) সংগ্রামী যৌথমঞ্চের আট নেতাকে আগাম জামিন দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তাঁদের বিরুদ্ধে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ তুলে ময়দান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন দেবপ্রসাদ হালদার। তিনি একটা সময়ে ডিএ আন্দোলনে ছিলেন। কিন্তু এখন আর তিনি যৌথমঞ্চে নেই। পুরোটাই ষড়যন্ত্র বলে দাবি আন্দোলনকারীদের। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ সেই মামলায় তাঁদের আগাম জামিন দিয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ, তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে ওই ৮ ডিএ আন্দোলনকারীকে। 

    আন্দোলনকারীদের দাবি

    আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, যে হেতু তাঁরা সরকারি কর্মচারী, তাই আন্দোলনকারীদের (DA Protester) ক্ষেত্রে কোনও শর্ত দেয়নি আদালত। তবে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে তাঁদের। ডিএ আন্দোলনকারীরা ২ কোটি টাকা লোপাট করেছেন বলে ময়দান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন দেবপ্রসাদ হালদার নামে এক ব্যক্তি। আন্দোলনকারীদের দাবি, অডিট করে দেখা গিয়েছে, এক কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা উঠেছে। সবটাই হিসেবের মধ্যে রয়েছে। ডিএ আন্দোলনকারী ভাস্কর ঘোষ, নির্ঝর কুণ্ডু, রাজীব দত্ত, চন্দন চট্টোপাধ্যায়, সন্দীপ ঘোষ, ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল, শৈবাল সরকারের নামে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ ওঠে। 

    আরও পড়ুন: ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি হবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসেই!

    আগাম জামিন পাওয়া বড় জয়

    আদালতের রায়ে আগাম জামিন পাওয়া বড় জয় বলেই মনে করছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা (DA Protester)। এদিন আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়ে ডিএ আন্দোলনকারীদের আইনজীবী জানিয়েছেন,দেবপ্রসাদ হালদার আগে আন্দোলন তুলে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার পরামর্শ দেন। কিন্তু সেই পরামর্শ না মানার পর টাকা নয়ছয়ের মিথ্যে অভিযোগ করা হয়। শুনানির পর আদালত এদিন আন্দোলনকারীদের জামিন মঞ্জুর করেছে। গোটা ঘটনায় সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। তাদের আন্দোলন ভাঙার জন্য সরকারের তরফে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে দাবি করতে থাকে আন্দোলনকারীরা। কোনওভাবেই তাদের আন্দোলন ভাঙা যাবে না বলে দাবি করে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: জাতীয় সড়কে মিছিল অভিষেকের, হাইকোর্টে মামলা ঠুকলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: জাতীয় সড়কে মিছিল অভিষেকের, হাইকোর্টে মামলা ঠুকলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুমতি না নিয়েই জাতীয় সড়কে মিছিল করেছেন তৃণমূল (TMC) নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আজ, বৃহস্পতিবার ওই মামলা দায়ের করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা।

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ

    নব জোয়ার কর্মসূচি উপলক্ষে পথে নেমেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো তথা দলের দু’ নম্বর ব্যক্তিত্ব অভিষেক। রাজকীয় সেই যাত্রা চলবে দু’ মাস ব্যাপী। এই কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার ও মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় অভিষেক জাতীয় সড়কে মিছিল করেন বলে অভিযোগ। গত সপ্তাহে উত্তর দিনাজপুরে নব জোয়ার যাত্রার দ্বিতীয় দিনে হেমতাবাদ, রায়গঞ্জে জনসভা শেষে ইটাহারে পৌঁছন অভিষেক। সেখানে গোটা সড়ক ভরে যায় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের ভিড়ে। তার পরেই বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) তরফে মামলা দায়ের করেন তাঁর আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, জাতীয় সড়ক আইন বলছে অনুমতি না নিয়ে কেউ রাস্তা আটকে মিছিল করতে পারে না।

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভায় জটিলতা

    অভিষেক জাতীয় সড়কে মিছিল করলেও, শুভেন্দুর জনসভা নিয়ে জারি রয়েছে জটিলতা। ২৭ মে মালদহে সভা করার কথা ছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। যদিও সেই সভার অনুমতি মেলেনি বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্তও। অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। পুলিশের প্রশ্ন, কেন সভার ১৫ দিন আগে অনুমতি চাওয়া হয়নি আর রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, অনলাইনে সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাই আবেদন করা হয়েছে পরে।

    আরও পড়ুুন: কলকাতার শেরিফ করা হোক সৌরভকে, দাবি সুকান্তর

    কেবল মালদহ নয়, এমন ঘটনা ঘটেছে আগেও। শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) রোখার চেষ্টা হয়েছে আগেও। ২৪ তারিখে হাওড়ার শ্যামপুরে সভা করার কথা ছিল শুভেন্দুর। সেই সভারও অনুমতি দেয়নি স্থানীয় প্রশাসন। পরে হাইকোর্টের অনুমতিতে হয় সভা। বাঁকুড়ার সিমলাপালেও শুভেন্দুকে সভার অনুমতি দিয়েছিল না পুলিশ। পটাশপুর এবং চন্দ্রকোণায়ও তাঁর সভা নিয়ে হয়েছিল টালবাহানা। বিজেপির অভিযোগ, বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতেই সরকারের নির্দেশে পুলিশ অনুমতি দিতে চাইছে না জনসভার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Municipality Recruitment Scam: পুরনিয়োগ দুর্নীতিতে রাজ্যের আর্জি শুনল না হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ

    Municipality Recruitment Scam: পুরনিয়োগ দুর্নীতিতে রাজ্যের আর্জি শুনল না হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি (Municipality Recruitment Scam) মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High court) ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলা শুনল না বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিন্‌হা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতিরা জানালেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের (Primary Recruitment) দুর্নীতি নিয়ে মূল মামলা ছিল। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মামলা শোনার এক্তিয়ার নেই এই বেঞ্চের। তাই এই মামলা এই বেঞ্চের পক্ষে শোনা সম্ভব নয়। ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলাটি ছেড়ে দেওয়ায়, তা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে। 

    পুরনিয়োগ দুর্নীতিতে সমস্যায় রাজ্য

    পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিতে (Municipality Recruitment Scam) সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ বহাল রাখেন বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হা। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। শুক্রবার ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি গ্রহণ করতে অস্বীকার করায় সমস্যায় পড়ল রাজ্য সরকার। স্কুলে নিয়োগে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে প্রকাশ্যে আসে, পুরসভার নিয়োগেও ভয়ঙ্কর দুর্নীতির অভিযোগ। বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ, হুগলির প্রোমোটার, অয়ন শীলের অফিসে তল্লাশিতে উদ্ধার হয় এই সংক্রান্ত বহু নথি, হার্ডডিস্ক। 

    আরও পড়ুন: আইসিএসইতে দেশে প্রথম স্থানাধিকারী ৯ জনের মধ্যে বাংলার সম্বিত মুখোপাধ্যায়

    গত ২১ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Municipality Recruitment Scam) তদন্ত করতে পারবে সিবিআই। এরপরই, হাইকোর্টের নির্দেশের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানায় রাজ্য। কিন্তু, অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা ফেরত পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট। মামলা যায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে কিন্তু তিনি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই বহাল রাখেন। তিনি জানিয়ে দেন, এই বিষয়ে তদন্ত করবে সিবিআই-ই। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে রাজ্য ডিভিশন বেঞ্চে যায়। এদিন সেখানেও ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতিতে মামলার দ্রুত শুনানি চেয়ে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের দফতরে চিঠি দিল রাজ্য।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের চাকরি বাতিলের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    Calcutta High Court: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের চাকরি বাতিলের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩২ হাজার প্রাথমিক (Primary) শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ওই রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। বেঞ্চের নির্দেশ, আগামী সেপ্টেম্বর কিংবা আদালত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ কার্যকর থাকবে। ডিভিশন বেঞ্চের এও নির্দেশ, নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই মেনে চলতে হবে। এদিন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে আদালত অগাস্ট মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে বলেছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে সেপ্টেম্বরে।

    নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন চাকরিহারারা?

    প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার এই মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি (Calcutta High Court) গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এও জানিয়েছিলেন, চাকরিহারারা আপাতত চার মাস স্কুলে যেতে পারবেন। তবে বেতন পাবেন পার্শ্বশিক্ষকদের মতো। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সকলেই অংশ নিতে পারবেন বলেও জানিয়েছে হাইকোর্ট।

    ইন্টারভিউ পাশ করতে হবে

    ২০১৬ সালে রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে নিয়োগ করা হয়েছিল ৪২ হাজার ৫০০ জনকে। এঁদের মধ্যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৬ হাজার ৫০০ জনকে নিয়ে প্রথম থেকেই কোনও বিতর্ক নেই। গত শুক্রবার বাকি ৩৬ হাজার প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দেন বিচারপতি (Calcutta High Court) গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানান, নতুন করে ইন্টারভিউ পাশ করলে তাঁরা চাকরি ফিরে পাবেন, না হলে খোয়াতে হবে চাকরি। সোমবার মামলাকারীদের আইনজীবী আদালতে জানান, প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীর আসল সংখ্যা ৩০ হাজার ১৮৫, ৩৬ হাজার নয়। লেখায় ভুল হয়েছিল।

    আরও পড়ুুন: অভিষেককে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা শনি-সকালেই

    প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের প্রাথমিকে নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে মামলা করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা নস্কর সহ ১৪০ জন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের তরফে আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি আদালতে (Calcutta High Court) জানান, মামলাকারীদের থেকে কম নম্বর পেয়ে চাকরি পেয়েছিলেন অনেক প্রশিক্ষণহীনই। ইন্টারভিউ বির্তক প্রসঙ্গও ওঠে। তরুণজ্যোতি বলেন, “আমাদের বক্তব্য ছিল পক্ষপাত হয়েছে, ইন্টারভিউ অ্যাপ্টিটিউডের নম্বরে গোলমাল হয়েছে। রিজার্ভেশন রোস্টার মানা হয়নি। সিঙ্গল বেঞ্চ রায় দিয়েছিল, সবটা মেনে করতে হবে। সেই রায় বহাল থাকছে। তবে যাঁরা চাকরিহারা হন, যাঁদের মামলা প্যারাটিচারদের মতো হয়ে যাওয়ার কথা ছিল, ডিভিশন বেঞ্চ তাতে স্টে দিলেন ঠিকই, বোর্ডকে প্রসেসটা চালিয়ে যাওয়ার কথাও বললেন। অর্থাৎ সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে ইন্টারফেয়ার করলেন না”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে, হতাশ তৃণমূল

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে, হতাশ তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি চেয়েছিলেন রক্ষাকবচ। মেলেনি। চেয়েছিলেন জরুরি ভিত্তিতে শুনানি হোক তাঁর মামলার। সেখানেও হতাশ হতে হল তৃণমূলের (TMC) সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee)। শুক্রবার অভিষেকের ওই মামলার শুনানিতে রাজি হলেন না কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। সোমবার থেকে হাইকোর্টে পড়ছে গ্রীষ্মের ছুটি। তার আগে শনি এবং রবিবার এমনিতেই ছুটি।

    ‘এখনই মামলা শুনতে পারব না…’

    শুক্রবার পূর্বনির্ধারিত বেশ কিছু মামলা রয়েছে ওই বেঞ্চে। বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, সেই কারণেই শুক্রবার শুনানি করা যাবে না অভিষেকের (Abhishek Banerjee) আবেদনের। প্রত্যাশিতভাবেই অভিষেক এবং কুন্তল ঘোষের আবেদন ফেরত গেল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের কাছে। এদিন বিচারপতি তালুকদার ও বিচারপতি ভট্টাচার্যের বেঞ্চ বলেছে, “পূর্বনির্ধারিত অনেক মামলা রয়েছে। রায় ঘোষণা করতে হবে। সেগুলো সাইটে আপলোডের কাজ রয়েছে। আমাদের অনেক কাজ। এখনই মামলা শুনতে পারব না। গ্রীষ্মের ছুটির পর আদালত খুললে সম্ভব হবে।” বিচারপতি সুব্রত তালুকদার বলেন, “আমি মৌখিকভাবে বলছি, উপায় না থাকলে আপনারা অবকাশকালীন বেঞ্চে যেতে পারেন।”

    আরও পড়ুুন: শিক্ষক বদলি নিয়ে এখনই পদক্ষেপ নয়! জানাল হাইকোর্ট

    তৃণমূল নেতা অভিষেককে (Abhishek Banerjee) ইডি-সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে বলে বৃহস্পতিবারই নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চ। মূল তদন্তে বাধা দেওয়ার চেষ্টায় এই মামলা করা হয়েছিল বলেও সন্দেহ আদালতের। সেই কারণেই অভিষেক ও কুন্তলের ২৫ লক্ষ করে টাকা জরিমানা করা হয়। সেই টাকা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ফের আদালতের দ্বারস্থ হন অভিষেক। এবার মামলাটি যায় বিচারপতি তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে। সেই বেঞ্চই জানিয়ে দিয়েছে, দ্রুত শুনানি সম্ভব নয়। আইনজীবীদের একাংশের মতে, আজ (শুক্রবার) মামলা না হলে ফের সমস্যায় পড়তে পারেন অভিষেক।

    অভিষেককে অবসরকালীন বেঞ্চে যাওয়ার নির্দেশ প্রধান বিচারপতিরও

    হাইকোর্ট সূত্রে খবর, বিচারপতি তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ থেকে কিছু না পেয়ে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে ছোটেন অভিষেকের আইনজীবীরা। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। কিন্তু, সেখান থেকেও খালি হাতে ফিরতে হয়।  প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, ‘‘আমরা তো মামলা ডিভিশন বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছি।’’ অভিষেকের আইনজীবী বলেন, ‘‘ওই বেঞ্চ জানিয়েছে আজকে মামলার খুব চাপ রয়েছে। তাই শুনতে পারবে না।’’

    বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, “২২ তারিখ, সোমবার অবসরকালীন বেঞ্চের প্রথম দিন। দু’দিনে এমন কিছু হবে না।” অভিষেকের আইনজীবী তখন বলেন, ‘‘তা হলে আপনি এটা নিশ্চিত করে দিন এই আগামী দু’দিনে কিছু হবে না। এই মামলার অন্য পক্ষও এখানে উপস্থিত রয়েছে।’’ জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘এটা আমরা পারব না। কারণ, মামলাটি এই বেঞ্চের বিচার্য বিষয় নয়। আমি শুধু অনুমতি দিতে পারি মামলা দায়েরের। অনুমতি দিচ্ছি অবকাশকালীন বেঞ্চে যান।’’ এমনকী, নতুন বেঞ্চ গঠনের আর্জিও শুনতে চাননি প্রধান বিচারপতি। দেননি কোনও রক্ষাকবচও। তাই অভিষেককে (Abhishek Banerjee) জিজ্ঞাসাবাদ সংক্রান্ত ব্যাপারে বহাল থাকছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: শিক্ষক বদলি নিয়ে এখনই পদক্ষেপ নয়! জানাল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: শিক্ষক বদলি নিয়ে এখনই পদক্ষেপ নয়! জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক বদলি নিয়ে ফের আদালতে জোর ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। শিক্ষক বদলি (Teacher Transfer) নিয়ে সরকারের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ১৩ জুন পর্যন্ত শিক্ষকরা যদি নতুন জায়গায় কাজে যোগ নাও দেয়, তাহলে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না কমিশন। কারণ, মামলার চূড়ান্ত শুনানি হবে ১৩ জুন।

    হাইকোর্টের নির্দেশ

    শিক্ষক বদলিতে প্রবল দুর্নীতি হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেছিলেন বেশ কয়েকজন শিক্ষক। তার পরিপ্রক্ষিতেই বিচাপতি বিশ্বজিৎ বসু রাজ্য সরকারকে শিক্ষক বদলি নিয়ে গাইড লাইন তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু যে গাইড লাইন তৈরি হয়েছে, সেখানে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ১০ (সি) রুল মানা হয়নি বলে অভিযোগ করেন কিছু শিক্ষক। তাঁরা ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলার শুনানিতে হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ শিক্ষক বদলির উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে।

    বিচারপতি বসুর এজলাসে আবেদন

    এই বদলি ইস্যুতে কিছু আবেদন নিয়ে বিচারপতি বসুর এজলাসে আবেদন করেছেন বদলি হওয়া কয়েকজন শিক্ষক। তাঁদের ক্ষেত্রে অবশ্য সিঙ্গল বেঞ্চ কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি। সেই মামলার শুনানি হবে আগামী ১৬ জুন। বদলি নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ শুনিয়েছেন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। 

    আরও পড়ুুন: প্রকাশিত মাধ্যমিকের ফল! পাশের হার ৮৬ শতাংশ, প্রথম কাটোয়ার দেবদত্তা মাঝি

    শিক্ষক ও পড়ুয়ার অনুপাতের বিচার করেই বদলি নীতি তৈরি, তা অবশ্য মেনে চলা আর তা না মানা হলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে বলেও উল্লেখ করেছিলেন বিচারপতি। তিনি এমনও বলেছিলেন, ‘অন্য কোনও চাকরিতে বদলি নিয়ে কোনও অসন্তোষ নেই। শুধুমাত্র শিক্ষকরাই কেন পছন্দের স্কুলে চাকরি করবেন?’ এই শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত একটি মামলায় বিচারপতি বসুকে এমনও বলতে শোনা গিয়েছে, বদলির পর নতুন স্কুলে যোগ না দিলে তা ‘সার্ভিস ব্রেক’ হিসাবেও গণ্য হতে পারে। এসব মাথায় রেখেই নাকি নতুন বদলি নীতি তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু তা সামনে আসার পর থেকেই একাধিক মামলা হতে থাকে। শিক্ষকদের অভিযোগ, একই জেলার দুটি বিপরীত প্রান্তে বদলি করা হচ্ছে। ইচ্ছাকৃতভাবে বদলি করা হচ্ছে শিক্ষকদের, যাতে সমস্যা বাড়ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share